নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ব্যবসায়ী সালমান এফ রহমান সাহেব একবার ওনার ব্যবসায়ীক জীবনের শুরুর দিকের প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কথা বলছিলেন। আমরা জানি উনি অনেক ক্ষেত্রে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি এবং ওনার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । তারপরও ব্যবসায়ী হিসাবে সফল, তাই ব্যবসায়ীক বুদ্ধির ( কুবুদ্ধিও বলা যেতে পারে) সফল প্রয়োগের ক্ষেত্রে ওনার উদাহরণ দিচ্ছি। কারণ অনেক গল্পের মধ্যে শিক্ষণীয় বিষয় থাকতে পারে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে বড় ব্যবসায়ী তেমন বেশী কেউ ছিল না। এই সময় নতুন যারা ব্যবসা বাণিজ্যের দিকে ঝুকেছিল তারা সরকারি অফিসগুলিতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতেন। সালমান এফ রহমানের কোম্পানি ‘বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানি লিঃ (পরবর্তীতে বেক্সিমকো লিঃ)’ একবার বাংলাদেশের কোন এক ক্রেতার জন্য কোন একটা পণ্য বিদেশ থেকে আমদানির প্রয়োজনে মূল বিদেশী রফতানিকারকের (প্রিন্সিপ্যাল) স্থানীয় ইন্ডেন্টর (এজেন্ট) হয় । এই ইন্ডেনটিংএর অনুমতির জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারি অফিসে তিনি এবং তার পার্টনার যখন যান তখন সরকারি কর্মকর্তারা তাদেরকে শর্ত দেয় যে বিদেশ থেকে মূল প্রিন্সিপ্যাল (রপ্তানিকারক) সশরীরে না আসলে তারা অনুমতি দেবে না।
সালমান সাহেবরা তখন বিপদে পড়ে যান। কারণ এত সামান্য ব্যাপারে প্রিন্সিপ্যাল আসতে চাবে না এবং তাদের হাতে সময় খুব সীমিত ছিল। আবার অনুমতি না পেলে কাজটা হাত ছাড়া হয়ে যাবে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা কিছুতেই অনুমতি দেবেন না যতক্ষণ পর্যন্ত বিদেশী প্রিন্সিপ্যাল সশরীরে ওনাদের অফিসে না আসেন। সালমান সাহেবরা তখন নিরুপায় হয়ে একটা ফন্দি আঁটেন। তখন বাংলাদেশে একটা পুরনো লণ্ড্রী শপ (নামটা ভুলে গেছি) ছিল যেটা চালাত এক চাইনিজ নাগরিক। বহু বছর সে বাংলাদেশে আছে, বাংলাও সে জানে। ঐ চাইনিজ ব্যক্তি সালমান সাহেবদের পরিচিত ছিল। সালমান সাহেবরা ওনার কাছে গিয়ে ওনাকে অনুরোধ করলেন যে আপনি দয়া করে আমাদের বিদেশী প্রিন্সিপ্যাল সেজে আমাদের সাথে সরকারি অফিসে যাবেন। আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করলে আপনি শুধু ইয়েস আর নো বলবেন। বেশী কিছু জিজ্ঞেস করলে বলবেন নো ইংলিশ। ঐ চাইনিজকে তারা অনেক কষ্টে রাজি করায় এবং ফন্দি অনুযায়ী সেই সরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের সামনে নিয়ে যায়। উনি ইয়েস, নো আর নো ইংলিশ বলে কর্মকর্তাদের সন্তুষ্ট করে ফেলেন। আর সালমান সাহেবরা কাজটা পেয়ে যান।
এই গল্প উনি করেছিলেন এটা বোঝাতে যে প্রথম দিকে কত প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন ওনারা হয়েছেন। বাংলাদেশে প্রথম ফ্যাক্স মেশিন আমদানি নিয়েও একটা গল্প উনি বলেন। প্রথমে সরকারি অফিস থেকে বলা হয় যে এই মেশিন দেশের তথ্য পাচারে সহায়তা করবে। তাই এটা আমদানির অনুমতি দেয়া যাবে না। অনেক কষ্টে তারা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বুঝাতে সক্ষম হন যে এটা একটা অত্যন্ত দরকারি একটা জিনিস এবং এতে দেশের জন্য কোন ঝুকি নেই। সালমান সাহেব অনেক ক্ষেত্রে একজন বিতর্কিত ব্যক্তি হলেও ওনার ব্যবসায়ীক বুদ্ধি (অথবা কুবুদ্ধিও বলা যেতে পারে) যে অনেক ছিল এবং আছে এটা আমাদের স্বীকার করতে হবে। নিজের বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে তিনি বড় বড় ব্যবসায়ীক সমস্যার সমাধান করেছেন। তাই ব্যবসায় করতে গেলে শুধু টাকা যথেষ্ট না। ব্যবসায় সফলতার জন্য তীক্ষ্ণ বুদ্ধিরও প্রয়োজন পড়ে। বুদ্ধি দিয়ে অনেক বড় সমস্যার সমাধান করা যায় যা অনেক সময় টাকা দিয়ে করা যায় না।
