নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডার্ক ম্যাটার - বিজ্ঞানীরা যে ম্যাটার সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৭


এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে বিলিয়ন বিলিয়ন গালাক্সি আছে। একটা মাঝারি আকৃতির গালাক্সিতে আবার গড়ে ১০০ বিলিয়ন নক্ষত্র আছে। এই কল্পনাতীত বিশাল বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের মোট ভর এবং শক্তির মাত্র ৫% হল আমাদের চেনা জানা ম্যাটার এবং শক্তি। এই ৫% এর মধ্যে আছে বিলিয়ন বিলিয়ন গালাক্সি সহ আরও কত কিছু। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এই মহাবিশ্বের মোট ভর এবং শক্তির ৬৮% হোল ডার্ক এনার্জি। আর ২৭% হোল ডার্ক ম্যাটার। বাকি মাত্র ৫% হোল আমাদের পরিচিত ম্যাটার এবং এনার্জি। এই দুই রহস্যময় এনার্জি এবং ম্যাটার সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা খুবই কম জানেন। এগুলির গতি প্রকৃতি বড়ই রহস্যময়। এগুলি আমাদের পরিচিত শক্তি বা ম্যাটারের মত না। অথচ এই ডার্ক ম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জিই মহাবিশ্বের ৯৫% দখল করে আছে।

কিভাবে এবং কোথা থেকে ডার্ক এনার্জি এবং ডার্ক ম্যাটার তৈরি হয় এটা আমরা এখনও জানি না। এগুলি কি শুন্য থেকে তৈরি হয় নাকি রুপান্তরের মাধ্যমে তৈরি হয় এটা নিয়ে গবেষণা চলমান। বিগ ব্যাঙের সময় ডার্ক এনার্জি ছিল না। পরে উদ্ভব হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এই ডার্ক এনার্জির কারণে মহাবিশ্ব আলোর চেয়েও দ্রুত গতিতে প্রসারিত হচ্ছে। এই প্রসারিত হওয়ার গতিও ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পোস্টে ডার্ক এনার্জি সম্পর্কে বলব না। এই পোস্টের ফোকাস হল ডার্ক ম্যাটার।

ডার্ক ম্যাটার তার মহাকর্ষ বলের সাহায্যে গ্যালাক্সিগুলিকে বেশী দূরে সরে যাওয়া থেকে রক্ষা করছে। অর্থাৎ ডার্ক এনার্জির বিপরীতে ডার্ক ম্যাটারের মহাকর্ষ শক্তি কাজ করছে। ফলে উভয় শক্তির মধ্যে একটা সমন্বয় আছে বলে মনে হচ্ছে। এছাড়া গ্যালাক্সিগুলির অনেক কর্মকাণ্ডের পিছনে ডার্ক ম্যাটারের ভরের ভুমিকা আছে। ডার্ক ম্যাটারের এই অদৃশ্য ভরকে গণনায় না ধরলে বিজ্ঞানের থিউরিসমূহ দ্বারা গ্যালাক্সিগুলির গতি, প্রকৃতির ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

ডার্ক ম্যাটারের 'ডার্ক' বলতে এখানে অজানা ম্যাটার বুঝাচ্ছে। এই ম্যাটার সম্পর্কে আমাদের খুব সামান্য ধারণা আছে তাই এটাকে ডার্ক ম্যাটার বলা হয়। এই ম্যাটার কিন্তু বাতাসের মত কোন গ্যাসিয় পদার্থ না। কোন মেশিন, যন্ত্রপাতি,সরঞ্জাম দিয়ে এই অদৃশ্য ডার্ক ম্যাটারকে নির্ণয় করা, ধরা বা ছোঁয়া যায়নি। তারপরও বিজ্ঞানীরা ধরে নেন যে এই ম্যাটার মহাবিশ্বে আছে। কারণ মহাকাশের গ্যালাক্সি, গ্রহ, নক্ষত্র সমুহের অনেক আচরণ আছে যেগুলির ব্যাখ্যা করতে গেলে এই ধরণের ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্বের কথা চলে আসে। ডার্ক ম্যাটারের বৈশিষ্ট্য হল এটার ভর আছে কিন্তু সাধারণ ম্যাটারের মত ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ড দ্বারা প্রভাবিত হয় না। ফলে ডার্ক ম্যাটার চিহ্নিত করা কঠিন।

