নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জয় বাংলা রোগ

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৮

বাংলাদেশে এখন জয় বাংলা রোগের প্রকোপ চলছে। জয় বাংলা রোগ মানে হল ‘চোখ ওঠা’ কিংবা‘কনজাংটিভাইটিস’। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় এক কোটি মানুষ নিরুপায় হয়ে আশ্রয়ের জন্য ভারতের পশ্চিম বঙ্গের শরণার্থী শিবিরগুলিতে আশ্রয় নেয়। তাদের এই উদারতার কারণে আমরা আজীবন তাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো। এই ঋণ শোধ হওয়ার নয়।

ঐ সময় বাংলাদেশে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ হয়। শরণার্থীদের সাথে সাথে পুরো পশ্চিমবঙ্গে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। ধারণা করা হয়ে থেকে যে কলকাতার অধিকাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়। তখন বাংলাদেশের শরণার্থী এবং অন্যান্য আশ্রয় গ্রহণকারীদের মুখে মুখে শুধু একটাই স্লোগান ‘জয় বাংলা’। এই স্লোগানে মুগ্ধ হয়ে পশ্চিম বঙ্গের মানুষেরাও ‘জয় বাংলা’ শব্দটাকে ভালোবেসে ফেলে। চোখ ওঠার প্রকোপ বেড়ে গেলে এই রোগ তখন হয়ে যায় ‘জয় বাংলা’ রোগ। এখনও পশ্চিমবঙ্গের মানুষ চোখ ওঠাকে ‘জয় বাংলা রোগ’ বলে থাকে।

আহমদ ছফার ‘অলাতচক্র’ উপন্যাসে এই রোগের উল্লেখ আছে। তখন শুধু জয় বাংলা রোগ না, জয় বাংলা সাবান, জয় বাংলা গেঞ্জি, জয় বাংলা চপ্পল ইত্যাদি আরও অনেক কিছু বাজারে চলে আসে।

ঐ সময় এই রোগের কারণে এক পর্যায়ে ট্রেন সেবা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। কারণ রেলের বহু কর্মী এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। একটা ফুটবল খেলা বাতিল হয় এই জয় বাংলা রোগের কারণে। মুক্তিযোদ্ধারা এই রোগে আক্রান্ত হয়। এমন কি পাকিস্তানের হানাদার সৈন্যরাও এই রোগে আক্রান্ত হয়।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩১

অপ্‌সরা বলেছেন: আর এখন এই রোগের নাম কি হবে!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পশ্চিম বঙ্গের সাথে মিল রেখে আমরা এই রোগটাকে 'জয় বাংলা' রোগ হিসাবেই চালিয়ে যেতে পাড়তাম। এখনও পশ্চিমবঙ্গে এই রোগকে জয় বাংলা রোগ বলে।

আপনার মাথায় নিশ্চয় কোন দুষ্ট চিন্তা এসেছে এই রোগের নতুন নামকরণের ব্যাপারে। :) আমার ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে সেটা আসছে না। :)

২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
হে হে এই জয় বাংলা রোগের কথা আমি কোথায় যেনো পড়েছিলাম।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসের সাথে কত কিছু জড়িত। ঐ স্মৃতি মনে করার মত কিছু ব্লগার এই ব্লগে এখনও আছেন। আপনি কোন পত্র পত্রিকায় হয়তো পড়েছেন। অথবা বাংলাদেশের স্বাধীনতার উপর লেখা কোন বইয়ে পড়ে থাকতে পারেন।

৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪০

অঙ্গনা বলেছেন: একদম ক্লোজ সার্কেলে ভিক্টিম আছে।
এইটারে নতুন ভাবে ৭১ স্টাইলে আপনেই আনলেন।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যাদের কথা বলছেন তাদের সম্প্রতি চোখ উঠেছে নিশ্চয়ই। এখন বহু মানুষের চোখ উঠছে।

মুক্তিযুদ্ধের উপর বই হাতে পেলে বা অনলাইনে পেলে পড়ে ফেলি। এই সাইটে প্রচুর ফ্রি বই, প্রবন্ধ, দলিল আছে মুক্তিযুদ্ধের উপর।

https://www.liberationwarbangladesh.org/?cat=27

৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: আমি এই প্রথমবারের মত জয়বাংলা রোগের নাম শুনলাম!! সত্যি ব্যাপারটা জেনে অদ্ভুত লাগছে! B:-)

