নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কয়েক বছর আগে আমার বড় ছেলেকে তার মা আরেকজনের ছেলের সাথে তুলনা করে কি যেন বলেছিল। আমার ছেলে তখন মুষড়ে পড়ে আর বলে আম্মা ‘কমপেয়ার কইরো না’। আমি আমার ছেলেকেই সমর্থন দিয়েছিলাম। আমার স্ত্রীকে বুঝালাম যে প্রত্যেকটা মানুষ আলাদা। সবাই সব ক্ষেত্রে সফল হবে এমন না। একেক বাচ্চার পছন্দ এবং যোগ্যতা একেক রকম হয়।
আপনার ছেলে বা মেয়ে যতই খারাপ হোক, যতই সে বিপথে যাক না কেন তাকে কখনই আরেকজনের ছেলের সাথে তুলনা করা উচিত না। তাকে বুঝাতে হবে ভালো পথে আসার জন্য। কিন্তু অন্যের সন্তানের সাথে তুলনা করা ঠিক না। শিশু মনোবিজ্ঞানীরা বলেন যে এই ধরণের তুলনার ফলে ভালোর চেয়ে খারাপ হয়, বাচ্চা হীনমন্যতায় ভোগে, নিজের প্রতি ভালোবাসা কমে যায়, বাচ্চার মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিতে পারে এবং বাচ্চার মনে হতে পারে যে তাকে বাবা মা ভালোবাসে না। এমন কি একাধিক সন্তান থাকলে এক সন্তানকে বেশী ভালোবাসা এবং আরেকজনকে কম ভালোবাসা, এটাও ঠিক না। সন্তান যতই খারাপ হোক সে আপনার সন্তান এটা মনে রাখতে হবে। তার সাথে অন্যের তুলনা না করে তাকে ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।
একই কথা স্বামী বা স্ত্রীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য । স্বামীর উচিত হবে না আরেকজনের স্ত্রীর সাথে নিজের স্ত্রীর তুলনা করা এবং স্ত্রীর উচিত হবে না অন্যের স্বামীর সাথে নিজের স্বামীর তুলনা করা। এই তুলনার প্রশ্ন যখনই আসে তখনই বোঝা যায় যে ভালোবাসায় ঘাটতি পড়ছে। প্রকৃত প্রেমিক/ প্রেমিকা কখনও আরেকজনের সাথে তুলনা করে তার প্রেমিক/প্রেমিকাকে ছোট করে না। এই তুলনা মানে হল ভালোবাসায় ভেজাল ঢুকেছে।
দেশকে ভালোবাসার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশদের চামচামি যারা করতো তাদেরকে রায় বাহাদুর বা খান বাহাদুর উপাধি দেয়া হত। ব্রিটিশরা তাদের ক্লাবের দরজায় লিখে রাখতো ‘ডগস এন্ড ইন্ডিয়ানস আর নট অ্যালাউড’। ব্রিটিশদের এই ধরণের বিভিন্ন বর্ণবাদী আচরনকে সমর্থন করতো এই চামচারা। ব্রিটিশদের কোন খারাপ কাজ তাদের নজরে আসতো না। এরাই তখন সমাজের এলিট ছিল। পাকিস্তান আমলে অনেক বাঙ্গালী পরিবার জাতে ওঠার জন্য বাংলা ছেড়ে উর্দু বলতো। বাংলাকে তারা নিম্নমানের এবং হিন্দুদের ভাষা মনে করতো এবং উর্দুকে অভিজাত ভাষা মনে করতো। এগুলি দেশপ্রেম না। এরাও এক ধরণের রাজাকার ছিল। বাংলাদেশের অবস্থা যতই খারাপ হোক না কেন এটা আপনার নিজের দেশ এটা আপনাকে মনে রাখতে হবে। এই ব্যাপারে লিঙ্কড ইনে একটা প্রবাসী মেয়ের (মরিয়ম আকতার) লেখা ভালো লাগলো। সেটা থেকে কিছু অংশ আর তার পুরো লেখার লিঙ্ক শেয়ার করছি;
কত মানুষকে দেখলাম ২ বছরও হয় নাই বাংলাদেশ ছেড়ে আসছে, অথচ পুরোদমে অষ্ট্রেলিয়ান, ক্যানাডিয়ান সাজতে চায়। দেশের কথা উঠলেই, ‘My God, ওখানে মানুষ থাকে!? আল্লাহ্ বাঁচাইছে জান নিয়ে চলে আসছি।’ একজনকে একবার দেখলাম ৩০ মিনিট কারেন্ট নাই দেখে পোস্ট দিছে, “Oh Allah! ৩০ মিনিট কারেন্ট নাই। লিফট চলে না। বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছি।অথচ সারাজীবন ৮ ঘন্টার লোড-শেডিং এ থাকতো ! এই হচ্ছে দেশ থেকে চলে আসা ভাই-বোনদের অবস্থা। এক লাইন ইংরেজি লিখতে পারে না (আমার মতোই), কিন্তু বিদেশী গ্রুপগুলাতে দেখি দিস্তার পর দিস্তা আতলামি পোস্ট দিয়েই যাচ্ছে। দেশে থাকলে জীবনেও তাদের এসব হীনমন্য ভাবনাকেন্দ্রিক লেখা কাউকে পড়াইতে অথবা চিন্তা কাউকে শোনাইতে পারত কিনা সন্দেহ (মানের কারণে), আর এখানে এসে শিয়াল বনে রাজা হইছে সবাই (মানের যদিও কোন উন্নতি হয় নাই!)। এই হইতেছে লাখ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী, বিশেষত যারা শিক্ষিত, পয়সাওয়ালা; এবং আমেরিকা, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলাতে আছে, তাদের অবস্থা(সবাই না)। এর বাইরে অনেকেই আছে দেশে থাকতে জীবনে কোথাও কোন ভূমিকা রাখে নাই।বিভিন্ন ডিনারে, আড্ডায়, মিটিং এ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বলবে, “You know people there? uncultured, uncivilized.” “Are you seriously planning to go to Bangladesh? Don’t go. There are mosquitoes, robbers, heat and dengue!” যেসব বিদেশীদের এসব কথা বলা হয়,সেই সব বিদেশীরাই এসব মানুষকে পছন্দ করে না নিজের দেশকে সম্মান না করার জন্য। অথচ তুই ব্যাটা ঠিকই প্রতিবছর দেশে যেয়ে তোর বাপের হাড়-ভাঙ্গা খাটুনির জায়গা-জমি সব বেঁচে এখানে এসে খরচ করে তারপর দেশকে গালিগালাজ করিস!
