নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোরআনের দ্বিতীয় সূরার (সূরা বাকারা) ৩ নং আয়াতে আছে;
‘যারা অদৃশ্য বিষয়গুলিতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সালাত প্রতিষ্ঠা করে এবং আমি তাদেরকে যে উপজীবিকা প্রদান করেছি তা হতে দান করে থাকে ।‘
অর্থাৎ না দেখা জিনিসে/ বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করা ইসলাম ধর্মে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এখন দেখা যাক এই ধরণের না দেখা জিনিস কি কি আছে যেগুলিকে বিজ্ঞান স্বীকার করে না।
১। সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ
২। বেহেশত
৩। দোজখ
৪। ফেরেশতা
৫। জিন
৬। পরকাল
৭। কবরের জীবন
৮। আত্মা বা রুহ
৯। শয়তান
১০। মৃত্যুর পরে পুনরুত্থান
আসলে এই জিনিসগুলি আমরা যদি দেখতে পেতাম বা প্রমাণ করতে পারতাম তাহলে এগুলির উপর ঈমান আনতে বলা হত না। দেখা যায় না বলেই বা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করা যায় না বলেই এই বিষয়গুলির উপর ঈমান আনতে বলা হয়েছে। বৈজ্ঞানিকভাবে যদি এখন মানুষের রুহ আবিষ্কার হত তাহলে বিশ্বের বহু নাস্তিক মুসলমান হয়ে যেত।
উপরে উল্লেখ করা প্রত্যেকটা বিষয়ের ক্ষেত্রেই বিজ্ঞান নিরব। এগুলি ছাড়াও আরও কিছু বিষয় কোরআনে বা হাদিসে আছে যেগুলি স্পষ্টভাবে বিজ্ঞানের সাথে যায় না। যেমন ( অধিকাংশ বিষয় কোরআনে আছে);
১। মেরাজ - রসূলের (সা) ঊর্ধ্বাকাশ ভ্রমণ। বেহেশত, দোজখ পরিদর্শন। হাজার বছর আগের মৃত নবী ও রসূলদের সাথে নবীজির (সা) একত্রে নামাজ পড়া।
২। হজরত ইব্রাহীম (আঃ) কে আগুনে নিক্ষেপ কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁর কিছু না হওয়া।
৩। হজরত মুসার (আঃ) আল্লাহর সাথে কথা বলার ঘটনা
৪। হজরত মুসার (আঃ) হাতের লাঠি সাপে পরিনত হওয়া
৫। নবীজির (সা) হাতের ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়া
৬। হজরত ঈসা (আঃ) কর্তৃক মৃত মানুষকে জীবন দান, জন্মান্ধকে দৃষ্টি দান, কুষ্ঠ রোগীকে সুস্থ করে দেয়া।
৭। আল্লাহর ইচ্ছায় হজরত সোলায়মান (আঃ) কর্তৃক জীনদের নিয়ন্ত্রণে আনা, সকল পশু-পাখির ভাষা বোঝা। বাতাস হজরত সোলায়মান আলাইহিস সালামকে তার ইচ্ছানুযায়ী যে কোনো স্থানে নিয়ে যেত।
৮। পিতা মাতা ছাড়া হজরত আদমের (আঃ) সৃষ্টি।
৯। পিতা ছাড়া হজরত ঈসার (আঃ) জন্ম।
১০। হজরত মুসার জন্য (আঃ) সমুদ্র/ দরিয়া দুই ভাগ হয়ে যাওয়া
১১। নবীজির (সা) জন্য শুষ্ক কাঠের ক্রন্দন। সামান্য এক পাত্র খাবার দিয়ে বহু লোককে আপ্যায়ন। দুর্বল বকরির স্তন নিমেষেই দুধে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়া। অল্প পানিতে বরকত হওয়ার কারণে বহু লোক সেই পানি ব্যবহার করতে সক্ষম হওয়া।
১২। হজরত সালেহর (আঃ) সময়ে পাথর ভেদ করে উট বের হয়ে আসা।
১৩। হজরত দাউদ (আঃ) চাইলেই হাতের সাহায্যে লোহাকে গলিয়ে ফেলতে পারতেন।
১৪। আল্লাহতায়ালা 'কুন (হও)' বললেই সব কিছু হয়ে যায়।
এই ধরনের আরও কিছু বিষয় আছে যেগুলির কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আমাদের হাতে নেই। সেই ক্ষেত্রে আমরা কি ইসলামের এই বিষয়গুলির উপর বিশ্বাস রাখব কি রাখব না এটা অনেকের কাছে একটা বড় প্রশ্ন।
ছবি - ইসলামিক ভয়েস
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলাম ধর্ম কারও অধিকার নষ্ট করতে বলে না। এটা আমাদের বোঝার ভুল হতে পারে। অন্যের অধিকারের ব্যাপারে ইসলাম খুব সতর্ক। 'হুক্কুলাহ' এবং 'হুক্কুল ইবাদ' বলে দুইটা শব্দ আছে আরবিতে। হুক্কুল্লাহ অর্থ আল্লাহর অধিকার। আল্লাহর অধিকার নষ্ট করলে আল্লাহর কাছে মাফ চাইলেই আল্লাহ মাফ করে দিতে পারেন। আর হুক্কুল ইবাদ হল বান্দার হক। অর্থাৎ অন্য কোন মানুষের অধিকার নষ্ট করলে সেই ব্যক্তি ক্ষমা না করা পর্যন্ত আল্লাহ সেই গুনাহ মাফ করেন না। সে যত বড় বুজুর্গ ব্যক্তিই হন না কেন।
২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫৩
মৌন পাঠক বলেছেন: আসুন, আমরা বিজ্ঞানকে ত্যাজ্য ঘোষণা করি, আমিন চুম্মা আমিন!
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি করেন। আমাকে ডাকার দরকার নাই।
আপনি কাকে ত্যাজ্য করবেন সেটা আপনার ব্যাপার। আমি এইখানে কাউকে ডাকাডাকি করি নাই। আর পোস্ট ভালো না লাগলে দূরে থাকতে পারেন।
৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বিশ্বাসের বিষয়টি ভিন্ন। সব ধর্মেই বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক বা মানুষের কমন সেন্সের বাইরের বিষয় আশায় রয়েছে।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিশ্বের প্রধান ধর্মগুলির অনেক বাণী/ বিশ্বাস বিজ্ঞানের পরিপন্থি। বিজ্ঞানের কারণে বিশ্বাস যেন দুর্বল না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিজ্ঞান সব কিছু জানে না। তবে জানার চেষ্টা করছে। অনেক ব্যাপারে যুগে যুগে বিজ্ঞানের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে।
৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২৯
অধীতি বলেছেন: বিজ্ঞান ও ধর্ম দুটোই আমাদের প্রয়োজন। বিজ্ঞান তাত্ত্বিক ভাবে বিশ্লেষণকে অতিক্রম করে প্রতিদিনকার জীবনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ধর্মে বিশ্বাসের পাশাপাশি সেটা বাস্তব প্রয়োগ দরকার। নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত এই চারটি বাদ দিয়ে আমরা শুধু একটি নিয়েই পড়ে আছি এটাই সমস্যা।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞানের অনেক বিষয় এখনও প্রতিষ্ঠিত না। বিজ্ঞান নতুন কিছু পেলে আগের অবস্থানে থাকে না।
ধর্ম বলতে শুধু নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত বুঝায় না। এটা আমরা বুঝতে চাই না।
৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৩৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ধর্মের সাথে বিজ্ঞান না মিলানোই উচিত। বিজ্ঞানের সাথে মিলালে ধর্ম নেই হয়ে যায়।
তবে আমি ধর্মকে সম্মান করি।
আমি ১০০% বিজ্ঞানমনষ্ক হলেও আমি মুসলমান। নাস্তিক নই। নামাজ কমবেশি পড়ি।
মানুষ হোমোস্যাপিয়েন্স বিবর্তিত হয়ে একসময় সভ্যতা ও সমাজগঠনের সুরুতে ধর্মের একটা ভুমিকা ছিল, এখনো অনেকটা আছে। থাকবে।
সমাজিক শৃক্ষলা নর্মাল রাখতে একটা বা একাধিক রিচুয়াল থাকা উচিত। যতটুকু পারা যায় মেনে চলা উচিত যতটুক সম্ভব। না মানলেও সমস্যা নেই।
ধর্ম আমাদের সমস্যা না। সমস্যা হচ্ছে ধর্মকে ব্যাবহার করে ধর্ম বানিজ্জ। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করা নিয়ম চাপিয়ে দেয়া ধর্মজীবিরা মুল সমস্যা।
অন্যান্ন ধর্মের মত ইসলামও যৌথ বা রাজনৈতিক ধর্ম না। ব্যাক্তিগত ধর্ম।
দুই কান্ধে দুই ফেরেস্তা, কোন পুস্তকেই লেখা নেই আমার পাপে আমার পরিবার বা সমাজপতির পাপ হবে। পাপ পুন্য সবই ব্যক্তিগত। কেয়ামতের পরও একা, কেউ কাউকে চিনবে না, পাওনাদার বাদে। পুলসেরাতও পার হতে হবে একাই। বেহেস্তেও সেবিকাদের সাথে থাকবে। স্ত্রী পরিবার থাকবে না।
ধর্ম আমাদের জন্য কোন সমস্যা নয়। ধর্মকে ব্যাবহার করে ধর্ম বানিজ্য, ধর্ম নিয়ে জোড়জবদস্তি, বা রাজনীতি করা ধর্মের অংশ হওয়ার কারন নেই।
ধন্যবাদ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বর্তমান যুগে বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধর্মের কিছু মানুষ ধর্ম নিয়ে ব্যবসা এবং রাজনীতি করছে।
একজনের পাপের বোঝা কখনই অন্য জনের উপর দেয়া হবে না।
কাঁধে ফেরেশতার কথা কোরআনে আছে। সূরা কাফের ১৭ নং আয়াত;
'When the two receivers receive, seated on the right and on the left.'
৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:১৪
মৌন পাঠক বলেছেন: আমিন চুম্মা আমিন, রাগ করে না ভাইয়ো
৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৩৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আচ্ছা কোনটা বেশী মানেন। বিজ্ঞান নাকি ধর্
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অবশ্যই ধর্ম। বিজ্ঞান কি সব কিছু জানে? অনেক ব্যাপারেই বিজ্ঞানকে শিশু বলা যায়।
৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৩৭
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
কাউন্টার পোস্ট নাকি?
