নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ১০ বছরের কিশোর ছেলেও মুক্তিযুদ্ধ করেছে। ১৪-১৫ বছর বয়সের কিশোরী মুক্তিযুদ্ধ করেছে, মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেছে বা মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন বাঁচিয়েছে এই রকম ঘটনাও আছে। অল্প বয়সী (১২ থেকে ১৫ বছরের) মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা খুব বেশী হয়তো হবে না সেই কারণেই বোধ হয় তাদের সম্পর্কে তেমন লেখালেখি হয় না। এতো কম বয়সী কিশোর বা কিশোরীদের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়াটা তাদের বয়সের কারণেই আমাদের মনে আলাদা একটা শ্রদ্ধা বা ভালোবাসার জন্ম দিয়েছে। আমাদের সামু ব্লগে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা আছেন যেমন ব্লগার ডঃ এম এ আলী, ব্লগার আহমেদ জি এস, ব্লগার কামাল১৮, ব্লগার সোনাগাজী প্রমুখ। ওনারা হয়তো কিশোর ছিলেন না ঐ সময় তারপরও মুক্তিযুদ্ধ করার জন্য ওনাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় বা ব্লগে কিশোর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে কিছু লেখা এসেছে। সেই সূত্রগুলি থেকে আমি অনেক কিশোর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে থেকে মাত্র কয়েকজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধার কথা নীচে সংক্ষেপে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
১। কিশোর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ূন কবির (সামুর ব্লগার জুলভার্ন ভাই)
জুল ভার্ন ভাইয়ের আসল নাম সম্ভবত হুমায়ূন কবির। উনি এই ব্লগের একজন পুরানো, শ্রদ্ধেয় এবং গুণী ব্লগার। যারা অনেক দিন সামুতে আছেন তারা ওনার সম্পর্কে ভালো করেই জানেন। আমিও ওনার মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ সম্পর্কে সামু ব্লগে ওনার পোস্টগুলি থেকেই জেনেছি। সম্প্রতি উনি ওনার সব পোস্ট ড্রাফ্টে নিয়ে গেছেন। যার কারণে আমি স্মরণ শক্তির সাহায্য নিয়ে লেখার চেষ্টা করছি। তবে স্মরণ শক্তির দুর্বলতার কারণে কিছু ভুল হয়ে যেতে পারে। ১৯৭১ সালে তিনি ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজে অষ্টম শ্রেণী ছাত্র ছিলেন। একই কলেজে উঁচু ক্লাসে ওনার একাধিক কাজিন ছিলেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানে ৪ টা ক্যাডেট কলেজ ছিল - ফৌজদারহাট, ঝিনাইদহ, রাজশাহী এবং মোমেনশাহী (পরবর্তীতে মোমেনশাহীর নাম রাখা হয় মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ)। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন ক্যাডেট কলেজগুলির ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের উল্লেখযোগ্য ভুমিকা ছিল। অনেকে শহীদ হয়েছেন।
হুমায়ূন ভাই (ব্লগার জুল ভার্ন) ১৯৭১ সালে কলেজের বড় ভাইদের সাথে (যার মধ্যে ওনার এক বা একাধিক কাজিনও ছিল) মুক্তিযুদ্ধে চলে যান। ওনার বয়স তখন বেশী ছিল না। মাত্র অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিলেন। বয়স কম হওয়ার কারণে উনি মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করতেন। যেমন রেকি করা, অস্ত্র এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যাওয়া, গোপনে পাক সেনা, রাজাকার, আলবদরদের খবর সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া ইত্যাদি। ওনাদের বৃহত্তর পরিবারে ঐ সময়েই বেশ কয়েকজন সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন। এছাড়া কয়েকজন কাজিন ক্যাডেট কলেজে পড়তেন।
