নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীনের ভয়ে ব্রিটিশ নাস্তিক নারীর ইসলাম গ্রহণ

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:২৬


একজন নাস্তিক ব্রিটিশ নারী জীনের ভয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন কয়েক বছর আগে। এই পোস্টে সেই বর্ণনা করবো পরবর্তী অংশে। তার আগে জীন সম্পর্কে কিছু বলে নেই। ইহুদি, খৃস্টান এবং ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা জীন বিশ্বাস করে। হজরত সোলাইমান (আ) জীনদেরকে দিয়ে অনেক কঠিন কাজ করাতেন যা কোন মানুষের পক্ষে করা সম্ভব না। পবিত্র কোরআনে ‘আল জীন’ নামে একটা পৃথক সুরা আছে। একাধিকবার জীনেরা আমাদের রসুলের (সা) সাথে দেখা করেছে, কোরআন শুনেছে এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে।

কোন মুসলমান যদি জীনের অস্তিত্বে বিশ্বাস না করে তাহলে সে মুসলমান বলে নিজেকে দাবি করতে পারে না। কারণ সেই ক্ষেত্রে সে আমাদের রসূলকে (সা) মিথ্যা সাব্যস্ত করছে। কোরআনে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ থাকার পরেও কেউ যদি জীনের অস্তিত্বে বিশ্বাস না করে তাহলে সে আল্লাহর কথাকে এবং রসূলের (সা) কথাকে অবিশ্বাস করছে। এই কারণে সে নিজেকে আর মুসলিম দাবি করতে পারে না।

পৃথিবীর সর্বত্রই কম বেশী জীন আছে। তবে পাহাড়, জঙ্গল, নোংরা জায়গায় এবং নির্জন জায়গায় এরা বেশী থাকে। আমাদের প্রত্যেকের সাথে একটা জীন শয়তান আছে যে আমাদেরকে খারাপ কাজে প্ররোচিত করার চেষ্টা করে। ইবলিস শয়তান জীন জাতির সদস্য ছিল। তার পরহেজগারির কারণে সে ফেরেশতাদের সর্দার হয়ে যায়। কিন্তু পরে সে তার অবাধ্যতার কারণে অভিশপ্ত শয়তানে পরিনত হয়। শয়তান আল্লাহকে বিশ্বাস করে, আল্লাহকে সর্বশক্তিমান হিসাবে মানে, আল্লাহর সাথে শিরক করে না। কিন্তু আল্লাহর আদেশের অবাধ্যতার কারণে সে জাহান্নামী হবে।

পৃথিবীতে বহু মানুষ জীন দেখেছে বা জীনের কথা শুনেছে। অনেক পরহেজগার ব্যক্তি জীনের আছরের চিকিৎসা করে থাকেন। আমার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের উপরে ভালো জীনের আছর আছে বা ছিল। তার জীবনে অনেক অস্বাভাবিক ঘটনা আছে যেটা ব্যাখ্যা করা যায় না। আমার বহু বছরের পরিচিত একজন পরহেজগার ব্যক্তি জীনের আছরের চিকিৎসা করেন। ওনার কাছে ওনার জীনের অভিজ্ঞতার কথা শুনেছি।

একজন ব্রিটিশ নাস্তিক নারী নিজের জীবনে জীনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন জীনের ভয়ে তিনি আল্লাহকে জানতে পারেন এবং অবশেষে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। ছোটবেলায় এই মেয়েটার ভাইয়ের বন্ধু ব্ল্যাক ম্যাজিক চর্চা করতো। ১৪ বছর বয়সে একবার সে যখন ব্ল্যাক ম্যাজিক দেখছিল তখন তার বুকের মধ্যে এক ধরণের ভয়ের অনুভূতি কাজ করে। তার ভাইয়ের বন্ধু তাকে বলে যে তোমাকে পছন্দ করছে না তাই তুমি এখান থেকে চলে যাও। এভাবে জীবনে প্রথম সে জীন সম্পর্কে জানতে পারে।

পরবর্তীতে তার বয়স যখন ২১ বছর তখন সে মালয়েশিয়াতে বাস করতো। একটা বড় বাড়িতে সে থাকতো। একবার সেই বাড়িতে বন্ধুদের সাথে মজা করছিল সে। উপরের তলার রুমগুলি সে বন্ধুদের দেখাচ্ছিল। একটা রুম থেকে বের হওয়ার সময় সে একটা প্রচণ্ড আওয়াজ শুনলো এবং নীচতলা থেকে কুকুরের ঘেউ ঘেউ আওয়াজ শুনতে পেল। নীচে গিয়ে দেখে তার বেস্ট ফ্রেন্ড কোন একটা কারণে ভয়ে ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। তার বন্ধু তাকে বলল যে তার কুকুরটা বাসার সামনের দিকের স্লাইড ডোরের দিকে যাচ্ছিল হঠাৎ দরজাটা নিজে থেকে বন্ধ হয়ে যায়। তখন তারা ভয় পেলেও পরে তারা এই ঘটনার কথা কয়েকদিনের জন্য ভুলে যায়।
কিছু দিন পরে তার বন্ধু তার দেশে ফিরে যায় কারণ সে মুলত মেয়েটিকে সাহায্য করার জন্য এসেছিল। এই মেয়েটা তারপর একা থাকতো ঐ বাসায়। কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে চলছিল কিন্তু সে এগুলির ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করতো নিজেকে সান্ত্বনা দেয়ার জন্য। ঘরে ফিরে একটা জিনিস এক জায়গায় রাখার পরে দেখা যেত কিছুক্ষণ পরে সেটা আরেক জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। সে ভাবতো সে হয়তো ভুল করছে। আবার অনেক সময় রুমের মেঝেতে কিছু পড়ার আওয়াজ শুনতো সে।

এক রাতে বাসায় আসার পরে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পাসের হল রুমের বাতি নিভাতে গেল সে। হঠাৎ তার মনের মধ্যে সেই ছোটবেলার ভয়ের অনুভূতি জেগে উঠলো। তারপরও সে বিছানায় যাওয়ার পরে হঠাৎ তার রুমের স্লাইড ডোরের উপর মনে হোল কেউ জোড়ে আঘাত করলো। পুরো দরজাটা কেপে উঠলো। সে প্রচণ্ড ভয় পেল। এই মেয়েটা নাস্তিক ছিল। কোন ভীতিকর পরিস্থিতেও সে কখনও জীবনে গডকে স্মরণ করেনি। কিন্তু ঐ রাতে ঐ সময় সে মনে মনে আল্লাহকে স্মরণ করে এই বিপদ থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য। কিছুক্ষণ ল্যাপটপে সময় কাটিয়ে সে বিছানায় শুয়ে পরে এবং অল্প সময়ের মধ্যেই ঘুমিয়ে যায়। ভোরবেলা ঘুম ভাঙলে সে সবার আগে আল্লাহকে ধন্যবাদ জানায়। সে আল্লাহকে আরও বলে যে আল্লাহ তুমি যদি আমাকে ইসলামের পথে চাও তাহলে আমাকে পথ দেখিয়ে দাও। কারণ এখন পর্যন্ত কেউ আমাকে বুঝাতে পারেনি।

তারপর থেকে সে ইসলাম সম্পর্কে জানতে শুরু করে। সে মদ খাওয়া ছেড়ে দেয়। রমজান মাস আসলে সে রোজা রাখা শুরু করে। প্রতিদিন সে কোরআন পড়তে থাকে। হিজাব পরা শুরু করে। নামাজ পড়া শেখে এবং রমজান মাসের মাঝামাঝি সময়ে নিজে নিজে কালেমা শাহাদাত পাঠ করে মুসলিম হয়ে যায়। পুরো ঘটনাটা ইউটিউবে এই মেয়েটি বর্ণনা করেছে। নীচে ভিডিও লিঙ্ক দিলাম।

https://www.youtube.com/watch?v=8jNuBgSqYks

এই ঘটনা জানার পরে আমার কাছে মনে হচ্ছে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরের ক্ষেত্রে জীন ভালো ভুমিকা পালন করতে পারে। কিছু পরহেজগার এবং ভালো জীনকে যদি এভাবে মাঠে নামিয়ে দেয়া যায় তাহলে অনেক নাস্তিক বা বিধর্মী জীনের ধাওয়া খেয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করবে বলে আমার বিশ্বাস।

সূত্র - ইউটিউব
ছবি - আই স্টক

মন্তব্য ১১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৩৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



সেই জ্বীনের বিচারকার্যে কোনো ঝামেলা তাহলে থাকলো না, ভালো কাজ করেছে আল্লাহ মাফ করে দিবেন।

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভয় দেখিয়ে আল্লাহকে চেনানো ভালো কাজ তো। নইলে এই মেয়ে জিন্দেগীতেও ইসলামের পথে আসত কি না সন্দেহ আছে।

২| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৫

জ্যাকেল বলেছেন: পরহেজগার জ্বীনকে মাঠে নামাই দিলে তো মানুষের চয়েসের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হলো। সেইটার কি হবে?

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ৯:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক নাস্তিক আছে যার পাল্লায় পড়লে অনেক জীনও নাস্তিক হয়ে যাবে। :)

৩| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:




সাচু, আমার ফ্রেন্ডসরা অনেকে বলে আমিই নাকি একটা জলজ্যান্ত জীন।
দুষ্ট জীন, সাক্ষাৎ শয়তান।
এখন আমার কি হবে!!!!
ভাবছি কার ওপর আছর করা যায় 8-|

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মেয়ে জীনকে পরী বলে। পরীরা অনেক সময় সুন্দর ছেলেদের তুলে তাদের দেশে নিয়ে যায়। কয়েক মাস বা বছর পরে ফিরিয়ে দেয়। আমার পরিচিত একটা ছেলেকে এভাবে তুলে নিয়ে গেছিলো। পরে আবার ফিরিয়ে দিয়েছে। ছেলেটা গ্রামে থাকে। একটা টিনের চালের উপরে নাকি ধপাস করে ফেলে দিয়েছে।

জীনের চেয়ে পরীরা আরও বেশী ভয়ংকর হয়। একবার ধরলে ছাড়তে চায় না। আমার দুলা ভাইকে একটা পরী ধরেছিল। এখনও মনে হয় আছে। তবে পরীটা মনে হয় ভালো। কারণ ক্ষতিকর কিছু করে বলে শুনি নাই। তাকে নাকি কানে কানে বলে একটু নামাজ পড়লেও তো পার। ইনভিজিবল গার্লের মত বিছানায় তাকে খুঁজে পাওয়া যায়। মনে হয় একটা কোল বালিস জাতীয় কিছু আছে। আসলে আছে ঐ পরীটা। আর কেউ দেখতে পারে না।

বোকাসোকা দেখে কোন ছেলের ঘাড়ে চরে দেখতে পারেন। ভার নিতে না পারলে ঘাড় মটকে ছেড়ে দিবেন। অনেক জীনের ড্রাকুলার মত সুচালো দাঁত থাকে। আপনার আছে না কি।

পোস্টের ভিডিওটা কি দেখা যাচ্ছে? জীনের পোস্ট দেয়ার পরে হঠাৎ আমার ইন্টারনেট চলে গেল। আর আসছে না। ভৌতিক মনে হচ্ছে। এখন মোবাইল ডেটা ব্যবহার করছি। এখন বাসায় একা আছি। রাতের বেলা এই পোস্ট দেয়া আসলে ঠিক হয় নাই। আমার নিজেরই ভয় লাগছে। সোনাগাজী সাহেবের পাল্লায় পড়ে পোস্ট দিলাম এখন নিজেই বিপদে আছি।

৪| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:২৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার মা বলেছেন, তিনি জিনের সাথে কথা বলেছেন। আমি আমার মায়ের কথা অবিশ্বাস করিনি।

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীনের সাথে অনেক পরহেজগার মানুষ কথা বলতে পারেন। খারাপ জীনের আছর তারা দূর করতে পারেন আল্লাহর কালামের সাহায্যে। আপনার আম্মা অবশ্যই সত্য বলেছেন বলে আমিও বিশ্বাস করি।

৫| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৩৭

নিমো বলেছেন:
ছুটুকালে ইহার পাল্লায় আমি পড়েছিলাম।

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে তুলে নিয়ে গেছিলো নাকি। ভালোবাসা গভীর হলে পরীরা তুলে নিয়ে যায়। কয়েক বছর পরে দিয়ে যায়।

১৯৯৪-৯৫ সালের দিকে এই সিরিজটা নিয়মিত দেখতাম। খুব ভালো টিভি সিরিয়াল। মেয়ে জীনেরা কি এমন সংক্ষিপ্ত পোশাক পড়ে নাকি। ছেলে জীনেরা তো জব্বা জাব্বা পড়ে শুনেছি।

৬| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

শায়মা বলেছেন: থাক আমি আর কিছু বললাম না। আমি খুব ভীতু মানুষ তো। মিররমনি নাকি জ্বীন! মানে ওকে নাকি সবাই জ্বীন বলে আর এই জ্বীনের সাথে আমি এত দিন........