বুদ্ধি (কুবুদ্ধিও বলা যেতে পারে) খাটিয়ে শূন্য থেকে অনেক কিছু অর্জনের আরেকটা গল্পটা হয়তো অনেকেই জানেন। তারপরও সেই গল্পটাও নীচে আবার দিচ্ছি। এখানেও নৈতিকতা হয়তো প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তারপরও সাধারণভাবে বুদ্ধি দিয়ে যে চমক দেখানো যায় সেটা বোঝাতেই গল্পটা বলছি।
পিতা আর পুত্রের মধ্যে কথোপকথন চলছে;
পিতাঃ বাবা, আমি তোমাকে আমার পছন্দ অনুযায়ী একটা মেয়ের সাথে বিয়ে দিতে চাই।
পুত্রঃ না বাবা, এটা আমার পক্ষে সম্ভব না। আমি আমার নিজের পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করতে চাই।
পিতাঃ মেয়েটা তো বিল গেটসের মেয়ে।
পুত্রঃ তাই নাকি। তাহলে আমি রাজি।
এরপর পিতা বিল গেটসের কাছে গেলেন। সেখানে গিয়ে বিল গেটসকে বলছেন;
পিতাঃ আমার ছেলের সাথে আপনার মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছি।
বিল গেটসঃ দুঃখিত। এটা তো সম্ভব না।
পিতাঃ আমার ছেলে তো বিশ্ব ব্যাংকের সিইও।
বিল গেটসঃ তাই নাকি। তাহলে তো কোন সমস্যা নাই। ধরে নেন বিয়ে পাক্কা।
এরপর পিতা গেলেন বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্টের কাছে। সেখানে গিয়ে বললেন;
পিতাঃ আমার ছেলেকে আপনার ব্যাংকের সিইও বানানোর অনুরোধ করছি।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্টঃ না। এটা তো সম্ভব না।
পিতাঃ আমার ছেলে কিন্তু বিল গেটসের জামাতা।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রেসিডেন্টঃ তাই নাকি। তাহলে ধরে নেন আপনার ছেলে সিইও হয়ে গেছে।
উপরের গল্প দুটি কতটা নৈতিক বা অনৈতিক সেই দিকে না গিয়ে আমার বক্তব্য হল অনেক ক্ষেত্রে বুদ্ধি আর কৌশলের সাহায্যে অনেক অসাধ্যকে সাধন করা যায় যা টাকা দিয়েও করা যায় না। কথায় বলে 'ইচ্ছা থাকিলে উপায় হয়'। তবে নৈতিকতা মেনে আমাদের বুদ্ধি প্রয়োগ করতে হবে। অন্যের ক্ষতি করে কিছু করা যাবে না। অনৈতিক পন্থার ফলাফল শেষ পর্যন্ত ভালো হয় না।
পোস্টের শিরোনামে প্রথমে 'বুদ্ধি' শব্দটা ছিল এখন সেটা পরিবর্তন করে 'কুবুদ্ধি' করে দিলাম। কারণ এই ক্ষেত্রে কুবুদ্ধি শব্দটাই মনে হয় সঠিক হবে।
ছবিঃ quotermaster.org
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সালমান সাহেবরা ঝুকি নিয়েই এই কাজ করেছিলেন। ব্যবসায়ীরা অনেক ঝুকি নিতে পারেন যা অন্যান্য আমজনতা পারে না।
এই কারণে বাংলাদেশে বর্তমানে ভদ্রলোকদের পক্ষে ব্যবসা করা কঠিন। পুরোপুরি সৎ থেকে বড় ব্যবসায়ী হওয়ার ঘটনা খুব বিরল।
তবে এ কথাও সত্য যে দেশের অনেক নিয়ম কানুন আছে যা ব্যবসায়ী বান্ধব না। আমাদের দেশের অনেক আইন মানুষকে চুরি করতে বাধ্য করে। দেশের ট্যাক্স আর ভিএটি ব্যবস্থার একটু গভীরে গেলেই বুঝতে পারবেন।
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
জুল ভার্ন বলেছেন: সালমান এফ রহমান নিঃসন্দেহে একজন সফল ব্যবসায়ী এবং দেশের অন্যতম বড়ো ব্যবসায়ী গ্রুপ। কিন্তু যারা একটু কাছে থেকে ওনাকে জানেন তারা ভালো করেই জানেন- তার ব্যবসায় সততা, নৈতিকতা বলতে কিছু নেই। ব্যাংকের টাকা লোপাট করে সরকারের আনুকুল্যে ব্যবসায়ীক সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন.....
