নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআনের বাইরের অহি

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৩৮

আর যখন নবী তার এক স্ত্রীকে গোপনে একটি কথা বলেছিলেন; অতঃপর যখন সে (স্ত্রী) অন্যকে তা জানিয়ে দিল এবং আল্লাহ তার (নবীর) কাছে এটি প্রকাশ করে দিলেন, তখন নবী কিছুটা তার স্ত্রীকে অবহিত করল আর কিছু এড়িয়ে গেল। যখন সে তাকে বিষয়টি জানাল তখন সে বলল, ‘আপনাকে এ সংবাদ কে দিল?’ সে বলল, ‘মহাজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ আল্লাহ আমাকে জানিয়েছেন। (সুরা আত–তাহরিম, আয়াত–৩)

বুখারি এবং মুসলিমের বর্ণনায় এসেছে এই আয়াতটি নাজিল হয়েছে উম্মুল মুমিনিন হজরত হাফসা (রা) সম্পর্কে। রসূল (সা) হজরত হাফসাকে (রা) বলেছিলেন “না, আমি মধু পান করেছি, কিন্তু আমি শপথ করছি আর কখনও মধু পান করবো না। সুতরাং তুমি আর কাউকে এই কথা বলিও না।“ হজরত আয়েশা বর্ণনা করেন যে রসূল (সা) উম্মুল মুমিনিন হজরত জায়নাবের (রা) গৃহে গিয়ে মধু পান করতেন। এই ব্যাপারে ঈর্ষান্বিত হয়ে হজরত আয়েশা (রা) এবং হজরত হাফসা (রা) ঠিক করেন যে রসূল (সা) তাদের গৃহে আসলে তারা রসুলকে (সা) বলবেন যে তার মুখ থেকে মাঘাফিরের গন্ধ আসছে (এটা এক ধরণের গাছ নিঃসৃত মিষ্টি আঠাল খাদ্য কিন্তু গন্ধটা একটু উৎকট)। রসূল (সা) হজরত হাফসার (রা) গৃহে গেলে তিনি পরিকল্পনা অনুযায়ী রসুলকে (সা) এই প্রশ্ন করেন। রসূল (সা) তখন বলেন যে “না, আমি মধু পান করেছি, কিন্তু আমি শপথ করছি আর কখনও মধু পান করবো না। সুতরাং তুমি আর কাউকে এই কথা বলিও না।“ কিন্তু হজরত হাফসা (রা) এই কথা হজরত আয়েশাকে (রা) বলে দেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উপরের আয়াত নাজিল হয়।

উপরের আয়াতে একটা ধাঁধার মত ব্যাপার আছে। একটু ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করতে হবে। অনেক মনে করেন রসূলের (সা) কাছে কোরআনের আয়াত ছাড়া আর কোন অহি আল্লাহতায়ালা পাঠান নাই। কিন্তু উপরের আয়াতটা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যাবে যে কোরআনের আয়াত ছাড়াও রসুলের (সা) কাছে আল্লাহর অহি আসত। হজরত হাফসা (রা) যে নিষেধ সত্ত্বেও রসুলের (সা) কথা ফাস করে দিয়েছিলেন সেটা আল্লাহ রসূলকে (সা) জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কোরআনের অন্য কোন আয়াতে এই জানানোর বর্ণনা নাই। তারমানে হোল রসূলের (সা) কাছে কোরআনের আয়াত ছাড়াও আল্লাহর অহি নাজিল হোত এবং বিভিন্ন বিষয় তাকে জানিয়ে দেয়া হত।

এই কারণেই ইসলামের বিধান সংক্রান্ত রসুলের (সা) কথাকে অহি গায়ের মাতলু বলা হয়।

৩। আর তিনি মনগড়া কথা বলেন না। ৪। তাতো কেবল ওহী, যা তার প্রতি ওহীরূপে প্রেরিত হয়। (সুরা আন নাজম, আয়াত ৩-৪)
এভাবেই কোরআনের বাইরেও অনেক বিষয় তাকে অহির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হত। আরেকটা উদাহরণ হোল কিবলা পরিবর্তন সংক্রান্ত।
( হে নবী!) আমি তোমার চেহারাকে বারবার আকাশের দিকে উঠতে দেখছি। সুতরাং যে কিবলাকে তুমি পছন্দ কর আমি শীঘ্রই সে দিকে তোমাকে ফিরিয়ে দেব। সুতরাং এবার মসজিদুল হারামের দিকে নিজের চেহারা ফেরাও। এবং তোমরা যেখানেই থাক নিজের চেহারা সে দিকেই ফেরাবে। যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছে, তারা জানে এটাই সত্য, যা তাদের প্রতিপালকের পক্ষ হতে এসেছে। আর তারা যা কিছু করছে আল্লাহ সে সম্বন্ধে উদাসীন নন।(সূরা বাকারা-১৪৪)

ইসলামের প্রথম দিকে কিবলা ছিল মসজিদ আল আকসা বরাবর। উপরের আয়াতের মাধ্যমে কিবলা পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু প্রথম কিবলার ব্যাপারে কোরআনে কিছু পাওয়া যায় না। তারমানে এটাই বোঝা যায় যে রসুলকে (সা) আল্লাহতায়ালা পৃথক অহির মাধ্যমে আগেই প্রথম কিবলা সম্পর্কে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কারণ রসূল (সা) নিজের খুশি মত নিশ্চয়ই প্রথম কিবলা নির্ধারণ করেন নি।

উপরের দুইটা উদাহরণ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে কোরআনের বাইরেও অনেক বিষয় তাকে অহির মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হত। রসূল (সা) এই ধরণের অহিকে নিজের মত করে বর্ণনা করতেন। প্রকৃতপক্ষে হাদিস সমুহের বাণীই এই ধরণের ওয়াহি গাইরে মাতলু। এই ধরণের অহি সম্পর্কে জানার একমাত্র উপায় হোল রসুলের (সা) হাদিস অধ্যয়ন করা। শুধু কোরআন মানলে এই ধরণের অহি সম্পর্কে আমরা অজ্ঞ থাকবো। ফলে ধর্ম সঠিকভাবে পালন করতে পারবো না। তাই ইসলামে হাদিস অপরিহার্য একটা বিষয়।

মন্তব্য ৬৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: বিষয়টি জানা ছিলো।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই বিষয়গুলি অতি সহজ জিনিস। কিন্তু অনেকে সহজ বিষয়কে জটিল করে তোলেন। ইদানিং অনেকে হাদিসকে পুরোপুরি অস্বীকার করছেন। তাদের মতে হাদিস সব জালে ভরা। তাই হাদিসের কোন দরকার নাই। কোরআনই সব। এই বিপথগামীদেরকে বলা হয় কুরানিসট বা কুরানিইয়ুন। মতবাদের নাম কোরানিজম। ঈদের নামাজ এবং ফিতরার কথা কোরআনে নাই। তাই এই মতবাদের লোকেরা সম্ভবত ঈদের নামাজ পড়ে না এবং ফিতরাও দেয় না। এদের অনেকে কালিমা পরিবর্তন করে ফেলেছে। কোরআনে নিষেধ নাই তাই এরা বলে মেয়েরা মাসিকের সময় নামাজ পড়বে, কাবা তাওয়াফ করবে এবং রোজা রাখবে। নামাজে এরা দরুদ পড়ে না। আরও অনেক উদ্ভট ব্যাপার আছে এদের মতবাদে।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার!!! +

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আশা করি শারীরিক এবং মানসিকভাবে ভালো আছেন।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
একদল বলছেন হাদিসের দরকার নেই কোরআনেই সব আছে। এদের বিষয়ে তেমন কিছু জানি না, শুধু তাদের বক্তব্যটুকুই জানি।

হাদীসে ভুল আছে, জাল আছে, এটা অতি সত্যি কথা। তবে ইসলামে অনেক অনেক অনেক বিষয় আছে যা হাদীস ও সুন্নাহ ছাড়া জানা সম্ভব না।
নামাজ আদায় করার কথা কোরআনে আছে, নিময়টা জানতে সুন্নাহ লাগবে।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিছু হাদিস নিয়ে বিতর্ক অবশ্যই আছে। কিন্তু বর্তমান যুগে কোন হাদিস সহি, কোনটা সন্দেহজনক, কোনটা দুর্বল আর কোনটা জাল এটা নির্ণয় করা হয়ে গেছে। মুতাওয়াতির হাদিস আছে অনেক যেগুলি একই সাথে ৪ থেকে শুরু করে ৭০ জন বর্ণনাকারী পৃথকভাবে বর্ণনা করেছেন। তবে ঢালাওভাবে হাদিস অগ্রাহ্য করা যায় না। হাদিসের নির্দেশনা ছাড়া সঠিকভাবে নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত আদায় করতে পারবেন না। কোরআনে অন্তত ৮০ জায়গাতে রসুলকে (সা) মানার কথা বলা হয়েছে।

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২৭

কামাল৮০ বলেছেন: নবী যেটাকে বলতো আল্লার বানী তাই কোরানে স্থান পায়,যেটাকে বলতো নিজের বানী তা হাদিস স্থান পত।সবই নবীর মুখনিঃসৃত বানী।
কিছু কিছু আলেম বলেন,যখন কায়া ধারন করেন তখন মানুষ,যখন কায়ায় থাকেন না তখন আল্লাহ।আসলে আল্লাহর দুই রূপ।ওয়াজটা আমার কাছে আছে কিন্তু আমি পোষ্ট করতে জানি না।প্রয়োজনে মুফতির নাম জানেতে পারবো।খৃষ্টানরা এমন ধারনা পোষণ করে।যীশুই ঈশ্বরের আরেক রূপ।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সবই নবীর মুখ নিঃসৃত বাণী। কিন্তু হাদিসের কথাগুলি রসূলের (সা) মনগড়া কথা না। কোরআন ছাড়াও বিভিন্ন সময় আল্লাহর তরফ থেকে তাকে বিভিন্ন বিষয় জানিয়ে দেয়া হত। উনি নিজের মত করে বলতেন। কিন্তু ভাবার্থ পরিবর্তন হতো না। কোরআনের বাণী আল্লাহর কথা যা রসুলের (সা) মুখে তুলে দেয়া হত। বাইবেলেও এই ব্যাপারে সামান্য ইঙ্গিত আছে। এই মুহূর্তে খুঁজে পাচ্ছি না।

আপনার মন্তব্যের শেষের অংশে যা বলেছেন সেগুলি হোল বিপথগামী কিছু তথাকথিত আলেমের মতবাদ।

খৃস্টান ধর্মের বাইবেলে ট্রিনিটি নাই। কিন্তু ওরা পরবর্তীতে বানিয়ে নিয়েছে। কোরআনে পরিষ্কারভাবে ট্রিনিটিকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ঈসা (আ) বাইবেলের কোথাও বলেন নি যে 'আমিই গড, আমার এবাদত কর'। এগুলি পরের পণ্ডিতরা বানিয়েছে।

বর্তমান বাইবেলে পরিবর্তন করে 'বিগটেন সানের ( বাইওলজিকাল সান)' জায়গায় শুধু সান বানানো হয়েছে। সান বলতে আল্লাহর দাসও বুঝায়। কোরআনের পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে ঈসা (আ) আল্লাহর সান না। ফলে এখনকার বাইবেল এই বিষয়ে কোরআনের কাছাকাছি এসেছে। হয়তো কোরআনের সমালোচনার কারণেই। তাছাড়া খৃস্টানরাও এই কথা বিশ্বাস করতে চায় না যে গডের আবার বাইওলজিকাল সান আছে।

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩০

রানার ব্লগ বলেছেন: বেচারা নবী দাম্পত্য যন্ত্রণা তাকেও ভোগ করতে হয়েছে!!

