নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমের বিয়ে ভালো না পরিবার আয়োজিত বিয়ে ভালো?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৬


বিয়ে করা যে একটা অতীব ভালো কাজ এটা নিয়ে কারও কোন সন্দেহ মনে হয় নেই। তাই বলে যারা বিয়ে করবে না বলে পণ করেছে তাদের কিন্তু খারাপ বলা যাবে না। একটা ছেলে বা মেয়ে বিয়ে করবে কি করবে না এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমাদের সমাজে সাধারণত দুই পদ্ধতিতে বিয়ে হয়ে থাকে।

১। প্রেম করে বিয়ে
২। পরিবারের পছন্দ মত বিয়ে।

প্রেমের বিয়ের সূচনা বিভিন্নভাবে হতে পারে। যেমন বাড়ির ছাদের চিলেকোঠায় ঘুড়ির নাটাই নিয়ে টানাটানি করতে গিয়ে, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের করিডোরে, অফিসের কাজের সুত্রে, ফেইসবুকে। এছাড়া আরও বহুবিধ এনালগ এবং ডিজিটাল পদ্ধতি আছে। প্রেমিক প্রেমিকারা এগুলি ভালো জানে। প্রেমের বিয়ের অনেক সুবিধা। বিয়ের আগেই প্রেমিক, প্রেমিকা একজন আরেকজনকে বুঝতে এবং চিনতে পারে। ফলে নিজেদের মধ্যে আগে থেকেই একটা বোঝাপড়া থাকে। একজন আরেকজনকে বাজিয়ে দেখতে পারে।

প্রেমের বিয়ের অসুবিধা হল অনেক সময় এই বিয়ে পরিবার মেনে নিতে চায় না। ফলে চোরের মত পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করতে হয়। এমন কি অনেক সময় থানা, পুলিশ, গুণ্ডারা পর্যন্ত পিছু নেয়। বহু বছর আগে আমার এক চাচি নাকি চাচার প্রেমে পড়ে খাল সাঁতরে চাচার বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বিয়ের জন্য। আমার বাবা মা সব সময় এই কারণে ওনাদের ক্ষ্যাপাতেন আমাদের সামনে। আমার বাবা মার বিয়ে উভয়ের পরিবারের অমতে হয়েছিল। আমার বড় খালু অভিভাবক হয়ে ওনাদের বিয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন।

কয়েক বছর আগে পালিয়ে বিয়ে করা অপরিচিত এক ছেলে আর এক মেয়েকে আমার বাবা প্রায় দেড় মাস আমাদের বাসায় লুকিয়ে রেখেছিলেন। ওদের বিয়ের কাজী আবার আমার বাবার পরিচিত ছিলেন। বয়সে তরুণ কাজী সাহেব বিয়ে পড়ানোর পর নিজেই এদের লুকানোর ব্যবস্থা করেছিলেন আমাদের বাসায়। ওদের উভয়ের পরিবার নাকি হন্যে হয়ে ওদেরকে খুজছিল। ছেলে মেয়ে দুটি ভয়ে আমাদের বাসার সামনের বারান্দায় পর্যন্ত যেত না। মেয়েটা বাড়ি থেকে পালানোর সময় তার মায়ের কিছু গহনা নিয়ে এসেছিল। ওরা আমাদের বাসায় অনেক দিন ছিল তাই ওরা চাচ্ছিল আমার বাবা খরচ হিসাবে গহনাগুলি গ্রহণ করুক। আমার বাবা অবশ্য নিতে রাজি হয় নাই। বর্তমানে ওরা জাপানে আছে। যদিও অজানা কারণে ওরা এখন ইচ্ছে করে আমাদের এড়িয়ে যায়।

পরিবারের পছন্দের বিয়েতে সুবিধা হল এই বিয়ের জন্য যত খুশি পাত্র বা পাত্রি দেখা যায় এবং তার মধ্যে থেকে যে কোন একজনকে পছন্দ করা যায়। পাত্র বা পাত্রি চাইলেই যে কোন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করতে পারে। ছেলে বা মেয়ের সৌন্দর্য, অর্থ, বিত্ত, পারিবারিক মর্যাদা এগুলি জেনে বিয়ে করা যায়। আরও কিছু সুবিধা অনেক সময় পাওয়া যায়। যেমন আমার উপরে উল্লেখিত বড় খালু নাকি আমার খালার সাথে বিয়ের সময় গ্রামে ওনার চাচার বিরাট বাড়িকে নিজেদের বাড়ি বলে চালিয়ে দিয়েছিলেন। বিয়ের পরে ধরা পড়লেও কিছু করার ছিল না কারণ ততদিনে আমার খালা আমার খালুর প্রেমে পড়ে গেছেন।

