নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রযুক্তির কারণে অনেক কিছু বদলে গেছে আমাদের জীবনে । ১৯৯০ সালের পর থেকে প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকে। এই পরিবর্তনের প্রভাব আমাদের জীবনযাত্রায় অনেক ক্ষেত্রে ইতিবাচক আবার অনেক ক্ষেত্রে নেতিবাচক। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগ দেখার পর অতীতের অনেক হারিয়ে যাওয়া জিনিসের কথা মনে পড়ে গেল। এই হারানো জিনিসগুলি নিয়েই এই পোস্ট (১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত)।
১৯৭৮-৭৯ সালের দিকে সম্ভবত বাগেরহাট রুটে দেখেছি এক ধরণের বাস চলত যেটার সামনের দিক অনেকটা ট্রাকের মত । এটার ইগ্নিশন (ইঞ্জিন স্টার্ট) করা হত চাবি ছাড়া। একটা লোহার হাতলের মত জিনিস ইঞ্জিনের ভিতরে ঢুকিয়ে কয়েকবার জোরে ঘুরানো হত। এক পর্যায়ে ইঞ্জিন স্টার্ট হয়ে যেত। ইউটিউবে দেখলাম ৮০-৯০ বছর আগে ছোট প্লেনেরও এভাবে সামনের প্রপেলার ঘুরিয়ে ইঞ্জিন স্টার্ট করা হত।
আমার মায়ের এক বান্ধবী আসতেন প্রাচীন কালের কালো রঙের মরিস মাইনর গাড়ি চড়ে। এই গাড়ি এখন জাদুঘরে রাখা যেতে পারে। প্রাচীন স্টাইলের বেঢপ ঐ গাড়ি দেখে আমরা তখনই হাসতাম। এই গাড়ির চালক ছিলেন ভীষণ ঘুম কাতুরে। আমাদের বাসায় আসার পর উনি গাড়ির সিটে বসে ঘুমাতেন। আমি আর আমার ছোট ভাই গাড়ি ধাক্কা দেয়া শুরু করতাম। গাড়ি কিছু দূর যাওয়ার পর ওনার ঘুম ভেঙে যেত। আর আমরা দৌড়ে পালাতাম। ঐ যুগে বাংলাদেশের সব গাড়িই ম্যানুয়াল ট্রান্সমিশন ছিল যেগুলিকে প্রয়োজনে ধাক্কা দিয়ে স্টার্ট করা যেত। ক্লাচ চেপে গাড়িকে দ্বিতীয় গিয়ারে রেখে কিছু দূর ধাক্কা দেয়ার পর ক্লাচ ছেড়ে দিলে গাড়ি নিজে থেকে স্টার্ট হয়ে যেত।
এখনকার অটো ট্রান্সমিশন গাড়িতে এটা সম্ভব না। কোন কারণে অটো ট্রান্সমিশন গাড়ি পথের মাঝে বন্ধ হয়ে গেলে স্টিয়ারিং আর ব্রেকের অবস্থা হয় গরুর গাড়ির মত। সহজে স্টিয়ারিং ঘোরানো যায় না আর ব্রেক ধরতে চায় না।
আমার মায়ের বান্ধবীর ঐ পুরনো মরিস মাইনর গাড়ি নিয়ে একবার তৎকালীন জিয়া আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ঢাল বেয়ে দোতলার বহির্গমন লাউঞ্জে উঠতে গিয়ে ভয় পেয়েছিলাম। ঢাল বেয়ে ওঠার সময় মাঝ পথে গাড়ি থেমে গেল। আর উপরে উঠতে চায় না, পারলে নীচের দিকে নেমে যায়। আমার আর আমার ভাইদের তো ইচ্ছা হয়েছিল নেমে গিয়ে ধাক্কা দেই। কিন্তু আল্লাহতায়ালার অসীম করুণায় গাড়িটা শেষ পর্যন্ত আগে পিছে করতে করতে কোন রকমে শামুকের গতিতে উপরে উঠতে সক্ষম হয়।
টিএনটি ফোন সব বাসায় ছিল না। ফোনের দোকান ছিল অনেক। ঢাকা থেকে চিটাগাং ফোন করতে হলে দোকানে গিয়ে বলতে হত। লাইন পেতে অনেক সময় ঘণ্টাখানেক সময় লাগতো। ততক্ষণ দোকানে অপেক্ষা করতে হত। আন্তর্জাতিক কলের ক্ষেত্রেও আগে বুক করতে হত। বাসায় ফোন থাকলেও একই হ্যাপা। কানেকশন পাওয়ার পর এক্সচেঞ্জ থেকে পরে যোগাযোগ করা হত কথা বলার জন্য। তখন ক্রস কানেকশন বলে একটা জিনিস ছিল। অর্থাৎ দুইজনে কথা বলছে মাঝখানে হঠাৎ তৃতীয় ব্যক্তির আবির্ভাব। দুই জনের কথা সে শুনতে পাচ্ছে। রাখতে বললেও রাখছে না। আবার আপনি ডায়াল করেছেন একজনের কাছে কিন্তু কানেকশন হয়েছে আরেকজনের সাথে। মহা বিড়ম্বনা। তবে ক্রশ কানেকশন বা রঙ কানেকশন থেকে অনেক ছেলেমেয়ের মধ্যে প্রেম হয়ে যেত ঐ সময়। অনেক ছেলে দোয়া করতো যেন ক্রস কানেকশন হয়।
আমার এক বন্ধু একবার ফোন করেছে তার কোন এক আত্মীয়কে কিন্তু ফোন ধরেছে একজন বিবাহিতা যুবতী মেয়ে। মহিলা ভেবেছে যে তাকে বিরক্ত করার জন্য ফোন করেছে আমার বন্ধু। তাই বিরক্ত হয়ে সে বলে যে 'মেয়ে ধরেছে না মেয়ের নানী ধরেছে এটা তো বুঝতে হবে'। আমার বন্ধুও কম যায় না। সে রেখে দিয়ে আবার কল করে এবং ঐ মহিলাই আবার ধরে। মহিলা জিজ্ঞেস করে কাকে চাচ্ছেন। আমার বন্ধু বলে যে নানীকে চাচ্ছি। মহিলা মজা পেয়ে যায়। এভাবে এক কথায় দুই কথায় এদের মধ্যে একটা সুন্দর সম্পর্ক হয়ে যায়।
পরবর্তীতে তারা প্রায়ই গল্প করে সময় কাটাত। তবে এই ফোনে কথা বলা পর্যন্তই এই আলাপ ছিল। কোন সীমালঙ্ঘন ছিল না।
অনেক বড় অফিসে টেলেক্স বলে একটা জিনিস ছিল। টেলেক্স ছিল আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দ্রুত মাধ্যম। সম্ভবত টেলিফোনের সাহায্যে টেলেক্স মেশিন চালানো হত। আমার ভালো ধারণা নাই। বিজনেস কার্ডে কোম্পানির টেলেক্স নাম্বার থাকতো।
১৯৮৫ সালেও দেখেছি তখন অনেকেই শর্টহ্যান্ড শিখত চাকরী পাবার জন্য। আমার ছোট ফুফু শর্টহ্যান্ড শিখেছিলেন চাকরী পাওয়ার জন্য। আমার বাবা টাইপিং এবং শর্টহ্যান্ড জানতেন। ডিকটেশন লেখার জন্য শর্টহ্যান্ড ব্যবহার করা হত।
কম্পিউটার যখন প্রথম আসে তখন এগুলিতে মাউজ ছিল না। কারণ উইন্ডোজ তখনও আসেনি। ফ্লপি ডিস্কে একটা ফাইল কপি বা পেস্ট করতে হলেও কোড ব্যবহার করতে হত। এই ধরণের কাজের জন্য বিভিন্ন ধরণের কোড সবাইকে শিখতে হত এবং মনে রাখতে হত । তখনকার অপারেটিং সিস্টেমের নাম ছিল ডস (ডিস্কেট অপারেটিং সিস্টেম)। এখনকার মত ক্লিক করলেই কপি বা পেস্ট হয়ে যেত না। আমিও ডসের কিছু কমান্ড শিখেছিলাম।
