নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের পারমাণবিক বোমা/ অস্ত্রগুলি প্রয়োগ করার সম্ভবনা খুব কম । পুরোটাই অর্থের অপচয়

০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪১


যুক্তরাষ্ট্রের যে কোন একটা নিউক্লিয়ার সাবমেরিনে যে পরিমান পারমাণবিক ওয়ারহেড আছে সেটা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত দুইটা পারবমানবিক বোমা এবং সকল অন্যান্য বোমার চেয়ে ৭ গুন ভয়ংকর। অর্থাৎ একটা সাবমেরিন থেকে নিউক্লিয়ার অস্ত্র প্রয়োগ করা হলে সেটা যে কি ভয়ংকর ক্ষতি করবে তা আমাদের পক্ষে কল্পনা করাও সম্ভব না। অথচ সারা বিশ্বে বর্তমানে প্রায় এই ধরণের ১৩,০০০ নিউক্লিয়ার অস্ত্র আছে। বিশ্বে বর্তমানে ৯ টি দেশের পারমাণবিক অস্ত্র আছে। এই দেশগুলি হোল যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ফ্রান্স, চীন, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান, ভারত, ইসরায়েল এবং উত্তর কোরিয়া।

অ্যামেরিকা এবং রাশিয়া স্নায়ু যুদ্ধের সময় ৬০,০০০ পারমাণবিক অস্ত্র ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী একটা বোমা হিরোশিমার ৮০ গুন ক্ষতি করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাৎসরিক সামরিক বাজেট হোল প্রায় ৮৮ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের সম্পূর্ণ আর্থিক বাজেটের প্রায় ১২ গুন। এই টাকা দিয়ে ১২২ কোটি লোককে এক বছর খাওয়ানো যাবে। অথবা ২৯৩ টা পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যাবে।

চিনের বাৎসরিক সামরিক বাজেট হোল প্রায় ২৯ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশের সম্পূর্ণ আর্থিক বাজেটের প্রায় ৪ গুন। এই টাকা দিয়ে প্রায় ৪০ কোটি লোককে ১ বছর খাওয়ানো যাবে। অথবা ৯৭ টা পদ্মা সেতু তৈরি করা যাবে।

সারা বিশ্বের সকল দেশের বাৎসরিক সামরিক বাজেট প্রায় ২৩৫ ট্রিলিয়ন টাকা অথবা ২ কোটি ৩৫ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকা। এটা বাংলাদেশের আর্থিক বাজেটের প্রায় ৩২ গুন। এই টাকা দিয়ে ৩২৬ কোটি লোককে এক বছর খাওয়ানো যাবে।

অর্থাৎ বিশ্বের সকল দেশের বাৎসরিক এই সামরিক বাজেট যদি ১০% কমানো হয় তাহলে সেই টাকা দিয়ে ৩২ কোটি লোককে ১ বছর খাওয়ানো যাবে। ৩০% কমালে ৯৬ কোটি লোককে ১ বছর খাওয়ানো যাবে।

পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশগুলির এইসব সামরিক বাজেটের একটা বড় অংশ ব্যয় হয় পারমানবিক অস্ত্র তৈরি এবং রক্ষনাবেক্ষনে। সেই অর্থের পরিমান নির্ণয় করা কঠিন হলেও অনুমান করা যায় যে প্রায় ১৪ ট্রিলিয়ন টাকা অর্থাৎ প্রায় ১৪ লক্ষ কোটি টাকা। যেটা বাংলাদেশের বাজেটের প্রায় দ্বিগুণ।

এই টাকা পুরোটাই অপচয় করছে পরাশক্তিগুলি পারমানবিক অস্ত্রের পিছনে। এছাড়া অন্যান্য সামরিক বাজেটের জন্য যে অর্থ প্রতি বছর ব্যবহার করছে সেটা দিয়ে ১০০ কোটি লোককে ১ বছর খাওয়ানো যায়। কিন্তু আমরা জানি এশিয়া এবং আফ্রিকার কোটি কোটি লোক একবেলা আহার ঠিক মত পাচ্ছে না। আমার মতে জাতিসঙ্ঘে এই বিষয় নিয়ে আলাপ হওয়া উচিত যেন দেশগুলি সামরিক বাজেটের অন্তত ৫০% টাকা খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, বাসস্থান এবং শিক্ষায় বরাদ্দ করা করে। জাতিগুলির মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক থাকলে এতো বড় সামরিক বাজেটের দরকার হবে না। এই উদ্বৃত্ত টাকা দিয়ে পৃথিবীর মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা যাবে। এই কাজে পরাশক্তিগুলিকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ ৫ টি পরাশক্তি বিশ্বের মোট সামরিক বাজেটের প্রায় ৬০% খরচ করে থাকে। যুদ্ধ বাধানোর পিছনে এদের ইন্ধনই বেশী থাকে। বিশ্ব শান্তির জন্য এই বিষয়গুলি নিয়ে বিশ্বের নেতাদের ভাবতে হবে।

