নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের সমাজে স্ত্রীর বয়স স্বামীর চেয়ে বেশী হলে মানুষ পিছনে কানাঘুষা করে। যদিও সামনে হয়তো কিছু বলে না। কিন্তু আসলেই কি এটা আদৌ কোন সমস্যা। আমার মনে হয় না। স্বামী বা স্ত্রী তাদের পছন্দ মত বিয়ে করেছে। সমস্যা যদি হয় তাদের হবে। অন্য মানুষের সমস্যা হওয়ার কথা না। আসলে আমাদের সমাজে একটা অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে যে স্ত্রীর বয়স হবে স্বামীর চেয়ে কম। বিয়ে শাদীর সম্বন্ধ খুঁজতে গেলে আমরা মেয়ে আর ছেলের বয়সের পার্থক্যটা খুব ভালো করে দেখে থাকি। আবার অনেক ছেলে বা মেয়ে নিজের চেয়ে ৪/৫ বছরের ছোট (ছেলের ক্ষেত্রে) বা বড় (মেয়ের ক্ষেত্রে) পাত্রি বা পাত্র খুঁজে থাকে। এটার কোন দরকার আছে কি না সেটা নিয়েও আমার মনে প্রশ্ন আছে।
আমাদের সমাজে যেহেতু ছেলের দায়িত্ব সংসার চালানোর তাই ছেলেকে অবশ্যই উপার্জনক্ষম হতে হবে এবং সংসার চালানোর সামর্থ্য থাকতে হবে। মেয়ের ক্ষেত্রে আয়, রোজগার করাটা জরুরী না। যেহেতু ছেলেকে উপার্জনক্ষম হতে হয় তাই স্বাভাবিকভাবেই ছেলের বিয়ের উপযুক্ত হতে মেয়ের চেয়ে দেরী হয়। হয়তো এই কারণে এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আশা করা হয় যে ছেলের বয়স মেয়ের চেয়ে বেশী হবে। অনেক ক্ষেত্রে বয়সের পার্থক্য থাকাটাও (ছেলে মেয়ের চেয়ে কয়েক বছরের বড় হতে হবে) আমরা প্রয়োজন মনে করি। আমার মতে ছেলে আর মেয়ে বিয়ের উপযুক্ত হলে এবং যদি উভয়ে উভয়কে পছন্দ করে সেই ক্ষেত্রে অন্যান্য সামাজিক বাঁধা আসলে কোন বাঁধা না। সংসার তো সমাজ করবে না। ‘মিয়া বিবি রাজি তো কেয়া কারেগা কাজী’। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মিল মহব্বত থাকলে এই সব সামাজিক প্রতিবন্ধকতা আসলে কোন প্রতিবন্ধকতা না।
অনেক সেলিব্রেটি এই ধরণের প্রতিবন্ধকতাকে থোড়াই কেয়ার করে। ফলে দেখা যায় এরা যখন ১ম, ২য়, ৩য় বা ৪র্থ বিয়ে করে তখন পাত্র বা পার্টির বয়স নিয়ে তারা মাথা ঘামায় না।
সুত্র – কোন সুত্র নাই। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা
ছবি – এটা আমার বিয়ের ছবি না। ছবির সুত্র হল - EXPRES.CO.UK
১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিয়ের ক্ষেত্রে অনেক কিছু বিবেচনায় আনতে হয়। আপনার মন্তব্যে সেই বিষয়গুলির কথাও উঠে এসেছে। আপনি বয়স বেশী বা কম হওয়ার সুবিধা এবং অসুবিধা দুইটাই বলেছেন। আপনার মন্তব্যটা ভালো লেগেছে। আমি এত গুছিয়ে লিখতে পারিনি আমার লেখায়।
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৪০