পরিবারের পছন্দের বিয়েতে অসুবিধা হল অনেক সময় পাত্র বা পাত্রিকে ফুলিয়ে ফালিয়ে প্রদর্শন করা হয়। দেখা যায় পাত্র অনেক ভালো পরিবারের কিন্তু বিয়ের পর দেখা গেল পাত্র নেশাখোর। একটা মেয়ের কথা জানি যার বিয়ে হয়েছিল এক প্রবাসী ছেলের সাথে। ছেলে ইউরোপের কোন দেশে ভালো চাকরী করে। উভয় পরিবারের সম্মতিতে বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের কয়েক বছর পর মেয়েটি জানতে পারলো ঐ ছেলের আগে থেকেই আরেকটা বউ আর সন্তান আছে বিদেশে। ততদিনে মেয়েটা দুই সন্তানের মা হয়ে গেছে। ছেলেটা তাকে বিদেশ নিয়ে যাবে বলে দিনের পর দিন ঘুরিয়েছে। বছরে সে একবার বা দুইবার আসত। এই ধরণের প্রতারনার পরেও মেয়েটা সম্পর্ক ধরে রাখার চেষ্টা করেছে বাচ্চাদের কথা চিন্তা করে। বারো তের বছর এভাবে জোড়াতালি দিয়ে সংসার করার পর এক পর্যায়ে মেয়েটা আলাদা হতে বাধ্য হয়। কারণ ছেলেটা এখন আর দেশে আসে না এবং কোন খরচ দেয় না। মেয়েটা চাকরী করে তাই সন্তানদের নিয়ে কোন রকমে বেঁচে আছে।

বিয়ের কোন পদ্ধতিটা ভালো এটা নিয়ে মনিষীদের মধ্যে মতভেদ আছে। যে মনিষী প্রেম করে বিয়ে করেছেন তিনি বলেন প্রেমের বিয়ে ভালো আর যিনি প্রেম করার সুযোগ পান নাই অথবা ছেঁকা খেয়েছেন তিনি বলেন পরিবার আয়োজিত বিয়ে ভালো। বহুবিধ ঝুকি থাকা সত্ত্বেও বিয়ে করা যে অতীব উত্তম একটা কাজ এই বিষয়ে প্রায় সকল মনিষীই একমত পোষণ করেছেন। কারণ ওনারা মনে করেন ‘নো রিস্ক নো গেইন’। দিল্লিকা লাড্ডু যে খাবে সে পস্তাবে, আর যে না খাবে সেও পস্তাবে। তাদের কথা হল পস্তাতেই যখন হবে তখন খেয়েই পস্তাই। :)

সুত্রঃ কোন সুত্র নাই।
ছবিঃ shutterstock.com

মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অরীতের কথা ভিন্ন। বর্তমানে প্রতিটি ছেলে মেয়ের পক্ষে প্রেম না করে থাকা অসম্ভব। যে সব ছেলেদের জি এফ থাকেনা এবং যে সব মেয়েদের বি এফ থাকে না তাদের লোনলিনেস কিল করে। প্রতিটি মানুষের ক্লান্তিতে হেলান দেয়ার জন্য, কষ্ট লাগব করার জন্য একটা টাইট করার জন্য একজন প্রেমিক/প্রেমিকা লাগে। পারিবারিক বিয়েতে সমস্যা হলো মানসিকতার মিল না হলে অশান্তি আর অশান্তি। পক্ষান্তরে প্রেমের বিয়েতে একজন আরেকজনকে চেনার জানার বুঝার সুযোগ থাকে। অনেকেই বলেন, সুখ নির্ভর করে টাকার উপর।কথাটি সত্য নয়। সত্য হলে বিল গেটসের ডিভোর্স হতো না।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অতীতে প্রেম করার অনেক বেশী প্রতিবন্ধকতা ছিল। বর্তমানে সেই সেগুলি নেই। বিল গেটসের ডিভোর্সটা একটা ঐতিহাসিক ব্যাপার।

তবে ইদানিং এক সাথে একাধিক প্রেমের প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: প্রেম সত্য, প্রেম শাশ্বত, প্রেম অবিনশ্বর
এমনি প্রেমের মাঝে রহেতো ইশ্বর।

- আর্কের গান।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আর্কের গান অনেক দিন শুনি না। ব্যান্ড সঙ্গীতের স্বর্ণযুগে আর্কের আবির্ভাব ঘটেছিল।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৮

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
যে যেভাবে বিয়ে করেছে তার জন্য হয় সেটা ভালো, নতো সেটা খারাপ হয়েছে।
যারা এখনো বিয়ে করে নাই তাদের জন্য দুইটা খারাপ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে কিভাবে বিয়ে হল এটা বড় ব্যাপার না তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল বিবাহ পরবর্তী জীবনে একজোড়া দম্পতি কিভাবে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করছে। বিবাহের পূর্বের দৃষ্টিভঙ্গি আর বিবাহের পরের দৃষ্টিভঙ্গি অনেক সময় এক থাকে না।

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,




উভয় অবস্থাতেই বিয়েটা আজীবন একটা শেকল পড়ে বোঝা টানার মতো.... :P

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই কথা ভাবি যেন না শোনেন। :)