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নির্দিষ্ট কারও পোস্টের কাউনটার না। তবে ইদানিং বিজ্ঞান আর ধর্মের সংঘাত নিয়ে ব্লগে লেখালেখি বেশী হচ্ছে। তাই এই পোস্ট দিলাম।
৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৭
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আল্লাহ বারবার বিশ্বাস করতে বলেছেন, প্রমাণ করতে বলেননি। ব্লগে অনেকেই আছে এগুলোকে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করতে চায় আর তখনই বাধে যত বিপত্তি।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মানুষের মাথায় অনেক কিছু ঢুকবে না বলেই আল্লাহ বিশ্বাস করতে বলেছেন। আল্লাহর জ্ঞান সাথে মানুষের জ্ঞানের কোন তুলনা হয় না। তবে ভবিষ্যতে বিজ্ঞানের অগ্রগতি হলে কিছু বিষয় আমাদের কাছে বিশ্বাস যোগ্য হতে পারে।
যারা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণ করতে চায় তারা বোঝে না বহু বিষয় আছে যেগুলির ব্যাপারে বিজ্ঞান খুব কম জানে।
১০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩১
ঈশ্বরকণা বলেছেন: 'বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক' না হয়ে শিরোনামটা মনে হয় ' বিজ্ঞানের কাছে এখনো অব্যাখ্যাত' বা এই ধরণের কিছু হলে আরো মানানসই হতো । কারণ ইসলামের যে সাবজেক্ট বা টপিকগুলো আপনি পয়েন্ট আউট করেছেন সেগুলোর সাথে বিজ্ঞানের একটা দ্বান্দ্বিক সম্পর্ক আছে, সেটা না। তার চেয়ে বরং ওই পয়েন্টগুলোর অনেকগুলোর ক্ষেত্রেই বিজ্ঞানের কোনো বক্তব্য নেই বা বিজ্ঞান ঐসব বিষয়ে নিশ্চুপ সেটা বলাই ভালো। তাই এক্ষেত্রে বিষয়টা দ্বান্দ্বিক হিসেবে তুলে ধরাটা মনে হয় অনুচিত। যেমন একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন কি নেই সে নিয়ে বিজ্ঞান কিন্তু দ্ব্যর্থবোধক কিছু এখনো বলেনি। সেজন্যই নেন বিজ্ঞানীই নিজেদের 'এগনোস্টিক' হিসেবে পরিচয় দেন। যেমন ইয়েল ইউনিভার্সির খ্যাতিমান বিজ্ঞানী, ম্যাথমেটিশিয়ান, ফিজিশিয়ান, কসমোলোজিস্ট কার্ল সেগান নিজেকে 'এগনোস্টিক' হিসেবে পরিচয় দিতেন। বাকি গুলোর ক্ষেত্রে কিছু বিজ্ঞানীর দেয়া ধরণের বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যাই আছে ।উদাহরণ হিসেবে বলা যায় সাম্প্রতিক সময়ে অনেক জিনেটিসিস্ট, বায়োলজিস্ট হজরত ঈসার (আঃ) ভার্জিন বার্থের ব্যাপারটা খুব রেয়ার ঘটনা বলেও সম্ভব বলেছেন। এদের মধ্যে কেমব্রিজ প্রফেসরও আছেন। তাই ভার্জিন বার্থের ব্যাপারে তাদের মতামত হেলায় ফেলে দেবার মতো মানুষ কিন্তু তারা নন।তাই আমার ধারণা ইসলামের যে বিষয়গুলোর উল্লেখ আপনি করেছেন সেগুলোর সাথে বিজ্ঞান মতবাদ সাংঘর্ষিক সেটা ঢালাও ভাবে বলা যায় না বরং 'অব্যাখ্যাত' বললে বেশি মানানসই হয় শিরোনামটা ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:২৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অব্যাখ্যাতও বলা যায়। আমি সাংঘর্ষিক বলেছি কারণ বর্তমান বিজ্ঞান এগুলি অসম্ভব মনে করে। যেমন একজন মানুষকে আগুনে নিক্ষেপের পরেও তার কিছু হল না। এটার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা চাইলে যে কোন পদার্থবিজ্ঞানী বলবেন যে এটা সম্ভব না বিজ্ঞানের তত্ত্ব অনুযায়ী।
আসলে যেটা দেখা যায়, অনুভব করা যায় বা যে ব্যাপারে তথ্য উপাত্ত আছে বিজ্ঞান সেটা নিয়ে কাজ করে। যেটা দেখা যায় না, অনুভব করা যায় না, তথ্য, উপাত্ত নেই বিজ্ঞান সেটাকে অগ্রাহ্য করে। মৃত্যুর পরে কি হয় এই ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা চাইলে বিজ্ঞানীরা যতটুক দৃশ্যমান সেটাই বলবে। মৃত দেহের রুহ বা আত্মা দেখা যায় না তাই সেই ব্যাপারে বিজ্ঞান নিশচুপ থাকবে বা অস্বীকার করবে।
কিন্তু ধার্মিক হতে হলে এই অব্যাখ্যায়িত বিষয়কে সত্য বলে মানতে হবে।
বিভিন্ন জরীপ থেকে জানা যায় যে সাধারণ মানুষের চেয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে নাস্তিক হওয়ার প্রবণতা বেশী। পিউ রিসার্চের জরীপ অনুযায়ী সাধারণ মানুষের ৯৫% স্রস্টা বা কোন সুপ্রিম পাওয়ারে বিশ্বাস করে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের ক্ষেত্রে মাত্র ৫১% স্রষ্টা বা সুপ্রিম পাওয়ারে বিশ্বাস করে। বিজ্ঞান নিয়ে কাজ করার কারণেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে নাস্তিকতার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন থেকে ৫০ বা ১০০ বছর আগে আস্তিক বিজ্ঞানীর হার আরও বেশী ছিল। অর্থাৎ যত দিন যাচ্ছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে নাস্তিকতার মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞানের জ্ঞানের প্রভাবেই বিজ্ঞানীরা ধর্ম থেকে দূরে সরে যাচ্ছে বলা যায়। কাজেই ধর্মীয় বিশ্বাসের সাথে বিজ্ঞানের একটা পজিটিভ বা নেগেটিভ সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে। অনেকে বলতে চাচ্ছেন যে দুটি দুই বিষয়। কিন্তু বিজ্ঞান আমাদের জগতের সব কিছু নিয়ে গবেষণা করে। ধর্মীয় বিশ্বাসগুলো বিজ্ঞানীদের কাছে গবেষণার অনুপযুক্ত। কবরে আরেকটা জীবন আছে এটা নিয়ে কোন বিজ্ঞানী গবেষণা করতে গেলে কোন উপাত্ত পাবে না তাই আগ্রহও দেখাবে না। এগুলি মুলত অব্যাখ্যাত বিষয়। ধর্মে উল্লেখিত মিরাকলগুলি কয়েক হাজার বছর আগে ঘটেছে। এখন তো ঘটছে না। এখন যদি বিজ্ঞানীদের চোখের সামনে ঘটত তাহলে তারা আগ্রহ দেখাতো। মৃত্যুর পরে কি হয় সেটা দেখা যায় না। তাই সেটা গবেষণার বিষয়ও না।
আমার ব্যক্তিগত ধারণা হল যে বিজ্ঞানকে সামনে আরও অনেক দূর যেতে হবে। যদিও আমরা মনে করি বিজ্ঞান অনেক দূরে গিয়েছে। ভবিষ্যতে অনেক অব্যাখ্যাত বিষয় বিজ্ঞানের কল্যাণে আমাদের কাছে পরিষ্কার হতে পারে। যেমন হজরত ওমরের একটা কারামত হল হাজার মাইল দূরে উনি একজন যোদ্ধাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এই যুগে হাজার মাইল দূরে আমরা তথ্য প্রেরণ করতে পারি নিমিষেই। মহাকাশ ভ্রমণ এক সময় আজগুবি মনে হলেও এখন সেটা সত্য। বিজ্ঞানের অগ্রগতি হলে সেটা এক সময় ধর্মের অনেক অব্যাখ্যাত বিষয়কে ব্যাখ্যা দিতে পারবে বলে আমি মনে করি। পৃথিবীর অনেক বিজ্ঞানী বরং বিজ্ঞান গবেষণার কারণে স্রষ্টার ব্যাপারে জানতে আগ্রহী হবে বা হচ্ছেন।
১১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: ইউনুস (আঃ) মাছের পেটে বেচে থাকা।
সোলাইমান (আঃ) পশু পাখির ভাষা বুঝা ও সিংহাসন নিয়ে বাতাসে উড়ে যাওয়া।
অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে নয়তো ঈমান থাকবেনা। ++++
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে যে এই অবিশ্বাস্য কাজগুলি সম্ভব হয়েছে আল্লাহর নির্দেশে। মোজেজা বা কারামত আসলে আল্লাহর হুকুমে হয়। আল্লাহর কোন সীমাবদ্ধতা নাই। তিনি চাইলে যে কোন কিছু করতে পারেন। আল্লাহর ক্ষমতাকে বিজ্ঞান দিয়ে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করাটা বোকামি। ধন্যবাদ মাইদুল ভাই আরও ৩ টা উদাহরণ উল্লেখ করার জন্য এবং পোস্টে প্লাস দেয়ার জন্য।
১২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে বিজ্ঞান যাহা জানে, সেগুলির ব্যাপারে বিজ্ঞান ব্যাখ্যা দেয়। যে সব বিষয়ে জানতে পারেনি তা নিয়ে বিজ্ঞান কিছু বলে না। বিজ্ঞান ও ধর্ম একটি আরেকটির পরিপূরকও নয় আবার সংঘর্ষিক ও নয়। বিজ্ঞান ও ধর্মের তুলনা কেন করা হয় তা আমি বুঝতে পারিনা। দুটো তো সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়।
আমরা কেউ কেউ স্রষ্টা নিয়ে অল্প জ্ঞান নিয়ে অনেক কথা বলে ফেলি। আমরা স্রষ্টার সামান্য সৃষ্টি, সৃষ্টির পক্ষে কি স্রষ্টার পর্যায়ে গিয়ে চিন্তা করা সম্ভব? আমি বলবো তা কখনোই সম্ভব না। এগুলো একেবারেই অযৌক্তিক কথাবার্তা। যেখানে একজন অশিক্ষিত লোক একজন উচ্চশিক্ষিত লোকের চিন্তা-ভাবনা ধারণ করতে সক্ষম নয়, সেখানে একজন সামান্য মানুষ স্রষ্টার পর্যায়ে অনেক আজগুবি কথা-বার্তা ও প্রশ্নের অবতারণা করেন তা বাতুলতা ও অর্বাচীনতা বৈ অন্য কিছু নয়।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তারপরও মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস তার বিজ্ঞানের জ্ঞান দ্বারা প্রভাবিত হয়। এই কারণে পৃথিবীর ৯৫% সাধারণ মানুষ গড বা সুপ্রিম পাওয়ারে বিশ্বাস করলেও মাত্র ৫১% বিজ্ঞানী গড বা সুপ্রিম পাওয়ারে বিশ্বাস করে। যত দিন যাচ্ছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে নাস্তিকতার প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের জীবনে বিজ্ঞানের অনেক প্রভাব আছে যা আমাদের অনেকের ধর্মীয় বিশ্বাসকে প্রভাবিত করছে। অব্যাখ্যাত জিনিসকে বিজ্ঞান জানতে চেষ্টা করে। কিন্তু ধর্মীয় বিষয়গুলি নিয়ে বিজ্ঞান কোন ক্লু পায় না। ফলে এই বিষয়গুলির উপর অবিশ্বাস জমা শুরু করে যারা বিজ্ঞানকে বেশী গুরুত্ব দেয়। বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা অনেকে বুঝতে চায় না ফলে এটার প্রভাব পরে তার ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর। এই কারণেই বিজ্ঞানীরা ধর্মীয় ব্যাপারে দিন দিন উদাসীন হয়ে যাচ্ছে। পরিসংখ্যান তাই বলে।