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত। আমি ওনার সম্পর্কে মোটামুটি অনেক কিছুই জানি। তবে ওনার মেধাকে উনি খারাপ পথে ব্যয় করেছেন। উনি ভালো পথে মেধা ব্যয় করলেও সফল হতে পারতেন। বেক্সিমকো গ্রুপের প্রকৃত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তেমন নাই বললেই চলে। নাম সর্বস্বভাবে চলছে কিছু প্রতিষ্ঠান। সরকারের সুবিধা নিয়ে এই গ্রুপ অনেক কিছু করেছে এবং করছে। ওনারা ব্যবসা বলতে বুঝেন সরকারের বিশেষ পক্ষপাতিত্ব। তবে বেক্সিমকো ফার্মা নিজে থেকেই ভালো করছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের রুমে গিয়ে দুর্ব্যবহারের কারণে ব্যাংকগুলি বেক্সিমকো থেকে দূরে সরে যায় এক সময়। এই খেসারত উনি এখনও দিচ্ছেন। ওনাদের নিয়ন্ত্রিত ব্যাংক ছাড়া কেউ বেক্সিমকোকে ঋণ দিতে ভয় পায়।
৩| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মিরোরডডল বলেছেন:
এই যে বুদ্ধির ঢেঁকি, সঠিক বানান হবে ফ্যাক্স ।
ঠিক করে নিলে ভালো হয় ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এত মধুর ভাষায় পরামর্শ দিল মিরোরডডল। বানান ঠিক না করে আর উপায় নাই। ফ্যাক্স যে কিভাবে ফাক্স হয়ে গেল বুঝতে পাড়ছি না। ফ্যাক্স ই তো লিখেছিলাম মনে পড়ে। এত বানান ছেড়ে মিরোরডডলের এই বানানেই দৃষ্টি পড়লো। আরও তো কিছু বানান ভুল আছে মনে হচ্ছে। যাই হোক কয়েক মিনিটের মধ্যে বানান ঠিক করে দিচ্ছি। অনেক ধন্যবাদ মিরোরডডলকে এই ধরণের ভয়ংকর বানান ভুল ধরিয়ে দেয়ার জন্য।
৪| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০
নতুন বলেছেন: বুদ্ধি থাকলে অবশ্যই ব্যবসায় উন্নতি করা যায়।
কিন্তু সততার সাথে ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া যায় না।
সফল ব্যবসায়ীদের সবাই কোন না কোন ভাবে একটা সুবিধা কারুর কাছ থেকে পেয়েই দ্রুত উপরে উঠতে পেরেছিলেন।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের ব্যবসায়ীক জগতের যে অবস্থা কোন ভদ্রলোকের পক্ষে সততার সাথে ব্যবসা করে এক প্রজন্মে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া বলতে গেলে অসম্ভব একটা ব্যাপার। এখনকার জমানায় ব্যবসা মানে সরকারের সাথে লাইন। সবচেয়ে দ্রুত টাকা বানানো যায় ব্রোকারি (দালালি) ব্যবসা করে। সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা হল ম্যানুফ্যাকচারিং। এজেন্সি ব্যবসাও ভালো যদি পরিশ্রম করা যায় আর ঘটে বুদ্ধি থাকে।
তবে বাংলাদেশের অনেক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী মাথার ঘাম পায়ে ফেলে বড় হয়েছেন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে। তবে তারা ১০০% সৎ ছিলেন এটা হলপ করে বলা যাবে না। বাংলাদেশে আসলে ১০০% সৎ থেকে ব্যবসা আপনি করতে পারবেন না। সরকারের অনেক নিয়ম কানুনও আপনাকে অসৎ হতে বাধ্য করবে।
৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪
মিরোরডডল বলেছেন:
চাইনিজকে প্রিন্সিপাল হিসাবে দেখানোতে তাদের কতোটা বুদ্ধি প্রমান হয়েছে জানিনা কিন্তু সরকারি কর্মকর্তারা যে গাধা ছিলো এটা প্রমান হয়েছে ।
বললো আর প্রিন্সিপাল মনে করে নিলো, কোন যাচাই বাছাই নেই, ভেরিফিকেশন নেই এতো ইজি !!!