আমার একজন খালাত ভাই ছিলেন। উনি সারাদিন রেডিওর শর্ট ওয়েভের সাহায্যে বিভিন্ন দেশের খবর, খেলা, গান ইত্যাদি শুনতেন। যার কারণে ঐ যুগেও উনি বিদেশের অনেক খবর জানতেন। আমার ধারণা ইন্টারনেট পেলে উনি নিঃসন্দেহে একজন ভালো ব্লগার হতে পারতেন। আমিও ওনার দেখাদেখি মাঝে মাঝে রেডিওর নব ঘুরিয়ে শর্ট ওয়েভে বিভিন্ন দেশের রেডিও স্টেশন ধরতাম। তবে অনেক ক্ষেত্রে শব্দ ভালো মত শোনা যেত না। অনেক সময় রেডিওর কোন গান ভালো লাগলে অন্য ছোট ক্যাসেট প্লেয়ার রেডিওর স্পিকারের সামনে ধরে রেকর্ড করতাম। তবে অনেক নয়েজ আসত। এখন এই ধরনের বিদেশী গান পাওয়া কোন ব্যাপারই না। চাইলেই শোনা যায় আর ডাউন লোড করা যায়।
ঐ সময় মোবাইল ছিল না। ১৯৯২ সালে আমার এক বন্ধু তার প্রেমিকার সাথে কথা বলার জন্য এক জোড়া ওয়াকি টকি কিনেছিল। তখন স্টেডিয়ামে ওয়াকি টকি পাওয়া যেত, যেগুলির আওতা ছিল ৩/৪ কিলোমিটার। আমার বন্ধুর বাসা খিলগাঁও ছিল আর তার বান্ধবীর বাসা ছিল রামপুরা।
সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে টিভির এন্টেনার সাথে হাড়ি পাতিল ঝুলালে ভারতের দূর দর্শন টিভি দেখা যেত। তখন আমাদের দেশের মানুষ অনেকে হিন্দি শিখে ফেলে ভিসিআর আর এই দূরদর্শন দেখে। ভিসিআর আমাদের সামনে আসল আবার আমাদের সামনেই চলে গেল।
১৯৮২ সালে বাসায় যখন ফ্রিজ কেনা যখন হল তখন একটা উৎসব উৎসব ভাব মনে হল। স্টেডিয়ামের দোকানদার আমাদের পেপসি খাওয়াল। দোকানদার পেপসি খাওয়ায় এই ব্যাপারটা আমাদের ধারণাতেই ছিল না। আমার বড় বোন ফ্রিজ ব্যবহার সংক্রান্ত কিছু কড়া নির্দেশনা দিল যেন আমরা ফ্রিজ না খুলি। যদি একান্ত কোন কারণে খুলতে হয় সেই ক্ষেত্রে ফ্রিজ কিভাবে খুলতে হয়, কিভাবে বন্ধ করতে হয় সেগুলি সে দেখিয়ে দিল। এগুলি সে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে শিখেছিল। এগুলিই আমাদের উপর কড়াভাবে প্রয়োগ করতে লাগলো। আরও কিছু আচার আচরণ আমার বোনের বদৌলতে শিখতে হয়েছিল। আগে আমার ভাত খাওয়ার পর প্লেটে হাত ধুতাম। শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পর আমার বোনের কাছে এগুলি খ্যাত খ্যাত লাগতো। তাই আমাদেরকেও শেখানো হল যে খাওয়ার পর প্লেটে হাত না ধুয়ে রান্না ঘরের কলে ধুতে হবে। আমার বোনের শাশুড়ির ছিল উচ্চ রক্তচাপ। তাই তিনি কাঁচা লবণ খেতেন না। আমার বোন সেটাও ভালো রপ্ত করেছিল। আমাদেরকে শেখানো হল যে কাঁচা লবণ খাওয়াও খ্যাত। সেটাও আমরা বাদ দিতে বাধ্য হলাম এবং কিছুটা সভ্য হলাম।
মার্কেটে খুব কম দোকানে এসি ছিল। অনেকটা বিরল বলা যেতে পারে। কোন দোকানে এসি থাকলে লেখা থাকতো ‘শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত’। এসিওয়ালা দোকানে ঢুকলে মনে হত এখানেই থাকি। বের হওয়ার দরকার নাই। তখন রঙিন বাংলা সিনেমা খুব কম হত। সিনেমার বিজ্ঞাপনে লেখা থাকতো ‘আংশিক রঙিন ছবি’ অথবা ‘সম্পূর্ণ রঙিন ছবি’। আংশিক রঙিন ছবির ক্ষেত্রে সাধারণত গানগুলি রঙিন হতো।
১৯৮১ সালে ভিউ মাস্টার বলে একটা ছোট বাইসকোপ জাতীয় জিনিস আমার আব্বা বিদেশ থেকে নিয়ে আসেন। এটা দেখতে অনেকটা ছোট দূরবীনের মত। ক্ষুদ্রাকৃতির ফটো ফিল্ম একটা গোলাকৃতির চাকতির মধ্যে চক্রাকারে লাগানো থাকে। এই চাকতি ভিউ মাস্টারের মধ্যে ঢুকিয়ে দেখতে হয়। ভিউ মাস্টারে একটা হাতল আছে যেটা চাপ দিলে পরের দৃশ্য দেখা যায়। বাইস্কোপের মত বিভিন্ন ধরণের দৃশ্য থাকে এই ছোট চাকতির মধ্যে। একটা চাকতিতে বিদেশের একটা সি বীচের দৃশ্য ছিল। আমার বড় ভাই আর তার বন্ধুরা হাসছিল এটা দেখে। তারা সম্ভবত উল্টা পাল্টা কিছু দেখেছিল। কিন্তু আমি দেখেও বুঝতে পারছিলাম না যে তারা কোন জিনিসটা দেখে হাসছে। পরে না বুঝেও আমি বললাম যে আমিও বুঝেছি তারা কেন হাসছে। আমিও দেখেছি (আসলে কি দেখেছি জানি না)।
সুত্রঃ কোন সুত্র নাই
ছবিঃ পুরানো সেই দিনের কথা ব্লগ স্পট ডট কম
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুরনো জিনিসের মধ্যে একটা নস্টালজিয়া আছে। তাই পুরনো জিনিস আমাদের ভালো লাগে। বেগ আমাদের আবেগ কেড়ে নিয়েছে। এটাই সমস্যা। একটা ছবি তোলার জন্য আগে মানুষ কত কষ্ট করতো, কত জনকে অনুরোধ করতো। এখন যে কোন মুহূর্তে যে কোন অবস্থায় ছবি তোলা যায় এবং পৃথিবীর অপর প্রান্তে পাঠানো যায়।
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৯
একলব্য২১ বলেছেন: পড়ে খুব মজা পেয়েছি চুয়াত্তর ভাই। আজ থেকে ২০/২৫ বছর পর কে হতে পারে সেটাও খুব জানতে ইচ্ছা করে। খুব ভাল লিখেছেন।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের চেয়ে বয়স যাদের বেশী তারা আরও অনেক কিছু জানেন। আমার মায়েদের যুগে তারা লিখত সেদ্ধ তালপাতার উপর কয়লার কালি দিয়ে। ঝর্ণা কলমে আমরাও লিখেছি। এখন ঝর্ণা কলম (ফাউনটেন পেন) কেউ চিনবে না। পরীক্ষার হলে কালির দোয়াত নিয়ে যেতাম। এই কলম খুলে আমরা পানি দিয়ে ধুয়ে রোদে শুকাতে দিতাম। আমার দাদারা নাকি প্যান্ট পড়তো পায়জামার ফিতে দিয়ে। ঘড়ি রাখত বুক পকেটে। ঐ সময় মুসলমানরাও ধুতি পড়তো। কলের গান ছিল আমার নানা বাড়িতে। দম শেষ হয়ে গেলে গানের সুর বেসুরো হয়ে যেত। গ্রামের অনেকে টয়লেট করতো গাছের উপর উঠে নীচে পানিতে।
