নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোটবেলায় রাজু ভাইয়ের কাছে কাগজ দিয়ে খেলনা বানানো শিখেছিলাম। ১৯৭৯ সালে রাজু ভাই পড়েন তখন চতুর্থ শ্রেণীতে আর আমি পড়ি প্রথম শ্রেণীতে। ওনাদের পরিবার আমাদের প্রতিবেশী ছিলেন। উনি নিজেও ছোট ছিলেন কিন্তু আমাকে আদর করতেন ভাইয়ের মত। উনি কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর জিনিস বানাতে পারতেন। আমিও ওনার কাছ থেকে কয়েকটা জিনিস বানানো শিখে ছিলাম।
এখনও মনের খুশিতে অথবা মনের দুঃখে অথবা আমার বাচ্চাদের শেখানোর জন্য আমি এগুলি মাঝে মাঝে বানাই। আমার ছেলেমেয়েদেরকে এগুলি বানানো শিখিয়েছি। বাসায় ছোট বাচ্চা আসলে তাদেরকেও বানিয়ে দেই ওদের আনন্দ দেয়ার জন্য। আমার ভ্রাম্যমাণ দূরালাপনির আলোকচিত্রগ্রাহী যন্ত্রে তোলা এরকম কয়েকটা ছবি দিলাম ব্লগারদের নিজেদের স্মৃতি রোমন্থনের সুবিধার জন্য। তবে আলোকচিত্রের উপর জ্ঞানের অভাবের কারণে ছবিগুলি হয়ত ভালো হয় নাই। ব্লগার ছবি আপার সাহায্য নিলে হয়তো আরও ভালো হতো।
সুত্র - কোন সুত্র নাই।
ছবি - আমার ভ্রাম্যমাণ দূরালাপনির আলোকচিত্রগ্রাহী যন্ত্রে তোলা ছবি
পোস্টের শিরোনাম ধার করেছি - উইনিং সঙ্গীত গোষ্ঠীর একটা গান থেকে
২৪ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গোফরান ভাই অনেক ধন্যবাদ সুন্দর এবং কিউট বলার জন্য। কাগজ সাদা তাই ভাবলাম কালো জিনিসের উপর রেখে ছবি তুলি। ছবি তোলার উপর জ্ঞান নাই। সাধারণ আক্কেল থেকে এই বুদ্ধি করলাম। ভালো থাকবেন।
২| ২৪ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৩:৫৩
সোনাগাজী বলেছেন:
ক্লাশের মেয়েরা কাগজ দিয়ে এটা সেটা বানাতো, আমরা ফুটবল খেলা ও ঘুঁড়ি নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম।
২৪ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জি, আপনি তো সাঁতার কাটার সময় মেয়েদের পায়ে খোঁচাও দিতেন শুনেছি। ভেরি রোমান্টিক!!!
আমি স্কুল/ কলেজ টিমে ফুটবলে রক্ষণভাগে খেলতাম সব সময়, প্রাইমারী স্কুলে ঘুড়িও উড়িয়েছি। এছাড়া পরবর্তীতে বাস্কেটবল, ভলিবল খেলতাম নিয়মিত। ক্রিকেট খেলতাম শীতকালে। কলেজের হকি টিমে খেলে সুনাম কুড়িয়েছি। বিকেলে কখনও ঘরে থাকার উপায় ছিল না। এছাড়া প্রাইমারী স্কুল পর্যায়ে গোল্লাছুট, দাড়িয়াবান্ধা, বরফ পানি, লুকোচুরি ইত্যাদি খেলতাম। কদাচিৎ টেনিস এবং স্কোয়াশ খেলেছি। ইনডোর গেম হিসাবে দাবা, কেরাম, টেবিল টেনিস খেলেছি নিয়মিত।
৩| ২৪ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:১০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: নৌকা আর এরোপ্লেন বানাতে পারতাম।
২৪ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক কাগজ প্লেন আর নৌকার পিছনে ব্যয় করেছি। স্কুলের খাতা শেষ করে ফেলতাম এগুলি বানিয়ে আর বকা খেতাম।
৪| ২৪ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:২৭
জুল ভার্ন বলেছেন: নস্টালজিক!
আপনার এই স্মৃতিচারণা পড়ে কতো কথা মনে পরে গেলো!
ছেলে বেলায় আমরাও কাগজের নৌকা, উড়োজাহাজ বানাতাম। পাতার বাশী, বৈচি ফলের আর বকুল ফুলের মালা বানাতাম....গোপালের পাপড়ি বইয়ের মধ্যে রাখতাম....