ট্র্যাকার বলেছেন: অধিকাংশ মেয়েরা নিজেদের চেয়ে কম বয়সী ছেলেদের স্বামী হিসেবে মানতে নারাজ।অনেক মেয়েই মনে করে স্বামী মানে যেন প্রভু।যদিও আজকাল অনেকে এসব বাধা ভেঙে দিচ্ছে, তবুও অধিকাংশ নারীরাই নিজেদের চেয়ে বেশি বয়সের পুরুষদের পছন্দ করে।কেন করে জানিনা,তবে এরকম ট্যাবু গুঁড়িয়ে দেয়া উচিৎ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সম্ভবত সামাজিক কারণে মেয়েরা তাদের চেয়ে বয়সে বড় স্বামী চায়। সামাজিক কারণ না থাকলে অনেক মেয়েই হয়তো ভিন্ন চিন্তা করতো। তবে অর্থনৈতিক কারণও মনে হয় একটা কারণ। কারণ ছেলেদের প্রতিষ্ঠিত হতে হতে বয়স বেশী হয়ে যায়। যুগের সাথে সাথেও বিয়ের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন হয়েছে বিভিন্ন জাতির মধ্যে। কম বয়সের ছেলেকে বিয়ে করতে যে প্রতিবন্ধকতা এটাকে এক ধরণের ট্যাবু বলা যেতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটা কোন বাধা না।
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার সঙ্গে সহমত পোষণ করছি প্রিয় সাচ্চু ভাই। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে যদি নিজেদের মধ্যে কোন সমস্যা না হয় তাহলে বয়স নিয়ে আত্মীয় স্বজন প্রতিবেশীদের মাথা ঘামিয়ে দুশ্চিন্তা করার কোন কারণ দেখি না।
সেলিব্রেটিদের মধ্যে সারা জীবন ধরে একজনের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকার প্রবণতা না থাকার জন্য তারা হরহামেশাই বিয়ে করে এবং তুচ্ছ বা অতিতুচ্ছ কারণেই ডিভোর্স নেয় কাজেই আজকের দিনে সিলেবরা সমাজের মিনিস্ট্রিমে উদাহরণ হিসেবে আসতেই পারেন না বলে আমার ধারণা।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সেলিব্রেটিরা প্রত্যেকেই অর্থনৈতিকভাবে অনেক সচ্ছল এই কারণে এদের বিয়ে বা তালাক কোনটার সিদ্ধান্ত নিতেই তেমন বেগ পেতে হয় না। খুব কম সেলিব্রেটিই আমাদের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। বরং এদের অনেক কাজ কারবার আমাদের সমাজের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।
আপনার গল্পের দ্বিতীয় পর্ব অর্ধেক পড়েছি যখন পথে ছিলাম। দুই চার দিনের মধ্যে ২য় পর্বের বাকি অংশ এবং ৩য় পর্ব পড়ে ফেলব। তারপর মন্তব্য করবো। যতটুক পড়েছি বেশ ভালো লেগেছে। এখনও বিয়ের হানিমুন পিরিয়ড চলছে তাই সো ফার সো গুড।
৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৫৫
নতুন বলেছেন: আসলে আমাদের সমাজে একটা অলিখিত নিয়ম হয়ে গেছে যে স্ত্রীর বয়স হবে স্বামীর চেয়ে কম। বিয়ে শাদীর সম্বন্ধ খুঁজতে গেলে আমরা মেয়ে আর ছেলের বয়সের পার্থক্যটা খুব ভালো করে দেখে থাকি। আবার অনেক ছেলে বা মেয়ে নিজের চেয়ে ৪/৫ বছরের ছোট (ছেলের ক্ষেত্রে) বা বড় (মেয়ের ক্ষেত্রে) পাত্রি বা পাত্র খুঁজে থাকে। এটার কোন দরকার আছে কি না সেটা নিয়েও আমার মনে প্রশ্ন আছে।
ছোট বয়সের বউ স্বামীর কথা মতন চলবে।