ভবিষ্যতে মানুষের ব্রেনে চিপস লাগানো থাকবে। অন্য মানুষের মনের কথা ঐ চিপসের সাহায্যে জানা যাবে। ঐ চিপসের সাথে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক সংযুক্ত থাকবে। ফলে ব্রেনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সারা বিশ্বের তথ্য আসবে আর যাবে। যৌনতার জন্য নারী বা পুরুষের দরকার হবে না। কৃত্রিমভাবে সেই রকমের অনুভূতি মানুষের মধ্যে যন্ত্রের সাহায্যে তৈরি করা যাবে। ছেলেদের প্রয়োজন হবে না মেয়েদের এবং মেয়েদের প্রয়োজন হবে না ছেলেদের। মেশিন যন্ত্রপাতি আর ওষুধ সব কাজ করে দেবে। তবে যৌন আনন্দ আরও বাড়বে। ল্যাপটপ বা মোবাইলে তাকিয়ে থাকতে হবে না। ব্রেইনের সাথে সংযোগ করে দিলে আমরা চোখ বুজে মোবাইলের গান দেখতে এবং শুনতে পারবো। মানুষের কোন রোগ ব্যাধি থাকবে না। মানুষ ১৫০ থেকে ২০০ বছর পর্যন্ত বাঁচবে এবং যৌবন কাল ১০০ বছর পর্যন্ত বর্ধিত হবে। মানুষ এই কারণে বিয়ে একটু দেরীতে করবে। ৫০ বছরের পরে বিয়ে করবে বেশীরভাগ ছেলে মেয়ে। বাচ্চা কাচ্চা হবে টেস্টটিউবে। মায়েদের বাচ্চা পেটে ধারনের কোন কষ্ট থাকবে না। আজকে অর্ডার দিলে ৭ দিনের মধ্যে বাচ্চা ডেলিভারি দেয়া হবে। যাদের টাকা বেশী তারা এক থেকে তিন দিনে ডেলিভারি পাবে।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৯
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আহারে, এই ক্ষুদ্র জীবনে কতো কিছু বদলে যেতে দেভলাম। কতো কিছু অচল হয়ে যেতে দেখলাম। কত কিছুকে গুরুত্ব হারাতে দেখলাম। আরো কতো কি দেখার বাকি!!
লেখাটি চমৎকার হয়েছে। পোস্টে + রইলো।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুরনো বিষয়গুলি আমাদের নস্টালজিক করে তোলে। নতুন অনেক কিছুই আমাদের জীবনকে সহজ করেছে। কিন্তু সুলভে পাওয়ার কারণে আমরা এখন আগের মত তৃপ্তি পাই না। জীবনে প্রথম ভিসিআর দেখার জন্য রাত একটা পর্যন্ত জেগে ছিলাম। কিন্তু তারপরও যান্ত্রিক কারণে দেখতে পারিনি সেদিন। এখন চিন্তা করলে হাসি পায়। এখন তো যে কোন মুহূর্তে যে কোন সিনেমা দেখা যায়। তারপরও আমাদের অনেক সময় দেখতে ভালো লাগে না।
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৫
মুক্তা নীল বলেছেন:
সত্যি তো সময়ের সাথে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে এবং হয়তো আরো বদলে যাবে এটাই স্বাভাবিক । মানুষের মধ্যেও কিন্তু অনেক আন্তরিকতা কমে গিয়েছে ।
যান্ত্রিক জীবন অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে
চমৎকার লিখেছেন ভাই পড়ে খুব ভালো লাগলো ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আধুনিক প্রযুক্তি খারাপ না। বরং ভালোই হওয়ার কথা। কিন্তু সমস্যা হল বিজ্ঞানের বেগ আমাদেরকে আবেগ শূন্য করে তুলেছে। কোন জিনিস সুলভে পাওয়া গেলে সেটার আবেদন কমে যায়। আগে এক সাথে পরিবারের সবাই টিভি নাটক দেখতাম আমরা। এখন কি সম্ভব পরিবারের ৫/৬ জন সদস্য এক সাথে বসে টিভি দেখা। ১ মিনিট পর পর সবাই চ্যানেল পরিবর্তন করতে বলবে। ফলে কোন কিছুই দেখা হবে না। রেস্টুরেন্টে দাওয়াত খেতে গেছেন বন্ধুরা মিলে। ৫ জনের ২ জন দেখবেন মোবাইল স্ক্রিনে ব্যস্ত। আগের মত আড্ডার মজা পাবেন না।
৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৭
একলব্য২১ বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর ভাই,
আপনার প্রতিউত্তর পড়লাম। মাই গড! ভবিষ্যতে কি হতে পারে তার কিছুটা জানতাম। তবে এত কিছু জানতাম না। আমার কিন্তু ভাই ভবিষ্যৎ থেকে অতীতই বেশী টানে।
দারুণ কিছু তথ্য দিলেন। মানুষের আয়ু বাড়ুক কিন্তু মানুষ যেন যন্ত্রের মত না হন। সেই যুগ যদি আন্তরিকতাহীন হয়, তবে আমি সেই যুগে বাঁচতে চাই না।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যা বলেছি সবই আমার কল্পনা। অপসরা আপু বলেছেন যে কল্পনার গরু আকাশে ওড়ে। আবেগ প্রবণ হতে হবে অপ্সরা আপুর মত। তবেই না জীবনের সার্থকতা। চোর ধরা পড়লে চোরের জন্য গরম ভাত রান্না করে খাওয়াতে হবে। চোর যাওয়ার সময় একটা গরু উপহার হিসাবে দিতে হবে। নায়িকার কোলে চড়ে খোকাবাবু কান্নায় নায়িকার জামা ভিজিয়ে ফেলবে ( এত দিন জানতাম নায়িকা কেঁদে বুক ভাসায়) । একেই না বলে প্রকৃত সুখ আর আন্তরিকতা।
মজা করলাম আর কি। ওনাকে বলার দরকার নাই।
তবে মানুষের উপর মানুষের নির্ভরশীলতা কমে গেলে মানুষ রোবটের মত হয়ে যায়। আনন্দের জন্য অন্যের প্রয়োজন হয় না। ফলে মানুষ আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যায়। আমরা সামাজিক জীব কিন্তু যন্ত্র আমাদেরকে বলতে চাচ্ছে যে তোমার এত সামাজিক হওয়ার দরকার নাই। তোমার আরাম আয়েসের সব ব্যবস্থা যন্ত্র করে দেবে। এটাই মানব সভ্যতার জন্য একটা হুমকি। তাই অতীতের অনেক কিছুই কষ্টের হলেও আসলে ভালো।
৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১২
অপ্সরা বলেছেন: ঐ আমাকে বলা লাগে!!
