নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ অভাবে পড়লে সাহায্য চাইতেই পারে। সাময়িকভাবে রাস্তায় দাড়িয়ে ভিক্ষাও করতে পারে। কিন্তু এক শ্রেণীর মানুষ যখন বছরের পর বছর এই ভিক্ষা করাকে পেশা হিসাবে বেছে নেয় তখন সেটা একটা সামাজিক সমস্যায় পরিনত হয় এবং এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী হলও এই সমস্ত পেশাদার ভিক্ষুকেরা। অনেকে শারীরিক ভাবে পঙ্গু থাকে বা অনেকের মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেছে অথবা অনেকে আছে বয়োবৃদ্ধ যাদের কাজ করার শক্তি নাই। এদের কথা আলাদা। কিন্তু একটু খেয়াল করলেই দেখবেন যে অধিকাংশ ভিক্ষুক শারীরিকভাবে সক্ষম এবং ভিক্ষা করা এদের নেশা বা পেশা। এই ধরনের ভিক্ষাকে কখনও উৎসাহিত করা উচিত না।
রাস্তায় ভিক্ষা করাও অনেক পরিশ্রম সাধ্য কাজ। দিনের মধ্যে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা তপ্ত রাস্তায় শুয়ে, বসে বা দাড়িয়ে ভিক্ষা করা সহজ কথা না। অনেক শারীরিক সক্ষমতার প্রয়োজন আছে। যারা এতো কঠিন শারীরিক কষ্ট সহ্য করতে পারে তারা চেষ্টা করলে যে কোন ছোট কাজে ঢুকে যেতে পারে। সেটা হতে পারে রিকসা চালানো, বিড়ি সিগারেট বিক্রি, চা বিক্রি, রাস্তার পাশে ফল কেটে রস বিক্রি, বাদাম বিক্রি, পিঠা বিক্রি, চটপটি বিক্রি, ভ্যানে সবজি বিক্রি, ঝালমুড়ি বিক্রি, রাস্তার সিগনালে ছোটখাটো জিনিস বিক্রি (যেমন বাচ্চাদের ছবির বই, রুমাল, ইয়ার ফোন ইত্যাদি), গৃহকর্মী হিসাবে কাজ ইত্যাদি। ইচ্ছা থাকলে এই ধরণের অনেক পেশা আছে যে পেশাতে পুজি লাগে না বললেই চলে। এই কাজ আপনি আমি না করতে পারলেও একজন ভিক্ষুকের জন্য কোন ব্যাপার না। রাস্তায় অনেক সময় দেখা যায় রিকসা চালাচ্ছে কিন্তু তার একটা হাত নাই। অথবা খুড়িয়ে খুড়িয়ে হেটে জিনিস ফেরি করে বিক্রি করছে বা অন্য কোন কাজ করছে।
আসল কথা হলও যার আত্মসম্মান বোধ নাই সে ভিক্ষা করাকে স্থায়ীভাবে বেছে নেয়। অনেক ছোট বাচ্চাকে ভিক্ষা করা শেখানো হচ্ছে। কিন্তু তার পাশাপাশিই দেখা যায় ১০/১২ বছরের ছেলে বা মেয়ে কুলির কাজ করছে, পেপার বিক্রি করছে, চা বিক্রি করছে, মটর গ্যারাজে কাজ করছে, রেস্টুরেন্টে কাজ করছে, বাসে চকলেট বিক্রি করছে।
আরেকটা ব্যাপার হল ভিক্ষুকরা আমাদের দেশে আল্লাহর কথা বলে ভিক্ষা করা শুরু করে। আমি বাংলাদেশে কোন ভিক্ষুকের মুখে শুনি নাই যে বলছে বাবা ভগবান তোমার ভালো করবে আমাকে একটু সাহায্য কর। আমার ধারণা বাংলাদেশের ভিক্ষুকদের ৯৯.৯৯% হল মুসলমান। কিন্তু হওয়া উচিত ছিল ৯০% মুসলমান। আমি কখনও বাংলাদেশে কোন হিন্দু ভিক্ষুক দেখি নি। থাকলেও খুব কম আছে। ভারতে ভিক্ষুক হিন্দু ভিক্ষুক দেখেছি কিন্তু কম।
আল্লাহকে ডেকে যারা এভাবে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ভিক্ষা করে এরা আসলে সমাজকে কলুষিত করছে। জাতির একটা উল্লেখযোগ্য অংশ যার তার কাছে হাত পাতাকে পেশা হিসাবে নিতে দ্বিধা বোধ করছে না। এটা একটা জাতির জন্য কখনও সম্মানজনক হতে পারে না। আবার মৌসুমি ভিক্ষুক আছে যারা ঈদ বা বিভিন্ন উৎসবের সময়ে মাস খানেকের জন্য ঢাকায় আসে ভিক্ষা করতে। এরা একটা ভালো অংক আয় করে দেশে চলে যায়।
বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ভিক্ষুক নির্মূলের চেষ্টা করছে নাম কা ওয়াস্তে। ঢাকার কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সাইনবোর্ডে লেখা থাকে যে ভিক্ষুক প্রবেশ নিষেধ। সরকারকেও পুরোপুরি দোষ দিয়ে লাভ নেই। কারণ আমাদের সমাজের মানুষ ভিক্ষাবৃত্তিকে উৎসাহিত করছে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। একটা জাতির একটা শ্রেণীর আত্মসম্মান বোধ কমে গেলে এগুলি হয়। এটা জাতির জন্য ভালো কিছু না।