জুল ভার্ন ভাইয়ের আপন কোন ভাই নেই। একজন বড় বোন ছিলেন যাকে উনি বুবু বলতেন। তিনিও কম বয়সে মারা যান। জুল ভার্ন ভাইয়ের জন্মের সময়েই ওনার মা প্রসব পরবর্তী খিচুনির (একলামশিয়ায়) কারণে মারা যান। তাই জন্ম থেকেই তিনি মাতৃস্নেহ বঞ্চিত ছিলেন। ওনার বিভিন্ন লেখা এবং মন্তব্যে ওনার মা হারানোর কষ্ট ফুটে উঠেছে। যার কারণে ওনার এই বুবুকে উনি ভীষণ ভালোবাসতেন। ওনার সম্ভবত আরও সৎ ভাই বা বোন আছে। ওনার দেশের বাড়ি বৃহত্তর বরিশালে (সম্ভবত পটুয়াখালী)। উনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক এডমিনিসট্রেশনের ছাত্র ছিলেন। প্রথম জীবনে বড় প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরী করতেন। এখন সম্ভবত ইন্ডেটিং ব্যবসার সাথে জড়িত আছেন। পরবর্তীতে রাজনৈতিক রোষানলে পড়েছেন এবং নিপীড়িত হয়েছেন।
জুল ভার্ন সামু ব্লগে প্রচুর পোস্ট দিয়েছেন। ওনার পোস্টগুলি বেশ উন্নত মানের ছিল। জুল ভার্ন ভাই দুই মাস আগে সামু ব্লগে ওনার সব পোস্ট ড্রাফ্টে করে ফেলেছেন। কোন কারণে রাগ করে উনি এই কাজ করেছেন বলে মনে হয়। আমরা আশা করবো উনি রাগ ভুলে আমাদের টানে আবার ব্লগে লেখা শুরু করবেন।
কিশোর বাংলা ডট কমের সুত্রে আরও কয়েকজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধার মুক্তিযুদ্ধের কাহিনী প্রায় সরাসরি পত্রিকা থেকে নীচে দেয়া হোলঃ
কিশোরী মুক্তিযোদ্ধা পুতুল
রাজশাহী অঞ্চলে পুতুল নামের ১৪ বছরের গ্রাম্য কিশোরী, ওদের বাড়িতে মাঝে মাঝে বিভিন্ন অস্ত্র রাখা হতো। মাঝে মাঝে মেয়েটি অস্ত্রগুলোতে লেগে থাকা কাদা পরিষ্কার করে দিত। এক মুক্তিযোদ্ধা মেয়েটিকে শিখিয়েছিল কিভাবে গ্রেনেড চার্জ করতে হয়। একদিন সেই বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা। হঠাৎই পাকবাহিনী ও এ দেশীয় দোসর রাজাকার আক্রমণ করে ওই বাড়িতে। অপ্রস্তুত মুক্তিযোদ্ধাদের রক্ষার্থে মেয়েটি ঘরের দোতলা থেকে পরপর দুটি গ্রেন্ড চার্জ করে বসে!
ততক্ষণে মুক্তিযোদ্ধারা প্রস্তুত হয়ে সম্মুখ সমরে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং মুক্তিযোদ্ধাদের কোন প্রকার ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিল। অসম সাহসীকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছিলেন কিশোর রমজান, নুর মোহাম্মদ, শশীলাল, বলাইদের মতো অনেক কিশোর।
কিশোর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম লালু
বীরপ্রতীক খেতাব পাওয়া এমনি আরেক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা লালু। উপরের ছবিতে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধা লালুকে কোলে নিয়েছেন দেখা যাচ্ছে। পুরো নাম শহীদুল ইসলাম। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। টাঙ্গাইলের দামাল কিশোর। অসীম সাহসের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের নানা রকম সাহায্য-সহযোগিতা করেন। লড়াই করেন গোপালপুর, ভুঞাপুর, মধুপুর ও নাগরপুরের বেশ কয়েকটি রণাঙ্গনে। অথচ মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে দলেই নিতে চাননি প্রথমে। ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াতেন আর পাকিস্তানী বাহিনীর গোপন খবর এনে দিতেন মুক্তিযোদ্ধাদের। অনেক সময় তাঁর আনা তথ্য দিয়েই সাজানো হতো মুক্তিযোদ্ধাদের অপারেশন পরিকল্পনা। সবচেয়ে কমবয়সী বীরপ্রতীক খেতাব পেয়েছিলেন তিনিই। কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্য লালু ছিলেন একেবারে পুঁচকে এক মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭২ সালের ২৪ জানুয়ারি। টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী স্কুলে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র জমা দেয়ার অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রপতির কাছে অস্ত্র জমা দিতে এলেন লালুও। কিন্তু ওই ক্ষুদে মুক্তিযোদ্ধাকে দেখে তো রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান ভীষণ অবাক। মঞ্চ থেকে নেমে ক্ষুদে লালুকে কোলে নিয়ে মঞ্চে বসালেন রাষ্ট্রপতি। আহা! কত ক্ষুদেই না ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা লালু।
কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উচ্চ বিদ্যালয়। এই স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে আবু সালেক। এমন সময় শুরু হয়ে গেল মুক্তিযুদ্ধ। কে ঠেকায় আবু সালেককে! সীমানা পেরিয়ে চলে গেল ভারতের আগরতলায়। সেখানে তখন মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য লোক বাছাই চলছিল। কিন্তু ও তো একদম ছোট, বাচ্চা! ওকে কেউ-ই নিতে চাইল না। আর তাই শুনে ও তো একেবারে কান্নায় ভেঙে পড়ল। ওর কান্না দেখে ওকে আর বাদ দিতে পারলেন না দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসাররা। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নাম লেখাল ছোট্ট আবু সালেক।
আগরতলা থেকে ওকে নিয়ে যাওয়া হলো মেলাগড় ক্যাম্পে। তারপর বড় যোদ্ধাদের সঙ্গে শুরু করল যুদ্ধ। পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ, দেশকে স্বাধীন করার যুদ্ধ। এমনি একদিন ওরা যুদ্ধ করছিল চন্দ্রপুর গ্রামে। আবু সালেক সেই যুদ্ধে ছিল বাংকারে। সে এক ভীষণ যুদ্ধ। প্রচণ্ড গোলাগুলি চলছে। আর পাকবাহিনীও সেদিন ছিল সুবিধাজনক জায়গায়। আবু সালেকের দল তেমন একটা ভাল অবস্থানে নেই। একপর্যায়ে ওদের পক্ষ টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে দাঁড়াল। এখন ওদের সামনে একটাই রাস্তা, পিছু হটতে হবে। কিন্তু চাইলেই কি আর পিছু হটা যায়, একজনকে তো ব্যাকআপ দিতে হবে। নইলে যে সবাই মারা পড়বে। এগিয়ে এলো সবার ছোট আবু সালেক। ছোট্ট কাঁধে তুলে নিল বিশাল এক দায়িত্ব। ক্রমাগত গুলি করতে লাগল পাকবাহিনীর ক্যাম্প লক্ষ্য করে। আর সেই অবসরে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেল অন্যরা। ও কিন্তু গুলি করা থামাল না। এক সময় পাকআর্মিরা মনে করল, মুক্তিযোদ্ধারা মনে হয় খুব সংগঠিতভাবে আক্রমণ চালাচ্ছে। ফলে ওরাও পিছু হটে গেল। বাংকারে থেকে গেল শুধু আবু সালেক। একসময় রাত শেষ হয়ে সকাল হয়ে গেল। মুক্তিযোদ্ধারা ভেবেছিল, গোলাগুলি যখন থেমেছে, আবু সালেক নিশ্চয়ই শহীদ হয়েছে। কিন্তু বাংকারে গিয়ে তো ওরা অবাক! কিশোর আবু সালেক একা সেখানে বসে আছে। দেখে ওরা যে কী খুশি হলো!
কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাহিদ
আবু জাহিদ নাম তার। তবে কুমিল্লার মুক্তিযোদ্ধারা তাকে চিনতেন আবু নামে। পড়ত কুমিল্লা জিলা স্কুলে নবম শ্রেণীতে। খুব ইচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে যাবে। বাড়ি থেকে অনুমতি মিলল না। শেষে বাড়ি থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে নাম লেখাল ও। সাঁতরে গোমতী নদী পার হয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সোনামুড়া টিলার কাছে মুক্তি শিবিরে এসে হাজির হলো। সময়টা তখন ১৯৭১ সালের জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ। কম বয়সের কারণে অনেক মুক্তিযোদ্ধাই ওকে দলে নিতে চাননি। কিন্তু ওর অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মানলেন সেক্টর ইস্টার্ন জোনের কমান্ডার শেখ ফজলুল হক মনি। প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেন আবুকে। প্রশিক্ষণের পর অপারেশন। একাত্তরের ১২ সেপ্টেম্বর। নাজমুল হাসান পাখির নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার চারগাছ বাজারের এক অপারেশনে যায় আবু। ৯ জন মুক্তিযোদ্ধার দল রওনা হলেন নৌকায় করে। কিন্তু মাঝপথেই আলবদর বাহিনীর সহায়তায় পাকিস্তানী বাহিনী গুলি চালায় মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর। সঙ্গে সঙ্গে মারা যান দুই মুক্তিযোদ্ধা। দলের সবচেয়ে ছোট মুক্তিযোদ্ধা আবু গুলিবিদ্ধ হয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর নদী থেকে উদ্ধার করা হয় আবুকে। ততক্ষণে দেশের মুক্তির জন্য জীবন উৎসর্গ করে ফেলেছে ও। হয়েছে শহীদ।
কিশোর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর টিটো
