নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে মডেলের গাড়িগুলি বাংলাদেশের রাস্তা থেকে হারিয়ে গেছে

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩


ছোট বেলায় রাস্তায় বের হলে আমার অভ্যাস ছিল প্রাইভেট গাড়ির মডেল চেনার চেষ্টা করা। তখন হাতে গোনা কয়েকটা মডেলের গাড়ি ঢাকার রাস্তায় চলত। আমি দূর থেকে দেখেই বলে দিতে পারতাম এটার প্রস্তুতকারক কোন কোম্পানি এবং এটার মডেল কি। এই গাড়িগুলির মধ্যে কিছু গাড়ি আছে যেগুলি বাংলাদেশে এখন আর দেখা যায় না। আবার কিছু গাড়ি আছে যেগুলির আধুনিক মডেল এখন রাস্তায় দেখা যায়। আমার জন্মের আগে আরও কিছু গাড়ি ছিল যেগুলির নাম শুনেছি কিন্তু নিজের চোখে দেখা হয়নি। ওল্ড কার ক্লাব নামে একটা ক্লাব আছে। ওদের কাছে আরও অনেক পুরনো গাড়ি আছে। আমি আমার দেখা পুরনো দিনের হারিয়ে যাওয়া গাড়িগুলি সম্পর্কে নীচে কিছু বলার চেষ্টা করেছি।

১। হিলম্যান MINX

এই গাড়ির প্রস্তুতকারক হল ব্রিটিশ কোম্পানি হিলম্যান। ১৯০৭ সালে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯২৮ সালে এই কোম্পানি হাম্বার লিমিটেডের সাথে একীভূত হয়। ১৯৬৭ সালে এই কোম্পানির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় Chrysler। এই ক্রিসলার অনেক বিখ্যাত একটা অটোমোবাইল প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এবং এখনও এই কোম্পানি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরি করছে। এদের অনেকগুলি ব্র্যান্ড আছে যেমন ক্রিসলার, ডজ, জিপ (আমরা এখন জিপ গাড়ি বলি এই ধরণের গাড়িকে। কিন্তু আসলে এটা একটা গাড়ির ব্র্যান্ড। যেমন জেমস ক্লিপ আসলে একটা পেপার ক্লিপের ব্র্যান্ড।), আলফা রোমিও, ফিয়াট ইত্যাদি।

নিউজিল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতে এই হিলম্যান (MINX) মডেল হাম্বার-৯০ নামে পরিচিত ছিল। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এই মডেলের গাড়িগুলি তৈরি করা হয়েছিল। যুক্তরাজ্য, নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়াতে এই গাড়ি তৈরি হতো। ২ দরজা, ৪ দরজা এবং ৫ দরজার হিলম্যান গাড়ি পাওয়া যেত। এই গাড়িতে ১৫৯২ থেকে ১৭২৫ সিসির ইঞ্জিন ব্যবহৃত হত। এই গাড়ির ওজন প্রায় ১ টন। আমার জন্মের আগে আমার বাবার একটা হিলম্যান গাড়ি ছিল শুনেছি। আমার বড় বোন দেখেছে।

২. অস্টিন (AUSTIN MINI COOPER)

এই গাড়ির প্রস্তুতকারক হল ব্রিটিশ কোম্পানি The Austin Motor Company Limited। ১৯০৫ সালে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৫২ সালে এটা মরিস মটর লিমিটেডের সাথে একীভূত হয়ে যায়। কিন্তু অস্টিন ব্র্যান্ড চালু থাকে। বাংলাদেশে ছোট আকৃতির এই অস্টিন গাড়ি অনেক ছিল এক সময়।

৩। ফিয়াট (FEAT)

এই গাড়ির প্রস্তুতকারক হল ইতালিয়ান কোম্পানি ফিয়াট এসপিএ। ১৮৯৯ সালে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয়। আগে এটা ফিয়াট ক্রিসলার অটোমোবাইলের অংশ ছিল। ফিয়াটের অনেক নতুন মডেল এখনও আসছে। ফিয়াট ইন্ডিয়া এই অঞ্চলে নতুন মডেলের গাড়ি তৈরি করছে।

