নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

মেয়েদের খৎনা

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৩


পুরুষদের খৎনা করা হয় এটা আমরা জানি। পুরুষদের খৎনা মানে হল পুরুষদের দেহের সামনের অংশের মধ্য অঞ্চলে অবস্থিত ঝুলন্ত এবং লম্বাকৃতির একটি অঙ্গের অগ্রভাগের ত্বক কেটে কমিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে যেখানে ব্যাপক হারে মেয়েদের অঙ্গের খৎনা করা হয়। উত্তর আফ্রিকার দেশগুলিতে এই হার বেশী। এই ধরণের খৎনায় মেয়েদের ক্লাইটরিস কিংবা ইনার ল্যাবিয়া অথবা আউটার ল্যাবিয়া আংশিক বা পুরোপুরি কেটে ফেলা হয়।

ঐতিহাসিকদের মতানুসারে খৃস্টপূর্ব ৮০০ অব্দে নীল নদের তীরবর্তী এবং সুদানের নিকটবর্তী মেরো (Meroite) সভ্যতায় মেয়েদের খৎনার প্রচলন ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া খৃস্টপূর্ব ১৯৯১ অব্দে প্রাচীন মিসরের কফিনের মধ্যে হায়েরোগ্লিফস লেখায় মেয়েদের খৎনার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

এখনও উত্তর আফ্রিকার প্রায় ২৭ টা দেশে (সোমালিয়া, সেনেগাল, মিশর, তাঞ্জানিয়া, গিনি, জিবুতি, সিয়েরালিয়ন, মালি, সুদান, ইরিত্রিয়া, গাম্বিয়া, ইথিওপিয়া, মউরিতানিয়া, লাইবেরিয়া, চাদ, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, কেনিয়া, ইয়েমেন, বেনিন, তোগো, ঘানা, নাইজার, উগান্ডা, ক্যামেরুন) ব্যাপকভাবে ধর্ম নির্বিশেষে মেয়েদের খৎনা করা হয়। এছাড়া ইয়েমেন, ইরাকি কুরদিস্তান, জর্ডান, ইরাক, সিরিয়া, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতারে এই প্রথা বেশ ভালো ভাবেই চালু আছে। এশিয়া মহাদেশে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াতে এই প্রথা আছে।

উপরে উল্লেখিত দেশগুলিতে ব্যাপকভাবে মেয়েদের খৎনা করার প্রথা আছে। অনেক দেশে এটার হার ৯৫%। আবার অনেক দেশে ২০%। এই দেশগুলি ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশে মেয়েদের খৎনা করা হয়। যদিও এই ধরণের খৎনার হার এই সব দেশে খুব কম। এই দেশগুলির মধ্যে আছে মধ্যপ্রাচ্চের অন্য দেশগুলি, লিবিয়া, কঙ্গো, উগান্ডা, আফগানিস্তান, ইসরাইল ইত্যাদি।

মেয়েদের এই খৎনার কারণে অনেক সময় মেয়েদের অঙ্গে জখম হয় এমন কি অনেক সময় মৃত্যু পর্যন্ত হয়। এছাড়া মেয়েদের জীবনে এটার কারণে অনেক সময় দীর্ঘস্থায়ী ভিতি, উৎকণ্ঠা এবং বিষণ্ণতা সৃষ্টি হয়। সাধারণত বাড়িতে ছুরি, কাচি দিয়ে এই খৎনা করা হয়। ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই খৎনার বিরুদ্ধে তাদের মতামত দিয়ে থাকে। পশ্চিমের অনেক দেশে এই ধরণের খৎনা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ইসলাম ধর্মে এই ধরণের খৎনা ঐচ্ছিক ব্যাপার। পক্ষে বা বিপক্ষে কোন কিছুই বলা নাই। খৎনা করতে হবে এমন কোন আদেশ, নিষেধ বা উপদেশ নেই। যে সব দেশে এই ধরণের খৎনার প্রবণতা বেশী তাদের বড় অংশই অমুসলিম।