কিশোর মুক্তিযোদ্ধা টিটোর কথাই ধরা যাক। পুরো নাম গোলাম দস্তগীর টিটো। বিজয় দিবসের মাত্র দু’দিন আগে, একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর এক অপারেশনে শহীদ হয় টিটো। নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চুর নেতৃত্বে তখন লড়াই করছিল টিটো। লড়াইটা হয়েছিল সাভারের আশুলিয়ার জিরাবো এলাকার কলমা গ্রামে। অসীম সাহসের সঙ্গে লড়াই করছিল তখন টিটো। শহীদ হওয়ার আগে টিটো বলেছিল, স্বাধীনতা দেখবে। কিন্তু স্বাধীনতা দেখে যেতে পারেনি।
কিশোর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক
পাকিস্তানী গভর্নর মোনায়েম খানের বাড়িতে মাত্র চার মিনিটে বিধ্বংসী অপারেশন চালিয়েছিল এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা। ১৪ বছর বয়সের একজন কৃতী কিশোর মুক্তিযোদ্ধার নাম মোজাম্মেল হক ও তাঁর সহযোগী আর এক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন যিনি তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খানের বাড়ির সশস্ত্র পাকিস্তানী সেনাদের কড়া প্রহরা এড়িয়ে বাড়ির প্রাচীর টপকিয়ে ড্রইং রুমে ঢুকে এক হাতে গ্রেনেড চার্জ অন্য হাতে স্টেনগানের ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করেছিলেন। এই অসম সাহসী অপারেশন সম্পন্ন করতে আনোয়ার হোসেন সময় নিয়েছিলেন মাত্র চার মিনিট!
মুক্তিযুদ্ধে এই অসম সাহসীকতার জন্য মোজাম্মেল হক বীরপ্রতীক খেতাব পেয়েছেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধে উল্লেখিত কিশোর মুক্তিযোদ্ধারা ছাড়াও দেশজুড়ে বেশির ভাগ স্থানে মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম ইনফর্মার, এক ক্যাম্প থেকে অন্য ক্যাম্পে তথ্য আদান প্রদান, শত্রুদের এলাকা রেকি করা, অস্ত্র গোলাবারুদ ও খাবার পৌঁছে দেয়ার কাজে কিশোর-তরুণেরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন।
এঁদের মতো অনেক ক্ষুদে মুক্তিযোদ্ধা লড়াই করেছেন। কেউ লড়াই করেছেন পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি। কেউ গোপন খবর এনে দিয়েছেন। কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের নানা কাজে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন। যুদ্ধ করতে করতে কেউ শহীদ হয়েছেন। দেশের জন্য, দেশের প্রয়োজনে তারা দেশের হয়ে কাজ করেছেন, এটাই তাঁদের সবচেয়ে বড় পাওনা। এতেই তাঁরা খুশি। আর কিছুই তাঁরা চান না। তাঁদের মধ্যেই ছিল সত্যিকারের দেশপ্রেম। আর সত্যিকারের দেশপ্রেম যাঁদের মধ্যে আছে, তাঁদের চেয়ে বড় আর কেউ নন। লাখো শহীদের আত্মদানে আজ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ, ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রতিটি কনায় কনায় লুকিয়ে আছে স্বাধীনতাকামী সেসব মানুষের বীরত্বগাথা।
দেশের জন্য তখন লড়াই করেছিল অসংখ্য শিশু-কিশোর। বয়সের কারণে মুক্তিবাহিনীতে ওদের জায়গা হয়নি সহজে। কিন্তু ওদের অদম্য ইচ্ছার কাছে হার মেনেছেন অনেক বাঘা বাঘা মুক্তি কমান্ডারও। এমনও ঘটেছে, রাইফেলটাও ঠিক মতো তুলে ধরতে পারে না, তবু মুক্তিযুদ্ধে এসেছে। তবে শিশু-কিশোর মুক্তিযোদ্ধারা ছিল অসীম সাহসী। অসীম তাদের বুকের বল। এই কিশোর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে স্বয়ং বঙ্গবন্ধু কর্তৃক সংবর্ধিত হয়ে তাঁর হাত থেকে তাঁরা সম্মাননা গ্রহণ করেছিলেন। বেশ কয়েকজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।
সূত্র - কিশোর বাংলা ডট কম
ছবি - কিশোর বাংলা ডট কম এবং ডাকঘর ২৪।
১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ব্লগের আরেকজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য। আপনি না বললে আমরা অনেকেই জানতাম না। বোঝা যাচ্ছে উনি একজন ভালো লেখকও ছিলেন। আপনি ওনার উপরে বহু আগেই পোস্ট দিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে। ওনার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কিছু জানা থাকলে
আশা করি জানাবেন।
একটা কথা আছে যে 'পুরান চাল ভাতে বাড়ে'। আজকে তার প্রমাণ পেলাম।
২| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এখন সবার দায়িত্ব স্বাধীনতার সুফলের জন্য লড়াই করা।
