নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদিস না মানার কারণে হাদিস পরিত্যাগকারীরা যে সমস্যায় পড়বে

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৫

বর্তমানে কিছু লোক হাদিস পরিত্যাগ করেছে। কোরআন ছাড়া তারা আর কিছু মানে না। যদিও কোরআনের বহু জায়গায় রসুলের আদেশ মানার নির্দেশ আছে। এদের অনেকে আমাদের নবীজির (সা) নাম শোনার পর এবং নামাজে দরুদ পড়ে না। আজানেও রসুলের (সা) নাম উল্লেখ করাকে এরা শিরক বলে থাকে। কোরআনে দরুদ পড়ার কথা বলা থাকলেও এদের অনেকেই কোরআনের আয়াতের অপব্যাখ্যা করে এবং দরুদ পড়াকে শিরক বলে।

হাদিস পরিত্যাগকারীরা হাদিস না মানলে নীচের সমস্যাগুলিতে পড়বে;

১। ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে। কারণ কোরআনে দুই ঈদের কোন উল্লেখ নেই।

২। কোরআনে ঈদের নামাজের উল্লেখ নেই। তাই এরা ঈদের নামাজ থেকে বঞ্চিত হবে। তাছাড়া ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব বা ফরজ।

৩। পশু কুরবানির কথা কোরআনে থাকলেও কোরবানি যে ঈদের দিন করতে হবে এই কথা বলা নাই। এক গরু ৭ জনে ভাগ করে কুরবানি দেয়া যাবে সেই কথাও বলা নাই। ছাগলের যে ভাগ হয় না সেটাও কোরআনে পাওয়া যায় না।

৪। ঈদের ফিতরার ব্যাপারে কোরআনে কিছু পাওয়া যায় না। তাই এরা ফিতরা দেয় না। কিন্তু ফিতরা দেয়া ফরজ বা ওয়াজিব।

হাদিস অস্বীকার করলে আরও কিছু প্রশ্ন মাথায় আসে যেগুলির উত্তর কোরআনে পাওয়া যায় না;

১। জুম্মার নামাজের কথা কোরআনে থাকলেও। কোরআনে এই নামাজের সময় বলা নাই। জুম্মার নামাজ যে জোহরের নামাজের বিকল্প এবং মাত্র দুই রাকাত এই কথা কোরআনে পাওয়া যায় না। হাদিসের সাহায্য ছাড়া জুম্মার নামাজ পড়া সম্ভব না।

২। কোরআনে কোন খাদ্য হালাল আর কোন খাদ্য হারাম বলা আছে। কিন্তু কুকুরের মাংসকে হারাম করা হয়নি। শকুনের মাংসের উপরও কোন নিষেধাজ্ঞা কোরআনে পাওয়া যায় না। কুকুর, অন্য হিংস্র পশু বা শকুন জাতীয় পাখির মাংস হারাম করা হয়েছে হাদিসের মাধ্যমে।

৩। কোরআনে মৃত প্রাণীর মাংস হারাম করা হয়েছে। এই কারণে মনে হতে পারে যে মৃত মাছ খাওয়া হারাম। কিন্তু হাদিসের মাধ্যমে মাছকে হালাল করা হয়েছে।

৪। পুরুষদের সমকামিতাকে কোরআনে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু নারীদের সমকামিতার ব্যাপারে কোরআনে কিছু পাওয়া যায় না। হাদিসের মাধ্যমে পুরুষ বা নারীর সমকামিতার উপর নিষেধাজ্ঞা এবং শাস্তি সম্পর্কে আমরা জানতে পারি।

আল্লাহ আমাদের কোরআন এবং সুন্নাহর আলোকে চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।

সুত্রঃ
কোরআন এবং হাদিস
https://www.quran-islam.org/home_(P1).html


মন্তব্য ১৮৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (১৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:২০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
এতা সবাই জ্ঞানপাপী!
এরা বুঝতে চায়না আল্লাহর
প্রিয় হাবিব যাকে সৃষ্টি না করলে
আল্লাহ দূনিয়া সৃষ্টি করতেন না,
তাকে অবমান্না করে শেষ বিচারে
পার পাওয়া যাবেনা। সবার মনে
রাখা দরকার;
"দোদেল বাদশা কালিমা চোর,
না পায় বেহেশত না পায় গোর"।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা রসূলকে (সা) সম্মান করি কিন্তু বাড়াবাড়ি করি না। রসূলকে (সা) আমরা গড মনে করি না গডের পুত্রও মনে করি না। উনি গায়েবের খবর জানেন এটাও বলি না। কিন্তু আল্লাহ ওনার (সা) সম্মান নির্ধারণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ কোরআনে বলেছেন আমি এবং ফেরেশতারা রসুলের উপর দরুদ পড়ি তোমরাও পড়। (ভাবার্থ বললাম )

রসুলের আদেশ এবং আদর্শ মানার কথা কোরআনে অন্তত ৮০ জায়গাতে আছে। কিন্তু যারা হাদিস পরিত্যাগ করে তারা এই আদর্শ এবং আদেশ, নিষেধ থেকে বঞ্চিত হয়। হাদিস না মানার কারণে অনেক উদ্ভট বিধান এখন তারা দিচ্ছে। আজান দেয়াকে এরা বেদআত বলছে। নামাজে এরা দরুদ পড়ে না। ৫ ওয়াক্তের বদলে ৩ ওয়াক্ত নামাজের কথা এদের অনেকে বলে থাকে। জাকাত দেয় নিজেদের খুশি মত।

২| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৩৫

ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: নবী মুহাম্মদ সঃ যা বলেছেন তা আল্লাহর কথামালা। কারণ হিসেবে বলা যায়, কুরআন বলে - "যদি রাসুল নিজ থেকে কিছু বলতেন, তাহলে আমি তাঁর কণ্ঠনালী ডান হাতে চেপে ধরতাম "
এখন কথা হলো সহীহ হাদিস কোন গুলো এবং জাল হাদিস কোন গুলো বাছাই করা লাগবে।

বিদায় হজ্ব এর ভাষণে নবী সঃ বলেই তো গেলেন, "আমি তোমাদের মহামূল্য দুটো সম্পদ দিয়ে যাচ্ছি - কুরআন ও হাদিস। এ দুটো অবলম্বন করলে তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। "
তাই হাদিস অমান্য করা দুঃখ জনক।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাসনিম ভাই আপনার কথার সাথে একমত। তবে সহি হাদিসগুলি আলাদা ক'রে দুর্বল এবং জাল হাদিস পরিত্যাগ করা উচিত। '

অনেক বিপথগামী ইসলামি ফিরকার লোকেরাও ঢালাওভাবে হাদিস অস্বীকার করে না।

হাদিস ছাড়া মুসলমানের পক্ষে ইসলামের পথে চলা সম্ভব না। সকল যুগের ইসলামি পণ্ডিতরা এই ব্যাপারে একমত যে হাদিস ইসলামের অপরিহার্য একটি অংশ। ভালো থাকবেন।

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৩৮

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব ভালো লাগলো। ❤️

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।

৪| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫৩

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া এসবের কিছুই আমি জানতাম না।

আমি ভেবেছিলাম ঈদের কথা আর বাকী যা লিখেছো সবই কোরআনে আছে।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শায়মা আপুকে অনেক ধন্যবাদ আমার এই পোস্টটা পড়ার জন্য।

অনেকগুলি বিষয় আমারও আগে জানা ছিল না যে এগুলি কোরআনে নেই বরং হাদিসে আছে। পোস্ট লিখতে গিয়ে ভালোভাবে জেনেছি।

ঈদ আর রোজার খাবার দাবার নিয়ে আপনি যে পোস্টগুলি দেন সেগুলি সবাইকে অনেক আনন্দ দেয়। যদিও জিভে জল চলে আসে আমার মত অনেকের। :)

ভালো থাকবেন।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার দেয়া সিনেমাটা আমি অর্ধেক দেখে ফেলেছি। খুব ভালো লাগছে। সময় ক'রে বাকি অংশ দেখব। আপনি না দিলে আমি কখনও বাংলা সিনেমা দেখতাম না। তারপর আপনাদের জন্য একটা মুভি রিভিউ দেব ৪ বিয়ের উপকারিতার উপর। :)

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এর জন্য ই আল কোরআন আর হাদিস এই দুটো‌ যারা আঁকড়ে ধরবে তারা বিভ্রান্ত হবে না । তাদের জন্য সফলতা অবধারিত।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ভাই আপনার কথার সাথে ১০০% একমত। হাদিস মুসলমানদের জন্য অপরিহার্য।

ইসলাম ধর্মের বিকৃতি সাধনের অপচেষ্টায় অনেকে হাদিসের বিরুদ্ধে বলে বেড়াচ্ছে।

ভালো থাকবেন সেলিম ভাই।

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২২

শার্দূল ২২ বলেছেন: কাজ করতে করতে আমার মাথা যখন কলাপস, আমি ভাবলাম ইমেইল দেখি, দেখলাম একজন প্রিয় মানুষের সুন্দর কিছু কথা , মন ভালো হয়ে গেলো, ঐ মানুষটাই মন ভালো করার মত একটা বিষয়। তাই মন ভালো আছেে, এটা আরো বেশি বুঝতে পারলাম যখন আপনার গাধা মার্কা পোস্ট দেখেও না রেগে হেসে দিলাম,

কেনরে ভাই ধর্মের লেন্জা নিয়ে টানা টানি করেন? বুঝেন আল্লাহকে? বুঝতে পেরেছেন আল্লাহর কোরানের বিশালতা? তার ইচ্ছা সৃষ্টি? বুঝেন কেন তিনি এত বিশাল মাল্টিভার্স তৈরী করেছেন একটা পৃথিবীর জন্য? এত হেলা ফেলা কেনরে ভাই আল্লাহকে নিয়ে?
রেগে থাকলে আপনার তিন নাম্বার আনন্দটা আপনাকে দিয়েই করতাম।

ঈদের নামাজ ফরজ? কোরানের ভাইরে কোন আদেশ আছে যা ফরজ?

@সেলিম আনোয়ার - দুটো জিনিস আকড়ে ধরতে হবে, এই দুটো জিনিশ কি? একটা কোরান , আরেকটা কি ? হাদিস? কে বলছে? কোথায় বলছে? ৬ হাদিসের একটা হাদিসেও নেই। বরং একটার কথা বলা আছে যা হোলো কোরান, কয়েকটা হাদিসে আছে । বুঝে কথা বলবেন ধর্ম নিয়ে, কোরান মালটিভার্সের চেয়ে বড় গ্রন্থ। একটু সময় দেন । একটু বোঝার ট্রাই করেন, যত টুকু বুঝবেন ঠিক ততটুকুই বলবেন,। আখেরাতে গিয়ে আল্লাহকে বলবেন আল্লাহ আমি এই টুকুই বুঝেছি এই টুকুই করেছি বলেছি, আললাহ মাফ করে দিবেন।

আপনাদের ধন্যবাদ।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহকে নিয়ে হেলাফেলা কোথায় করেছি। না বুঝে লিখেছেন। কোরআন যদি আপনি মানেন তাহলে আপনাকেও হাদিস মানতে হবে। কারণ কোরআনে বহু জায়গায় রসুলের (সা) আদেশ, নিষেধ, উপদেশ মানতে বলা হয়েছে।

ঈদে ফেতরা দেয়া ফরজ বা ওয়াজিব। ঈদের নামাজ ফরজ বা ওয়াজিব। এগুলির কথা কোরআনে নেই। আপনি যদি ঈদের নামাজ পড়ে থাকেন, ঈদ পালন করে থাকেন এবং ফেতরা দিয়ে থাকেন তাহলে আপনি বলেন আপনি কোরআনের কোথায় এগুলি পেয়েছেন। হাদিসে যদি পেয়ে থাকেন তাহলে দেখবেন যে সেখানে এগুলিকে ওয়াজিব বা ফরজ বলা হয়েছে।

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২৮

কামাল৮০ বলেছেন: পৃথীবির চার ভাগের তিন ভাগের বেশি লোক কোরান হাদিস কোন টাই মানে না।তারা কি কি সমস্যায় পড়েছে।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সমস্যায় পড়বে মরার পর। পৃথিবীর সমস্যা পরকালের সমস্যার তুলনায় কিছু না।

আপনি তো পরকাল আর ধর্ম মানেন না। এই বিষয়ে আপনার সাথে আলাপ করে কি লাভ।

৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৩

জ্যাকেল বলেছেন: টিপিক্যাল ধারণা না ছাড়তে পারার কারণে আপনার এই পোস্টের উদ্ভব। আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতা তত্ব হচ্ছে বাস্তব সত্য; এই কথা খোদ পদার্থবিদ্যার অধিকাংশ ছাত্রই অনুধাবন করতে সক্ষম নন। কারণ?
টিপিক্যাল বস্তুজগত সম্পর্কে ধারণা।

এই ব্যাপারটা থেকে বেরিয়ে আসা খুবই কঠিন একটা কাজ, যার ফলে আপনি অনার্স পড়ুয়া যেকোন ছাত্রকে সময় ধীরে বয়ে চলা সম্পর্কে জিগাইয়া দেখেন সে বলতে পারবে না(খুব সম্ভবত)।

আপনার বেলায় প্রায় সেইম সমস্যা মনে হচ্ছে। আপনি ধরেই নিয়েছেন এত দিন ধরে যা জেনেছেন, যা চর্চা করে এসেছেন এর বাইরে যে কোন কিছুই মানা যায় না। (হয়ত সেইম প্রবলেম ছিল আবু তালিবের)

আপনার কাছে কেহ কেহ ধরিয়ে দিয়েছেন যে হাদীসভিত্তিক ইসলামই আসল ইসলাম, এই কারণে প্রতিষ্টিত জগতে যা যা চালু আছে এর বাইরে কিছু আসলেই উহা ফিতনা।অথচ ফেতনা শুরু হইয়াছিল চার খলিফার পর থেকেই (যখন পতিতার ঘর, মদের ঘর এইসব উচ্ছেদ করা শুরু হইয়াছিল ইসলামের নাম করে। এইসব নিয়ে রাসুল সাঃ এর প্রবর্তিত ইসলামের মাথাব্যাথা আদৌ ছিল না।) এই ফিতনার হাত ধরেই শুরু হলো ফিকাহ (ইসলামের দোহাই দিয়ে মানব আচরণ নিয়ন্ত্রণ)।

আপনার কাছে প্রশ্ন-

অথচ সহজ সরল ইসলামে রাসুল সাঃ দুই ঈদের নামাজ পড়িয়ে গিয়েছিলেন। কোরআনকে জ্ঞানের উৎস মানা কেন রাসুল সাঃ এর বিরুদ্ধাচরণ মনে করতে হবে?
ঈদের কালচার মানতে চাইবে না কেন কোন মুসলমান?
কোরবানি করা, ফিতরাও ইসলামি কালচারের অংশ এইসব যদি গ্রন্থ থেকে জানা যায় তাতে কোরআন অস্বীকারের কি হইল?
সালাত কায়েম করতে বলা হয়েছে, সেটা না করে রাকাআত সংখ্যা নিয়ে এত বিবাদ কেন?
কোরআন মানুষকে বিবেক, জ্ঞান এইগুলোর প্রয়োগ ররতে বলেছে। কমন সেন্স থেকেই তো বুঝা যায় যে মাছ মৃত হলেও খাওয়া যায়, সেটা কোরআনের দোহাই দিয়ে হারাম হবে কেন?
সমকামীতার ভয়াবহ শাস্তির কথা উল্লেখ আছে। এটা থেকেই তো বুঝা যায় এর ভয়াবহতা কত বেশি! আল্লাহর কিতাব কি আক্ষরিক পড়তে হবে নাকি নসিহত নেবার উদ্দেশ্যে পড়তে হুবে? (আকল থেকেই বুঝা যায় নারী/পুরুষ উভয়ই সমকামিতা করলে আল্লাহ নারাজ হন)

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কালচার থেকে ইসলামি বিধান মানতে হবে এটা আপনি কোথায় পেয়েছেন। আপনি যেহেতু শুধু কোরআন মানেন তাই কোরআন থেকে প্রমাণ দেখান।

রাকাত নিয়ে আপনি চিন্তিত না। তার মানে আপনি নামাজের রাকাত নিজের খুশি মত নির্ধারণ করেন।

ঈদের নামাজ, ফেতরা এগুলি আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না তাই আপনি সম্ভবত এগুলি পড়েন না বা দেন না। যদি পড়ে বা দিয়ে থাকেন তাহলে ইসলামি কালচার থেকে পড়েছেন বা দিয়েছেন বলতে চাচ্ছেন। কোথায় বলা আছে যে ইসলামি কালচার অনুযায়ী ইসলামের বিধান মানতে হবে। কোরআনের আলোকে প্রমাণ করেন। যেহেতু হাদিস মানেন না।

কমনসেন্স আর আকল অনুযায়ী ইসলাম পালন করতে হয় এটা আপনি কোথায় পেয়েছেন। কোরআন থেকে প্রমাণ করেন।

আপনার কথায় মনে হচ্ছে কোরআন পড়বেন আর নিজের খুশি মত নসিহত করবেন।

৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৮

মোগল সম্রাট বলেছেন: কামাল৮০ বলেছেন: পৃথীবির চার ভাগের তিন ভাগের বেশি লোক কোরান হাদিস কোন টাই মানে না।তারা কি কি সমস্যায় পড়েছে।
উনার সাথে আর একটু যোগ করে জানতে চাই

- পৃথিবীর তিন ভাগের বেশি লোক বাদ দিয়া বাকি এক ভাগের পক্ষে অবস্থান করতেছেন আল্লায়?

এসব পোস্ট দিয়া আল্লাহ/নবিকে নিয়ে বিতর্ক করে কমেন্ট বাড়াইতে চাইলে বেশি কইরা পোষ্টান।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কি ধারণা আল্লাহ অমুলিমদের পক্ষে আছেন। আপনার প্রশ্ন শুনে তাই মনে হচ্ছে। আপনি কোন ধরণের মুসলমান এটা একটু পরিষ্কার করেন।

ধর্মের ক্ষেত্রে 'মেজরিটি মাস্ট বি গ্রান্টেড' এই নিয়ম কাজ করে না। আপনি যদি মেজরিটির দলে যেতে চান যেতে পারেন। এটা আপনার ইচ্ছা। সাথে কামাল সাহেবকে নিয়েন।

১০| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৪

শায়মা বলেছেন: হায় হায় ভাইয়া সবাই মিলে তো আজকে তোমাকে তুলাধুনা করবে বলে প্লান করেছে মনে হচ্ছে!

কি সর্বনাশ!!

আবার তুমি এই সর্বনাশের মধ্যে সিনেমার কথা আনছো!!!

সিনেমা দেখা না হারাম!!! :||


ভাইয়া দোয়া করি মিররমনি তাড়াতাড়ি এসে পড়ুক।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি তো পাপী মুসলমান তাই মাঝে মাঝে সিনেমা দেখে ফেলি। :) আরও কত গুনাহ করছি প্রতিদিন। তবে সিনেমা মানেই হারাম না। শরিয়া বিরোধী কিছু না থাকলেই হোল। আমাদের রসুলের (সা) উপরও তো সিনেমা আছে।

গুনাহ করছি, তারপরও আমি মুসলমান। নবী বা রসূল ছাড়া সবাই কম বেশী গুনাহ করে।

মিররমণি ধর্মের পোস্টে আসে না, ধর্মের ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে। তবে আমি যদি এই পোস্টে একটা গানের ভিডিও দেই তাহলে নিশ্চিত আসবে। :)


ধর্মীয় পোস্ট আসলে দায়িত্ব হিসেবে দেই। অনেক গালিগালাজ আসবে জেনেই দেই। আপনাদের কিছু ভালো মন্তব্য গালিগালাজ ভুলতে সাহায্য করে।

১১| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
হাদিসেই বলা আছে, রসুল হাদিস না লিখতে বলেছেন,
আর লেখা হাদিস সব পুড়িয়ে ফেলতে বলেছেন।
আরো বলেছেন কোরান সম্পুর্ন গ্রন্থ, সবার জন্য সহজ করে রচিত হয়েছে। (অর্থাৎ ইহা বুঝতে কোন মৌলভি বা হাদিস দরকার নেই)

নিশ্চয় আমি কুরআনকে উপদেশ গ্রহণের জন্য সহজ করে দিয়েছি (সুরা, আল-ক্বামার)। এই সুরার মধ্যে আল্লাহ চারবার এই একই কথা বলেছেন (আয়াত নম্বর সতেরো, বাইশ, বত্রিশ এবং চল্লিশ)।

“(হে নবী) আসলে আমি তোমার ভাষায় একে (কুরআনকে) সহজ করে দিয়েছি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।” (সূরা আদ-দুখান, আয়াত : ৫৮)

“অবশ্যই আমি তোমাদের জন্য আয়াতসমূহ স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছি যাতে তোমরা বুঝতে পার।” (সূরা আলে-ইমরান, আয়াত : ১১৮)


সেখানে কোরান বুঝাতে তিন-চারশো বছর পর লেখা হাদিস আর রাজনৈতিক মোল্লাদের লেখা তাফসির পড়া লাগে?
এই বানানো হাদিস বানোয়াট ব্যখ্যা নিয়েই তো দুনিয়ার যত গন্ডগোল, একজনের রাজনীতি অন্যদলের উপর চাপিয়ে দেয়া, কাটাকাটি করা নবীর ওফাতের পর থেকেই। মুরতাদ আখ্যা দিয়ে অপজিশন ধ্বংস করা সহজ ছিল।
পরে মধ্যযুগে শাসকদলের এলেমওয়ালারা(!) হাদিস বানিয়ে ইচ্ছেমত এইসব হিংস্রতা ইসলামে ঢুকিয়েছে।
আর জনগণ অভ্যস্ত হয়ে গেছে এইসকল অন্যায়গুলাতে।
রাজনিতিক ইসলামিষ্টরা এসব বাদ দিবে না, দিলে তো এদের রাজনীতিই শেষ।

হাদিস লেখা হয়েছে রসুলের মৃত্যুর ৩০০ বছর পরে।
তিনশত বছর পর মক্কা মদিনার হাজার হাজার মাইল দূরে এক সময়ের সোভিয়েট রাশিয়া এলাকা তাসখন্দের কাছে বুখারা শহরে হাদিস লেখা শুরু হয়,
সেখানকার এক রাজার নির্দেশে বোখারি হাদিস লিখেছিলেন একজন অনারব ব্যক্তি যিনি কখনো আরবে বসবাস করেননি, আরবি জানেন না শুধু একবার মাত্র হজে গেছিলেন। মক্কা মদিনায় কিছু মানুষের কথা শুনে এসে অনেক পরে লিখেছেন।
এতে বাদশাহর ইচ্ছায় অনেক আজগুবি গল্প হাদীসের স্থান পেয়েছে। সেই হাদিসের উপর ভিত্তি করে উপমহাদেশের সুন্নি ইসলাম।

ইমাম বুখারী,
ইমাম মুসলিম,
ইমাম আবূ দাউদ,
ইমাম তিরমিজী,
ইমাম নাসাঈ

এই ইমাম গন কেউই আরবীভাষী নন, এদের চোদ্যগুষ্টি কেই রসুলের বা সাহাবিদের ধার কাছেও ছিলেন না।
অনারব। এদের দেশ ছিল উজবেকিস্তান, ইরাক, পারস্য (ইরান আজারবাইজান), ইত্যাদি। এরা আরবি ভাষা লিখতে বা বলতে পারেন না।
এরপরেও হাদীস টিকে গেছে। যুদ্ধবাজ দখলবাজ শাসকগণ হাদীস বানিয়েছে, টিকিয়ে রেখেছে ধর্মের জন্য নয়, রাজনীতি দেশ শাসনের জন্য।
হাদিস বর্তমান ধর্মব্যবসায়ীদের মূল অস্ত্রে পরিণত হয়েছে। হাদিসের অংশ বিশেষ নিজেদের ইচ্ছামত ব্যাখ্যা করছে নিজেদের রুটি রুজির প্রয়োজনে। মতলবি রাজনীতির প্রয়জনে। হাদিসকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে হাদিসকে আরও পোক্ত করে ফেলেছে।

"রসূল সব হাদিস পুড়িয়ে ফেলতে বলেছিলেন" এই তথ্য এখন আর গুগলে খুজলে পাওয়া যায় না, রাজনৈতিক মোল্লারা মোটা অংকের ডলার খরচ করে ব্যাবস্থা করেছে। কিন্তু ছাপা বইতে ঠিকই আছে।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাদিস লেখার কথাও হাদিসে আছে। হাদিস পোড়ানর কোন সহি দলিল দেন। মৃত্যুর কয়েক দিন আগে রসূল (সা) কিছু লিখে দিতে চেয়েছিলেন সাহাবীদের জন্য। এই মর্মেও সহি হাদিস আছে।

কোরআনে রসুলের (সা) আদেশ মানার কথা বহু জায়গায় আছে। রসূলকে (সা) কোরআনের ব্যাখ্যা করতে বলা হয়েছে কোরআনে।
রসুলের জমানাতেও কিছু হাদিস সংগ্রহ করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশে রসুলের আদেশ, ফরমান, চুক্তি ইত্যাদি লিখিত ছিল। এগুলিও হাদিসের অংশ। হাদিস ৩০০ বছর পরে লেখা হয় নাই। রসুলের (সা) ওফাতের প্রায় ৮০ বছর পর থেকে হাদিস সংগ্রহ শুরু হয়েছে। হাদিস অনেক যত্ন করে রক্ষা করা হয়েছে।

ইমামগণ আরবি ভাষী না হলেও আরবি জানতেন। আরব হওয়া জরুরী না।

১২| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১১

জ্যাকেল বলেছেন: লেখক বলেছেন: কালচার থেকে ইসলামি বিধান মানতে হবে এটা আপনি কোথায় পেয়েছেন। আপনি যেহেতু শুধু কোরআন মানেন তাই কোরআন থেকে প্রমাণ দেখান।
আগে বলেন আপনি কই ত্থেকে পাইলেন আমি কালচার থেকে বিধান বের করতে লেগেছি?

(কোন কিছু কোরআনে না থাকলে তা পালন আবশ্যক নয় কারণ আল্লাহ তাঁর দ্বীন পুর্ণ করে দিয়েছেন)। তাই ঈদের নামাজ কিংবা কোরবানি এইসব বিষয়ে প্রচলিত কালচার পালনে আবশ্যিকতা নেই। তবে লোকদের সাথে সমাজে বসবাস করতে গিয়ে আপনি কুরবানি করবেনই যখন তবে কেন ভিন্ন তরিকা উদ্ভাবনে লাগবেন?

রাকাত নিয়ে আপনি চিন্তিত না। তার মানে আপনি নামাজের রাকাত নিজের খুশি মত নির্ধারণ করেন।
আমি নির্ধারণ করতে যাব কেন? আমি পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সিস্টেমের মধ্যেই আছি; অন্য লোকদের সহিত আমি হানাফী মত অনুসারেই তো পালন করতেছি সমস্যা তো হইতেছে না। তবে আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ ছাড়া আর কেহ বিধান দেবার যোগ্য নহেন।

সবচেয়ে বড় কথা- আপনি সহজ সরল উপায়ে চিন্তা করতে চাচ্ছেন না। বক্র পথ বেছে নিয়েছেন, তাই আপনার সাথে তর্ক করা আমার বৃথা সময় নষ্ট হবে।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তারমানে আপনি ঈদ পালন করেন না, ফেতরা দেন না, জুম্মার নামাজ পড়েন না (কারণ কয় রাকাত এবং কখন পড়তে হবে সেটা আপনি জানেন না), কোরবানি দেন না (কারণ কখন দিতে হবে জানেন না), কুকুরের ও শকুনের মাংসকে হালাল মনে করেন। আর যদি করে থাকেন মানুষের দেখাদেখি কালচার হিসাবে করে থাকেন। কোন ধর্মীয় দলিল আপনার কাছে নাই।

হানাফি মাজহাব তো হাদিসের উপর নির্ভরশীল কোরআনের পাশাপাশি। আপনি তাহলে হাদিস মানেন। আপনার কথায় দুই রকম হয়ে যাচ্ছে।

১৩| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আলাদা আলাদা করে নামাজের কথা বললেন নেকো?
হাদিস আর সুন্নাহ ছাড়া কোরআন দিয়ে কোনো নামজই পড়া সম্ভব না। কারণে কোরআনে নামার পড়ার নিয়ম উল্লেখ নেই।

২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পাঞ্জেগানা নামাজের কথাও বলা উচিত ছিল। কারণ এরা রাকাত মানে না এবং নামাজের মধ্যে কি কি কাজ ফরজ এবং হারাম তাও ভালো করে জানে না। এদের অনেকে মনে করে নামাজ হোল আত্মিক একটা ব্যাপার। তাই নিজের মত পড়লেই হোল।

১৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:০০

বিষাদ সময় বলেছেন: কুরআন এর পরে যদি মাযহাব এর গুরুত্ব দেয়া হয় তবে কি কোন সমস্যা আছে?

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে মাজহাব কোন দলাদলি না। ৪ মাজহাবের কেউ বলেন নি যে আমার মাজহাব অনুসরণ কর। বরং ওনাদের কয়েকজন বলেছেন যদি তোমরা আমার দেয়া ফতোয়ার চেয়ে উত্তম কোন কিছু হাদিস বা কোরআন থেকে পাও তাহলে আমারটা পরিত্যাগ করবে। ওনাদের জীবিত অবস্থায় ওনারা কেউ মাজহাব চালু করেন নি। কিন্তু যেহেতু ওনারা অনেক জ্ঞানী ছিলেন তাই সুবিধার জন্য সাধারণ মুসলমানেরা মাজহাব অনুসরণ করে। মাজহাবের ভিত্তি হোল কোরআন আর হাদিস। তাই কোরআনের পরেই এটার স্থান হবে। পরিষ্কার হাদিস থাকলে সেটাই মানতে হবে।

মাজহাব মানতেই হবে এমন না। মাজহাবের উদ্ভব হয়েছে অনেক পরে। কোরআন আর হাদিসের আলোকেই ইমামরা বিভিন্ন বিষয়ে ফতোয়া দিয়েছেন যেগুলির ব্যাপারে আল্লাহ বা আল্লাহর রসূল সরাসরি কিছু বলে যাননি। মাজহাব হল, কোরআন-সুন্নাহর অস্পষ্ট আয়াত ও হাদীস গুলুর ব্যাখ্যা মাত্র। রসূল (সা) একই বিষয়ের উপর দুই ধরণের অনুমতি দিয়েছেন অনেক সময়। তাই মাজহাবগত পার্থক্য কোন সমস্যা না। এটা নিয়ে দলাদলিও করা যাবে না।

মাজহাবগত পার্থক্যের কিছু কারণ আছে। যেমন ঐ সময় সকল ইমামের কাছে সকল হাদিস পৌছায় নাই। একাধিক নিয়ম অনেক ক্ষেত্রে ইসলামে অনুমোদিত। অনেক বিধান ছিল যেগুলি প্রথমে এক রকম ছিল কিন্তু পরে পরিবর্তন করা হয়েছে। যারা পরেরটা জানেন না তারা প্রথমটাকে সঠিক মনে করছে। যেহেতু মাজহাবে মুলত এমন বিষয় এসেছে যে বিষয়ে সরাসরি কোরআন বা হাদিসে কিছু নেই তাই অনেক ক্ষেত্রে মত পার্থক্য হয়েছে। তখন কোরআন বা হাদিসের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে মত পার্থক্য হয়েছে।

মাজহাবে ইসলামের মূল আকিদাগত কোন পার্থক্য নেই। মাজহাব অনুসরণ করাও দোষের কিছু না আবার কেউ যদি মাজহাব না মানে তাতেও কোন সমস্যা নেই। আসলে এগুলি নিয়ে দলাদলি করা ঠিক না। এগুলি বড় কোন বিষয় না।

১৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৪৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


হাদিস নিয়ে মুসলিম দেশসমূহের সম্মেলন করা দরকার।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন আর সুন্নাহর আলোকে দেশ পরিচালিত হয় এমন দেশ পৃথিবীতে নেই বললেই চলে। আমাদের দেশ সম্ভবত তৃতীয় বৃহত্তম মুসলমান অধ্যুষিত দেশ যেখানে মুসলমানরা সংখ্যা গরিষ্ঠ। কিন্তু আমাদের দেশ চলে সেকুলার আইনে। তাই এই ধরণের সম্মেলন হওয়ার সম্ভবনা কম। পৃথিবীতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এখন ইসলামকে খুঁজে পাওয়া যায় না। আপনার প্রস্তাব ভালো কিন্তু এটাকে বাস্তবায়ন করার মত একতা মুসলমানদের নেই।

১৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৫১

শার্দূল ২২ বলেছেন: আমি কিছু যায়গায় বলেছি আমার আগের মত ধর্য্য নেই, আর সময় একিবারেই নেই, সকাল ৬ টা থেকে রাত ১২ টা পর্যন্ত কাজে থাকি। তাই কোন বিষয় নিয়ে কথা উঠাতে চাইনা কারণ আমি তা নিয়ে ১০ মিনিট এর বেশি কন্টিনিউ করতে পারিনা, এই জন্য আমি সামু ছেড়ে দিয়েছি। যাই হোক ভাবলাম লাঞ্চ করতে করতে আপনার কমেন্টের জবাব দেই। আবার আরেকটা সমস্যা উপরের কমেন্ট দেখেন অনেক বানান ভুল, আবার কিছু সংযুক্ত অক্ষর তুলতে পারিনা ভুলে গেছি।

ইমাম মুয়াত্তা মালেক হলেন ইসলামের প্রথম হাদিস সংগ্রাহক সাহাবিদের পরে। উনি একজন তাবেইন, উনি নবিজি চলে যাওয়া ৭০ বছর পর জন্ম নেন, তিনি প্রায় ১ লক্ষ ১৯ হাজার কম বেশি হাদিস সংগ্রহ করেন। কোরাণের সাথে মিলিয়ে এবং ওনার বিচার বুদ্ধি বোধ দিয়ে উনি দেখলেন এখানে এক লক্ষ এক হাজার মিথ্যা কথা যা নবিজি বলতে পারেননা বা বলেননি, উনি ১৮০০ হাদিস সত্য বলে মনে করেন। এর ৪ শত বছর পর বোখারী সাহবে আসেন তারও পরে তিরমিজ সাহেব এবং অন্যান্যরা। এখন আমার এই প্রশ্নের জবাব দেন সালফে সালেহিনদের সময়ে নবিজির বিদায়ের মাত্র ৭০ বছরের মধ্যে এবং মদিনাতেই যদি নবিজির নামে ১ লক্ষ কথা মিথ্যা ছড়ানো হয় তাহলে ৪ শ বছর পরে কি অবস্থা হতে পারে?
একটু ঠান্ডা মথায় ভাবুন তো বিচারের দিনে বোখারি সাহেব কে আল্লাহ আপনাকে জিগগাসা করবে ? আপনার কেন মনে হলে কোরাণের সাথে আল্লাহ বোখারি সাহেবের বক্তব্যকে পাশাপাশি দাড় করাবে? হাদিস আপনি মানুন আমিও মানি যা কোরাণের সাথে সংগত।
আপনি কি জানেন আল্লাহ নবিজি কে সাহাবিদের নিয়ে সতর্ক করেছেন? আল্লাহ বলছেন "আপনি যাদের ইমানদার ভাবছেন তাদের মধ্যে কিছু বেইমান আছেন আপনি জানেননা আমি জানি " আপনি কি বুঝতে পারছেন নবিজির কথা কাদের হয়ে আপনার মাথায় ঢং ঢং করে ঘন্টা বাজাচ্ছে?

আপনি যদি বলেন আপনি হাদিস দিয়ে আনন্দ করবেন তো করেন , যান ৬ বছরের একটা মেয়েকে বিয়ে করে তার শরীর খুলেন, এর পর আয়নায় গিয়ে দাড়ান নিজেকে কোন অংশে হায়নার চেয়ে কম লাগছে আমাকে জানান। যুদ্ধে হেরে যাওয়া কিংবা মরে যাওয়া শত্রুর বউ বা মেয়ে বা মা বা বোনকে ধরে নিয়ে এসে বলেন এটা গনিমতের মাল আপনার জন্য হালাল। নারিটি কাদছে আপনি তার উন্নত বক্ষের দিকে তাকিয়ে মুসকি হাসেন আনন্দ করেন,। আর এসব করতে হাদিস লাগবে কেন আপনি এমনি করেন। হাদিস দিয়ে হালাল করে খাওয়ার কি দরকার। আমরা এমনি মুসলিম যে পকেটে হারাম টাকা নিয়ে হাদিসের হালাল মাংসের দোকান খুজি।

তবে আপনার পোষটের পক্ষে আমি, হাদিসের জন্মই হয়েছে আনন্দের জন্য, চলেন আনন্দ করি।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক জাল হাদিস ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু হাদিস যেহেতু যত্ন করে রাখা হয়েছে প্রথম থেকেই তাই সহি হাদিস সনাক্ত করা গেছে।

আপনি সাহাবীদের মধ্যে যাদের বেইমান বলছেন তারা ছিল মুনাফিক। কারা মুনাফিক এটা তাদের আচরণের দ্বারাই বোঝা যেত। এখন যেমন আমরা রাজাকার চিনে ফেলি।

৬ বছরের মেয়েকে আমাদের রসূল (সা) বিয়ে করেছিলেন। তাই আপনি আসলে রসুলকে (সা) কটাক্ষ করলেন। বুঝে শুনে করেছেন কিনা জানি না।

কোরআনে মেয়েদের বিয়ের বয়স সম্পর্কে কি আছে আমাকে একটু বলেন। হাদিস যেহেতু মানেন না। আর আপনি আসলে যুক্তি খণ্ডনের চেয়ে গরম হয়ে বাজে কথা বলতেই বেশী পছন্দ করেন। মানুষের আচরণ থেকে তার সম্পর্কে ধারণা করা যায়।

১৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:০০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হাদীস এবং কোরান দুইটি স্বতন্ত্র জিনিস।

লিখিত হাদীস নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। রাসুল সাঃ যা বলেছেন বা যা করেছেন সেটাই হাদীস বা সুন্নত নয়। আমার ধারনা, (আল্লাহ ভালো জানেন) দ্বীন প্রচারের স্বার্থে, মানব কল্যানে তিনি যে সকল কাজগুলো করেছেন, সেগুলোই মূলত সুন্নাহ।

যেমন রাসুল সাঃ এর জামানায় উঠে করে তিনি চলাচল করতেন, তার নিজস্ব একটি উট ছিলো - তাহলে উটে চড়া বা উট পালা কি সুন্নত হবে? রাসুল সাঃ এক সময় পশু চড়িয়েছেন আবার ব্যবসাও করেছেন। অথচ সমাজে শুধু ব্যবসাকে সুন্নত বলা হয়, পশু চড়ানোকে কেন না?