এই লেখাটা মুলত পেশাদার ভিক্ষুকদের নিয়ে লেখা যারা ভিক্ষা করে বাণিজ্যিক লাভের জন্য। দশ জনের কাছে চাইলে একজন দেবেই। আবার শোনা যায় কিছু ক্রিমিনাল নাকি মানুষকে পঙ্গু করে দেয় এবং ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়ে আসে। এগুলি দেখার কোন কর্তৃপক্ষ এই দেশে আছে বলে মনে হয় না। জাতি যদি নেশায় বুদ হয়ে থাকে, অলস ভাবে সময় কাটায়, টিকটক নিয়ে ব্যস্ত থাকে আর একটা অংশ হাত পাতাকে বাণিজ্য বানিয়ে ফেলে তাহলে বোঝা যায় যে এই জাতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে কঠিন ক্যানসার ঢুকে গেছে। আর মধ্যবিত্ত আর ধনীদের একটা শ্রেণী ডুবে আছে রাজনৈতিক লুটপাট, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জমি ডাকাতি, প্রতারনা আর ব্যাংক ডাকাতিতে। বাংলাদেশে বড় কোন সৎ ব্যবসায়ী আদৌ আছে কি না সন্দেহ আছে আমার । কোন সৎ লোকের পক্ষে এই দেশে বড় কোন ব্যবসা করা সম্ভব না।
আমি প্রকৃত নিরুপায় ভিক্ষুকের বিরুদ্ধে বলছি না। কিন্তু বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় যে আমাদের দেশে ভিক্ষা একটা বড় পেশা। মাদ্রাসা আর এতিম খানার নামে কমিশন ভিত্তিতে টাকা তোলাও এক ধরণের ভিক্ষাবৃত্তি। কোন জাতির একটা উল্লেখযোগ্য অংশের মন মানসিকতা এত নিচু হলে এটা জাতির জন্য অশনি সংকেত। এই ধরণের কাজ অলস, ভবঘুরে এবং কাপুরুষেরা করে থাকে।
যে ব্যক্তির হাত পাততে বাধে না সে আসলে সমস্যায় নাই। সমস্যায় আছে নিম্নবিত্ত আর মধ্যবিত্ত মানুষ। কারণ তারা মরে গেলেও কারও কাছে হাত পাততে চায় না। আমাদের উচিত এই ধরণের প্রকৃত অভাবী লোকদের খুঁজে বের করে তাদেরকে সাহায্য করা। এদেরকে খোঁজা খুব সহজ। আপনার আসে পাশে যারা থাকে যেমন গৃহকর্মী, অফিসের পিয়ন, ড্রাইভার, দারোয়ান এরাই আসলে অনেক কষ্টে আছে। কিন্তু তারা ভিক্ষা করবে না যত কষ্টেই থাকুক না কেন।
পৃথিবীর অনেক উন্নত দেশেও হয়তো ভিক্ষুক আছে। কিন্তু তারা এটাকে স্থায়ীভাবে পেশা হিসাবে বেছে নেয় না। আমার মতে এই ভিক্ষা বাণিজ্যের মূল কারণ আমাদের জনগণের প্রতারিত হওয়ার মন মানসিকতা। আমরা জানি যে মসজিদের টাকা লুটপাট হচ্ছে তারপরেও দান করি। ভিক্ষুকের চেহারা দেখে আমাদের মায়া লাগে আমরা টাকা দেই। কিন্তু কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া পেশাদার ভিক্ষুকরা ভালো অভিনয় করতে জানে। সমাজের ভিতর থেকে এই সমস্যাগুলির সমাধান আসতে হবে। সব কিছু রাষ্ট্র করে দিতে পারবে না। আমাদের হীন এবং নিচু মন মানসিকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে। ভিক্ষা দেয়া বন্ধ করতে আমি বলছি না। আমিও অনেক সময় ভিক্ষা দেই। কিন্তু বুঝে শুনে দেয়ার চেষ্টা করি। প্রকৃত অভাবী ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করা উচিত। যদিও এটা নির্ণয় করা অনেক সময় কঠিন। আমি শারীরিক এবং মানসিক প্রতিবন্ধিদের ভিক্ষা দেই আর অতি বৃদ্ধ এবং দুর্বল মানুষকে ভিক্ষা দেই।
ছবি - যুগান্তর
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার গুনাহ হবে না। কারণ ইসলাম ধর্মে ভিক্ষাকে পেশা হিসাবে নেয়া হারাম যদি সে সুস্থ থাকে। সাময়িক সময়ের জন্য সাহায্য সে নিতে পারে কিন্তু কাজ করার যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও দিনের পর দিন ভিক্ষা করা হারাম।
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:১৬
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভিক্ষা করা এখন শুধু পেশা নয়, এটা একটা লাভ জনক পেশাও বটে। এয়ারপোর্ট এবং ঢাকার কিছু কিছু অঞ্চলের ভিক্ষুকরা এখন ইংরেজিতে ডলার ভিক্ষা চায়। গুলশান এড়িয়ার এক ভিক্ষুকের ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলিশান বাড়ি আছে, ছেলে মেয়ে, বিদেশে লেখাপড়া করে এমন প্রতিবেদনও দেখেছিলাম পত্রিকায়। সাংবাদিকরা উনাকে প্রশ্ন করেছিল; আপনি একজন স্বচ্ছল মানুষ হয়েও কেন ভিক্ষা করছেন? উনি উত্তর করেছিলেন - যে ব্যবসায় আমাকে এতকিছু দিলো সে ব্যবসা আমি কিভাবে ছাড়ি? উনার ছেলেমেয়ে তাকে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধ করানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেও সফল হয় নি।
