নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনেকের মতে ইসকন হিন্দু ধর্মীয় উগ্র সংগঠন হলে এদের সাধারণ সমর্থকদেরকে বা সুবিধা প্রাপ্তদেরকেও কি উগ্র মতবাদের অনুসারী বলতে হবে?

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৯

'ইসকন বাংলাদেশে'র তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় ইসকনের মন্দির আছে প্রায় ৬৪ টি। এছাড়া অনেকগুলি ইসকন কেন্দ্র আছে বিভিন্ন জেলায়। এই মন্দিরে বাংলাদেশের সর্বস্তরের অনেক হিন্দু যায় পুজা করতে। এরা নিশ্চয়ই জেনে বা না জেনে ইসকনের সমর্থক। ইসকনকে এরা পছন্দ না করলে নিশ্চয়ই তারা ইসকনের তৈরি করা মন্দিরে যেত না বা ইসকনের কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতো না। ইসকনের সদস্য না হয়েও অনেক হিন্দু ইসকনের বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশ নেয় এবং ইসকনের মন্দিরে পুজা করতে যায়। কাজেই আমার মনে হয় যে বাংলাদেশের হিন্দুদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ধর্মীয় কারণে ইসকনের সমর্থক। এটার মধ্যে আমি দোষের কিছু দেখি না। তাই সাধারণভাবে বলা যায় যে হিন্দুদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে ইসকনকে পছন্দ করে এবং সমর্থন দেয়। নীচের ভিডিওটা দেখলে বুঝবেন যে সাধারণ হিন্দুরা ইসকন মন্দিরগুলিতে যায়।


অনেক মূল ধারার হিন্দু অবশ্য ইসকনের ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির সাথে একমত না। তারা হয়তো এটা থেকে দূরে থাকে। অনেকের মতে ইসকনের মূলে আছে আন্তর্জাতিক ইহুদি শক্তি। শোনা যায় বাংলাদেশের নিম্ন বর্গের হিন্দুরা অন্য হিন্দুদের চেয়ে ইসকন দ্বারা বেশী প্রভাবিত হয় ও এদের মতবাদের প্রতি সমর্থন দিয়ে থাকে। বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাথে ইসকনের বিরোধ নেই বরং অনেক প্রতিবাদ কর্মসূচীতে এই দুই সংগঠন এক সাথে কাজ করেছে। কিন্তু ভারতে ইসকনের প্রভাব বাংলাদেশের চেয়ে কম বলেই মনে হয়।

তাহলে প্রশ্ন জাগে বাংলাদেশের হিন্দুদের একটা বড় অংশ যারা সরল মনে এবং ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ইসকনকে সমর্থন করছে তারাও কি তাহলে এই অনেকের দাবীকৃত উগ্র মতবাদের ইসকনকে সমর্থন করার কারণে উগ্র বলে চিহ্নিত হবে? অনেকে ধর্মীয় কারণে এদের সাধারণ সদস্য পদ গ্রহণ করেছে। এদের সম্পর্কে আমাদের অবস্থান কি হবে। বলা হবে কি যে যেসব হিন্দু ইসকনের সাধারণ সদস্য তারাও উগ্র মতবাদে বিশ্বাসী? অথবা ইসকনের মন্দিরে কাউকে দেখা গেলেই তাকে সন্দেহ করা হবে?

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আমরা যেটা বুঝতে পারি যে অনেকের মতে ইসকন সংশ্লিষ্টতা মানেই বিরাট বড় একটা অপরাধ। আমরা তো বুঝে বা না বুঝে আমাদের দেশের দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু ধরমালম্বিদেরকে উগ্র মতবাদের অনুসারী বানিয়ে ফেলছি। এই ধরণের চিন্তা এই দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য একটা হুমকি বলে আমি মনে করি।

এই ধরনের চিন্তার সারমর্ম হল ইসকন যেহেতু (অনেকের মতে) উগ্র সংগঠন এবং যেহেতু হিন্দুদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ এদের মন্দিরে যায় বা এদের কর্মসূচীতে অংশ নেয় বা সাধারণ সদস্য তাই এই হিন্দুরাও উগ্র। কারণ আমাদের অনেকেই মনে করে ইসকন সংশ্লিষ্টতা মানেই ভয়ানক একটা অপরাধ। কিন্তু আমাদের মানা উচিত যে ইসকন এই দেশে বৈধভাবে তাদের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। এরা কোন আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠন না। সঠিক সংখ্যা না জানলেও বহু সাধারণ হিন্দু বাংলাদেশে ইসকনের সমর্থক।

ইসকনের উদ্দেশ্যের মধ্যে কি ভাল কি খারাপ এটা আমি জানি না। খারাপ কিছু থাকলে সেটার দায় ভার ইসকনকে নিতে হবে। কিন্তু যেভাবে ইসকনকে ভয়ংকরভাবে দেখানো হচ্ছে তাতে দেশের অসংখ্য সাধারণ মানুষ হিন্দু হওয়ার কারণে উগ্র মতবাদের অনুসারী বলে ট্যাগ খাবে। এটা এই দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতির জন্য একটা অন্তরায়।

ইসকনের ব্যাপারে ঢাক ঢাক গুড় গুড় না করে আমাদের উচিত এই সমস্যার একটা সমাধান করা। আমাদের অজান্তেই ধর্মীয় কারণে আমরা আমাদের সাধারণ হিন্দু ভাইদের সন্দেহের মধ্যে ফেলে দিচ্ছি। এটা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য একটা বড় হুমকি। কোন হিন্দু অপরাধ করলেই তার সাথে ইসকনের যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইসকনের কারণে সাধারণ হিন্দুদের সন্দেহ করাটা সঠিক হচ্ছে না বলে আমার মনে হয়।

ছবি - জার্নি উইথ শান্তনু'র চ্যানেল (ইউটিউব)

মন্তব্য ৮৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯

নতুন বলেছেন: ধর্মান্ধতায় আক্রান্ত সকল ধর্মের মানুষই অন্য ধর্মের প্রতি খারাপ দৃস্টি পোষন করে।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলাম ধর্ম অন্য ধর্মের মানুষ সম্পর্কে বিদ্বেষ পোষণ করতে শেখায় না। তার ধর্ম সে পালন করবে আমারটা আমি পালন করবো। ইসকনকে ইস্যু করে এই জাতিকে দুই ভাগে ভাগ করার চেষ্টা করা হচ্ছে ধর্মীয় কারণে। অনেকে এটাকে উস্কে দিচ্ছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার উদ্দেশ্য নিয়ে। যে কোন মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার চেষ্টা করতে হবে।

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৪২

নতুন বলেছেন: ধর্মগুরুর ধান্ধা বাড়ে ধর্মের অনুসারী বাড়লে। সমাজে সমস্যা থাকলেই তো মাতু্ব্বরের কদর বাড়ে।

তেমনি ধর্মকে ইসু করে জাতীকে ভাগ করলে নেতাদের লাভ.... তারা আলোচনায় থাকে...

সাধারন মানুষের মাঝে কোন বিভেদ নাই। ধর্মনেতারাই বিভেদ তৌরি করে তাদের নেতাগিরি ধরে রাখতে চায়।

আমাদের দেশের বিভিন্ন ধর্মীয় দলের কাজই মনে হয় অন্যদলের ভুল ধরে তাদের ছোট করা। নিজেদের সুনাম বাড়ানো।

নেতাদের কাছে ধর্মের চেয়ে ক্ষমতা ধরে রাখাটাই বড়। ধর্মের নামে রাজতিনি, ধর্ম উসিলা মাত্র...

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্ম নিয়ে হানাহানির কারণে এই অঞ্চলে লক্ষ লক্ষ লোকের প্রাণহানি হয়েছে। হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা এখনও থেমে থেমে চলমান এই অঞ্চলে। অনেক ধর্মীয় নেতা তাদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখে ধর্মীয় বিভেদ জিয়িয়ে রেখে বা উস্কে দিয়ে। ধর্ম নিয়ে রাজনীতি এই অঞ্চলে বেশী হয়। সেটা ব্রিটিশ আমল থেকে শুরু হয়েছিল। এই ধর্মীয় ইস্যুর সাথে আবার যুক্ত হয় রাজনৈতিক ইস্যু। দুইটাকে একত্রে মিশিয়ে অনেকে রাজনীতি করে। রাজনৈতিক নেতারা এই কারণে ধর্মীয় নেতাদের চটাতে চায় না। তাদের দলে রাখতে চায় এবং প্রয়োজনে ব্যবহার করতে চায়।

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


ইসকনের উদ্দেশ্য ভালো নাকি খারাপ এটা ক্লিয়ার হয়নি এখনো মানুষের কাছে? আপনার কাছে ক্লিয়ার কেমন?

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার কাছে ক্লিয়ার না। আমার অবস্থা পাবলিকের মতই।

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি অনলাইনে সার্চ দিলে এদের সম্পর্কে জানতে পারবেন। ইসকন আসলে কোন ধর্মীয় সংগঠন নয়। ধর্মীয় লেবাসে মুলত রাজনেতিক সংগঠন । এদের মন্দিরে যারা যায় , তারা না জেনে যায় না। জেনে বুঝেই যায়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক সাধারণ হিন্দু এদের মন্দিরে যায়। এদের বিভিন্ন মন্দিরের ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারবেন। আমার দেয়া ভিডিওটা দেখলেও বুঝতে পারবেন। ইসকন একটা বেশ বড় একটা আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। ধর্মের আড়ালে রাজনীতি বা অন্য কোন এজেন্ডা থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশের অনেক হিন্দুই এতো খবর জানে না। এই গোপন এজেন্ডা সাধারণ মানুষের পক্ষে নিশ্চিতভাবে জানা সম্ভব না।

অনলাইন সার্চ আমি আগেই দিয়েছি। এদের বিরুদ্ধে সমালোচনা আছে। সেটা আমি জানি। বিভিন্ন শ্রেণীর সাধারণ মানুষ এতো খবর জেনে মন্দিরে যায় না।আমার বলার উদ্দেশ্য হল যারা ওদের মন্দিরে বা কর্মকাণ্ডে যায় তারা ইসকনকে ভালো জেনেই যায়। আপনি কে বলতে চাচ্ছেন যে হিন্দুরা খারাপ উদ্দেশ্য জানা সত্ত্বেও এদের মন্দিরে বা কর্মকাণ্ড জড়িয়ে পড়ছে। সেই ক্ষেত্রে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে এই সাধারণ হিন্দুরাও এই খারাপ উদ্দেশ্যের অংশীদার? ইসকনের সমর্থক বাংলাদেশে কত আমি জানি না। কিন্তু এখন অনেকেই এটার সমর্থন করে।

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৮

শেরজা তপন বলেছেন: এই ইসকন নিয়ে ইদানিং বেশ আলোচনা হচ্ছে। একটা বাস্তবিক অনুসন্ধানমুলক প্রতিবেদন প্রয়োজন।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পরিষ্কার কোন বার্তা আসা প্রয়োজন। ইসকন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও পরিষ্কার করে বলা উচিত। সাংবাদিকদের উচিত ঢাক ঢাক গুড় গুড় না করে এটা নিয়ে আরও নিরপেক্ষ খবর সংগ্রহ করা। বাংলাদেশে এদের কর্মকাণ্ড এখন চোখে পড়ার মত। কিন্ত আমার ধারণা মুসলমানদের অন্তত ৯৯% ইসকন সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করে। এটা এই দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য কল্যাণকর নয়। দলে দলে সাধারণ হিন্দু এদের মন্দিরে যাচ্ছে। অনেকে এদের ফ্রি কার্যক্রমের সাথে জড়িত। তাহলে এই ধরণের হিন্দুদের সম্পর্কেও খারাপ ধারণা আমাদের মনে চলে আসতে পারে।

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০২

নতুন বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি অনলাইনে সার্চ দিলে এদের সম্পর্কে জানতে পারবেন। ইসকন আসলে কোন ধর্মীয় সংগঠন নয়। ধর্মীয় লেবাসে মুলত রাজনেতিক সংগঠন । এদের মন্দিরে যারা যায় , তারা না জেনে যায় না। জেনে বুঝেই যায়।

বর্তমানে সকল ধর্মীয় সংগঠনই ছুপা রাজনিতিক এজেন্ডা আছে, সবাই ক্ষমতা চায়।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের হেফাজতসহ বিভিন্ন বিভিন্ন ইসলামি সংগঠন, অনেক প্রতিষ্ঠিত পীর এবং অনেক ধর্মীয় বক্তারা যে কোন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে না তার কি নিশ্চয়তা আমাদের কাছে। কোটি কোটি লোক এদের অনুসারী। অনেক ধর্মীয় নেতার সাথে রাজনৈতিক দলগুলির সম্পর্ক আছে। রাজনীতির মাঠে ধর্মীয় গোষ্ঠীর ক্ষমতা ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে এখনও হচ্ছে।

আমার তো মনে হচ্ছে বহু সাধারণ হিন্দু ইসকনের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত। এদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কি হবে এটাই আমার প্রশ্ন। আমার ধারণা এরা না জেনেই সরল মনে যাচ্ছে।

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনেকের মতে ইসকন হিন্দু ধর্মীয় উগ্র সংগঠন হলে এদের সাধারণ সমর্থকদেরকে বা সুবিধা প্রাপ্তদেরকেও কি উগ্র মতবাদের অনুসারী বলতে হবে?