মজার ব্যাপার হচ্ছে যে এই ধরণের খৎনা অনেক নারী সমর্থন করছে। পরিবারের নানী, দাদীরা এই খৎনা করাকে জরুরী মনে করছে। ১৯৮৩ সালে সুদানের মাত্র ১৭% মেয়ে এই খৎনার বিরোধী ছিল। বিভিন্ন জরীপ থেকে দেখা যায় যে এই দেশগুলিতে বর্তমানে প্রায় অর্ধেক নারী এটার পক্ষে এবং অর্ধেক বিপক্ষে। এই ধরণের খৎনার পক্ষে সামাজিক চাপ আছে।

আফ্রিকার অনেক প্রখ্যাত নারী নৃতত্ত্ববিদ এই খৎনার পক্ষে বলছেন। তাদের দৃষ্টিতে এই খৎনার বিরোধিতাকারী পশ্চিমারা আফ্রিকার পারিবারিক চর্চা ও যৌনতার সংস্কৃতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে।

আনন্দের কথা হল বাংলাদেশে এই চর্চা নাই।

সুত্র -
https://en.wikipedia.org/wiki/Female_genital_mutilation#Prevalence
https://www.guttmacher.org/journals/ipsrh/1997/09/female-circumcision-rite-passage-or-violation-rights
https://bmcpublichealth.biomedcentral.com/articles/10.1186/s12889-015-2203-6
https://en.wikipedia.org/wiki/Prevalence_of_female_genital_mutilation#Saudi_Arabia
https://en.wikipedia.org/wiki/Female_genital_mutilation
https://www.who.int/news-room/fact-sheets/detail/female-genital-mutilation

ছবি- ghrd.org

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাংলাদেশে যে হারে নারী পুরুষ সাঁজছে, পুরুষ নারী সাঁজছে অফলাইনে অনলাইনে কে ছেলে কে মেয়ে বোঝা বড় দায়। দেশেও কি এটা হবে ভবিষ্যতে?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কয়েক দিন আগে উত্তরা থেকে ৪ জন হিজড়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে চাঁদাবাজির জন্য। পরে ডাক্তাররা পরীক্ষা করে দেখেছে যে এরা আসলে পুরুষ। এদের খৎনা করা ছিল কি না সেটা অবশ্য পেপারে আসেনি। :)

দেশে এই ধরণের খৎনা কখনই ছিল না। আশা করি হবেও না। ভয়ের কোন কারণ নাই। :)

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: এই খতনার উদ্দেশ্য কি, এর ভালো দিক কি?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হয়তো তারা মনে করে এই খৎনা করা হলে সমাজের মানুষ বিদ্রুপ করবে না।

৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২১

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: মিডিয়া বা বিনোদন জগতে হিউজ হিজড়া বা গে আছে। ফলে আমার প্রকৃত হিজড়াদের আইডেন্টিফাই করতে সমস্যা হয়না। তাই এই চাঁদাবাজ গুলো আমার সাথে প্রতারণা করতে পারবেনা হয়তো। ভয় পাবো কেন?

অনলাইনে/অফলাইনে হিজড়া বা গে আইডেন্টিফাই করার খুব সহজ একটি উপায়ঃ

এরা প্রচন্ড হিংসুক ও উম্মাদ হয়। অতিরিক্ত কথা বলে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিনোদন জগত সম্পর্কে তেমন কোন ধারণা আমার নাই। ওখানে হিজড়া আর গে আছে এটাও প্রথম জানলাম। এদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কেও জানলাম।

মেয়েদের খৎনার ব্যাপারে ভয় না পাওয়ার জন্য বলেছি। কারণ বাংলাদেশে এই খৎনার প্রচলন নাই।

৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪৫

শাহ আজিজ বলেছেন: দেশে ফিরে কিছুদিন বাদে জানতে পারি মিশরীয় দেশের মেয়েদের খৎনার কাহিনী । আমার এক সঙ্গী আমায় বলল সে জানে এক বয়স্ক লোকের কথা যে এই খৎনার কাজ করে থাকে । আমরা বাগেরহাট শহরে সেই বাড়িতে সাক্ষাৎ পেলাম বৃদ্ধের । মুখে না বল্লেও বুঝে গেলাম তিনি মুসা কলিমুল্লাহ'র অনুসারী । তিনি নিজহাতে খৎনা করেন । আমার নেয়া সাক্ষাতকারটি অনন্যা পত্রিকা ছেপেছিল । বাংলাদেশে বেশ কিছু লোক আছে যারা ইহুদি ধর্ম চর্চা করে । তারা নিজেদের এই বিশ্বাসের কথা প্রচার করেন না নিরাপত্তার অভাবে । আশেপাশের মানুষেরাও এটাকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে বসবাস করে । বাংলাদেশে ইহুদি ধর্মে বিশ্বাসীরা খৎনা করিয়ে থাকেন তাদের মেয়েদের । অনেকদিন আগের করা বলে নাম ভুলে গেছি ভদ্র লোকের ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশে ইহুদি জনগোষ্ঠী এক সময় ছিল এটা জানতাম। কিছুদিন আগে পত্রিকায় পড়েছিলাম যে বেশ আগে বাংলাদেশে কিছু ইহুদি পরিবার ছিল। এখন সম্ভবত তারা অন্যত্র চলে গেছে।

আফ্রিকা এবং আরব দেশে মেয়েদের খৎনার প্রচলন আছে। তবে দিন দিন কমে যাচ্ছে। এই চর্চাটা মুলত আফ্রিকা আর আরবের প্রাচীন প্রথা।

৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৮

জুল ভার্ন বলেছেন: এই বিষয় মোটামুটি জানা ছিলো। আপনার পোস্ট পড়ে আরও জানলাম.... +



একটি ব্যাক্তিগত বিষয় জানতে চাইঃ বরিশাল ক্যাডেট কলেজের ৮৬ এসএসসি ব্যাচে ক্যাডেট মির্জা মইনুল ইসলাম কে চিনতেন? আমার কাজীন। গতকাল সকালে অকাল ইন্তেকাল করেছেন। অপ্রাসঙ্গিক মনে হলে জবাব দেওয়ার দরকার নাই। মন্তব্য ডিলিট করে দিবেন।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন।

মির্জা ভাই আমাদের হাউজেই ছিলেন। আমাদের চেয়ে ৩ বছরের বড়। আপনার কাজিন ছিলেন এখন জানলাম। ওনার মৃত্যু সংবাদ শুনে খারাপ লাগছে। ওনার কি হয়েছিল জানতে ইচ্ছে করছে।

আপনার মন্তব্য ডিলিট করার প্রশ্নই ওঠে না।

৬| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আসতাগফিরুল্লাহ

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অপ্রয়োজনীয় প্রথা থেকে দূরে থাকাই উত্তম।

৭| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪

জুল ভার্ন বলেছেন: মির্জা মইনুল ইসলাম (মুন্না) গতকাল ফজরের নামাজ আদায় করে বুকে ব্যাথা অনুভব করছিলো। মুন্না স্বপরিবার চার তলায়, ওর বড়ো প্রফেসর ডাক্তার মির্জা জিয়াউল ইসলাম থাকে ওদের ছয় তলায় তাকে ডেকে নিয়ে এসে সরওয়ারদী হাসপাতালে নিয়ে যায়... পথেই মারা যায় হার্ট অ্যাটাক করে।

আপনার সহপাঠী ক্যাডেট আশিক মাহামুদ আমার ভাগ্নে....

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ ওনাকে বেহেশত নসীব করুন।

আশিক মাহামুদ আমার সহপাঠী না। আমাদের এক বছর বড় বা ছোট হতে পারে। আপনার অনেক আত্মীয় বরিশাল ক্যাডেট কলেজে পড়েছে দেখা যাচ্ছে।

৮| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৫৫

নাহল তরকারি বলেছেন: এইডা দেখে আমার শরীল কেমন যেন করে ওঠলো। মেয়েরা এমনেই ভীতু টাইটের লোক।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি মনে হয় এই ধরণের খৎনার কথা আগে শোনেননি। অনেক আফ্রিকান এবং আরব দেশে এইটা অহরহ হচ্ছে।

মেয়েদের ভিতু বললে মেয়েরা আবার রাগ করতে পারে।

৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৩২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
অনেক বছর আগে যখন প্রথম এই বিষয়টা জানতে পেরেছিলাম, তখন পুরটা বিষয় পড়ে অবাক হয়েছিলাম!!!