ভাইয়া তোমার জ্বীনের পোস্ট দেখে খুশি হয়ে জ্বীনরা যদি তোমার বাড়ি চলে যায় কি হবে!!! হায় হায় !!! তোমার দুলাভায়ের কোলবালিশ জ্বীনটা তো অবশ্যই আসছে আমার কোনো সন্দেহ নেই তাতে। :(


দিনের বেলা হলে বলতাম দু একটাকে আমার বাড়ি পাঠায় দিতে কিন্তউ রাতের বেলা তো তাই ভুই পাই। :( থাক তোমার বাড়িতেই যাক।

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে জীনেরা দেখলে লম্বা একটা সালাম দিবে।

মিররমণি জীন না পরী। মেয়েরা পরী হয়। লম্বা ড্রাকুলার মত সুচাল দাঁত থাকে। রক্ত চুষে খাওয়ার পরে পছন্দ না হলে ঘাড় মটকে ছেড়ে দেয়।

একটা কোলবালিশ পরী সব সময় আমার সাথেই ঘুমায়। আরেকটা আসলে ঝগড়া লাগতে পারে।

আমার দুলাভাই যখন তরুণ ছিল তার রুমের জানালা দিয়ে রাতে হঠাৎ একটা বিদ্যুৎ চমকের মত দেখা গেল। আসলে জীন হবে হয়তো। তারপর থেকে তার রুমে আর কেউ ঘুমাতে চাইত না। পার্বত্য চট্টগ্রামের দুর্গম পথ জীন তাকে অল্প সময়ের মধ্যে নিয়ে গেছে। হজরত সোলাইমানের (আ) মত। তার এই কাহিনী শুনে সবাই খুব আশ্চর্য হয়েছে। কোন বৈজ্ঞানিক হিসাবে কেউ মিলাতে পারে নাই। তবে ভালো পরী ছিল। বলত নামাজ পড়লেও তো পার।

৭| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৫২

শায়মা বলেছেন: আমার এক কলিগের মহা জ্বীনভীতি ছিলো। তো একবার ভূমিকল্প হলো বেশ জোরে সোরে। সেই মহিলা তার হাসব্যান্ডকে বলে ও রুমির আব্বা শিঘ্রী ওঠো। আম্মার আত্মা এসে রাগে আমাদের খাঁট ঝাক্কাচ্ছে। তাড়াতাড়ি উঠে ছেলেমেয়েদেরকে ডাকাডাকি। ওরে তোরা ওঠ তোর দাদী মরে গিয়ে শান্তি পায়নি। অতৃপ্ত আত্মা এসে আমাদের উপর খুব রাগ করেছে। আমাদের ঘরবাড়ি সব ঝাকাচ্ছে।


হা হা হা হা হা হা হা এই বিংশ শতাব্দীতে এসে ঘরের বাইরে জব করা এক মহিলা এমন ভাবতে পারে??? আমি স্বপ্নেও বিশ্বাস করতে পারি না........

বাপরে আমি এইসব যখন লিখছি আমারও ইন্টারনেট চলে গেলো ভাইয়া!!!!!!!!!


আমি নিশ্চিৎ আধুনিক জ্বীনেরা আধুনিকভাবেই দিক্ষীত। তারা রেগে গেলে ইন্টারনের নিয়ে নেয়। ঐ সব মধ্য যুগীয় রাগ বাগ কি আর এই যুগে চলে। এমন সব বজ্জাত ছেলেমেয়ের দল জ্বীন মিন ভয়ই পায় না। :(

এখন নতুন জ্বীনেদের নামাকরম হোক ইন্টারনেটেদের নামে। :)

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা জীনেরা যখন পৃথিবীর মাটি ধরে নাড়া দেয় তখন ভুমিকম্প হয়। আপনার সেই পরিচিত মহিলা ঠিকই বলেছে। কালো কুকুর অনেক সময় জীন হয়। আমার এই পোস্টের মহিলা তো অনেক শিক্ষিত। সেও জীনের ভয়ে মুসলমান হয়েছে।

আমি এখন পুরো বাসায় একা। সোনাগাজীর পাল্লায় পড়ে এতো রাতে জীনের পোস্ট দেয়া ঠিক হয়নি।

৮| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৪

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া জ্বীনেদের কি বাচ্চাকাচ্চা হয়??? হলে তারাও নিশ্চয় এই আধুনিক যুগে আধুনিক হয়েছে। :) এই কারণেই ইন্টারনেট নিয়ে রাগ দেখাচ্ছে তাইনা???

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীনের সাথে পরীর বিয়ে হয়। মানুষের সাথেও জীনদের বিয়ে হয়। বাচ্চাও নিশ্চয়ই হয়। তবে এটা মনে হয় হারাম। তারপরেও প্রেমে পড়লে কে জীন আর কে মানুষ সেই হুশ কি কারও থাকে।

এই পোস্ট লেখার সময়ে সেই যে ব্রড ব্যান্ড লাইন চলে গেছে আর খবর নাই। এটা নিশ্চিত জীনের কাজ। এখন বিদ্যুৎ চলে গেলে আমাকে পরীরা তুলে নিয়ে যেতে পারে। কয় মাস পরে আবার কোন টিনের চালের উপর ধপাস করে ফেলে দিবে।

৯| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:৫৯

মিরোরডডল বলেছেন:




শায়মাপু চলে গিয়েছিলাম ঘুমাতে, প্রায় তিনটা বাজে কিন্তু তোমাকে দেখে আবার এলাম।
বলতে এলাম, ভালোবাসি।

নাহ তোমাকে ভালোবাসি বলিনি :)
বলতো কি ভালোবাসি?

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হ্যান্ডসাম জীন ভালোবাসি।

১০| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:০৩

কামাল১৮ বলেছেন: কোরান আল্লাহর বানি এটাই বিশ্বাস করে না পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগ লোক।জ্বীন তো দুরকা বাত।

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার তাহলে জীন দেখার সৌভাগ্য হয় নাই। কানাডাতেও জীন আছে। তবে ওরা মনে হয় খৃস্টান হবে।

১১| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:০৬

মিরোরডডল বলেছেন:



পরীরা অনেক সময় সুন্দর ছেলেদের তুলে তাদের দেশে নিয়ে যায়। কয়েক মাস বা বছর পরে ফিরিয়ে দেয়।

তুলে নিয়ে যাবার এতো ইজি অপশন যদি থাকেই, তাহলে মাস বা বছর রাখবে কেনো।
ডেইলি একটা করে নিয়ে গেলেই হয়, পার নাইট ডিনার ফ্রম আর্থ টু হ্যাভেন।
উবার ইট ডেলিভারি হয় না??? :)

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরীরা তো প্রেমে পড়ে তুলে নিয়ে যায়। খাওয়ার জন্য নিয়ে যায় না। ওখানে নিয়ে গিয়ে ঘর সংসার করে। পরে টেস্ট চেঞ্জ করার জন্য ওটাকে ফেরত দিয়ে আরেকটাকে নিয়ে যায়।

১২| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:০৮

শায়মা বলেছেন: তবে ভালো পরী ছিল। বলত নামাজ পড়লেও তো পার।

আহা কত ভালো। ঘাড় মটকায় বলে না, পড় নামাজ বেটা তার বদলে মিউ মিউ কলে পললেও তো পালো। ঐ পরী মনে হয় কোনো অবলা পরী। আহা আহা


মিরোরডডল বলেছেন:
শায়মাপু চলে গিয়েছিলাম ঘুমাতে, প্রায় তিনটা বাজে কিন্তু তোমাকে দেখে আবার এলাম।
বলতে এলাম, ভালোবাসি।

নাহ তোমাকে ভালোবাসি বলিনি :)
বলতো কি ভালোবাসি?


আমি জানি....... :)

কিন্তু


কেউ জানে না আমার কেন এমন হলো।

কেন আমার দিন কাটে না রাত কাটে না
রাত কাটে তো ভোর দেখি না
কেন আমার হাতের মাঝে হাত থাকে না কেউ জানেনা।

নষ্ট রাখীর কষ্ট নিয়ে অতোটা পথ একলা এলাম
পেছন থেকে কেউ বলেনি করুণ পথিক
দুপুর রোদে গাছের নিচে একটু বসে জিরিয়ে নিও,
কেই বলেনি ভালো থেকো সুখেই থেকো
যুগল চোখে জলের ভাষায় আসার সময় কেউ বলেনি
মাথার কসম আবার এসো

জন্মাবধি ভেতরে এক রঙিন পাখি কেঁদেই গেলো
শুনলো না কেউ ধ্রুপদী ডাক,
চৈত্রাগুনে জ্বলে গেলো আমার বুকের গেরস্থালি
বললো না কেউ তরুন তাপস এই নে চারু শীতল কলস।

লন্ডভন্ড হয়ে গেলাম তবু এলাম।

ক্যাঙ্গারু তার শাবক নিয়ে যেমন করে বিপদ পেরোয়
আমিও ঠিক তেমনি করে সভ্যতা আর শুভ্রতাকে বুকে নিয়েই দুঃসময়ে এতোটা পথ একলা এলাম শুশ্রূষাহীন।

কেউ ডাকেনি তবু এলাম, বলতে এলাম ভালোবাসি।

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীন পরীদের কাব্য মনে হচ্ছে।

একটা বাচ্চা জীনের বয়সও কম পক্ষে ৫০০ বছর। এটা কি জানেন।

১৩| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১১

মিরোরডডল বলেছেন:



চমৎকার কবিতা এটা, খুবই প্রিয়।

আমি জানি....... :)

কিন্তু


কিন্তু কি? বলো, আমিতো শুনতেই চাচ্ছি। :)

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ৯ নাম্বার প্রতি মন্তব্য দ্রষ্টব্য।

১৪| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১২

শায়মা বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনাকে জীনেরা দেখলে লম্বা একটা সালাম দিবে।


সত্যি!!!!!!!!!!!! :)

জ্বীনরা বলেছে তোমাকে!!!!!!!!!!!!!!!!!! :):) :)


যাইহোক-

লেখক বলেছেন: আমার ধারণা জীনেরা যখন পৃথিবীর মাটি ধরে নাড়া দেয় তখন ভুমিকম্প হয়। আপনার সেই পরিচিত মহিলা ঠিকই বলেছে। কালো কুকুর অনেক সময় জীন হয়। আমার এই পোস্টের মহিলা তো অনেক শিক্ষিত। সেও জীনের ভয়ে মুসলমান হয়েছে।


শিক্ষিত অশিক্ষিতের ব্যপার না। ব্যপার হলো ঐ মহিলার মেন্টাল স্ট্রেন্থের। উনি ইসলামকে ভালোবেসে মুসলিম হতে পারতেন তানা উনি ভয়ে মুসলিম হন! এই রকম ভীতু দিয়ে কি হবে!!! তার মুসলিম হওয়ায় আসলে কোনো লাভ নেই।

আমি এখন পুরো বাসায় একা। সোনাগাজীর পাল্লায় পড়ে এতো রাতে জীনের পোস্ট দেয়া ঠিক হয়নি।

খুব ভালো হইসে। সোনাগাজীভাইয়াকে মনে হয় কোনো জ্বীন ধরেছে। সেই তোমাকে দিয়ে এই পোস্ট দেওয়ালো। এইবার বুঝো মজা!!