২৪ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নারকেল পাতা দিয়ে এক রকমের বাশি বানানো যায়। আমি আর আমার ছোট ভাই খুব ভোরে শিউলি ফুল কুড়িয়েছি এবং মালা বানিয়েছি। নারকেলের পাতা দিয়ে ঘড়ি বানাতাম। ময়ূরের পালক বইয়ের মধ্যে রাখতাম। ভাবতাম এগুলি সংখ্যায় বৃদ্ধি পাবে।
৫| ২৪ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৪:৩৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: কাগজের নৌকা বানিয়ে কত যে বৃষ্টির পানিতে ভাসিয়েছি ---
২৪ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বর্ষাকালে বাসার সামনে সবাই মিলে কাগজের নৌকা ভাসাতাম। এটা মনে হয় ছোটদের একটা কমন খেলা ছিল।
৬| ২৪ শে জুন, ২০২২ বিকাল ৫:২৪
মিরোরডডল বলেছেন:
উইনিংস না সাচু, ব্যান্ডের নাম হচ্ছে উইনিং ।
আমার অনেক প্রিয় একটি বাংলা ব্যান্ড ।
এদের অনেক সুন্দর সুন্দর গান আছে, স্পেশালি প্রথম এ্যালবামে ।
পোষ্টের শিরোনামের গানটা তাদের সেরা গানের একটি ।
২৪ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডল ঠিক বলেছে। নামটা আসলে উইনিং হবে। ওদের প্রথম এ্যালবামটার প্রত্যেকটা গান ভালো ছিল। আমি ১৯৮৮ সালে আমি সরাসরি ওদের গান শুনেছিলাম যশোরে। চন্দনের গান খুব চমৎকার।
ঐ এলবামের আরেকটা প্রিয় গান মিরোরডডলের জন্য;
https://www.youtube.com/watch?v=gkuNFD9luFk
২৪ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডলের দেয়া তিনটা গান অনেক দিন পরে শুনলাম। আমার প্রিয় গানগুলির মধ্যে এগুলি অন্যতম। এগুলি কতবার যে শুনেছি বলতে পারবো না। মিরোরডডলকে অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
৭| ২৪ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৯
লেখার খাতা বলেছেন: কাগজের নৌকা আমি খুব বানাতাম ছোড বেলায়।
২৪ শে জুন, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি বড়বেলাতেও মাঝে মাঝে বানাই ছোটবেলার স্মৃতি হিসেবে।
৮| ২৪ শে জুন, ২০২২ রাত ৮:৫৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দারুণ ছবি।
২৪ শে জুন, ২০২২ রাত ৯:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
৯| ২৪ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৪১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
পাঁচটা বানাতে পারি।
২৪ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন ৫ টা বানাতে পারেন? কোনটা বানাতে পারেন না।
১০| ২৪ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৩৩
ঢুকিচেপা বলেছেন: আগামীকাল সেতু উদ্বোধন আর আজ আপনি নৌকা বানিয়ে কোথায় চালাবেন ?
ছোটবেলায় অনেককিছু পারতাম এখন ভুলে গেছি।
২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ৮:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মনে করার চেষ্টা করেন। আমাদেরকে বানিয়ে দেখান।
নৌকা বানালে সরকারী দল খুশি হবে।
১১| ২৪ শে জুন, ২০২২ রাত ১১:৫৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: হ হ
এইগুলানের কয়ডারে আমিও বাইতে পারি
২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ৮:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কয়েকটা বানিয়ে দেখান আমাদের জন্য।
১২| ২৫ শে জুন, ২০২২ রাত ১২:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: কাগজ দিয়ে নৌকা বানানো আমি নিজে নিজে শিখেছি। এখনও মাঝে মাঝে হাতের কাছে কাগজ পেলে নৌকা আর প্লেন বানাই।
২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ৮:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাকে একজন শিখিয়েছিল। আমি এখনও মাঝে মাঝে বানাই। আপনার মেয়েদেরকে শিখিয়ে দিবেন।
