নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২২ শ্রুতির হারমোনিয়াম
হারমোনিয়াম কোন ভারতীয় বাদ্যযন্ত্র নয়। এটা মুলত পশ্চিমের পাম্প অরগ্যানের পরিবর্তিত সংস্করণ। ১৮৪০ সালে ফ্রান্সের আলেকজান্ডার ডেবাইন প্রথম পায়ে পাম্প করা হারমোনিয়াম তৈরি করেন এবং পেটেন্ট গ্রহণ করেন। এটা আকৃতিতে অনেক বড় ছিল। ১৮৫০ সালের পরে ভারতে হাতে পাম্প করা হারমোনিয়াম তৈরি করেন একজন ভারতীয়।
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে ২২ ধরণের শ্রুতি আছে। শব্দের কম্পাঙ্কের উপর ভিত্তি করে এই শ্রুতি নির্ধারণ করা হয়েছে। শব্দের কম্পাকের উপর ভিত্তি করে ভারতীয় সঙ্গীত শাস্ত্রে তিন পর্যায়ের ধ্বনি সীমা আছে। এগুলি হোল উদারা, মুদারা এবং তারা। তারাতে শব্দের কম্পাঙ্ক সবচেয়ে বেশী থাকে। প্রতিটি ধ্বনি সীমাতেই ২২ রকমের শ্রুতি আছে। তবে মুলত ১২ রকমের শ্রুতি (এগুলিকে স্বর বলে) বেশী ব্যবহৃত হয়। এই ১২ টার মধ্যে আবার ৭ টি শুদ্ধ স্বর ( সা রে গা মা পা ধা নি ) এবং ৫ টি কোমল স্বর। এছাড়াও ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে আরও ১০ টি বাড়তি শ্রুতি আছে। এই দশটি শ্রুতি এবং ১২ টি স্বর মিলেই মোট ২২ টা শ্রুতি। আদিকাল থেকে ভারতীয় সঙ্গীত বিশারদরা এই শ্রুতিগুলি ব্যবহার করে আসছেন। কিন্তু পশ্চিমের সঙ্গীতের যে কোন Octave (ধ্বনি সীমা) এ ভারতীয় ২২ এর বদলে ১২ রকমের স্বর (Note) আছে। এই ১২ টা স্বরের কম্পাঙ্কের সাথেও ভারতীয় ২২ টা শ্রুতির কম্পাঙ্কের সামান্য কিছু তারতম্য আছে। কম্পাঙ্ক বৃদ্ধির সাথে সাথে উপরের অকটেভে এই পার্থক্য আরও বেড়ে যায়। নীচে ভারতীয় উদারা ধ্বনি সীমাতে ২২ টা শ্রুতি এবং পশ্চিমের ১২ টা স্বরের (Note) তুলনামুলক কম্পাঙ্ক দেয়া হোল।
এই কারণে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে ১৯৪০ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত হারমোনিয়াম নিসিদ্ধ ছিল। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও হারমোনিয়াম পছন্দ করতেন না। বঙ্গদর্শনের প্রবুদ্ধ বাগচী বলেছেন;
'হারমোনিয়াম নিয়ে রবীন্দ্রনাথ নানা সময়ে নানা মন্তব্য করেছেন। ১৯ জানুয়ারি ১৯৪০ এ লেখা একটি চিঠিতে কবি আকাশবাণী কলকাতার সেই সময়কার স্টেশন ডিরেক্টর অশোক কুমার সেন-কে লিখেছেন “I have always been very much against the prevalent use of Harmonium for purpose of accompaniment in our music and it is banished completely from our ashram. You will be doing a great service to the cause of Indian Music if you get it abandoned in the studio of All India Radio” এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আকাশবাণীতে হারমোনিয়াম ব্যবহার নিষিদ্ধ হয়। পরে স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেহেরুজিও কবির এই অনুরোধ বহাল রাখেন। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দিলীপকুমার রায়, শচীন দেববর্মণ, ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ আকাশবাণীতে গান গাওয়া বন্ধ করে দেন।
কিন্তু মনে রাখতে হবে রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘জীবনস্মৃতি’ তে চন্দননগরে মোরাম সাহেবের বাগান বাড়িতে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ও কাদম্বরী দেবীর সঙ্গে তাঁর কাটানো সময়ের যে স্মৃতিযাপন করেছেন সেখানে তিনি লিখছেন: “আমার গঙ্গাতীরের সেই সুন্দর দিনগুলি গঙ্গার জলে উৎসর্গ করা পূর্ণ বিকশিত পদ্মফুলের মতো একটি একটি করিয়া ভাসিয়া যাইতে লাগিল। কখনো-বা ঘনঘোর বর্ষার দিনে হারমোনিয়াম যন্ত্র যোগে বিদ্যাপতির “ভরা বাদর মাহ ভাদর” পদটিতে মনের মতো সুর বসাইয়া বর্ষার রাগিনী গাহিতে গাহিতে বৃষ্টিপাত মুখরিত জলধারাচ্ছন্ন মধ্যাহ্ন খ্যাপার মতো কাটাইয়া দিতাম”। ফলে গান পরিবেশনের ক্ষেত্রে হারমোনিয়াম একদমই পরিত্যাজ্য এমন কোনও স্বতঃসিদ্ধ কখনও ছিল না'।
