নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্কুলগুলিতে ইউনিফর্ম পড়ানোর একটা কারণ হোল ধনী, গরীব, উঁচু, নিচু সামাজিক ভেদাভেদ যেন স্কুলের বাচ্চাদের মনোজগতে প্রবেশ না করতে পারে। গত ২১ মার্চ তারিখে বগুড়া শহরের একটা মেয়েদের স্কুলের বাচ্চারা অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাতে সকাল থেকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত রাস্তায় এবং স্কুলের ভিতরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। ঐ স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রীর মা হলেন বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা জজ। ঐ স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীরা শিক্ষকদের নির্দেশে পালা করে প্রতিদিন তাদের ক্লাস রুম ঝাড়ু দেয়। অন্যান্য ক্লাসেও একই নিয়ম। জজ ম্যাডামের মেয়ে ঝাড়ু দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এটা নিয়ে অন্য ছাত্রীদের সাথে তার বচসা হয়।
বাসায় গিয়ে সে ব্যাপারটা তার মাকে জানায় এবং ফেইসবুকে তার সহপাঠীদের নিয়ে কিছু আপত্তিকর কথা বলে। সে তার সহপাঠীদের বস্তির মেয়ে বলে উল্লেখ করে। সে বিচারকের মেয়ে তাই সব নিয়ম তার জন্য প্রযোজ্য না। তার মত সুবিধা পেতে হলে তাদের মাকেও জজ হতে হবে।
এই মন্তব্যের জবাবে তার কয়েকজন সহপাঠীও পাল্টা মন্তব্য করে প্রতিবাদ জানায়। পরের দিন জজ ম্যাডাম স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে নির্দেশ দেন এই সহপাঠীদের অভিভাবকদের ডাকার জন্য। তিনি নিজে স্কুলে হাজির হন এবং অভিভাবকদের সাথে চরম দুর্ব্যবহার করেন। জজ ম্যাডাম ছাত্রীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার হুমকি দেন। তাদেরকে জেলে পাঠাবেন এই কথাও বলেন। এক পর্যায়ে দুইজন অভিভাবক ভয়ে বা বাধ্য হয়ে তার পা ধরে মাফ চান।
এই ঘটনার পরে ছাত্রীরা রাস্তায় এসে অবরোধ করে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাও জজ ম্যাডামের পক্ষ নেন। তিনিও ছাত্রীদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং টিসি দেয়ার হুমকি দেন। অন্যান্য শিক্ষকেরা গা বাঁচিয়ে চলেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে রাতে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, পুলিশের অতিরিক্ত এস পি ঘটনাস্থলে চলে আসেন। অনেক বুঝিয়ে রাত সাড়ে ১০ টায় ছাত্রীদের ঠাণ্ডা করা হয় এবং আশ্বাস দেয়া হয় যে সেই জজ ম্যাডামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শেষ খবর হোল গতকাল হাই কোর্ট থেকে লিখিত নির্দেশ দিয়ে ঐ জজ ম্যাডামকে বিচারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে পোস্টিং দেয়া হয়েছে ঢাকায়।
এই শিশুরা প্রতিবাদ করে দেখিয়ে দিয়েছে যে তারা অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয় না। ওদের কাছ থেকে আমাদের বড়দের অনেক কিছু শেখার আছে। জজ হতে গেলে নৈতিকতা জানতে হয়। বিসিএস পাস করলে জজ হয় কিন্তু অহমিকা থাকলে আর নৈতিক শিক্ষা না থাকলে এই ধরণের ব্যক্তিরা সমাজের জন্য সমস্যা তৈরি করে। দুই একদিন আগে দেখলাম এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে স্যার বলতে বাধ্য করেছে একজন ডিসি। এগুলি ভালো কথা না।
সূত্র -
dbcnews.tv/articles/