আসলে যে কোন নিচু মানের কাজ মানুষ যখন একবার করা শুরু করে কিছুদিনের মধ্যেই তা স্বাভাবিক হয়ে যায় তখন আর লজ্জ্জা টজ্জা কিছু থাকে না।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যে উদাহরণগুলি দিয়েছেন আমিও এই ধরণের কিছু উদাহরণ দিতে পারবো। বাংলাদেশের ভিক্ষুকদের বেশীরভাগ এই ধরণের মন মানসিকতার মানুষ। প্রচুর টাকার মালিক হলেও এরা ভিক্ষা ছাড়তে পারবে না।
এক শ্রেণীর মানুষ ভিক্ষা করে মজা পায়। এদের আত্মসম্মান বোধ এতো নীচে নেমে যায় যে এরা এই অভ্যাস ত্যাগ করতে পারে না।
৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৩৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন বাংলাদেশের ভিক্ষুকদের সিংহভাগ বাণিজ্যিক ভিক্ষুক এবং
এরা জাতিকে বিব্রত করছে অন্য জাতির সামনে ।
ভিক্ষা বৃত্তির মত অসন্মানজনক পেশার কবল হতে মুক্তির বিষয়টি এখন সময়ের দাবী ।
বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধীসহ দেশে হত দরিদ্র মানুষের সংখ্যা প্রচুর তাতে কোন সন্দেহ
নেই , তাদের প্রতি সহমর্মীতা রেখেই বলছি ,তাদেরকে ভিক্ষা বিমুখ করে গড়ে তুলতে হবে।
ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। কবির কথায়" নবীর শিক্ষা করোনা ভিক্ষা মেহনত
করো সবে।" বাণীটিকে বাস্তব করে তুলতে হবে ।
যতদুর জানা যায় সরকার ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে দেশের দারিদ্র্য ১২.৩০ শতাংশে
এবং চরম দারিদ্র্যের হার ৪.৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে এবং
সে অনুযায়ী কাজ করছে । এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের এগিয়ে যাওয়ার
এখনই সময়। এর জন্য প্রয়োজন সকলের সচেতনতা, যা আমাদের ঈপ্সিত লক্ষ্যে
পৌঁছে দিতে পারে। একজন সুনাগরিক হিসেবে এসব দায়িত্ব নিতে আমরা সবাই
দেশ ও জাতির কাছে দায়বদ্ধ। তাই নিজের অর্জনের পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর
ভার বহনে অংশীদার হওয়া আবশ্যক। একজন সুনাগরিক সরকারকে ট্যাক্স দিয়েই
তার দায়িত্ব শেষ হয়েছে এমনটি ভেবে বসে থাকলে দেশ এগিয়ে যাবেনা, দায়িত্ব
সকলকে সম্মিলিতভাবে নিতে হবে। প্রকৃত ভিক্ষুকদেরকে যথাযথভাবে পুর্ণবাসন
করতে হবে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত পেশাদার ভিক্ষুক ও তাদের সর্দারদেরকে
শক্ত হাতে দমন করতে হবে ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলাম ধর্মে এই ধরণের পেশাদারী ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ।
প্রকৃত অসহায় ভিক্ষুক ছাড়া পেশাদার ভিক্ষুকদের থেকে এই সমাজকে মুক্ত করতে হবে। ভিক্ষা করে এরা যা আয় করে সেই টাকা দিয়ে যে কোন ছোট কাজ করা সম্ভব যদি সে শারীরিক বা মানসিকভাবে সুস্থ থাকে। চা, বিস্কুট, কলা ফেরি করে বেচে অনেকে সংসার চালাচ্ছে। এটার জন্য বড় জোর ২/৩ হাজার টাকা লাগে। একজন পেশাদার ভিক্ষুক দিনে ২/৩ হাজার টাকা কামাই করে। তার একদিনের আয় দিয়ে সে সঠিক রাস্তায় আসতে পারে এবং এই লজ্জাজনক পেশা ত্যাগ করতে পারে।
সমাজের সকল মানুষের সম্মিলিত উদ্যোগে আমাদেরকে এই ভিক্ষাবৃত্তির ব্যাধি থেকে মুক্ত হতে হবে।
৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৩
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এদেরকে ব্যবসায়ের পথ দেখালে অথবা টাকা দান করে যদি বলি যে আপনাকে ব্যবসা করতে হবে কোনোমতেই রাজী হবে না বা হয় না। পাঁচ মিনিটের রাস্তায় অন্তত বিশ জন ভিক্ষুক থাকে । কী যন্ত্রণা