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রসুল (সা) স্ত্রীদের উপর রাগ করে ২৯ দিন পৃথক ছিলেন। তারা রসুলের (সা) কাছে বাড়তি খোরপোষ চেয়েছিলেন। উনি আমাদের মতই মানুষ ছিলেন। রসুলের (সা) স্ত্রীরা (উম্মুল মুমিনিন) একে অন্যের প্রতি অনেক সময় ঈর্ষান্বিত হতেন। হাদিসে এসেছে।

রসূল (সা) হজরত আয়েশার কাছে হজরত খাদিজার প্রশংসা করলে হজরত আয়েশা বলতেন যে আপনি এখনও সেই মৃত বৃদ্ধা মহিলার কথা ভুলতে পারেন নি। আমরা কি তারচেয়ে খারাপ। হুবহু বলতে পারলাম না। অনেকটা এমনই বলতেন।

হজরত ওমরের স্ত্রী হজরত ওমরের সাথে তর্ক করা শুরু করলে হজরত ওমর তাকে বকা দেন। তখন তার স্ত্রী বলেন যে রসুলের (সা) স্ত্রীরাও রসুলের (সা) সাথে তর্ক করে।

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৪২

তানভির জুমার বলেছেন: হাদীসে ভুল আছে, জাল আছে এটা সত্য তবে লক্ষ লক্ষ মুহাদ্দিসগন এইগুলো সমাধান করেছেন কোনটা ভুল হাদিস আর কোনটা সঠিক হাদিস। প্রত্যেকটা সহি হাদিসের সনদ আছে। যারা হাদিস অস্বীকার করে তারা মূলত অন্য ধর্মের মত নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী ইসলাম ধর্মকে পরিবর্তন করতে চায়। আর নবীদের স্বপ্নও কিন্তু ওহীর অন্তর্ভুক্ত।

হাদিস সংগ্রহ নিয়ে ইমাম বুখারীর একটা প্রসিদ্ধ ঘটনা আছে ওনি ৭-১০ দিনের হেটে যাওয়ার দূরুত্বে কোন এক ব্যাক্তির কাছে থেকে হাদিস সংগ্রহ করতে যান গিয়ে দেখেন উক্ত ব্যাক্তি নিজের ছুটে যাওয়া ঘোড়া ধরার জন্য হাতে কিছু ঘাস-খড় নিয়ে ঘোড়াটি ধরার চেষ্ট করছে এবং কিছুক্ষন পর ঘোড়াটি সে ধরতে সক্ষম হয়, ঘোড়াটি একটি গাছের সাথে বেধে হাতে থাকা ঘাস-খড় গুলো অন্যত্র ফেলে দেয় এটা দেখি ইমাম বুখারীর আর তার কাছ থেকে হাদিছ নেয়নি। এখন চিন্তা করেন তারা হাদিস সংগ্রহ করার সময় কতটা সতর্ক ছিলেন।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সত্যি স্বপ্নকে নবুয়তের ৪৬ ভাগের ১ ভাগ বলা হয়ে থাকে। আর নবীদের স্বপ্ন তো অহি।

ইমাম বুখারির ঘটনাটা আগে শুনেছি।

সামান্য কিছু হাদিস নিয়ে সন্দেহ থাকলেও সঠিক হাদিসগুলি চিহ্নিত হয়ে গেছে। কুরানিসটদের অনেক উদ্ভট কাজ কারবার বিভিন্ন সাইটে দেখলাম। অনেক মুসলিম দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে এদেরকে শাস্তি দেয়া হয়ে থাকে।

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



সর্বজনবিদিত হাদিস নিয়ে সহী হাদিস বই বের করা দরকার।

১৬ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সঠিক বলেছেন। বাকিগুলিকে পরিহার করা দরকার।

৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৩:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ভালো লিখেছেন।
অনেক কিছুই জানা গেল। তবে একটা ব্যাপার জানার ইচ্ছা, আমি খোঁজাখুঁজি করে নিশ্চিত হতে পারি নাই।
কেবলা বদলের আদেশ কখন হয়েছিল?
মক্কা বিজয়ের আগে না পরে?
ধন্যবাদ।

১৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুখারির হাদিস থেকে জানা যায় যে মক্কা বিজয়ের ১৬ বা ১৭ মাস পরে কিবলা পরিবর্তনের আদেশ আসে। এটা হিজরি ২য় সাল এবং ৬২৪ খৃস্টাব্দ (আনুমানিক)।

৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর বিষয় তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

কিন্তু একদল আছে এটা নিয়েও প্যাচের কথা বলবে। আল্লাহ আমাদের সহিহ বুঝ দান করুন।+++

১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই কুরানিস্ট মতবাদ হোল একটা ভ্রান্ত দল। সকল হাদিসকে ঢালাওভাবে অস্বীকার করা যায় না।

১০| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সহমত

১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সহমতের জন্য ধন্যবাদ।

১১| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১১

মোগল সম্রাট বলেছেন: আল্লাহ যেখানে বলছেন- নিশ্চয় আমি কুরআনকে উপদেশ গ্রহণের জন্য সহজ করে দিয়েছি (সুরা, আল-ক্বামার)। এই সুরার মধ্যে আল্লাহ চারবার এই একই কথা বলেছেন (আয়াত নম্বর সতেরো, বাইশ, বত্রিশ এবং চল্লিশ)।
তার পর-

“(হে নবী) আসলে আমি তোমার ভাষায় একে (কুরআনকে) সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।” (সূরা আদ-দুখান, আয়াত : ৫৮)

“অবশ্যই আমি তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।” (সূরা আলে-ইমরান, আয়াত : ১১৮)

সেখানে কোরান বুঝতে নবির ওফাতের তিন-চারশো বছর পর লেখা হাদিস আর মানুষের লেখা তাফসির পড়া লাগে। এই হাদিস মানা আর না মানা নিয়েই দুনিয়ায এসলাম ধর্মের ভিতর শত উপদল-পাতিদল তৈরী হইছে।

১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনিও হাদিস মানেন না বোঝা যাচ্ছে। আমি পোস্টে যা লিখেছি সেটা যুক্তি দিয়ে ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করেন।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যেহেতু হাদিস মানেন না। আপনার উচিত মাছ না খাওয়া (বেশীর ভাগ মাছ মৃত অবস্থায় আমরা কিনে থাকি)। কারণ সুরা মায়েদার ৩ নং আয়াতে মৃত জীব খাওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

কিন্তু হাদিসের মাধ্যমে মাছকে ব্যতিক্রম হিসাবে বলা হয়েছে। এই কারণে মৃত মাছ খাওয়া যায়।

১২| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: কোন কোন সামু হুজুর বলতেছে হাদিস নাকি সব ভুয়া এবং অপ্রয়োজনীয়।

১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ভ্রান্ত মতবাদের অনুসারী সামুর বাইরেও আছে। রসুলের (সা) আদেশ মানতে হবে এই কথা কোরআনের বহু আয়াতে বলা আছে। হাদিস ছাড়া রসুলের (সা) কিভাবে মানবে।

১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট টি পড়িনি। সেটা জানানোর জন্যই এই মন্তব্যটি করলাম।
আসলে ধর্মীয় বিষয় গুলো আমাকে টানে না।

১৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: টানে না তারপরও আপনি মাঝে মাঝে ধর্ম নিয়ে লেখার চেষ্টা করেন। এটা এক ধরণের ভণ্ডামি।

১৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৩:৪৯

কামাল৮০ বলেছেন: হাদিস ভুল কি ঠিক সেই প্রশ্নে যাচ্ছি না।সহী হাদিস না মানলে।ইসলামের আকিদায় তার সমস্যা আছে।জাল জয়িফ হাদিস চিহ্নিত করা আছে।সহী হাদিস অবস্যই মানতে হবে।এমন কি হাসান হাদিস সহ।

১৮ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ইসলাম ধর্মের বিরোধিতা করার জন্য ইসলাম সম্পর্কে অনেক কিছু জেনেছেন। তাই আপনিও জানেন, যে মুসলমান হাদিস মানে না তার আকিদায় সমস্যা আছে। সহি হাদিস অবশ্যই মানতে হবে।

১৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৫

জ্যাকেল বলেছেন: সুরা ফাতিহায় আমাদের পথ বলা আছে, সেটা ঘুরাই পেচাই মিনিং এভয়েড করতে বলা হয়েছে। আপনি ঘুরিয়ে পেচিয়ে অপ্রয়োজনীয় জিনিস ইসলামের বলে দাবি করছেন, এটা সিরাত আল মুস্তাকিম না, এটা জটিল পথ।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি পোস্টে দুইটা উদাহরণ কোরআন থেকে দিয়েছি। আপনি যুক্তি দিয়ে প্রমাণ করেন যে আমি ভুল বলেছি। যেহেতু কোরআন মানেন তাই কোরআনের উদাহরণ দিয়েছি।

১৬| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৪৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি সহি হাদীস বুঝবেন কি করে? আপনার মতে যে সকল আলেমরা সহী হাদীস নির্ধারন করেছে তারা কিসের ভিত্তিতে নির্ধারন করেছে? সাক্ষী দিয়েছে কে এটা সহী আর এটা সহী নয়!

রাসুল (নাঃ) সরাসরি হাদীস লিখতে এবং সংগৃহ করতে নিষেধ করে গেছেন। তার নিষেধ না শুনে যে সব সাহাবী হাদীস গোপনে সংগ্রহ করতেন তারা কি ঠিক করতেন? এরাই পরবতূীতে ইসলামের ক্ষতির কারন হয়ে দাড়ায়। রাসুলের সরাসরি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে সকল আলেমেরা হাদীস এর বই বের করে মোটা অংকের বানিজ্য করেছে তাদের বুকের পাটা কত বড় তাই আমি ভাবছি। আল্রার কাছে দোয়া করি আল্লা যেনো অন্তত আপনাকে বুঝ দেয়।

"আমার কোনো-কথাই লিখো না। কেউ কুরান ছাড়া অন্য কিছু লিখে থাকলে তা মুছে ফেল। তবে আমার কথা প্রচার কর(narrate from me)। এতে কোনো দোষ নাই। কিন্তু মৌখিক বর্ণনায় যেন কোনো মিথ্যা বলো না। যে আমার সম্পর্কে কোনো মিথ্যা বলবে, সে যেন জাহান্নামে তার আশ্রয় গ্রহণ করে।" (সহি মুসলিম, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৪)

একই বর্ণনাকারী থেকে আর একটি হাদিস: আমরা রাসুল সঃ থেকে (কুরান ছাড়া অন্য কিছু) লিপিবদ্ধ করে রাখতে অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি অনুমতি দেন নি।" যায়দ বিন সাবিতও একই রকমের হাদিস বর্ণনা করেছেন।

রাসুল সঃ তাদেরকে বলেন: তোমরা এসব কী লিখছ? ...আল্লাহর কিতাবের সাথে মিশিয়ে আর একটা কিতাব লিখছ?


It was narrated from Abu Sa'eed al-Khudri that the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: "Do not write anything from me; whoever has written anything from me other than the Qur'aan, let him erase it and narrate from me, for there is nothing wrong with that." (Narrated by Muslim, al-Zuhd wa'l-Raqaa'iq, 5326)

শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অংশ অনুবাদ করছি: বর্ণিত আছে, রাসুল সঃ বলেন: কোরান ছাড়া আমার কাছ থেকে তোমরা আর কিছুই লিখবে না। যে এরকম যা কিছু লিখেছ, মুছে ফেল।...
তখন এইসব সাহাবি কর্তৃক কোরান-হাদিস মিলিয়ে যা কিছু লেখা হয়েছিলো, সব পুড়িয়ে ফেলা হয় (রেফ: মুসনাদে ইমাম আহমদ, ১ম খন্ড, পৃ. ১৭১, মজমায়ুজ জাওয়ায়িদ, ১ম খন্ড, পৃ.
১৫২)

১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোস্টে আমি কোরআন থেকে দুইটা উদাহরণ দিয়েছি। এই দুই ঘটনার আলোকে আমি বলেছি যে কোরআন ছাড়াও আরও অহি রসুলের (সা) কাছে আসত। আপনি যুক্তি দিয়ে ভুল প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। অন্যথায় আমার দাবি সঠিক বলে প্রমানিত হবে।

১৭| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হাদীস ছিলো উমাইয়া শাসনআমর সহ আরো রাজনীতিবিদদের অস্ত্র। ধর্ম ঘাড়ে চাপিয়েদিয়ে মিথ্যা বেসাতী বুঝিয়ে হাদীসকে স্বঅবলম্বর করে রাস্ট্র যন্ত্রকে বৈধ করেছে। অছত সেই হাদীসের পিছনে রয়েছে বিশাল শক্তিশালী বাহিনী। যারা নাকি হাদীসের ভ্রান্তি তুলে ধরলে মৃত্যুদন্ড নাকি দেয়।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার আগের মন্তব্যের জবাবে আমি যা বলেছি এখানেও তাই বললাম। আমি কোরআনের আলোকে প্রমাণ করেছি যে হাদিস ছাড়াও রসুলের (সা) কাছে আরও অহি আসত। আপনি যুক্তি দিয়ে সেটা ভুল প্রমাণ করেন। আপনি ভুল প্রমাণ করতে পারলে আপনার দাবি সঠিক আর না পারলে আমারটা সঠিক।

১৮| ১৯ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যথার্থ লিখেছেন ।

১৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সেলিম ভাই অনেক দিন পর কথা হচ্ছে। আশা করি ভালো আছেন। অনেক ধন্যবাদ পোস্টের বক্তব্যকে সমর্থন করার জন্য।

১৯| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৩৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভাইরে প্রতিটি নবী রাসুলই আল্লার প্রিয়্ তাদের সাথে আল্লা সবসময় কানেকটিং। আল্লা তাদের অন্তরে থেকেই তাদেরকে জানাতো তুমি এখন ডানে যাও বায়ে যাও সেই হিসেবে রাসুলও ডানে যাইতো বায়ে যাইতো। ওহির মাধ্যমে রাসুল জীবন যাপন করতো। কিন্তু সে সকল ওহির গুরুত্ব সেই সময়ের জন্যই ছিলো। কিন্তু আল্লা সংরক্ষন করে রাখতে চেয়েছিলেন আলকোরান। তৎকালীন সময়ের রাসুল (সাঃ) এর জ্ঞান বিজ্ঞান বিকাশে আল্লা রাসুলকে বিভিন্নভা্বে ওহি প্রেরণ করেছে। স্বপ্নে ওহী ওহী বিভিন্নভাবে পেয়েছিলৈন তারা জীবনযাপনের ধারাবাহিকতায়। এসকল ওহীর মাধ্যমে তারা তাদের ভূল ভ্রান্তি পেরিয়ে এগিয়ে গেছেন। এগুলো রাসুলের জীবনের প্রয়োজনে তার ব্যাক্তিগত ওহী। কিন্তু এগুলো ১৪০০ বৎসর পর প্রয়োজন নেই। কারন রাসুল তো আপনার আমার জন্য এগুলো লিখিত আকারে করে রাখেন নাই। যদি এগুলোর প্রয়োজন থাকতো তাহলে অবশ্যই রাসুল এগুলো সংরক্ষন করার বন্দাবস্ত করতেন। তিনি নিজের কথাগুলোকেও সংরক্ষন করতে নিষেধ করেছেন। এবং বলেছেন যদি কেউ তার কথার নামে মিথ্যা কথা বলে সে যেনো জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে প্রবেশ করে। রাসুলের এতবড় অভিশাপকে আমরা কিভাবে এড়িয়ে যেতে পারি? রাসুলের কথার নামে বোখারী ও মুসলিমের কোন কথা যে মিথ্যা নয় সেটা আমি বুঝবো কি করে আর সেই মিথ্যা মনগড়া হাদীস আমি লোকজনকে বলে জাহান্নামের নিম্নস্তরে যাবার মতো ঝুকি কি আমরা নিতে পারি? পারি না। কে আমাদের গ্যারান্টি দেবে এগুলো সত্যতা রাসুল তো আর নেই। তার সাহাবীরাও কোন সিদ্ধান্ত দিয়ে যান নাই। তাহলে আমি কোন যুক্তিতে হাদীস গ্রহণ করে জাহান্নামের নিম্নস্তরে প্রবেশের ঝুকি নেবো তাও আবার একজন অনারব ব্যক্তি যিনি কখনো আরবে বসবাস করেননি তার সংগৃহিত হাদীস যা সেখানকার এক রাজার নির্দেশে লিখিত করেন। এত বড় ঝুকি সেওয়া কি সম্ভব?