newsbangla24.com/education/222536/The-judge-of-Bogra-lost-his-judicial-power
ইনডিপেন্দেট টিভি
ছবি - পদ্মা নিউজ
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শিক্ষকের নৈতিকতার ক্ষেত্রে অনেক বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে মফস্বল এবং গ্রামের স্কুলের শিক্ষকের নৈতিকতা উন্নত। আপনার কথা ঠিক যে অনেক ক্ষেত্রেই শিক্ষক এবং অভিভাবকর ধনী, গরীব, ক্ষমতাশালী, ক্ষমতাহীন এই ধরণের বৈষম্য তৈরি করেন। কারণ অনেক অভিভাবকই বিত্তশালী হলেও পারিবারিক সুশিক্ষা পায়নি। একই কথা কিছু শিক্ষকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
বর্তমানে ঢাকা শহরের অনেকগুলি বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং পরিচালনা পরিষদ দুর্নীতি, রাজনীতি এবং জুলুমে জড়িত। রাশেদ খান মেননের মত লোকও একটা বিখ্যাত স্কুলের ভর্তি বাণিজ্যে জড়িত ছিল বলে শোনা যায়।
২| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:২৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,
ক্ষমতার মসনদখানা আজীবন কুক্ষিগত করে রাখতে সহায়তা করার জন্যে সব সরকারই যখন জনগণের খেদমতগার ( সোজা কথায় চাকর ) আমলাদের মাথায় বসিয়ে রাখেন, বাড়ী-গাড়ী- চাকর-আর্দালী মুফতে এবং সাতখুন মাপ করে দেন তখন এমনটাই হবে এবং হচ্ছেও। গত বছর দুই ধরে আমলাদের ঔদ্বত্যের এমন নমুনা বহুবার দেখা গিয়েছে। দেখা যাচ্ছে, এই ধারা প্রশমনের বদলে দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এই ঘটনার অভিযুক্তাকে শুধু প্রত্যাহার করা বা তার বিচারিক ক্ষমতা রদ করা কোনও শাস্তি নয়। এমন মানসিকতা নিয়ে তিনি এতোদিন যে বিচারগুলি করেছেন তা আবার খতিয়ে দেখা দরকার, সেখানেও তিনি এমন জমিদারী ষ্টাইলে বিচার করে অন্যায্য রায় দিয়েছেন কিনা দেখা দরকার তাও। এবং তাকে জেল হাজতে পুরে এমন তদন্ত করাই দৃষ্টান্তমূলক হতে পারে। কারন কেউই আইনের উর্দ্ধে নন এবং তিনি যেহেতু একজন বিচারক তার অপরাধের মাত্রা আরও বেশী।
বলতেই হয় -
" বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা
আজ জেগেছে সেই জনতা"
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমলার জোড়ে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে চাইলে এই ধরণের ঘটনা বাড়তেই থাকবে। এই ঘটনার জন্য সম্ভবত তদন্ত কমিটি হয়েছে। হয়তো কিছু একটা হবে। তবে তদন্ত কমিটি কয়েকদিন পরে কি করে সেটা আর পরে জানা যায় না এই দেশে। এই বিচারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া উচিত যেন এই ধরণের কাজ ভবিষ্যতে আর কেউ না করে। আগে যে বিচারগুলি সে করেছে সেগুলিও নিরীক্ষা করা দরকার। বিচারকের বিচারবুদ্ধির এই অবস্থা প্রমাণ করে এই দেশে সিভিল সার্ভিসের বর্তমান মান কি রকম।
কয়েকদিন আগে একজন ব্লগার লিখেছেন যে তার ফেইসবুক পোস্টের কোন মন্তব্যের কারণে এক মহিলা তার সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাকে দিয়ে শাসিয়েছেন। এই ধরণের আচরণ বালখিল্য আচরণ। ক্ষমতার দম্ভ মানুষকে অন্ধ করে দিচ্ছে।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৩৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: গ্রামের স্কুলের শিক্ষকের নৈতিকতা উন্নত হলে গ্রামের লোকজন এতো নীতিহীন কেনো ???
তাদের নীতিবোধ তো শহরের লোকজনর চেয়ে অনেক উন্নত হওয়ার কথা !!!!