মহাকর্ষ সুত্র সংক্রান্ত কিছু পর্যবেক্ষণ থেকে বিজ্ঞানীরা ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্বের প্রমাণ পেয়েছেন। ডার্ক ম্যাটারের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মহাকর্ষ শক্তির কারণে মহাশূন্যে আলোক রশ্মির গতি পথ বক্র হয়। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন যে ডার্ক ম্যাটার সম্ভবত কোন সাব-এটমিক কণা দ্বারা তৈরি। ১৮৮৪ সালে বিজ্ঞানী লর্ড কেল্ভিন প্রথম অনুমান করেন যে মহাবিশ্বে সম্ভবত কিছু অদৃশ্য নক্ষত্র আছে। গালাক্সির ভর নির্ণয় করতে গিয়ে তিনি দেখেন যে ঐ গালাক্সির অন্তর্গত নক্ষত্রগুলির ভরের সমষ্টি গালাক্সির ভরের অনেক কম। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ভরের সমষ্টি সমান হওয়া উচিত ছিল। তখন ওনার মাথায় আসে যে নিশ্চয় আরও কিছু অদৃশ্য নক্ষত্র আছে যেগুলির ভরের কারণে গালাক্সির ভর বেশী হচ্ছে। এরপরে আরও অনেক বিজ্ঞানী ডার্ক ম্যাটার নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্ব সম্পর্কে সন্দেহ ধীরে ধীরে কমে এসেছে। ১৯৮০ সালের দিকে বিজ্ঞানীরা মোটামুটি নিশ্চিত হন যে মহাবিশ্বে ডার্ক ম্যাটার আছে।

স্পাইরাল গালাক্সির ‘গ্যালাক্সি রোটেশন কার্ভ’ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে গ্যালাক্সির কেন্দ্র থেকে দূরে সরে যাওয়া সত্ত্বেও নক্ষত্রগুলির অরবিটাল গতি আগের মতই আছে অথবা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু কেপলারের তৃতীয় সুত্র অনুসারে বিজ্ঞানীরা জানেন যে, কেন্দ্র থেকে দূরে সরে গেলে গ্রহ বা নক্ষত্রগুলির অরবিটাল গতি কমে যায়। এই গড়মিল মিলাতে গিয়ে তারা ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্বকে ব্যবহার করেন। বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, নক্ষত্রের আশেপাশে অবস্থিত অদৃশ্য ডার্ক ম্যাটারের ভরজনিত মহাকর্ষের কারণে নক্ষত্রগুলির গতিতে কোন পরিবর্তন আসে না বরং অনেক ক্ষেত্রে বেড়ে যায়। তবে অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন যে নিউটনের ‘সার্বজনীন মহাকর্ষ ল’ যদি কিছুটা পরিবর্তন করা যায় তাহলেও এই গড়মিলের ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব।

ভাইরিয়াল থিউরেম প্রয়োগ করেও ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্ব প্রমাণ করা যায়। বিজ্ঞানীরা প্রথমে 'ভাইরিয়াল থিউরেম' প্রয়োগ করে একটা গ্যালাক্সির ভর নির্ণয় করেন। তারপর আবার ঐ গ্যালাক্সির ভর নির্ণয় করেন আলোর বিকিরন পরিমাপের মাধ্যমে (luminosity)। এই দুই পদ্ধতিতে পাওয়া ফলাফলের মধ্যে গড়মিল পাওয়া যায়। একমাত্র ডার্ক ম্যাটারের উপস্থিতির দ্বারা এই দুই পদ্ধতির মধ্যে সমন্বয় করা যায়।
ডার্ক ম্যাটারের ভর আছে তাই ভরের কারণে পাওয়া মহাকর্ষ শক্তির প্রভাবে মহাকাশে আলোর গতি বক্র হয়ে যায় বলে প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এই পদ্ধতিকে gravitational lensing বলা হয়।

ডার্ক ম্যাটার নিয়ে সামান্য কিছু বললাম। ডার্ক এনার্জি নিয়ে পরে কখনও বলার চেষ্টা করবো।