সূত্র - ucsusa.org
wisevoter.com

ছবি - রয়টার

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- সবটাই প্রদর্শণী

০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হাতির দুই ধরণের দাঁত থাকে। বাইরের দুইটা দেখানোর জন্য আর ভিতরেরগুলি খাওয়ার জন্য। :)

২| ০৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: যত উন্নতি তত অপচয়।
অকারণ অনেক শো পিস ঘরে সাজিয়ে রাখার মতন এসব রাখতে হয়।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সামষ্টিকভাবে বর্তমান বিশ্বের জাতিগুলির মুল সমস্যা টাকা পয়সার ঘাটতি না। সমস্যা হোল সম্পদের সুষম বণ্টন। অনেক দেশ উদ্বৃত্ত খাদ্য পানিতে ফেলে দেয় নাকি শুনেছি। উন্নত বিশ্বে কত টাকা অস্ত্রের পিছনে ব্যয় করছে তারপরও সেখানে অভাবী মানুষ আছে। কেউ দেখার নাই। আর দরিদ্র দেশের কথা বলার কিছু নাই। আমরা অবস্থা জানি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধেও ঘোড়া এবং কবুতর ব্যবহার হয়েছে। তারপর থেকে প্রযুক্তি এতো এগিয়ে গেছে যে সমরাস্ত্রগুলির ধ্বংস করার ক্ষমতা হাজার গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। যুদ্ধের খরচও আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এখন যুদ্ধ ছাড়াও সমুদ্র দখলে রাখার জন্য অকল্পনীয় পরিমান অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। মানব জাতির কল্যাণে এগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে গত ৭৮ বছরে কোন পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করা হয় নি। কিন্তু তৈরি এবং রক্ষণাবেক্ষণ থেমে নাই। এগুলি অপচয়। জাতিগুলির মধ্যে সৌহার্দের অভাবের কারণে এগুলি ঘটছে।

৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:০৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: পুরো বিষয়টিতে আপনার ধারনা পুরোপুরি সঠিক নয়। পরমাণু বোমায় ব্যবহৃত ওয়ারহেডে (কোর ফিউল) প্রয়োগ না করা হলে তা একটা নির্দিষ্ট সময় পরে মিসাইল/ওয়ারহেড থেকে সরিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা সম্ভব। আমেরিকা, রাশিয়া সেটা করছেও (সূত্র)। সেটা ছাড়াও আমেরিকা ও রাশিয়া (চীনের ব্যাপারে নিশ্চিত নই) এই পরমাণু তাদের সাবমেরিণের জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করতে পারে যা পরিবেশের ক্ষতি করে না (বাংলাদেশের সাবমেরিন করে)। তাই এটাকে সম্পূর্ণ অপচয় বলা বোকামি কিছুটা অজ্ঞতাও।

হাজার বছরের মানব সভ্যতায় যুদ্ধ কখনো বন্ধ ছিলো না, আগামীতেও থাকবে না। বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখতে চাইলে আত্মরক্ষার জন্য ফেইল-সেইফ মেকানিজমের প্রয়োজন রয়েছে আর সেটার রক্ষকবচ হলো পরমাণু বোমা। এই বোমাই মূলত একে আপরের থেকে কোন ধরনের এ্যাটাক হওয়া থেকে অনেক বছর ধরে সরিয়ে রেখেছে। তবে সেটা আবারও ব্যবহার হবে তাতে আমার কোন সন্দেহ নেই, এটা সময়ের আর পরিস্থিতির ব্যাপার মাত্র। ব্যবহার হবেই।