কিছু মনে না করলে আপনাকে একটা প্রশ্ন করি.........অনেকের মতে তালেবান মুসলিম ধর্মীয় উগ্র সংগঠন হলে এদের সাধারণ সমর্থকদেরকে বা সুবিধা প্রাপ্তদেরকেও কি উগ্র মতবাদের অনুসারী বলতে হবে?

আপনার সমস্যা হলো, আপনি বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখেন না, গভীরেও যেতে চান না কিংবা যান না। আর আমার সমস্যা হলো, আপনি এই বিষয়ে যেই প্রিকনসিভড আইডিয়া নিয়ে বসে আছেন, সেটা নিয়ে আলোচনা করতে গেলে আমাকে প্রচুর টাইপ করতে হবে, এবং সেটা একাধিকবার। তাতে আমার তুমুল আপত্তি। সেটা ব্যস্ততার জন্য সময়ের অভাবেই বলেন, আর অলসতার কারনেই বলেন। বরং আপনি এটা নিয়ে ডিটেইল গবেষণা করেন। প্রচুর লেখা এবং ভিডিও পাবেন। আর হ্যা, অনুরোধ...... লজিকও খাটায়েন। আশাকরি, ইসকনের কার্যকলাপ সম্পর্কে জানতে পারবেন।

একটা কিউ দিয়ে শেষ করি, এই ভিডিওটা দেখেন। অনেকের চুলকানী হতে পারে; তারা চুলকাতে থাকুক। আপনি কিন্তু কষ্ট করে সম্পূর্ণ ভিডিওটা দেখবেন। আবার বিচ্ছিন্ন ঘটনা বা প্রপাগান্ডা বলে উড়িয়ে দিয়েন না। =p~

২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পোস্টের উত্তর রাতে দেয়ার ইচ্ছা আছে। এখন লগ আউট করছি। কারণ এক জায়গায় যাবো।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার তালেবানের উদাহরণটা ঠিক হয়নি। কারণ পৃথিবীতে কোটি কোটি তালেবানের সমর্থকও আছে। তাই তালেবানের সমর্থন করলে তাকে দোষী বলা যাবে কি না সেটা নির্ভর করে কারা বিচারটা করছে। আপনার পছন্দের ইউটিউবার পিনাকী ভট্টাচার্যও তালেবানের পক্ষে বলে থাকেন। যদি বিতর্কের স্বার্থে ধরে নেই যে তালেবান একটি জঙ্গি সংগঠন সেই ক্ষেত্রে জেনে বুঝে কেউ এই উগ্র সংগঠনের সমর্থন করলে বা সুবিধা নিলে তাকে উগ্রবাদের সমর্থক বলতে হবে। নতুবা না। কিন্তু আমার প্রশ্ন ছিল যে বাংলাদেশে বহু সাধারণ হিন্দু আছে যারা এই সব রাজনীতির ভিতরে নাই এবং তারা ইসকনের খারাপ দিক সম্পর্কে জানে না। এরা যদি ইসকন মন্দিরে পুজা করে বা তাদের কোন ধর্মীয় কর্মসূচীতে অংশ গ্রহণ করে সেই ক্ষেত্রে তাদেরকে অপরাধী বলা যাবে কি না। আপনি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে আরেকটা প্রশ্ন করেছেন। আমি সেটার উত্তর দিয়েছি। আপনার দেয়া ভিডিও আমি আগেই দেখেছি। একদম পড়াশুনা না করে এই পোস্ট দেই নাই। আপনার পছন্দের পিনাকির বহু ভিডিও আমি দেখেছি। আমি ইসকনের পক্ষে কিছু বলিনি। আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য হল ইসকনের সাধারণ অনুসারীদের ব্যাপারে। আমার কাছে মনে হয়েছে এদের অনেকেই ইসকনের খারাপ দিকগুলি সম্পর্কে জানে না। বৃহৎ আন্তর্জাতিক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসাবে তারা একে সমর্থন করে। সেই হিসাবে আমার মনে প্রশ্ন এসেছে অনেক সাধারণ হিন্দুকে ইসকন সমর্থন করার জন্য কাঠ গড়ায় দাড়াতে হবে কি না। আমার কাছে মনে হয়েছে এদের অনেকেই ইসকনের খারাপ দিকগুলি সম্পর্কে জানে না। আমার পোস্টের শিরোনামে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন আমি যোগ করেছি এই কারণে।

ইসকন সম্পর্কে আমি মোটামুটি জানার চেষ্টা করেছি এবং তারপরে পোস্ট দিয়েছি। আমি ইসকনের পক্ষে কিছু বলছি না। এদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সম্পর্কে আমি জানতে পেড়েছি। আমার ফোকাস ইসকনের সাধারন অনুসারীদের নিয়ে যারা ইসকনকে স্রেফ একটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মনে করে। আমার কাছে মনে হয়েছে অনেক হিন্দু আছে যারা ইসকনের এই খারাপ দিকগুলি সম্পর্কে জানে না। আমার দেয়া ভিডিওতে দেখবেন অনেক সাধারণ মানুষ পুজা করতে ইসকন মন্দিরগুলিতে আসছে। এরাও কি অপরাধী। এটাই আমার প্রশ্ন ছিল। আমার মতে সাধারণ জনগণকে দোষী সাব্যস্ত করা ঠিক হবে না যদি তারা সরল মনে শুধু পুজা করতে আসে বা ধর্মীয় কর্মসূচিতে অংশ নেয়। আমি আপনার কাছে এই ব্যাপারে অল্প কথায় আমার প্রশ্নের উত্তর আশা করছি। দয়া করে পাল্টা প্রশ্ন না করে উত্তর দিবেন।

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার প্রতিউত্তর পড়ে হাসি পেয়ে গেল। ব্লগার কাল্পবৈশাখীর পোস্টের মতই বিনোদনমুলক হয়েছে আপনার পোস্ট।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার হাসি পেয়েছে বুঝলাম কিন্তু কেন হাসি পেল এটা ব্যাখ্যা করলেন না। আপনার মন্তব্য অনেকটা সোনাগাজীর মন্তব্যের মত হয়েছে। উনি যেমন অনেক সময় মন্তব্য করেন কিন্তু তার মধ্যে অস্পষ্টতা থাকে এবং ইচ্ছে করে কারণগুলি বলতে চান না বা কারণ ছাড়াই বিরোধিতা করেন। আমি ইসকনের পক্ষে বলছি না। ধরে নিলাম এরা খারাপ। কিন্তু আমার কাছে মনে হচ্ছে অনেক সাধারণ হিন্দু এদের খারাপ দিকগুলি সম্পর্কে না জেনে শুধু ধর্মীয় কারণে এদের মন্দিরগুলিতে যাচ্ছে। এদের ব্যাপারে আমাদের মতামত কি এটাই আমার পোস্টের মুল প্রশ্ন ছিল। আমার পোস্টের শিরোনামে একটা প্রশ্ন ছিল সবার প্রতি। আশা করি আপনি অল্প কথায় এই প্রশ্নের ব্যাপারে আপনার মতামত দেয়ার চেষ্টা করবেন পাস কাটিয়ে না গিয়ে।

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

নতুন বলেছেন: আমার তো মনে হচ্ছে বহু সাধারণ হিন্দু ইসকনের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত। এদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কি হবে এটাই আমার প্রশ্ন। আমার ধারণা এরা না জেনেই সরল মনে যাচ্ছে।

যারা সাধারন ধামিক তারা সাতেপাচে থাকেনা। বয়স্ক অন্ধবিশ্বাসী আছে যারা সাধারন মনেই গিয়ে থাকেন। নারীরা গ্রহস্থালী কাজের অংশ হিসেবে ধর্মকর্ম করে।

আমার বন্ধুর বোন/স্ত্রীরাও তাদের বাগানের ফুল দিয়ে ঠাকুরকে পুজো দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিতে দেখি। তারা উচ্চশিক্ষিতা কিন্তু ধর্মীয় সংস্কারের বাইরে যেতে পারেনিই। তারা ফেসবুকের মা কালীর ছবিতে লাইক দিয়ে যাবেন না তে লাইক দেয়। ;)

কিন্তু যারা মন্দির কমিটি/ বা কার্যক্রমের সাথে থাকে তাদের উদ্দেশ্য নেতাগীরি করা।

খৃস্টিয়ান মিশনারিরা ধান্দানিয়ে চলে, ইসকনও ধান্ধা নিয়ে টাকা খরচ করছে সেটাই সাভাবিক। আমার দেশেও তাবলিগ জামাত পথে পথে ঘুরে দাওয়াতী কাজ করছে। এদের টাকা পয়শা কম তাই তাদের উপরে মানুষের নজর কম।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই সাধারণ ধার্মিক হিন্দু যারা কারও সাতে পাঁচে নাই এদের সম্পর্কেই আমি এই পোস্ট দিয়েছি। ইসকনের খারাপ দিকগুলি সম্পর্কে অনেক সাধারণ হিন্দু ওয়াকিবহাল না। এদের সাথে ধর্মীয় কারণে ইসকনের সম্প্রিক্ততা আছে। এদেরকেও কি আমরা অপরাধী বলবো কি না এটাই আমার প্রশ্ন ছিল। কিন্তু অনেকে এখানে মনে করছে আমি ইসকনের খারাপ কাজের সমর্থন করছি।

বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় অনেক প্রতিষ্ঠানেই রাজনীতি আছে, ধান্ধাবাজী আছে। এটা অস্বীকার করা যাবে না।

