নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি থাকা দরকার মনে হয়

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৮

আমি মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে পড়াশুনা করি নাই। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় চাকরি করতে গিয়ে অনেক সময় তাদের সাথে আমার বিভাগের কাজের যোগাযোগ হয়েছে। আমি খেয়াল করেছি যে কিছু বিষয়কে তারা গুরুত্ব দেয়। যেমন প্রেষণা (Motivation), কর্মীর ক্ষোভ বা অসন্তোষ ব্যবস্থাপনা (Grievance Management), প্রতিষ্ঠানে কর্মী ধরে রাখা (Retention of Employee), শাস্তিমুলক ব্যবস্থা ইত্যাদি।

আমার ধারণা আমাদের এই সামু ব্লগে ব্লগারদের মধ্যে প্রেরণা/ প্রেষণার অভাব আছে। অনেকে অনেক ভালো লেখেন বা অতীতে লিখেছেন কিন্তু এখন আর লিখতে আগ্রহ পাচ্ছেন না। আবার অনেক ব্লগারের মনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ক্ষোভ আছে। এই ক্ষোভ কেউ প্রকাশ করেন আবার অনেকে করেন না। যার ফলে তার লেখা এবং মন্তব্যে/ প্রতি-মন্তব্যে এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ নেতিবাচকভাবে ফুটে ওঠে। ব্লগ ছেড়ে অনেকেই চলে যাচ্ছেন ক্ষোভের কারণে। অনেক সময় প্রকৃত কারণ ব্লগার বলতে চান না। ১০ বা ১৫ বছর এই ব্লগে থাকার পরে কেন চলে যাচ্ছেন এটা নিয়ে ভাবার দরকার আছে। কারণ ব্লগের সুষ্ঠু প্রবৃদ্ধির জন্য কারণগুলি জানা প্রয়োজন। কারণ না জানলে সমাধান করা যাবে না।

অন্যের মন্তব্যের কারণেও অনেকে চলে যাচ্ছেন। এই ক্ষেত্রে অসন্তোষ ব্যবস্থাপনার কৌশল প্রয়োগ করার দরকার হতে পারে।

ব্যক্তি মালিকানাধীন অথবা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানেও মানব সম্পদ বিভাগ চেষ্টা করে কর্মীদের কাজে অনুপ্রেরণা জোগাতে। কর্মীর ক্ষোভ জানার চেষ্টা করা হয় এবং সম্ভব হলে সেটা সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়। তার প্রতি কেউ অন্যায় আচরণ করলে অপরাধীর বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের সবচেয়ে বড় সম্পদ হোল মানব সম্পদ। তাই চেষ্টা করা হয় ভালো মানের কর্মীদের প্রতিষ্ঠানে ধরে রাখার জন্য। অনেক প্রতিষ্ঠানে তাই বিদায়ী কর্মীর কাছ থেকে লিখিত ভাবে জানতে চাওয়া হয় কেন তিনি চলে যাচ্ছেন। এই তথ্য এবং উপাত্ত ভবিষ্যতে কর্মী ধরে রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য করে। প্রতিষ্ঠানে কেউ অন্যায় করলে তাকে সাধারণত কারণ দর্শানোর সংবাদজ্ঞাপন করা হয়। তাকে তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয়া হয়। তারপরে প্রয়োজনীয় শাস্তি মুলক ব্যবস্থা নেয়া হয়। শাস্তি কি হবে সেটা লিখিতভাবে জানানো হয় এবং শাস্তির মেয়াদ বা শাস্তির পরিমান নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। কর্ম পরিবেশ এমনভাবে তৈরি করা হয় যেন নারী পুরুষ পার্থক্য না থাকে এবং আচরণে শালীনতা থাকে।

ব্লগের সাথে এই পদ্ধতি মিলবে না এটা আমি জানি। কিন্তু ব্লগে যে ভাবে ব্লগাররা ক্ষোভ নিয়ে চলে যাচ্ছে বা ক্ষোভ নিয়ে ব্লগিং করছে তাই আমার কাছে মনে হোল এই ধরণের পদ্ধতি নিলে হয়তো ব্লগের জন্য ভালো হবে। এই ব্লগে নারীদের অংশগ্রহণ আশংকাজনকভাবে কমে যাচ্ছে। এটার অর্থ হতে পারে এই যে দেশের মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় ব্লগিংয়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে অথবা পরিবেশ অনুকুল না হওয়ার কারণে তারা ব্লগে নির্ভয়ে লিখতে পাড়ছে না অথবা মেয়েরা ব্লগিংয়ে পিছিয়ে আছে অজানা কারণে। সঠিক কারণ আমিও জানি না।

ব্লগারদের মূল্যবান অভিমত এবং পরামর্শের অপেক্ষায় রইলাম। এই ব্লগটাকে আমাদের টিকিয়ে রাখতে হবে নিজেদের স্বার্থে। ব্লগটিম সব কাজ করতে হয়তো পারবে না। তাদের সাথে আমাদেরকে সহযোগিতা করতে হবে।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৬

জটিল ভাই বলেছেন:
শেষাংশ পড়ে বুঝতে পারছি না হাসবো না কাঁদবো। দিনকে দিন সবাই কি অনুভূতি শূণ্য হয়ে যাচ্ছি বলে মনে করতে পারি?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভাই অনেক দিন পরে আপনার দেখা পেলাম। সারা পৃথিবী জুড়ে যুদ্ধের কারণে কম বেশী সবাই ভুগছে। তাই শান্তি চাই যে কোন মূল্যে। ব্লগারদেরকেও দায়িত্বশীল হতে হবে। তবে অনেকেই এখানে দায়িত্ব জ্ঞানহীন মন্তব্য এবং কাজ কারবার করে থাকে। ব্লগ টিমকেও এগুলি নিয়ে ভাবতে হবে যদি আমরা চাই যে ব্লগটা আরও সমৃদ্ধ হউক।

আশা করি শীঘ্রই আপনি আপনার নানী শাশুড়ির জন্য একটা পোস্ট দিবেন। উনি অনেক সুন্দর কিছু গয়না তৈরি করেছেন অল্প খরচে নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে। তবে এগুলি ওনার নিজের জন্য নাকি নাতনীর জন্য সেটা পরিষ্কার করে বলেন নাই। আপনি একটু দেখে এসে দুইটা সুন্দর করা বলে আসেন। :) কক্সবাজার গিয়ে দাপাদাপি করে এসেছেন নাতনীকে না নিয়ে।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অভিমান বা ক্ষোভ জনিত কারণে ব্লগ থেকে বিদায় নেয়া একটি বহুল প্রচলিত ব্লগীয় সংস্কৃতি। আমিও একবার আমার ব্যক্তিগত ব্লগ আইডি থেকে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে বিরক্ত হয়ে ব্লগিং থেকে বিদায় নিয়েছিলাম। কিন্তু অধিকাংশ সময়ে এই সকল ক্ষেত্রে সহব্লগারদের আন্তরিক অনুরোধ এবং ভালোবাসার কারণে ব্লগাররা ফিরে আসেন এবং সেটাই কর্তব্য।

ব্লগ টিম সব সময় সকল ব্লগারের 'অন্তভুর্তিতে' বা "inclusiveness" এ বিশ্বাস করে। ফলে যে কারো বিদায় আমাদের জন্য দুঃখজনক। তবে যদি এমন হয় কারো আদর্শগত দন্দের কারণে তিনি বিদায় নিতে চাইছেন, সেই ক্ষেত্রে আমরা তার ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সম্মান করি।