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার সাথে রাস্তায় যাদের দেখা হয় এদের ৯৫% পেশাদার ভিক্ষুক। এরা ভিক্ষা করে মজা পেয়ে গেছে। দেখবেন ছোট বাচ্চা একটা কোলে নিয়ে ৩৫ থেকে ৪০ বছর বা তার চেয়ে কমের মেয়ে ভিক্ষা করছে বাচ্চাকে দেখিয়ে। তাকে বাসায় কাজের সুযোগ দিলেও সে করবে না। তার কাছে বাসায় কাজ করার চেয়ে ভিক্ষা করা সম্মানজনক। এই ধরণের পুরুষ বা নারী ভিক্ষুকরা প্রতিদিন কম পক্ষে হাজার টাকার উপরে আয় করে। অনেকে তার চেয়েও বেশী আয় করে। কিন্তু কোন ছোট কাজে এদের আগ্রহ নেই। কারণ হাত পাতলেই টাকা পাওয়া যায়। এটা এরা উপভোগ করে।
৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৫
কিরকুট বলেছেন: ভিক্ষা বৃত্তি এখন আর অসহায়ের আর্তি না এটা জ্বলজ্যান্ত পেশা। এরা কাজ করবে না কাজ দিতে চাইলে পালিয়ে যাবে। এটা বন্ধ করা উচিৎ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন এটা একটা জলজ্যান্ত পেশা। এরা যা আয় এক সপ্তাহে করে সেই টাকা দিয়ে যে কোন ছোট কাজ শুরু করা সম্ভব। আমি আমার পোস্টে কিছু উদাহরণ দিয়েছি। এরা সত্যিই কাজ দিতে চাইলে পালিয়ে যায়। এই সামাজিক ব্যাধি থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে।
৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: যারা এতো কঠিন শারীরিক কষ্ট সহ্য করতে পারে তারা চেষ্টা করলে যে কোন ছোট কাজে ঢুকে যেতে পারে।
কিন্তু তারা সেটা করবে না। কারণ, এসব ছোটখাট কাজের চাইতে কোনো কোনো ভিক্ষুকের দৈনিক আয় অনেক বেশি। আমি একজন ভিক্ষুকের কথা শুনেছি যার দৈনিক আয় ৩০০০ (তিন হাজার) টাকার আশেপাশে, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পাঁচতলা বাড়ি আছে, ছেলেরা ভিক্ষা করতে দিতে চায় না, তারপরেও এই পেশাতেই তিনি জড়িত রয়েছেন।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। ১৯৮৫ সালের দিকে একটা দোকানে নিয়মিত যেতাম। সেই দোকানদার বলল যে একটা ভিক্ষুক প্রতিদিন তার খুচরা টাকা ভাঙ্গিয়ে বড় নোট নিয়ে যেত সেই দোকান থেকে। তখনই প্রতিদিন কয়েক শ টাকা কামাতো। ঐ যুগে ৪/৫ শ টাকার অনেক মূল্য ছিল। মধ্যম মানের সরকারী চাকরিজীবীদের বেতন তখন ৫ হাজার টাকার মত ছিল।
পেশাদার ভিক্ষুকেরা আমাদের সহানুভূতিকে তাদের ব্যবসার পুজি বানিয়ে ফেলেছে।
৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১১
নতুন বলেছেন: হাত পেতে টাকা পেলে কেন কাজ করতে যাবে মানুষ?
সরকারের উচিত বয়স্ক, বিকলাঙ্গ, এতিমদের জন্য ব্যবস্থা করে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে আইন করা, যারা ভিক্ষা করবে তাদের গ্রেপ্তার করে কাজে লাগানো।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসল মজা হল এটা। হাত পাতলেই টাকা পাওয়া যায়। যে হাত পাতে তার লজ্জা শরম বলে কিছু নাই। তাই এই পেশা সে ছাড়ে না।
সরকার প্রকৃত অভাবী ও অসহায় ভিক্ষুকদের জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে বা নেয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু পেশাদার ভিক্ষুকরা সরকারের উদ্যোগকে ভালো ভাবে দেখে না বরং তারা ভিক্ষা করে আনন্দ পায়।
৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বাংলাদেশের ভিক্ষুকদের বেশিরভাগের পরিবার আছে। থাকার স্থান আছে গ্রামে ছোট হলেও অন্তত একটা ঘর আছে।
আমেরিকান ভিক্ষুকদের কারো পরিবার নেই বাড়ী তো দুরের কথা, থাকার যায়গাটি পর্যন্ত নেই, রাস্তায় ঘুমায়, নইলে হাইওয়ের নীচে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে। অ্যামেরিকার ভিক্ষুকরা বাধ্য হয়ে ভিক্ষা করে। কিন্তু বাংলাদেশের ভিক্ষুকদের বেশীর ভাগই ভিক্ষা করে মজা পায়। এদের পরিবার আছে এবং অনেকের গ্রামের সাথে যোগাযোগ আছে।
৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫
সোনালি কাবিন বলেছেন: সঠিক পর্যবেক্ষণ ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পোস্টে একজন ছাড়া সবাই আমার পর্যবেক্ষণকে সঠিক বলেছেন।