হাদীস সংরক্ষন ধারনাটি কোন নতুন কিছু নয়। খ্রিস্টানরা জিসাস ক্রাইস্ট বা ঈসাঃ এর সহচর বা সাহাবীরা কিন্তু তার বিভিন্ন বানী ও ঘটনা সংরক্ষন করেছেন। মূল বাইবেল বা ইঞ্জিল শরীফের পর গসপেলকে ধরা হয় ক্রাইস্টের বানী সংকলন অর্থাৎ ঈসা আঃ এর বানী সংকলনকেই বলা হয় গসপেল।

ঠিক এই ধারার অনুসারে রাসুল সাঃ এর বানীও সংরক্ষন হওয়া শুরু হয়। ফলে ইসলামে হাদীসের গুরুত্ব ঐতিহাসিক বই হিসাবেই উপযুক্ত, ইসলামের জন্য নয়। আল্লাহর নবী তাঁর বানীগুলো সাধারন মানুষের কাছে মৌখিক প্রচারে অনুমুতি দিয়েছেন, কিন্তু লেখার ক্ষেত্রে বারন করেছেন কারন তখন কোরান সংকলন চলছিলো।

হাদীস সংকলন যদি তারিখ বা দিন বা সময় যদি উল্লেখ্য থাকত, তাহলে কোন হাদীস কোন প্রেক্ষিতে বলা হয়েছে, সেটা নিয়ে বিভ্রান্তি কম হতো। যেমন বিদায় হজ্জের ভাষন ও গাদিরে খুমের ভাষন। বিদায় হজ্জের ভাষন নিয়ে অনেক মিথ্যাচার ও অপব্যাখ্যা আছে। আমাদের মত বালুকনা জানা ব্লগার মানুষ না, একেবারী ইসলামী পড়াশোনা করা স্কলাররা এই নিয়ে আলাপ করেছেন। পাশাপাশি, ক্ষমতা অর্থাৎ রাজনৈতিক কারনে ইসলামে বেশ কিছু বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এই সব নিয়ে অনেক জ্ঞানী জ্ঞানী মানুষ পর্যন্ত শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চায়। আমাদের ব্লগেও এমন দুই একজন আছেন। অথচ তারা প্রচলিত ধারনা থেকে বের হয়ে এসে, ইসলাম রক্ষার নামে যদি সঠিক ভাবে জেনে আমাদেরকে জানালে ইসলামের প্রকৃত উপহার হতো। শাক দিয়ে মাছ ঢাকায় ইসলামের কোন উপকার নাই।

আর একটি বিষয় - অনেকেই বলেছেন হাদীস ছাড়া নাকি নামাজ সম্পর্কে জানা যায় না।
ওয়েল, নামাজ পড়ার প্রচলন তো বহু আগে থেকেই ছিলো। :)
হযরত ইব্রাহিম আঃ তো নামাজ সম্পর্কে আল্লাহর কাছে জানতে চেয়েছিলেন। তিনি দোয়াও করেছেন।

হে আমাদের রব। আর আমাদের উভয়কে আপনার একান্ত অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধর হতে আপনার এক অনুগত জাতি উত্থিত করুন। আর আমাদেরকে ইবাদতের নিয়ম পদ্ধতি দেখিয়ে দিন এবং আমাদের তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনিই বেশী তাওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। - সুরা বাকারা, আয়াত ১২৮

আবার সুরা ইব্রাহিমের ৪০ নাম্বার আয়াতে হযরত ইব্রাহিম তো তিনি সরাসরি আল্লাহকে দোয়ার মাধ্যমে বলেছেন বলে উল্লেখ্য আছে। তিনি বলেন, হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নামায প্রতিষ্ঠাকারী বানাও এবং আমার বংশধরদের মধ্য হতেও। হে আমাদের প্রতিপালক! আমার দুআ কবুল কর।

এটা প্রমান করে - নামাজের ব্যাপারটি পুর্ব হতেই মানুষের কাছে পরিচিত! (সুবাহানল্লাহ)
অথচ এই নামাজ প্রতিষ্ঠা নিয়ে আমরা কত হাদীস শুনেছি! যদি আমাদের কার্যক্রম এ না আবার মনে হয় কারো ঈমান হরনকারী, ফিতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টিকারী তাহলে ভিন্ন কথা কিন্তু খোলা মনে ভাবলে নামাজ কিভাবে আসলো এই নিয়ে হাদীস আর কোরানের বক্তব্যের মধ্যে অনেক কন্ট্রাডক্টরী দেখা যায়।

মানুষ আগের চাইতে বেশি পড়াশোনা করছে, জানার চেষ্টা করছে। ফলে ইসলাম সহজ হচ্ছে, কঠিন নয়।

অনেকেই মনে করেন আমাদের নবী সাঃ ইসলাম ধর্মের প্রবতর্ক। কোরানু অনুসারে কথাটি ভুল।

Then We revealed to you, [O Muhammad], to follow the religion of Abraham, inclining toward truth; and he was not of those who associate with Allah. (16:123)

আরো একটি বিষয় উল্লেখ্য করিঃ

Those were the ones upon whom Allah bestowed favor from among the prophets of the descendants of Adam and of those We carried [in the ship] with Noah, and of the descendants of Abraham and Israel, and of those whom We guided and chose. When the verses of the Most Merciful were recited to them, they fell in prostration and weeping. (19:58) But there came after them successors who neglected prayer and pursued desires; so they are going to meet evil. (19:59)

দেখা যাচ্ছে, হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর সময়ের আগেও মানুষ নামাজ সম্পর্কে জানত এবং পড়ত।

আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথ দেখাক, রাসুল সাঃ এর সঠি সুন্নাহ উপলব্ধি করার তৌফিক দিন।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রসূল (সা) যে হাদিস লিখতে বারণ করেছেন সেটা আপনি তো হাদিস থেকেই জানলেন। তাহলে বোঝা যাচ্ছে হাদিসের গুরুত্ব আছে। হাদিস ছাড়া জানাও যাচ্ছে না রসুল (সা) বারণ করেছিলেন কি না। তাই হাদিসের গুরুত্ব আপনিও বুঝেছেন। আবার রসুলের (সা) মৃত্যুর কয়েকদিন আগে তিনি সাহাবীদের কিছু লিখে দিতে চেয়েছিলেন। তারমানে ঢালাওভাবে হাদিস লেখার উপর নিষেধাজ্ঞা ছিল না। এছাড়াও সহি হাদিসেই আছে আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে রসূল (সা) হাদিস লেখার অনুমতি দিয়েছিলেন। হাদিস না থাকলে রসুলের আদেশ, নিষেধ জানার কোন উপায় নাই।

হজরত ইব্রাহীমকে (আ) ইসলাম ধর্মের পিতা বলা হয়। তবে আল্লাহই সব নবী এবং রসূল পাঠিয়েছেন। তবে বিভিন্ন রসুলের জমানায় তাদের শরিয়ার ক্ষেত্রে ছোটখাটো ভিন্নতা ছিল। মূল আকিদা এক ছিল।

নামাজ, রোজা, হজ যে আগের যুগেও পালন করা হত সেটা কোরআনেই আছে। কিন্তু তারা কিভাবে পালন করত সেটা জানার কোন উপায় ছিল না। এই কারণেই রসূল (সা) তার কাছ থেকে নামাজ এবং হজ শিখে নিতে বলেছেন। আরবের কাফেররাও হজ পালন করতো। অনেক ক্ষেত্রে তারা উলঙ্গ হয়ে কাবা তাওয়াফ করতো। তাই ইসলামের বিধান রসুলের (সা) কাছ থেকে শিখতে হবে।

হাদিস না মানার কারণে অনেকে এখন মনে করছে হজ্জের সময় শয়তানকে পাথর মারা একটা বিদআত। হজরে আসওয়াদে চুমা খাওয়া হারাম। দরুদ পড়া শিরক। কালিমা তারা বদলে ফেলতে চাচ্ছে। তারা বলতে চাচ্ছে এগুলি মানুষের বানানো।

১৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫৬

শার্দূল ২২ বলেছেন: আল্লাহ কোরাণে আলেম মানে জ্ঞানি মানুষের কথা হাজার বার বলেছেন, নিরিবিচ্ছিন্ন এবাদত কারি ফেরেস্তা থাকার পরও আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন। কারণ ফেরেস্তার চেয়ে আল্লাহ আদমকে বেশি জ্ঞান দান করেছেন। আল্লাহ সেই জ্ঞানি মানুষের উপর ভরসা করেন। আপনি যদি সব কিছু হাদিস আর কোরাণ দিয়ে জানতে হয় তাহলে মগজ খুলে সোকেসে রেখে দিন। বকধার্মিক দেশে হুজুরকে প্রশ্ন করে গোসল কি কাপড় খুলে করা যায়েয নাকি না যায়েয ,স্বামি স্ত্রী একসাথে কাপড় খুলে গোসল করতে পারে কিনা। হুজুরও মাশাললাহ এসবের জবাব দেন মাশালা লাগিয়ে। কোরান বলছে তোমার তোমার স্ত্রী তোমার কাছে জমির মত তুমি যখন ইচ্ছে যাও। আপনি কি কোর্ট প্যান্ট সু লাগিয়ে জমি চাষ করতে জাবেন নাই নেকড যাবেন সেটা আপনার বিবেক।

এবার আসুন আপনার শিয়াল কুকুর খাওয়া নিয়ে আপনার যত সমস্যা- এর আগে তথ্যা দেই। আবার বলতে যায়েননা হাদিস বিশ্বাস করিনা তো এই খবর কই পেলাম, হাদিস হলো আমাদের ইসলামের ইতিহাস। আমরা ইসলামের সুন্দর দিক গুলো ইসলামের ইতিহাস থেকে শুনে সুখ পাবো শিক্ষা নেবো, যেই ইতিহাস আমাদের আলাদা করবে, পাড়ায় আলাদা আলাদা মসজিদ বানাবে সেই ইটিহাস আমাদের দরকার নেই। হাত নাভির উপরে বানবো নাকি নাভি তুলে ফেলে দেবো সেই নিয়ে যাদের চিনতা তাদের ডাষ্টবিনে ছুড়ে দেই আমি।

আরব দেশে সান্ডা নামের একটা প্রানী আছে মরুভুমিতে বাস করে, সেটা আরবরা খায় সেক্সুয়াল পাওয়ার বাড়ানোর জন্য, ওনাদের সেক্স খুব জরুরী বউ ৪টা থাকে তাও আবার কম বয়সের, এত কম বয়সের মেয়ের সাথে বুড়া বেটারা পারেনা, আরে বাপ তোর শরিররের ক্ষমতা অনুযায়ী বয়স মিলে এমন মেয়ে বিয়ে কর। মাত্র উঠতি বয়সের যৌুবনের চাপ নিতে তুই কেন যাস, আর নারী বড় হবে পড়ালেখা করবে সংসার সম্পর্ক বুঝবে তারপর বিয়ে করবে, হাদিসের দড়ি দিয়ে ৬ বছরেরে মেয়েকে টেনে হিছড়ে ঘর থেকে বের করে সংগমের সংঘাতে রক্তাক্ত করার মানসিকতা তোমার কিভাবে হয়? তোমাকে কোরাণ দিয়ে বোঝাতে হবে মেয়েটার শরির তোমার চাপ নিতে পারবেননা। এতটা লুইচ্ছা বলদ তুমি কেন হইলা ভাই? (আপনাকে বলিনি)( আমি যে নবিজি কে চিনি তিনি ৬ বছরেরে মেয়েকে বিয়ে করেননি)
সে যাইহোক একদিন এক সাহাবি সান্ডা রান্না করে নবিজিকে দিলো নবীজি বললো "তোমরা খাও আমি খাবোনা, এই প্রানিটি র প্রতি আমার রুচি আসেনা। আমি বলবোনা এটা হারাম কিন্তু আমি খাবোনা", আমাদের নবিজি পেয়াজ খেতেননা, কারন পেয়াজের গন্ধ জিব্রাইল আ: নিতে পারতেননা। জিব্রাইল আ: কুকুর থেকে দুরে থাকতেন। হয়তো উনি বাঘ ভাল্লুক থেকেও দুরে থাকতেন । কিন্তু সেটা বুঝবো কিভাবে নবিজির আসে পাশেতো বাঘ ভাল্লুক ছিলোনা। যাই হোক আপনি নিজেই বলছেন হিংষ্র প্রানি। যেই পশুকে দেখলে আপনি লুঙ্গি খুলে দোড় দেন সেটা খেতে যাবেন কেন? দুনিয়াতে কি গরু ছাগল মুরগি কম পড়েছে?যেই হারে মানুষ গরু ছাগল হচ্ছে দিন দিন তাতে গরু ছাগল না খেলে পৃথিবিতে জায়গা কমে যাবে, নিরিহ প্রানি ফেলে আপনি বাঘ ভাল্লুক সাপের দিকে নজর গেলো কেন? যেই সাপ কামড় দিলে আপনি মরবেন তাকে ধরে খাবেন কি খাবেননা সেটার জন্য আপনি হাদিস খুজেন কেন? আর আপনি যদি মহা বীর দুর্বলসিং হন যান ধরে খান আপনাকেতো নিষেধ করেনি কেউ।

আমার টাইপিং অনেক সময় লাগে, পরের প্রশ্ন নিয়ে আসবো আবার, এবার একটু কাজ করি, আপনাকে অপমান করে কোন কথা বলছিনা,এর কারন আছে একটা, সেটা বললামনা।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নবীজির (সা) যে কথাগুলি বললেন সেগুলি নিশ্চয়ই হাদিস থেকে জেনেছেন। তার মানে আপনাকেও হাদিসের উপর নির্ভর করতে হয়। তবে জাল হাদিস থেকে বলেছেন কি না সেটা বলতে পারছি না এই মুহূর্তে।

খাওয়ার ব্যাপারে সব কিছু মানুষের উপর ছেড়ে দিলে কোরআনে কেন আল্লাহ হালাল আর হারাম খাবারের তালিকা দিয়েছেন। এই কারণেই আপনাকে কোরআন আর হাদিস থেকে জানতে হবে কোনটা খাওয়া যাবে আর কোনটা যাবে না। সব মানুষের উপর ছেড়ে দিলে আল্লাহ কোরআনে এত বিস্তারিত বর্ণনা করতেন না। বলতেন যে তোমরা যেটা ভালো মনে কর সেটা খাও।

হিংস্র প্রাণী মানুষের ক্ষমতার মধ্যে। অনেক মানুষ হিংস্র প্রাণীও খায়।

সমস্যা হোল আপনি টু দা পয়েন্ট কোন কিছু বলেন নি। পোস্টে আমি অনেকগুলি বিষয় এনেছি। আপনি হাবিজাবি অনেক কিছু বলেছেন যেগুলি আমার পোস্টে আমি বলিনি। যুক্তি প্রদর্শন না করে হুজুরদের উপর আপনার পূর্বের কোন রাগ এখানে ঢালার চেষ্টা করেছেন। আরেকটা সমস্যা হোল হাদিস নিজের সুবিধা মত মানছেন।

৬ বছরের বাচ্চাকে তো এখন থেকে ১০০ বছর আগেও অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি বিয়ে করেছেন। পৃথিবীর ইতিহাস ঘেটে দেখলেই পাবেন। আপনিও নিশ্চয়ই জানেন। ১০০ বছর আগে মানুষ কি অসভ্য ছিল নাকি। এই যুগে হয়ত ব্যাপারটা অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। কাজেই এগুলি কোন গুরুত্বপূর্ণ এবং সমালোচনার বিষয় না। আপনি মূল বিষয় বাদ দিয়ে এগুলি নিয়ে টানাটানি করছেন।

আমার সাথে আশা করি ভদ্র ভাষাতে কথা চালিয়ে যাবেন। অন্যথায় কথা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না। আপনি আমাকে চেনেন না আমিও আপনাকে চিনি না। আর মাথা গরম লোকের সাথে আসলে কথা বলে লাভ হয় না।

১৯| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:২৬

শায়মা বলেছেন: বাপরে!!!

তোমরা হাদিস কোরআন নিয়ে এত জানো!

সত্যি আমি অবাকের উপর অবাক!

চুয়াত্তর ভাইয়ু, জ্যাকেল ভাইয়ু, কাভা ভাইয়ু, শার্দূল!!!!

কিন্তু কেউ আমার চুয়াত্তর ভাইয়ার সাথে ঝগড়া করবা না বললাম!! :(

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি সত্যিই আমার আপু। তাই বিপদে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন। কেউ এখানে দাড়াতে চায় না।

আপনি খুব ভালো মেয়ে। :)

আপনার জীবনের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ কামনা করছি। আপনি যেন আরও অনেক বড় হন। ভালো থাকবেন।

২০| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:৪৭

শায়মা বলেছেন: আরও বড় হবো!!

এরপর তো বড় হওয়া যায় না ভাইয়া। বুড়ি হওয়া যায় শুধু! :(

আর বিপদ হবে কেনো?
ব্লগে তো আলোচনা সমালোচনা হবেই। যার কাছে ভুল মনে হবে বলবেই। যে সঠিক মনে করবে খন্ডাবে। নইলে ভুল স্মীকার করে নেবে।

এসব তো বিপদ না।

শুধু বললাম আমার প্রিয় ভাইয়ার সাথে যেন ঝগড়া না করে কেউ। :P

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের কাছে আপনি কখনও বুড়ি হবেন না। :) আপনার মন চির সবুজ থাকুক এই কামনা করছি।

আর বড় হওয়া মানে হোল আপনি আরও সম্মানিত হন, আরও শ্রদ্ধার পাত্র হন, ক্যারিয়ারে আরও ভালো করুন ইত্যাদি।

আমিও তো চাই সবাই যুক্তিখণ্ডন করুক। কিন্তু অশ্লীল আজে বাজে কথা যেন না বলে। যে বলবে তার সম্পর্কেই তো মানুষ খারাপ ধারণা করবে।



২১| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৩:০৬

শায়মা বলেছেন: না নিশ্চয় কেউ তা করবে না।

ভাইয়া তোমার মন্তব্যে একটা কথা মনে পড়লো।

আজকের মানে গতকালের মানে ২৯ শে জুলাই এর যায় যায় দিন সাহিত্য পাতাটা চেক করো। :)

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৩:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: 'প্রেম করে বিয়ে করার ৪ সুবিধা' এই লেখাটা পেলাম এবং পড়লাম সাহিত্য পাতায়। :)

আসলেই প্রেম করেই বিয়ে করা উচিত। :)

২২| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৩:১৯

শায়মা বলেছেন: ঐ ভাইয়া। X((

তোমাকে সেই লেখা পড়তে বলেছি!!!!!!!

এটা পড়তে বলেছি।


৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৩:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কবিতাটা কয়েকবার পড়লাম। খুব ভালো লেগেছে। চারুলতার মত অনেক মেয়ের জীবনে এখন কোন সাধ আহ্লাদ নেই। জীবনটা হয়ে গেছে আটপৌরে।

যায় যায় দিনে মনে হয় লাইক বাটন নাই। তাই দিতে পারলাম না।

তবে কবিতার নাম 'চারুলতা ও একটি মান্দার গাছ' দিলে আরও ভালো হত। :)

তবে কবিতা কিন্তু আসলেই ভালো হয়েছে। :)

২৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৩:৩৮

শায়মা বলেছেন: হা হা আবার সেই মান্দার গাছ!!

তুমি এক কাজ করো কালকেই তোমার বাড়ির উঠোনে লাগাও একখানা মান্দার গাছ।

তারপর ভাবীর নামে একখানা কাব্য লেখো।

তোমার হাদীস কালামের পোস্টে এমন সব কমেন্ট কিন্তু নাউজুবিল্লাহ আসতাগফিরুল্লাহ হয়ে যাবে। কাজেই মুছে দাও কমেন্টোগুলি। :)

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৩:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার এত সুন্দর কবিতা আর কমেন্টগুলি আমি মুছতে পারবো না। যে যত নাউজুবিল্লাহ বলুক না কেন। :)

শুভরাত্রি। :)

২৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৪:১৩

কামাল৮০ বলেছেন: আপনি মনে হয় ঘুরে আসছেন পরকাল থেকে।ওখানে কি কি হয় সব জানেন।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে নিয়ে একবার ঘুরে আসতে হবে।

২৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

রসূল সব হাদিস পুড়িয়ে ফেলতে বলেছিলেন।
বিভিন্ন কিতাবে লেখা আছে, কিন্তু গুগলে খুজে পাওয়া যায় না।(এটাও ইসলামিষ্টদের একটা নোংড়া রাজনীতি)

রসুল বার বার বলেছিলেন শুধু কোরআন ফলো করতে। কোরআন ইসলামের সম্পূর্ণ গ্রন্থ। এটা বুঝতে হাদসের প্রয়জন নেই। কোরান সবার জন্য সহজবোধ্য করে তৈরি করা হয়েছে। কোরআন সম্পূর্ণ জীবন বিধান।
এরপরে কে কি বলল না বলল কোন খলিফা কি করলো, কোন সাহাবী কি বলল কোন স্কলার কী বলল তা সেসব কোনোটিই গ্রহণযোগ্য নয়।

হাদিস পুড়িয়ে ফেলার পুর্বে এইসব প্রসংগে রাসুল সঃ এর কিছু মন্তব্য পাওয়া যায় সহীহ মুসলিম-এর কিছু অংশ থেকে:


"তোমরা আমার কোনো-কথাই লিখো না। কেউ কুরান ছাড়া অন্য কিছু লিখে থাকলে তা মুছে ফেল। তবে আমার কথা মুখে প্রচার করতে পার। এতে কোনো দোষ নাই। মুখে বললেও বর্ণনায় যেন কোনো মিথ্যা বলো না। যে আমার সম্পর্কে কোনো মিথ্যা বলবে, সে যেন জাহান্নামে তার আশ্রয় গ্রহণ করে।" ( মুসলিম, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৪)

একই বর্ণনাকারী থেকে আর একটি হাদিস: আমরা রাসুল সঃ থেকে কিছু আদেশ উপদেশ (কুরান ছাড়া অন্য কিছু) লিপিবদ্ধ করে রাখতে অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি অনুমতি দেন নি।
যায়দ বিন সাবিতও একই রকমের হাদিস বর্ণনা করেছেন।

পরে এইসব সাহাবি কর্তৃক রসুলের মুখে বর্নিত যা কিছু লেখা হয়েছিলো, সব পুড়িয়ে ফেলা হয়
(রেফ: মুসনাদে ইমাম আহমদ, ১ম খন্ড, পৃ. ১৭১, মজমায়ুজ জাওয়ায়িদ, ১ম খন্ড, পৃ.১৫২)

অর্থাৎ, রাসুল সঃ নিশ্চিত ভাবেই চাননি কোরানের মত হাদিস লিখিত রুপে থাকুক, এবং 'কোরানের সাথে মিশ খেয়ে রাজনীতি ব্যবসা করতে নতুন কোনো এক কিতাব তৈরি হোক' (আকিতাবু মাআ' কিতাবাল্লহি) ----তা স্পষ্ট। এটা নিয়ে মুসলমান স্কলার পন্ডিত কারো ভেতরে কোনো মতভেদ নাই।

রসুল এত কিছু বলার পরও ধর্ম ব্যবসায়ী রাজনৈতিক ইসলামিষ্ট দের শাসন লুন্ঠনের প্রয়োজনে ৩০০ বছর পর রসুলের বক্তব্য টেম্পার করে বিভিন্ন জ্বাল বাজাল ভেজাল হাদিস তৈরি হয়ে হাদিস বৈধতা দেয়া হয়।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ২৭ নং মন্তব্যে ব্লগার তানভির হাদিস লেখার স্বপক্ষে একটা হাদিস উল্লেখ করেছেন। এটা ছাড়াও আছে। নীচে দিলাম;

In the year of the Conquest of Mecca, the tribe of Khuza`a killed a man from the tribe of Bam Laith in revenge for a killed person belonging to them in the Pre-lslamic Period of Ignorance. So Allah's Apostle got up saying, "Allah held back the (army having) elephants from Mecca, but He let His Apostle and the believers overpower the infidels (of Mecca). Beware! (Mecca is a sanctuary)! Verily! Fighting in Mecca was not permitted for anybody before me, nor will it be permitted for anybody after me; It was permitted for me only for a while (an hour or so) of that day. No doubt! It is at this moment a sanctuary; its thorny shrubs should not be uprooted; its trees should not be cut down; and its Luqata (fallen things) should not be picked up except by the one who would look for its owner. And if somebody is killed, his closest relative has the right to choose one of two things, i.e., either the Blood money or retaliation by having the killer killed." Then a man from Yemen, called Abu Shah, stood up and said, "Write that for me, O Allah's Messenger (ﷺ)!" Allah's Messenger (ﷺ) said (to his companions), "Write that for Abu Shah." Then another man from Quraish got up, saying, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Except Al- Idhkhir (a special kind of grass) as we use it in our houses and for graves." Allah's Messenger (ﷺ) said, "Except Al-idhkkir." (Sahih al-Bukhari 6880)।

আবু হুরায়রা (রঃ) বলেন, এক আনসারী সাহাবী রাসুলের (স.) কাছে আরয করেলেন, হে আল্লাহ্?র রাসুল ! আপনি যা কিছু বলেন, আমার কাছে খুবই ভালো লাগে, কিন্তু মনে রাখতে পারি না। নবী করীম (স) বললেন, “তুমি ডান হাতের সাহায্য নাও” তারপর তিনি হাত এর ইশারায় লিখে রাখার প্রতি ইঙ্গিত করলেন, (তিরমিযী)

আবু বকর (রা) থেকে বর্ণিত একটা হাদিস সবাই উল্লেখ করে হাদিস পুড়িয়ে ফেলার পক্ষে কিন্তু এই হাদিসটার সনদে ত্রুটি আছে।
আপনি বারবার বলছেন ৩০০ বছর। আসলে এটা ৩০০ বছর না। আমি আগের মন্তব্যে উল্লেখ করেছি।

২৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: ঝগড়াঝাটি বাদ প্রতিবাদ হলেও আপনাদের আলোচনার সুত্র ধরে অনেক কিছুই জানতে পারছি।
ধন্যবাদ ভাই সাড়ে চুয়াত্তুর ও মন্তব্যকারী সুপ্রিয় ব্লগারগণ।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ শেরজা ভাই পোস্টটি পড়া এবং মন্তব্যের জন্য।

২৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৩৮

তানভির জুমার বলেছেন: যারা হাদিস কে অস্বীকার করে কিংবা ভিবিন্নভাবে হাদিস শাস্ত্র কে প্রশ্নবিদ্ধ করে তারা মূলত অন্য ধর্মের মত ইসলাম ধর্ম কে একটি ঐচ্ছিক ধর্ম বানাতে চায়। এইসব মানুষ কয়েক ধরনের হয় ১) হাফ নাস্তিক ২) ভুল মানুষের কাছ থেকে ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছে ৩) ইসলাম ধর্ম কে কাট-ছাট করে অধুনিক বানাতে চায়, ৪) ফুল নাস্তিক, ৫) কোনআন এবং হাদিস শাস্ত্রে জ্ঞান একেভারেই কম।

কিছু ব্লগার হাদিসের রেফারেন্স দেয় যে রাসূল (সা) হাদিস পিলিবদ্ধ করতে নিষেধ করেছেন, কিন্তু কোন সময় নিষেধ করেছেন, এবং কেন নিষেধ করেছেন, এটা তারা বলে না কিংবা জানে না, যখন সাহাবীদের রাসূল (সা) কোনআন মূখস্থ এবং পিলিবদ্ধ কারাচ্ছিলেন তখন কিছু সাহাবী কোরআন এবং হাদিস একই সাথে লিখি ফেলতেছিলেন এটা দেখে রাসূল (সা) হাদিস পিলিবদ্ধ করতে নিষেধ করেন। একটা সময়ের পরে ঠিকই আবার লিপিবদ্ধ করার অনুমতি দেন। রাসূল (সা) মূল উদ্দেশ্য ছিলো এটা নিশ্চিত করা যে লিখিত কোরানের সাথে তার কথা যেন মিশে না যায়।

পরবর্তীতে রাসূল (সা) হাদিস লিপিবদ্ধ করার আদেশের রেফারেন্স:

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস (রা.) বলেন, আমি নবী করিম (সা.) এর হতে শোনা প্রতিটি কথা সংরণের জন্যে লিখে নিতাম। এটি দেখে কুরাইশ সাহাবীগণ আমাকে এ কাজ করতে নিষেধ করেন। আমাকে তাঁরা বলেন-
أَتَكْتُبُ كُلَّ شَيْءٍ تَسْمَعُهُ، وَرَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَشَرٌ يَتَكَلَّمُ فِي الْغَضَبِ وَالرِّضَا؟

অর্থ: তুমি রাসূল (সা.) এর মুখে যা শোন তা সবই লিখে রাখ? অথচ রাসূল (সা.) একজন মানুষ। তিনি কখনও সন্তোষ ও কখনও রাগের মধ্যে থেকে কথা বলেন। (আবু দাউদ, কিতাবুল ইল্ম)

হজরত আবদুল্লাহ বলেন, অতঃপর আমি হাদীস লেখা বন্ধ করে দেই এবং একদিন রাসূল (সা.) এর নিকট বিষয়টি উপস্থাপন করি এবং বলি, ‘হে আল্লাহর রাসূল! কুরাইশরা বলে তুমি রাসূলের সব কথাই লিখছ? অথচ তিনি একজন মানুষ। সাধারণ মানুষের মত তিনি কখনও কখনও রাগান্বিত হয়ে থাকেন’। রাসূল (সা.) এ কথা শুনার সাথে সাথে নিজের দুই ঠোঁটের দিকে ইশারা করে বললেন-

اُكْتُبْ فَوَ الَّذِىْ نَفْسِىْ بِيَدِهِ مَا يَخْرُجُ مِنْهُ اِلاَّ الْحَقّ.

অর্থ: তুমি লিখতে থাক। যে আল্লাহর হাতে আমার প্রাণ তাঁর শপথ, আমার এই মুখ হতে প্রকৃত সত্য কথা ছাড়া কিছুই বের হয় না।

এ কথা শুনার পর হজরত আবদুল্লাহ (রা.) রাসূল (সা.) কে জিজ্ঞাসা করলেন-

يَا رَسُوْلَ اللهِ اَكْتُبُ كُلَّ مَا اَسْمَعُ مِنْكَ.

অর্থ: হে রাসূল (সা.) আপনার নিকট থেকে যা কিছু শুনতে পাই তা সবই কি লিখে রাখব? রাসূল (সা.) বললেন,...........(হ্যাঁ)। আবদুল্লাহ (রা.) পুনরায় জিজ্ঞাসা করলেন, ক্রুদ্ধ ও সন্তোষ উভয় অবস্থায় বলা সব কথাই কি লিখব? তখন রাসূল (সা.) চূড়ান্তভাবে বললেন-

نَعْمْ فَاِنِّىْ لاَ اَقُوْلُ فِىْ ذَلِكَ كُلِّهِ اِلاَّ حَقًّا.

অর্থ: হ্যাঁ এ সকল অবস্থায়ও আমি প্রকৃত সত্য ছাড়া কিছুই বলি না।

(দারেমী, আবু-দাউদ, মুসনাদে আহমদ, মুস্তাদরাকে হাকেম, জামে বায়ানুল ইলমে ইবানুল বার

৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তানভির জুমার ভাই অনেক ধন্যবাদ হাদিসের সুত্রগুলি দেয়ার জন্য।

আপনার উল্লেখিত পয়েন্টগুলিও গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ভালো থাকবেন।

রসূলের (সা) আদেশ আল্লাহতায়ালা মানতে বলেছেন। হাদিস ছাড়া সেটা জানার আর কি উপায় আছে। কোরআনে তো রসুলের আদেশ, নিষেধ, আদর্শ পাওয়া যাবে না।

২৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:৪১

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই লেখাটি ধর্ম বিষয়ক, কিন্তু পুরো লেখাটা পড়ে আমি এর মধ্যে কোন ধর্ম খুজে পেলাম না। যা আছে তা হলো বাহাদুরী, আমিই ঠিক, আমার পথই সঠিক আর সব ভুল এরকমের একটা মনোভাবজাত কিছু নিম্নমানের আলোচনা।

একজনের মন্তব্যের উত্তরে আপনি লিখেছেন "আপনি তো পরকাল আর ধর্ম মানেন না। এই বিষয়ে আপনার সাথে আলাপ করে কি লাভ।" এই লাইনটা পড়লে বোঝা যায় যে আপনি যে কোন রকমের চিন্তাশীল আলোচনার অযোগ্য।

আপনার এই বোধটাই তৈরি হয়নি যে, পৃথিবীতে নানা মতের, নানা ধর্মের এবং বিশ্বাসের মানুষ আছে। আমার চিন্তা, আমার বিশ্বাস ভিন্ন হলেও আরেকজন বাতিল হয়ে যায়না কোন ভাবেই। ভিন্ন মতের মানুষের সাথেও আমার ভাবের, চিন্তার, ধারনার আদান প্রদান হতে পারে, একটা সূক্ষ্ণ জায়গা থাকতে পারে যেখানে আমরা এক।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা একটা বিতর্কের স্থান। আপনি যুক্তি প্রদর্শন করে বলেন কোথায় আমি বেঠিক বলেছি। আপনি কোন যুক্তি উপস্থাপন ছাড়াই বলছেন যে আমি বাহাদুরি করেছি। আপনি যদি পোস্ট পড়ে থাকেন তাহলে আমাকে একটা পয়েন্টে অন্তত যুক্তি দিয়ে প্রতিহত করুন। নতুবা আপনার কথা তো অর্থহীন হয়ে যাবে।

আপনি সম্ভবত নিয়মিত ব্লগে আসেন না। তাই অনেকের ব্যাপারে জানেন না। যে ব্লগারের কথা উল্লেখ করেছেন উনি যে আল্লাহতে এবং পরকালে বিশ্বাস করেন না এটা তিনি প্রায়ই বলে থাকেন। ধর্ম বিদ্বেষী কথা উনি প্রায়ই বলেন, তবে ইদানিং চাপে পড়ে কমিয়ে দিয়েছেন। ওনার এই সব বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে ব্লগে সবাই জানে। তাই আপনি যা বলেছেন তা মুলত আপনার তথ্যের অভাবের কারণে। পুরোটা জানলে আপনি আমাকে এইভাবে বলতেন না।

ইসলামে নানা মত আছে। কিন্তু সীমালঙ্ঘনকারীদের ব্যাপারে ইসলাম সতর্ক করেছে। হাদিস মানা অপরিহার্য। কেউ ঢালাওভাবে হাদিস অস্বীকার করতে পারে না। কাদিয়ানীরাও নিজেদের মুসলমান মনে করে। আপনি নানা মত মানতে গেলে কাদিয়ানিদেরকেও মুসলমান বলবেন। কিন্তু সারা বিশ্বের মুসলমান স্কলারদের মতে কাদিয়ানিরা কাফের। সৌদি আরবে কাদিয়ানীদের প্রবেশ করতে দেয়া হয় না। তারা গোপনে হয়তো প্রবেশ করে।

হাদিস প্রত্যাখ্যানকারীদের ব্যাপারে জানতে আপনি নীচে লিঙ্ক দুটি পড়তে পারেন। প্রখ্যাত একটি ইসলামি সাইট এটি।
https://islamqa.info/en/answers/3440/the-misguided-sect-of-al-qur146aaniyyeen
https://islamqa.info/en/answers/9067/should-he-forsake-his-family-who-reject-the-sunnah

মতের পার্থক্য সত্ত্বেও আমি অন্য ধর্ম সম্পর্কে কখনই কটাক্ষ করিনি।

অনেক মুসলিম দেশে হাদিস পরিত্যাগকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শাস্তি দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডও দেয়া হয়। যেমন;

- In Egypt, Quranists face persecution, imprisonment, torture and exile.
- In Sudan, Quranist men were imprisoned and sentenced to death for only recognizing the Quran and rejecting the Sunnah.
- The Turkish Directorate of Religious Affairs (Diyanet) regularly criticizes and insults Quranists, gives them no recognition and calls them kafirs (disbelievers).
- In Saudi Arabia, Quranism is described as apostasy, therefore punishable by death.