কিন্ত বাস্তব হলো, গ্রাম এবং শহরের লোকজন প্রতিযোগিতা করছে কে কতোটা নষ্ট ও নিকৃষ্ট হতে পারে।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গ্রামের মানুষের নৈতিকতাও কমে যাচ্ছে। এই দেশের নিম্নস্তরের ঘুষখোর সরকারী কর্মচারীদের একটা বড় অংশ আসে গ্রাম থেকে। ঘুষ খাওয়াটা তাদের কাছে কোন অপরাধই না। গ্রামের লোক খারাপ হওয়ার প্রতিযোগিতায় এখন পাল্লা দিচ্ছে শহরের লোকের সাথে। তবে গ্রামের শিক্ষকরা ছাত্র/ ছাত্রীর প্রতি অনেক মানবিক শহরের চেয়ে। নৈতিক শিক্ষার মূল উৎস হোল পরিবার। শুধু শিক্ষকের একার পক্ষে সমাজ পরিবর্তন করা সম্ভব না।
৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:৫১
বিষাদ সময় বলেছেন: আমরা বড়রা তো আমাদের বিবেক বন্ধক দিয়ে দিয়েছি। তাই স্কুলের শিশুরা মাঝে মাঝে আমাদের বুঝিয়ে দেয় যে আমরা বিবেকহীন
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের এই সমাজের কারণে শিশুদের বিবেক নষ্ট হয় যখন তারা বড় হয়ে যায়। স্কুলের বাচ্চারা এতো প্যাচ ঘোঁচ বোঝে না। সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলে। আমরা বড়রা তো বিবেক বন্ধক দিয়ে দিয়েছি। আপনি ঠিক বলেছেন।
৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১:১৯
কামাল১৮ বলেছেন: অন্যায়ের প্রতিবাদ করা ভালো।যেখানেই অন্যায় সেখানেই প্রতিবাদ।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের সমাজে এক সময় অন্যায়ের প্রতিবাদ হত। না হলে এই দেশ কখনও স্বাধীন হতে পারতো না। আমাদের সমাজের বর্তমান দুরবস্থার একটা বড় কারণ হোল অন্যায়ের প্রতিবাদ না করা। মানুষ নিজেকে ছাড়া আর কিছু বোঝে না।
৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: ভিডিওটা আমি দেখেছি। অষ্টম শ্রেণীর মেয়েটির সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাতেই হয়। এমন অগ্নিকন্যারাই পারে পঙ্কিলতা থেকে সমাজকে মুক্ত করতে।
ভালো থাকবেন সাচু ভাই। শুভকামনা আপনাকে।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আরেকটা ভিডিও দিলাম। এটাতে ছাত্রীদের বক্তব্য এবং জেলা কমিশনারের বক্তব্য আছে;
ভালো থাকবেন পদাতিক দা।
৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩৯
জুল ভার্ন বলেছেন: এই শিশুদের জন্য অভিনন্দন।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এরা সঠিকভাবে প্রতিবাদ করতে পেড়েছে বলেই জজ বেকায়দায় পড়েছে। ছাত্রীরা একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করলো। এই বাচ্চাদের জন্য অভিনন্দন।
৮| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১০
জটিল ভাই বলেছেন:
এগুলি ভালো কথা নয়। কিন্তু এগুলিই ট্রেন্ড!