সুত্রঃ
pweb.cfa.harvard.edu/research/topic/dark-energy-and-dark-matter#:~:text=Dark matter makes up most,accelerated expansion of the universe.

scienceline.org/2016/12/physicists-are-in-the-dark-on-dark-matter/
science.nasa.gov/astrophysics/focus-areas/what-is-dark-energy
space.com/20930-dark-matter.html
en.wikipedia.org/wiki/Dark_matter

ছবিঃ cnet.com

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ডার্ক ম্যাটার/এনার্জী সম্পর্কে জেনে বিজ্ঞানীরা শুধু কৌতূহল মেটাতে পারবে; ইহার জন্য চলমান পরিবর্তন ঠেকানো যাবে না, পৃথিবীতে কাজে লাগাতে পারবে না।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি এই সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন মনে হচ্ছে। আপনি একটু বিস্তারিত বললে আমরা অনেক কিছু জানতে পারতাম।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: ডার্ক ম্যাটার খুবই জটিল বিষয়। আছে!! কিন্তু কেনো কখন থেকে, কিভাবে আছে সেটা পরিষ্কার বুঝতে পারাটা আমাদের মতো লোকের জন্য কঠিন। প্রথম দিকে যখন ডার্ক ম্যাটার বিষয়টা সামনে এলো তখন মনে হলো অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। পরে দেখা গেলো সব কিছু আরো বেশী ডার্ক হয়ে যাচ্ছে!!!

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বেশ রসালো মন্তব্য করেছেন। :) ডার্ক ম্যাটার এত জটিল যে আমাদের জটিল ভাইও এটাকে ভয় পাবে। ডার্ক ম্যাটার এত ডার্ক যে ৫ ব্যাটারির টর্চ দিয়েও দেখা যায় না। এটাকে নাকি হাত দিয়ে ছোঁয়াও যায় না। আবার এটা কিন্তু কোন গ্যাসীয় পদার্থও না। আমাদের আহমেদ জি এস ভাই ডার্ক ম্যাটার সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন। আর জানে পদার্থ বিজ্ঞানী (ফিসিসিষ্ট) সাসুম। আর ইউ এটা নিয়ে অনেক কিছু বলতে পারবে। নিউ ইয়র্কে থাকেন ভুইয়া ভাই (পুরো নাম ভুলে গেছি) উনিও ভালো জানেন। সবচেয়ে ভালো জানেন ঈশ্বরকণা।

বিজ্ঞানীরা ডার্কে আছে বলেই এটা নাম ডার্ক ম্যাটার। :)

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

:আপনি এই সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন মনে হচ্ছে। আপনি একটু বিস্তারিত বললে আমরা অনেক কিছু জানতে পারতাম।

জি না!আমি আপনার থেকেও অনেক কম জানি,আপনার পোস্ট পড়ে বিজ্ঞানীদের ভাবনা,এক্সপেরিমেন্ট ও ডার্কের রহস্যময়তার কারণে উক্ত কমেন্ট করেছি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি তো সম্ভবত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েন। বিজ্ঞানের ছাত্র। আপনার তো ভালো জানার কথা।

আমি এক্স বিজ্ঞানের ছাত্র, তাই বেশী কিছু জানি না। তবে অনেক কিছু জানতে ইচ্ছে করে।

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৭

রেজাউল৮৮ বলেছেন: কালোদের প্রতি সাদা দের এই বৈষম্য টা খুব চোখে লাগে।
ডার্ক মেটার না হয়ে এটা যদি হোয়াইট মেটার হতো , তাহলে বিজ্ঞানীরা অনেক বেশি বেশি গবেষণা করে এটা রহস্য অনেক আগেই বের করে ফেলতে মনে হয়।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমারও ধারণা এই বর্ণবাদী মানসিকতার কারণেই সাদা বিজ্ঞানীরা ডার্ক ম্যাটার নিয়ে বেশী আগ্রহ দেখাচ্ছে না। :) সব জায়গাতে সুন্দরের জয় জয়কার। :)

সব ছেলে বলে আমার কাছে সাদা মেয়ে, কালো মেয়ে একই রকম কিন্তু বিয়ে করতে গেলে সাদা মেয়ে খোঁজে। :) তখন আর মনে থাকে না

কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি
কালো তারে বলে গাঁয়ের লোক
মেঘলা দিনে দেখেছিলেম মাঠে
কালো মেয়ের কালো হরিণ-চোখ
ঘোমটা মাথায় ছিল না তার মোটে
মুক্তবেণী পিঠের 'পরে লোটে
কালো? তা সে যতই কালো হোক
দেখেছি তার কালো হরিণ-চোখ
কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি :)

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫২

জুল ভার্ন বলেছেন: আমি বিজ্ঞানের ছাত্র নই, বিজ্ঞান নিয়ে আগ্রহও খুব কম। তারপরও ডার্ক ম্যাটার নিয়ে বিভিন্ন সময় পত্রিকার লেখাগুলো পড়ে বুঝেছি- ডার্ক ম্যাটার হচ্ছে সেই ধরনের পদার্থ, যেটা আসলে যে কী ধরনের পদার্থ সে সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না এবং এখন পর্যন্ত এটাই এর সবচাইতে ভালো সংজ্ঞা! =p~

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলেই ঠিক বলেছেন আপনি। বিজ্ঞানের অনেক হিসাব মিলছে না কসমিক লেভেলে। ডার্ক ম্যাটার থাকলে হিসাব মিলে যায়। আর তাছাড়া কিছু পর্যবেক্ষণ থেকে বোঝা যাচ্ছে ডার্ক ম্যাটার আছে। তবে বিজ্ঞানীদের জানার চেষ্টা অব্যাহত আছে।

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
এই ধরণের বিষয় ঠিক আমার মাথায় ঢুকে না। তবে আগ্রহ নিয়ে পড়ি। ডার্ক ম্যাটার এবং ডার্ক এনার্জি নিয়ে পড়তে পড়তে মনে হয়েছিল। মহাবিশ্বের যে বিরাট অংশ যা আমাদের আমরা দেখি , যা আমাদের কাছে ফাঁকা মনে হয়। সেটা আদতে ফাঁকা নয়। ডার্ক ম্যাটার , ডার্ক এনার্জি রা বিদ্যমান। অদৃশ্য এবং অজানা।

সুরা ক্বাফ এর ৬ নং আয়াত আরো ভাবিয়ে দিলো ,
"তারা কি তাদের উপরে অবস্থিত আকাশের দিকে তাকায় না, কীভাবে আমি তাকে বানিয়েছি, তাকে সুশোভিত করেছি আর তাতে নেই কোন ফাটল?"

বিজ্ঞানীরারা নিশ্চয় একদিন রহস্যের সমাধান দেবে। আল্লাহ , ফেরেস্তা , জ্বীন , শয়তান , জান্নাত-জাহান্নাম কিছুই দেখা যায়না। বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় অস্তিত্ব পাওয়া যায় না।


চিন্তায় ভুল হতে পারে। একদিন চিন্তা করতে করতে ঠিক জেনে যাবো।


০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার জানার আগ্রহ দেখে ভালো লাগলো।

আপনি বলেছেন "চিন্তায় ভুল হতে পারে। একদিন চিন্তা করতে করতে ঠিক জেনে যাবো।"

আপনি যখন ঠিক জেনে যাবেন তখন কিন্তু আমাকে জানাবেন সবার আগে। :)

কোরআনের আয়াত উল্লেখ করেছেন। এটা নিয়ে আবার কে কি বলে তাই নিয়ে চিন্তায় আছি। :)

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লাইক দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ সোনাগাজী সাহেবকে। মন্তব্য করার সুযোগ থাকলে উনি নিশ্চয়ই মন্তব্য করতেন।

৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৮

কামাল৮০ বলেছেন: সোনাগাজী সাহেবের লাইক দেয়া মানে কিছু একটা বলতে চায়। আমি বিজ্ঞানেন ছাত্র না।বিজ্ঞান সম্পর্কে বলতে গেলে কিছুই জানি না।কিন্তু এটা জানি বৈজ্ঞানিক সত্য মানে প্রমাণিত সত্য।বাকি সব সত্যের সাথে মিথ্যা মেশানো।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সোনাগাজী সাহেবের মন্তব্যের সুযোগ থাকলে কত কত ভালো মন্তব্য তিনি করতেন। কবে মন্তব্য করতে পারবেন এটা আল্লাহ ছাড়া আর কেউ জানে না। আল্লাহ ওনার সহায় হন এই কামনা করছি।