২৯| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৩৭

কালো যাদুকর বলেছেন: হাদিসের মাধ্যমে কোরানের অনেক কিছু ব্যাখা করা হয়েছে। হাদিস হচ্ছেই আমাদের নবীর (সাঃ) এর জীবন বর্ননা। আমি মনে প্রানে মনে করি হাদিস ছাড়া ইসলাম ব্যাখা করা সম্ভব না।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও আপনার মতই মনে করি। ইসলামের একটি প্রতিষ্ঠিত জিনিসকে এখন অস্বীকার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

রসুলের আদেশ, নিষেধ, উপদেশ মানতে হলে হাদিস ছাড়া কোন রাস্তা নেই। কোরআনের ব্যাখ্যার দায়িত্ব রসূলকে (সা) আল্লাহ দিয়েছেন। কোরআনের তফসির লিখতে এবং অনেক বিধি নিষেধ জানতে হলে হাদিসের সাহায্য নিতে হয়।

৩০| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৪০

এভো বলেছেন: আপনি যে বিষয় গুলো নিয়ে এসেছেন, সেগুলো প্রতিদিন্রর বা মাসের বা সাপ্তাহের বা বৎসরের চর্চার বিষয়। এগুলোর অনেক কোরানের বাহিরে কিন্তু এগুলো নিয়ে কোন বিতর্ক নেই কারন এগুলো প্রমাণিত কিন্তু যে সমস্ত বিষয় ৩০০ বৎসর পরে লিখা হয়েছে সেগুলো নিয়ে বিতর্ক আছে।
সত্য কথা বলতে কি নামাজ পড়ার বর্ণনা বা অন্য বিষয় গুলোর পুংখানু খুটিনাটি হাদিসের ভিতরে ও নেই। আপনার উল্লেখ্য বিষয় গুলো যেহেতু প্রতি নিয়ত চর্চার বিষয়, তাই কোরান ও হাদিসের বাহিরে সংরক্ষিত হয়েছে চর্চার মাধ্যমে

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব কিছুই যদি চর্চা বলে চালিয়ে দেন তাহলে শিয়াদের অনেক নিয়ম কানুনও মানতে হবে। কারণ তারাও বলবে যে আমরা অতীতের চর্চা থেকে পালন করে যাচ্ছি। এই কারণেই কোরআন এবং হাদিসের একটা ভিত্তি থাকতে হবে যেটা থেকে জানা যাবে আমরা সঠিক পথে আছি কি না। একটা ষ্ট্যাণ্ডার্ড না থাকলে চর্চা বলে সব কিছু জায়েজ করে নেবে।

ভুল হাদিস, জাল হাদিস, দুর্বল হাদিস এগুলি এখন নির্ণয় করা যায়। হাদিস শাস্ত্র একটা বিশেষায়িত শাস্ত্র। আর হাদিস ৩০০ বছর পর সংগৃহীত হয়েছে এটা ভুল কথা।

৩১| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:০২

বিটপি বলেছেন: ১কোন হাদীসে যদি হাদীস পুড়িয়ে ফেলার আদেশ সম্পর্কিত কিছু থেকে থাকে, স্পষ্টতই সেটা জাল হাদীস। কারণ সেটা কুরআনের আদেশের বিপক্ষে যায়। কুরআনে সূরা বাকারা, নিসা ও তাওবাহর বিভিন্ন আয়াতে গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও দলিলাদি লিখিত আকারে সংরক্ষণ করতে আদেশ দেয়া হয়েছে। আর রাসূলের (স) বাণী ও কর্মকান্ড নিঃসন্দেহে ইসলামের অনুসারীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দলিল। কাজেই মুসলিম কেন, এ ধরণের হাদীস যদি বুখারিতেও থাকে, তবে তা সহীহ হিসেবে মেনে নেবার জন্য কারণ নেই।

আপনার একটা ভুল সংশোধন করে দেই। বাংলাদেশ তৃতীয় নয়, চতুর্থ বৃহত্তম মুসলিম দেশ। জনসংখ্যায় ইন্দোনেশিয়া (২৩ কোটি), ভারত (সাড়ে ২১ কোটি), পাকিস্তান (সাড়ে ১৯ কোটি) কোটির পরে বাংলাদেশের (১৫ কোটি) অবস্থান। এর পরের অবস্থানে আছে আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া (১০ কোটি)। প্রথমোক্ত চারটি দেশে সমগ্র বিশ্বের ৭০% এরও অধিক মুসলিম বাস করে।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১২:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাদিস পুড়িয়ে ফেলার কোন সহি হাদিস আসলে নেই। যেটার উল্লেখ করা হয় সেটার সনদ নিয়ে সমস্যা আছে। একজন বর্ণনাকারীর পরিচয় জানা যায় না। যদি ধরেও নেয়া হয় যে হাদিসটা সঠিক তারপরও হাদিসটা পড়লে দেখা যায় যে মুলত জাল বা সন্দেহ পূর্ণ হাদিস পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। এই হাদিস থেকেও বোঝা যায় যে হাদিস লেখা হত। কিন্তু পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে কারণ ঐ হাদিসগুলির সত্যতা নিশ্চিত করা যাচ্ছিল না।

আমি ভারতকে ধরিনি কারণ আমি বলেছি মুসলিম প্রধান দেশগুলির মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয়।

তথ্য দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩২| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০৮

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি নিজে কম বুঝি তাই তেমন আলোচনা করলাম না, তবে আপনি কিছু বিষয় পরিষ্কার করে দিলেন এখন যার মানার সে মানবে না মানার সে মানবে না !! ব্যাস !!!!

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে সেইটাই কথা। কাউকে তো জোর করে মানানো যাবে না। কিন্তু আমার যুক্তিগুলিকে চ্যালেঞ্জ না করে অনেকেই হাদিস ৩০০ বছর পরে লেখা হয়েছে এবং হাদিসের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলাপ করেছে। টু দা পয়েন্ট বিতর্ক হলে ভালো হত।

৩৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আসল কথাটা একজন বলেছেন। সব হাদিস জাল, আর হাদিস পুড়িয়ে ফেলার হাদিসটা সহিহ!!! হাস্যকর যুক্তি। আমার কাছে বরং হাদিস পুড়িয়ে ফেলার হাদিসটাই বানোয়াট বা জাল বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হচ্ছে। এসব জাল হাদিস এখন না পাওয়াটাই মঙ্গলজনক। হাদিস নিয়ে আমার মোটামুটি স্টাডি আছে, খুব বেশি না। কোনো প্রিন্টেড বইপুস্তকে হাদিস পুড়িয়ে ফেলার কথাটা আমার নজরে পড়ে নি (পড়বেই এমনটা অবশ্য দাবিও করছি না)।

হাদিস না মানাটা অনেকটাই মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়ে মাকে অস্বীকার করার মতো। অহী এবং হাদিস তো এক রাসূলুল্লাহ (সঃ )-এর মাধ্যমে/হতেই আগত/সৃষ্ট। তাহলে হাদিসের বাণী বা নির্দেশনা মেনে নিতে কষ্ট কোথায়? যারা এসব মানতে চান না, তারা নিঃসন্দেহে নিজেদের স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটবে বলেই মানতে নারাজ।

কোরান আর হাদিসের মধ্যে অসামাঞ্জস্যপূর্ণ কিছু না পাওয়া গেলে হাদিসের বাণী অবশ্যই মানবো; অসমঞ্জস বিষয়গুলো জাল, ওগুলো পরিত্যাজ্য।

আল্লাহ আমিসহ সবাইকে আসল বিষয়টা বোঝার তৌফিক দিন, এই কামনা করি।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সোনাবীজ ভাই আপনি একটা সুন্দর কথা বলেছেন;

'হাদিস না মানাটা অনেকটাই মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নিয়ে মাকে অস্বীকার করার মতো। অহী এবং হাদিস তো এক রাসূলুল্লাহ (সঃ )-এর মাধ্যমে/হতেই আগত/সৃষ্ট। তাহলে হাদিসের বাণী বা নির্দেশনা মেনে নিতে কষ্ট কোথায়? যারা এসব মানতে চান না, তারা নিঃসন্দেহে নিজেদের স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটবে বলেই মানতে নারাজ।'

১৪০০ বছরে আগের একজন রসূলকে মানতে হলে তো উনি কি বলেছেন সেটা জানতে হবে। হাদিস ছাড়া সেটা জানার আর কোন উপায় নাই।

৩৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কিছু কিছু হাদিসে সমস্যা আছে সত্যি, তাই বলে ঢালাওভাবে হাদিস বাদ দেয়া কোন ভালো মুসলমানের লক্ষণ হতে পারে না। কোরআন / হাদিস, দু'টাই মানতে হবে। আর সমস্যাযুক্ত / সাংঘর্ষিক হাদিসের ব্যাপারে নিজের বিচার-বুদ্ধি প্রয়োগ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটাই আমার মত। এসব নিয়ে আগে বিভিন্ন সময়ে বহু আলোচনা করেছি, এখন আর নতুন করে কিছু বলতে চাই না। আসল সমস্যা হলো, আমরা অনেকেই ইসলামের মূল বিষয়গুলো বাদ দিয়ে বেহুদা বিষয় নিয়ে তর্কে মাতি। এর কোন মানে নাই। কেউ যদি ফরজ ঠিক রেখে সুন্নত/নফল নিয়ে চিন্তা করে, ঠিক আছে। কিন্তু বহু মুসলমান আছে, ফরজের কোন খবর নাই, সুন্নত নিয়ে রাত-দিন এক করে ফেলে।

কেউ যদি শুধু কোরআন নিয়ে থাকতে চায়, থাকুক। শুধু হাদিস নিয়ে থাকতে চাইলেও থাকুক। হু কেয়ার্স!! যার জবাব তাকেই দিতে হবে। এসব পোষ্ট দিয়ে আপনি কারো চিন্তাধারা বদলাতে পারবেন বলে মনে হয় না।

আপনি বরং বিজ্ঞানকে ছ্যাড়াবেড়া করার যেই প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিলেন, সেটা আবার শুরু করেন। :P

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা বলেছেন;
'কিছু হাদিসে সমস্যা আছে সত্যি, তাই বলে ঢালাওভাবে হাদিস বাদ দেয়া কোন ভালো মুসলমানের লক্ষণ হতে পারে না।'

ছোটখাট বিষয় নিয়ে ঝগড়া করা ঠিক না। মুসলমানদের মিলেমিশে থাকতে হবে। আমি আকিদাগত ব্যাপার ছাড়া মতভেদজনিত ঝগড়া ঝাটি পরিহার করি। সব ধরণের ইসলামি দলের সাথে তাল মিলিয়ে চলার চেষ্টা করি।

কারও চিন্তা ধারা বদলানোর জন্য পোস্ট না। সমস্যা হোল অন্য অনেকে এই ভুল মত দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিপথে যেতে পারেন। ধর্ম ছাড়া অন্যান্য পোস্টগুলি আনন্দের জন্য বা সময় কাটানোর জন্য দিয়ে থাকি। কিন্তু ধর্মীয় পোস্ট দায়িত্ব হিসাবে দিয়ে থাকি যেন অন্তত ভুল জিনিস দ্বারা অন্যান্য মানুষ প্রভাবিত না হয়। অনেকে ধর্মের ব্যাপারে উদাসীন। তাই এদেরকে ভুল জিনিস দিয়ে প্রভাবিত করা সহজ।

বিজ্ঞান নিয়ে অচিরেই আবার লেখা শুরু করবো ইনশাল্লাহ।

৩৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৩৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আবার এলুম। ভুয়া মফিজের ৩৪ নাম্বার কমেন্টটা ফুল অব হিউমার হলেও, সবচাইতে বুদ্ধিদীপ্ত কমেন্ট মনে হলো। আর তার লাস্ট লাইনটা পড়ে হো হো করে হেসে উঠতে হইছিল :)

৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি এর আগেও আমাকে এইভাবে উৎসাহিত করেছেন বিজ্ঞান নিয়ে লেখার জন্য। কয়েক মাস আগে আমি বিজ্ঞান নিয়ে কিছু পোস্ট দিয়েছিলাম। মজা করে বলেছিলাম যে আইনস্টাইনের ভুল ধরবো। কিন্তু আইনস্টাইনের ভুল এখন পর্যন্ত আসলে পাওয়া যায় না।
তবে ভুয়া ভাই যেহেতু মজার মানুষ তাই ছ্যাড়াবেড়া শব্দটা উনি সার্থকভাবে জায়গা মত প্রয়োগ করেছেন। যার ফলে আপনি হো হো করে হেসে উঠেছেন। :)

৩৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

এভো বলেছেন: সব কিছুই যদি চর্চা বলে চালিয়ে দেন তাহলে শিয়াদের অনেক নিয়ম কানুনও মানতে হবে

আমি তো বলিনি শিয়াদের আকিদা অনুসরন করতে বরং আপনি চর্চার বিষয় গুলোকে নিয়ে এসেছেন হাদিস পালনের সঠিকতা প্রমাণ করার জন্য ।
সুন্নিদের চর্চার বিষয় গুলো প্রতিদিন বা সাপ্তাহ বা বৎসরে হয়ে এসেছে ১৪০০ বৎসর ধরে --- সে গুলো প্রমাণীত কিন্তু সেই সূত্র ধরে ৩০০ বৎসর পরে লিখা কাহিণী গুলোকে হাদিস হিসাবে কেন মানতে হবে ?
ঈমান বুখারি ১ লক্ষ কাহিণী সংগ্রহ করে ৬ হাজারকে হাদিস বলতে চেয়েছেন । ঈমাম বুখারীর ৬ হাজারের মধ্যে ১০০০কে মেনে ঈমাম মুসলিম বাতিল করে দিয়েছেন , আবার ঈমাম মুসলিমের সহি হাদিসের বেশির ভাগকে অন্য ঈমাম বাতিল করেছেন ।
এনার হাদিস গ্রহন বা বাতিল করার অথরিটি কোথায় পেলেন ?
একই ভাবে আমরা যদি কোরানের সাথে মিল আছে গুলো রেখে বাকি গুলোকে কেন বাতিল করতে পারি না ? ওনারা যদি গ্রহন বাতিল করতে পারেন , তাহোলে আমরা ও গ্রহন বাতিল করতে পারি তাদের সংগ্রহ ।
প্রতিদিনের চর্চার বিষয় গুলোকে ভিত্তি করে হাদিস পালন করার জন্য ভিত্তি তৈরী করার অপচেষ্ঠা সবার চোখে পরিষ্কার । সত্য কথা বলতে কি হাদিসের মধ্য নামাজ সহ অন্য নিয়মিত চর্চার বিষয় গুলোর ডিটেইল বলা নেই ।
কি ভাবে নামাজ পড়তে হয় কেহ জানত না , তারপর ৩০০ বৎসর পর ইরাণী ঈমাম সাহেবরা লিখেছেন, তাহোলে ঐ লিখা গুলো নিয়ে প্রশ্ন করা যেত কিন্তু নামাজ দিনে ৫ বার বিগত ১৪০০ বৎসর ধরে পড়া হচ্ছে ।
তাই বর্তমান পরিস্থিতে কোরানের সাথে মিলে বা কোরানের আয়াতের ব্যাখার হাদিস গুলো ছাড়া , সব গুলোকেই পরিহার করা উচিৎ ।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুন্নিদের চর্চার মধ্যেও মত পার্থক্য হয়েছে এবং হয়। তখনই হাদিসের প্রয়োজন হয় কোনটা সঠিক সেটা নির্ণয় করার জন্য। রসুলের ওফাতের পরে অনেক বিষয় নিয়ে মত পার্থক্য হলে সাহাবীরা কোরআন এবং রসুলের নির্দেশের দ্বারা সমাধানের চেষ্টা করতেন। একটা ষ্ট্যাণ্ডার্ড দলিল না থাকলে শুধু চর্চা দিয়ে ধর্ম পালন করতে পারবেন না। কারণ এই চর্চার মধ্যেও মত পার্থক্য আছে। ইসলাম যখন অনেক দেশে ছড়িয়ে যায় তখন স্থান ভেদে চর্চার মধ্যে পার্থক্য হয়েছে। তখন কোনটা সঠিক সেটা জানার জন্য কোরআন এবং রসুলের নির্দেশের শরণাপন্ন হতে হয়েছে। অনেক নির্দেশ আগে ছিল পরে বাতিল করা হয়েছে। অনেকে আগেরটাই মেনে গিয়েছে।

আর হাদিস লিখিত থাকাটা জরুরী না। রসলের বাণী পরবর্তী মানুষের কাছে পৌছাতে হবে এটাই মূল কথা। প্রথম দিকে হাজারে হাজারে সাহাবী ছিলেন যারা রসুলের নির্দেশগুলি জানতেন। তাই কেউ ভুল বললে অন্যেরা ধড়িয়ে দিতে পারতেন । যখন সাহাবী ও তাবেঈনের সংখ্যা কমে গেল এবং কোরআনের সাথে মেশার সম্ভবনা থাকলো না তখন হাদিস লিপিবদ্ধ করা শুরু হয়। হাদিস মুখস্ত করার চর্চা আগে থেকেই ছিল। এটা থেকেই বোঝা যায় কতটা গুরুত্ব দেয়া হত রসুলের কথা স্মরন রাখাকে। অনেকে কয়েক হাজার হাদিস মুখস্ত বলতে পারতেন। ঐ যুগে মুখস্ত করার যোগ্যতা এই যুগের চেয়ে অনেক বেশী ছিল। লেখালেখির চর্চা অপেক্ষাকৃত কম ছিল।

ইমাম মুসলিমের বইয়ে নাই মানেই তিনি বাতিল করে দিয়েছেন এমন না। ওনারা স্বাধীনভাবে হাদিস সংগ্রহ করেছেন। অনেক হাদিস উভয়ের কাছেই কমন ছিল। অনেক হাদিস ছিল যেটা একজন জানতেন কিন্তু আরেকজন জানতেন না। জানতেন না তাই তার বইয়ে স্থান দেন নি। এটার মানে বুখারির হাদিস বাতিল এটা বলা যায় না। সিহা সিত্তার বহু হাদিস কমন। আবার অনেক হাদিস শুধু এক বইয়ে এসেছে। তার মানে এই না যে অন্যরা আন কমন হাদিসগুলিকে বাতিল বলেছেন। সিহা সিত্তার বাইরেও অনেক সহি হাদিস আছে।

হাদিস জানার জন্য আরবি ভাষা জানা প্রয়োজন কিন্তু তারমানে এই না যে তাকে আরব হতে হবে। ঐ যুগে ইরান ইরাকে ইসলামের অনেক স্কলার বাস করতেন। তাই বলে তাদেরকে কেউ খাট চোখে দেখে না।

৩৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৪৭

নীল আকাশ বলেছেন: যেই ব্লগে ব্লাউজ ছাড়া শাড়ি পরাকে শালীন পোষাক বলে রায় দেয়া হয়, সেখানে হাদিস কূরআন নিয়ে বির্তক আনা আমার কাছে হাস্যকর লাগে।
শুনুন, যে যেটা মানে তাকে সেভাবেই থাকতে দিন। যার যার অপকর্মের শাস্তি সে পাবে।
আমি অনেক আগেই এইসব কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। কোনো লাভ নেই। এদের হেদায়াতের দায়িত্ব আমার না।
আমার কাছে হাদিসের সত্যতার পক্ষে অনেক প্রমাণ আছে তবে সেগুলি আমি কাকে দেব? যারা গুগুল দিয়ে হাদিসের সত্যতা খুঁজে? এদের?
একজন আবার বলেছেন < রসূল সব হাদিস পুড়িয়ে ফেলতে বলেছিলেন। বিভিন্ন কিতাবে লেখা আছে, কিন্তু গুগলে খুজে পাওয়া যায় না।(এটাও ইসলামিষ্টদের একটা নোংড়া রাজনীতি)
আমি ঠিক বুঝলাম না কবে থেকে গুগল ইসলামিক হয়ে গেল? এরা কয়েকদিন পরে বলবে ফেসবুক হচ্ছে আসল জায়গায় জ্ঞান অর্জনের। কুরআন হাদিস সব বাদ।
অনর্থক সময় নষ্ট করছেন এদের পিছনে।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাদিস পরিত্যাগকারীদের হেদায়েতের জন্য পোস্ট দেই নাই। অনেক সাধারণ ব্লগার এদের ভুল মতবাদে প্রভাবিত হতে পারে। তারা যেন সঠিক জিনিস জানতে পারে সেই চেষ্টাতেই এই পোস্টে দেয়া।

গোয়েবলসের থিউরি অনুযায়ী মিথ্যা কথা বারবার বলতে থাকলে এক সময় মানুষ সেটাকে সত্য হিসাবে মেনে নেয়। এই ভ্রান্ত মতবাদ যেন সাধারণ মুসলমানদেরকে বিপথে না নেয় সেই চেষ্টাতেই পোস্ট দিয়েছি। যারা কোরআন পরিত্যাগকারী তাদেরকে হাজার বুঝালেও বুঝবে বলে মনে হয় না। কিন্তু এদের ভুল মতবাদের প্রচারণা থেকে সবাইকে সতর্ক করা জরুরী মনে করছি। হাল ছেড়ে দিলে সব মুসলমানের ক্ষতি হবে। কাউকে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। আপনাদের সমর্থনই আমাদের মত পোস্টদাতাদের প্রেরণা।

ইন্টারনেটে মুসলমানদের অবস্থান শক্ত না করা গেলে অনেক ভুল জিনিস মানুষ সঠিক হিসেবে মেনে নেবে।

৩৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:১৬

মোল্লা সাদরা বলেছেন: মরিয়া গিয়াছি, তাও আজ প্রায় ৪০০ বছর আগের ঘটনা। কতোকিছুই তো দেখিলাম। তবে এই অনলাইন পাটাতনে দাঁড়াইয়া যাহা মনে হইতেছে, কুরানিস্টদিগের মতো বড় ফিতনা আপোনাদের দেশে সাম্প্রতিক সময়ে আর আসে নাই।

হাদিসকে যে বা যাহারা ফুঁ দিয়া উড়াইয়া দিতে চায়, উহাদের জানা থাকা উচিৎ, কওমি / বেরেলভী - উভয় ঘরানায় বুখারি শরীফের দওর, তথা দাওরা হাদিস পাশ করা হইতেছে দারসে নিজামি, তথা মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থার সর্বশেষ স্তর। তাহার আগের ক্লাসকে বলা হইয়া থাকে মিশকাত শরীফের জামাত। তাফসিরে জালালাইন শরীফ শিখানো হয় হাদিস শরীফের দু'খানা কিতাব পড়ানোরও আগে।

যাহা কুরানিস্ট ফিতনাবাজদের বুঝা জরুরী, তাহা হইতেছে, হাদিস কোন মনগড়া এলেমের ভাণ্ডার নহে। হাদিস শিখা - শিখানোর ক্ষেত্রে সবচাইতে জরুরী হইতেছে হাদিস শিক্ষার সনদ। আপনি কোন উস্তাদের থেকে শিখিতেছেন, আপনার উস্তাদ কাহার কাছ থেকে শিখিয়াছেন, এইভাবে পেছনে যাইতে যাইতে একদম হুজুর পুরনুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের সঙ্গে গিয়া মিলিত হয় প্রতিটি হাদিসের সনদ। হাদিস একটুকরা হইতে পারে, কিন্তু উহার সনদ হইতে পারে দেড় হাত লম্বা।

ঠিক একই কারনে গায়রে মুকাল্লিদ যাহারা আছেন, যাহারা আরবি না জানিয়া বাংলায় হাদিসের অনুবাদ কেতাবাদি দেখিয়া মাসালা হল করিবার চেষ্টা করেন, অথবা তর্কে প্রবৃত্ত হইতে চেষ্টা করেন, উহাও একখানা সমস্যা হইয়া দাঁড়ায়। কুরআনুল কারিম হোক, অথবা হাদিস শরীফ - উহা আপনার ব্যক্তিজীবনে পথপ্রাপ্তির জন্য হয়তো পার্সোনাল স্টাডি যথেষ্ট হইতে পারে (আবার নাও হইতে পারে), কিন্তু এই উৎসমালা হইতে যখন শরয়ি মাসায়েল বাহির করা হইবে, তখন সনদ মিলাইয়া উস্তাদ ধরিয়া আলাপ করিতে হয়। নইলে সমাজে ১ লক্ষ মানুষ ১ লক্ষ রকমের মতপথ বাহির করিয়া শান্তি হালাক করিয়া দিবে।

এই ব্লগে যাহারা কুরানিস্ট পরিচয়ে ঘোরাফেরা করে, উহারা একটাও মুসলমান কিনা, আমার সন্দেহ আছে।

সবচে বড় কথা, কুরানিস্টদের রাস্তাঘাটে খুঁজিয়া পাওয়া মুশকিল। উহারা সাধারনত অনলাইন পাটাতনে দাঁড়াইয়া দন্তবিকাশ বেশি করিয়া থাকে। তবে জগতে অলৌকিক ঘটনাও ঘটে মাঝেসাঝে। শাহবাজিয়া পীরের দাওয়াতে একবার এক মৌলুদে অংশ নিবার কালে এক কুরানিস্টের দেখা পাইয়াছিলাম। উহা ছিল আবুল আলা মউদুদির দর্শন দ্বারা ব্যাপক প্রভাবিত, এবং কুরআনের বাইরে আর কোন কিছুকেই আলোচনা গ্রাহ্য মনে করিতে রাজি নহে। কুরানের আয়াত নিজের মতো প্রসঙ্গ ছাড়া পাঠ করিয়া, এবং ম্যানিপুলেট করিয়া সে গাজওয়ায়ে হিন্দ ঘোষণা করিয়া দিবে শীঘ্রই, ইহাই মনে হইয়াছিল।

যদি শরয়ি ঘোষণা দেয়া লাগে, তবে তাহা কুরআন সুন্নাহ তো বটেই, সনদ বিচার করিয়া দেয়া লাগিবে। টেক মাওলানা দিয়া কাম হইবে বলিয়া মনে হয় না।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভাই আমি বুঝতে পারছি যে এই ব্যাপারে আপনি আমার চেয়ে অনেক জ্ঞানী। আমার পোস্টকে সমর্থন করার জন্য এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শিখিয়ে দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

হাদিস কোরআন নিয়ে কথা বলার সময় আরবি জানাটা খুব জরুরী। কারণ আরবি ভাষার শব্দ এবং প্রয়োগ না জানলে অনুবাদ থেকে সঠিক জিনিস অনেক সময় বোঝা যায় না।

ভালো কথা বলেছেন যে এই কুরানিস্টদের শুধু অনলাইনেই পাওয়া যায়। কারণ অনলাইন প্লাটফর্মগুলি নাস্তিক এবং বিপথগামীদের স্বর্গরাজ্য। সবাই যার যার খুশি মত কোরআন আর হাদিসের ব্যাখ্যা করছেন তাদের বিদ্যার দৌড় অনুযায়ী। এনাদেরকে টেক মওলানা বলা যেতে পারে আপনার ভাষায়।

কোরআনের আয়াতকে অপ্রাসঙ্গিকভাবে প্রয়োগ করতে এরা ওস্তাদ।

ইসলামের কোন হুকুম আহকামই দলিল ছাড়া হয় না। এনারা বলতে চাচ্ছেন যে ইসলামের ইতিহাস আর কালচার থেকে আমরা ইসলামের ধর্মীয় বিধান পেয়ে থাকি। এক কথায় রসুলের সুন্নাহ বাদ। নিজেদের সুবিধা মত কোরআনের ব্যাখ্যা করিয়া এনারা মানুষকে বিপথে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে।

ভালো লাগলো আপনার সাথে কথা বলে। এই ব্যাপারে আপনি অনেক জানেন। সম্ভব হলে এই সব বিষয় নিয়ে কিছু লিখবেন আশা করি। ভালো থাকবেন।

৩৯| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৫০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কিছু মানুষ হাদিস নিয়ে অহেতুক জল ঘোলা করছে। আল্লাহ আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খেয়াল করে দেখবেন অনলাইন জগতেই এই জল ঘোলাকারীরা মুলত বিচরণ করে থাকেন। বাস্তব জগতে এরা কথা বলতে চায় না। কারণ এরা নিজেরাও জানে যে এরা সুবিধাবাদী ইসলাম প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য। হাদিস মানার অনেক ঝামেলা তাই এরা সুবিধাবাদী রাস্তা ধরেছে।

৪০| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্লগার নীল আকাশ একটি পোস্টে মন্তব্য করেছেন, যেই ব্লগে ব্লাউজ ছাড়া শাড়ি পরাকে শালীন পোষাক বলে রায় দেয়া হয়, সেখানে হাদিস কূরআন নিয়ে বির্তক আনা আমার কাছে হাস্যকর লাগে। "

এই বিষয়ে আমরা একটু ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন মনে করছি। প্রথমত, সামহোয়্যারইন ব্লগ বাংলাদেশের সমাজে অশ্লীল গন্য হতে পারে এমন কোন ছবি বা ছবিযুক্ত পোস্টকে প্রচারে সহায়তা করে না। ফলে এটা স্পষ্ট যে, এই ধরনের অভিযোগ ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির উপর ভিত্তি করে করা যা কারো নিজস্ব চিন্তা ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।

অনেকের জানা নেই যে, শাড়ি বাংলার খুবই প্রাচীন একটি পোষাক। পাহাড়পুর-ময়নামতির পোড়ামাটির ফলক থেকে প্রমাণ পাওয়া যায়, হাজার বছর আগে এই বঙ্গে শাড়ির প্রাধ্যন্য ছিল। একটা সময় আমাদের এই অঞ্চলে সেলাই করা কাপড়ের কোন প্রচলন ছিলো না। ছেলেরা যে কাপড় পড়ত সেটাকে বলা হতো ধুতি আর মেয়েদেরকে পোষাকটি বলা হতো শাড়ী। শাড়ির অনুসঙ্গ হিসাবে পেটিকোট ও ব্লাউজের প্রচলন আরো পরে।

বাংলাদেশে ১৯৩০ এর পর ব্লাউজের প্রচলন ঘটে। ফলে ব্লাউজ ছাড়া শাড়ি মাত্র যে অশালীন সেটা শতভাগ অমূলক ধারনা। অশ্লীল হিসাবে স্বীকৃতি পাবার জন্য কে কোন উদ্দেশ্যে কোন পোষাক পড়েছে সেটা বিবেচনা করা মুখ্য বিষয়।
ধর্ম, সমাজ, সংস্কৃতি সব কিছুই আমাদের জীবনের অংশ। সব কিছুর মধ্যে একটি আঞ্চলিক প্রভাব আছে। যেমন মধ্যপ্রাচ্যে পোষাকের সাথে পশ্চিমের পোষাকের মিল নেই আবার এশিয়া বা ভারত উপমহাদেশেরও মিল নেই। যে যার অঞ্চলকে প্রাধান্য দিয়ে পোষাক নির্বাচন করেছে। যার ফলাফল আমরা ধর্ম, সমাজ ও জীবনে দেখি।

এটা দুর্ভাগ্য যে, আমাদের মধ্যে এক শ্রেনীর মানুষ আছেন যারা খুব সুকৌশলে সব কিছুকে 'ধর্মায়ন' করতে চান। পোষাক থেকে শুরু করে স্থানীয় সংস্কৃতি, কৃষ্টি, সমাজ ইত্যাদি প্রায় সবই এর আওতাভুক্ত। তাদের কবল থেকে কোন কিছুর মুক্তি নেই। ইন্টারেস্টিং ফ্যাক্ট হচ্ছে তাদের কবল থেকে তাদের নিজেদের ধর্মও নিরাপদ নয়। সামান্য মতের অমিল হলেই অন্যরা কাফের, মুনাফেক এবং আরো ভয়াবহ জিনিসে পরিনত হয়।

পাশাপাশি, সামহোয়্যারইন ব্লগে কোরান হাদিস নিয়ে আলোচনা হবে না সমালোচনা হবে এটা নিতান্তই ব্লগারদের ব্যাপার। আমাদের কাজ সকলের কথা বলার জায়গাটি নিশ্চিত করা।

আশা করি, আমাদের ব্লগাররা যারা ব্যক্তিগত মনোভাব দিয়ে সব কিছু যাচাই করতে চান, তারা সর্তক হবেন।

৪১| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ধর্ম নিয়ে মানুষ মাতৃভাষায় জানছে বলেই ধান্দাবাজ কাঠমোল্লা ও মোল্লা শ্রেনীর ঘুম হারাম।
কারন ধর্ম যত সহজ হবে, তত তাদের কাহিনী শেষ! ধান্দাবাজি শেষ!

৩০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার উপরের দুইটা মন্তব্যই সকল ব্লগারের জন্য। আশা করি ব্লগাররা আপনার বক্তব্য বোঝার চেষ্টা করবে।

৪২| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

কোনেরোসা বলেছেন: আহলে কুরআন ওয়ালারা আহলে হাদিস, সালাফিদের মতই আরেকটা ফিত্নাবাজের দল, এদের গোড়া ইয়াহুদি নাছারাদের সাথে গিয়ে মিশেছে।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢালাওভাবে হাদিস পরিত্যাগ করা যায় না। বর্তমান এবং আগের যুগের প্রখ্যাত ইসলামি স্কলাররা এইভাবেই বলে আসছেন। মুসলমান হতে হলে মুসলমান স্কলারদের কথাগুলির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। ওনারা কাঠ মোল্লা না। ইসলামের স্কলাররা সবাই এই ব্যাপারে একমত যে ঢালাওভাবে হাদিসকে অস্বীকার করা যায় না। কিছু হাদিসের দুর্বলতার ব্যাপারে স্কলাররাও জানেন। কিন্তু যেহেতু হাদিস শাস্ত্র একটি বিশেষায়িত জ্ঞানের শাখা তাই আমাদের উচিত ওনাদের দিক নির্দেশনা অনুসরণ করা। আমাদের মত অল্প জ্ঞানে যে কোন হাদিসকেই হঠাৎ ভুয়া বলা ঠিক না। কারণ জাল এবং দুর্বল হাদিস এখন নির্ণয় করা যায়। ইসলামে বিভিন্ন দলাদলি থাকলেও এই ব্যাপারে সবাই একমত যে হাদিস একটি প্রয়োজনীয় বিষয়। তাই প্রতিষ্ঠিত একটা বিষয়কে জাল বা বানোয়াট বলা ঠিক না।

৪৩| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৫৭

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: পোস্টের বিষয় ও মন্তব্যের প্রতিমন্তব্যে মহাপোস্ট বলতেই হবে।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগারদের মন্তব্য আর প্রতি-মন্তব্য পোস্টটাকে বড় করেছে।

আশা করি সবাই উপকৃত হবে। ভালো থাকবেন পদাতিক দা।

৪৪| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি যে বিষয় গুলো নিয়ে এসেছেন, সেগুলো প্রতিদিন্রর বা মাসের বা সাপ্তাহের বা বৎসরের চর্চার বিষয়। এগুলোর অনেক কোরানের বাহিরে কিন্তু এগুলো নিয়ে কোন বিতর্ক নেই কারন এগুলো প্রমাণিত কিন্তু যে সমস্ত বিষয় ৩০০ বৎসর পরে লিখা হয়েছে সেগুলো নিয়ে বিতর্ক আছে। সত্য কথা বলতে কি নামাজ পড়ার বর্ণনা বা অন্য বিষয় গুলোর পুংখানু খুটিনাটি হাদিসের ভিতরে ও নেই। আপনার উল্লেখ্য বিষয় গুলো যেহেতু প্রতি নিয়ত চর্চার বিষয়, তাই কোরান ও হাদিসের বাহিরে সংরক্ষিত হয়েছে চর্চার মাধ্যমে

লেখক, আপনি এভোর কমেন্টটি লক্ষ করুন। এভো কিন্তু সুন্দর কথা বলেছেন। নামাজ বা অন্যান্য যে বিষয় গুলো তুলে ধরেছেন সেগুলো রাসুলের সময় থেকে এবং মৃত্যুর পর থেকে চর্চার মাধ্যমে সমস্ত কিছু সংরক্ষিত হয়েছে সুতরাং এসকল বিষয় নিয়ে হাদীস কে কেনো টেনে আনলেন বুঝলাম না? নিয়ম বা ইবাদতের বিষয় বস্তু আলকোরানের বাহিরে ছিলো
এমনকি নামাজ ইহুদীরাও পড়তো। আল কোরানে ইসাঃ এর নামাজের কথা বলা আছে। অনেক নবী নামাজ পড়েছেন সেটা কোরানে উল্লখ আছে । তারা কি আমাদের পদ্ধতিতে পড়তো? আর আমরা যে নামাজ পড়ি আমরা আমাদের পদ্ধতিতে পড়ি সেটা চর্চার মাধ্যমে শিখেছি।

হাদীস সংরক্ষন ধারনাটি কোন নতুন কিছু নয়। খ্রিস্টানরা জিসাস ক্রাইস্ট বা ঈসাঃ এর সহচর বা সাহাবীরা কিন্তু তার বিভিন্ন বানী ও ঘটনা সংরক্ষন করেছেন। মূল বাইবেল বা ইঞ্জিল শরীফের পর গসপেলকে ধরা হয় ক্রাইস্টের বানী সংকলন অর্থাৎ ঈসা আঃ এর বানী সংকলনকেই বলা হয় গসপেল। ঠিক এই ধারার অনুসারে রাসুল সাঃ এর বানীও সংরক্ষন হওয়া শুরু হয়। ফলে ইসলামে হাদীসের গুরুত্ব ঐতিহাসিক বই হিসাবেই উপযুক্ত, ইসলামের জন্য নয়। আল্লাহর নবী তাঁর বানীগুলো সাধারন মানুষের কাছে মৌখিক প্রচারে অনুমুতি দিয়েছেন, কিন্তু লেখার ক্ষেত্রে বারন করেছেন কারন তখন কোরান সংকলন চলছিলো।
এখানে কাল্পনিক ভালবাসার কমেন্টের এই অংশটি লক্ষ করুন হাদীসকে আপনি ঐতিহাসিক বই হিসেবে পড়তেই পারেন কিন্তু তাই বলে মানতেই হবে এমনটি আপনি বলছেন কেনো? অেনেক হাদীসই সহি নাও হতে পারে সেগুলো আমরা প্রমান করবো কি করে? আমার মনে হয় ছাকনি হিসেবে আল কোরআনকে ব্যবহার করা উচিত। আল কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক হলে সেটা মানা কখনই যাই না। এতে যে মানবে তারই পাপ হবে। কারন এ ব্যাপারে রাসুলের অভিশাপ আছে। যেমন আমি উদাহরন দিই। ব্যাভিচারীর শাস্তি হিসেবে হাদীসে পাথর মেরে হত্যার কথা বলা আছে। অথচ আল কোরআনে ব্যাভিচারীর সাথে ব্যাভিচারিনীকে বিয়ে দিয়ে দিতে বলেছে। আরেক ক্ষেত্রে জঘন্য পরিমানে ব্যাভিচারী ব্যাক্তিকে বেত্রাঘাত দিতে বলেছে। তাহলে হাদীসে পাথর মেরে হত্যা করার বিষয়টি কোথায় পেলেন? জানা যায় রাসুলের জন্মের আগে থেকে মধ্যপ্রাচে ব্যাভিচারীর শাস্তি হিসেবে পাথর মেরে হত্যা করার নিয়ম প্রচলন ছিলো এবং সেই বিষয়টি কৌশলে হাদীসে প্রবেশ করানো হয়েছে।

এবার আসুন আপনার শিয়াল কুকুর খাওয়া নিয়ে আপনার যত সমস্যা- এর আগে তথ্যা দেই। আবার বলতে যায়েন না হাদিস বিশ্বাস করিনা তো এই খবর কই পেলাম, হাদিস হলো আমাদের ইসলামের ইতিহাস। আমরা ইসলামের সুন্দর দিক গুলো ইসলামের ইতিহাস থেকে শুনে সুখ পাবো শিক্ষা নেবো।
শার্দূল ২২ এর কমেন্টের পরিপেক্ষিতে আমি দেখলা আপনি খুব উত্তেজিত হযে পড়েছিলেন। তো যাই হোক। বিষয়টিতো মিথ্যা নয়। “আপনি বলে দিন: যা কিছু বিধান ওহীর মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, তন্মধ্যে আমি কোন হারাম খাদ্য পাই না কোন ভক্ষণকারীর জন্যে, যা সে ভক্ষণ করে; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ।” (সূরা আনআম: ৫) আল কোরআনে সকল প্রাণি খাওয়া জায়েজ। আমরা খাই না কুকুর কিন্তু চায়না, কোরিয়াতে খায়। তাদের ফেভারেট খাবার কুকুরের মাংশ। আপনি কি বলবেন তারা পাপ করছে। এটা বলতে পারেন না কারন এগুলো খাওয়া হালাল। আপনি আমি পরিবেশ থেকে এগুলো খাওয়া শিখি নাই তাই খাইনা। তাই বলে চায়না কোরিয়ানদের উপহাস করতে পারি না। ধর্মের সকল বিষয়ই আমরা ইসলামের ইতিহাস থেকে শিখতে পারি জানতে পারি তাই বলে আমরা হাদীসকে বাধ্যতামূলক কেনো বলছেন?