অনেক সময় ব্লগাররা আমাদেরকে মেইল করে নানা বিষয়ে অভিযোগ জানান এবং সেটার সমাধান চান। আমরা সেই বিষয়ে অনুসন্ধান করে নীতিমালার আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করি। অনেক সময় আমাদের প্রয়োগকৃত নীতিমালা তাদের প্রত্যাশিত সমাধানের সাথে না মিললে অনেক ক্ষেত্রে ব্লগ ছেড়ে যেতে দেখেছি। আমরা অধিকাংশ মানুষ দিন শেষে নিজের পক্ষে বাক-স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।

আমার মনে হয়, আমাদের ব্লগাররা এটা ভুলে যান যে, আমরা একটি কমিউনিটি ব্লগে আছি। আমাদেরকে সকলকে নিয়েই বাস করতে হবে। হ্যাঁ, যারা ক্ষতিকারক, আমরা তাদেরকে অবশ্যই বাদ দিয়েই এগিয়ে যাব। যারা বাদ দেয়ার দায়িত্বে আছেন, তাদেরকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার প্রতি মন্তব্যের প্রথম প্যারাগ্রাফটা ভালো লাগলো। কারণ ভালোবাসা এবং আন্তরিকতার কারণে এটা ঘটে থাকে। ভালোবাসা এবং আন্তরিকতা কমতে থাকলে সমাজ যেমন নিষ্প্রাণ হয়ে যায় ব্লগের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

আদর্শগত দ্বন্দ্বের কারণে চলে গেলে কিছু বলার থাকে না। কারণ আদর্শের সংঘাত থেকে কেউ কিছু আসলে শেখে না। শুধু ঘৃণা, বিদ্বেষ বাড়ে।

ব্লগের সিদ্ধান্তকে মেনে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ব্লগটা সমাজেরই একটু ক্ষুদ্র সংস্করণের মত। তাই ক্ষতিকর জিনিস আপনাদেরকে বাদ দিতে হয়। ব্লগের মডারেটর দায়িত্ব পালন করা অনেক কঠিন কাজ। আপনি অনেক বছর সফলভাবে সেটা পালন করে যাচ্ছেন।

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৪৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: দুই টাকার একটি পত্রিকা খুলেও নাকি মানুষ কোটি কোটি টাকার ব্যবসা করছে, কিন্তু এই ব্লগ বছরের পর বছর শুধু লোকসানই দিয়ে যাচ্ছে। এভাবে লোকসান দিয়ে একটি প্রতিষ্ঠান কতদিন চালানো সম্ভব? তাই আমি মনে করি ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অর্থনৈতিক বিষয়টা নিয়ে সবার আগে ভাবতে হবে। আর এজন্য শুধু গুগলের বিজ্ঞাপন দিয়ে কাজ হবে না, বড় বড় কোম্পানির স্পন্সর লাগবে কিন্তু লাখ লাখ ভিউ না হলে ভালো স্পন্সর পাওয়া যাবে না, আর লাখ লাখ ভিজিটর পেতে হলে ব্লগের টেকিনক্যাল সমস্যা সব দূর করতে হবে তারপর এসইও এবং মার্কেটিং নিয়ে কাজ করতে হবে। সর্বপোরি পুরো ব্লগটিকে ঢেলে সাজাতে হবে, এবং পুরোদমে ডিজিটাল মার্কেটিং চালাতে হবে।

আর সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে রাজনৈতিক সমস্যা, আমি চাই যে কোন সরকার ক্ষমতায় থাকুক না কেন এই ব্লগের উপর কোন সরকারই যেন কোন ধরণের হস্তক্ষেপ করতে না পরে তার ব্যবস্থা করা।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগ কর্তৃপক্ষকে তাদের অর্থনৈতিক উন্নতির চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। মানুষ জন্মালে টাকা লাগে, মারা গেলে টাকা লাগে, মানুষের অস্তিত্বের জন্য টাকা লাগে। টাকা লাগে না এমন কোন বিষয় নাই। তাই ব্লগের সমৃদ্ধির জন্যও টাকার উৎস খুঁজে বের করতে হবে। আমার ধারণা ব্লগ কর্তৃপক্ষ এটা নিয়ে ভাবছেন।

১০০% স্বাধীনতা বাংলাদেশের কোন মিডিয়ারই নেই। তাই একটু বুঝে শুনে চলে সরকারী ঝামেলা এড়াতে হবে। সরকারের সাথে মারামারি করে টিকে থাকার মত পরিবেশ এখন বাংলাদেশে নাই।

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সাচু ভাই ভালো একটা বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু কমেন্ট এসে কাভা ভাইয়ের কমেন্টের পর নুতন কিছু আর মাথায় আসছে না। আমার দৃষ্টিতে কাভা ভাইয়ের কমেন্টের পর আর নুতন করে কিছু বলার নেই। তবে মান অভিমান থাকুন। আবার ব্লগার শ্রীবৃদ্ধি ঘটুক। আবার আগের মতো ঝলমল করে ব্লগ পূনঃরুজ্জীবিত হোক। বাংলাদেশের প্রতি জেলা থেকে ন্যূনতম একজন ব্লগার যেন সর্বদা লগ ইন থাকলেও যথেষ্ট। সঙ্গে আমরা বাইরে থেকে তো আছিই।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পদাতিক ভাই, আমিও আশা করি ব্লগের শ্রীবৃদ্ধি হউক। সারা পৃথিবীতে পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলায় কথা বলা লোক মনে হয় প্রায় ৩৩ কোটি হবে। ৩৩ কোটি লোকের মধ্য থেকে আরও নতুন ব্লগার সামু ব্লগে আসুক এই কামনা করছি।

কাভা ভাই এবং তার দল তাদের সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন ব্লগের উন্নতির জন্য। সামু ব্লগের আরও উন্নতি কামনা করছি।

আপনার গল্প কয়েক খণ্ড পড়ার পরে বিরতি দিয়েছি। আবার পড়ব সামনের দিনগুলিতে। ভালো থাকবেন।

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৯

অপু তানভীর বলেছেন: আপনার পোস্টের কেবল একটা অংশ নিয়েই বলি । যখন ব্লগে কাউকে ব্যান করা হয়, জেনারেল করা কিংবা মন্তব্য মুছে দেওয়া হয় তখন কোন পোস্ট কিংবা কোন মন্তব্যের জন্য সেটা করা হয় সেটার ব্যাপারে একটা মেইল তাকে পাঠানো হয় । যদি কেউ বলে তাকে মেইল পাঠানো হয় নি সে ক্ষেত্রে ঘটনা দুটো ঘটতে পারে । এক. সে সেই মেইল চেক করে নি দুই. সে মিথ্যা বলছে । যে কয়জন ব্লগার বর্তমানে বলে বেড়াচ্ছে তাকে জানানো হয় নি আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে সে মিথ্যা বলছে ।
এবং কাউকে ব্যান করলে সেটা আসলে কত দিনের জন্য করে রাখা হবে সেটা কোন কালেই সামুতে নির্দিষ্ট ছিল না । এটা নিয়ে কখনই কারো কোন সমস্যাও ছিল না । এটা নিয়ে এখন আবার এতো সমস্যা কেন হয়ে গেল !