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দুঃখজনক ব্যাপার হোল এই ধরণের দাম্ভিকতা এবং ক্ষমতার অপব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলছে।
আপনার কাছ থেকে আগের মত পোস্ট আশা করছি নিয়মিত।
৯| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: এই সমাজে যাদের হাতে ক্ষমতা আছে। অথচ ক্ষমতা দেখায় না। তারাই ভালো মানুষ।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব ভালো কথা বলেছেন।
১০| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:২৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে সামাজিকভাবে বয়কট করা উচিত। এ বিচারককে সহযোগিতা করেছে।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই প্রধান শিক্ষিকা শক্ত থাকলে জজ কিছু করতে পারতো না। এতো নিচু মন মানসিকতার কাউকে প্রধান শিক্ষক করা ঠিক হয়নি। চরম সুবিধাবাদী এই প্রধান শিক্ষক। সে বাচ্চাদের টিসি দিতে চেয়েছে। ঐ স্কুলে ডিসির মেয়েও পড়ে এবং ডিসি পরিচালনা পরিষদের প্রধান। তা না হলে মেয়েগুলি আরও ভয়ানক বিপদে পড়তো। মিডিয়া, ফেইসবুকের কারণে অনেক অন্যায় এখন মানুষের চোখের সামনে চলে আসে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনকে জনরোষের কারণে সুবিচার করতে হয়। যদিও অনেক ঘটনাই ধামাচাপা পড়ে যায় এবং আন্দোলনকারীরা বিপদে পড়ে।
১১| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
প্রতিবাদ জানাতে জানাতেই ছাত্রসমাজ দেশকে পাকিস্তান থেকে বের করেছে, ভাষায় নতুন মোড়ক বানিয়েছে।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছাত্রসমাজ যতটা নিঃস্বার্থ হতে পারে বড়রা সেটা পারে না। জটিলতা, কুটিলতা তরুণদের মধ্যে আসতে সময় লাগে। এরা পরিণতি চিন্তা করে না। ফলে অন্যায়ের প্রতিবাদ এরা করতে পারে। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে এক সময় বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে।
১২| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৫১
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: এদেশে অপ্রাপ্তবয়স্করাই প্রতিবাদ করতে জানে।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা একটা ভালো দিক। আমরা মনে করে ওরা শুধু ফেইসবুক প্রজন্ম। কিন্তু ওরা সময় মত প্রতিবাদ করছে। সঠিক দিক নির্দেশনা পেলে এই প্রজন্ম আরও উৎকর্ষতা অর্জন করবে। সমস্যা হোল বড় হলে সমাজের পঙ্কিলতায় এরাও বদলে যায় অনেক সময়।
১৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩১
শায়মা বলেছেন: ছোট বলিয়া করিওনা হেলা
এই কথা সবাইকেই মনে রাখতে হবে। আর ঐ জজ তো মনে হয় জীবনেও ভুলবেনা। এমন শিক্ষা পাবে জীবনে ভাবেনি হয়ত।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অহংকার পতনের মূল। এই জজ ম্যাডাম যে বেইজ্জতি হয়েছে লজ্জা থাকলে জীবনে আর এই ধরণের কাজ করবে না।
১৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩৩
শায়মা বলেছেন: এই ম্যাজেন্টা শাড়ি পরা মহিলাটাই কি সেই জজ?
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জজ রুবাইয়া ইয়াসমিন ছবি নীচে দিলাম। ওনার ছবি খুব একটা আসেনি মিডিয়াতে। ম্যাজেন্টা শাড়ি পড়া ভদ্রমহিলা হলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।
আমিও প্রথমে দ্বন্দ্বে ছিলাম। ভেবেছিলাম এই ম্যাজেন্টা শাড়ি পরিহিতা ভদ্রমহিলাই সম্ভবত সেই জজ।
১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৯:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ আবার আসার জন্য।
১৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২২
শায়মা বলেছেন: ম্যাজেন্টা শাড়ি যেমন রাগ রাগ মুখ করে ছিলো মনে হচ্ছিলো তার গায়ে লাগছে মেয়েদের কথাগুলা।
কাজেই সবারই মনে হবে এই সেই মহিলা। আর সত্যিকারের জজের চেহেরা দেখে তো মনে হচ্ছে খালেদা জিয়ার ছোট বোন। এত চেহারায় মিল!!!!!!!!!!! আমি অবাক!