আমি লক্ষ্য করলাম আপনি আপনার এই লেখায় যারা হাদীস মানতে চাই না তাদের কে কুরানিষ্ট বলে অভিহিত করেছেন। জানিনা এটা গালি নাকি। আপনি বলছেন এদের অনেকে দরুদ পড়ে না। আযানে রাসুল সাঃ নাম উল্লেখ করাকে শিরক বলে। আসলে আপনার এমন অভিয়োগ নেহাযেত উদ্দেশ্যপ্রনোদিত কারন হাদীস অনেকে মানে না ভয়ে তাই বলে তারা দরুদ পড়বেন না রাসুল নাম উচ্চারনকে শিরক বলবেন এটা হতে পারে না। তারা হাদীস মানেন না বেশির ভাগই ভয়ে কারন হাদীসেই প্রমান আছে হাদীস সংগ্রহ নিষেধ এবং কেউ রাসুলের নামে যদি কেউ মিথ্যা বলে সে যেনো জাহান্নোমের আশ্রয় নেয়। এটি ছিলো রাসুলের অভিশাপ। সেই কারনে অনেকে হাদীস উচ্চারন করতে ভয় পায়। এটাকে এভোয়েড করে। নিম্নে আমি হাদীসের প্রমান তুলে ধরলাম।
"আমার কোনো-কথাই লিখো না। কেউ কুরান ছাড়া অন্য কিছু লিখে থাকলে তা মুছে ফেল। তবে আমার কথা প্রচার কর(narrate from me)। এতে কোনো দোষ নাই। কিন্তু মৌখিক বর্ণনায় যেন কোনো মিথ্যা বলো না। যে আমার সম্পর্কে কোনো মিথ্যা বলবে, সে যেন জাহান্নামে তার আশ্রয় গ্রহণ করে।" (সহি মুসলিম, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৪)

একই বর্ণনাকারী থেকে আর একটি হাদিস: আমরা রাসুল সঃ থেকে (কুরান ছাড়া অন্য কিছু) লিপিবদ্ধ করে রাখতে অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি অনুমতি দেন নি।" যায়দ বিন সাবিতও একই রকমের হাদিস বর্ণনা করেছেন।

রাসুল সঃ তাদেরকে বলেন: তোমরা এসব কী লিখছ? ...আল্লাহর কিতাবের সাথে মিশিয়ে আর একটা কিতাব লিখছ?

It was narrated from Abu Sa'eed al-Khudri that the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: "Do not write anything from me; whoever has written anything from me other than the Qur'aan, let him erase it and narrate from me, for there is nothing wrong with that." (Narrated by Muslim, al-Zuhd wa'l-Raqaa'iq, 5326)

শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অংশ অনুবাদ করছি: বর্ণিত আছে, রাসুল সঃ বলেন: কোরান ছাড়া আমার কাছ থেকে তোমরা আর কিছুই লিখবে না। যে এরকম যা কিছু লিখেছ, মুছে ফেল।...
তখন এইসব সাহাবি কর্তৃক কোরান-হাদিস মিলিয়ে যা কিছু লেখা হয়েছিলো, সব পুড়িয়ে ফেলা হয় (রেফ: মুসনাদে ইমাম আহমদ, ১ম খন্ড, পৃ. ১৭১, মজমায়ুজ জাওয়ায়িদ, ১ম খন্ড, পৃ. ১৫২)

হাদীস আমরা পড়বো না কেনো? অবশ্যই পড়বো। কিন্তু ধর্মগ্রন্থ হিসেবে আল কোরআনের পাশাপাশি রাখা যাবে না। কোন ভাবেই। কারন এর মধ্যে অসংখ্য মিথ্যা আছে জাল আছে। "তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করো না।" (সূরা বাকারা : আয়াত ৪২) আল কোরআনে আপনাদের মানুষদের সম্পর্কে স্পষ্ট বলছে তোমরা সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশ্রিত করো না। তারপরও হাদীস নামের একটি মিথ্যা বিষয়বস্তুকে আপনি ইসলামে অনুপ্রবেশের পক্ষে। আপনি হয়তো বলবেন আমি হাদীসকে মিথ্যা বলছি কেনো? কারন ব্যাক্ষা দেওয়া খুব সহজ। ধরেন আমি মেনে নিলাম আপনার হাদীসে ৯৯ % হাদীস সত্য কিন্তু ১% হাদীস মিথ্যা বা কেউ মিথ্যা রস রাঙায়ে হাদীসের নামে চালিয়ে দিয়েছে। তখন আপনি কি করবেন? আমরা মেডিকেল সাইন্সে লক্ষ্য করি হাতের বা পায়ের একটি অংশে যদি কোন অংশে একটু ইনফেকশনের কারনে অনেক সময় হাত কেটে ফেলতে হয়। তাহলে ঐ ১% মিথ্যা হাদীসের জন্য সমস্ত হাদীসকে কেনো জলাঞ্জলি দিবেন না? কখনই আল কোরআনের মতো সত্য একটি বিষয়ের সাথে হাদীস নামক একটি মিথ্যাকে মিশ্রিত করে নাস্তিকদের হাস্যরসের সম্পদ বানানো ঠি ক নয় বলে আমি মনে করি। এত কিছু খুলে বলার পরেও যদি আপনি হাদীস নিয়ে গো ধরে বসে থাকেন তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।

অবশেষে বলি হাদীস একটি পুস্তক এটি আমরা পড়বো কিন্তু ধর্মগ্রন্থ হিসেবে আল কোরআনের পাশে রাখবো না। কারন সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশ্রিত করা যাবে না। এবং কোন কিচু গোপন করা যাবে না। যেমন আপনি হাদীসে কুকুরের মাংশ খাওয়াকে হালাল হিসেবে মানতে নারাজ হাদীসের সুত্র ধরে । যেখানে প্রকাশে্্য রাসুল সাঃ কে আল্লা কোরানে বলতে বলেছেন সকল প্রাণী খাওয়া যা্বে শুয়োর ব্যাতিরেকে সেখানে আপনি আল কোরআনের আয়াতটি গোপন করছেন হাদীসের উপর ভর করে।

আপনি নিজেকে সংশোধন করুন। এখনও সময় আচে।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চর্চার বিষয়ই যদি হয় তাহলে কুরানিস্টরা নামাজে দরুদ পড়ে না কেন। পড়ে না এই কারণে যে তারা চর্চাও মানে না হাদিসও মানে না। তারা শুধু কোরআন মানে নিজেদের মত করে।

চর্চার মাধ্যমেই যদি ইসলাম প্রচার হয়ে থাকে তাহলে প্রশ্ন ওঠে কোরআনে মৃত মাছ হারাম করা হয়েছে কিন্তু যুগে যুগে মুসলমানরা কেন মৃত মাছ খাচ্ছে কোরআনের নিয়ম ভঙ্গ করে। তখনই হাদিসের প্রয়োজন হয় ব্যাপারটার ব্যাখ্যা জানার জন্য। কোরআনে নিষেধ থাকার পর মুসলমানরা কিভাবে মৃত মাছ খাচ্ছে।

হাদিস মানতেই হবে বলছি এই কারণে যে কোরআনে রসুলের আদর্শ অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। হাদিস ছাড়া আপনি সেটা পাবেন না।

আপনি তো চর্চার কথা বলছেন এবং মানছেন। ব্যভিচারীকে শাস্তি হিসাবে পাথর মেরে হত্যা করা হয় এটা যুগ যুগ ধরে চর্চা চলছে। হাদিসেও সেটা আছে। কিন্তু আপনি এখন মানছেন না। দুই রকম হয়ে গেল না।

আপনি যেহেতু চর্চা মানেন তাই বলছি। কুকুরের মাংস খাওয়া রসুলের যুগ থেকেই হারাম হিসাবে গণ্য হচ্ছে। হাদিসেও তাই আছে। কিন্তু আপনি এখন বলছেন হালাল।

কুরানিস্টক সম্পর্কে জানতে এই লিঙ্কটা দেখতে পারেন। Click This Link

আমি কোন নতুন শব্দ তৈরি করিনি। আমার পোস্টের শেষে একটা লিঙ্ক আছে। যারা শুধু কোরআন মানে। তাদের ইবাদত পদ্ধতি বিস্তারিত ওখানে বর্ণনা করা আছে। আপনি সাইটটা দেখলেই বুঝতে পারবেন। আমি কিছু বানাই নাই। এরকম আরও সাইট কুরানিস্টদের আছে।

হাদিস লেখার পক্ষে যে কয়েকটা হাদিস আছে সেই ব্যাপারে তানভির ভাই উপরে মন্তব্য করেছেন আমিও করেছি উদাহরণ সহ। আপনার মন্তব্যেই আছে যে কোরআন এবং হাদিস মিশিয়ে ফেলা হয়েছিল তাই রসূল (সা) মুছে ফেলতে বলেছিলেন। তাই মুছে ফেলার কারণটা জানা গেল। ব্যক্তি ও সময় ভেদে হাদিস লেখার উপর কখনও নিষেধাজ্ঞা ছিল আবার অনেক সময়ে অনেককে লেখার অনুমতি দেয়া হয়েছিল।

আপনি হাদিস পড়তে আগ্রহী হয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। হাদিসে জাল আছে, ভুল আছে, দুর্বলতা আছে। কিন্তু তারপরও এখনকার যুগে সহি ও হাসান হাদিস চিহ্নিত করা যায়। আপনাকে কেউ জাল বা দুর্বল হাদিস পড়তে বলছে না। রসুলের আদেশ, নিষেধ জানার একমাত্র পথ হোল হাদিস। বহু হাদিস আছে একাধিক গ্রন্থে এসেছে। বহু মুতাওয়াতির হাদিস আছে যেগুলি ৪ থেকে ৭০ জন সাহাবী পৃথকভাবে বর্ণনা করেছেন। বিশেশজ্ঞরা ভালো করে জানেন কোন হাদিস জাল বা দুর্বল।

তাই হাদিস মানেই জাল, ভুল এই কথা না বলে হাদিসের গুরুত্ব বোঝার চেষ্টা করেন। আমাকে সংশোধনের প্রয়োজন দেখি না। কারণ আমি মূলধারার ইসলামি স্কলারদের পথেই আছি। আপনারা বহু যুগের প্রতিষ্ঠিত জিনিস অস্বীকার করছেন। চর্চা মানছেন, ইতিহাস মানছেন কিন্তু হাদিস মানছেন না। কিন্তু হাদিসও ও রসুলের যুগ থেকে চর্চিত হয়ে আসছে। কেউ প্রতিবাদ করেনি।

৪৫| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪৩

নয়ন বিন বাহার বলেছেন: ফরজ নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই।
যত বিতর্ক সব সুন্নাত আর নফল নিয়ে।
একমাত্র ফরজ পালন বাধ্যতামূলক। কোরআনের বাইরে রিচুয়াল হিসেবে যা কিছু আছে তা মানতে কাউকে বাধ্য করা যাবে না। এগুলো নিয়ে কোনো ধরনের বিতর্ক করা উচিত নয়।
কিন্তু মানুষ এগুলো নিয়েই আছে।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ফরজ নিয়েও বিতর্ক আছে।

কোরবানি ফরজ না সুন্নত এটা নিয়ে মতভেদ আছে। কোরআনের আলোকে আপনি বলেন কোরবানি ফরজ না সুন্নত।

কোরআনে তো মৃত মাছ খাওয়া হারাম করা হয়েছে। মুসলমানরা মৃত মাছ খাচ্ছে হালাল জেনেই। এই ব্যাপারে আপনার মতামত কি। মানুষ কি কোরআনের বিরুদ্ধাচরণ করছে।

কোরআনের বাইরে কোন কিছু করতে বাধ্য করা যাবে না। তাহলে কোরআনের বাইরে ঈদের নামাজ কেন পড়ছেন? ঈদের নামাজ তো ফরজ বা ওয়াজিব। কিন্তু কোরআনে তো এই নামাজের কথা নাই। ধর্ম তো নিজের খুশি মত করার কথা না। কোরআনের আলোকে আপনি বলেন ঈদের নামাজ ওয়াজিব নাকি ফরজ নাকি সুন্নত। ধর্মে তো বাড়তি কিছু যোগও করতে পারবেন না।

৪৬| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০১

শার্দূল ২২ বলেছেন: ভেবেছিলাম ব্যবসার বারটা বাজিয়ে হলেও আপনার আনন্দ আর সব গুলো সমস্যা নিয়ে কথা বলবো। কিন্তু এখানে আপনার মন্তব্যের জবাব গুলো দেখে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছি, আপনি বলেছেন আমি টু দ্যা পয়েন্টে কথা না বলে কথা অন্যদিকে নিচ্ছি । আপনি যদি সচেতন হতেন তাহলে বুঝতেন আমি একি জবাবে পোষ্ট এবং আপনার মন্তব্যের জাবাবের জবাব দিচ্ছিলাম। এবং কিছু জামা কাপড়ে ইসলামের মুসলিমদের কথার জবাবও সেখানে ছিলো।

আমি রাতে আপনার পোষ্ট আবার মন দিয়ে পড়লাম, পড়ে আবার অবাক হলাম যে, যেই মানুষ ধর্মে এত গরীব তাকে আমি কি দান করবো। আপনার সমস্যা গুলো কতটা হাস্যকর দেখুন নিজেই পড়েন। আপনি বলছেন আলল্লাহ পুরুষ সমকামি নিয়ে বলছে কিন্তু নারী সমাকমি নিয়ে কিছু বলেনি। আচ্ছা সমকাম কেমনে হয়? সমকাম শব্দের মানে কি? দুটি সম লিংগের মানুষের যখন সেক্সুয়াল সেটিসফেকশান মিলে তাকেই তো সমকাম বলে। এক জাতের কথা বললে আরেক জাত বাদ পড়ে কিভাবে? আপনি এই বুঝছেন আল্লাহর কোরাণ কে? দুর মিয়া যান আপনি মুরি খান।

@লাবলু - আমার লেখার ধর্য্য কম, যা ভিতরে দলা বেধে আছে তার ১০ ভাগ এখানে তুলে ধরতে পারিনা। তখনি আমি একটু উত্তেজিত হই। আর আসলেই কি আমার লেখায় উত্তেজনা আছে? তবে এই পোষ্ট এবং কিছু কমেন্টের বিপরীতে যেই পরিমান উত্তেজনা দেখানো উচিৎ তা আসলেই দেখাতে পারছিনা, আমার শব্দের ভান্ডারে এত শব্দ নেই। আর আমার কমেন্ট দেখে আপনার কেন মনে হলো আমি কোরানে বর্নিত হারাম খাবার গুলোর লিষ্ট জানিনা? আমিতো বলছি যেগুলো কোরাআনের নেই সেগুলোর কথা।

আল্লাহ বারংবার বলে গেছেন তোমরা যেই বিষয়ে জানতে চাও সেই বিষয়ে উপর যে আলেম ( মাদ্রাসার পোলাপান না আবার) মানে জ্ঞানি মানুষের কাছে যাও। কোন পশুর মাংস মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সম্মত সেই ব্যখ্যা পাবেন ডাক্তারের কাছে। কুকুর সহ মাংসাশি বন্য প্রানীতে ডিজিজ থাকার পসিবিলিটি বেশি। দেখুন চিন এবং ভিয়েতনামে শুধু কুকুরের খেয়ে জলাতাংক রোগে প্রতি বছর ২০০০ মানুষ মারা যায়, যা গত করোনাতেও মরেনি। এসব তথ্য আপনি পাবেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে। ডাক্টারের কাছে। আপনি হাদিস থেকে কিভাবে পাবেন?

আমি আবারো বলছি হাদিস হলো ইসলামের ইতিহাস। ইসলাম সম্পর্কে বেসিক ইনফরমেশান পেতে পারেন,এইটুকু। আপনি হাদিস দিয়ে একে দোযখে ওকে জান্নাতের হুরের কোলে বসিয়ে দিতে পারেননা। হাদিস পোড়লো নাকি কেউ পাকড়া বানিয়ে খেলো সেটা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই। আমি কোরাণের পাশে বোখারী সাহবের ভাষণ দাড় করাবোনা, যেই ভাষণ তার নিজের ছাত্র তিরিমিজ সাহেব অর্ধেরকেরও বেশি বাদ দিয়ে ফেলেছেন। বোখারী শরীফের হাদিস না মানা যদি পাপ হয় সেই পাপ ১০০০ বছর আগে তিরিমিজ মুসলিম সাহবরাই করে ফেলেছেন।

আমার দেশের মানুষ ধর্মকে বোঝে কম ভয় পায় বেশি। সৎ থাকবেন দুনিয়ার কোনো ল আপনাকে কিছুই করতে পারবেনা। অসৎ লোক গুলৈই ভিতু হয়।

পরিশেষে কাভা বাইয়ের ৪১ নাম্বার কমেন্ট মনে করিয়ে এই পোষ্ট থেকে বিদায়।

৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনে সমকামিতার ক্ষেত্রে নির্দিষ্টভাবে পুরুষদের কথা বলা আছে। কোরআনকে নিজের মত ব্যাখ্যা করলে তো হবে না।

সমকামের ক্ষেত্রে পুরুষদের শাস্তি আর নারীদের শাস্তি এক না। আপনার কথা মত এক হওয়া উচিত ছিল।

মৃত মাছ খাওয়া কোরআনে হারাম করা আছে। কিন্তু মুসলমানরা যুগ যুগ ধরে এটাকে হালাল জেনে খাচ্ছে। এটার কারণ কি? তারা কি কোরআনের বিরুদ্ধাচরণ করছে? আপনি কোরআনের আলোকে ব্যাখ্যা দেন।

আমি কোন কাঠ মোল্লার রেফারেন্স কখনই দেই না। কোরআন এবং সহি হাদিস থেকে কথা বলি।

৪৭| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩২

জ্যাকেল বলেছেন: ইসলামের একমাত্র ভিত্তি হচ্ছে আল কুরআন। হাদীস হচ্ছে মানবরচিত গ্রন্থ অন্যদিকে কুরআন হচ্ছে কলম রচিত খোদ আল্লাহর তত্বাবধানে রচিত গ্রন্থ।

কোরআনকে নাজিল করা হয়েছে মানুষের জন্য পথ নির্দেশ স্বরূপ এবং হেদায়েতের সুস্পষ্ট নির্দেশাবলি ও সত্য মিথ্যার পার্থ্যক্যকারীরূপে। (বাকারাহ -১৮৫)

এর পরে আর কি স্পষ্ট করা লাগবে? সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী হিসাবে কুরআন যথেষ্ট কেন হবে না?

কুরআন ফলো করলে কি কি সমস্যা?

১। বর্তমান পুরোহিত/মোল্লাতান্ত্রিক ইসলাম ভেঙ্গে পড়বে।
২। মানুষ এক আল্লাহর বিধান ছাড়া বাকি সকল বিধানকে ইলম(বিজ্ঞান) থেকে চেকিং করে নিবে ফলে মাদ্রাসা ভিত্তিক ইসলামের প্রয়োজনীয়তা ফুরিয়ে যাবে।
৩। ফিকাহ (মানবরচিত আইন, ইসলামের নামে) বলে কোন আলাদা শাস্ত্রের দরকার থাকবে না।
৪। হারামের সংখ্যা কমে যাবে, গান, বাজনা, নাচ এইগুলো হালাল হয়ে যাবে।
ইত্যাদি ইত্যাদি ,,

বুঝা যাচ্ছে আপনি তালগাছের গুড়ি ছাড়বেন নাহ। ভাইজান, আপনাকে একটা কথা বলি-

কুরআন এর সমকক্ষ হিসাবে দাঁড় করানোর যে প্রচেস্টা, এটার কাউন্টার হিসাবে আমি সহ কিছু লোক হাদিস বাতিল বলি। হাদিস ইসলামী জীবন সম্পর্কে জানার জন্য অক্সিলারি সাবজেক্ট হিসাবে গণ্য হইতে পারে সমস্যা নাই, বিজ্ঞানের অন্যান্য শাস্ত্রের মত হাদীস চর্চা আমাদের ইসলামী মুল্যবোধ ও ঈমান বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে বলেই আমার অনুমান।
আর এ জন্য যেটা করতে হবে সেটা হল আল ফুরকান, সিরাত আল মুস্তাকিম খুঁজে নিতে আপনাকে কুরআনের দ্বারস্থ হতে হইবে। প্রচুর পরিমাণে কুরআন পড়তে হবে(নসিহত নেবার উদ্দেশ্যে)।
এই কোরআন থেকে যদি আপনি জীবনে চলার তরিকা খুঁজে পান, ইসলাম আসলে কি চায় সেটা যদি জেনে ফেলেন তাইলে আর কোন চিন্তা নাই; আপনি আল্লাহর রাস্তা খুঁজে পেয়েছেন, এখন হাদীস থেকে কিছু কিছু দিকনির্দেশিকা নেন যেইগুলো আপনার বিবেক অনুসারে পজিটিভ হয়।

আর বেশি কিছু বলতেছি না কারন আপনে উত্তেজিত হইয়া আমাদের কুরানিস্ট এই সেই বলে ফেলেন যা মোটেও আমাদের কাহারো পরিচয় নয়। আমাদের পরিচয় একটাই (মুসলমান)।

৩১ শে জুলাই, ২০২২ ভোর ৬:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেকের মত আপনাকেও একটা ছোট প্রশ্ন করি। কোরআনে মৃত মাছ খাওয়া হারাম। কিন্তু মুসলমানরা যুগ যুগ ধরে মৃত মাছ হালাল মেনে খাচ্ছে। এই ব্যাপারে আপনি কোরআনের আলোকে একটা ব্যাখ্যা দেন আমাকে। কোরআনে হারাম বলা থাকলে এটা কিভাবে হালাল হিসাবে খাওয়া হচ্ছে? আপনি বলতে পারবেন না যে এটা অতীতের চর্চা কারণ কোরআনে নিষেধ করা আছে।

রসুলের কাছে যে কোরআন ছাড়াও অহি আসত সেটা আমি এই পোস্টে বিস্তারিতভাবে প্রমাণ করেছি।
৩। আর তিনি মনগড়া কথা বলেন না। ৪। তাতো কেবল ওহী, যা তার প্রতি ওহীরূপে প্রেরিত হয়। (সুরা আন নাজম, আয়াত ৩-৪)

কোরআনে ইরশাদ হয়েছে - (হে নবী!) আমি আপনার প্রতি ‘আযযিকর’ নাযিল করেছি, যাতে আপনি মানুষের সামনে সেইসব বিষয়ের ব্যাখ্যা করে দেন, যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। -সূরা নাহল, আয়াত – ৪৪

উপরের আয়াতে রসুলকে (সা) নাজিলকৃত বিষয়ের ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। রসূলের (সা) ব্যাখ্যা এসেছে তার কথা ও কাজের মাধ্যমে যা হাদিস হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে।

আপনি যদি হাদিস না মানেন এবং কোরআনের ব্যাখ্যা রসুলের কাছ থেকে না নেন তাহলে সমস্যা হবে যে আপনি মৃত মাছ খাওয়াকে হারাম মনে করবেন। এখানে কোরআনের কোন সমস্যা নাই। সমস্যা হোল আমরা কোরআনের ব্যাখ্যা করছি নিজের মত। রসুল (সা) আমাদেরকে ব্যাখ্যা করে দিচ্ছেন যে মৃত মাছ কোরআনের এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ে না। হাদিস না মানার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। এই ধরণের উদাহরণ আরও দেয়া যায়।

কোরআনের পূর্ণ ব্যাখ্যা না জানার কারণে আপনি ঈদের নামাজ পড়বেন না। কারণ কোরআনে উল্লেখ নেই। কিন্তু আপনি যদি হাদিস থেকে ব্যাখ্যা নিতেন তাহলে বুঝতে পারতেন যে কোরআনে কোন কোন ধরণের নামাজের কথা বলা আছে এবং কোন সময়ে পড়তে হবে। হাদিস না মানলে আপনি ঈদের নামাজ পড়তে পারবেন না। কারণ স্রেফ অতীতের চর্চার উপর ধর্ম পালন করা যায় না। এই চর্চার পিছনে হয় কোরআন অথবা হাদিসের ব্যাখ্যা আছে। ঈদের নামাজের ক্ষেত্রে অতীতের অনুসরনের যে কথা বলছেন সেটা এসেছে রসুলের হাদিস থেকে। অনেক সর্বজন স্বীকৃত আমলের ক্ষেত্রে আমরা চর্চাকে মেনে নেই কারণ আমরা জানি যে রসূল এভাবে আমল করতেন বলেই যুগ যুগ ধরে চলে আসছে অপরিবর্তিতভাবে কোন মতপার্থক্য ছাড়া। কিন্তু অনেক বিষয় আছে যেগুলি নিয়ে বিতর্ক আছে। তখনই হাদিসের ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয়। ঈদের নামাজ ফরজ না সুন্নত এটা নিয়ে মতপার্থক্য আছে। এই মতপার্থক্য দূর করার জন্য কোরআন বা হাদিসের নির্দেশনার প্রয়োজন হয়।

হাদিসকে আমি কখনও কোরআনের সমকক্ষ বলিনি। কিন্তু কোরআনের পূর্ণ ব্যাখ্যার জন্য হাদিস প্রয়োজন ( উপরে বলেছি যে আল্লাহ রসূলকে ব্যাখ্যার দায়িত্ব দিয়েছেন)। নতুবা আপনি ঈদের নামাজের বা মৃত মাছ খাওয়ার কারণ জানবেন না এবং না বুঝে পালন করবেন। আর রসূলকে কোরআন ছাড়াও অহির মাধ্যমে অনেক কিছু জানিয়ে দেয়া হত (আমি উপরে আমার একটা পোস্টের লিঙ্ক দিয়েছি এই ব্যাপারে)। রসূল (সা) তার সাহাবীদেরকে এই অহির আলোকেই নিজের ভাষায় বলতেন। এই কারণেই আল্লাহ বলেছেন যে রসূল (সা) মনগড়া কথা বলেন না। এটা তো অহি যা তার উপর নাজিল করা হয়। কাজেই হাদিসকে তুচ্ছ জ্ঞান করার কোন কারণ নাই। কোরআন এবং হাদিসের উৎস হোল আল্লাহতায়ালা স্বয়ং। কিন্তু হাদিসের উদ্দেশ্য হোল কোরআনকে ব্যাখ্যা করা এবং অনেক ক্ষেত্রে বিশেষ কোন নির্দেশ রসুলের কাছে পৌঁছে দেয়া। একই ব্যক্তির মুখ থেকেই কোরআন এবং হাদিসের কথা নির্গত হয়েছে এবং তিনি আল্লাহর একজন নবী। ইসলামে কোরআন এবং হাদিসের সকল নির্দেশনাই তো আসলে আল্লাহর তরফ থেকে। রসূল(সা) তো শুধু মাধ্যম ছিলেন। ইসলামের বিষয়ে রসূল (সা) নিজে থেকে কোন কথা কখনও বলেন নি।

আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে; রাসূল তোমাদেরকে যা দেন, তা গ্রহণ কর আর তোমাদেরকে যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় করে চল। নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা। -সূরা হাশর (৫৯) : ০৭

কোরআনে ইরশাদ হয়েছে; কিতাবীদের মধ্যে যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে না এবং পরকালেও নয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তাকে হারাম মনে করে না এবং সত্য দ্বীনকে নিজের দ্বীন বলে স্বীকার করে না, তাদের সঙ্গে যুদ্ধ কর, যতক্ষণ না তারা হেয় হয়ে নিজ হাতে জিযিয়া আদায় করে। -সূরা তাওবা (৯) : ২৯

এই ধরণের আয়াত আরও অনেকগুলি আছে। এই আয়াতগুলির সারমর্ম হোল কোরআন বলছে রসুলকে (সা) মানার জন্য এবং তার ব্যাখ্যা গ্রহণ করার জন্য। রসূলের ব্যাখ্যা আপনি কিভাবে পাবেন? রসূলকে (সা) আপনি কিভাবে মানবেন? হাদিস ছাড়া কোন পথ নাই। হাদিস না থাকলে রসুলের (সা) ওফাতের পর ওনার আদেশ, নির্দেশ, নিষেধ মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব না।

কিন্তু ওনার বাণী যে পরবর্তী যুগের মানুষের কাছে পৌছাতে হবে এটা পরিষ্কার। কারণ উনি শেষ নবী। রসূল (সা) শুধু সাহাবাদের জন্য আসেন নি।

৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রধান নির্দেশনাগুলি কোরআনেই আছে। কিন্তু আয়াতের কিছু ব্যাখ্যার জন্য হাদিস প্রয়োজন হয়। আগের মন্তব্যেই কোরআনের আয়াত উল্লেখ করেছি যেখানে রসূলকে কোরআনের আয়াত ব্যাখ্যা করার দায়িত্ব আল্লাহ দিয়েছেন। আকিদাগত বিষয় এবং প্রধান আমলগুলি সবই কোরআনে আছে। কিন্তু কিছু ব্যাখ্যা হাদিস থেকে না নিলে আপনি সমস্যায় পড়ে যাবেন। আমি বারবার মৃত মাছের উদাহরণ দিচ্ছি আলোচনার সুবিধার জন্য। এই ধরণের উদাহরণ আরও আছে। আর সহি এবং হাসান হাদিসগুলি চিহ্নিত হয়েছে। সামান্য কিছু হাদিস নিয়ে মতপার্থক্য আছে। বাকি জাল, দুর্বল হাদিস মানতে কেউ বলে না।

আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে বা রাগ করে কুরানিস্ট বলছি না। কুরানিস্ট একটা পৃথক প্রতিষ্ঠিত ফিরকা যেটার ব্যাপারে বিস্তারিতভাবে এই সাইটে পাবেন।

এছাড়া এই সাইটটা কুরানিস্টদের ট্রু ইসলাম। এই ধরণের আরও কিছু সাইট আছে। অনেক মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রে এদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শাস্তি দেয়া হয়। যুগে যুগে মূলধারার ইসলামিক স্কলাররা এই মতবাদের লোকদের তিরস্কার করেছেন।

এই মতবাদের লোকেরা হাদিসে মানে না এবং যার কারণে অনেক উদ্ভট কথা বলছে। কিছু উদাহরণ আমি পোস্টে দিয়েছি। আবার দিচ্ছি।

১। এদের অনেকেই ৩ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে।
২। এদের শাহাদায় রসুলের নাম থাকে না।
৩। এরা নামাজে দরুদ পড়াকে শিরক/ বেদআত মনে করে।
৪। সুন্নত নামাজ, তারাবির নামাজ, তাহাজ্জুদ নামাজ এরা পড়ে না।
৫। এরা মনে করে মাসিক চলাকালীন সময়েও মেয়েরা নামাজ পড়তে পারে, কোরআন ধরতে পারে, কাবা তাওয়াফ করতে পারে।
৬। এরা নামাজ শেষে সালাম না দিয়ে বলে আল হামদুলিল্লাহ হি রব্বিল আল আমিন।
৭। ঈদে ফিতরা দেয়ার দরকার নাই। জাকাত দেবে নিজের খুশি মত।
৮। হজ্জের অনেক নিয়ম মানে না।

৪৮| ৩০ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৩

মোল্লা সাদরা বলেছেন: আপোনার সুললিত মন্তব্যের সূত্র ধরিয়া ফিরিয়া আসিলাম ভ্রাতঃ। এছলাম সংক্রান্ত আলোচনায় আপনি যে স্থৈর্যের পরিচয় দেন, উহা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।

কুরআন অনলি পরিচায়কদের কাউকে কাউকে এর আগে সরাসরি প্রশ্ন করিয়াছিলাম, উহা ব্যক্তিজীবনে মুছলমান কিনা। কেবলই বাইম মাছের মতো পিছলায় উত্তরে উহারা। তারপর থেকেই এই ব্লগিয় পাটাতনে উহাদের বিচরনের নিয়তের ব্যাপারে আমার একখানা ভ্রু কুচকাইয়াই থাকে, নামাইতে পারি না। এই পোস্টে দেখুন

যাহা হউক ব্লগ মহাপরিচালকের বঙ্গভাষায় দ্বীন চর্চার সূত্র ধরিয়া একদা কামাল আতাতুরক পাশার তুর্কি ভাষায় আজান প্রচলনের কাহানি ইয়াদ হইয়া গেলো। শুনিয়াছিলেন কি উহা? না শুনিয়া থাকিলে এই লিঙ্কে একখানা খোঁচা মারুন।

মঙ্গল হউক! :)

৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৭:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইহারা কেমন মুসলমান আমি জানি না। তবে ইসলাম ধর্মকে ইহারাই বিপদে ফেলছে। আরেক দল আছে নাস্তিক। এরা আবার প্রথম দলকে সমর্থন দিয়ে থাকে কৌশলগত কারণে। অনলাইন দুনিয়ায় এদের বিচরণের উদ্দেশ্য হোল মুসলমানদের খোঁচাখুঁচি করা। মুসলমান কি না জানতে চাইলে আপনার ভাষায় বাইন মাছের মত মোড়ামুড়ি করে। আপনার দেয়া লিঙ্কে গিয়ে পোস্টটা দেখলাম।এরা বদ নিয়তে ইসলাম সম্পর্কে পড়াশুনা করে। তবে দুঃখজনক হোল এদের বেশীরভাগই মুসলমান ঘরের কুলাঙ্গার সন্তান। যত ক্ষোভ ইসলামের উপর।

কামাল আতাতুর্কের ইসলাম বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কিছু ধারণা আছে। আপনার লিঙ্কে গিয়ে এই ব্যাপারে আরও জানলাম।

আরেকটা ব্যাপার হোল দেশে বিদেশের ভালো মানের ইসলামিক স্কলারদের লেখা এনারা পড়েন না এবং খবরও রাখেন না।

৪৯| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:০৮

কামাল৮০ বলেছেন: আমি এক পায়ে রাজি।বলেন কবে ঘুরে আসতে চান।

৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সময় পার হয়ে যাচ্ছে। সময় শেষ হলে সবাই সেখানে এমনিতেই যাবে। আমার সাথে যাওয়ার দরকার পড়বে না।

৫০| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ৯:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের দেশে প্রচলিত বেশকিছু ধর্মীয় গোড়ামি আছে যেগুলো হাদিস দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে।বাল্যবয়সেে আমাদের ধর্মের দিকে টানা হয়েছে মলত গুনাহ ও কবরে বিভিন্ন ধরনের আজাবের ভয় দেখিয়ে। মানুষকে ধর্মের দিকে টানার এই পদ্ধতি ভুল। আমাদের এমনভাবে গড়ে তোলা হয়েছে যাতে আমরা নিজের জেনে আসা জ্ঞানকেই আসল জ্ঞাান বলে মনে করি এবং কেউ ভিন্নমত পোষন করলে সেটাকে ফিতনা বলে মনে করি । আসলে বাংলাদেসের তাবলীগ গ্রুপটা এই ধারনার সৃৃষ্টি করেছে। এরা নিজেদের সর্বজ্ঞাানী ভাবে অথচ এই তাব্লীগিদের সন্ধান শুধু এই উপমহাদেশে ও আরো ভাল করে বললে শুধু বাংলাদেশেই পাবেন অন্য্ মুসলিম দেশগুলোতে নয়।

যাই হোক আজকের যুগে ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষকে ধর্মের দিকে আকৃষ্ট করা যাবে না। মানুষ এখন আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। তাই মানুষকে ধর্মের দিকে আকৃষ্ট করতে হলে ধর্মের ভাল দিকগুলো তুলে ধরতে হবে । ইসলাম ও কোরআন নিয়ে গবেষনা করা ইসলামিক স্কলারেরা এই কঠিন কাজটি করে যাচ্ছেন। ইসলামিক স্কলারদের জ্ঞানসমুহকে সংকলিত করে ইসলামিক বিভিন্ন মুভি ও সিরিয়াল বানানো হচ্ছে , প্রচলিত বহু ভ্রান্ত ধারনা দূর করতে। ইউটিয়বে হযরত উমরের জীবিনির উপর নির্ভর করে একটি সিরিয়াল আছে যেখানে ইসলাম কিভাবেএসেছে এবং আমাদের নবীজি কিভাবে তা মক্কা মদিনায় প্রতিষ্ঠা করেছেন তা বিষদভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আসলে কোরআনও গ্রন্থাকারে নবীজির আমলে সংকলিত হয়নি। হযরত আবু বকর ও উমর কোরআন সংকোলনের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেন কারন কোরআনের আয়াতসমুহ তখন নিকট সাহাবীরা মুখস্থ করে রেখেছিলেন এবং কেউ কেউ কিছু কিছু আয়াত লিখেও রেখেছিলেন।পরবর্তীতে খলিফা হয্রত উসমানের সময়ে কোরআন গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ হয়। যেহেতু খলিফা রাশেদিন দের আমলেই রসুলের জীবিত সাহাবীদের সাহায্যে কোরআন লিপিবদ্ধ হয়েছে, তাই কোরআন অবিকৃৃত বলে মনে করা হয় এবং কোরআনে বর্নিত আদেশ নির্দেশকে ইসলামের বিধান বলে মানা হয়।

হাদিস যেহেতু রসুলের সাহাবীদের লিখে যাওয়া বা সংকোলন করা কোন গ্রন্থ নয় এবং হাদিস যেহেতু রসুল ও তার সাহাবীদের মৃৃত্য্যূর বহু পরে সংকোলিত হয়েছে তাই হাদিস নিয়ে বহু বিতর্ক আছে। কে কোন হাদিস মানবে আর কে মানবে না সেটা ব্যক্তিবিশেষের উপড় নির্ভরশীল।কেউ না মানলেই সে মুসলিম নয় , বা ফিতনাকারী , মুরতাদ ইত্যাদি ট্যগিং ব্যক্তিবিশেষের কুপমন্ডকতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাবলীগ জামাত সম্পর্কে কিছু তথ্য দিয়েছেন যার সাথে একমত হতে পারলাম না। তাবলীগ জামাতের বিস্তৃতি সম্পর্কে কিছু তথ্য নীচে দিলাম;
Foreign missions
The first foreign missions were sent to the Hejaz (western Saudi Arabia) and Britain in 1946. The United States followed and during the 1970s and 1980s the Tablighi Jamaat also established a large presence in continental Europe. In France it was introduced in the 1960s, and grew significantly in the two decades following 1970.

In France, as of 2004, it was represented on the French Council of the Muslim Faith. During the first half-decade of the 21st century Tablighi Jamaat went through a major revival in France, reaching 100,000 followers by 2006. However, the United Kingdom is the current focus of the movement in Europe, primarily due to the large South Asian population that began to arrive there in the 1960s. By 2007, Tablighi Jamaat members were situated at 600 of Britain's 1,350 mosques.

After the collapse of the Soviet Union in 1991, the movement made inroads into Central Asia. As of 2007, it was estimated that 10,000 Tablighi Jamaat members could be found in Kyrgyzstan.