আমি তোমার মনের কথা জানি!!! মানে সব শয়তান মানুষের মনের কথাই আমার জানা!
যাইহোক সব কিছু বদলায় আর বদলাবেও।
আর মানুষ বদলায় সবচেয়ে বেশি!
আমার মনে হয় যখন যা বদলায় তাতেই মানুষের আনন্দ বেদনা থাকে....... মানুষ শুধু মানুষই আসলে সেও এক কল্পনার ..... রু ........ হা হা হা
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি নস্টালজিক মানুষ তো তাই পুরনো দিনের কথা ভালো লাগে।
আমাদের দেশের অনেক মানুষ এখনও অনেক কষ্টে আছে। সবাই যদি দু বেলা পেট পুরে ভাত খেতে পারতো তাহলে বদলানো কোন সমস্যা হতো না। কিন্তু অনেকের জীবনে এত কিছু বদলে গেছে আবার অনেক মানুষের জীবনের অন্ধকার আগের মতই আছে। এটাই আমার ভালো লাগে না। আনন্দ বাটলে বাড়ে আর দুঃখ বাটলে কমে। কিন্তু আমরা আনন্দ সবার সাথে বাটি না। যারা দুঃখে আছে তারা তাদের দুঃখ চাইলেও কারও সাথে বাটতে পারে না। এটাই সমস্যা।
৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহারে সাদাকালো সময়ের গল্প ! কেমন চোখের সামনে দিয়ে চলে গেলো। কতকিছু পাল্টে গেলো ! সময় পরিবেশ প্রযুক্তি।
টেলিফোনের এমন গল্প কিছু টা শোনা। আমাদের রেডিও নিয়ে ও আমার ভাই এইকাজ করতেন, চ্যাংচুং কত ভাষা! আমার নিজের ও মজা লাগত। ভিসিআর নিয়ে অভিজ্ঞতা আলাদা পোষ্ট দিতে হবে। হাহাহাহা তখ হুট করে সিলভারের ঢাকনা র দাম বেড়ে গেছিল শুনছি। টিভি নিয়ে অভিজ্ঞতা অবশ্য লিখছি আগে। সে আমলে মফস্বলে আমারা স্ট্যাবিলাইজার ইউস করতাম টিভি দেখার জন্যে। ভোল্টেজ এত কম থাকত।
চমৎকার স্মৃতিকথা, বেশ উপভোগ্য ও।
একলব্যের ভবিষ্যৎ পৃথিবী নিয়ে উত্তরের অংশটুকু পড়ে আমার ৯০/৯২ এর একটা কার্টুনের কথা মনে আসলো। নাম ভুলে গেছি , খুব জনপ্রিয়তা পায় নাই। তখন আমি মোবাইল ও দেখি নাই মফঃস্বলে, ল্যান্ডফোন ই ভরসা। সেই কার্টুনে দেখাতো এইরকম মোবাইল ডিভাইসের মত বক্স এ কল আসছে । আর নারী চরিত্র কল রিসিভ করা আগে আয়না দেখে নিজেকে ঠিক করলো , মাথায় উইগ পড়লো তারপর ভিডিও তে কথা বলছে, ঠিক আজকের মত। আমি ক্ষুদ্র ব্রেনে ধরতে পারতাম না অবাক হইতাম।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা যখন যশোর ছিলাম তখন ভোল্টেজ কম থাকার কারণে ২০ ইঞ্চি টিভিতে ছবি আসত ১৪ ইঞ্ছির মত। রাতে নিয়মিত বিদ্যুৎ চলে যেত।
১৯৭৯ সালে একটা কার্টুন দেখাতো যেটার নাম ছিল 'স্পেস ১৯৯৯'। এটাতে দেখাতো যে কম্পিউটার স্ক্রিনে ঐ পাশের মানুষ দেখা যাচ্ছে। তখন খুব আশ্চর্য লাগলেও এখন তা সত্যি।
মোবাইল আসার কয়েক বছর আগে বাংলাদেশের হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ ডাক্তাররা পেজার নামে এক ধরণের ডিভাইস ব্যবহার করতেন। জরুরী প্রয়োজনে ডাক্তারকে ডাকার জন্য এই পেজারে সংকেত বেজে উঠত।
এই বিষয়গুলি আসলে আমাদের নস্টালজিক করে তোলে তাই এই স্মৃতিরোমন্থন আমাদের কাছে আনন্দময়।
৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৮
অপ্সরা বলেছেন: যাইহোক আজকে আমার কাঁশবন ফটোশ্যুট ছিলো। এই কাঁশবনে কি আগের দিনে কেউ ফটো তুলতে যেত বলো?? আমার তো ধারণা নীরুরা যদি কাঁশবনে যেতে চাইত তাদের মায়েরা পিঠের উপর আস্ত একেকটা বাঁশ ভাঙ্গতো। কিন্তু দেখো এই যে যান্ত্রিকের যুগের শুরু মানব সভ্যতায় ফেসবুকে ছবি দেবার রোখে সকলে ছুটে কাঁশবনে। কাজেই কাঁশবন এখন সিদ্ধ হয়ে গেছে। থাকুক তাতে ইমোশন বা নাই বা থাকুক মানুষ আসলে ছুটে চলে অজানায়।
সব অজানারই আনন্দ আছে। বেঁচে থাকাটাই আনন্দের। সে যে যুগে যেমনই হোক যেমন আদিযুগেও মানুষ নিশ্চয় আনন্দেই ছিলো।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরিমণিকে দেখলাম সে তার বাচ্চা নিয়ে কাশ বনে ফটো তুলেছে। আপনিও গিয়েছিলেন। ভালো। খুব ভালো। ছবি না দিলে কিভাবে বুঝবো গিয়েছিলেন। আমার বাড়ির কাছে কাশবন। কিন্তু আমি যাওয়ার সময় পাই না।
তবে ফেইসবুকের শো অফ ভালো লাগে না। আপনি অবশ্য শো অফ করেন না। আমাদের আনন্দ দেয়ার জন্য করে থাকেন।
কিছু লোকের মধ্যে জন্মগতভাবে আনন্দ বিরাজ করে। ফলে যে কোন পরিস্থিতিতে আনন্দে থাকে। তবে সবার জন্য বেঁচে থাকাটা আনন্দের না। আপনি আপনার মত জীবনকে দেখছেন। অন্য জনের জীবনের কষ্ট আপনি বুঝতে পারবেন না। তাই আপনার কাছে মনে হতে পারে বেঁচে থাকাটাই আনন্দ।
৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৭
অপ্সরা বলেছেন: আজও শুনি দূর থেকে ভেসে আসে কোনো অচিন দ্বীপের কান্না
যেন উদাসী বাতাসে তার সূর ভেসে যায় পাওয়া না পাওয়ার মোহনা .....
