নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞান পোস্ট - মুরগির ডিম দিয়ে বিজ্ঞানকে জানা অথবা বিজ্ঞান দিয়ে মুরগির ডিমকে জানা

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:৩৪

বস্তুজগৎ যে বিজ্ঞানের সুনির্দিষ্ট নিয়ম নীতি মেনে চলে এটা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বই পড়ে এবং বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিষ্কার থেকে আমরা জানতে পারি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক বিষয়ে বিজ্ঞানের প্রয়োগ আমরা দেখে থাকি। বস্তুজগত বিজ্ঞানের নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য।

এমন কি মুরগির একটা ডিম পর্যন্ত বিজ্ঞানের নিয়ম মেনে চলে। এই পোস্টে আমি মুরগির ডিম দিয়ে বিজ্ঞানের নিয়ম-নীতি জানার চেষ্টা করবো। আবার বিজ্ঞানের নীতির সাহায্য নিয়ে মুরগির ডিমকে জানার চেষ্টা করবো। আশা করি আপনারা সাথে আছেন।

(ক) মুরগির ডিম দিয়ে বিজ্ঞানকে জানাঃ

উপকরণঃ
১। একটা মাঝারি সাইজের মুরগির সেদ্ধ ডিম। খোসা তুলে ফেলতে হবে। দেশী মুরগির ডিম হলে ভালো হয়। উটপাখি বা অস্ট্রেলিয়ার ইমু পাখির ডিম হলেও চলবে তবে সেই ক্ষেত্রে নীচে উল্লেখিত বোতলের বদলে বয়াম ব্যবহার করতে হবে। কারণ আমরা জানি যে উটপাখি বা ইমু পাখির ডিমের আকৃতি অনেকটা ছোট ফুটবলের সমান।

২ নীচের ছবির মত একটা কাচের বোতল।
৩। একটা টেবিল আর চেয়ার লাগবে। কারণ বোতল আর ডিমটা টেবিলের উপর রাখতে হবে। আর চেয়ার লাগবে আপনার বসার জন্য। যদি আপনি দাড়িয়ে থাকতে চান তাহলে চেয়ার লাগবে না।


এই অধ্যয়নটা আমি আসলে প্রথমেই ব্লগারদের বলতে চাচ্ছি না। আমি প্রথমে এটাকে একটা বিজ্ঞানের ধাঁধা হিসেবে পেশ করছি। ব্লগে অনেক জ্ঞানী, গুনি ব্লগার আছেন যারা ডিম খেতে পছন্দ করেন। ওনারা দেখবেন নিমেষেই এই ধাঁধার উত্তর বলে দিচ্ছেন। ওনাদের মুখ থেকেই বাকি ব্লগাররা ধাঁধার উত্তর জেনে যাবেন। একই সাথে এই ধাঁধার পিছনের বৈজ্ঞানিক কারণটাও ওনারা বলে দেবেন।

উপরের ছবিটাতে দেখতে পাচ্ছেন যে একটা সেদ্ধ ডিম (খোসা ছাড়া) একটা বোতলের মুখে আটকে আছে। যেহেতু ডিমের আকৃতির তুলনায় বোতলের মুখটা সরু তাই স্বভাবতই বৈজ্ঞানিক কারণে ডিমটা আটকে আছে। আপনি জানলে বিস্মিত হবেন যে আরেকটা বৈজ্ঞানিক নীতিকে যদি বুদ্ধি খাটিয়ে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় তাহলে ডিমটাকে হাত বা কোন কিছু দিয়ে চাপাচাপি, ঠেলাঠেলি না করেও বোতলের ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া যায়। বৈজ্ঞানিক নীতির সফল প্রয়োগের দ্বারা ডিমটা সুরসুর করে বোতলের ভিতরে ঢুকে যাবে। কিন্তু শর্ত হোল ডিমে কোন তেল বা তৈলাক্ত জিনিস ব্যবহার করা যাবে না। সামান্য পানি ডিমের গায়ে লাগাতে পারেন অবশ্য।