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেকেই ই মেইল চেক করে না। এটা হয়তো ঠিক।

তবে শাস্তি বেশী না দেয়াই ভালো।

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ব্লগের প্রবৃদ্ধির দরকার কি? যে যেমনে ইচ্ছে তেমনি খুশি থাকুক

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তাহলে তো মগের মুল্লুক হয়ে যাবে। আর কোন বাংলা ব্লগ নেই বললেই চলে। সামুকে আবার ঘুরে দাড়াতে হবে। এটা সম্ভব।

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: আসল সমস্যা হচ্ছে- ক্ষমতা মানুষের মাথা আউলায়ে দেয়।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সামু ব্লগের মঙ্গল কামনা করছি। সবাই মঙ্গল কামনা করলে সামু ব্লগ আবার জমে উঠবে।

৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


আপনি চুয়াত্তর থেকে একশত হয়ে গেলেই ব্লগ টিকে যাবে।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তবে যেন তাই হয়।

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,




দেশ-কাল-পাত্রের সাথে “সামু” হলো আমাদের টুলস অব কমিয়্যুনিকেশান ।
যখোন আপনার ভাবনারা ভীড় করে আসে তখোন শব্দগুলো জীবন্ত হয়ে ওঠে । আপনার সুপ্ত প্রতিভা , সমাজ - প্রতিবেশের প্রতি আপনার ধ্যান-ধারনা, সংস্কারের সৃজনশীলতা আপনার অচলায়তন ভেঙ্গে আপনাকে ছড়িয়ে দেয় বিশ্বময় ।
“সামু” আপনাকে সে রাস্তাটিই খুলে দিয়েছে । এই পথে আপনার যে পদচিহ্ন পড়ে আছে তা কালের স্বাক্ষী।
আমাদের নিজেদের মন ও মননকে বাঁচিয়ে রাখতে ব্লগটাকে তাই সজীব রাখতেই হবে, নিজ প্রয়োজনে।
তাই মনে হয়না, প্রতিটি ব্লগারের শুদ্ধ অন্তঃকরণ বিনা আর কোনও পদক্ষেপ কাজে লাগবে! এ পর্য্যন্ত সাত মন তেল ঢালা হয়েছে ব্লগে কিন্তু রাধা নাচেনি!
একমাত্র ব্লগাদের সুস্থ্য মানসিকতাই ( যা কেবল নিজের ভেতরেই জন্ম হয়, গড়ে দেয়া যায় না। ) সকল প্রতিকূলতা ঠেলে ব্লগটাকে সামনে নিয়ে যেতে পারে। তারপরেও বলি , এধরনের লেখারও প্রয়োজন আছে ; আমাদেরকে মাঝেমাঝে সতর্ক করে দেয়ার জন্যে, মনে করিয়ে দেয়ার জন্যে!
কাল্পনিক_ভালোবাসা ঠিকই বলেছেন - "আমাদের ব্লগাররা এটা ভুলে যান যে, আমরা একটি কমিউনিটি ব্লগে আছি।"

জ্যাক স্মিথ এর মন্তব্যের প্রথম অংশের সাথে সহমত।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলা ব্লগের অবস্থা খারাপ। একমাত্র সামু টিকে আছে। ব্লগারদের স্বদিচ্ছা, সুস্থ মানসিকতা আর ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি খুব প্রয়োজন সামু ব্লগের উন্নয়নের জন্য। সাত মণ তেল বা ঘি ঢালার পরেও অবস্থার উন্নতি না হলে ব্যাপারটা চিন্তার বিষয়।

সামু একটা কমিউনিটি ব্লগ এটা আমরা অনেকেই ভুলে যাই। আমাদের জাতীয় চরিত্র ব্লগেও অনেক সময় ফুটে ওঠে। জ্যাক স্মিথ বাস্তবতার আলোকে সঠিক কথা বলেছেন। ব্লগের অর্থনৈতিক সমস্যা থাকলে সেটার সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে।

১০| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪০

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনার এই পোস্টে একটা অভিযোগ প্রকাশ করছি তা হলো ,

খেয়াল করেছি কিছু ব্লগার যাই লেখেন তাই নির্বাচিত পাতাতে যায় । এদিকে নতুনদের মধ্যে আমরা ভালো লিখলেও বেশিরভাগ লিখা নির্বাচিততে যায় না । এমনও লিখা দেখেছি যা নির্বাচিত পাতাতে যাবার মত না তাও গিয়েছে । হয়তো এটা ব্লগ টিমের সিদ্ধান্ত এবং এই সিদ্ধান্তের পেছনে অবশ্যই যাঁচাই কাজ চলে । তবে ভালো লিখেও যখন নির্বাচিততে লিখা আসে না তখন হতাশ হতেই হয় । এর দিকেও নজর দেয়া উচিত বলে মনে করি !!

কেউ মর্মাহত হলে আমি দুঃখিত !!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পদাতিক ভাইয়ের জন্মদিন নিয়ে লেখা আপনার ৫ সেপ্টেম্বর তারিখের কবিতাটা নির্বাচিত পাতায় যাওয়ার সময় এখনও আছে মনে হয়। অনেক সময় ব্লগ কর্তৃপক্ষ কয়েকদিন পরেও পোস্ট নির্বাচিত পাতায় নেয়। এছাড়া সম্ভবত একটা অলিখিত চর্চা ব্লগে আছে যে কবিতা সাধারণত নির্বাচিত পাতায় কম দেয়া হয়ে থাকে। তবে আপনার এই কবিতাটা যাওয়া উচিত বলে আমার মনে হয় কারণ ৩ সেপ্টেম্বর তারিখে সেলিম আনোয়ার ভাইয়ের একই ধরনের একটা কবিতা নির্বাচিত পাতায় গিয়েছে। ওনার কবিতার বিষয় ছিল ওনার ব্লগিংয়ের ১১ বর্ষপূর্তি।

আপনার ৯ তারিখের চট্টগ্রামের জলবদ্ধতা নিয়ে পোস্টটা অনেকটা রম্য বা ব্যঙ্গাত্মক ধরণের। একটু হাল্কা ধাঁচে লিখেছেন তাই হয়তো নির্বাচিত পাতায় যায়নি। তবে অনেক হাল্কা এবং ফান পোস্টও নির্বাচিত পাতায় অনেক সময় গিয়েছে গত কয়েক মাসে।

আপনার ৪ আগস্টের পোস্টটা মিরোরডডলকে নিয়ে লেখা। উনি সাময়িক উপস্থিত ছিলেন তাই পোস্টটার কার্যকারিতা বা গুরুত্বও সাময়িক। হয়তো এই কারণে নির্বাচিত পাতায় যায় নি।

আপনার ২৮ জুলাইয়ের পোস্টটা একটা কবিতা। কবিতা খুব কমই নির্বাচিত পাতায় যায় যেটা আগেই বলেছি। আপনার ২৪ জুলাইয়ের পোস্টটা নির্বাচিত পাতায় যাওয়ার মত ছিল বলে আমার মনে হয়। কারণ এটা শেরজা ভাইয়ের জন্মদিন নিয়ে একটা কবিতা। আমার মতে এই ধরণের পোস্ট ব্লগারদের মধ্যে হৃদ্যতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তাই নির্বাচিত পাতায় যাওয়ার যোগ্য।

১৫ জুলাইয়ের কারাগারে গড়ে ওঠা কাকতাল ব্যান্ড নিয়ে আপনার পোস্টটি নির্বাচিত পাতায় যাওয়ার মত ছিল বলে আমার ব্যক্তিগত মতামত। একটা ব্যতিক্রমধর্মী তথ্যবহুল একটা পোস্ট ছিল এটা।

আপনার ৬ জুলাই এবং ২৩ জুন তারিখের রুমির কবিতার অনুবাদগুলি নির্বাচিত পাতায় গিয়েছে কিন্তু ১১ জুলাইয়ের রুমির কবিতার অনুবাদ নির্বাচিত পাতায় যায় নি। হয়তো একই বিষয়ের উপর বেশী পোস্ট দেয়ার কারণে এটা ঘটেছে।