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও জেনেছি কয়েক বছর আগে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমরা পড়ি। কিন্তু এই ছোটখাটো বিষয়গুলি ইতিহাসে আসে না। যার কারণে এগুলি আমাদের অজ্ঞাত থেকে যায়।

অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। আপনার চিঠির দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় আছি।

৫| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: স্বাধীনতার পর পর জয় বাংলা (চোখ ওঠা) রোগে ৯৯% মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। মজার ব্যাপার হলো,আমি অনেক চোখ ওঠা লোকের মধ্যে থেকেও আক্রান্ত হইনি!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনারা এই সব ইতিহাস নিজের চোখে দেখেছেন। আর আমরা বই পড়ে জেনেছি।

আপনার চোখ ওঠা রোগ থেকে বেঁচে যাওয়াটা কিছুটা বিস্ময়কর। কারণ এই রোগটা বেশ ছোঁয়াচে প্রকৃতির। স্বাধীনতার পরেও এই রোগের প্রকোপ ছিল এটা জানা ছিল না।

৬| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৩

অপু তানভীর বলেছেন: ছোট বেলাতে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছি কয়েক বার । আমার মা বলতো, এই রোগ মাঝে মাঝে হওয়া ভাল । তাহলে চোখ পরিস্কার হয় । তখন আমরা স্কুলে গিয়ে মাঝে মাঝে দেখতাম আমাদের ক্লাসমেটরা কালো চশমা পরে আসতো ! তখন মনে হল ইস আমারও যদি এই রোগ হত তাহলে আমিও কালো চশমা পরে যেতে পারতাম স্কুলে । কলেজে ওঠার থেকে এখনও এই রোগে আক্রান্ত হই নি । কেন হয় নি কে জানে ! হয়তো তখন থেকে চশমা পরতাম এই কারণে হয়তো !

দেখা যাক এইবার জয়বাংলা রোগে আক্রান্ত হই কিনা !

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও বহু বছর এই রোগে আক্রান্ত হই না। অন্তত ২৫ বছর আগে মনে হয় শেষ আক্রান্ত হয়েছিলাম।

এই রোগে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অনেক সময় চোখের পাতা খুলতে খুব সমস্যা হয়।

৭| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫১

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: প্রিয় ব্লগার,



কিছু দ্বিতীয় পর্ব ইতিমধ্যে পোস্ট করা হয়েছে। আশাকরি আপনার অপেক্ষার অবসান ঘটলো এবং আশা করি লেখাটি পড়ে আপনার ভালো লাগবে। আপনার মন্তব্য এবং মূল্যবান মতামত জানার অপেক্ষায় রইলাম।


- দেয়ালিকা বিপাশা

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি খেয়াল করিনি। ভালো করে পড়ার পর মন্তব্য করবো। :)

৮| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৪৭

গেঁয়ো ভূত বলেছেন:


কত অজানারে! প্রথম জানলাম এমন রোগের নাম!!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও কয়েক বছর আগে বই পড়ে জেনেছি। ইতিহাসের বইয়ে এগুলি পাবেন না। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৯| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১২

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: জয় বাংলা রোগের সফলতা হচ্ছে তারা পাকিস্তানীদের আক্রমণ করতে পেরেছে। হয়তো 'আমরা জয়বাংলা রোগ' শব্দের মধ্যে নিজেদের জন্য শান্তনা খুঁজি। জয় বাংলা শব্দের সাথে পেরে উঠতে না পারার সান্তনা। তা যাই হোক সেটা প্রত্যেকের আলাদা পরিচয়। আপনি কল্পনা করে দেখেছেন, সেই সময়ে কলকাতায় জয় বাংলা স্লোগানের প্রতি মানুষের কতটুকু ভালোবাসা ছিল।

যদিও আজ দুর্নীতিবাজ ও পিশাচরা এই শ্লোগানকে নিজেদের মুখোশ হিসেবে ব্যবহার করার মাধ্যমে শ্লোগানের মর্যাদা ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে।।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঐ সময় পশ্চিম বঙ্গের জনগণ স্বাধীনতা নিয়ে আমাদের যে আবেগ তার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। যার ফলে জয় বাংলা স্লোগান পশ্চিম বঙ্গেও ব্যাপক সমাদৃত হয়।