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:১৪

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আসলে ইসকন নিয়ে যা কিছু বলা হচ্ছে এর জন্য ইসকন ই দায়ী। কারণ তারা বিতর্কিত অনেক কার্যক্রমের সাথে জড়িত।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অবশ্যই ইসকন দায়ী। কিন্তু আমার প্রশ্ন ছিল অনেক অতি সাধারণ ধার্মিক হিন্দু এদের সাথে পুজা বা অন্যান্য কারণে সম্পৃক্ত। এদেরকেও কি আমরা আসামীর কাঠ গড়ায় দাড়া করাবো কি না। কারণ এখন বাংলাদেশে ইসকন মন্দির প্রায় ৬৪ বা তারচেয়েও বেশী। এই মন্দিরে গেলেই সে অপরাধী বলে গণ্য হবে কি না। এটাই আমার প্রশ্ন ছিল। আমার মতে সহজ সরল হিন্দু যারা না বুঝে যাচ্ছে এদেরকে খারাপ মনে করা আমাদের উচিত হবে না। কারণ এই ধরণের বড় প্রতিষ্ঠানের পিছনে আসলে কি খারাপ জিনিস আছে এটা সাধারণ মানুষের পক্ষে অনেক সময় জানা সম্ভব হয় না।

১১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:২৮

নতুন বলেছেন: আরেকটা জিনিস দেখতে হবে কোন প্রতিস্ঠান কতটাকা খরচ করছে।

টাকা মানুষ কোন কারন ছাড়া খরচ করেনা। আর কারা এই প্রতিস্ঠানের পেছনে টাকা দিচ্ছেন।

আমাদের মাদ্রসা যেমন একটা কিছু মানুষের কর্মসংস্থান করে যাচ্ছে, তারাই ধর্ম শিক্ষার নামে এই ধারা চালু রাখবে, তেমনি হয়তো ইসকনও হরে কৃস্নার নামে তাদের নতুন বানিজ্য চালু করেছে যাতে কিছু মানুষ করে কেটে খেতে পারে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অর্থের উৎস অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। সেখান থেকেই উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যায়।

কিন্তু নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করলে ডাবল ষ্ট্যাণ্ডার্ডের অনুমতি কি আমরা দিতে পারি। ইসকনকে শাস্তি দিতে গেলে অনেক মসজিদ, মাদ্রাসা এবং ভণ্ড ওয়াজিদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নিতে হবে যারা ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায়। আমি ইসকনের অপকর্ম কিংবা মুসলমান ধর্ম ব্যবসায়ী কাউকেই ছাড় দিতে নারাজ।

১২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪৪

কামাল১৮ বলেছেন: আমার খুব একটা ধারনা নাই ইস্কন সম্পর্কে।দেখে শুনে মনে হয় হিন্দু ধর্মের অনেক দেবতাদের মধ্যে ইস্কনের সমর্থকরা দেবতা কৃষ্ণের ভক্ত।অনেক বছর আগে একবার নবদ্বিপে ওদের হেড অফিসে একবার গিয়েছিলাম।এলাহি কান্ড।সাদা কালো মিলে কৃষ্ণ কৃষ্ণ করছে।কলকাতাও গেরুয়া কাপড় পরা কিছু সাদা লোককে ঢোল বাজিয়ে কৃষ্ণ কৃষ্ণ করতে দেখেছি।এই কানাডায় একই দৃশ্য দেখেছি।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এরা মুলত কৃষ্ণের ভক্ত। কৃষ্ণকেই এরা সবচেয়ে গুরুত্ব দেয়। এই কারণে মূল ধারার হিন্দুদের সাথে এদের মতপার্থক্য আছে। বাংলাদেশে ইসকন যতটা প্রভাব রাখতে পাড়ছে ভারতে সেভাবে পাড়ছে না সেখানকার মূল ধারার হিন্দুদের কারণে। এই প্রতিষ্ঠানটার উৎপত্তি হয়েছে অ্যামেরিকায় ১৯৬৬ সালে। বিশ্বের বহু দেশে এদের উপস্থিতি আছে। এই কারণে অনেক সাদা চামড়ার লোকও এদের সমর্থক হিসাবে আছে। অনেকে মনে করে এই প্রতিষ্ঠানের পিছনে ইহুদিদের মদদ আছে।

১৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৯:১৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ধর্মান্ধ উগ্ররা শয়তান কেউ হার মানায়। মুসলিম উগ্রবাদী জামাত - হেফাজত এর মতো হিন্দু উগ্রবাদী দের ব্যাপারে আমাদের সচেতন হতে হবে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সঠিক বলেছেন। যে কোন ধর্মের উগ্রতাই পরিত্যাজ্য।

১৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০৮

তানভির জুমার বলেছেন: সরল মনে কোন অপরাধ করলে সেটা কি আইনের চোখে অপরাধ বলে গণ্য হবে?

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসকন মন্দিরে গিয়ে পুজা করলেই সেটা কি অপরাধ হবে? ধরে নেয়া হবে কি এই ব্যক্তি ইসকনের অপকর্মের সাথে জড়িত। এটা আমারও প্রশ্ন। আমার মতে সরল প্রাণ হিন্দু যারা স্রেফ পুজা করতে যাচ্ছে বা যারা ইসকনের খারাপ কাজগুলি সম্পর্কে না জেনে এদের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে এদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা ঠিক হচ্ছে না। এত বৃহৎ সংগঠনের ভিতরের খবর অনেকেই না জানতে পারে। সরাসরি কোন খারাপ কাজে জড়িত না থাকলে স্রেফ ইসকন মন্দিরে যাওয়া বা ধর্মীয় কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করার কারণে কোন সাধারণ হিন্দুকে দোষী সাব্যস্ত করা ঠিক হবে না বলে আমি মনে করি। এদের অনেক মন্দির আছে যেখানে পূজারীরা যায় সরল বিশ্বাসে।

১৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৫৬

আমি নই বলেছেন: সিলেটের একটা ঘটনা মনে পরে গেল, যেখানে জুম্মার নামাজের সময় উচ্চ ভলিউমে কির্তন করা নিয়ে বেশ বড় ঝামেলা হয়েছিল। ঢাকাতেও একটা ঝামেলা পেপারে পরেছিলাম, তারাবিহ নামাজের সময় উচ্চ ভলিউমে কির্তন করা নিয়ে ঝামেলাটা হয়েছিল। ইস্কনের কর্মকান্ড অনেকটা তালেবানদের মতই, যেখানেই সংখায় ওরা বেশি সেখানেই ওরা সাম্প্রদায়িক ঝামেলার সৃষ্টি করে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ঘটনাগুলি আমিও পড়েছি। এদের পক্ষে আমি সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করছি না। আমার প্রশ্ন ছিল সরল প্রাণ সাধারণ হিন্দুদের ব্যাপারে যারা স্রেফ পুজা করতে বা ধর্মীয় কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করতে এই মন্দিরগুলিতে যায়।

১৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১৩

জিকোব্লগ বলেছেন:



যারা গোমূত্র খাওয়ার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করে তাদের সাপোর্ট করে এই পোস্ট নিয়ে আসলেন !
ভালু ভালু ! ইসকনের প্রতিষ্ঠিত https://gomatabliss.org/ থেকে আপনিও গোমূত্র কিনতে পারবেন।



গোমূত্র কেনার লিংক : https://gomatabliss.org/product/filtered-cow-urine-gomutra/

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি জানেন কি না জানি না। সহি হাদিসে এসেছে যে আমাদের রসূল (সা) রোগের মুক্তির জন্য উটের প্রস্রাব পান করতে বলেছেন। এই ব্যাপারে আপনার মূল্যবান মতামত জানতে চাচ্ছি।

অন্যের সমালোচনা করার আগে নিজের ব্যাপারে ভালো করে জানা থাকা প্রয়োজন।

আমি পোস্টে ইসকনের খারাপ কোন কাজের সমর্থন করিনি। আমার বক্তব্য ছিল সাধারণ হিন্দুদের ব্যাপারে যারা সরল মনে স্রেফ পুজা করতে সেখানে যায়। এরাও অপরাধী কি না এটাই আমার প্রশ্ন ছিল।

১৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১:৫৫

জটিল ভাই বলেছেন:
আসসালামুআলাইকুম।
প্রিয় ভাই,
ভেবেছিলাম মন্তব্য করবো না। কিন্তু পারলাম না আপনার প্রতি ভালবাসা থেকে। আপনার রিসেন্ট পোস্টগুলোতে আপনি যে মন্তব্যসমূহ পাচ্ছেন তার প্রেক্ষিতে পাঠক সম্পর্কে আপনার ধারণা এবং অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলাম।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি আসলে জনপ্রিয়তার জন্য ব্লগিং করি না। নতুবা ব্লগারদের মন মানসিকতা অনুযায়ী পোস্ট দিতাম। বিতর্ক করতে আমার ভালো লাগে। বিতর্কের মাধ্যমে অনেক কিছু শেখা যায়।

ইসকনকে আমি ভালো বলছি না। আমি জানতে চাচ্ছি সেই সাধারণ হিন্দুদের সম্পর্কে যারা সরল মনে ইসকন মন্দিরে পুজা করতে যায়। এরাও অপরাধী কি না। আমার মতে এদের সরল মনে করা কাজের জন্য এদেরকে দোষী সাব্যস্ত করা ঠিক হবে না।

১৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:২৩

জটিল ভাই বলেছেন:
প্রতিমন্তব্যের জন্য জটিলবাদ। আপনার মতকে অবশ্যই শ্রদ্ধা জানাই। বিতর্কের স্বার্থে বলছি, আচ্ছা আপনি এখন যেটা বললেন মানে, "আমি জানতে চাচ্ছি সেই সাধারণ হিন্দুদের সম্পর্কে যারা সরল মনে ইসকন মন্দিরে পুজা করতে যায়। এরাও অপরাধী কি না।" পোস্টের এই মূল বিষয়টা কতজন মন্তব্যকারী ধরতে পেরেছেন বলে আপনি মনে করেন? সংখ্যাটা যদি নেহাৎই কম হয়, তবে তার পেছনে কি কারণ আছে বলে আপনার মনে হয়?

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি অনেক বুদ্ধিমান তাই আপনি ধরতে পেড়েছেন। আসলে পোস্টে কিছু মন্তব্য আসার পরে আমি বুঝলাম যে আসলে পোস্টটা আমি সঠিকভাবে দিতে পারি নাই। হয়তো লেখা বা ভাব এলোমেলো করে ফেলেছি যার কারণে সবাই ভাবছে যে আমি ইসকনের সমর্থনে এই পোস্ট লিখেছি। আমার প্রশ্নটা আসলে খুব ছোট। সেটা হল ইসকনের মন্দিরে যে হিন্দুরা সরল মনে পুজা করতে যায় বা ইসকনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ গ্রহণ করে এরাও কি অপরাধী হিসাবে গণ্য হবে কি না। আমি হিন্দু ধর্ম বা তাদের জীবন যাপন সম্পর্কে তেমন জানি না। তারপরও আমার কাছে মনে হয়েছে অনেক হিন্দু আছে যারা স্রেফ পুজা করতে ইসকন মন্দিরে যায়। এতো প্যাচ ঘোঁচ ওনারা বোঝেন না। এদের ব্যাপারে আমি সবার মতামত জানতে চেয়েছি। অনেকে আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করেছে কিন্তু সরাসরি কোন উত্তর দেন নি। আমার ধারণা কয়েক লক্ষ হিন্দু এই ৬০/৭০ টি মন্দিরে সারা বছর যাতায়াত করে। এই কয়েক লক্ষ হিন্দু সবাইকেই আমরা অপরাধী সাব্যস্ত করবো। আমার নিজস্ব মতামত হল যারা সরল মনে এবং ধর্মীয় আচার পালনের উদ্দেশ্য যায় এদের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা করা ঠিক হবে না।

আসলে আমার পোস্টটা লেখার মধ্যে কোন গলদ আছে মনে হচ্ছে। একটু তাড়াহুড়া করে লিখেছিলাম অবশ্য।

১৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:০৫

নিমো বলেছেন: সাধারণ সমর্থক, সুবিধা প্রাপ্তরা মূলত জনগণ যারা আদতে ডিটোনেটর বিহীন বিস্ফোরকের মত। কিন্তু ইসকন, তালিবান, জা-শি, বিএনপি, আওয়ামীর মত ডিটোনেটরের সাথে সংযুক্ত হলে কী ঘটবে সেটা বুঝতে পারার মত জ্ঞান আপনার আছে বলে মনে করি। এই ব্লগেও সাধারণ ব্লগারের সংখ্যাই বেশি তার পরও ক্যাচাল লাগানোর জন্য পিনাকি মার্কা কিছু ডিটোনেটর ব্লগারই যথেষ্ঠ।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৬:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মন্তব্যে বেশ মেধার পরিচয় রেখেছেন।

আপনার কথা ঠিক। আমি বলতে চেয়েছি ইসকনের জনপ্রিয়তা হিন্দুদের মধ্যে যে বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা বেশ দৃশ্যমান। এই সমর্থকদের অনেকে ইসকনের কাজ কারবার সম্পর্কে জেনে বুঝেই এই আন্দোলনে শরিক হয়েছে আবার অনেকে স্রেফ ধর্ম পালনের উদ্দেশ্যে শরিক হয়েছে। এখন আমরা যদি সরল এবং সাধারণ হিন্দুদের নামের সাথে ইসকন ট্যাগিং করি তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়াবে যে এই সব নিরীহ পূজারীকে আমরা সন্দেহের চোখে দেখবো। এই ধরণের দৃষ্টিভঙ্গি কি সমাজের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করবে কি না এটা আমার জানার ইচ্ছা। আপনি যেটা বলেছেন যে এই নিরীহ মানুষগুলি উস্কানিতে পড়ে বিরাট বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। আপনার কথায় মেরিট আছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির উপায় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য। এই ইসকন নিয়ে ঢাক ঢাক গুড় গুড় না করে সমাধান খুঁজে বের করতে হবে সকলের স্বার্থে।

পিনাকী সম্পর্কে ব্লগার কামাল১৮ একটা ভালো মন্তব্য করেছেন। সেটা হল 'পিনাকী জানে কোথায় সুড়সুড়ি দিলে বেশী লাইক পাওয়া যায়'
পিনাকী সম্পর্কে আমার মতামত হল কোন রাজনৈতিক দল/ আন্দোলনের বন্ধু যদি পিনাকী হয় সেই দল/ আন্দোলনের আর শত্রুর প্রয়োজন নেই। ব্লগে পিনাকির সমর্থক ব্লগার অনেকেই আছেন যারা ক্যাচাল লাগাতে দক্ষ।

২০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার দেয়া তালেবানের উদাহরন আপনার শিরোনাম অনুযায়ী ঠিকই আছে। ভেবেছিলাম আপনি বুঝতে পারবেন। পারেন নাই যখন, এই নিয়ে আর বিশদ ব্যাখ্যাতে না যাই।

আপনি দুই জায়গাতে বলেছেন, পিনাকি আমার পছন্দের ইউটিউবার। মনে হচ্ছে, আপনি জোর করে তাকে আমার প্রিয় করার চেষ্টা করছেন। ভুল। আমি ইউটিউবে যাই প্রধানতঃ ট্রাভেল আর ফুড ভ্লগ দেখার জন্য। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক আর রাজনৈতিক বিষয়গুলো সার্চ করলে পিনাকির কোন না কোন ভিডিও চলে আসে। যেমন, ''ইসকন বাংলাদেশ'' লিখলে তার ভিডিও আসবেই আসবে। পিনাকি মূলতঃ তিন ধরনের ভিডিও বানায়। এক ধরনে সে মনের মাধুরী মেশায়, আরেকটা এভিডেন্স বেইজড। আরেক ধরনের সে বানায় যেগুলো দু'টার মিশেল। এগুলোর কি কি বর্জন করতে হবে, আর কি কি কনসিডার করতে হবে, সে জ্ঞান-বুদ্ধি আমার আছে। ব্লগে হাসি-ঠাট্টা করার মানে এই না যে, আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা কিংবা অভিজ্ঞতা ব্লগের কারো চাইতে কম! বরং ক্ষেত্রবিশেষে অনেকের চাইতেই বেশী। নিশ্চিত থাকেন। কিছু টাইপড ব্লগারের মতো আমার বিচার-বিশ্লেষণ হুজুগে না। পিনাকির বক্তব্য নিয়ে সন্দেহ হলে সেটা আমি অন্য সোর্স থেকে ভেরিফাই করে তারপরেই তার রেফারেন্স দেই। আর পিনাকির ভিডিওর লিঙ্কই কেন দেই? কথিত আছে, আজান শুনলে নাকি শয়তাদের গায়ে আগুন লেগে যায়। তেমনি, পিনাকির রেফারেন্স দিলে কিছু উগ্র ব্লগারের গায়েও আগুন ধরে যায়। দেখে অতিশয় বিমলানন্দ উপভোগ করি। সেইজন্যই দেই। অন্য রেফারেন্সও চাইলে আমি দিতে পারি কিন্তু!!! :P

আমি জানি না, ''সাধারন হিন্দু'' বলতে আপনি কি বোঝাচ্ছেন। চেনার কোন নির্দিষ্ট উপায় কি আছে? আপনার হয়তো জানা নাই, একজন সাধারনতঃ সুযোগের অভাবেই সাধারন হয়ে থাকে। একজন মানুষ........সাধারন পায়জামা-পান্জাবী, ধুতি-ফতুয়া কিংবা স্যুট-কোট পড়লে সে সাধারন। এদের হাতেই যদি তলোয়ার, ভোজালী কিংবা একে৪৭ দেয়া হয়, সে অসাধারন হয়ে যাবে। কাউকে ভিডিওতে দেখেই সাধারন-অসাধারন বুঝতে পারাটা আমার মনে হয় কোন অতীন্দ্রিয় ব্যাপার-স্যাপার। আপনার হয়তো সেই আধ্যাত্মিক ক্ষমতা আছে, চেহারা দেখেই কার মনে কি আছে বলতে পারেন। কে জানে!!!! :-B

আমার ফোকাস ইসকনের সাধারন অনুসারীদের নিয়ে যারা ইসকনকে স্রেফ একটা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মনে করে। আমার কাছে মনে হয়েছে অনেক হিন্দু আছে যারা ইসকনের এই খারাপ দিকগুলি সম্পর্কে জানে না। আমার দেয়া ভিডিওতে দেখবেন অনেক সাধারণ মানুষ পুজা করতে ইসকন মন্দিরগুলিতে আসছে। এরাও কি অপরাধী। গুড কোয়েশ্চেন। ক্যারী অন!!! =p~

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পিনাকিকে একজন জ্ঞানপাপী বলা যায়। যাই হোক সূত্র নিয়ে আমার কোন প্রশ্ন নাই। তাই অতিরিক্ত আর কোন সুত্রের প্রয়োজন নাই। ইসকন সম্পর্কে মোটামুটি পড়াশুনা করেছি। তারপরেই পোস্ট দিয়েছি।

কে ভালো মানুষ আর কে খারাপ মানুষ এটা কাউকে দেখে তো বলা সম্ভব না। কিন্তু সাধারণভাবে বলা যায় যে ইসকন মন্দিরে বহু সাধারণ নিরীহ মানুষ পুজা করতে গিয়ে থাকে। আপনি এদের ব্যাপারে কোন মতামত না দিয়ে এড়িয়ে গেছেন বলে মনে হল। আমি এই ব্যাপারটাই সবার কাছে থেকে জানতে চাচ্ছিলাম। আমার নিজস্ব মতামত পোস্টেই আমি দিয়েছি।

২১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৫২

জটিল ভাই বলেছেন:
জাযাকাল্লাহ্। বরাবরের মতোই আপনার নির্ভিক উপস্থিত বুদ্ধি আমাকে প্রশান্ত করলো। সম্পূর্ণ বলার আগেই আপনি বলে ফেলেছেন আমি আসলে যেটা বলতে চাচ্ছি। আপনি সুলেখক এতে সন্দেহ নেই। কিন্তু বর্তমান লেখাগুলোতে আসলেই ছন্দপতন হচ্ছে। আমার ধারণা কোনো কারণে ভীষণ চাপে আছেন। আর সেই চাপ নিয়ে লিখতে যেয়েই অজান্তে পাঠকের সঙ্গে ঠিকভাবে মত বিনিময় ঘটছে না। আপনি পরামর্শকে মূল্যায়ণ দেন বলেই বলছি। নয়তো অন্যকেউ হলে আর কখনও পোস্টে কমেন্ট করতাম না। এর আগেও এক পোস্টের শিরোনামে ডবল মিনিং থাকার কারণটা আপনাকে বলাতে বুঝতে পেরেছিলেন এবং সংশোধন করেছিলেন। তার ধারাতেই আপনার বিগত পোস্টেও শিরোনামের বিষয়ে বলেছিলাম। কারণ আপনার বিগত পোস্টটায় টপিকগত কোনো দোষ ছিলোনা। আপনি বুঝাতে চেয়েছিলেন বিদ্যানন্দের নামটা যদি ইসলামিক হতো আর এর প্রতিষ্ঠাতা যদি মুসলমান হতো, তবে একই কাজ করেও জাকাত নিলে তা কোনো সমস্যায় পড়তো না। কিন্তু অনেক স্বনামধন্য পাঠকও এই বিষয়টি ধরতে না পেরে আপনাকে বিদ্যানন্দের সাপোর্টার বা এজেন্ট ধরে প্রশ্নবানে জর্জরিত করেছে। কারণ আপনার লিখায় টপিকটা স্পষ্ট হয়ে ফুটেনি। সেদিন ঠিক এটাই আপনাকে বুঝাতে চেয়েছি কিন্তু বুঝাতে পারিনি। আপনি ধরেছেন অন্যদের মতোই আমিও ব্লেই করছি। তাই আপনার মানসিক অবস্থা বিবেচনায় আর কমেন্ট করিনি। এই পোস্টেও ঠিক একইভাবে লিখার ভাব না ফুটে উঠায় আপনাকে ইসকনের সাপোর্টার বা এজেন্ট মনে করা হচ্ছে। এ ধরণের লিখার জন্য ভাব বিন্যাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কিন্তু সঠিকভাবে ভাব প্রকাশ না হওয়ায় টপিক বায়াসলেসড হলেও নিজের মতামতের দিকে বেশি গুরুত্ব লেখায় প্রকাশ পাওয়ায় লেখাটা বায়াসড হয়ে যাচ্ছে। আর এতে স্বাভাবিকভাবে যারা টপিকটা নেতিবাচক নেবার কথা তারা না বুঝে ইতিবাচকভাবে নিয়ে আরো লেজে-গোবরে অবস্থা করে ফেলছে। এই বিষয়টা আপনার লিখার ভাবটাকে আরো বেশি প্রশ্নবিদ্ধ করে দিচ্ছে।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে এই বিষয়টা খুব সংবেদনশীল হয়ে গেছে। এই কারণে অনেকেই এই পোস্টে মন্তব্য করবে না। আমি আরও গুছিয়ে লিখলেও যারা বিরোধিতা করার তারা বিরোধিতা করেই যাবে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ব্লগার পোস্ট পাঠ করেছে কিন্তু পক্ষে বা বিপক্ষে মন্তব্য কম। আমার ধারণা অনেকেই সংবেদনশীল ইস্যু হওয়ার কারণে এই পোস্টে মন্তব্য হয়তো করবে না। তবে ঈদের বন্ধের কারণেও অনেক ব্লগার পোস্ট পড়ছে না বা মন্তব্য করছে না। তবে আমি বেশ কিছু প্রতিমন্তব্যে আমার বক্তব্যের সারাংশ প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি। আশা করি সেগুলি পড়লে অনেকেই বুঝবে আমি কি বলতে চাচ্ছি। এই পোস্টের শিরোনামে একটা প্রশ্ন আছে। আমি আশা করছি মন্তব্যকারীরা সেই প্রশ্নের ব্যাপারে তাদের মতামত জানাবে।

২২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১২

খাঁজা বাবা বলেছেন: একই কথা বার বার লিখেছেন, একই প্রশ্ন?
আপনার মতামত কি? ইসকন কি উগ্রবাদী সংগঠন? নাকি সাধারন?