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহও তো জাহান্নামের ভয় দেখায় আর জান্নাতের লোভ দেখায়। নইলে মানুষ সিধা পথে আসতে চায় না।

১৫| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১৫

শায়মা বলেছেন: মিরোরডডল বলেছেন:



চমৎকার কবিতা এটা, খুবই প্রিয়।

আমি জানি....... :)

কিন্তু

কিন্তু কি? বলো, আমিতো শুনতেই চাচ্ছি। :)


সেটাই এই কবিতা- কেউ জানে না ....... হা হা হা শুনো এত ধাঁধার উত্তর খোঁজার সময় নাই। মর্ডাণ জ্বীন তাহলে আবারও আমার ইনটারনেট নিয়ে নেবে।

মনে হয় এই পোস্টে আমার কমেন্ট দেখে তুমি খুশি সেটাই বলতে চেয়েছো। :)

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা। আগে কখনও শুনি নাই।

১৬| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১৭

শায়মা বলেছেন: তোমার ভয় নেই ভাইয়া। :)

পরীরা বাচ্চাদের তুলে নেয় তারা কি তোমাকে নেবে???


মনে নাই তুমি কি !!!!!!!!!!!!!!!!!!! হা হা হা হা

টিনের উপর ধপাস ফেললে তো তোমাকে আর পাওয়া যাবেনা। হাড্ডিগুড্ডি ভেঙ্গে চুরচুর হয়ে যাবে। :(

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরীদের বয়স কম পক্ষে ৩০০০ বছর। ওরা আমার মত বুড়া ধামরাদেরকেই বেশী পছন্দ করে।

১৭| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:২৪

মিরোরডডল বলেছেন:



এখন বিদ্যুৎ চলে গেলে আমাকে পরীরা তুলে নিয়ে যেতে পারে। কয় মাস পরে আবার কোন টিনের চালের উপর ধপাস করে ফেলে দিবে।

ইস!! কয়মাস পর!!! সাধ কতো।
সাচুকে নিয়ে গেলে কয়ঘণ্টা পরই রেখে যাবে।
কে জানে, হয়তো নিতে নিতেই ফেলে দিবে =p~


০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওরা আমারে ছাইরা দিলেও আমি তো ওদের ছাড়বো না।

১৮| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:২৮

মিরোরডডল বলেছেন:



লেখক বলেছেন: হ্যান্ডসাম জীন ভালোবাসি।

উত্তর সঠিক হয়নি।

বলতে এলাম, ভালোবাসি।
আড্ডা।
এই পোষ্টে আড্ডার ঘ্রান পেয়ে চলে আসছি :)

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই রকম একটা সিরিয়াস পোস্টকে আড্ডা কেন ভাবা হোল। জীনেরা আড্ডা দেয়া পছন্দ করে না।

১৯| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:২৯

শায়মা বলেছেন: ১৭. ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:২৪০

মিরোরডডল বলেছেন:



এখন বিদ্যুৎ চলে গেলে আমাকে পরীরা তুলে নিয়ে যেতে পারে। কয় মাস পরে আবার কোন টিনের চালের উপর ধপাস করে ফেলে দিবে।

ইস!! কয়মাস পর!!! সাধ কতো।
সাচুকে নিয়ে গেলে কয়ঘণ্টা পরই রেখে যাবে।
কে জানে, হয়তো নিতে নিতেই ফেলে দিবে =p~


হ্যাঁ ফেলার আগে পিঠের উপর কয়েক ঘা বসিয়েও দেবে।




ইটা কিটা আনলাম ভুল করে রে!!! এইটা বলে পরী মানে সাচুঘেচুভাইয়ার শাকচুন্নীরা নিজেদের মধ্যেই চুলাচুলি লাগিয়ে দেবে। আর তখন ভাইয়া হাত ফসকে পপাৎ ধরণীতল.......

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এক মহিলা পুলিশ দৌড়ে গিয়ে এক চোরকে ধরে ফেলেছে। চোর আর মহিলা পুলিশের মধ্যে ধ্বস্তাধস্তি চলছে। ইতিমধ্যে ইন্সপেক্টর চলে এসেছে ঘটনাস্থলে। সে মহিলা পুলিশকে বলল তুমি ওকে ছাড় আমি দেখছি। মহিলা পুলিশ বলে স্যার আমি তো চোররে কবেই ছাইরা দিসি কিন্তু চোর তো আমারে ছাড়ে না।

২০| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৪

মিরোরডডল বলেছেন:



একটা বাচ্চা জীনের বয়সও কম পক্ষে ৫০০ বছর। এটা কি জানেন।

কি? তাই নাকি?
শুধুই সময় নষ্ট তাহলে, এই পুরাকীর্তি দিয়ে কি হবে :)

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি কি হওয়াইতে চান? ওদের বললে হওয়াই দেবে। ৫০০ বছরের অভিজ্ঞতা তো কম না।

২১| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৫

শায়মা বলেছেন:


ভাইয়াকে যখন তুলে নিয়ে যাচ্ছিলো সেই ছোটবেলায় সেই পুরান ফটোগ্রাফখানি আনিয়াছি। :)

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একপাশে শায়মা আর আরেক পাশে মিরোরডডল মনে হচ্ছে। :)

২২| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৪২

মিরোরডডল বলেছেন:



লেখক বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা। আগে কখনও শুনি নাই।

সিরিয়াসলি??? সাচু এই কবিতা আগে শোনেনি!!
হেলাল হাফিজের যাতায়াত। অসাধারণ একটা কবিতা।
সময় করে শুনবে, কেমন?




০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই কবি তো সারা জীবন হোটেলে কাটাইসে তাই না? ঠিক আছে শুনবো। :)

২৩| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৪৮

মিরোরডডল বলেছেন:



টিনের উপর ধপাস ফেললে তো তোমাকে আর পাওয়া যাবেনা। হাড্ডিগুড্ডি ভেঙ্গে চুরচুর হয়ে যাবে। :(

শায়মাপু তুমি আছো সাচুর হাড্ডিগুড্ডি ভাঙ্গা নিয়ে, আমি ভাবছি টিনের চালের নীচে যারা থাকবে তাদের যে মৃত্যু অনিবার্য সেটা।
তুমি না বলেছিলে সাচু নাদুশনুদুস গুল্লুগাল্লু ১০০ টন ট্রাক, তাহলে চিন্তা করো কি হতে পারে।

০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: টিনের চালের নীচে শায়মা থাকবে। তার ঘাড়ের উপর পড়ব। খুশি। :)

২৪| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:



লেখক বলেছেন: পরীদের বয়স কম পক্ষে ৩০০০ বছর।

আর মিনিমাম জীনের বয়সও কম পক্ষে ৫০০ বছর।

জীন পরীদের কেইস তাহলে রুপবান রহিম বাদশাহ?

০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ৫০০ বছর বয়স হোল জীন বা পরীদের ছোট বাচ্চা। জীন বা পরীরা ৫০০০ থেকে ১০,০০০ বছর আয়ু পায়। ২০০০ বছরে যৌবন কাল শুরু হয়। আর যৌবনে ভাটা আসে ৫০০০ বছরের পরে। :) ৩০০০ বছর মৌজ মাস্তি করে। :)

০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পোস্টের ভিডিও কি দেখা যাচ্ছে? আমি তো বুঝতে পাড়ছি না।

২৫| ০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:০২

মিরোরডডল বলেছেন:



ভাইয়াকে যখন তুলে নিয়ে যাচ্ছিলো সেই ছোটবেলায় সেই পুরান ফটোগ্রাফখানি আনিয়াছি। :)

শায়মাপুর দেয়া ছবিটা পারফেক্ট হয়েছে :)
ওকে থাকো তোমরা, আড্ডা কনটিনিউ করো।

আবার মারামারি শুরু করোনা যেনো :)
good night.

০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: টিনের চাল ভেঙ্গে শায়মা আপুর ঘাড়ে পড়ব। তারপরে মজা দেখা যাবে।

২৬| ০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:২০

অপু তানভীর বলেছেন: আমার কাছে প্রশ্ন হচ্ছে সকল ধর্মেই তো অশরীরির এন্টিটির উল্লেখ আছে । এই নারী মুসলিম ধর্মই কেন গ্রহন করলো ? খ্রিষ্টানও হতে পারতো !

যাই হোক, আপনার এই জ্বীন বিষয়ক আমার পোস্টে মন্তব্য পড়ে একজন তো আলাদা আকটা পোস্টই প্রসব করে ফেলেছে । তার ভাষ্যমতে তিনি জ্বীনে বিশ্বাস করেন না আবার বলেন যে ধর্ম গ্রন্থ গুলো মূলত মানুষই লিখেছে । তাকে যখন প্রশ্ন করা হল যে আপনি কি নাস্তিক, তখন সে জবাবে বলল যে সে নাস্তিক না । আরো মজার ব্যাপার হচ্ছে সে নামাজও পড়তে যায় ! একবার ভাবুন মজার ব্যাপারটা ! =p~ =p~

০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সে নাস্তিক ছিল তাই কোন ধর্মের প্রতি বিশেষ টান তার আগে ছিল না। কিন্তু এই মহিলা মালয়েশিয়াতে বসবাস করতো। মুসলমানদের সম্পর্কে ধারণা জন্মেছিল। বন্ধু বান্ধব মুসলমান ছিল। হয়তো টান সৃষ্টি হয়েছিল। তাছাড়া ইহুদি বা খৃস্টান ধর্মগ্রন্থে জীনের কথা থাকলেও মুসলমানদের মত এতো মাতামাতি হয় না। আধুনিক ইহুদি খৃস্টান কয়জন জীনের খবর রাখে।

ওনার পোস্টে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি এই পোস্ট দিলাম। :) '

আমাদের দেশের মানুষ আচরণে নাস্তিক হলেও সেটা স্বীকার করতে চায় না। তাই আচরণে নাস্তিকতা থাকলেও সরাসরি জিজ্ঞেস করলে অনেকেই বলবে না
সে নাস্তিক।

২৭| ০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:৩২

অপু তানভীর বলেছেন: আরও একটা মজার কারণ আছে । অনেকের ধারণা যে অনলাইনে ধর্মের বিরুদ্ধে লিখলে বললে নিজেকে আধুনিক প্রমান করা যাবে । কেবল এই আধুনিক প্রমানের জন্য সে অনলাইনে ধর্মের বিরুদ্ধে লিখে !