ব্লগারদেরকে, বিশেষভাবে বিজ্ঞানমনস্ক ব্লগারদের বলতে হবে কিভাবে বিজ্ঞানের একটা প্রতিষ্ঠিত নীতি প্রয়োগ করে কোন প্রকার বাহ্যিক বল প্রয়োগ ব্যতিরেকে ডিমটাকে বোতলের মুখের মধ্য দিয়ে ভিতরে ঢুকানো যাবে।

নোটঃ হাতুরি, বাটালি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না।

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ডিমটা আপনি চাইলে লবন দিয়ে মেখে খেয়ে ফেলতে পারেন। এতে কোন সমস্যা নাই।

(খ) বিজ্ঞান দিয়ে মুরগির ডিমকে জানাঃ

উপকরণঃ
১। একটা সদ্য পারা দেশী মুরগির কাঁচা ডিম।
২। একটা সদ্য সেদ্ধ করা দেশী মুরগির ডিম।
৩। যথারীতি একটা টেবিল লাগবে পরীক্ষা করার জন্য। আর চেয়ার লাগবে আপনার বসার জন্য।

আগের উদাহরনে মুরগির ডিম দিয়ে বিজ্ঞানের সত্যতা প্রমাণ করেছি। এবার বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে মুরগির ডিমকে বোঝার চেষ্টা করবো। আগেরবারের মতও এবারও এটাকে একটা ধাঁধার মত পেশ করছি। ধাঁধাটা হোল কিভাবে বুঝবেন কোন ডিম কাঁচা আর কোন ডিম সেদ্ধ? আমরা জানি কাঁচা ডিম আর সেদ্ধ ডিম দেখতে একই রকম। না ভাঙ্গা পর্যন্ত বোঝা মুশকিল কোনটা কাঁচা আর কোনটা সেদ্ধ। কিন্তু বিজ্ঞানের একটা নীতির সাহায্যে ডিম দুটোকে না ভেঙে সহজেই জানা সম্ভব কোনটা কাঁচা ডিম আর কোনটা সেদ্ধ ডিম।

নোট - এই পরীক্ষার জন্য কোন রকমের বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি যেমন অণুবীক্ষণ যন্ত্র, আলট্রাসনোগ্রাফ যন্ত্র, এক্স রে, সিটি স্কানার ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। আপনার দুইটা হাতই এই পরীক্ষার জন্য যথেষ্ট।

সঠিক উত্তরদাতাকে একটা বড় পেট বোতল ভর্তি সেদ্ধ, লবণ দিয়ে মাখা এবং তৈলাক্ত দেশী মুরগির ডিম দেয়া হবে।
ছবি - dreamstime.com

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৩৭

আরইউ বলেছেন:




ডিমের লোভে চলে এলাম!
তবে ডিম পেতে এত হ্যাপা দেখে উত্তপ্ত বোতলের মত গরম গরম লাগছে। সেই সাথে টেবিলের উপর ঘুর্নয়মান ডিমের মত মাথা স্পিন করছে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি অনেক মেধাবী বোঝা যাচ্ছে।

পেট বোতল ভর্তি লবণ মাখানো, তৈলাক্ত সেদ্ধ ডিম আপনার ঠিকানায় চলে যাবে। দিন পনেরো দেরী হতে পারে কারণ মুরগি এখনও ডিম পারছে এবং আরও পারবে। দিনে একটার বেশী ডিম পাওয়া যাচ্ছে না। :)

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যেহেতু মেধাবী তাই আপনাকে আরেকটা কঠিন প্রশ্ন করি। মনে করেন প্রথম ধাঁধা অনুযায়ী ডিম আপনি বোতলের ভিতরে ঢুকালেন বিজ্ঞানের নীতি প্রয়োগ করে। এখন বলেন সেই ডিম বোতল থেকে বের করবেন কিভাবে? হাত বা অন্য কোন যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করে। :)

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৩৭

হৃদ_স্পন্দন বলেছেন:

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: :)

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০৩

জুল ভার্ন বলেছেন: মুরগির ডিম...তা দেশী মুরগির ডিম, না কি ফার্মের মুরগীর ডিম? এই ডিমের খোসা লাল না সাদা? ডিমের কুসুম কি লাল/হলুদ?
এইসব প্রশ্নের জবাব না জানলে আমি নাই!

