নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরানিস্ট ফিতনা

২২ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৫

হাদিস পরিত্যাগকারীদেরকে কুরানিস্ট (আরবীতে কুরানিউন) বলে। এই মতবাদের নাম কুরানিজম। এরা হোল ইসলামের একটা বিপথগামী দল। সৌদি আরব সহ পৃথিবীর অনেক ইসলাম প্রধান রাষ্ট্রে এদেরকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেয়া হয় এদের বিপথগামী প্রচারের কারণে। এদের একটা একটা বিখ্যাত সাইট হোল https://www.quran-islam.org/home_(P1).html
এই সাইটের আলোকে এদের কিছু বিপথগামীতা নীচে উপস্থাপন করছি;

কুরানিসটদের শাহাদাত হোল;
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন (সত্য) উপাস্য নেই; তিনি পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়। (সুরা আল ইমরান, আয়াত ১৮- শেষাংশ)

সাধারণ মুসলমানদের শাহাদাত;
আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে এক আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো মাবুদ নাই, তিনি এক ও একক, তাঁর কোনো শরিক বা অংশীদার নাই; আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি নিশ্চয়ই হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তায়ালার বান্দা ও তাঁর প্রেরিত রাসুল।’

কুরানিসটরা শাহাদার সময় রসুলের নাম বলাকে বেদাত মনে করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ ছাড়া আর কোন মাবুদ নাই বললেই মুসলমান হয়ে যায় না। ইসলামের নিয়ম নীতির প্রতি আনুগত্য থাকতে হবে। সেটার জন্য মানতে হবে যে হজরত মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রসূল। কারণ ওনার মাধ্যমেই কোরআন আমরা পেয়েছি। আল্লাহ ওনার নির্দেশ মানার জন্য আমাদেরকে বলেছেন। কেউ যদি আল্লাহ মানে কিন্তু রসুলকে না মানে তাহলে সে মুসলমান না।

কোরআনের কোন আয়াত অপ্রাসঙ্গিকভাবে ব্যবহার করে সেটাকে শাহাদাত বানানো যায় না। মুসলমান হতে হলে আপনাকে মুহাম্মাদকে (সা) নবী হিসাবে মানতে হবে। এটা একটা জরুরী শর্ত।

নামাজের ক্ষেত্রে কুরানিসটদের বিপথগামী তরিকাঃ
১। এদের অনেকেই মনে করে কোরআনে ৩ ওয়াক্ত (ফজর, জোহর এবং এশা) নামাজের কথা বলা আছে। তাই ৫ ওয়াক্ত নামাজ এদের অনেকেই মানে না।
২। বিভিন্ন ওয়াক্তে নামাজের রাকাত নির্দিষ্ট করা এরা মানে না। কোরআনে রাকাতের কথা বলা নাই। তাই কুরানিসটদের ভাষ্য হোল বান্দা কয় রাকাত নামাজ পড়বে এটা বান্দার ইচ্ছা।
৩। নামাজে আত্তাহিয়াতু এবং দরুদ পড়াকে এরা শিরক মনে করে। কারণ হিসাবে তারা বলে যে এগুলির মধ্যে হজরত মুহাম্মাদ (সা) এবং হজরত ইব্রাহিমের (সা) এবং তাদের পরিবারকে স্মরণ করা হয়েছে।
৪। নামাজে সুরা ফাতেহা পড়া এরা জরুরী মনে করে না।
৫। হজ্জের সময় আরাফার দিনে জোহর এবং আসর একসাথে পড়তে হয় এবং মুজদালিফায় মাগরিব এবং এশা একসাথে পড়তে হয়। কিন্তু কুরানিসটরা এটা মানে না।
৬। সুন্নত নামাজ, তারাবির নামাজ, তাহাজ্জুদ নামাজ এরা পড়ে না। কারণ এগুলির কথা কোরআনে নেই।
৭। এরা মনে করে মাসিক চলাকালীন সময়েও মেয়েরা নামাজ পড়তে পারে, কোরআন ধরতে পারে, কাবা তাওয়াফ করতে পারে।
৮। এরা নামাজ শেষে সালাম না দিয়ে বলে আল হামদুলিল্লাহ হি রব্বিল আল আমিন।
৯। জুম্মার খুৎবাকে এরা বিদাত মনে করে।
১০। আজান দেয়াকে এরা বেদাত মনে করে। আজানের মধ্যে রসুলের নাম বলাকে এরা আরও বড় অপরাধ মনে করে।