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭

কামাল৮০ বলেছেন: আল্লাহ সহীয় হলে কিছুই হবে না।মডু সহায় হলে আজকেই মন্তব্য করতে পারবেন।এটাই বৈজ্ঞানিক সত্য।আল্লাহ আছেন ডার্ক ম্যাটার নিয়ে।সহজ কাজ আল্লাহ করেন না।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: :)

১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২০

পোড়া বেগুন বলেছেন:
ডার্ক ম্যাটারগুলো আলোতে আনতে নেই;
এগুলো ডার্ক থাকাই উত্তম।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক মজার কথা বলেছেন। :)

১১| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০১

বিটপি বলেছেন: গ্যালাক্সি আর্মের রোটেশন একই থাকার জন্য ডার্ক ম্যাটার দায়ী নয়। আপনাকে একটা এক্সামপল দিচ্ছি। একটা ব্লেন্ডারে দুই কাপ পানি আর একটু ইসবগুলের ভূষি নেন। তারপর ব্লেন্ডার চালু করে বন্ধ করে দিন এবং ভিতরে তাকান। কি দেখতে পাচ্ছেন? যে ঘোলটা উৎপন্ন হয়েছে, তাকে কেন্দ্র করে ইসবগুলের ভূষিগুলো ঘুরছে, তাই না? আবার এককভাবে প্রত্যেকটা ভূষির দিকে তাকিয়ে দেখুন। তারাও কিন্তু নিজেরা চরকির মত ঘুরছে। ব্লেন্ডার চালু করাতে যে ফোর্স সৃষ্টি হয়েছে, তার প্রভাবেই সব ভূষিগুলো একটা নির্দিষ্ট বিন্দুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে আবার নিজেরাও নিজেদের অক্ষকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এখানে অন্য কোন ফোর্সের কোন ভূমিকা নেই। গ্যালাক্সি বা সোলার সিস্টেমের জন্যও একই থিউরি খাটে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লেন্ডার এবং ভুষির ঘোরার কারণ আর মহাকাশের গ্রহ, নক্ষত্রের ঘোরার কারণ এক না। ব্লেন্ডারের ক্ষেত্রে বাইরে থেকে বৈদ্যুতিক বল প্রয়োগ করার কারণে এই ঘূর্ণনের ঘটনা ঘটে থাকে। এখানে মহাকর্ষের কোন ভুমিকা নাই। পৃথিবীর মহাকর্ষের (অভিকর্ষ) প্রভাবের কারণে কোন বস্তুর মহাকর্ষকে কাজে লাগিয়ে এই ধরণের ঘূর্ণনের ঘটনা পৃথিবীর মাটিতে ঘটানো সম্ভব না। পক্ষান্তরে মহাবিশ্বের গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সির ক্ষেত্রে তাদের ঘূর্ণনের মূল কারণ মহাকর্ষ। বিজ্ঞানীরা যখন পৃথিবীকে প্রদক্ষিনের জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠায় তখন পৃথিবীর মহাকর্ষকে প্রতিহত করার জন্য উপগ্রহের গতি এমনভাবে স্থির করে যেন এটি বাইরে ছিটকে না যায় আবার মাটিতেও না পড়ে যায়।

১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৫

রেজাউল৮৮ বলেছেন: @ বিটপি-- আমি বিজ্ঞানের ছাত্র না , জানার জন্য প্রশ্ন করছি : ব্লেন্ডার ঘুরাতে যে এনার্জি লাগে সেই এনার্জি টা এখানে কোথা থেকে আসলো? ব্লেন্ডারটাই বা কোথা থেকে আসলো?