বাংলাদেশে যেমন ধনীরা পাশের বাড়ির গরীবদের খবর রাখে না, তারা যেমন কোটি কোটি টাকা দিয়ে মার্সিডিজ কিংবা বি.এম.ডব্লিউ কেনে ঘুরে ফিরে রাস্তায় অভুক্ত লোকজন দেখেও না দেখার ভান করে। তেমনি ধনী দেশগুলোও তাই। ওটা নিয়ে খুব বেশী আবেগপ্রবণ হওয়ার প্রয়োজন নেই। দুঃখজনক বেট তবে আপনি যা বলছেন তা কখনোই হবে না। এটাই রীতি, এটাই হয়ে এসেছে অনন্তকাল ধরে। ধন্যবাদ।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পারমাণবিক বোমার বিষয়ে আপনি বা আমি কেউই বিশেষজ্ঞ না (আপনি বিশেষজ্ঞ কি না সেটা আমি নিশ্চিত না অবশ্য)। তবে এটা বোঝা যায় যে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির কারখানাগুলি চালু রাখার খরচ নিশ্চয়ই অনেক হবে। আপনার কথায় মনে হচ্ছে পারমানবিক অস্ত্রের পিছনে কোন ব্যয় হচ্ছে না কারণ সেটা অন্য উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। ব্যাপারটা এতো সরল কি না আমি জানি না। তাছাড়া এই অস্ত্রগুলি প্রয়োগ করার জন্য বিমান, সাবমেরিন প্রয়োজন হয় জনবল এবং বিশেষজ্ঞ প্রয়োজন হয়। তাই অন্য আনুষঙ্গিক ব্যয় আছে। হয়তো সামান্যই সমন্বয় করা যায়। এই লেখাটা পড়তে পারেন।
https://www.brookings.edu/what-nuclear-weapons-delivery-systems-really-cost/

আপনি যদি নরওয়ে, সুইডেন বা ফিনল্যান্ডের আর যুক্তরাষ্ট্রের সমরনীতি তুলনা করেন তাহলেই বুঝবেন যে জনগণের শান্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এই দেশগুলি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক এগিয়ে। এটার একটা বড় কারণ সুইডেন যুক্তরাষ্ট্রের মত অস্ত্রের পিছনে এতো টাকা ব্যয় করে না। কিন্তু খেয়াল করে দেখেন যুদ্ধের ঝুকি যুক্তরাষ্ট্রের বেশী। নিজেদের সমর নীতির কারণেই যুক্তরাষ্ট্র ঝুকিতে আছে এবং বেশী বেশী করে অস্ত্র বানাচ্ছে। পাশের দেশ কানাডা তো এতো অস্ত্র না বানিয়েও ভালো আছে। ইউরোপের কয়েকটা দেশে অনেক শান্তি বিরাজ করছে কারণ তারা যুদ্ধ আর অস্ত্র নিয়ে পড়ে নেই। তাই এটা আবেগের বিষয় না বরং আগ্রাসী পররাষ্ট্রনীতি এবং সমর নীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্র, চিন, রাশিয়া অস্ত্রের মহরা দিচ্ছে। এটা বিশ্বের জন্য কল্যাণকর না।

আপনি পরোক্ষভাবে পুঁজিবাদের খারাপ দিকটাকে সমর্থন করেছেন। একটা পর্যায় পর্যন্ত পুঁজিবাদ ভালো। কিন্তু বাড়াবাড়ি করলেই সেটা খারাপ হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রে সেটা ঘটছে। কিন্তু অনেক ইউরোপিয়ান দেশে অবস্থা অপেক্ষাকিত ভালো। সরকার চাইলে যে নাগরিকদের পাশে দাড়াতে পারে সেটা ইউরোপের অনেক দেশ এবং কানাডা থেকে বোঝা যায়। কানাডা পুঁজিবাদী দেশ হলেও সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে মত অবস্থা খারাপ না। বিশ্বে অস্ত্রের পিছনে অকারণে অনেক অপচয় হচ্ছে এবং এই অপচয় গুটিকয় দেশ বেশী করছে। তাদেরকে এগুলি কমাতে হবে এবং জনগণের মৌলিক অধিকারের জন্য টাকা বরাদ্দ বাড়াতে হবে।

৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৩৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: পারমাণবিক বোমার বিষয়ে আপনি বা আমি কেউই বিশেষজ্ঞ না।... আপনার কথায় মনে হচ্ছে পারমানবিক অস্ত্রের পিছনে কোন ব্যয় হচ্ছে না কারণ সেটা অন্য উৎপাদনশীল কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।