এই স্লোগানটা বাংলাদেশের জনগণের আবেগ ধারণ করতো এক সময়। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এই স্লোগানকে আমার এখন অবমূল্যায়ন করছি এবং ভালো মানুষ সাজার মুখোশ হিসেবে ব্যবহার করছি।

১০| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:২০

শেরজা তপন বলেছেন: আমি এখন সেই জয় বাঙলা রোগে আক্রান্ত!! :(

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি। চোখে জ্বালা নিয়েও ব্লগ পড়া এবং মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

১১| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯

জগতারন বলেছেন: আমি ১৯৭১ সালের সেই সময়ে কেবল ক্লাশ সিক্সে উঠেছি,
তখন আমার চারিপাশ, সমাজ, দেশ সবে মাত্র বুঝতে শিখতেছিলাম।
আমারও তখন চোখ উঠেছিল।

তবে পাকিস্তানিরা নিকৃষ্ট নরপশুদের জাতি বুঝেছিলাম তখনই।
এখনও আমার প্রবাস-এর দীর্ঘ সময়ে আমি অনেক পাকিস্তানের লোকদের সাথে মিশে আমার সেই উপলব্ধিকে প্রমান করে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা বই পড়ে জয় বাংলা রোগ সম্পর্কে জেনেছি আর আপনি নিজে এই রোগ দেখেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন। আপনি অবশ্যই এই ব্যাপারে আমার চেয়ে ভালো জানবেন।

মধ্যপ্রাচ্যেও এই পাকিরা সব চেয়ে বেশী উস্রিঙ্খল। রাস্তায় চলতে গিয়ে এরাই সবচেয়ে অসভ্যের মত আচরণ করে থাকে। এই কারণে এদেরকে কেউ ভালো চোখে দেখে না। মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ অপরাধের ( যেমন মাদক পাচার, হত্যা ইত্যাদি ) সাথে এরা জড়িত।

১২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,



স্বাধীনতার বেশ ক'বছর পরে্ও "চোখ ওঠা" রোগটি যাকে আপনি বলেছেন "জয় বাংলা" রোগ তা দেখা দিয়েছিলো। এ রোগটিতে চোখ লাল হয়ে যায়, পানি ঝরে, ঝাঁপসা দেখায় সব কিছু এবং কখন্ও ডুয়াল ভিশন হয় মানে একটা জিনিষকে দু'টো দেখায়। চোখে কালো চশমা লাগাতে হয়। এসবই ফিজিক্যাল বা শারীরিক।
কিন্তু এই "জয় বাংলা" রোগের একটা মানসিক ভার্সন্ও আছে। এ রোগের চশমা দিয়ে সবকিছুই অন্যরকম দেখায়। খুশিতে চোখ দিয়ে পানি ঝরে। দেখা যায় একটা, মনে হয় দেখছি আরেকটা। কেউ সত্যটা ধরিয়ে দিলে রাগে চোখ লাল হয়ে যায়!
এ রোগে এখন সবাই আক্রান্ত............. ;) :|

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শারীরিক জয় বাংলা রোগ সম্পর্কে যেমন বললেন তেমনি মানসিক ভার্শন সম্পর্কেও বললেন। শরীরের রোগটা তো ওষুধেই সেরে যায় কিন্তু এই মানসিক জয় বাংলা রোগই আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সত্যটা ধরিয়ে দিলে এখন আমাদের চোখ লাল হয়ে যায়। এই রোগের ওষুধ যে কি সেটাই একটা বড় প্রশ্ন। :)

১৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: এই রোগটা আমার খুব অপছন্দের।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই রোগটা খুব জ্বালায়। চোখ আমাদের একটা অতি দরকারি অঙ্গ। আসলে চোখ উঠলে চোখের গুরুত্ব আমরা বুঝতে পারি। ঘুম থেকে ওঠার সময় চোখ খুলতে কষ্ট হয় এই রোগ হলে। ছোঁয়াচে হওয়ার কারণে সবাই এড়িয়ে চলে। এটা আরেক সমস্যা।

১৪| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই রোগ সবার হচ্ছে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই রোগের টিকা আবিষ্কার করা দরকার। :)

১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এখনত ভাই দেশে আমার মনে হয় শতকরা হিসাবে ৯৫% এই রোগে আক্রান্ত ।