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৮

কামাল৮০ বলেছেন: যে সব ছেলে মেয়ে আত্মনির্ভর না তাদের আবার পছন্দ অপছন্দ কি।তাদের বিয়েই করা উচিত না।আগে মেয়েরা বাপ মায়ের উপর নির্ভরশীল তিল তাই তাদের স্বাধীন মতামত ছিল না।অনেক ছেলে মেয়ে ১৫/১৬বছর বয়সেই বাবা মার মতে বিয়ে করতো।বর্তমানে অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে।এর ভালো দিকটা বেশি।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছেলেদের বিয়ের ক্ষেত্রে আর্থিক সামর্থ্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা ব্যাপার। মেয়েদের ক্ষেত্রে এটা জরুরী কোন শর্ত না। তবে বর্তমান জমানার অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে দুই জনে আয় করলে জীবন সহজ হয়।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: বর্তমানে কোন বিয়েই ভালো না। মেয়েদের কাছে বিয়ে হচ্ছে কাবিন ব্যাবসা। আর ছেলেদের জন্য বোঝা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার বাবা মাকে বলেন আপনার জন্য আরেকটা মেয়ে দেখতে। জীবন সদা গতিময়। জীবনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে ভুলে গিয়ে নতুন স্বপ্ন নিয়ে জীবন শুরু করুন। কাবিন হল মেয়েদের জন্য সম্মান এবং নিরাপত্তা আর ছেলেদের জন্য দায়িত্ব। মনের মিল হলে কাবিন কোন ব্যাপার না।

৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮

নতুন বলেছেন: দিল্লিটা লাড্ডু সবাই পস্তায় =p~ =p~ =p~ =p~

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেকে পস্তালেও স্বীকার করে না। বলে বড়ই সুস্বাদু এই দিল্লিকা লাড্ডু। :)

তবে খেয়ে পস্তানোই ভালো। :)

৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২

জুল ভার্ন বলেছেন: বিয়ে সব রকমই ভালো, যদি পারস্পরিক সম্মান ও সমঝোতা থাকে। তবে পারিবারিক ভাবে বিয়েতে বেশী রোমাঞ্চ থাকা স্বাভাবিক যা প্রেমের বিয়েতে থাকা স্বাভাবিক নয়।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনারটাই আসলে সঠিক উত্তর। কার জন্য কোনটা ভালো এটা বলা মুশকিল। কোন পদ্ধতিতে বিয়ে হল এটার চেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হল বিয়ের বন্ধনকে উভয়ে কিভাবে দেখছে। এই বন্ধন অটুট রাখার জন্য উভয়ের কিছু দায় দায়িত্ব থাকে। স্বামী স্ত্রী সেটা সঠিকভাবে অনুধাবন করছে কি না এটা গুরুত্বপূর্ণ। যারা ছাড় দিতে জানে, পার্টনারের অধিকার এবং আবেগকে সম্মান করে তারা সফলভাবে এই বন্ধন টিকিয়ে রাখতে পারে। চাহিদা বেশী হলেই সমস্যা হয়।

প্রেমের বিয়ের চেয়ে পারিবারিকভাবে বিয়ের রোমাঞ্চ বেশী হওয়ার কথা। সব জানা থাকলে রোমাঞ্চ আসে না।

৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:




সাচুর এই পোষ্টের উত্তর জানতে হলে দুটো বিয়ে মাস্ট করতে হবে ।
একটা প্রেম করে, আরেকটা পারিবারিক ।
তারপর বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যাবে আসলে কোন বিয়েটা কেমন ।
শোনা কথায় মনগড়া মন্তব্য করতে নেই :)


০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডলের প্রস্তাবনাটা খুবই যৌক্তিক। আমার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসাবে এই ধরণের একটা উপদেশ মিরোরডডল দিয়েছে তাই একবার ভাবলাম ট্রাই করে দেখি। কিন্তু পরক্ষনেই মনে হল ঘরের লোক জানলে বিয়ের সাধ মিটিয়ে দেবে। :)

১০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন:




কামাল৮০ বলেছেন: যে সব ছেলে মেয়ে আত্মনির্ভর না তাদের আবার পছন্দ অপছন্দ কি।তাদের বিয়েই করা উচিত না।/sb]

১০০% সহমত :)


০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাদের শুধু প্রেম করা উচিত। :) চিলেকোঠায় গিয়ে পাঞ্জাবি আর ঘুড্ডির নাটাই নিয়ে টানাটানি করা উচিত। :)

১১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

রেজাউল৮৮ বলেছেন: এই ধরনের সার্ভেতে ঠিক উত্তর পাওয়াটা খুব মুশকিল। উত্তম হলো নিজে এক্সপেরিমেন্ট করে দেখা। যেহেতু পারিবারিকভাবে একখানা বিবাহ করেছেন, এখন স্ত্রীর নিকট প্রেমের প্রস্তাব দিন, কিছুদিন ডেটিং করুন, এরপর আমাদেরকে দাওয়াত দিয়ে পুনর্বিবাহ করুন। পার্থক্যটা বুঝতে পারবেন । তখন বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে আরেকটা পোস্ট দিয়েন।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ভেবেছিলাম উপরের মন্তব্যকারীরা ওনাদের বিয়ের কাহিনী এখানে শেয়ার করবেন। কিন্তু বড়ই হতাশ হলাম।

বউ তো আমাকে এখন এখন হাড়ে হাড়ে চেনে নতুন করে প্রেমের প্রস্তাব দিলে একই ভুল সে দুইবার করবে বলে মনে হয় না। :) তখন তো আম ছালা সব যাবে। :)

১২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: যার যেভাবে লেজ কাঁটা গেছে, সেই সিস্টেম ই তার কাছে সেরা । থুক্কু সেই সিস্টেম ই ভয়ংকর হিসেবে সে সাক্ষ্য দিবে। কারন নদীর ওপাড় কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস ওপাড়েতে সব সুখ আমার বিশ্বাস" :P