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চীনারা নাকি কৃত্রিম ডিম আবিষ্কার করেছে। ওগুলির কুমুম সবুজ বা নীলও মনে হয় হতে পারে। :)

দুই কুসুম বিশিষ্ট ডিম পাওয়া যায়।

মুরগীর ক্যালসিয়ামের অভাব হলে ডিমের খোসা নরম হয়। তাই ফার্মের মুরগীকে ক্যালসিয়াম খাওয়ানো হয়।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

আরইউ বলেছেন:




আপনি দেখি আমার আপ সাইড ডাউন মাথা কোটলি ভর্তি গরম পানির মাঝে ডুবিয়ে দিলেন!

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার বুদ্ধির তারিফ না ক'রে উপায় নেই। :)

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:১০

বিষাদ সময় বলেছেন:
এমন কি মুরগির একটা ডিম পর্যন্ত বিজ্ঞানের নিয়ম মেনে চলে
কোন কিছুই বিজ্ঞান এর নিয়ম মেনে চলে না। সবাই প্রাকৃতিক নিয়মে চলে। বিজ্ঞান শুধু সে নিয়মগুলো খুঁজে বের করে ব্যাখ্যা করে। :)

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। বলা উচিত ছিল বিজ্ঞানের আবিষ্কৃত নিয়ম মেনে চলে।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:০১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সিদ্ধ ডিম আর কাঁচা ডিমের পার্থক্য হাতের আঙ্গুলের টোকার মাধ্যমে বুঝা যায়।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিভাবে বোঝা যায় বিশদ বর্ণনা করুন। :)

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৫:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
তিন বারের চেষ্টায় পুরো লেখাটা পড়া শেষ করে দেখি উত্তরের জন্য কিছু বাকি নাই।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উত্তরটা তাহলে কি? :)

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: ভিতরে বাতাসের চাপ কমাইতে হবে।

০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভিতরে কিভাবে যাবেন আর চাপ কমাইবেন?

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২

নিরীক্ষক৩২৭ বলেছেন: বোতলের মুখে ডিম ভালভ ডোর এর মতো কাজ করবে। ভিতরের বাতাস সহজেই বের হতে দিবে কিন্তু বাইরের বাতাস ভিতরে ঢুকতে বাধা দিবে।

ভিতরে এমন হিট সোর্স দিতে পারেন যা বোতলের ভিতরের বাতাস গরম করবে। আয়তনে প্রসারিত হয়ে কিছু বাতাস বের হয়ে যাবে। এরপর হিট সোর্স বন্ধ করে দিলে বাতাস তার আগের আয়তনে ফায়ার যাবে, কিন্তু যেটুক বাতাস বের হয়ে গেছে তার জন্য বোতলের বাইরের তুলনায় ভিতরে চাপ বেশি থাকবে। এই চাপেই ডিম বোতলের ভিতরে ঢুকবে।

কিন্তু বোতলের মুখ বেশি ছোট হলে ডিম ভেঙে কিছু অংশ ভিতরে পরবে বা আটকিয়ে যেতে পারে। হিট সোর্স হিসেবে আগুন, হিটিং কয়েল বা গরম পানি ব্যবহার করা যেতে পারে।

আরেকটা সলুশন হলো বোতল টাচ না করে ঘরের বাতাসের চাপ বাড়িয়ে দেয়া। এইটা করতে পারলে বাইরের বাতাসের চাপ বোতলের ভিতরের বাতাসের চাপ থেকে বেশি হবে, ওই চাপের তারতম্যের কারণে ডিম ভিতরে ঢুকে যাবে। কিন্তু এই সিস্টেম অনেক বেশি এক্সপেন্সিভ হবে , একটা মাত্র ডিমকে বোতলে ঢুকাইতে এতো কষ্ট না করে ডিম খেয়ে ফেলাই ভালো। :)