৪ মরিস মাইনর (MORIS MINOR)

ব্রিটিশ কোম্পানি মরিস মটর এই গাড়ি তৈরি করে ১৯৪৮ সালে। ১৯৭১ সালের পর এই মডেল আর তৈরি হয়নি। ইংল্যান্ড, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে এই গাড়ির কারখানা ছিল।এই গাড়ির ওজন ছিল ৭৭৫ কেজি। এই গাড়ি দেখতে অনেকটা ব্যাঙের মত। আমার মায়ের এক বান্ধবী অনেক আগে প্রায়ই এই গাড়িতে চড়ে আমাদের বাসায় আসতেন। আসার পর ড্রাইভার গাড়ির সিটে ঘুমিয়ে থাকতো আর আমরা ভাইয়েরা ধাক্কা দিতাম। কিছুক্ষণ পরে ড্রাইভারের হুশ হত।

৫. টয়োটা করোনা (CORONA RT 40)

এটাকে অনেকেই আরটি ৪০ নামে চেনে। এটা জাপানের টয়োটা কোম্পানির একটা ব্র্যান্ড। বাংলাদেশে প্রচুর দেখা যেত এক সময় এই মডেলটা। ১৯৫৭ সালে প্রথম এই ব্র্যান্ডের গাড়ি তৈরি হয়। জাপান ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ফিলিপাইনে এই মডেল তৈরি হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। পরবর্তীতে টয়োটা করোনার অনেক নতুন মডেল এসেছে।

৬. মাজদা প্রেস্তো (MAJDA PRESTO)

জাপানের মাজদা মটর কর্পোরেশন এই গাড়ি তৈরি করেছিল ১৯৭০ সালে এবং ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত উৎপাদন অব্যাহত ছিল। এটা মাজদা ফ্যামিলিয়া শ্রেণীর একটা মডেল। ইতালিয়ান ভাষায় প্রেস্তো মানে ‘দ্রুত’।

৭. ভক্সওয়াগেন বিটল (Volkswagen - Beetle)

আমরা এই গাড়িকে বলতাম ব্যাঙ গাড়ি। এখনও কদাচিৎ হঠাৎ এই গাড়ি দেখা যায়। হয়তো দুই একটা গাড়ি বাংলাদেশে এখনও আছে। এই গাড়ির প্রস্তুতকারক হল জার্মান কোম্পানি ভক্সওয়াগন গ্রুপ। ১৯৩৭ সাল থেকে শুরু করে এই কোম্পানি এখনও গাড়ি তৈরি করছে এবং বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একটি ব্র্যান্ড। জার্মান ভাষায় ভক্সওয়াগন মানে হল ‘জনগণের গাড়ি’। বাংলাদেশে ব্যাঙের মত যে মডেলটা ছিল সেটা ১৯৬৬ সালের মডেল।

৮। ডজ ডার্ট

এই গাড়িটা প্রস্তুতকারক হল ডজ ক্রিসলার। ক্রিসলার গ্রুপের একটা ব্র্যান্ড হল ডজ ডার্ট। বাংলাদেশে খুব কম ছিল এই মডেলের গাড়ি। এই কোম্পানির কিছু রেসিং কারও ছিল অন্য দেশে।

৯। Datsun (Nissan )

এই মডেলটা নিসান কোম্পানির একটা ব্র্যান্ড। বাংলাদেশে অনেক দেখা যেত এক সময়। ১৯৮৬ সালে নিসান এই ব্র্যান্ড বন্ধ করে দিয়েছিল কিন্তু ২০১৩ সালে আবার শুরু করে। তবে ২০২২ সালে আবার বন্ধ করে দিয়েছে। এই ব্র্যান্ডের গাড়ি সর্ব প্রথম ১৯৩১ সালে তৈরি করা হয়। নিসান একটি জাপানি গাড়ির কোম্পানি। ডাটসান ব্র্যান্ডের ট্রাকও ছিল অন্য দেশে।