বিশ্বের ২য় বৃহত্তম ধর্মের সবচেয়ে সন্মানীত ব্যক্তি যাকে সকল অনুসারী অনুসরন করেন তিনি কিন্তু তার চেয়ে অনেক বেশি বয়সী ২ বার বিধবা হবার পরে তাকে বিবাহ করেন এবং তার সাথে সবচেয়ে বেশি দিন সংসার করেন।
মজার বিষয় হইলো এই উদাহরন কিন্তু তার অনুসারীরা অনুসরন করেনা এবং এই সুন্নাহ অনুসরনের জন্য কোন প্রচারনাও আলেমরা করেন না।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছোট বয়সের বউ যে স্বামীর কথা মত চলবে এমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। দাম্পত্য জীবনে মিলেমিশে বুঝে শুনে চলতে হয়। এখানে বয়সের চেয়ে বড় ব্যাপার হল পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়া। ছেলেদের দিক থেকে যদি ধরে নেই যে আপনার প্রথম বক্তব্যটা ঠিক তাহলে মেয়েদের তো তাদের চেয়ে কম বয়সী ছেলে খোঁজা উচিত যেন তারা কর্তৃত্বের স্বীকার না হয়। কিন্তু ঘটনা ঘটছে উল্টা। সাধারণত মেয়েরাও তাদের চেয়ে বয়সে বড় ছেলে খোঁজে। আপনার কথার সাথে এটার মিল পাচ্ছি না।
রসুল (সা) কর্তৃক তাঁর চেয়ে অধিক বয়সের নারীকে বিবাহ করাকে সুন্নাহ বলা যাবে না। কারণ হল রসূল (সা) ওনার (সা) চেয়ে কম বয়সী মেয়েও বিয়ে করেছেন। বিবাহ করা রসুলের (সা) সুন্নাহ কিন্তু পুরুষদের জন্য নিজের চেয়ে অধিক বয়সী নারীকে বিয়ে করা সুন্নাহ না।
৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০০
নতুন বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত ধারনা হইলো বিয়ের সময় বয়সের পার্থক্য যতকম থাকবে সেটা ভালো।
দুজনের পছন্দ অপন্ছদ এবং জ্ঞানের পরিধি কাছা কাছি থাকা ভালো।
আর স্বামী ব্যাচারা কে অবশ্যই অতি ধর্যশিল হতে হবে তবে সকল সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে...
১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পাত্র পাত্রির বয়সের সাথে পছন্দ অপছন্দের কোন সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না। জ্ঞানের পরিধির সাথেও বয়সের কোন সম্পর্ক নাই। বয়স কাছাকাছি হলে শুধু এতটুকু নিশ্চিত হওয়া যায় যে উভয়ে একই প্রজন্মের। কিন্তু একই প্রজন্মের হলেই যে দাম্পত্য সম্পর্ক জোরালো হবে এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। ভিন্ন প্রজন্মের কারও সাথেও মনের মিল হতে পারে। কিন্তু সমাজের ভয়ে আমরা কেউ সেই চিন্তা করি না।
আসলে আমরা সমাজ দ্বারা প্রভাবিত হই বেশী। এই কারণেই বয়সের পার্থক্য বেশী থাকলে সেই সম্বন্ধ প্রথমেই বাদ দিয়ে দেই।
স্বামীদের ধৈর্যের ব্যাপারে আপনার উপদেশটা খুব জরুরী। এই ব্যাপারে কোন দ্বিমত আমার নাই।
৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:২৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- স্বামী-স্ত্রীর বয়সের তফাত খুব বেশী না হলে তেমন কোনো সমস্যঅ হওয়ার কথা নয়।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের সমাজের জন্য আপনার কথা ঠিক আছে।
৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১৪
শার্দূল ২২ বলেছেন: আমার মতে বরং স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স কম হলে সমস্যা বেশি হয়। যেমন একটা পুরুষ যদি বয় ৩৫ হয় আর স্ত্রীর বয়স ২০ হয় তখন যে সমস্যা গুলো বেশি হয় সেটা হলো একে অন্যকে বুঝতে পারা। সহজ হিসেব হলো ২০ বয়সের মানুসটার ভাবনা কখনোই ৩৫ এর মানুষের মত হবেনা। যতই ম্যচিউর হোকনা কেন। যেমন আমার বয়স যখন ২০/২২ ছিলো তখনকার ভাবনা গুলো মনে হলে আমি এখনো হাসি এবং কিছু ক্ষেত্রে লজ্জা এবং বিরক্ত হই। আমার বিশ্বাস হয়না আমি এমন ভাবতাম।
এর পরে হলো শারীরিক তাল। এটা প্রাকৃতিকি বিষয়।যুক্তি দিয়ে এড়িয়ে যাওয়া যায়না। আমার ব্যক্তিগত জরিপে আমি দেখেছি যে সব পুরুষ অল্প বয়সি মেয়েকে বিয়ে করেছে তারা ৪০ এর পরে তার ভাবনার একটা বিশাল পরিবর্তণ ঘটায়। এমন পুরুষ গুলো বেশির ভাগ নারী মেয়ে নিয়ে বেশি কৌতুহলি হয়ে যায়। যেমন ৩৫ এর যে মানুষটি ১৮/১৯ এর মেয়েকে বিয়ে করেছে সেই মানুষটি তার স্ত্রী বয়সকে মেনে নিতে পারেনা, সে সেই ১৮/১৯ এর নারী শরীরটাকে মিস করে বেশি। যেটা ছিলো তার একান্ত বাধ্য শরীর বা মানুষ। যখনি তার স্ত্রী ম্যচিউরিটি বাড়ছে এবং যখনি তার স্ত্রীর শারীরিক পরিবর্তান ঘটছে তখনি তার হাত মন খুঁজে ফিরে সেই কোমল নরম মন শরীরে। আর এভাবেই সে আশে পাশে কম বয়সি মেয়েদের নিয়ে ভাবতে শুরু করে নিজের স্ত্রীকে ভুলে ফেলে।
তাই আমার মতামত একদম সম বয়সি হলে মনের ভাবনার যেমন ভারসাম্য থাকবে তেমনি দুজনই সমান তালে এগুবে ভাবনার ভারসাম্য থাকবে, থাকবে চাওয়া প্রাপ্তির হিসেবেও। আর আমার হিসেবে স্বামী স্ত্রী যে যতটা ভালোবাসা সম্পর্ক দায় দায়িত্ব সমান তালে বুঝবে ততই মজবুত হবে সম্পর্ক।
ধন্যবাদ
১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি সুন্দরভাবে উদাহরণ সহ ব্যাখ্যা করেছেন। আপনার মন্তব্যের শেষের লাইনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপন বলেছেন 'আর আমার হিসাবে স্বামী স্ত্রী যে যতটা ভালোবাসা সম্পর্ক দায় দায়িত্ব সমান তালে বুঝবে ততই মজবুত হবে সম্পর্ক।' এটাই আসলে দাম্পত্য সম্পর্কের সফলতার চাবিকাঠি। ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৫
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ড. লুৎফর রহমানের মতে বয়সে বড় নারীদের বিয়ে করা ঠিক নয় এতে করে জীবনে সুখী হওয়া যায় না ।
আমার এই বিষয়ে চিন্তাধারা আসলে অন্যরকম । বিয়ের মূল কারণ তো মানব সভ্যতাকে টিকিয়ে রাখা তো বিয়ে নিয়ে এত মাথা ঘামিয়ে কী লাভ ? মানব সভ্যতা টিকলেই তো হল !!