ঐ সময় ব্রিটিশ শাসন চলছিল। শোনা যায় যে কয়েকজন ব্রিটিশ সঙ্গীতজ্ঞও মনে করতেন পশ্চিমের সঙ্গীত রীতিতে তৈরি করা হারমোনিয়াম ভারতীয় সঙ্গীতের সাথে খাপ খায় না। অনেকে এটার মধ্যে উপনিবেশিকতার বিরূপ প্রভাব রয়েছে বলেও মনে করতেন। তবে এটা সত্যি যে আগের যুগের উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পীরা হারমোনিয়াম ব্যবহার করতে চাইতেন না।
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তারের বাদ্যযন্ত্রের প্রাধান্য বেশী। বীণা, সরোদ, সেতার, সারঙ্গী ইত্যাদি তারের বাদ্যযন্ত্রে ২২ টা শ্রুতি বাজানোর উপায় আছে। তারের যন্ত্রের সুবিধা হোল একজন দক্ষ বাদক চাইলে সঙ্গীতের প্রয়োজনে সেতারের তার একটু আগে পিছে করে কম্পাঙ্ক সামান্য বাড়াতে বা কমাতে পারেন । কিন্তু হারমোনিয়াম বা অর্গানে এটা সম্ভব না।
এত বিতর্কের পরেও এ কথা বলা যায় যে হারমোনিয়াম একটি অতি জনপ্রিয় ও সুলভ বাদ্যযন্ত্র। অতীতের বিতর্ক হারমনিয়ামের জনপ্রিয়তাকে হ্রাস করতে পারেনি। তাছাড়া হারমোনিয়াম আকৃতিতে ছোট এবং দাম অপেক্ষাকৃত কম। আর তাছাড়া ২২ রকমের শ্রুতির পার্থক্য ধরার মত সঙ্গীত প্রতিভা সাধারণ শিল্পীদের থাকে না। আরেকটা ভালো খবর হোল কয়েক বছর আগে ২২ টা শ্রুতি সম্বলিত হারমোনিয়াম তৈরি করেছেন একজন ভারতীয় নাগরিক। এই ব্যাপারে পরে লেখার ইচ্ছা আছে।
সুত্র -
https://www.livemint.com/Opinion/Y12e6GYxhWINryCuW3AifI/The-harmonium-complex.html https://simple.wikipedia.org/wiki/Harmonium
https://en.wikipedia.org/wiki/Pump_organ#In_the_Indian_subcontinent
http://ijmaa.in/v7n1/245-252.pdf
https://en.wikipedia.org/wiki/Shruti_(music)
http://onushilon.org/music/gen/sruti.htm
http://www.22shruti.com/research_topic_6.asp
https://en.wikipedia.org/wiki/Just_intonation
https://im.saske.sk/~jhaluska/haluska/haluskaPAPERS/2000pytha-h.pdf
https://pages.mtu.edu/~suits/fifths.html
https://www.phys.uconn.edu/~gibson/Notes/Section3_4/Sec3_4.htm
https://en.wikipedia.org/wiki/Arabic_maqam#Notation
https://sevish.com/2016/microtonal-piano-roll-for-ableton-live/
https://en.wikipedia.org/wiki/31_equal_temperament
https://en.wikipedia.org/wiki/19_equal_temperament
https://en.wikipedia.org/wiki/Arab_tone_system
https://en.wikipedia.org/wiki/Pythagorean_tuning
https://en.wikipedia.org/wiki/Meantone_temperament
https://en.wikipedia.org/wiki/Equal_temperament
https://en.wikipedia.org/wiki/Microtonal_music
https://www.classicfm.com/discover-music/music-theory/why-are-there-only-12-notes-in-western-music/
https://pages.mtu.edu/~suits/notefreqs.html
https://ptolemy.berkeley.edu/eecs20/week8/scale.html
https://www.livemint.com/Opinion/Y12e6GYxhWINryCuW3AifI/The-harmonium-complex.html
http://www.kholakagojbd.com/public-opinion
https://www.bongodorshon.com/home/story_detail/tagore-song-and-harmonium
ছবি- https://www.youtube.com/watch?v=7BePHjWIFgw
১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ন্যাচারাল সিঙ্গার। সা রে গা মা পরে শিখলেও চলবে। আর তাছাড়া এত সূক্ষ্ম ব্যাপারগুলি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
ভারতীয় সঙ্গীতেও বহুল ব্যবহৃত স্বর ১২ টা। বাকি ১০ টা সঙ্গীতের উঁচু মাপের গুরুদের জন্য। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে মোট বাইশটা শ্রুতি ( ১২ টা স্বর সহ)। ১২ টা স্বরের মধ্যে আবার ৫ টা হোল কোমল স্বর ( সেমি নোট)।