১০. টয়োটা পাবলিকা (TOYOTA PUBLICA) এবং টয়োটা স্টারলেট

দুই দরজা বিশিষ্ট টয়োটা পাবলিকা গাড়ি কদাচিৎ এখনও দেখা যায় প্রশিক্ষণ গাড়ি হিসাবে। এটা টয়োটা কোম্পানির একটা ব্র্যান্ড। ১৯৬১ থেকে ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত এই গাড়ি তৈরি হয়েছে। ঐ সময় টয়োটা কোম্পানির এটাই সবচেয়ে ছোট আকৃতির গাড়ি ছিল। পরে এটার উত্তরসূরি হিসাবে আসে টয়োটা স্টারলেট গাড়ি। এটা আরও ছোট ছিল। বাংলাদেশে স্টারলেট ব্র্যান্ডটাও ভালো চলেছে। এছাড়া টয়োটা স্প্রিন্টার এবং টয়োটা পাবলিকা স্টারলেট গাড়িও আগে দেখা যেত। এখন দেখা যায় না। এই ব্র্যান্ডগুলি ছাড়াও মিতসুবিশি ল্যান্সার সেডান এবং হন্ডা কোম্পানির একটা ছোট আকৃতির গাড়ি দেখা যেত।

কালের পরিক্রমায় উপরে বর্ণিত গাড়িগুলি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলা যায়। কিন্তু আমাদের স্মৃতি থেকে এই গাড়িগুলি এখনও হারিয়ে যায়নি।

সুত্র - উইকিপিডিয়া এবং গাড়ির কোম্পানির ওয়েব সাইটগুলো যেমন;
হিল ম্যান
নিসান
ফিয়াট
ক্রিসলার
অস্টিন
মরিস
ডজ
ভক্সওয়াগেন
মাজদা

ছবি -
দেশী কার ডট কম
গাড়ি বাজার ডট কম

মন্তব্য ৪৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
ভক্সওয়াগেন কে আমরা বলতাম কাউডা গাড়ি

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমরা বলতাম ব্যাঙ গাড়ি। এই গাড়ির ইঞ্জিনের আওয়াজটা একটু ব্যতিক্রমধর্মী।

কাউডা শব্দ দিয়ে কি বুঝাতেন?

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: কাউডা মনে কাছিম বা কচ্ছপ

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা দেখতে আসলেই কচ্ছপের মত ছিল। যথার্থ নামকরণ।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৪২

রাজীব নুর বলেছেন:
দেখুন আমার কন্যা ফারাজা গাড়ির উপর বসে আছে।

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অস্টিন কিংবা ফিয়াট গাড়ি মনে হচ্ছে। আপনার পরিবারে এখনও এই গাড়ি আছে। দেখে বিস্মিত হলাম। আপনার ছোট এবং বড় মেয়ের জন্য শুভ কামনা।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:০২

মোগল সম্রাট বলেছেন: ভক্সওয়াগন দেখতে দারুন। একটা পাইলে মন্দ হয়না। কই পামু কইঞ্চেন দেহি।

সুন্দর পোস্ট।

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুরনো ভক্সওয়াগেন গাড়ি আর কয়েকদিন পরে জাদুঘরে পাওয়া যাবে। এখনও হাতে গোনা কয়েকটা রাস্তায় দেখা যায় কদাচিৎ। পুরনো গাড়ির জন্য একটা ক্লাব আছে। ওরা বলতে পারবে এই পুরনো ভক্সওয়াগেন সম্পর্কে। আপনি এই গাড়ি কিনলে বিপদে পড়তে পারেন। কারণ গাড়ি পাওয়া গেলেও উহার খুচরা যন্ত্রাংশ পাওয়া আরও কঠিন হবে। :)

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ২:৪৫

সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: খুব শখ এই ধরনের গাড়ির।

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরণের গাড়িগুলি তো এখন আর পাওয়া যায় না বললেই চলে। আর তাছাড়া এগুলির এনটিক মূল্য থাকলেও এই গাড়িগুলি ব্যবহার করে আরাম পাবেন না। অনেক খুচরা যন্ত্রাংশ পাবেন না। মেরামত করা কঠিন হয়ে যাবে।