আর আপনি সুরা নাজম এর যে আয়াতটি তুলে ধরেছেণ সেটি তো আল কোরআনের কথা বলছেণ। এবং সেগুলো বলা হচ্ছে সেই সময়ের মানুষদের জন্য । আপনি ৩ ও ৪ নং আয়াত তুলে ধরেছেন আমি ২ নং আয়াতটি আপনাকে পড়তে অনুরোধ করছি “তোমাদের সঙ্গী পথভ্রষ্ট হয়নি এবং বিপথগামীও হয়নি ”। এই আয়াতটি নাজিল হয়েছিলো সেই সময়ের সাহাবীদের জন্য। এই সুরা দিয়ে আল্লার তরফ থেকে বলা হয় রাসুল পথব্রষ্ট হননি তিনি মনগড়া কথা বলছেন না এগুলো ওহী যে ওহীগুলো প্রেরিত হচ্ছে । এবং ওহী গুলো তাকে শিক্ষা দান করেন শক্তিশালী প্রজ্ঞাসম্পন্ন ফিরিশতা জিবরীল। সুরা নাজম এর ১-৭ পযর্ন্ত আয়াতে এগুলো বলছে। ভাইরে এই সুরা দিয়ে আলকোরআনে সত্যতা প্রমান করলেন আল্লাহ। কিন্তু এখানে আপনি হঠাৎ করে হাদীসকে টেনে আনলেন কেনো? বুঝলাম না।

তিনি যা বলে গেছেন সমস্তটাই ওহী নন। ওহী হলো আল কোরআন যা সমগ্র মানবজাতির জন্য প্রয়োজনীয়। আর তার জন্য নিদের্শ না মূলক কিছু ওহী ছিলো সেগুলো সংরক্ষন করার মতো গুরুত্বপূর্ন কিছু নন। সেগুলো রাসুলের ব্যক্তিগত জীবনযাপেনের জন্য দরকার ছিলো আল্লাহর নির্দেশনা হিসেবে। সেগুলো শুধুমাত্র রাসুলের জন্য আমাদের জন্য নয়।

ভাইরে কম খান ভালো খান। রাস্তার ফুটপাতের যা তা খেয়ে পেট নষ্ট করে লাভ কি? কম খান স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। অনুরুপ ইসলামের জন্য এত কিছুর দরকার নেই। ইসলামকে বাচান। যতবেশি পেট খারাপ করবেন তত বেশি নাাস্তিকদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে যাবেন। এখন ও সময় আছে নইলে আগামীতে ধর্ম এর অস্তিত্ব বলে কিচু থাকবে না। ধর্মকে মিথ্যা বলে সকলকে স্বীকার করে নিতে হবে।

আল্লাহ আপনার ঈমান দিক। আল্লাহ আপনার বুদ্ধি দিক। ভালো থাকুন।

২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৩:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনে তো মৃত জীব খাওয়া হারাম। আপনি তাহলে কেন মাছ খান।

কোরআনে কুকুর, বিড়াল, সিংহ, বাঘ, শিয়াল খাওয়ার উপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। আপনি কি মনে করে এগুলি খাওয়া হালাল। আপনার কথা মানতে হলে এগুলিকে হালাল ধরতে হবে।

কোরআনে শকুন, চিল, ইগল, ফ্যালকন খাওয়ার উপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। আপনি কি মনে করেন এগুলি খাওয়া হালাল। আপনার কথা মানতে হলে এগুলিকে হালাল ধরতে হবে।

কোরআন বহির্ভূত অহি শুধু রসুলের (সা) জমানার জন্য এটার কোন প্রমাণ দেখাতে পারবেন না। এই অহিগুলি রসুলের (সা) ভুল ভ্রান্তি সংশোধনের জন্য বা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের জন্য এটাও প্রমাণ করতে পারবেন না। এগুলি সবই আপনার ব্যক্তিগত মতামত। আপনি কোরআন থেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। কারণ আপনি হাদিস মানেন না। আপনি যে যুক্তি দেখাবেন সেটা কোরআন নির্ভর হতে হবে। কারণ আপনি শুধু কোরআন মানেন।

আপনার এই যুক্তিগুলি অনুমান নির্ভর এবং মনগড়া।

আপনি তো হাদিস মানেন না। তাহলে আপনি কেন বলছেন যে রসূল (সা) হাদিস সংরক্ষণ করতে নিষেধ করেছেন। এই কথা তো কোরআনে নেই বরং হাদিসে আছে। অথচ আপনি হাদিস বিশ্বাস করেন না। আর তাছাড়া হাদিস লেখার ব্যাপারেও হাদিস আছে। রসূল (সা) ওফাতের কয়েকদিন আগে কিছু লিখে দিতে চেয়েছিলেন সাহাবীদের জন্য। এই মর্মে সহি হাদিস আছে। এটা ছাড়াও এই ব্যাপারে হাদিস আছে। রসুলের (সা) নিষেধাজ্ঞা ব্যক্তি বিশেষের জন্য ছিল। অনেককে তিনি অনুমতিও দিয়েছিলেন। আপনি যেহেতু হাদিস মানেন না। তাই আপনাকে কোরআন দিয়ে প্রমাণ করতে হবে যে হাদিস লেখা নিষেধ ছিল।

আবার বলছেন যে রসূল বলেছেন যদি কেউ তাঁর কথার নামে মিথ্যা কথা বলে সে যেন জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে প্রবেশ করে এই কথাও কোরআনে নেই বরং হাদিসে আছে। আপনি হাদিস বিশ্বাস করেন না। কিন্তু হাদিসের সুত্র উল্লেখ করা মানে আপনি হাদিস মানেন। আপনার কথার মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। আপনি যেহেতু শুধু কোরআন বিশ্বাস করেন তাই আপনার কোরআন থেকে প্রমাণ দেখাতে হবে।

কোরআনে রসূলের (সা) আদেশ নিষেধ মানতে বলা হয়েছে। এটা সর্ব যুগের জন্য। কারণ ওনার পরে আর নবী বা রসূল আসবেন না। কোরআনের এই নির্দেশ থেকেই বোঝা যায় রসুলের বাণী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌছাতে হবে। অন্যথায় পরের জমানার মানুষের জন্য রসূলকে (সা) অনুসরণ করা সম্ভব হবে না। কোরআনের আদেশকে রসুলের (সা) আদেশ বলা যাবে না।

কোরআনের অহি এবং কোরআন বহির্ভূত অহি সবই জিব্রাইলের মাধ্যমেই এসেছে। তাই জিব্রাইলের উল্লেখ করা হয়েছে।
আপনি ঈমানদার না আমি ঈমানদার এটা আলোচনার বিষয় না। আপনি আমার পোস্টের এবং এই প্রতি মন্তব্যের যুক্তিগুলি খন্ডন করার চেষ্টা করেন। যুক্তির মাধ্যমেই বোঝা যাবে কে ঠিক বলছে আর কে ভুল বলছে।

২০| ২০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:০০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সুরা আল তাহরীম এর ৩ নং সুরা নিয়ে আপনি যা বলেছেন। “ হে নবী, আল্লাহ তোমার জন্য যা হালাল করেছেন তোমার স্ত্রীদের সন্তুষ্টি কামনায় তুমি কেন তা হারাম করছ? আর আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। ১ নং আয়াত। নিশ্চয় তোমাদের জন্য শপথ হতে মুক্তির বিধান দিয়েছেন; আর আল্লাহ তোমাদের অভিভাবক এবং তিনি সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান। ২ নং আয়াত। আর যখন নবী তার এক স্ত্রীকে গোপনে একটি কথা বলেছিলেন; অতঃপর যখন সে (স্ত্রী) অন্যকে তা জানিয়ে দিল এবং আল্লাহ তার (নবীর) কাছে এটি প্রকাশ করে দিলেন, তখন নবী কিছুটা তার স্ত্রীকে অবহিত করল আর কিছু এড়িয়ে গেল। যখন সে তাকে বিষয়টি জানাল তখন সে বলল, ‘আপনাকে এ সংবাদ কে দিল?’ সে বলল, ‘মহাজ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ আল্লাহ আমাকে জানিয়েছেন।’ ৩ নং আয়াত্ ।আসুন এবার আলোচনয়। ১ নং আয়াতে সরাসরি রাসুলকে বলা হলো তুমি তোমারা স্ত্রিদের সন্তুষ্টি করার জন্য আমি যা হালাল করেছি তা হারাম করছো কেনো? ২ নং আয়াতে বলা হ্চ্ছ আল্রাহ অভিভাবক। ৩ নং আয়াতে বলা হচ্ছে তার স্ত্রি রাসুলের গোপন কথা অন্যজনকে জানিয়ে দিয়েছেলেন সেটি আল্রাহ রাসুলকে জানিয়ে দিয়েছিলেন।

ভাইরে প্রতিটা নবী রাসুল আল্লাহর তরফ থেকে তার জীবন পরিচালনায় বা ধর্ম প্রতিষ্ঠায় বাধা বিঘ্ন পেরুনোতে ওহী মারফত কিচু নির্দেশনা পান। সেটি জীবনযাপন প্রক্রিয়ার সুবিধার্থে আল্লাহর তরাফ থেকে আসে। ডানে যাও বায়ে যেও না ওখানে বিপদ। ওখান থেকে দুরে থাকো। ইত্যাদি। এগুলো নবী রাসুলর জীবন পরিচালনার ওহী। কিন্তু এগুলো রাসুলের জণ্য সাবজনীন বা সকল মানুষের জন্য নয়। সামগ্রীক ভাবে যে ওহীটির কথা বলা হচ্ছে তা আল কোরআন।

এগুলো ভেবে হাদীসের গ্রহণযোগ্যতাটাই বা কি হলো আমি বুঝি না। রাসুলের জীবনের ব্যক্তিগত ওহীর সাথে হাদীসেরই বা কি সম্পর্ক। প্রয়োজনীয় হলে রাসুল এগুলো সংরক্ষিত করে রাখতেন। যেমন ঠান্ডা ব্রেনে লাখ লাখ হাফেজ সৃষ্টির মাধ্যমে আল কোরানের সংরক্ষনের ব্যবস্থা করেছিলেন। গুরুত্বপূর্ন হলে অবশ্যই আল্লাহ ত’কালীন সময়ৈ সংরক্ষনের একটি না একটি ব্যবস্থা করতেন। কিন্তু করেননি কেনো? কারন সাবজনীন বা সামগ্রীক ভাবে ওটির গুরুত্ব নেই।

ভালো থাকুন।



২০ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বলছেন যে এগুলি রসুলের (সা) জীবন পরিচালনার অহি। সকল মানুষের জন্য নয়। এগুলি তো আপনার মনগড়া কথা। আপনি এগুলো কোথায় পেয়েছেন। সুত্র দেন বা প্রমাণ দেখান কোরআন থেকে। কারণ আপনি কোরআন ছাড়া আর কিছু মানেন না।

কোরআনেই আল্লাহ বহুবার বলেছেন রসুলের (সা) আদেশ মানতে। এই আদেশ সর্ব যুগের জন্য। কারণ আর কোন নবী আসবে না। কোরআনের এই আদেশ দ্বারাই বোঝা যায় রসুলের বাণী আগামী যুগের মানুষদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

আল্লাহ তো কোরআনেই রসূলকে (সা) বলেছেন কোরআনের আয়াত মানুষের জন্য ব্যাখ্যা করতে। সেই ব্যাখ্যা সাহাবীদের কাছ থেকে আমাদের কাছে কিভাবে আসবে হাদিস ছাড়া। আপনার কি ধারণা এই ব্যাখ্যা শুধু সাহাবীদের জন্য করা হয়েছিল এবং এটা পরবর্তী যুগের মানুষের প্রয়োজন নেই। ঐ ব্যাখ্যা সাহাবীদের যখন প্রয়োজন ছিল তার মানে আমাদের যুগের মানুষের আরও বেশী প্রয়োজন হবে। কারণ আমরা রসূলকে (সা) দেখিনি এবং সাহাবীদের চেয়ে আমাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা কম।

আমি আগের মন্তব্যে কিছু প্রশ্ন করেছি। সেগুলির উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেন।

২০ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ঈদের নামাজ পড়েন? যদি পড়েন তাহলে কেন পড়েন? কোথায় লেখা আছে এই নামাজের কথা?