মানুষের মাঝে অপ্রাপ্তি আছে বলেও মানুষ প্রাপ্তির পিছে ছুটে চলে...... জীবনের গতী একেই বলে ......
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গানটা আগে না শুনলেও অনেক ভালো লাগলো।
অতিরিক্ত অপ্রাপ্তি মানুষকে Consumerism এর দিকে ঠেলে দেয়। ফলে মানুষ ঘন ঘন মোবাইল, গাড়ি, গ্যাজেট, আসবাবপত্র ইত্যাদি বদলাতে থাকে। মধ্যবিত্ত এই দৌড়ের পাল্লায় এক সময় হাঁপিয়ে ওঠে।
১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫২
একলব্য২১ বলেছেন: বেঁচে থাকাটাই আনন্দের। সে যে যুগে যেমনই হোক যেমন আদিযুগেও মানুষ নিশ্চয় আনন্দেই ছিলো।
শায়মা আপুর কথার সাথে ১০০% সহমত।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মনে হয় সবার কাছে বেঁচে থাকাটা আনন্দের না। শায়মা আপুর কাছে আনন্দের হতে পারে।
বিজ্ঞান আর প্রযুক্তির সাথে সাথে আনন্দও একই হারে বেড়েছে এটা বলা যাবে না। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের সম্পর্কগুলি আরও জটিল হয়েছে।
১১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪৪
কিশোর মাইনু বলেছেন: আমরা ছোট থাকতে রাতে কারেন্ট চলে গেলে খুশী হয়ে যেতাম। চিল্লাচিল্লি করে বের হয়ে যেতাম বাইরে খেলার জন্য। তখন না মোবাইল ছিল, না কম্পিউটার, খেলার কাউকে না পেলে নিজের রাজ্যে নিজে রাজা, নিজেই প্রজা, নিজের হিরো, নিজেই ভিলেন হয়ে খেলতাম। আর এখনকার যুগে তারা কারেন্ট চলে গেলে হটাশ হয়। আমার নিজের ই ছোট ভাই, একদিন স্রেফ ওয়াইফাই না থাকলেই তার দম বন্ধ অবস্থা হয়ে যায়। তাকে দেখলে পর্যন্ত মায়া লাগে। ভাবি এদের দেখে, আমরা বড় হলাম কিভাবে এইসব ছাড়া?
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অতিরিক্ত প্রযুক্তির কারণে মানুষ এখন বই পড়া কমিয়ে দিয়েছে। আমার বাচ্চাদের বই মেলা থেকে ১৫ টার মত বই কিনে দিয়েছিলাম। কিন্তু এরা বইগুলি পড়লো না। তারা মোবাইল আর কম্পিউটারে ব্যস্ত। বই পড়ার অভ্যাস করাতে পারলাম না।
আগের যুগে এত প্রযুক্তি না থাকলেও সময় কাটানোর উপায়ের অভাব ছিল না।
১২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:০৭
সোনাগাজী বলেছেন:
যেই বিষয়ে লিখেছেন, উহার সাথে পরকিয়ার ব্যাপারটা যোগ করা ঠিক হয়নি, মনে হয়; আপনার বন্ধু পক্ষ থেকে মহিলার ব্যাপরটা অন্যদের জানানো ঠিক হয়নি, ইহা আপনার বন্ধুর নীচু মানের ব্যক্তিত্বের পরিচয়।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে পরকীয়া শব্দটা বলা ঠিক হয় নাই। এটা আসলে পরকীয়া ছিল না। উহারা শুধু ফোনে গল্প করতো। ঐ পর্যন্তই। সামনা সামনি দেখা হয়নি কখনও। আলাপেরও একটা সীমা ছিল। সীমার বাইরে আলাপ করতো না। এটাকে প্রেম বলা যাবে না। গল্প করে সময় পাড় করা আর কি। ওদের কোন খারাপ উদ্দেশ্য ছিল না।
ঐ মহিলার পরিচয় বা নাম আমাদেরকে বলেনি। সে ও জানতো না। আমাদের বয়স কম ছিল তাই এই সব বিষয় আমাদের আলোচনায় আসত।
১৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:২২
বিষন্ন পথিক বলেছেন: টেলিগ্রাম করেছেন কখোনো? ভিসিআর ব্যাক্তিগত বা ভাড়া, ভিসিআর ক্যাসেট, ট্রাংক কল, পুরো পাড়ায় এক বাড়ি ফোন থাকলে পাড়া প্রতিবেশি সবাই ঐ নাম্বার দিয়ে আসত
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: টেলিগ্রাম করিনি। তবে আসতে দেখেছি। ছোট চাচার কাছে শুনেছি আমার দাদা মারা গেলে নাকি টেলিগ্রামে লেখা ছিল 'Father expired, come sharp'।
ভিসিআর ভাড়া করা হত ২ বা ৩ দিনের জন্য। আশেপাশের বাড়ির মানুষ এসে দেখত। পুরো পাড়ায় ফোন একটা থাকলে সবাই সেই নাম্বার অন্যকে দিয়ে রাখত। কল আসলে প্রয়োজনে পাশের বাসার লোক এসে ফোনের খবর দিত।
১৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:০৮
শেরজা তপন বলেছেন: আপনার সব স্মৃতির সাথেই আমার কম বেশী যোগাযোগ ছিল!
পুরোটা লিখতে গেলে আরেকখানা পোস্ট হয়ে যাবে।
ডজ ভার্সানের সময়ে কি মাউস ছিল না? কত সালের কথা বলছেন?
খুব কম মানুষের 'টেলেক্স' নিয়ে প্রাক্টিক্যালি জানাশোনা আছে। এ বিষয়ে আমি একটা পোস্ট দিতে চেয়েছিলাম।
'আমাদের ওখানে বড় এক মাছ ব্যবসায়ী ছিল। বরিশাল থেকে প্রতি রাতে ট্রাকের পর ট্রাক ইলিশ মাছ আসত তার আড়তে।ওই তল্লাটে একটা মাত্র ফোন ছিল তার। এক ফোনা কথা বলতে গিয়ে পুরো এলাকা মাথায় তুলে নিত সে। এমন জোড়ে চিৎকার করত-রিসিভার ছাড়াই তার কথা সম্ভবত বরিশালের মহাজন শুনতে পেতেন!!
বেশ কিছু সময় হুমায়ুন আহমেদের বাসার সাথে আমার অফিসের ফোনের ক্রস কানেকশন হয়ে গিয়েছিল-তারা আমার কথা শুনতে পেত না আমি শুনতাম দু'পাশের গল্প। সে এক ইতিহাস!