তারা রামগাধা ছিলো বলেই সালমানদের কাজটা বুদ্ধি বলে বিবেচিত হয়েছে ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ঘটনা সম্ভবত ১৯৭০ দশকের শেষের দিকের কথা। তখন বাংলাদেশের আমলারা এত দক্ষ হয়ে ওঠেনি। নিয়ম কানুনের মধ্যে অনেক ফাক ফোকর ছিল। সালমান সাহেবদের অন্যান্য কাগজপত্র ঠিক ছিল। প্রিন্সিপ্যালকে সরাসরি কর্মকর্তার সামনে আসতে হবে এই ধরণের কোন নিয়মও ছিল না। এটা ছিল কর্মকর্তাদের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা মাত্র। তারা ভরসা পাচ্ছিল না। অথচ কাগজপত্র দেখেই ছেড়ে দেয়ার নিয়ম ছিল। প্রিন্সিপ্যালকে নিয়ে আসার নির্দেশটা ছিল কর্মকর্তাদের বাড়াবাড়ি। সালমান সাহেবরা ঝুকি নিয়েই এই কাজ করেছেন। কয়েক বছর আগে একটা মিলনায়তনে সালমান সাহেব বহু গণ্যমান্য লোকের সামনে ওনার এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। আমি নিজের কানে শুনে বর্ণনা করলাম মাত্র। আমি ছাড়া বাকিরা গণ্যমান্য ছিল অবশ্য। উনি মিথ্যা কথা বলেছেন কি না এটা আমার পক্ষে যাচাই করা সম্ভব না।
আর রামছাগল হয় শুনেছি। রাম গাধাও আছে এটা জানা ছিল না।
৬| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: বাংলাদেশে সৎ ভাবে টাকা আয় করা যায়না। গেলেও অধিকাংশ মেয়েরা অসৎ ভাবে যারা টাকা ওয়ালা তাদের বিয়ে করে। বুদ্ধি আছে কি নাই তার চেয়ে টাওয়ালা নাকি ফকির তা বেশি গুরুত্ব পায়।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যবসা করতে হলে ১০০% সৎ থাকতে পারবেন না। এমন কি দেশের অনেক আইন আপনাকে অসৎ হতে বাধ্য করবে।
শুধু মেয়েরা না অনেক ছেলেও অবৈধভাবে অর্জিত টাকাওয়ালা পরিবারের সাথে সম্পর্ক করতে চায়। যদিও এটা করা উচিত না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে বাংলাদেশে এটা হচ্ছে।
৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০৯
মিরোরডডল বলেছেন:
একজন বুদ্ধিমান মানুষ জীবনে সফল হবে, কোন না কোনভাবে সাফল্যের রাস্তা খুঁজে নিবে, বিজনেস করলে বুদ্ধি দিয়ে অনেক টাকার মালিক হবে, সবই ঠিক আছে, বুঝলাম কিন্তু বুদ্ধি না থাকলে শুধু টাকা থাকলে হবে না, এটা মনে হয় ঠিক না ।
স্বল্পবুদ্ধির অল্প শিক্ষিত মানুষও অনেক ভালো করতে পারে যদি টাকা থাকে ।
টাকা দিয়ে সে ট্যালেন্ট মেধাবী ম্যানেজার, কনসালট্যান্ট হায়ার করবে ।
ট্যালেন্ট মেধাবীদের দিয়ে বিজনেস রান করিয়ে অনেক সাকসেসফুল হতে পারে ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিদেশের প্রেক্ষাপটে মিরোরডডলের কথা হয়তো ঠিক আছে। কিন্তু বাংলাদেশে অনেক ব্যবসার পতনের মূল কারণ অন্য লোকের উপর নির্ভরশীলতা। অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসার পতন হয়েছে মালিক সময় দিতে না পারার কারণে। এখনও বাংলাদেশের অনেক গ্রুপ অব কম্পানিজ ডুবে যাচ্ছে কারণ ব্যবস্থাপনায় ধূর্ত লোক রাখা হয়েছে। মূল মালিকের বয়স হয়ে গেলে সেই ব্যবসার পতন হতে থাকে। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা নিজের ভাই বোনকেও বিশ্বাস করতে চায় না। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীক জগতের বড় একটা সমস্যা বিশ্বাস রাখতে না পারা। অনেকে ব্যবসা নিজে বোঝে না এবং অন্যের উপর নির্ভর করে। কয়েক বছর ঠিক মত চলে তারপর এক সময় দেখা যায় মালিককে ঠকিয়ে আরেকজনে ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছে। এটা বাংলাদেশের একটা কমন সমস্যা। বাংলাদেশের খুব কম পার্টনারশিপ ব্যবসা দীর্ঘস্থায়ী হয়। এই দেশের মানুষ অন্যের মাথায় কাঁঠাল ভাঙতে ওস্তাদ। টাকা অন্যের পকেটে গেলে বাংলাদেশে সেই টাকা আদায় করা খুব কঠিন।
৮| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- চমৎকার লিখেছেন। পোস্টে প্লাস রইলো।
- নিচের গল্পটা জানা থাকলেও উপরের গল্প দুটি জানা ছিলো না।