আপনি কি ফিতরা দেন? যদি দিয়ে থাকেন তাহলে কেন দেন? কোথায় এই ফিতরার কথা লেখা আছে?

২১| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:১২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? ৫৪:১৭ আল কোরআনে সরাসরি বলা আছে আল কোরআনকে তিনি সহজ করে দিয়েছেন চিন্তাশীল মানুষ মাত্রই বুঝতে পারবেন তাহলে আপনি রাসুলে ব্যাক্ষা করা হাদীস কেনো লাগবে? চিন্তাশীল মনিষি মাত্রই আল কোরআন বুঝতে পারবে তাতে রাসুলের হাদীস কেনো লাগবে আর অন্যের তাফসীরই বা কেনো লাগবে? বুঝলাম না। সহজ ভাবে কোরআর পড়লেই তো বোঝার কথা শুধুমাত্র রুপক অর্থ আছে তাই একটু চিন্তাশীল হতে হবে?

কারণ ওনার পরে আর নবী বা রসূল আসবেন না। কোরআনের এই নির্দেশ থেকেই বোঝা যায় রসুলের বাণী ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে পৌছাতে হবে। আপনার কথা শুণে হাসি আসে। কারন আপনি চিন্তাশীল মনিষি নন। ঈসাঃ আঃ আসবে এটা তো আপনি জানেন। তাহলে ঈসা আঃ এর বিষয়টি ভূলে যাচ্ছেন কেনো? আল কোরআন বলে “ ঈসা কেয়ামতের নিদর্শন”। আবার । ঈসাকে দ্বিতীয় আদম বলা হয়। চিন্তাশীল মানুষ হলে বুঝতে পারতেন পৃথিবী ধ্বংশের দ্বারপ্রান্তে ঈসা আঃ আসবেন। এই পৃথিবী ধ্বংশের মূহুত্বে ঈসা আঃ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে যাবে নতুন গ্রহের সন্ধানে এবং সেখানে ঈসা আঃ ২য় আদম রুপে মানব জাতির নতুন সভ্যতা গঠন করবে। আল কোরআনে ঈসাঃ আঃ এর কথা বলেছেন। কিভাবে পৃথিবী ধ্বংশ হবে সেটাও আল কোরআনে বলছে “ তুমি কি জান সেই আঘাতকারী কি?” আরেকটি আয়াতে বলছে “ হে মানুষ তুমি কি নিশ্চিত যে তোমাদের উপর প্রস্তরখন্ড নিক্ষিপ্ত করিবো না” একটি গ্রহানুর আঘাতে এই পৃথিবী ধ্বংশের দ্বারপপ্রান্তে পৌছবে। তাহলে রাসুলকে শেষ নবী বলে লাভ কি? আরো একজন আসবে আপনাদের চিন্তা চেতনা যে পরিবর্তন হবে না তা বুঝলেন কি করে?

কোরআনে কুকুর, বিড়াল, সিংহ, বাঘ, শিয়াল খাওয়ার উপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। আপনি কি মনে করে এগুলি খাওয়া হালাল। আপনার কথা মানতে হলে এগুলিকে হালাল ধরতে হবে। এগুলো হালাল হলেই বা সমস্যা কি? আপনি আপনার এলাকাগত পরিবেশগত কারনে কোনটা খাবেন অথবা খাবেন না সেটাতো আপনার ব্যাক্তিগত ব্যাপারে তাতে আপনি হালাল হারাম খুজে বেড়ান কেনো?

কোরআনেই আল্লাহ বহুবার বলেছেন রসুলের (সা) আদেশ মানতে। এই আদেশ সর্ব যুগের জন্য।
সর্বযুগের জন্য এটা কোন আয়াতে বলছে? আমার জানা নেই আমাকে জানান।

আর অবশ্যই আমরা কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহনের জন্য(১); অতএব উপদেশ গ্রহনকারী কেউ আছে কি?

২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল কোরআনেই রসূলকে (সা) কোরআনের ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই কারণেই রসুলের ব্যাখ্যা লাগবে। কোরআনের শব্দ এবং বাক্যগুলি সহজ। সাহাবীরা আয়াতের নাজিলের কারণ এবং প্রেক্ষাপট জানতেন তাই তারা সহজেই বুঝতেন। তাছাড়া রসূল (সা) তাদের তৎক্ষণাৎ ব্যাখ্যা করে দিতেন। কিন্তু আমরা সেটা জানি না। এই কারণেই পরবর্তী যুগে হাদিসের সাহায্যে কোন আয়াত কোন প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছে এটা জানতে হয়। এভাবে বিশ্লেষণ না করলে পরবর্তী যুগের মানুষের কাছে অনেক বিষয় পরিষ্কার হয় না।

ঈসা (আ) আমাদের রসুলের (সা) আগে পৃথিবীতে এসেছেন এবং এখনও জীবিত আছেন। পরবর্তীতে আসলেও বলা যাবে না যে উনি রসুলের পরে এসেছেন। কারণ উনি এখনও জীবিত আছেন। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন আল্লাহ দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। তাই ঈসা (আ) কোন নতুন কিছু আনতে পারবেন না। আপনার কথায় মনে হচ্ছে আপনি মুহাম্মদকে (সা) শেষ নবী হিসেবে মানেন না।

আপনি এখন কুকুর খাওয়ায় হালাল বানিয়ে ফেলেছেন। শাবাশ। হালাল আর হারাম ব্যক্তিগত ব্যাপার হলে কোরআনে এবং হাদিসে দিক নির্দেশনা থাকতো না।

রসুলের আদেশ সর্বযুগের জন্য কারণ কোরআনে আল্লাহ বলেছেন যে তিনি দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন। রসুলের পরে আর কোন নবী/ রসূল আগমনের কথা কোরআনে নেই। ঈসা (আ) যেহেতু আগে জন্মেছেন এবং এখনও জীবিত আছে। তাই বলা যাবে না যে উনি রসুলের (সা) পরে আসবেন নতুন নিয়ম নিয়ে। ফলে কোরআনের আয়াত সর্বযুগের জন্য হয়ে গেছে। আপনার কথায় মনে আপনি মুহাম্মদকে (সা) শেষ নবী হিসেবে মানেন না।

২২| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:২৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কোরআনের অহি এবং কোরআন বহির্ভূত অহি সবই জিব্রাইলের মাধ্যমেই এসেছে। তাই জিব্রাইলের উল্লেখ করা হয়েছে।
আপনি ঈমানদার না আমি ঈমানদার এটা আলোচনার বিষয় না। আপনি আমার পোস্টের এবং এই প্রতি মন্তব্যের যুক্তিগুলি খন্ডন করার চেষ্টা করেন। যুক্তির মাধ্যমেই বোঝা যাবে কে ঠিক বলছে আর কে ভুল বলছে।
আল কোরআন ব্যতিত অন্য কোন অহি জিবরাইল আঃ এর তরাফ থেকে আসে নাই। আপনি প্রমান করে বুঝয়ে দেনে আল কোরআনের অহি ব্যাতিরেকে অন্য কোন ওহি জীবরাইল আঃ এর পক্ষ থেকে এসেছে।

কোরআন বহির্ভূত অহি শুধু রসুলের (সা) জমানার জন্য এটার কোন প্রমাণ দেখাতে পারবেন না। এই অহিগুলি রসুলের (সা) ভুল ভ্রান্তি সংশোধনের জন্য বা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের জন্য এটাও প্রমাণ করতে পারবেন না। এগুলি সবই আপনার ব্যক্তিগত মতামত। আপনি কোরআন থেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। কারণ আপনি হাদিস মানেন না। আপনি যে যুক্তি দেখাবেন সেটা কোরআন নির্ভর হতে হবে। কারণ আপনি শুধু কোরআন মানেন।
স্বপ্নের মাধ্যমেও তিনি অনেক ওহী পেয়েচেন। কিন্তু এগুলো গুরুত্বপূন বিষয় নয়। গুরুত্বপূন বিষয় হলো আল কোরআন যেটি সংরক্ষন রাখার জন্য লাখ লাখ হাফেজ সৃষ্টি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিলো।

আপনি ঈদের নামাজ পড়েন? যদি পড়েন তাহলে কেন পড়েন? কোথায় লেখা আছে এই নামাজের কথা? ফরয বাদ দিয়ে নফল নিয়ে নাচানাচি। ভাইগো ইতিহাস বলে তো একটা বিসয় থাকে। ৩০০ বৎসর ধরে বংশপ্রম্পরা ইসলিামেরি ইতিহাস জেনে আসছি। সেই ইতিহাস কি ঈদের নামাজ শেখায় নাই। হযরাত মোহাম্মদ সাঃ তার সাহাবীরা থেকে ঈদের নামাজ পড়ার একটি নিয়মই চলে এসেছে। সেই নিয়মই মানুষকে ঈদের নামাজ বড়া শেখায়। ইতিহাস বলে তো একটা ব্যপার থাকে।

এত জটিলতা কনো? তবে আমি আপনার এত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবো না কারন আমি ব্যস্ত মানুষ। আর আপনি যদি এখনও বাস্তবতা বুঝতে না পারেন তাহলে আমার আর কিচু বলার নেই।

২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনের বাইরেও যে অহি আছে এটা আমি প্রমাণ দিয়েছি। আপনি সেটা স্বীকারও করেছেন আগের একটা মন্তব্যে। অহি জিবরাঈলের মাধ্যমে না অন্য কোন ফেরেশতার মাধ্যমে আসল এটা বিতর্কের বিষয় না। অহি কোরআনের বাইরেও এসেছে এটাই আমি প্রমাণ করেছি।

আল্লাহ রসূলকে (সা) কোরআনের ব্যাখ্যার দায়িত্ব দিয়েছেন। হাদিস ছাড়া সেই ব্যাখ্যা আমাদের পক্ষে জানা সম্ভব না।

আপনার কথা হাস্যকর। কারণ আপনি ইতিহাস দেখে ইসলামের রীতি মানতে চাচ্ছেন। কোরআনে কি বলেছে যে তোমরা ইতিহাস অনুসরণ কর ইসলামকে জানতে। আপনি কোরআন থেকে তথ্য না পাওয়ার কারণে এখন ইতিহাস অনুসরণ করতে বলছেন। ইসলাম ধর্মের বিধান কি কেউ ইতিহাস থেকে শেখে।

২৩| ২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৩৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি তো হাদিস মানেন না। তাহলে আপনি কেন বলছেন যে রসূল (সা) হাদিস সংরক্ষণ করতে নিষেধ করেছেন। এই কথা তো কোরআনে নেই বরং হাদিসে আছে। এখনে মানা না মানা নিয়ে কোন দরকষাকষি নেই। রাসূল (সা) হাদিস সংরক্ষণ করতে নিষেধ করেছেন আর সেটা হাদীসে উল্লেখিত তারপরও আপনার এত বাড়াবাড়ি কেনো বুঝলাম না। তাছাড়া আল কোরআনে যেহেতু হাদীস এর গ্রহনযোগ্যতা নিয়ে কোন কিচু নিদের্শ করেন নাই। তাহলে আমি সেই হাদীস সংস্কৃতি চর্চা করে কেনো জাহান্নামের শেষ স্তুরে প্রবেশ করার ঝুকি নিবো কেনো?