এছাড়া নিজের দেশকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য যারা করে তাদের বিরুদ্ধে একজন ভদ্রমহিলা লিখেছেন এই লিঙ্কে গিয়ে দেখতে পারেন - বিদেশে গিয়ে নিজের দেশকে তাচ্ছিল্য নয়। ওনার লেখার কিছু অংশ নীচে দিলাম;
কত জনে কত লেখালেখি করে দেশকে নিয়ে। যা পড়লে ভালো লাগে। আমি লিখতেও পারি না। খারাপ লাগে, কষ্ট লাগে যখন দেখি এদেশেরই আলো হাওয়ায় বড় হওয়া কিছু বাংলাদেশি বাঙালী নিজের দেশকে বিদেশের সঙ্গে তুলনা করে করে নিজের দেশকে ছোট করে, অপমান করে, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। নিজের দেশকে ছোট করে আপনারা কি খুব বড় হন?
দেশ হোক, সন্তান হোক, স্বামী/ স্ত্রী হোক না কেন তুলনা করা মানে ভালোবাসা কমে যাচ্ছে।
ছবি - amarkobita4u.com
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:৫৬
সোনাগাজী বলেছেন:
গত ৫২ বছরে বিশ্বে কি ঘটেছে, কোন দেশ সময়ের সুফল ভোগ করেছে, কোন দেশ পেছনে পড়েছে, অন্যদের তুলনায় আমরা কোথায়; এসব বুঝতে হলে তুলনা করার দরকার হবে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তুলনা করতে পারেন কিন্তু সেটার মধ্যে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ব্যঙ্গ থাকা উচিত না। দেশের হাজারো সমালোচনা করা যেতেই পারে। সমালোচনা করার অনেক কিছু আছে। আমিও করি।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:১৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: দেশকে নিয়ে কটূক্তির মানে বুঝতে পারি না। দেশ তো আর ব্যক্তি না, দোষ করলে দেশের মানুষ করে। তাহলে কেন দেশকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা!
বাংলাদেশের প্রত্যেক বাবা-মা বোধ করি অন্যদের সন্তানের সাথে নিজের সন্তানের তুলনা করে। ইতিবাচক অর্থে করলে সমস্যা হয় না, নেতিবাচক অর্থে করলে মুষড়ে পড়ার কথাই।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেশের মধ্যে অনেক অব্যবস্থা আছে এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু অনেকে এমনভাবে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে যে শুনলে বা পড়লে মনে হয় তারা মুলত দেশের ভালো চান না বরং ব্যঙ্গ বিদ্রূপটাই আসল উদ্দেশ্য।
বাচ্চাদের মন মানসিকতা বুঝে পিতা মাতার কথা বলা উচিত। পিতা মাতাদেরও বাচ্চা পালন করা শেখার প্রয়োজন আছে অনেক ক্ষেত্রে। আগেকার জমানায় শিক্ষক বা পিতা মাতার পিটুনি খেয়ে অনেক ছেলে মেয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে যেত। এগুলি ভালো ব্যবস্থা না। আমাদের দেশের শিক্ষক এবং পিতামাতার ভালো প্রশিক্ষণের দরকার আছে।
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৪
নূর আলম হিরণ বলেছেন: বাচ্চাদের বা নিজের সন্তানদের সে যেই বয়সেরই হোক আমাদের মা বাবারা অন্যের সাথে তুলনা করবেই। ছোট থাকতে পড়ালেখা বা আচরণ নিয়ে, বড় হলে অর্থ বিত্ত নিয়ে!