১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাইজান, আমার মনে হয় - ভিক্ষাবৃত্তি খারাপ তথা অমর্যাদাকর, এটা ঠিক তবে তার জন্য শুধু ভিক্ষুকরাই দায়ী এমনটা মনে হয় ঠিক নয়। আবার, যে কোন মানুষ শুরুতেই ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসাবে নেয়, আমার মনে হয় এমনটাও না হতে পারে।
মানুষ যখন নানা ঘাত-প্রতিঘাতে বেঁচে থাকার জন্য আর কোন পথ খুঁজে না পায় তখনি মনে হয় সে এই অমর্যাদাকর কাজকে পেশা হিসাবে বেঁছে নেয়।
এর পিছনের কারনগুলি খুজতে গেলে আমার মনে হয়, সেই ব্যক্তি( ভিক্ষুক)'র দায় থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়ই বেশী পরিলক্ষিত হবে।
তবে যারা হাত পেতে মানুষের নিকট থেকে কিছু চেয়ে নেয় সেই অসহায় ভিক্ষুকদের থেকে শতগুনে বেশী ভয়ানক ও অমর্যাদাকর কাজ করে সেই প্রতাপশালী ভিক্ষুকরা যারা স্যুট-কোট পরে দেশের সবকিছু আপনার করে নিচছে ছলে-বলে-কৌশলে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি পেশাদার ভিক্ষুকদের ভিক্ষার বিরোধী। প্রকৃত অসহায় মানুষকে দোষ দিচ্ছি না। কারণ একজন পেশাদার ভিক্ষুক মাসে যত টাকা আয় করে অনেক চাকরিজীবী তত টাকা আয় করতে পারে না।
ভিক্ষা সবার পক্ষে করা সম্ভব না। আপনার কাছের কিছু সীমিত আয়ের লোকদের দেখলেই সেটা বুঝতে পারবেন। বাংলাদেশে অনেক নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীর (পিয়ন, ক্লিনার ইত্যাদি পেশার লোক) বেতন ৮ হাজার থেকে বড়জোর ১৫ হাজার টাকা। এই টাকা দিয়ে কিভাবে এরা সংসার চালায় আমি সেটা নিয়ে প্রায়ই ভাবি। কিন্তু এরা মরে গেলেও ভিক্ষা করবে না। কারণ তাদের আত্মসম্মান বোধ আছে। আমি আমার পোস্টে কয়েকটা উদাহরণ দিয়েছি যেখানে বলেছি যে কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসা আছে যেটার জন্য ৫০০০ টাকাই যথেষ্ট। একজন পেশাদার ভিক্ষুক এই ৫ বা ১০ হাজার টাকা ১ মাসেই সঞ্চয় করতে পারে। তার যদি সদিচ্ছা থাকে তার উচিত পরের মাসে ভিক্ষা বন্ধ করে রাস্তার সিগনালে আমড়া বা শসা বিক্রি। এটার জন্য ২ থেকে ৩ হাজার টাকার বেশী পুজি লাগবে না। এই ধরণের আরও অনেক কাজ আছে যেমন সিগনালে বাচ্চাদের ছবির বই বিক্রি করা, ইয়ার ফোন বিক্রি করা, রুমাল বিক্রি করা, চায়ের ফ্লাস্ক নিয়ে চা বেচা, বাদাম বেচা, পেপে আনারস বেচা। এগুলির জন্য তেমন কোন পুজি লাগে না। ঢাকা শহরে অন্তত কয়েক হাজার মানুষ এই ধরণের তুচ্ছ কাজ করে পরিবার চালাচ্ছে। সুস্থ ব্যক্তির জন্য ভিক্ষা করার চেয়ে এই তুচ্ছ ব্যবসা অনেক সম্মানজনক। ক্রেতারাও এদেরকে ভিক্ষুকের চেয়ে অনেক সম্মান করে থাকে। আমি একবার এক মহিলার চাপাচাপিতে কয়েকটা বাচ্চাদের ছবির বই কিনলাম গাড়িতে বসে। আমার বাসায় ঐ বয়সী বাচ্চা নেই তাই তখনই আমি সেগুলি আমার ড্রাইভারকে দিয়ে দিলাম যেন সে সেগুলি তার ছোট বাচ্চাদের দেয়। এই মহিলা কোন দিন ভিক্ষা করবে না। এই মহিলার ব্যবসার পুজি বড়জোর ১ হাজার টাকা হবে। একজন মহিলা পেশাদার ভিক্ষুক দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ হাজার টাকা আয় করে।
কিছু মানুষ আছে যাদের জন্য ভিক্ষা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। যেমন শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধি, অতি বৃদ্ধ মানুষ। এদের কথা আলাদা।
সুট পড়ে যারা লুটপাট করছে এরা ভিক্ষুক না এরা হল ডাকাত বা সন্ত্রাসী।
১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আর যারা চাঁদাবাজি করে আর মেয়েকে দিয়ে কাবিন ব্যবসা করায় তারা হলো ছ্যাছড়া ভিক্ষুক
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এরা ভিক্ষুক না এরা প্রতারক বা ডাকাত।
১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন।