জ্বী, আমি কোন পরমাণু বিশেষজ্ঞ নই তবে সামরিক বিষয়ে টুকটাক জানার চেষ্টা করেছি এবং করছি এই যা। ব্যয় অবশ্যই হচ্ছে এটা কেউ অস্বীকার করছে না। দেখুন, আপনি এখনো একটা বিষয় বুঝতে পারছে না। কথায় বলে "বড়লোকের বিরাট কারবার" আশা করি আপনি প্রবাদটা শুনেছেন। ধনী ও শক্তিধর দেশগুলোর অবস্থা অনেকটা তেমনই। আপনি যেভাবে হিসেব করছেন, সেভাবে উন্নত দেশগুলো করছে না। একটা উদাহরণ দিচ্ছি, বাংলাদেশে ক'জন মানুষ দিনে ৩০০ টাকা (২/৩ ডলার) দিয়ে এক কাপ চা খাচ্ছেন তা অমাার জানা নেই তবে আমাদের এখানে মোটামুটি সবাইকেই বাংলাদেশী ২০০/৩০০ টাকা দরেই সাধারণ এক কাপ কফি কিনে খেতে হচ্ছে। দিনে অনেকেই ২/৩ কাপ খেয়ে থাকেন। এক কাপ করে খেলেও সে হিসেবে আমার মতো সাধারণ মানুষের মাসিক এক কাপ কফির জন্য বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হচ্ছে। এগুলোকে বাংলাদেশে ক্রিটিক্যালি নেয়া হবে, আমি নিচ্ছি না।

আপনি উন্নত বিশ্বের ধনী দেশগুলোর ইস্যু নিয়ে কথা বলছেন। ভাবুনতো, আমেরিকা এখনো পর্যন্ত ইউক্রেনকে ৭৬+ বিলিয়ন ডলার দান করেছে বিভিন্ন ইস্যুতে (সূত্র) যা বাংলাদেশের ২০২৩/২৪ অর্থ বছরের বাজেটের চেয়েও বড়। যারা এত টাকা দান করতে পারে তাদের জন্য আপনি যে হিসেবের কথা বলছেন ওগুলো বড় কোন বাজেট/খরচ নয়। আপনি ভুলে যাচ্ছেন পুরো ইউরোপের সবগুলো দেশের সম্মিলিত বাজেটের চেয়েও আমেরিকার বাজেট/অর্থনীতি বড়। আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতি আগ্রাসী এটা নিয়ে দ্বিমত কেউ করবে না। কিন্তু বিশ্বে মোড়লগিরি করতে গেলে আপনাকে শক্তিশালী আর আগ্রাসী হতেই হবে। আমেরিকাও তাই করেছে এবং করবে। আপনার কিংবা এক আমার ভাবনার কারনে তাদের পররাষ্ট্রনীতি পরিবর্তন হবে না। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে যা বলতে গেলে সামনা-সামনি বসে কথা বলা প্রয়োজন। ইন্টারনেটে সেটা সম্ভব নয়। কানাডার জনসংখ্যা ৩.৮ কোটি, আমেরিকার ৩৩.২ কোটি, কানাডার অর্থনীতি ২.২ ট্রিলিয়ন ডলারের আর আমেরিকার ২৩ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশী। ৩৩ কোটি থেকে কিছু লোক পথে থাকবে নিজ নিজ অকর্মণ্যতার কারনে এখানে রাষ্ট্রের করণীয় তেমন কিছু নেই। আমেরিকার সাথে কানাডার তুলনা করা বোকামি।

আমেরিকার পররাষ্ট্র নীতি কোন আবেগের বিষয় নয়। বিশ্ব বাজারে/অর্থনীতিতে ডলারের আধিপত্য বজায় রাখার জন্য আমেরিকার যা যা করণীয় তা সে করবেই, প্রয়োজনে যুদ্ধও আসবে এবং সেটাও সে করবে অবলীলায়। আমি জানি এটা বিশ্বের জন্য কল্যাণকর নয়, কিন্তু ডলার পড়ে যাওয়া আমেরিকানদের জন্যও কল্যাণকর নয়। আমেরিকা সেটাই করবে যেটা তার দেশের জনগণের জন্য অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর। আমি সমর্থণ করা বা না করায় কিছুই আসবে যাবে না। আমি শুধু বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করছি যেটাকে আপনি আমার সমর্থন বলে ধরেই নিয়েছেন।