আপনি মূল্যবান কথা বলেছেন যে আমরা স্রষ্টার সামান্য সৃষ্টি। সৃষ্টির পক্ষে কি স্রষ্টার পর্যায়ে গিয়ে চিন্তা করা সম্ভব? এই কথাটাই আমরা বুঝতে চাই না। আপনার শেষের প্যারার কথাগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১২
রানার ব্লগ বলেছেন: পৃথিবী সৃষ্টি পুরাটাই একটা বিজ্ঞান। এখানে অলৌকিক কিছুর অবস্থান নাই। আর ধর্মীয় মোজেজা এই গুলা চাক্ষুস দেখা ছাড়া কল্পকাহিনির অংশ। বিজ্ঞান অলৌকিকতাকে স্বিকার করে না। তাই ধর্ম কে বিজ্ঞান দিয়ে পরিমাপ করার কোন অর্থই নাই। অন্যভাবে ধর্ম হলো সংবিধান। আর সংবিধানে বিজ্ঞান থাকে না।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন কোরআনে যে মোজেজার কথা আছে সেটা কল্পকাহিনী।
বিজ্ঞান অলৌকিকতাকে স্বীকার করে না বলেই বিজ্ঞানীদের মধ্যে নাস্তিক হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। কিন্তু ভবিষ্যতে উল্টাও হতে পারে। এক সময় বিজ্ঞান অনেক অলৌকিকতার ব্যাখ্যা পেতে পারে। তখন আবার বিজ্ঞানীরা ধর্মের দিকে ধাবিত হতে পারে।
মানুষের দেহের অঙ্গ, প্রত্যঙ্গ এবং কার্যকলাপ দেখলেই বোঝা যায় এটার পিছনে অনেক বড় একজন বিজ্ঞানী আছেন। অনু পরমাণুগুলির মধ্যে যে শৃঙ্খলা আছে সেটা দেখলেও বোঝা যায় কোন একটা বড় শক্তির নির্দেশে এগুলি হচ্ছে। বিজ্ঞানের এই আবিষ্কারগুলির কারণে স্রষ্টা নিয়ে আরও বেশী ভাবার কথা। কিন্তু ঘটছে উল্টা। বিজ্ঞানের বর্তমান অবস্থানকে আমরা বিশাল কিছু ভাবছি। এটাই সমস্যা। সামনে বিজ্ঞান আরও অনেক কিছু জানবে তখন সেই জ্ঞান মানুষকে ধর্মের অনেক অব্যাখ্যাত বিষয়কে জানতে সাহায্য করবে। বিজ্ঞান এবং ধর্মের দূরত্ব কমে যাবে। তখন বিজ্ঞানের মাপকাঠি দিয়ে ধর্মের সত্যতা নিশ্চিত করা যাবে। এখন বিজ্ঞান সেই পর্যায়ে নাই।
১৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫০
অপু তানভীর বলেছেন: না না ''শয়তান'' বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক নয় । ধার্মিকরা যাকে শয়তান বলে, তার যে রকম বৈশিষ্ট মনে করে তার প্রতিটি বৈশিষ্ট্য কিছু কিছু অবিশ্বাসীদের ভেতরেই লক্ষ্য করা যায় ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিছু কিছু মানুষকে শয়তানও ভয় পায়।
রমজান মাসে আল্লাহ শয়তানকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন। কিন্তু দেখা যায় রমজান মাসেও অনেক মানুষের শয়তানি কমে না। কারণ এরা শয়তানের গুরু।
১৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৭
রাজীব নুর বলেছেন: যারা ইসলামে নেই তারাই ভালো আছে।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ভালো আছেন না খারাপ আছেন? আপনার উত্তর থেকে বোঝা যাবে আপনি কোন দলে আছেন।
আপনি যে ভালোর কথা বলছেন সেটা আসলে একটা ধোঁকা। দুনিয়া হল একটা ধোঁকা।
১৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৩
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ইশ্বরকণার সাথে আমি একমত । বিজ্ঞান আসলে অনেক কিছুতে নিশ্চুপ তারা সে নিয়ে তর্কে যায় না বা একদম সরাসরি কোন সিদ্ধান্তে যায় না , সংশয় থাকলেও সেই সংশয়কে তারা সিদ্ধান্ত বলে চালাতে চায় না । সংশয়কে সিদ্ধান্ত বলে চালায় তারাই যারা বিজ্ঞানকে পুরোপুরি না জেনে নিজেকে বিজ্ঞান মনস্ক দাবী করে তারাই !
বিজ্ঞান এখনও চুড়ান্ত পর্যায়ে যায়নি ব্যহারিক বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে কিছূ স্বল্পবুদ্ধির মানুষ অযথাই বিতর্ক তৈরী করে যাকে ঘিরে পরে তৈরী হয় সামাজিক সংঘর্ষ !!
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তর্কে না গেলেও বিজ্ঞানীদের ধর্মীয় বিশ্বাস তাদের জ্ঞান চর্চার দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। ফলে যত দিন যাচ্ছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে নাস্তিকতার হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১০ নং প্রতি মন্তব্যে আমি এই ব্যাপারে কিছু পরিসংখ্যান দিয়েছি। বিজ্ঞানীদের এই নিশ্চুপ থাকা এক অর্থে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা যেটা ধীরে ধীরে তাকে ধর্মহীনতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তবে ব্যতিক্রমও অনেকে আছেন যারা বিজ্ঞানের গবেষণার কারণে আরও ধর্মের দিকে ঝুঁকছেন।
আপনি ভালো বলেছেন যে ' সংশয়কে সিদ্ধান্ত বলে চালায় তারাই যারা বিজ্ঞানকে পুরোপুরি না জেনে নিজেকে বিজ্ঞান মনশক দাবী করে তারাই!'
আপনার মন্তব্যের শেষ লাইনটাও খুব ভালো লাগলো ' বিজ্ঞান এখনও চূড়ান্ত পর্যায়ে যায়নি ব্যবহারিক বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে কিছু স্বল্পবুদ্ধির মানুষ অযথাই বিতর্ক তৈরি করে যাকে ঘিরে পরে তৈরি হয় সামাজিক সংঘর্ষ!!' আমিও এই রকমই মনে করি। ভবিষ্যতে এমন হতে পারে যে বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার আমাদের ধর্মের অনেক অব্যাখ্যাত বিষয়কে জানতে সাহায্য করবে।
১৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৬
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আরো অনেক কিছু আছে। তবে মেরাজটা হয়তো ব্যাখ্যা করা সম্ভব।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে ভবিষ্যতে ধর্মের অনেক অব্যাখ্যাত জিনিসই হয়তো আমাদের কাছে পরিষ্কার এবং গ্রহণযোগ্য হবে।
১৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:০২
আওয়ামী বলেছেন: ফিরে দেখা: বিজ্ঞান দিয়ে ধর্ম অস্বিকার করার খেলায় নাস্তিক মামাদের ধরা খাওয়ার করুণ ইতিহাস।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এই লিঙ্কটা দেয়ার জন্য। এই লিঙ্ক থেকে আরও বেশ কিছু পোস্ট এই বিষয়ে পেলাম। সময় করে পড়ব।
১৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:১১
আওয়ামী বলেছেন: সামু ব্লগে এইটা একটা রিজল্ভ হওয়া বিষয়, উপরের লিংকে গিয়ে দেখেন।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি সেই সময় ব্লগে ছিলাম না। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত আগের লিঙ্কগুলো খুঁজে দেয়ার জন্য। এত বিশদ আলোচনা এবং যুদ্ধ ব্লগে এই বিষয়ে হয়েছে এটা আমার জানা ছিল না। শেষ পর্যন্ত কোন পক্ষ জিতল সেটা জানার জন্য পোস্টগুলি আমাকে পড়তে হবে।
২০| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৮
রানার ব্লগ বলেছেন: আমি মনে করি আদমের পৃথিবীতে পদার্পন একটা বিজ্ঞান। টেলি পোর্টার বা টাইম লুপের মাধ্যমে আদম কে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল। এমন না যে আদম হাওয়া কে ছূড়ে ফেলা হয়েছিল ইট বা পাথরের মতো।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: স্রষ্টা মানুষের চেয়ে বহুগুণ জ্ঞানী একজন বিজ্ঞানী। স্রষ্টার জ্ঞানকে কেবল আমরা জানার চেষ্টা করছি বিজ্ঞানের সাহায্যে।
সময় সংক্রান্ত কিছু বিষয় আমাদের সাধারণ মানুষের মাথায় ঢুকবে না। আইনস্টাইন তার আপেক্ষিকতার থিউরিগুলিতে টাইম সম্পর্কে যা বলেছেন সেটাই তো আমাদের মাথায় ঢোকে না। মহাকর্ষ এবং গতির প্রভাবে একটা স্যাটেলাইটের ঘড়ির টাইম স্লো বা ফাস্ট হয়ে যায়। এই কারণে সেটাকে ঠিক করে নিতে হয়। যে কোন বস্তুর গতি বাড়লে টাইম স্লো হয়ে যায় আবার মহাকর্ষের প্রভাব বাড়লেও টাইম স্লো হয়ে যায়। এগুলি এখন প্রমাণিত সত্য। স্পেস, টাইম এগুলি বোঝার জ্ঞান আমাদের মত সাধারণ মানুষের নেই।
আদম এবং হাওয়াকে ইট, পাথরের মত ফেলে দেয়া হয়নি নিশ্চয়ই। এমন কিছু করা হয়েছে যেটা আমাদের মাথায় ঢুকবে না।