সত্যি বলতে জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে এই তিন কারো হাতে নেই।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু মূল্যবান কথা বলেছেন তাই আপনার কথাই সঠিক বলে মেনে নিলাম। আমার উচিত পোস্টের শেষের প্যারাগ্রাফ সংশোধন করে আপনার মত করে লেখা। :)

এই কথা খুবই সত্যি যে জন্ম, মৃত্যু আর বিয়ে কারও হাতে নাই। সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৩

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: তাদের শুধু প্রেম করা উচিত। :) চিলেকোঠায় গিয়ে পাঞ্জাবি আর ঘুড্ডির নাটাই নিয়ে টানাটানি করা উচিত। :)


হা হা হা ……… আপু আসলো বলে এখনি রণমূর্তি হয়ে ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন আপুকে আমি ভয় পাই না। কৈশোরের প্রেম কাহিনী ঢাক ঢোল পিটিয়ে মানুষকে জানাচ্ছে আর আমি লিখলেই রণমূর্তি। :)

১৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৮

নতুন বলেছেন: আমাদের সমাজে এখন ট্রানজিসন চলছে। এখন বাচ্চারা প্রেমের করে এবং বিয়ের সময়ে বাবা মা কিন্তু চেস্টা করে সেটাই মেনে নিতে।

কিন্তু কিছু রিলেসন তো সামাজিক ভাবে বা অভিঙ্গতার আলোকে বাবা মা মানতে পারেনা। তখন ঝামেলা তৌরি হয়।

বাইরের অনেক দেশেই খুবই কম এরেন্জড ম্যারেজ হয়। সেখানে নিজেরা বয়ফ্রেন্ড/গালফ্রেন্ড ঠিক করে বাবা মা কে পরিচয় করিয়ে দেয় যে একে আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি।

আমাদের সমাজেও এখন বিএফ/গিএফ ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। তাই আমরাও আধুনিক সমাজের দিকে যাচ্ছি /:)

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাপ মায়ের হিংসে হয়। কেন তারা নিজেরা প্রেম করে বিয়ে করতে পারলো না এই দুঃখে।

বাবা মায়ের উচিত ছেলেমেয়েকে প্রেমের বিষয়ে একটা দিক নির্দেশনা দেয়া। এই দিক নির্দেশনার আলোকে পাত্র/ পাত্রি নির্বাচন করা গেলে সমস্যা কমে যাবে।

বেশী আধুনিক হলে কিন্তু আধুনিক দেশের বিয়ের মত পরিণতি হওয়ার সম্ভবনা বেশী। সেটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। ওখানে বিয়ে মানুষ করতেই চায় না। আর করলেও টেকসই হতে চায় না।

১৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১২

শেরজা তপন বলেছেন: তা আপনার বিয়েটা কেমনে হয়েছে?
প্রেমের বিয়েতে অপরিপক্ক কিছু বিষয় থাকে -সেগুলো ভোগায়। প্রেম করার সময় উভয়ের আলগা দেখানো কিছু ভাব আর ভন্ডামি থাকে- বিয়ের পরে সেগুলো খসে পড়ে এক বিতিকিচ্ছিড়ি অবস্থা সৃষ্টি করে।
প্রেমটা শুধু ইছে করে ভাল লাগে দেখেই হয় না। কিছু মানুষ প্রেমে পড়ে ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও প্রেমে পড়ে- ভয়ঙ্করভাবে প্রেমে পড়ে হাবুডূবু খায়।সেখানে জীবন হারানোর থেকে কোন একটা পরিণতি ভাল।
দু'জন মাত্র মানুষের আবেগ আর ভাবে বিয়ে হয়, দুটো পরিবার নিজেদের অবহেলিত কিংবা তুচ্ছ মনে করে। মুরুব্বীরা সবসময়ভাবে তাদের সিদ্ধান্ত অনেক বেশী নির্ভুল কেননা তারা জীবনের অনেক ঘাত প্রতিঘাত সয়ে এসেছে, প্রচুর প্রেম ভালবাসা সংসার সংঘাত বিচ্ছেদ দেখেছেন। তাদের ধারনা বাচ্চারা ভুল করে সবসসময়। সেজন্যই তারা প্রেমের বিয়েকে মন থেকে মেনে নিতে চায় না- সবসময় ইচ্ছে অনিচ্ছাকৃতভাবে চায় দুজনের মধ্যে ঝামেলা হউক যাতে; Age is Wisdom এটা নিশ্চিত হয়!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার বিয়েকে একটা ঘটনাও বলা যায় আবার দুর্ঘটনাও বলা যায়। :) এর চেয়ে বেশী বলা যাবে না। বউয়ের মানা আছে। :) আমি
আবার বউয়ের কথা মত চলি সব সময়। :)

প্রেমের ক্ষেত্রে প্রেমিক প্রেমিকা কিছু আলগা এবং কৃত্রিম আচরণ করে এবং নিজের অনেক দিক আড়াল করে রাখার চেষ্টা করে। প্রেমে আসলে মানুষ হঠাৎ করে পতিত হয়। পরিকল্পনা করে মানুষ প্রেমে পড়ে না। তখন হুশ জ্ঞান অনেক সময় কাজ করে না। একটা রঙিন জগতে থাকে। বিয়ের পর অনেক ক্ষেত্রে রঙ ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে থাকে বাস্তব জীবনের জটিলতার কারণে।