Pew Research Center estimates there are between 12 and 80 million adherents, spread across more than 150 countries. By some measures this made Tablighi Jamaat the largest Muslim movement in the World. The majority of the followers of the Tablighi Jamaat live in South Asia. It is estimated that nearly 50,000 members of Tablighi Jamaat are active in the United States.

৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন বই আকারে প্রকাশ পায় হজরত আবু বকরের (রা) সময়ে, হজরত ওসমানের সময়ে না।

সকল যুগের ইসলামিক স্কলাররা এই ব্যাপারে একমত যে ঢালাওভাবে সকল হাদিস পরিত্যাগকারী ইসলামের গণ্ডির মধ্যে থাকে না। পৃথিবীর অনেক মুসলমান প্রধান রাষ্ট্রে এই মতবাদের লোকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শাস্তি দেয়া হয়। আপনি কোন ভালো আন্তর্জাতিক মানের ইসলামি আলেম বা ভালো কোন ইসলামিক সাইট থেকে ব্যাপারটা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। এই ভিডিওটা দেখতে পারেন। উনি একজন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার।


জাল হাদিস, দুর্বল হাদিস এগুলি সনাক্ত করা হয়ে গেছে এই যুগে।

৫১| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:০৬

মোল্লা সাদরা বলেছেন: @ঢাবিয়ানঃ

ভ্রাতঃ শুধু হাদিস নহে, কে এছলাম মানিবে অথবা মানিবে না - উহাও ব্যক্তিবিশেষের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু এছলাম বিচ্ছিন্নভাবে পালন করা প্রায় অসম্ভবের কাছাকাছি। বিচ্ছিন্নভাবে বলিতে, আলেমদের সহিত পরামর্শ ব্যতিত। এবং, আজ পনেরো শত বৎসর ধরিয়া কুরআন - হাদিস - ফিকহ শাস্ত্রের যে ধারাবাহিক চর্চা হইয়া আসিয়াছি, উহা বাদ দিয়া।

স্মরণে রাখা জরুরী যে, কুরআনুল কারিম একেকজনের এলেম, রুহানিয়ত, কাবেলিয়ত, খুলুসিয়তের উপর নির্ভর করিয়া একেকটা স্তরে উন্মচিত হয়। আপোনি আপোনার ব্যক্তিজীবনের অনেক প্রশ্নের উত্তর সরাসরি কুরআন হইতে পাইয়া যাইবেন, অনেক মাসালা হল করিতে পারিবেন সরাসরি কুরআন হইতে, এবং নিয়তে ইখলাস থাকিলে কাল কিয়ামতের দিন খোদ আল্লাহতা'লাকেও হয়তো বুঝাইতে পারিবেন, আপনার কুরানের পাঠ এবং তাহা হইতে নির্ণীত মাসালা ভুল হইলেও আপনার নিয়ত খালেস ছিল। কিন্তু যখন আপনি আম ভাবে সাধারণ্যের জন্য শরয়ি মাসালা কুরআন হইতে দিতে থাকিবেন, হাদিসের সহায়তা ছাড়া, ফিকহ শাস্ত্রের সঙ্গে কন্সালটেন্সি ছাড়া - আপনি নিজের কপাল পোড়াইবেন, সঙ্গে সঙ্গে যাহারা আপনার অনুসারী হইবে তাহাদের গুনাহেরও ভাগিদার হইবেন। কারন, আপনি ঢাবিয়ান, আল আজহারিয়ান নন, মাদানিয়ান নন, দেওবন্দিয়ান নন, আপনি কোথাও ইসলাম লইয়া পড়াশোনা করেন নাই। আপনি নিজের নফসের অনুকরন করিয়াছেন।

কুরানিস্টরা নিঃসন্দেহে ফিতনা। যেমন ফিতনা ছিল খারেজি সম্প্রদায়। লা হুকমু ইল্লাল্লাহ - এক আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে মানি না, খারেজিদের এই শ্লোগান শুনতে তো বড় মিষ্টি, কিন্তু এই শ্লোগান উচ্চারন করিয়াই তারা হজরত আলী (রাজিঃ) কে শহিদ করিয়াছিল।

আপনাদের এই উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রবাদ পুরুষ, শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ)এর আমল হইতে, তথা সম্রাট আওরাংজেবের মৃত্যুর পর হইতে দিল্লীতে সিহাহ সিত্তাহ গ্রন্থের যে চর্চা হইতেছে, সেই একই হাদিস গ্রন্থের চর্চা হয় সৌদি আরবে, তুর্কিতে, মিশরে, ইন্দোনেশিয়ায়। এমনকি শিয়ারাও হাদিস শাস্ত্রের চর্চা করে, যদিও উহাদের হাদিস গ্রন্থ পৃথক, এবং উহারা তাহাদের জীবিত ইমামদের বক্তব্যকে লিপিত যেকোনো গ্রন্থের বক্তব্য হইতে বেশি গুরুত্ব দেয়।

কুরআন অনলী হবার সবচে বড় বিপদ এই যে - কুরআনের বেশ কিছু আয়াত তাহাদের শানে নুযূল সহ পাঠ করা ছাড়াই, তাহাদের আক্ষরিক অর্থ ধারন করিয়া আপনি জিহাদ ঘোষণা করিয়া বসিতে পারিবেন।

হাদিস অনুসরন করা অর্থ কুরানুল কারিমের সমতুল্য বলিয়া কোন মানব রচিত গ্রন্থকে গ্রহন করা নহে। হাদিস আসিয়াছে কুরআনের নাজিলকৃত হুকুম আহকামের বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদানের উদ্দেশ্যেই।

পরিশেষে, হিদায়াত আল্লাহতালার হাতে। উহা আল্লাহতালা যাহাদেরকে চান, তাহাদেরই প্রদান করেন।

৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এমন চমৎকার জ্ঞানগর্ভ জবাব আমি কোনদিন দিতে পারতাম না। আল্লাহতায়ালা আপনাকে আরও জ্ঞান দান করুন এই কামনা করছি। আমি অনেক কিছু শিখছি আপনার কাছ থেকে। ভালো থাকবেন ভ্রাতা। :)

৫২| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৩৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ লেখক, সব কিছুই যদি চর্চা বলে চালিয়ে দেন তাহলে শিয়াদের অনেক নিয়ম কানুনও মানতে হবে
শিয়া সুন্নি নিয়ে আর কত দন্দ করবেন ভাই। আর ভালো লাগে না আভ্যান্তরিন দন্দ। এ সকল অতীত ভুলে সুন্দর একটি পৃথিবী গড়ুন সত্যের পথে থেকে। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি আর করেন না। ক্ষমতা দখলের রাজনীত। শিয়া সুন্নি ছিলৈা তৎকালীন রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলের রাজনীতি। স্বার্থেূর রাজনীতি। প্রতিহিংসার রাজনীতি।

@মোল্লা সাদরা ,হাদিস অনুসরন করা অর্থ কুরানুল কারিমের সমতুল্য বলিয়া কোন মানব রচিত গ্রন্থকে গ্রহন করা নহে। হাদিস আসিয়াছে কুরআনের নাজিলকৃত হুকুম আহকামের বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদানের উদ্দেশ্যেই।- আপনার কথা ঠিক আছে কিন্তু সমস্যাটা হলো হাদীস সংগ্রহে এত দেরী করলেন কেনো? কেনো বুখারীর আমলে হাদীস পুস্তক আকারে প্রকাশিত হলো তার আগে হলো না কেনো? বুখারীর সময়কাল জানেন। প্রায় ৩০০ বৎসর পর। আর এটাই তো সমস্যা। ৩০০ বৎসর পর আল কোরআনে ব্যাক্ষা রাসুলের কাছ থেকে জানতে গেলে তার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু থাকে। রাসুল সাঃ ব্যাতিরেকে কি কেউ আল কোরআনের ব্যক্ষা করতে পারবেন না। “আর অবশ্যই আমরা কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহনের জন্য(১); অতএব উপদেশ গ্রহনকারী কেউ আছে কি? আমি কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বোঝার জন্যে। অতএব, কোন চিন্তাশীল আছে কি? ৫৪:১৭ কোরান বোঝার জন্য আল্রা কোরআনকে সহজ করে দিয়েঝছন। আর সবচেয়ে বড় যে সমস্যা আল্লা সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশ্রিত করতে নিষেধ করেছেন।
"তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত করো না এবং জেনে শুনে সত্য গোপন করো না।" (সূরা বাকারা : আয়াত ৪২)
আল কোরআনে আপনাদের মানুষদের সম্পর্কে স্পষ্ট বলছে তোমরা সত্যের সাথে মিশ্রিত করো না। তারপরও হাদীস নামের একটি মিথ্যা বিষয়বস্তুকে আপনি ইসলামে অনুপ্রবেশের পক্ষে। আপনি হয়তো বলবেন আমি হাদীসকে মিথ্যা বলছি কেনো? কারন ব্যাক্ষা দেওয়া খুব সহজ। ধরেন আমি মেনে নিলাম আপনার হাদীসে ৯৯ % হাদীস সত্য কিন্তু ১% হাদীস মিথ্যা বা কেউ মিথ্যা রস রাঙায়ে হাদীসের নামে চালিয়ে দিয়েছে। তখন আপনি কি করবেন? আমরা মেডিকেল সাইন্সে লক্ষ্য করি হাতের বা পায়ের একটি অংশে যদি কোন অংশে একটু ইনফেকশনের কারনে অনেক সময় হাত কেটে ফেলতে হয়। তাহলে ঐ ১% মিথ্যা হাদীসের জন্য সমস্ত হাদীসকে কেনো জলাঞ্জলি দিবেন না? কখনই আল কোরআনের মতো সত্য একটি বিষয়ের সাথে হাদীস নামক একটি মিথ্যাকে মিশ্রিত করা যাবে না।

@ঢাবিয়ান, হাদিস যেহেতু রসুলের সাহাবীদের লিখে যাওয়া বা সংকোলন করা কোন গ্রন্থ নয় এবং হাদিস যেহেতু রসুল ও তার সাহাবীদের মৃৃত্য্যূর বহু পরে সংকোলিত হয়েছে তাই হাদিস নিয়ে বহু বিতর্ক আছে। কে কোন হাদিস মানবে আর কে মানবে না সেটা ব্যক্তিবিশেষের উপড় নির্ভরশীল।কেউ না মানলেই সে মুসলিম নয় , বা ফিতনাকারী , মুরতাদ ইত্যাদি ট্যগিং ব্যক্তিবিশেষের কুপমন্ডকতার বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
এসকল কথা বলে আসলে প্রকৃত সত্য বিষয়কে ধামাচাপা দেওয়া প্রচেষ্টা চালানো হয়। বিতর্কিত করে সত্য পথের পথিকদের বিপদগ্রস্থ করার চেষ্টার নামান্তর মাত্র।

৫৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১০:৫৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, সব হাদিস জাল, আর হাদিস পুড়িয়ে ফেলার হাদিসটা সহিহ!!! হাস্যকর যুক্তি। আমার কাছে বরং হাদিস পুড়িয়ে ফেলার হাদিসটাই বানোয়াট বা জাল বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মনে হচ্ছে। এসব জাল হাদিস এখন না পাওয়াটাই মঙ্গলজনক। হাদিস নিয়ে আমার মোটামুটি স্টাডি আছে, খুব বেশি না। কোনো প্রিন্টেড বইপুস্তকে হাদিস পুড়িয়ে ফেলার কথাটা আমার নজরে পড়ে নি (পড়বেই এমনটা অবশ্য দাবিও করছি না)।

Abu Bakr
"My father collected the Hadith of the Prophet (s), and they were five-hundred in number. He spent the night being undecided [about them]. I said that he was undecided because of a complaint or something that had reached him. In the morning he said: "Oh my daughter! Bring me all the Hadiths that are with you". I gave them to him and he burnt them..."
Musnad Ahmad Ibn Hanbal, Vol 1, pg 4
আপনি এই হাদীসকেই যদি জাল বলেন তবে অন্য হাদীসকে সঠি বেলেন কি করে? ভাইরে হাদীস কে একটি বই হিসেবে পড়ুন কিন্তু গ্রহনযোগ্য কোন সিদ্ধান্ত নিতে হাদীসের ব্যবহার করা অন্যায় হবে। কারন আল্রা সত্যর সাথে মিথ্যাকে মিশ্রিত করতে নিষেধ করেছেন। শুধু আল কোরআনে নয় রাসুল নিজে কোরআনের সাথে হাদীসের মিশ্রন নিষেধ করেছিলেন।
"আমার কোনো-কথাই লিখো না। কেউ কুরান ছাড়া অন্য কিছু লিখে থাকলে তা মুছে ফেল। তবে আমার কথা প্রচার কর(narrate from me)। এতে কোনো দোষ নাই। কিন্তু মৌখিক বর্ণনায় যেন কোনো মিথ্যা বলো না। যে আমার সম্পর্কে কোনো মিথ্যা বলবে, সে যেন জাহান্নামে তার আশ্রয় গ্রহণ করে।" (সহি মুসলিম, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৪)
একই বর্ণনাকারী থেকে আর একটি হাদিস: আমরা রাসুল সঃ থেকে (কুরান ছাড়া অন্য কিছু) লিপিবদ্ধ করে রাখতে অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি অনুমতি দেন নি।" যায়দ বিন সাবিতও একই রকমের হাদিস বর্ণনা করেছেন।
রাসুল সঃ তাদেরকে বলেন: তোমরা এসব কী লিখছ? ...আল্লাহর কিতাবের সাথে মিশিয়ে আর একটা কিতাব লিখছ?
It was narrated from Abu Sa'eed al-Khudri that the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: "Do not write anything from me; whoever has written anything from me other than the Qur'aan, let him erase it and narrate from me, for there is nothing wrong with that." (Narrated by Muslim, al-Zuhd wa'l-Raqaa'iq, 5326)
শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অংশ অনুবাদ করছি: বর্ণিত আছে, রাসুল সঃ বলেন: কোরান ছাড়া আমার কাছ থেকে তোমরা আর কিছুই লিখবে না। যে এরকম যা কিছু লিখেছ, মুছে ফেল।...
তখন এইসব সাহাবি কর্তৃক কোরান-হাদিস মিলিয়ে যা কিছু লেখা হয়েছিলো, সব পুড়িয়ে ফেলা হয় (রেফ: মুসনাদে ইমাম আহমদ, ১ম খন্ড, পৃ. ১৭১, মজমায়ুজ জাওয়ায়িদ, ১ম খন্ড, পৃ. ১৫২)
তারপরও কি আপনি আল কোরআনের সাথে হাদীসের সংমিশ্রন করবেন?

কোরান আর হাদিসের মধ্যে অসামাঞ্জস্যপূর্ণ কিছু না পাওয়া গেলে হাদিসের বাণী অবশ্যই মানবো; অসমঞ্জস বিষয়গুলো জাল, ওগুলো পরিত্যাজ্য।
হ্যা আপনার এ প্রসঙ্গ ঠিক আছে হাদীসকে আর কোরআনের ছাকনি দিয়ে পরিশুদ্ধ করতে পারেন। তবে গ্রহনযোগ্য কোন বিষয়ের ক্ষেত্রে হাদীসকে সিদ্ধান্ত গ্রহনের বিষয়ব্স্তু করা যাবে না। এতে আল্লা এবং রাসুলের নির্দেশ অমান্য হয়ে যাবে।

৫৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @মোল্লা সাদরা, কুরানিস্টরা নিঃসন্দেহে ফিতনা। যেমন ফিতনা ছিল খারেজি সম্প্রদায়। লা হুকমু ইল্লাল্লাহ - এক আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে মানি না, খারেজিদের এই শ্লোগান শুনতে তো বড় মিষ্টি, কিন্তু এই শ্লোগান উচ্চারন করিয়াই তারা হজরত আলী (রাজিঃ) কে শহিদ করিয়াছিল। তাহলে উসমান (আঃ) কে শহীদ করেছিলেন কোন ফিতনা কারীরা? অবান্তর কথা বলে লাভ কি? এগুলো ক্ষমতা দখলের রাজনীতি। রাসুলের প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক সাম্রাজ্যকে দখলের জন্য রাজনীতি। এগুলো সাথে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা একটি দুরভিসন্ধি জড়িত ছিলো। এগুলোকে তুলে ধরে হাদীস গ্রহনযোগ্যতা বোঝালেন কি করে বুঝলাম না? ফিতনা সেটাই যেটা সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশ্রিত করে ইসলামকে ইতিহাস বানানোর ষড়যন্ত্র যারা লিপ্ত তাদের আচরনই ফিতনার সামিল।

৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সহজে বলি। রসুলের নির্দেশ, উপদেশ কিভাবে জানা যাবে এই যুগে? আপনি আমাকে ব্যাখ্যা করেন। আবার বলবেন না যে রসুলের আদেশ, নিষেধ, উপদেশ দরকার নাই।

আর আমার মৃত মাছের হালাল হওয়ার ব্যাখ্যা আপনারা কেউ দিলেন না। কোরআনে নিষেধ থাকার পরও মুসলমানরা যুগের পর যুগ কিভাবে ইহাকে হালাল ভেবে খাচ্ছে। কিছু মাথা খাটানোর চেষ্টা করেন।

যে এবাদত কোরআনে নেই সেটা আপনারা পালন করছেন কেন? উদাহরণ আমি কয়েকবার দিয়েছি এই পোস্টে। ট্র্যাডিশন হিসাবে পালন করছেন। ধর্ম তো ট্র্যাডিশন না। আরবের পৌত্তলিকরাও বলত যে আমরা আমাদের বাপ দাদার ধর্ম ছাড়তে পারবো না।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগার রাশেদুল -
আপনি কি কোরআনের দুইটা আহরুফ ‘হাফস’ এবং ‘ওয়ারশ’ সম্পর্কে জানেন। কোরআনের ‘হাফস’ সংস্করণ মুলত মিশর এলাকাতে অনুসরণ করা হয় এবং ‘ওয়ারশ’ সংস্করণ উত্তর আফ্রিকাতে অনুসরণ করা হয়। উভয় আহরুফের কোরআনের প্রিন্টই সহজলভ্য এবং অনুমোদিত। কোন বিতর্ক নেই স্কলারদের মধ্যে। আপনি কি জানেন সামান্য কয়েক জায়গাতে এই দুই আহরুফের কোরআনের সংস্করণে শব্দের পার্থক্য আছে। আমি দুই একটা উদাহরণ দিচ্ছি।

সূরা ২১, আয়াত ৪:
আহরুফ ‘হাফস’ কোরআনে আছে,
কলা (Qaala) – He said
আহরুফ ‘ওয়ারশ’ কোরআনে একই আয়াত এভাবে আছে;
কুল (Qul) - Say

সূরা ৫, আয়াত ৫৪:
আহরুফ ‘হাফস’ কোরআনে আছেঃ
ইয়ারতাদ্দা – Turn back
আহরুফ ‘ওয়ারশ’ কোরআনে একই আয়াত এভাবে আছে;
ইয়ারতাদিদ – Turn back

আপনি এই লিঙ্কে গেলেগেলে কোরআনের আহরুফ সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেখানে আরও অনেকগুলি উদাহরণ আছে। ভালো করে দেখবেন।

কিন্তু শব্দের সামান্য পার্থক্য থাকলেও মূল অর্থ বা ভাবার্থ একই।

কোরআনকে আল্লাহ সংরক্ষণ করবেন বলেছেন। আপনি এখন আমাকে এই ভিন্নতার ব্যাখ্যা দেন। কোরআন তো দুই রকম হওয়ার সুযোগ নেই মনে হয়। এই দুই রকম কোরআনই সর্বজনস্বীকৃত। কোন ইসলামি স্কলার কোনটাকে ভুল বলেন নি। আপনি এটার ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন কোরআনের আলোকে।

৫৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০৯

মোল্লা সাদরা বলেছেন: @লাবলুঃ

হাদিস শরীফের সংকলন ৩০০ বছর পরে হইয়াছে রাসুল (সঃ) এর ওফাতের, তাহাতে এখন কি করা?

বিষয় হইতছে, যে সময়ের আলোচনা আমোরা করিতেছি, ঐ সময়ে প্রিন্টিং প্রেস ছিল না। কাজেই আপোনি যদি হুজুর পুরনুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের ওফাতের সাল হইতেই হাদিসের কিতাব আশা করেন, উহা আপনি পাইবেন না। কিন্তু মানুষ জরুরত মতো হাদিস মুখস্ত করিয়া রাখিত। ওরাল ন্যারেটিভ ট্র্যাডিশনের কাল ছিল উহা। বুখারি শরীফ প্রথম হাদিসের কিতাব না।

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশাতেও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাজিঃ (যাহার হাদিস সংকলনের নাম ছিল আস সহিফাহ - আস সাদিকাহ), হজরত আমর ইবনুল আস রাজিঃ, এবং হজরত আনাস ইবনু মালিক রাজিঃ হাদিস সংকলন করিয়াছেন। উহা তাহারা জনসমক্ষে লিখিত আকারে প্রচার করেন নাই, কারন তাহার জরুরত ছিল না। মানুষের মুখে মুখে রাসুল (সঃ) এর হাদিস মুখস্ত আঙ্গিকে ফিরিতো।

প্রথম সংকলিত হাদিস গ্রন্থ ইমাম মালিকের মুয়াত্তাহ, যাহাতে উনি শ্রুত ১ লক্ষ হাদিসের মধ্য হইতে ১৯০০ হাদিস সংকলন করেন। মুয়াত্তাহ কপি করিয়া প্রচার করা হয় ১৬৩ হিজরিতে। উনি মূলত হিজাজের বাসিন্দাদের মুখ হইতে শ্রুত হাদিস তাহার কিতাবে সংকলন করেন।

কাজেই হাদিসের চর্চা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের জামানায় হইত না - ইহা মিথ্যা দাবী।

হাদিস, যেমনটা আগেই বলিলাম, বিশেষায়িত একটি ইলমের শাখা। মাদারিসগুলিতে একদম সব শেষ বছরে ইহার তালিম দেয়া হয়, কারন, হাদিসের সনদ গুরুত্বপূর্ণ। হাদিস সহি, না জয়িফ, ইহা নিয়া গবেষণা হইতে আছে, হইতেই থাকিবে। কিন্তু কেহ ইহা দাবী করিতে পারিবে না যে, মনগড়া হাদিস বানাইয়া পৃথিবীর সব প্রান্তের মুহাক্কেক আলেমগন ব্যবসা ফাঁদিয়া বসিয়াছেন। সিহাহ সিত্তাহের স্বপক্ষে বিশাল সংখ্যক আলেম সারা দুনিয়ার কোনা কোনায় মওজুদ।

সবশেষ কথা, জনাব লাভলু, ইসলাম কাহারো ভেতরে প্রবেশ করিবার এক মূল লক্ষণ হইতেছে, তাহার অভ্যন্তরে আদবের বহিঃপ্রকাশ। আপনার শব্দচয়ন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের মুখ নিঃসৃত বানীর ব্যাপারে, অহেতুক গোস্তাখীতে পূর্ণ। উদাহরণত - "আল কোরআনের মতো সত্য একটি বিষয়ের সাথে হাদীস নামক একটি মিথ্যা"।

নিজের ব্যাপারে ফিকির করুন।

অন্যের এসলাহ আপনার হাতে নহে।

মুতাজিলাদের মতো তর্ক করিয়া খোদাকে পাওয়া সম্ভব নয়। চারিশত বছর পূর্বে ইন্তেকাল করা এই বুঢঢার পরামর্শ ইয়াদ রাখিবেন।

ওয়াসসালাম।

৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুখারি শরীফ হোল হাদিসের সংকলন। রসুলের (সা) ওফাতের প্রায় ৮০ বছর পর থেকে হাদিস সংগ্রহ শুরু হয়। হজরত আলী সহ আরও কয়েকজন সাহাবী হাদিস লিখে রাখতেন। আপনি আরও কিছু উদাহরণ দিয়েছেন।

ঐ যুগ তো লেখাপড়ার যুগ ছিল না। তাছাড়া হাজার হাজার সাহাবী ও তাবেঈন ছিলেন যারা রসুলের ওফাতের ৮০ বা ৯০ বছর পরও জীবিত ছিলেন। হাজার হাজার হাদিস ওনাদের মুখস্থ ছিল। সেই কারণেও হাদিসের বই লেখার দরকার পড়ে নাই।

ইসলামে খোলাফায়ে রাশেদিনের পরে খেলাফত নিয়ে দ্বন্দ্ব হলেও কোরআন বা হাদিস নিয়ে কোন দ্বন্দ্ব ছিল না। শিয়ারা বা খারিজীরা কখনও ক্ষমতায় ছিল না।

৫৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১১:১৪

মোল্লা সাদরা বলেছেন: @লাবলুঃ যাহারা হজরত উসমান গনি রাজিঃকে শহিদ করিয়াছিল, ওরাও নিঃসন্দেহে গোমরাহ, ফিতনাবাজ। কিন্তু দুনিয়ার সব ফিতনাবাজ একই রকম হইবে, এইরকম দাবী আমি কোথাও করি নাই। উদাহরণত কাদিয়ানিরাও ফিতনা, কিন্তু ভিন্নধাঁচের ফিতনা।

কুরানিস্টদের সঙ্গে খারেজিদের মিলজুল বেশি বলিয়া উহাদের মধ্যে তুলনা করিলাম। উভয় দলের শ্লোগান খুবই কাছাকাছি। দর্শনও।

৫৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ মোল্লা সাদরা, আল কোরআন সংরক্ষনের ইতিহাস তো নিশ্চয় জানেন।
হযরত আবুবক্কর (সাঃ) এর সময়কালে। তিনি আল কোরআন হজরত যায়েদ ইবনে ছাবিত রা:-কে ডাকলেন এবং পূর্ণ কুরআন একত্র করার নির্দেশ দিলেন। কুরআনের প্রথম একত্রিত কপি সংকলন করলেন। বিশেষ করে খেজুর পাতাতে আল কোরআন লিখিত করা হয়। সেই কপি আবু বকরের কাছেই তার ওফাত পর্যন্ত রয়ে গেল অতঃপর তার ওফাতের পর কুরআনের এ কপি হজরত উমর ফারুক রা:-এর কাছে ছিল তিনি ওফাত বরণের পর তারই কন্যা রাসূল সা:-এর স্ত্রী হজরত হাফছা রা:-এর নিকট রাখলেন অতঃপর কুরআনের এই মূল কপির অনুসরণ করে আরো অনেক কফি করে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থানান্তর করা হলো। পরবর্তীতে হজরত ওসমান রা: পুনরায় কুরাইশের ভাষায় হাফছা রা:-এর কাছে সংরক্ষিত কপির অনুরূপ একাধিক কপি লিপিবদ্ধ করার আদেশ দিলেন। কপিগুলোকে যথাক্রমে মক্কা, মদিনা, শাম, বসরা এবং কুফায় প্রেরণ করলেন। পরিশেষে এক কপি হজরত ওসমান রা: নিজের কাছে রাখলেন।

আল কোরআন সংকলন করা হয়েছিলো খেজুর পাতায় লিখিত আকারে। আর আপনি প্রিন্টিং প্রেসের প্রসঙ্গ নিয়ে এলেন। প্রিন্টিং প্রেসের কথা শুনে আমার হাসি পেয়েছে বটে। আগেকার যুগে প্রিন্টিং প্রেসে কোন কিচু ছাপানোর দরকার পড়তো না। মানুষ হাতে লিখে পুস্তক আকারে সংকলিত করতো। খেজুর পাতাতে প্রথম লেখা শুরু হয়।

বুখারি শরীফ প্রথম হাদিসের কিতাব না।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশাতেও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমার রাজিঃ (যাহার হাদিস সংকলনের নাম ছিল আস সহিফাহ - আস সাদিকাহ), হজরত আমর ইবনুল আস রাজিঃ, এবং হজরত আনাস ইবনু মালিক রাজিঃ হাদিস সংকলন করিয়াছেন। উহা তাহারা জনসমক্ষে লিখিত আকারে প্রচার করেন নাই, কারন তাহার জরুরত ছিল না। মানুষের মুখে মুখে রাসুল (সঃ) এর হাদিস মুখস্ত আঙ্গিকে ফিরিতো।
প্রথম সংকলিত হাদিস গ্রন্থ ইমাম মালিকের মুয়াত্তাহ, যাহাতে উনি শ্রুত ১ লক্ষ হাদিসের মধ্য হইতে ১৯০০ হাদিস সংকলন করেন। মুয়াত্তাহ কপি করিয়া প্রচার করা হয় ১৬৩ হিজরিতে। উনি মূলত হিজাজের বাসিন্দাদের মুখ হইতে শ্রুত হাদিস তাহার কিতাবে সংকলন করেন।


তাহলে আমার প্রশ্ন সেই সংকলিত হাদীস গুলো কই? সেই সংকলিত হাদীসগুলো পরবতীতে পুস্তক আকারে প্রকাশিত হলো না কেনো? বুখারী সাহেবকে কেনো কষ্ট করে হাদীস সংগ্রহ করতে হলো? কেনো মুসলিম সাহিবকে কষ্ট করে হাদীস সংগ্রহ করতে হলো? আবার একে অন্যের হাদীসকে জাল ভূয়া বলে ভৎসনা করলেন কেনো? তাহলে কি প্রমান হয় না পূর্বের সেই হাদীস গুলো ছিলো না। সময়ের ধারাবাহিকতা সেই হাদীস গুলো হারিয়ে গিয়েছিল নইলে কষ্ট করে হাদীস সংগ্রহ করার দরকার পড়তো না। সাহাবীদের আমলে সংকলিত হাদীসগুলো যদি পরবতীতে পুস্তক আকারে প্রকাশিত হইতো তাহলে তো আপনার সাথে আমার এই কমেন্ট চালাচালি করতে হতো না। তাই নয় কি? আমাদের মধ্যে তো রাসুল (সাঃ) অভিশাপের ভয় উদ্যেগ জড়তা থাকতো না।

জনাব লাভলু, ইসলাম কাহারো ভেতরে প্রবেশ করিবার এক মূল লক্ষণ হইতেছে, তাহার অভ্যন্তরে আদবের বহিঃপ্রকাশ। আপনার শব্দচয়ন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের মুখ নিঃসৃত বানীর ব্যাপারে, অহেতুক গোস্তাখীতে পূর্ণ। উদাহরণত - "আল কোরআনের মতো সত্য একটি বিষয়ের সাথে হাদীস নামক একটি মিথ্যা"।
তাহলে আপনিই বলুন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন “মিথ্যা” বলতে আর কি বুঝিয়েছেন? আর রাসুল (সাঃ) কেনোই বা আল্লার কোরআনের পিাশে রাসুলের কেনো কথা লিখতে নিষেধ করলেন। আল কোরানের মাধ্যমে রাসুল এটা জেনেছিলেন বলেই তো নিষেধ করেছিলৈন। আমি মেনে নিলাম ৯৯% হাদীস সত্য কিন্তু একটি হাদীস যে মিথ্যা হবে না তা কি আপনি গ্যারান্টি দিতে পারেন?
আমি ভয় পাই ভাই রাসুলের অভিশাপের ভয় পায়। আল্লার রাসুলের অভিশাপ বড় অভিশাপ। কুরানিষ্ট বলে আমাকে যে শাস্তি দিবেন আমি মাথা পেতে নিবো কিন্তু কখনই হাদীসকে আল কোরআনের পাশে রাখবোনা। আমি হাদীস পড়ি। বোঝার চেষ্টা করি। কিন্তু কখনই কোন গ্রহনযোগ্য সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে হাদীসকে টেনে আনবো না। কারন আল কোরআন ঘোষনা দেয় সত্য সমাগত।

৫৮| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ২:১৮

জটিল ভাই বলেছেন:
আল্লাহ্ সবাইকে হিদায়াত করুন।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিন। ভালো থাকবেন। আপনার গানটা শোনা হয় নাই। পরে শুনে মন্তব্য করবো।

৫৯| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ২:৫৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ লেখক,
আর আমার মৃত মাছের হালাল হওয়ার ব্যাখ্যা আপনারা কেউ দিলেন না। কোরআনে নিষেধ থাকার পরও মুসলমানরা যুগের পর যুগ কিভাবে ইহাকে হালাল ভেবে খাচ্ছে। কিছু মাথা খাটানোর চেষ্টা করেন।

আপনি এ প্রশ্ন আমাকে বারেবার করেছেন কিন্তু আমি বারেবার এ প্রশ্নকে এ্যাভেয়েড করছি কারন যদি কখনও কটু কথা বলে দিই হয়তো কষ্ট পাবেন। তাই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেছি। কিন্তু এবারে আর পারলাম না। আপনি এমন নির্বেোধ এর মতো কথা কেনো? আমি যতটুকু আপনাকে চিনেছে তাতে বুজেছি আপনি যথেষ্ট জ্ঞানি মানুষ। অনেক ক্ষেত্রে আমি আপনার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহন করছি তথাপিও আপনার মুখ থেকে বারেবার এমন প্রশ্ন শুনতে ভালো লাগলো না। (নির্বেোধ বলা জন্য ক্ষমা করবেন। আপনাকে এতটুকু না দিলে হচ্ছিলো না। তাই দিলাম।) আল কোরআন কি বোঝার চেষ্টা করেন না? কিন্তু কেনো বোঝার চেষ্টা করেন না?

নিশ্চয় তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশ্ত এবং যা গায়রুল্লাহর নামে যবেহ করা হয়েছে। সুতরাং যে বাধ্য হবে, অবাধ্য বা সীমালঙ্ঘনকারী না হয়ে, তাহলে তার কোন পাপ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আল-বায়ান ২:১৭৩
আল কোরআনের এই আয়াতের উপর ভিত্তি করে আপনি এই অভিযোগ করেছেন। এই আয়াতে জন্তু বা পশু শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে মৎস্য শব্দ ব্যবহার করা হয় নাই। سمك মৎস্য শব্দটি ২।৬৫ সুরাতে ব্যবহার করা হয়েছে। এই সুরাতে الحيوانات ব্যবহার করা হয়েছে। আমি ইংরেজী অনুবাদ তুলে ধরলাম।
He has only forbidden to you dead animals, blood, the flesh of swine, and that which has been dedicated to other than Allah. But whoever is forced [by necessity], neither desiring [it] nor transgressing [its limit], there is no sin upon him. Indeed, Allah is Forgiving and Merciful.2.173
হাদীসে কি বলে শোনেন- “আমাদের জন্য দুটি মৃত হালাল - মাছ এবং টিড্ডি (এক জাতীয় ফড়িং)। [বাগভীঃ শরহুস-সুন্নাহঃ ২৮০৩, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩২১৮] হাদীসে মাছ এবং পাখী শ্রেনীর ফড়িং এর মৃত প্রানি খাওয়ার অনুমোদন দেওয়া আচে। অতএব মাছ মৃত খাইলে আল্লাহর নির্দেশনা বিরোধী হয় না।

ভাই, নিবোধ বলার জন্য ক্ষমা করার সৎ সাহস দেখায়েন। আমি দেখতে চাই আপনার সৎ সাহস। সামুতে অল্প সময়ের মধ্যে আমার বেশ কয়েকজন প্রিয় ব্লগারের মধ্যে আপনি আমার একজন প্রিয় ব্লগারে পরিনত হয়েছেন।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সুরা বাকারার ১৭৩ নং আয়াতে 'মাইতাতা' শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে যার দ্বারা বুঝায় ডেড এনিমাল (মৃত প্রাণী) অথবা Carrion। এখন এনিমাল কারা। এনিমাল হোল প্রাণী। যার মধ্যে আছে;

Annelida (worms, leeches)
Arthropoda (insects, spiders, crustaceans)
Chordata (mammals, fish, reptiles, birds)
Cnidaria (jellyfish, anemone, corals)
Mollusca (octopuses, squid, cuttlefish)
Platyhelminthes (flatworms, tapeworms, flukes)
Porifera (freshwater sponges, sea sponges)

এরা সবাই প্রাণী। যার মধ্যে মাছও অন্তর্ভুক্ত।

বাংলা অভিধানে প্রাণীর ইংরেজি করলে আসে এনিমাল। আর এনিমাল বলতে শুধু পশু বুঝায় না।

আবার ইংরেজি Carrion মানে হোল your dictionery
Carrion is defined as dead or dying flesh.
An example of a carrion is a decaying fish.

তারমানে মৃত মাছও Carrion এর অন্তর্ভুক্ত। ইংরেজি Meat এর মধ্যে মাছও আছে।

কেমব্রিজ অভিধান অনুযায়ী Meat বলতে মাছও বুঝায়। সেখানে একটা উদাহরণ দেয়া হয়েছে; The price of fish, like those of other meats, has been depressed over the last year or 18 months.

'মাইতাতা' মানে মৃত পশু না। বরং মৃত পশুসহ সকল মৃত প্রাণী 'মাইতাতা'র অন্তর্ভুক্ত। মাইতাতা মানে মৃত প্রাণী।

আয়াতটার ইংরেজি অনুবাদ দিলাম;

SAHIH INTERNATIONAL
He has only forbidden to you dead animals, blood, the flesh of swine, and that which has been dedicated to other than Allah. But whoever is forced [by necessity], neither desiring [it] nor transgressing [its limit], there is no sin upon him. Indeed, Allah is Forgiving and Merciful.

He hath forbidden you only carrion, and blood, and swineflesh, and that which hath been immolated to (the name of) any other than Allah. But he who is driven by necessity, neither craving nor transgressing, it is no sin for him. Lo! Allah is Forgiving, Merciful.

তারমানে মৃত মাছ সহ মৃত প্রাণীর মাংস হারাম।

এই কারণেই হাদিসে মাছকে এই নিয়মের ব্যতিক্রম হিসাবে বলা হয়েছে। যেটা আপনি উল্লেখ করেছে। অর্থাৎ আপনি হাদিসের সাহায্য নিয়েছেন কোরআনের এই ব্যতিক্রমটা জানার জন্য।

الحيوانات শব্দটা কোথায় পেয়েছেন? কি কারণে ব্যবহার করলেন?

আমি আপনাকে নির্বোধ কখনও বলিনি। আপনি কেন বলেছেন আমি জানি না।

৬০| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:১১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ লেখক,
কোরআনকে আল্লাহ সংরক্ষণ করবেন বলেছেন। আপনি এখন আমাকে এই ভিন্নতার ব্যাখ্যা দেন। কোরআন তো দুই রকম হওয়ার সুযোগ নেই মনে হয়। এই দুই রকম কোরআনই সর্বজনস্বীকৃত। কোন ইসলামি স্কলার কোনটাকে ভুল বলেন নি। আপনি এটার ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেন কোরআনের আলোকে।
তৎকালীন সময়ে আরবী ভাষায় বিভিন্ন ব্যকরন প্রচলিত ছিলো। আল কোরআন প্রথম কুরাইশ আরবীতে সংকলিত ছিলো। পরবর্তীতে বিভিন্ন এলাকার কোরআন সংকলিত হওয়ার সময় তাদের ভাষার ব্যকরন গ্রহন করা হয়। যেমন বাংলা ভাষায় আমি যখন বলছি “আমার” আবার আরেকজন যখন বলছে “মুই” তখন আপনি কি বলবেন? এটা কোন সমস্যা নয়। এটাকে সমস্যা ভাবার কোন কারন নেই। কারন বিষয়বস্তু এক। এটা কোন সমস্যা নয় ভাই। ভালো থাকুন।

এখন রাত 3টা ঘুম আসছে। পরে আবার আলোচনা হবে।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: - আল কোরআন প্রথম কুরাইশ আরবীতে ছিল এটা আপনি কোথায় পেয়েছেন? কিভাবে জানলেন?
- পরবর্তীতে বিভিন্ন এলাকার কোরআন সংকলিত হওয়ার সময় তাদের ভাষার ব্যাকরণ গ্রহণ করা হয়। এই কথা আপনি কিভাবে জানলেন?