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ডঃ লুৎফর রহমানের কিছু লেখা এক কালে পড়েছিলাম। ওনার কথা অনেক ক্ষেত্রে সত্যি হতে পারে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই সত্যি এটা আমার মনে হয় না। দাম্পত্য জীবনের সুখ অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। শুধু স্বামী স্ত্রীর বয়সের পার্থক্যের কারণে সব ক্ষেত্রে সমস্যা নাও হতে পারে।
বিয়ে সম্পর্কে আপনার চিন্তাধারার সাথে আমার চিন্তাধারা মিলছে না। আমি মনে করি বিয়ের মূল কারণ হল নারী আর পুরুষের একে অন্যের প্রতি আকর্ষণটাকে একটা নিয়ম নীতির মধ্যে আনা। মানব সভ্যতার ভবিষ্যৎ চিন্তা করে কেউ বিয়ে করে বলে মনে হয় না। মূল কারণ হল আকর্ষণ আর বাচ্চা কাচ্চা হল বাই প্রোডাক্ট।
৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৩
শাওন আহমাদ বলেছেন: স্বামীর চেয়ে স্ত্রীর বয়স বেশী হলে অনেকেরই সেটা নিয়ে এলার্জি আছে। তবে আমি এত বিপরীতে। আমি সারাজীবই বড় আপুদের উপ্রেই ক্রাশ খাইছি। আর এখনো খাই। বাসায় সোজা জানিয়ে দিয়েছি, বিয়ে করলে আমার চেয়ে বড় কাউকেই বিয়ে করব। দিনশেষে ভালো থাকাটাই মূখ্য বিষয়।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মনোবাসনা ছোট আপুরা জানলে খুব কষ্ট পাবে বলে আমার বিশ্বাস।
আপনার ক্রাশ খাওয়া যেন একতরফা না হয়। বড় আপুরাও যেন আপনার ক্রাশের মর্ম বুঝে পাল্টা ক্রাশ খায় সেই কামনা করছি।
তবে আপনি মূল্যবান একটা কথা বলেছেন যে 'দিন শেষে ভালো থাকাটাই মুখ্য বিষয়'।
১০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:০৪
বিটপি বলেছেন: আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে সুখী দম্পতি হল আমার খালা আর খালু। খালা খালুর চেয়ে ৭ বছরের বড়। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কোন লোক দেখানো প্রেম নেই। অত্যন্ত চমৎকার বোঝাপড়ার মাধ্যমে তারা তাঁদের দীর্ঘ ৩৪ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ককে এগিয়ে নিচ্ছেন। তাঁদের ৪ সন্তানের মধ্যে দুজন আমেরিকায় একজন অস্ট্রেলিয়াতে সেটেল্ড। তাঁদেরকে আমি কোনদিন আলাদা থাকতে দেখিনি। কোন বিয়ে বাড়িতে গেলে খালু একটু পরপর এসে খালার সাথে দেখা করে - এ নিয়ে খালা একটু বিব্রত হলেও খালু তার পরোয়া করেন না। আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এলে একসাথেই বসেন, টেবিলে পাশাপাশি বসে খাওয়া দাওয়া করেন।
আমার দেখা একটা ড্রিম কাপল হলেন এই খালা খালু।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার খালা আর খালুর উদাহরণ থেকে বোঝা যায় স্ত্রীর বয়স স্বামীর চেয়ে বেশী হওয়া সত্ত্বেও ওনাদের সম্পর্কে কোন সমস্যা হচ্ছে না। আমার এক চাচাতো বোনের স্বামীর বয়স আমার বোনের চেয়ে অন্তত ৫ বছর কম হবে। কিন্তু এরা অনেক সুখে আছে।
১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:১৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: বয়স কোন ফ্যাক্টর না যদি মনের মিল থাকে দুজনের সংসার সুখেরই হয়