মুরুব্বীদের অহমে লাগে। তারা ঈর্ষান্বিত হয় অনেক সময়। ফলে এরাও অনেক সময় দাম্পত্য সম্পর্কের মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি করে।

বাহ বাহ। আপনার তো প্রেমের বিয়ে এবং পারিবারিক বিয়ে দুইটাতেই অনেক অভিজ্ঞতা আছে মনে হচ্ছে। :)

১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩০

বিটপি বলেছেন: প্রেম এবং প্রেমের বিয়ে - দুটোই খুব সাশ্রয়ী। তবে আমি মনে করি, যাদের প্রেম করার সামর্থ বা যোগ্যতা আছে, তাঁদের বিয়ে করা উচিৎ নয়। বিয়ে মানে আনলিমিটেড রেসপন্সিবিলিটি। একটা ছেলে বিয়েতে যে খরচ করে, পরের ৫/৬ বছর চলে যায় তার ঋণ শোধ করতে। কি দরকার মানুষকে খাওয়ানো?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রেমের বিয়ে অনেক ক্ষেত্রে সাশ্রয়ী হলেও অনেক ক্ষেত্রে প্রেমিক প্রেমিকা বিয়ের পরে অকুল পাথারে পতিত হয়। উভয় পক্ষের আত্মীয় স্বজন দূরে সরে যায়। অনেক সময় ঐ দম্পতি আর্থিক সমস্যায় পড়ে যায়। অভাবে স্বভাব নষ্ট হয় তখন। দুজনের মধ্যে লেগে যায় ঝগড়া। আর আত্মীয় স্বজন মজা দেখে। তখন ঐ বিয়ে টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যায়।

আমাদের দেশ এখনও লিভ টুগেদারের পর্যায়ে যায় নাই। আর তাছাড়া বিয়ে বলেন আর লিভ টু গেদার বলেন দায়িত্ব তো নিতেই হবে। তা না হলে এটাকে কেবল জৈবিক ব্যাপার বলতে হবে। বিয়ে শুধু জৈবিক ব্যাপার না। আমাদের দেশে এখনও বিয়ে সমাজের একটা ভিত্তি হিসাবে গণ্য হয়।

আমাদের দেশে বিয়ে শাদীর পিছনে অনেক অপচয় করা হয়। এটা একটা সামাজিক সমস্যা। এই কারণে অনেক ছেলেমেয়ের বিয়ে হচ্ছে না। আরব দেশে অত্যধিক দেন মোহরের কারণে বহু ছেলেমেয়ের বিয়ে হচ্ছে অনেক বয়সে। আমাদের দেশেও এই প্রবণতা বাড়ছে।

১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:




নতুন বলেছেন: আমাদের সমাজে এখন ট্রানজিসন চলছে। এখন বাচ্চারা প্রেমের করে এবং বিয়ের সময়ে বাবা মা কিন্তু চেস্টা করে সেটাই মেনে নিতে।

এখন এমন অনেক পেরেন্টস দেখেছি যারা চায় ছেলে মেয়ে যেন নিজেরাই পছন্দ করে নেয় ।
তাহলে তাদের আর কষ্ট করে খুঁজতে হবে না ।

সময়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে ।
তারমাঝে কিছু পরিবর্তন ভালো, যেটা হওয়ার দরকার ছিলো ।
আর কিছু হয়ে গেছে অতিমাত্রায় পরিবর্তন, যেটা অতুদুর না হলেই মনে হয় ভালো ছিলো ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্যারেন্টস কিছু গাইড লাইন দিয়ে দিলে সেই অনুযায়ী পাত্র/ পাত্রি খোঁজা যেতে পারে।

সময়ের পরিবর্তনের ভালো দিকগুলি আমাদের নিতে হবে।

১৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৯

নতুন বলেছেন: বেশি ভেবে চিন্তে প্রেম করা যায় না। তবে মাঝে মাঝে আবেগ যখন বেশি ঘন হয়ে যায় তখন মাথা কাজ করেনা। মানুষ নেশার ঘোরের মতো থাকে তাই যৌক্তিক সিন্ধান্ত নিতে পারেনা।

প্রেমে পড়াটা সম্ভবত একরকমের ঘোরের মধ্যে থাকা।

ভালো ছেলে যারা কেরিয়ার নিয়ে ব্যস্ত থাকে তারা মেয়েদের পেছনে সময় নস্ট করেনা। আর যারা ঘুরঘুর করে তারা ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতে পারেনা। তাই অনেক সময় দেখা যায় মেয়েরা ভুল ছেলের প্রেমে পড়েছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই কারণেই বলা হয় মানুষ প্রেমে পড়ে। প্রেমে এমনভাবে পতিত হয় যে মাথা কাজ করে না। প্রেম আসলে এক ধরণের নেশার মত। :)

মেয়েরা প্রেমের ক্ষেত্রে উড়া ধুরা ছেলেদের বেশী পছন্দ করে। ভালো ভদ্র ছেলেদের পছন্দ করে না। :) আর বিয়ের ক্ষেত্রে করে ঠিক তার উল্টা। :)

১৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪১

মিরোরডডল বলেছেন:




