নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) কারণে বিশ্ব শান্তি এবং নিরাপত্তায় ঝুকি বৃদ্ধির সম্ভবনাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতিসংঘে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:২৯


জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ প্রথম বারের মত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ঝুকি এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে একটা আনুষ্ঠানিক সভা আয়োজন করেছে। এই সপ্তাহেই সভা অনুষ্ঠিত হবে। ব্রিটেনের পক্ষ থেকে সভার প্রস্তাব করা হয়েছে। সামনের দিনগুলিতে বিশ্ব অর্থনীতি, নিরাপত্তার এবং বলতে গেলে জীবনের সর্ব ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখবে। এই ব্যাপারে কিছু ঝুকি এবং চ্যালেঞ্জও আছে যে কারণে এআইকে আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অধীনে নিয়ে আসার প্রয়োজন বোধ করছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা। পারমাণবিক শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যেমন ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি আছে একই ধরণের একটা কর্তৃপক্ষ তৈরির চিন্তা ভাবনা করছেন বিশ্বের নেতারা।

এই কর্তৃপক্ষ বৈশ্বিক পরিসরে নৈতিকতা, নিরাপত্তা, প্রাইভেসি এবং আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার উপর এআইয়ের নেতিবাচক প্রভাব সংক্রান্ত নিয়ম নীতি তৈরি করবে এবং এই বিষয়গুলির ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করবে। এই কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্য হবে এআইয়ের পূর্ণ সুবিধা মানুষের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা আবার একই সাথে মানব জাতির শান্তি এবং নিরাপত্তা যেন বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করা।

একথা অনস্বীকার্য যে এআই মানুষের বহু উপকারে লাগছে এবং সামনে আরও লাগবে। এই প্রযুক্তি আমাদের জীবনের অনেক কাজকে সহজ করে দিবে। কিন্তু যত ভালো উদ্ভাবন বা প্রযুক্তিই হোক না কেন নিয়ন্ত্রণ না থাকলে বিপদের সম্ভবনা থাকে। যেমন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ক্লোনিং প্রযুক্তি ইত্যাদি। এই পোস্টের উদ্দেশ্য এআইয়ের দোষ খুঁজে বের করা না বরং এ আইয়ের উপর নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করা।

গত ১২ জুলাই, ২০২৩ তারিখে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলেও এআই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশনার ভল্কার তুর্ক প্রশ্ন রেখেছেন যে এআইয়ের সীমা কি হওয়া উচিত? মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে সামনের দিনগুলিতে কি হবে এআই এবং নতুন প্রযুক্তির প্রকৃতি বা ধরণ? এই প্রশ্ন সমাজ, সরকার এবং ব্যক্তিকেও ভাবাচ্ছে।

কোন সন্দেহ নেই যে মানব জাতির কল্যাণে ভবিষ্যতে এআই আরও অনেক ভুমিকা রাখতে পারবে। এআই বহু বিষয়ে মানুষের উপকারে লাগতে পারে। যেমন বিভিন্ন বিষয়ে আগাম পূর্বাভাস এবং অনুমান করার দক্ষতা বৃদ্ধি, জ্ঞান এবং তথ্য আম জনতার জন্য সহজলভ্য করা, বৈজ্ঞানিক গবেষণার গতি বৃদ্ধি, আগের চেয়েও অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে তথ্যকে যাচাই বাছাই করার ক্ষমতা বৃদ্ধি, সৃষ্টিশীল কাজ দ্রুত সময় এআইয়ের সাহায্যে করা ইত্যাদি। কিন্তু আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে যে এআইয়ের অপকারিতার থেকে যেন মানব জাতি নিরাপদ থাকে।

ভবিষ্যতে এ আইয়ের সম্ভাব্য অপব্যবহার নিয়ে বিশ্ব নেতারা চিন্তিত। যেমন স্বৈরশাসকের হাতকে এ আই শক্তিশালী করতে পারে। ভয়ংকর স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র এআই দ্বারা পরিচালিত হয় (autonomous weapons system - AWS)। তাই ভুল বা অপ ব্যবহারের ঝুকি আছে। পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণ এ আইয়ের সাহায্যে করা হলে সেটাও ভয়ানক হতে পারে। সামাজকে সুবিধা মত নিয়ন্ত্রণ করার হাতিয়ার হতে পারে এ আই। মানবাধিকার হরণ করার মত নজরদারি এবং সেন্সরশিপ আরোপ করা সম্ভব এ আইয়ের সাহায্যে। রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্যে এই কাজ করা হতে পারে। এআই প্রযুক্তিতে পরিচালিত ফেসিয়াল রিকগনিশন ব্যবস্থা পাবলিক প্লেসে গণ নজরদারিতে পরিনত হতে পারে। এটা মানুষের প্রাইভেসিকে সঙ্কুচিত করতে পারে।

