নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক ছবি কথা বলতে পারে। এই কারণেই রবি ঠাকুর মনে হয় গান লিখেছেন ‘তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা’। এক পর্যায়ে ছবির কাছে কবি জানতে চেয়েছেন আকাশের ঐ নিহারিকার মত তুমি কি সত্য নও। পরে কবিতার শেষের চরণে নিজের প্রশ্নেরই উত্তর দিয়েছেন ‘নও ছবি, নও ছবি, নও শুধু ছবি।‘ অর্থাৎ ছবি শুধু ছবি নয়, তারচেয়েও অনেক কিছু।
ছোট বেলায় আমার এক চাচাতো ভাই তার ছোট বোনকে ভাত খাইয়ে দিচ্ছিল নিজের হাতে। তখন আমার সেই ভাইয়ের বয়েস হবে ৬ বছরের মত আর বোনের বয়স হবে ৩ বছর। দৃশ্যটা দেখে বড়রা মুগ্ধ হয়েছিল। অনেক প্রশংসা আর দোয়া করেছিল তারা ভাইটির জন্য। আজকে একটা ছবি দেখে আমার সেই ঘটনা মনে পড়ে গেল। উপরের শিরোনামে দেয়া ছবিটাতে দেখা যাচ্ছে একটা ৫/৬ বছরের সিরিয়ান বাচ্চা ছেলে তার ছোট বোনের মাথায় হাত রেখে নিজের কোলের মধ্যে নিয়ে রেখেছে যেন তার বোনটা বিমান থেকে ফেলা বোমার হাত থেকে বাঁচে। যদিও সে নিজেও একই বিপদে আছে। সে বাঁচাতে পারল কি পারল না এটা প্রশ্ন না। এই ছবি কিন্তু আমাদের কিছু কথা বলতে চাচ্ছে। কি সেই কথা কেউ কি জানেন?
আমি বোঝার চেয়ে বিস্মিত হয়েছি বেশী। কি বুঝেছি সেটা বলি;
১। ভাইবোনদের মধ্যে ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধ একদম ছোটবেলাতেই সৃষ্টি হয়।
২। মানবতা আর মমতাকে বোমা মেরে ধ্বংস করা যায় না।
৩। একটা অবুঝ শিশুর যে বিবেক আর মায়া আছে বোমা হামলাকারীদের সেটা নেই।
ছবিঃ nairaland.com/2199348/photo-syrian-boy-protecting-little
২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা হোল দায়িত্ববোধ আরেকটা হোল ছোটদের প্রতি মমতা। বড়রা ছোটদের স্নেহ করবে আর ছোটরা বড়দের সম্মান করবে। তবেই একটা সুন্দর সমাজ গড়ে উঠবে।
২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬
শায়মা বলেছেন: বাচ্চা দুইটা কি এক নিদারুন পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছে। ছবিটা দেখলেই কলিজা ফেটে যায়।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। সেই তুলনায় আমরা বেহেশতে আছি। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সাচু ভাই,
আশাকরি ভাল আছেন।
পোস্টের সঙ্গে সহমত যে ভাইবোনের মধ্যে ভালোবাসা দায়িত্ববোধ ছোট থেকে গড়ে ওঠে।
শুভকামনা আপনাকে।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পদাতিক ভাই তমোময়ী - ৭ এর পরে আর পর্ব দেখতে পাচ্ছি না। যদিও এই গল্পের সব লেখা পড়ি নাই তবে পড়ার আশা রাখি। আশা করি নিয়মিত লেখা দিবেন এখন থেকে।
৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:১১
জুল ভার্ন বলেছেন: আসলে পারিবারিক বন্ধনই সকল সুন্দরের সূতিকাগার। সেই জন্যই বলা হয়- সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষালয় হচ্ছে পরিবার এবং সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষক হচ্ছেন মা-বাবা, ভাই বোন। +