আসলে নির্বাচিত পাতায় যাওয়া নিয়ে আগেও অনেক পোস্ট এসেছে। সার্বিকভাবে ব্লগ কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষতা বজায় রাখেন বলে আমার মনে হয়। তবে মানুষের বিচার করার দৃষ্টিভঙ্গি একেক জনের একেক রকম। তাই কিছু মত পার্থক্য থাকতে পারে।

বাকি ব্যাখ্যা ব্লগ কর্তৃপক্ষ দিতে পারবে। আমার এই ব্যাপারে কোন এখতিয়ার নাই। শুধু মতামত প্রদান করলাম।

১১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


একটি ভাল পরামর্শ দেয়া হয়েছে পোষ্টটিতে । এক কথা জলন্ত সত্য যে
মানব সম্পদ হচ্ছে প্রতিষ্ঠানের চালিকাশক্তি । তাই প্রতিষ্ঠানের এ সম্পদের বাছাই ,
নিয়ােগ , প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন , লালণ পালন , প্রেষণা ও সুযােগ - সুবিধা দান, সকল
ব্লগারসহ এর এর কর্মীদের অভাব - অভিযােগ নিরসন , কর্মীর/ব্লগারদের অধিকার
প্রতিষ্ঠা, পারস্পরিক সুষ্টু মিথক্রিয়া ইত্যাদি বিষয়সমূহ যথাযথভাবে প্রতিপালনের
জন্য ব্লগের মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির দিকে যথাযথ মনযোগ দেয়া প্রয়োজন।

শুভেচ্ছা রইল

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য। বহু ব্লগ বন্ধ হয়ে গেলেও সামু ব্লগ এখনও ভালো ভাবেই চলছে। তবে ভালোর কোন শেষ নেই। তাই ব্লগার এবং ব্লগ কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টাতে ব্লগের আরও উন্নয়ন সম্ভব। ব্লগের কল্যাণ কামনা করেই এই পোস্ট দিয়েছি।

১২| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা আপনার একটা ভালো অভ্যাস। :)

১৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০০

ঢাবিয়ান বলেছেন: যার ব্লগ একেবারে ছেড়ে দিয়েছে তাদের একটা সাক্ষাৎকার নেয়ার ব্যবস্থা করলে ভাল হয়। ঠিক কি কারনে ব্লগিং ছেড়ে দিয়েছে তারাই ভাল বলতে পারবে। অভিমানে যারা ব্লগ ছাড়ে , তারা আবার ফিরেও আসে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পরামর্শটা আসলেই ভালো। কারণ আমরা অনেক সময় অনুমান নির্ভর কথা বলে থাকি। তবে অনেক ক্ষেত্রে ব্লগ কর্তৃপক্ষের সাথে আদর্শগত দ্বন্দ্ব বা ইগো সমস্যার কারণে যারা চলে যায় তারা সাধারণত ফিরে আসে না।

অভিমান করে চলে গেলে ব্লগারদের উচিত তার অভিমান ভাঙ্গার চেষ্টা করা। কারণ বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই অভিমানটা সাময়িক হয়ে থাকে। কিন্তু অনেকে বলে থাকেন যে চলে গেছে চলে যাক। এই কথাটা ভালো লাগে না। আমরা সামাজিক জীব এবং ব্লগটা একটা পরিবারের মত। এই পরস্পরের প্রতি টান কমে গেলে ব্লগের কার্যকারিতা কমে যাবে। এক সময় নিয়মিত বাৎসরিক সামু ব্লগ ডে পালন করা হত। এখন সেটাও হচ্ছে না।

১৪| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩১

মিরোরডডল বলেছেন:




সারা জীবন লেফট রাইট করতে করতে ঝাকানি খেতে খেতে মাথার বুদ্ধি হাঁটুতে নেমে আসে।

Man!!! why are you so funny????

I can't stop laughing :)


০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা অনেক পুরানো একটা জোকস। :) সকাল পর্যন্ত মিরোরডডল হাসতে থাকুক কারণ হাসির মধ্যে ভিটামিন আছে। লাফটার দা বেস্ট মেডিসিন। :)

মিরোরডডলের কমন পরে নাই জেনে বিস্মিত হলাম। :)

অনেকের মন্তব্যের উত্তর না দিয়ে মিরর ডলের মন্তব্যের জবাব দিলাম। বাকিদেরটা কালকে দিব ইনশাল্লাহ। সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।

১৫| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৭

করুণাধারা বলেছেন: ব্লগ ঠিক ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের মতো নয়। ব্লগে কিছু মানুষ সবসময় নতুন আসছে, কিছু মানুষ চলে যাচ্ছে। খুব অল্প কিছু মানুষ সামুর প্রায় শুরু থেকেই আছেন। নিশ্চয়ই এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে তাদের জীবনের নতুন প্রায়োরিটি এসেছে, কর্ম জীবনের ব্যস্ততাও হয়তো তাদের জীবনে আছে তার পরও কীভাবে তারা এতদিন ধরে ব্লগিং করতে পারছেন না কাঁটার আঘাত সয়ে, ব্লগিং করতে তাদের ভালো লাগার কারণ ইত্যাদি খুঁজে দেখা যেতে পারে। এক দশক বা তার বেশি সময় ধরে সামুতে আছেন এমন ব্লগারদের জন্য একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায়, "আমি কেন সামু ছেড়ে যেতে পারিনা!" শিরোনামে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার আইডিয়াটা আসলেই ভালো। কারণ যারা দীর্ঘদিন এই ব্লগে আছেন তারা নতুনদের চেয়ে ব্লগ সম্পর্কে বেশী জানেন এবং তারা কিভাবে বিভিন্ন সময়ে কাঁটার আঘাতকে সামলিয়েছেন সেটা থেকে অন্যেরা শিখতে পারবে অথবা আদৌ কোন সমস্যায় তারা কেন পড়েন নাই সেটাও জানা যাবে। সামু ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছা তাদের মধ্যে কেন আসে না এই প্রশ্নের উত্তরও তারা ভালো বলতে পারবেন।

এই ব্যাপারে একটা পোস্ট দিব কি না ভাবছি। :)

১৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৫

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: সাচু ভাই মন্তব্যের উত্তর দিলেন না । অপু ভাইয়ের পথ অনুসরণ করবো ?? X((

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একটু ব্যস্ততার কারণে সবার মন্তব্যের জবাব দিতে দেরী হচ্ছে। আমি শীঘ্রই সবার মন্তব্যের উত্তর দিব। ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানাচ্ছি। :)

১৭| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪১

মিরোরডডল বলেছেন:




ব্লগারদের মূল্যবান অভিমত এবং পরামর্শের অপেক্ষায় রইলাম।

কোন পরামর্শ নেই। মূল্যবান কিনা জানি না কিন্তু মতামত হচ্ছে, ব্লগের জন্য এগুলোর কোন প্রয়োজনই নেই।

ব্লগ কর্তৃপক্ষ আছে। নীতিমালা লঙ্ঘন করলে তারা যেভাবে ব্যবস্থা নেয়, সেটা যথেষ্ট।

ব্লগে যে ভাবে ব্লগাররা ক্ষোভ নিয়ে চলে যাচ্ছে বা ক্ষোভ নিয়ে ব্লগিং করছে তাই আমার কাছে মনে হোল এই ধরণের পদ্ধতি নিলে হয়তো ব্লগের জন্য ভালো হবে।

ব্লগের জন্য এরকম কোন পদ্ধতি কাজ হবে না, যতকিছুই করা হোক, ব্লগারদের ক্ষোভ, চলে যাওয়া এগুলো থাকবেই।