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও বহু আগে জেনেছিলাম। কিন্তু অবাক হয়েছিলাম কি না মনে নাই।

১০| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৭

জুল ভার্ন বলেছেন: আশিক/আসিফ দুই ভাই বরিশাল ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলো। হ্যা বরিশাল ক্যাডেট কলেজে ৮/১০ জন তো হবেই....ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজে আমার ছোট চাচার তিন মেয়ে পড়েছে। তিন জনই এখন চিকিৎসক.... আমাদের বৃহত্তর যৌথ পরিবারের ২৬ জন এক্স ক্যাডেট।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাদের পরিবারে সম্ভবত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাও অনেকে আছেন।

মাহমুদ নামে একজন ছিলেন আমাদের চেয়ে এক বছরের বড়।

১১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

কামাল৮০ বলেছেন: খাতনার মাধ্যমে এটাই প্রমান হয়, আল্লাহ মানুষকে সঠিক ভাবে বানায় নি।এখানে একটা ভুল করেছে।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ মানুষকে বানিয়েছেন এই কথাই তো আপনি বিশ্বাস করেন না।

১২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪

কামাল৮০ বলেছেন: এটা আমার প্রশ্নের উত্তর হলো না।এড়িয়ে যাওয়া হলো।ইসলামে প্রশ্ন করাই মানা।শুনো আর মানো।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১

শেরজা তপন বলেছেন: এ বিষয়ে এর আগেও বেশ কয়েকবার শুনেছিলাম! শুনলেই কেমন গা রি রি করে!
তবে ওদের দেশে মনে হয় এটা বেশ স্বাভাবিক।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছেলে মেয়ে যেটাই বলেন, খৎনা শব্দটা শুনলেই ভয় লাগে। ছুরি, কাচি দিয়ে খৎনা তো আরও ভয়ংকর। ঐ সব দেশে মেয়েদের এই খৎনা মনে হয় স্বাভাবিক একটা ব্যাপার।

১৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মৃত্যুরেট কতভাগ? সারাজীবন ট্রমায় কাটিয়ে দিচ্ছে কতভাগ?

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মৃত্যুর ঘটনা এবং স্থায়ী ট্রমার ঘটনা একদমই বিরল। এই ব্যাপারে ভালো পরিসংখ্যান পাওয়া যায় না।

১৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪১

রানার ব্লগ বলেছেন: মেয়েদের খাতনার ব্যাপারটা আরবভুমিতে খুবি সাধারণ বিষয় একই কথা প্রযোজ্য আফ্রিকার ব্যাপারেও। বিষয়টা হয়তো অনেকের কাছে অজানা তাই অনেকেই বিরুপ মন্তব্য করছে। ইসলাম ধর্মে মেয়েদের খাতনা করা ওয়াজিব।
মহিলাদের খাতনা:

শরীয়াতে মহিলাদের খাতনা করার বিধান রয়েছে। মহানাবী (ﷺ) বলেন:

«إِذَا الْتَقَى الْخِتَانَانِ فَقَدْ وَجَبَ الْغُسْلُ»

অর্থাৎ: যখন নারী-পুরুষ উভয়ের গোপনাঙ্গ একত্রিত হবে, তখন তাদের উপর গোসল ওয়াজিব হবে।[5]

এখানে الختان শব্দটি দ্বারা নারী-পুরুষের যৌনাংগের কর্তিত স্থানকে বুঝানো হয়েছে। সুতরাং এ দ্বারা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, মহিলারা খাতনা করতেন।

নারীদের খাতনা করার ব্যাপারে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে, তবে একটিও ক্রটিমুক্ত নয়। তন্মধ্যে উম্মে আত্বীয়া বর্ণিত হাদীস:

أَنَّ امْرَأَةً كَانَتْ تَخْتِنُ بِالْمَدِينَةِ فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ ﷺ: «لَا تَنْهِكِي فَإِنَّ ذَلِكَ أَحْظَى لِلْمَرْأَةِ، وَأَحَبُّ إِلَى الْبَعْلِ