১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি লিখেছেন বোতলের বাইরের তুলনায় ভিতরের চাপ বেশী থাকবে। এখানে একটা ভুল আছে ( সম্ভবত টাইপিং এরর)। বরং বোতলের ভিতরের বায়ুর চাপ কমে যাওয়ার কারণে বাইরের বায়ু বোতলের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করবে। এই চেষ্টার কারণে ডিমটার উপর চাপ সৃষ্টি হবে এবং ডিমটা ভিতরে প্রবেশ করবে।

বাতাস উত্তপ্ত হলে এটার ঘনত্ব কমে যায়, হাল্কা হয়ে যায়। ঘনত্ব কম থাকার কারণে গরম বাতাসের চাপ ঠাণ্ডা বাতাসের চেয়ে কম থাকে। বোতলের ভিতরে একটা জ্বলন্ত কাগজ বা জ্বলন্ত মোমবাতি প্রবেশ করালে ভিতরের বাতাস হাল্কা হবে এবং বায়ুর চাপ ভিতরে কমে যাবে। কিছু বাতাস হাল্কা হয়ে মুখ দিয়ে বের হয়েও যেতে পারে। বোতলের বাইরের এবং ভিতরের এই চাপের পার্থক্যের কারণে বাইরের বাতাস বোতলের মধ্যে ঢোকার চেষ্টা করবে। ফলে ডিমটা ভিতরে ঢুকে যাবে।

আপনার কথা ঠিক যে যদি কোনভাবে বাইরের বাতাসের চাপ বৃদ্ধি করা যায় তাহলেও ডিমটা ভিতরে ঢুকে যাবে।

আপনার উত্তর সঠিক হয়েছে। আপনাকে অভিনন্দন। :)

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: আমি বড়ই জ্ঞানহীন মানুষ
সবার মন্তব্যে বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করছি :(

১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৮:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রথম মন্তব্যকারী আরইউ সবার আগে উত্তর বলে দিয়েছে। কিন্তু সে ইঙ্গিতে বলেছে যেন উত্তর ফাঁস না হয়ে যায়। উপরে নিরীক্ষক৩২৭ ও সঠিক উত্তর দিয়েছে।

সহজ কথা হোল বোতলের ভিতরের বাতাসের চাপ কমাতে হবে বাইরের বাতাসের চাপের চেয়ে।

১১| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:০৭

বিষাদ সময় বলেছেন: P1V1/T1=P2V2/T2 কি কাজে লাগবে? আমার মনে হয় মেলা হ্যাপা আছে... বোতলের সাইজ, ডিমের সাইজ, বোতলের মুখের সাইজ, হাফ বয়েল, ফুল বয়েল এগুলো ঠিক না থাকলে বোতলের গলায় আটকে যাবে গিলতেও পারবেন না, উগলাতেও পারবেন না..... =p~

১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার দেয়া বয়লি'স নীতি এখানে প্রযোজ্য। এই নীতি অনুযায়ী গ্যাসের আয়তন (ভলিউম- ভি) বাড়লে চাপ কমে (প্রেশার - পি )। আমাদের এই উদাহরণে বোতলের ভিতরের বাতাসের চাপ কমাতে হবে। চাপ কমাতে হলে আয়তন বাড়াতে হবে। বাতাসকে উত্তপ্ত করলে আয়তন বাড়ে। ফলে চাপ কমে যাবে। বোতলের ভিতরের বায়ুর চাপ কমে গেলে বাইরের বায়ুর চাপের কারণে ডিমটা বোতলের ভিতরে ঢুকে যাবে। :)

আপনার কথা ঠিক যে বোতলের সাইজ, ডিমের সাইজ, বোতলের মুখের সাইজ, ডিম হাফ বয়েল বা ফুল বয়েল এগুলির উপর এই পরীক্ষার সফলতা নির্ভর করবে। :)