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও আপনার মতই চিন্তা করেছিলাম ভিডিওগুলি দেখে। কারণ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের চেহারায় কেমন যেন রাগ রাগ ভাব ছিল। মজার ব্যাপার হোল এই অভিযুক্ত জজ ম্যাডামের ছবি কোন নিউজেই দেখানো হয়নি। হয়তো কোন বারণ আছে। আমি জানি না।
ওনার চেহারার সাথে বেগম খালেদা জিয়ার চেহারার মিল আছে।
আপনি আর আমি সব সময় একই রকম চিন্তা করি দেখা যাচ্ছে।
১৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩১
শায়মা বলেছেন: হুম হুম সেই জন্যই তো আমি তোমার মন বুঝি ভাইয়ু!! আর সেই সত্য বললে তুমি লাগ কলো.... হি হি
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মানুষের মনস্তত্ত্ব আপনি ভালো বোঝেন এটা আমি স্বীকার করি। কিন্তু আপনি একটু ভুল মনে হয় বুঝেছেন আমার ব্যাপারে। আমি কিন্তু আপনার ব্যাপারে সব সময় সু ধারনা রাখি। তবে ইদানিং আমি ব্লগে মন্তব্য করা একটু কমিয়ে দিয়েছি। হয়তো ব্যাপারটা সাময়িক। আপনাদের ভালোবাসার টানে হয়তো আবার আগের মত হব ইনশাল্লাহ।
১৮| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩৫
শায়মা বলেছেন: শুনো আজকে তোমার বদ দোয়ায় আমার জীবনে এমন এক কান্ড হয়েছে যে আমি ধরনী দ্বিধা হও অবস্থায় ছিলাম। সারাদিন আমি শোকে মুহ্যমান ছিলাম।
আমি হাজার চিন্তা করেও কোনো স্টোরী মেক করে চোখে ধুলো নাকে তুলো দেবার মত উপায় খুঁজে পাইনি। যাকে বলে রিয়েল ধরা।
কসম জীবনে এমন ধরা আমি খাইনি......
কিন্তু ধরা খাওয়ার আগে আমি জানতাম না ইহার জন্য আমাকে আক্কেল সেলামী দিয়াও জীবনের ক্ষত মুছিবেক না। মানে নিজের কাছে নিজে বোকা নিজে ধরা খাওয়া হইলে যা হয় আর কি......
তবে হ্যাঁ এমন আগে কখনও কোনোদিন হয়নি......
তখনি বুঝলাম সবই তোমার বদ দোয়া.....
কি ফু দিছো যে আমার এমন হলো
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বদ দোয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তবে আপনি বললে আমি আরেকটা উল্টা ফু দিয়ে দিতে পারি।
জীবনে এই ধরণের পরিস্থিতি অনেক সময় আসে। তাই বিব্রত হওয়ার দরকার নাই। এগুলি জীবনের অংশ।
আপনি অনেক মেধাবী কিন্তু নিরহঙ্কারী। এই গুণ অনেকেরই থাকে না। যেমন এই জজ ম্যাডামের নেই। আপনি অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারেন। আর শুধু মেধা থাকলে হয় না, পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হয়। আপনার সেটা আছে। আপনার আরও কিছু মানবিক গুণ আছে বলে আমার মনে হয়েছে।
১৯| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:০২
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া ঐ যে বান মারে না? মানে কালা যাদু কুফরী কালাম আমি জানলে সেটা দিয়ে তাহার মন থেকে এই ঘটনা ভুলাই দিতাম!!!!!!!! বা ঐ যে সিনামায় মাথায় বাড়ি দিয়ে স্মৃতি হারায় দেয় না? তেমন কিছু করতে পারলে ভালা হইতো!!
আজ সারাদিন আমার মনে আনন্দ নেই। আজ সারাদিন আমার কোনো কাজে মন নেই। আমি কি করিবোক!!