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা কোন ভালো অভ্যাস না। কিন্তু আমরা এই অভ্যাস ত্যাগ করতেও পাড়ছি না। ফলে সন্তানের উপর মানসিক চাপ পড়ছে।
৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:৪৭
ইসলামী জ্ঞান বলেছেন: বাস্তব কিছু কথা উল্লেখ করছেন, অনেক সুন্দর লেখা। ধন্যবাদ, মাশাআল্লাহ
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:২৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
কম্পারিজনের ভালো/খারাপ দুটো দিকই আছে;ভালোর লোভেই খারাপ হয়ে যায়।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লোভ জিনিশটাই খারাপ।
৭| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৫১
কামাল১৮ বলেছেন: কারো সাথেই কারো তুলনা করা উচিত না ।প্রত্যেকে স্বতন্ত্র।প্রতিটা মানুষের ভালোদিক খারাপ দিক আছে।ভালো দিকটার প্রসংশা করা,খারাপ দিকটা নিরুৎসাহিত করলেই যথেষ্ট।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একমত আপনার কথার সাথে।
'ভালো দিকটার প্রশংসা করা, খারাপ দিকটা নিরুৎসাহিত করলেই যথেষ্ট। '
৮| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:২২
ঢাবিয়ান বলেছেন: দেশের বেলায় তুলনার বিষয়টা মানতে পারছি না। বিদেশে গিয়ে উন্নত জীবন ব্যবস্থা দেখলে তুলনা আসবেই। তখন দেশের অবস্থা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করাটা আসলে ঠিক তাচ্ছিল্য নয় , এটা এক প্রকার হতাশার বহিঃপ্রকাশ। নিজের দেশকে কি আর না ভালবেসে পারা যায় ? এতো আমাদের মাতৃভুমি। মানুষ যত উন্নত দেশেই যাক ফেলে আসা দেশের প্রিয়জন, মাটি , পানি, খাবার সব কিছু চুম্বকের মত টানে। কিন্ত খারাপ , অযোগ্য নেতাদের হাতে দেশটা পরে থাকায় দেশের যে অবস্থা সেটা বিদেশে আসলে এত বেশি করে বোঝা যায় যে হতাশাটা চেপে রাখা কষ্টকর হয়।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি দেশকে ভালোবাসেন। কিন্তু অনেকে বিদেশে গেলে বদলে যায়। দেশের অযোগ্য নেতাদের কারণে দেশের এই অবস্থা। আমরা আসলে পরিস্থিতির শিকার।
৯| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২৪
শায়মা বলেছেন: দেশকে নিয়ে বৈদেশে গিয়ে যারা ব্যঙ্গ করে তাদের জন্য একটা প্রবাদ বাক্য আছে ভাইয়া-
দুই দিনের বৈরাগী ভাতেরে কয় অন্ন!
এই রকম বৈরাগীর দেখা আমি আমার চর্মচক্ষুর সামনে পিছে ও এই ব্লগেও পেয়েছি।
যদিও মাইকেল মধুসুধন দত্ত আমার অনেক প্রিয় কবি তবুও তিনিও একই কাজ করেছিলেন এবং হয়েছিলেন মাইকেল মধুসুডন ডাট। এমন ডাট কিন্তু সবখানেই আছে।
আমার একজন প্রিয় থেকে অপ্রিয় হয়ে যাওয়া মানুষ একদিন একটা গান লিখেছিলেন মানে প্যারোডি এই টাইপ মানুষ নিয়ে যদিও তার অনেক দোষ তবুও তার কথা মানে সেই গান আমার প্রায়ই মনে পড়ে এবং আমি এমন মানুষগুলোকে দেখলে মনে মনে গাই -
বৈদেশে আইসা আমার মাথা ঘুরাইছে......
আরে ঝকঝক ফকফক রাস্তা দেইখা দেশকে ভুলাইছে......
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোন গাধাও অটোয়া বা লন্ডনের সাথে ঢাকার তুলনা করবে না। ঠিক বলেছেন 'দুইদিনের বৈরাগী ভাতেরে কয় অন্ন'। আমাদের দেশের সমস্যাগুলি আসলে রাষ্ট্র পরিচালকদের কারণে। সেই দোষ পুরো বাঙ্গালী জাতির উপর চাপিয়ে দেয়ার কোন মানে হয় না। ব্লগ হল আমাদের সমাজেরই ক্ষুদ্র সংস্করণ তাই এই ধরণের লোক ব্লগে কিছু থাকাটা অস্বাভাবিক না।
আমাদের প্রিয় একলব্য ভাইয়ের খবর পাওয়া গেল না মনে হয় এখনও।
১০| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৪০
শায়মা বলেছেন: যাইহোক একটা কথা আছে পাপকে ঘৃনা করো পাপীকে নয়......