ইতিমধ্যেই সম্ভাব্য ক্রিমিনালদের উপর নজরদারির ক্ষেত্রে এআই প্রয়োগ করার কুফল মানুষ দেখছে। এই প্রযুক্তির সাহায্যে মানুষ অপরাধ করার আগেই তাকে সন্দেহের তালিকায় রাখা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের আচরণ থেকে বোঝার চেষ্টা করা হচ্ছে কাদের অপরাধ করার সম্ভবনা বেশী। এই তালিকায় যাদের নাম আসছে এদের উপর পুলিশের নজরদারি, সন্দেহ বেশী থাকছে। যদিও তারা এখনও পর্যন্ত অপরাধই করে নি। এতে বৈষম্যের শিকার হচ্ছে নিরপরাধ মানুষ। এই তালিকার মানুষদের কেউ কোন কারণে অপরাধ করে ফেললে বিচারের ক্ষেত্রে তারা পক্ষপাতিত্বের শিকার হতে পারে। ফলে বিচার ব্যবস্থা নিরপেক্ষ না থেকে প্রভাবিত হতে পারে । ডেটা এনালাইসিসের ফলাফলের ভিত্তিতে কোন বিশেষ রেইসের বা জাতির মানুষের প্রতি পুলিশের সন্দেহ বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন অভিযোগ এসেছে অনেক দেশে । ফলে সেই জাতি/ রেইসের নিরীহ মানুষও বিপদে পড়ছে। এছাড়া সমালোচনা হচ্ছে যে অনেক এআই সিস্টেম সাদা মানুষের চেহারা যতটা সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পাড়ছে কালোদের ক্ষেত্রে ততটা সঠিকভাবে পাড়ছে না। কারণ যাই হোক না কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। ফলে মানুষ পক্ষপাতিত্ব এবং বর্ণ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। কর্মী নিয়োগের সিস্টেম তৈরির ক্ষেত্রে সাদাদের উপাত্ত বেশী থাকার কারণে এই সিস্টেম প্রয়োগের ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে সিস্টেম কালোর চেয়ে সাদা মানুষকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

এআই প্রযুক্তি তার নিজ প্রয়োজনে অগণিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে রাখে। ফলে আগের চেয়ে অধিক মাত্রায় উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে যখন এআই আরও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে। আমাদের অনেক গোপনীয় তথ্য হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারে। পৃথিবীতে ১০০% হ্যাকিং প্রুফ কোন সিস্টেম নাই। তাই হ্যাকিংয়ের সাহায্যে যুক্তরাষ্ট্রের পেন্টাগনের তথ্যও জানা সম্ভব।

এআই খুব ভালো একটা প্রযুক্তি এটা স্বীকার করতেই হবে। কিন্তু বিশ্ব নেতারা অনুভব করতে পেড়েছেন যে এখনই এআই সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করা দরকার। এই উদ্দেশ্য নিয়েই জাতিসংঘে প্রথম বারের মত নেতৃস্থানীয় দেশগুলির নেতারা একত্রিত হবেন। আশা করা যায় তাদের এই প্রচেষ্টা মানব জাতির জন্য কল্যাণকর হবে।

সূত্র -
education.unoda.org
fairtrials.org
ohchr.org
news.abplive.com
weforum.org

ছবি - analyticsvidhya.com

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:২০

কামাল১৮ বলেছেন: কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা মানব জাতির মঙ্গলে ব্যবহৃত হোক এই কামনা করি।এই বিষয়ে আমার কোন জ্ঞান নাই।কিছু উপকার পাচ্ছি।একটি ভালো গান শুনলে আরো অনেকগুলো ভালো গান এনে হাজির করে।শুনেছি এটা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার কাজ।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটা বানরের মস্তিষ্কে মাইক্র চিপ বসিয়ে দেয়া হয়েছে। এখন বানরটা কম্পিউটার গেম খেলতে পারে।