ব্লগে এদের অনুসারী লোকজন আছে। এরা মনে করে কুকুরের মাংস খাওয়া হালাল। ঈদের নামাজ পড়ার দরকার নাই। ঈদে ফিতরা দেয়ার দরকার নাই। জাকাত দেবে নিজের খুশি মত। কারণ কোরআনে কোন পরিমান বলা নাই। আরও অনেক উদ্ভট নিয়ম এরা বানিয়েছে এবং বানাচ্ছে।

কুরানিস্টদের আরও অনেক উদ্ভট ও আপত্তিকর নিয়ম আছে। এক পোস্টে সেগুলি বলা সম্ভব না।
আল্লাহ আমাদের ইসলামের সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:২১

সোনাগাজী বলেছেন:


মুসলিম দেশগুলোতে কখন থেকে কোরান-পড়া ও কোরান-পাওয়া সহজ হয়েছে?

আপনি কত বয়স থেকে ইংরাজী পড়ে, উহা বুঝার শুরু করেছেন?

২২ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এত বছর পড়ার পরও আমি এখনও ইংরেজি ভালো বুঝি না।

আর বাংলা ভাষায় কোরআন এসেছে ১৮৮৬ সালে একজন হিন্দুর মাধ্যমে। অন্যান্য অনেক মুসলিম দেশের মধ্যে অনেক দেশেই আরবি মাতৃভাষা। তাই সেই দেশগুলিতে তেমন সমস্যা নাই। যে সব দেশে আরবি মাতৃভাষা না সেই সব দেশে কোরআন তাদের নিজের ভাষাতে আসতে সময় লেগেছে। অনেক পরে এসেছে। আলাদাভাবে প্রত্যেক দেশ সম্পর্কে বলতে পারবো না।

২| ২২ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৩

সোনাগাজী বলেছেন:




১৮৮৬ সাল থেকে ১৯৭১ সাল অবধি বাংগালীদের কতজন বই কিনতেন ও বই পড়তে পারতেন?

২২ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৯৭১ সালে স্বাক্ষরতার হার ছিল ১৭% (প্রায়)। ১৮৮৬ বাঙ্গালী মুসলমান আরবি আর ফার্সি পড়তেন। বাংলা বা ইংরেজি পড়তেন না বললেই চলে।

কাজেই এই সময়ের মেয়াদে খুব সামান্য লোক বই পড়তেন এবং কিনতেন এটা অনুমান করা যায়।

৩| ২২ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫২

নতুন বলেছেন: এরা হোল ইসলামের একটা বিপথগামী দল। সৌদি আরব সহ পৃথিবীর অনেক ইসলাম প্রধান রাষ্ট্রে এদেরকে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত দেয়া হয় এদের বিপথগামী প্রচারের কারণে।

সৌদি আরব হইলো সৌদ বংসের দেশ,( রাসুল সা: এর আমলের নাম কিন্তু সৌদি আবর না) আর ওহাবীইজম হইতো তাদের ইসলামী র্ভাসন তাই ওহাবীজমের বিরুদ্ধে গেলে মৃত্যুদন্ড অস্বাভাবিক কিছু না। B-))

বর্তমানে যেই বোখারী শরিফ হাদিসের বই আছে, সেটা কতসালে বই আকারে প্রকাশ হয়েছিলো?

বর্তমানে যা দেখতেছি তাতে তো ইসলামের বাইরের শত্রু দরকার নাই। যত দল আছে তারাই যথেস্ট।

২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি সৌদি শাসনকে ওয়াহাবি বলে Generalize করে ফেলেছেন। ওরা ১০০% সহি মুসলিম সেটা সেটা কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না। কিন্তু তারা ইসলামি আইন প্রয়োগ করার চেষ্টা করে যদি না সেটা তাদের রাজাদের গদির জন্য বিপদজনক হয়। এই ক্ষেত্রে ঐ দেশের আলেমরাও অনেক সময় অসহায় বোধ করে। কাজেই সমস্যা শাসকদের, আলেমদের না। বর্তমান এম বি এসের বাড়াবাড়ি ছাড়া ওখানকার ওলামারা ইসলামের নিয়ম নীতি ধরে রাখার চেষ্টা করছেন। ইসলামের মধ্যে বিভিন্ন মতবাদ আছে। কিন্তু সব মতবাদকে তো ইসলামের গণ্ডির বাইরে ধরা হয় না। বেশী বাড়াবাড়ি করলে এদেরকে ইসলামের গণ্ডির বাইরে ধরা হয়। যেমন কিছু শিয়া, কাদিয়ানী, কুরানিসট এবং আরও কিছু আছে।