ঠিক একইভাবে কারো সাথে কারো তুলনা নয় বরং ভালো কাজটাকে তুলে ধরো, কর্তব্য করতে শেখাও, দায়িত্ব নিতে এবং কোনটা ভুল আর কোনটা সঠিক এসবই একটা বাচ্চাকে সঠিক শিক্ষা দেবে।
আমি আমার ক্লাসে ছোট্ট পিচ্চুদেরকে যেভাবে ১০০% প্রায় অরগানাইজড ওয়েতে নিয়ে আসি সেটা আমি যখন যে যা ভুল করে নোট করে রাখি মানে মাথায়। পরদিন ক্লাসে সারকেল টাইমে সবার নাম ধরে একে একে বলি আই এম ভেরী হ্যাপী উইথ মাই গুড চিলড্রেন সাথে এক একজন করে বলি আমি তাদেরকে খুবই পছন্দ করি স্পেশালী এই গুনাবলীর জন্য যেমন সে খুবই সুন্দর ছবি আঁকতে পারে কিন্তু তাকে হ্যান্ড রাইটিংটা একটু প্রাকটিস করতে হবে বেশি বেশি। তারপরের জনকে বলি আমি তো এই বেবিটার এই গুনাবলীর জন্য ভীষন তাকে পছন্দ করি ভালোবাসি এবং সে ক্লাসে এত ভালো করছে আমি খুবই খুশি তবে তাকে একটা জিনিসে সাবধান হতে হবে মানে মনে রাখতে হবে যে খেলার সময় যেন তার হাত পা অন্যদিকে গিয়ে কাউকে না হার্ট করে।
মানে সরাসরি ব্লেম দেই না ভাবখানা এমন সে তার হাতপাগুলিই কন্ট্রোল করবে তাহার কোনো দোষ নাই। তিনি দুনিয়ার সাধু।
এই প্রক্রিয়া ইউজ করে যেই বাচ্চার তেমন কোনো সমস্যা নাই তাকে সহও মানে তাকে বলি তুমি সবই ঠিক ঠাক করছো সো এটাই করবে এইভাবে ইন জেনেরেল ভাবেও প্রত্যককেই নিজের ইমপ্রুভমেন্টের দিকটা বুঝিয়ে দিয়ে আমি খুবই ভালো ফলাফল পাই।
আর আমার মা কি করতো জানো?
ঐ এক নাম্বার কম পাইলি কেন? ওরা যা খাই তুই কি খাস না? ভাত পাস না মাছ পাস না মাংস পাস না!!! এত কিছু খেয়ে পরে এই রকম গাধা হয়েছিস!!!!!!!!!
যাহ তোর হেন বন তেন বন টেন বন যতখন সবার উপরে নাম্বার না পাবি সব কিছু বন!!!
ও পেলো তুই কি ঘাস খাস?
সে পেলো তুই কি গরু ছাগল গাধা!!!!!!!
তাই আমি সিংহ রাশি হয়ে সিংহ হবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টায় রত হয়েছিলাম।
তবে হ্যাঁ চাইল্ড সাইকোলজীতে আমাদের আমলে আমি পড়েছিলাম ক্রিটিসিজমের মাঝেও শিশু অনেক কিছুই শিখে। আজকাল দেখি সকল সাইকোলজীই বদলে গেছে ........ তবে খারাপ হয়নি ভালোই হয়েছে। আমি আমার বাচ্চাদেরকে এবং প্যারেন্টসদেরকে নিয়ে হ্যাপী কারণ ভুলিয়ে ভালিয়ে ঘোল খাইয়েও আমি তাদের বাচ্চাদেরকে ঠিকই পড়া লেখা ও নাচা গানা কবিতা বলায় আঁকায় ঝোঁকায় নাম্বার ওয়ান শাকিব খান বানিয়ে তুলতেই পেরেছি প্রায় ৯৯% সফলতায়।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার দৃষ্টিভঙ্গি ভালো লাগলো। আসলে ছোট বাচ্চাদেরকে মানুষ করার ক্ষেত্রে শিক্ষক এবং অভিভাবকের অনেক ভুমিকা থাকে।
আপনি একজন চমৎকার শিক্ষিকা এটা আমি আগেই বুঝতে পেড়েছি। আপনি যে কোন কাজ মন প্রাণ দিয়ে করেন তাই সফল হন। আপনার বাচ্চাদের পড়ানোর ধারা বেশ উন্নত বলতেই হবে। আসলে এভাবেই হওয়া উচিত। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হল আমাদের দেশে খুব কম শিক্ষক এতো আন্তরিকতার সাথে শিক্ষা দিয়ে থাকে। আমিও কিন্তু সিংহ রাশি।
কিছু সমালোচনা বাচ্চাদেরকে হয়তো করা যাবে। কিন্তু সব বাচ্চা এক রকম না। বাচ্চার মন মানসিকতা আগে বুঝতে হবে।
আমার ধারণা আপনি আদর্শ শিক্ষতার জন্য পুরষ্কার পেয়েছেন বা অচিরেই পাবেন। আমার ইচ্ছে ছিল একবার আপনার পড়ানো দেখা। আরেকটা ইচ্ছেও ছিল। যেটা আপনি জানেন।
১১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬
শায়মা বলেছেন:
ভাইয়া গতকাল ছিলো টিচারস ডে। আমাদের স্কুল আমার আর আমার ক্লাস নিয়ে টিচারস ডে উইশ কার্ড বানিয়েছে।
স্কুলের লোগো আর নাম মুছে দিলাম।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি একজন উঁচু মানের আদর্শ শিক্ষক বলেই স্কুল এই কাজ করেছে। আপনাকে অনেক অভিনন্দন। আপনাকে এখন ভালো শিক্ষক তৈরিতে কাজে লাগানো উচিত সরকারের পক্ষ থেকে।
১২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০১
মিরোরডডল বলেছেন:
ব্লগার আহমেদ জি এস, রব এরকম কয়েকজন দেশের অবস্থা নিয়ে রম্য পোষ্ট লেখে এবং আমরা সেটা পছন্দ করি।
সাচুর কাছে আমার একটা প্রশ্ন, সেদিন হায়দারের সেই পোষ্ট যদি হায়দার না লিখে আহমেদ জি এস অথবা রব লিখতো, তাহলেও কি আজকের এই পোষ্টটির অবতারণা হতো?