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিছুটা উগ্রতা আছে আছে মনে হয়। বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে যতটুকু জানলাম।

আপনার মত কি?

২৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১৭

জটিল ভাই বলেছেন:
হুম। এটা ঠিক যে এ ধরণের বিষয়ে আমাদের ব্লগারদের আগ্রহ কম। তাই এসব নিয়ে আলোচনাতে আমরা তেমন বেশি উৎসাহী নই। পাশাপাশি "আগে দর্শনদারি, বাদে গুণবিচারি" এই মতবাদটা বাঙালিমাত্রই চলনসই। তা ব্লগেই হোক, কিংবা বাস্তব জীবনেই হোক। দর্শনদারিতে আপনার প্রতি যে মনোভাব একবার পোষণ করবে তা সহজে পরিবর্তন হবেনা। যেমন ব্লগে পাঠক শিরোনাম পড়েই পোস্ট সম্পর্কে একটা ধারণা করে ফেলে। এবার সে ধারণার উপর ভিত্তি করে পোস্ট পড়ে। যদি ধারণার সঙ্গে মিলে তবে ভালো, আর না মিললেই ট্যাগিং। মূলত এটাই আমাদের ব্লগিং-এর মূলমন্ত্র। তাই যদি শিরোনাম যুতসই না হয়, পরে আপনি যতোই বুঝান লাভ নাই। যেমন আমার পোস্টের শুরু ধর্মীয় বাক্যে হয় বলে কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত মাশাল্লাহ্ আমার মৌলবাদী, ধর্মান্ধ ইত্যাদি ট্যাগ রয়েছে =p~ তাই আপনি কি লিখেছেন বা বুঝাচ্ছেন তা বড় কথা নয়, অন্যেরা আপনার প্রতি কি ধারণা করছে সেটাই এখানে মুখ্য =p~ যদিওবা তাতে আপনার বা আমার কিছু যায় বা আসে না :P

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পোস্টটা মুলত ব্লগারদের ইসকন সম্পর্কে মতামত জানার জন্যে দিয়েছিলাম। কিন্তু কেউ পরিষ্কার করে কিছু বলে নাই।

২৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট পড়লাম।
এবং মন্তব্য গুলোতো একসম সরেশ হয়েছে।

আপনাকে ধন্যবাদ দিবো কারন আপনি মন্দির নিয়ে লিখেছেন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনি বলেছেন, কোন হিন্দু অপরাধ করলেই তার সাথে ইসকনের যোগসূত্র খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইসকনের কারণে সাধারণ হিন্দুদের সন্দেহ করাটা সঠিক হচ্ছে না বলে আমার মনে হয়।

কিন্তু ইসকন কি এমন বিতর্কিত কার্যক্রমের সাথে জড়িত যে তাদের কারণে সাধারণ হিন্দুদের সন্দেহ করা হচ্ছে বলে আপনি মনে করেন?

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের সমাজে মুসলমানদের দৃষ্টিতে ইসকন একটা বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান। এদের ব্যাপারে একটা নেগেটিভ ইমেজ মুসলমানদের মধ্যে আছে। সত্যি বা মিথ্যা এটার ব্যাপারে নিশ্চিত না। এই কারণে ব্লগারদের মতামত জানতে চেয়েছিলাম।

২৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৪

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটা পোস্ট দেখার পর আমি আসলে খুব বিস্মিত হয়েছি। ব্লগে আপনার পুরনো পোস্টগুলোর সাথে এই পোস্টগুলো মিলাতে গিয়ে বারবার হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি আমি। আপনার সাম্প্রতিক যে পোস্টগুলো দিচ্ছেন, যদি খ্যাতির জন্য দিয়ে থাকেন তাহলে অন্য বিষয়। ব্লগে বিতর্ক সৃষ্টির জন্য দেয়া হলেও সেটা অন্য বিষয়। কিন্তু আপনি যদি বিশ্বাস করে এই পোস্টগুলো দিয়ে থাকেন তাহলে মহা সমস্যা। আমার মনে হয় আপনি কয়েকদিন ব্লগ থেকে ছুটি নিয়ে নিজেকে আবার মানসিকভাবে প্রস্তুত করুন। সম্ভবত আপনার আকিদাগত কোন সমস্যা হয়েছে বা কোন কিছুই নিয়ে আপনি মারাত্মকভাবে চিন্তিত। যেটা আপনার বিশ্বাসকে ভেঙ্গে চুড়ে দিচ্ছে। একজন নিরপেক্ষ পাঠক হিসাবে আপনার পোস্ট, পোষ্টের বক্তব্য এবং প্রতি মন্তব্যগুলো নিজেই পড়ে দেখুন। আশা করছি আপনি খুব শীঘ্রই নিজেকে আবার গুছিয়ে নিতে পারবেন আগের মত করে।

দুঃখিত এটা পোস্ট বহির্ভূত একটা মন্তব্য করে ফেললাম। যদি আপনি ব্যক্তিগতভাবে এটাতে হার্ট হোন তাহলে এটা ডিলিট করে দিতে পারেন, আমি কিছু মনে করবো না।‌ আপনার সাথে ব্যক্তিগতভাবে অনেকদিন ব্লগে যোগাযোগের কারণেই উপরের মন্তব্যটা দিয়েছি। এই ধরনের মন্তব্য সাধারণত আমি অন্য কাউকে দেই না। আপনি অনুগ্রহ করে আপনার ব্লগ বাড়িতে নিজের ধর্মীয় পোস্টগুলো হেডিঙগুলো অন্তত একবার পড়ে দেখুন।

শুভকামনা নিরন্তর।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি কি কারণে আমার সম্পর্কে এই কথাগুলি বললেন সেটার ব্যাখ্যা আপনার দেয়া উচিত ছিল। ফলে আমি কি বলবো বুঝে পাচ্ছি না। টু দা পয়েন্ট কিছু বলেন নাই। কি কারণে আপনার মনে হচ্ছে যে আমার গত দুইটা পোস্ট ইসলাম বিরোধী (আমার ধারণা আপনি তাই মনে করছেন)? সেটা কিছু যুক্তি দিয়ে বলার চেষ্টা করেন। যুক্তি না দেখালে আপনাকেই সবাই উগ্র মুসলিম বলবে।

ইসলাম হিন্দুদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করতে শেখায় না। আপনারা সাধারণ নিরীহ হিন্দুদেরকেও সন্দেহের চোখে দেখছেন। এটা কোন ভালো লক্ষণ না। এগুলি সাম্প্রদায়িক চিন্তা। আপনি যুক্তি না দিয়ে কৌশলে কিছু জেনারালাইজড কথা বলেছেন। ফলে আপনার মন্তব্যের মধ্যে কোন মেরিট খুঁজে পেলাম না।

২৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

তানভির জুমার বলেছেন: যারা ইসকনের ধারে কাছেও যায় তারা এটা জেনেই যায় যে ইসকন একটি সন্ত্রাসী দল। যোগী আদিত্যনাথের ইউপি প্রদেশে ২০১৭ থেকে ২২ পর্যন্ত ১৮৫ টার মত এনকাউন্টার হয়েছে এর মধ্যে ১৭০ জন মুসলমান।

ভারতে মুসলমানদের উপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চাানো হচ্ছে। কোন কারণ ছাড়াই মুসলিমদের বাড়ীতে- মসজিদে হামলা করে সব জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং এই কর্মকান্ড হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় চলতেছে। হিন্দুরা মনে করে মুসলিমদের বাড়ীতে- মসজিদে হামলা করা, মুসলিমদের ধর্ষন করা, বাড়ীঘড় দখল করা পূন্যের কাজ। অনলাইনে সার্চ কইরেন ইন্ডিয়ান কিছু মিডিয়াতেই পাবেন। শুধু গত এক মাসে কি পরিমান সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে ইন্ডিয়ান সরকার আর হিন্দুরা মুসলিমদের উপর

আপনি কৈ থেকে এসে কি সব আজগুবী মিথ্যা পোস্ট প্রসভ করেন।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভারতের মুসলমানদের উপর সেখানকার হিন্দুরা বা ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারী দলের লোকেরা নির্যাতন, জুলুম করছে বা হত্যা করছে এটা দিয়ে আপনি কি বুঝিয়ে দিলেন যে বাংলাদেশের হিন্দুরাও সন্ত্রাসী? এই কারণে বাংলাদেশের হিন্দুদের সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করতে হবে? এইভাবেই কিন্তু অতীতে এই উপমহাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রায়টগুলি হয়েছিল। আপনারা তো রায়টের উস্কানি দিচ্ছেন। এই ধরণের চিন্তা সাম্প্রদায়িক চিন্তা এটা কি আপনি বুঝতে পাড়ছেন। ভারতের ঘটনার ভার বাংলাদেশের হিন্দুরা কেন নিতে যাবে। আপনি তো শুধু ইসকন না ভারতের হিন্দুদের সব অপরাধের সাথে বাংলাদেশের হিন্দুদের মিশিয়ে ফেললেন। আপনার চিন্তা অত্যন্ত সাম্প্রদায়িক। একজনের অপরাধের ভার অন্য জনের উপর চাপিয়ে দেয়াটা অন্যায়। বাংলাদেশের কোন হিন্দু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন হাতে তুলে নিয়ে রায়ট বাধানোর চেষ্টা করা যাবে না। কিন্তু আপনার চিন্তা ধারা উগ্র মনে হচ্ছে।

২৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৩৭

নতুন বলেছেন: ভারতে মুসলমানদের উপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চাানো হচ্ছে। কোন কারণ ছাড়াই মুসলিমদের বাড়ীতে- মসজিদে হামলা করে সব জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং এই কর্মকান্ড হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় চলতেছে। হিন্দুরা মনে করে মুসলিমদের বাড়ীতে- মসজিদে হামলা করা, মুসলিমদের ধর্ষন করা, বাড়ীঘড় দখল করা পূন্যের কাজ। অনলাইনে সার্চ কইরেন ইন্ডিয়ান কিছু মিডিয়াতেই পাবেন।

হিন্দুরা মনে করে মুসলিমদের বাড়ীতে- মসজিদে হামলা করা, মুসলিমদের ধর্ষন করা, বাড়ীঘড় দখল করা পূন্যের কাজ।

আপনি সব হিন্দুদের একত্র করে এমনটা বলতে পারেন না।

কেউ যদি সকল মুসলমানেরাও হলি আটিজানের মতন বিধর্মীদের মারতে চায় বলে আপনি মেনে নেবেন?

ভারত/পাকিস্তান/বাংলাদেশে সংখালুঘু ধমালম্বীদের উপরে যতই আক্রমন হয়েছে তা সন্ত্রাসী কাজ, সন্ত্রাসীরা ইচ্ছা করেই ধর্মের রং মাখে যাতে জনগন ক্যাচালে ব্যস্ত থাকে এবং আসল সন্ত্রাসী পার পেয়ে যায়।

আপনি বলুন বাংলাদেশে যত মন্দীরে আক্রমন হয়/ভাঙ্গচুর হয় সেটা কি সত্যিকারের ধর্মিক মানুষ করতে পারে?