১৩| ২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:২৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কাগজের নৌকা এই কিছুদিন আগেও বানিয়েছি, ছোটো ছেলের জন্য কাগজ দিয়ে রকেট, উড়োজাহাজও বানিয়েছি অনেক। ২০১০ সালে ফিনল্যান্ডের একটা শর্ট কোর্সে প্রতিদিন সকালে কিছু ফানফগেইম দিয়া ক্লাস শুরু হতো। একদিন দেখি, কাগজ দিয়ে রকেট বানিয়ে একটা নির্দিষ্ট গ্যাপ দিয়ে ছুঁড়ে মারার কম্পিটিশন থ্রো করেছে!! প্রায় ৩৫ বছর আগে বানানো সেই রকেট মুহূর্তেই বানিয়ে ফেললাম, এবং আমার স্কিল ও স্পিড ছিল দেখার মতো আমার গ্রুপটা হয়ে গেল বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী পুরস্কার হিসাবে আমি পেলুম উপর্যুপরি ধন্যবাদ
আপনার দেখানো কিছু কিছু বস্তু আমার কাছে নতুন, যা বানাই নি কখনো। ১ম ছবির নৌকাটা অতীব সুন্দর। এভাবে কখনো বানাই নি। ২য় ছবি এবং সবার নীচের দুটো বানাই নি।
সিগারেটের খালি প্যাকেট ও খেজুর গাছের ডগা দিয়ে রকেট বানিয়ে চিকন রশি দিয়ে বিশেল কৌশলে থ্রো করেছি। খুব মজার ছিল খেলাটা।
২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ফিনল্যান্ডে তো মনে হয় বরফ আর বরফ। ওখানে মানুষ থাকে জানা ছিল না।
সিগারেটের খালি প্যাকেট দিয়ে একটা মজার খেলনা বানাতে পারতাম। এখন আর সেই ধরণের সিগারেট নাই তাই দেখাতে পারছি না।
নৌকাটা স্থানীয় আওয়ামী লীগ অফিসে উপহার হিসাবে দেব ঠিক করেছি।
পাখি বানানোর প্রক্রিয়াটা বেশ জটিল। বাকিগুলি তেমন কঠিন না।
১৪| ২৫ শে জুন, ২০২২ সকাল ১১:৫৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ফিনল্যান্ডে প্রায় ৬ মাস বরফ থাকে। সূর্যোদয় ৯টারও পরে, সূর্যাস্ত ৪টার দিকে। পূর্ব দিকের এক কোণে সূর্য উঠে প্রায় ৪৫ ডিগ্রি দক্ষিণ আকাশ দিয়ে পশ্চিম দিকে যেয়ে ডুবে যায়। সূর্যের কোনো তেজ নাই
তবে, ফিনল্যান্ড-নরওয়ে কৃষিকাজের জন্য অভাবনীয় কিছু টেকনোলজি আবিষ্কার করেছে বলে শুনেছি, যা দ্বারা রাতের বেলা বিদ্যুতের আলোতেও কার্যকরীভাবে শস্য উৎপাদন করা যায়।
২৫ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাকি ৬ মাস মনে হয় পানি থাকে। আপনি পানির সময় গিয়েছিলেন নাকি বরফের সময়? রোজাদারদের জন্য ভালো দেশ। মাত্র ৭ ঘণ্টা রোজা। এরা রাতে কয় ঘণ্টা ঘুমায়? চোরদের জন্যও দেশটা ভালো হবে। কারণ চোরের জন্য রাত যত লম্বা তত ভালো।
চাঁদ দেখা যায় ফিনল্যান্ড থেকে? নাকি সূর্যের মত অবস্থা।
১৫| ২৫ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:৪৩
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমাকে একজন শিখিয়েছিল। আমি এখনও মাঝে মাঝে বানাই। আপনার মেয়েদেরকে শিখিয়ে দিবেন।
হ্যাঁ অবশ্যই।
আমি যা যা ভালো কিছু জানি, সব মেয়েকে শিখাবো।
২৫ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ফটোগ্রাফি আগে শেখাবেন।
১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: 'মনের দুঃখে'ও আপনার বয়সী কেউ কেউ কাগজের খেলনা বানায় নাকি?
আমি শুধু এরোপ্লেন, নৌকা আর ঘড়ি বানাতে পারি। আমার নাতনি আমার চেয়ে বেশি আরও অনেক কিছু বানাতে পারে।
নস্টালজিক পোস্টে অষ্টম প্লাস। + +
১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে মনের দুঃখে না, তবে অনেক সময় মন বিষণ্ণ থাকলে মনকে অন্য দিকে নেয়ার জন্য এই কাজ করে থাকি। এগুলির প্রতি আগ্রহ সবার থাকে না। আপনার নাতির আগ্রহ আছে জেনে ভালো লাগলো। সৃষ্টিশীল কাজে ব্যস্ত থাকা ভালো।
ভালো থাকবেন। অষ্টম প্লাসের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জুন, ২০২২ দুপুর ২:৫৭
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: খুবই সুন্দর হয়েছে। কালোর উপর সাদা। ছবি গুলোর প্রেজেন্টেশান তো ভালোই। কিউট পোস্ট।