আই হোপ নট, কারণ হায়দার একজন প্রবাসী। এটা তার অপরাধ?
এটা একটা রম্য এবং স্যাটায়ার পোষ্ট ছিলো।
দেশে থাকা ব্লগারেরা দেশের অসংগতি নিয়ে ফান করে লিখতে পারবে কিন্তু একজন প্রবাসী সেটা পারবে না, এটা কেমন কথা! অথচ সেই পোষ্টে দেশকে এতটুকুও ছোট করা হয়নি। সেখানে ছিলো নির্মল আনন্দ।
বরং সাচু সেখানে হায়দারকে খুব অফেন্সিভ একটা কমেন্ট করেছিলো তার চামড়া বদলে ব্রিটিশ চামড়া লাগাতে।
সেখানে হায়দার অত্যন্ত ভদ্রতার সাথে এড়িয়ে গেছে, কোন কাউন্টার ব্যাক না করে।
কারণ সে বুঝতে পেরেছিলো সাচু ওভার-রিয়েক্ট করেছে।
আমি মনে করতাম অন্য কেউ এমনটা করলে সাচু ইজ দ্যা ফার্স্ট পারসন যে প্রোটেস্ট করবে।
আর সেই কমেন্ট যখন সাচুর কাছ থেকে এসেছে, সত্যি অবাক হয়েছি
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:১১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আহমেদ জি এস ভাই কখনওই এই ধরণের পোস্ট লিখতেন না বা লেখেন না। মিরোরডডলের মনে হতে পারে যে একই রকম লেখে। আসলে সেটা না। দেশের সমালোচনা আমিও কম করি না। কয়েকদিন আগেই ঢাকার দুরবস্থা নিয়ে পোস্ট দিয়েছি। ব্যাপার হল দৃষ্টিভঙ্গি। রম্য আর ব্যঙ্গ বিদ্রুপ এক জিনিস। কিছু দিন আগে গেছো দাদা নামের একজন ব্লগার রম্যের নামে ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ করছিলেন এই দেশের বাঙ্গালীদের নিয়ে। তাই অনেক লেখা রম্য মনে হলেও আসলে এক ধরণের খোঁচা। এটাকে সমালোচনাও বলা যাবে না।
আলোচ্য ব্লগারের লেখাটা পড়ার পরে আমার কাছে মনে হয়েছে হীনমন্যতা প্রসুত বিলেতিদের পদলেহন টাইপের লেখা। ওনার লেখার কিছু অংশ নিয়ে আমার কোন আপত্তি নাই অবশ্য। কোন নিম্ন মানের গাধাও কখনও লন্ডন বা সিডনির সাথে ঢাকা বা বাংলাদেশের তুলনা করবে না। সিস্টেমের সমস্যা কিংবা আমাদের শাসকদের সমস্যাকে পুরো বাঙ্গালী জাতির উপর চাপিয়ে দেয়াটা বোকামি। সেটা ইচ্ছাকৃত হোক কিংবা অনিচ্ছাকৃত হোক না কেন।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রবাসী বা বাংলাদেশী স্থানীয় যেই হোক না কেন অন্য জাতির সাথে তুলনা করে পুরো জাতি নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা ঠিক না। সমালোচনা আর বিদ্রুপ এক জিনিস না। সিস্টেমের কিংবা শাসকদের অযোগ্যতাজনিত সমস্যাকে উনি বাঙ্গালী জাতির সমস্যা বলেছেন বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। এই কারণেই কড়া কথা বলেছিলাম। ওনার পর্যবেক্ষণগুলি মুলত শহর কেন্দ্রিক। কিন্তু বাংলাদেশকে এবং বাঙালিকে বুঝতে হলে ঢাকার বাইরে যেতে হবে। যে সমস্যাগুলির কথা উনি বলেছেন সেগুলি বাঙ্গালী জাতির সমস্যা না এটা এই দেশের শাসকদের এবং খারাপ সিস্টেমের সমস্যা। সেখানে বাঙ্গালী বা ব্রিটিশ জাতির তুলনার কোন প্রয়োজন ছিল না।
আমার কাছে ওনাকে ব্রিটিশ আমলের খান বাহাদুর কিংবা পাকিস্তান আমলের রাজাকারদের মত পদলেহনকারী এবং অপদেশপ্রেমিক মনে হয়েছে। এই কারণে কড়া কথা বলেছি। এই ব্রিটিশ জাতি ক্রীতদাসদের চাবুক মেরে আর উপনিবেশের মাধ্যমে লুটপাট করে আজকে এই অবস্থায় এসেছে। অ্যামেরিকার আদিবাসীদের উপর ইউরোপিয়ানদের দ্বারা নির্যাতনের মাধ্যমে আজকের অ্যামেরিকা হয়েছে। এখনও ইউকের ফরেন পলিসি বিশ্বের জন্য হানিকর অনেক ক্ষেত্রে। বর্তমানের ইউক্রেন যুদ্ধ সৃষ্টিতে ওদের ভুমিকা আছে। বিশ্বের শান্তি নষ্ট করছে এই যুদ্ধ। উনি ওনাদের ফেরেশতা বানিয়ে দিয়েছেন। এখনও লন্ডনে প্রায়ই জাতিগত বা ধর্মীয় কারণে রায়ট হয় মাঝে মাঝে। কয়েক দিন আগেও টিকটকের মাধ্যমে যোগাযোগ করে কয়েক শ বা হাজার লোক লন্ডনের শপিং মল লুট করেছে। কারণ হিসাবে বলেছে যে জিনিস পত্রের দাম বেড়েছে তাই এই কাজ করেছে। উনি এমনভাবে বলছেন যে এগুলি ব্রিটিশরা কোন কালেই করেনি। কোন জাতির মানুষই ফেরেশতা না। তাই আরেক জাতির উদাহরণ দিয়ে নিজের জাতিকে বিদ্রুপ করার কোন মানে হয় না।