- আমি একবার অনেক বছর আগে কলকাতা থেকে একটি টেলিস্কোপ নিয়ে এসেছিলাম। রাস্তায় আমাকে কয়েকবার বাস থেকে নামানো হয়েছিলো ওটি কি জিনিস, কি কাজে লাগে সেটি বুঝানোর জন্য।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সালমান সাহেব একটা অনুষ্ঠানে অনেক মানুষের সামনে ওনার জীবনের এই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছিলেন। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীক জগতে ধূর্ত লোকের প্রতিযোগিতা চলে। কে কাকে কিভাবে ল্যাং মারবে এটাই ব্যবসার সফলতার মূল বিষয়। আর দরকার হয় সরকারী পক্ষপাতিত্ব।
বিল গেটসের গল্পটা শুনেছিলাম ২০০৫ সালে। বাংলাদেশের আমলাতন্ত্র ব্যবসায়ী বান্ধব কখনও ছিল না।
৯| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৭
সোনাগাজী বলেছেন:
সালমান রহমানকে বুদ্ধিমান না'হলে, কুবুদ্ধিমান বলে আপনার পোষ্ট লিখলে পোষ্ট সঠিক হতো। অনেক চীনাম্যান, অনেক চীনাজমি ও অনেক চীনাসম্পদের বিপরিতে ঋণ নিয়ে, নতুন বাংলাদেশের 'শিল্প ব্যাংক'কে খালি করে নিয়েছিলো; ফলে, অন্যেরা কেহ ঋণ পায়নি নতুন দেশে; সেটার ফল, আজকের বেকারের হার।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুঃখজনক হল সালমান সাহেবের মতই কুবুদ্ধি সম্পন্ন বাংলাদেশের বেশীরভাগ অন্য বড় ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশে সৎ ব্যবসায়ী খুঁজে পাওয়া দুষ্কর এই যুগে। এই কারণেই এই দেশের প্রাইভেট সেক্টরের এই অবস্থা। বড় বড় গ্রুপের মালিকেরা তাদের সব টাকা বিদেশে নিয়ে রেখেছেন। আর এই দেশে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলিকে দেখাচ্ছেন রুগ্ন এবং ঋণ পরিশোধ করতে অক্ষম।
ব্যাংক ডাকাতি কিভাবে করতে হয় এটা সালমান সাহেব তার পরবর্তী প্রজন্মের ব্যবসায়ীদের শিখিয়েছেন।
০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোস্টের শিরোনাম পরিবর্তন করে 'বুদ্ধির' জায়গায় 'কুবুদ্ধি' দিয়ে দিলাম আপনার পরামর্শ অনুযায়ী। কুবুদ্ধি শব্দটাই সঠিক মনে হচ্ছে।
১০| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪০
মনিরা সুলতানা বলেছেন: হ্যাঁ কুবুদ্ধি খাঁটিয়ে অন্যান্য ব্যাবসায়িদের ইমেজের অবস্থা টাইট করে দেয়।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সালমান সাহেবের মত কুবুদ্ধি আর কোন ব্যবসায়ীর আছে কি না সন্দেহ। উনি ওনার মেধা খাটিয়ে সৎ পথেই অনেক দূর যেতে পারতেন। কিন্তু সোজা সরল পথ ওনার পছন্দ না। সব সময় উনি সরকারের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিতে ওস্তাদ। ওনার দেখাদেখি পরের প্রজন্মের ব্যবসায়ীরাও সেই পথেই হাঁটছেন।
১১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১৫
রেজাউল৮৮ বলেছেন: চাইনিজ লন্ড্রি টির নাম লিফা- Lihua
সালমান রহমান সাহেব ব্লগে কেন লিখেন না তা বুঝতে পারলাম ব্লগ মগজহীন লোকদের জায়গা (শমসের সাহেব ব্যতিক্রম ) । এক ঘরমে দুই পীরের মত এক ব্লগে দুইজন মগজ যুক্ত লোক না থাকাই ভালো।
"কয়েক বছর আগে একটা মিলনায়তনে সালমান সাহেব বহু গণ্যমান্য লোকের সামনে ওনার এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। আমি নিজের কানে শুনে বর্ণনা করলাম মাত্র। আমি ছাড়া বাকিরা গণ্যমান্য ছিল অবশ্য।"
এই অংশটা চ্রম হইছে।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লণ্ড্রীর নাম বলার জন্য ধন্যবাদ। সম্ভবত আপনি ঠিক বলেছেন। সালমান সাহেবের মাথায় বুদ্ধি না থাকলে উনি ব্যবসায়ীদের নেতা হতে পারতেন না। তবে সালমান সাহেব সরকার থেকে অনেক অবৈধ সুবিধা নিয়েছেন বিভিন্ন সময়। ভদ্র থেকে বাংলাদেশে ব্যবসা করা সম্ভব না। ব্যবসার পরিবেশটাই কলুষিত।
১২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:০৩
শেরজা তপন বলেছেন: তিনি অনেক চতুর লোক। তার চাতুর্যতার কাছে ধরাশায়ী হয়েছেন অনেক জাঁদরেল ব্যাবসায়ী।
ব্যবসায়িক কূটবুদ্ধিটায় 'তিনি বস অফ দ্য বসেস'!!