সত্য লিখেছেনে। আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি এই ব্যাপারে আমার চেয়ে ভালো লিখতে পাড়তেন এই ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। কারণ আপনি ঢাকার অতি সাধারণ মানুষকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। আপনি লিখলে আরও তথ্যবহুল হত আপনার পোস্ট। আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৬
করুণাধারা বলেছেন: এরা জাতিকে বিব্রত করছে অন্য জাতির সামনে।
ঠিক বলেছেন। বিদেশি দেখলেই এরা যেভাবে ছেঁকে ধরে তা রীতিমতো বিব্রতকর। এমন হলে পর্যটকেরা আসতে চাইবে না। আমি নেপালে দেখেছি, ছেঁড়া কাপড় পড়া ছোট ছোট বাচ্চারা দূরে দাঁড়িয়ে থাকে, কিন্তু ভিক্ষার থালা নিয়ে সামনে আসে না।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পৃথিবীর সব দেশেই কম বেশী ভিক্ষুক হয়তো আছে। কিন্তু আমাদের দেশের মত পেশাদার ভিক্ষুক এই অঞ্চল ছাড়া আর কোথাও আছে কি না সন্দেহ। পৃথিবীর কোথাও ভিক্ষার জন্য ভিক্ষুকেরা এতো বিরক্ত করে না। কিছু ভিক্ষুক গাড়ির কাছে এতো জোরে আঙ্গুল দিয়ে টোকা দেবে যে মন হয় গ্লাস ভেঙ্গে ফেলবে।
বিদেশীদেরকে এক শ্রেণীর ভিক্ষুক টার্গেট করে কারণ জানে যে ১ ডলার পেলেও ১০০ টাকা। কয়েকদিন আগে একজন বয়স্ক লোক এক বিদেশীকে উত্যক্ত করছিল কিছু ফাও টাকার লোভে। যদিও সে ভিক্ষুক ছিল না তবে মন মানসিকতা ঐ রকমই ছিল। যেটা পরে মিডিয়া এবং ইউটিউবে আসে। এগুলি আমাদের জাতির জন্য খুবই অস্বস্তিকর। পরে অবশ্য পুলিশ এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল।
১৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০
শেরজা তপন বলেছেন: এক শ্রেনীর লোকের কাছে ভিক্ষা হল সবচেয়ে মজার ও সব সময়ের জন্য লাভজনক পেশা। প্রচুর ভিক্ষুককে আমি জানি চিনি যারা দারুণ স্বচ্ছল।
আমি এক সময় প্রচুর হিন্দু ভিক্ষুক দেখেছি। পুরুষ নব্বুইভাগ ভিক্ষুক নামাজ পড়ে না। মহিলা ভিক্ষুক ৯৯ ভাগ নামাজ পড়ে না।
এদের অবশ্যই জোর করে পুনর্বাসন করতে হবে। এরশাদের সময় চেষ্টা করা হয়েছিল- তখন গাড়ি দেখলেই ওদের দৌড় ছিল দেখার মত লুলা ন্যাংড়া কানা সব ভাল হয়ে যেত।
প্রচুর ক্রিমিনাল গা ঢাকা দেবার জন্য ভিক্ষুক সাজে-সেখানে গোয়েন্দাও আছে।
ভাল লিখেছেন। এ বিষয়টা নিয়ে আমারও লেখার ইচ্ছে আছে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। অন্য ধরণের একটা নেশা এবং আনন্দ অনুভব করে পেশাদার ভিক্ষুকেরা। আমার ধারণা তারা আনন্দ পায় এটা ভেবে যে একজন লোককে বোকা বানানো গেছে অথবা কোন কাজ না করে ভিক্ষার থলেতে টাকা এসে গেল। পৃথিবীতে সততার সাথে টাকা কামাই করা অনেক কষ্টকর অনেকের জন্য।
একমাসের ভিক্ষার টাকা দিয়ে যে কোন ছোট কাজে নামা যায়। আমি পোস্টে কিছু উদাহরণ দিয়েছি কয়েকটা। এই কাজগুলি ছোট হলেও কখনওই অসম্মান জনক না। কারণ মানুষ জানে ভিক্ষার চেয়ে এই ক্ষুদ্র আয়ের ব্যবসা অনেক সম্মানজনক। অনেক ভিক্ষুক আছে যারা অনেক টাকার মালিক। কিন্তু এই পেশা ছাড়তে পারে না। এটা একটা নেশার মত।
পেশাদার ভিক্ষুকদের মধ্যে নামাজির হার আসলেই কম মনে হয়। কিন্তু সাধারণত অভাবী লোকেরা বেশী এবাদাত করে। এটা থেকেও বোঝা যায় এরা প্রকৃত অভাবী না।
এদেরকে সরকার পুনর্বাসনের চেষ্টা করলেও এরা পালিয়ে বেড়ায়। মুক্তি পেয়ে আবার সেই পেশায় ফিরে আসে।
গোয়েন্দা ভিক্ষুক সাজে এটাও ঠিক। তবে ক্রিমিনাল ভিক্ষুক সাজে এটা জানতাম না।
আপনাকেও এই বিষয় নিয়ে লিখতে অনুরোধ করবো। কারও সেখানে অনেক বাড়তি তথ্য থাকবে আমার বিশ্বাস। অনেক কিছু জানা হবে।
১৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৮
সোনাগাজী বলেছেন:
আমি পাকিস্তান আমল থেকে এই অবস্হা দেখে আসছি; এদের ৯৫ ভাগ মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ও সামাজিকভাবে সম্পুর্ণভাবে সহায়হীন; এরা যাতে নিজে আয় করতে পারে ( যারা সমর্থ ) সেটা কি অরগেনাইজ করার দরকার আছে, নাকি তারা আপনার পোষ্ট পড়ে, নিজ চেষ্টায় তা করতে পারবে?
