নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের জন্য, আদর্শের জন্য, অন্যায়ের প্রতিবাদের জন্য যারা মৃত্যুকে বেছে নেয় তাদের মৃত্যুকে কি বৃথা বলা যাবে?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৫৭

মানুষ নিজের জীবনকে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসে। তারপরও পৃথিবীর ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় যুগে যুগে বহু মানুষ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে নিজেদের জীবন স্বেচ্ছায় উৎসর্গ করেছে দেশকে ভালোবেসে, কোন আদর্শকে ভালোবেসে কিংবা কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করে। এই মৃত্যু বরণের সিদ্ধান্ত কি ঠিক ছিল নাকি ওনারা জীবনটা বাঁচালে ভালো হত? যারা এইভাবে জীবন দান করেন তারা নিজে কিছু পাওয়ার জন্য আত্মত্যাগ করেন না। তাদের একটাই আশা থাকে, যে আদর্শ নিয়ে তারা লড়ছেন সেটা যেন সফল হয়। যদিও সব ক্ষেত্রে সফলতা আসে না। কিন্তু তাই বলে তাদের আত্মত্যাগের সিদ্ধান্তকে ভুল বলা কি ঠিক হবে?

২০১৬ সালের ঢাকার হলি আর্টিজানের ঘটনায় ফারাজ আইয়াজ হোসেন স্বেচ্ছায় মৃত্যুকে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু তার সুযোগ ছিল ঐ স্থান ত্যাগ করার। ঐ দিন সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা করে, যদিও একজন বাংলাদেশী এবং মুসলিম হিসাবে তিনি সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য ছিলেন না। সন্ত্রাসীরা তাকে চলে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিলো কিন্তু সে তার বন্ধুদের পরিত্যাগ করে একা চলে আসতে অস্বীকৃতি জানায়। তার এই সিদ্ধান্ত কি ভুল ছিল? সবাই হয়তো এই সিদ্ধান্ত নিতে পারতো না। কিন্তু তার এই সিদ্ধান্তের কারণে আজ সে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। সে চলে আসলে বেচে থাকতেন এবং কয়েক যুগ আরাম আয়েশে কাটিয়ে জীবন উপভোগ করতে পারতেন। সেই জীবন ভালো নাকি তার এই সম্মানজনক বীরোচিত মৃত্যু ভালো? মৃত্যু যেহেতু অনিবার্য সেই ক্ষেত্রে সাধারণ মৃত্যু সম্মানের নাকি এই ধরণের বীরের মৃত্যু সম্মানের? যদিও স্বীকার করতে হবে সব মানুষের এই ধরণের মৃত্যু বরণ করার সাহস থাকে না।

সারা বিশ্বে এই ধরণের আত্মত্যাগকে সম্মানের চোখে দেখা হয়। কখনও বলা হয় না যে এই আত্মত্যাগ ভুল ছিল। যুগে যুগে দেশের জন্য বহু বীর বিভিন্ন পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছায় জীবন দিয়েছেন। ভবিষ্যতে নিজের দেশ যুদ্ধে জয়ী হবে কি না সেটাও তারা জানতেন না। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্তকে ভুল বলা যাবে না। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় অনেক ঘটনা পাওয়া যায় যেখানে দেখা গেছে সঙ্গী সাথীদের জীবন বাঁচাতে গ্রেনেডের উপরে শুয়ে পড়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়েও দেখা গেছে অমানুষিক অত্যাচার করার পরও দলের কারও অবস্থান প্রকাশ করেনি এবং এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। এই ধরণের সাহস সবার হবে না। কিন্তু এই মৃত্যুগুলি সম্মানের এবং বীরত্বের। এগুলি নির্বুদ্ধিতা না বরং বীরত্ব। নিজের জীবনের বিনিময়ে অন্যকে বাঁচানো কিংবা একটা আদর্শকে বাঁচানোর চেষ্টা একটা বীরত্বপূর্ণ এবং মহৎ কাজ। যদিও সবার পক্ষে এই রকম বীর হওয়া সম্ভব না। কিন্তু যারা জীবন দিয়েছেন ওনারা ভুল করেননি।