ব্লগারদের ওপর নির্ভর করে পরিবেশ কেমন হবে, সবার সুস্থ চিন্তাধারা এবং সংযত আচরণ পরিবর্তন আনতে পারে।
কনফ্লিক্ট হ্যান্ডেল করাটাও নিজের কাছে।





০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য। :)

১৮| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কিছু একটা তো করা যায়।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথাটা ভালো লাগলো। ব্লগকে ভালোবেসে কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি আমাদেরকেও ব্লগের উন্নয়নের জন্য ভাবতে হবে।

আপনাকে অনেক দিন পরে দেখলাম। আরেকটু ঘন ঘন ব্লগে আপনার উপস্থিতি আশা করি। :)

১৯| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৩

মিরোরডডল বলেছেন:




ঢাবিয়ান বলেছেন: যার ব্লগ একেবারে ছেড়ে দিয়েছে তাদের একটা সাক্ষাৎকার নেয়ার ব্যবস্থা করলে ভাল হয়। ঠিক কি কারনে ব্লগিং ছেড়ে দিয়েছে তারাই ভাল বলতে পারবে।

:)

কারণের কি কোন শেষ আছে! জীবন পরিবর্তনশীল। অনেকের ইচ্ছে আছে সময় নেই, অনেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে, এরকম নানা কারণ থাকতে পারে। তবে ব্লগ এডমিন চাইলে পুরনো কয়েকজনের সাথে কথা বলে সেটা নিয়ে পোষ্ট দিতে পারে। একবার দিয়েছিলো একজন সিনিয়র আপুকে নিয়ে। নাম মনে পড়ছে না। ফোন কভারসেশন সেই আপুর সাথে।

করুণাধারা বলেছেন: এক দশক বা তার বেশি সময় ধরে সামুতে আছেন এমন ব্লগারদের জন্য একটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা যায়, "আমি কেন সামু ছেড়ে যেতে পারিনা!" শিরোনামে।

ধারাপুর আইডিয়াটা দারুউউউউউউউউউন লেগেছে!!!
এডমিন থেকে করতে পারে এটা।
প্রতিযোগিতা যদি নাও হয়, ধারাপু বা সাচু পোষ্ট দিয়ে সকলকে ওয়েলকাম করতে পারে বিষয়টা নিয়ে লেখার জন্য।
সেটাও যদি না হয়, সেই পোষ্টে মন্তব্য করেও সবাই কারণ জানাতে পারে :)

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঢাবিয়ানের প্রস্তাবটা ভালো।

সময়ের অজুহাতটা আমার কাছে বিশ্বাস হয় না। কারণ একজন মানুষ ২ বছরেও অনলাইনে মোবাইলের সুইচ টিপে ব্লগে ৫ মিনিটের জন্য আসতে পারবে না এতো ব্যস্ত মানুষ পাওয়া দুষ্কর ব্যাপার।

করুণাধারা আপুর প্রস্তাবটাও ভালো। আমি বা উনি একটা পোস্ট দিতে পারি।

২০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনার পোস্ট এর সাথে একমত পোষন করি। খাবার হোটেলের সাফল্য নির্ভর করে বাবুর্চির উপর। সুস্বাদু খাবার যেখানে খেতে পাওয়া যায় সেখানে মানুষ বারবার খেতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। তেমনি ভাবে মননশীল, সৃজনশীল, তথ্যসমৃদ্ধ ও সুন্দর লেখা যদি পোস্ট হয় তা মানুষ নিশ্চয়ই খুঁজে বের করে পড়তে চাইবে এটাও খুবই স্বাভাবিক। সুতরাং ব্লগারদের ভিতরকার সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার সার্বিক প্রয়াস যেমন দরকার তারচেয়েও বেশি দরকার যারা ভাল লেখেন তাদেরকে সর্বতোভাবে উৎসাহ প্রদান।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো উদাহরণ দিয়েছেন ভাই। সমাজ, রাষ্ট্র, কর্মস্থল এমন কি পরিবারেও প্রেরণা, উৎসাহ এগুলি খুব কার্যকরী পদ্ধতি। উৎসাহ প্রদানের চর্চা বৃদ্ধি করতে হবে। ব্লগেই দেখবেন অনেকেই অনেক দিন পোস্ট দেয় না কিন্তু কোন প্রতিযোগিতার আয়োজন করলে বহু ব্লগার পোস্ট দিয়ে থাকেন। তখন ব্লগটা জমে ওঠে। তাই ব্লগারদের এবং ব্লগ কর্তৃপক্ষের উভয়কেই সেই ধরণের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

২১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: আমার পোস্টে উল্টা-পাল্টা মন্তব্য আসলেই সোজা আইডি ব্লক। এত ম্যানেজমেন্ট শেখার সময় কোথায়! :P

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিভিন্ন মন মানসিকতার মানুষ ব্লগে থাকে। একই পরিস্থিতি একেক জন একেকভাবে সামলায়। ব্লক করার সুযোগ যেহেতু আছে কেউ না কেউ সেটা ব্যবহার করতেই পারে। :)

২২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: “আমার ব্লগ” দিয়ে আমার “ব্লগ” বিদ্যালয়ে পদার্পন । তিন-চার মাস পর “সামু” ব্লগে ভর্তি হই । কালের বিবর্তনে “আমার ব্লগ” বিবর্তিত হতে হতে চোখের সামনে বিলিন হয়ে গেল। অতঃপর ফেজবুকে আর টুইটারেই শুধু ঘুরাঘুরি । ৯ বছর পর সামুতে তালা খুলে দেখি টেবিল-চেয়ার জায়গা মতোই আছে । হেড স্যার একটি লেখাকে ভুমিষ্ঠ হওয়ার পুর্বেই বাধা দিয়ে ১ দিনের ব্যান দিলেন। লেখার বিষয়টা এখনো পেটে ঘুরপাক খাচ্ছে। যাই হোক, সব কিছু মিলিয়ে সামু ব্লগ মোটামুটি শক্ত সারভাইভ পজিশনে আছে । ভালোয়- মন্দয় মিলে টিকে থাক প্রিয় ব্লগ, লিখে যাক ব্লগাররা, যে যার মতো করে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সামু ছাড়া আর কোন উল্লেখযোগ্য বাংলা ব্লগ আছে বলে মনে হয় না। তাই নিজেদের স্বার্থেই এই ব্লগের পরিবেশ ভালো রাখার চেষ্টা করতে হবে আমাদের।
পৃথিবীতে প্রায় ৩২ কোটি লোক বাংলা ভাষায় কথা বলে। সেই তুলনায় বাংলা ব্লগে মানুষ অনেক কম। যতটুকু জানি সামু ব্লগ ব্যক্তিগত অর্থ খরচ করে চলছে। ব্লগটার অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া জরুরী। এটা ব্লগের একটা নেগেটিভ সাইড বলে আমার কাছে মনে হয়। প্রতিষ্ঠানকে দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে সেটার অর্থনৈতিক উৎসকেও স্থায়ী করা প্রয়োজন।

২৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২২

সোনালি কাবিন বলেছেন: ব্লগে বিচিত্র সব মানুষের খেলা । এদের ম্যানেজ করা মডুর পক্ষে সত্যিই টাফ ।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলেই ঠিক বলেছেন। এটার সমাধান হোল কঠিন শৃঙ্খলা আরোপ।

২৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৪৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: না না আমি কেবল আমার পোস্টের কথাই বলছি না । এটা নির্বাচিত পোস্টে কোন লিখা গেলে সেটা বেশ সম্মানের বিশেষ করে আমরা যারা নতুন তাদের কাছে । যেমন একটা কথা বলি বিপাশার ব্যাপারটা , সে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত হয় যখন তার পোস্ট নির্বাচিততে যায় । এখানে ব্লগ কর্তৃপক্ষ হয়তো কোন নিয়ম মেনে চলে , তবে এটা দৃশ্যমান যে এখানে অনেক লিখা নির্বাচিততে যায় যা আসলেই অত ভালো না । আমি নিজেও অত ভালো লিখি না এটা আমি স্বীকার করি । আমি বলছি না আমার পোস্ট নির্বাচিততে যেতেই হবে , কিন্তু ঐ যে বললাম এটা আমাদের অনুপ্রাণিত করে এবং ভালো লেখা না হবার পরও যখন তা নির্বাচিততে যায় আর আমরা ভালো লিখবার পরেও যায় না তাও আমাদের ব্যথিত করে । এই হলো ব্যাপারটা , অনুপ্রাণিত হবার চেয়ে ব্যথিত হবার ব্যাপারটা বেশ বেদনা দায়ক এবং এটাও কিন্তু দুরত্ব তৈরী করে , সেটাও কিন্তু সকলের জানা !!