আপনি তো সম্ভবত কোরআনের নিয়মও মানেন না। আপনার বিভিন্ন সময়ের মন্তব্য থেকে বলছি। কাজেই আপনার কাছে কোরআন আর হাদিস একই রকম হওয়ার কথা। তবে আপনি যদি এখন বলেন যে আপনি কোরআন মানেন কিন্তু হাদিস মানেন না তাহলে আপনার সম্পর্কে আমাকে নতুন করে ভাবতে হবে। আপনি কোরআন মানেন, না হাদিস মানেন সেটা আগে পরিষ্কার করেন। তাহলে আলাপ করতে সুবিধা হবে।

হাদিস একটি বিশেষায়িত শাস্ত্র। হাদিস সংরক্ষণ করা হয়েছে যত্নের সাথে। কত সালে বই আকারে এসেছে এটা মূল বিষয় না। আর তাছাড়া আমি আগেও বলেছি যে রসুলে জমানাতেও কিছু হাদিস লেখা হতো। অনেক রাষ্ট্রীয় আদেশ, ফরমান, চুক্তি ইত্যাদিও লেখা হত। এগুলি থেকেও অনেক ইসলামি বিধান জানা যেত। অনেক মুতাওয়াতির হাদিস ৪ থেকে ৭০ জন বর্ণনা করেছেন। কাজেই এগুলি বিশ্বাস করতে কোন সমস্যা দেখি না।

ইসলামের মধ্যে দলাদলির কারণেই ধর্মীয় এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে বর্তমান বিশ্বে মুসলমানরা পিছিয়ে আছে।

৪| ২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:০৩

জুল ভার্ন বলেছেন: সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, নিজে ফেতনা থেকে মুক্ত থাকা। অন্য মুমিনকেও ফেতনা থেকে মুক্ত রাখা। ইসলামের বিধান সম্পর্কে অযথা মনগড়া তথ্য প্রচার না করা। অন্যকে ফেতনার কাজে সহযোগিতা না করা। আর এটাই হলো ঈমানের জন্য নিরাপদ কাজ।

২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ আমাদের ফিতনা থেকে বাঁচার তৌফিক দান করুন।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৩২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি সৌদি শাসনকে ওয়াহাবি বলে Generalize করে ফেলেছেন।

আপনি তো সম্ভবত কোরআনের নিয়মও মানেন না। আপনার বিভিন্ন সময়ের মন্তব্য থেকে বলছি। কাজেই আপনার কাছে কোরআন আর হাদিস একই রকম হওয়ার কথা। তবে আপনি যদি এখন বলেন যে আপনি কোরআন মানেন কিন্তু হাদিস মানেন না তাহলে আপনার সম্পর্কে আমাকে নতুন করে ভাবতে হবে। আপনি কোরআন মানেন, না হাদিস মানেন সেটা আগে পরিষ্কার করেন। তাহলে আলাপ করতে সুবিধা হবে।

যেহেতু জন্মসুত্রে মুসলমানের ঘরে জন্ম তাই এই বিষয়ে বেশ কিছু জিনিস জানি, পরে পড়ে জেনেছি। আর যেহেতু আমি ধর্মের নিয়ম পালন করিনা। তাই এই বিষয়ে কোনটা ১০০% সহী সেই আলোচনায় আসিনাই।

হাদিসে ঘাপলা আছে আর আপনারা হাদিসের পক্ষে তাই এই বিষয়টা নিয়ে প্রশ্ন করেছি। আর একটা দলকে খারাপ বলছেন সেটা নিয়ে বলেছি।

বর্তমানে ইসলামের যত দলের মাঝে বিভক্তিগুলি নিয়ে আলোচনা বাড়ছে সেটা অবসাভ করছি।

২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সামান্য কিছু হাদিসের সহি হওয়া নিয়ে মতভেদ আছে। কিন্তু ঢালাওভাবে হাদিস অস্বীকার করা ইসলামের মূল বুনিয়াদের পরিপন্থি। কারণ কোরআনের বহু জায়গাতে রসূলকে (সা) অনুসরণ করতে এবং তাঁর আদেশ পালন করতে বলা হয়েছে। হাদিস না মানলে রসুলের (সা) আদেশ নিষেধ কিভাবে জানা যাবে।