আমি মোটেই ধর্মের সমালোচনার বিরুদ্ধে না । সব কিছুই সমালোচনা করাতে কোন সমস্যা নেই কিন্তু যে অনলইনে নিজেকে ধর্মের বিরোধী, ধর্ম গ্রন্থকে মানুষের লেখা বলে প্রচার করে আবার বাস্তবে নামাজে যাচ্ছে সে আসলে প্রকৃত অর্থে একজন ভন্ড ছাড়া আর কিছুই না ।

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এদেরকে বাংলায় বলে ভণ্ড আর আর ইংরেজিতে বলে হিপক্রেট।

বাংলাদেশের নাস্তিকরা লোক দেখানোর জন্য মসজিদে যায় আর গোপনে ব্লগে বা ফেইসবুকে ধর্ম বিদ্বেষী কথা ছড়ায়। বাস্তব জগতে নিজেকে লুকিয়ে রাখে বলেই অনলাইনে সেই কষ্টটা তীব্রভাবে প্রকাশ করার চেষ্টা করে।

২৮| ০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:৪১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে তার জন্য ২ টা বেহেশত। তবে ঘটনা হলো কী খাঁটি মুসলমান জ্বীন ভয় করে না। কাকরাইল মসজিদের হরমুজুল্লা রহমতুল্লাহ আলাই জ্বীনের চিকিৎসা করতেন। এটা আমি স্বচক্ষে দেখেছি। হরমুজুল্লা হুজুরের বাসায় টিনের চালের ফুটো বন্ধ করার পর বৃষ্টি নামার ঘটনা শুনলাম। আমার দেখা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বুজুর্গ তিনি। একমাত্র উনার জন্য কাকরাইল মসজিদে জামাত অপেক্ষা করতে দেখেছি।

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: খাঁটি মুসলমান জীনকে ভয় পায় না। এই কথাটা সত্য। কয়েক জন পরহেজগার লোকের কাছেও এই কথা শুনেছি। আমার পরিচিত একজন পরহেজগার ব্যক্তি জীনের চিকিৎসা করেন। ওনার কাছ থেকে কিছু জেনেছি এদের ব্যাপারে।

তাবলীগ জামাতের অনেক মুরুব্বী প্রচণ্ড পরহেজগার। তাবলীগ জামাত শুরু করেছিল আল্লাহর অলিরা। এই দলের উপরে আল্লাহর অলিদের দোয়া ছিল। তবে এই দলে হয়তো ভাঙ্গন ধরবে বা ধরা শুরু করেছে।

২৯| ০৮ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:১৮

রানার ব্লগ বলেছেন: মিরোরডল বলেছে সে নাকি জ্বীন। আমি ইহা শুনে দরজা জানালা খুলে বসে আছি জ্বীন কখন আসবে এই অপেক্ষায়। বৈদেশ থেকে বাংলাদেশে আসতে কি সময় বেশি লাগে? সমস্যা নাই আমি বোচকা বুচকি নিয়া রেডি। মিরোর এলেই তার পাখনা ধরে ঝুল পরবো।

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীন না। এই পোস্টে দুইটা পেত্নি আছে। একটা শায়মা আর আরেকটা হোল মিরোরডডল। তবে তারা নিজেদেরকে পরীভাবে। ২১ নাম্বার মন্তব্যে দুইজনেরই ছবি আছে। শাড়ি পড়াটা শায়মা। তবে মেকআপ ছাড়া ছবি এটা। মেক আপ দিয়ে পরী সাজে বুড়া বয়সে।

বোচকা বুঁচকিতে জামা কাপড় একটু বেশী নিয়েন। এরা ধরলে কিন্তু ছাড়তে চায় না। নিয়ে গেলে কয় মাস না বছর পরে ছাড়বে বলা মুশকিল।

৩০| ০৮ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৪৯

মিরোরডডল বলেছেন:



রানা এ কথার পেছনে খুব মজার এক স্টোরি আছে।

একবার কিছু ফ্রেন্ডসদের সাথে বেড়াতে গেছি।
সন্ধার আকাশটা যখন সবচেয়ে সুন্দর আর আমি সানসেটের জন্য ওয়েট করছি, ঠিক তখন তাড়াতাড়ি সব জানাল বন্ধ করে দিচ্ছে।
- বললাম কি হচ্ছে এসব, এতো সুন্দর ভিউ দেখবো নাহ?
* নাহ এসময় জ্বীন উড়ে যায়, তাই জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

- ওকে ফাইন, পর্দাও নামিয়ে দেয়া হচ্ছে কেনো, আমিতো এগুলো দেখতেই আসছি।
*পরে এখন না, এসময় জ্বীন ভর করতে পারে।

- যে জ্বীন আনসিন কিন্তু উড়ে যাচ্ছে, সে কি আর জানালা গ্লাস বন্ধ বলে বাধাপ্রাপ্ত হবে? পর্দা নামিয়ে রাখলে দেখা যাবে না বলে আসবে না আর যাদের দেখা যায় তাদের কাছে যাবে? যদি বিলিভ করো দেখতে পারছো না কিন্তু অস্তিত্ব আছে, তাহলে এটাও বিলিভ করো জানালা বন্ধ বা পর্দা দিয়ে ইউ ক্যান্ট স্টপ ইট। শুধু শুধু আমার সানসেট দেখা মিস X((

তখন আমাকে উদ্দেশ্য করে তাদের কথা, কাকে কি বোঝাই আমাদের সাথেইতো জ্বীন নিয়ে ঘুরছি, সাক্ষাৎ শয়তান :)

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, ভেতরে না থেকে বাইরে গিয়েই কেনো দেখি না।
সেখানেও আমার ওপর বিধিনিষেধ আছে, আমি বাইরে গেলে শুরশুর করে তাদের বাবুগুলো আমাকে অনুসরণ করে বাইরে যেতে চায়। তারা চায়না এই সন্ধ্যায় বাচ্চারা বাইরে যাক তাই আমাকেও আটকে রাখে :)

these are my lovely bunches of friends, I love them.
আমাকে অনেক আদর করে কিন্তু তাদের এসব কাণ্ডকারখানা দেখে আমি খুব মজা পাই, কিন্তু মাঝে মাঝে একটু প্যারা নিতে হয়, ভালোলাগা্র অনেককিছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়। তারা আমাদের ছবিপুর মতো কিউট :)

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীন না পেত্নি বলা উচিত ছিল। আরেক সঙ্গী হোল আরেক পেত্নি শায়মা।

এই কারণেই মিররের বাসায় জীন হানা দিয়েছিল। হুজুর ডেকে জীন তাড়াতে হয়েছিল। সম্ভবত প্রেমিক জীন ছিল। পেত্নির প্রেমে পড়ে গিয়েছিল। কি সমস্যা হত থাকতে দিলে। জীন আর পেত্নিরা তো মিলে মিশে থাকে শুনেছি।

৩১| ০৮ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৫০

জটিল ভাই বলেছেন:
অতএব হে জ্বীন ও মানব! তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে???

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক কিছুকেই অস্বীকার করছে। কোরআনে পরিষ্কার লেখা থাকার পরেও জীনের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। এদেরকে জীন দিয়ে দাবরানি দেয়া উচিত পোস্টের ঐ মেয়ের মত।

৩২| ০৮ ই মে, ২০২৩ সকাল ৮:৫১

মিরোরডডল বলেছেন:
টাইপো, *জানালা*

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওকে। জানালার পাশে চুল খুলে বসে থাকলে জীনদের পেত্নি ধরতে সুবিধা হয়।

৩৩| ০৮ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:০৬

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: মিরর আর শায়মাপুর মন্তব্যগুলি বেশ লাগলো। সন্দেহ হয় তোমরা দুজন পরী নাতো আপু!!

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই দুইজন পরী না পেত্নি। কিন্তু নিজেকে পরী মনে করে। ২১ নাম্বার মন্তব্যে শায়মা তাদের ছবিও দিয়েছে। শাড়ি পড়াটা শায়মা। আর আরেকটা হোল মিরর ডল। পেত্নিদের ছিনতাই গ্যাংয়ের সদস্য।

মন্তব্য তো ভালো লাগবেই। সুন্দর কথা বলে ছেলেদের তুলে নিয়ে যায় পেত্নিদের দেশে। তার পরে কি করে আল্লাহ মালুম।

৩৪| ০৮ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:৩২

নতুন বলেছেন: এইসব গায়বী আওয়াজ শোনার সমস্যার ( Auditory Hallucinations) চিকিতসা আছে...
https://my.clevelandclinic.org/health/symptoms/23233-auditory-hallucinations

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ফেরেশতা বিশ্বাস করেন আপনি? ফেরেশতা থাকলে জীনও থাকা সম্ভব। জিবরাইল (আ) যখন কোরআনের আয়াত নিয়ে রসূলের (সা) কাছে আসতেন তখন শুধু রসূল (সা) শুনতে পেতেন। এটাও কি হেলুসিনেশন? আপনার কি মনে হয়? এটার কি ব্যাখ্যা আপনার কাছে আছে।

৩৫| ০৮ ই মে, ২০২৩ সকাল ১০:৫১

রানার ব্লগ বলেছেন: মিরোরডডল @ স্টরি শুনলাম । এখন আপনার ল্যান্ডিং টাইম টা জানাবেন । অপেক্ষার প্রহর বড্ড লম্বা। আমি আবার লোকজন কে বলে রেখেছি তারা জ্বীনের সাথে সেলফি তোলার আবদার করছে আমাকে।

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিররের বাসায় জীন ছিল। এখন আছে কি না জানি। ২ বছর আগে তার বাসার জীন নিয়ে পোস্ট দিয়েছিল। তার সাথে জীনদের ভালোই বন্ধুত্ব আছে মনে হচ্ছে। সে ঐ জীনকে রেখে আপনাকে নিতে আসবে বলে মনে হয় না। মানুষের চেয়ে সে জীনদের বেশী পছন্দ করে।

৩৬| ০৮ ই মে, ২০২৩ সকাল ১১:৫৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:

জ্বীন আছে মুসলিম হিসেবে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। অনেকেই জ্বীন দেখেছে, কথা শুনেছে। ভাই ডর কেটেছে। কাকতালীয় সব কিছু ঘটেছে আপনি একা, বিদ্যুৎ নেই তার উপর জ্বীনের পোস্ট ভয় তো লাগবেই।

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দোয়া করবেন ভাই। তবে কোরআনের কিছু আয়াত শুনলে জীন পালায়। সুরা জীন নামে একটা পুরো সুরা আছে কোরআনে। একাধিক বার জীনেরা রসূলের (সা) সাথে দেখা করেছে , কোরআন শুনেছে এবং ইসলাম গ্রহণ করেছে। কোরআনের কথা অবিশ্বাস করলে সে মুসলমান থাকে না। কেউ জীন দেখুক বা না দেখুক জীনের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতে হবে।

৩৭| ০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ১:০৫

কিরকুট বলেছেন: ৩৬ টা মন্তব্য । সাল ২০২৩ । বিষয়ঃ জ্বীন । সত্যি সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ !

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পোস্টে শায়মা আর মিরোরডডল নামে দুই পেত্নি আছর করেছে। দোয়া দরুদ না পড়লে এদের আছর যাবে না এই পোস্টের উপর থেকে। দোয়া দরুদে কাজ না করলে ওঝা ডেকে ঝাড়ু দিয়ে তাড়াতে হবে এদের।

দুই এক দিন আগে অপু তানভীর পোস্ট লিখেছিল কীভাবে পোস্টে মন্তব্য বাড়ানো যায়। ওনার বলা উচিত ছিল যে কোন ভাবে যদি পোস্টে পেত্নি বা পেত্নিদের আনা যায় তাহলে পোস্টের মন্তব্য এই ২০২৩ সালেও বেশী বৃদ্ধি করা সম্ভব।

৩৮| ০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:২০

রানার ব্লগ বলেছেন: তাকে আসতেই হবে

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ভিডিও এখন দেখতে পাড়ছি না। পরে দেখে মন্তব্য করবো। :)

৩৯| ০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:২১

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ফেরেশতা বিশ্বাস করেন আপনি? ফেরেশতা থাকলে জীনও থাকা সম্ভব। জিবরাইল (আ) যখন কোরআনের আয়াত নিয়ে রসূলের (সা) কাছে আসতেন তখন শুধু রসূল (সা) শুনতে পেতেন। এটাও কি হেলুসিনেশন? আপনার কি মনে হয়? এটার কি ব্যাখ্যা আপনার কাছে আছে।

আমি তো ধর্ম মানুষের সৃস্টি বলেই মনে করি। তাই কাল্পনিক বলেই মনে করি।

আর উপরের উদাহরের সামারী হলো। উনি কিছু ঘটনা ঘটতে দেখেছেন এবং ধারনা করেছেন যে এই সব জীনের কাজ। এটা হেলুসিনেশনের একটা লক্ষন। এতে কিছুই প্রমানিত হয় না।

আগের দিনে জীন/ভুতের উপদ্রত ছিলো এখন কমে যাচ্ছে। আগামীতে আরো কমে যাবে। কুসংস্কারে মানুষ এখন কমই বিশ্বাস করে।

আগে অনেক মানুষ দাবী করতো তার কাছে জীন/পরী আছে তারা তাবিজ/পানিপড়া বিক্রি করতো। এগুলি কমে যাচ্ছে...

যদিও সেদিন ইউটিউবে একজনকে জীন জবেহ করতে দেখলাম. এরা ধর্মের নামে ধান্ধা করে যাচ্ছে কারন অল্পজ্ঞানী মানুষ অন্ধের মতন ধর্মের নামে কিছু বললেই মেনে নেয়।

তবে আলো আসবেই....

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মরার পরে ধর্মের গুরুত্ব বুঝতে পারবেন। তখন কিছু করার থাকবে না।

৪০| ০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

নতুন বলেছেন:
এই ভিডিও দেখলে শিখতে পারবেন কিভাবে জীন জবেহ করতে হয় ।

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পেত্নি তাড়ানোর কোন ভিডিও থাকলে শেয়ার কইরেন। এই পোস্টে দুইটা পেত্নির নজর লাগছে। কিছুতেই ছাড়াতে পাড়ছি না। ওঝা ডেকে ঝাড়ু দিয়ে তাড়াতে হবে মনে হয়।

৪১| ০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৪

নতুন বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=3CXTou6Yxb8

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরে এই ভিডিও দেখে মন্তব্য করবো।

৪২| ০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: জীন দেখতে মন চায়। তবে ভয়ও লাগে। দেখতে গিয়ে যদি ঘাড়ে ভর করে বাপরে

মেয়েটিকে ধন্যবাদ । অনন্ত আল্লাহর প্রতি তার বিশ্বাস ছিল। আমার মনে হয় নাস্তিকরাও বিপদে পড়লে আল্লাহকে ডাকে

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জী আপা,

অনেক বিধর্মী এবং নাস্তিককে আল্লাহ বিভিন্ন অসিলায় ইসলামের রাস্তা দেখায়। এটা তাদের জন্য নেয়ামত। তা না হলে কাফের আর নাস্তিক হয়েই মরতে হত ওদের। বিধর্মীরা বিপদে পড়লে এক এবং অদ্বিতীয় আল্লাহকে ডাকে অনেক সময়। নাস্তিকরাও যে ডাকে সেটা এই পোস্টের ভিডিও থেকে জানা যায়।

জীন দেখতে চাইলে সন্ধ্যা বেলায় চুল খুলে ঘরের বাইরে নির্জন জায়গায় যাবেন। আশা করা যায় দুই একটা জীনের দেখা পাবেন। :)

৪৩| ০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৫

রানার ব্লগ বলেছেন: https://youtu.be/V-DemLOYrWk

এইটা কি টাইপ জ্বীন?

০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই জীন হোল এই পোস্টের পেত্নি দুইটার মত। :)

ওঝা ডেকে ঝাড়ু দিয়ে না তাড়ালে এই দুইটা যাবে না। :)

৪৪| ০৮ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৩:১২

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মীয় পোস্ট মানেই বিনোদনে ভরপুর।

০৮ ই মে, ২০২৩ রাত ১০:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্মের লাইনে চলে আসেন। আপনি বিভ্রান্ত।

৪৫| ০৯ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:৫৩

শায়মা বলেছেন: কিরকুট বলেছেন: ৩৬ টা মন্তব্য । সাল ২০২৩ । বিষয়ঃ জ্বীন । সত্যি সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ !
০৮ ই মে, ২০২৩ দুপুর ২:২৪১

লেখক বলেছেন: এই পোস্টে শায়মা আর মিরোরডডল নামে দুই পেত্নি আছর করেছে। দোয়া দরুদ না পড়লে এদের আছর যাবে না এই পোস্টের উপর থেকে। দোয়া দরুদে কাজ না করলে ওঝা ডেকে ঝাড়ু দিয়ে তাড়াতে হবে এদের।

দুই এক দিন আগে অপু তানভীর পোস্ট লিখেছিল কীভাবে পোস্টে মন্তব্য বাড়ানো যায়। ওনার বলা উচিত ছিল যে কোন ভাবে যদি পোস্টে পেত্নি বা পেত্নিদের আনা যায় তাহলে পোস্টের মন্তব্য এই ২০২৩ সালেও বেশী বৃদ্ধি করা সম্ভব।



হা হা হা হা হা এক্কেরে হাছা কথা ভাইয়ু!!!!!!!!!!!!!!!! :)


আমাদেরকে এখন ধুপ ধুনো দিয়ে পূজা করো...... ওপস না না শিন্নী মিন্নী ঝাঁড় ফুক বাটি চালান ঘটি চালান দিয়ে দাওয়াৎ করো যেন মন্তব্য অবধারিতরূপে বাড়িয়া যায় তা না উনি ঝাড়ু বাড়ু করছে!!

গাধা কাকে বলে!!! মন্তব্য বাড়ানোর এত সুন্দর সহজ পথ তানা উনি পেত্নী জ্বীনের ভয়েই শেষ!
জানতাম না তুমিও যে এক আস্ত গাধা...... B:-/

১০ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিদেশে থাকা পেত্নিটা ভাগছে কোন জীনের পিছে। আরেকটার লজ্জা শরম কম। তাই ঝাঁটা পিটা করলেও বারেবারে আসবে। এগুলিরে ডাকা লাগে না। এমনিই আসে। X((

৪৬| ০৯ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:৫৭

শায়মা বলেছেন: হা হা রানার ব্লগ ভাইয়ার ভিডিও জ্বীন দেখে আমার জ্বীনের উপর শ্রদ্ধা বেড়ে গেলো!! কি শক্তিমান জ্বীন আবার শিল্পীও বটে নাচা গানা করে!! অসম সাহসী! বাড়িটা বালিশে না দিয়ে অবশ্য পিঠের উপর দিলে বুঝতাম কত ধানে কত চাল!!!


আল্লাহর নামে বদমাইশ ওঝার যে শয়তানী দেখলাম তাতে আমার ওর ঠিকানা খুঁজে থাপ্পড় লাগায় আসতে ইচ্ছা করছে। X((

১০ ই মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পোস্টের পেত্নিদের তাড়াতে এই রকম ওঝাই দরকার। X(

৪৭| ১১ ই মে, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৭

ধুলো মেঘ বলেছেন: আজকালকার যুগে জ্বীন বিশেষজ্ঞ খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায়না। আপনাকে পেলাম, তাই কয়েকটা প্রশ্ন করি।
১। জ্বীনের সাথে মানুষের শারীরিক সম্পর্ক কিভাবে হয়? এদের তো রক্ত-মাংস তথা যৌনাঙ্গ বলে কোন কিছু থাকার কথা নয়। তাহলে তারা সেক্স করে কিভাবে?
২। নারী জ্বীন অর্থাৎ পরীদের সেক্সুয়াল এক্সাইটমেন্ট নাকি ভয়াবহ রকমের হয়। এরা যেসব ছেলেপেলেদের তুলে নিয়ে যায়, তাদের সাথে এত নিষ্ঠুরভাবে সেক্স করে যে তাদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট হয়ে ছিবড়া করে দেয় - এ ব্যাপারে কিছু জানেন কি?
৩। ধরলাম নারী জীনের জরায়ু আছে। তাতে কিভাবে সন্তান জন্ম হয়? পুরুষ জ্বীনের কি বীর্যপাত হয়? আমি জ্বীনের খাদ্যগ্রহণ এবং যৌন প্রক্রিয়া নিয়ে ব্যাপক আগ্রহী।
৪। জ্বীনেরাও কি ধর্ম প্রচারের কাজে নিয়োজিত? মানে খ্রিস্টান নারী পুরুষদেরকে ভয় দেখিয়ে মুসলিম বানানো কি তাদের কাজ?

১১ ই মে, ২০২৩ রাত ৮:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১। মানুষের সাথে জীনদের শারীরিক সম্পর্ক হওয়া সম্ভব কি না এই ব্যাপারে মতভেদ আছে। অনেকে বলেছেন হওয়া সম্ভব এবং হয়। অনেকে বলেছেন বাচ্চাও হয়। জীনের সাথে বিয়ের ব্যাপারে অনেকে বলেছেন হারাম আবার অনেকে বলেছেন জায়েজ আছে। তবে বেশীরভাগ আলেম বলেছেন জায়েজ নাই। তবে জীনেরা যে কোন আকৃতি ধারণ করতে পারে। মানুষের দেহের আকৃতি নিতে পারে। এরা মানুষের দেহের উপর ভর করতে পারে। তখন পুরো নিয়ন্ত্রণ জীনদের উপরে থাকে। জীন শয়তান মানুষের রক্তের শিরায় প্রবেশ করতে পারে। এই মর্মে সহি হাদিস আছে।

২ এবং ৩। নারী জীনদের মানুষের সাথে যৌনতার ব্যাপারে আমি তেমন কিছু জানি না। তুলে নিয়ে যায় শুনেছি। ফিরেয়ে দেয় এটাও শুনেছি। কিন্তু তুলে নিয়ে কি করে সেটা জানি না। তবে যেহেতু জীনেরা মানুষের আকৃতি ধারণ করতে পারে তাই মানুষের সাথে যৌন মিলন করা তাদের দ্বারা সম্ভব হতে পারে। নিশ্চিতভাবে বলতে পাড়ছি না। তবে অনেক স্কলার জীনদের সাথে যৌন মিলন অর্থাৎ বিয়ের কথা বলেছেন। জীনদের মধ্যে যৌনতার মাধ্যমেই বংশ বৃদ্ধি হয়। তবে বাচ্চা হয় কি না এটা আমার জানা নাই। যদিও এই ধরণের কথা প্রচলিত আছে। সত্যি কি না জানি না।

৪। জীনদের কাছে আমাদের রসূল (সা) ধর্ম প্রচার করেছেন। কোরআনে এবং হাদিসে এসেছে জীনেরা রসূলের (সা) কাছে এসে কোরআন শুনেছে এবং ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। তাই মানুষ যেমন জীনকে ইসলামের দিকে ডাকতে পারে একইভাবে জীনেরাও মানুষকে ইসলামের দিকে ডাকতে পারে। আমাদের রসূল (সা) জীন এবং মানুষ উভয়ের জন্যই রসূল ছিলেন।

৪৮| ১১ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:১৯

শায়মা বলেছেন: তুমি যে এত বড় প্রতারক যে দিকে পানি পড়ে সে দিকে ছাতি ধরা ইহা জানতাম না।


কয়দিন আগেই বললে আমি নাকি শ্রীদেবী আর আজকে পেত্নী!!!!!!!!!!