আমি বারবারই বলেছি আবারও বলছি। আমি যুদ্ধের বিপক্ষে, আমেরিকার বিপক্ষে নই। ধন্যবাদ।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ২:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অ্যামেরিকাকে আপনি সমর্থন করেন মানে আপনি ইরাকে অ্যামেরিকার অন্যায় যুদ্ধকেও সমর্থন করেন যে যুদ্ধ ছিল পুরোটাই মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। এই ধরণের অনেক ভয়ংকর কাজ অ্যামেরিকা অতীতে করেছে এবং এখনও করছে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে। ইতিহাস ঘাটলে এরকম উদাহরণ অনেক আছে। তাই আপনার উচিত হবে সেগুলির সমালোচনা করা। ৩০০ টাকা দিয়ে চা খেলেই একটা দেশ আরেকটা দেশে নিজের গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করে যুদ্ধ লাগিয়ে যুদ্ধ জিইয়ে রাখতে দিতে পারে না। একই কাজ রাশিয়াও করে এবং করেছে। এগুলি কোন শান্তিপ্রিয় মানুষ সমর্থন করতে পারে না। এই ধরনের মোড়লগিরি করতে গিয়ে পরাশক্তিগুলি অনেক টাকা অপচয় করে অস্ত্রের পিছনে এবং গোয়েন্দাগিরির পিছনে । এগুলির পক্ষে আমাদের বলা উচিত না। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি আগ্রাসী এবং অনেক ক্ষেত্রে বিশ্বে যুদ্ধ এবং অশান্তি সৃষ্টি করছে। শুধু যুক্তরাষ্ট্র না আরও কয়েকটি মোড়ল রাষ্ট্র আছে যারা এই কাজ করছে। এই ধরণের কাজগুলিকে কোন শান্তিপ্রিয় মানুষের সমর্থন করা উচিত না। এই মোড়লগিরিটাই একটা অন্যায় কাজ। এটাকে সমর্থন করা যায় না।

অ্যামেরিকার সাথে কানাডার তুলনা বোকামি না কারণ অ্যামেরিকা তার অনেক সামরিক খরচ কমাতে সক্ষম কিন্তু তারা মোড়লগিরি বজায় রাখার জন্য সেটা করছে না। শুধু অ্যামেরিকা না অনেক দেশই দরকারের চেয়ে বেশী ব্যয় করছে অস্ত্রের পিছনে। আমি নির্দিষ্টভাবে শুধু অ্যামেরিকার কথা বলছি না।

ডলারের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য অ্যামেরিকা যা প্রয়োজন তা করবে এটা যদি বলেন তাহলে তাদের অন্যায়কেও সমর্থন করা হবে। আপনি বা আমি তার বিরুদ্ধে কিছু করতে পারবো না সেটা আমি জানি কিন্তু অন্তত এই কাজগুলি যে খারাপ সেটা আমাদের স্বীকার করতে হবে। আপনি বলেছেন আপনি যুদ্ধের বিপক্ষে কিন্ত অ্যামেরিকার বিপক্ষে নন। কিন্তু উপরে উল্লেখিত বিষয়ে (যুদ্ধ সৃষ্টি করা এবং অপ্রয়োজনীয় অস্ত্র তৈরি করা) আপনার অ্যামেরিকাকে সমর্থন করা উচিত হবে না। দেশের জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে বিশ্বে যুদ্ধ বাধানোকে সমর্থন করা যায় না। এটা অনেকটা আগের যুগের উপনিবেশিক শাসকদের কাজের মত। অ্যামেরিকা ভালো দিককে ভালো অবশ্যই বলবো কিন্তু খারাপটাকে খারাপই বলতে হবে। আর আসলে শুধু অ্যামেরিকার সমস্যা না বিশ্বে বেশ কয়েকটি মোড়ল রাষ্ট্র আছে যারা বিশ্বে অপ্রয়োজনীয় যুদ্ধ বাধানোর জন্য দায়ী। এটাকে কোন ভাবেই যৌক্তিক বলা যাবে না। এগুলি অন্যায় কাজ। তাই অন্যায়কে অন্যায়ই বলতে হবে।