সক্রেটিস ইচ্ছে করলে তার বাণী এবং শিক্ষা থেকে সরে এসে প্রাণ ভিক্ষা চাইতে পারতেন এবং সেটা মেনে নেয়ার সম্ভবনাও ছিল। কিন্তু তিনি সেটা না করে মৃত্যুদণ্ড মেনে নিয়েছিলেন। উনি প্রাণ ভিক্ষা চাইলে ওনার আদর্শের কাছে উনি পরাজিত হতেন। হয়তো উনি বেচে থাকতেন কিন্তু সক্রেটিসের মত লোকের পক্ষে সেই রকম বেচে থাকার কোন মানে হয় না।

সবাই বীর হতে পারে না। কিন্তু যারা বীরত্বের সাথে মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছেন তাদের সিদ্ধান্তকে হঠকারিতা কিংবা ক্ষণিকের আবেগ বশত সিদ্ধান্ত বলা যাবে না। বরং সেটা ছিল সময় এবং পরিস্থিতির দাবী এবং মানবতাকে প্রতিষ্ঠিত করার সর্বোত্তম প্রয়াস। মানুষের জন্য, মানবতার জন্য, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গ করাকে আমাদের স্যালুট জানাতে হবে। কারণ ঐ মাত্রার বীরত্ব দেখানোর কলিজা আমাদের সবার নেই। সাহসী মানুষের মানবতার প্রতি অবদানকে কখনই ছোট করা যাবে না।

ছবি - ফ্লিক আর

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৩৭

কামাল১৮ বলেছেন: যে কোন মৃত্যুকে আমি সমর্থন করি না।সেচ্ছায় যারা আত্মত্যাগ করেন তাদের মৃত্যুকেও আমি সমর্থন করি না।নিজে বেচে থেকে শেষপর্যন্ত যুদ্ধ করতে হবে।মৃত্যুকে ভয় না করে।
সক্রেটিসের মৃত্যুকে আমি সমর্থন করি না।বেচে থাকলে মানব জাতি উপকৃত হতো।
আত্মঘাতী হামলা করে মৃত্যু বরণ করাকে আমি কোন বিরত্ব দেখি না।এটা এক ধরনের হিরোইজম।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আত্মঘাতি হামলার কথা এখান বলি নাই। এখানে মুলত অন্যকে বাঁচানোর জন্য নিজেকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার বিষয়ে বলা হয়েছে। এগুলি পরিস্থিতির কারণে হয়ে থাকে।

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: আপনি বলেন নাই,আমি বললাম।কোন সমস্যা

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন সমস্যা নাই। ভালো করেছেন বলে।

৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
না কখনোই না। এখন যদি কেউ বলে আমি মরার জন্য মুক্তিযুদ্ধ করি নাই সেটা কি হাস্যকর নয় ? কারণ দেশের জন্য, আদর্শের জন্য, অন্যায়ের প্রতিবাদের জন্য যারা মৃত্যু হতে পারে, তাই বলে সে মৃত্যুতো বৃথা যাবেনা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরণের পরিস্থিতিতে অনেক সময় আত্মত্যাগের দরকার হয়ে পড়ে দেশের জন্য কিংবা অন্য মানুষের জন্য। পৃথিবীর ইতিহাসে এই আত্মত্যাগকারীর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে দেশে দেশে যুগে যুগে।

৪| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৪

অগ্নিবেশ বলেছেন: আমিও স্বনামে লিখে চাপাতির কোপ খেয়ে বীর হতে পারি। কিন্তু আমার লক্ষ্য বীর হওয়া নয়, আমার লক্ষ্য বেঁচে থাকা যাতে করে আমি আরো অনেকদিন ধরে এই অর্ধ মুসলমানদের দাঁড়ি ধরে টানাটানি করতে পারি।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুসলমানদের দাড়ি ধরে টানাটানি করার ইচ্ছাকে কোন মহৎ কর্ম বলা যাচ্ছে না। তাই ধরণের কাজের মধ্যে কোন বীরত্ব নাই। আছে হিংসা আর বিদ্বেষ। ধর্মের সমালোচনা না করে আপনি দাড়ি ধরে টানতে চান। আপনার নিয়তের মধ্যেই কুচিন্তা আছে।