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উপরের ১১ নং মন্তব্যে আমি ব্যাপারটা পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। ব্লেন্ডারের উদাহরণে বাইরে থেকে আসা বৈদ্যুতিক এনার্জি হোল ঘূর্ণনের কারণ। এখানে মহাকর্ষের কোন ভুমিকা নাই কারণ পৃথিবীর মহাকর্ষের প্রভাব এত বেশী যে পৃথিবীতে অবস্থিত কোন বস্তুর মহাকর্ষ এখানে কাজ করে না বললেই চলে। পক্ষান্তরে মহাকাশের গ্রহ, নক্ষত্র, গ্যালাক্সির ঘূর্ণনের মূল কারণ হল এদের নিজস্ব মহাকর্ষ শক্তি।

১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:১৮

শেরজা তপন বলেছেন: বেশ কষ্টসাধ্য পোষ্ট!
এ নিয়ে আমার আগ্রহ অনেক। বুঝতে কষ্ট হচ্ছে তবে চেষ্টা করছি বুঝতে

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জুন আপা বলেছে যে, বুঝতে পারলে ওনাকে যেন তৎক্ষণাৎ জানানো হয়। আপনি ব্যাপারটা বুঝতে পারার সাথে সাথে জুন আপাকে জানাবেন আশা করি। :)

১৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৮

জুন বলেছেন: আপনার পোস্ট পড়ে নেট ঘেটে দেখলাম তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরাও এর আগা মাথে বুঝতে অক্ষম ,আমি তো কোন ছাড় :(
ভবিষ্যতে আপনি যদি বুঝতে পারেন তবে আমাকে একটু জানাইয়েন সাড়ে চুয়াত্তর :)

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞানীরা না বুঝলেও আমি কিন্তু অবুঝ না। যদিও আমি পোস্টে কয়েক জায়গায় লিখেছি যে আমরা ব্যাপারটা বুঝি না। আমরা বলেছি বিনয়ের কারণে। :) এই আমরা বলতে আমি নির্বোধ বিজ্ঞানীগুলিকে বুঝিয়েছি। :) আমি বুঝে শুনেই এই পোস্ট দিয়েছি।

আমার মনে হয় পৃথিবীতে যে জীন, ভুত আছে এগুলিই হল ডার্ক ম্যাটার। :) ডার্ক ম্যাটারের এই সব বিদঘুটে কাজ কারবার জীন, ভুতের কাজ ছাড়া আসলে আর কিছু না। :)

১৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৭

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: এক পর্যায়ে বিজ্ঞানীদের এরকমও মনে হতে পারে, ভুল সমীকরণে অনেক চুল ছিঁড়েছেন অন্ধকারে তাঁরা, যদিও বিজ্ঞানের প্রসার হয়েছে।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অতীতে বিজ্ঞানীদের এই ধরণের চুল ছেড়ার উদাহরণ অনেক আছে। তাই আপনি যা বলেছেন সেটাকে হেসে উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। :) বিজ্ঞানীরা এইভাবে মাথার চুল ছিঁড়তে ছিঁড়তেই অনেক বড় আবিষ্কার করেছেন। আইন্সটাইন তার কসমোলজিকাল ধ্রুবককে বলেছিলেন তার জীবনের সব চেয়ে বড় blunder। এই ভুল পরে অবশ্য বিজ্ঞানীদের ভাবনার খোরাক জুগিয়েছে।

১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: রেজাউল৮৮ বলেছেন: কালোদের প্রতি সাদা দের এই বৈষম্য টা খুব চোখে লাগে।
ডার্ক মেটার না হয়ে এটা যদি হোয়াইট মেটার হতো , তাহলে বিজ্ঞানীরা অনেক বেশি বেশি গবেষণা করে এটা রহস্য অনেক আগেই বের করে ফেলতে মনে হয়।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রেজাউল৮৮ মজা করে বলেছেন। আসলে ডার্ক ম্যাটারের কোন রঙ নেই, এটা অদৃশ্য বস্তু। এটা ডার্কও না ব্রাইটও না। এটাকে দেখা যায় না, ধরা যায় না, ছোয়া যায় না। এটার মধ্যে দিয়ে আলো সহ সব কিছু চলে যেতে পারে। কোন বাঁধা সে দেয় না। এটার অস্তিত্ব বোঝা যায় না বললেই চলে। বিজ্ঞানীরা এই ম্যাটার নিয়ে ডার্কে আছেন বলে এটাকে ডার্ক ম্যাটার বলা হয়।

১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:০২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,