দারুণ লিখেছেন এই নিয়ে কথা হবে আরেকদিন।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি সম্ভবত আমার চেয়ে ৪/৫ বছরের বড় হবেন। তাই আমার স্মৃতির বিষয়গুলি আপনার জানা থাকবে। আমি ১৯৯২ সালে কম্পিউটার প্রথম ব্যবহার করি। তখন আমি সৌদি আরব ছিলাম। তখন দেখেছি যে কম্পিউটারের কোন মাউজ নাই। ওখানে বসেই আমি ডজের কিছু কমান্ড শিখেছিলাম। তারপর মাঝখানে কয়েক বছর চলে যায়। প্রথম দিকের বাংলাদেশের কম্পিউটারের কথা ভালো মত মনে করতে পাড়ছি না। মাউজ ছিল কি না এই ব্যাপারে নিশ্চিত না।
টেলেক্স শুধু বড় অফিসগুলিতে থাকতো। এটার প্রয়োগ সম্পর্কে ভালো করে জানি না। আমার আব্বা জানতো। আমরা চাকরীতে ঢোকার আগেই এটার ব্যবহার কমে যায়। টেলেক্স নিয়ে পোস্ট দিয়ে ফেলেন। আমরা এটার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে পারবো।
আমাদের বাসার ফোনের সাথে পাশের এক বাসার প্যারালাল লাইন করা ছিল। ঐ বাড়ির মহিলার সাথে এই কারণে ফোন নিয়ে মাঝে মাঝে ঝগড়া হত। সে সব সময় ফোন ব্যস্ত রাখত ফলে আমরা ফোনে কথা বলতে পারতাম না।
হুমায়ূন আহমেদের বাসার সাথে টেলিফোন ক্রস কানেকশন ব্যাপারটা বেশ মজার লাগলো। সম্ভব হলে একটা পোস্ট দিয়েন এই বিষয়ে।
১৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১০
সোনাগাজী বলেছেন:
তা'হলে "পরকীয়া" শন্দটা বাদ দেন, ইহা আপনার লেখার মান কমায়েছে, আপনার বন্ধুকে টেনে নীচে নামিয়ে এনেছে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পরামর্শ গ্রহণ করলাম। শব্দটা পরিবর্তন করে দিচ্ছি কিছুক্ষণের মধ্যে।
১৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক স্মৃতিময় পোস্ট নিয়ে লিখেছেন, যার অনেকগুলোর সাথেই আমার অল্প-বিস্তর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা আছে। একটা উদাহরণ দেই, ১৯৬৫/১৯৬৬ সনে আমাদের বাড়িতে যে টেলিফোনের সংযোগ ছিলো সেই টেলিফোন থেকে আমরা সরাসরি ফোন করতে পারতাম না। ফোন সেটের সাথে একটা লিভার ছিলো - যা বেশ জোরে জোরে ঘুরিয়ে এক্সেঞ্জের সাথে যুক্ত করতে হতো তেমন ফোন রেলওয়ে ব্যবহার করে। অপর প্রান্তের অপারেটর ফোন ধরে জিগ্যেস করতেন কতো নম্বর চাই? আমরা কাংখিত নম্বর বলে রিসিভার রেখে দিতাম। কখনো ১০/১৫ মিনিট কিম্বা কয়েক ঘন্টা পর সেই নম্বরের সাথে কানেকশন দিয়ে এক্সেঞ্জ থেকে ফোন আসতো। আমরা চিতকার করে কথা বলতাম....যদি সেই ফোন আন্তঃজেলা হতো তাহলে এতো জোরে চিতকার করে কথা বলতে হতো যা প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকেও শোনা যেতো।
খুব ছোট সময় গুলিস্তান থেকে ডেমড়া পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালু করেছিলো মোমিন মোটরস। ওনারা নিজেরাই সেই সড়ক তৈরী করে নিয়েছিল। সেই বাসগুলোকে বলা হতো "কুল মটোর"। অর্থাৎ পানিতে চলাচল করতো "মোটর লঞ্চ" আর কূলে মানে মাটিতে চলরো "কুল মোটর"! বর্তমান পূর্বাণী হোটেলটায় মালিক পক্ষই মোমিন মোটোরসের মালিক। মোমিন মোটরের মেইন ওয়ার্কশপ/গ্যারাজে ছিলো ঢাকেশ্বরী মন্দিরের লাগোয়া পূর্ব পাসের বিশাল এরিয়া জুড়ে, যা এখনো আছে ঐ কোম্পানিরই বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি হিসেবে।
(বানান বিভ্রাটের জন্য আমার প্রথম মন্তব্যটা ডিলিট করে এই মন্তব্যটা রাখার জন্য অনুরোধ করছি)
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা যখন ১৯৮০ সালে টাঙ্গাইলে ছিলাম তখন সরাসরি ডায়াল করে লোকাল কলও করা যেত না। রিসিভার তুললে এক্সচেঞ্জের লোক ধরত। তার কাছে নাম্বার বলতে হতো। কানেকশন পাওয়ার পর সম্ভবত আবার কল করতো। অনেক কৃপণ লোক টেলিফোনের ডায়ালের জায়গাটায় তালা ঝুলিয়ে রাখত যেন অপ্রয়োজনীয় কল কেউ না করে। চাবি দিয়ে খুলে কল করতে হত।
কুল মটর নামটা শুনে মজা পেলাম। পূর্বাণী হোটেলের কিছু গল্প আব্বার কাছে শুনতাম। ঐ সময় পূর্বাণী আর হোটেল শাহবাগ ( পরবর্তীতে হোটেল ইন্টারকনটিনেনটাল) ছিল প্রথম শ্রেণীর হোটেল।
পুরবানি হোটেলের ঐতিহ্য থাকলেও ২০০৭ সালে মালিকের ছেলের কিছু কাজ কারবার বেশ সমালোচিত হয়।
১৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:০২
জুল ভার্ন বলেছেন: হ্যা পূর্বাণী হোটেলের বর্তমান প্রজন্মের মালিকরা অনেক নেগেটিভ কাজ এর সাথে জড়িত... অথচ ব্যবসায়ী হিসেবে এদের অনেক ঐতিহ্য আছে...দেশের প্রথম পরিবহন ব্যাবসা,শামাহ রেজর ব্লেড, হোটেল ব্যাবসা, টেক্সটাইল,জুট,রি রোলিং মিলস,এয়ার লাইনস ব্যাবসার জনক এঁরা। আবার অবৈধ মদের ব্যবসায়ি হিসেবেও দূর্ণাম কুড়িয়েছে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এদের শামাহ ব্লেড, এয়ারলাইন্স এবং টেক্সটাইল সম্পর্কে জানতাম। বাকিগুলি আপনার কাছ থেকে জানলাম। অনেকে বলেন যে সম্পদ ৩ প্রজন্মের পরে হাত বদল হয়ে যায়। হয়তো কথাটা অনেকাংশে সত্যি। এই ধরণের অনেক উদাহরণ আছে।
১৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৯
নতুন বলেছেন: অনেক কিছুই আগের দিনে ছিলো যেটা এখনকার ছেলে মেয়েরা দেখেও নি।
আমিও কিছুদিন DOC এবং পরে windows95 অপারেটিংক সিসটেম দিয়েই কম্পিউটার শিখেছিলাম।
আমার একজন বন্ধু ছিলো তার সাথে শুধুই SMS বিনিময় হতো, কখনো কথা হয়নি, কখনো দেখা হয় নি।
আরেকবার আমার এক বন্ধু একটা ল্যান্ডলাইন নম্বার দিয়ে বললো যে রাত ১২টার পরে ফোন করে শুধুই ফু দিবি, কোন কথা বলবিনা, চুপ থাকবি।
আমি ঠিক রাত ১২ টার সময় ফোন করে ফু দিলাম..... ঐ পাশ থেকে নিরবতা, কিছুক্ষন পরে মেয়েটি বললো। কথা বলেনা .... ঢং করে.... আমি টুপ করে ফোন নামিয়ে রাখলাম.... ( আর কখনো ঐ নম্বারে কল করিনি)
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ডজ (ডিস্ক অপারেটিং সিসটেম) অপারেটিং সিস্টেম দিয়ে আমার হাতে খড়ি। তখন লেখালেখির জন্য ব্যবহৃত হতো ওয়ার্ড পারফেক্ট এবং স্প্রেড শিটের জন্য লোটাস ১২৩ প্রোগ্রাম। টাইপিং টিউটরের সাহায্যে টাইপিং শিখেছিলাম।
আপনি আরেকটু জোরে ফু দিলে ঐ পাশ থেকেও ফু দিত নিশ্চিত। আর দুএক দিন ফু দিলে কাজ হয়ে যেত।
১৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩
অপু তানভীর বলেছেন: আপনি যে যে পরিবর্তনের কথা বললেন তার বলতে গেলে কিছুই আমি দেখি নি । তবে ফোনের ক্রস কানেকশনের ব্যাপারটা দেখেছি । আমাদের বাসার ল্যান্ডফোন ছিল অনেক আগে থেকেই । তাই অনেকেই আসতো ফোনের জন্য । তখন ঘটতো এই কান্ড । এছাড়া ফোনে তৃতীয় ব্যক্তির কথাও শোনা যেত । এমন অনেকবার হয়েছে যে আমি ফোনের রিসিভার কানে নিয়ে অন্য লোকের আওয়াজ শুনেছি । পরে অবশ্য টেলিফোন ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে এই সমস্যা আর হত না ।
আমার সব থেকে অবাক লাগে যে আমি স্কুলে থাকতে মুভিতে দেখতাম যে হাতে ভিডিও কলে যোগাযোগ হচ্ছে । বিশেষ করে সায়েন্স ফিকশন টাইপ মুভি গুলোতে । আমি সেই সময়েও কোন দিন ভাবি নি যে এতো কম সময়ের ভেতরে আমিও ঠিক একই ভাবে ভিডিও কলে কথা বলতে পারবো ! এটা আমার কাছে একটু অবাকই লাগে !