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি এক লাইনে দাম্পত্য সুখের মূলমন্ত্র বলে দিয়েছেন। মনের মিল থাকলে বয়সের পার্থক্য কোন ব্যাপার না।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য জাযাকাল্লাহ খাইরান আপুজি।
১২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৯:৩৯
শেরজা তপন বলেছেন: কারণ অনেকগুলো আছে;
তবে আমি মনে করি স্বামীদের বয়স খানিকটা বেশী হোয়া দরকার।
আমার যেই সকল বন্ধুরা সমবয়েসী মেয়েদের বিয়ে করেছিল তারা এখনো সংসার করছে তবে সম্পর্ক আর স্বামী স্ত্রীর নাই।
কিছু বাধ্য বাধকতার কারনে করতে হয় বলে করা ( এদের প্রত্যেকের স্ত্রীরা প্রফেশোনাল লাইফে চমৎকার এগিয়েছে- দারুন স্মার্ট)।
প্রথম প্রথম এই সমস্যা উপলব্ধি করা যায় না- ধীরে ধীরে ব্যাপারটা প্রকট আকার ধারণ করে।
তবে ব্যাতিক্রম সবখানে আছে। যার যার ইচ্ছেকে সম্মান করা উচিৎ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মনে হয় আপনার মন্তব্যের শেষ লাইনটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি বলেছেন 'যার যার ইচ্ছেকে সম্মান করা উচিত'। দাম্পত্য সম্পর্ককে নির্দিষ্ট সুত্রে ফেলা অসম্ভব একটা ব্যাপার।
১৩| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২২
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ঝামেলা আছে। ছেলে মেয়ের ম্যাচিওরিটি লেভেল এক না। মেয়েরা সমবয়সী বা বয়সে ছোটো কাউকে স্বামী হিসেবে মানতে চায় না।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মেয়েরা সাধারণত নিজের চেয়ে একটু বড় পাত্র পছন্দ করে। তবে বেশী বয়সের পার্থক্য ছেলে বা মেয়ে কেউই চায় না।
১৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সাধারনত স্বামী - স্ত্রীর থেকে একটু বেশী বয়স বা স্ত্রী স্বামী থেকে একটু কম বয়সকেই সঠিক বলে মনে করা হয়।
আবার, চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে স্বামী - স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান ২ - ৫ বছরকে সঠিক বলে ধারনা করা হয় এবং এর পিছনে অনেকগুলো সুনির্দিষ্ঠ কারন ও রয়েছে।
তবে এর বেশী কমে চলবে না এমন নয় এবং এরকম কোন বাধ্যবাধকতাও নেই ।
সংসার জীবন পুরোটাই হলো ত্যাগ ও সমঝোতার ।
যে সংসারে স্বামী - স্ত্রী যত বেশী ত্যাগ ও সমঝোতা করতে পারে সেই সংসার-পরিবার ততটাই সুখের হয়। আর ত্যাগ ও সমঝোতার জন্য বয়স নয় , দরকার ত্যাগ ও সমঝোতার মানষিকতা ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই মনে করার কারণটা কি সামাজিক কারণ নাকি অন্য কোন কারণ আছে এটা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে।
ছেলে আর মেয়ের বয়সে পার্থক্য কত হবে এটা নির্ণয় করার একটা সুত্র আছে। সূত্রটা হল ছেলের বয়সের অর্ধেকের সাথে ৭ বছর যোগ করতে হবে। যে বয়সে পাওয়া যাবে সেটা হবে মেয়ের সর্বনিম্ন বয়স। যেমন ছেলের বয়সে যদি ৩০ হয় তাহলে মেয়ের বয়স হওয়া উচিত কমপক্ষে ১৫ বছর যোগ ৭ বছর অর্থাৎ ২২ বছর। যদিও বিয়ে-শাদী, প্রেম- ভালোবাসা কোন সুত্র মানে না।
আপনি মূল্যবান কথা বলেছেন যে 'সংসার জীবন পুরোটাই হলো ত্যাগ ও সমঝোতার। .......... আর ত্যাগ ও সমঝোতার জন্য বয়স নয়, দরকার ত্যাগ ও সমঝোতার মানসিকতা।'
১৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৭
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আকর্ষণই প্রধান হলে তো বিয়ে দীর্ঘস্থায়ী হবার সম্ভাবনা অনেক দিক থেকেই কম । হাজারো সংসার টিকে আছে সন্তানের দিকে চেয়ে অথবা সমাজের দিকে চেয়ে কিংবা মোহরানার ভয়ে । বাচ্চা কাচ্চা বাইপ্রোডাক্ট না আসলে বিয়ের যে আকর্ষণ সেটা এই বাচ্চা কাচ্চা হবার প্রাথমিক ধাপ ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা ছেলে আর মেয়ে যখন বিয়ে করার প্রস্তুতি নেয় তখন মুলত একে অন্যের প্রতি আকর্ষণের কারণে বিয়ে করে। পরবর্তীতে জীবন জটিল হয়ে যায়। সংসারে সন্তান আসে এবং দায়, দায়িত্ব বৃদ্ধি পায়। তখন অনেক ক্ষেত্রে দম্পতির মধ্যে আকর্ষণ কমে যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে আকর্ষণ বেড়েও যায়। আকর্ষণ বেড়ে গেলে তো ভালো। কিন্তু আকর্ষণ বেশী কমে গেলে দাম্পত্য জীবনে ভাঁটা আসে। সামাজিক কারণে, মানুষে কি বলবে, সন্তানের মুখ চেয়ে মানুষ একই ছাদের নীচে বাস করে। এই ধরণের বহু দম্পতি আছে। কিন্তু তারা মান সম্মানের কারণে মানুষকে বলে না। এই সব ব্যাপারে এখন মানুষ আগের চেয়ে বেপরোয়া। এই কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদের হার আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিয়ের মধ্যে আকর্ষণ না থাকলে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হুমকির মধ্যে পড়তো। যদিও অনেক দেশে বিয়ের বিকল্প ব্যবস্থা মানুষ করে নিয়েছে। কিন্তু সেই বিকল্প ব্যবস্থা সমাজের জন্য ভাল কিছু না।
১৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:১৬
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার শেষ কথার সাথে আমার বক্তব্য মিলে যায় আমি নিজেও মনে করি সেইসব দেশের এসব সিদ্ধান্ত সমাজের জন্য ভালো হবে না আবার বিয়েকেও যতটা বড় করে দেখা হয় সেটাও ঠিক না আকর্ষণই এখানে মূখ্য তাই এই জায়গা থেকে একে বড় কিছু বলে মনে করি না । তবে হ্যাঁ আমি অন্যেরা বিয়ে না করুক তাতে বিশ্বাসী নই কারণ শান্তিতে কেবল আমিই থাকতে চাই বাকীরা জাহান্নামে যাক ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই কারণেই বিয়েকে বলা হয় 'দিল্লিকা লাড্ডু'। যে খাবে সে পস্তাবে আর যে না খাবে সেও পস্তাবে।
নোবেল পুরস্কার সংক্রান্ত আপনার কথাটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা। আমার মতে কোন বিবাহিত মানুষ শান্তিতে নোবেল পাওয়ার যোগ্য হতে পারে না।
১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:৪১
খায়রুল আহসান বলেছেন: "বয়স কোনো ফ্যাক্টর না" - এ কথাটা প্রথম মন্তব্যটিতেই যেমন জুল ভার্ন বলেছেন, আপনিও পোস্টে মূলতঃ এ কথাটাই বলেছেন। কথাটা সঠিক। মেয়েরা ছেলেদের চাইতে একটু কম বয়সেই ম্যাচিউরিটি অর্জন করে বলে মনে করি। তাই বিয়ের সময় তাদের বয়স একটু কম হলেও (৪/৫/৬ ব্ছর) ক্ষতি নেই।
অনেকগুলো ভালো ভালো মন্তব্য এসেছে আপনার এ পোস্টে। সেগুলোতে ''লাইক'।
১৪ নং প্রতিমন্তব্য প্রসঙ্গেঃ এ সূত্রটা কোথায় পেলেন?