আসলে যুগে যুগে এই স্বরগুলি নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। বর্তমানে ওয়েস্টার্ন মিউসিকে যে ১২ টা নোট (স্বর) ব্যবহৃত হয় ৫০০ বছর আগে তেমন ছিল না। অন্য কম্পাঙ্কের নোট ছিল। পরবর্তীতে এগুলিকে গানিতিক সুত্রে ফেলা হয়েছে। আরবি সঙ্গীতে স্বর ২৪ টি। ওয়েস্টার্ন মিউসিকেও ১২ টার বাইরে ভিন্ন ঘরানার নোট আছে। তবে এগুলি অপ্রচলিত। আমরা যে ৭ টা মূল স্বর এবং ৫ টা কোমল স্বর ব্যবহার করি এটা ভারত এবং পশ্চিম উভয় জায়গাতেই বহুল ব্যবহৃত। সঙ্গীত খুব সূক্ষ্ম কলা। বলা হয়ে থাকে যে MUSIC IS THE FINEST OF THE FINE ARTS’ এবং এটা একটা গুরুমুখী বিদ্যা।
২| ১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: তবে, হারমোনিয়ম, বাঁশির সুর আমার কাছে সবচাইতে সুমধুর মনে হয়।
১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার জন্য ওয়েস্টার্ন হারমোনিয়ামের একটা সুন্দর লিঙ্ক দিলাম নীচে।
https://www.youtube.com/watch?v=yBT9LP4Fbmo
৩| ১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৫৬
নতুন বলেছেন: হারমনিয়াম চুলকাইয়া যখন গায়ক রাগ করে রাগ ভৈরবী শুরু করে তখন আর সেইগুলি এন্টিনাতে ধরে না।
তবে রবিন্দ্রসঙ্গীত খুবই ভালো লাগে।
১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক রবীন্দ্রসঙ্গীতে ওয়েস্টার্ন ছোঁয়া আছে। শিক্ষানবিশদের জন্য রাগ রাগিণী সম্বলিত গান ফাকা মাঠ ছাড়া গাওয়া ঠিক না। কারণ এতে ঘরের দেয়াল অনেক সময় ফেটে চৌচির হয়ে যায়। ওস্তাদরা তাদের শিষ্য বা শিষ্যাদের আগেই বলে দিয়ে থাকেন। আমাদের ব্লগেও এই ধরণের গায়ক/গায়িকা আছেন।
৪| ১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:০৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হায় হায়, সবতো মাথার মেলা উপর দিয়া গেলো....
এই সব নিয়া চিন্তা করতে গেলেতো গান আর সুরের মজা নষ্ট হবে আমার!!!
১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গান শোনার সময় হাতে টিউনিং ফোরক রাখবেন। তাতে গানের আসল মজা পাবেন। সুরের ওঠা নামা কম্পাঙ্ক এগুলি বুঝলে গান শুনে আরও আনন্দ পাবেন।
৫| ১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সোনাবীজ ভাই-
৬| ১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:২০
সোনাগাজী বলেছেন:
বাংলাদেশে ১টি ভালো হারমোনিয়ামের মুল্য কত?
১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। মাঝারি মানের হারমোনিয়ামের দাম ১২ হাজার টাকা। একদম কম দাম হবে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা।
স্কেল চেঞ্জ হারমোনিয়ামের দাম প্রায় ৬০ হাজার টাকা।
৭| ১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৪৮
জুল ভার্ন বলেছেন: সংগীতের খুব কঠিন এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখেছেন - যার উপর মন্তব্য করতে অনেক জ্ঞানের অধিকারী হতে হবে, যা আমার নেই। আপনার লেখা ভালো লেগেছে।
১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সঙ্গীত কেন মানুষের শুনতে ভালো লাগে সেই কারণটা এখনও বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে পারেনি। তবে এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন যে খাদ্য গ্রহণ এবং সেক্স করার কারণে যেমন দেহে ডোপামিন উৎপাদন হয় একইভাবে গান শুনলে বা গাইলে মস্তিষ্কে ডোপামিন উৎপাদন হয়। তাই গান একটা ভালো ওষুধ।
৮| ১৭ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৩
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
পশ্চিমের প্রভাবে ভারতীয় শাস্ত্র গড়ে উঠেছে,রবীন্দ্র নাথের সময় হারমোনিয়াম বাদে সব বাদ্যযন্ত্র ছিলো?