২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঘটনাটা তো জানি না তাই আপনাকে কি পরামর্শ দিব বুঝতে পাড়ছি না। অনেক সময় নিজেকে ক্ষমা করে দিতে হয়।
২০| ২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:২৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: নৈতিক শিক্ষা শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় পরিবার থেকেও হতে হবে। সততা ছাড়া সবই মূল্যহীন।
২৬ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য। নৈতিক শিক্ষার মূল জায়গা হোল পরিবার। ঐ জজের মেয়েটি স্কুল থেকে নৈতিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেনি। কারণ তার পরিবারে নৈতিক শিক্ষার পরিবেশ নাই। জজ ম্যাডামের আচরণ থেকেই সেটা বোঝা যাচ্ছে। তবে ডিসি সাহেব অত্যন্ত প্রশংসনীয় আচরণ করেছেন। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। হেড মিস্ট্রেস হোল আরেকটা ক্রিমিনাল।
আমরা জানি দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিত্যাজ্য। জজ ম্যাডাম বিদ্বান কিন্তু সুজন বলা যাবে না। অহংকারী, দাম্ভিক ব্যক্তির বিচারক হওয়ার যোগ্যতা নাই। শুধু অহংকারের কারণে ইবলিশ শয়তান আল্লাহর শাস্তি পাবে। যদিও আল্লাহর সাথে শিরক করেনি। আল্লাহকেই সৃষ্টিকর্তা হিসাবে মানে।
২১| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৭:৫০
সোহানী বলেছেন: হুম দেখলাম। ফেসবুকে একটা ছোট লিখা দিয়েছিলাম।
সবার পার পেয়ে মাথায় চেপে বসে, তাই সে ও ভেবেছিল এরকমটাই হবে। বাচ্চা মেয়েগুলো যে তাকে এরকম শায়েস্তা করবে তা সে হয়তো স্বপ্নেও ভাবেনি।
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই জজ ম্যাডাম উচিত শিক্ষা পেয়েছে। আমার মনে হয় না ভবিষ্যতে আর কখনও এই ধরণের আচরণ করবে।
তবে ডিসি সাহেব পরিস্থিতি খুব সুন্দরভাবে সামলেছেন। এই প্রতিবাদের সফলতার পিছনে ওনার একটা ভুমিকা আছে। আর মেয়েগুলি খুব সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। ওদেরকে বাহবা দিতে হয়।
২২| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৫৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: "এদেশের শিশুরা প্রতিবাদ করতে জানে" - Couldn’t agree more!
বছর কয়েক আগে ছেলেরা একবার রাজধানীর সড়কগুলোকে সুশঙ্খল করে তুলেছিল, এবারে স্কুলছাত্রীরা বহ্নিশিখার মত জ্বলে উঠে দাম্ভিক বিচারক এবং তার উপযুক্ত কন্যাকে উচিত শিক্ষা দিয়ে ছেড়েছে।
সেই মেয়েটি (ছাত্রীদের প্রতিনিধি হয়ে যে কথা বলেছিল) যদি এ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতির পরবর্তী রোষানল সামলে উঠতে পারে, তবে তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল, এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।
জেলা প্রশাসক কর্তৃক প্রদত্ত সকল স্কুল ছাত্রীর নিরাপত্তা বিধানের প্রতিশ্রুতি শতভাগ পালিত হোক, এটাই কামনা করছি। সেই নেত্রীসহ সকল স্কুল ছাত্রীর জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইলো।
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ২০১৮ সালে ছেলেমেয়েদের প্রতিবাদ খুব ভালো লেগেছিল। খুব দায়িত্ব নিয়ে ওরা প্রতিবাদ করেছিল। আমার বাসার কাছে প্রতিবাদ চলাকালীন একটা এ্যাম্বুলেন্সকে ওরা যেভাবে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিল তখনই বুঝেছিলাম ওরা কতটা দায়িত্বশীল আচরণ করল।
বগুড়ার স্কুলের এই মেয়েগুলিও প্রশংসার দাবী রাখে। বিশেষ করে যে মেয়েটি ছাত্রীদের প্রতিনিধি হিসাবে কথা বলেছে তার নেতৃত্বের গুণ আছে বলতে হবে। আপনি ঠিক বলেছেন যে এই মেয়ে যদি ঘটনা পরবর্তী রোষানলে না পড়ে তাহলে তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।