বড়লোকের বিরাট কারবারের সাহায্যে মানুষের শান্তি নষ্ট হলে সেটার বিপক্ষে বলতে হবে। আর হোমলেসরা পথে আছে নিজের অকর্মণ্যতার কারণে কথাটা আংশিক সত্য হলেও পুরো সত্যি না। অনেকে বলতে চায় যে যারা রাস্তায় আছে তার জন্য তারা নিজেরা দায়ী। কিন্তু কথাটা পুরোপুরি সত্য না। অনেক ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সিস্টেম দায়ী। আর হোমলেস ছাড়াও অনেক মানুষ আর্থিক সমস্যায় আছে পৃথিবীর অনেক দেশে। সরকারের ব্যর্থতার কারণে অনেক দেশের অর্থনীতি আজ বিপদে আছে। ফলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বর্তমান বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতির জন্য অ্যামেরিকা, ইউরোপ এবং রাশিয়া দায়ী। অস্ত্রের ঝনঝনানির কারণেই এই মন্দা এসেছে। তাই অ্যামেরিকা ইউরোপ রাশিয়ার খারাপ কাজকে খারাপই বলতে হবে। সব ব্যাপারে আমেরিকার পক্ষে থাকা যাবে না। যদিও আমাদের পক্ষে বা বিপক্ষে থাকার দ্বারা তাদের কিছুই হবে না। কিন্তু অন্যায়কে অন্যায়ই বলতে হবে।

শুধু অ্যামেরিকা, চিন আর রাশিয়া না অনেক দেশের পক্ষেই অপ্রয়োজনীয় অস্ত্র পরিহার করা সম্ভব। প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পক্ষেও বিভিন্ন দেশ অনেক যুক্তি তুলে ধরেছে। কিন্তু যুদ্ধের পরে সব দেশ বুঝতে পারে যে এই যুদ্ধগুলি বাড়াবাড়ি ছিল। বর্তমান ইউক্রেন যুদ্ধও এক ধরনের বাড়াবাড়ি। অনেক মূল্য দেয়ার পরে পরাশক্তিগুলি বুঝতে পারবেন। কথায় আছে হিস্ট্রি রিপিট ইটসেলফ।

৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:২৮

কামাল১৮ বলেছেন: তারা যে সারা বিশ্বের উপর ছড়ি ঘুরায় সেটা এই পারমানবিক বোমা থাকার কারনেই।পারমানবিক বোমা ছাড়া সবার মান একই।এমন কি তুরস্কের মান সবার উপরে।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছড়ি ঘোরানোটাই একটা অন্যায়। এই মাতব্বরি করার জন্যই অপ্রয়োজনীয় অস্ত্র তৈরি করে কিংবা কেনে। এই অপচয় বন্ধ করা উচিত।

৬| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৩:৩৮

কামাল১৮ বলেছেন: যতদিন রাষ্ট্র থাকবে ততদিন এই ব্যবস্থা থাকবে।সবদেশ সমাজনন্ত্রী হয়ে গেলে রাষ্ট্র ব্যবস্থা থাকবেনা।তখন এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও থাকবে না।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটাকে সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে।

৭| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বোমার পক্ষে বিপক্ষে ডাটা দিয়ে কাজ নেই;আমাদের এমন একটা/দুটা বোমা থাকলে আপনি কেমন বোধ করতেন?

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বোমা থেকেও যে লাভ হয় না সেটা রাশিয়াকে দেখলেই বোঝা যায়। যে বোমা কখনও প্রয়োগ করতে পারা যাবে না সেটা বানিয়ে অপচয় করার দরকার নাই। পারমাণবিক বোমা ব্যবহারের সম্ভবনা নাই বললেই চলে। আর যদি ব্যবহার করা হয় তাহলে মানব জাতি আবার আদিম যুগে চলে যাবে। তাই অস্ত্র বুঝে শুনে বানাতে হবে। ভারতেরও পারমাণবিক বোমা আছে আমাদের যদি থাকে তাতে খুব কোন লাভ হবে না। তাই যদি হতো তাহলে ভারত পাকিস্তান
বা ভারত চীন বারবার সংঘাত হত না। বর্তমান যুগে বিশ্বের রাজা হবে তারাই যারা অর্থনীতিতে রাজা।