তেমনি কোন ধর্মই অন্য ধর্মের উপরে আক্রমনের শিক্ষা দেয় না।

২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার বক্তব্য প্রচণ্ড সাম্প্রদায়িক। উনি বলতে চাচ্ছেন ভারতে হিন্দুরা মুসলমানদের হত্যা করে, জুলুম করে তাই বাংলাদেশের হিন্দুরা খারাপ। উনি হিন্দু ধর্মকেই একটা সন্ত্রাসী ধর্মের তকমা দিয়ে দিয়েছেন। যে কোন জনগোষ্ঠীর মধ্যেই খারাপ লোক থাকতে পারে। সেই কারণে আপনি পুরো একটা ধর্মকে সন্ত্রাসী বানিয়ে দেয়াটা এক ধরণের সাম্প্রদায়িক চিন্তা। ভারতে বিজেপি সাম্প্রদায়িকতাকে পুজি করে ক্ষমতায় এসেছে। এই কারণে কি বাংলাদেশের হিন্দু ধরমালম্বিদেরকে সন্দেহের চোখে দেখতে হবে। ওনার কথায় মনে হচ্ছে বাংলাদেশের হিন্দু মানেই সন্দেহযুক্ত একটি সম্প্রদায়। এগুলি উগ্র এবং সাম্প্রদায়িক চিন্তা।

মুসলমান জঙ্গিদের অন্যায় কাজের জন্য জাকির নায়েককে দেশ থেকে বের করে দেয়াটা যেমন অন্যায়। একইভাবে ভারতের হিন্দুদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য বাংলাদেশের হিন্দুদের দায়ী করাও অন্যায়। অতীতে এই সব পাল্টাপাল্টির জন্যই দাঙ্গা হত। উনি তো পরোক্ষভাবে দাঙ্গার ইন্ধন যোগাচ্ছেন। বাংলাদেশের কোন হিন্দু সন্ত্রাসী কাজে যুক্ত থাকলে সেটার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ধরণের উস্কানি মুলক কথা গ্রহণযোগ্য নয়।

ভারতে মুসলমানদের উপর যে সন্ত্রাসী আক্রমণ হয় এটার পিছনে মুলত সেই দেশের রাজনৈতিক শক্তি জড়িত। এছাড়া অনেক ক্ষেত্রে সেখানকার সন্ত্রাসীরা এই কাজ করে থাকে। ভারতের সব হিন্দু এই মন মানসিকতার হলে ভারতে প্রায় ২০ কোটি মুসলমান বাস করতে পারতো না। উনি ভারতের সাধারণ হিন্দুদেরকেও সন্দেহের চোখে দেখে থাকেন বলে মনে হয়। উনি সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছেন ওনার মন্তব্যের মাধ্যমে।

আপনি ভালো বলেছেন যে বাংলাদেশে যে মন্দিরে আক্রমণ হয় সেটা কি সাধারণ কোন মুসলমান করে কি না। একইভাবে ভারতের সন্ত্রাসীরা, রাজনৈতিক দলের ক্যাডাররা মুসলমানদের হত্যা করে বা নির্যাতন করে। এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে ব্যক্তিগত কারণে হিন্দু মুসলমান সংঘাত হতে পারে। কিন্তু ওনার কথায় মনে হচ্ছে পুরো হিন্দু ধর্মটাই সন্ত্রাস প্রশ্রয় দেয় যার কারণে বাংলাদেশের নিরীহ হিন্দুদেরকেও সন্দেহের দৃষ্টিতে দেখতে হবে। কোন ধর্মই এই ধরনের সন্ত্রাসকে সমর্থন দেয় না। মানুষ ধর্মের নিয়ম ভেঙ্গে সন্ত্রাসে যুক্ত হলে সেটার জন্য কোন ধর্মকে দোষারোপ করা ঠিক না। ভারতে মুসলমানদের উপর সন্ত্রাসের প্রতিশোধ বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নেয়া যাবে না। ওনার কথায় মনে হচ্ছে হিন্দু ধরমালম্বিদের সন্দেহ করার কারণ আছে। এই ধরণের সন্দেহই সংঘাত এবং দাঙ্গা ডেকে আনে। অতীতে এভাবেই হিন্দু মুসলমান দাঙ্গা হয়েছে। পাল্টাপাল্টি হত্যা আর সংঘাত হয়েছে।

২৯| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:০২

তানভির জুমার বলেছেন: নতুন বলেছেন: আপনি সব হিন্দুদের একত্র করে এমনটা বলতে পারেন না।

কেউ যদি সকল মুসলমানেরাও হলি আটিজানের মতন বিধর্মীদের মারতে চায় বলে আপনি মেনে নেবেন?

ভারত/পাকিস্তান/বাংলাদেশে সংখালুঘু ধমালম্বীদের উপরে যতই আক্রমন হয়েছে তা সন্ত্রাসী কাজ, সন্ত্রাসীরা ইচ্ছা করেই ধর্মের রং মাখে যাতে জনগন ক্যাচালে ব্যস্ত থাকে এবং আসল সন্ত্রাসী পার পেয়ে যায়।

আপনি বলুন বাংলাদেশে যত মন্দীরে আক্রমন হয়/ভাঙ্গচুর হয় সেটা কি সত্যিকারের ধর্মিক মানুষ করতে পারে?

তেমনি কোন ধর্মই অন্য ধর্মের উপরে আক্রমনের শিক্ষা দেয় না।


হিন্দুদের সাথে মুসলিমদের পার্থক্য কোথায় জানেন? ৯০% হিন্দু মুসলিমদের উপর নির্যাতন কে সমর্থন করে। আর ৯০% মুসলিম অন্য যে কোন ধর্মের মানুষ কে নির্যাতন করা কে সমর্থন করে না। ইন্ডিয়াতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় মুসলিম নিধন চলে এবং ইন্ডিয়ার জনগণ এটাকে সমর্থন করে, বাংলাদেশ এবং ভারতের হিন্দুদের রিয়েল কমেন্টগুলো দেইখেন অনলাইনে। আর পৃথিবীর কোন মুসলিম রাষ্ট্র অন্য ধর্মের মানুষ কে এভাবে নিধন করে না। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়র উপর কোন হামলা হলে ধর্মীয় নেতা থেকে শুরু করে সবাই এটার নিন্দা জানায় আর ইন্ডিয়াতে সম্পূর্ণ ভিন্নরুপ। ইউপিতে যোগী আদিত্যনাদ কেন শুধু মুসলিমদেরই ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করে? এটার প্রতিবাদ কি আজ পর্যন্ত কোন হিন্দু করেছে? আবার যোগী সন্ত্রাসীটাকে নাকি নেক্সট পিএম বানাবে বিজিপি।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি এই মন্তব্যে ওনার সাম্প্রদায়িক চিন্তাকে আরও পরিষ্কার করে বলেছেন। ওনার কাছে মনে হয় পরিসংখ্যান আছে যে বাংলাদেশের হিন্দুদের ৯০% মুসলমানদের উপর নির্যাতন সমর্থন করে। উনি ভয়ানক একটা অভিযোগ বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর দিয়েছেন। কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া এই ধরনের ধারণা পোষণ করা আসলে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর প্রয়াস। ওনার পাশের বাসায় কোন হিন্দু থাকলে বা ওনার অফিসের কোন হিন্দু কলিগকে উনি বিশ্বাস করেন না (৯০% ক্ষেত্রে)। উনি মনে করেন তাদের ৯০% মুসলমানদের উপর নির্যাতন সমর্থন করে। ৯০% বলতে তো প্রায় সকল হিন্দুকেই বুঝায়। অর্থাৎ ১০ জন হিন্দুর সাথে ওনার সম্পর্ক থাকলে উনি ৯ জনকে বিশ্বাস করেন না। এটা যে কত বড় সাম্প্রদায়িক চিন্তা সেটা উনি বুঝতে পাড়ছেন না।

ভারতের ক্ষমতাসীন দলের সমর্থনে মুসলমানদের উপর নির্যাতন হয় সেটার দায় বাংলাদেশের হিন্দুরা কেন নেবে। ফেইসবুকের কমেন্ট থেকে উনি বাংলাদেশের হিন্দুদের সম্পর্কে একটা জেনারালাইজড খারাপ ধারণা অর্জন করেছেন। ফলে উনি বাংলাদেশের হিন্দুদের ৯০% কে বিশ্বাস করেন না।
হিন্দু ধর্মের উপর ভর করা ভারতের উগ্র এবং নোংরা রাজনীতিকে উনি বাংলাদেশে টেনে আনতে চাচ্ছেন। অন্য দেশের রাজনীতিকে এই দেশে টেনে এনে এই দেশের ৯০% হিন্দুকে সন্দেহের চোখে দেখা সাম্প্রদায়িকতারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এগুলি দাঙ্গা ছড়ানোর অপচেষ্টা। আমাদের দেশে হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতি অনেক উঁচু মানের। আমি ওনাকে অনুরোধ করবো ভারতের নোংরা ধর্মীয় রাজনীতিকে এই সম্প্রীতির সাথে জড়াবেন না। ভারতের বহু শিক্ষিত মানুষ বিজেপির এই নোংরা রাজনীতি পছন্দ করে না। কিন্তু নোংরা রাজনীতির বিরুদ্ধে তারা অসহায়। সাধারণ হিন্দু বা মুসলমানদের উচিত হবে এই সবে নোংরা রাজনীতি থেকে দূরে থাকা।

৩০| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:২৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


সাধারণ হিন্দুদের সম্পর্কে যারা সরল মনে ইসকন মন্দিরে পুজা করতে যায়। এরাও অপরাধী কি না?

সাধারন মুসলমানরা সংঘবদ্ধ বিরতিহীন অপপ্রচারে কনফিউজড কিন্তু -

ব্লগের শিবির সদস্য জাশি মাইন্ডেড ব্লগারদের কাছে বাংলাদেশের সব হিন্দুই অপরাধী। ওদের কাছে বাংলাদেশের যে কোন হিন্দু সংগঠন সন্দেহজনক। ৭১ ও ২০০১ এর অক্টোবর মত আবার সামান্য সময় ফ্রীফরঅল সুযোগ পেলে হিন্দু নারী শিশু নির্বিশেষে কচুকাটা করবে।
কথিত ভারতে মুসলিমদের বাড়ীতে- মসজিদে হামলা জ্বালিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় ইত্যাদি কথিত অযুহাতে।

একজনের কমেন্টে -

সাধারন হিন্দু বলতে আপনি কি বোঝাচ্ছেন। চেনার কোন নির্দিষ্ট উপায় কি আছে?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই সঙ্ঘবদ্ধ বিরতিহীন প্রচারের পিছনে বাংলাদেশ এবং ভারতের নোংরা রাজনীতি জড়িত। ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে একটা গোষ্ঠী। এই দেশের মুসলমানদের ব্রেইনে ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে যে এই দেশের হিন্দুদের বিশ্বাস করা যাবে না (৯০% কে বিশ্বাস করা যাবে না)। কারণ তারা মুসলমান নির্যাতন সমর্থন করে। মুসলমানদের একটা অংশ কনফিউজড আর একটা অংশকে ইতিমধ্যে হিন্দু বিদ্বেষী বানিয়ে ফেলেছে। এগুলির আসল উদ্দেশ্য হল সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানো এবং তার দ্বারা রাজনৈতিক ফায়দা অর্জন করা।