জেলা প্রশাসক সাহেব খুবই আন্তরিক ছিলেন এবং ওনাকে একজন সৎ এবং নীতিবান মানুষ হয়েছে। উনি নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে সুন্দর ভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন।
২৩| ২৭ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১১:৫৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ৬ নং প্রতিমন্তব্যে দেয়া ভিডিও চিত্রটি হয়তো ভবিষ্যতে একটি ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে মর্যাদা পাবে।
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সত্যিই এই ভিডিও চিত্রটি মানুষ ভবিষ্যতেও শুনবে মনে হয়। এতো সুন্দর বিচারের আয়োজন খুব একটা দেখা যায় না।
২৪| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৫৬
সোনাগাজী বলেছেন:
টেষ্ট
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: টেস্ট সফল হয়েছে।
২৫| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ৮:৫৯
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি একটা পোষ্টে, আপনার কমেন্টে, ১ জন ব্লগারকে "মুক্তিযোদ্ধা" বলেছেন; আমার অনুরোধ, উনার থেকে জেনে নেবেন, উনার ষ্ট্যাটাস কি এখনো মুক্তুযোদ্ধা, নাকি উনাকে লিষ্ট থেকে বাদ দেয়া হয়েছে!
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লিস্টে তো অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার নামও আছে। আবার লিস্টের বাইরেও অনেক প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আছেন।
লিস্টটা বড় কথা না। উনি একজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। লিস্টে নাম না থাকলেও উনি মুক্তিযোদ্ধা।
ওনার নাম বাদ পড়লে মনে হচ্ছে আপনি খুশি হবেন।
২৬| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
সোনাগাজী বলেছেন:
১ নং সেক্টরে, আমার পরিচিত যাঁরা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন; কিন্তু নাম উঠেনি, তাঁদের জন্য আমি ক্যা: এনামের সাথে দেখা করেছিলাম ১৯৯৩ সালে; কারণ, উনার অধীনে যুদ্ধ করা ১৪ জনের নাম ছিলো না উনার দেয়া লিষ্টে। উনি এখনো হয়তো জীবিত আছেন; উনি রিটায়ার করার পর কক্সবাজারে থাকতেন।
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি কাজটা ভালো করেছেন নিঃসন্দেহে।
২৭| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
সোনাগাজী বলেছেন:
শুরুতে, মেজর জিয়া ছিলেন ১ নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার, মেজর রফিক ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড; পরে, মেজর জিয়াকে সরারোর পর, মেজর রফিক ছিলেন সেক্টর কমান্ডার এবং ক্যা: এনাম ছিলেন সেকেন্ড ইন কমান্ড; এনাম সাহেব আমার অনুরোধ রেখেছিলেন; তিনি সেই ১৪ জনের নাম এনলিষ্ট করায়েছিলেন।
২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি নিজের চেয়ে অন্য মানুষের সুখ দুঃখ নিয়ে বেশী ভাবেন। বিভিন্ন সময়ে আপনার লেখা থেকে বুঝতে পেড়েছি। বিশেষ করে অভাবী মেয়েদের ব্যাপারে আপনি বেশী সংবেদনশীল।
২৮| ২৮ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ছোট ছোট বাচ্চারা যখন প্রতিবাদ করে তখন সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয় একেবারেই পক্ষপাতহীন। অনেকদিন আগে একবার আমার ছোট্ট ছেলের একটা কথায় আমি একেবারে থ হয়ে গিয়েছিলাম, তার রায় আমার বিপক্ষে ছিল বুঝতেই পারছেন।
২৯ শে মার্চ, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। বাচ্চারা অকপটে সত্যি কথা বলে। ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ১২:০৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: পোশাক এক হলেও শিক্ষক এবং অভিবাবকরা্ই শিশুদের মধ্যে ছোটো-বড় ভেদাভেদের শিক্ষা দেয়।
৮০-৯০ দশকে দেশের বিখ্যাত দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ে এ বৈষম্য দেখে এসেছি।