বর্তমানে সহি হাদিস আলাদা করা যায়। একইভাবে দুর্বল হাদিস ও জাল হাদিসও নির্ণয় করা হয়ে গেছে।

মুসলমানদের মধ্যে দলাদলি শুরু থেকেই আছে। একতা নেই বলেই মুসলমানরা পিছিয়ে আছে। তবে সব দল তো আর ইসলামের গণ্ডির বাইরে না। ইসলাম ধর্মের কিছু মূল নীতি আছে। এটার বাইরে গেলেই সমস্যা। কমন সেন্সও বলে যে নবীর অনুসরণ করতে হলে নবী কি করেছেন সেটা জানা। হাদিস হোল জানার একমাত্র পথ। কুরানিস্টরা ইতিহাস থেকে ইসলামের বিধান পালন করতে চায়। কিন্তু হাদিস মানতে চায় না।

৬| ২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪০

নতুন বলেছেন: কুরানিস্টরা ইতিহাস থেকে ইসলামের বিধান পালন করতে চায়। কিন্তু হাদিস মানতে চায় না।

কোরান ও রাসুল সা: তার জীবদ্বসায় সংকলন করে যান নাই। সেটা করেছেন ওসমান রা:

রাসুল সা: হাদিস লিখতে নিষেধ করেছিলেন বলে হাদিস আছে... :|

Here is a Hadith from Sahih Muslim you may ponder:

“Do not write anything from me; whoever has written anything from me other than the Qur'an, let him erase it and narrate from me, for there is nothing wrong with that.” (Narrated by Muslim, al-Zuhd wa’l-Raqaa’iq, 5326)

যাই হউক এই বিভক্তি যেন আমাদের সমাজে মানুষের মাঝে কোন বিভক্তি সৃস্টি না করে।

২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রসূল (সা) হাদিস লিখতে বলেছেন এই রকম সহি হাদিসও আছে। দুই ধরণের হাদিসের মধ্যে সমন্বয় করা যায়। কারণ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন ব্যক্তিকে রসূল (সা) এই ধরণের নির্দেশ দিয়েছেন। কখনও কাউকে নিষেধ করেছেন আবার কাউকে পরবর্তীতে অনুমতি দিয়েছেন। সময় এবং ব্যক্তিভেদে দুই রকম নির্দেশই পাওয়া যায়।

রসুলের (সা) জীবদ্দশাতে কোরআন বিক্ষিপ্তভাবে পুরোটা লিখিত ছিল। এছাড়া হাফেজ ছিলেন অনেকে। কোরআনের প্রথম কপি তৈরি করেন হজরত আবু বকর (রা)। পরবর্তীতে হজরত ওসমান (রা) সেখান থেকে কপি করে অনেকগুলি কপি বিভিন্ন দেশে প্রেরন করেন। সেই ক্ষেত্রে কুরাইশদের উচ্চারণকে প্রাধান্য দেয়া হয়।

রসুলের (সা) ওফাতের সময় বহু কোরআনের হাফিজ ছিল। ফলে কোরআনে ভুল হওয়ার কোন সম্ভবনা ছিল না।

কোরআনে রসুলের (সা) আদেশ মানার কথা বলা আছে। হাদিস ছাড়া এটা মানা সম্ভব না। কারণ হাদিসেই এই নির্দেশনাগুলি আছে। কোরআনের নির্দেশগুলি আল্লাহর তরফ থেকে।

৭| ২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০১

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: জেনুইউন কিউরিওসিটি থেকে জানতে চাচ্ছি , কোন ইসলাম ইসলামের গন্ডির ভিতরে আর কোনটা বাইরে সেটা কিভাবে নির্ধারণ করেন বা কে করে ? এটা তো ওয়ার্ড এগেইনস্ট ওয়ার্ড না দিন শেষে ?
এখানে তো আর কোনো ফিজিক্যাল বা ম্যাথেম্যাটিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট বা এমন কিছু করে প্রমানের সুযোগ নেই, সব কিছুই অনেকখানি ইন্টারপ্রিটেশনের উপর নির্ভর করতেছে । আপনার ইন্টারপ্রিটেশন ভুল সেটা সে বলার কে এবং ভাইস-ভার্সা ।

আমি যা দেখতে পাই এটা তো অনেকটা সংখ্যা লঘু আর সংখ্যাগুরু গ্ৰুপের মধ্যকার বিবাদ মনে হয়।