এক মুখে দুই কথা!! দু মুখা সাপ!!!!!!!!!! X((


তবে হ্যাঁ শ্রীদেবীর মরা আত্মা ভর করতে পারে। :)

১১ ই মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোথায় আগরতলা আর কোথায় চকির তলা। নিজেরে শ্রী দেবীর সাথে তুলনা করে নাকি? নাচতে জানলেই শ্রী দেবী হয় নাকি!!!!! :P আগে যা বলছি ভুল বলছি। একটা পেত্নীকে শ্রী দেবীর সাথে তুলনা কইরা শ্রী দেবীর অপমান করা ঠিক হয় নাই আমার।

চেহারা দেইখা শ্রী দেবী মনে করসিলাম। কিন্তু কাজ কাম পেত্নির মত। ওকে? X(

৪৯| ০৩ রা জুন, ২০২৩ রাত ১১:০৮

শার্দূল ২২ বলেছেন: পোস্ট পড়ে আমি খুব সিরিয়াস হয়ে গিয়েছিলাম বিশেষ করে সাচু ভাইয়ের জ্বিন নিয়ে মাথা ঝিম করা বিশ্লেষন দেখে। কিন্তু পাঠকদের হাস্য রসিকতা পড়ে সিরিয়াসনেস কেটে গেছে। তারপরও আমার নিজের কিছু অভিজ্ঞতা শেয়ার না করলেই নয়। যদিও পোষ্ট অনেক আগের, লেখকের চোখে পড়বে কিনা জানিনা।

ঘটনা -১ - আমার বয়স ৮/৯ হবে, আব্বু কাপাসিয়া বদলি। সরকারী ভবন তখনো কাজ শেষ হয়নি। আমরা শিতলক্ষা নদির কাছাকাছি একটা একতলা বাড়ি ভাড়া নেই। সামনে উঠোনে কাপড় রোদে শুকানোর জন্য একটা গুনার (লোহার) তার লাগানো, মাঝে একটা জয়েন্ট দেয়ায় সেখানে গরুর সিং এর মত দুইটা মাথা উঠে আছে, সন্ধ্যায় হঠাৎ বৃ্ষ্টি, আম্মু সব গুলো কাপড় একাসাথে ধরে টান দিয়ে দৌড়ে বাসায় ঢুকে গেছে। কিন্তু আপুর সাধা জর্জেট ওড়নাটা ঐ জয়েন্টে ফেশে গেছে। ওড়না এক মাথা একদম মাটিতে ওন্য মাথা ঐ সিং এর মত জয়েন্টে লেগে ঝুলে আছে। রাত ৯ টা বৃষ্টি শেষ, ভরা পুর্নিমা চাঁদ। ওড়নায় চাদের আলো সাক্ষাৎ জ্বিন হয়ে দাড়িয়ে আছে। বড় রাস্তার পাশেই আমাদের বাসা ছিলো, যারাই আমাদের উঠোনে জ্বিন দেখছে তারাও গতি বাড়িয়ে ভোঁ-দৌড়। একজনের দয়া হলো সে আমাদের জানালা দিয়ে টোকা মেরে আমাদের সাবধান করে দিলো যেন আমরা উঠোনে না যাই। ভালোই ছিলাম আমরা বাইরের খবর না জেনে, জানালা দিয়ে উকি মেরে আমরাও তাই দেখে দুই ভাইবোন আম্মুর বুকে, আম্মু আমাদের ঘরের এক কোনায় গিয়ে দোয়া দরুদ যা ছিলো সব হাজির করে আমাদের ফুঁ দিচ্ছে। আব্বু আসলো রাত ১১ টায়, আমাদের মুখে সব শুনে বাইরে গিয়ে আপুর ওড়না এনে আম্মুর দিকে ছুড়ে মেরে বললো এই নাও তোমাদের জ্বিন। ঐদিন ঐ পথে যত মানুষ ঐ জ্বিন দেখেছে সবাই সারা জীবন বলে বেড়াবে তার এই মহাবীর দুর্বলসিংহের ভোঁদৌড়ের কাহীনি।

ঘটনা ২- আমি একটা গ্রামে বাঁশ ঝাড়ের ভিতর দিয়ে পথ ধরে মটরসাইকেলে যাচ্ছি। হঠাৎ দেখলাম একটা মানুষের কব্জি পর্যন্ত হাতের আঙ্ুল গুলো আমাকে ইশারা দিয়ে তার দিকে ডাকছে। শুধু হাত, শরীর নাই। আমি এসবে ভয় না পাওয়া মানুষটাও কিছু সময়ের জন্য আমার নিওরোর আতংকে পড়ে গতি বাড়িয়ে অনেকটা দুর চলে আসলাম, হঠাৎ মনে হলো আমাকে জনতেই হবে বিষয়টা কি, যা ভেবে ভয় পেয়েছি তা আমার দুনিয়াতে এক্সিষ্ট করেনা, গেলাম ফিরে সেই জায়গায়। বাশ ঝাড়ে ভিতরে গিয়ে দেখি ওটা ছিলো একটা বাশের শুকনো বাকল, উপরের মাথা সূচালো হয় আর নিচের অংশ শুকিয়ে গোল হয়ে হাতের কব্জির মত দেখায়। উপরের মাথা শুকিয়ে যাওয়া ফেটে ফেটে অনেক গুলো পার্ট হলে তা কিছুটা আঙুলের মত দেখায়। আর সেটা গিয়ে পড়লো মাকড়সার জালে। অনেকটা ঢেঁকির মত বাতাসে উঠা নামা করছে যা দেখে মনে হচ্ছে আমাকে ইশারায় ডাকছে। আমি না হয়ে যদি অন্য কেউ হতো সেটাকে আজীবন জ্বিন বা ভুত ভেবে নাতি নাতনিদের সাহসিকতার গল্প শোনাতে কিছুটা আ্যডভেঞ্চার বানিয়ে।

আরো ঘটনা নিয়ে ফিরবো। তবে যাবার আগে জ্বীন বিষয়ে মুসলিম ধর্মে কি আছে সেটা আমরা দেখি। আমাদের একটা বিষয় জানতে হবে যে কোরান শেষ পর্যন্ত অবতির্ন হবার পর পৃথিবী থেকে অলৌকিকতা সরিয়ে ফেলেছেন । আল্লাহ কোরান দেয়ার পর অলৌকিকতা কে পাশ কাটিয়ে মানুষ যেন তার মেধা দিয়ে আল্লাহর সৃষ্টি কর্ম বুঝে। এই জন্য শিক্ষা এবং শিক্ষিত মানুষ আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয়। একটা মানুষ যত বেশি সৃষ্টিশীল হবে আল্লাহর মর্যাদা ততই বাড়বে। ধরুন আপনি যদি একটা রোবট তৈরী করেন সেই রোবট যত বেশি ইন্টিলিজেন্ট হবে আপনি তত বেশি খুশি হবেন, ঐ রোবট যদি আরেকটা রোবট বানায় তাহলে আপনি আরো বেশি হ্যাপি হবেন। আল্লাহর বেলায় ঠিক তাই। আল্লাহ চান মানুষ ফু তাবিজ কাবিজ অলোকিকতা এসব থেকে বের হয়ে প্র্যাকটিক্যাল হোক। লজিক হোক, । তাই জ্বীন থাকুক তাদের জায়গায়। মানুষ থাকুক মানুষের জায়গায়। সেই জন্যই আল্লাহ কোরানে বলছেন জ্বীনকে দেখার মত ক্ষমতা মানুষের নাই বাট জ্বীন আমাদের দেখতে পায় কিন্তু জ্বীন ভিন্ন মেটালের তৈরী যারা আমাদের জগতে কোন ভাবেই প্রভাব বিস্তার করতে পারবেনা। এবং আমাদের ও তাদের উপর প্রভাব বিস্তার তো দুরের কথা তাদের দেখারও ক্ষমতা নেই। আমাদের মধ্যে জ্বিন নিয়ে ভুল তথ্য আসছে হাদিস থেকে। সেটা নিয়েও পরের পর্বে বলবো। আর কোরানে সোলায়মান নবীর জ্বিন নিয়ে ঘটনায় মানুষ মনে করে সেই ক্ষমতা আমাদেরও আছে, নবীদের কিছু বিশেষ ক্ষমতা থাকে। যেমন ইশা নবী মৃত মানুষ জীবত করতেন। এমন কিছু।

ফিরছি ...

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ১১:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরের প্রতি মন্তব্যে আপনার দুইটা মন্তব্যের জবাব একসাথে দিয়েছি। তাই পরের প্রতি মন্তব্য দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

৫০| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ১:৫৫

নতুন বলেছেন: জ্বীনের বিশ্বাসের ফয়দা নিয়ে মানুষ শুরু থেকেই ধান্দা করছে।

কোরানে জীনের কথা আছে সেটা মেনে নিন সমস্যা নাই কিন্তু ঐ জ্বীনই যে মানুষকে সমস্যা করছে সেটার কোন প্রমান নাই।

গ্রামে আগে মানুষ হত্যা করে জ্বিন,ভুত,পিচাশের নামে চালিয়ে দিতো। তাই সমাজের প্রভাবশালীরা চাইতো যে জ্বীনের উপরে এইসব গুজব চালু থাকুক।

আমি একটা ব্লগ লিখেছিলাম যে জ্বীনের আছরের মতন সিম্পটমের রোগী বিশ্বের অনেক দেশেই আছে। কিন্তু তাদের চিকিতসা আলাদা।

হিন্দু পুরহিত সংস্ক্িত মন্ত্র পড়ে,
মুসলমান কোরানের আয়াত পাঠ করে
খৃস্টান জিসাসের দোহায় দেয়
আফ্রিকার আদিবাসীরা হুলাহুলা নৃত্ত করে হুরুক্কুর কাছে প্রার্থনা করে

কিন্তু মজার বিষয় হইলো সকল সমাজেই উপরে বর্ণতি পত্বতীতে কাজ কিন্তু হয়।

তাহলে সমস্যা মানুষিক জ্বীন না, জ্বিন তো আর সংস্কত মন্ত্রে যাবার কথা না? তাইনা<<<<

জ্বীনের নামে সমাজে যা হয় তা পুরাই ধান্দাবাজী । আরকিছুই না।...