পরিবর্তন মানেই বেশির ভাগ মানুষ খারাপ কিছুই বোঝে ! তারা সব সময় অতীতকেই বেশি ভাল মনে করে । তবে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি অতীতের থেকে বর্তমানে যে পরিবর্তনটা হয়েছে তার নেতিবাচক দিক থেকেও ইতিবাচক দিকটা অনেক অনেক গুণ বেশি ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রযুক্তির পরিবর্তনের সুবিধা আমরা সবাই ভোগ করছি। কিন্তু প্রযুক্তিকে আমরা নিয়ন্ত্রণ না করে প্রযুক্তি দ্বারা আমরা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছি বেশী। প্রযুক্তির ব্যবহার অনেকে সঠিকভাবে করছে না। ফলে জীবনের মূল্যবান সময় এগুলির পিছে ব্যয় করছে অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিয়ে। তবে প্রযুক্তির অসুবিধার চেয়ে সুবিধা অনেক বেশী। প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। আগে গ্রামে টাকা পাঠানো কত ঝামেলার ছিল। এখন কয়েক সেকেনডে টাকা জায়গা মত চলে যাচ্ছে। যে কোন সময় যে কোন তথ্য গ্রামে বসেও পাওয়া যাচ্ছে।
২০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,
নষ্টালজিক করে দিলেন।
দিন বদল আমাদের সব নান্দনিকতা কেড়ে নিয়ে জড় পদার্থে পরিনত করেছে!
মনে পড়ে, দিন বদলের আগে বাসায় লম্বা একটা বাঁশের মাথায় টিভির এ্যান্টেনা লাগানো হয়েছিলো। পাড়ায় তখন অনেকের বাসাতেই টিভি ছিলোনা। সন্ধ্যর পরে আমাদের বাসায় টিভি দর্শনার্থীদের হাট বসে যেত। তখন ঢাকা ছাড়া আর কোন্ও চ্যানেল ছিলোনা। তা্ও বরিশালে ধরা যেত ঝিরঝির অবস্থায়। তখন বাঁশটাকে আস্তে আস্তে এদিক সেদিক ঘোরাতে হত যাতে সিগন্যাল ভালো পা্ওয়া যায়। আর তখন বৃষ্টি বাদলার দিনে কোলকাতার টিভি ষ্টেশন ধরা যেত কিন্তু ঐ যে, বাঁশটাকে ঘোরাতে হত ঘন ঘন। উৎসাহী দর্শকরা চিল্লিয়ে বলতো, আরেকটু ডানে ঘোরা .... ডানে ঘোরা , ঝিরঝির করে এখন্ও। ব্যাস ব্যাস থাম! .........এইতো আবার গেল...................
যে বাঁশ ঘোরাতো সে অধৈর্য্য হয়ে যেতো।
আর ফাউন্টেন পেন ? প্রথমে ছিলো স্লিম বডির "রাইটার" পরে পেয়েছি গাবদা-গোবদা " প্রেসিডেন্ট" কলম। ঐ সময় আমার একটা শেফার্স আর পার্কার কলম্ও ছিলো। কি ঝরঝরে লেখা হত!!! একসময় সুলেখা কালির দোয়াতে নীব্ওয়ালা কাঠের কলম চুবিয়ে্ও লেখার চল ছিলো।
আহা কি সব দিন ছিলো.................