শেরজা তপন বলেছেন: প্রেমের বিয়েতে অপরিপক্ক কিছু বিষয় থাকে -সেগুলো ভোগায়। প্রেম করার সময় উভয়ের আলগা দেখানো কিছু ভাব আর ভন্ডামি থাকে- বিয়ের পরে সেগুলো খসে পড়ে এক বিতিকিচ্ছিড়ি অবস্থা সৃষ্টি করে।

সবার কমেন্ট পড়ে খুব মজা পাচ্ছি ।

যে কোন সম্পর্কেই সময় নিতে হয় বোঝাপড়ার জন্যে ।
তাড়াহুড়ো করলে সিদ্ধান্তে অনেক সময় ভুল হয় ।

শুধু ভালোলাগায় মুগ্ধ হলেই হুট করে বিয়ে করে ফেলা ভুল ।
কমপিট্যাবিলিটি আছে কিনা দুজনের মাঝে এটা জানা ইম্পরট্যান্ট ।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখানে এক সাথে বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কয়েকজন প্রেম বিশেষজ্ঞের সমাহার ঘটেছে।:) ফলে কমেন্টগুলি মজার হচ্ছে। প্রত্যেকেই অন্ধের হাতি দেখার মত হাতির বর্ণনা করছেন।

মিরোরডডল বলেছে;
যে কোন সম্পর্কেই সময় নিতে হয় বোঝাপড়ার জন্যে।
তাড়াহুড়া করলে সিদ্ধান্তে অনেক সময় ভুল হয়।


এই কারণে অন্তত দশ বছর প্রেম করার করার আগে বিয়ের কথা মাথায়ই আনা উচিত না।

শুধু ভালো লাগায় মুগ্ধ হলে চলবে না। প্রেমিক বা প্রেমিকা কি মুগ্ধ হচ্ছে না কি তাকে বেকুব বানানো হচ্ছে সেটা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। অনলাইনে কিছু লাভ কমপ্যাটিবিলিটি টেস্ট আছে। সেই টেস্টে পাস করলেই বিয়ের মত ঝুকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।

২০| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৪

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



উভয় পক্ষেই মত/দ্বিমত আছে দেখলাম,সবচেয়ে ভালো হতো জরিপ করে ডাটা এন্যালাইজ করে সিদ্ধান্ত আসা।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো একটা পরামর্শ দিয়েছেন। সমস্যা হল প্রেমের ক্ষেত্রে মানুষ সত্যি কথা বলতে চায় না। ছলনার আশ্রয় নেয়। :)

২১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০০

কামাল৮০ বলেছেন: মেয়েরা অর্থনৈতিক ভাবে স্বাধীন ছিল না বলেই তাদের স্বাধীন মতামত দেবার অবস্থানে ছিল না।আপনার চিন্তায় কিছুটা সামন্তবাদী প্রভাব আছে।প্রতিটা অর্থনৈতিক ‌অবস্থায় মানুষের মনোজগতের পরিবর্তন ঘটে।আমাদের অর্থনীতি মিশ্র তাই চিন্তাধারাও মিশ্র।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রেম এবং বিয়ের ক্ষেত্রে কমিউনিস্ট ভাবাদর্শ কি এটা একটু বয়ান করলে ভালো হত।

২২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৫০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
ভাই আমি যদি কিছু কই তা হলে কইবেন হাজী সাবের মুখ খারাপ!
প্রেম বলেন আর পারিবারিক বলেন, কোন বিয়াই ভালা না!
বিয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হবে কুরুক্ষেত্র, বুকে
হাত দিয়া বলেন যারা বিয়া করছেন; কথা সত্যি কিনা?
যে না বলবেন সে বউরে ডরায়, চিল্লাইয়া বলেন ঠিক কিনা!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নুরু ভাই আপনি আপনার অভিজ্ঞতার আলোকে সত্যি কথাই বলেছেন। তবে কথা হল বউকে সবাই ডরায় কিন্তু কেউই স্বীকার করতে চায় না। :) ভাবি সাহেবার সামনে আবার এই রকম সাহস দেখাইয়েন না যেন। :)

২৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:১৭

কামাল৮০ বলেছেন: আধুনিক ভাবাদর্শই উত্তম।সামন্তবাদী ভাবাদর্শ না।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:২৮

শেরজা তপন বলেছেন: বহুশ্রুত এই প্রাক্টিক্যাল জোকসখানা বেশ মজার;
পারিবারিকভাবে বিয়ে হোল সবাই মিলে চ্যাংদোলা করে ফাঁসির মঞ্চে তুলে দেয়া
আর
প্রেমের বিয়ে হোল নিজে সেধে আড়া কাঠে ঝুলে পড়া!