পার্থক্য ব্যাকরণে না পার্থক্য বাক্যে।

৬১| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:১৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: @রাশিদুল ইসলাম লাবলু ভাই

এ বিষয়ে আমি প্রাজ্ঞ নই, যেমন আলোচনায় অংশগ্রহণকারী ও পোস্টদাতাসহ অনেকেই। আমার নাম বলেছেন বলে একনলেজ করছি। সাথে দু-একটা কথা।

ছোটোবেলা থেকে এ পর্যন্ত, মা-বাবা, শিক্ষকগণ, মুরুব্বীগণ, সিনিয়র-জুনিয়র-কলিগসহ অনেকেই সৎ উদ্দেশ্যে অনেক পরামর্শ ও উপদেশ দিয়েছেন। ডেল কার্নেগী, রবীন্দ্র-নজরুলসহ অনেক বিখ্যাত লেখক ও মনীষীর বই-পুস্তক পড়েছি, সেখান থেকে জীবনের প্রয়োজনে নির্যাসটুকু গ্রহণ করে জীবনকে পরিশুদ্ধ ও পরিশীলিত করার চেষ্টা করেছি ও করছি। কোরানের আদেশও যতখানি সম্ভব বোঝার ও মানবার চেষ্টা করি। আর মহান রাসূলুল্লাহ (সাঃ )-এর বাণীকে শুধুমাত্র পড়া ও ইতিহাস হিসাবে গণ্য করার জন্য বলছেন! আপনাদের অধীত জ্ঞান ও প্রজ্ঞার তারিফ করতেই হয় সেইক্ষেত্রে। মা-বাবা, শিক্ষকদের উপদেশ এক কান দিয়ে শুনবেন, আরেক কান দিয়ে বের করে দেবেন, ব্যাপারটা এ রকম হয়ে যায়।



যাই হোক, সবাই ভালো থাকুন। আল্লাহ আমিসহ সবাইকে সঠিক বিষয়টা বোঝার তৌফিক দান করুন।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা খুবই আশ্চর্যের কথা যে রসুলের (সা) কথা শুধু মাত্র পড়ার জন্য এবং ইতিহাস হিসাবে গণ্য করার জন্য। কেউ বুঝতে না চাইলে তাকে বোঝানো সম্ভব না। মা, বাবা, শিক্ষকের উপদেশ মানার দরকার নাই শুধু শুনে যাব।

৬২| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩০

এভো বলেছেন: মৃত মাছ খাওয়া কি করে হালাল হোল?

উত্তর খুব সহজ, আগেই দিয়েছি,,
বিগত ১৪০০ বৎসর ধরে মৃতআছ খাওয়া হচ্ছে খাদ্য হিসাবে। ৩০০ বৎসর পরে কেহ কাহিনী লিখেনি যে মৃত মাছ খাওয়া হালাল।
হাদিসকে জাস্টিফাই করার জন্য এনাদের প্রতিদিনের চর্চার বিষয়, গ্রহণ করার বিষয় গুলোকে উত্থাপন করছে, যেটা খোড়া যুক্তি।
যে সব বিষয় নিয়মিত চর্চার বিষয় সে গুলো প্রমাণিত এবং গ্রহণ যোগ্য, ৩০০ বৎসর পরে লিখা কাহিনী গ্রহন যোগ্য নহে পুরোপুরি।
এমন কি হাদিস সংগ্রহকারিরা অপরের সংগ্রহকৃত কাহিনীকে হারাম বলেছে।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনের বিধান অমান্য করে মৃত মাছ খাওয়ার চর্চা মুসলমানরা কিভাবে করে? সেটা বলেন।

৬৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৫৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই,
মহান রাসূলুল্লাহ (সাঃ )-এর বাণীকে শুধুমাত্র পড়া ও ইতিহাস হিসাবে গণ্য করার জন্য বলছেন! আপনাদের অধীত জ্ঞান ও প্রজ্ঞার তারিফ করতেই হয় সেইক্ষেত্রে। মা-বাবা, শিক্ষকদের উপদেশ এক কান দিয়ে শুনবেন, আরেক কান দিয়ে বের করে দেবেন, ব্যাপারটা এ রকম হয়ে যায়।

না ভাই ঠিক এমনটি নয় ! কারন তৎকালীন সময়ে রাসুল (সাঃ) যদি নিজ তত্ত্বাবধানে হাদীস সংরক্ষিত করার চেষ্টা করতেন। কিংবা তার সাহাবীদের তত্ত্বাবধানে যদি আল কোরআনের মতো হাদীসকে সংরক্ষিত করা উদ্যেগ নিতেন যা পরবর্তী পর্যায়ে হাদীস হিসেবে সংকলিত হতো তাহলে কোন সংশয় থাকার কথা ছিলো না। কিন্তু যেহেতু এমনটি হয় নাই বোখারী সাহেবকে প্রায় ৩০০ বৎসর পর হাদীস সংগ্রহ করে বেড়াতে হয়েছে বিভিন্ন মুখ মাধ্যমে এবং সেই সংগ্রহই পরবর্তীতে সংকলিত হয়। তাই সেই হাদীসগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। দেওয়াটাই স্বাভাবিক।

আবার এ সংশয় থাকার প্রশ্নই উঠতো না যদি না “আল কোরআনে সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশ্রিত করো না” বলে নির্দেশনা না থাকতো। কিংবা হাদীসে যদি রাসুল (সাঃ) না বলতেন “ তোমরা আল্লার কোরআনের সাথে আমার কথাকে কেনো লিখে রাখছো? মুছে ফেলো। কেনো কোরআনের মতো আরেকটি পুস্তক লিখার চেষ্টা করছো?” এই বিষয়টি হাদীসে উল্রেখ আছে। এখন যদি আপনি রাসুল (সাঃ) এই বক্তব্যকে জাল হাদীস বলেন তাহলে অন্য হাদীসকে সহি বলেন কি করে?

সুতরাং “মা-বাবা, শিক্ষকদের উপদেশ এক কান দিয়ে শুনবেন, আরেক কান দিয়ে বের করে দেবেন, ব্যাপারটা এ রকম হয়ে যায়” এই বিষয়টির সাথে তুলনা করতে পারেন না। কারন উপদেশ আপনার মা,বাবা, শিক্ষকরাই দিচ্ছেন অন্য কেউ তো আর বলছে না এই উপদেশ তোমার মা, বাবা বা শিক্ষক দিয়েছে। অন্য কেউ বললে সংশয় কি একটু থাকে না? যাচাই করার কি কোন প্রশ্ন আসে না? আপনিই বলুন।
ভালো থাকুন।

৬৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৩

সামি হারিছ বলেছেন: হাদিস অনেক পরে সংকলিত হওয়ার কারনে যদি হাদিস বাদ দিতে হয় একই কারনে কুরআনও বাতিলের খাতায় পরে যাবে। আমরা যে হাফসের রেওয়াত পড়ে থাকি তিনি ছিলেন ইমাম মালিকের সমসাময়িক একজন তাবীঈ। কুরআনের প্রাচীন কপিগুলোতেও কিছুটা ভিন্নতা পাওয়া যায়।
একটা হাদিস শুদ্ধ কিনা এটা পরিমাপের জন্য ১৪০০ বছর ধরে অগনিত মুহাদ্দিস কাজ করেছেন। একই পদ্ধতিতে কুরআন এর কেরাত এবং তাফসির সংরক্ষিত হয়েছে। সুতরাং বাতিল বলতে চাইলে দুটোই বাতিল বলতে হবে। কুরআন এর সংরক্ষণ নিয়ে কোন বিতর্ক নেই এটা খুবই ভুল ধারনা। হজরত উসমান (রা) এর জীবদ্দশাতেই কুরআন এর বিভিন্ন পাঠের মধ্যে ভিন্নতা এত বেড়েছিল যে এটা সংঘাতের রূপ নিতে যাচ্ছিল। শিয়াদের অনেক নামজাদা আলেম কুরআনকে অসম্পূর্ণ মনে করেন। এছাড়া বর্তমানে John Wansbrough অথবা Patricia Crone এর মত রিভিশনিস্ট ইতিহাসবিদরা যেরকম বলে কুরআন একটি পরবর্তীতে সৃষ্ট বানোয়াট কাহিনী এটা বলতে না চাইলে হাদিস মানার বিকল্প নেই।
আসলে যারা নিয়মনীতির গণ্ডীর মধ্যে থাকতে চাননা তারাই হাদিস এর বিরুদ্ধে বলেন। কারন হাদিস সামনে না থাকলে কুরআন এবং ইসলামকে মনমতো ব্যাখ্যা করা যায়। জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কেন কোরআনের 'হাফস' আর 'ওয়ারশ' আহরুফে কয়েকটা জায়গাতে শব্দের পার্থক্য আছে এটা ওনারা নিজেদের মত বলার চেষ্টা করছেন যার কোন দলিল প্রমাণ নেই। ওনাদের ব্যাখ্যা কেউ গ্রহণ করবে না কারণ আল্লাহর তরফ থেকে এটার ব্যাখ্যা দরকার। কিন্ত ওনারা আল্লাহর দেয়া ব্যাখ্যা গ্রহণ না করে নিজেদের মত বলছেন। ওনারা বলতে চাচ্ছেন যে মানুষের মুখে মুখে ভাষার কারণে এটার পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু আল্লাহ বলছেন যে তিনি ৭ আহরুফে কোরআন নাজিল করেছেন মানুষের সুবিধার জন্য। মানুষ কোন পরিবর্তন করেনি বরণ নাজিল হয়েছে ৭ আহরুফে। ওনাদের ব্যাখ্যা অনুযায়ী ভাষাগত কারণে মানুষের মুখে মুখে কোরআনের কিছু শব্দ বদলে গেছে। যেটা কোরআনের প্রতি অবমাননাকর। কারণ কোরআনকে আল্লাহ সংরক্ষণ করবেন বলেছেন। মানুষের সাধ্যি নাই এটার পরিবর্তন করার। আল্লাহ প্রকৃতপক্ষে ৭ আহরুফে নাজিল করেছেন মানুষের সুবিধার জন্য। মানুষের মুখে পরিবর্তন হয়েছে বললে বুঝায় যে এটা সঠিকভাবে সংরক্ষিত হয়নি।

হাদিসেই এসেছে যে কিছু লোক আসবে যারা আরাম আয়েশের সুবিধার জন্য শুধু কোরআনকে বেছে নেবে এবং হাদিস মানবে না। ফলে নিজেদের মন মত কোরআনের ব্যাখ্যা করবে।

৬৫| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৫৯

এভো বলেছেন: সামি হারিছ,,,, কোরানের যে বিষয় আপনি উল্লেখ করলেন, সেগুলো হয়েছে কয়েক বৎসরের ভিতরে, সব সাহাবা কেরাম জীবিত এবং শত শত হাফেজ উপস্থিত।
সেগুলোকে কি ৩০০ বৎসর পরে সংরক্ষিত হয়েছিল? ৩০০ বৎসর পরের সংরক্ষিত উপাত্ত নিয়ে বিতর্ক।
৩০০ বৎসর পরের সংরক্ষিত জিনিস গুলোকে জাস্টিফাই করার জন্য, তাৎক্ষণিকভাবে সংরক্ষিত কোরানের ইতিহাসকে রেফারেন্স করেছেন।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনারা বারবার ৩০০ বছর কেন বলছেন। আরও আগে থেকেই হাদিস সংগ্রহ শুরু হয়েছে। বহু সাহাবী কয়েকশ থেকে হাজার হাদিস মুখস্ত বলেছেন। সেটাই ঐ যুগের রীতি ছিল। লেখাপড়ার প্রচলন কম ছিল। ফলে মানুষ স্মরণ শক্তির উপর বেশী নির্ভর করতো।

৬৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০২

মোল্লা সাদরা বলেছেন: সূরা বাকারার ১৭৩ নম্বর আয়াতের প্রেক্ষিতে যে আলোচনা হইতেছিল, কুরআনে ঐ আয়াতে আলোচিত শব্দখানা হইতেছে "মাইতাতা" (إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ ٱلْمَيْتَةَ ) যাহার অর্থ মৃত প্রাণী। একমাত্র এক বেয়াকুবের পক্ষেই মাছ - প্রাণী বা জীব নহে, এক প্রাণহীন জড় পদার্থ দাবী করা সম্ভব হইতে পারে। হাদিস ছাড়া মাছ ভক্ষন জায়েজ করিবার কোন উপায় নাই।

খাওয়া দাওয়া পরের ব্যাপার, মাছ না খাইয়াও জীবন চলে। হাদিসের সাহায্য ছাড়া, কুরআনের স্পষ্ট আয়াত দেখাইয়া কোন কুরানিস্ট পারিলে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ, এবং নামাজের রাকাত সমূহ প্রমাণ করিয়া দেখাক। সালাত তো ফরজ, কুরআনের কোন সূত্র ধরিয়া উহারা ফজরের নামাজ ২ রাকাত ফরজ, জোহর - আসর - এশা ৪ রাকাত ফরজ, এবং মাগরিব ৩ রাকাত ফরজ পড়িয়া থাকে? উহা কুরআনের আয়াত ধরিয়া প্রমাণ করিলে বুঝিতাম কুরআন অনলি হবার ন্যুনতম কোন ফায়েজ আছে।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বেয়াকুব শব্দটাকে খুব ভালো ভাবে জায়গা মত প্রয়োগ করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

এই দলের অনেকে বলে নামাজে দরুদ পড়া শিরক। হজ্জের সময় পাথর নিক্ষেপ ও হজরে আসওয়াদ পাথরে চুমা দেয়াও শিরক। এই সমস্ত উদ্ভট চিন্তা ওনাদের মাথায় আসে কারণ হাদিস ওনারা মানেন না।

ওনারা বলে থাকেন কুকুরের মাংস হালাল। নারীরা মাসিক অবস্থায় নামাজ পড়বে, কাবা তাওয়াফ করবে, রোজা রাখবে। এতদিন মূল ধারার মুসলমানরা ভুলভাবে ধর্ম পালন করে গেছেন যুগ যুগ ধরে।

৬৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:১৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @এভো, মৃত মাছ খাওয়া কি করে হালাল হোল?

মৃত মাছ খাওয়া হারাম বলা যাবে না। কারন আল কোরআনের যে আয়াতটির উপর ভিত্তি করে বিষয়টি উত্থিত হয়েছে। আয়াতটি আমি তুলে ধরলাম। যদিও আয়াতটি আমি লেখককে একবার বলেছে।
“নিশ্চয় তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশ্ত এবং যা গায়রুল্লাহর নামে যবেহ করা হয়েছে। সুতরাং যে বাধ্য হবে, অবাধ্য বা সীমালঙ্ঘনকারী না হয়ে, তাহলে তার কোন পাপ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। আল-বায়ান ২:১৭৩”
এই আয়াতে জন্তু বা পশু শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে মৎস্য سمك শব্দ ব্যবহার করা হয় নাই। এই সুরাতে الحيوانات
পশু বা স্তন্যপায়ী প্রানী ব্যবহার করা হয়েছে। আমি ইংরেজী অনুবাদ তুলে ধরলাম।
He has only forbidden to you dead animals, blood, the flesh of swine, and that which has been dedicated to other than Allah. But whoever is forced [by necessity], neither desiring [it] nor transgressing [its limit], there is no sin upon him. Indeed, Allah is Forgiving and Merciful.2.173
ইংরেজী আয়াতে এ্যানিমেল animals ব্যবহার করা হয়েছে। এখানে Fish শব্দটি ব্যবহার করা হয় নাই। আবার পাখী অর্থে الطائر শব্দটি আলকোরানে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রানী ৩ টি স্তর বিভাগ। ডাঙ্গায় স্তন্যপায়ি প্রাণী, পানিতে মাছ এবং আকাশে পাখী। এই তিনটি শব্দ আরবীতে ভিন্ন ভিন্ন মিনিং করে। তিনটি আলাদা শব্দ। আল কোরআনের এই বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সামঞ্জস্যপূন একটি হাদীস আছে। হাদীসে কি বলে শোনেন- “আমাদের জন্য দুটি মৃত হালাল - মাছ এবং টিড্ডি (এক জাতীয় ফড়িং)। [বাগভীঃ শরহুস-সুন্নাহঃ ২৮০৩, সুনানে ইবনে মাজাহঃ ৩২১৮]
হাদীসে মাছ এবং পাখী শ্রেনীর ফড়িং এর মৃত প্রানি খাওয়ার অনুমোদন দেওয়া আচে।

যেহেতু আল কোরআনে স্তন্যপায়ী প্রাণী বা পশু উল্লেখ আছে। অতএব মাছ মৃত খাইলে হারাম হয় না।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সূরা বাকারার ১৭৩ নং আয়াতে 'জন্তু' বা 'পশু' শব্দটা কোথায় পেয়েছেন? মাইতাতা মানে কি জন্তু বা পশু? মাইতাতা মানে হোল মৃত প্রাণী। আল্লাহ একটা একটা করে হাজার হাজার প্রাণীর নাম কেন বলতে যাবেন। আল্লাহ এক কথায় বলেছেন মৃত প্রাণী। মাছকে আপনি প্রাণী হিসাবে মানেন না মনে হয়।

এই শব্দটা الحيوانات দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন? এই শব্দ কোন সুরার?

আপনি নিজেই তো হাদিসের উল্লেখ করলেন। যেখানে দুইটা বাদে সকল মৃতকে হারাম বলা হয়েছে। কোরআনে তো সেটাই বলা হয়েছে। কিন্তু হাদিসের মাধ্যমে ব্যতিক্রমটা জানানো হয়েছে। হাদিসের মাধ্যমেই তো সকল ব্যাখ্যা পাবেন। হাদিস তাহলে আপনি মানেন। আপনার অবস্থান পরিষ্কার না।

কোরআনে কোথায় স্তন্যপায়ী প্রাণী বা পশুর কথা বলা আছে? মাইতাতা মানে তো মৃত প্রাণী। শুধু স্তন্যপায়ী মৃত পশুকে মাইতাতা বলে না।

৬৮| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩২

মোল্লা সাদরা বলেছেন: কোরআন হাদিস বিষারদ ভ্রাতঃ লাবলু দেখি একসময় সিনেমা বানাইতে চাহিতেন। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখিবার চর্চা কি এখন ব্লগে করিতেছেন?

চলচিত্র পরিচালনা থেকে শুরু করিয়া আরজ আলী - স্তেফেন হকিংস - স্ট্রিং থিওরি সবকিছু হজম করিয়া এখন আমাদের শিখাইতেছেন, সূরা বাকারার ১৭৩ নং আয়াতে আগত আয়াত মাইতাতার অর্থ হইতেছে অ্যানিমেল। এবং অ্যানিম্যাল মানে স্তন্যপায়ী পশু কেবল। মাছ নহে। তাই তো?

মানিলাম। কোরআনে বর্ণিত মাইতাতা শব্দের অর্থ হইতেছে এনিমেল, আর এনিমেল মানে চতুস্পদ স্তন্যপায়ি জন্তু কেবল। আর মাছ মানে জড় পদার্থ।

এক্ষনে আমার ৬৬ নং প্রশ্নের জবাব দিন দয়া করিয়া। কোরআনের স্পষ্ট আয়াত উল্লেখ করিয়া ফজর - জোহর - আসর - মাগরিব - এশার নামাজ ফরজ হইবার মাসালা দিন। তারপর তাহাদের রাকাআত সমূহের ব্যাখ্যা দিন। এই মুহূর্তে আপনার মুরিদ হইয়া আপনার কাছে এছলাম আর সিনেমা বানানো উভয়ই শিখা শুরু করিবো।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সূরা বাকারার ১৭৩ নং আয়াতে উনি কোথায় পশু বা স্তন্যপায়ী প্রাণী পেলেন। মাইতাতা মানে মৃত প্রাণী। আর মাছ কি প্রাণী না। মাছ তাহলে জড় পদার্থ এইটাই বুঝতে হবে।

ওনারা ওয়াজিব, সুন্নত, নফল এগুলি মানেন না। শুধু বোঝেন নামাজ মানেই ফরজ। এই দলের অনেক অনুসারী ৫ ওয়াক্ত নামাজ মানেন না। ওনারা ৩ ওয়াক্ত নামাজকে ফরজ মনে করেন। ওয়াজিব, সুন্নত, নফলের ধারে কাছেও ওনারা যেতে চান না। এই কারণেই হাদিস পরিত্যাগ করা যেন আরাম আয়েশের সাথে নিজেদের সুবিধামত ধর্ম পালন করা যায়। কোরআনের আয়াতের অর্থও নিজেদের খুশি মত করে থাকেন। মাইতাতা মানে বোঝেন স্তন্যপায়ী পশু। আরবি ভাষা জানা বা বোঝার প্রয়োজন বোধ করেন না। কোরআনের অনুবাদই ওনাদের জন্য যথেষ্ট। যেটার ফল হোল মাইতাতা মানে স্তন্যপায়ী পশু।

৬৯| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২১

এভো বলেছেন: মোল্লা সাদরা
আপনার নামাজ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব আগেই দেওয়া হয়েছে যে,,, নামাজের সব ইসু গুলি ১৪০০ বৎসর যাবত প্রতি দিন চর্চা করা হয়েছে,, তাই ওগুলো কোরানের বাহিরে থাকলেও সত্য বলে প্রমাণিত। যদি ৩০০ বৎসর পরে নামাজের ওয়াক্ত কয়টা, আদায় করার নিয়মকানুন লিখা হোত তখন প্রশ্ন বিদ্ধ হোত।
এবার মৃত মাছ খাওয়াটা ১৪০০ বৎসর প্রতি দিন খাওয়া হয়েছে তাই এটা প্রমাণিত সত্য, ৩০০ বৎসর পরে লিখা হোলে প্রশ্ন বিদ্ধ হোত।
এখানে উল্লেখ নামাজ পড়ার সব মাসালা হাদিসের ভিতর ও নেই। প্রতি দিনের চর্চা হিসাবে চলে এসেছে।

প্রতি দিনের চর্চার বিষয় দিয়ে হাদিসকে জাস্টিফাই করার প্রবণতা হাস্যকর।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এভো সাহেব সুন্নত নামাজ আপনারা কিভাবে কোরআন থেকে নির্ণয় করেন? নাকি সুন্নত নামাজ পড়েন না। ইসলাম ধর্মকে কেন সামাজিক প্রথার পর্যায়ে নামাতে চাচ্ছেন। বেতরের নামাজ কেউ ১ রাকাত পড়ে, কেউ ৩ রাকাত পড়ে, কেউ ৫ রাকাত পড়ে, কেউ ৭ রাকাত পড়ে। এখন কোনটা সঠিক প্রথা কোরআনের আলোকে আপনি ব্যাখ্যা করেন।

মাছ খাওয়া তো কোরআনে নিষেধ করা আছে। তারমানে মুসলমানরা ভুল প্রথা অনুসরণ করে কোরআন বিরুদ্ধ কাজ করছে। কোরআনের আলোকে আপনি এই বিরোধিতার একটা ব্যাখ্যা দেন দেখি।

হাদিসকে জাস্টিফাই করা আপনার কাছে হাস্যকর মনে হচ্ছে। আপনি হাসতে থাকেন।

৭০| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

মোল্লা সাদরা বলেছেন: @এভো

বাছা, তুমি মুসলমান? হ্যাঁ বা না এ উত্তর দাও। আগেও তুমি আমার এই প্রশ্নের জবাবে বাইন মাছের মতো পিছলাইয়াছো।

যদি মুসলমান হইয়া থাকো, কুলঙ্গারের মতো কীভাবে দাবী করো যে - মুসলমানদের নামাজের মতো অন্যতম ফরজ রুকুন "প্রতিদিনের চর্চা" , তথা সাংস্কৃতিক চর্চা হিসেবে চলিয়া আসিয়াছে? নামাজ একটা সামাজিক প্রথা?

বলিলে - "যদি ৩০০ বৎসর পরে নামাজের ওয়াক্ত কয়টা, আদায় করার নিয়মকানুন লিখা হোত তখন প্রশ্ন বিদ্ধ হোত।"

নামাজ পড়বার নিয়ম আগেই লিখা হইয়াছিল দাবী করিতেছ?

কোথায় লিখা হইয়াছিল?

যেথায় লিখা হইয়াছিল - উহাই হাদিস।

নামাজের যে সমস্ত মাসালা হাদিসে নাই, উহা নামাজের কোন ফরজ - ওয়াজিব মাসালা না। উহা হাদিস গ্রন্থে না থাকায় সিহাহ সিত্তাহের কোন দুর্বলতা প্রকাশ পায় না।

১৪০০ বছর পূর্ব হইতে রাসুল (সঃ) এর জীবনে সালাত সহ অন্যান্য যে সমস্ত আনুসাঙ্গিক বিধান ও সুন্নাহ মুসলিমদের মধ্যে চর্চিত হইয়া আসিয়াছি, উহাই ধারাবাহিকভাবে হাদিস আকারে সংরক্ষিত হইয়া আসিয়াছে।

আর সেই সংরক্ষিত হাদিসের ধারাবাহিকতাই ৩০০ বৎসর পর বোখারি শরীফের রচনা।

বোখারি শরীফ সহ সিহাহ সিত্তাহের হাদিস গ্রন্থসমূহ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের বানী হওয়ার ব্যাপারে মুসলিমদের কোন সন্দেহ নাই। ফিতনা সৃষ্টিকারী এছলামের শত্রুদের সন্দেহ থাকিতে পারে।



০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এভোকে আমি অনেক আগে তার বিশ্বাস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। ভদ্রলোক সুন্দরভাবে ব্যাপারটা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। এভো সাহেবের ভাষায় হজরত জিবরাইল (আঃ) হোল 'মামদো ভুত' আর কোরআনের আয়াত নাজিল হয় না 'ডাউন লোড' হয়। আপনি কি তারপরও ভদ্রলোকের ধর্ম নিয়ে টানাটানি করবেন!!! :)

রসুলের সুন্নাহর প্রকাশই তো হাদিস।

ইমাম বুখারি, ইমাম মুসলিম প্রমুখ উঁচু মর্তবার মনিষীদেরকে যারা কটাক্ষ করে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে অবশ্যই ঘাপলা আছে।

৭১| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১৫

মোল্লা সাদরা বলেছেন: ভ্রাতঃ সাড়ে চুয়াত্তর, এভো সম্ভবত মুসলিম না। উহা নিজ মুখে কখনো স্বীকার করা না অন্তত। যে মুসলিম নহে উহার সঙ্গে শরয়ি বিধান, হাদিস শরীফ সংরক্ষণের ইতিহাস নিয়া আলাপ ফলপ্রসু হইবে না। তাহার প্রয়োজনও দেখি না। যে এক আল্লাহ এবং তাহার রাসুলের উপর ঈমান আনে নাই, আগে তো তার ঈমান আনায়ন, তারপর শরয়ি বিষয়াদির আলাপ।

আপনি চিন্তা করিয়া দেখেন, উহা দাবী করিতেছে নামাজ নাকি একটা কালচারাল ইস্যু। দাদা - নানার অনুকরনে নাকি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের আমল হইতে নামাজের নিয়মকানুন চলিয়া আসিতেছে। সনাতন ধর্মের আচার অনুষ্ঠান আর এছলামে তাহা হইলে তফাৎ রইল কই?

এই কোরআন অনলি ফেতনাবাজরা প্রথমে সিহাহ সিত্তাহকে প্রশ্নবিদ্ধ করিবে। হাদিস শাস্ত্র দুর্বল হইলে পরে এই পামরগুলি বলার চেষ্টা করিবে কোরআনের কিছু আয়াতেও আগপিছ করিয়া মুসলিমদের দিক হইতে সংযোজন করা হইয়াছে। যাহার কারনে মুসলমানেরা যথেষ্ট "মডারেট" ও আধুনিক হইতে পারিতেছে না। তারপর ইহারা আসিবে কোরআনের আয়াত কিছু বাদ দেয়ার দাবী লইয়া। নাউজুবিল্লাহে তাআলা মিন জালেক। ইহাদের ব্যাপারে সর্বাবস্থায় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভ্রাত মোল্লা সাদরা - এভো সাহেবের ধর্মীয় পরিচয় আগের মন্তব্যে দেয়ার চেষ্টা করেছি। এনারা ধর্ম শেখেন ইসলাম বিদ্বেষ নিয়ে। অনলাইন জগত ছাড়া এনাদের ক্রিয়া কর্ম তেমন দৃশ্যমান হয় না।

এভো সাহেবকে সুন্নত নামাজ নিয়ে একটা প্রশ্ন করেছি। দেখি উনি কোরআনের আলোকে কি ব্যাখ্যা দেন। তবে সম্ভবত উনি ইসলামি কালচারের আলোকে উহার উত্তর দেবেন। কারণ এইটাই ওনাদের জন্য সহজ রাস্তা। কোন প্রমাণের দরকার নাই। চৌদ্দ পুরুষ যা করেছে আমিও তার অনুসরণ করছি এই হোল ওনাদের সহজ ব্যাখ্যা। আরবের কাফেররাও তো যুগ যুগ ধরে হজ্জ করেছে বাপ দাদার দেখাদেখি।

এই কুরানিস্টরা হাদিস তো ছেড়েই দিয়েছে। এখন কোরআনের শব্দের অপব্যাখ্যা করছে। আল্লাহ মুসলমানদের হেফাজত করুন।

৭২| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:২৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন:
আমি না হয় মেনে নিলাম আপনার মতো ধর্ম্ জ্ঞান বিশেষ করে আরবী সাহিত্য আমার ভালো জানা নেই। আপনি অনেক বেশি জানেন। তবে যতটুকু বুঝতে পারছি মাইতাতার অর্থ মৃত। আপনি যে বাক্যটি লিখেছেন إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ ٱلْمَيْتَةَ যার অর্থ দাড়ায় “মৃত তোমার জন্য হারাম” গুগুল ট্রান্সেলেট পাঠালাম। মাইতাতা শব্দের অর্থ মৃত। এখানে আপনি মাছ বা পাখি শ্রেণি ধরতে পারেন না। আপনি আরেকটি আয়াত লক্ষ্য করুন “ তোমাদের জন্য সামুদ্রিক শিকার হালাল করা হল। [সূরা আল-মায়িদাহঃ ৯৬] এ আয়াতের মর্মানুযায়ী সামুদ্রিক জীব-জন্তুর বেলায় যবেহ করার শর্ত আরোপিত হয়নি। ফলে এগুলো যবেহ ছাড়াই খাওয়া হালাল।
আপনি অযথা তর্ক করছেন ভাই। বেকুব বলে গালিও দিলেন অযথা। মৃত মাছ খাওয়া যাবে। আর যেহেতু মাছ শিকার করলেই অথাৎ পানি থেকে উঠালেই মাছ মারা যায়। সুতরাং মাছ নিয়ে প্রশ্ন উঠানোর কোন সুযোগ নেই।

আমি আপনাকে বলছিনা হাদীস সম্পূর্ন ভাবে বাতিল করতে হবে। তা নয়। তবে আল কোরআনের সাথে সংগতিপূন অনেক হাদীসই গ্রহন করা যাবে। কিন্তু আল কোরআনের সাথে সাংর্ঘষিক হাদীস পরিহার করতে হবে। যা মিথ্যা বলে আল কোরআন ঘেষনা দেয়। যেমন একটি হাদীস তুলে ধরি। পাথর দিয়ে হত্যা করার হাদীস টি। আল কোরআন বলে ব্যাভিচারীর শাস্তি বেত্রাঘাত। আরেক স্থানে বলা হচ্ছে “ব্যাভিচারীর সাথে ব্যাভিচারিনীর বিয়ে দিয়ে দাও”। তাহলে বুঝে নেওয়ার ব্যাপার থাকে যে অবিবাহিত নারী পূরুষের ব্যাভিচার করলে তাদের বিয়ে দিয়ে দিতে হবে। কিন্তু কোন পূরুষ বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও অবৈধ মেলামেশা করে কিংবা কোন নারীর স্বামী থাকা সত্ত্বেও পরপূরুষে সাথের ব্যভিচার করে তাদের জন্য শাস্তি বেত্রাঘাত। কিন্তু হাদীস আবার বলে “ পাথর দিয়ে হত্যা কর”। এটা সাংর্ঘষিক। আল কোরআনের সাথে মেলে না। ইতিহাস ঘাটতে গেলে দেখা যায় রাসুলের জন্মের আগে থেকে মধ্যপ্রাচ্যে পাথর দিয়ে হত্যা করার প্রথা বিদ্যমান। এবং প্রথাটিকে সুকৌশলে ইসলামে অনুপ্রবেশ করানো হয়।

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গুগলের দ্বারা অনুবাদ করলে একটা বাক্যের যে কি অবস্থা হতে পারে এটা সম্পর্কে সম্ভবত আপনার ধারণা নাই। গুগল এত নির্ভরযোগ্য হলে পৃথিবীর তাবৎ বিশ্বসাহিত্য নিমিষেই গুগল দ্বারা অনুবাদ হয়ে যেত। অনুবাদকদের চাকরী থাকতো না। আপনি পুরো কোরআন এবার গুগলের মাধ্যমে অনুবাদ করে পড়ে ফেলেন।

সামুদ্রিক প্রাণীর ব্যাপারে যে আলাদা আয়াত আছে এটা আমার ধারণা আমরা সবাই জানি। আমি সামুদ্রিক প্রাণী বা মাছের কথা বলছি না।

আপনি নিজে থেকে নিয়ম বানিয়ে নিলেন যে যেহেতু মাছ পানি থেকে তুললে মারা যায় তাই মৃত মাছ খাওয়া যায়। ব্যাপারটা হাস্যকর হোল না? ইসলামের বিধান তো আপনি নিজের ধারণা অনুযায়ী বানাতে পারবেন না।

আপনি আমাকে নির্বোধ বলেছেন আর আমি আপনাকে বেকুব বলাকে সমর্থন করেছি। তাই কাটাকাটি হয়ে গেল। যাই হোক কেউ কাউকে খারাপ কিছু বলার দরকার নাই।

আপনি ইসলামের জন্য লিখছেন। এটা আমি সমর্থন করি। কিন্তু বাড়াবাড়ি করে ভুল লিখলে সমর্থন করা যায় না। কারণ এটা ধর্মীয় বিষয়। আপনাকে হেয় বা অসম্মানিত করতে চাই না। কিন্তু বিতর্ক চালিয়ে যেতে সমস্যা নাই।

শোনেন হাদিস বা কোরআনের উপর আপনার বা আমার জ্ঞান আসলে অতি সীমিত। আমরা ইসলামি লাইনে পড়লে হয়তো আরও ভালো জানতাম। এই অল্প জ্ঞানের উপরে একটা হাদিসকে মুখের উপর জাল বলাটা বোকামি। আর হাদিস একটা বিশেষায়িত বিষয়। এটার গভীরে আপনার বা আমার যাওয়ার যোগ্যতা নাই। ফলে অল্প জেনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছি।

ব্যভিচারের আয়াত এবং হাদিস নিয়ে বলতে গেলে অনেক সময় লাগবে। আপনাকে বলেও কোন লাভ নেই। কারণ কিছু বিষয় আপনি মানেন না। কোরআনের অনেক আয়াতের কার্যকারিতা আরেক আয়াত দ্বারা রহিত করা হয়েছে অনেক সময়। এই বিষয়ে পরে কখনও বলার চেষ্টা করবো। কোরআনে এমন আয়াতও আছে যেখানে ব্যভিচারী নারীকে আমৃত্যু একটা ঘরে রেখে দিতে বলা হয়েছে শাস্তি হিসেবে। সেই নিয়ম কি অনুসরণ করা হয়? যদি না হয় তাহলে আপনি কারণটা বলেন। আর আপনার বর্ণিত শাস্তির সাথে কেন কোরআনে আরেক জায়গায় বর্ণিত এই শাস্তির পার্থক্য হচ্ছে সেটা ব্যাখ্যা করেন।

৭৩| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪৪

জ্যাকেল বলেছেন: @লেখক

আপনি অযথা তেনা পেচাইতেছেন। আপনি কোরআন/হাদীস বাদ দিয়ে বিজ্ঞান কিংবা একাডেমিক যেকোন বিষয় বাদ দিয়ে শুধু ১৫০০ বছর আগের মানুষের জীবনযাত্রা চিন্তা করেন। দেখবেন সেই যুগ না, আরো বহু বহু আগ থেকে মানুষ মৃত মাছ খেত। এটা কমন সেন্স এর ব্যাপার, সিরাতুল মুস্তাকিম মানে তেনা পেচানোর বিপরীত-টা।

সোজা হিসাব, আপনে সিরাতুল মুস্তাকিম চান না, আপনি চান বক্র পথ যাহা ক্রমশই ইহজীবনে ঝামেলা ডেকে আনে। নিম্নলিখিত দোয়া আপনাদের জন্য খাটে বলে মনে হচ্ছে না।

রাব্বানা আতিনা ফিদ-দু-নিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়াকিনা আযাবান-নার

হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়া এবং আখিরাতে কল্যান দান করুন। এবং জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করুন!

০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনে তো নিষেধ আছে মৃত মাছ খাওয়া। তাহলে কেন মুসলমানরা যুগ যুগ ধরে মৃত মাছ খাচ্ছে। আমি সেই প্রশ্নের উত্তর চেয়েছি। কিন্তু আপনি বলতে পাড়ছেন না। আপনার কথায় মনে হচ্ছে যুগ যুগ ধরে মুসলমানরা জেনে বুঝে কোরআনের বিরোধিতা করে আসছে। কিন্তু কেন বিরোধিতা করছে সেটার কোন ব্যাখ্যা আপনার কাছে নাই। কারণ আপনি হাদিসের ব্যাখ্যা মানেন না।

৭৪| ০১ লা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:৩০

জ্যাকেল বলেছেন: লেখক বলেছেন: কোরআনে তো নিষেধ আছে মৃত মাছ খাওয়া।

Ayah?