১৭ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভারতীয় সঙ্গীত পরনির্ভরশীল কখনও ছিল না এবং পশ্চিম দ্বারা প্রভাবিতও হয়নি কখনও। দুইটার মধ্যেই অনেক স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য আছে। হারমোনিয়াম টাইপের বাদ্যযন্ত্র ভারতে কখনও ছিল না।
প্রাচীন কাল থেকেই ভারতে অনেক ধরণের বাদ্যযন্ত্র ছিল। যেমন বীণা, বাঁশি, সেতার, মৃদঙ্গ, সরোদ, তানপুরা, রুদ্রবীণা, এস্রাজ, বেহালা,সারেঙ্গি, সানাই, তবলা, ডমরু, ডুগি, খোল ইত্যাদি আরও অনেক কিছু।
রবীন্দ্রনাথ বাড়িতে পিয়ানো বাজাতেন।
৯| ১৭ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪১
মিরোরডডল বলেছেন:
হারমোনিয়াম আমার সবচেয়ে অপ্রিয় বাদ্যযন্ত্র
১৭ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডলের প্রিয় বাদ্যযন্ত্র কোনটা? আমার মনে হয় এটা;
১০| ১৭ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
এটা কি সাচু
সবচেয়ে প্রিয় বাঁশি ।
তারপর স্প্যানিশ গিটার ।
এরপর ভায়োলিন ।
আরও আছে, পিয়ানো ।
আজ থাক সাচু, আর না বলি
১৭ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো ছিল। মিরোরডডলের জন্য নীচের গানগুলি। ভুলে প্রতি মন্তব্যে না দিয়ে আলাদা মন্তব্য দিয়েছি। আমার প্রতি মন্তব্যগুলি নীচে আছে।
১১| ১৭ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডলের পছন্দের মিউজিকগুলি আমারও পছন্দের হয়ে গেল। আসলেই খুব ভালো।
বাঁশীরটা অসাধারণ।
গীটারেরটাও সেই রকম।
ভায়োলিনেরটাও খুব ভালো।
পিয়ানোরটা চমৎকার।
এতগুলো সুন্দর মিউজিকের জন্য মিরোরডডলকে ধন্যবাদ। আমার পক্ষ থেকে এই গানগুলি আপনার শোনার জন্য;
এটাতে এক ধরণের বাঁশী আছে।
এটা একটা পুরনো গান। কিন্তু আমার ভালো লাগে।
এটাতে কিছুটা পিয়ানো আছে।
এটাতে কিছু আকাউসটিক গিটার আছে।
১২| ১৭ ই জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আরাফাত৫২৯ বলেছেন: অনেক তথ্য জানলাম। মিউজিক এক আধটু করার কারণে ব্যাপারটা ধরতে পারছি। ভারতীয় সংগীতে ২২ টা শ্রুতি জানতাম না। তবে নরমাল মিউজিকগুলো তো গিটারে ভালোভাবেই উঠানো যায়। শাস্ত্রীয় সংগীত শোনা হয় না। বোধহয় সেখানে ২২ টি শ্রুতি ব্যবহার করা হয়।
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যারা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত চর্চা করে তারা এই সূক্ষ্ম শ্রুতিগুলি ধরতে পারে। সাধারণ মিউজিকে ব্যবহার নাই বললেই চলে। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে আমার জ্ঞান নাই বললেই চলে। আপনি যেহেতু মিউজিক সম্পর্কে জানেন তাই আপনি বিভিন্ন ওয়েস্টার্ন মিউসিকাল টার্ম যেমন নোট, কর্ড, স্কেল, মেজর, মাইনর, ক্রমেটিক স্কেল, অগমেনটেড কর্ড, diminished কর্ড, বার কর্ড, টেম্পো, ট্রেবল, বেস, হোম কর্ড, MIDI, Percussion, pitch, শার্প, ফ্লাট, সিন্থেসাইজার, এগুলি বুঝবেন। আপনি তো জানেনই কি বোর্ড আর গীটারের মৌলিক নিয়ম একই।
১৩| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:১৭
শাহ আজিজ বলেছেন: আমি প্রায় সব বাদ্যযন্ত্র বাদন শুনেছি এই ঢাকায় জাপান , জার্মান , আমেরিকানদের বাদন । পিকিঙ্গে আফ্রিকানদের বাদন আর চীনা তো আছেই । মোটামুটি সব ধরনের আইডিয়া পাওয়ার পর এই বার্ধক্যে এসে বলি ভারত বাংলা পাকের সঙ্গীত আর বাদন অনন্য । এত সমৃদ্ধি আর কারো গোত্রে বা সমাজে অনুভুত হয়নি । কিছু নতুন তথ্য পেলাম , ভাল লাগলো ।
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ( ভারতীয় এবং পশ্চিম উভয় ক্ষেত্রেই) নিয়ে বেশী কথা বলার মত জ্ঞান আমার নাই। তারপরও সঙ্গীতের একজন অনুরাগী হিসাবে বলতে পারি যে ভারতীয় ক্লাসিক্যালের ছোঁয়া আছে এমন একটা গান শুনে বা গেয়ে যে তৃপ্তি পাওয়া যায় ততটা পশ্চিমের সঙ্গীতে মনে হয় পাওয়া যায় না। তবে আমাদের রুচি এবং কালচারও হয়ত এটার জন্য দায়ী। যার ফলে এই দেশেরটা আমাদের বেশী ভালো লাগে। তবে উভয় সঙ্গীতের ভিত্তি অনেক সুদৃঢ় এটা বলা যায়। পশ্চিমেও অনেক ভালো ভালো সঙ্গীত এবং বাদন অবশ্যই আছে। আর উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শুনতে হলে আগে শোনার অভ্যাস করতে হবে। শুনতে শুনতে ভালো লাগবে।