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সরকার চেষ্টা করে কিন্তু এরা পালিয়ে যায়। ৯৫% ভিক্ষুক পেশাদার ভিক্ষুক যাদের দৈনিক আয় যে কোন ছোট চাকরীজীবী এমন কি অনেক বড় চাকরিজীবীর চেয়ে বেশী। পাকিস্তান আমলে এই ধরণের পেশাদার ভিক্ষুক ছিল না।
অনেক পেশাদার ভিক্ষুক আপনাকে বা আমাকে পালতে পারবে। এটা আপনার এন্টেনায় আসছে না। আমি প্রকৃত অসহায় ভিক্ষুকদের ব্যাপারে এই পোস্ট লিখিনি। শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী লোক ভিক্ষা করতে বাধ্য হতে পারে। এগুলি আলাদা ব্যাপার। এখন ৯৫% ভিক্ষুক ভিক্ষাকে পেশা হিসাবে নেয় এবং এদের প্রচুর সঞ্চয় আছে। এগুলি আপনার বিশ্বাস না হলেও এটাই সত্যি।
১৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:০০
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ঢাকা শহর এখন মনে হয় ভিক্ষুকদের শহর। মোড়ে মোড়ে ভিক্ষুকের অভাব নেই।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পেশাদার ভিক্ষুক এড়ানোর একটা তরিকা আমি আমার বাবার কাছ থেকে শিখেছি। আমার বাবা কোন রকম খারাপ ব্যবহার না করে ভিক্ষুকের উদ্দেশ্যে হাত তুলে একটা সালাম দিয়ে বলতেন মাফ কর বাবা। আমিও একই কাজ করি। সাধারণত সালাম দিলে এরা দ্রুত চলে যায়।
ঢাকা শহরে পেশাদার ভিক্ষুক বেশী বেড়ে গেছে কারণ আমরা তাদের প্রতি দুর্বল হয়ে যাই। ২ কোটির বেশী লোক ঢাকায় থাকে। তাই ভিক্ষুকদের আয় বাড়ছে দিন দিন।
১৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আবার আসার জন্য। সময় পেলে আবারও আসার আমন্ত্রন রইল।
১৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর,
ভালো বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
"আল্লাহ"র নাম ভাঙ্গিয়ে এদেশের ধর্মপ্রান কিন্তু নির্বোধ পাবলিকের কাছ থেকে যখন সহজেই অর্থকড়ি পাওয়া যায়, তখন অলস-অকর্মণ্য আর চতুর মানুষেরা তার সুযোগ নেবেই। সেটাই ভিক্ষাবৃত্তির একটি প্রধান কারন।
ডঃ এম এ আলীর মন্তব্যের সাথে সহমত। সমস্যার গোড়ায় হাত না দিলে এই সমস্যা থাকবেই।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মাথায় একটু কু বুদ্ধি থাকলে এবং লজ্জা শরম না থাকলে টাকা বানানো সহজ। তার মধ্যে একটা হলও পেশাদার ভিক্ষাবৃত্তি। এছাড়া আছে বিভিন্ন ধরণের বাটপারি বা টাউটগীরি। যেমন এম এল এম ব্যবসা, ইভেলি বা যুবক টাইপের ব্যবসা, ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য মূল্যবান পাথর বিক্রির ধান্ধা, চাকরি প্রদানের ব্যবসা ইত্যাদি।
আপনাকে কেউ একজন ফোন করে বলবে আমি কাস্টমার সার্ভিস থেকে বলছি। আপনার জন্য একটি সুখবর আছে। আমরা বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনকৃত সিমের মধ্য থেকে একটি লটারি আয়োজন করেছি। আপনার নম্বরটি প্রথম পুরস্কার হিসেবে ২১ লাখ টাকা জিতেছে। এখন আপনাকে ৫ হাজার টাকার একটা রেজিস্ট্রেশন ফি বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে হবে। তারপরের কাহিনী বুঝতেই পাড়ছেন।
আমার এক খালা ব্যাংকে চাকরি করতেন তিনি একটা প্রতারণার ঘটনা বললেন আমাদেরকে। একটা সরকারী ব্যাংকের শাখায় এসে একটা তরুণ ছেলে তার মাকে সাথে নিয়ে এসে ম্যানেজার সাহেবকে বললেন যে আঙ্কেল আমি ব্যাংকের এম ডি সাহেবের ছেলে। আমার মা আর আমি এই শহরে এসেছি কিন্তু একটা বিশেষ কাজে আমাদের ১ লাখ টাকা প্রয়োজন। ঢাকা ফিরেই টাকা ফেরত দিয়ে দেব। ব্যাংকের লোকেদের সাহস হয়নি তার পরিচয়কে চ্যালেঞ্জ করার। প্রতারকরা খুব সুন্দরভাবে অভিনয় করে এবং ব্যাংকের লোকদেরকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে জানা যায় ব্যাংকের এম ডির কোন ছেলে বা মা আসে নি। এসেছিল দুইজন প্রতারক। পরে ব্যাংক ম্যানেজার আর সেকেন্ড অফিসার নিজেদের পকেটের টাকা থেকে সেই দেনা শোধ করতে বাধ্য হয়।
অনলাইন প্রতারনাও আছে। আপনার ই মেইল বা ফেইসবুক হ্যাক করে সেখানে আপনার নামে সাহায্যের জন্য আবেদন করবে। কিছু টাকা পেয়ে যাবে।
শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের নামে কত টাকা তুলেছে তার হিসাব নাই।
প্রবাসী পরিচয়ে প্রতারনা হত এক সময়। বাসায় এসে বলবে আমি আপনার ছেলের পরিচিত বিদেশে একই জায়গায় থাকি। আমি একটু টাকার সমস্যায় পড়েছি। ফিরে গিয়েই টাকা দিয়ে দেব।
বাঙালিদের এই সব ব্যাপারে মস্তিষ্ক খুব ভালো কাজ করে।
১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১২
রিদওয়ান খান বলেছেন: রাস্তাঘাটের ভিক্ষুকগুলো তো আছেই। জেলা শহরের বিল্ডিংগুলোর যে কী অবস্থা হয় এদের কারণে! আল্লাহ মাফ করুক। তাছাড়া এদের মধ্যে বেশিরভাগই থাকে চুরির ধান্ধায়। গেইট খোলা থাকলেই হলো কোন না কোন বাসায় চুরি হবেই। প্রথমে ঢুকবে ভিক্ষুকের বেশে তারপর হয়ে যাবে ভয়ংকর চোর। ধরা পরলে বলবে ভিক্ষা চাইতে এসেছিলাম।
তাছাড়া এখানে আরেকটা বিষয় আছে, বিশেষ করে ঢাকাতে। স্থানীয় ক্ষমতাসীন কোন নেতার বা কেডারের আন্ডারে এরা কাজ করে।
প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা এমাউন্ট ওদের হাতে তুলে দিতে হয় তা না হলে বেধড়ক পিটানো হয় এবং তাকে ভিক্ষা করতে দেওয়া যেকোনো অলিগলিতে যাবে সেখানকার ভিক্ষুকরা ঐ কেডারকে খবর দিবে যে সে এখানে এসে ভিক্ষা করছে। এজন্য এরা অনেক সময় এতটা এগ্রিসিভ হয়ে যায় যে ভিক্ষার ভেসে চুরি করতে গিয়ে মানুষকে পর্যন্ত জখম করে দেয়! কারণ সে যদি ঐ নির্দিষ্ট এমাউন্ট জমা না দিতে পারে তাহলে তার অস্বাভাবিক মাইর খেতে হবে এবং
ভিক্ষাও করতে পারবেনা। এজন্য এরা চাইলেও অনেক সময় এই পেশা ছেড়ে যেতে পারেনা কারণ কেডাররা তাদেরকে দিয়ে ব্যবসা করায়।
একবার এক ভিডিওতে দেখেছিলাম হাসপাতাল থেকে শিশুর লাশ চুরি করে নিয়ে লাশে দুর্ঘন্ধ আসা পর্যন্ত ঐ লাশ দিয়ে টাকা কালেক্ট করতে!