০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ১১:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি তো ফেরেশতাও বিশ্বাস করেন না। তাই আপনাকে জীনের অস্তিত্ব বুঝানোর কোন মানে হয় না। ফেরেশতা বিশ্বাস করলে জীনও বিশ্বাস করা সহজ।

৫১| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৪২

শার্দূল ২২ বলেছেন: ঘটনা ৩- আমাদের গ্রামের বাড়ি বলতে ফুফুর বাড়ি যাওয়া হতো। ভোরে নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় দেখি ধান ক্ষেতের মাঝ দিয়ে হ্যারিকেন নিয়ে শফি ভাইয়ার বউ কান্না করছে আর বলছে জুয়েলের বাপ আপনে কই, আমি এবং সাথে যারা ছিলো তারা দৌড়ে গেলাম, শফি ভাইয়া খালের মধ্যে বাধ দিয়ে এক পাশে পানি ফুলিয়ে অন্য পাশে হালকা করে পানি ছেড়ে জাল বসিয়ে সারা রাত মাছ ধরতো। কিন্তু আজকে দেখা গেলো তার হ্যারিক্যন পানির মধ্যে মাছের ঝুলিটাও খালি, তখন ধান গাছ মাত্র সবুজ হয়ে উঠছে। ওনাকে সেখান থেকে কে বা কাহারা টেনে নিয়ে যাওয়া বুঝা যাচ্ছে ।ধান ক্ষেতের মাঝ দিয়ে কাউকে টেনে নেয়া হলে যেমন হয় তেমন। আমরা সেই পথ ধরে হেটে হেটে অনেক দুর গিয়ে দেখি শফি ভাইয়া গলায় গামছা পেছানো উপর হয়ে পড়ে আছে। এত গুলো মানুষ একসাথে হৈ হৈ করে উঠলো এবং ওনাকে তোলা হলো, উনি হঠাৎ চোখে খুলে কেমন যেন ভয় পাচ্ছে সবাইকে আর বলা হচ্ছে আমাকে ছেড়ে দাও আমি আর মাছ ধরবোনা। যাইহোক আমরা ওনাকে ওনার বাড়ি পর্যন্ত আনলাম।

সবাই বুঝলো এটা জ্বিন ভুতের কাজ আমি ছাড়া, তারা মাছ খায়, তার উপর খালের ওপাড়ে কবরস্থান। সেরাজ হুজর আসলো, উনি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে বললো ওনেক খারাপ জ্বীন।
সেরাজ হুজুর কিছু আঘাৎ করার জিনিশ ধুপ ধোয়া লাঠি বেত শরিষার তৈল সহ হাবিজাবি সব নিয়ে বসলেন সফি ভাইয়া সামনে।

শফি ভাইয়ার একটা আংগুল দুইটা কলমের মাঝে রেখে সিজারের মত করে চাপ দেয়া হচ্ছে উনি চিৎকার করছেন আর ওনাকে প্রশ্ন করা হচ্ছে-

হুজুর - তোর নাম কি ?
শফি ভাইয়া- আমার নাম শফিউল্লাহ।
হুজুর- ধমক দিয়ে বল্লো - আরে এটা আমার রুগির নাম ,তোর নাম বল এই বলেই ওনার আংগুলে চাপ।
( এই চাপ কি জিনিশ বুঝতে হলে এখনি দুটো কলম বা পেন্সিল নিন, দুইটার এক সাথে করে এক সাইডে বাধেন, আর মাঝে আপনার একটা আংগুল দিয়ে চাপ দেন তারপর বুঝবেন কত ধানে কত আটা । আপনাকে এইভাবে চাপ দিয়ে ধরে যদি বলা হয় আপনি শেখ মুজিব কেন হত্যা করসেন আপনি বলবেন ওনার গোফ আমার ভালো লাগতোনা তাই মেরেছি)

শফি ভাইয়া - ছাড়েন ছাড়েন, আমার নাম বাদশা । ( শফি ভাইয়া বুঝে গেছে নিজের নাম আবার বল্লে আমার নাম সহ আমার বাপের নাম ভুলিয়ে দিবে এই হুজুর। তাই নাম পরিবর্তন। )
হুজুর- তোরা কয়জন ?
শফি ভাইয়া- আমি একা, ( হুজুর আবার চাপ দিলো) , না না আমরা ১১ জন।
হুজুর- কোথায় থাকিস ?
শফি- নিজের বাড়ির দিকে ইশারা দিয়ে বলললো এখানে, (হুজুর চাপ দিলো) না না আমি বড় ব্রিজের নিচে থাকি।
( এমন অনেক কাবিরাজি করা হচ্ছে শফি ভাইয়ার সাথে যা আমি দেখছি দাড়িয়ে দাড়িয়ে। একদম শেষের দিকে চলে যাই।)

হুজুর - তোকে বতলে ঢোকানো হবে এখন যদি আমার রুগিকে না ছাড়িস। ( শফি ভাই সারা রাত আঘাৎ সহ্য করেছে, ঘুম হয়নি, একটা অজানা আতংক এখনো ওনার ব্রেইনকে অস্থির করে রেখেছে। তার উপর উনি ক্ষুধার্ত। এই অবস্থায় হুজুর যদি তাকে বিরিয়ানি খেতে বলে উনি ভাব্বে এটাও মনে হয় একটা শাস্তি হবে। তাই উনি যাই বলবে শফি ভাই না না করবে। বা স্বীকার করে নিবে।

সব শেষে হুজুর সবাইকে বললো আপনার কেউ একজন পিছনে গিয়ে বসেন, জ্বীন ছেড়ে দিলে উনি পড়ে যাবে, এটা শফি ভাইও শুনলো, ওনার ভিতরে একটা সান্তনা আসলো যাক আমাকে আর আঘাৎ করবেনা, আর আমি যদি ঢলে পড়ে না যাই তারা ভাববে আমার মধ্যে এখনো জ্বিন আছে আমাকে আরো মারবে। অত্যাচার থেকে বাচতে উনি ঢলে পড়লো, জ্ববিন চলে গেলো। উনি সুস্থ্য। হুজুর তার টাকা নিয়ে চলে গেলো ।

বিশেষ কারণে আব্বুকে পীরের মত মানে নবী ভাইয়া, নবী ভাইয়া হলো সফি ভাই যেখানে বসে মাছ ধরতো তার উল্টো দিকের জমির মালিক, সফি ভাইয়া যখন খালে বাধ দিতো তখন পানি জমে নবী ভাইয়ার জমি নরম হয়ে ভেঙে খালে পড়ে যায়। নবী ভাইয়ার কথা না শুনে সফি ভাই এই কাজ করে, ঐ দিন রাতে নবী ভাইয়া অন্ধকারে এসে শফি ভাইুাকে পিছন থেকে মুখ বেধে টেনে নিয়ে যায়, নবী ভাইয়া বাহুবলির কপি। শফি ভাইয়া অশিষ কুমার লৌহ। সুতরাং ওনাকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যপারনা।নবি ভাইয়া আব্বুর কাছে শফি ভাইয়ার নামে বিচার দিতে গিয়ে স্বীকার করেলো যে আমি এত বড় ভয় দেখালাম তবুও সে আবারো মাছ ধরছে ওখানে, চাচা আপনি একটু বলেন, আপনার কথা সে শুনবে।

ঐ ঘটনা আমি আমি আব্বু নবি ভাইয়া ছাড়া আর সবার কাছে আজকে পর্যন্ত জ্বীন হয়েই আছে। এভাবে আমাদের দুনিয়াতে জ্বিন এক্টিভ।
নতুন ভাই এখানে কিছু কথা বলছেন সেসব তো আছেই, গোষ্ট হান্টার নামে এখন ইউরপ আমেরিকায় টিভি প্রোগ্রাম হয়। কারণ মুসলিম ফু মেরে ভুত তাড়ায়, হিন্দু ত্রিশুল দিয়ে খোচা মারে ভুতের পাছায়, এখন খ্রীষ্টান ধর্মের কোন পাওয়ার থাকবেনা তা কিভাবে হয়।? ওনারা বের করলো ক্রস। তার উপর এইছবিও গোষ্টা হান্টার নামে সিরিয়াল কোটি কোটি ডলার আয়তো আছেই।

সব শেষ আমরা আশারাফুল মাখলুকাত, আমাদের কে হত্যা বা খেয়ে ফেলার মত বড় বড় জীব জানোয়ার আছে কিন্তু আমাদের মধ্যে প্রবেশ করে তাদের মত করে আমাদের নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা আল্লাহ কাউকে দেননি।

জ্বীন হাজিরা আর তাকে দিয়ে কাজ করানো সম্ভব হলে সর্বপ্রথম খালেদা জিয়া জ্বীন দিয়ে শখে হাসিনাকে মেরে ফেলতও। অথবা উঠিয়ে নিয়ে বান্দবন ছেড়ে দিতো।

ভালো থাকবেন।


০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশে অনেক সময় মানসিক রোগীকেও বলা হয় যে তাকে জীনে আছর করেছে এবং চিকিৎসা না করিয়ে ঝাড় ফুক করা হয়। এটা অন্যায়। আবার এটাও ঠিক যে জীন মানুষের শিরায় প্রবেশ করতে পারে। কারণ ইবলিস শয়তান নিজেই একটা দুষ্ট জীন। এটা পরিষ্কারভাবে বলা আছে সুরা আল কাহাফের ৫০ নাম্বার আয়াতের প্রথম অংশে;

“আর যখন আমি ফেরেশতাদের বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর। অতঃপর তারা সিজদা করল, ইবলীস ছাড়া। সে ছিল জিনদের একজন।“

আবার ইবলিস শয়তান (জিন) মানুষের শিরায় প্রবেশ করতে পারে। এটা বিভিন্ন সহি হাদিসে এসেছে। ইসলাম ধর্মের অনেক নিয়ম কানুন হাদিসের মাধ্যমে বর্ণিত হয়েছে। তাই ইবলিস শয়তান (জিন) বা জিন যে মানুষের উপর প্রভাব ফেলতে সক্ষম সেটা আমরা সহি হাদিস থেকে জানতে পারি। কোরানেও আছে। শয়তান আমাদের কু মন্ত্রনা দেয় এটা আমরা নিজেরা বুঝতে না পারলেও আমাদের মগজে শয়তানের প্রভাব আছে। যার কারণে মানুষ খারাপ কাজ করে ফেলে। আমাদের প্রত্যেকের সাথে একটা জিন আছে এই মর্মে সহি হাদিস আছে। এই জিন বলতে ইবলিস শয়তানের সাঙ্গোপাঙ্গকে বুঝায়। শয়তান এক ধরণের জিন ছাড়া আর কিছু না। তাই বোঝা যাচ্ছে জীন জাতি মানুষের শরীর এবং মনের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। জীনকে তার আসল রূপে মানুষ দেখতে পায় না এটা ঠিক। কিন্তু অনেক সহি হাদিসে এসেছে যে, জীন জাতি মানুষ এবং বিভিন্ন প্রাণীর আকৃতি ধারণ করতে পারে।

আপনার দুইটা বড় মন্তব্য পড়েছি। আপনি বলতে চেয়েছেন যে জীনের অস্তিত্ব থাকলেও মানুষের উপর জীনের কোন প্রভাব নাই এবং মানুষের পক্ষে জীনকে দেখা সম্ভব না। দুইটা মন্তব্যের জবাবে আমি উপরের কথাগুলি বলেছি। অনেক সহি হাদিস আছে জীনদের ব্যাপারে। এখন কেউ যদি সহি হাদিস না মানে তাহলে কথা বলে লাভ নেই। আর কোরআনে পরিষ্কারভাবে বলা আছে যে ইবলিস শয়তান হোল জীন জাতির সদস্য। সুরা বাকারার ২৭৫ নাম্বার আয়াত পড়লে বুঝতে পারবেন যে শয়তানের স্পর্শে মানুষ বিভ্রান্তির মধ্যে পরে যায়। অর্থাৎ মানুষ স্বাভাবিক চিন্তা শক্তি হারায়। শয়তান যা পারে জীনেরাও তা পারে কারণ শয়তান নিজেই জীন জাতির সদস্য।

জীনের অস্তিত্ব মানতে হবে তবে সবাইকে জীন দেখতে হবে এমন না। আসলে আমরা সবাই একটা জীন শয়তানকে সাথে নিয়ে ঘুরছি কিন্তু আমরা বুঝতে পারি না। শয়তান আমাদের কু মন্ত্রনা দেয় এটা কি আমরা কখনও বুঝতে পারি কিংবা শুনতে পাই? পাই না। কিন্ত শয়তান কু মন্ত্রনা দেয় এটা কোরআনে আছে। তাহলে কীভাবে দেয়? তাই বলা যায় জীন শয়তানের কিছু বিশেষ ক্ষমতা আছে যার দ্বারা আমরা প্রভাবিত হই। জীনদের অনেক শক্তি আছে এবং এরা অত্যধিক দ্রুত গতি সম্পন্ন। মানুষ বা প্রাণীর রূপে এরা মানুষের কাছে আসতে পারে। এই কথা কোরআনে না থাকলেও বহু সহি হাদিসে এসেছে। তখন এদের দেখা যায়। এদের আসল রূপে আমরা জীনদের দেখতে পারি না। আপনার দুইটা বড় মন্তব্যের জবাব এক সাথে দিলাম।