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

মিরোরডডল বলেছেন:




ছবির গাড়িগুলো খেলনা গাড়ির মতো দেখায় কিন্তু কিউট আছে ।


২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খেলনা গাড়িগুলি মনে হয় প্রাচীনকালের মডেল দেখে বানানো হয়। এই যুগের গাড়িগুলির মত খেলনা নাই মনে হয়। এই গাড়িগুলির আকৃতির মধ্যে একটা বনেদি ভাব আছে মনে হয়।

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পোষ্টের শিরোনামের ছবিটার গাড়ির আসল নাম বিটল। ছবিটা দেখে নস্টালজিক হলাম প্রচন্ডভাবে। দাদাজানের কেনা এই মডেলের একটা গাড়িতে করেই আমি জন্মের পরে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরি। আমার ড্রাইভিং শেখা এই গাড়িতে। এই গাড়ি নিয়ে আরও হাজারো স্মৃতি আছে আমার।

ডাটসানের এই মডেলটা পরে আব্বা কিনেছিলেন। আর আমার নিজের টাকায় কেনা প্রথম গাড়ি ছিল টয়োটা পাবলিকা।

এখন কি গাড়ি চালাই, কমু না!!! :P

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আসল নাম বিটল আর ডাকনাম ভক্সওয়াগেন। ভক্সওয়াগেনের বিটল মডেল/ ব্র্যান্ড। পোস্টে বিটল যোগ করে দিয়েছি। ওয়েব সাইট ঘাটানোর সময় বিটল নামটা দেখেছিলাম। আমাদের এই গাড়ি নিয়ে অনেক আগ্রহ ছিল। আমার এক খালাত ভাই এই গাড়ি দেখলে বলত যে এই গাড়ির চাকাগুলি নাকি জোরে চলার সময় একটু বাইরের দিকে ছড়িয়ে যেত। সত্যি কি না জানি না। কারণ উনি অনেক চাপাও মারতেন।

আমার নিজের টাকায় কেনা প্রথম গাড়ি হল একটা পুরনো টয়োটা ইডি (ক্যারিনা- ১৮০০ সিসি)। সিসি বেশী হওয়ার কারণে এবং অপেক্ষাকৃত হাল্কা হওয়ার কারণে খুব অল্প সময়ে গতি বৃদ্ধি পেত। গাড়ি কেনার পরে এটার পিছনে অনেক টাকা খরচ করতে হয়েছিল। আপনি এখন দামী একটা গাড়ি চালান সেটা ব্লগের অনেকেই জানে। আমিও পড়েছিলাম সম্ভবত। মিরোরডডল আরও ভালো জানে। :)

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মিরোরডডল বলেছেন:




এখন কি গাড়ি চালাই, কমু না!!! :P

আমরা জানি :)
ভুমের গাড়ি ইতিহাস নিয়ে একটা পোষ্ট লিখেনা কেনো ?

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি না লিখলে ব্লগাররাই বিস্তারিত লিখতে পারবে মনে হয়। :)

৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০

বিষাদ সময় বলেছেন: ভক্স ওয়াগন থেকে বাকি সব গাড়ি এবঙ মডেল আমারও মুখস্ত ছিল..... বাপ কিনছিল একখান টয়োটা পাবলিকা ড্রাইভিঙ এর শুরু এবং শেষ ওইটাতেই।
আপনার লেখা পড়েই মনে হয়েছিল পাবলিকার নাম মিস করবেন কারন গাড়িটা খূব বেশি দেখা যেত না। কিন্তু আমার ধারণা ভুল। গাড়ির প্রতি আপনার নজর বেশ তীক্ষ্ণ ছিল সেটা বুঝা যাচ্ছে।
টয়োটা করোনা এর ৬৬-৬৯ এর মডেল এর গাড়ি আমি বেশি চলতে দেখেছি। আর এখন সারা পৃথিবীতে চলছে করোনা ২০২০ এর মডেল :(