২২ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলাম ধর্মের কিছু মৌলিক বিষয় আছে। এগুলি না মানলে গণ্ডির বাইরে চলে যায়। ঢালাওভাবে হাদিস অস্বীকার করাও এই ধরণের একটা অপরাধ। যুগে যুগে ইসলামিক পণ্ডিতরা কোরআন আর সুন্নাহর আলোকে ইসলামের একটা মৌলিক কাঠামো তৈরি করেছেন। মতভেদ সত্ত্বেও সবাই মুসলমান যদি না মৌলিক কোন বিষয় থেকে কেউ বা কোন দল সরে যায়।

কাদিয়ানীরাও জোর গলায় বলে তারা মুসলমান। কিন্তু তারা আসলে মুসলমান না। কারণ বেশী বাড়াবাড়ি করলে গণ্ডির বাইরে চলে যেতে হয়।

ইসলামের প্রথম দিকেও কয়েকটা দল বাড়াবাড়ির কারণে ইসলামের গণ্ডির বাইরে চলে গেছে। দলাদলির পরেও মূলধারার ইসলাম তো আছে। সামান্য মতভেদের কারণে কেউ কাউকে মুরতাদ বলে না। রসুল (সা) এসেছিলেন। উনি কোরআন এবং সুন্নাহর মাধ্যমে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। কোরআন, হাদিস হোল মূল ভিত্তি। এটাকেই ষ্ট্যাণ্ডার্ড ধরতে হবে। তবে কোটি কোটি লোক যখন কোন দল অনুসরন করে তখন কিছু সামান্য মতভেদ হতে পারে। কিন্তু মৌলিক বিষয় নিয়ে টানাটানি করলেই সমস্যা। যুগে যুগে কোরআন আর সুন্নাহর আলোকে ইসলামের জ্ঞানী ব্যক্তিরা এভাবেই ইসলামকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

পৃথিবীতে ইসলাম ধর্ম তো সংখ্যালঘু। কিন্তু এটা কোন ব্যাপার না। সঠিক পথে আছে কি না এটাই বড় কথা।

৮| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০১

কামাল৮০ বলেছেন: কোরান হাদিস নিয়ে বিতর্ক করে ইসলামের বারোটা বাজাবেন।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মত আল্লাহ অবিশ্বাসীর এই রকমই চিন্তা করার কথা। মরার পরে বুঝবেন কার বারোটা বাজবে।

৯| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:২৪

কামাল৮০ বলেছেন: মরার পর কেউ ফিরে আসে নাই।এটা একটা দাবি।এর কোন প্রমান নাই।আমি ৪২০০ টা ধর্ম মানি না,আপনি আমার থেকে একটা কম ৪১৯৯ ধর্ম মানেন না।খুব একটা পাথর্ক্য নাই।নাকি আপনি ৪২০০ টা ধর্মই মানেন।

২৩ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মরার পর এই যুক্তিগুলি আল্লাহর দরবারে পেশ করবেন দয়া করে। আপনাকে যুক্তিবাদী হিসাবে বিশেষ ছাড় দিতে পারেন আল্লাহ।
তবে যদি আল্লাহতে আদৌ বিশ্বাস থাকে আপনার।

১০| ২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭

বিটপি বলেছেন: আমি আহলে হাদীসের মসজিদে জুমার নামাজ পড়েছি। এরা বাংলায় খুতবা দেয়, আর নামাজে সালাম ফিরানোর সময় আমরা যা বলি, তা-ই বলে। তাহাজ্জুদ নামাজের কথা তো কুরআনে আছে। আপনি নেই বলছেন কেন?

‘হে মুহাম্মদ! ঘুম থেকে উঠে রাত্রির কিয়দংশ থাকতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়, ইহা কেবলমাত্র তোমারই জন্যে অতিরিক্ত করা হয়েছে। সম্ভবত এরই বিনিময়ে প্রভু পরওয়ারদিগারে আলম তোমায় প্রশংসিত স্থান দান করবেন।’ (বণী ইসরাইল ৭৯)

২৩ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আহলে হাদিসের ব্যাপারে লিখিনি। আমি লিখেছি যারা হাদিস মানে না তাদের সম্পর্কে। এদেরকে বলে কুরানিস্ট।

খুৎবা মানে বক্তৃতা। তাই বাংলাতেই হওয়া উচিত। বাংলাদেশে আরবিতে বললে কে বুঝবে। তবে বাংলাদেশে আরবি এবং বাংলা দুইটাতেই বলে।