ভালো লেখা, জেনে রাখার মত।

তবে বলি - পার্টিকল ফিজিক্স খুব জটিল। আমাদের মতো আমআদমীদের এসব বুঝতে অন্ধকারেই হাতড়াতে হবে শুধু। আর পদার্থ ও মহাকাশবিজ্ঞানীরা হাতড়ে হাতড়ে যা নিজের নিজের খলুইতে রাখছেন তাও একেক জনের একেক রকম। স্যাম যদি বলেন- আমি ধরেছি শিংগি, তো রাম বলেন আমি ধরেছি মাগুর। শিংগি আর মাগুরের চেহারা সুরত প্রায় এক হলেও তারা কিন্তু আসলে ভিন্ন। আসলে কণা-পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণায় যতটা তথ্যাদি বা ডেটা পাওয়া যায় বিশ্লেষণের জন্য, ততটা তথ্যাদি মেলেনা মহাকাশবিজ্ঞানের বেলায়। মেলেনা যথেষ্ট পর্যবেক্ষণের অভাবে। কারন মহাকাশবিজ্ঞানীরা পর্যবেক্ষণের জন্যে যতটুকু জায়গা নিয়ে কাজ করেন তা দৃশ্যমান ব্রহ্মান্ডের তুলনায় অতিশয় নগন্য একটুখানি এলাকা। এতটুকু দিয়ে বিশ্ব-ব্রহ্মান্ডের সব কিছু ব্যাখ্যা দিতে গেলে চুলের জট খোলার মতই অবস্থা হয়। এখানটায় ছাড়ালেন তো ওখানটায় জট লেগে গেল।