২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ভাইবোনের মধ্যে ছোট হওয়াতে আদর বেশী পাওয়ার কথা।
সঠিক পারিবারিক শিক্ষা পেলে ছেলেমেয়ে সাধারণত বিপথে যায় না।
৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১৮
ধোয়াটে বলেছেন: সার্থক লেখা, যে লেখা পড়ে ‘কলিজা ফেটে’ যায়, নিজের ছোট্ট স্বার্থপর গন্ডি ভেঙ্গে বেড়িয়ে পরের জন্য মন কিছু করতে চায়, সমাজ বদলের আকাঙ্খা জেগে ওঠে, মনের মরা নদীতে জোয়ার আসে, তেমন লেখাই লেখা দরকার।
২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর ও অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য। আপনি কবিতা লেখেন। আপনার মন্তব্যতেও একটা কাব্যিক ছোঁয়া আছে। ভালো থাকবেন।
৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:০৯
জটিল ভাই বলেছেন:
মর্মস্পর্শী ও হৃদয় বিদারক
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অথচ আমরা নিজেদের সভ্য বলে দাবি করি।
৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৯
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,
ভাই বোনের সম্পর্ক তো অমূল্য সম্পদ! এ সম্পর্কে কোনো খাদ নেই, ছোটবেলা থেকেই তিল তিল করে গড়ে ওঠে তা আমৃত্যু পর্যন্ত বজায় থাকে, অটুট থাকে।
শুভেচ্ছান্তে,
- দেয়ালিকা বিপাশা
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেয়ালিকা বিপাশা, আপনার মন্তব্যগুলি ভালো লাগে। আপনি অল্প কথায় অনেক কিছু বলতে পারেন।
আপনার জন্যও শুভেচ্ছা।
৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৩২
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: গভীর এবং অর্থবোধক বাক্যে আমি বিশ্বাসী। আসলে মূল্যবান কথা আমার নিকট সম্পদের মত, আমি এরূপ কথা শ্রদ্ধা করি ইবাদতের মতই মান্য করি।
তাই ছোটবেলা থেকেই এরূপ মন্তব্য করে আমি অভ্যস্ত আর আমার এই বিশেষ গুণটির জন্য আমার স্কুলের বন্ধুবান্ধবরা আমাকে উপদেশদাতী নামক বিশেষণে ডাকত। যা আজও অব্যাহত। আজও বুঝতে পারি না এটা কি তাদের অন্তরের একান্তই ক্ষোভ প্রকাশ, না আমার বিশেষ কোন গুণ
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি এই গুনটা আপনার বাবা না মার কাছ থেকে পেয়েছেন বলে মনে হয় আপনার?
আপনার বন্ধুবান্ধবরা আপনার এই গুনের জন্য ঈর্ষান্বিত মনে হয়। তাই তারা আপনাকে খেপাতে চায়। কিন্তু আপনাকে এগুলি অগ্রাহ্য করে বড় হতে হবে। যদি বড় না হয়ে থাকেন এখনও।
হাল্কা এবং চটুল কথাবার্তার চেয়ে গভীর এবং অর্থবোধক কথা বলা ভালো। এটা দ্বারা মানুষের চিন্তার গভীরতা এবং জীবনবোধ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আমি অবশ্য ব্লগে মাঝে মাঝে হাল্কা কথা বলে ফেলি।
৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪৫
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপনি চাইলে পোস্টকে আরেকটু দীর্ঘ করতে পারতেন অথবা চাইলে আরো কয়েকটি ছবি যুক্ত করে ছবি ব্লগ বানাতে পারতেন। আসলে আমি তৃপ্ত হইনি বলেই হয়তো এমন মন্তব্য আপনাকে সহ্য করতে হচ্ছে। ছোট ভাইবোনদের নিয়ে লেখা পোস্টগুলো আমার কাছে সবসময় বালোলাগে। এমন ব্লগপোস্ট খুব কমই আসে। আপনি এই সম্পর্কে আরেকপ্টি পোস্ট দিতে পারেন।