ওনার লেখার অনেক অংশ মজার ছিল সেটা আমিও মানছি।
১৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:২৪
নতুন বলেছেন: প্রতিটা মানুষই ইউনিক তাই অবশ্যই কারুর সাথে তুলনা করার অর্থ হইলো অপমান করা।
যদিও বাবা মায়েরা এটা প্রায়ই করে।
সন্তানেরা তাদের নিজেস্ব কিছু বৈশিস্ট নিয়েই জন্ম নেয়। তারা বাবা মায়ের থেকে আলাদা হতেই পারে।
বাবা মা হিসেবে আমরা তাদের শেখাতে পারি কিন্তু তাদের সম্পর্নপরিবর্তন করতে পারবো না।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: একমত আপনার মন্তব্যের সাথে।
তুলনা করা মানে অপমান করা। কারণ প্রতিটা মানুষ ভিন্ন ভিন্ন দোষ গুন নিয়ে জন্মগ্রহণ করে।
১৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৪
জুন বলেছেন: আমার দেবরের মেয়ে গোল্ডেন জিপিএ পেলো আর আমার ছেলে পায় নি। মায়ের মন খারাপ ছেলে অপরাধী চেহারা। বাবা ঘোড়েল পাবলিক হেড অফ এইচ আর। মানুষের মনের ভেতরের কথাও সে পড়তে পারে। সুতরাং প্রথমেই সে আমাকে এসে ধরলো বল্লো "রেজাল্ট নিয়ে তুমি ওকে একটা কথাও বলতে পারবে না, অন্যের সাথে তুলনা করতে যেও না, কারণ সবাই সমান হয় না "। আর ছেলেকে অভিনন্দন জানিয়ে তার হাত ধরে একটা বিশাল কেক কিনে সবাইকে ডেকে রীতিমতো একটা উৎসবের আয়োজন করলো। পরবর্তীকালে আমার ছেলে সব পরীক্ষায় আউটস্ট্যান্ডিং রেজাল্ট করেছে চুয়াত্তর।
আর দেশকে নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা আমার অসম্ভব খারাপ লাগে। একটি থাই মেয়ে কয়েক বার আমার সামনে তার দেশকে ছোট করে কথা বলতো। একদিন তাকে আমি বললাম "তুমি এভাবে বলছো ক্যানো! তোমাদের রাজনীতিবিদ বা শাসকরা খারাপ হতে পারে তাই বলে তোমার দেশটাই কি খারাপ"!
মর্মে গিয়ে লেগেছিল আমার কথাটি। অনেক বার স্যরি বলে বল্লো, "না না মামা, আপনি ঠিক বলেছেন, আমার দেশ তো সোনার দেশ "।
+
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের ভাই এইচ আরের মানুষ তাই মানুষের সুখ দুঃখ এবং মনস্তত্ত্ব ভালো বোঝেন। এই কারণেই সঠিক কাজটিই করেছেন আপনার ছেলের ব্যাপারে। আমরা যখন অনেক বড় হয়ে যাই তখন জীবনের অনেক ব্যর্থতাকে হজম করতে পারি বা মেনে নিতে পারি। কিন্তু তরুণ বা কিশোর বয়সে ছেলেমেয়েরা মেনে নিতে পারে না এবং অনেক ক্ষেত্রে আত্মহত্যা পর্যন্ত করে ফেলে। সংবাদপত্রে প্রায়ই আসে যে পরীক্ষায় ফেল করার জন্য বা জিপিএ কম পাবার জন্য আত্মহত্যা করেছে। তাই বাচ্চাদের সংবেদনশীল মন বুঝে তার সাথে সেই ধরণের আচরন করতে হয়।
আমরা নিজের দেশের সমালোচনা সব সময়ই করি কিন্তু ব্যঙ্গ, বিদ্রুপ, তুচ্ছ, তাচ্ছিল্য করাটা মেনে নেয়া যায় না। একটা দেশের শাসকদের অপকর্মের দায় ভার আম জনতা বা পুরো জাতির উপরে চাপিয়ে দেয়াটা অন্যায়। সাধারণ জনগণ সব সময় চায় দেশ ভালো করুক এবং তারা দেশকে ভালোবাসে। ক্রিকেট খেলায় যখন সাধারণ জনতা উল্লাস করে তখনই বোঝা যায় দেশের সাধারণ জনগণ দেশকে ভালোবাসে। প্লাস দেয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
১৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৩
অপু তানভীর বলেছেন: একবার ভাবুন তো আপনি আপনার ছেলেকে বলছেন ওমুকের ছেলে পরীক্ষায় ৯০ পেয়েছে তুমি কেন পাও নি ? এই কথা শুনে আপনার ছেলে যদি বলে ওমুকের বাবা তার ঘরে এসি লাগিয়ে দিয়েছে, গাড়িতে করে যাওয়া আসা আমার ঘরে এসি কই, আমি রিক্সাতে করে কেন যাই?