২১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৩
জুল ভার্ন বলেছেন: ধর্ম হচ্ছে নি:শর্ত বিশ্বাস- যা যুক্তিতর্ক দিয়ে প্রমাণের চেষ্টা না করাই উচিৎ।
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মনে হয় বিজ্ঞান নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের স্রষ্টা নিয়ে ভাবার আগ্রহ আরও বাড়া উচিত। কারণ যত বেশী বিজ্ঞানের গভীরে ঢোকা যায় তত নতুন নতুন বিস্ময় বিজ্ঞানীদের সামনে এসে পড়ে। গত এক শতকের বৈজ্ঞানিক বিস্ময় হল কোয়ান্টাম মেকানিক্স। এটা সম্ভবনা নির্ভর সম্পূর্ণ একটা নতুন বিস্ময়কর জগত যার সাথে নিউটন এমন কি আইনস্টাইনের সূত্রকেও এক লাইনে আনা যাচ্ছে না। তবে বিজ্ঞানীরা আইনস্টাইনের সূত্রগুলির সাথে কোয়ান্টামের সমন্বয়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আশা করা যায় একটা উইন উইন অবস্থা হবে ভবিষ্যতে।
২২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৩
শার্দূল ২২ বলেছেন: বিশ্বাস শব্দটাই এমন যে উপস্থিতি রাখেনা । কেউ বলেনা আমি বিশ্বাস করি আমার দুটো হাত আছে।
আবার মানুষ এটাও বলে যে বিশ্বাস করো আমি তোমাকে ভালোবাসি, জবাবে আসে ভালোবাসা দেখা যায়না ভালো কথা তবে এমন কিছু করো যা দেখে অনুমান করতে পারি তুমি আমাকে ভালোবাসো। এমনই অনুমান আমাদের বিবেক করতে পারে।
আমি কিভাবে আল্লাহ আছে তা বিশ্বাস করি।
আল-কোরাণ। ১৪০০ বছর আগে যখন বিজ্ঞানের ছিটোফুটো ছিলোনা তখন কোরাণে স্রষ্টা এবং সৃষ্টি রহস্যে সুত্র দিয়েছেন। আলকোরাণে শত শত সাইন থেকে আজ আমার আর বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়না যে সৃষ্টির পিছনে স্রষ্টা আছে। কোরাণে এমন অনেক কিছু আছে যা বিজ্ঞান এক সময় মেনে নেয়নি। আজকে মেনে নিচ্ছে। এবং এক সময় যা মেনে নেয়নি তাও মেনে নিবে বলে বিশ্বাস।
বিজ্ঞান যদি ধর্মকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় তাহলে বিজ্ঞানকেও চ্যালেঞ্জ দেয়া হলো মৃত্যু রুখে দিতে পারে কিনা তারা।
আর এত কিছু সৃ্ষ্টির পিছনে সৃষ্টিকর্তা একটু রহস্য রসিকতা যদি না করেন তাহলে সব কিছু ফানশে হয়ে যাবে। সুতরাং বিজ্ঞানের সুবিধা নেবো ধর্মের উপর দাড়িয়ে।
শুভ কামনা
০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আইনস্টাইনের সূত্র আমরা বুঝবো না। কিন্তু আমরা বিশ্বাস রাখি যে এটা সত্য। কারণ এটার সফল প্রয়োগ আছে। এই কারণেই না বুঝলেও আমরা সত্য বলে মেনে নেই। একইভাবে ধর্মের অনেক বিষয় আমাদের মগজে না ঢুকলেও আমরা সেটাকে সত্য বলে মেনে নেই। কারণ আমাদের দেহ থেকে শুরু করে প্রকৃতির জগতে বহু সাইন আছে যেটা থেকে একজন বিবেকবান মানুষ বুঝতে পারে যে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড একটা সুপার পাওয়ারের নির্দেশে চলছে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে। এই সুপার পাওয়ারের নির্দেশে অনেক অব্যাখ্যাত জিনিস পৃথিবীতে বিভিন্ন সময় ঘটেছে। আমাদের কাছে সেটা বোধগম্য না হলেও সেই সুপার পাওয়ারের কাছে এটা কিছুই না।
বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে অনেক অসম্ভব জিনিস আমাদের কাছে স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও উন্নতি হবে বিজ্ঞানের এবং হয়তো আরও অনেক আপাত অসম্ভব বিষয় আমাদের কাছে স্বাভাবিক মনে হবে বিজ্ঞানের কল্যাণে।
ভালো কথা বলেছেন 'বিজ্ঞান যদি ধর্মকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় তাহলে বিজ্ঞানকেও চ্যালেঞ্জ দেয়া হল মৃত্যু রুখে দিতে পারে কি না তারা। আর এত কিছু সৃষ্টির পিছনে সৃষ্টিকর্তা একটু রহস্য রসিকতা যদি না করেন তাহলে সব কিছু পানসে হয়ে যাবে। সুতরাং বিজ্ঞানের সুবিধা নেব ধর্মের উপর দাড়িয়ে'
২৩| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩
রানার ব্লগ বলেছেন: এক সময় বিজ্ঞান অনেক অলৌকিকতার ব্যাখ্যা পেতে পারে। তখন আবার বিজ্ঞানীরা ধর্মের দিকে ধাবিত হতে পারে।
যখন বিজ্ঞান এই সব অলৌকিকতার ব্যাখ্যা পাবে তখন মেনে নেবে এখন যেহেতু নাই তাই বিজ্ঞান মানছে না । পৃথিবী গোল এবং সূর্যের চারিপাশে ঘোরে বিজ্ঞান এটাকে প্রমান সহ হাতে নাতে বুঝিয়ে দেয়ার পরেও মানুষ বিষয় টা নিয়ে কম হাস্যরস করে নাই । এমনকি এখনো এক দল উজবুক খাতা কলম নিয়ে বসে পড়েছে যে সুর্য প্ররথীবির চারিপাশে ঘোরে প্রমানের জন্য । তো কিছু প্রমান করতে হলে তাকে যথেষ্ঠ ব্যাখ্যা নিয়ে আসতে হবে ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যেটা দেখা যায় না, অনুভব করা যায় না, যেটার বিষয়ে কোন তথ্য উপাত্ত নাই সেটা নিয়ে বিজ্ঞান কাজ করে না। এই কারণে ধর্মের অনেক বিষয় নিয়ে বিজ্ঞানের কোন মাথা ব্যথা নাই। বিজ্ঞান নিজের গতিতে চলে।
ইসলাম ধর্মে কোথাও বলা নাই যে পৃথিবী সমতল। অনেকে ভুল ব্যাখ্যার মাধ্যমে এটা বলার চেষ্টা করে। আবার সূর্য বা পৃথিবী কে কার চার চারপাশে ঘোরে সেই ব্যাপারেও ইসলাম নিশ্চুপ। তাই এগুলি নিয়ে ইসলামের সমালোচনার কিছু দেখি না। আর কতিপয় অতি উৎসাহী অল্প জ্ঞানী মুসলমান কি প্রমাণ করার চেষ্টা করল সেটার চেয়ে বড় বিষয় কোরআন বা হাদিসে কি আছে। আমরা ইসলামকে অনুসরণ না করে কতিপয় স্বল্প জ্ঞানী মুসলমানকে অনুসরণ করছি এটাই বড় সমস্যা। আমাদের গ্রন্থে ভুল আছে কি না এটা গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণে কিছু বিষয় ভুল মনে হতে পারে কিন্তু এই ব্যাপারে উপসংহারে আসা যাবে না। কারণ বিজ্ঞানের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে।
অতি উৎসাহী মুসলমানদের উচিত হবে না বিজ্ঞানকে ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে দাড়া করানো। এতে ইসলামের ইমেজ নষ্ট হয়। কারণ বিজ্ঞানের অনেক বিষয়ে পূর্ণ জ্ঞান না থাকার কারণে আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় যেন ইসলাম ধর্মে ভুল বলা আছে।
২৪| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১০
নতুন বলেছেন: ধর্মের মুলে আছে বিশ্বাস করে নিয়ে প্রশ্ন না করা আর বিজ্ঞানের মুলে আছে প্রমান করে দেখার ইচ্ছা প্রশ্ন করে উত্তর বের করা।
তাই এই দুইটা এ এক সাথে মিলানো সম্ভব না।
নিচের জিজ্গাসা গুলি মেনে নিতে হবে। যদি বিজ্ঞানের আলোতে দেখতে চান তবে অনেক অলৌকিক ঘটনা মেনে নিতে হবে।
যেমন:- ১। মেরাজ - রসূলের (সা) ঊর্ধ্বাকাশ ভ্রমণ। বেহেশত, দোজখ পরিদর্শন। হাজার বছর আগের মৃত নবী ও রসূলদের সাথে নবীজির (সা) একত্রে নামাজ পড়া।
* যদি বলেন হাজার বছর আগের নবী ও রসূলদের সাথে ঐ দিন নামাজ আদায় করেছিলেন। তবে অনেক প্রশ্ন আসে।
ঐ মৃত্য নবীরা কি কবর থেকে জীবিত হয়ে বের হয়ে এসেছিলো? তারা কিভাবে ঐ মসজিদে এসেছিলেন? এতো মানুষ কবর থেকে বের হয়ে আবার কবরে গিয়ে শুয়ে পড়লেন? দুনিয়ার মানুষ দেখতে পেলো না? যেই জানবাহনে ঐ মসজিদে এসেছিলো তাদের বাহন গুলি কোথায় পার্ক করেছিলো? আগের নবী রাসুলেরা কি জীবিত অবস্থায় ছিলো কবরে নতুবা তাদের জীবিত করে আবার রুহ কবজ করা হয়েছিলো?
৫। নবীজির (সা) হাতের ইশারায় চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়া
চাদের আকার, দুরত্ব, দ্বীখন্ডিত হবার প্রকৃয়া, আবার জোড়া লাগার প্রকৃীয়া, দুই টুকরা জোড়া লাগলে যেই পরিমান শক্তি দরকার হবে এবং দুই টুকরা একত্রিত হবার সময়ে যেই প্রকৃয়ীা হবে সেটা সারা দুনিয়ার মানুষেরই দেখার কথা। সেটা সকল এলাকার মানুষের দেখার কথা এবং সেটা সব সমাজেরে মানুষের রুপকথা বা কাহিনিতে থাকার কথা।
১৪। আল্লাহতায়ালা 'কুন (হও)' বললেই সব কিছু হয়ে যায়।
অনেকেই কুন অর্থ সাথে সাথে হউয়া মনে করে, সেটা যদি তাই হয় তবে পৃথিবি যে সাথে সাথে হয় নাই সেটা তো প্রমানই আছে, আর সৃস্টি কর্তা চাইলে হয়ে যাবে কিন্তু সেটা যদি লক্ষ কোটি বছর ধরে হতে হয় তবে সেটা হবার মাঝে সৃস্টিকর্তার কমান্ডের প্রভাবের জোর কমই বলতে হবে।
এই ধরনের আরও কিছু বিষয় আছে যেগুলির কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আমাদের হাতে নেই। সেই ক্ষেত্রে আমরা কি ইসলামের এই বিষয়গুলির উপর বিশ্বাস রাখব কি রাখব না এটা অনেকের কাছে একটা বড় প্রশ্ন।