শুরুটাই করেছেন বড় ধরনের অপকর্ম দিয়ে!
অবশ্য যত দেশ তদাচার'। সবার শুরুটাই এমন না হলেও করতে হয় ঘুষ দিয়ে।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি চতুর বলেই উনি ব্যবসায়ীদের নেতা। বাংলাদেশে চতুর না হলে ব্যবসায় ভালো করা যায় না। হয়তো কিছু ব্যতিক্রম থাকতে পারে। তবে এই কারণে উনাকে সমর্থন করা যাবে না। অন্যায়কে সমর্থন দেয়া ঠিক হবে না। বাংলাদেশের ব্যবসার পরিবেশ কলুষিত।
বাংলাদেশে অনেক আইন এমনভাবে বানানো যে ব্যবসায়ীদের পক্ষে ভালো থাকা সম্ভব হয় না। আর ব্যবসায়ীরাও রাতারাতি বড়লোক হওয়ার প্রতিযোগিতা করে থাকেন।
১৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:১২
বিটপি বলেছেন: সালমান সাহেবের ঘটে যদি সামান্যতম বুদ্ধিও থাকত, গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে এই ঘটনা শেয়ার করতেন না। একজন বুদ্ধিমান ব্যবসায়ী কখনোই এরকম পরিস্থিতিতে সস্তা বুদ্ধি প্রয়োগ করতেন না। তিনি হয় আইনের রাস্তায় যেতেন, না হয় টাকা পয়সা দিয়ে ম্যানেজ করে ফেলতেন। ওনার মধ্যে মুই কি হনুরে টাইপ ভাব এসে গিয়েছে বলে এরকম থার্ড ক্লাস মার্কা রদ্দি বুদ্ধি জনগণকে বিতরণ করতে পারছেন।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সালমান সাহেব এগুলি পরওয়া করেন না। এই কারণে বলতে দ্বিধা করেননি। আরও অনেক বড় বড় অপকর্ম করেছেন তাই এগুলি ওনার কাছে কোন ব্যাপারই না।
কুবুদ্ধি ওনার মাথাতে বেশী বলেই সরকারী সুযোগ কাজে লাগিয়ে বড় লোক হয়েছেন। ঘটে বুদ্ধি কম থাকলে এত বড় হতে পারতেন না। বাংলাদেশে কুবুদ্ধির লোকেরাই ব্যবসায় ভালো করছে।
১৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৪৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশে ব্যবসায় উন্নতি করতে চাইলে বুদ্ধির কোন দরকারই নাই। এখানে অনেক বেশী জরুরী হচ্ছে অনৈতিকতা, বিবেকহীনতা এবং ভন্ডামি। দরবেশ সালমান এফ রহমান এর উৎকৃষ্ট উদাহরন।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথার সাথে একমত। তবে বাংলাদেশে কিছু গার্মেন্টস ব্যবসায়ী অনেক পরিশ্রম করে মধ্যবিত্ত অবস্থা থেকে অনেক বড় হয়েছেন। তারা ১০০% সৎ ছিলেন এটা বলছি না। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ১০০% সৎ থেকে কেউ বড় ব্যবসায়ী হতে পারবে না। কারণগুলি আপনি বলেছেন আপনার মন্তব্যে।
১৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৪
অপ্সরা বলেছেন: আমার মনে হয় পশুপাখিদের মধ্যে ব্যবসা বানিজ্য করতে দিলে সবচেয়ে ভালো করতো শেয়াল পন্ডিৎ।
এই লেখা পড়ে আমার মামার জয় গল্পটা মনে পড়লো।
এক বনে বাঘকেও শেয়াল মামা ডাকতো আবার সিংহকেও শেয়াল মামাই ডাকতো।
তো শেয়াল গেলো বাঘের কাছে বাঘমামা বাঘমামা সিংহ কত শয়তান জানেন বলে আপনি নাকি কিছুই না।
আবার সিংহকে গিয়েও বললো সিংহ মামা সিংহ মামা বাঘ কত বড় শয়তান জানেন বলে আপনি নাকি তার কাছে পিঁপড়া।
শুভক্ষন দেখে দুজনের মারামারি লাগিয়ে দিলো।
আর দূরে দাঁড়িয়ে তালি দিচ্ছিলো মামার জয় মামার জয়। মারো মামা ধরো মামা শেষ করে দাও মামা
সিংহ ভাবলো তাকে উৎসাহ দিচ্ছে। বাঘও ভাবলো তাকে।