ক্ষমা করেবেন। আমি ব্যস্ত মানুষ। আপনি বুঝলে বুঝবেন না বুঝলে না বুঝবেন।

২১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাদিসে আছে যে রসূল (সা) অনেক সাহাবীকে হাদিস লিখতেও অনুমতি দিয়েছেন। আপনি তো হাদিসই মানেন না। আপনাকে কোরআন থেকে প্রমাণ করতে হবে।

আল কোরআনে রসূলকে (সা) কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যার দায়িত্ব দিয়েছে। রসুলের (সা) আদেশ মানতে বলা হয়েছে। আপনি কোরআন থেকে তো এই ব্যাখ্যা আর আদেশ পাবেন না। তাহলে আপনি কিভাবে এই ব্যাখ্যা আর আদেশ সম্পর্কে জানবেন। রসুলের আদেশ মানা অবশ্য কর্তব্য। আপনি বলেন রসুলের (সা) আদেশ এবং ব্যাখ্যা কিভাবে বর্তমান জমানার মানুষ জানবে।

শুধু কোরআন মানতে গিয়ে এখন আপনারা রসূল (সা) শেষ নবী এটাও মানেন না। ঈদের নামাজ পড়ার দরকার আছে বলে মনে করেন না। ফেতরা দেয়ার দরকার আছে বলে মনে করেন না। কুকুরের মাংস হালাল বানিয়ে দিয়েছেন। আপনার সাথে আর কথা বলতে চাই না।

২৪| ২২ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কোরআনের বাইরেও যে অহি আছে এটা আমি প্রমাণ দিয়েছি। আপনি সেটা স্বীকারও করেছেন আগের একটা মন্তব্যে। আপনি বারেবার ওহি ওহি বলে যাচ্ছেন। ওহি তো একজন পীর কুতুব, ওলিও পান কিন্তু রিসালাত হলো একজন রাসুলের সবচেয়ে বড় শক্তি। রাসুল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) রিসালতের জোরে বলিয়ান। রিসালত পেয়েছিলেন তিনি জীবরাইল আঃ এর মাধ্যমে। এটি তার কৃতিত্ব। ওহি হলো আল্রার নির্দেশ যা আমি আপনিও পেতে পারেন যদি আল্লার প্রিয় হয়ে থাকেন। রিসালত তাারাই পায় যাদের আল্লা প্রতিনিধি নিয়োগহ করেন।

আপনার সাথে কি কথা বলবো। আপনি ধর্মও বোঝেন না।

হাদিসে আছে যে রসূল (সা) অনেক সাহাবীকে হাদিস লিখতেও অনুমতি দিয়েছেন। আপনি তো হাদিসই মানেন না। রাসুল হাদীস সংগ্রহ করতে বলেছেন এমন কোন হাদীস আমাকে দেখান। কিন্তু হাদীসে হাদীস লেখার ব্যাপারে অসংখ্য প্রমান আছে । "আমার কোনো-কথাই লিখো না। কেউ কুরান ছাড়া অন্য কিছু লিখে থাকলে তা মুছে ফেল। তবে আমার কথা প্রচার কর(narrate from me)। এতে কোনো দোষ নাই। কিন্তু মৌখিক বর্ণনায় যেন কোনো মিথ্যা বলো না। যে আমার সম্পর্কে কোনো মিথ্যা বলবে, সে যেন জাহান্নামে তার আশ্রয় গ্রহণ করে।" (সহি মুসলিম, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৪)
একই বর্ণনাকারী থেকে আর একটি হাদিস: আমরা রাসুল সঃ থেকে (কুরান ছাড়া অন্য কিছু) লিপিবদ্ধ করে রাখতে অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি অনুমতি দেন নি।" যায়দ বিন সাবিতও একই রকমের হাদিস বর্ণনা করেছেন।
রাসুল সঃ তাদেরকে বলেন: তোমরা এসব কী লিখছ? ...আল্লাহর কিতাবের সাথে মিশিয়ে আর একটা কিতাব লিখছ?
আল কোরআনে হাদীসের বিষয়ে কোন কিছূ লেখার কোন প্রশ্নই আসে না। কারন আল কোরআন বলছে “এটি পূনাঙ্গ জীবন বিধান”। মানুষের জন্য আর অন্য কিছু প্রয়োজন নেই। আপনি পড়তে পারেন, দেখতে পারেন আল কোরআনের সাথে যে বিষয় গুলো মিলে সে গুলো গ্রহন করতে পারেন। কিন্তু অমিলিত কোন বিসয়বস্তু নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

কুকুরের মাংস হালাল বানিয়ে দিয়েছেন। আপনার সাথে আর কথা বলতে চাই না। কুকুরের মাংশ খাওয়া হারাম আপনি এ বিষয়টি পেলেন কোথায়? কুকুরের মাংশ খাওয়া অবশ্যই হালাল। আপনি খাবেন না সেটি আলাদা বিষয়। “আপনি বলে দিন: যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ।” (সূরা আনআম: ৫) সকল প্রাণী খাওয়া যাবে । শুকরের মাংশ ব্যাতিরেকে। আপনি আসলে ধর্ম জানেন না। অযথা তর্ক করেন।

২২ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ নবীর কাছে সকল প্রকার অহি পাঠান শুধু মাত্র ধর্মের প্রয়োজনে। নবীর ব্যক্তিগত প্রয়োজনে না। তাই রসুলের কাছে প্রেরিত অহি থেকে ধর্মের দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়। হাদিসের মাধ্যমে আমরা এই ধরণের অহি সম্পর্কে জানতে পারি। কোরআন বহির্ভূত অহি যে ধর্মের প্রয়োজনে পাঠানো হয় সেটা আমার পোস্টের উদাহরণ থেকেই বুঝতে পারবেন। আপনার কথায় মনে হচ্ছে কোরআন বহির্ভূত অহিগুলির সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই। এটা আপনার ভুল ধারণা। আর নবীর কাছে অহি কি মাধ্যমে আসল এটা বড় কথা না। নবীর কাছে আল্লাহ ইসলামের প্রয়োজনেই বার্তা পাঠিয়েছেন। নবীর ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নয়। নবীর অনেক ব্যক্তিগত কাজ থেকেও ধার্মিকদের জন্য শিক্ষা আছে। নবীর পুরো জীবনটাই আমাদের জন্য অনুসরণীয়।

নবী হওয়া কোন নবীর কৃতিত্ব না। আল্লাহর ইচ্ছা তিনি কাকে নবী বা রসূল বানাবেন।

হাদিস লেখার ব্যাপারে হাদিসের উদাহরণ দিলাম নীচে।

In the year of the Conquest of Mecca, the tribe of Khuza`a killed a man from the tribe of Bam Laith in revenge for a killed person belonging to them in the Pre-lslamic Period of Ignorance. So Allah's Apostle got up saying, "Allah held back the (army having) elephants from Mecca, but He let His Apostle and the believers overpower the infidels (of Mecca). Beware! (Mecca is a sanctuary)! Verily! Fighting in Mecca was not permitted for anybody before me, nor will it be permitted for anybody after me; It was permitted for me only for a while (an hour or so) of that day. No doubt! It is at this moment a sanctuary; its thorny shrubs should not be uprooted; its trees should not be cut down; and its Luqata (fallen things) should not be picked up except by the one who would look for its owner. And if somebody is killed, his closest relative has the right to choose one of two things, i.e., either the Blood money or retaliation by having the killer killed." Then a man from Yemen, called Abu Shah, stood up and said, "Write that for me, O Allah's Messenger (ﷺ)!" Allah's Messenger (ﷺ) said (to his companions), "Write that for Abu Shah." Then another man from Quraish got up, saying, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Except Al- Idhkhir (a special kind of grass) as we use it in our houses and for graves." Allah's Messenger (ﷺ) said, "Except Al-idhkkir." (Sahih al-Bukhari 6880)।

আবু হুরায়রা (রঃ) বলেন, এক আনসারী সাহাবী রাসুলের (স.) কাছে আরয করেলেন, হে আল্লাহ্?র রাসুল ! আপনি যা কিছু বলেন, আমার কাছে খুবই ভালো লাগে, কিন্তু মনে রাখতে পারি না। নবী করীম (স) বললেন, “তুমি ডান হাতের সাহায্য নাও” তারপর তিনি হাত এর ইশারায় লিখে রাখার প্রতি ইঙ্গিত করলেন, (তিরমিযী)

এই হাদিসগুলির মধ্যে দ্বন্দ্বের ব্যাখ্যা হোল যে কোরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার সময় যেন হাদিস না লেখা হয়। এতে কোরআন এবং হাদিস মিশে যাওয়ার ভয় ছিল। আরেকটা কারণ ছিল একই জায়গায় কোরআন এবং হাদিস যেন না লিখা হয়। ব্যক্তিভেদে অনেক ক্ষেত্রে নির্দেশের তারতম্য হয়েছে। ব্যক্তির নিজস্ব দুর্বলতার কারণে কাউকে অনুমতি দেয়া হয়েছে কাউকে দেয়া হয়নি। আপনারা শুধু কোরআন মানতে গিয়ে এখন মেয়েদেরকে বলছেন মাসিক অবস্থায় নামাজ পড়তে। কুকুরের মাংস হালাল বানিয়ে ফেলেছেন। ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে ইসলাম মানতে বলছেন। এই হোল আপনাদের অবস্থা।

মাথা গরম না করে ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করেন। আমি ধর্ম জানি না বললে আমি মাইন্ড করি না।

২৫| ২২ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬

জ্যাকেল বলেছেন: @৭৪.৫

আল্লাহর রাসুল সাঃ হাদীস পুড়ানোর পরে হযরত আবুবকর, ওমর, উসমান রাঃ সবাই হাদীস সংকলনে বাধা দিয়েছিলেন কেন? হজরত আলী রাঃ এর কথা আমি জানি না তবে হজরত আলী রাঃ এ কথা বলেছিলেন যে আল্লাহর কিতাব ছাড়া আমার কাছে আল্লাহর দেওয়া বিবেক বুদ্ধি আছে। তিনি সুন্নাত/হাদীস কিছুই উল্লেখ করেন নি।

হজরত আলী রাঃ এর পরে ইসলামের সবচেয়ে কঠিন সময়টা কেটেছিল। আমীর মুয়াবিয়া (যার পরিবার অতীতে রাসুল সাঃ ও ইসলামের দুশমন ছিল) তার ছেলে ইয়াজিদকে ক্ষমতা দেন যা ছিল সহজ সরল চোখে ইসলাম বিরোধী কাজ। সেই বনু উমাইয়ারা কি করেছিল জানেন? হজরত আসমা রাঃ এর সন্তান আবদুল্লাহ ইবনে যুবায়েরকে হত্যা করে তার কল্লা এনে খুঁচিয়েছিল মা আসমা রাঃ কে কষ্ট দেবার উদ্দেশ্যে।
ইয়াজিদ পালিত হয়েছিল তার মায়ের বংশে (খ্রিস্টান) এবং দামেস্ক এর রোমান সভ্যতার উপকরণ/যুদ্ধাস্ত্র বনু উমাইয়ারা ব্যবহার করেছিল ইসলামের বিরুদ্ধে (ইসলামের নামেই)।
এই খারাপ নজির সৃষ্টিকারী বনু উমাইয়ারাই হাদীস সংকলনে হাত দিয়েছিল, ইচ্ছেমত ইসলামকে মডিফিকেশন করেছিল। ইসলামের মহান ইমেজকে ইহারাই তাদের নিষ্টুরতা দ্বারা ক্ষত বিক্ষত করেছিল।
আমি এমন দলকে কখনোই বিশ্বাস করতে পারব না যাহারা এত বেশি প্রতিহিংসাপরায়ণ ছিল এবং আরো বড় কথা, উমাইয়াদের (দেখানো রাস্তা অনুসরণ করে ইচ্ছেমত মডিফিকেশন করে গেছেন পরবর্তী শাসকেরা। কেবল কুরআনে হাত দেওয়া যায়নি কারণ কুরআন সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল অলিখিত ও হেফজ আকারে। আল্লাহর অশেষ করুণায় আমরা আজ সিরাতুল মুস্তাকিম পেয়েছি যা আমাদের সর্বোচ্চ ব্যক্তি স্বাধীনতা দিয়ে থাকে।
সেই মহান পথ (আল্লাহর সরাসরি গাইড) কতিপয় মানুষের মত/মাজহাব অনুসরণ করতে গিয়ে আমরা দুরে ফেলে দিচ্ছি। এর চেয়ে দুর্ভাগ্য আর কি হতে পারে?