আরেকটা জিনিস হইলো দিন দিন মানুষের মাঝে যুক্তির প্রভাব বাড়ছে তাই এই রকমের ঘটনার উপরে বিশ্বাস কমে যাচ্ছে। তাই ধর্মের উপরেও মানুষের বিশ্বাস কমে যাচ্ছে। কারন সকল ধর্মৈই এমন অনেক অলৌকিক ঘটনার উপরে বিশ্বাস আনতে বলে।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্মের অনেক বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয় এখন বিজ্ঞান নিশ্চিত করেছে। আগে আমাদের কাছে ঐ বাণীগুলি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা ছিল না। পরে বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে দেখা যাচ্ছে যে কোরআনে সঠিকভাবেই বলা আছে। সামনে বিজ্ঞানের অগ্রগতি হওয়ার সাথে সাথে আরও অনেক আপাত অলৌকিক বিষয় আমাদের কাছে পরিষ্কার হতে পারে। ১৪০০ বছর আগে মানুষ চাঁদে যেতে পারে এই কথা বললে সেটা অলৌকিক ব্যাপার ছিল। কিন্তু এখন সেটা বাস্তব। একইভাবে বিজ্ঞানের কল্যাণে এক সময় হয়তো আলোক বর্ষ দূরে কোথাও মানুষ যেতে পারবে। হজরত সোলাইমানকে (আঃ) পশু পাখির ভাষা বুঝতে পারতেন। পশু পাখির ভাষা বোঝার ব্যাপারে বিজ্ঞান অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। আশা করা যায় এক সময় পশু পাখির ভাষা মানুষ বুঝতে পারবে। কাজেই বিজ্ঞানের আবিষ্কার ধর্মকে বুঝতে সাহায্য করবে। বিজ্ঞানের অনেক অলৌকিক বিষয় মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে যাবে বিজ্ঞানের কল্যাণে। তাই ভবিষ্যতে বিজ্ঞান হতে পারে ধর্ম বোঝার হাতিয়ার।
মৃত মানুষের জগৎ হয়তো একটা আলাদা টাইম এবং স্পেসের ডাইমেনশন যেটা সম্পর্কে বর্তমান বিজ্ঞানের কোন ধারণা নাই। সময় যে আপেক্ষিক এটা আইনস্টাইনের আগে কেউ জানতো না। কিন্তু এখন আমরা নিশ্চিতভাবে জানি যে গতি এবং মহাকর্ষের কারণে টাইম স্লো হয় বা ফাস্ট হয়। তারপরও আমাদের মত সাধারণ মানুষের পক্ষে কি সময়ের এই অদ্ভুত আচরণ বোঝা সম্ভব। কাজেই মৃতদের জগত অসম্ভব এটা বলা গেলেও ভবিষ্যতে যে এই ব্যাপারে ক্লু পাওয়া যাবে না এটা কিন্তু নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের অনেক অদ্ভুত আচরণ আছে যেটা আগের বৈজ্ঞানিক থিউরিগুলি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। কোয়ান্টাম মেকানিক্সে অনেক প্যারাডক্স আছে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স অনুযায়ী একটা বিড়াল একই সময় জীবিত এবং মৃত হতে পারে। এই কথাগুলি আমাদের মগজে ঢোকে? অবশ্যই খুব আজগুবি শোনায়। কাজেই ধর্মের কিছু বিষয় আজগুবি মনে হলেও এক সময় বিজ্ঞান সেগুলিকে সমর্থন করতে পারে।
কিছুদিন আগে বিজ্ঞানীরা একটা মহাজাগতিক বিশাল বস্তুর গতি পথ পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন। ভালো করে মনে নেই। ব্লগার সোনাগাজী এই ব্যাপারে একটা পোস্ট দিয়েছিলেন। এই কাজটা ১০০ বছর আগে কেউ বিশ্বাস করতো কি? একইভাবে চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার ব্যাখ্যা হয়তো এক সময় জানা যাবে। চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার ঘটনা ঐ সময় মক্কার বহু লোকে দেখেছিল। কারণ তাদেরকে দেখানোর জন্যই চাঁদকে আল্লাহর নির্দেশে দ্বিখণ্ডিত করা হয়েছিল। চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার ঘটনা কোরআনে আছে। এই ঘটনা মিথ্যা হলে ঐ যুগের কাফেররাই নবীজিকে (সা) চ্যালেঞ্জ করতো কোরআনের আয়াত পড়ার পরে। কিন্তু সেরকম কোন কথা শোনা যায় না।
'কুন' অর্থ হও। সাথে সাথে হতে হবে এমন না। এই শব্দের অর্থ দিয়ে সেটা বুঝায় না। কারণ আল্লাহ কোরআনেই অন্য জায়গায় বলেছেন যে তিনি নভোমণ্ডল এবং ভূমণ্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। এই দিন মানে ২৪ ঘণ্টার দিন না।
অল্প জ্ঞানের কারণে কেউ যদি বিজ্ঞান অনুসরণ করে নাস্তিক হয়ে যায় সেটা তার ব্যাপার। যদিও সেটাই বেশী ঘটছে। দিন দিন বিজ্ঞানীদের মধ্যে নাস্তিকতার প্রবণতা বাড়ছে। কিন্তু পাশাপাশি বহু বিজ্ঞানী দৃঢ়ভাবে স্রস্টায় বিশ্বাস করেন। অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন বিজ্ঞানের এই আবিষ্কার তাদেরকে স্রষ্টা সম্পর্কে ভাবতে আরও অনুপ্রাণিত করছে। কে আস্তিক হবে আর কে নাস্তিক হবে সেটা প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
এত কিছু পরেও বিভিন্ন জরীপ এবং পরিসংখ্যান বলছে ভবিষ্যতে নাস্তিকের পরিমান বেশী বাড়বে না। ৬০ বছর পরে মুসলমানরা হবে বিশ্বের সংখ্যাগুরু ধর্ম। খৃস্টান ধর্ম প্রথম স্থান থেকে দ্বিতীয় স্থানে চলে আসবে। মুসলমানদের দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি এটার অন্যতম কারণ। ধর্মান্তর মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধির মূল কারণ না।
২৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১১
ঈশ্বরকণা বলেছেন: নতুন,
কুরআনে মাত্র দুটো জিনিসের বিষয়ে বলা হয়েছে যেগুলোর বিষয়ে মানুষকে কমই জ্ঞান দেয়া হয়েছে । সেই বিষয় দুটো হলো রুহু আর কেয়ামত ঘটনার সময় । মানে এই দুটো ব্যাপার সম্পর্কে মানুষ কখনোই খুব বেশি জানতে পারবে না । আর আল্লাহ সম্পর্কে বলা হয়েছে তার অস্তিত্ব কোনো মানুষের ধারণারও বাইরে। তার মানে সেটা নিয়েও মানুষ ধাৰণা করতে পারবে না । আশ্চর্য মনে হলেও সেটা কেন পারবেনা তা নিয়ে কিন্তু অনেক আধুনিক বিজ্ঞানীদের থিয়োরিও আছে ! এর বাইরের আর সব বিষয়কেই জানার আর বোঝার মতো করেই সৃষ্টি করা হয়েছে।
ইসলাম সম্পর্কে বলা হয়েছে এটা চিরদিনের জন্য। তাই কুরআনে যা বলা হয়েছে তার সবটুকুই একটা সময়ের মানুষ জেনে ফেলবে তা ভাবছেন কেন ? মানুষের সভ্যতা আরো হাজার বছর টিকে থাকলে নিশ্চিত ভাবেই মানুষ জ্ঞান বিজ্ঞানে আরো অনেক উন্নত হবে । হাজার পরের মানুষ এখনকার চেয়ে অনেক বেশি জানবে । কুরআনে বলা বিষয়গুলো,যেগুলোকে এখন আমরা অলৌকিক বলি বা ভাবি,সম্পর্কে মানুষ ধীরে ধীরে হয়তো বুঝতে শিখবে। হজরত মুসার (আঃ) সাগর পার হবার ঘটনাটা বা তার কথানুযায়ী নয়টা প্লেগ হবার ঘটনা মানুষ সব সময় অলৌকিকই মনে করেছে কিন্তু এখন অন্তত বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে পেরেছে বিষয়গুলো । ওখানে অলৌকিকতা অন্য জায়গায় কিন্তু প্রাকৃতিক বিষয়ের ব্যাখ্যা বৈজ্ঞানিকদের কাছে আছে বলেইতো মনে হচ্ছে । তেমন করে এখন হয়তো আমরা বুঝতে পারছি না কিন্তু হাজার বছর পরের মানুষ টেকনোলজিক্যাল ডেভলপমেন্টের পরে হয়তো ঠিকই চাঁদের দ্বিখণ্ডিত হবার ব্যাপারটাও বুঝতে পারবে। আর চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হলে সারা পৃথিবীর মানুষের সেটা দেখতেই হবে সেটিও বা কেন হবে ? চাঁদ দেখা যাবার শর্ত হলো মেঘশূন্য পরিষ্কার আকাশ। একটা বড় অঞ্চল জুড়ে আকাশে মেঘ থাকলেইতো বহু মানুষ চাঁদ দেখবে না।আর উজ্জ্বল সূর্যের কারণেও চাঁদ আকাশে ম্লান দেখায় বা দেখাই যায় না অনেক সময়ই। চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হবার সময় পৃথিবীর যে অংশে মেঘ থাকবে বা সূর্যের উপস্থিতি থাকবে সেখান থেকেতো চাঁদ দেখতে না পাবারই কথা। তাছাড়া পনেরোশো বছর আগে পৃথিবীতে মানুষতো এতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল না। তাদের বসবাস ছিল অনেক সেন্ট্রালাইজড। সংখ্যাতেও ছিল অনেক কম । তাই সারা পৃথিবীর মানুষের চাদ দেখার প্রশ্নটাও অবান্তর।
আল্লাহ 'কুন্' বললেই সৃষ্টি হয়ে যায় মানে তখনি হয়ে যায় শুধু বুঝলে কেমন করে হবে ! কুন্ বলার সাথে সাথে যদি বিগব্যাঙের সৃষ্টি হয় তাহলে তার থেকেইতো সব কিছুর সৃষ্টি । খুব সাধারণ ভাবে পনেরোশো বছর আগের মানুষকে বোঝাতে এটাতো খুবই স্বাভাবিক একটা বাক্যই ছিল ! তাদের কসমোলোজিকাল বিষয় বোঝাতে গেলে কি সেটা ঠিক হতো ? না সেটা বুঝে আবু জহল আর আবু লাহাব ইসলাম গ্রহণ করতো ? না আপনারা তার পেছনে আল্লাহর অস্তিত্ব খুঁজে পেতেন ? কিছুই পেতেন না ।বরং এই স্টেটমেন্ট সৃষ্টি সম্পর্কে একটা অলৌকিক রকম শুদ্ধ বাক্য বলে আমার মনে হয় ।
মেরাজের ঘটনাটো পৃথিবীতে ঘটেনি । ঘটেছে পৃথিবীর বাইরের কোনো জায়গায় । সেই জায়গাটা কোথায় সেটাও খুবই সঙ্গত কারণেই রাসূল (সাঃ) বলেননি বা কুরআন উল্লেখ করে নি। পনেরোশো বছর আগের মানুষকে স্ট্রিং থিওরি আর প্যারালাল ইউনিভার্স সম্পর্কে জ্ঞানদানের দাবি করছেন আপনি কি আশ্চর্য কথা ! সেটা করলে কি তারা কোয়ান্টাম ফিজিক্স বুঝে আইনস্টাইন হতো পনেরোশো বছর আগে? পৃথিবীর বাইরের একটা জগতে রাসূলুল্লাহর (সাঃ) আগে ইন্তেকাল করা নবী রাসুলরা কিভাবে জীবিত হলেন সেটা কি পৃথিবীর নিয়ম দিয়ে বা বিজ্ঞানের এক্সিস্টিং কোনো পদ্ধতি দিয়ে যাচাই করার উপায় আছে ? গোলাম হোসেন উপায় নাই !!!তাছাড়া কিয়ামতের দিনেই সব মৃত মানুষই জীবিত হবে । তখন জীবিত হতে পারলে রাসূলুল্লাহর (সাঃ) কোনো একটা বিষেশ ঘটনার স্বাক্ষী হতে তারা কেন জীবিত হতে পারবেন না ?আপনার প্রশ্নের মেরিটটা কিন্তু আপনার ব্লগিংয়ের স্ট্যানডার্ডের সাথে যায় না । এটা জোর করে ধর্ম বা ইসলাম বিরোধিতা মনে হচ্ছে ইদানিংকার অন্য মন্তব্যের মতই।