২৮ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই সুত্রের আবিষ্কারক হলেন একজন ফরাসী লেখক। ওনার ছদ্মনাম হল 'ম্যাক্স ও রেল' আর আসল নাম 'Léon Paul Blouet'।
১৯০১ সালে উনি একটা বই লিখেছেন যেটার নাম 'Her Royal Highness Woman and His Majesty Cupid'। এই বইয়ে উনি এই সুত্রের কথা প্রথম বলেছেন। বিংশ শতাব্দীতে এই নিয়ম খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ১৯৫১ সালে 'The Moon is Blue' নামে অ্যামেরিকাতে একটা মঞ্চনাটক এবং একই কাহিনীতে একটা সিনেমা হয় ১৯৫৩ সালে যেখানে এই সুত্রের উল্লেখ আছে। ২০১০ সালে ওকে কিউপিড নামের একটা ডেটিং সাইট একটা সমীক্ষা চালিয়ে দেখেছে যে এই সুত্রের সাথে সমীক্ষায় পাওয়া উপাত্তের মিল আছে।
১৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:২৮
মুদ্দাকির বলেছেন: মেয়েটা যদি ছেলেটাকে ভালোবাসে আমার ধারনা তাহলেই সবচেয়ে বেশী ভালো হয়, প্রথমে মেয়ের পছন্দ এর পরে মেয়ের বাবার এপ্রুভাল............, কিন্তু দুনিয়া বেশীর ভাগ সময়ে উল্টা পথে চলে........................ সবার এমন ভাগ্য হয় না।
২০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুনিয়া আসলেই অনেক ক্ষেত্রে উল্টা পথে চলে। আমাদের চাওয়া পাওয়ার সাথে দুনিয়ার রীতির মিল অনেক সময় হয় না।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫২
জুল ভার্ন বলেছেন: আমার ধারণা, বয়স কোনো ফ্যাক্টর না। তবে ক্লাসমেট বিয়ে না করাই উত্তম।
প্রকৃতপক্ষে, পরস্পরকে বোঝার ও জানার মনোভাব যত ইতিবাচক হবে, তত বেশি সহজ মানিয়ে নেওয়াটা। বয়স বেশি হলেই যে কেউ সময়ের চেয়ে পিছিয়ে পড়বেন, এমন তো কোনো কথা নেই। সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য স্বামী-স্ত্রীর বয়স ও অবস্থান বা বয়সের ব্যবধান কখনো কখনো বিবেচ্য হতে পারে বৈকি, কিন্তু একমাত্র বিবেচ্য বিষয় নয়।
পারস্পরিক সমঝোতা, বিশ্বাস আর বোঝাপড়াতেই একটি দাম্পত্য সম্পর্ক ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে এবং মজবুত হয়। এখানে বয়সে বেশ বড় স্বামীকে স্ত্রী আস্থা আর ভালোবাসার জায়গায় রাখতে চান না। স্বামীর আচরণে যদি ‘প্যারেন্টিং’ ফুটে ওঠে, তবে সে সম্পর্ক কি সুখের হবে? আর স্ত্রীও যদি প্রতি পদক্ষেপে অপরিপক্কতা দেখান তবে সেটাও কি ভালো? বরং দুজনে যত খোলা মন নিয়ে এগিয়ে আসবেন, বয়সের ব্যবধান ততই তুচ্ছ হয়ে উঠবে। দুজন যদি দুজনার হয়ে ওঠেন, নিজেদের প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধ ঠিকঠাক থাকে, তাহলে দেখা যায়, বয়সের ব্যবধান কোনো ব্যাপারই না। তবে স্ত্রীর বয়স বেশী হলে ইনস্ট্যান্ট স্বামীর লাভ- তিনি একজন অভিজ্ঞ স্ত্রীর সহায়তা পাবেন!
পোস্টে প্লাস।