আপনাকে অভিনন্দন বৈজ্ঞানিক সুত্র উল্লেখ করা এবং প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করার জন্য।

১২| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৪৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: একটু বড় মুখের বোতল নিলেই হবে, আর কোন ঝামেলা নেই। B-))

১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বোতলের মুখ বড় হলে দেশী মুরগীর ডিমের বদলে উটপাখির ডিম দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে। :)

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০০

রানার ব্লগ বলেছেন: বোতলে পানি নিয়ে তা গরম করে যখনি পানির বাস্প উপরে উঠতে থাকবে ঠিক তখন সেদ্ধ ছেলা ডিমটা বোতলের মুখে বসিয়ে বোতলটা ঠন্ডা পানিতে রাখলেই বাস্পর টানে ডিমটাকে ভেতরে নিয়ে যাবে ।

১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাষ্প তো বোতলের ভিতর থেকে বাইরে যাওয়ার কথা। সেই ক্ষেত্রে বাষ্প কিভাবে ডিমকে ভিতরের দিকে টানবে? :)

১৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১০:১২

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন:

১০ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১১:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এক ধাঁধার মধ্যে আপনি আবার আরেক ধাঁধায় ফেলে দিলেন। তবে আপনার আঁকা ছবিটা খুব সুন্দর হয়েছে। ছবিটা রঙ্গিন হলে আরও ভালো দেখাতো। :)

উপরে একটা প্রেশার কুকার দেখা যাচ্ছে মনে হয়। যেটা দিয়ে ঘোড়সওয়াররা হরিণের মাংস রান্না ক'রে খেত এককালে। কিন্তু ওগুলো আকাশে ভাসছে কেন বুঝলাম না। :)

উপরের ব্লগার আরইউ, নিরীক্ষক৩২৭ অথবা বিষাদ সময় নিশ্চিত অল্প সময়ের মধ্যে এই ধাঁধার জবাব দিয়ে দেবে।

১৫| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৩১

জটিল ভাই বলেছেন:
মানুষ না হয়ে বুঝি ডিম হলেই জীবন সার্থক হতো??? =p~

১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ১:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বলতে গেলে মনুষ্য ডিম থেকেই মানুষ হয়ে থাকে। :) মুরগীর মত মানুষের ডিম ফুটাতে হয় না, এই যা পার্থক্য। :)

আর জন্মগ্রহণের পরও যদি ডিম থাকতেন তাহলে আপনাকে আর আমাকে বোতলের মধ্যে থাকতে হতো। :)

১৬| ১১ ই আগস্ট, ২০২২ রাত ৯:০৭

আরইউ বলেছেন:



১৪ নাম্বার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে রিভার্স ইমেজ সার্চ করে যা পেলামঃ Otto von Guericke's Magdeburg Hemispheres

উইকিপিডিয়া লিংক এখানে Click This Link

১২ ই আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৪:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন:
লেখাটা পড়ার পর বুঝলাম যে, জার্মান বিজ্ঞানী ম্যাগডিবার্গ বাতাসের চাপের যে প্রচণ্ড শক্তি আছে সেটা প্রথম ১৬৫৪ সালে একটা পরীক্ষার মাধ্যমে জনসমক্ষে আনেন। ছবির মত দুইটা অর্ধ গোলককে জোড়া দিয়ে গোলক বানানোর পর ভিতর থেকে পাম্পের সাহায্যে সব বাতাস বের কর ফেলেন তিনি। বাইরের বাতাসের চাপের কারণে এই অর্ধ-গোলক দুটিকে পৃথক করার জন্য অবিশ্বাস রকম শক্তির প্রয়োজন। দুইটা গোলককে দুই পাশ থেকে অনেকগুলি ঘোড়া দিয়ে টেনেও খোলা সম্ভব হয়নি। পরে এটার উপর ভিত্তি করে বয়েল’স ল প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের এই পদ্ধতি দেখানোর মাধ্যমে বায়ুর চাপের নীতিগুলো শেখানো হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.