আপনার লিখার প্রথমদিকে প্রেষণার বা উদ্দীপনার কথা উল্লেখ করেছেন , এটা কিন্তু কাজের প্রতি মানুষের আগ্রহকে বাড়িয়ে দেয় । মানুষ বেশি ব্যথিত হলে এখানে কিন্তু আগ্রহ থাকে না আশাকরি বুঝেছেন । আমি আবারও বলছি আমি সেরা নৈ আমার লিখাও অত ভালো নয় এটা আমি মানি । আমি এখানে কেবল নবীনদের উদ্দীপনার মূল জায়গা নির্বাচিত পোস্ট সেকশনটা নিয়েই বলেছি এই যা !!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেয়ালিকা বিপাশার সব পোস্টই নির্বাচিত পাতায় যায় বলে আমার ধারণা। তারপরেও ওনাকে খুঁজে পাওয়া যায় না। ওনাকে আর কিভাবে অনুপ্রাণিত করতে হবে এটা নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে।

নির্বাচিত পাতায় যাওয়ার জন্য ব্লগের কিছু অলিখিত দিকনির্দেশনা আছে। আমার ধারণা যারা বিয়ে করতে চায় না বা চাইলেও বেশী বয়সী মেয়েদের বিয়ে করতে চায় এদের লেখা নির্বাচিত পাতায় বেশী করে নেয়ার একটা অলিখিত নিয়ম আছে।

২৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৪

দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: ব্লগে ক্ষোভমুলক মন্তব্য,একে অন্যের তীব্র সমালোচনা, সহজ সরল বিষয়কে ঘোলাটে এবং জটিল করে ফেলা এবং ব্যক্তিগত
কারণেও ব্লগে উপস্থিতি আমার ধারণামতে আশঙ্কাজনক ভাবে কমে যাচ্ছে।

এই যেমন আমার ব্যাপারটা আমি বলি, আমি লেখালেখি করতাম ভালো লাগার কারণে। একটা সময় লেখালেখি ছেড়েও দিয়েছি নিজস্ব কিছু কারণে। মডারেটর কাল্পনিক ভালোবাসা ভাইয়ের মন্তব্যের প্রথম প্যারার সাথে আমিও একমত, ব্লগে ফিরে আসতে হয়েছে সহ ব্লগারদের অনুরোধ এবং আন্তরিকতা ভালোবাসার কারণে। হ্যাঁ, ব্লগে বড়দের অনেক অনুপ্রেরণা পেয়েছি এবং অনেক স্নেহ পেয়েছি যা আমার নিকট অতুলনীয়! এমন করে অন্য কেউ অনুপ্রেরণা পেয়েছে কিনা তা আমার নিকট অজানা অথবা হতে পারে আমার ব্যক্তিত্বটাই এমন যে অন্যকে মান্যগণ্য এবং শ্রদ্ধা করার কারণে তার নিকট থেকে পাওয়া প্রেষণাকে আমি সাদরে গ্রহণ করে নিতে পারি! অর্থাৎ আমার মধ্যে কৃতজ্ঞতা বোধ কাজ করে! কিন্তু সমালোচিত মনোভাব থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়েছি তাই লেখালেখির জগৎটাকে এখন জটিল মনে হয়।

ধন্যবাদ ব্লগার আপনার সুন্দর পোস্টের জন্য এবং সুন্দর চিন্তাভাবনার জন্য।

শুভেচ্ছান্তে,

- দেয়ালিকা বিপাশা

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি তো ভাবলাম দেয়ালিকা ব্লগে এখন আর আসে না। আমায় প্রতি মন্তব্য পড়েছে, তার মানে দেয়ালিকা মাঝে মাঝে ব্লগের লেখা পড়ে। ভালো লাগলো জেনে। আপনার মন্তব্যের প্রথম প্যারাগ্রাফ আমার ভাবনার সাথে মিলে যাচ্ছে। কিন্তু অনেক ব্লগার ভিন্ন রকম চিন্তা করে থাকে।

সমালোচনার ভয় ধীরে ধীরে দূর করতে হবে। অনেকেই আপনার লেখা পছন্দ করে। তাই তারা আপনাকে অনুপ্রাণিত করে লেখার জন্য। আশা করি আপনি ব্লগে নিয়মিত হবেন। পোস্ট দেয়া জরুরী না। ভালো মন্তব্য করাও একটা গুন বা বেগুন হতে পারে। কারন শুধু মন্তব্যের ধারেই এই ব্লগে অনেকে একাধিক নিক হারিয়েছে। আপনার মন্তব্যগুলিও ভালই হয়।

২৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: কয়েকজন সক্রিয় ব্লগার অভিমানে চলে গেছেন। অবাক লাগল কারও লেখায় তাদের নিয়ে কোনো কথা হলো না। কথা হয় যারা কোনো বিশেষপক্ষীয় (রাজনৈতিক পক্ষ না কিন্তু)। এসবের বাইরে, ব্লগ কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ দেখিনি কাউকে ধরে রাখতে বা ফিরিয়ে রাখতে। আমরা ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়াই। শখের বশে আসি আবার চলে যাই। ব্লগ কর্তৃপক্ষ লেখার সুযোগ দিয়েছে; এটাই অনেক B-)
যাহোক, আমার পড়ালেখা মানব সম্পদ ব্যবস্থা নিয়ে। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, এই বিষয়টাকে কর্মক্ষেত্র পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারিনি।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে ব্লগ কর্তৃপক্ষ এতো বছরে ব্লগারদের এতো বেশী যাওয়া আসা দেখেছেন যে তারা এগুলিতে জড়াতে চান না। তবে কারও অন্যায় আচরনের কারণে কেউ চলে গেলে ওনারা চেষ্টা করেন ঐ অপরাধী ব্লগারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

আমার ধারণা আপনি এখন যে লাইনে আছেন সেটাতেই ভালো করতে পারবেন। আমার বিশ্বাস এবং কামনা আপনার জীবনের সমস্যাগুলি কেটে যাবে ধীরে ধীরে। শোককে শক্তিতে রুপান্তর করার চেষ্টা করবেন দয়া করে।

২৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৭

মিরোরডডল বলেছেন:




কি কথা তাহার সাথে, তার সাথে জাদিদ!
আমারও যে জানতে ইচ্ছে করছে!

just kidding :)

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আশা করি মিরোরডডল ইতিমধ্যে জাদিদ ভাইয়ের মেইল পেয়েছে এবং ব্যাপারটা জেনে গেছে। :)

২৮| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১০

শায়মা বলেছেন: এই পোস্ট অনেক আগেই পড়েছিলাম। কিন্তু মহা মহা ইজি কাজে বিজি থাকার কারণে মন্তব্য দিতে পারিনি।

এই পোস্ট পড়ে মনে করলাম সব কিছু সেই শুরু থেকে আজ পর্যন্ত! মানে স্মৃতি রোমন্থন আর কি যে আমি কেমনে ব্লগ এডিকটেড হলাম !!!