উপরে একজন বলেই ফেলেছেন যে ৯০% হিন্দু মুসলমানের উপর নির্যাতন সমর্থন করে। অর্থাৎ বাংলাদেশের ৯০% হিন্দুকে বিশ্বাস করা যাবে না। উনি মনে ওনার হিন্দু কলিগকেও বিশ্বাস করেন না। এই ধরণের প্রচার দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করবে। ভারতের নোংরা ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতিকে বাংলাদেশে টেনে এনে এই দেশের হিন্দুদের সন্দেহের চোখে দেখা এই জাতিকে বিভক্ত করে ফেলবে এবং পরিণামে হিন্দু এবং মুসলমানের মধ্যে অবিশ্বাস সৃষ্টি হবে। এগুলির সুদুর প্রসারী উদ্দেশ্য হল মুলত রাজনৈতিক ফায়দা লোটা। সাম্প্রদায়িকতাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এই ভাবে। শেখানো হচ্ছে যে এই দেশের হিন্দুদের ৯০% কে বিশ্বাস করা যাবে না।

ভারতের ক্ষমতাসীন দল ধর্মকে পুজি করে রাজনীতি করছে। আমাদের দেশের একটা গোষ্ঠী এই দেশের মুসলমানদেরকে সেটাই শেখাতে চাচ্ছে। এই গোষ্ঠী মুলত ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে। এটা তাদের কাছে একটা বড় রাজনৈতিক হাতিয়ার কারণ আমাদের দেশের মুসলমানেরা হুজুগে এবং আবেগ প্রবণ। ধর্মের কথা বলে এদেরকে দিয়ে সব কিছু করা সম্ভব। ব্রাহ্মণ ঘরের ছেলে পিনাকী এই বাঁশী বাজিয়ে যাচ্ছে। তার অনেক কথা সাচ্চা মুসলমানের চেয়েও সাচ্চা মনে হয়। তার ভিডিওগুলিতে মুসলমানদের প্রশংসা মুলক মন্তব্যে ভরা। পিনাকী যে মুসলমানদের ঘোল খাওয়াচ্ছে এটা অনেকেই বুঝতে পাড়ছে না।

সাধারণ হিন্দু চেনার উপায় জানেন না অনেকে। এই কারণে উপায় জানতে চেয়েছেন। এই দেশে জন্ম গ্রহণ করা সত্ত্বেও সাধারণ নিরীহ হিন্দু নির্ণয় করতে পাড়ছেন না। এই কারণেই হয়তো অন্য অনেকে বলছেন যে ৯০% হিন্দু নির্যাতন সমর্থন করে। এটার অন্য অর্থ হল ৯০% হিন্দুকে কে বিশ্বাস করা যায় না।

৩১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১০:৪৬

তানভির জুমার বলেছেন: হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: সাধারণ হিন্দুদের সম্পর্কে যারা সরল মনে ইসকন মন্দিরে পুজা করতে যায়। এরাও অপরাধী কি না? সাধারন মুসলমানরা সংঘবদ্ধ বিরতিহীন অপপ্রচারে কনফিউজড কিন্তু -

ব্লগের শিবির সদস্য জাশি মাইন্ডেড ব্লগারদের কাছে বাংলাদেশের সব হিন্দুই অপরাধী। ওদের কাছে বাংলাদেশের যে কোন হিন্দু সংগঠন সন্দেহজনক। ৭১ ও ২০০১ এর অক্টোবর মত আবার সামান্য সময় ফ্রীফরঅল সুযোগ পেলে হিন্দু নারী শিশু নির্বিশেষে কচুকাটা করবে।
কথিত ভারতে মুসলিমদের বাড়ীতে- মসজিদে হামলা জ্বালিয়ে দেওয়া রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতায় ইত্যাদি কথিত অযুহাতে।

একজনের কমেন্টে - সাধারন হিন্দু বলতে আপনি কি বোঝাচ্ছেন। চেনার কোন নির্দিষ্ট উপায় কি আছে?


জামাত শিবির কে মন থেকেই ঘৃনা করি কারণ তারা ইসলামের নামে নিজেদের আখের গুছায়। তোরা যে রকম তোদের মতের বিরোদ্ধে গেলে মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার বানায়া দেছ আমরা এরকম না। তোদের মত সন্ত্রাসীদের বিচার এই দেশের জনগণ অবশ্যই করবে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষায় হাসান কালবৈশাখীর মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন। আমি চাইলে মুছে দিতে পারি। কিন্তু মুছলাম না যেন সবাই দেখে আপনি কি ধরণের মন মানসিকতা পোষণ করেন। আমি এই মন্তব্যের নিন্দা জানাচ্ছি। আপনি কোন ব্লগারকে তুই তোকারি করতে পারেন না। আপনি তাকে সন্ত্রাসী পর্যন্ত বলেছেন। এটা দিয়ে আপনার রুচি সম্পর্কে ধারণা করা যায়। যা লিখেছেন সেটা অত্যন্ত নিম্নরুচির।

আপনার এই মন্তব্য থেকে আরেকটা জিনিস বুঝলাম যে আপনার এই মন্তব্যের পিছনে রাজনৈতিক কারণও আছে। আপনি ধর্ম এবং রাজনীতি একত্রে মিশিয়ে ফেলেছেন। ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছেন। আপনার উগ্রতার বহিঃপ্রকাশ হয়েছে আপনার এই মন্তব্যের মাধ্যমে।

৩২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১০

জিকোব্লগ বলেছেন:



২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১৩

লেখক বলেছেন: আপনি জানেন কি না জানি না। সহি হাদিসে এসেছে যে আমাদের রসূল (সা) রোগের মুক্তির জন্য উটের প্রস্রাব পান করতে বলেছেন।

- আমি জানি না। এই বিষয়ে সঠিক রেফারেন্স সহ ব্যাখ্যা দেন। কোন শ্রেণীর কুসংস্কারপন্থী মুসলিমরা ইহা বিশ্বাস করে?




২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি এই বিষয়ে জানেন না। অথচ জানার আগেই বলে দিলেন যে কুসংস্কারপন্থী মুসলিম এগুলি বিশ্বাস করে। আপনি সহি হাদিস মানেন না মনে হচ্ছে। নীচে ৩৪ নাম্বার মন্তব্যে হাসান ভাই হাদিসটা উল্লেখ করেছেন। এটা সহি হাদিস।

এখনও কি মনে হচ্ছে এটা কুসংস্কার। একাধিক সহি হাদিস গ্রন্থে এই হাদিসটা এসেছে। এই সহি হাদিস সম্পর্কে আপনার কি মতামত। আমি আমার মতামত এখানে দিতে চাই না। কারণ এটা কোন ধর্মীয় পোস্ট না। দিতে গেলে অনেক বড় ব্যাখ্যা হয়ে যাবে। আমি আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি।

৩৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২৭

জিকোব্লগ বলেছেন:



২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ২:১৩

লেখক বলেছেন: ------

আমি পোস্টে ইসকনের খারাপ কোন কাজের সমর্থন করিনি। আমার বক্তব্য ছিল সাধারণ হিন্দুদের ব্যাপারে যারা সরল মনে স্রেফ পুজা করতে সেখানে যায়। এরাও অপরাধী কি না এটাই আমার প্রশ্ন ছিল।

- এই ক্ষেত্রে বোঝার জন্য, আপনার কাছে আমার প্রশ্নঃ
সাধারণ মুসলিমদের যারা সরল মনে স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে জামায়াত -শিবিরের প্রোগ্রামে যায় ,
তারপরে ধীরে ধীরে শিবিরের রগ কাটা সৈনিক হয়ে যায়, বোমা ফাটানোর ট্রেনিং নেয়, আফগান
- পাকিস্থানে ট্রেনিং নেয়, এরাও অপরাধী কি না?

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জামাত শিবির তরুণদের ভালো ভালো কথা বলে আকৃষ্ট করে। এদের অতীত স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ড এরা নবীনদের থেকে লুকিয়ে রাখে। কেউ না জেনে যোগদান করলে অপরাধী না। কিন্তু যখন সে জানতে পাড়বে যে এরা মুলত একটা স্বাধীনতা বিরোধী দল তখন তার উচিত হবে সেই দল ত্যাগ করা। ত্যাগ না করলে তার পরবর্তী কর্মকাণ্ডের জন্য সে দায়ী হবে।

ইসলামের নামে যারা সন্ত্রাস এবং জঙ্গি কর্মকাণ্ড করছে এরা ইসলামের ক্ষতি করছে এবং ইমেজ নষ্ট করছে।

৩৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:


উটমুত্র হাদিস

আনাস ইবনু মালিক (রা:) থেকে বর্ণিত, উকল গোত্রের লোক মদিনায় এলো, তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে দুগ্ধবতী উটের কাছে যাওয়ার নির্দেশ করলেন। তাদেরকে আরো নির্দেশ করলেন যেন তারা সে সব উটের কাছে গিয়ে সেগুলোর দুধ ও পেশাব পান করে। তারা তা পান করল। অবশেষে যখন তারা সুস্থ হয়ে গেল।

(সহীহ বুখারী, ইফা, হাদিস নং – ৬৩৪৯)

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই হাদিসটা শেয়ার করার জন্য।

৩৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

হাসির ইমো অনিচ্ছাকৃত। কপি করার অসাবধানতাবশত

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুঝতে পেড়েছি। ধন্যবাদ।

৩৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৭:৫৮

তানভির জুমার বলেছেন: পৃথীবির যে কোন প্রান্তে কোন মুসলিম যদি নির্যাতনের স্বীকার হয় একজন মুসলিম হিসেবে আপনার দায়িত্ব হচ্ছে এটার প্রতিবাদ করা। আমরা কখনোই চাই না আমাদের দেশে নিরপরাধ কোন হিন্দু নির্যাতনের স্বীকার হোক এবং ইসলামের শিক্ষাও এটা না। কিন্তু পাশের দেশে নিরপরাধ মুসলিমদের জয় শ্রীরাম বলে কচুকাটা করা হবে আর আমরা চুপ করে বসে থাকবো?

মুসলিমরা যেমন নিরপরাধ কোন হিন্দু নির্যাতনের স্বীকার হলে প্রতিবাদ করে তেমন হিন্দুদেরও উচিত নিরপরাধ মুসলিমদে উপর কোন নির্যাতন হলে সেটার প্রতিবাদ করা।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভারতের মুসলমান হত্যার জন্য আপনি বাংলাদেশের হিন্দুদের সন্দেহ করা যাবে না। আপনার আগের মন্তব্যগুলিতে মনে হয়েছে আপনি এই দেশের হিন্দুদের সন্দেহ করেন। এটা ভালো লক্ষণ না। ভারতের মুসলমানদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদ অবশ্যই করতে হবে। কিন্তু সেটার সাথে বাংলাদেশের হিন্দুদের কোন সম্পর্ক নেই এটা মাথায় রাখতে হবে।

৩৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:০৫

তানভির জুমার বলেছেন: কয়েক ডজন প্রতারণার প্রমাণ থাকা সত্বেও যখন আপনি বিদ্যানন্দের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন তখনই আপনার সম্পর্কে ধারনা হয়ে গছে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিদ্যানন্দ নিয়ে যা প্রচার হয়েছে এগুলি বড় কোন ইস্যু না। বেশী সমস্যা হলে এদের বিরুদ্ধে মামলা করে দেয়া উচিত। আদালতেই প্রমাণিত হবে এরা দোষী কি না। আপনারা বিদ্যানন্দকে সহ্য করতে পাড়ছেন না। এটার পিছনে আপনার রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনা এবং ধর্মীয় উগ্রতা দায়ী।

৩৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:২৪

কিরকুট বলেছেন: ইসকন আর জামাতে ইসলামের মধ্যে বেসিক পার্থক্য কি?!