ব্লগে এখন মেধাশূন্যতা চলছে মনে হয় আমার ।তার মধ্যে আপনার মন্তব্যেও আগের মতো মননশীলতা আর চৌকষতা নেই । ব্লগের জন্য সেটার দুঃখ প্যাসিফিকসম দীর্ঘ মনে হয় আমার ! যাক ভালো থাকবেন ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যত দিন যাচ্ছে বিজ্ঞানের অনেক নতুন আবিষ্কার কোরআনের অনেক বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয়কে বুঝতে সাহায্য করছে। কেয়ামত যে আরও ১০ হাজার বছর পরে হবে না সেটা তো কেউ নিশ্চিতভাবে জানে না। বিজ্ঞান আরও বহু কিছু সামনে আবিষ্কার করবে যেগুলি হয়তো কোরআনকে বুঝতে আরও সাহায্য করবে।
মানুষ তো এখন মহাজাগতিক বস্তুর গতি পথ পরিবর্তন করতে পাড়ছে। সামনে হয়তো আরও বড় কিছু করতে সমর্থন হবে। তখন চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়ার ঘটনা আমাদের কাছে অবাস্তব মনে হবে না হয়তো।
বিজ্ঞানের তো আরও সামনে যাওয়ার রাস্তা আছে। পুরোটা যাওয়ার আগেই কেন ধর্মীয় বিষয়কে উপেক্ষা করা হচ্ছে এটাই আমার প্রশ্ন।
২৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১১
নতুন বলেছেন: @ ঈশ্বরকণা :- ব্লগে এখন মেধাশূন্যতা চলছে মনে হয় আমার ।তার মধ্যে আপনার মন্তব্যেও আগের মতো মননশীলতা আর চৌকষতা নেই । ব্লগের জন্য সেটার দুঃখ প্যাসিফিকসম দীর্ঘ মনে হয় আমার ! যাক ভালো থাকবেন ।
আমি আশাবাদি ভাই, কারন আমার মতন মমশীলতার অভাব যুক্ত কমেন্টের বিপরিতে আপনার চৌকষ জবাব তো আসছে।
আমি আগেই বলেছি বিশ্বাসী সব সময়ই বিশ্বাস করতে চাইবে। সেটাই সাভাবিক।
আমি অন্ধবিশ্বাসীনা তাই মনে অনেক জিঙ্গাসা।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি মননশীল এবং চৌকস বলেই ঈশ্বরকণা এই কথা বলেছেন। উনি আপনার কাছ থেকে আরও যৌক্তিক মন্তব্য আশা করেন বলেই এই কথা বলেছেন। আমি মনে করি আপনার সম্পর্কে পজিটিভ ধারণা আছে বলেই তিনি এমন বলেছেন। আপনাকে ছোট করার জন্য বলেননি।
২৭| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৩২
ঈশ্বরকণা বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,
আমার এখনো মনে হয় হজরত ইব্রাহিমের (আঃ) ঘটনাটা অব্যাখ্যাত বললেই বেশি যৌক্তিক হয় । পৃথিবীর কোনো প্রানেরই এক্সট্রিম হিটে মানে হাজার ডিগ্রি টেম্পারেচারে বেঁচে থাকার কথা না। আমরা মানুষরা খুব অল্প হিটেই কাবু হয়ে যাই । সাধারণত ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রার পর থেকেই মানুষ স্বাভাবিক আচরণ করতে পারেনা । ১১৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় মানুষের শরীরে ফার্স্ট ডিগ্রি বার্ন হয় । ১৩১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় হয় সেকেন্ড ডিগ্রি বার্ন । সেকেন্ড ডিগ্রি বার্ন কিন্তু লাইফ থ্রেটনিংও হতে পারে । কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার হলো পৃথিবীতেই কিন্তু এমন রেয়ার কিছু মানুষ আছে যাদের ১৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায়ও কোনো বার্ন হয়না বা অস্বস্তিও হয় না। আমি এরকম কিছু মানুষের ওপর ডকুমেন্টারি দেখেছি। সেখানে এদের চরম টেম্পারেচারে কিছু হয়না কেন সেটা বুঝতে ল্যাবে ফিজিওলজিক্যাল টেস্ট করানো হয়।সেখানে এক্সপার্টরা বলেছেন এদের ইউনিক কিছু জেনেটিক মেকাপের জন্য এই লোকগুলো এক্সট্রিম টেম্পারেচার সহ্য করতে পারে আর এদের কোনো বার্নও হয় না । তাছাড়া ২০০৯ সালে বা এর একটু আগে পরে মন্টানার একটা আগ্নেয়গিরির হাজার ডিগ্রি উত্তাপে একধরণের Tardigrade-এর বেঁচে থাকার প্রমান পেয়েছেন জীববিজ্ঞানীরা । সেই রিসার্চের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন খ্যাতনাম জীববিজ্ঞানী ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয়, আরবানার কার্ল উজে। সেটা জীববিজ্ঞানীদের বিস্মিত করেছিল চরম ভাবে।এই ঘটনার একটা বিস্তারিত বর্ণনা আছে 'ট্রায়াঙ্গল ট্রি' নাম একটা বইয়ে। এই বইটা পড়ার পর আর ডকুমেন্টারিটা দেখার পর থেকেই হজরত ইব্রাহিমের (আঃ) ঘটনাটা আমার মনে হয়েছে। তার কোনো এক্সট্রাঅর্ডিনারি জেনেটিকাল মেকাপের কারণেই উনি আগুনে নাও পুড়তে পারেন।এটা রেয়ার ঘটনা নিঃসন্দেহে কিন্তু অসম্ভব কিছু কিন্তু নয় বিজ্ঞানের কাছে। বিজ্ঞানের সাথে এখানে সাংঘর্ষিক কিছু নেই। এটা অব্যাখ্যাত বলা যেতে পারে কারণ ব্যাপারগুলোর পুরোপুরি আমরা এখনো ভালো করে জানি না সেজন্য । এই ঘটনার অলৌকিকত্ব আমার মতে অন্য জায়গায়, হজরত ইব্রাহিমের (আঃ) আগুনে না পুড়াতে না। যাক এর জন্যই মনে হলো আপনার পয়েন্ট আউট করা ঘটনাগুলোর ব্যাপারে আসলে 'অব্যাখ্যাত' কথাটাই বলা যায় সাংঘর্ষিক কথাটার চেয়ে ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আগুনের কারণে হজরত ইব্রাহীমের (আঃ) কোন ক্ষতি কেন হয় নাই এটা কিন্তু কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতেই বলা আছে। সূরা আল আম্বিয়ার ৬৯ নং আয়াতে আছে;
'হে আগুন, তুমি শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও ইবরাহীমের জন্য'।
এই আয়াত থেকেই বোঝা যায় যে হজরত ইব্রাহিমের (আঃ) বিশেষ কোন শারীরিক বৈশিষ্ট্যের জন্য না বরং আগুনকে শীতল এবং নিরাপদ হতে বলার কারণে ঐ আগুনের দ্বারা হজরত ইব্রাহিমের (আঃ) কোন ক্ষতি হয় নাই।
আপনি ১৬০ ডিগ্রির কথা বলেছেন। কিন্তু আগুনের তাপমাত্রা ৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট থেকে শুরু করে ৯০০০ ডিগ্রি পর্যন্ত হয়। বড় বড় অগ্নিকাণ্ডের তাপমাত্রা কয়েক হাজার ডিগ্রি হয়। হজরত ইব্রাহীমের (আঃ) জন্য বিশাল বড় আগুনের আয়োজন করা হয়েছিল বলে জানা যায়। তাই তাপমাত্রা হয়তো কয়েক হাজার ডিগ্রি ফারেনহাইট ছিল।
অত্যধিক তাপমাত্রা যে অনেক জীবের জন্য সমস্যা না সেটা মুসলমানদের জন্য বিশ্বাস করা খুব সহজ। কারণ আল্লাহ বলেছেন যে তিনি জিন জাতিকে ধুয়া বিহীন আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন। যদিও জিনরাও অনেকে দোজখেরা আগুনে পুড়বে। সেই আগুন হয়তো আরও বেশী গরম যা জীনদের সহ্যের বাইরে।
এই সৃষ্টি জগতের অনেক বিষয় এখনও আমাদের অজানা আছে। তাই আগ্নেয়গিরির লাভার মধ্যে প্রাণ থাকতে পারে যেটা আমাদের অজানা ছিল।
আপনার পরামর্শ অনুযায়ী শিরোনাম পরিবর্তন করে আমি ব্যাখ্যা শব্দটা ব্যবহার করেছি গতকাল থেকে।
২৮| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪০
নতুন বলেছেন: @ইশ্বরকণা ভাই <<< মেরাজের ঘটনাটো পৃথিবীতে ঘটেনি । ঘটেছে পৃথিবীর বাইরের কোনো জায়গায় । সেই জায়গাটা কোথায় সেটাও খুবই সঙ্গত কারণেই রাসূল (সাঃ) বলেননি বা কুরআন উল্লেখ করে নি। পনেরোশো বছর আগের মানুষকে স্ট্রিং থিওরি আর প্যারালাল ইউনিভার্স সম্পর্কে জ্ঞানদানের দাবি করছেন আপনি কি আশ্চর্য কথা ! সেটা করলে কি তারা কোয়ান্টাম ফিজিক্স বুঝে আইনস্টাইন হতো পনেরোশো বছর আগে? পৃথিবীর বাইরের একটা জগতে রাসূলুল্লাহর (সাঃ) আগে ইন্তেকাল করা নবী রাসুলরা কিভাবে জীবিত হলেন সেটা কি পৃথিবীর নিয়ম দিয়ে বা বিজ্ঞানের এক্সিস্টিং কোনো পদ্ধতি দিয়ে যাচাই করার উপায় আছে ? গোলাম হোসেন উপায় নাই !!!তাছাড়া কিয়ামতের দিনেই সব মৃত মানুষই জীবিত হবে । তখন জীবিত হতে পারলে রাসূলুল্লাহর (সাঃ) কোনো একটা বিষেশ ঘটনার স্বাক্ষী হতে তারা কেন জীবিত হতে পারবেন না ?আপনার প্রশ্নের মেরিটটা কিন্তু আপনার ব্লগিংয়ের স্ট্যানডার্ডের সাথে যায় না । এটা জোর করে ধর্ম বা ইসলাম বিরোধিতা মনে হচ্ছে ইদানিংকার অন্য মন্তব্যের মতই।
যদি মিরাজ আধ্যাতিক/ স্বপ্নে অথবা অন্য কোন ভাবে হয় তবে সকল দাবীই মেনে নে্য়া যায়, কারন স্বপ্নে সবই সম্ভব।