১। সেই যুগে ব্লগে যাই লিখি না কেনো উৎসাহদাতা দাত্রীরা হাত খুলে প্রান খুলে উৎসাহ দিত। ব্যাখ্যা-

যারা কিছু লিখতে চায় তারা মনে মনে লিখে যায় উপযুক্ত লেখালিখির স্থানাভাবে। আমার আমলের যারা তারাও নিশ্চয় মনেমনে এই চাহিদা অনুভব করতো। তাই প্রথম ব্যপারটাই ছিলো নিজের ইচ্ছা বা প্রেষনা বা চাহিদা বা মনের খোরাক। হ্যাঁ লেখালিখি এক মনের খোরাক তা একটা ফুল দেখেই লিখি না কেনো বা রাজনৈতিক ভাবনায় ভাবিত হয়েই লিখি না কেনো। সেই রকমভাবেই আর কি দু এক লাইন অং বং যাই লিখতাম স্বপ্নেও ভাবতাম না কেউ পড়বে। কিন্তু আমার মনে আছে কালপুরুষ ভাইয়া, শাহেদ রিয়াজ, বিষাক্ত মানব এমন অনেকে অনেকে তারা সব সময় সেই অংবং লেখাকেই উৎসাহ দিত। সেই উৎসাহ পেয়ে আমি টাসকির উপর টাসকি! দুনিয়ার যা আছে তাই নিয়ে লেখা শুরু করে দিলাম। আমি ভাবতাম কবিতা কেমনে লেখে মানুষ। তারপর ভাবলাম একটু টেরাই করেই দেখি। কবিতা কাহাকে বলে কেমনে লিখে কি কি নিয়ম, ছন্দের প্রকারভেদ কত কিছুই পড়ে ফেললাম। জানতে চাইলাম পলাশ মিয়া , সোনাবীজ ভাইয়াদের কাছে কাছে আর মন প্রাণ ঢেলে শুরু করে দিলাম। যাই লিখি অনেকেই উৎসাহ দেয়। বাহ দ্বিগুন উৎসাহে লেখালিখি শুরু হলো। অবাক হয়ে ভাবতাম মানুষ এত টপিক পায় কেমনে? হৃদয়ে কিছু মিছু লেখার ইচ্ছা অথচ কি লিখি কি লিখি! প্রিয়তম কি লিখি তোমায়! তবে হ্যাঁ উৎসাহগুলি আমাকে আরও আরও লিখতে উৎসাহ যুগিয়েছিলো। যেই উৎসাহের এখন দারুন অভাব।

২। উৎসাহের বিপরীত শব্দ ভৎসনা, নিন্দা, মন্দ বলা, উপহাস এসবও ছিলো। যদিও সে সব গঠনমূলক ছিলো কখনই যাচ্ছেতাই বলে অকারণ গায়ে পড়ে আসা তখনও শুরু হয়নি আমার জীবনে। কাজেই তাইরে নাইরে করে লেখা চলতেই লাগলো। কত রঙ্গে কত ঢঙ্গে লেখার নানা স্টাইল নানা দিক নানা রকম এক্সপেরিমেন্ট চলতেই লাগলো আমার মনে। আমি অবশ্য নিজেই নিজের মোটিভেশনাল স্পিকার ছিলাম মনের মাঝারে।

৩। ব্লগে কতগুলো মানুষ কেনো যেন ঝগড়া করতো। গালাগালি দেখে আমি তো ইন্নানিল্লাহে ওয়া ইন্নাইলাহে রাজিউন হয়ে গেছিলাম প্রথমে। পরে বুঝলাম রাজনৈতিক দ্বন্দের লড়াই, ধর্মীয় দ্বন্দের বাকযুদ্ধ! আমার অবশ্য সে সবে মাথা ব্যথা ছিলো না। তবুও এই দুই দল তিন দলেরা আবার কে কার পোস্টে মন্তব্য দিলো সাথে সাথে তাই নিয়ে নিরীহ মানুষদের সাথে দ্বন্দে লেগে যেত। সেটা আমার সাথেও শুরু হলো। প্রথমে হকচকিয়ে গেলেও পরে আমি নো পাত্তা। ব্লগ আমাকে শিখিয়েছে কি করে জলে ভাসতে হয়, স্থলে শক্ত পায়ে হাঁটতে হয় কিংবা আকাশেই উড়তে হয়।

তুমি বলেছো অনেকে রাগ করে দুঃখ পেয়ে খারাপ ব্যবহার দেখে চলে যায়। আমি বলবো আসল মোটিভেশন তো সেটাই। কেউ তোমাকে টেনে নামাবে! তুমি কেনো নামবে? নামাতে চাইলে আর রক্ষা নাই। তখন নামবার ইচ্ছা থাকলেও আর নামা চলবে না।
কেউ যদি খারাপ ব্যবহার করে তার দায় তো আমার না। আমার যেটা ভালো সেটাই আমি করবো। :)


উফফ হাঁপায় গেলাম যাই ডিনার খেয়ে আসি। :)

আবার আসবো...

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বোঝা যাচ্ছে উৎসাহ, অনুপ্রেরণা, প্রেষণা ইত্যাদির গুরুত্ব আপনি অনেক আগেই বুঝতে পেড়েছেন এবং এগুলি আপনার লেখালেখির উন্নয়নে যথেষ্ট ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে এবং গত অনেক বছরে আপনার বিভিন্ন প্রতিভাগুলি আরও বিকশিত হয়েছে। ব্লগ বলেন, পরিবার বলেন, সমাজ বলেন সব জায়গাতেই অন্যকে অনুপ্রেরণা দেয়া গেলে অনেক সময় অভাবনীয় ফল পাওয়া যায়। আপনি নিজের ক্ষেত্রে সেটা অনুভব করেছেন মনে হচ্ছে। আমি একটা চাকরিজীবী মাঝ বয়সী মেয়েকে একবার অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেছিলাম। ওনার চাকরি নিয়ে সমস্যা চলছিল। নিরুপায় হয়ে চাকরি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ভীষণ ভাবে জীবন নিয়ে হতাশ ছিলেন বিভিন্ন কারণে। আমি ওনাকে কয়েকদিন বুঝিয়েছি যে আপনার যে অভিজ্ঞতা ওষুধের কাঁচামাল ক্রয়ে আছে আপনি একটু চেষ্টা করলে এবং ধৈর্য ধরলে চাকরী বাদ দিয়ে নিজেই এই ব্যবসায় সফল হতে পারবেন। প্রথম দিকে সে অনেক রকমের সমস্যার কথা বলেছিল। পরে আমি প্রত্যেকটা সমস্যার কিছু সম্ভাব্য সমাধান দিলাম। ফলে ধীরে ধীরে ওনার মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল। উনি এখন চাকরী ছেড়ে দিয়ে ঐ ব্যবসায় ভালো করছেন। আমাকে দুই একবার ফোন দিয়ে ধন্যবাদ দিয়েছিলেন। এখন অবশ্য বহু দিন যোগাযোগ নাই।

মানুষের জীবনসঙ্গী হতে পারে শ্রেষ্ঠ উৎসাহ দাতা। অনেক স্বামী বা স্ত্রী স্পাউসের কাছে থেকে উৎসাহের বদলে নেগেটিভ পরামর্শ পায়। ফলে অনেক সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ হয় না।