উম্মে আত্বীয়া হতে বর্ণিত, জনৈক মহিলা মদ্বীনায় (মেয়েদের) খাতনা করাতো। নাবী (ﷺ) তাকে বললেন, খাতনাস্থানের অংশ খুব বেশি কাটিও না। কেননা এটা (কম কাটার জন্য সঙ্গমের সময়) নারীর জন্য অধিক তৃপ্তিদায়ক এবং স্বামীর কাছে খুবই প্রিয়।[6]

অপর বর্ণনায় রয়েছে:

إذا خفضت فأشمى ولا تنهكى فإنه أضوأ للوجه وأحظى عند الزوج

অর্থাৎ: ‘‘যখন নারীদের খাতনা করবে, তখন একে বারে কেটে শেষ করে দিও না । কেননা এতে চেহারা উজ্জল থাকবে এবং স্বামীর জন্য তা তৃপ্তিদায়ক হবে’’।[7]

এ হাদীসগুলোর সনদ দুর্বল, যদিও আলবানী সিলসিলা সহীহাহ’’ গ্রন্থে (হাদীস নং ৭২২) সহীহ বলেছেন। ব্যাপারটি এরূপ হওয়ার ফলে এক দল বলেন: এসব হাদীস যঈফ হলেও পুরুষের ন্যায় মহিলাদের খাতনা করা ওয়াজিব। কেননা নারী-পুরুষ উভয়েই শরীয়াতের বিধান পালনে সমধিকারী, যতক্ষণ না বিধানগতভাবে উভয়কে পৃথক করার দলীল বর্ণিত হয়। অথচ এরূপ দলীল বর্ণিত হয় নি।

আর অপর একদল বলেন: এটা মহিলাদের জন্য মুস্তাহাব ও সম্মানজনক কাজ। এটা ওয়াজিব নয়।[8] আর নারী পুরুষের মাঝে পৃথক করার কারণ হলো, পুরুষদের খাতনা করায় অনেক কল্যাণ রয়েছে। এর ফলে সালাতের জন্য পবিত্র হওয়ার যে শর্ত রয়েছে তা রক্ষা পায়। কেননা পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের এ চামড়াটি যদি কাটা না হয়, তাহলে তাতে পেশাব অবশিষ্ট ও জমা হয়ে থাকে।

আর মহিলাদের খাতনা করার ফলে তাদের কামভাব হরাস পায়, অথচ এটা পরিপূর্ণ পাওয়াটা স্বাভাবিকতার দাবী। মূলতঃ তাদের কষ্ট দূর করার জন্য খাতনা করা হয় না।

আমার বক্তব্য: মহিলাদের খাতনার বিধান ওয়াজিব ও মুস্তাহাবের মাঝা-মাঝি। মহানাবী (ﷺ) থেকে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, খাতনা করা পুরুষের জন্য সুন্নাত ও মহিলাদের জন্য সম্মানজনক কাজ।[9] কিন্তু হাদীসটি যঈফ। যদি তা সহীহ হতো তাহলে দ্বন্দ্ব নিরসন করা সম্ভব হতো। আল্লাহ্‌ই সর্বাধিক অবগত।