২২ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের রসূল (সা) হাদিস পুড়িয়েছিলেন এটার দলিল দেন। তারপর কথা বলব। হজরত আবু বকরের (রা) হাদিস পোড়ানোর বর্ণনাটা কোন কোন সহি হাদিসে পাওয়া যায় না। এই জাল হাদিসে একজন বর্ণনাকারী আছেন যার নাম আলী ইবনে সালিহ। এই বর্ণনাকারীর পরিচয় জানা যায় না। ফলে হাদিস গ্রহণযোগ্য নয়। হাদিস বর্ণনাকারীর পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে হাদিস গ্রহণ করা হয় না। Click This Link

হজরত ওমর বাধা দিয়েছিলেন এটার প্রমাণ হিসাবে দলিল দেখান। সহি হাদিস ছাড়া কোন কথা মানা যাবে না।

মুয়াবিয়া এবং ইয়াজিদের ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করতে গেলে অনেক কাগজ কলম এবং সময় লাগবে। এটা একটা নতুন টপিক হিসাবে পরে আলাপ করা যেতে পারে। ঐ সময় রাজনৈতিক কোন্দল ছিল। কিন্তু শিয়া ছাড়া কোরআন আর হাদিস নিয়ে শাসকদের মধ্যে কোন মতবিরোধ ছিল না। হাজারে হাজারে সাহাবী এবং তাবেঈন ছিলেন সেই সময়। ফলে রসুলের কথা ভুলভাবে চালিয়ে দিলে সেটা নির্ণয় করা যেত।

২৬| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এই হাদিসগুলির মধ্যে দ্বন্দ্বের ব্যাখ্যা হোল যে কোরআনের আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার সময় যেন হাদিস না লেখা হয়। এত প্রমান প্রমান করেন কেনো? রাসুলের মৃত্যুর ৩০০ ব’সর পর হাদীস লিখতে হবে কেনো? কোরআনের আয়াত অবর্তীন হওয়ার সময় যেনো হাদীস না লেখা হয় তাহলে কোরআন অবর্তীন হওয়ার পরতো লিখা যেতো কিন্তু সেটা লিখতে ৩০০ বৎসর সময় লাগলো কেনো? তিন টি জেনারেশন চলে গেলো। ৩ টি বংশ চলে যাওয়অর পর রাসুলের মন্তব্য কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পায় এটিই বড় ব্যাপার।
কারো প্রমান দিতে পারবো না কিন্তু অপনি দেখান তো কোন সাহাবীর আমলের লিখিত পুস্তক হাদীস আকারে। এজিদের সময় কিচু হাদীস সংগ্রহ করার চেষ্টা করা হলেও সেটা থেমে যায়। শুরু হয় ২৫০ বৎসর পর থেকে।

হাদীস আল কোরআনের সাথে সাংর্ঘষিক। হাদীস ১।
আব্দুল্লাহ্ এবনে ওমর বর্ণনা করেন: রাছুল (সাঃ) মরা লাশগুলোর প্রতি উঁকি দিয়ে বলতে লাগলেন-। ঐ সময় হযরত ওমর (রাঃ) বললেন, ‘ইয়া রাসুলুল্লাহ্! আপনি মৃত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলছেন? যাদের কোনো শ্রবণশক্তি নেই। নবী উত্তর দিলেন, তারা তোমাদের মতোই শ্রবণ করে কিন্তু উত্তর দেওয়ার শক্তি নেই।
[হাদিছ সূত্র: বোখারী, ১ম খ. ১২ প্রকাশ, আ. হক; পৃ: ৩৫১; হামিদিয়া লাইব্রেরী
অথচ আর কোরআন বলছে-সূরা নমল ২৭:৮০ আয়াত إِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتَى وَلَا تُسْمِعُ الصُّمَّ الدُّعَاء إِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِينَ
অর্থঃ নিশ্চয়ই তুমি মৃতদেরকে শুনাতে পারবে না– অন্ধ, বধিরকেও নয়। সূরা রূম ৩০:৫২ আয়াতঃ
فَإِنَّكَ لَا تُسْمِعُ الْمَوْتَى وَلَا تُسْمِعُ الصُّمَّ الدُّعَاء إِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِينَ
অর্থঃ অতএব, আপনি মৃতদেরকে শোনাতে পারবেন না এবং বধিরকেও আহবান শোনাতে পারবেন না।

হাদীস ২।
আনাছ ইবনে মালিক ও কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তারা বলেন, নবি (সাঃ) দিনে বা রাতে পর্যায়ক্রমে (মধ্যবর্তি ফরজ গোসল ছাড়া) ১১ জন বিবির সঙ্গে সঙ্গম করতেন। (৯ জন বিবাহ সুত্রে ও ২ জন শররিয়তী স্বত্বাধিকার সুত্রের) কাতাদা বলেন, আমি আনাছকে (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলাম, হযরতের কি এতই শক্তি ছিল? তিনি বললেন,আমাদের মধ্যে এই কথা প্রসিদ্ধ ছিল যে, রাছুলাল্লাহর ৩০ জন পুরুষের শক্তি আল্লাহর তরফ থেকে প্রাপ্ত ছিলেন। [দ্র: বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, আ. হক, হাদিছ নং-১৯০,পৃ: ১৪৫; হামিদিয়া লাইব্রেরী]
আমার প্রশ্ন রাসুল (সাঃ) ১১ জন বিবির সঙ্গে সঙ্গম করতেন আর এটা কি সে সাহাবাদের সামনে এসে বলতেন? আসলেকি বলতে পারে? নাকি সাহাবাদের সেই দৃষ্টতা ছিলো যে, রাসুল (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করতে পারে। এমন পেট বানানো হাদীস গুলি রাসুল (সাঃ) মত পবিত্র মহান মানুষটিকে খাটো করেছে। আসলে ভাবতে হবে কোরআন আর হাদীস কি? কোরআন সোষ্টার আর হাদীস সৃষ্টির। কোরআন স্বা পামাণে নিজেই অটুট আর হাদীস নিজের প্রামাণে শত শত কেতাব আর উপমা দিয়ে বোঝাতে আজ শত শত বছর ধরে লড়ছে।

হাদীস ৩।
আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমাদের কেউ ঋতুবতী হলে এবং সেই অবস্থায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সঙ্গে মিশামিশি
করতে চাইলে তাকে ঋতুর প্রাবল্যের সময় ঋতুর কটিবেশ পরার নির্দেশ দিতেন। তারপর তিনি তাঁর সঙ্গে মিশামিশি করতেন।
আয়শা বলেন, তোমাদের মধ্যে কে নবির (সাঃ) মতো নিজের কামপ্রবৃত্তি দমন করতে সমর্থ? [দ্র: বোখারী, ১ম খ. ৭ম সংস্করণ,
আধুনিক প্রকাশনী; হাদিছ নং-২৯১,পৃ: ১৫৯]
মা আয়েশা বললেন ঋতুবতী সময় কটিবেশ পড়ে মেলা মেশা করতেন। তাহলে কোরআন কি বলে দেখি।

কোরআন

সূরা বাকারা ২:২২২আয়াতঃ
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُواْ النِّسَاء فِي الْمَحِيضِ وَلاَ تَقْرَبُوهُنَّ حَتَّىَ يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
অর্থঃ আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন।
হাদীসের হিসেবে পাওয়া যায় রাসুল সাঃ কোরআন কখনও পড়েন নি। নইলে কোরআন বিরোধী কাজ করেন কিভাবে?

রাসুল (সাঃ) এর পরিবার সম্বন্ধে অশ্লীল ও মানহানিকর হাদীস

(ক) আয়শা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ)-এর কোনো এক বিবি রক্তপ্রদর রোগ নিয়ে তাঁর সঙ্গে এতেকাফ করেছিলেন। তিনি (রাসুল) প্রবাহিত রক্ত ও হলুদ রং দেখতেন। আর তাঁর দেহের নিচে একটি পাত্র রাখতেন। এ অবস্থায়ই তিনি নামায পড়তেন। [ দ্র: বোখারী, ১ম খ. ৭ম সংস্করণ, আধুনিক প্রকাশনী, হাদিছ নং- ২৯৯,প: ১৬২]
(খ) হোযায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমি একদিন রাসুল (সাঃ) সঙ্গে চলছিলাম। তিনি মহল্লার আবর্জনা ফেলবার স্থানের নিকটে এসে একটি দেয়ালমুখী হয়ে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করলেন। আমি দূরে সরে যাচ্ছিলাম, তিনি আমাকে ইসারা করে ডাকলেন; আমি নিকটে হাযির হয়ে তাঁর (পিঠে পিঠ দিয়ে বিপরীতমুখী) দাঁড়িয়ে রইলাম।
(সম্মুখদিকের পর্দা ছিল দেওয়াল এবং পিছন দিকে হোযায়ফাকে দাঁড় করে রাসুল (সাঃ) পর্দার ব্যবস্থা করলেন; দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করার দরুন কাপড় একটু বেশি উঠবে।)
[দ্র: বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, আ. হক; হাদিস নং-১৬৪, পৃ: ৩৮, হামিদিয়া লাইব্রেরী; বোখারী ১ম খ. ৭ম সংস্করণ, আধুনিক প্রকাশনী, হাদিছ নং-২১৮-২২০, পৃ: ১ ৩১।]

(গ) আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, লোকেরা বলে, যখন তুমি পেশাব-পায়খানায় বসবে, তখন তুমি কিবলার দিকে কিংবা বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করবে না। আমি একদিন আমাদের ঘরের ছাদে উঠে দেখলাম রাসুল্লাহ (সাঃ) দু’টি ইটের ওপর বসে বায়তুল মোকাদ্দাসের দিকে মুখ করে পায়খানা- পেশাবের জন্য বসে আছেন। [ দ্র: বোখারী, ১ম খ. ১২ সংস্করণ, আ. হক; হাদিছ নং-১১৫, পৃ: ১২৫; হামিদিয়া লাইব্রেরী।]

এমন অনেক হাদীস আছে যা মানহানিকর, কোরআন বিরুদ্ধ তার পরেও মানুষের জ্ঞান ফিরছে না। মানুষ বড় তর্কপ্রিয়।
যারা আল্লাহ ও রাসুলদরে প্রত্যাখ্যান করে এবং তাঁদরে মধ্যে র্পাথক্য সৃষ্টি করে প্রকৃত পক্ষে ইহারাই কাফরি এবং ইহাদরে জন্য কঠনি লাঞ্চনাদায়ক শান্তি রয়ছে [৪: ১৫০, ১৫১]

কোনর্ ধম গ্রন্থই স্বয়ং আল্লাহ, ফরস্তেো এমনকি অধকিাংশ নবীগণও নিজ হাতে লিখেননী; লিখেছেনে সাধারণ মানুষ, আর মানুষ কোনক্রমইে ভুলের র্উদ্ধে নয় বা হতে পারে না।

আমরা যারা হাদীসকে বিশ্বাস করি বিষেশ করে বোখারী শরীফকে সহীহ বলে দাবী করি তারা কি জানি হাদীস কিভাবে সংগ্রহ হয়েছে? হাদীস কেবলী অনুমানের উপর বিশ্বাস করে রচিত হয়েছে। অবশ্য আল্লাহ কোরআনে বলেছেন অনুমানরে উপর ভিত্তি করে কোন কথা বলা বড় অপরাধ। অনুমান গুনাহ্ র কাজ এই অনুমান সম্বন্ধে সূরা ইউনুস ১০:৩৬ আয়াতে আল্লাহ্ বলনে

وَمَا يَتَّبِعُ أَكْثَرُهُمْ إِلاَّ ظَنًّا إَنَّ الظَّنَّ لاَ يُغْنِي مِنَ الْحَقِّ شَيْئًا إِنَّ اللّهَ عَلَيمٌ بِمَا يَفْعَلُونَ

র্অথঃ বস্তুতঃ তাদরে অধকিাংশই শুধু আন্দাজ-অনুমানরে উপর চলে অথচ আন্দাজ-অনুমান সত্যরে বেলায় কোন কাজেই আসে না। আল্লাহ ভাল করেই জাননে, তারা যা কিছু কর।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন লেখার প্রতিই গুরুত্ব বেশী দেয়া হয়েছিল ঐ সময়। তবে ক্ষেত্র বিশেষে অনেকে লিখতে চাইলে অনুমতি দেয়া হয়েছে। রসুলের মৃত্যুর কয়েকদিন আগেও উনি সাহাবীদের কিছু একটা লিখে দিতে চেয়েছিলেন নিজে থেকেই। এই মর্মেও হাদিস আছে। কাজেই হাদিস লেখা সম্পূর্ণ নিষেধ ছিল এই কথাটা ঠিক না। আর লেখাটা বড় কথা না। ঐ যুগের মানুষ নিজেদের বংশ লতিকা, কাব্য মুখস্ত বলতে পারত। হাদিসগুলোও অনেকেই মুখস্ত করে রাখত। অনেক হাদিস ৪ থেকে ৭০ জন আলাদা আলাদা সনদে বর্ণনা করেছেন। অনেক বাছাই করেই সহি হাদিস নির্ণয় করা হয়েছে। হাদিস অনেক সুস্রিঙ্খলভাবে রক্ষা করা হয়েছে।

ইয়াজিদ, মুয়াবিয়া এইগুলি রাজনৈতিক বিষয় ছিল। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থাকলেও কোরআন বা হাদিস নিয়ে কোন দ্বন্দ্ব ছিল না। হাজার হাজার সাহাবী, তাবেয়িন তখন জীবিত ছিল। প্রভাব খাটিয়ে পরিবর্তন করলে সেটা নির্ণয় করা যেত।

হাদিস ১ঃ এই ব্যাপারে আপনার অজ্ঞতা আছে। নীচের কোরআনের আয়াতেই বলা আছে যে তারা জীবিত কিন্তু তোমরা অনুভব করতে পারো না।

'যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদেরকে মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত; কিন্তু তোমরা অনুভব করতে পার না।' সুরা আল বাকারা, আয়াত ১৫৪