আমার দেয়া কুরানিস্টদের সাইট থেকে বলেছি যে তারা ৩ ওয়াক্ত নামাজ ছাড়া আর কোন নামাজ মানে না। তাহাজ্জুদ নামাজ, ঈদের নামাজ, বেতরের নামাজ তারা স্বীকার করে না।

১১| ২৪ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৫

নীল আকাশ বলেছেন: আপদ টাইপের লোকজনের সাথে কথা বলে সময় নষ্ট করবেন না।
কিয়ামতের আগে যত দিন ঘনিয়ে আসবে এইরকম তত বেশি ফিরকা তৈরি হবে ।
এরা পথভ্রষ্ট, শয়তানের ঢোকায় এদের ঈমান বিপথে চলে গিয়েছে।
যেখানে আল্লাহ কুরআন শরীফে সরাসরি উনার রাসূলকে অনুসরণ ক রতে বলেছে সেখানে এরা এইসব বলার ধৃষ্টতা পায় কোথায়?

২৪ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই বাতিল ফিরকা সম্পর্কে অনেকে এখনও জানে না। তাই তাদের উদ্দেশ্যে এই লেখা। যেন সাধারণ মানুষ এদের দ্বারা প্রভাবিত না হয়। হাদিস না মানলে নিজের খুশি মত ধর্ম পালন করা যায়। ৫ ওয়াক্তের জায়গায় ৩ ওয়াক্ত নামাজ পড়া যায়। কুকুরের মাংস হালাল হিসাবে খাওয়া যায়। আরও অনেক উদ্ভট উদ্ভট কথা এরা বলে। আপনি যদি আমার দেয়া সাইটে যান তাহলে ওদের এইসব কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। ইউটিউবে কুরানিস্ট লিখে সার্চ দিলে এদের সম্পর্কে অনেক ভিডিও পাবেন। ভালো থাকবেন।

১২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৫৭

জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: পেয়ে গেছি আরেকটা সৌদির অনুসারী, ভাই আপনার মতন মানুষ রাই, হাদিস কে অহী বানায় ফেলছেন, কোরআন শরীফের থেকে হাদিস বিশ্বাস করেন বেশি। আপ্নারা অলরেডি ব্রেইন ওয়াশড। আপনি এক কাজ করেন, যারা কোরআন অনুসরন করে তাদের কে তো আপনার পছন্দ না, তাহলে আপনিও আর কোরআন শরিফ পইরেন না, আপনার বাদাম এর সাইজ এর ব্রেইন এর জন্যে হাদিস শরিফ যথেষ্ট, শুধু হাদিস পড়লেই বেহেস্তে ৭২ টা হুর পাবেন আর জান্নাত পাইবেন।
আপনি একটা চরম মাথার মিথ্যুক।

১৩ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি কোন যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেননি। যুক্তি ছাড়া কিছু ফালতু কথা বলেছেন।

আপনার কি ধারণা সৌদি আরবের মানুষ কোরআনের চেয়ে হাদিসকে গুরুত্ব বেশী দেয়। সেই ক্ষেত্রে আপনি ভুল জানেন। ভালো করে জেনে তারপর কথা বলেন। কোরআনেই বলা আছে যে রসুলের (সা) বাণীগুলি মনগড়া কথা না। এগুলি অহি। কোরআনের আয়াত ছাড়াও রসুলের (সা) কাছে ফেরেশতা আসত অহি নিয়ে। আমার এই পোস্ট পড়লে আপনি এই সম্পর্কে জানতে পারবেন। Click This Link

কোরআনে বহু জায়গাতে রসুলের (সা) আদেশ, নিষেধ, ব্যাখ্যা মানতে বলা হয়েছে। কোরআনে এই আদেশ, নিষেধ, ব্যাখ্যা আপনি পাবেন না। কোরআন হোল আল্লাহর কথা। আর হাদিস হোল আয়াতের ব্যাখ্যা। এই কারণেই আপনাকে কোরআনের নির্দেশ মেনে হাদিস মানতে হবে যদি মুসলমান হয়ে থাকেন।

আমি কোরআন শরীফ পড়ি না বা মানি না এটা আপনি কোথায় পেয়েছেন। না জেনে কেন বলছেন। যুক্তি দিয়ে কিছু বলতে চাইলে বলতে পারেন। কিন্তু ফালতু কথা বলা থেকে বিরত থাকবেন। আমি ফালতু কথা বরদাস্ত করবো না। আপনাকে আমি চিনি না। ভদ্র ভাষায় কথা বলতে চাইলে আসেন নইলে দূরে থাকেন। আপনার পিছনে আমি সময় নষ্ট করতে পারবো না। কোন ফালতু কথা বললে আমি মুছে দেব। সরি ভাই।

১৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৫৪

জ্যাকেল বলেছেন: আপনার এই পোস্টটি নিয়ে আমার কিছু বলার আছে। তবে আপনার কাছ থেকে কিছু তথ্যসহ একটা পোস্টের জন্য অনুরোধ করছি।

১। হাদীস গ্রন্থ অথবা মাজহাব ব্যতীত ইসলাম কি কি কারণে অসম্ভব? (যদি আপনি মনে করেন মাজহাব বা আহলে হাদীস সঠিক)
২। শুধু কোরআন নিয়ে ইসলাম কি কি কারণে অসম্পুর্ণ। (এখানে শুধু আক্ষরিক কোরআন মিন করবেন না, কোরআন এর প্রয়োগ/শানে নুযুল সহ যেন মিন হই)
৩। ইসলামে কি কি হারাম যা কুরআনে নাই।
৪। ইসলামে কি কি হালাল যা কুরআনে নাই কিন্তু হাদীসে আছে।
৫। ফাতওয়া/মাসআলা সমুহ দেবার পারমিশন একজন মুফতী কিভাবে পান? (হাদীস/কোরআন যেকোন সুত্র থেকে)
৬। কোরআনের কোথায় কোথায় হাদীস থেকে ফরজ/ওয়াজিব খুঁজে নেবার কথা আছে?
৭। কোরআন কি পুর্ণাংগ জীবন বিধান? নাকি হাদীস? নাকি যৌথ?

১৫ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১। হাদিস না মানার কারণে কি সমস্যা হবে সেটা আমি আমার সাম্প্রতিক একটা পোস্টে বর্ণনা করেছি। রসূলকে অনুসরণ করার আদেশ কোরআনে বহু জায়গায় আছে তাই হাদিস মানা ছাড়া কোন পথ নাই। আর মাজহাব মানা জরুরী কিছু না। যে ইমামদের নামে মাজহাব চালু হয়েছে তারা কেউ জীবিত অবস্থায় বলে যাননি যে আমি একটা মাজহাব তৈরি করে গেলাম তোমরা সেটা অনুরসন কর। বরং তাদের দুই একজন বলেছেন ওনাদের ফাতওয়ার চেয়ে উত্তম কিছু হাদিস বা কোরআনে পাওয়া গেলে সেটা অনুসরণ করতে। মাজহাব হোল প্রখ্যাত কয়েকজন স্কলারের কোরআন বা হাদিসের আলোকে দেয়া মতামত। ৪ মাজহাব ছাড়াও আরও কয়েকটা মাজহাব আগে ছিল। কিন্তু পরে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
২। কোরআনের শানে নুজুলের উৎস হোল হাদিস। তাই আপনি পরোক্ষভাবে হাদিস স্বীকার করছেন। হাদিস ছাড়া শানে নুজুল জানা সম্ভব না। শুধু কোরআন মানলে কি সমস্যা হবে সেটা আমি ১ নং মন্তব্যে যে পোস্ট উল্লেখ করেছি সেখানে আছে। কোরআনে বলা আছে রসূল (সা) কোরআনের ব্যাখ্যা করে দিবেন। ওনার (সা) ব্যাখ্যা নিশ্চয়ই কোরআনে পাবেন না। রসুলের ব্যাখ্যা জানার জন্য হাদিস পড়তে হবে। শুধু কোরআন দিয়ে নামাজ, রোজা, হজ বা জাকাত পালন করতে পারবেন না। আরও বহু ক্ষেত্রে ব্যাখ্যার জন্য এবং ব্যতিক্রমী নির্দেশ জানার জন্য হাদিসের দ্বারস্থ হতে হবে। ঈদের নামাজ, ফেতরার কথা কোরআনে নেই। সুন্নত বা ওয়াজিব নামাজের নিয়মের ব্যাপারে কোরআনে কিছু পাবেন না।