এই যেমন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারতীয় বাঙালি অধ্যাপক সুবীর সরকার একটা জট পাকিয়েছেন বছর দু’য়েক আগে। ডার্ক এনার্জী আছে কি নেই সেটা নিয়ে নোবেলজয়ী পদার্থ বিজ্ঞানীদের প্রনীত মহাকাশবিজ্ঞানের চালু সবক’টি মডেলের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি আর তার সাগরেদর বললেন, ব্রহ্মাণ্ডটা ঠিক ফুটবলের মতো সব দিকে সমান ভাবে ফুলে ফেঁপে উঠছে না। কোনও বিশেষ একটি দিকেই বেশি ফুলে ফেঁপে উঠছে ব্রহ্মাণ্ড। অনেক বেশি দ্রুত গতিতে। ফলে, তার চেহারাটা হয়ে যাচ্ছে অনেকটা পেট ফোলা রাগবি বলের মতো। তাদের মতে, গোটা ব্রহ্মাণ্ডেই রয়েছে অসাম্য। সময়ের সাথে সাথে এই ব্রহ্মাণ্ড কোনও বিশেষ একটি অভিমুখেই উত্তরোত্তর বেশি গতিতে ফুলে-ফেঁপে উঠছে। সব অভিমুখেই ব্রহ্মাণ্ড এই একই গতিতে ফুলে-ফেঁপে উঠছে না। পিছন থেকে অদৃশ্য শক্তি বা ডার্ক এনার্জি কলকাঠি নাড়লে যেটা হত। ব্রহ্মাণ্ডের একটি বিশাল অংশের কোনও একটি বিশেষ অভিমুখে এই ভাবে উত্তরোত্তর বেশি গতিতে ফুলে, ফেঁপে ওঠার পিছনে অন্তত ডার্ক এনার্জির কোনও ভূমিকা থাকতে পারে না।
এখন বিশ্বাস করবেন কোনটা ? আমরা তো পদার্থবিজ্ঞানী নই তাই আমাদের বিজ্ঞানীদের সবার কথা শুনে যা্ওয়া ছাড়া আর কাজ নেই।
তেমনি “ডার্ক ম্যাটার” নিয়ে্ও আছে সমস্যা। যে বস্তুকে আমরা বাটি চালান দিয়ে্ও দেখতে পাইনে তাকে বলছি – ম্যাটার বা বস্তু। আর দেখতে পাইনে বলে বলছি - ডার্ক ম্যাটার বা তমোময় বস্তু ।এভাবে দেখলে বলা উচিৎ- নো-ম্যাটার! ম্যাটারের গুনাবলী এর আছে কি ? নেই মনে হয়। থাকলে তো তার একটা আকৃতি থাকার কথা! পদার্থবিদরা যাকে পদার্থ বলে বিশেষায়িত করেছেন তা অবশ্যই বিশ্বজগৎ যে বস্তুতে তৈরি (অনু-পরমানু) তার মতো আচরণ করতে হবে, অন্তত স্থান এবং সময়ের মধ্যে তার গতিকে গণনায় ধরলে। ডার্ক ম্যাটার কিন্তু তা করেনা। এর কোন আকৃতি নাকি নেই। বিশাল আয়তন ধারন করতে হলে ক্ষুদ্র থেকে এটাকে তরলের মতো ছড়িয়ে পড়তে হয়। আর আলোর বিষয়টি ধরলে প্রথাগত বস্তুর মতো এটা ইলেক্ট্রম্যাগনেটিক রেডিয়েশান করেনা বলেই ব্লাকহোলের মতো আলো ছড়ায় না। তাই কেউ কেউ বলেন, ডার্ক ম্যাটার হল আসলে সুক্ষ্যানুসুক্ষ্য ব্লাকহোল। কেউ বলছেন, এরা হল “ফার্মি বল’স” বা “কোয়ান্টাম ব্যাগ” যা সাব-এটমিক পার্টকেল ফার্মিয়ন দ্বারা ভরা। কেউ বলেন, ব্লাকহোল থেকেই এদের উৎপত্তি, কারন ব্লাকহোল যেমন আলো ছড়ায় না তেমনি ডার্ক ম্যাটারও আলো ছড়ায় না। তাই এরাও এক একটা ব্লাকহোল। অনেকটা এমন যেন – ছাগলেরও দাড়ি আছে, রবীন্দ্রনাথেরও দাড়ি আছে তাই রবীন্দ্রনাথও একটা ছাগল।
যাবেন কই ?
তাই জুন এর মন্তব্যের জবাবে আপনার বলা কথা মতো এসবই জ্বীন-ভুতের কাজ-কারবার। যেহেতু ভুতুরে কাজ কারবার তাই আমাদের আম-আদমীদের এসব রহস্য বোঝা ভার। জ্বীন-ভুত তাড়ানো ওঝারাই মাথার চুল ছিড়ুক অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়ে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আহমেদ জি এস ভাই, আপনার মন্তব্যের অপেক্ষায় ছিলাম। এর আগে আপনি আমার অন্য পোস্টে এইসব বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলেন। আপনি যথার্থ বলেছেন যে মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বড় সীমাবদ্ধতা হল মহাকাশের অতি সামান্য অংশই আমাদের নাগালের মধ্যে। ফলে অনেক কিছু অনুমান করে নিতে হয়। অধ্যাপক সুবীর সরকার হয়তো সামান্য কিছু উপাত্তের ভিত্তিতে নতুন কথা বলছেন। যেহেতু সব বিজ্ঞানীই বলতে গেলে হাতড়ে বেড়াচ্ছেন তাই সুবীর সরকারকে চ্যালেঞ্জ করতে পারার মত তথ্য প্রমাণ বাকি বিজ্ঞানীদের হাতে মনে হয় নাই। ফলে জট খোলার বদলে নতুন করে জট তৈরি হচ্ছে।

ডার্ক ম্যাটারের অস্তিত্বের ক্ষেত্রে আমরা এখন পর্যন্ত শুধু হিসাব নিকাশের উপর নির্ভর করছি। হিসাব মিলছে না তাই ধরে নিয়েছি যে হিসাব না মেলার কারণ হল ডার্ক ম্যাটারের উপস্থিতি। ব্ল্যাক ম্যাটার আসলে এক ধরণের ব্ল্যাকহোল কি না এটা নিয়ে হয়তো বিজ্ঞানীরা আরও গবেষণা করবেন।

আপনার দেয়া রবীন্দ্রনাথ আর ছাগলের দাড়ির উপমাটা চমৎকার হয়েছে। যাই হোক অন্ধকার হাতড়াতে হাতড়াতে আশা করি বিজ্ঞানীরা আমাদের এই ব্যাপারে আলোর পথে দেখাবে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে এত সুদীর্ঘ ও সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

১৮| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বাইবেলে সব বলা আছে: The Bible and the mystery of dark matter

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞানীরা এত কষ্ট করে গবেষণা না করে বাইবেলের সাহায্য নিলেই সমাধান পেয়ে যাওয়ার কথা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.