আপনার মস্তিষ্কে একটা মাইক্র চিপ বসিয়ে দিলে আপনি সারা দিন রাত আল্লাহ আল্লাহ করবেন। এটাও সম্ভব। সামনের দিনে এআইয়ের সাহায্যে এই ধরনের কাজ করা যাবে।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: এটা কি মুমিনরা জোর করে বসিয়ে দিবে।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উল্টা হবে। কারণ বেশীর ভাগ বিজ্ঞানী নাস্তিক। তারা মুমিনদের মগজে নাস্তিকতার চিপ বসিয়ে দেবে ফলে মুমিনরা নাস্তিকদের মত চিন্তা করতে থাকবে।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩০

অপু তানভীর বলেছেন: একটা এনিমেশন সিরিজ দেখেছিলাম কয়েকদিন আগে । সেখানে এই আই রোবটের মাধ্যমে মানুষের মানসিক অবস্থা নির্নয় করা হয় এবং তাকে শাস্তি দেওয়া হত । মানে ধরেন একজন হেটে যাচ্ছে তার দিকে সেই যন্ত্র তাক দেখা গেল তার সাইপাশের মাত্রা ৩০০এর উপরে । তখন পিস্তল তাকে স্বয়ংকৃত ভাবে মেরে ফেলার নির্দেশ দেবে । সাত নম্বর প্যারাটা পড়ে এই কথাটা মনে পড়লো ।

এআই গুরুত্বপূর্ণ একটা টুল । সেটা সবাই শিকার করেই নিবে তবে অবশ্যই এর নিয়ন্ত্রন মানুষের হাতেই থাকতে হবে ।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুভি/ এনিমেশন সিরিজে কিছু রঙ চড়ান থাকলেও এই ধরণের ঘটনার কাছাকাছি অনেক কিছুই ঘটতে পারে এআইয়ের কারণে। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মানুষের অনেক উপকারে আসবে এবং আসছে। এটাকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে এনে মানুষকে সুফল ভোগ করতে হবে।

৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩

নতুন বলেছেন: আমাজন প্রাইমে Black Mirror টিভি সিরিজটা দেখেছেন?

এআই মানুষের বুদ্ধিমত্যার জন্য একটা চ্যালেন্জ। মানুষ অবশ্যই এআই এর নিয়ন্ত্রনে থাকবে।

কিছু দুস্ট মানুষ সব সময়ই থাকবে যারা চাকু দিয়ে ছিন্তাইরের কাজে ব্যবহার করবে। এবং ডাক্তারেরা মানুষের জীবন বাচাবে।

আমার মতে এআই নিজে থেকে মানুষের বিরুদ্ধে যাবেনা।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্ল্যাক মিরর টিভি দেখি নাই। তবে সুযোগ পেলে দেখবো। মানুষকে এখন থেকেই এআইকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভালো জিনিসের খারাপ ব্যবহার হয় অনেক সময় এই কারণেই একটা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দরকার আছে।

৫| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: এসব বিষয় আমি কম বুঝি। তাই মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকলাম।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও কম বুঝি। সামান্য কিছু ধারণা আছে। তারপরও পোস্ট দিলাম।

৬| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ২:১৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- এআই-এর যাত্রা সবে শুরু, যাবে আরো অনেক অনেক দূর।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুরুতেই অনেক আলামত দেখা যাচ্ছে যা দেখে জ্ঞানী লোকেরা চিন্তায় পড়ে গেছে। নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলার মধ্যে থাকলে এই প্রযুক্তি মানব জাতির অনেক কর্মকাণ্ডকে সহজ করে দিবে।

৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৪২

প্রামানিক বলেছেন: এআই কতদূর যাবে বলা যাচ্ছে না

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সবে শুরু এআইয়ের যাত্রা। আমাদের জীবনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে ধারণা করছে বিশেষজ্ঞরা।

৮| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: সবাই যখন এত সিরিয়াস তবে এ আই কে আর হেলাফেলা করা যাচ্ছে না!