২৩ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাদিস ২ - কোরআন এবং হাদিসে মানুষের জীবনের অনেক গোপন ব্যাপার বর্ণনা করা হয়েছে কারণ আমাদেরকে সঠিকভাবে দ্বীন মানতে হবে। স্ত্রীর সাথে মিলন এবং পরবর্তী গোসল নিয়ে অনেক হাদিস আছে। রসুলের স্ত্রীদের থেকেও নারী মহলে অনেক কথা প্রকাশ পেত। রসুলের স্ত্রীদের থেকেও এই ধরণের হাদিস আছে। এগুলি খারাপ কিছু না। ইসলামের বিধান জানার ইচ্ছা থেকেই তারা জিজ্ঞেস করতেন এবং সঠিক উত্তর জেনে নিতেন। শালীনতা রক্ষা করেই প্রয়োজনের তাগিদে এই বিষয়গুলি আলাপ হতো।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাদিস ৩- ভাই স্ত্রীর মাসিক চলাকালীন সময়ে একজন স্বামী স্ত্রীকে আদর করতে পারে এবং স্ত্রীও পারে। এটাতে কোন বাধা নাই। হাদিসে সেই কথাই বলা আছে। কোরআনের আয়াতে সঙ্গম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আপনার কথায় মনে হচ্ছে মাসিকের সময় স্ত্রীকে অন্য বিছানায় শুতে দিতে হবে। কোরআনে সেই কথা বলেনি। এটা আপনার বোঝার ভুল। এই কারণেই কোরআনের কিছু ব্যাখ্যা জানতে হাদিসের প্রয়োজন হয়। নইলে অজ্ঞ স্বামীরা নিজের মত কোরআন বুঝে স্ত্রীদেরকে মাসিকের সময় অন্য বিছানায় বা অন্য ঘরে পাঠিয়ে দেবে। এটা কমন সেন্সের ব্যাপার।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাদিস ক -
রোগের জন্য কারো মানহানি হয় না। রসুলের স্ত্রীদের (উম্মুল মুমিনিন) কারো যদি অসুখের কারণে রক্তক্ষরণ হয় সেই ক্ষেত্রে এটা প্রকাশ পেলে মানহানি হয় না। রোগ ব্যাধি সবারই হতে পারে। রোগের সময় নামাজ এবং অনেক বিষয়ে ব্যতিক্রম আছে। হাদিসে সেটাই বলা হয়েছে। রসুলের ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশ করা হয়েছে কারণ এগুলি থেকেও মুসলমান নর নারীদের অনেক কিছু জানার আছে।

হাদিস খ- দাড়িয়ে প্রস্রাব করা হারাম না। তবে এটা রসুলের (সা) সুন্নত। ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে রসূল (সা) দাড়িয়ে প্রস্রাব করেছেন। হাদিসে সেটাই বলা আছে। এখানেও রসুলের (সা) মানহানি হয় নাই।

হাদিস গ - মাঝখানে কিছু থাকলে সমস্যা নাই। কিবলার দিকে মুখ করে টয়লেটে বসা যায় যদি কিবলা এবং ঐ ব্যক্তির মধ্যে বাধা থাকে। ঐ যুগে মানুষের নির্দিষ্ট টয়লেট ছিল না। এই কারণে অনেক সময় অনিচ্ছা সত্ত্বেও টয়লেট করার দৃশ্য চোখে পড়ে যেত। রসুলের (সা) ক্ষেত্রেই এইভাবে ঘটেছে। এটা কোন মানহানি না। এটা ঐ সময়ের বাস্তবতা।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুরা ৪, আয়াত ১৫০, ১৫১- আপনারা হাদিস প্রত্যাখ্যান করে প্রকৃতপক্ষে রসূলকে (সা) প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাই এই আয়াত অনুযায়ী আপনারাই দোষী। রসুলের নির্দেশ জানার একমাত্র রাস্তা হোল হাদিস। সেটা আপনারা মানেন না।

আপনার কাছে একটা প্রশ্ন। কোরআন কিভাবে নাজিল হত এবং লিপিবদ্ধ হত? আপনি এই ব্যাপারে কি জানেন?

আপনার কথায় মনে হচ্ছে কোরআন মানুষে লিখেছে তাই এতে ভুল আছে। এটা আপনার ভুল ধারণা। হাদিসের ভুল সনাক্ত হয়ে গেছে। সঠিক হাদিসগুলি মানুষ এখন জানে। হাদিস অনেক সুশৃঙ্খলভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে।

মুসার (আ) কাছে যে তওরাত গ্রন্থ এসেছিল এটা কোন মানুষ লেখেনি। এটা আল্লাহর তরফ থেকে লিখিত অবস্থায় নাজিল হয়েছিল। আগের ধর্মগ্রন্থের ক্ষেত্রেও এই কথা সত্যি হতে পারে। তবে আমরা নিশ্চিতভাবে জানি না।

হাদিস অনুমানের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে এটা আপনার মনগড়া কথা। না জেনেই বলছেন। শয়ে শয়ে হাদিস একাধিক সাহাবী মুখস্ত রাখতেন এবং সেটা অন্যদেরকে বলেছেন সনদ সহ। হাদিস বর্ণনাকারীদের জীবন বৃত্তান্ত, স্বভাব, সততা, স্মরণশক্তি এগুলি পরীক্ষা না করে হাদিস লেখা হত না।

আপনার কাছে আরেকটা প্রশ্ন। হাদিস না থাকলে রসুলের আদেশ আপনি কিভাবে মানবেন?

২৭| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:২৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি বলছেন রাসুল হাদীসের অনুমতি দিয়ে গেছেন। সিহাহ সিত্তার বাইরের কিছু দুর্বল হাদীস এবং তিরমিজির রেফারেন্স দিয়ে এখন দাবী করা হয় যে নবী পুনরায় হাদীস লিখার অনুমতি দিয়েছিলেন। এগুলো হাদীস ব্যবসায়ীদের ব্যবসার কাটতি বাড়াতে এই জাল হাদীস গুলো প্রবেশ করানো হয়। তবে আশ্চর্যজনক হল যে নবীর মৃত্যুর ৩০ বছর পরেও নবীর ঘনিষ্ঠ লোক কোরানের সংকলক যায়েদ এই অনুমতির কথা জানতেননা। এমনকি প্রধান চার খলিফার কেউই এই অনুমতির কথা জানতেননা। দূর্বল হাদীস গুলোর গুটি কতক বর্ননাকারীই শুধু এই অনুমতির কথা জানতেন, যা তারা রহস্যময় কারনে গোপন রেখেছিলেন যে কারনে হাদীস লিপিবদ্ধ শুরু হয় বহু বছর পর এবং অসংখ্য সাহাবী হাদীস লিখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তবে যুক্তি প্রয়োগ করলে বুঝা যায় অই দূর্বল হাদীসের বর্ননাকারীগণই মিথ্যা হাদীস বানিয়ে থাকতে পারেন। আশা করি এই তথ্যগুলো থেকে অনেক কিছুই বুঝতে পেরেছেন।
আমাকে বলেন সাহাবী আমলর সংকলিত কোন হাদীস কি আছে? ধেখান। সব ৩০০ বৎসর পরের বোখারী, মুসলিম তিরমিয়ির লেখা কেনো?

হাদীস আর কোরআন কে যদি আমরা সমকক্ষে নিয়ে আসি আপনাদের কথায় তাহলে দেখা যাক কি দাড়ায়। এবার ধরুন কোরআন স্পর্শ করতে অজু লাগে, কিন্তু হাদীস স্পর্শ করতে অজু লাগে না। ঋতুবর্তীকালীন নারীরা কোরআন স্পর্শ করতে পারবে না। কিন্তু ঋতুবর্তীকালীন নারীরা হাদীস ছুতে পারবে পড়তে পারবে। কোরআনের আয়াত ছাড়া নামাজ সহী হয় না। কিন্তু হাদীসের আয়াত দিয়ে নামাজ হবে না। কেন জানেন? কোরআন আল্লাহর কিতাব আর হাদীস মানুষের কেচ্ছা কাহিনী, মানুষের কিতাব। হাদীস অহী নয়, অহী হলে এটাও ছুতে অজু লাগতো,এর আতায় দিয়ে নামাজও হত।

"নিশ্চয়ই “যারা বলে যে আমরা এই কুরআনের কিছু বিষয়কে মানবো আর কিছু বিষয়কে মানবো না, অস্বীকার করি। (বর্তমান ভাষায় এগুলো অযৌক্তিক বা সেকেলে) এর মাধ্যমে তারা নিজেদেরকে মধ্যমপন্থী বলে জাহির করতে চায় জেনে রাখো -এরা হলো খাটি কাফের। আর আমি কাফিরদের জন্য অপমানজনক আযাব রেডি করে রেখেছি।"” (নিসাঃ ১৫০-১৫১)

আপনি তো দেখছি ইসলামের ইতিহাস ও মানেন না। হাদীস কি মানেন?
Abu Bakr
"My father collected the Hadith of the Prophet (s), and they were five-hundred in number. He spent the night being undecided [about them]. I said that he was undecided because of a complaint or something that had reached him. In the morning he said: "Oh my daughter! Bring me all the Hadiths that are with you". I gave them to him and he burnt them..."
Musnad Ahmad Ibn Hanbal, Vol 1, pg 4

Umar
Qarza b. K'ab said: "When 'Umar b. al-Khattab sent us to Iraq, he walked with us and said: 'Do you know why I followed you?' They said: 'To honour us'. He said: 'Besides that, you are going to the villagers. The Qur'an reverberates in them like the reverberation of a bee. Do not occupy them with traditions. So make them busy and recite the Qur'an, and reduce the narrations from the Prophet and I am an associate to you [in this]'".
This narrator says: "I never narrated a tradition after 'Umar's admonition". When he arrived in Iraq, the people hastened to him asking him about the hadith. Qarza said to them: "'Umar prohibited me from that".
Sunan Ibn Maja, vol. 1, pg 12

Omar said to his friend who went on a journey to Iraq: “You are going to a country where the population recites the Quran like busy bees; so do not divert them from their true path with hadiths.”
Ahmad Ibn Hanbal, Kitabul Ilal

Ali
They came to report to Ali and said: “The public is engrossed in hadiths.” “Is that so?” asked Ali. The answer was in the affirmative. “I had heard the Prophet say that a mischievous dissension seemed to lurk ahead.” I asked him what could that be and he replied: “The salvation is in the Quran. Those that went before you and those that will come after you are within reach of the Quran, the Book that settles all disputes; it is no joke, mind you. Anyone who abandons It will be subject to the wrath of God. Anyone seeking a truer path will go astray. It is the infallible rope of God. It is full of wisdom. It leads man along the right path. It is the Book that will surely lead youin the right direction;, scholars will never be able to embrace it totally, a Book with inexhaustible riches.”
Sunnan-i Tirmizi

আপনার জানার ঘাটতির কারনে আমাদের এত লিখতে হচ্ছে।



২৩ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সিহা সিত্তার বাইরেও অনেক সহি হাদিস আছে। এই ব্যাপারে আপনার আরও জানতে হবে। সহি হাদিসেই হাদিস লেখার কথা আছে একাধিক জায়গায়। সিহা সিত্তার বাইরে সহি হাদিস নাই এটা আপনার জানার ভুল। দয়া করে জেনে নিবেন।

হজরত জায়েদ এবং ৪ খলিফা জানতেন না এটা আপনি কিভাবে জেনেছেন।

হাদিস অনেক পড়ে লেখা শুরু হওয়ার একটা কারণ হোল এর আগে হাজারে হাজারে সাহাবী ছিলেন। রসুলের বাণী তাদের অনেকেরই মুখস্ত ছিল। ভুল বললে অন্যরা ধড়িয়ে দিতে পারত।

কোরআনের অরিজিনাল কপি কি আপনি দেখেছেন? সেটা কি পৃথিবীতে এখন আছে? অধিকাংশ হাদিস পরে লেখা হয়েছে এটা তো আমি অস্বীকার করছি না। রসুলের সময়ের লিখিত হাদিস এখন নাই। যেমন নাই রসুলের সময়ে লিখিত কোরআন। কিন্তু লেখাটা বড় কথা না হাদিস অনেক সুশৃঙ্খলভাবে যত্নের সাথে সংরক্ষণ করা হয়েছে। হাদিস ছাড়া আপনি কিভাবে রসুলের আদেশ পালন করেবেন সেটা আপনি আমাকে বলেন।

হাদিসের কথা সরাসরি আল্লাহর কথা না। আল্লাহর কথাগুলিকে রসূল (সা) নিজের মত করে ব্যাখ্যা করেছেন। এই কারণেই হাদিস ধরার সময় অজু লাগে না। কিন্তু হাদিসের নির্দেশ একইভাবে কার্যকর। হাদিসের বক্তব্য অহি মারফত প্রাপ্ত। কিন্তু সেটা কোরআনের মত সরাসরি আল্লাহর কথা না। এটা বরং কোরআনের ব্যাখ্যা।

আল্লাহ কি ইসলামের ইতিহাস মানতে বলেছে? ইসলামের বিধান পালনের জন্য কেউ ইতিহাসের দ্বারস্থ হয় এই রকম অদ্ভুত কথা প্রথম শুনলাম।
আপনি বলছেন হাদিস হোল মিথ্যা কেচ্ছা কাহিনী। তারমানে আপনি হাদিস মানেন না। আমি তো হাদিস মানি বলেই এই পোস্ট দিয়েছি।

কোরআন আংশিকভাবে আপনারাই মানছেন। কোরআনে বহু জায়গাতে রসুলের নির্দেশ মানার কথা আছে। কিন্তু আপনারা মানছেন না। কারণ আপনারা হাদিস মানেন না। ঐ আয়াত অনুযায়ী আপনারাই দোষী।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হজরত আবু বকরের হাদিসটা সহি না। এখানে একজন বর্ণনাকারীর পরিচয় জানা যায় না।