০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সূরা বাকারা আয়াত ১৭৩ ;

SAHIH INTERNATIONAL
He has only forbidden to you dead animals, blood, the flesh of swine, and that which has been dedicated to other than Allah. But whoever is forced [by necessity], neither desiring [it] nor transgressing [its limit], there is no sin upon him. Indeed, Allah is Forgiving and Merciful.

একই আয়াতের আরেকটা অনুবাদ;
He hath forbidden you only carrion, and blood, and swineflesh, and that which hath been immolated to (the name of) any other than Allah. But he who is driven by necessity, neither craving nor transgressing, it is no sin for him. Lo! Allah is Forgiving, Merciful.

৭৫| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ মোল্লা সাদরা, হাদিসের সাহায্য ছাড়া, কুরআনের স্পষ্ট আয়াত দেখাইয়া কোন কুরানিস্ট পারিলে পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ, এবং নামাজের রাকাত সমূহ প্রমাণ করিয়া দেখাক। সালাত তো ফরজ, কুরআনের কোন সূত্র ধরিয়া উহারা ফজরের নামাজ ২ রাকাত ফরজ, জোহর - আসর - এশা ৪ রাকাত ফরজ, এবং মাগরিব ৩ রাকাত ফরজ পড়িয়া থাকে?
এবার আসিলেন নামাজ নিয়ে? ঠিক আছে চেষ্টা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে।

"সুতরাং তোমরা সন্ধ্যায় ও প্রভাতে আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো।" "এবং আসমান ও জমিনে সকল প্রশংসা তাঁরই। এবং অপরাহ্নে ও মধ্যাহ্নে।" (৩০:১৭-১৮)

আর দিনের দুই প্রান্তেই নামায ঠিক রাখবে, এবং রাতের প্রান্তভাগে পুন্য কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক। (সূরা হুদ, আয়াত- ১১৪)

সূর্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত নামায কায়েম করুন এবং ফজরের কোরআন পাঠও। নিশ্চয় ফজরের কোরআন পাঠ মুখামুখি হয়। (সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত-৭৮)

সুতরাং এরা যা বলে সে বিষয়ে ধৈর্য ধারণ করুন এবং আপনার পালনকর্তার প্রশংসা পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন রাত্রির কিছু অংশ ও বাদিভাগে, সম্ভবত: তাতে আপনি সন্তুষ্ট হবেন। (সূরা ত্বহা, আয়াত-১৩০)

সুরা রুমের ১৭-১৮ নং আয়াতে সন্ধায়, প্রভাতে, এবং মধ্যাহ্নে (মাগরীব, ফজর) নামাজের কথা ঘোষনা করছে। লক্ষ্য করুন সূরা হুদ, আয়াত- ১১৪ তে দিনের দুই প্রান্তে (জোহর এবং আসর)। সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত-৭৮ আয়াতে বলছে“ সূর্য ঢলে পড়ার সময় থেকে রাত্রির অন্ধকার পর্যন্ত নামায কায়েম করুন” এখানে মাগরীব এবং এশা। সূরা ত্বহা, আয়াত-১৩০ নং আয়াতে “সূর্যোদয়ের পূর্বে, সূর্যাস্তের পূর্বে এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করুন রাত্রির কিছু অংশ ও বাদিভাগে” এখানে ফযর, মাগরীব এবং এশার নামাজের কথা বলা হচ্ছে।

নামাজ নিয়েও প্রশ্ন ওঠানোর কোন সুযোগ নেই। এগুলো আপত্তিজনক বলে আমার মনে হয় না। পাচ ওয়াক্ত নামাজের কথা আল কোরানে উল্লেখিত। তাছাড়া রাসুলের সময় থেকে থেকেই চর্চা হয়ে আসছে। নামাজের নিয়মাবলী রাকাত এগুলো রাসুলের সময় থেকেই নির্ধারন করা হয়েছে। সুতরাং জানার জন্য হাদীসের গ্রহণযোগ্যতার কি প্রয়োজন বুঝলাম না। চর্চার মাধ্যমে এগুলো জানা হয়েছে।

অন্যান্য নবীরাও নামাজ পড়তেন। তারা কিভাবে পড়তেন। তাদের রাকাত কি এমন ছিলো? ছিলো না। ছিলো অন্যরকম। এই বিষয়টি একটি পদ্ধতি যে যেমন পদ্ধতিতে পড়েছে। এটা সমস্যা নয়। যেমন কুরআনের সূরা মারইয়ামের ৫৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ ইসমাঈল আলাইহিস সালামের কথা উল্লেখ করেছেন এভাবে- “তিনি তাঁর পরিবারবর্গকে নামায ও যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিতেন এবং তিনি তাঁর পালনকর্তার কাছে পছন্দনীয় ছিলেন।” ইসমাঈল (আঃ) কেমন করে নামাজ পড়তেন? ৮৭. (আমি মুসা ও তার ভাইয়ের কাছে ওহি পাঠালাম যে) তোমরা তোমাদের গৃহগুলোকে ‘ইবাদতগৃহ’ করো। নামাজ কায়েম করো এবং মুমিনদের সুসংবাদ দাও। [সুরা : ইউনুস, আয়াত : ৮৭ (শেষাংশ)] মুসা আঃ এর অনুসারীরা তো ইহুদী। ইহুদীদের নামাজ পড়ার পদ্ধতি দেখুন। https://www.youtube.com/watch?v=eiV92P8oawE ভাইরে, নামাজ হলো একাগ্রতা। আপনি কি স্রাষ্টার কথা ভাবতে ভাবতে আপনার মন কে একাগ্রতায় রাখতে পারছেন কি না? এটি হলো নামাজ। আল কোরআন নামাজ প্রসঙ্গে বলে- “নামাজ তোমাদের চিত্তের প্রশান্তি আনে” যার অর্থ মানুষের গতিশীল মস্তিস্ককে কিছু সময়ের জন্য স্থির করে স্রষ্টার চিন্তা মনে প্রতিফলন করা। এতে মানুষের মন প্রশান্তিময় হয়। মানসিক ফিটনেস বাড়ে।

নামাজের এ সব পদ্ধতি নিয়ে বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই। পদ্ধতির কোন ভূল থাকে না। আপনি যে পদ্ধতি ব্যবহার করুন না কেনো? মন একাগ্রতা পেলো কিনা সেটাই ফ্যা্ক্টর। স্থির মনেই প্রশন্তির প্রতিফলন ঘটে । স্রস্টার সানিধ্য পাওয়া যায় স্থির মনে।

অতএব নামাজ নামাজই ভাই। চির প্রশান্তময় একটি ক্ষেত্র তৈরী করে মানব দেহে। অতএব বিভ্রান্ত পরিহার করুন। এতদিন ধরে যে চর্চা চলে আসছে রাসুল যে পদ্ধতি তৈরী করে গেছেন সেটাই যথেষ্ট। এর জন্য হাদীস কি হবে। সত্যের সাথে মিথ্যা কি দরকার?





০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বেতরের নামাজ ১ রাকাত, ৩ রাকাত, ৫ রাকাত কিংবা ৭ রাকাত পড়ার চর্চা আছে (আপনার ভাষায়)। কোনটা সঠিক এবং কেন? কোরআনের আলোকে ব্যাখ্যা করেন।

আপনার কথা মত নামাজ নিজের খুশি মত পড়া যাবে কারণ নামাজ হোল মুলত একাগ্রতা। তাহলে কেউ কোয়ান্টাম মেথডের পদ্ধতিতে ধ্যানে গিয়ে নিজের খুশি মত আল্লাহকে স্মরণ করলো আর নামাজ হয়ে গেল।

৭৬| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:১৯

এভো বলেছেন: মোল্লা সাদরা
নামাজ পড়বার নিয়ম আগেই লিখা হইয়াছিল দাবী করিতেছ?
কোথায় লিখা হইয়াছিল?
যেথায় লিখা হইয়াছিল - উহাই হাদিস
-----------------------
জী উহাই হাদিস, তবে প্রমাণিত সত্য হাদিস৷ ১৪০০ বৎসর যাবত প্রতিদিন চর্চাকৃত, তাই গ্রহন যোগ্য। ৩০০ বৎসর পরের লিখা হোলে গ্রহণ যোগ্য হোত না।
মনে রাখবেন যে সমস্ত হাদিস দৈনিক চর্চার মাধ্যমে প্রমাণিত, কোরানের আয়াত দিয়ে প্রমাণিত সে সমস্ত হাদিস গ্রহণ যোগ্য।


বাছা, তুমি মুসলমান? হ্যাঁ বা না এ উত্তর দাও। আগেও তুমি আমার এই প্রশ্নের জবাবে বাইন মাছের মতো পিছলাইয়াছো।
----------------------------------------------

এই জন্যেই ৩০০ বৎসর পরের লিখা কাহিনী বাতিল করার কথা বলা হচ্ছে, কারন ঐ সমস্ত জিনিস শিখে অসভ্য বর্বর শ্রেণীর মুসলমান নামধারী ব্যক্তিতে পরিনত হয়েছেন,,, এই ধরনের প্রশ্ন যারা করে তারা হয় জংগী শ্রেণীর বর্বর প্রকৃতির লোক। যারা ৩০০ বৎসর পরের লিখা আধা সত্য আধা মিথ্যা কাহিনী মেনে চলে তারা এই রকমই হয়।
------------_----------------------
সাড়ে চুয়াত্তর
কোরআনের বিধান অমান্য করে মৃত মাছ খাওয়ার চর্চা মুসলমানরা কিভাবে করে? সেটা বলেন।

যেহেতু নবি রসুল সাঃ সহ সাহাবা কেরামরা খেয়েছে তাই, এই হাদিস ৩০০ বৎসর পরের লিখা নহে, যেহেতু ইহা প্রতিদিন খাওয়া হয়েছে ১৪০০ বৎসর ধরে, তাই এই হাদিস প্রমাণিত সত্য, ৩০০ বৎসর পরে লিখা হোলে গ্রহণ যোগ্য হোত না।

০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসল কথা হোল আপনি নিজের খুশি মত হাদিস মানেন।

এই হাদিস কখন লেখা হয়েছে আপনি কিভাবে জানেন।

৭৭| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:১৯

মোল্লা সাদরা বলেছেন: @এভোঃ

আমি স্রেফ প্রশ্ন করিলাম তুমি মুসলিম কিনা যে হাদিস শাস্ত্রের ইতিহাস নিয়া এতো তড়পাইতেছ, তার জবাবে তুমি আমাকে জঙ্গি, বর্বর কহিলে, তাই তো?

শুনো, তুমি মুসলমান না, আর অন্য ধর্মের অনুসারী হইয়া এছলামের এতো সেনসিটিভ ইস্যু লইয়া মন্তব্য করার কোন অধিকার তোমার নাই। একজন মুসলিমের যেমন উচিৎ না বেদ - গীতা - বাইবেল ইত্যাদি লইয়া পাব্লিক ডোমেইনে নেতিবাচক মন্তব্য না করা।

তোমার সঙ্গে ইসলাম সংক্রান্ত আর একটি বাক্য বিনিময়ও নয়।

তোমার পথ্য শুনিয়া লও।

এর পর যখনই ইসলাম কেমন হওয়া উচিৎ ইহা নিয়া মন্তব্য করিতে মন চাইবে তখনঃ

প্রথমত, সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস গো মূত্র পান করিবে।

আর তাতে যদি কাজ না হয়, তবে -

দ্বিতীয়ত, ইসলাম সংক্রান্ত তোমার মতামত লিখিয়া লইবে, কাগজে। ঐ কাগজ কারো হাতে ধরাইয়া দিবে। তারপর সামনে কোন টেবিল - চেয়ার ইত্যাদি যা কিছু থাকে, উহা শক্ত করিয়া ধরিয়া ৯০ - ১২০ ডিগ্রী কোনে দাঁড়াইবে উবু হইয়া। তারপর, যে লোকের হাতে উক্ত কাগজ দিয়াছিলা, তাহাকে বলিবে তোমার মতামতকে দলা পাকাইয়া তোমার পেছন দিকে ঢুকাইয়া দিতে।

আশা করা যায়, এই দুই ধাপের চিকিৎসা অনুসরন করিলে, অমুসলিম হইয়া মুসলিম ধর্মের পবিত্র অনুসৃত গ্রন্থ নিয়া গোস্তাখীপূর্ণ মতামত দেয়ার অভ্যাস আস্তে আস্তে দূর হইবে।

মঙ্গল হউক।

৭৮| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৩২

এভো বলেছেন: মোল্লা সাদরা
আপনার যুক্তি দন্ডের কোমর ভেংগে গিয়েছে। আমি তো বলেছি,, প্রমাণিত হাদিস এবং কোরান সম্মত হাদিস ছাড়া সব গুলো কে বাতিল করতে হবে।
হাদিস পালন করলে মানুষ যে ইতর হতে পারে তার প্রমাণ আপনার মন্তব্য। এই সব হাদিস থেকে শিখেছেন,, নিজের মতের সাথে না মিললে, অমুসলিম কাফের মুরতাদ বলে গালাগালি শুরু করা। তাকে খুন করা কোপান ইত্যাদি। এগুলো হাদিস মেনে শিখেছেন। এই জন্য ই তো ৩০০ বৎসর পরের লিখা কাহিনী গুলোকে পরিহার করতে বলা হয়েছে।
আপনাকে একমাত্র সাপোটিভ দাবি, হাদিস ছাড়া নামাজ পড়বেন কি করে,,,,,, সেটার দাত ভেংগে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এই হাদিস প্রতি দিনের চর্চার মাধ্যমে প্রমাণির সত্য ৩০০ বৎসর পরে লিখা নহে, তাই সত্য।

যখন পায়ের নীচে মাটি নেই, তখন ই শুরু জাংগি দের মত গালাগালি,, এর জন্য আপনার হাদিস ই দায়ি।

৭৯| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪১

মোল্লা সাদরা বলেছেন: ওরে এভো , আমার যুক্তিদণ্ড তোমার মূল দণ্ডের মতো নহে যে এতো সহজে ভাঙ্গিয়া পড়ে।

বিষয় সহজ। তুমি মুছলমান নহো। তোমাকে অতীতে বহুবার প্রশ্ন করা হইয়াছে তুমি মুছলিম কিনা। তুমি একবারো স্বীকার করো নাই। তাই তোমার সঙ্গে কোরআন হাদিস বিষয়ক কোন আলাপ নাই।

আর তোমার গো - চনা ভর্তি জ্ঞানগর্ভ মন্তব্যগুলি কাগজে লিখিয়া তোমার পেছনে ভরিয়া রাখিতে বলিয়াছি - ইহা দেখিয়া মনে করিও না যে আমি সহিংস। বিষ্ঠা বিষ্ঠার জায়গায়ই থাকবে। তোমার বিষ্ঠার মতো মন্তব্যগুলির জায়গা তোমার পেছনেই। ইহা বুঝাইতে চাহিয়াছি। ইহা সহিংসতা নহে, জায়গার জিনিস জায়গায় রাখা।

৮০| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৫২

মোল্লা সাদরা বলেছেন: @লাবলুঃ

কোথা হইতে আল কুরআনের এই সব মনগড়া ভুলে ভরা বঙ্গানুবাদ হাজির করেন?

আল্লাহতালা কুরআনে যতবার যতোগুলো ভিন্ন ভিন্ন প্রসঙ্গে ও অবস্থায় তাহার পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণার কথা বলিয়াছেন, তাহার সবগুলি ক্ষেত্রেই যদি আমরা নামাজ পড়ার হুকুম হিসাবে ধরিয়া লই, তাহা হইলে আমাদের ২৪ ঘণ্টা নামাজের মসলাতেই দাঁড়াইয়া থাকিতে হইবে। তারপর যদি প্রশ্ন করি যে নামাজে রাকাতের ফয়সলা কীভাবে হইবে, তখন আবার ঘুরাইয়া ফিরাইয়া বলিবেন, উহু, সব হাদিস তো আমি বাতিল করিতে বলি নাই, কেবল কুরআনের অনুবর্তী হাদিসসমূহ গ্রহণযোগ্য।

গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করিয়া আরবি বুঝিবার চেষ্টা করেন, আর এই এলেম লইয়া আসিয়াছেন হাদিস শাস্ত্রের অধ্যয়ন কীভাবে করিতে হইবে, কোন হাদিস বাদ দিতে হইবে, কোন হাদিস রাখিতে হইবে - এই নিয়া ফতোয়া দিতে? ইহা যদি বেকুবি না হয়, দুনিয়াতে বেকুব নির্ণয়ের নতুন সংজ্ঞা আর মাপকাঠী বানাইতে হইবে।

আপনি এছলাম নিয়া চিন্তা করা বাদ দিয়া সিনেমা বানানোর কোশেশে লাগিয়া থাকুন। উহাই আপোনার জন্য উত্তম হইবে। লাইনঘাট করিতে না পারিলে আমাকে জানান। আপোনাদের অনন্ত জলিল এইবার আমার দেশ ইরানে আসিয়া ছিনেমা বানাইয়াছে। আপোনাকে এ জে'র সহিত পরিচয় করাইয়া দিবো। তারপর আপোনি জলিল আর বর্ষাকে লইয়া সব হালাল এছলামিক ছিনেমা বানাইবেন।

০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনের অনুবাদ গুগল দিয়ে করলে কি হতে পারে এটা উনি মনে হয় বুঝতে পাড়ছেন না।

ওনাদের উদ্দেশ্য হোল হাদিস পছন্দ মত মানবে। আর কোরআনের ব্যাখ্যা করবে গুগলের সাহায্যে।

৮১| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:৩৯

জ্যাকেল বলেছেন: carrion = মৃত মাছ?
animals = মাছ?


আপনার চিন্তাধারায় বক্রতা বেশি ভ্রাতা। মাফ করবেন, এটা আল্লাহর শেখানো সিরাত আল মুস্তাকিম নয়। আলোচনার ইতি টানছি।

০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: carrion মানে হোল প্রাণীর মৃতদেহ। মাছও একটা প্রাণী। carrion মানে পশুর মৃতদেহ না।

অ্যানিম্যাল কাকে বলে জানতে এই সাইটে যান;
are fish animals
এখানে পাবেন;
What defines an animal?
According to biologists, animals are defined by having five common characteristics:
Has multiple cells
Obtains energy by consuming food
Reproduces sexually
Is made of cells that do not have cell walls
Is capable of motion at some stage of their lives
Responds to external stimuli

Are fish considered animals?
According to science, fish are classed as animals. Fish belong to one of the six general animal groups which are: mammals, birds, reptiles, amphibians, fish and invertebrates.

What category of animals are fish?
Fish are a type of animal known as vertebrates – this means that they have a backbone. ‘Fish’ is a unique grouping of animals – just like mammals, birds and reptiles.

বিস্তারিত জানতে লিঙ্কটা ভালো করে পড়ুন। ইন্টারনেটে খুজলেও বুঝতে পারবেন অ্যানিম্যাল মানে প্রাণী। মাছ তাই অ্যানিম্যাল।

৮২| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:১৪

মোল্লা সাদরা বলেছেন: ভ্রাতঃ সাড়ে চুয়াত্তর, ক্ষমা করিবেন। আপনার পোস্টে কিছু কটু বাক্য প্রয়োগ করা লাগিলো। বঙ্গদেশীয় প্রবাদে আছে, যেমন কুকুর তেমন মুগুর। এই সমস্ত অমুসলিম, যাহাদের এক আল্লাহ ও তার রাসুলের উপর ঈমান নাই, উহারা যখন কোরআন - হাদিস রিফাইন করিবার ধৃষ্টতা প্রদর্শন করে তখন একটা পর্যায়ের পর উহাদের কথার পাল্টা যুক্তি দেখাইবার মতো এনার্জি পাই নাই। কারন, ওরা তো সিরাতুল মুস্তাকিমের তালাশে নাই। ওরা এই পাটাতনে বিদ্যমান স্রেফ মুসলিমদের মধ্যে ফিতনা তৈয়ার করার জন্যই। শয়তানের শয়তানি ধরিতে পারলে আমার ধৈর্যচ্যুতি ঘটে প্রায়শই।

মঙ্গল হউক। ওয়াস সালাম।

০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সমস্যা নাই। আপনি বারবার আসবেন আমার ব্লগে। এই ধরণের কিছু ব্লগার শুধু হাদিস না কোরআনের বিভিন্ন আয়াতের অপব্যাখ্যা করে প্রমাণ করতে চায় যে ইসলামে বলা আছে কাফের দেখলেই কচু কাটা কর, মুসলমানরা ইহুদিদের অমানবিকভাবে হত্যা করেছে। এই ধরণের অনেক কিছু তারা কোরআন থেকে প্রমাণ করতে চায়। যারা কোরআনের আয়াত নিয়ে এই ধরণের খেলা করে তারা হাদিস নিয়ে যে ফেতনা তৈরি করবে এটা সহজেই বোঝা যায়।

আল্লাহ ও পরকালে অবিশ্বাসী এই ধরণের ব্লগাররা মুসলমানদের মধ্যে ফিতনা তৈরির উদ্দেশ্যেই এই কাজগুলি করে থাকেন।

ভালো থাকবেন।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তবে কটু বাক্য প্রয়োগ করলে আমাদের সম্পর্কে মানুষ খারাপ ধারণা করবে। তাই সংযমের প্রয়োজন আছে। যদিও অনেক সময় নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে যায়।

৮৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৩৩

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: এভো, হাসান কালবৈশাখী, এ আর ১৫—এদের সঙ্গে ইসলাম ধর্মের কোনো আলোচনায় না যাওয়াই যুক্তিযুক্ত, সুদীর্ঘ ব্লগজীবনের পর্যবেক্ষণ।

০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। ওনারা নিজেদের ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে হয় সংশয়ে আছেন আছেন অথবা পরিচয় লুকাতে চান।
আমি আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম। ভালো থাকবেন।

৮৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:১২

জ্যাকেল বলেছেন: @লেখক ভাই,

মাফ চাই+দোয়া চাই। আপনি জিতসেন, এই কমেন্টের উত্তর দিতে হইবে না।


@পাঠকবৃন্দ,
কোরআন যদি মৃত মাছ হারাম করে দিত তবে হাদীস দ্বারা উহা হালাল হওয়া অসম্ভব একটি কাজ; কারণ হারাম করার এখতিয়ার আল্লাহর।
আর কোরআন পড়তে হবে নসিহত তথা জীবনের চলার পথে ভাল, খারাপ চেনার জন্য। এই পথ চিনতে গিয়ে আপনি সহজ-সরল ভাবে যদি চিন্তা করতে পারেন তবে অন্যের ব্রেইনের আশ্র‍য় নিয়ে হারাম চিনতে হইবে না।
হারাম হল রক্ত, মৃত জন্তু এবং আল্লাহ ছাড়া আর কারো নামে উৎসর্গকৃত জবাই করা পশু। এছাড়া শুয়োর জাতীয় প্রাণিও হারাম যা সর্বজনবিদিত। এর বাইরে আসলেই কোন হারাম নেই। তবে আল্লাহ আলেমদের ব্যাপারে আমাদের বলেছেন। এই আলেম আবার মাদ্রাসা পাশ আলেম না। আল্লাহ আলেম বলতে মীন করিয়াছেন
বিশেষজ্ঞ পুষ্টিবিদ/ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর সহ জ্ঞানের যেকোন শাখায় বিদ্যালাভ করতে পেরেছেন বলে জানা যায় তিনিই।
মানবদেহেরে ক্ষতিকর জিনিস একজন পুষ্টিবিদ খুব ভাল বলতে পারবেন। আপনার অসুখ হইলে নিশ্চয়ই ওঝা কিংবা মাদ্রাসার আলিম পাশ কাহার কাছে যাওয়ার কথা ভাবেন না, ভাবেন ডাক্তারের কথাই। সেইম, আপনার দেহের জন্য কি কি খাওয়া উচিত, কি কি খাওয়া উচিত না সেটা একজন পুষ্টিবিদ(আলেম) এর কাছ থেকে জানবেন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভাই আপনি মনে করেন যে নামাজ পড়া ফরজ না (একটা পোস্টে আমি আপনার এই মন্তব্য পেয়েছি আজকে)। সেই ক্ষেত্রে মুসলমান হিসাবে আপনার সাথে বিতর্ক করাটাকে আমি সময়ের অপচয় মনে করি। আপনি যদি কোনদিন স্বীকার করেন যে নামাজ পড়া ফরজ তখন অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলাপ করা যেতে পারে। যিনি ইসলামের বেসিক নিয়ম নামাজকে ফরজ হিসাবে মানেন না তার সাথে কথা বলা মানে সময় নষ্ট করা।

৮৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সামুদ্রিক প্রাণীর ব্যাপারে যে আলাদা আয়াত আছে এটা আমার ধারণা আমরা সবাই জানি। আমি সামুদ্রিক প্রাণী বা মাছের কথা বলছি না। আপনি নিজে থেকে নিয়ম বানিয়ে নিলেন যে যেহেতু মাছ পানি থেকে তুললে মারা যায় তাই মৃত মাছ খাওয়া যায়। ব্যাপারটা হাস্যকর হোল না? ইসলামের বিধান তো আপনি নিজের ধারণা অনুযায়ী বানাতে পারবেন না।

সামুদ্রিক প্রাণী শিকারের কথা যখন আপনি জানেন তাহলে মাছ শিকার করতে আল্রাহ কেনো বললেন? হালাল করলেন কেনো? “ মাছ তো শিকার করার কিছুক্ষনের মধ্যে মারা যায় তাহলে মৎস্য শিকারীরা সমুদ্র থেকে মাছ শিকার করে ডাঙ্গায় উঠাতে উঠাতে মাছ তো মরে সারা। তাহলে আল্রাহ কি কেনো বললেন- “তোমাদের জন্য সামুদ্রিক শিকার হালাল করা হল।” [সূরা আল-মায়িদাহঃ ৯৬] আর কেনোই বা তিনি মাছ জবেহ করার কথা উল্লেখ করলেন না?

আরেকটি বিষয় লক্ষনীয় যে মাইতাতা শব্দের অর্থ হলো “মৃত” কিন্তু অনুবাদে কিংবা অর্থবোধক ক্ষেত্রে মৃত জন্তু বা মৃত প্রানী বোঝানো হয়। https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=180 তাফসীরে উল্লেখ করা হয়েছে - (“এখানে আরও জানা আবশ্যক যে, আয়াতে তোমাদের জন্য মৃত হারাম বলতে মৃত জানোয়ারের গোশত খাওয়া যেমন হারাম, তেমনি এগুলোর ক্রয়-বিক্রয়ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। যাবতীয় অপবিত্র বস্তু সম্পর্কে সেই একই বিধান প্রযোজ্য।” ) মূল উচ্চারনে বা মূল অর্থে তোমাদের জন্য মৃত হারাম হয়ে থাকে। মাইতাতা’র প্রকৃত অর্থ “মৃত”।

আপনি হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন মৃত বা হারাম হলো কেনো? এক্ষেত্রে আমার একটি কথাই বলাল আছে। আল কোরআনকে বুঝতে হবে। আয়াতটি কেনো নাযিল হয়েছিলো খোলা মন নিয়ে ভাবুন। মৃত কোন প্রাণি কি খাওয়া কি যায়? ধরেন রাস্তায় একটি ছাগল ৩ দিন ধরে মরে পড়ে আছে (১দিনও কম না পচনশীল বিধায়) কেউ কেউ ধরে নিয়ে গিয়ে সেই ছাগল কেটে রান্না করে খাওয়া শুরু করলো। এরকম জাতীয় মরা প্রাণী খাওয়াটা নিষেধ করা হয়েছে।

আল কোরআন প্রথম কুরাইশ আরবীতে ছিল এটা আপনি কোথায় পেয়েছেন? কিভাবে জানলেন?
- পরবর্তীতে বিভিন্ন এলাকার কোরআন সংকলিত হওয়ার সময় তাদের ভাষার ব্যাকরণ গ্রহণ করা হয়। এই কথা আপনি কিভাবে জানলেন? পার্থক্য ব্যাকরণে না পার্থক্য বাক্যে।

আমি একটি আরাবীভাষার ইতিহাস বই থেকে যতটুকু জেনেছি সেই সুত্র ধরেই বলি। পরবর্তীতে াারো অনেক পুস্তকে এমনি বিষয়বস্তু পেয়েছি। আরবী ভাষায় ইতিহাস পরিবর্ধন সম্পর্কে আমি যতটুকু জেনেছি তাতে ইসলামের আবির্ভাবের ঠিক আগের যুগে আরব উপদ্বীপে আরবি ভাষার উৎপত্তি ঘটে। আরবি ভাষাতে সহজেই নতুন নতুন শব্দ ও পরিভাষা তৈরি করা হতো এবং আজও তা করা যায়।
পুস্তকটির কিছু অংশ অিামি তুলে ধরি - “আরবিকে সাধারণত ধ্রুপদী আরবি, আধুনিক লেখ্য আরবি এবং আধুনিক কথ্য বা চলতি আরবি --- এই তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। ধ্রুপদী আরবি ৬ষ্ঠ শতক থেকে প্রচলিত ও এতেই কুরআন শরীফ লেখা হয়েছে। আল-মুতানাব্বি ও ইবন খালদুন ধ্রুপদী আরবির বিখ্যাত কবি। আধুনিক লেখ্য আরবিতে আধুনিক শব্দ যোগ হয়েছে ও অতি প্রাচীন শব্দগুলি বর্জন করা হয়েছে, কিন্তু এ সত্ত্বেও ধ্রুপদী আরবির সাথে এর পার্থক্য খুব একটা বেশি নয়। আরবি সংবাদপত্র ও আধুনিক সাহিত্য আধুনিক লেখ্য আরবিতেই প্রকাশিত হয়। তাহা হুসাইন ও তাওফিক আল হাকিম আধুনিক লেখ্য আরবির দুই অন্যতম প্রধান লেখক ছিলেন।” আমি আরো যতটুকু জেনেছি তাতে জানা যায় আরবী ভাষার ধ্রুপদী রুপটি শহর তথা মক্কা এবং পাশ্ববর্তী এলাকাতেই প্রচলিত ছিলো ধীর গতিতে তা ছড়িয়ে যায়। অনেক এলাকাতেই ক্থ্য এবং আধুনিক আরবীই প্রচলিত থাকে । সেটাই পরবর্তীতে ভাষাগত পরিবর্তন করে।

কিন্তু বিষয় বস্তু হাফস ও ওয়ারশ সংস্করন নিয়ে। সামুদ্রিক প্রাণীর ব্যাপারে যে আলাদা আয়াত আছে এটা আমার ধারণা আমরা সবাই জানি। আমি সামুদ্রিক প্রাণী বা মাছের কথা বলছি না। আপনি নিজে থেকে নিয়ম বানিয়ে নিলেন যে যেহেতু মাছ পানি থেকে তুললে মারা যায় তাই মৃত মাছ খাওয়া যায়। ব্যাপারটা হাস্যকর হোল না? ইসলামের বিধান তো আপনি নিজের ধারণা অনুযায়ী বানাতে পারবেন না।

সামুদ্রিক প্রাণী শিকারের কথা যখন আপনি জানেন তাহলে মাছ শিকার করতে আল্রাহ কেনো বললেন? হালাল করলেন কেনো? “ মাছ তো শিকার করার কিছুক্ষনের মধ্যে মারা যায় তাহলে মৎস্য শিকারীরা সমুদ্র থেকে মাছ শিকার করে ডাঙ্গায় উঠাতে উঠাতে মাছ তো মরে সারা। তাহলে আল্রাহ কি কেনো বললেন- “তোমাদের জন্য সামুদ্রিক শিকার হালাল করা হল।” [সূরা আল-মায়িদাহঃ ৯৬] আর কেনোই বা তিনি মাছ জবেহ করার কথা উল্লেখ করলেন না?

আরেকটি বিষয় লক্ষনীয় যে মাইতাতা শব্দের অর্থ হলো “মৃত” কিন্তু অনুবাদে কিংবা অর্থবোধক ক্ষেত্রে মৃত জন্তু বা মৃত প্রানী বোঝানো হয়। https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=180 তাফসীরে উল্লেখ করা হয়েছে - (“এখানে আরও জানা আবশ্যক যে, আয়াতে তোমাদের জন্য মৃত হারাম বলতে মৃত জানোয়ারের গোশত খাওয়া যেমন হারাম, তেমনি এগুলোর ক্রয়-বিক্রয়ও হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে। যাবতীয় অপবিত্র বস্তু সম্পর্কে সেই একই বিধান প্রযোজ্য।” ) মূল উচ্চারনে বা মূল অর্থে তোমাদের জন্য মৃত হারাম হয়ে থাকে। মাইতাতা’র প্রকৃত অর্থ “মৃত”।

আপনি হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন মৃত বা হারাম হলো কেনো? এক্ষেত্রে আমার একটি কথাই বলাল আছে। আল কোরআনকে বুঝতে হবে। আয়াতটি কেনো নাযিল হয়েছিলো খোলা মন নিয়ে ভাবুন। মৃত কোন প্রাণি কি খাওয়া কি যায়? ধরেন রাস্তায় একটি ছাগল ৩ দিন ধরে মরে পড়ে আছে (১দিনও কম না পচনশীল বিধায়) কেউ কেউ ধরে নিয়ে গিয়ে সেই ছাগল কেটে রান্না করে খাওয়া শুরু করলো। এরকম জাতীয় মরা প্রাণী খাওয়াটা নিষেধ করা হয়েছে।

আল কোরআন প্রথম কুরাইশ আরবীতে ছিল এটা আপনি কোথায় পেয়েছেন? কিভাবে জানলেন?
- পরবর্তীতে বিভিন্ন এলাকার কোরআন সংকলিত হওয়ার সময় তাদের ভাষার ব্যাকরণ গ্রহণ করা হয়। এই কথা আপনি কিভাবে জানলেন? পার্থক্য ব্যাকরণে না পার্থক্য বাক্যে।

আমি একটি আরাবীভাষার ইতিহাস বই থেকে যতটুকু জেনেছি সেই সুত্র ধরেই বলি। পরবর্তীতে াারো অনেক পুস্তকে এমনি বিষয়বস্তু পেয়েছি। আরবী ভাষায় ইতিহাস পরিবর্ধন সম্পর্কে আমি যতটুকু জেনেছি তাতে ইসলামের আবির্ভাবের ঠিক আগের যুগে আরব উপদ্বীপে আরবি ভাষার উৎপত্তি ঘটে। আরবি ভাষাতে সহজেই নতুন নতুন শব্দ ও পরিভাষা তৈরি করা হতো এবং আজও তা করা যায়।
পুস্তকটির কিছু অংশ অিামি তুলে ধরি - “আরবিকে সাধারণত ধ্রুপদী আরবি, আধুনিক লেখ্য আরবি এবং আধুনিক কথ্য বা চলতি আরবি --- এই তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করা হয়। ধ্রুপদী আরবি ৬ষ্ঠ শতক থেকে প্রচলিত ও এতেই কুরআন শরীফ লেখা হয়েছে। আল-মুতানাব্বি ও ইবন খালদুন ধ্রুপদী আরবির বিখ্যাত কবি। আধুনিক লেখ্য আরবিতে আধুনিক শব্দ যোগ হয়েছে ও অতি প্রাচীন শব্দগুলি বর্জন করা হয়েছে, কিন্তু এ সত্ত্বেও ধ্রুপদী আরবির সাথে এর পার্থক্য খুব একটা বেশি নয়। আরবি সংবাদপত্র ও আধুনিক সাহিত্য আধুনিক লেখ্য আরবিতেই প্রকাশিত হয়। তাহা হুসাইন ও তাওফিক আল হাকিম আধুনিক লেখ্য আরবির দুই অন্যতম প্রধান লেখক ছিলেন।” আমি আরো যতটুকু জেনেছি তাতে জানা যায় আরবী ভাষার ধ্রুপদী রুপটি শহর তথা মক্কা এবং পাশ্ববর্তী এলাকাতেই প্রচলিত ছিলো ধীর গতিতে তা ছড়িয়ে যায়। অনেক এলাকাতেই ক্থ্য এবং আধুনিক আরবীই প্রচলিত থাকে । সেটাই পরবর্তীতে ভাষাগত পরিবর্তন করে।

কিন্তু বিষয় বস্তু হাফস ও ওয়ারশ সংস্করন নিয়ে। এ সমস্যা কোরআন পৌছনর ধারাবিাহিকতা।
কোরআনের ‘হাফস’ এবং ‘ওয়ারশ’ সংস্করণ এর পার্থকের সবচেয়ে বড় কারন কুরআন সাত হফে পড়া। কুরআন প্রথমে আরবীতে কুরাইশদের আঞ্চলিক ভাষায় নাযিল হচ্ছিল, (নীচের লিঙ্ক পড়ুন) কিন্তু বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে রাসূলুল্লাহ(সা.) একাধিক উপায় কুরআন পড়ার অনুমতি প্রার্থনা করেন। এর প্রেক্ষিতে কুরআন সাত হরফে নাযিল হতে থাকে। এই সাত হরফে পড়ার কারনেও এই পরিবর্তন হয়। এই সাত হরফে পড়ার কারেনে আল কোরআনে আল কোরআনে ছোট খাট পরিবর্ত ন হয় কিন্তু অর্থ কোন পরিবর্তন হয়।




কুরআনকে বিভিন্ন কিরাআতে পড়া যায়। কিন্তু বিভিন্ন কিরাআতে কী কী পার্থক্য হয়, এটা আমরা অনেকই জানি না। আমাদের এই অজ্ঞতাকে কাজে লাগাচ্ছে একশ্রেণীর ইসলাম-বিদ্বেষী, তারা প্রচার করছে কুরআন আসলে পরিবর্তিত হয়েছে।

আমি আপনাকে দুইটি লিঙঙ্ক দিই তাতে আপনি জানতে পারবেন এ সমস্যার কারন কি। শব্দুগত পাথক্য বাক্যগত কোন পাথক্য বড় কোন পাথক্য নয় যদি এতে অর্থগত পাথর্ক্য নয়। এত অর্থের কোন পরিবর্তন হয় না। এত কিছু লেখা সম্ভব নয় আমি আপনাকে দুইটি লিঙঙ্ক দিই তাতে আপনি জানতে পারবেন এ সমস্যার কারন কি। কিন্তু এটা কোন সমস্যাই নয়। পড়ুন জানুন।
http://shodalap.org/bngsadat/13479/
https://shodalap.org/bngsadat/17811/

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মাছের ক্ষেত্রে নিয়ম ভিন্ন বলেই আলাদা হাদিসের মাধ্যমে সেটাকে হালাল বলা হয়েছে। কোরআনের বর্ণনার ব্যতিক্রম হিসাবে এই হাদিস এসেছে। এটা প্রকৃত পক্ষে কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমাদের জন্য দুইটি মৃত জীব হালাল করা হয়েছেঃ মাছ ও ট্টিড্ডি (এক প্রকারের বড় জাতের ফড়িং) (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বরঃ ৩২১৮, ৩২৪৬ হাদিসের মানঃ সহিহ)।

অর্থাৎ বাকি মৃতদের হারাম করা হয়েছে। যেটা কোরআনের আয়াতে এসেছে। মৃতদের বলতে বুঝায় যেগুলিকে খাওয়ার উদ্দেশ্যে বধ করার আগেই কোন কারণে মৃত্যু ঘটেছে।

এই কারণেই হাদিসের প্রয়োজন আছে।

আহরুফের ব্যাপারে হাদিসেই আছে এবং সেটাই প্রকৃত ব্যাখ্যা। রসুলের চাহিদা অনুযায়ী আল্লাহ ৭ আহরুফে কোরআন নাজিল করেছেন। অর্থাৎ নাজিল হয়েছেই বিভিন্নভাবে। মানুষের মুখে মুখে কোরআন বিকৃত হয়েছে এই কথা ঠিক না। এই পার্থক্যগুলি পুরো কোরআনের মধ্যে মাত্র গুটি কয়েক আয়াতের কয়েকটি শব্দে। কোন ক্ষেত্রেই অর্থের কোন পরিবর্তন হয়নি।

আল্লাহর তরফ থেকে হাদিসের মাধ্যমে ব্যাখ্যা না পাওয়া গেলে এগুলি মুসলমানদের মধ্যেই সমস্যা সৃষ্টি করতো। হজরত ওমর (রা) ভিন্ন আহরুফে একজনকে কোরআন পড়তে দেখে রেগে গিয়েছিলেন এবং তাকে রসুলের (সা) কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন ব্যাখ্যার জন্য। রসূল (সা) তখন ব্যাপারটা পরিষ্কার করেন এবং বলেন উভয় রকম আহরুফই সঠিক।

হাদিস জানা না থাকলে এই বিষয়গুলি নিয়ে অবিশ্বাসীদের সাথে বিতর্ক করা যাবে না এবং কোরআন নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হবে। এই কারণেই হাদিস হোল কোরআনের ব্যাখ্যা।

৮৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১:১২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @মোল্লা সাদরা, কোথা হইতে আল কুরআনের এই সব মনগড়া ভুলে ভরা বঙ্গানুবাদ হাজির করেন? গুগল ট্রান্সলেটর ব্যবহার করিয়া আরবি বুঝিবার চেষ্টা করেন, আর এই এলেম লইয়া আসিয়াছেন হাদিস শাস্ত্রের অধ্যয়ন কীভাবে করিতে হইবে, কোন হাদিস বাদ দিতে হইবে, কোন হাদিস রাখিতে হইবে - এই নিয়া ফতোয়া দিতে? ইহা যদি বেকুবি না হয়, দুনিয়াতে বেকুব নির্ণয়ের নতুন সংজ্ঞা আর মাপকাঠী বানাইতে হইবে

আপনি হয়তো আরবী সাহিত্য বা ভাষা নিয়ে অনেক জানেন। আমার জ্ঞানের পরিধি কম এটা আমি স্বীকার করি। তবে আরবী ভাষায় আমাকে গালি দিলে আলোচনা চালানো কষ্টদায়ক। আমিও লেখককে ক্ষমা চেয়ে নিবোর্ধ বলেছি তারপর আবারও ক্ষমা চেয়েছি। কিন্তু আপনি তো ক্ষমা চান না। কারন আপনি মোল্লা মানুষ। আমাকে বেকুব বলেছেন বেকুব শব্দের অর্থ সতিই্ আমি জানিনা। বেকুবটা আরবী ভাষা নাকি তাও আমি জানিনা। আরবী লিখতে পারলে হয়তো গুগুল ট্রান্সলেট করে দেখতাম। আমি তো আর আলেম না। মাদ্রাসায় পড়ি নাই। তবে বেকুব শব্দের অর্থটা আমাকে বুঝিয়ে বললে বুঝেতে পারতাম আপনি আমাকে কি বলে গালি দিলেন! তবে আমি কষ্ট পাইনি কারন আমি বুঝতে পারলাম মোল্লা মানুষেরা হয়তো এমনই হয়। আলোচনা চালিয়ে গেলে ভালো হতো কিন্তু আপনি তো আমাকে আরবী ভাষায় গালি দিচ্ছেন! যার অর্থই আমি বুঝিনা।

إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ ٱلْمَيْتَةَ আপনি যে বাক্য লিখেছেন তার প্রকৃত অর্থ তোমাদের জন্য মৃত হারাম। এখানে মাইতাতা শব্দের প্রকৃত অর্থ “মৃত” অনুবাদের স্বার্থে মৃত জন্তু বলা হচ্ছে। দুইদিনের মরা ছাগল আপনাকে আমি রান্না করা খাওয়াবো আপনি কি খাবেন? খাবেন না তো! ১৪০০ বৎসরের অতীত ইতিহাস ঘেটে দেখেন বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের মানুষজন রাস্তাঘাটের পড়ে থাকা বিভিন্ন প্রানি নিয়ে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করতেো সমাজে এটার প্রচলন ছিলো এবং এর কোন নিষেধাঙ্গা ছিল না। আর এই নিষেধাজ্ঞা প্রতিষ্ঠিত করতেই আল কোরআনে এই আয়াতটি নাজিল হয়। ডাক্তারের কাছে যান গিয়ে (মেডিকেল সাইন্সে অভিজ্ঞ) শোনেন মরা প্রাণি খাইলে কি ক্ষতি হয়?