ভালোবাসা জানবেন।
২৩ শে জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পোস্টটা আমি আকস্মিকভাবে দিয়েছি। এই ছবিটা মনে দাগ কেটেছিল। তাই এই ছবিটা নিয়ে পোস্ট দিতে ইচ্ছে করলো। এই কারণে অন্য কোন ছবি যোগ করিনি। ভাইবোন নিয়ে পোস্ট আরও আসা উচিত। ভবিষ্যতে দেয়ার চেষ্টা করবো।
ভালো থাকবেন। আপনার জন্য শুভকামনা।
১০| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: মানবিক অনুভূতির পোস্ট। উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ। আর ছবিটা দেখে আপনি যে কথাগুলো ভেবেছেন, সেগুলোও সত্য ও সুন্দর।
আমার বড় নাতনি'র বয়স সাড়ে সাত বছর, আর নাতির (অর্থাৎ ওর ছোট ভাইটার) বয়স মাত্র আড়াই বছর। ওদের ভাইবোনের মাঝে খুনসুটি আর ক্যাচাল নিরন্তর লেগেই থাকে। কিন্তু কেউ যদি ছোটটাকে কিছু বলে, অমনি বড়টা মায়ের ভূমিকায় চলে যায় এবং ছোটটাকে মায়ের মত করেই আগলে রাখে। ছেলে হবার কারণে স্বভাবতঃই নাতিটা অত্যন্ত চঞ্চল এবং অস্থির, দুষ্টুমিতে সেরা। সেদিন আমি একটু কপট ছলে নাতিটাকে বললাম, 'তুমি অনেক দুষ্টু হয়ে যাচ্ছ কিন্তু"! ওর বোন অদূরে বসে পুতুল নিয়ে খেলছিল। সে কথাটা শুনতে পেয়েই আমার কাছে ছুটে এসে শাসিয়ে গেল, "এই দাদা, তুমি জানো না যে ও একটা বেবী, ওকে কেন দুষ্টু বলছো? আসলে তুমিই দুষ্টু হয়ে যাচ্ছো"!
০৩ রা জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার নাতি আর নাতনীর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। ওদের দুজনের মধ্যে অন্তরের টান রয়েছে। তাই একজনের সামান্য কষ্ট আরেকজন সহ্য করতে পারে না। এটা খুবই ভালো একটা গুণ। বাবা মা তো সারা জীবন থাকে না। ভাইবোনদের মধ্যে ভালোবাসা থাকলে বাবা মায়ের বিদায়ের কষ্ট কমে যায়। এই টান আসলে খুব ছোটবেলা থেকেই সৃষ্টি হয়। আমিও আমার ছোটবেলায় এই টান অনুভব করেছি অন্য ভাইবোনদের প্রতি। এটাই স্বাভাবিক।
ভাইবোনদের মধ্যে এই টানটা চিরকাল থাকে, তারা যতদূরেই থাকুক না কেন।
পুরনো পোস্টের সংকেত প্রায়ই পাওয়া যায় না। তাই উত্তর দিতে দেরী হোল। ভালো থাকবেন।
১১| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৩৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "বাবা মা তো সারা জীবন থাকে না। ভাইবোনদের মধ্যে ভালোবাসা থাকলে বাবা মায়ের বিদায়ের কষ্ট কমে যায়। এই টান আসলে খুব ছোটবেলা থেকেই সৃষ্টি হয়" - খুবই চমৎকার একটা কথা বলেছেন। আপনার মত আমিও খুব ছোটবেলা থেকেই আমার ভাই-বোনদের প্রতি মায়ার টান অনুভব করতাম। এজন্য ওরাও আমাকে খুব ভালবাসে এবং শ্রদ্ধা করে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৩:৪৮
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: খুবি সুন্দর কথা বলেছেন ছোটবেলা থেকেই বড়রা ছোটদের প্রতি দায়িত্ববোধ তৈরি করে সেই অবশ্যই না থাকলে বড় হলেও আর ঐ রকম মনে হয় না-----------