৮| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

বিজন রয় বলেছেন: বিশ্বের পারমাণবিক বোমা/ অস্ত্রগুলি প্রয়োগ করার সম্ভবনা খুব কম । পুরোটাই অর্থের অপচয়
................ একমত।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বুদ্ধিমান মানুষ তাই সহজে বুঝতে পেড়েছেন। অন্য সকল অস্ত্রগুলি বিভিন্ন পরাশক্তিগুলি নিয়মিত ব্যবহার করছে এবং কার্যকারিতা পরীক্ষা করছে। তবে এই অস্ত্রগুলির বাজেটও কমানো উচিত। পরাশক্তিগুলি সমঝোতায় আসলে সেটা সম্ভব। এখন ভয়ের কারণে এবং পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাসের অনেক দেশই দরকারের চেয়ে বেশী অস্ত্র কিনছে বা বানাচ্ছে।

৯| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

একলব্য২১ বলেছেন: সাচু ভাই,

এই লেখা সম্পর্কিত আমার কয়েকটা প্রশ্ন আছে।

১. এখন পারমানবিক অস্ত্র আছে ৯টি দেশের। ভবিষ্যতে এই দেশের সংখ্যা কি বাড়তে পারে। যেমন ইরান।

২. আপনার কি মনে হয় পাকিস্তান ভারতের মধ্যে কখনও যুদ্ধ লাগলে পারমানবিক বোমা ব্যবহার হতে পারে।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১। বাড়তে অবশ্যই পারে। অনেক দেশই চেষ্টা করছে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে জাতে ওঠার জন্য। ইরান তেমনই একটা দেশ। পরাশক্তিগুলি নিজেরা পারমাণবিক বোমা বানাচ্ছে কিন্তু অন্যকে বানাতে দিচ্ছে না। এটা ডাবল ষ্ট্যাণ্ডার্ড। তারা অন্যকে নিষেধ করতে হলে নিজেরগুলি সব অকেজো করতে হবে। কিন্তু তারা সেটা করে না।

২। পাকিস্তান মাথা মোটা জাতি এরা মেরে বসতেও পারে। এদের প্রধানমন্ত্রীকে সামরিক বাহিনীর মাথা মোটা জেনারেলরা চালায়। এগুলির নিয়ন্ত্রণ প্রধান মন্ত্রীর কাছে আছে কি না জানি না। সামরিক জেনারেলদের নিয়ন্ত্রণে থাকলে মেরে বসতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক চাপের কারণে কোনই দেশই আসলে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করবে না। যদি রাগের চোটে প্রয়োগ করে বশে তাহলে বিশ্বযুদ্ধ লেগে যাবে এবং এই যুদ্ধে এই বিশ্বের ৯৫% লোক মারা যাবে। মানুষ আবার প্রস্তর যুগে ফিরে যেতে পারে। তারপরের বারের বিশ্বযুদ্ধ হবে লাঠি, বল্লম আর হাতুড়ি দিয়ে।

১০| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭

বিষাদ সময় বলেছেন: কামনা করি এগুলো যেন অর্থের আপচয়কারী হয়েই থাকে, প্রাণ সংহারক না হয়।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এগুলি প্রয়োগ করলে পৃথিবীর ৯৫% লোক মারা যাবে। তাই এরা এগুলি বানিয়ে রাখলেও প্রয়োগ যেন না করে।

১১| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞানের অগ্রগতির কিছু খারাপ দিকও আছে।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সঠিক। বিজ্ঞানকে ভালো কাজে ব্যবহার করতে হবে।

১২| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: এগুলো বানায় মানুষ ব্যবহারও করবে মানুষ।মানবতার অগ্রগতি হলে এর ব্যবহার শূন্যের কোঠায়।ভালো মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।সীমিত ব্যবহার হতে পারে।ন্যাটো যদি রাশিয়া আক্রমন করে তবে অবশ্যই ব্যবহার হবে।এই ঘোষণা রাশিয়া দিয়েই রেখেছে।এই ভয়েই ন্যাটো রাশিয়া আক্রমন করবে না।এই বোমার এটা একটা ভালোদিক।অনেক যুদ্ধকে ঠেকিয়ে রেখেছে এই বোমা।
ছোট আকারে ধ্বংস করার মতো বোমা বানাচ্ছে অনেকে।প্রথমে এই গুলির ব্যবহার হবে।আপনি যেমন ভাবছেন ৯৫% লোক মারা যাবে।তেমন সম্বাবনা নাই বললেই চলে।

০৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ন্যাটো রাশিয়া আক্রমণ করলেও পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না কারণ তাহলে পুরো পৃথিবী প্রায় ধ্বংস হয়ে যাবে। নিজের ক্ষতি জেনে কেউ এই কাজ করবে না। রাশিয়া তো বসে থাকবে না। রাশিয়া ভয় দেখানোর জন্য এই কথা বলেছে। রাশিয়া এই কথা না বললেও ন্যাটো সেটা জানে তাই ঐ কাজ করবে না। পারমাণবিক বোমা হোল হাতির আইভরি দাঁতের মত। এগুলি শুধু দেখানোর জন্য।

একটা ছোট পারমাণবিক বোমা কেউ মারলে আরেক পক্ষও আরেকটা ছোট বোমা মারবে। ফলে পৃথিবী ধ্বংসের কাছাকাছি চলে যাবে। যাদের পারমাণবিক বোমা আছে তারাও তো যুদ্ধে নেমেছে। ন্যাটো আর রাশিয়া দুইজনের কাছেই পারমাণবিক বোমা আছে। কিন্তু যুদ্ধ হচ্ছে অন্য অস্ত্র দিয়ে। ভারত চীন মারামারি করলো কয়েক বছর আগে। অথচ দুইজনের কাছেই এই বোমা আছে। তাই এই যুদ্ধের কারণে যুদ্ধ কমবে না। কারণ সবাই জানে এই বোমা মারার জন্য না। তবে এই বোমা দেশগুলির মনোবল বৃদ্ধি করে।

১৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: বিশ্বের পারমাণবিক বোমা/ অস্ত্রগুলি হচ্ছে রক্ষাকবচ। তবে ব্যবহারের সম্ভাবনা একেবারে কমও নয়। কিম জং উন বা রাসীয়ার পুতিন বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়েছে। এইসব উন্মাদ কি করে বসে তা বলা মুশকিল। জাতিসংঘ এখন আর কার্যকরী কোন সংস্থা নয়। বিশ্বশান্তি তাই এখন সোনার হরিন।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:৫৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই বোমা সত্যি সত্যি যদি কোন পাগল মেরে বসে তাহলে মানবজাতি ধ্বংসের কাছাকাছি চলে যাবে।

১৪| ১০ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: পোস্টটা পড়ে ভালো লাগলো। গঠণমূলক লেখা এবং মন্তব্যগুলো পড়েও ভালো লাগলো। একারণেই সামুর বিকল্প নেই। যদিও ব্লগে কম আসা হয়।
অস্র না থাকলে তো মাতুব্বরের মাতুব্বরী আর থাকে না। অথচ মাতুব্বরেরা যেন এমনটাই বলে যে তোমরা কেউই পারমানরিক অস্র বানাতে পারবা না। কারণ নতুন করে কোন দেশ এটাতে শক্তিশালী হলে মানবতার বহুত ক্ষতি হয়ে যাবে। আর আমরা খালি বানাবো আর পরীক্ষা করবো।
তবে ভয় আছে এখানে যে কোন ঘার ত্যারা মাথা মোটা শাসক যদি রাগের বসে মেরে দেয় তাহলেই শুরু হয়ে যাবে লংকা কান্ড। তবে আমরা চাইনা এমনটা ঘটুক।

১১ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১০:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মাতব্বরদের এই ধরণের ডাবল ষ্ট্যাণ্ডার্ড থাকা উচিত না। অথচ এই বিশ্ব মোড়লরাই বিশ্বের শান্তি নষ্ট করছে বিভিন্ন কূট চাল প্রয়োগ করে কিংবা যুদ্ধ লাগিয়ে দিয়ে। এতে তাদের লাভ হোল ঐ দেশগুলি তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে যায় এবং তাদের দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ লুট করা সহজ হয়ে যায়। এছাড়া অস্ত্র বিক্রি করা যায়, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রভাব বৃদ্ধি পায়, অনেক ভূখণ্ড এবং সমুদ্র নিয়ন্ত্রণে নেয়া যায় এবং যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশগুলিকে দিয়ে তাদের পছন্দ মত কাজ করানো যায়। মনে হয় যেন উপনিবেশবাদ নতুন রূপে ফিরে এসেছে।

পাকিস্তান, চীন, ইসরাইল এবং উত্তর কোরিয়া বিপদজনক। এরা পাগলামি করে পারমাণবিক বোমা মেরে বসলে ভয়ানক পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে।

ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.