২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পাবলিকা ছোট আকৃতির গাড়ি তাই এটা দিয়ে গাড়ি চালানো শেখা সহজ। আমি যখন ড্রাইভিং পরীক্ষা দেই তখন ড্রাইভিং স্কুলের একটা ভাড়া করা পাবলিকা দিয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। গাড়ির মালিক জিগজ্যাগ পরীক্ষার সময় বলেছিল যে এক্সিলেটর চাপার দরকার পড়বে না। এমনভাবে এক্সিলেটর সেট করা ছিল যে পা দিয়ে চাপ না দিলেও খুব ধীর গতিতে গাড়ি চলবে। পা দিয়ে চাপ দিতে গেলে গতি বেশী বেড়ে যাবে।

টয়োটা করোনা আরটি-৪০ গাড়িটা ভালো ছিল।

১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৫

শেরজা তপন বলেছেন: আমি যতদুর জানি ফ(ভ)ক্স -জনগনের, ভ(ওয়া)গেন-বাহন এর বীটল ব্রান্ড বা কাইচ্ছা(কচ্ছপ) মোটর এর বাংলাদেশে একটা বিশেষ গ্রুপ আছে। বছরে বেশ কয়েকবার তারা যার যার গাড়ি নিয়ে একসাথে হন, পান ভোজন করে গাড়ির র‍্যালি বের করেন। অনেকেই এই গাড়িগুলিকে ঘষে মেজে একেবারে ঝকঝকা করা ফেলেছেন। এখনো এই গাড়ির মালিকেরা নিজেদের গাড়ি নিয়ে অনেক গর্ব বোধ করেন। আপনি এই গাড়ি দু-চার পাচ লাখ দিয়ে কিনতে পারলে সৌভাগ্যবান!

বেশ ভাল লাগল হারিয়ে যাওয়া পুরনো গাড়ির ছবি আর কিছু ইতিহাস।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যে গ্রুপের কথা বলেছেন ওদের সেই রেলির ছবিই সম্ভবত আমি উপরের প্রচ্ছদে এবং ৭ নং সিরিয়ালে ব্যবহার করেছি। এই গাড়িগুলির যারা মালিক তাদের কাছে এগুলির এনটিক মূল্য আছে। যার কারণে কেউ টাকার জন্য এই গাড়ি বেচবে বলে মনে হয় না। আর যদি একান্তই বেচে সেই ক্ষেত্রে দাম অনেক হাকাবে। :)

১১| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২৭

জুল ভার্ন বলেছেন: ৬৫ মডেলের আমাদের একটা ভক্সওয়াগন আছে....৯০ সনে মানিক মিয়া এভিনিউতে পুরনো গাড়ির র‍্যালিতে অংশ নিয়েছিলাম। আমার বড়ো চাচার আছে ৬২ মডেলের মরিস মাইনর- উল্লেখিত দুটি গাড়ি নিয়ে সামু ব্লগে পোস্ট দিয়েছিলাম ২০০৮ সনে। কিছু কাজ করালে দুটো গাড়িই এখনো সচল করা যাবে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনিও এই রেলিতে ছিলেন এটা জানা ছিল না। আমি উপরে যে দুইটা ছবি ভক্সওয়াগেনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছি সেগুলি সম্ভবত সেই রেলির হতে পারে। কারণ একসাথে এতগুলি ভক্সওয়াগেন রাস্তায় চলার কথা না। কালো রঙের একটা মরিস মাইনরে চড়ে আমার মায়ের বান্ধবী প্রায়ই আমাদের বাসায় আসতেন। আমার মতে গাড়িগুলি চালু রাখলে এক সময় এগুলির এনটিক অনেক মূল্য হবে। মানুষ দেখবে আসবে।

১২| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: পুরনো বাংলা ছবিতে এই গাড়ি গুলো দেখা যায়। রাজীব নূরের গাড়িটি সুন্দর। বাংলাদেশে হ্যাভ্যাল-H6 চলছে বর্তমানে খুব।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গাড়িগুলো পুরনো তাই এগুলিকে পুরনো সিনেমাতেই দেখা যায়। রাজীব নুরের গাড়িটাও অনেক অভিজাত একটা পুরনো গাড়ি। সম্ভবত এটা অস্টিন কোম্পানির গাড়ি।

হ্যাভ্যাল - এইছ ৬ গাড়ি নিশ্চয়ই অনেক দামী গাড়ি হবে।

১৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪৯

অপ্‌সরা বলেছেন: নীরুদের একটা হলুদ রঙ্গের ভক্সওয়াগান ছিলো।

তার হাসব্যান্ডকে কোন গাড়িটা যৌতুক দেবো ভাইয়া?