তারপর দুইজন মারামারি করে মরলো আর শেয়াল নিশ্চিন্ত মনে মুরগী কাঁঠবেড়াল ধরে ধরে খেতে লাগলো।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পর্যবেক্ষণ সঠিক। আপনার গল্পটাও অনেক শিক্ষণীয় বটে। বাংলাদেশে কুবুদ্ধির লোকেরা দ্রুত উপরে উঠে যায়। কুবুদ্ধি মাথায় থাকলে শূন্য থেকে দ্রুত অনেক বড় হওয়া যায়। আর সুবুদ্ধি দিয়ে উপরে উঠতে অনেক সময় লাগে। বাংলাদেশে শুধু ব্যবসা বাণিজ্য না সব পেশাতেই নীতি নৈতিকতা নির্বাসনে গেছে। অনেক সম্মানজনক পেশা যেমন চিকিৎসক, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি পেশার মধ্যেও নীতিহীনতা আর অসততা প্রবেশ করেছে। চিকিৎসক আর শিক্ষককে আগে মানুষ সম্মান করতো আর এখন ভয় পায়।
১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:১৭
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় সাচু ভাই,
আমাদের বেশকিছু আত্মীয় স্বজন আছে ওপারে। তাদের মধ্যে একজন হলেন আমার বড় মামা। খুলনায় থাকেন । ওনাকে আমি সেই ছোট থেকে খুব শ্রদ্ধা করি।উনি বলতেন বড় হয়ে পাসপোর্ট করে যেন ওনার বাসায় ঘুরে আসি। এবার ঢাকায় গেলে মামার বাড়তে যাওয়ার ইচ্ছা আছে। বাকিটা উপর ওয়ালানির্ভর। এপারে এলে আমি মামার কাছ থেকে গল্প শুনতাম।এই মামাকে দেখতাম অসম্ভব বঙ্গবন্ধুর ভক্ত। কিন্তু ওনার মেয়ের প্রতি আস্থাহীন।তো সেই মামা বাংলাদেশের শিল্পপতি হিসেবে প্রথম সালমান সাহেবের কথা বলেছিলাম। কিন্তু একথাও বলতেন দেশ ভৌমিক স্বাধীনতা পেলেও সালমান সাহেবদের মতো লোকজনের অসদাচরণের ফলে প্রকৃত স্বাধীনতা পেতে অনেক দেরি হবে।ও আর একটা কথা। আমি ড ইউনিস খানের প্রসঙ্গ তুললে উনি আরো রেগে গিয়ে বলেন বাংলাদেশের সাইলোক।আজ আপনার পোস্টে আমি আমার মামার মতামত তুলে ধরলাম।
ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা আপনাকে।
১৩ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পদাতিক দা, সালমান সাহেবরা এই দেশের ব্যবসার জগৎকে কলুষিত করেছে। ওনাদের মেধাকে খারাপ রাস্তায় ব্যবহার করেছে।
আপনার মামার মতামত ঠিক আছে। ডঃ মুহম্মদ ইউনুস সাহেবের ভালো দিক খারাপ দিক দুইটাই আছে।
আপনার লেখা আঁধারে আলোর প্রথম পর্বটা শুধু পড়েছি। বাকিগুলি সময় করে পড়ব ইনশাল্লাহ। তারপর মন্তব্য করবো।
১৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:৪৮
সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন:
বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে যে লুন্ঠন পক্রিয়া চালু রয়েছে তারই আপডেট ভার্সন আমাদেরকে দেখতে হয় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে। স্বাধীনতার পূর্বে যে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভালো ছিলেন তাও ঠিক নয়, ভালো খারাপ কেউওই তখন পাক্কিদের কারণে ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারেননি। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তীতে আমরা আশা করেছিলাম, তারা হয়ত তাদের চিন্তা চেতনায় সাধারণ বাঙালিদের জন্য কিছুটা জায়গা রাখবে। কিন্তু না, তারা তখন পেয়েগেলো এক অসীম স্বাধীনতা। পুজিবাদের কাছে নিজেরা এভাবে বিক্রি হল যে, সংবিধানের সমাজতান্ত্রিকতাও চরমভাবে বেইজ্জত হয়ে বাঙলাদেশ থেকে ভাগতে চাইলো। কিন্তু ততদিনে 'সমাজতান্ত্রীক' শব্দটাকে আমরা বন্দি করে ফেলেছি। শুধু শব্দটাকেই। আর পুজিবাদের কাছে বিক্রি করেছি নিজেদের সকল নৈতিকতা। বুদ্ধি বলতে তখন আমরা গ্রহণ করে নিয়েছি যতসব কুবুদ্ধি আছে তার সবটুকু। আর এটারই প্রতিযোগিতা চলছে বর্তমানে। (রাজনীতিবিদেরাও কম যায় না!) খুব অল্পসংখ্যক ব্যবসায়ী আছেন, যারা ন্যায় নীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নিজেদের নৈতিকতার সাহায্যে সুবুদ্ধি প্রয়োগ করে ব্যবসার মাধ্যমে জনগণের পাশে দাঁড়াচ্ছেন।