এই রোগ যার না হবে-থাকবে তারত দেশে থাকারই সুযোগ বাদ হয়ে যাওয়ার কথা।
আর তাই আমরা সবাই এখন জয় বাংলা রোগে আক্রান্ত ।
জয়তু "জয় বাংলা "।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মনে হয় অনেক দিন পর সারা দেশ জুড়ে এই জয় বাংলা রোগ হল। নজরুলের কবিতা থেকে 'জয় বাংলা' স্লোগান সৃষ্টির প্রেরণাটা আসে।

১৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২০

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমার ভাতিজা ও মেয়ে আক্রান্ত।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার অফিসে অনেকের হয়েছে। একজন ১ সপ্তাহ ধরে ভুগছে।

১৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:১৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ছোটোবেলায় হয়েছিল।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমারও হয়েছিল প্রায় ২০ থেকে ২৫ বছর আগে।

১৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সাচু ভাই,

আমরা না খুব ছোট থেকেই এই জয় বাংলার সঙ্গে পরিচিত। মায়ের কাছ থেকে শুনেছি ৭১ এর পর বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের আগমনের সঙ্গে সঙ্গেই এই জয় বাংলার আগমন ঘটে ও মাথায় উকুনের প্রাদুর্ভাব ঘটে। মূলত এপার ওপার দুই বাঙালির বিপদে পাশে দাঁড়ানো পশ্চিমবাংলা বাঙালিরা এসময় শরণার্থীদের খুব আপন করে নেয়। আমার গ্রামেই ছোট থেকে কয়েকটি বাংলাদেশী মুসলিম পরিবারকে দেখেছি যাদেরকে গ্রামের মানুষরা মুড়ি ভাজার কাজ দিত এবং চাল ডাল আলু দিয়ে সাহায্য করত। এদের মধ্যে একটা পরিবারের পুরুষ সদস্য পরিবারকে নিরাপদে রাখতে আমাদের গ্রামে বাসা বাঁধেন।উনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে স্বদেশে চলে যান।পরে পরিবার বহুদিন আমাদের গ্রামে অপেক্ষায় ছিলেন ফিরে আসবে বলে। আশির দশক পর্যন্ত দীর্ঘ অপেক্ষার পর উনি না ফেরায় (ততদিনে এক কন্যা ও এক পুত্রকে হারিয়ে) ঐ মা কেবলমাত্র সদ্য টিনেজে পা দেওয়া ছেলের হাত ধরে স্বদেশে ফিরে গেছিলেন। আমার চলমান একটা উপন্যাস 'ফ্রম সাতক্ষীরা টু বেলগাছিয়া'য় এই ঘটনায় বিবরণ পাবেন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শরণার্থীদের আপন করে নেয়ার ঋণ পূর্ববঙ্গের মানুষ কখনও শোধ করতে পারবে না। এই ঋণ শোধ হওয়ার নয়।

পরিবারের মায়া ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে অনেকেই পারবে না।

আপনার উপন্যাসটা আসলে পুরোটা প্রথম থেকে পড়া দরকার। আমি বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক পর্ব পড়েছি।

ভালো থাকবেন পদাদিক দা।

১৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আমিও সপ্তাহাধিককাল ভুগে উঠলাম এই 'জয় বাংলা রোগে'। এখন ভালো, আলহামদুলিল্লাহ! একাত্তরের জুলাইয়ে ভীষণভাবে আক্রান্ত হয়েছিলাম এবং দীর্ঘদিন ভুগেছিলাম।
পুরনো স্মৃতি (যন্ত্রণাময় হলেও) স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা বই পড়ে জেনেছি এই রোগ সম্পর্কে আর আপনারা নিজেরাই এই রোগে ভুগেছেন। এখনও অনেকের হচ্ছে। আপনারা ইতিহাসের সাক্ষী।

অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য এবং লাইক দেয়ার জন্য।

২০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:০৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: হুম বেশ শোনা যাচ্ছে আজকাল এই রোগের নাম! অনেকদিন পর মনে হচ্ছে আবার ছড়াচ্ছে। দুইদিন পর স্কুল ছুটি শুরু তার আগে বাচ্চারা নিরাপদ থাকলেই শান্তি। আমি ও পড়েছি প্রথম আলো উপন্যাসে এই নাম করন ইতিহাস।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও আল্লাহ আল্লাহ করছি আমার বাচ্চাদের যেন জয় বাংলা রোগ না হয়। আপনি তাহলে আগে থেকেই এই রোগ সম্পর্কে জানেন।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.