আর গুগুল ট্রান্সলেটরের কথা বললেন আপনি যে বাক্যটা ব্যবহার করেছেন তার অর্থ ঠিক এটিই আমি একটি অনলাইন আলকোরানের বাংলা অনুবাদ পড়ে বুজেছি। লিং্কটি দিয়ে দিলাম https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=180 লিংকে তাফসীরে কোথায় আছে খুজতে সময় লাগলে একটি ইমেজ পাঠালাম দেখে নিবেন।

আমি হয়তো আপনার মতো জ্ঞানি নই। আরবী ভাষায় দক্ষ নই। তাছাড়া আপনি মোল্লা মানুষ ধর্ম বেশি বোঝেন স্বীকার করি। ছোটখাট মানুষ বলে অবহেলা করবেন না। বেকুব মানে কি যদি আপনি আমাকে বুঝতে সহায়তা করেন তবেই পরবর্তীতে আমি আপনার সাথে আলোচনায় যাবো। নইলে বুঝে নেবো আপনি বড় মাপের আলেম আমার মতো ক্ষুদ্র মাপের মানুষের মিশ খাই না আপনার সাথে আলোচানর কোন যোগ্যতায় আমার নেই। বলুন বেকুব শব্দের অর্থ কি?

ভালো থাকুন

৮৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:২৭

নিমো বলেছেন: @ লেখক, এক মাছ নিয়ে আর কত ছল চাতুরী করবেন ? সাগরের প্রানী হালাল হলে সাগরের মাছও হালাল হয়ে যায়। বাকী থাকে নদী ও অন্যান্য জলাশয়ের মাছ। এটা খুবই স্বাভাবিক যে কুরআন বাংলাদেশে নাযিল হয় নি, হলে নদী ও অন্যান্য জলাশয়ের মাছের কথা থাকত। আরবে নদী নাই, কিন্তু পাশেই সাগর আছে। তাই সাগরের কথা এসেছে, নদীর কথা আসে নি। ইসলাম আরবের বাইরে যাবে এটা স্বয়ং ধর্মের প্রবর্তকও বোধহয় ভাবে নি। চিন্তা করবেন না মানুষ পৃথিবীর বাইরে কখনও বসতি করলে শুধু কুরআন-হাদিস-ইজমা-কিয়াসে পোষাবে না, আরও নূতন কিছু আপনাদের আবিষ্কার করতে হবে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনে নদী আসেনি এটা একটা ভুল কথা বললেন। আরব দেশে নদী না থাকলেও জলাশয় বা হ্রদ (আরবিতে ওয়াদি বলে) আছে অনেক। কোরআনে নদীর কথা আছে।

এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎ কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে তাদেরকে সুসংবাদ প্রদান কর যে, তাদের জন্য এমন জান্নাত রয়েছে যার তলদেশ দিয়ে নদীসমূহ প্রবাহিত হচ্ছে; যখনই সেখানে তাদেরকে খাবার হিসাবে ফলপুঞ্জ প্রদান করা হবে তখনই তারা বলবেঃ আমাদেরতো এটা পূর্বেই প্রদত্ত হয়েছিল, বস্তুতঃ তাদেরকে একই সদৃশ ফল প্রদান করা হবে, এবং তাদের জন্য তন্মধ্যে শুদ্ধা সহধর্মিনীগণ রয়েছে, এবং তন্মধ্যে তারা চিরকাল অবস্থান করবে।

আরেকটা ভুল কথা বলেছেন যে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হচ্ছেন হজরত মুহাম্মাদ (সা)। হজরত ইব্রাহীমকে (আঃ) ইসলাম ধর্মের পিতা বলা হয়। আপনার যদি ধারণা হয়ে থাকে যে কোরআন মানুষের আবিষ্কার সেই ক্ষেত্রে সেই ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান মতে আপনি মুসলমান না। কোরআন আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত গ্রন্থ তাই ভবিষ্যতে কি হবে সেটা সৃষ্টিকর্তার জানা আছে। তবে আমার এই কথা আপনার বিশ্বাস হবে যদি আপনি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী হয়ে থাকেন। নতুবা আপনার সাথে আলাপ করে সময় নষ্ট করে কোন লাভ নাই।

৮৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ৩:৫১

ককচক বলেছেন: কোরানের আয়াতের সাথে পরোক্ষভাবে সাংঘর্ষিক, এমন হাদিস কিন্তু প্রচলিত আছে। মূলত সেইসব হাদিস এবং হাদিসের ভুলবাল লজিকহীন ব্যাখ্যা মানুষকে হাদিস থেকে দূরে সরিয়ে নিচ্ছে।

০৩ রা আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ক্ষেত্রে কোরআনে বর্ণিত কোন বিধানের ক্ষেত্রে যদি ব্যতিক্রম কিছু থাকে সেই ক্ষেত্রে হাদিসে সেটা বর্ণনা করা হয়েছে। এটাকে কোরআনের সাথে সাঙ্ঘরষিক বলা যাবে না। বরং এটা হোল কোরআনের সেই বিধানের ব্যাখ্যা।

কোরআনে ইরশাদ হয়েছে - (হে নবী!) আমি আপনার প্রতি ‘আযযিকর’ নাযিল করেছি, যাতে আপনি মানুষের সামনে সেইসব বিষয়ের ব্যাখ্যা করে দেন, যা তাদের প্রতি নাযিল করা হয়েছে এবং যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। -সূরা নাহল, আয়াত – ৪৪

কেউ যদি প্রতিষ্ঠিত সহি হাদিস বাদ দিয়ে জাল আর দুর্বল হাদিস পড়েন সেই ক্ষেত্রে সে ভুল করছে। হাদিস অনেক যত্ন করে সংরক্ষণ করা হয়েছে এবং একটি বিশেষায়িত শাস্ত্র। হাদিসের সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ সম্পর্কে পড়াশুনা করলে সহি হাদিসের উপর আস্থা আসে। আমাদের অল্প জ্ঞানের কারণে আমরা সহি হাদিসের সাথে কোরআনের সম্পর্ক মিলাতে ব্যর্থ হই।

৮৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:৪১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @লেখক,
মাছের ক্ষেত্রে নিয়ম ভিন্ন বলেই আলাদা হাদিসের মাধ্যমে সেটাকে হালাল বলা হয়েছে। কোরআনের বর্ণনার ব্যতিক্রম হিসাবে এই হাদিস এসেছে। এটা প্রকৃত পক্ষে কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা। হাদিস জানা না থাকলে এই বিষয়গুলি নিয়ে অবিশ্বাসীদের সাথে বিতর্ক করা যাবে না এবং কোরআন নিয়ে সন্দেহের সৃষ্টি হবে। এই কারণেই হাদিস হোল কোরআনের ব্যাখ্যা।

আপনার মন্তব্যতো ঠিক আছে ভাই। কিন্তু সমস্যা হলো তৎকালীন সময়ে রাসুল (সাঃ) যদি নিজ তত্ত্বাবধানে হাদীস সংরক্ষিত করার চেষ্টা করতেন। কিংবা তার সাহাবীদের তত্ত্বাবধানে যদি আল কোরআনের মতো হাদীসকে সংরক্ষিত করা উদ্যেগ নিতেন যা পরবর্তী পর্যায়ে হাদীস হিসেবে সংকলিত হতো তাহলে কোন সংশয় থাকার কথা ছিলো না। কিন্তু যেহেতু এমনটি হয় নাই বোখারী সাহেবকে প্রায় ৩০০ বৎসর পর হাদীস সংগ্রহ করে বেড়াতে হয়েছে বিভিন্ন মুখ মাধ্যমে এবং সেই সংগ্রহই পরবর্তীতে সংকলিত হয়। তাই সেই হাদীসগুলোর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। আবার এ সংশয় থাকার প্রশ্নই উঠতো না যদি না “আল কোরআনে সত্যের সাথে মিথ্যাকে মিশ্রিত করো না” বলে নির্দেশনা না থাকতো। কিংবা হাদীসে যদি রাসুল (সাঃ) না বলতেন “ তোমরা আল্লার কোরআনের সাথে আমার কথাকে কেনো লিখে রাখছো? মুছে ফেলো। কেনো কোরআনের মতো আরেকটি পুস্তক লিখার চেষ্টা করছো?” সুতরাং আল কোরআনের সাথে সাংর্ঘষিক সকল হাদীস পরিহার করতে হবে।

অর্থাৎ বাকি মৃতদের হারাম করা হয়েছে। যেটা কোরআনের আয়াতে এসেছে। মৃতদের বলতে বুঝায় যেগুলিকে খাওয়ার উদ্দেশ্যে বধ করার আগেই কোন কারণে মৃত্যু ঘটেছে।

আপনার এই পোষ্টের আলোচনা চলাকালীন সময়ে ৪/৫ দিন ধরে ব্যাপক গবেষনা ও জানার প্রচেষ্টা করার পর আমি যে বিষয় টি উপলদ্ধি করতে পারলাম যে আসলে এখানে মৃত বলতে মরে থাকা প্রাণি (রাস্তা ঘাটের) যার মাংশ ক্ষতিকর পর্যায়ে পৌছে গেছে সেই সকল প্রাণির কথা বলা হয়েয়ে এবং তাদের মাংশ খাওয়া নিষেধ। আমি যতটুকু বুঝতে পারছি এ নিষিদ্ধতার পিছনে সায়েন্টিফিক (পুষ্টি সংক্রান্ত) কারন বিদ্যমান। শারিরীক সুস্থতার কথা বিবেচনা করে মৃত সকল প্রানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আল কোরআন বলছে ইহা বিজ্ঞানময় কোরআন। তাই আমি মনে করি এই আয়াতে মৃত প্রাণি বলতে পচা মাংশ বোঝানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত বিষয়ে আল কোরআনের আয়াত বলে-
‘(হে রাসুল!) আপনি বলে দিন, যা কিছু বিধান ওহির মাধ্যমে আমার কাছে পৌঁছেছে, আহারকারী যা আহার করে তাতে তার জন্য আমি কোনো হারাম খাবার পাই না; কিন্তু মৃত অথবা প্রবাহিত রক্ত অথবা শুকরের মাংস—এটা অপবিত্র অথবা অবৈধ। (সুরা আনআম : আয়াত ১৪৫)
তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত পশু - সূরা মায়েদাহঃ (৫:৩)

পচা মাংশ মানবদেহের ভয়াবহ ক্ষতি করে। পচা মাংশের সাথে জন্ম নেওয়া জীবানু মানব দেহের পাকস্থলীতে ইনফেকশন ঘটাতে সক্ষম। শুধু তাই নয় বিভিন্ন রোগজীবানুর ছড়াছড়ি ঘটে পচাঁ মাংশ খাবার কারনে। পচা মাংশ খাওয়ার ক্ষতিকর বিষয় জানতে একটি লেখা পড়ে আমি জানতে পারলাম “স্থলভাগের সব প্রাণীই বাতাস থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং শারীরিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে। যখন কোনো প্রাণীকে জবাই করা হয়, তখন তার বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড রক্তের সাথে বের হয়ে যায়। কিন্তু যখন ওই প্রাণী মারা য়ায় বা তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়ে যায় তখন ওইসব প্রাণীর বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড ও রক্ত দেহের ভেতরেই মাংসের সাথে মিশে যায়। যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাছাড়া মরা প্রাণি দীর্ঘ সময় পড়ে থাকলে মাংশে পচন ধরে যায়। মাংেশের ভিতর জীবানু সৃষ্টি হতে থাকে। সেই জীবানুর কিছু অংশ াাগুনের তাপে ধ্বংশ হয় না ফলে মাংশের সাথে সেই সকল জীবানু মানবদেহে প্রবেশ করে রোগ জীবানু ছাড়ায়।
কিন্তু মরা মাছের ক্ষেত্রে এ সমস্যা নেই তাই আল কোরআন বলে “ তোমাদের জন্য মৎস্য শিকার ও ভক্ষন করা হালাল করা হয়েছে।” জবেহ করা বা এরুকোন শর্ত আরোপ করা হয় নাই। কারন মাছ পানি থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে, যা কার্বন ডাই অক্সাইড মুক্ত। কেননা মাছ পানি (H2O) থেকে শুধু অক্সিজেন বিশ্লিষ্ট করে গ্রহণ করে এতে কোন কার্বন থাকেনা, এবং শারীরিক প্রক্রিয়ার পরেও কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপন্ন হয়না। সুতরাং স্বাভাবিকভাবে মাছের মৃত্যু হলেও তার ভেতর ক্ষতিকর কোন উপাদান থাকে না। তাই মৃত মাছ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিন্তু তাই বলে একটি মরা মাছ পানিতে ভেসে আছে সেই মাছ আপনি খেতে পারবেন না। কারন মৃত মাছ পচে যায় ফলে জীবানু সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে আল কোরআন বলে ‘তিনিই সেই সত্তা, যিনি সমুদ্রকে নিয়োজিত করেছেন, যাতে তোমরা তা থেকে তাজা গোশত খেতে পারো। ’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১৪) লক্ষ্য করুন এখানে তাজা গোস্ত বলা হয়েছে তাজা মাছ নয়। তাজা মাংশ বলতে যে মাংশ পচে নাই। মরে যাওয়া পচা নয়। সেই সুত্রে হাদীসে রাসুল্লাহ সাঃ হাদীসে মরা মাছ খেতে নিষেধ করেছেন। আমি আপনাকে দুটি হাদীস শোনায়- ‘তোমরা সাগরে নিক্ষেপকৃত মাছ, শুকনায় উঠে যাওয়া মাছ খাও। আর বিনা কারণে মৃত মাছ খেয়ো না। ’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮১৫) অপর বর্ণনায় জাবের (রা.) বলেন, ‘বিনা কারণে ভেসে ওঠা মৃত মাছ খেয়ো না। ’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস : ৮৬৬২) এ দুটি হাদীস অনুসারে মরা থাকা মাছ খাওয়াও নিষেধ। কিন্তু মাছ শিকার করে ডাঙ্গায় উঠালে মাছ মরে গেলেও সেটি তাজা মাংশ থাকে তাই ওটা খাওয়া যাবে কিন্তু মরে যাওয়া পানিতে ভেসে থাকা মাছ খাওয়া নিষিদ্ধ।

এক কথায় মরে পড়ে থাকা কোন প্রাণি রান্না করে খাওয়া স্বাস্থ্যগত ভাবে ক্ষতিকর তাই খাওয়া যাবে না এবং বিশেষ করে যদি মাছ মরে ভেসে থাকে তাহলে সেই মাছও খাওয়া যাবে না। স্তন্যপায়ি প্রাণিদের ক্ষেত্রে জবেহ করে খাওয়ার শর্ত আরোপ করা হয়েছে কারন মরা প্রাণিদের কার্ব ন সংক্রান্ত সমস্যা থাকে কিন্তু মাছের ক্ষেত্রে কাবর্ন সংক্রান্ত সমস্যা থাকে না।

উপসংহার টানলাম। ভালো থাকুন।

০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যে হাদিসের কথা বলেছেন সেটা বর্ণিত হয়েছে একই জায়গায় কোরআন এবং হাদিস না লেখার ব্যাপারে। কারণ এর পরে কয়েকবার রসূল (সা) হাদিস লিখতে অনুমতি দিয়েছেন। ওনার মৃত্যুর কয়েকদিন আগেও উনি কিছু লিখে দিতে চেয়েছিলেন এই মর্মে সহি হাদিস আছে। এই সব হাদিসগুলি এক সাথে বিবেচনা করলে এটাই বোঝা যায় যে কোরআনের সাথে হাদিস যেন এক জায়গায় লেখা না হয় শুধু সেই ক্ষেত্রে রসূল (সা) নিষেধ করেছেন।

আপনার কথায় মনে হচ্ছে কোরআনের সাথে মিললে হাদিস লেখা যাবে কিন্তু বিপরীত হলে লেখা যাবে না। তারমানে আপনিও হাদিস লেখাকে অস্বীকার করছেন না। যে কোন সহি হাদিস নির্ণয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই পরীক্ষা করা হয় সেটা কোরআনের বিপরীত কি না। কোরআন বিরোধী কোন সহি হাদিস নেই। হাদিস শাস্ত্রের একটা সহজ নিয়ম হোল কোরআন বিরোধী কোন হাদিস হতে পারে না। কিন্তু আমরা অনেক ক্ষেত্রে না বুঝে বলে ফেলি যে হাদিসটা কোরআনের বিরোধী। আসলে হয়তো হাদিসটা কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা করছে। মাছের ক্ষেত্রে যে হাদিসটা আছে সেটাও কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা। কারণ আপাত দৃষ্টিতে আয়াত পড়ার পর মনে হচ্ছে মৃত মাছ খাওয়াও হারাম। কিন্তু হাদিসে ব্যাপারটা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

পচা মাছ, মাংস বা খাদ্যের বিধান অন্যত্র আছে। হাদিসে মাছ এবং এক ধরণের ফরিংকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলেও হালাল বলা হয়েছে। অন্য কোন প্রাণী ( হালাল প্রাণী হওয়া সত্ত্বেও) মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলে খাওয়া যায় না সূরা বাকারার ১৭৩ নং আয়াত অনুযায়ী। তারমানে এই না যে সাগরে ভেসে ওঠা মাছ হালাল। হাদিসে যে মাছ জীবিত অবস্থায় ধরা হয়েছে কিন্তু পরবর্তীতে মারা গেছে সেটাকে হালাল বুঝানো হয়েছে। অন্য হাদিসে আবার ভেসে ওঠা মাছকে হারাম করা হয়েছে।

আল্লাহর নামে জবেহ করা মাংসও পচে গেলে খেতে পারবেন না। তাই পচা খাদ্য বুঝাতে মৃত প্রাণী উল্লেখ করা হয়নি কোরআনের আয়াতে। মৃত প্রাণী বলতে বুঝাচ্ছে যেটা মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বা যেটাকে খাওয়ার ইচ্ছে ছিল না কিন্তু কোন কারণে মারা গেছে তাই খাওয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। মাছ এবং ফরিং শুধু ব্যতিক্রম।

আপনি হাদিস মানেন কোরআনের অনুকুল হলে। আমিও সেই একই নীতি মানি। কিন্তু প্রশ্ন হোল আপনি অনেক হাদিসকে কোরআনের পরিপন্থি ভাবেন যদিও তা আসলে কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা। মাছের ক্ষেত্রেও কোরআনের আয়াত থাকার পরও বিস্তারিত ব্যাখ্যার জন্য আমাদের একাধিক হাদিসের সাহায্য নিতে হয়েছে। হাদিসে অনেক সময় ব্যতিক্রমগুলি উল্লেখ করা হয়েছে।

৯০| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:৪৩

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: কোরআনে নদী আসেনি এটা একটা ভুল কথা বললেন। আরব দেশে নদী না থাকলেও জলাশয় বা হ্রদ (আরবিতে ওয়াদি বলে) আছে অনেক। কোরআনে নদীর কথা আছে।
হা-হা-হা-হা! ভাইজান আমি জানতাম, আপনি আমার মূল বক্তব্যের যুক্তি খন্ডন না করে, এটা নিয়ে মাতবেন। আপনারাই বলেন প্রেক্ষিত (শানে নুযূল) জরুরি, আয়াতের আগের পরের, উপরে-নিচের,আশে-পাশের সর্বোপরি ৩৬০ ডিগ্রি আয়াত নিয়ে বলতে হবে। এখন নিজেই এসেছেন খাবলা-খাবলি আয়াত নিয়ে। আপনারা পারেনও বটে। কথা হচ্ছিল মাছ, হালাল নিয়ে। তাই বলেছি সেই প্রসঙ্গে সাগরের কথা আছে, নদীর নাই। আপনার নদী,জলাশয় বা হ্রদ, মাছ, হালাল নিয়ে আয়াত জানা থাকলে দিন। আমিও জানব, সমস্যা কোথায় ?

লেখক বলেছেন:আরেকটা ভুল কথা বলেছেন যে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হচ্ছেন হজরত মুহাম্মাদ (সা)। হজরত ইব্রাহীমকে (আঃ) ইসলাম ধর্মের পিতা বলা হয়।
আমার বক্তব্যে ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক হচ্ছেন হজরত মুহাম্মাদ (সা) কোথায় বলা হয়েছে ভাইজান ? ধর্মের পিতাটা কী বস্তু ? আপনারা যেহেতু একমাত্র রেজিষ্টার্ড ধর্মের ঠিকাদার। তাই যা বলবেন সেটাই ঠিক।

লেখক বলেছেন:আপনার যদি ধারণা হয়ে থাকে যে কোরআন মানুষের আবিষ্কার সেই ক্ষেত্রে সেই ক্ষেত্রে ইসলামের বিধান মতে আপনি মুসলমান না।
কথায় কথায় অন্যকে মুসলমান না বলার এখতিয়ারটা পেলেন কোথায় ? আপনাদের সুনিশ্চিত হিদায়াত প্রাপ্তির ঘটনাটা নিয়ে একটু পোস্ট দিন।


লেখক বলেছেন:কোরআন আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত গ্রন্থ তাই ভবিষ্যতে কি হবে সেটা সৃষ্টিকর্তার জানা আছে।
আপনিতো আর আল্লাহ, সৃষ্টিকর্তা না! কী বলেন ?

লেখক বলেছেন:তবে আমার এই কথা আপনার বিশ্বাস হবে যদি আপনি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী হয়ে থাকেন। নতুবা আপনার সাথে আলাপ করে সময় নষ্ট করে কোন লাভ নাই।
সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী, মুসলমান এগুলো একটা প্রক্রিয়া। আপনারা কেউ কেউ যেহেতু মৃর্ত্যুর আগেই সুনিশ্চিত হিদায়াত প্রাপ্ত, রেজিষ্টার্ড ধর্মের ঠিকাদার তাই সময় কার নষ্ট হচ্ছে সেটা নাই বা বললাম।

০৫ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মূল যুক্তি ছিল আপনি বলছেন সাগর নাই তাই নদীর কথা কোরআনে এসেছে। এটা তো ভুল বলেছেন। কোরআনে নদীর কথা আছে। আবার নিজের ভুলের পক্ষে সাফাই গাইছেন।

আপনার কথা থেকেই বোঝা যায় আপনি কাকে ধর্মের প্রবর্তক বলতে চাচ্ছেন। আরবের বাইরে ইসলাম কখন গিয়েছিল। আপনি বলেন। তখন কে নবী ছিল। তখন হজরত মুহাম্মাদ (সা) নবী ছিলেন। তাকেই আপনি ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক বলছেন। আমি আপনার ভুল ধরিয়ে দিলাম। আপনার মূল যুক্তি বলে কিছু ছিল না। আপনি বরং কিছু ভুল তথ্য দিয়েছেন।

আপনি বলছেন আরও নতুন কিছু আবিষ্কার করতে হবে। তার মানে আপনি মনে করে কোরআনও মানুষের আবিষ্কার।
যাই হোক আমার মত আপনারও সময় নষ্ট হচ্ছে তাই আর আলাপ না করি।

৯১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৩৪

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: যাই হোক আমার মত আপনারও সময় নষ্ট হচ্ছে তাই আর আলাপ না করি।
আমিওতো তাই চাই, কিন্তু আপনি একই ভাঙ্গা রেকর্ড বাজাচ্ছেন আমি ভুল বলেছি। আমিতো প্রেক্ষিত বললামই। কথা হচ্ছিল মাছ, হালাল নিয়ে। তাই বলেছি সেই প্রসঙ্গে সাগরের কথা আছে, নদীর নাই। আপনি নিয়ে আসলেন জান্নাতের নদীর কথা। আপনার নদী,জলাশয় বা হ্রদ, মাছ, হালাল নিয়ে আয়াত জানা থাকলে দিন। আমিও জানব, সমস্যা কোথায় ?

লেখক বলেছেন:আপনার কথা থেকেই বোঝা যায় আপনি কাকে ধর্মের প্রবর্তক বলতে চাচ্ছেন। আরবের বাইরে ইসলাম কখন গিয়েছিল। আপনি বলেন। তখন কে নবী ছিল।
যাক আপনি যে ধর্মের প্রবর্তক থেকে বেশি ধর্ম বোঝেন এতে কোনই সন্দেহ নাই। আপনার কথা অনুযায়ী হজরত ইব্রাহীমকে (আঃ) ইসলাম ধর্মের পিতা বলা হয়। তা ইসমাইল কোথায় বড় হয়েছেন। ? মুসলমানরা আদতে কার বংশধারা ? প্রশ্নতো ছিল ইসলাম আরবের বাইরে যাবে এটা স্বয়ং ধর্মের প্রবর্তকও বোধহয় ভাবে নি। হজরত ইব্রাহীম (আঃ) ইসমাইলকে কোথায় পাঠিয়েছিলেন ? এখানে তথ্যটা ভুল কোথায় ?

লেখক বলেছেন:আপনি বলছেন আরও নতুন কিছু আবিষ্কার করতে হবে। তার মানে আপনি মনে করে কোরআনও মানুষের আবিষ্কার।
হজরত মুহাম্মাদ (সা) এর ইসলাম আর কুরআন তার সাথেই চলে গিয়েছে এতে কোন সন্দেহ নাই। এখন যা আছে তা আপনার মত দুচামচ বেশি বুঝদারের ইসলাম আর কুরআন। আপনার যুক্তি অনুযায়ী হাদিস হল কুরআনের ব্যাখ্যা। তা সবতো হাদিসেও পাওয়া যাচ্ছে না তাই ইজমা-কিয়াসের আবিস্কার হয়েছে। আর তাই নূতন কিছু আবিষ্কারের কথা বলাতে ভুল হল কেন ?

০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নদী না থাকলেও জলাশয় আছে আরবে। নদী আর জলাশয়ের মাছের ক্ষেত্রে নিয়ম একই। তাই নদী ও জলাশয়ের মাছের ব্যাপারে হাদিসে এসেছে। কোরআনে সব কিছু ব্যাখ্যা করা থাকে না। এই কারণেই আল্লাহতায়ালা রসুলকে (সা) কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যার দায়িত্ব দিয়েছেন কোরআনের আয়াতের মাধ্যমে। আর ইসলামের বিধান শুধু আরবের জন্য এটা আপনাকে বুঝতে হবে। যে দেশে নদী আছে তারা কিভাবে নিয়ম মানবে। নদী বা জলাশয়ের মাছ সংক্রান্ত হাদিসের ব্যাখ্যা না থাকলে মিষ্টি পানির মাছকে মানুষ হারাম মনে করতো। কোরআনে অনেক বিষয় সংক্ষেপে এসেছে। হাদিসের মাধ্যমে এটার পূর্ণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। যেমন নামাজের কথা কোরআনে থাকলেও ঈদের নামাজের কথা কোরআনে নেই। হাদিসের নির্দেশনায় আমরা ঈদের নামাজ পড়ি।

আপনার কথা অনুযায়ী ইসলাম ও কোরআন হজরত মুহাম্মাদের (সা) পর শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু কোরআনকে আল্লাহ হেফাজত করবেন বলেছেন। আপনি আল্লাহর কথা বিশ্বাস করছেন না যে তিনি কোরআনকে হেফাজত করবেন। আপনি কি ধরণের মুসলমান তাহলে।

হাদিস, ইজমা, কিয়াস এগুলির কোনটাই কোরআন পরিপন্থি না। কোরআনের আলোকেই এগুলি আসে। তাই মুসলমান হলে এগুলির প্রতি আস্থা রাখতে হবে।

৯২| ০৬ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:৫২

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @নিমো, এই পোস্ট মূলত মুসলমানদের জন্য, হাদিসের প্রয়োজনীয়তার উপর। আপনি যেভাবে ইসলাম ধর্ম, কুরআন, রসুল(স.) নিয়ে অবজ্ঞাভরে কথা বলছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রশ্ন উঠা খুব স্বাভাবিক যে আপনি কি মুসলিম হিসেবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করছেন, নাকি ইসলামে অবিশ্বাসী হিসেবে। এমন নয় যে ইসলামে অবিশ্বাসী হলে আপনি আলোচনায় অংশ নিতে পারবেন না, তবে যেকোনো সুস্থ আলোচনায় মুনাফেকদের অংশগ্রহণ কোনো পক্ষেরই কাম্য নয়। এ ঠিক যে মুসলিমদের মধ্যেও দুর্ভাগ্যবশত অনেক দল বিরাজমান, কিন্তু আপনি যে তিনটি বিষয় অবজ্ঞা করছেন, এগুলো ইসলামের মৌলিক অনুষঙ্গ। কাজেই আলোচনায় আপনার ভূমিকা বা পক্ষ স্পষ্ট হওয়াই যুক্তিযুক্ত, এবং যতক্ষণ আপনি মুসলিমদের বিশ্বাসের প্রতি বাচনে অন্তত শ্রদ্ধাশীল থাকবেন, ইসলাম ধর্মীয় আলোচনায় আপনার অংশগ্রহণ স্বাগত হতেই পারে।

০৬ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন অনুযায়ী রসূলের (সা) আদেশ মানতে হবে, তিনি যা হারাম করেছেন তাকে হারাম মনে করতে হবে। এই কারণেই সর্বযুগের ওয়ালামায়ে কেরামের সর্বসম্মত রায় হোল রসুলের (সা) হাদিসকে অস্বীকার করা যাবে না। উনি বলছেন কোরআন এবং ইসলাম রসুলের ওফাতের পর আর নাই। কোন মুসলমান কিভাবে এই কথা বলতে পারে। ওনার কথা অনুযায়ী ইসলাম ধর্ম পৃথিবীতে এখন নাই। যা আছে সেটা বিকৃত। এটা কোন মুসলমানের বলার কথা না।

৯৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:৩৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এই পোষ্টের মাধ্যমে পরিস্কার হয়েছে যে, কে কে ইসলাম বিদ্বেষী, কে কে ছদ্মনামে ইসলামের বিষোদগার করছে, কে কে অপব্যাখ্যা করে ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় আছে। একটা কথা পরিস্কার যারা হাদিসকে অস্বীকার করবে তারা আর যাইহোক অন্ততপক্ষে মুসলিম না।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথার সাথে ১০০% একমত। হাদিসকে অস্বীকার করার কোন সুযোগ মুসলমানদের জন্য নেই। কোরআনের আয়াতকে নিজের মত ব্যাখ্যা করতে গেলেই এমন হয়। ইসলামের কিছু বাতিল ফিরকার লোক যুগ যুগ ধরে হাদিস বিকৃতির সাথে জড়িত ছিল। রসুলের (সা) সাহাবাদের নিয়ে এরা কুৎসা ছড়িয়েছে। এদের এই সব কথা বিশ্বাস ক'রে অনেকে এখন সহি হাদিসও বিশ্বাস করতে চাচ্ছে না। হাদিস পরিত্যাগকারীরা মুসলমানদের জন্য একটা বড় ফিতনা।

৯৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০৩

নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন:আর ইসলামের বিধান শুধু আরবের জন্য এটা আপনাকে বুঝতে হবে।
সাবাশ। এই সরল সত্যটা সহজে কেই স্বীকার করে না।

লেখক বলেছেন:আপনি কি ধরণের মুসলমান তাহলে।
সেটার জন্য আপনাকে মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। মৃত্যুর পর দেখা হলেই বুঝতে পারবেন। একজন সুনিশ্চিত হিদায়াত প্রাপ্ত হিসেবে সেই ধৈর্য্য আপনার আছে নিশ্চয়ই।

১২ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার ধর্মীয় বিশ্বাসের মধ্যে ঝামেলা আছে। তাই ইসলাম ধর্মের মূল বিষয়ের পরিপন্থি কথা বলছেন। আপনার বিশ্বাস নিয়ে আপনি থাকুন। আমার কোন সমস্যা নাই।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার আগের মন্তব্যে (৯১ নং প্রতি মন্তব্য) অনিচ্ছাকৃত ভুল ছিল। সঠিক মন্তব্য হল;
'আর ইসলামের বিধান শুধু আরবের জন্য না এটা আপনাকে বুঝতে হবে।'

না শব্দটা ভুলে বাদ পড়েছিল।

৯৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০৭

নিমো বলেছেন: @এস এম মামুন অর রশীদ, আগে আপনি কোন দরের মুসলমান আগে সেটার কিছু যাচাইযোগ্য প্রমাণ পেশ করুন। তারপর না হয় আমাকে নিয়ে টানাটানি করবেন। সামাজিক মাধ্যমে ধর্মের আলাপ দিয়ে, অন্যের দিকে আঙ্গুল তুলে দেয়া বড্ড সহজ কাজ।

৯৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১০

নিমো বলেছেন: @সৈয়দ মশিউর রহমান, যাক ভাইজান, ব্লগে আপনারা আছেন কয়জন সুনিশ্চিত হিদায়াত প্রাপ্ত। বাস্তবে আকাম-কুকাম করলেও অসুবিধা নাই, সামাজিক মাধ্যমে ধর্মের আলাপ দিয়েই সাচ্চা মুসলমান।

৯৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


মহাপবিত্র গ্রন্থ আল কোরআনের কোথাও নামাজ পড়ার কথা বলা হয়নি। তবে ৮২ বার নামাজ কায়েম করার কথা বলা হয়েছে।
অথচ বাংলাদেশের কোন মুমিন মুসলমান নামাজ কায়েম করার জন্য জিহাদ করছেন না।
আফসোস!

৯৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


মহাপবিত্র গ্রন্থ পাক কোরআন মজিদ পবিত্র হাদিসে কালাম দুইটা এক জায়গা থেকেই নাজেল হওয়া।
অতএব চিন্তার কোন কারণ নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.