৫| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

নতুন বলেছেন: সারা বিশ্বে এই ধরণের আত্মত্যাগকে সম্মানের চোখে দেখা হয়। কখনও বলা হয় না যে এই আত্মত্যাগ ভুল ছিল। যুগে যুগে দেশের জন্য বহু বীর বিভিন্ন পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছায় জীবন দিয়েছেন। ভবিষ্যতে নিজের দেশ যুদ্ধে জয়ী হবে কি না সেটাও তারা জানতেন না। কিন্তু তাদের সিদ্ধান্তকে ভুল বলা যাবে না। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় অনেক ঘটনা পাওয়া যায় যেখানে দেখা গেছে সঙ্গী সাথীদের জীবন বাঁচাতে গ্রেনেডের উপরে শুয়ে পড়েছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়েও দেখা গেছে অমানুষিক অত্যাচার করার পরও দলের কারও অবস্থান প্রকাশ করেনি এবং এক পর্যায়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। এই ধরণের সাহস সবার হবে না। কিন্তু এই মৃত্যুগুলি সম্মানের এবং বীরত্বের। এগুলি নির্বুদ্ধিতা না বরং বীরত্ব। নিজের জীবনের বিনিময়ে অন্যকে বাঁচানো কিংবা একটা আদর্শকে বাঁচানোর চেষ্টা একটা বীরত্বপূর্ণ এবং মহৎ কাজ। যদিও সবার পক্ষে এই রকম বীর হওয়া সম্ভব না। কিন্তু যারা জীবন দিয়েছেন ওনারা ভুল করেননি।

সন্তান, প্রিয়জন কে বাচাতে নিজের জীবন বিপন্ন করার ঠিক আছে।

কিন্তু অন্য সব ইজম, আইডিয়ার জন্য নিজের জীবন দেওয়া এক রকমের নিবুদ্ধিতা বলে আমি মনে করি। পৃথিবিতে যত যুদ্ধ হয়েছে সেখানে মানুষ কিন্তু নিজের ইচ্ছাতেই অংশগ্রহন করেছে, তারা কিন্তু অন্য একজন মানুষকে হত্যা করেছে তাদের ইজম টিকিয়ে রাখতে।

আসল কথা হইলো মানুষ আপনার নাম ভুলে যাবে, এবং যদি আমার নাম মনে না ই রাখে তবে কি ক্ষতি হবে? আত্নত্যাগে উদ্ভদ যেই নেতারা করে তারা কি তাদের জীবন বিপন্ন করে? তারা তাদের আইডিয়াটাকে জয়ী করতে মানুষকে জীবন দিতে উতসাহিত করে, নিজের জীবন বিপন্ন করেনা।

নেতারা তাদের ইগো,আইডিয়া বাস্তবায়নে সাধারন মানুষকে উতসাহিত করে জীবন দিতে।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করে জীবন দেয়া সম্মানের। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ছিল অন্যায়ের পক্ষে আর বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ছিল ন্যায়ের পক্ষে। মুক্তিবাহিনী বহু পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছে। এটা একটা মহৎ কাজ ছিল। এটা সমালোচনার বিষয় না। যুদ্ধের ময়দানে হত্যা করা ন্যায় যদি ন্যায়ের পক্ষে কেউ যুদ্ধ করে। সেই ইজম ভালো ইজম যদি সভ্য জগতে সেটা গ্রহণযোগ্য হয় এবং মানব সভ্যতার জন্য ভালো হয়। নিজের মন গড়া ইজমকে ইজম বলা যাবে না। ভালো ইজমের জন্য জীবন দিতে হলে সেটাও একটা মহৎ কাজ। পৃথিবীতে বেচে থাকাটাই বড় কথা না। অনেক সময় মৃত্যুও মানুষকে মহান করে।