১৪| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:২০
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ব্লগে ভিডিও কিভাবে আপলোড করা হয় একটু শিকালে উপকৃত হতাম।
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রথমে ইংলিশ ফনট বেছে নেবেন। বাংলাতে করলে হবে না। তারপর থার্ড ব্র্যাকেট [ শুরু করবেন। তারপর yt লিখবেন। তারপর দারির মত (।) এই চিহ্নটা বসাবেন। শিফট + ব্যাক স্ল্যাশ চাপলে এই চিহ্নটা আসবে। বিভিন্ন ল্যাপটপে বিভিন্নভাবে এটা আনা যেতে পারে। তারপর ইউটিউবের যে ভিডিও আপলোড করতে চান সেটার url এর শেষের অংশ কপি করবেন। সমান সমান সাইনের পরের অংশ কপি করবেন। এটাকে । চিহ্নের পরে পেস্ট করবেন। তারপর তৃতীয় বন্ধনী বন্ধ করবেন।
https://www.youtube.com/watch?v=cTfxennz3xU
এই ভিডিওটা আপ লোড করতে হলে আপনাকে এইভাবে কোড লিখতে হবে;
[yt|cTfxennz3xU
আমি তৃতীয় বন্ধনী বন্ধ করিনি। আপনাকে করতে হবে। তারপর মন্তব্য প্রকাশ করুন বাটনে চাপ দিতে হবে। ট্রাই করে দেখেন। আমি সঠিক বলেছি কি না। মিরোরডডল আমাকে শিখিয়ে ছিল। কিন্তু আমি বারবার ভুলে যাই। আমার সুত্র ভুল হলে আপনাকে মিরোরডডলের শরণাপন্ন হতে হবে।
১৫| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৩৩
মিরোরডডল বলেছেন:
একসময় শোনা হতো
cherish the love we have
we should cherish the life we live
cherish the love
cherish the life
cherish the love we have
for as long as we both shall live
থ্যাংক ইউ সাচু
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কুল এন্ড দা গ্যাঙের আরেকটা ভালো গান আছে। সেটাও শোনা হতো।
১৬| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৮:৫৪
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: Thank you bro ♥️
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন:
১৭| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:০০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে বেশ কিছুদিন স্প্যানিশ গিটারের পাঠ নিয়েছিলাম। কিন্তু বিশেষ কারণে আমার সেই প্রচেষ্টা বন্ধ করতে বাধ্য হই। পরবর্তীতে বারংবার বাড়ি বদল করার কারণে হভনার কোম্পানির সেই সুন্দর গিটারটি ফেটে গেছে। গীটার আমার সেরা পছন্দের।
হারমোনিয়াম সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত আলোচনা থেকে সমৃদ্ধ হলাম। আকাশবাণী ও রবীন্দ্রনাথের হারমোনিয়াম বীতশ্রদ্ধ বিষয়টি সম্পূর্ণ অজানা ছিল। নিচের লিংকগুলো দেখে বুঝলাম অনেক পড়াশোনা করেছেন পরিশ্রম হয়েছে প্রচুর। আমাদের জন্য এত খাটাখাটনি করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
নিরন্তর শুভেচ্ছা প্রিয় সাচু ভাইকে।
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পদাতিক দা গিটারের প্রতি আপনার আগ্রহ জেনে ভালো লাগলো। আমিও স্প্যানিশ গিটার অল্প শিখে ছিলাম। একটা গান মাত্র বাজাতে পারতাম। তারপর বিভিন্ন কারণে শেখা হয়নি। গিটার শেখা আসলে অনেক পরিশ্রমের ব্যাপার। কি বোর্ড কিছুটা বাজাতে পারি বা পারতাম।
এই বিষয়ে আরও কিছু লেখার ইচ্ছা আছে। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৮| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:০৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: 60000 টাকা চেঞ্জার!!!! এত বেশি?
অথচ এখানে ত্রিশ/পঁয়ত্রিশের মধ্যে ভালো চেঞ্জার পাওয়া যায় বলে এটুকু জানি।
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ৯:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশে সব কিছুর দাম বেশী। জিনিসের দাম বাড়লে জাতীয় আয় বাড়ে। অর্থনীতিবিদরা বলে থাকেন।
১৯| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:১৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ভিডিও কি আপলোড করা যায় ডিরেক্ট নাকি আগে ইউটুবে আপলোড দিতে হবে?