একবার ভাবুন তো কেমন অনুভূতি হবে? তুলনা করাটা একটা ভয়ানক ব্যাপার । বিশেষ করে প্রিয় মানুষের কাছ থেকে যখন এমন তূলনা আসে তখন একজনের মন ভেঙ্গে চুড়ে যায় ।
আর বিদেশ গিয়ে নিজের দেশের নামের বদনাম করা পাব্লিক গুলো হচ্ছে ধোপা ঘাটের কুকুরের মত । এর না হতে পারে পুরপুরি বাঙালী, না হতে পারে পুরোপুরি বিদেশী।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন। ছেলে যদি অন্য ছেলের বাবার সাথে তুলনা শুরু করে তাহলে তো মহা বিপদ অনেক বাবাদের জন্য।
যারা বিদেশে গিয়ে দেশের ব্যাপারে মন্দ কথা বলে তারা আসলে হীনমন্যতায় ভোগে। নিজের গা বাঁচাতে গিয়ে তখন দেশকে disown করে।
১৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: বাচ্চারা ভীষণ অপছন্দ করে, আমি নিজে ও করতাম। আমার কাছে ক্রাইম মনে হয় ।
০৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:০১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের দেশের শিক্ষক এবং অভিভাবকদেরও প্রশিক্ষণের দরকার আছে। গুড প্যারেন্টিং সম্পর্কে আমাদের অনেকেরই পরিষ্কার ধারণা নাই। আগের যুগে ভালো করতে গিয়ে অনেক ব্যাপারে খারাপ করা হয়েছে।
১৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২৯
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: ভাইজান , স্যাটায়ার সবসময় খেদোক্তি প্রকাশের মাধ্যম ! এটা সেই অনেক কাল আগে থেকেই হয়ে এসেছে । আমি ঢাবিয়ানের মতামতের সাথে একমত ! মিরোরডডলের মন্তব্যের সাথেও , ওটা একটা স্যাটায়ার পোস্ট ছিল । আপনি যেভাবে প্রতিক্রিয়া করলেন ব্যাপারটা তেমন না ।
সন্তানকে অবশ্যই তুলনা করা উচিত না অন্য সন্তানের সাথে কিন্তু সন্তান যখন বেয়াড়া হয়ে যায় তখন বাবা মা সারাক্ষণ বলতে থাকে তার সন্তান কেন তার সাথে এমনটা করলো অন্যদের সন্তান তো করে না । আশা করি বুঝতে পেরেছেন !!
১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার লেখাটা বিরক্তিকর ছিল। লন্ডনের সাথে যে বাংলাদেশের তুলনা দেয় তার মাথায় বুদ্ধিশুদ্ধি দরকারের চেয়ে বেশী।
১৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:১৫
খায়রুল আহসান বলেছেন: মায়েরা সাধারণতঃ তাদের দূুর্বলতম বাচ্চাটিকে আঁকড়ে ধরে থাকে, আগলে রাখে। তাকে কেউ আঘাত করতে এলে তারা রণমূর্তি ধারণ করে। শুধু মানুষ কেন, পশুপাখিসহ সকল প্রাণীর মধ্যে এ প্রবণতা বিদ্যমান।
'কিশোয়ার'কে নিয়ে আমরা অবশ্যই গর্বিত।
পোস্টে নবম প্লাস। + +
২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মায়েরা নাকি বাচ্চাদের অল্প বয়সের সময় মায়ের উপর নির্ভরশীলতাকে উপভোগ করে। আর যে বাচ্চাটা দুর্বল থাকে তাকে নিয়ে বেশী চিন্তা বা দুশ্চিন্তা করে। বাচ্চারা অসুস্থ থাকলে মা সেবা শুশ্রূষা করে তৃপ্তি পায়। এটা একটা মনোবিদের লেখা থেকে জেনেছি।
প্লাস দেয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: তামীমরে তার ক্লাসমিটের সাথে তুলনা করলে বলে। আমি তোমার ছেলে না যাও তারে বল গিয়া তোমারে মা ডাকতে।
আমার দেশ আমার প্রাণের দেশ যেখানে আমার জন্ম, কখনো তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা উচিত না আপন দেশকে নিয়ে
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: তামিম কতটা কষ্ট পেলে এই কথা বলে তাহলে বোঝেন।
আমার দেশের হাজারো সমস্যা আছে আমরা জানি। কিন্তু অন্য দেশের সাথে তুলনা করে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা ভালো লাগে না।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লিঙ্কড ইনে মরিয়ম আকতার নামের একজন প্রবাসী নীচের লেখাটা লিখেছেন। পড়ে দেখতে পারেন। না পড়লেও সমস্যা নাই।
কত মানুষকে দেখলাম ২ বছরও হয় নাই বাংলাদেশ ছেড়ে আসছে, অথচ পুরোদমে অষ্ট্রেলিয়ান, ক্যানাডিয়ান সাজতে চায়। দেশের কথা উঠলেই,
‘My God, ওখানে মানুষ থাকে!? আল্লাহ্ বাঁচাইছে জান নিয়ে চলে আসছি।’
একজনকে একবার দেখলাম ৩০ মিনিট কারেন্ট নাই দেখে পোস্ট দিছে, “Oh Allah! ৩০ মিনিট কারেন্ট নাই। লিফট চলে না। বাসার নিচে দাঁড়িয়ে আছি।অথচ সারাজীবন ৮ ঘন্টার লোড-শেডিং এ থাকতো !