নাম মনে রাখাটা বড় কথা না। মহৎ ব্যক্তিরা নাম মনে রাখার জন্য জীবন উৎসর্গ করেন না। তারা জীবন উৎসর্গ করেন ভবিষ্যতের একটা স্বপ্নকে বাস্তবায়নের আশায় যার সুফল পাবে অন্য মানুষেরা।

যে নেতা নিজের মধ্যে আত্মত্যাগের চেতনা অনুভব করে না তার কোন অধিকার নাই অন্য মানুষকে আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ করার। ১৯৭১ সালে এবং তারও আগে বঙ্গবন্ধুর জীবন বিপন্ন হওয়ার মত পরিস্থিতি হয়েছিল। কিন্তু তিনি মাথা নত করেননি। এই কারণেই দেশের সাধারণ মানুষ তার ডাকে জীবন দিতে কুণ্ঠা বোধ করেনি। যে নেতা নিজের ইগোকে জয়ী করার জন্য মানুষকে যুদ্ধ বা সঙ্ঘাতে জড়ায় সে প্রকৃতপক্ষে নেতাই না। সে একজন খলনায়ক মাত্র।

৬| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০০

জুল ভার্ন বলেছেন: মৃত্যু যেভাবেই হোক- "মরার আবার জাত কি"- শরত চন্দ্রের শ্রীকান্ত গল্পে- "ইন্দ্র কহিল, আরে এ যে মড়া। মড়ার আবার জাত কি? এই যেমন আমাদের ডিঙিটা- এর কি জাত আছে? আমগাছ, জামগাছ যে কাঠেরই তৈরী হোক এখন ডিঙি ছাড়া কেউ বল্‌বে না-আমগাছ, জামগাছ- বুঝলি না? এও তেমনি।"

বীর হতেই সবাই মৃত্যুকে স্বেচ্ছায় বরণ করেনা। এমন অনেক স্বেচ্ছামৃত্যু অনেক জ্বালাযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে বরণ করে নিতে বাধ্য হয়।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্যক্তিগত জ্বালা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেও অনেক মৃত্যুকে বেছে নেয়। তবে আমি বলেছি যারা জাতির জন্য, মানবতার জন্য বিশেষ পরিস্থিতিতে মৃত্যু জেনেও ঝাপিয়ে পড়ে তাদের কথা। যারা যুদ্ধে যায় তারা মৃত্যুর প্রস্তুতি নিয়েই যায়। সবাইকে মরতে হয় না। কিন্তু মৃত্যুকে বরণ করে নিতে হয় অনেককে। অনেকে বুঝে ওঠার আগেই মারা যায় আবার অনেকে বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে মারা যায়।

৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: অন্যের জীবন বাঁচাতে নিজের জীবন সঁপে দেওয়াকেই বীরত্ব বলে

সুন্দর পোস্ট

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি এই কথাটাই বোঝাতে চেয়েছি পোস্টে। এই ধরণের সাহস সবার থাকে না। যারা সাহস করে নিজের জীবন বিলিয়ে দেয় এরা নিঃসন্দেহে বীর। কোন স্বার্থ ছাড়াই এরা জীবন দান করেন। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমার মনে হয় জীবনে চলার পথে কোন অন্যায় সামনে পড়লে সব সময় যে হিসাব করে মানুষ প্রতিবাদ করে তা নয় আচমকায় মনের মধ্যে লুকায়িত মানব ধর্ম জেগে ওঠে এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে। যেমনটা আপনি পোস্টে উল্লেখ করলেন।আর তখনই
এই ধরনের আত্মত্যাগকে মানুষ হৃদয়ে ধারণ করে। ‌

কাজেই এটাকে স্বেচ্ছামৃত্যু হিসেবে না দেখে বরং অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোকেই বড় ফ্যাক্টর কাজ করে বলে আমার মনে হয়।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি এই কথাটাই বোঝাতে চেয়েছি। আগে থাকতেই মরার চিন্তা কারও মাথায় থাকে না। কিন্তু সময় এবং পরিস্থিতি অনেক সময় এমন হয় যে তখন বেচে থাকার জন্য মৃত্যুই সম্মানজনক বলে প্রতীয়মান হয়।