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সরাসরি ইউটিউব থেকে ভিডিও আপলোড করা যায়। কোডগুলি সঠিকভাবে লিখলে হবে। যেমন;
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি লিখেছিলাম;
[yt|t8E_lZSvMEY
শেষে ব্র্যাকেট বন্ধ করতে হবে। তারপর 'মন্তব্য প্রকাশ করুন' বাটনে ক্লিক করতে হবে।
২০| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:২৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাদ্যযন্ত্র নিয়ে সুন্দর আলোচনা দেখলাম।
পোস্ট লেখার আগে অনেক স্টাডি করেছেন। হারমোনিয়ামের অনেক ইতিহাস জানতে পারলাম।
সৃষ্টির আদি যুগ থেকেই সম্ভবত সঙ্গীত বাদ্য একটি প্রিয় বিষয় ছিল, সেটা হাতে তালি দিয়ে শুরু হোক পাথর ঠুকেই হোক।
এক মাসের শিশুও মিউজিক শুনলে উৎফুল্ল হয়।
আমার কাছে পৃথিবীর সব সঙ্গীতই ভাল লাগে। দেশি ভারতীয় উপমহাদেশের গুলো একটু বেশি ভালো লাগে।
তবে সবচেয়ে বেশি শোনা হয় পশ্চিমা রক সংগীত। বিশেষ করে আশি নব্বই দশকের।
তবে বাদ্যযন্ত্রের বিশেষ করে পশ্চিমা সঙ্গীতের বাদ্যযন্ত্রের ভিতর ট্রাম্পেট সেক্সোফোন বিউগোল ইত্যাদির বাঁশি খুব ডিপে শ্রুতিমধুর লাগে। গানের মাঝে সেক্সোফোন এর বাশির অংশটুকু বারবার রিওয়াইন্ড করে শুনি।
তবে একটা কথা বলে যাই, পৃথিবীর কোন আবিষ্কারই স্বতন্ত্র নয়। ইভেন কোন ভাষাও স্বতন্ত্র নয়। আদিকাল আদি মানব থেকে উৎপন্ন একটা চেইন বলতে পারেন।
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গানের ক্ষেত্রে সুর যেমন জরুরী তেমনি জরুরী তাল। তাল ছাড়া গান হয় না। মিউজিকে দুইটা মূল বিটের মধ্যে সময়ের পার্থক্য সব সময় একই হয়। এক সেকেন্ড পার্থক্যও হয় না। এটার মধ্যেও নিশ্চয়ই কোন বিজ্ঞান আছে।
ট্রাম্পেট আর সেক্সোফনের সুর ভালো লাগে। এছাড়া একরডিয়নের আর সেতারের সুর ভালো লাগে। জাতিগত যত পার্থক্যই থাকুক ভিন্ন ভাষার মিউজিক আমাদের ভালো লাগে কারণ মানব জাতির বিভিন্ন রেসের মধ্যে কিছু সাধারণ অনুভুতি আছে যেটা সার্বজনীন।
আপনার জন্য একটা পপ রক গান দিলাম;
২১| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:২৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সরি আপনাকে বার বার বিরক্ত করসি,
মনে করুন আমি লেপটপে সেভ করা একটা ভিডিও ব্লগে আপ দিতে চাচ্ছি। এটা কি সম্ভব নাকি আগে ইউটুবে আপলোড দিতে হবে। তারপর?
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার দেয়া নিয়মটা শুধু ইউটিউবের ভিডিওর জন্য। আপনার ক্ষেত্রে আগে ওটাকে ইউটিউবে আপলোড দিতে হবে। তখন পারবেন।
বিরক্ত হওয়ার কোন কারণ নাই। আপনি না পারলে আমাকে বলবেন।
২২| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১০:৫৩
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমি এই ভিডিও টা আপলোড দিতে পারসিনা।
https://www.youtube.com/shorts/d-5lvYuv2MU
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন:
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি url এর শেষের অংশ d-5lvYuv2MU কপি করবেন এবং পেস্ট করবেন।
২৩| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:০৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন:
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সফলতার জন্য অভিনন্দন।
ভিডিওটা ভালো লেগেছে। মেয়েটা বেশ লম্বা মনে হয়। সাথে মিউজিকও ভালো লেগেছে।
আপনাদের তৈরি করা মনে হয়।
২৪| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:২৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ও মডেল এভ্রিল। হাইট ৫'১১ " । আমার এড ফার্ম থেকে বানানো একটা সিনেমাটোগ্রাফির খন্ড বিশেষ। অনেক ধন্যবাদ সাচু ভাই।
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভিডিও ভালো লেগেছে। এত লম্বা মেয়ে বাংলাদেশে বেশী নাই মনে হয়।
২৫| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৩৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধন্যবাদ । আছে তো মেয়ে মডেলদের হাইট শুরু ৫'৫ থেকে । এর নীচে হলে চান্ড পায়না র্যাম্পে।
১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এগুলি সম্পর্কে আমার ধারণা কম। আপনার কাছ থেকে কিছু জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
২৬| ১৭ ই জুন, ২০২২ রাত ১১:৪৩
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাপ রে কত প্যাচ !
তবে মিউজিক ভালো জিনিস
১৮ ই জুন, ২০২২ রাত ১২:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিউজিক মানুষের মনকে শান্ত করে। প্রশান্তি দেয়। যেটার পরোক্ষ প্রভাব শরীরের উপর পড়ে। আসলে সঙ্গীতের এই সব তাত্ত্বিক কথার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হোল মিউজিক সেন্স। পৃথিবীর অনেক বড় বড় শিল্পী ছিলেন যারা সঙ্গীতের এই সব তত্ত্ব ভালো জানতেন না। কিন্তু তারা গান গেয়ে সফল হয়েছেন।
কিশোর কুমার শুধু সারগাম চর্চা করতেন। গানের রাগের উপর তেমন চর্চা ওনার ছিল না বলে শুনেছি।
২৭| ১৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০০
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে রবীন্দ্রনাথের কথাটুকু ভালো লেগেছে।
১৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মূল্যবান কথা বলেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা।
২৮| ১৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:১২
বিটপি বলেছেন: এভ্রিল কি শাড়ি পড়েই বাইক চালায়?