৩। হাদিস থেকে যে হারাম গুলি জানা যায়;
- প্রাণীর ছবি আঁকা ( সহি বুখারি – ২৮৪)
- গৃহপালিত গাধার মাংস খাওয়া হারাম। ( সহি বুখারি ৫৫২০)
- কোন মুসলমান কাফিরের ওয়ারিশ হতে পারে না এবং কোন কাফির কোন মুসলমানের ওয়ারিশ হতে পারে না। ৪২৮৩ –
সহি বুখারি
- হত্যাকারী নিহত ব্যক্তির ওয়ারিশ হতে পারবে না। যেখানে নিহত ব্যক্তি হত্যাকারীর আত্মীয়। (আহমদ, হাদীস নম্বর ৩৪৬,
ইবনু মাজাহ্, হাদীস নম্বর ২৬৪৫)
- একই সাথে স্ত্রী ও স্ত্রীর খালাকে/ ফুফুকে বিয়ে করা হারাম। বুখারি ৫১০৯
- দুধ বোনের মেয়েকে বিয়ে করা হারাম। বুখারি ২৬৪৫
- পুরুষের জন্য স্বর্ণ ও রেশম কাপড় হারাম করা হয়েছে। (সুনানে তিরমিযী, হা- ১৩/১৭৩৭)
- ড্রাগ হারাম। মুসলিম – ২০০৩
- দাঁত দ্বারা শিকার করে এরকম সকল হিংস্র পশু হারাম। আর থাবা দিয়ে শিকার করে এমন প্রত্যেক পাখি হারাম। মুসলিম -
১৯৩৪
৪। মৃত মাছ খাওয়া হালাল।
৫। ইসলামিক শাসন যে দেশে আছে সেই সব দেশের রাষ্ট্র নির্ধারণ করে দেয় কে ফতওয়া দেবে। যে কেউ দিতে পারে না। যে সব দেশে ইসলামি শাসন নাই সেখানে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে ইসলামি ফাতওয়া প্রয়োগের কোন সুযোগ নেই। কিন্তু আইন কানুন ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে মুসলমান নিশ্চয়ই সেকুলার রীতি নীতি অনুসরণ করবে না বরং ইসলামের নীতি অনুসরণ করবে। এই সব দেশে মুসলমান কমিউনিটির প্রথম শ্রেণীর স্কলাররা ফতওয়া দিয়ে থাকেন। কারণ মানুষ তাদের কাছে বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চায়। এই বিষয়গুলি আইন কানুন সংক্রান্ত না তাই কে মানবে আর কে মানবে না সেটা তার বিশ্বাসগত ব্যাপার। প্রয়োজনে বিশ্বের বড় বড় স্কলারদের ফতওয়ার সাথে মিলিয়ে দেখবে।
৬। কোরআনের আয়াত থেকে যদি ফরজ বোঝা যায় সেই ক্ষেত্রে হাদিসের প্রয়োজন হয় না। যেমন নামাজ। কিন্তু নামাজ কিভাবে পড়বেন, নামাজের ফরজ, সুন্নত এগুলি কোরআনে পাবেন না। এই কারণে আল্লাহ রসূলকে (সা) অনুসরণ করতে বলেছেন। রসূলও (সা) তাঁর কাছ থেকে নামাজ শিখে নিতে বলেছেন। একই কথা হজ, রোজা, জাকাত এবং অন্যান্য অনেক এবাদতের ক্ষেত্রে।
৭। একটা দেশের সংবিধান পুরনাঙ্গ কিন্তু সেখানে বিস্তারিত থাকে না। সংবিধানের আলোকে আইন তৈরি করা হয়। আবার আইনের ধারাতেও সব কিছু থাকে না। আইনের ধারার অধীনে রুলস তৈরি করা হয়। কিন্তু এইসব কারণে কেউ বলে না সংবিধান পুরনাঙ্গ না। এটা শুধু উদাহরণ হিসাবে বললাম। মানুষের তৈরি সংবিধানে ভুল থাকতে পারে। কিন্তু আল্লাহর কোরআনে ভুল নেই। একইভাবে কোরআনে অনেক মূল নির্দেশ দেয়া আছে আবার বহু জায়গায় বলা আছে রসুলের আদেশ, নিষেধ মেনে চল এবং তাঁর ব্যাখ্যা গ্রহণ কর। কাজেই কেউ যদি রসুলের নির্দেশ, নিষেধ না মানে তাহলে সে কোরআন অবমাননা করলো। রসুলের (সা) আদেশ, নিষেধ জানার একমাত্র উপায় হোল উনি কি বলেছেন সেটা জানা। হাদিসের মাধ্যমে জানা যায় রসূল (সা) কি বলেছেন। কোরআনেই যেহেতু বলা আছে রসূল (সা) কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা করবেন তার মানে হোল কোরআন এবং হাদিস দুইটাই অনুসরণ করতে হবে যদি সঠিকভাবে কোরআন কেউ মানতে চায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.