কোরআনে আছে জীন মানুষকে কুমন্ত্রনা দিতে পারে। আর হাদিসে আরও বিস্তারিতভাবে বলা হয়েছে যে জীন মানুষ এবং প্রাণীর রূপে দৃশ্যমান হতে পারে।

৫২| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:



শার্দূলের মেনশন করা সবগুলো ঘটনা মজার ছিলো।

নতুনও ঠিক বলেছে, একশ্রেণীর ভণ্ড ব্যবসায়ীরা এর সুযোগ নিচ্ছে।
গ্রামে Epilepsy রোগীদের বলে জিনের আছর।
প্রপার চিকিৎসা না করে এইসব ঝাড়ফুঁক করে।

১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআনে বলা হয়েছে যে ইবলিস শয়তান একটি জীন। আবার কোরআনে আছে যে খারাপ জীন বা শয়তানের সাহায্যে যাদু করা হয়। যাদু সত্যি এটাও কোরআনে আছে। জাদুর সাহায্যে মানুষের ক্ষতি করার কথা কোরআনে আছে। যাদু করলে সেটা থেকে মুক্তির উপায়ও কোরআনে বলা আছে। তাই কিছু মানুষ খারাপ জীনের জাদুর সাহায্যে মানুষের ক্ষতি করে। এছাড়া সহি হাদিসে জীন এবং যাদু নিয়ে অনেক বর্ণনা আছে।

তবে আমাদের দেশে জীনের আছর বলে অনেক রোগকে আড়াল করা হয় যেটা একটা অন্যায়।

৫৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ১১:২৭

শার্দূল ২২ বলেছেন: আপনার জবাব গুলো পড়ে আমি নিশ্চিৎ আমি আপনাকে বোঝাতে পারবোনা, তাই প্রতি উত্তর দিতে চাইনি কিন্তু পাঠকের জন্য দিতে হলো।

আমি আগেই বলেছি এই জ্বীন বিষয়ে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা আসছে হাদিস থেকে

আবু হুরায়ারা মানে বিড়ালের বাপ। উনি একজন সাহাবি, নবিজির খুব কাছে কাছে থাকতেন ওনার সেবা করতেন, ওনার বর্নিত হাদিস অনেক, উনি একটু শিশুতোষ ধরণের ছিলেন, এটা সেটা নিয়ে যেতেন খেয়ে ফেলতেন। এমনি একদিন নবিজজির জন্য রাখা মিল্ক উনি খেয়ে ফেলেন। নবীজির চোখে ধরা পড়ে গেলে নবীজির তার নাম রেখে দিলেন আবু হুরায়রা। মানে বিড়ালের বাপ।

সেই আবু হুরায়রা কাছে নবিজি কিছু যাকাতের খেজুর পাহারার দায়িত্ব দেন, পরপর দুই রাত খুেজর জ্বিনে খেয়ে ফেলেছেন বলে নবিজিকে জানান, নবিজি ভালো করেই জানতেন যে এই কাজ কে করেছে। তাই নবিজি তাকে বললো আবার যদি আসে সেই জ্বিন তাকে নিয়ে আসবে আমার কাছে। পরের রাতে আবার সেই একি কাজ, কিন্তু আবু হুরায়রা একটু চালাকি করে বললো - আজকে জ্বীন আসছইলো কিন্তু সে আমাকে একটা দোয়া শিখিয়ে দিয়ে বলেছে আজকে থেকে আয়াতুল করুসি পড়ে ঘুমাবা আর কেউ তোমার খেজুর খেতে পারবেনা। এই বলে জ্বিন চলে গেছে। তাই আপনার কাছে আনতে পারিনি, নবিজির মুসকি হেসে চলে গেলেন।

সাচু ভাই ধর্ম অনেক বিশাল বিষয় এবং অনেক স্পর্সকাতর। এখানে বসে দুই চার লাইন দিয়ে আমি আপনাকে বোঝাতে পারবোনা। আমি যতটুকু বুঝেছি তা আমার লেগেছে টানা ১২ বছর। এবং দুনিয়া প্রায় সব গুলো ধর্ম গ্রন্থ্য সহ নিজের কোরান এবং এবং ছয় হাদিস নবিজির সিরাত এর আদ্যপ্রান্ত পড়েও আমার নিজেরই অনেক জবাব মিলেনি। আপনার কথার জবাব আমি দিলেও আপনার মন মেনে নিবেনা। কারণ আমরা যা শুনে আসছি তার বিপরিতে যেতে চাইনা। মন মানেনা। আমরা যা দেখে অভ্যস্থ্য তার বাইরে আমাদের মন চোখ বন্ধ হয়ে আসে, জাফর ইকাবল স্যার এত মেধা জ্ঞান তারপরও উনি যদি তার গোফ ফেলে দেন এর পরে উনি বাইরে যেতে পারবেন কিনা আমার সন্দেহ। আমরা গোফ ছাড়া জাফর ইকবাল স্যার কে দেখতে চাইনা।

কোরাণের যেই লাইন আপনি বলেছেন সেখানে কি এটা মিন করে জ্বিন আপনাকে নিয়ন্ত্রন করে?

আর শয়তান? শুনেন শয়তান আল্লাহ দিয়েছে দিক ,আমি আমার ভালো মন্দ সব কাজের দায় আমার নিজের উপর দেই । কারণ আমার খারাপ কাজের দায় শয়তান নিলে তাহলে আমার ভালো কাজের দায় আমার থাকবেনা।সেটাও কেউনা কেউ নিয়ে নেবে, তাই আমার খারাপ কাজের দায় টুকু আমার নিয়ে আমি অনুতপ্ত হবো এবং ভালো কাজের দায় ১০০ ভাগ আমার হলেই আমি জয়ী। তাই শয়তান আছে কি নাই আমার কোন মাথা ব্যথা নাই।

হাদিস- এই নিয়ে আপনাকে এক কথায় বলতে পারবোনা, তবে একটু বোঝার জন্য বলি- হাদিস হলো আমাদের ইসলামের ইতিহাস। যেমন আমাদের মুক্তি যু্দ্ধের ইতিহাস। হাদিস পড়ে আমরা ইসলাম নবিজির জীবনি জানবো। সেটা দিয়ে আমরা বিভাজন তৈরী করবোনা। ভাবছি এই নিয়ে আগে বাড়বো কিনা, ভেবে দেখি......

আপনার লেখা আমার ভালো লাগে তাই নিজেকে শেয়ার করতেও ভালো লাগে। অবস্থার উপর ফিরে আসবো হয়তও

ভালো থাকবেন।

০৬ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শার্দূল ভাই আমি দুই এক দিন পরে আপনার এই মন্তব্যের জবাব দিব। একটু ব্যস্ত আছি। :)

১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে কেউ যদি সহি হাদিস বিশ্বাস না করে বা আংশিক বিশ্বাস করে তাহলে তার সাথে ইসলাম নিয়ে আলাপ করা যায় না। অর্থাৎ আলাপ করে কোন লাভ হয় না। ইসলামের প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ বিধানের বিস্তারিত জানতে হাদিসের প্রয়োজন হয়। আমাদের রসূলকে (সা) যাদু করা হয়েছিল। উনি এই কারণে অনেক দিন অসুস্থ ছিলেন। এই ব্যাপারে সহি হাদিস আছে। সুরা ফালাক এবং সুরা নাস নাজিল হয়েছিল এই কারণে। সুরা ফালাকে পরিষ্কারভাবে গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিনীদের অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে বলা হয়েছে রসুলকে (সা)। তাই জাদুর সাহায্যে মানুষের ক্ষতি করা যায়। এই জাদুর শক্তি আসে জীন শয়তানের মাধ্যমে। ইবলিস শয়তান এক ধরনের জীন এটা আগেই বলেছি যার উল্লেখ কোরআনে আছে। তাই খারাপ জীন মানুষের ক্ষতি করতে পারে। যাদুতে সাহায্য করে জীন শয়তান। সুরা বাকারার ১০২ নাম্বার আয়াতে আছে;

'আর তারা অনুসরণ করেছে, যা শয়তানরা সুলাইমানের রাজত্বে পাঠ করত। আর সুলাইমান কুফরী করেনি; বরং শয়তানরা কুফরী করেছে। তারা মানুষকে যাদু শেখাত এবং (তারা অনুসরণ করেছে) যা নাযিল করা হয়েছিল বাবেলের দুই ফেরেশতা হারূত ও মারূতের উপর। আর তারা কাউকে শেখাত না যে পর্যন্ত না বলত যে, ‘আমরা তো পরীক্ষা, সুতরাং তোমরা কুফরী করো না। এরপরও তারা এদের কাছ থেকে শিখত, যার মাধ্যমে তারা পুরুষ ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাত। '

তাই যাদু সত্যি এবং এই যাদু করা হয় জীন শয়তানের সাহায্যে। জাদুর সাহায্যে স্বামী স্ত্রীর বিচ্ছেদ ঘটানোও সম্ভব।

শয়তান মানুষকে খারাপ পথে নিতে পারে। হয়তো সবাইকে পারে না কিন্তু অনেককেই পারে। এই কারণে কোরআনে শয়তানের কু মন্ত্রনা থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে বলা হয়েছে। শয়তানের প্রলোভনে আমরা বিপথে যাই অনেকেই।

এছাড়া খারাপ জীনের প্রভাব সংক্রান্ত অনেক সহি হাদিস আছে। আপনি এগুলি বিশ্বাস না করলে সমস্যা।

৫৪| ০৫ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি তো ফেরেশতাও বিশ্বাস করেন না। তাই আপনাকে জীনের অস্তিত্ব বুঝানোর কোন মানে হয় না। ফেরেশতা বিশ্বাস করলে জীনও বিশ্বাস করা সহজ।

আমি বিশ্বাস করেনা তাই বলে জ্বীন নিয়ে যেই ধান্দাবাজী চলছে সেটা বোঝার চেস্টা করবেন না সেটা কেমন কথা?

জ্বীন নিয়ে যেটা আপনি বলছেন সেটা অন্ধবিশ্বাসীদের মতন কথা।

কোরানে জ্বীন আছে আপনি জ্বীন আছে মেনে নিন। সেটা ঠিক আছে সেটা আপনার ব্যপার। সেটা নিয়ে আমি প্রশ্ন করছি না।

কিন্তু জ্বীন যে সমাজে যত অলৌকিক কাজ বা ঘাপলার কাজ গুলি জ্বীন করছে সেটার প্রমান কি?

উপরে শার্দূল ২২ ভাইয়ের কাহিনি গুলিতে বুঝতে পারছেন যে জ্বীনের নামে যেই সব ঘটনা প্রচার হয় তার সত্যতা কতটুকু?

অন্ধবিশ্বাসীদের উপরে বাটপারী করতেই বর্তমানে অনেক মানুষ ধর্মকে ব্যবহার করে।

১০ ই জুন, ২০২৩ রাত ১২:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি শার্দূল ভাইকে এবং মিরোরডডলকে করা প্রতি মন্তব্যগুলি দয়া করে পড়বেন। আমি বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি। আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর পাবেন। আপনি জীন বা ফেরেশতা কোনটাই বিশ্বাস করেন না। তাই আপনার সাথে জীনের ক্ষতিকর দিক আলাপ করার কোন মানে হয় না।

তবে আমাদের দেশে জীনের আছরের নামে অপ চিকিৎসা করা হয় ভণ্ড ধার্মিকদের দ্বারা। তবে প্রকৃত জীনের আছরও আছে এবং যাদু সত্যি। কোরআন হাদিসে এগুলির উল্লেখ আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.