একটা কথা কইতে ভুলে গেছি; পারিবারিকভাবে বিয়ে হোলে- পরে যে কোন ঝামেলায় দু-চার দশজনের ঘাড়ে দোষ চাপানো যায়, আর এর সবার মাথায় লিষ্টে যারএ নাম থাকে তিনি হচ্ছেন ঘটক! বিয়ের পরে দীর্ঘদিন ঘটকের সাথে ভাল সম্পর্ক থাকে এমন কাহিনী বিরল!
মানুষের মুল সমস্যা হচ্ছে, যে কোন দুর্ঘটনায় তারা কোন ব্যক্তি যন্ত্র বা ভাগ্যের উপর দোষ চাপিয়ে নিজে ফুরফুরা থাকে! প্রেমের বিয়েতে 'ভাগ্যে অবিশ্বাসীদের' জন্য পুরাই গ্যাড়াকল।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার দেয়া জোকসটা বেশ মজার এবং শিক্ষণীয়। :)

পারিবারিক বিয়েতে পরবর্তীতে দোষ চাপানোর সুযোগ থাকে। এই কারণে গায়ে পড়ে ঘটকালি করতে যাওয়ার মধ্যে ঝুকি আছে। আজকে একজন সৌখিন ঘটক বললেন যে উনি অনেক বিয়ের ঘটকালি করিয়েছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে ঘটকালির প্রয়োজনে নিজে খরচও করেছেন তারপরও কোন দম্পতি তাকে কখনও পরবর্তীতে দাওয়াত করে খাওয়ায়নি পর্যন্ত।

প্রেমের বিয়েতে নিজের উপর দোষ দেয়া ছাড়া উপায় নাই, এই কথাও সত্য। তারপরও মানুষ বিয়ে করার রিস্ক নেয়। :)

২৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৭

বিটপি বলেছেন: দেনমোহর কোন ছেলেখেলা বিষয় নয়। এর মাধ্যমে একটা ছেলের সামর্থ আর মেয়ের সম্মান নির্ধারিত হয়। তাই দেনমোহর নির্ধারণে অনেক কিছু বিবেচনা করতে হয়। কেউ কেউ এক টাকা বা এক হাজার টাকা নির্ধারণ করে এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকে স্রেফ হাওয়ায় উড়িয়ে দেন। আবার কেউ কেউ হাদীস কোরআন নিয়ে টানা হেঁচড়া করেন। মেয়ের সম্মানজনক দেনমোহর নির্ধারণ করা মেয়ের অভিভাবকের দায়িত্ব। এজন্যেই অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া মেয়ে বিয়ে দেয়া জায়েজ নেই। দেনমোহরের সাথে কন্যার ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টিও জড়িত। তাই একে অবহেলা করার কিছু নেই।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অবশ্যই দেনমোহরকে অবহেলা করা যাবে না। আমি বুঝাতে চেয়েছি যে দেনমোহর নিয়ে বাড়াবাড়ি করা ঠিক না। অনেক সময় দেনমোহর নির্ণয় করতে গিয়ে বিয়ে পর্যন্ত ভেঙে যায়। দেনমোহর হওয়া উচিত পাত্রের অর্থনৈতিক সামর্থ্য অনুযায়ী। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায় এমন একটা বড় সংখ্যার দেনমোহর ধরা হয় যেটা দেয়ার সামর্থ্য পাত্রের নাই। ভবিষ্যতে কবে হবে সেটাও বলা মুশকিল। দেনমোহর বিয়ের আগেই দিয়ে দেয়া উচিত। অন্তত একটা বড় অংশ দিয়ে দেয়া উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে দেনমোহর শুধু ধার্য করা হয় কিন্তু পরিশোধের ক্ষেত্রে অনীহা। আরব দেশগুলিতে দেনমোহর সাধারণত পুরোটা পরিশোধ করা হয় বিয়ের আগেই। আমাদের দেশে আবার স্বামী অনেক সময় চালাকি করে বউয়ের কাছ থেকে দেনমোহর মাফ করিয়ে নেয় বিয়ের পরে। এটা ঠিক না।

২৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:১১

জুন বলেছেন: আপনার লেখার চেয়ে মন্তব্য পড়ে আমি দ্বিধান্বিত সাড়ে চুয়াত্তর। দেখি শেষে কি ফলাফল দাঁড়ায় :)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখানে কয়েকজন প্রেম এবং বিবাহ বিশেষজ্ঞ তাঁদের মূল্যবান মতামত জানিয়েছেন। একারণেই নানা মুনির নানা মত। ওনারা সবাই এসব ব্যাপারে বেশ অভিজ্ঞ মনে হচ্ছে। :) তবে শেষ পর্যন্ত ফলাফল শূন্যও হতে পারে। :)

২৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৬

মুদ্‌দাকির বলেছেন: বিয়ে মানেই ভালো।
একজন সাথী সব সময়ের সাথী।
বিয়ে দুটাই ভালো। যদি মেয়েটা ছেলেটাকে (খুব) পছন্দ করে।
সমস্যা হচ্ছে এই ব্যাপারটাকেই কেউ গুরুত্ত্ব দেয় না। প্রেমের সম্পর্কেও না। আজব!!
প্রেমের মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, একে অপরকে মিথ্যা বলে ইমপ্রেস করা এবং এর চেষ্টা করা।
মিথ্যা আর প্রেম inversely proportional.
আর বিয়ে যত early হয় ততই ভালো।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিয়ে খুব ভালো জিনিস। ছেলে মেয়ে উভয়েই একে অপরকে পছন্দ করবে এটাই বিয়ের ক্ষেত্রে প্রত্যাশা। সেটা প্রেমের বিয়ে হোক কিংবা পারিবারিক বিয়ে হোক না কেন।