আমার সবচেয়ে পছন্দের বাদ্যযন্ত্র পিয়ানো। উইজ খলিফার র্যাপের সাথে চার্লি ফুটের বাজানো 'সি ইউ এগেইন' পিয়ানো শুনে আমি এই যন্ত্রের প্রেমে পড়ে গেছি।
১৮ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পিয়ানো হোল এমন একটা বাদ্যযন্ত্র যেটাতে তার এবং আঘাতের সমন্বয়ে মিউজিক্যাল নোট সৃষ্টি করা হয়। এটার ভিতরের অংশে সেতারের মত তার থাকে আবার সেই তারকে আঘাত করার জন্য হ্যামার থাকে। একটা ভালো ব্র্যান্ডের গ্র্যান্ড পিয়ানোর দাম ১ কোটির বেশী হতে পারে। সর্বযুগের সেরা একজন পিয়ানো বাদক হলেন বিটোভেন।
২৯| ১৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:১৫
ঢুকিচেপা বলেছেন: হারমনিয়ামের ইতিকথা জেনে ভালো লাগলো।
শ্রুতি বিষয়টা খুব গভীরের একটি বেসিক বিষয়। এই বিষয়টা বড় বড় ওস্তাদগন তাঁদের স্টুডেন্টদের বুঝিয়ে থাকেন কিন্তু বাস্তব জীবনে বা কর্মক্ষেত্রে এটা আলোচনায় থাকে না।
কোন ইন্সট্রুমেন্ট স্ট্যান্ডার্ড টিউন করলে বিশ্বের যে কোন ইন্সট্রুমেন্টের “সা” বা “রে” এর সাথে মিলবে তাই সেখানে শ্রুতি ঠিক থাকলো কিনা এটা নিয়ে কেউ আর পরীক্ষা করে না।
আপনার আপুর হারমনিয়ামটা একটু চেক করে দেখবেন ওটার শ্রুতি ঠিক আছে কিনা (ওটার উপর অনেক অত্যাচার হয়েছে)।
আপনার জ্ঞানের জানালা দিয়ে অনেক আলোই প্রবেশ করছে বুঝলাম।
১৯ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি সঙ্গীত জগতের মানুষ আপনার সাথে পণ্ডিতি করতে চাই না। আপনার কথাই ঠিক। এই সূক্ষ্ম বিষয়গুলি বড় বড় ওস্তাদদের জন্য।
আমার আপু এখন ভ্রমনে আছেন মনে হয়। এই ফাঁকে ওনার একটু গুণকীর্তন করা যেতে পারে। ওনার তো গুনের শেষ নাই। গুনের আতিশয্যে কখন কার গলা টিপে ধরেন তার ঠিক নাই। ওনার হারমোনিয়ামও সেটা বোঝে। তাই ওনার গলা বেসুর হলেও হারমোনিয়ামের চৌদ্দগুষ্টির সাধ্যি নাই বেসুরে বাজার।
আর ওনার ওস্তাদ তো ওনাকে ফাঁকা মাঠ ছাড়া গান গাইতে বারণ করেছেন এটা তো আপনি জানেনই। ওনার গলার মধ্যে রাগ রাগিণী ভরা থাকে। উল্টা পাল্টা রাগ রাগিণী শুরু করলে ঘরের দেয়াল ফেটে চৌচির হয়ে যেতে পারেন। ওনার নাচের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।
৩০| ০১ লা জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১০
খায়রুল আহসান বলেছেন: ওরে বাবা! গান ও গানের সাথে সংশ্লিষ্ট বাদ্যযন্ত্র এবং তাদের সুরধ্বনি সম্বন্ধে আপনি এত কিছু জানেন? এখানে যা যা লিখেছেন, তা আয়ত্বে আনা সাধারণ গানভক্তদের কম্ম নয়। গান নিয়ে আপনার জ্ঞানের (এবং সেই সাথে বিভিন্ন মন্তব্য/প্রতিমন্তব্যে পাওয়া সূক্ষ্ম কৌতুকবোধেরও) প্রশংসা করছি।
পোস্টের বিষয়ে প্রাসঙ্গিক মন্তব্য নিয়ে পরে আবার আসবো। তার আগে একটু জানতে চাই, সেলফোনের ফটো গ্যালারী থেকে ভিডিও ক্লিপ কিভাবে ব্লগে আপলোড করতে পারি? উপরের প্রতিমন্তব্যগুলোতে ব্লগার মোহাম্মদ গোফরান কে যেসব টিউটোরিয়াল দিয়েছেন, সেগুলো তো ইউটিউব থেকে আপলোড করার পদ্ধতি। আমার জানা প্রয়োজন, সেলফোন বা ল্যাপটপের গ্যালারী থেকে ব্লগে ভিডিও আপলোড করার পদ্ধতির একটি সহজবোধ্য উপায়।
০২ রা জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ প্রশংসার জন্য।