এই হচ্ছে দেশ থেকে চলে আসা ভাই-বোনদের অবস্থা। এক লাইন ইংরেজি লিখতে পারে না (আমার মতোই), কিন্তু বিদেশী গ্রুপগুলাতে দেখি দিস্তার পর দিস্তা আতলামি পোস্ট দিয়েই যাচ্ছে।
দেশে থাকলে জীবনেও তাদের এসব হীনমন্য ভাবনাকেন্দ্রিক লেখা কাউকে পড়াইতে অথবা চিন্তা কাউকে শোনাইতে পারত কিনা সন্দেহ (মানের কারণে), আর এখানে এসে শিয়াল বনে রাজা হইছে সবাই (মানের যদিও কোন উন্নতি হয় নাই!)।
এই হইতেছে লাখ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশী, বিশেষত যারা শিক্ষিত, পয়সাওয়ালা; এবং আমেরিকা, ক্যানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলাতে আছে, তাদের অবস্থা(সবাই না)।
এর বাইরে অনেকেই আছে দেশে থাকতে জীবনে কোথাও কোন ভূমিকা রাখে নাই।বিভিন্ন ডিনারে, আড্ডায়, মিটিং এ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বলবে,
“You know people there? uncultured, uncivilized.”
“Are you seriously planning to go to Bangladesh? Don’t go. There are mosquitoes, robbers, heat and dengue!”
যেসব বিদেশীদের এসব কথা বলা হয়,সেই সব বিদেশীরাই এসব মানুষকে পছন্দ করে না নিজের দেশকে সম্মান না করার জন্য।
অথচ তুই ব্যাটা ঠিকই প্রতিবছর দেশে যেয়ে তোর বাপের হাড়-ভাঙ্গা খাটুনির জায়গা-জমি সব বেঁচে এখানে এসে খরচ করে তারপর দেশকে গালিগালাজ করিস!
এত কথা বলছিলাম আসলে অষ্ট্রেলিয়ান মাস্টারশেফ প্রতিযোগি কিশোয়ারের কথা বলার ভূমিকা হিসেবে।
অষ্ট্রেলিয়ায় বেড়ে উঠা মানুষটির কথা যত শুনি, তত শ্রদ্ধা হয়, ভালোবাসা জাগে।
যাদের দেশের জন্য হাহাকার করার কথা ছিল, দেশকে মাথার উপর তুলে নাচার কথা ছিল, যারা বাংলাদেশের স্বাধীন মাটিতে জন্ম নিয়ে ধন্য হবার কথা, তারাই 'ফাকা কলসি বাজে বেশী' স্টাইলে বিদেশী সাজতে চায়, অথচ কিশোয়ারের যেখানে সব সুযোগই ছিল বাংলাদেশকে ভুলে যাবার, অস্বীকার করার, সেখানে তিনি সেই সুযোগকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে হৃদয়ে বাংলাদেশকে আঁকড়ে ধরেছেন।
যেখানে আলু ভর্তাকে ‘স্ম্যাসড পটেটো’ (ম্যাশডও কয় না, স্ম্যাসড কয়), গরু-পরোটাকে ‘বিফ পারাঠা’, রুটিকে ‘দেশী রোঠী’ বলতে বলতে আল-জিহবা শহিদ করে ফেলতেছে কিছু কুলাঙ্গার প্রবাসী বাংলাদেশী,সেখানে কিশোয়ার অষ্ট্রেলিয়ার মাটিতে পৃথিবীর অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি পান্তা ভাত, আলু ভর্তা, মাছ তরকারি, লাউ চিংড়ি, বেগুন ভর্তা, খিচুড়ি, মাছ ভাজা, আমের টক, খাসির রেজালা রান্না করে এবং দেশী নাম ব্যবহার করে স্বমহিমায় প্রতিযোগীতার ফাইনালে উঠে এসেছেন।
ডেজার্টে আমাদের অতি চেনা পান দিয়ে বানিয়েছেন মুখরোচক মিষ্টি খাবার।
ভাবতেই ভালো লাগে অষ্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশীরা কতই না গর্ব করছেন তাঁকে নিয়ে।
আপনি অষ্ট্রেলিয়ার টিভি পর্দায়; হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি, না দুবাইয়ের বুর্জ খলিফায় স্বীকৃতি পান, সেটা আপনার শারীরিক অবস্থান আর ব্যক্তি পরিচয় দিয়ে নির্ধারিত হয় না, নির্ধারিত হয় আপনি দেশকে ভালোবাসেন কিনা, দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেন কি না,সেটা দিয়ে।
দেশের পরিচয় ছাড়া, হাইব্রিড পরিচয় নিয়ে কাউকে কিছু করতে দেখিনি,পেতে দেখিনি,দিতেও দেখিনি।
তাই মাস্টারশেফ কিশোয়ারকে স্যালুট জানাই। ভালোবাসা জানাই।
আপনাকে দেখে লাখো বাঙ্গালী আত্মপরিচয় ফিরে পাক, সেই কামনা করি।