এটা আত্মহত্যা বা সেচ্ছা মৃত্যু না। এই মৃত্যুকে বরং বলা যায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠিনতম প্রতিবাদ।

৯| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৩৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সত্য কথা সক্রেটিস প্রাণ ভিক্ষা চাইলে বেঁচে যেতেন কিন্তু উনার আদর্শের কাছে পরাজিত হয়ে বেঁচে থাকতেন

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরনের বেচে থাকার চেয়ে উনি মৃত্যুকেই উত্তম মনে করেছেন। ওনার মত বড় মাপের মানুষেরা এভাবেই চিন্তা করে থাকেন।

১০| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষুদিরাম, ভগত সিংহ, প্রীতিলতা, এরা দেশের জন্য অনেক করেছেন।
আবার রামমোহন, বিদ্যাসাগর, মাদার তেরেসা যুদ্ধ না করলেও অনেক করেছেন।
কেউ জীবন দিয়ে করেছেন। কেউ কেউ বেঁচে থেকে অনেক করেছেন। কারো অবদানই ছোট করে দেখার অবকাশ নেই।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো কথা বলেছেন। অনেক মৃত্যু বরণ না করেও সমাজ এবং জাতির জন্য অনেক কিছু করেছেন যার জন্য তারা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। কারও অবদানকে ছোট করার দরকার নাই।

১১| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮

বিটপি বলেছেন: ফারাজ মোটেও কোন বীরত্বের পরিচয় দেয়নি। আপনার কথা যদি সত্যি হয়, তাহলে বলব সে চূড়ান্ত বোকামি করেছে। সে বের হয়ে এসেও আরও ভালো ভূমিকা পালন করতে পারত। সে আসলে সন্ত্রাসীদের লক্ষবস্তু ছিলনা - আমার ধারণা সে ছিল পুলিশের লক্ষ্যবস্তু।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সে বের হয়ে এলে কোন লাভ হতো না, শুধু তার ব্যক্তিগত লাভ হত। সে পুলিশের লক্ষ্যবস্তু ছিল কেন বলছেন? সন্ত্রাসীদের লক্ষবস্তু সে ছিল না সেটা পরিষ্কার। সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু না হওয়া সত্ত্বেও সে শুধু তার বন্ধুদের জন্য থেকে গেছে। এত সাহস সবার থাকে না। এই সাহসের জন্যও সে প্রশংসার দাবীদার।

১২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৮

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আসলে যারা আদর্শহীন , এবং যারা আদর্শকে কেবল স্বার্থের কাজে লাগায় তারাই বলতে পারে আদর্শের জন্য মৃত্যু কোন লাভজনক ব্যাপার নয় অন্তত যিনি জীবন দিচ্ছেন !!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এক বাক্যে আমার পোস্টের সারাংশ করে ফেলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

এই সমাজে যেমন বিরক্তিকর লোক আছে তেমনি এই ব্লগেও আছে। উহাদের বেশী গুরুত্ব দিলে উহারা আরও উৎসাহিত হয়। তাই প্রতিক্রিয়া না দেখানোই উত্তম। অগ্রাহ্য করা সর্বোত্তম পন্থা। আপনার জন্য শুভ কামনা।

১৩| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩০

অনল চৌধুরী বলেছেন: একটা মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয়, সে দেশ এবং মানবতার জন্য কি করেছে সেটা।
কিন্ত নীতিহীন-লোভী স্বার্থপর লোকদের কাছে নীতি, আদর্শ, সততা,দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ। মানবতা এসব হাস্যকর জিনিস।
এরা নিজেদের স্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝেনা।
এই ব্লগেও আরব প্রবাসী এক মূর্খ পাগল শ্রমিক আর এক ইচড়ে-পাকা বলেছে, আমি দেশের জন্য কি করি, সেটা নাকি কেউই শুনতে চায়না !!!
এরা নিজেদের দুই বেলা খাবার পেলে আর কিছু ভাবতে শেখেনি।
এরা নিজেরাও দেশের জন্য কিছু করতে পারে না আবার কেউ করলেও সেটা সহ্য করতে পারেনা- এমনই বিদঘুটে জীব এরা।
এদের সংখ্যাই বাংলাদেশে অগণিত।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের নীতি নৈতিকতার মান এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে আমরা নীচ কাজ আর মহৎ কাজের পার্থক্য করা ভুলে গেছি। সৎ লোককে এখন মানুষ বোকা মনে করে। খুব মূল্যবান কথা বলেছেন;