ইউটিউবের সাহায্য ছাড়া সামুতে সম্ভবত ভিডিও শেয়ার করা যায় না। আপনি প্রথমে আপনার সেল ফোনের ভিডিওটা ল্যাপটপে নিয়ে নেন। তারপর একটা ইউটিউব একাউন্ট তৈরি করে নেন। আপনি চাইলে ইউটিউবের ভিডিও গোপন রাখতে পারেন। আপনি ছাড়া আর কেউ দেখবে না। আপনি যদি এই পদ্ধতিতে আগ্রহী হন তাহলে আপনাকে ইউটিউব একাউন্ট তৈরি করা এবং সেখানে ভিডিও আপলোড করার পদ্ধতি আমি বর্ণনা করতে পারি। পদ্ধতিটা কঠিন না। আপনার গোপনীয়তা রক্ষা করে আপনি ইউটিউবে ভিডিও রাখতে পারবেন। সেখান থেকে সামুতেও শেয়ার করতে পারবেন। আপনার এই ক্ষেত্রে জি মেইল একাউন্ট থাকতে হবে। ভালো থাকবেন।
৩১| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:০৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: উদারা, মুদারা এবং তারা- ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীত মতে শব্দের কম্পাঙ্কের উপর ভিত্তি করে স্বরধ্বনির এই ত্রিবিভাজন বেশ চমকপ্রদ। এ তথ্যটি আগে জানা ছিল না। নতুন তথ্য জেনে সমৃদ্ধ হ'লাম। অল ইন্ডিয়া রেডিওতে ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত হারমোনিয়াম নিষিদ্ধ ছিল, এটাও জানা ছিল না। এবং এ নিষেধাজ্ঞার পেছনে যে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর একটি চিঠি কাজ করেছিল, সেটাও বেশ চমকপ্রদ তথ্য।
তথ্যসমৃদ্ধ পোস্টে অষ্টম প্লাস। + +
০৯ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পিয়ানোতে তিনটা অকটেভের (উদারা, মুদারা, তারা) বদলে ৭ টা অকটেভ থাকে। আসলে ৭ এর চেয়ে কিছু বেশী থাকে। ৭ গুণ ১২ সমান সমান ৮৪ টার জায়গায় পিয়ানোতে ৮৮ টা 'কি' থাকে। তাই ৭ এর চেয়ে কিছু বেশী থাকে বললাম। তারচেয়ে বেশী অকটেভ বাদ্যযন্ত্রে থাকা সম্ভব। কিন্তু সেটা কানে ভালো শোনাবে না। এই কারণে বাদ্যযন্ত্রগুলিতে তার চেয়ে অধিক অকটেভ ব্যবহৃত হয় না। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৩২| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: "ইউটিউবের সাহায্য ছাড়া সামুতে সম্ভবত ভিডিও শেয়ার করা যায় না" - আমিও এমনটিই জানতাম।
"আপনি যদি এই পদ্ধতিতে আগ্রহী হন তাহলে আপনাকে ইউটিউব একাউন্ট তৈরি করা এবং সেখানে ভিডিও আপলোড করার পদ্ধতি আমি বর্ণনা করতে পারি" - অনেক ধন্যবাদ। প্রথমে আমি নিজেই একটু চেষ্টা করে দেখবো। না পারলে আপনার শরণাপন্ন হবো। এ অফারটুকুর জন্য ধন্যবাদ।
আমার জি-মেইল একাউন্ট আছে। এর আগে ইউটিউবেও একটা একাউন্ট খুলে পরীক্ষামূলকভাবে একটা ভিডিও ক্লিপ পোস্ট করে রেখেছিলাম। বছরখানেক পরে একদিন ওটাতে ঢুকতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। এখন আবার দেখবো ঢুকতে পারি কিনা।
০৯ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার যেহেতু ইউটিউব একাউনট আছে তাই আপনি একটু চেষ্টা করলেই পারবেন। ইউটিউব স্টুডিওতে গিয়ে create অপশনে যাবেন। ভিডিও আপলোড করার সময় ভিডিও সেভ করার ৩ টা অপশন পাবেন। প্রাইভেট বা পাবলিক সিলেক্ট না করে আনলিস্টেড অপশন বেছে নেবেন। তাহলে আপনার প্রাইভেসি বজায় থাকবে আবার আপনি সামুতেও শেয়ার করতে পারবেন। কোন পরামর্শের প্রয়োজন হলে আমি আপনাকে পরামর্শ দিতে প্রস্তুত আছি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: মোটামুটি জটিল বিষয়। আমি গানের পাগল হলেও এসব সারেগামায় কখনো ঢুকি নাই বাজাইতে পারি না কিছুই
স্বর কি ২২, নাকি ২৪টা?