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসকন করে হিন্দুরা আর জামাত করে মুসলমানরা। এইটাই পার্থক্য। এই ব্লগেও জামাত শিবির আছে এটা নিশ্চয়ই অনেকের মন্তব্য থেকে বুঝতে পাড়ছেন। যদিও অনেকেই স্বীকার করে না যে তারা জামাত সমর্থক। কিন্তু তাদের বর্তমান এবং অতীতের কথা বার্তা থেকে বোঝা যায় যে এরা উগ্র ধর্মীয় রাজনীতি করে। এরা মনে করে খাঁটি মুসলমান হতে হলে হিন্দু বিদ্বেষী হতে হবে এবং হিন্দুদের সন্দেহের চোখে দেখতে হবে। এই দেশের হিন্দুদের বিশ্বাস করা যাবে না এটাও তারা মনে করে।

৩৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৩০

কিরকুট বলেছেন: জুমার চামার আকাশ ফাকাস চুলকানী মূলক কথায় মোটেও আহাতো হবেন না। এরা সেই চরিত্র যারা যে পাত্র খায় সেই পাত্রে হিসি করে।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এনারা আসলে চরমপন্থি মুসলিম। ভারতে ঘটে যাওয়া অনাচারের কারণে এই দেশের হিন্দুদের নিয়ে টানাটানি করছেন। বাংলাদেশে হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতি বিরাজমান। ভারতের তুলনায় এই সম্প্রীতির মাত্রা অনেক বেশী। কিন্তু রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য কিংবা উগ্র চিন্তার কারণে এই দেশের কিছু লোক বাংলাদেশের হিন্দু এবং মুসলমানদের মুখোমুখি দাড়া করাতে চাচ্ছে। এদের লিডার হল মউলোভী পিনাকী ভট্টাচার্য। এই দেশে ধর্মীয় দাঙ্গা হাঙ্গামা খুব কম হয়। যেটাকে ধর্তব্যের মধ্যে আনা ঠিক না। কিন্তু কিছু লোক চাচ্ছে ভারতের মত এই দেশেও হিন্দু মুসলমান সহিংস ঘটনা ঘটুক। এগুলি ইসলামপ্রীতি না বরং এটাকে বলা যায় ইসলামের নামে চরমপন্থা। এরা আইসিস জঙ্গিদের চেয়েও ভয়ংকর।

৪০| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯

বিটপি বলেছেন: হিন্দুরা পূজাপ্রেমিক জাতি। তারা যেখানেই পূজার সুযোগ আছে, সেখানেই যায়। ইস্কনের মন্দির, নাকি কালি মন্দির, নাকি বুদ্ধ মন্দির নাকি যীশু খ্রিস্টের মূর্তি - তা দেখেনা। মূর্তি দেখলেই তারা পূজো করতে দাঁড়িয়ে যায়। অন্য ধর্মের লোক সেখানে যায় মূলত ফ্রিতে খাবার খেতে। এ্যাপলের মালিক স্টিভ জবস যখন খুব অভাবে পড়ে গিয়েছিল, তখন ইস্কনের মন্দির ছিল তার খেয়ে বেঁচে থাকার উপায়।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধার্মিক হিন্দুদের মধ্যে ভক্তি জিনিসটা বেশী। তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী এই পৃথিবীর বহু কিছুই পূজনীয়। অনেক হিন্দুর কাছে তাদের পূর্বপুরুষও পূজনীয়। এই কারণে হিন্দুদের অনেক সম্প্রদায় পূর্বপুরুষদের পুজা করে থাকে। এগুলি সবই তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস। এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। সবারই স্বাধীনতা আছে নিজের খুশি মত ধর্ম পালনের।

তাই আপনার কথা মত বলতে হয় হিন্দুরা পুজাপ্রেমিক। এই কারণেই ইসকন মন্দিরে বহু সাধারণ নিরীহ হিন্দু যায় শুধু মাত্র পুজা করতে। এরা উগ্র না এবং এদের কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। এদেরকে ইসকনের সাথে ট্যাগইং করাটা ঠিক হবে না। সব মুসলমান যেমন উগ্র চিন্তা ধারণ করে না একই কথা হিন্দুদের ক্ষেত্রেও। আমাদের দেশে পিনাকীর মত কিছু লোক এই সব ধুয়া তুলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এই ব্লগেও পিনাকীর অনুসারী উগ্র চিন্তার লোকজন আছে। অনেকে আবার এই ধর্মীয় উগ্রতাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে এই দেশের সাধারণ মুসলমানের ব্রেন ওয়াশ করার চেষ্টা করেছে যেন দেশে হিন্দু মুসলমান সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

৪১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩১

রানার ব্লগ বলেছেন: আমাদের গ্রামে কুকুরদের যত্ন নেয়া হয়। তাদের সবাই খাবার দেয়।কারন তারা রাতের প্রহরী। কিন্তু কুকুরের যখন জলাতাংক হয় একটা ঔষধ। বাশ ডলা। যারা দেখছেন কুকুরের মত ঘাউ ঘাউ করছে।আসলে এরা সব জলাতংকে ভুগছে। এদের একটাই ঔষাধ বাশ ডলা। দিয়ে দিন দেখবেন সকল রোগের উপশম এক চিকিতসায়।

২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এনারা নিঃসন্দেহে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন। ভারতের সাথে কেন আমরা বাংলাদেশের তুলনা করতে যাবো। ভারতের ক্ষমতাসীন দল সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে এতো বছর টিকে আছে। সেই নোংরা রাজনীতি কেন আমরা আমাদের দেশের হিন্দু মুসলমান সম্পর্কের মধ্যে আনবো।

যাদের ডলা দিতে বলেছেন এরা চরমপন্থি ইসলামের সমর্থক বলে আমার মনে হয়। ওনাদের গলাবাজির কারণে একসময় ধরা খেয়ে যাবেন। তাই বেশী কড়া কথা বললাম না। মুসলমান হওয়া মানে হিন্দু বিদ্বেষ এই ধারনাটা ঠিক না।

৪২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৩২

জিকোব্লগ বলেছেন:


২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৪৭
লেখক বলেছেন: আপনি এই বিষয়ে জানেন না। অথচ জানার আগেই বলে দিলেন যে কুসংস্কারপন্থী মুসলিম এগুলি বিশ্বাস করে। আপনি সহি হাদিস মানেন না মনে হচ্ছে। নীচে ৩৪ নাম্বার মন্তব্যে হাসান ভাই হাদিসটা উল্লেখ করেছেন। এটা সহি হাদিস।

এখনও কি মনে হচ্ছে এটা কুসংস্কার। একাধিক সহি হাদিস গ্রন্থে এই হাদিসটা এসেছে। এই সহি হাদিস সম্পর্কে আপনার কি মতামত। আমি আমার মতামত এখানে দিতে চাই না। কারণ এটা কোন ধর্মীয় পোস্ট না। দিতে গেলে অনেক বড় ব্যাখ্যা হয়ে যাবে। আমি আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি।


- যে উল্লেখ করছে মানে আপনার হাসান ভাই কি মানে ?
- আপনি কি উটের মূত্র খেয়েছেন? বা খাওয়ার প্ল্যান আছে ?

- তাহলে, ব্যাখ্যা সহ পোস্ট দেন।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা তো মানার কিছু না। উটের মুত্র খাওয়া ইসলামে চিকিৎসার জন্য অনুমোদিত। তার মানে সবাইকে খেতে হবে এমন না। ঘোড়ার মাংস ইসলামে খাওয়া অনুমোদিত। আপনি কি ঘোড়ার মাংস খেয়েছেন? ঐ যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞান পিছিয়ে ছিল। এখন অনেক অগ্রগামী।

একটা সহি হাদিসে এই ঘটনা বর্ণনা হয়েছে। এটার ব্যাখ্যা অন্য পোস্টে দেয়ার চেষ্টা করবো। তবে সংক্ষেপে বলতে গেলে বলতে হয় যে ইবনে সিনার চিকিৎসা সাস্ত্রের বইয়ে এই ধরণের চিকিৎসার কথা আছে। ইবনে সিনার বই সেই যুগে চিকিৎসা বিজ্ঞানে খুব গুরুত্বের সাথে পড়ানো হত। বর্তমান যুগে একজন সুস্থ মানুষের দেহের মল অন্য মানুষের মলাশয়ে দিয়ে চিকিৎসা করার একটা পদ্ধতি আছে। এটাকে Fecal Transplant বলে। শুনতে খুব বিশ্রী লাগছে। কিন্তু বর্তমানের চিকিৎসা শাস্ত্রে মানুষের মল ব্যবহৃত হয় চিকিৎসার প্রয়োজনে।

এই সাইটটা দেখতে পারেন আরও জানার জন্য। Click This Link

৪৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৪০

জিকোব্লগ বলেছেন:



২৫ শে এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৫০০

লেখক বলেছেন: জামাত শিবির তরুণদের ভালো ভালো কথা বলে আকৃষ্ট করে। এদের অতীত স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকাণ্ড এরা নবীনদের থেকে লুকিয়ে রাখে। কেউ না জেনে যোগদান করলে অপরাধী না। কিন্তু যখন সে জানতে পাড়বে যে এরা মুলত একটা স্বাধীনতা বিরোধী দল তখন তার উচিত হবে সেই দল ত্যাগ করা। ত্যাগ না করলে তার পরবর্তী কর্মকাণ্ডের জন্য সে দায়ী হবে।

ইসলামের নামে যারা সন্ত্রাস এবং জঙ্গি কর্মকাণ্ড করছে এরা ইসলামের ক্ষতি করছে এবং ইমেজ নষ্ট করছে।

- ব্রেন ওয়াশড হলে ত্যাগের কোনো সম্ভবনা নাই বললেই চলে । তেমনি
ইসকন দ্বারা ব্রেন ওয়াশড হিন্দুরও ইসকন ত্যাগের সম্ভবনা নাই।

২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসকনের চেয়ে আমার কাছে জামাত শিবির আরও ভয়ংকর। এই ব্লগেও জামাত শিবির আছে। এই পোস্টেও থাকতে পারে।

অনেক সাধারণ হিন্দু এই রাজনীতি বোঝে না। তারা সরল মনে ইসকনের মন্দিরে গিয়ে পুজা করে থাকে।

৪৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: আপনারা সাধারণ নিরীহ হিন্দুদেরকেও সন্দেহের চোখে দেখছেন। এটা কোন ভালো লক্ষণ না। সম্পূর্ণ জ্ঞানহীন কথা বললেন। আমি আগেই বলেছি বলেছি আকাম কুকাম করে বিপদে পড়ে যারা নিজেরা ধর্মের আশ্রয় চায় এরা হচ্ছে পুরোপুরি বাটপার। সাধারণ কেউ ধর্মকে পুজি ক রে ব্যবসা করে না।
ইসকনকে নিয়ে সবার মন্তব্য গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে? এখানে সবাই বিশেষ একটা কারণে এটাকে নিয়ে সবকিছু বলতে পারেওনি। ইসকনের কান্ড কারখানা গুগল সার্চ দিন জেনে যাবেন। সরকার বদল হলে এরা তল্পিতলা সহ পালিয়ে যাবে।


২৬ শে এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিশোর কুমার দাস কোন আকাম কুকাম করেনি। আপনারা ব্যাপারটাকে অতিরঞ্জিত করছেন। সে ধর্মেও আশ্রয়ও কখনও নেয় নি। বরং কিছু উগ্র মুসলমান কিশোর কুমার দাস এবং তার গড়া প্রতিষ্ঠানের পিছে লেগে সেটাকে বন্ধ করতে চায়।

বিশেষ কি কারণে সবাই এখানে বলতে পারে নি সেটা আমার অজানা থেকে গেল। ইসকনের চেয়ে জামাত শিবির আরও ভয়ংকর। সরকার বদল হলে জামাত আর তার সাথে বিএনপি আসবে। ওদের উগ্রতা আর দাপটে টিকতে না পেরে ইসকন হয়তো বাংলাদেশ ছেড়ে যাবে। যেটা আপনি কামনা করছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.