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনারা মুরুব্বী। আরও ভালো জানবেন আমাদের চেয়ে। ঢাকার বাইরে বিটিভির ছবি ঝিরঝির আসত বেশীরভাগ সময়। এন্টেনা ঘুরাতে লোক লাগতো কমপক্ষে তিনজন। একজন টিভির সামনে, একজন উঠানে আর আরেকজন ছাদে। উঠানে যে থাকতো তার কাজ হল বার্তা জায়গা মত পৌঁছে দেয়া। আরেকটু ডানে, আরেকটু বামে, ব্যস আর লাগবে না এভাবেই এন্টেনা সেট করা হত।
ঐ সময় অনেককে দেখেছি টিভি কাঠের বাক্সে তালা দিয়ে রাখতো। আশেপাশের বাসার ছেলেমেয়েরা জানালা দিয়ে বাদুর ঝোলা হয়ে টিভি দেখত। সীমান্তের জেলাগুলিতে এন্টেনায় থালাবাটি ঝুলালে দূরদর্শন ভালোই আসত।
আমি বেশী দামী ঝর্ণা কলম ব্যবহার করিনি। আমি ব্যবহার করেছি উইং সাং পেন আর ফেদার পেন। শেফার আর পার্কার কলম দেখেছি কিন্তু লেখার সুযোগ হয়নি। বেশ দামী ছিল এগুলি। কালিতে চুবিয়ে লেখার সুযোগ হয়নি আমাদের সময়ে। আমাদের সময় পেঙ্গুইন বলে একটা ভালো কালি ছিল। ব্যক্তির লেখার ধরণের ভিন্নতার কারণে এক জনের পেন দিয়ে অন্য কেউ লিখলে পরে কলমের মূল মালিকের লিখতে সমস্যা হত। এই কারণে অনেকে এই পেন শেয়ার করতে চাইত না।
২১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩২
নীল আকাশ বলেছেন: নস্টালজিয়ায় ফেলে দিলেন। এত ব্যস্ত যে বড় করে একটা মন্তব্য করবো সেই উপায় নেই।
একটা পোস্ট লিখবো ঠিক এই বিষয়ে, হাতে অবসর আসুক।
শুভ কামনা।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার ব্যস্ততা একটু কমুক। তারপর ভালো করে মন্তব্য করবেন। আর এই বিষয়ের উপরে আলাদা একটা পোস্ট দিলে তো আরও ভালো। আপনার অভিজ্ঞতাগুলি আমাদেরকে নস্টালজিক করে তুলবে। আপনার জন্যও শুভ কামনা।
২২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩০
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: পুরনো দিনের কথা পড়তে যেমন, চিত্রায়িত দেখতেও ভালো লাগে।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৩২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুরনো দিনের কথা মনে করলে ঘটনাগুলি চোখের সামনে ভাসে। মনে হয় এই তো সেদিনের ঘটনা।
ভালো থাকবেন। আপনার জন্য শুভকামনা।
২৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:০৯
শাহ আজিজ বলেছেন: পড়লাম মনোযোগ দিয়ে এবং ভাল লাগলো ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লাগলো।
২৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩২
সোনাগাজী বলেছেন:
আমি কমেন্ট ব্যানে থাকার সময় আপনার কিছু কিছু পোষ্টে "লাইক" দিয়েছিলাম; এটাতে দিইনি, আমি আপনার লেখায় সমস্যা দেখেছিলাম। এদিকে, আপনার লেখা পড়ার কিছুুক্ষণের মাঝে ব্যান তুলে নেয় সামু, আমি আপনার লেখার সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি।
আজকে আরো ২টি লেখায় "ভুল ধারণা" দেখেছি, লেখকের ভুল ধারণা নিয়ে মন্তব্য করেছি, ২ জনই নিজের ভাবনাকে 'সঠিক' হিসেবে ধরে, আমার মন্তব্যের উত্তর দিয়েছেন।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার লেখার সমস্যা চিহ্নিত করে দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি আপনার পরামর্শ গ্রহণ করে কিছু জায়গায় আমার লেখা পরিবর্তন করেছি। গঠনমুলক এবং যৌক্তিক সমালোচনা আমি পছন্দ করি।
ভুল হলে ভুল স্বীকার করতে পারার মন মানসিকতা ব্লগারদের থাকা উচিত। যে কোন ব্লগারের নিজের ভাবনার মধ্যে ভুল থাকতে পারে। সমালোচনা যৌক্তিক হলে নিজের ভুল ধারণার সংশোধন করা উচিত।
২৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমি খোদ রাজধানীতেই হাতল ঘুড়িয়ে বাস-ট্রাক-জীপের ইঞ্জিন স্টার্ট করতে দেখেছি স্বাধীনতার বেশ কয়েক বছর পর পর্যন্ত।
ফোনের ক্রস কানেকশন বা রং কানেকশন নিয়ে আপনার নিজের কোন মজার অভিজ্ঞতা আছে কি? থাকলে উল্লেখ করলে পোস্ট টা আরও মজাদার হতো। তবে এ নিয়ে পৃথক পোস্টও দিতে পারেন। আমার কেন যেন মনে হচ্ছে সেই নানি'র নাতিটা আপনিই ছিলেন!
টেলেক্স মেশিনটি বেশ একটা উপকারী উপকরণ ছিল দ্রুত যোগাযোগের জন্য। আমি আমার পিএ কে কখনও ডিক্টেশন দিতাম না, কারণ প্রায় ক্ষেত্রেই আমাকে একটি বাক্য কয়েকবার রিপীট করতে হতো, বিশেষ করে যদি তা নতুন বাক্য হয়। ড্রাফট লিখে দেওয়াটাই আমার পছন্দের ছিল। ফ্লপি ডিস্ক হ্যান্ডলিং আমার ভালো লাগতো না।
আপনার সেই খালাতো ভাই এর অভ্যেসটা আমারও জবর ছিল। এ অভ্যাসের দ্বারা আমি অসামান্য উপকৃত হয়েছি।
হারিয়ে যাওয়া দিন এবং দৈনন্দিন উপকরণাদি নিয়ে চমৎকার স্মৃতিচারণ। পোস্টে ত্রয়োদশতম প্লাস। + +
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢাকা শহরেও হাতল ঘুরিয়ে গাড়ির ইঞ্জিন চালু করার কথা জানা ছিল না।
ফোনের ক্রস কানেকশন নিয়ে যে ঘটনাটা বলেছি সেটা আসলেই আমার এক বন্ধুকে নিয়ে। এই ব্যাপারে আমার তেমন কোন অভিজ্ঞতা নেই। তবে ক্রস কানেকশন নিয়ে ভানুর এই কৌতুকটা শুনলে মজা পাবেন আশা করি।
রেডিও নিয়ে আপনিও মেতে থাকতেন বোঝা যাচ্ছে। আসলে ঐ যুগে বহির্বিশ্বের খবরাখবর জানার জন্য রেডিও একটা ভালো মাধ্যম ছিল। অনেক ধন্যবাদ প্লাস দেয়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
২৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: বুক পকেটে ঘড়ি রাখা মানুষ আমি চাক্ষুষ দেখেছি। আমাদের বাসায় একজন বয়স্ক মানুষ আসতেন, তিনি মাঝে মাঝে পকেট থেকে ঘড়ি বের করে সময় দেখতেন। তবে গাছে চড়ে পানিতে মলত্যাগের কথা আমি শুনি নি, চোখে দেখা তো দূরের কথা!
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার বাবা মায়ের কাছে বুক পকেটে ঘড়ি রাখার কথা শুনেছি আমি।
গাছের উপরে বসে প্রাকৃতিক কাজ সম্পাদনের ব্যাপারটা বিরল হলেও মনে হয় কিছু এলাকায় ছিল যেখানে জলাভূমি বেশী এবং যেখানে ঘরবাড়ি বছরের বেশীরভাগ সময় বর্ষার পানির দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকতো।
২৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ এর বাসার সাথে ফোনের ক্রস কানেকশনের ব্যাপারটা (১৪ নং প্রতিমন্তব্য) বেশ কৌতুহলোদ্দীপক।
"এই নিয়ে কথা হবে আরেকদিন" - এ নিয়ে শেরজা তপন আর কোন কথা বলেছিলেন কি, অন্য কোনদিন, অন্য কোনখানে?
১৮ নং প্রতিমন্তব্যের শেষাংশ পড়ে মজা পেলাম।
এসএসসি তে ভালো রেজাল্ট করার কারণে একটি শেফার্স ঝর্না কলম উপহার পেয়েছিলাম। সেটা অনেকদিনের জন্য 'গর্বের ধন' হিসেবে 'মাঝে মাঝে' ব্যবহার করতাম।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শেরজা ভাইকে আসলে মনে করিয়ে দিতে হবে যেন তিনি হুমায়ূন আহমেদের বাসার ফোনের সাথে ক্রস কানেকশন নিয়ে একটা পোস্ট দেন।
ঐ সময়ে উঠতি তরুণ ছেলেমেয়েরা ফোন নিয়ে অনেক দুষ্টুমি করতো। যোগাযোগের এটাই সহজ মাধ্যম ছিল অনেকের কাছে।
শেফারস কলম বেশ দামী কলম শুনেছি। তবে ব্যবহার করার সুযোগ হয় নাই।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পুরনো সবকিছুই সুন্দর ও ন্যচারাল। নতুন সব কিছুতে ফেক ফেক একটা ভাব আছে।