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিশ্বের বড় বড় নেতারাও যখন গুরুত্ব দিচ্ছেন তার মানে বোঝা যাচ্ছে সামনে এ আই বিপ্লব ঘটাতে পারে। আমাদেরও তাই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে হবে।

৯| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ব্ল্যাক মিরর টিভি দেখি নাই। তবে সুযোগ পেলে দেখবো। মানুষকে এখন থেকেই এআইকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভালো জিনিসের খারাপ ব্যবহার হয় অনেক সময় এই কারণেই একটা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার দরকার আছে।

সরকারী নিয়ন্ত্রন মানে সব সময় ভালো কিছু না। সেখানে রাজনিতিক লাভের চিন্তা বেশি থাকবে।

* আর্মী নিজেদের প্রয়োজনে জনগনের উপরে ব্যবহার করবে।
* জনগনের উপরে নজরদারীতে ব্যবহার করবে। ( চায়না ইতিমধ্যেই করছে) Click This Link

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আইন এবং নীতিমালাগুলি তো মানুষই বানাবে। তাই এই নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মধ্যে অসৎ চিন্তা ঢুকতে পারে। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক বা সামরিক ফায়দা লোটার জন্য নিয়ম কানুনের মধ্যে অপ কৌশল প্রয়োগ করা হতে পারে। কিছু উদাহরণ আপনি দিয়েছেন যেগুলি মানুষের জন্য কল্যাণকর না।

১০| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ৯:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

এআই নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন বা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
আফটারঅল এআই মানুষেরই সৃষ্টি। মানুষ যেভাবে ইনপুট দিবে কাস্টমাইজড করবে এআই ও সেভাবে চালিত হবে।

আমি মনে করি ai ব্যাপক ভাবে আসলেও কারো চাকরি যাবে না।
যেমন প্রথম ক্যালকুলেটর আবিষ্কৃত হওয়ার পরেও কোন হিসাব রক্ষকের চাকরি যায়নি, বরং অর্থনৈতিক বড় হয়েছে আরও বেশি লোকের চাকরি হয়েছে। অনুরূপভাবে কম্পিউটার আবিষ্কৃত হওয়ার পর সব ব্যাংক সফটওয়্যার দ্বারা চালিত হওয়ার পরেও ব্যাংকের চাকরি তো কমেইনি বরং বহু গুণ বড় হয়েছে।

সরকারি নিয়ন্ত্রণের দরকার আছে।
সভ্যতা ও মুক্ত গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে অপরাধ দমন সন্ত্রাস দমনের কোন বিকল্প নেই। মুক্ত বিশ্ব কর্তৃক উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কম্পিউটারাইজ নিরাপত্তা ব্যবস্থা উচ্চমানের নজরদারি প্রযুক্তি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসকে শূন্যের কোঠায় নিয়ে এসেছে। বিমান ছিনতাই সম্পূর্ণ বন্ধ হয়েছে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও নতুন নতুন প্রযুক্তিকে স্বাগতম জানান।

২০ শে জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে মানুষের ইনপুটে সমস্যার কারণে এআই আমাদের জীবনে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এই কারণেই এটাকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছু নৈতিকতা এবং মানবাধিকারের প্রশ্নও জড়িত।

বিমান ছিনতাই কমেছে ভালো কথা। কিন্তু এআই প্রযুক্তি সমৃদ্ধ অস্ত্র বিক্রিও বাড়ছে। পৃথিবীতে যুদ্ধ কমে নি। এআইয়ের সাহায্যে যুদ্ধ আরও ভয়ংকর হচ্ছে।

১১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: কৃত্রিম বুদ্ধি্মত্তা নিয়ে হালনাগাদ তথ্য উপাত্তসহ একটি চমৎকার পোস্ট। + +
"আপনার মস্তিষ্কে একটা মাইক্র চিপ বসিয়ে দিলে আপনি সারা দিন রাত আল্লাহ আল্লাহ করবেন। এটাও সম্ভব" - মজার একটি প্রতিমন্তব্য। আপনার হাল্কা রসিকতার দক্ষতা ঈর্ষণীয়! :)
"আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও নতুন নতুন প্রযুক্তিকে স্বাগতম জানান" (১০ নং মন্তব্য) - ঠিক!

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মা রিডারস ডাইজেস্ট পড়তেন। আমিও পড়ার চেষ্টা করতাম। সেখানে একটা ছোট বিভাগ ছিল যার নাম ছিল 'লাফটার দা বেস্ট মেডিসিন'। তাই মাঝে মাঝে রসিকতা করার চেষ্টা করি।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনকে অনেক সহজ করবে। এতে কোন সন্দেহ নাই। সামান্য কিছু ঝুকি আছে, যেটা ঠেকানোর জন্য কিছু নিয়ম কানুন তৈরির চেষ্টা চলছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.