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঐ যুগে অভিজাত লোকেরা ফক্স(ভক্স)ওয়াগেন গাড়ি চরতো। এই গাড়ির ইঞ্জিনের আওয়াজটা ব্যতিক্রমী।

যৌতুক দেয়ার প্রশ্নই আসে না। কারণ এই বিয়ে আমি মানি না। আর যদি একান্তই কাহিনীর প্রয়োজনে ঐ ডাক্তারের সাথে বিয়ে দিতে হয় সেই ক্ষেত্রে ডাক্তার সাহেবকে একটা গরুর গাড়ি কিনে দেয়া যেতে পারে। কারণ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মানুষের সেবা করার জন্য তাকে দৌড়াতে হবে। ঐ যুগে গ্রামের জন্য গরুরগাড়িই ছিল সবচেয়ে ভালো বাহন। :) আর নীরুকে কমপক্ষে এক কোটি টাকার দেনমোহর নগদ দিতে হবে বাসর ঘরে ঢোকার আগে। :)

১৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় গাড়ি নিয়ে একটি চমৎকার পোস্ট!
ঢাকার সেন্ট্রাল গভঃ বয়েজ হাই স্কুলে পড়েছিলাম পঞ্চম, ষষ্ঠ এবং সপ্তম শ্রেণীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত। সে সময়ে নবম-দশম শ্রেণীতে পড়া এক বড় ভাইকে দেখতাম, আপনার পোস্টের ২ নম্বর ছবির অস্টিন গাড়িটা নিজেই চালিয়ে স্কুলে আসতেন। অনেকদিন হা করে তার এই গাড়িচালনা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছি।
আমার এক ফুফু (আব্বার আপন মামাতো বোন) জার্মানিতে পিএইচডি শেষ করে দেশে ফেরার সময় ফোক্সওয়াগন কিনে এনেছিলেন। ১৯৬৮-৬৯ সালে তাকে দেখতাম, সেই গাড়িটি চালিয়ে তিনি আমাদের বাসায় আসতেন। তাকে দেখেও খুব অবাক হ'তাম।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার বোন এবং ফুফু সম্ভবত সেন্ট্রাল গভঃ স্কুলের ছাত্রী ছিল। আমার মাকে আমার বাবা গাড়ি চালানো শিখিয়েছিলেন। কিন্তু তার চালানো দেখে আমরা ভাইয়েরা হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দিতাম। কারণ দেখতাম যে রিকশাগুলি আমাদের গাড়িকে ওভার টেইক করে চলে যাচ্ছে ঘণ্টা বাজাতে বাজাতে। আবার অতিক্রম করার সময় রিকশাওয়ালারা জানালার কাছে এসে রাগ করে কি যেন বলত। আমরা লজ্জায় লুকাতাম।

একবার একটা আনাড়ি ড্রাইভার নিয়োগ দেয়া হয়। সেই ড্রাইভার আরেকটু হলে সামনের একটা ট্রাকের পিছনে ঢুকে যেতে নিয়েছিল গাড়িসহ। পরে গবেষণা করে দেখা গেল যে সে ব্রেক এবং এক্সিলেটর দুইটাই ডান পা দিয়ে চেপে ধরেছিল একসাথে। বেচারার জন্য আমার আব্বার অনেক মায়া ছিল। তাই কিভাবে চাকরী থেকে বাদ দেবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। মাস খানেক ঐ ড্রাইভারকে দিয়ে বাবুর্চির কাজ করানো হল। তারপর বুঝিয়ে শুনিয়ে বিদায় দেয়া হয় তাকে।

১৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৪০

তাহমিদ রহমান বলেছেন: ব্যতিক্রমী পোস্ট, খুব ভালো লাগলো।
৯০র দশকের শেষদিকে, যখন কিছুটা বুঝবার বয়স হচ্ছিলো, তখনো আমার এক নানাভাই উনার পুরনো ডাটসান (অথবা মাজদা প্রেস্তো-ও হতে পারে) দিব্যি চালিয়ে বেরাতেন। টয়োটা স্টারলেট, নিশান মার্চ - এর পুরনো মডেলগুলোও পরিবার ও স্বজনরা ব্যবহার করতো। এই গাড়িগুলোর durability বেশ ভালো।

আমার জানামতে, সম্ভবত ৮০'র দশক পর্যন্ত বাংলাদেশের রাস্তায় ইউরোপীয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সেডান আর হ্যাচব্যাক চলতো।এরপর ধীরে ধীরে প্রায় পুরো মার্কেট (ব্যক্তিগত গাড়ির বাজার) টয়োটার হাতে চলে আসলো। এখন কিছু লাক্সারি ব্র্যান্ডের গুটিকতোক গাড়ি রাস্তায় চললেও, টয়োটার আধিপত্য এতোটুকু কমেছে বলে মনে হয়না।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগের দিনের গাড়িগুলির বডি শক্ত ছিল। আপনার কথা ঠিক। ৮০র দশকের শুরু থেকে টয়োটা গাড়ির পরিমান বাড়তে থাকে। তার আগে মুলত ইউরোপীয় গাড়ি দেশে আসত। এখনও ৮০% গাড়ি মনে হয় হবে টয়োটা কোম্পানির। ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৬| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২৩

ডঃ রুহুল আমিন চৌধুরী। বলেছেন: শিশুকালে অন্যের ভক্সওয়াগণ গাড়িতে চলতাম - মফস্বলে যাদের গাড়ি ছিলো প্রায় সবগুলোই ছিলো ভক্সওয়াগন -

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঐ সময়ে ভক্স (ফক্স)ওয়াগেন গাড়ি প্রচুর দেখা যেত। ঢাকাতেও অনেক ভক্সওয়াগেন গাড়ি ছিল।

১৭| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৪৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার একটি পোস্ট যাদের এই গাড়িগুলো দেখার সুযোগ হয়নি তারা দেখতে পাবে।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই গাড়িগুলি বিলুপ্তির পথে। অনেকে এনটিক হিসাবে সংরক্ষণ করছে। ওল্ড কার ক্লাবের সদস্যরা এগুলির খবর রাখে এবং মাঝে মাঝে রেলি করে।

১৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: অস্টিন কিংবা ফিয়াট গাড়ি মনে হচ্ছে। আপনার পরিবারে এখনও এই গাড়ি আছে। দেখে বিস্মিত হলাম। আপনার ছোট এবং বড় মেয়ের জন্য শুভ কামনা।

জনাব গাড়িটি আমাদের নয়।
এই গাড়ি এখন আর ব্যবহার হয় না। এটা সোপিছ হিসাবে রাখা হয়েছে।

আমাদের একটা প্রাইভেট গাড়ি আছে। করলা।

অবশ্য একসময় আব্বা গাড়ির ব্যবসা করতেন। তখন আমাদের সব মিলিয়ে গাড়ি ছিলো ১৭ টা। ড্রাইভার ছিলো ৩০ জন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার বাবার যেহেতু গাড়ির ব্যবসা ছিল। আপনিও চেষ্টা করলে এই ব্যবসায় আসতে পারেন।

১৯| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৭

জুন বলেছেন: আমি যখন এক্কেবারে পিচ্চি ছিলাম তখন আমার মামার একটা গাড়ি ছিল হাল্কা সবুজ আর সাদা রংগের নাম ওপেল রেকর্ড। আরেক মামার ছিল দুই দরজার ট্রায়াম্প হেরাল্ড। বিশাল বপু আমার মামা ওই গাড়িকে মনে হতো দুই আংগুলে চালাতেন =p~