বিয়ের ক্ষেত্রে পার্টনারের প্রতি আস্থা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সন্দেহ ঢুকে গেলে সেটা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে স্থায়ী হয়ে যায়। প্রেমিক প্রেমিকারা প্রেমের ক্ষেত্রে অনেক সময় নিজেদের খারাপ দিকগুলি আড়াল করার চেষ্টা করে এবং মিথ্যার আশ্রয় নেয়। এই মিথ্যার কারণে পরে সমস্যা হয়।

২৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫১

অক্পটে বলেছেন: প্রেমের বিয়েতেও দুজন দুজনা সম্পর্কে অনেক কিছুই অজনা থাকে। মান অভিমানে সংসারই ভেঙ্গে যায় দ্রত। প্রেমকালিন সময়ে অনেক কিছু বুঝা যায়না, কিন্তু পরে মুখোশ খুলে যায় একে অপরের কাছে।

প্রেমের বিয়ে ভাঙ্গে বেশি টিকে কম। প্রেমের বিয়েতে দুজন দুজনকে বিশ্বাস এবং সম্মান করলে বিয়েটা টিকে যায়। সুন্দর হয়।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রেম করার সময় মানুষ একটা রঙিন জগতে থাকে এই কারণে অনেক কিছুই অজানা থেকে যায়। বিয়ের পরে জীবনের বাস্তবতা, দায় দায়িত্ব সামনে আসে তখন সমস্যা তৈরি হয়।

প্রেমের বিয়েতে পার্টনারের কাছে চাহিদা বেশী থাকে। ফলে অনেক সময় সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

২৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: প্রেমের বিয়ে ভালো কিন্তু রিস্ক হয়ে যায়। পারিবারিক বিয়ে হলে দায়ভার পরিবারের ওপর চাপানো যায়। প্রেমের বিয়েতে যায় না।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রেমে পড়লে মানুষ বেপরোয়া হয়ে যায় ফলে রিস্ক নিয়ে ফেলে। পারিবারিক বিয়েতে অন্য ধরণের রিস্ক আছে। যেমন পাত্র বা পাত্রির মন মানসিকতা বোঝার কোন উপায় নেই। পাত্র বা পাত্রির পরিবার, অর্থ, বিত্ত, সামাজিক অবস্থান জানা গেলেও পাত্র বা পাত্রির সাথে মন মানসিকতার মিল হবে কি না এই ব্যাপারে একটা বড় রিস্ক থাকে।

৩০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৩

রানার ব্লগ বলেছেন: কোন বিয়েই খারাপ না যদি তা সিংক করে ঠিকঠাক !!! আর না করলে সব বিয়েই জঘন্য!!!!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে উভয় ধরণের বিয়ের ক্ষেত্রেই সমস্যা হতে পারে এবং প্রায়ই হয়। কোন ধরণের বিয়েতে সমস্যা বেশী হয় তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের হাতে নাই। তাই বিয়ের কোন পদ্ধতি ভালো এটা আসলে বলা সম্ভব না। আসলে একেক জনের জন্য একেক পদ্ধতি ভালো। দাম্পত্য কলহ যদি ক্রনিক হয় তাহলে জীবন নরকে পরিনত হয়। তবে টুকটাক সমস্যা যে কোন দম্পতির মধ্যেই থাকে।

৩১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪০

ঢাবিয়ান বলেছেন: ্নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস , ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস। এই ব্যপারটাও তাই :`>

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিয়ের ক্ষেত্রে অনেক বিষয়ে ছাড় দেয়ার মন মানসিকতা থাকলে এবং পার্টনারের আবেগ, অনুভূতি ও মতামতের সম্মান করতে পারলে বিয়েতে সমস্যা কম হয়।

৩২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২৯

জ্যাকেল বলেছেন: পেমের বিয়ে অবশ্যই ভাল যদি পরিবার না থাকে। আর পরিবার থাকলে অবশ্যই এরেঞ্জ মেরেজ ভাল।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরিবার বা আত্মীয় স্বজন যদি না থাকে তাহলে প্রেমের বিয়েই একমাত্র পথ। পরিবার থাকলে পরিবারের সম্মতি না পাওয়া গেলে সমস্যা সৃষ্টি হয়।

৩৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কোন বিয়েই ভালো না, কারণ গবেষণায় দেখা গেছে; ডিভোর্সের অন্যতম কারণ হচ্ছে বিয়ে।
তাছাড়া Marriage is not a word; it's a sentence - a life sentence.

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ডিভোর্সের আর বিয়ের দায় দায়িত্বের ভয়েই এখন অনেক দেশে বিয়ের হার কমে যাচ্ছে।

আপনার দেয়া উপমাগুলি চমৎকার। :)

৩৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮

মিরোরডডল বলেছেন:




জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কোন বিয়েই ভালো না, কারণ গবেষণায় দেখা গেছে; ডিভোর্সের অন্যতম কারণ হচ্ছে বিয়ে।

=p~

৩৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:২৭

অপ্‌সরা বলেছেন: কোনোটাই ভালা না যদি মানুষ না ভালা হয়! :)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলেই একদম ঠিক কথা বলেছেন। বিয়ের পরের অবস্থাটা একটু ভিন্ন রকম। আপনার সাইকোলজিতে ভালোই জ্ঞান আছে মনে হচ্ছে। :) মানবিক স্বামী আর মানবিক স্ত্রী প্রয়োজন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.