১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লড়াইয়ের অস্ত্র কি হবে সেটা আগে ঠিক করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সময়ই মুক্তিযোদ্ধারা নিজেরা নিজেরা অনেক সময় লড়াই করেছে। তাই আবার নতুন লড়াই করতে গেলে গৃহযুদ্ধ না বেধে যায়।
৩| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৬
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
জুল ভার্ন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেতেন,সেটা বন্ধ করা হয়েছে।
১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা আমার জানা ছিল না। ভাতার চেয়ে বড় কথা মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি কেড়ে নেয়া।
৪| ১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৭
হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: আমার বড় দুলাভাই দশম শ্রেণীর ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা, বড়আপা উনার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নিয়ে বই লিখেছেন, আমার সে বইয়ের কিছু লেখার ইচ্ছা আছে, লিখবো কোনদিন।
২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মুক্তিযোদ্ধা দুলাভাইকে নিয়ে আপনার বোনের লেখা বইয়ের উপর আপনি পোস্ট দিলে ভালো হবে। আমরা অনেক কিছু জানতে পারবো। ভালো থাকবেন।
৫| ১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৫৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: অনেক কিশোর মুক্তিযোদ্ধার কথা জানতে পারলা। জুল ভার্ন সাহেব ব্লগে ভাল সময় দিতেন, ব্লগ থেকে তার অকাল প্রস্থান বেদনা দায়ক।
বর্তমানে কিশোর মুক্তিযোদ্ধারা কে কোথায় কেমন আছে জানতে পারলে ভাল হত! নিশ্চয়ই অনেকে এখনও বেচে আছেন!
২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জুল ভার্ন ভাইয়ের পোস্টগুলি ভালো হত। আশা করি জুলভার্ন ভাই ব্লগে ফিরে আসবেন ওনার লেখা নিয়ে।
অনেক কিশোর মুক্তিযোদ্ধা বেচে আছেন এখনও। মাঝে মাঝে পত্রপত্রিকায় ওনাদের সম্পর্কে জানা যায়। তবে অনেকেই আর্থিক সমস্যায় আছেন এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি পান নি। ভালো থাকবেন।
৬| ২০ শে মে, ২০২৩ ভোর ৪:১৬
কামাল১৮ বলেছেন: আমার সাথের অনেক মুক্তিযোদ্ধারা এখনো বেচে আছে।তখন আমার বয়স কতই বা ছিলো ২২/২৩ ।কিশোর মুক্তি যোদ্ধার আরো অনেক দিন বেঁচে থাকবেন।তবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক অনেক কম।প্রয়োজনও নাই।এখন দরকার দেশের পক্ষের লোক।জনগনের পক্ষের লোক।
২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক বামপন্থির মত আপনিও দেশের ভিতরে থেকে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন যেটা অনেক সাহসিকতাপূর্ণ একটা কাজ নিঃসন্দেহে। আপনাকে অভিনন্দন। এখন দরকার দেশ গড়ার লোক, এটাও সত্যি কথা।
৭| ২০ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:১৩
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম। জানলাম।
২২ শে মে, ২০২৩ রাত ৮:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:১৩
অভি যাত্রী বলেছেন: উনারা ভারতীয় নাগরিক হলে বলিউড উনাদের নিয়ে ভাল ভাল সিনেমা বানাত
১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:১৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। আমাদের দেশে আমরা প্রকৃত ত্যাগী মানুষদের মূল্যায়ন করি না। ধন্যবাদ পুরানো এই পোস্টে সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:১০
শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
আমাদের ব্লগের আরেকজন কিশোর মুক্তিযোদ্ধাকে চিনিয়ে দিচ্ছি।
মনজুরুল হক ভাইয়া
এটা তার বই-
আরও কিছু তথ্য
বইমেলা ও ভাইয়ার বই
https://www.somewhereinblog.net/blog/monjuraul/30182358
https://www.somewhereinblog.net/blog/monjuraul/29921210