২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ওপেল গাড়ির নাম শুনেছি। এটা বেশ দামী গাড়ি সম্ভবত। দেখেছি কি না জানি না। ঢাকাতে খুব বেশী ছিল বলে মনে হয় না। নীচের গাড়িটা সম্ভবত ঐ সময়ের ঢাকার একটা ওপেল রেকর্ড গাড়ি।


নীচে দিলাম ইন্টারনেট থেকে পাওয়া ট্রায়াম্প হেরালডের ছবি;


এই দুইটা গাড়িই বাংলাদেশে সম্ভবত অনেক কম ছিল। আর এগুলি ৭০ দশকের পরে আর ছিল না মনে হয়।

২০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১০

প্রামানিক বলেছেন: এই গাড়িগুলো এখন চোখেই পড়ে না।

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই গাড়িগুলিকে এখন পাওয়া যায় আমাদের স্মৃতিতে।

২১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সামর্থ্যের কারণে গাড়ির প্রতি তেমন নজর দিইনি কোন কালে । তবে কলেজে থাকতে এক শিক্ষকের কারণে ইচ্ছে হয়েছিল জীবনে ব্যক্তিগত গাড়ি কিনলে একটা লরি কিনব ! হাহাহাহাহাহাহ

যাকগে আপনার পোস্টটা দারুণ আমার মত আনকোড়া মানুষদের জন্য বেশ শিক্ষনীয় !

৩১ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ৮:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার খুব শখ বাস বা ট্রাক চালানোর। এত বড় বাস/ট্রাক ড্রাইভাররা কিভাবে সামলায় এটা আমার জানার খুব ইচ্ছা। আমার ধারণা চেষ্টা করলে আমিও চালাতে পারবো। :)

২২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: পোস্টটা বেশ ভালো লেগেছে। যদিও আমার গাড়ি নিয়ে বিন্দুমাত্র শখ বা আগ্রহ কিছুই নেই। গাড়িকে অন্যান্য জিনিসের মত শুধু একটা নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বলে মনে হয়। তবে পুরানো মডেলের গাড়িগুলো দেখতে বোধ হয় সবার খুব ভালো লাগে। দারুন অ্যানটিক পিস এগুলো কিন্তু ব্যবহার করতে গেলে বারোটা বেজে যাবে মানুষের। আর আমি ভাবতাম ভক্সওয়াগেনকে শুধুমাত্র আমার কাছেই ব্যাঙের মত মনে হয়।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে মনে হচ্ছে অনেক দিন পরে ব্লগে দেখলাম। এই গাড়িগুলি এখন রাস্তায় না বরং আমাদের স্মৃতিতে আছে। যার ফলে এই গাড়িগুলিকে এনটিক বলা যেতে পারে। ব্যবহার করতে গেলে আরামের চেয়ে ব্যারাম বেশী হবে।

ভক্সওয়াগেন গাড়িকে আপনার কাছেও ব্যাঙের মতো মনে হয় জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর মন্তব্য এবং লাইক দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আশা করি আপনার নতুন পোস্টে মন্তব্য করার সুযোগ পাবো। ভালো থাকবেন।

২৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৩৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অসাধারণ সব গাড়ীর মডেলের কালেকশন এবং সাথে দারুন বর্ণনা। এই গাড়ীগুলো আর দেখা যায় না। বিশেষ করে কচ্ছপ টাইপের গাড়ীগুলো ছিল এক সময়ের আভিজাত্যের প্রতীক। পরে সময়ের পরিক্রমায় শুনেছি ঐ গাড়ীগুলো মুড়ির টিনের মত মনে হয়। তারপর কত গাড়ীর মডেল এলো-গেল--। কিন্তু আজো তো ঐসব গাড়ীই মনের কোনে দোল খায় ----।

১০ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ৯:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন এই গাড়িগুলির স্মৃতি আমাদের মনের কোণে দল খায়। আমাদের নস্টালজিক করে তোলে। ঐ যুগে কচ্ছপ টাইপের গাড়ি সবার দৃষ্টি কাড়ত।

অনেকটা স্মৃতি কাতর হয়েই এই পোস্টটা লিখেছি। আশা করি আপনার ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ এমন সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.