একটা মানুষের সবচেয়ে বড় পরিচয়, সে দেশ এবং মানবতার জন্য কি করেছে সেটা।[ কিন্ত নীতিহীন-লোভী স্বার্থপর লোকদের কাছে নীতি, আদর্শ, সততা,দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ। মানবতা এসব হাস্যকর জিনিস।

এই ধরণের আত্মকেন্দ্রিকতার কারণেই বাংলাদেশের এই অবস্থা এখন। কিন্তু ১৯৭১ সাল কিংবা তার আগে মানুষ এমন ছিল। মানুষের মধ্যে আদর্শ এবং মূল্যবোধ ছিল।

১৪| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:২২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কথায় আছে না, বীর মরে একবার আর কাপুরুষ মরে বার বার। কিছু অন্যায়ের প্রতিবাদ জীবন বাজি রেখেই করতে হয়, বাঁচলে বিজয়ী, মরলে বীর।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মনের মত কথা বলেছেন। অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:২৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

সক্রেটিস স্বেচ্ছামৃত্যুবরণ করেননি। আত্মহত্যাও করেননি।
তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। হামলক খেতে তিনি বাধ্য ছিলেন। তিনি ভালো করে জানতেন এটা না খেলে জোর করে খাওয়ানো হবে প্রয়োজনের দাত ভেঙ্গে চোয়াল ভেঙ্গে নল দিয়ে খাওয়ানো হবে।


ফারাজ মোটেও কোন বীরত্বের পরিচয় দেয়নি।
ফারাজ যা করেছে এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি।

আমরা সবাই দলবেঁধে বেড়াতে গেলে বা পিকনিকে গেলে ঝড় বৃষ্টি আসলে বা কোন বিপদে পড়লে সবচেয়ে আগে মহিলা সদস্যদের আগে বিপদ মুক্ত করি, ওদের আগে নিরাপদ আশ্রয়ে পাঠাই, সবচেয়ে আগে বাসে উঠিয়ে দেই। ছাত্র অবস্থায় তো মেয়েবন্ধুরা বিপদে পড়লে জীবন দিয়ে হলেও ওদেরকে আগে বিপদ মুক্ত করে নিরাপদ স্থানে পাঠাই। এটা সভ্য শিক্ষিত মানবিক মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। কোন বীরত্ব নয়।

ফারাজ টার্গেট ছিল না বলাটাও ভুল।
ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের কোন টার্গেট থাকে না। পেটে বোমা বেঁধে মসজিদে যখন মারে তখন কোন টার্গেট থাকে না।
মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বিপুল সংখ্যক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে একটা নিউজ তৈরি করা। দেশব্যাপী আতঙ্ক তৈরি করা।
ধন্যবাদ।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ফারাজের মত সাহস অনেকেরই হবে না।

১৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:০০

সোহানী বলেছেন: জনস্বার্থে আত্মত্যাগ Vs জনহত্যায় আত্মত্যাগ।

যাহোক, আত্মত্যাগ করলেই সাহসী বলবো না, যদি না এতে জনস্বার্থ থাকে।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জন হত্যায় আট আত্মত্যাগের কথা পোস্টে বলিনি। মানবতার জন্য যে আত্মত্যাগ সেটাকে বুঝিয়েছি।

১৭| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ব্লগার নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন, আসলে যারা আদর্শহীন , এবং যারা আদর্শকে কেবল স্বার্থের কাজে লাগায় তারাই বলতে পারে আদর্শের জন্য মৃত্যু কোন লাভজনক ব্যাপার নয় অন্তত যিনি জীবন দিচ্ছেন !!

সহমত

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও নিবর্হণ নির্ঘোষের সাথে সহমত পোষণ করছি। উনি ভালো কথা বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.