চরম লজ্জার কথা হচ্ছে, এই কুখ্যাত নৈতিকতাহীন কুবুদ্ধিপূর্ণ লোকেরাই আবার তাদের কুটচালকে সমাজে সুবিদ্ধির রূপ দিতে চায়। এটা তারা গর্বের সাথে প্রকাশ করে। আর আমাদের মিডিয়া বাতরুমের টিস্যুর মত এদের মল-মুত্র গায়ে নিয়ে চাকচিক্যময় সাজার চেষ্টা করে। পাছে সাধারণ মানুষের সামনে মলমুত্রের থলিকে স্বর্ণের থলি বলে পরিচয় করিয়ে দেয়। ধিক্
আপনি শুভকামনা ও ভালোবাসা জানবেন।
১৪ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাজুল ভাই আপনি বেশ কিছু মূল্যবান কথা বলেছেন। স্বাধীনতার পরে আমাদের ব্যবসায়ী আর রাজনীতিবিদদের দেশপ্রেমিক হওয়ার কথা ছিল। এটা ছিল সময়ের দাবি। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হল এরা পুজিবাদ আর অপরাজনীতিকে বেছে নিল এবং দেশপ্রেমকে দূরে ঠেলে দিল। সংবিধানে সোশালিজম থাকলেও বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যে সাম্যের কোন ছোঁয়া লাগেনি কখনই এই সব খারাপ ব্যবসায়ীদের জন্য। বরং পুঁজিবাদের খারাপ দিকগুলি হয়ে গেল অপব্যবসায়ীদের জন্য আশীর্বাদ। আমাদের মিডিয়াও এদেরকে প্রশংসা করে নিজেরা ভালো সাজতে চায়। অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যের জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা।
১৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: কুবুদ্ধি কুবুদ্ধিই, যা শঠতার নামান্তর। যতই মেধা থাক, এমন কুবুদ্ধিওয়ালারা পরিতাজ্য। একদিন না একদিন এমন কুবুদ্ধির জন্য তাদের মাশুল গুণতে হয়।
বানানে একটা য-ফলা শব্দটির অর্থে কি ভয়ঙ্কর তারতম্য ঘটাতে পারে, তা মিরোরডডল 'মধুর ভাষায়' চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে না দিলে এবং আপনি সময়মত সম্পাদনা করে না নিলে হয়তো আপনাকে অনেক বিব্রতকর বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হতো!
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, মিরোরডডল, অপ্সরা, সোনাগাজী, সৈয়দ তাজুল ইসলাম প্রমুখের মন্তব্যগুলো ভালো লেগেছে। আপনার প্রতিমন্তব্যগুলোও। + +
৩০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুঃখজনক ব্যাপার হল বাংলাদেশের ব্যবসায়ী জগতে এই ধরণের কুবুদ্ধি বিশিষ্ট লোকের সংখ্যা বেশী।
মিরোরডডল বলাতে সঠিক সময়ে সংশোধন হয়েছে। ফলে বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানো গেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বুদ্ধির সাথে অনৈতিকতা জড়িত হয়ে গেলে সেটা আদতে শঠতাই হয়ে যায়। প্রতারণা, বা দুর্নীতি, চালাকি।
প্রথম গল্পটায় চাইনিজকে প্রিন্সিপাল হিসাবে দেখানোয় অনেক ঝুঁকি ছিল। তার পাসপোর্ট, ডেট অব অ্যারাইভাল, এগুলো চেক করলে তো থলের কুত্তা বেরিয়ে যাওয়ার কথা
তবে, নৈতিকভাবে শ্রম ও বুদ্ধি দিয়ে বড়ো হবার সত্যিকার ঘটনাও পাওয়া যাবে। সেই বড়ো হওয়া যে কেবল ন্যাশনাল বা ইন্টারন্যাশনাল ফিগারে বড়ো হওয়া বোঝায়, তা না, পারিবারিক বা সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠা হওয়াও বোঝায়।
তবে, আজকের দিনে, শুধু বুদ্ধি দিয়ে কিছু করতে পারা খুব দুঃসাধ্য, তার সাথে নীতি বিসর্জন বা দুর্নীতি সম্পৃক্ত থাকাটা আবশ্যিক শর্ত।