কিন্তু আপনি যদি বলেন রাসুল সা: সশরীরে এই অভিঙ্গতা অর্জন করেছে তখন সেটা মানতে অনেক গুলি অলৌকিক বিষয় মেনে নিতে হয়। সেখানেই জিঙ্গাসা শুরু হয়।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখন থেকে ৬০, ৭০ বা ১০০ বছর আগেও চাঁদে মানুষ যাওয়া একটা অলৌকিক ব্যাপার ছিল। এখন কিন্তু অলৌকিক না। ভবিষ্যতে মেরাজকে অলৌকিক মনে নাও হতে পারে। স্রষ্টা নিশ্চয়ই মানুষের চেয়ে বহুগুণ জ্ঞানী। বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি আছে। এক একটা গ্যালাক্সিতে আবার ১০০ বিলিয়ন সূর্যের চেয়েও অনেক বড় নক্ষত্র আছে। তাহলে গ্রহ কতগুলি থাকতে পারে এটা কি আমরা কল্পনা করতে পারি। এই বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি সম্পর্কে বিজ্ঞান কতটুকু জানে। তবে হয়তো সামনে আরও জানবে।
সময় আর স্পেস যে রহস্যজনক এটা আইনস্টাইনের থিউরিগুলোতে আছে। খুব বেশী কি আমরা টাইম আর স্পেস সম্পর্কে জানি। স্যাটেলাইটের টাইম কেন স্লো বা ফাস্ট হয়ে যায় এটা কয়জনে বুঝতে পারে। আলোর গতিতে চললে টাইম কেন থেমে যাবে এটা আমরা বুঝি কি। টাইমের সাথে আলোর গতির এরকম সম্পর্কের কি কারণ আমরা কি বুঝতে পারি।
২৯| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩
ঈশ্বরকণা বলেছেন: নতুন,
দেখেন আপনার প্রশ্ন আছে সেটা কোনো সমস্যা না । জানার জন্য প্রশ্ন করাটাও কোনো সমস্যা না । বরং প্রশ্ন থাকাটাই বুদ্ধিমান আর বুদ্ধিহীনের মধ্যেক পার্থক্য । কিন্তু সমস্যাটা হয়ে যায় প্রশ্নের মোটিভ নিয়ে। ধর্ম বিষয়ে প্রশ্নের লক্ষ্যটাই যদি হয় অবিশ্বাস বা ধর্মকে হেয় করা তখন প্রশ্নকে ইনটেলিজেন্ট ভেবে বাহবা দেবার কিছু থাকে না ।
বিজ্ঞান কিন্তু এখনই সব কিছু জেনে ফেলেনি চূড়ান্ত ভাবে । অনেক কিছুই আমরা এখন জানিনা । আবার অনেক কিছুই বিজ্ঞান জানে কিন্তু একই সাথে স্বীকার করে যে বিষয়গুলো পরিবর্তিত হতে পারে বা হচ্ছে ।আপনি যদি ডক্টর হকিন্সের শেষ আর্টিকেলটা পড়েন দেখবেন ওখানে স্ট্রিং থিওরি যা বিগব্যাঙের অন্যতম একটা এক্সটেনশন বা ব্যাখ্যা সেটা নিয়ে উনি সংশয় জানিয়েছেন যদিও স্ট্রিং থিওরির অন্যতম উদ্ভাবক উনি নিজেও । ডক্টর হকিন্স এই কথাও বলেছেন যে বিগব্যাঙের থেকে সৃষ্ট বাবলগুলোতে, যেগুলো অসংখ্য এবং একেকটা বাবল একেকটা স্বতন্ত্র বিশ্ব, ফিজিক্সের নিয়ম ভিন্ন হতে পারে ।এমনকি আলোর গতিও সেখানে ভিন্ন হবে । তার মানে হলো আমাদের বিশ্বের ফিজিক্সের ল দিয়ে আরেকটা বাবল বিশ্বের বিষয়কে ব্যাখ্যা করা যাবে না কখনোই । ডক্টর হকিন্স মারা যাবার পর একজন বেলজিয়ান সাইন্টিস্টের সাথে জয়েন্টলি তার লেখাটা প্রকাশিত হয়েছিল ।
তাই মেরাজের ঘটনা আমাদের জানা থিওরি দিয়ে ব্যাখ্যা করতেই হবে বা সেটাই একমাত্র ব্যাখ্যা হতে হবে সেটা আমি ভাবি না । আল্লাহ আমাদের বিশ্বের কোথাও নেই।উনি অবশ্যই বিগব্যাঙের সৃষ্ট বিশ্বের বাইরের কেউ। তার কাছাকাছি কোনো ব্যাপারই (মেরাজে রাসূল তাকে দেখেন নি কিন্তু তার খুব কাছাকাছি যাবার সুযোগ পেয়েছিলেন) আমাদের বিশ্বের ফিজিক্স বা কোয়ান্টাম ফিজিক্স দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে না । তাছাড়া কুরআন আর হাদিস মিরাজ নিয়ে খুবই বিস্তারিত কিছু বলেনি। অল্প তথ্যের থেকে সেটা তাই অলৌকিকই লাগার কথা। এই অলৌকিকত্বটুকু আমি বিজ্ঞান কিছুটা জানি বলেই বিশ্বাস করতে রাজি আছি। আপনি যদি সেটা না করেন সেটা ঠিক আছে । সেই অলৌকিকত্বে বিশ্বাস না করে কেউ যদি অবশ্বাসী হতে চায় সেটাও আমার কাছে ঠিক আছে । কিন্তু তাই বলে ধর্ম মানেই যুক্তি ছাড়া শুধুই অন্ধ বিশ্বাস আর এই ধর্মবিশ্বাসী লোকগুলো এন্টি সাইন্স আপনাদের এই জাতীয় ব্লগ ন্যারেটিভগুলো কিন্তু খুবই যৌক্তিক কোনো কথা না আমার কাছে মনে হয় না। আমার বলা শেষ এখানেই । আমি এ'নিয়ে আর কিছু বলতে চাইনা ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বড় বড় বিজ্ঞানীরাই এইসব জটিল থিউরি নিয়ে ক্রমাগত কাজ করে যাচ্ছেন। নতুন নতুন সম্ভবনা তৈরি হচ্ছে আবার অনেক ক্ষেত্রে তাদেরকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। কাজেই সব কিছুর উত্তর অল্প সময়েই আমরা জেনে যাব এমন না। এই বিষয়ে উপসংহার টানার মত পর্যাপ্ত জ্ঞান মানুষের কাছে এই মুহূর্তে নেই। কাজেই আমাদের আরও ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে। সংশয়বাদীদের ততদিন পর্যন্ত ধর্মীয় বাণী সম্পর্কে নেতিবাচক কথা না বলাটাই উত্তম হবে।
৩০| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬
ঈশ্বরকণা বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর, পোস্টের শিরোনামটা এখন অনেক বেটার লাগছে। অনেক ধন্যবাদ ।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা যৌক্তিক মনে হওয়ায় এই পরিবর্তনটা করলাম। আমারও মনে হয়ে আগের চেয়ে এই নামকরণটা ভালো।
৩১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩০
নতুন বলেছেন: ঈশ্বরকণা বলেছেন: নতুন,
দেখেন আপনার প্রশ্ন আছে সেটা কোনো সমস্যা না । জানার জন্য প্রশ্ন করাটাও কোনো সমস্যা না । বরং প্রশ্ন থাকাটাই বুদ্ধিমান আর বুদ্ধিহীনের মধ্যেক পার্থক্য । কিন্তু সমস্যাটা হয়ে যায় প্রশ্নের মোটিভ নিয়ে। ধর্ম বিষয়ে প্রশ্নের লক্ষ্যটাই যদি হয় অবিশ্বাস বা ধর্মকে হেয় করা তখন প্রশ্নকে ইনটেলিজেন্ট ভেবে বাহবা দেবার কিছু থাকে না ।
প্রথমত আমার কাছে জিঙ্গাসা আছে, প্রশ্ন না। আর কোন জিঙ্গাসা যদি আপনার বিশ্বাসের বিপক্ষে যায় তবে সেটাকে কিভাবে নেবেন সেটা আপনার ইচ্ছা।
ধর্মের কাহিনি গুলি বিশ্বাস করতে অনেক অলৌকিক ঘটনা মানতে হয় কিন্তু বিশ্বে আপনার সামনে এখনো কোন অলৌকিক কিছু ঘোটতে দেখেছেন বলে আমার মনে হয় না। প্রতিদিন আপনার সামনে যত কিছুই ঘটে তার পেছনের কারন গুলি খুজে পাওয়া সম্বব। তাই আমি জিঙ্গাসা করি তার কারন গুলি খুজি, অলৌকিকতা খুজি না।
আর উপরে আমার জিঙ্গাসার জবাবে আধুনিক বিজ্ঞানের কিছু জটিল শব্দ দিয়ে সান্তনা নেবার চেস্টা করছেন মাত্র।
সেই জন্যই বলি ধর্মের কথা গুলি বিশ্বাস করে নিতে হয়, অলৌকিক কাহিনির পেছনে যৌক্তিক কারন খুজলে সেগুলি বর্তমানের আলোকে সত্য বলে মনে হয়না। তাই আমি বিশ্বাস করিনা।
আপনি আপনার বিশ্বাস নিয়ে থাকুন সেখানে আমার তো কিছুই বলার নাই।
কিন্তু যখন কেউ বলে যে অলৌকিকত ঘটনার যৌক্তিক ভাবে প্রমান আছে তখন সবাই সেই যুক্তিগুলি দেখতে চাইবে সেটাই সাভাবিক তাই না?
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বর্তমানের বিজ্ঞানের আলোকে অসম্ভব মনে হতে পারে। কিন্তু বর্তমানের বিজ্ঞানকে কি খুব অগ্রসর বলে মনে করেন। বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি সম্পর্কে বিজ্ঞান কতটুকু জানে। বলতে গেলে কিছুই জানে না। বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের এত অল্প জ্ঞানের উপর নির্ভর করে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে হয় না।
আমাদের ব্রেনের মধ্যে ১২০ বিলিয়নের চেয়েও বেশী নিউরন আছে। এটা কি একটা মিরাকেল না। কোন স্রষ্টা ছাড়া কিভাবে এত নিউরন ব্রেনে তৈরি হল। নিজে নিজে কিভাবে তৈরি হয়। পৃথিবীতে কোন কিছু নিজে নিজে হতে পারে কি? যদি হয় এটা কি একটা মিরাকেল না। এটার ব্যাখ্যা কি?
৩২| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:২৯
নতুন বলেছেন: বিজ্ঞান এবং বিজ্ঞানীদের এত অল্প জ্ঞানের উপর নির্ভর করে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে হয় না।
অবশ্যই সৃস্টিকর্তা নেই এটা বলা যাবেনা। কারন সেটা প্রমানিত কিছু না।
কিন্তু বিশ্বাসীরা কতটুকু জ্ঞানের তথ্বের উপরে ভিক্তি করে সৃস্টিকতার কথা মেনে নিচ্ছে?
বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি তে যে প্রানের অস্থিত্ব থাকার সম্ভবনা অনেক বেশি। হয়তো ঐখানে সৃস্টিকতার কাহিনি অন্য রকমের।
মানুষের কথার উপরে ভিক্তি করেই বিশ্বের সকল ধর্মগুলির বিশ্বাস শুরু হয়েছে। যেখানে কোন মানুষ আজ পযন্ত সৃস্টিকতাকে দেখেছে তার কোন প্রমান নেই।
আমাদের ব্রেনের মধ্যে ১২০ বিলিয়নের চেয়েও বেশী নিউরন আছে। এটা কি একটা মিরাকেল না। কোন স্রষ্টা ছাড়া কিভাবে এত নিউরন ব্রেনে তৈরি হল। নিজে নিজে কিভাবে তৈরি হয়। পৃথিবীতে কোন কিছু নিজে নিজে হতে পারে কি? যদি হয় এটা কি একটা মিরাকেল না। এটার ব্যাখ্যা কি?
আপনি বিশ্বাস করছেন যে সৃস্টিকতা নিজে নিজে হয়েছে, ইসা আ: বাবা ছাড়া পুত্র সন্তান জন্ম নিতে পারে, কোন বল প্রয়োগ ছাড়া চাদ দুই টুকরা হয়ে আবার জোড়া লাগতে পারে, একজন মানুষ ৪০ দিন মাছের পেটে থাকতে পারে।
তাহলে পৃথিবিতে কেন প্রানের উতপত্তি হতে পারে না?