প্রথমেই আমরা বর্ণনাটি দেখে নিই।

আয়িশা রা. বলেনঃ

আমার পিতা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসসমূহ সংগ্রহ করেছিলেন এবং তা ছিল পাঁচশত হাদীস। এক রাতে, তিনি খুব অস্বস্তিতে পড়েছিলেন, এপাশ ওপাশ করছিলেন এবং খুব বেশি পার্শ্ব পরিবর্তন করছিলেন। আমিও এ কারণে অস্বস্তিবোধ করছিলাম, তাই আমি বললাম, ‘আপনি কোনও অসুস্থতার কারণে ঘুরছেন, নাকি এমন খবর শুনেছেন যা আপনাকে বিচলিত করেছে?’ সকালে তিনি বললেন, ‘হে কন্যা, তোমার কাছে যে হাদিসসমূহ রয়েছে তা নিয়ে এসো।’ আমি সেগুলো নিয়ে এলাম এবং তিনি আগুন চাইলেন ও সেগুলো পুড়িয়ে ফেললেন। আমি বললাম, ‘আপনি এগুলো জ্বালিয়ে ফেললেন কেন?’ তিনি বললেন, ‘আমি আশংকা করছি যে এগুলো সাথে থাকা অবস্থায় আমি মারা যাব যাতে এমন বর্ণনাও রয়েছে যা আমি এমন কোন ব্যক্তির কাছ থেকে শুনেছিলাম যাকে আমি বিশ্বাস করেছিলাম এবং যার বিবরণগুলিকে আমি সত্য বলে মনে করেছি যদিও বাস্তবে তা নয়; তবে তো আমি তার থেকে ভুল বর্ণনা উদ্ধৃত করতাম ।

এই হাদিসের চেইনে আলী ইবনে সালিহ নামে একজন অপরিচিত বর্ণনাকারী থাকায় ইবনে কাছির র. এই বর্ণনাটির প্রতি আপত্তি প্রকাশ করেছেন বলে কানযুল উম্মালে উল্লেখ রয়েছে।

যাহাবি র. তার তাযকিরাতুল হুফফাযে এই বর্ণনাটি সহিহ নয় বলে মন্তব্য করেছেন।

[তাযকিরাতুল হুফফায, ভলি. ১, পৃ. ৫; কানযুল উম্মাল, হাদিস নং ২৯৪৬০]

প্রথম কথা হচ্ছে বর্ণনাটি সঠিক নয়।

দ্বিতীয় কথা হচ্ছে যদি সাময়িকভাবে ধরেও নিই বর্ণনাটি সঠিক, তবু তা কিন্তু হাদিস লিপিবদ্ধকরণের বিপক্ষে কোন প্রমাণ হচ্ছে না। কেননা,

একদিকে, ৫০০ হাদিস লিখিতভাবে সংরক্ষণ করা লিপিবদ্ধকরণের চর্চাকেই প্রমাণ করছে। অন্যদিকে, হাদিস লিপিবদ্ধকরণ নিষিদ্ধ বা হাদিস সংরক্ষণ ঠিক নয়, তাই তিনি হাদিস পুড়িয়ে ফেলেছিলেন- বিষয়টা কিন্তু মোটেও সেরকম নয়। বরং এই সংকলনে এমন কিছু হাদিস থাকা সম্ভব বলে তিনি আশংকা করেছিলেন যেটা তিনি অন্য কারো নিকট হতে শুনেছিলেন যিনি বিশ্বস্ত নাও হতে পারেন। অর্থাৎ হাদিসের সংরক্ষণের বিশুদ্ধতা নিশ্চিত করতেই তিনি হাদিস পুড়িয়েছিলেন, হাদিস ধ্বংস করার জন্য নয়।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হজরত ওমরের বক্তব্যের উদ্দেশ্য ছিল কোরআনকে গুরুত্ব বেশী দেয়া। ঐ এলাকার লোক প্রচুর কোরআন তেলাওয়াত করতো। তাই অতিরিক্ত হাদিসের চাপ যেন তাদের না দেয়া হয়। কারণ তাতে তাদের কোরআন তেলাওয়াতের পরিমান কমে যাবে।

উমার (রা) নিজেই বহু হাদিস বর্ণনা করেছেন। তাই তিনি হাদিসের বিরুদ্ধে ছিলেন এটা বলার কোন সুযোগ নেই। হাদিস বুঝে আমল করতে হবে কিন্তু কম শিক্ষিত লোকদের হঠাৎ হাদিস দ্বারা চাপ দিলে সেটা তাদের পক্ষে করা কষ্টকর হতে পারে। এই কারণেই উমার (রা) এই রকম বলেছেন। তারা প্রচুর কোরআন পড়ে তাই তাদের উপর চাপ দিতে নিষেধ করেছেন। এটা হোল মানুষের অবস্থা বুঝে তাকে বোঝানোর কৌশল। দ্বীনের দাওয়াত দিতে গেলে প্রথমেই প্রচুর চাপ দিলে সেই ব্যক্তি এটাকে বোঝা মনে করতে পারে।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হজরত আলীর (রা) হাদিসের নির্দিষ্ট সুত্র দিলে এটা সঠিক কি না কিংবা কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে পারবো।

হাদিস মানেই রসুলের সুন্নাহ না। হাদিথ কথাটার অর্থ বর্ণনা এবং আরও কিছু অর্থ আছে। আলী (রা) হাদিসের বিরুদ্ধে হলে উনি কেন এই হাদিসেই রসুলের (সা) বক্তব্য উল্লেখ করেছেন। রসুলের (সা) বক্তব্যই তো হাদিস। কাজেই আলী (রা) নিশ্চয়ই রসুলের (সা) বক্তব্য নিষেধ করেননি। কোন মুসলমান রসুলের সত্য কোন বক্তব্যকে ক্ষতিকর মনে করতে পারে না। এই হাদিসে রসুলের হাদিসের কথা বোঝা না হয়নি বলে আমার মনে হচ্ছে। আপনি হাদিসের নির্দিষ্ট সুত্র দিলে ভালো হয়।

আলী (রা) নিজে হাদিস লিখে রেখেছেন এবং বর্ণনা করেছেন। তাই উনি কোনভাবেই রসুলের হাদিসের বিপক্ষে বলতে পারেন না।

২৮| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনার সাথে কথা বলা সম্ভব না। কারন আপনি অবুঝ প্রকৃতির। শেষ কিছু বলি। আপনি একটুও বোঝার চেষ্টা করছেন না। আল কোরআনের এই আয়াতটি বলে আমি লেখা স্থবির করতে চাইছি। কারনিএই আয়াতটিও যদি আপনাকে বোঝাতে না পারে তাহলে আর আপনাকে বোঝানোর চেষ্টা করা আমার জন্য অহেতুক প্রচেষ্টা।
"তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করো না।" (সূরা বাকারা : আয়াত ৪২)
আল কোরআনে আপনাদের মানুষদের সম্পর্কে স্পষ্ট বলছে তোমরা সত্যের সাথে মিশ্রিত করো না। তারপরও হাদীস নামের একটি মিথ্যা বিষয়বস্তুকে আপনি ইসলামে অনুপ্রবেশের পক্ষে। আপনি হয়তো বলবেন আমি হাদীসকে মিথ্যা বলছি কেনো? কারন ব্যাক্ষা দেওয়া খুব সহজ। ধরেন আমি মেনে নিলাম আপনার হাদীসে ৯৯ % হাদীস সত্য কিন্তু ১% হাদীস মিথ্যা বা কেউ মিথ্যা রস রাঙায়ে হাদীসের নামে চালিয়ে দিয়েছে। তখন আপনি কি করবেন? আমরা মেডিকেল সাইন্সে লক্ষ্য করি হাতের বা পায়ের একটি অংশে যদি কোন অংশে একটু ইনফেকশনের কারনে অনেক সময় হাত কেটে ফেলতে হয়। তাহলে ঐ ১% মিথ্যা হাদীসের জন্য সমস্ত হাদীসকে কেনো জলাঞ্জলি দিবেন না? কখনই আল কোরআনের মতো সত্য একটি বিষয়ের সাথে হাদীস নামক একটি মিথ্যাকে মিশ্রিত করে নাস্তিকদের হাস্যরসের সম্পদ বানানো ঠি ক নয় বলে আমি মনে করি। এত কিছু খুলে বলার পরেও যদি আপনি হাদীস নিয়ে গো ধরে বসে থাকেন তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।

আর একটি বিষয় সেটি হলো আল কোরআন বলছে জেনে শুনে সত্যকে গোপন করা যাবে না। এই যে আপনি কুকুরের মাংশ খাওয়াকে হারাম বললেন আপনি। আপনি কোরআনে প্রকোশ্যে লেখা দেখলেন যে শুয়োরের মাংশ ব্যতিরেকে সকল প্রানি খাওয়ার অনুমোদন কুকুরের মাংস হালাল বানিয়ে দিয়েছেন। আপনার সাথে আর কথা বলতে চাই না। কুকুরের মাংশ খাওয়া হারাম আপনি এ বিষয়টি পেলেন কোথায়? কুকুরের মাংশ খাওয়া অবশ্যই হালাল। আপনি খাবেন না সেটি আলাদা বিষয়। “আপনি বলে দিন: যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ।” (সূরা আনআম: ৫) কুকুরের মাংশ খাওয়াকে আমি হালাল বানিয়েছে বলে আমার সাথে আপনি কথা বলতে চান না। কুকুরের মাংশ কোরিয়া, চীনের মানুষ খাচ্ছে তাদের জন্য কোন পাপ নেই। আপনি আপনার পরিবেশ গত কারনে খাবেন না সেটি আলাদা বিষয়। কিন্তু কুকুরের মাংশ খাওয়া হারাম বলে দিয়ে আলকোরআনের সত্যকে গোপন করতে যাবেন না। আনুবোধ রইলো। বোঝার চেষ্টা করুন। ভালো থাকবেন।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার উচিত মাছ খাওয়া বন্ধ করা এবং কুকুরের মাংস খাওয়ার অভ্যাস করা। কোরআনে এভাবেই তো বলা আছে। তাই না।

২৯| ২৬ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০০

জ্যাকেল বলেছেন: @৭৪.৫

আল্লাহর কোরআনই একজন মুসলামের জন্য যথেষ্ট। কোরআন স্পষ্ট ও সত্য বাণী। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে মুহাম্মাদ সাঃ এর কাছে নাজিল করা হইয়াছে। নাজিল মানে জানেন?
ওহি নানা উপায়ে আসতে পারে তবে কোরআন আল্লাহর রাসুলের নিকট জিবরাঈল ফেরেশতার মাধ্যমে নাজিল করা হয়েছে। কোরআন ব্যতীত ওহী নবিজীর কার্যকলাপের প্রয়োজনে দেয়া হয়েছে যা আমাদের জানা উচিত। জানা আবশ্যক নয় তবে জানা উচিত, এ কারণে যে রাসুলুল্লাহর আদর্শই সর্বোত্তম।
এখন কেহ যদি সর্বোত্তম আদর্শ গ্রহণ করতে না চায় শুধু কোরআন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চায় তবে তার জন্য কোন ভয় নেই। আপনি যদি মনে করেন যে কোরআন যথেষ্ট না তবে আপনার মত আপনার কাছে রেখে দিন, যে নিজেকে সীমিত করে রাখতে চায় তাকে বাধা দেবার কোন অধিকার আপনার নেই। এমনকি কোন প্রকার গালমন্দ করাটাও হবে খারাপ কাজ। প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্ম পালন করার অধিকার আছে।

আপনাকে একটা বিষয় পরিস্কার করে দেই-

কোরআনের বাইরে যেকোন বিধান মানবরচিত বিধান। এটা ফিকাহ/আইন শাস্ত্রের/সরকারী নির্দেশ/নোটিশ/ল হতে পারে কিন্তু ধর্ম নয়। কোরআন থেকে অধ্যয়ণ করে আপনি আল্লাহর বিধান কি হতে পারে সেটা বের করতে পারেন সমাজ/রাষ্ট্র লেভেলের জন্য। তবে কোরআনে কেবল ব্যক্তি পর্যায়ে আল্লাহর ইবাদতের ব্যাপারে নির্দেশ আছে। রাষ্ট গঠনের কথা নেই অতএব সেটা গৌন।

রাসুল সাঃ কোন ইসলামী রাষ্ট কায়েম করেন নি, তিনি খেলাফাত কায়েম করেছিলেন। সেটা আর সরকার/রাষ্ট্র এক না।

২৭ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন বহির্ভূত অহি রসুলের (সা) কার্যকলাপের জন্য নাজিল হয়েছে। এই কথা কোথায় পেয়েছেন? ভিত্তিহীন কথা এটা।

আপনার মত অনেকে হাদিস মানে না বলেই ৩ ওয়াক্ত নামাজের ফতোয়া দেয়। কুকুরের মাংসকে হালাল বলে।
আপনার উচিত মাছ না খাওয়া। কারণ কোরআনে মৃত মাছ খাওয়ার উপর নিষেধ আছে। ঈদের নামাজ পড়তে যাবেন না এবং ফিতরা দেবেন না। নারীদেরকে বলবেন মাসিক অবস্থায় নামাজ পড়তে। আপনারা কলেমা থেকে রসুলের নাম তুলে দিয়েছেন।
আপনার মতবাদে বিশ্বাসীরা এখন কুকুর এবং শকুন খাওয়া হালাল এই ফতোয়া দিচ্ছে। নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত হাদিসের সাহায্য ছাড়া পালন করতে পারবেন না।

রসুলের (সা) আদর্শ সর্বোত্তম। কিন্তু কোরআনে তো রসুলের আদর্শ পাবেন না। সেটার জন্য হাদিসের সাহায্য নিতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.