গঠনমূলক সমালোচনা ভালো। কিন্তু অনেকে সেটা না করে ভর্ৎসনা, নিন্দা, মন্দ কথা বা উপহাস করে থাকে। এদের থেকে দূরে থাকা উচিত। আসলে নেগেটিভ চিন্তার মানুষদের থেকে কৌশলে দূরে থাকতে হয়। অনেক সময় অনেক আপনজন বা বন্ধুও নেগেটিভ চিন্তার হয়ে থাকে। তখন তাদের নেতিবাচক প্রভাব জীবনে পড়ে। কৌশলে এগুলিকে এড়িয়ে যেতে হয়। আপনার আত্মবিশ্বাস বেশী যার ফলে ব্লগের অনেকের নেতিবাচক কথা আপনাকে তেমন প্রভাবিত করতে পারেনি। আপনি আপনার মত লিখে গেছেন আর আপনার শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুপ্রেরণায় ধীরে ধীরে আরও সমৃদ্ধ হয়েছেন। ভালো মন্দ অনেক কিছু দেখে আপনি এখন একজন অভিজ্ঞ ব্লগার। যার কারণে আপনি এখন জানেন কি করে জলে ভাসতে হয়, স্থলে শক্ত পায়ে হাটতে হয়, আকাশে উড়তে হয়, লিফটে চরতে হয়।

সব মানুষ সমান না। সবাই সব কিছু নিতে পারে না। অনেকে বেশী আবেগ প্রবণ। তাই অন্যদের দায়িত্ব তাকে অনুপ্রাণিত করা যেন সে ভেঙ্গে না পড়ে। উপরে দেয়ালিকার মন্তব্যের শেষাংশে এই ধরনের নেগেটিভ চিন্তার হাল্কা আভাস পেলাম মনে হয়। ব্লগার জুলভার্ন ভাই কত ভালো ভালো লেখা লিখতেন। কিন্তু ওনার আবেগ বেশী যে কারণে সহজেই রাগ করে ব্লগ ছেড়ে দিয়েছিলেন। আশা করি উনি দ্রত ব্লগে ফিরে আসবেন। সেই রকম আভাস পেয়েছিলাম।

আসলে এই জীবনটা আমার তাই অন্যের কথা বেশী শুনে লাভ নাই। লজ্জা, দ্বিধা, ভয় এই তিন থাকিতে নয়। শুধু মাত্র প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষীর কথা শোনা যেতে পারে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী ইমোশনাল ডমিনেশন করে থাকে। অনেক আপনজন অনেক সময় ইমশনালি ডমিনেট করে জীবনে সমস্যা তৈরি করে। যেমন মা হয়তো বলল যে তুই ঐ মেয়েকে বিয়ে করলে তোর সাথে আমার আর কোন সম্পর্ক থাকবে না। হয়তো ঐ মেয়ের কোন সমস্যা নাই কিন্তু মা মানতে চাচ্ছে না। ফলে ছেলেটা কঠিন সমস্যায় পড়ে যায়। অথবা বাবা ছেলেকে বলে রেখেছে বাবা তুমি তোমার বাবা মার পছন্দ ছাড়া কোথাও বিয়ে করতে পারবে না। এটা আমার আদেশ। এগুলিকে কৌশলে সামলাতে হয়। তবে অনেক সময় সামলানো কঠিন হয়ে যায়।

উফফ হাপাই গেলাম যাই ঘুমিয়ে আসি।

দরকার হলে আবার আসবো।

বহুদিন আপনার থালা, বাটি, হাড়ি, পাতিল, পাটা, পুতা আর শরবতের পোস্ট দেখি না। জলদি দিয়ে ফেলেন।

২৯| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৯

শায়মা বলেছেন: কাল থেকে ছবি আঁকতে আঁকতে আঁকতে আঁকতে আমি শেষ! একটা সুন্দর ময়ুর আঁকতে বসেছিলাম। সকালে ময়ুরটা সুন্দর ছিলো সারাদিন রং চড়াতে চড়াতে সং বানিয়ে ছাড়লাম।
তারপর বসলাম গান গাইতে। হারে রে রে আমায় ছেড়ে দেরে দেরে। হা হা হা কসম এই গানাই গেয়েছি। তারপর গেলাম শপিং এ। শরতের শাড়ি কিনতে। বিশ্বরঙের লোকজন তো আমার আত্মীয় স্বজন হয়ে গেছে। সেখানেই কফি খেলাম সেখানেই ফার্স্ট শাড়ি যেটাই দেখালো সেটাই কিনলাম। তারপর আইক্কিম খেতে খেতে বাসায় এলাম। তারপর ইলিশ পোলাও রাঁধলাম। তারপর ফোন আর ফোন। একজন গেস্টও এলো সেসব করে গিটার নিয়ে প্রানান্ত চেরেষ্টায় রত হলাম। ( আল্লাহ নির্বহন যেন না দেখে। যদিও যাহা বলেছি তাহা করেই ছাড়বোক) তারপর এই যে এই কমেন্ট পড়লাম। এখন লিখি। এসব নিয়ে কি পোস্ট দেবো?

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার আগের মন্তব্যের শেষের লাইনে আপনার সাথে মজা করেছি। :)

আপনার লেখাগুলি সব সময়ই ভালো হয়। এতো যত্ন নিয়ে কেউ লেখে না।

আমি নিশ্চিত নিবর্হণ আপনার সাথে গীটার বাজিয়ে পারবে না। :) যে ছেলে একটা বিয়ে করতে পারে না সে গীটার কিভাবে ভালোভাবে বাজাবে।

আপনি শাড়ি কেনা নিয়ে একটা পোস্ট দেন। কিভাবে দামাদামি করেন, শাড়ি পছন্দ করেন। আমার বউয়ের সাথে দামাদামিতে কেউ পারবে না। গাড়ির একটা সিট কাভার ১৮ হাজার টাকা চেয়েছিল। আমার বউ আড়াই হাজার থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত ৭ হাজারে কিনেছে। আমার তো আট হাজার বলার সাহস হতো না। দোকানদার তাদের যৌক্তিকতা বুঝানোর জন্য একটা রিসিট দেখালো যেখানে একই জিনিস আরেক ক্রেতা ১৫ হাজারে কিনেছে কিছুক্ষণ আগে। আমি বললাম ঐ ক্রেতা বোকা ছিল। আপনারা ওনাকে ঠকিয়েছেন। সাড়ে ছয় হাজারের পরে আমার বউ আর এক টাকাও বাড়াতে রাজী না। আমি অনেক সাহস করে দোকানদারকে বললাম ৫০০ টাকা বাড়িয়ে ৭০০০ হাজারে দেন। অমনি আমার বউ আমার দিকে কটমট করে তাকালো। দোকানদার বলে আপা আপনি ভাইয়ের দিকে এইভাবে রাগ কইরা তাকাইয়েন না। উনি ঠিকই বলছে। অবশেষে ৭০০০ টাকায় কেনা হোল। আমি হলে ৯০০০ থেকে শুরু করে ১২ থেকে ১৩ হাজারে কিনতাম। আসার আগে দোকানদারকে বললাম যে মেয়ে কাসটমার আসলে ২ বা ৩ গুন বাড়িয়েই বলতে হয়। আপনি ঠিক কাজটাই করেছেন। মেয়েদের জামা কাপড়ের দোকানে ৪ গুন বেশী দাম হাকে। সে আমার উপর খুব খুশি হোল। বলল যে এরপরে কিছু লাগলে ম্যাডামকে না পাঠিয়ে আপনি চলে আসবেন। আমি বললাম চেষ্টা করবো কিন্তু আমার বউ আমাকে একা আসতে দিবে না মনে হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.