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। অনেক ভিক্ষুক চুরির উদ্দেশ্যে বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে। ক্ষমতাশালী দলের নেতা বা সন্ত্রাসীরা অনেক ক্ষেত্রে এদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং টাকার ভাগ পায়। এদের মধ্যে একটা চক্র কাজ করে। শুনেছি সন্ত্রাসীরা ভালো মানুষকেও পঙ্গু বানিয়ে ভিক্ষা করতে বাধ্য করে। এই সব অপরাধ দমন করতে হলে দেশের রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা দরকার। পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্ত তাই তাদের এই সব দেখার সময় নাই।
২০| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬
মিরোরডডল বলেছেন:
সাচু, কাল রাত দশটার পর আজ দুপুর একটা বাজতে চললো নতুন কোন পোষ্ট নেই।
কখনও এমন দেখেছি মনে পড়েনা, আজ খেয়াল করলাম।
এটা কি নরমাল?
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে আমার একটা বদভ্যাস হলও লগ আউট না করেই ঘুমিয়ে যাই। তাই কালকে সারা রাত আমাকে লগ ইন দেখিয়েছে।
খবর নেয়ার জন্য ধন্যবাদ। কয়েকদিনের মধ্যে পোস্ট দিব ইনশাল্লাহ। সব সময় পোস্ট মাথায় আসে না। আশা করি মিরোরডডল ভালো আছে। তাকেও গভীর রাতে (অস্ট্রেলিয়ার সময় অনুযায়ী) ব্লগে দেখে আমি একটু অবাক হয়েছি। পরে বুঝলাম যে পরের দিন অফিস বন্ধ তাই হয়তো রাত জেগে আছে।
২১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৫
মিরোরডডল বলেছেন:
যেই ভিক্ষুক শারীরিক প্রতিবন্ধী, অথবা শিশু এবং বৃদ্ধ, তাদেরতো ভিক্ষা করারই কথা না, যদি সরকারি এবং বেসরকারি এনজিওগুলো তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে।
আর যারা কমপ্লিটলি সুস্থ মানুষ কিন্তু ভিক্ষা করে, তাদের জেইলে ঢোকানো উচিত।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মিরোরডডলের মন্তব্যের সাথে একমত। কারণ শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী গরীব লোকদের দেখার কথা রাষ্ট্রের। কিন্তু আমাদের দেশে এই ব্যবস্থা নাই। ভিক্ষুক পুনর্বাসনের কিছু উদ্যোগ অবশ্য সরকার নেয়ার চেষ্টা করে কিন্তু এগুলি কার্যকর কিছু না। কিছু এনজিও কাজ করে। কিন্ত বাংলাদেশের বেশীর ভাগ স্থানীয় এনজিও বিদেশ থেকে দান গ্রহণ করে সঠিকভাবে খরচ করে না। অনেক ক্ষেত্রেই নিজেরা লাভবান হয়।
সুস্থ ফকিরদের জেলখানায় দেয়া উচিত। মাঝে মাঝে উদ্যোগ নেয় কিন্তু এত বেশী পরিমানে বাণিজ্যিক ভিক্ষুক যে সরকার পেড়ে ওঠে না।
২২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৬
সোহানী বলেছেন: আমাদের দেশে প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারী বা বেসরকারী পর্যায়ে কখনই কিছু করতে দেখিনি। তাহলে এ অসহায় মানুষগুলো খাবে কি?? তাদের হাতে ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া কোন পথ খোলা থাকে না।
আমাদের হাজারো সমস্যার মাঝে এটাও একটা। দেখার কেউই নেই।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি শারীরিক বা মানসিক প্রতিবন্ধী ভিক্ষুকদের সমালোচনা করি নাই। উপরে মিরর বলেছে যে এদের দেখার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু আমাদের দেশে সেটা হচ্ছে না। আমাদের দেশে বর্তমানে ভিক্ষুকদের একটা বড় অংশ শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ পুরুষ বা মহিলা যাদের কাজ করার সামর্থ্য আছে। এদের নিয়ে লিখেছি। এরা ভিক্ষাকে ব্যবসা বানিয়ে ফেলেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:০৮
কামাল১৮ বলেছেন: এই ভাবে লিখলে ভিক্ষা দিয়ে মানুষ যে সওয়াব কামাতো সেটা বন্ধ হয়ে যাবে।এই জন্য কি আপনার গুনাহ হতে পারে?