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিশ্বাসীরা জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করছে না। কারণ কম জ্ঞানের লোকও বিশ্বাসী হতে পারে। বিশ্বাসীরা পৃথিবীতে স্রষ্টার নিদর্শন দেখে স্রষ্টাকে বিশ্বাস করছে। আল্লাহ এই নিদর্শন দেখে তাকে বিশ্বাস করতে বলেছেন। আল্লাহতায়ালা কিছু অদৃশ্য জিনিসেও বিশ্বাস করতে বলেছেন যে আয়াতের কথা আমি পোস্টের শুরুতে উল্লেখ করেছি। কারণ এগুলি বোঝার ক্ষমতা আমাদের নেই। কোরআন একটা মিরাকেল। সেই কোরআনে আছে বলে আমরা স্রষ্টাকে বিশ্বাস করছি এবং অনুভব করছি।
বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি সম্পর্কে বিজ্ঞান তেমন কিছুই জানে না। বিজ্ঞানের দুর্বলতা বুঝানোর জন্য গ্যালাক্সির কথা বলেছি। ওখানে কি আছে সেটা কেউ জানে না স্রষ্টা ছাড়া। অনেক কিছু দেখা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায়। এই কারণে আমরা বিশ্বাস করি। স্রষ্টার অস্তিত্ব অনুভব করা যায় এই কারণে বিশ্বাসীরা স্রষ্টার এবাদত করে। স্রষ্টার অস্তিত্বের নিদর্শন আছে তার সৃষ্টির মধ্যে। এই কারণেই মানুষের ব্রেনের উদাহরণ দিয়েছি। কিভাবে নিজে থেকে এগুলি হচ্ছে। এটার ব্যাখ্যা বিজ্ঞানের কাছে নাই।
সৃষ্টিকর্তা নিজে সৃষ্টি হয়েছেন কি না এই ব্যাপারে সৃষ্টিকর্তা আমাদের কিছু বলেননি। শুধু বলেছেন
তিনি (আল্লাহ) আদি, তিনি অন্ত, তিনি প্রকাশ্য, তিনি গোপন, তিনি সব কিছুই অবগত আছেন "। ( সূরা - আল হাদীদ, আয়াত নং ৩) । আমিও এটাই বিশ্বাস করি। আমাদের মস্তিষ্কে এটার চেয়ে বেশী কিছু ঢুকবে না।
আল্লাহকে কে সৃষ্টি করেছে এই প্রশ্নটা একটা প্যারাডক্সের মত কারণ প্রশ্নকারী অনন্তকাল প্রশ্ন করে যাবে তাহলে তাকে কে সৃষ্টি করেছে। এই ধরণের প্যারাডক্সের একটা উদাহরণ হল সংখ্যা ১ কে ৩ দিয়ে ভাগ করার মত। গণিতবিদ হয়তো বলবে যে ভাগফল হল 0.3333333333333333333333………. । কিন্তু কোথায় এর শেষ কোন বৈজ্ঞানিক কোন দিন এটার পূর্ণ ফল বলতে পারবে না। তাহলে কি আপনি অংক করা ছেড়ে দিবেন। বিজ্ঞানের এই সীমাবদ্ধতা মেনেই আপনাকে অংক করতে হবে।
তারমানে বিজ্ঞানেও অনেক জিনিসের কোন সলিড উত্তর নাই। এই কারণে এই সব বিষয় বিশ্বাস করে নিতে হবে। আল্লাহর অস্তিত্ব তার নিদর্শন থেকে বুঝে নিতে হবে। গণিত বা বিজ্ঞান দিয়ে হয়তো কোন দিনই প্রমাণ করা যাবে না। বিশ্বাসীরা আল্লাহর অস্তিত্ব অনুভব করতে পারে আল্লাহর সাথে অদৃশ্য যোগাযোগের মাধ্যমে এবং আল্লাহর নিদর্শনগুলি দেখার মাধ্যমে। সব জ্ঞান মানুষের মাথায় ঢুকবে না এটা মেনে নিতে হবে। আপনি বা আমি কি আইনস্টাইনের সূত্র বুঝব। কিন্তু নির্বিবাদে মেনে নিচ্ছি। কারণ আমরা জানি আমাদের বুদ্ধির সীমাবদ্ধতা আছে।
বাবা ছাড়া পুত্র হওয়া বা চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হওয়া নিজে নিজে হয় নাই। আমি বিশ্বাস করি এটা আল্লাহর হুকুমে হয়েছে। পৃথিবীতে প্রাণের উদ্ভব নিজে নিজে হয় নাই এটা হয়েছে আল্লাহর নির্দেশে। আর আল্লাহর শুরু কোথায় এটার জ্ঞান মানুষের নেই। তাই আল্লাহ বলেছেন আমি আদি আমিই অন্ত। সব কিছু আমরা বুঝবো না।
৩৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৪
অনামিকাসুলতানা বলেছেন: ধন্য বাদ ভাইয়া। সবার মন্তব্য পড়লাম।
প্রত্যেকের মন্তব্য অনেক মুল্যবান।
আমি অনেক কিছু জানলাম।
০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্ম এবং বিজ্ঞান নিয়ে একটা সুস্থ বিতর্ক চলছে এই পোস্টে। ভালো দিক হল সাধারণত এই ধরণের বিষয়ের উপর আলোচনায় ব্যক্তি আক্রমণ শুরু হয়ে যায়। আমরা চেষ্টা করেছি কাউকে আঘাত না করে আলোচনা চালিয়ে যেতে। উভয় পক্ষের আলোচনা থেকে অনেক কিছু জানা যাচ্ছে। আপনি মনোযোগ দিয়ে মন্তব্যগুলি পড়েছেন জেনে ভালো লাগলো।
ব্লগে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করি সামনে পড়ার জন্য আপনার পোস্ট পাব।
৩৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৩৯
ঈশ্বরকণা বলেছেন: নতুন,
আপনার "আর উপরে আমার জিঙ্গাসার জবাবে আধুনিক বিজ্ঞানের কিছু জটিল শব্দ দিয়ে সান্তনা নেবার চেস্টা করছেন মাএ' এই কমেন্ট্যাংশটুকু পরে খুব শকড হলাম। স্টাইল,কন্টেন্ট আর আর্গুমেন্টের দিক থেকে এই কমেন্ট্যাংশটুকু একেবারেই আপনার দশকব্যাপী ব্লগিং পরিচয়ের সাথে যায় না । দেখুন ধর্মের অনেক বিষয়েই বিশ্বাস যৌক্তিক হলেও সেটা অপানি কিন্তু মানতে চান না । কোনো হাদিস বা মুসলিম স্কলারের রেফারেন্স এমন কি কুরআনের আয়াত থেকে উদৃতি দিলেও মানতে চান না তাই ডক্টর হকিন্সের কথা দিয়েই বলতে চাইলাম যে অনেক কিছুই আমাদের জানা বিজ্ঞান দিয়ে, বিজ্ঞানের সূত্র দিয়ে প্রমান করা বা ব্যাখ্যা করা যাবে না। তাই বিজ্ঞানের তথ্যের সাথে আপাত সাংঘর্ষিক বিষয় মানেই যে মিথ্যে সেটা নাও হতে পারে । আমি যা বলেছি ডক্টর হকিন্সের কথা থেকেই বলেছি । আপনার মন্তব্যের সাথে প্রাসঙ্গিক বলেই বলেছি।তাতেও যদি আপনি নাক সিটকানমূলক মন্তব্য করেন তাহলে তো মুশকিল। যাক আপনারা বিজ্ঞানময়ী থাকুন আর ভালো থাকুন। আমি আপনাদের মঙ্গলময়ী থাকার জন্য আল্লাহকে বিশ্বাস করে দোয়া করা ছাড়া এই মুহূর্তে আর আর কিছু করতে পারছি না । চাও ।
৩৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১০
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আমাদের এখানে কিছু লোক আছেন তারা মনে করেন আজকে বিজ্ঞান সবকিছু আবিষ্কার করে ফেলেছে, এখানেই শেষ, এর পরে আর কিছু নাই, শেষ কথা বলা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞান একটা চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, একটা সত্য আবিষ্কার হচ্ছে তারপর আবার চরম সত্য আসছে। মানুষের ধারণার পরিবর্তন হচ্ছে। সুতরাং বর্তমানে বসে যেমন বিজ্ঞানের গন্তব্য সম্পর্কে শেষ কথা বলা যায়না তেমনি ধর্ম সম্পর্কে বিজ্ঞান মনস্ক কিছু লোক যেসব কথা বলছেন তা তাদের শেষ কথা তো নয়ই।
ধরুন আজ থেকে হাজার বছর আগে যখন একজন অবিশ্বাসীকে বলা হয়েছে আপনি ঘরের দরজা বন্ধ করে কোনো পাপ করলেও আল্লাহ তা দেখতে পান, তখন তার কাছে হয়তো বিষয়টি হাস্যকর মনে হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু এখন আপনি একজন সাধারণ মানুষ হয়েও প্রযুক্তির কল্যাণে পৃথিবীর যেকোনো স্থান থেকে আপনার ঘরে কি হচ্ছে তা দেখতে, শুনতে এমনকি যেকোনো কমান্ড এক্সিকিউট করতে পারেন খুব সহজেই। সুতরাং আল্লাহর কাছে তো তা আরও সহজ। তেমনি ভাবে হাজার বছর আগে গ্রহ-গ্রহান্তরে একজন মানুষের পক্ষে ভ্রমণ করার কল্পনাতেও সম্ভব ছিলোনা যা এখন সম্ভব হচ্ছে। ভবিষ্যতে হয়তো এমনসব আবিষ্কার আমরা প্রত্যক্ষ করবো যার ফলে ধর্মীয় বিশ্বাসগুলো আমাদের কাছে সহজতর হলেও হতে পারে।
কতিপয় নাস্তিকের কাছে আমার প্রশ্ন ছিল বিগব্যাং সংগঠিত হওয়ার আগে কি ছিল? এর পেছনের মহাশক্তিই বা কি? এই মহাজগত ও গ্যালাক্সি এগুলো কে সৃষ্টি করল? এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ড কোটি কোটি নক্ষত্র কে সৃষ্টি করল? এগুলো কি শূন্য থেকে এমনি এমনি হয়ে গেল?? শূন্য থেকে কোন কিছু সৃষ্টি করা যায়??? এ ব্যাপারে বিজ্ঞান কি বলে?? কেউ যদি প্রশ্ন গুলোর উত্তর জেনে থাকেন তাহলে আমাকে জানাতে পারেন।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো মন্তব্য করেছেন। আপনার কথার সাথে একমত।
আপনার পোস্টটা পড়ার পরে মন্তব্য করবো।
৩৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫০
নতুন বলেছেন: ঈশ্বরকণা বলেছেন: নতুন,
আপনার "আর উপরে আমার জিঙ্গাসার জবাবে আধুনিক বিজ্ঞানের কিছু জটিল শব্দ দিয়ে সান্তনা নেবার চেস্টা করছেন মাএ' এই কমেন্ট্যাংশটুকু পরে খুব শকড হলাম।
সরি ভাই আপনি কস্ট দেবার জন্য বলিনি। আমি হয়তো বিষয়টা বোঝাতে পারিনাই।
রাসুল সা: স্বশরীরে নবীদের জামাতের ইমামতী করছিলেন ঐ দিন, এবং আগে মৃত নবী, রাসুলেরা সেখানে ছিলো, এই বিষয় বোঝাতে যখন কোয়ান্টাম থিউরি, স্ট্রিং থিউরি দিয়ে মেলানোর চেস্টা করছেন সেটা দেখে বলেছি।
৩৭| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭
আওয়ামী বলেছেন: বিজ্ঞান স্বীকার করে না - এই কথাটা আসলে হবে বিজ্ঞান ব্যাখ্যা করতে পারে না
২০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা ঠিক। এই কারণে পোস্টের নাম পরিবর্তন করে দিয়েছি। আসলে বিজ্ঞানের কাছে অনেক কিছুর ব্যাখ্যা এখনও নেই।
৩৮| ১৯ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৯:৩৪
মুদ্দাকির বলেছেন: সুলায়মান আঃ জিন দের বশ করেন নাই, বরং আল্লাহর ইচ্ছায় জিনেরা পুরোপুরি ভাবে উনার আদেশের অধিনস্ত ছিল, জিনদের কেউ বশ করতে পারে না, ওরা আমাদের মতই ফ্রী উইল ওয়ালা প্রাণী। আসলে ভন্ডরা উনার নামে এই মিথ্যা প্রচার করে কারন তাতে তাদের সুবিধা হয়। আল্লাহ্ কুরয়ানে সুলায়মান আঃ এর পক্ষে সাক্ষী দিয়েছেন। যদি সম্ভব হয়, এডিট করে দিয়েন।
২০ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে। সংশোধন করে দিলাম। কারণ সকল মোজেজা আল্লাহর ইচ্ছাতে হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২৬
কামাল১৮ বলেছেন: কোন কিছু বিশ্বাস করা মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পরে।কিন্তু সেই বিশ্বাস কার্যে পরিনত করতে যদি অন্যের অধিকার হরণ করে তবে সেটা অপরাধ।