[1] ইবনুল কাইয়্যূম প্রণীত তুহফাতুল মাওদূদ ( ১০৬-১৩২), মাজমূ (১/৩০১)।
[2] বুখারী হা/ ৬২৯৮; মুসলিম হা/ ৩৭০
[3] শাহেদ থাকার কারণে আলবানী এ হাদীসকে হাসান বলেছেন। আবু দাউদ (৩৫৬), বাইহাক্বী (১/১৭২) এ হাদীসের সনদে দু’জন মাজহুল (অপরিচিত) রাবী ও বিচ্ছিন্নতা আছে। এসত্ত্বেও এর কতিপয় শাহেদ (সমর্থক) হাদীস থাকার কারণে আলবানী হাসান বলেছেন। যা তার সহীহ আবূ দাউদ (৩৮৩), ইরওয়াউল গালীল (৭৯) এ বর্ণনা করেছেন। কিন্তু আমি তা অবগত হতে পারি নি। ইমাম নাববী ও শাওকানী এ হাদীসকে যঈফ আখ্যা দিয়েছেন।
[4] তুহফাতুল মাউদুদ- ১১৩ পৃ.।
[5] সহীহ; আলোচ্য শব্দে ইবনে মাজাহ (৬১১) তে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে। আর সহীহাইনে এসেছে "ومس الختان الختان فقد وجب الغسل" এ শব্দে।
[6] যঈফ; আবূ দাউদ (৫২৭১) এবং তিনি একে যঈফ বলেছেন।
[7] মুনকার; খতীব বাগদাদী প্রণীত আত তারিখ-(৫/৩২৭), জামি’ আহকামুন নিসা (১/১৯)।
[8] এ পদ্ধতিটি ইবনু উসাইমীন উল্লেখ করেছেন। যেমন এসেছে আল-মুমতি’ (১/১৪৩) তে।
[9] যঈফ; আহমাদ (৫/৭৫)।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্যাপারে অনেক গবেষণা করার জন্য ধন্যবাদ। ওয়াজিব হলে বাংলাদেশেও এটার ঢেউ লাগতো। কারণ ওয়াজিব আর ফরজ বলতে গেলে একই জিনিস। আসলে মেয়েদের খৎনার ব্যাপারে কোন জোরাজুরি ইসলামে নেই। আর তাছাড়া এটা ইসলাম আসার আগে থেকেই চালু ছিল। তবে ইসলাম এই খৎনার বিরুদ্ধে কিছু বলে না।

হানাফি মাজহাব ছাড়া অন্যান্য মাজহাবে ওয়াজিব আর ফরজ একই জিনিস। হানাফি মাজহাবে দলিলের দুর্বলতার ক্ষেত্রে ফরজ না বলে ওয়াজিব বলা হয়। এই কারণে ওয়াজিব শব্দটা হানাফি মাজহাবেই মুলত ব্যবহৃত হয়।

১৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৪

নতুন বলেছেন: নারীদের খাতনা করানো কিভাবে অন্য নারীরা সমর্থন করে? :|

সমাজে একটা জিনিস সবার মাথায় একবার ঢুকিয়ে দিতে পারলে সেটা সামাজিক ভাবে নিয়ম হয়ে দাড়ায়।

তখন অনেকেই সেটার বিরুদ্ধে আর প্রশ্ন করেনা।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা সবাই সমাজকে ভয় পাই।

১৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২০

ফেনা বলেছেন: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ বলা মুশকিল। যেখানে মেয়ে মেয়েকে বিয়ে করে ফেলছে!!!! আর কি দেখার বাকি থাকে??? দেন এবার তাদের খতনা করে........

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভুল বলেন নাই।

তবে আপনার শেষের লাইন পড়লে মেয়েরা রাগ করবে। :)

আপনি অবশ্য ফান করে বলেছেন। এখানে অনেকে ফান বোঝে না। :)

১৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫৫

অক্পটে বলেছেন: আজব দুনিয়া!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পৃথিবীতে আরও অনেক আজব জিনিস আছে যেগুলি আমাদের জানা নাই।

১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: এ বিষয়ে আগে পত্র-পত্রিকায় বা এখানে ওখানে টুকিটাকি পড়েছিলাম। এর নাম শুনলেই শরীর রি রি করে ওঠে। বাট উপরে রানা ভাইয়ের কমেন্ট থেকে তো জানা যাচ্ছে এটা করা ওয়াজিব। সেক্ষেত্রে অবাক হতে হয় - বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়শিয়া, ইত্যাদি দেখে একেবারেই শূন্য কেন?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রানা ভাই শেষে আবার বলেছেন যে এটা ওয়াজিব না। হাদিসগুলি যে দুর্বল সেই কথাও উনি বলেছেন। আসলে ইসলামে এই ব্যাপারে কোন আদেশমুলক কিছু পাওয়া যায় না। মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়াতে এই ধরণের খৎনার প্রথা আছে। পাকিস্তানে সামান্য কিছু আছে। :)

২০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
যখন প্রথম এই বিষয়ে পড়েছিলাম। বছর দশেক আগে তখন কেমন যেন লেগেছিল। অপ্রয়োজনীয় প্রথা।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি প্রথম শুনেছি অনেক আগে। কেমন লেগেছিল এখন মনে নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.