নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা জীববিজ্ঞান সম্মত হিসাবের সাথে মেলে না কেন?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৭

ট্রান্সজেন্ডার হওয়ার পিছনে জীববিজ্ঞান সম্মত কারণ থাকতে পারে আবার পারিপার্শ্বিক পরিবেশের প্রভাবে মানুষ ট্রান্সজেন্ডার হতে পারে। অ্যামেরিকান সাইকোলজিকাল এসোসিয়েশনের মতে There is no single explanation for why some people are transgender. The diversity of transgender expression and experiences argues against any simple or unitary explanation. Many experts believe that biological factors such as genetic influences and prenatal hormone levels, early experiences, and experiences later in adolescence or adulthood may all contribute to the development of transgender identities.

বিজ্ঞানীরা বলছেন জীনগত সমস্যার কারণে প্রতি ২৫০০০ হাজার ছেলে শিশুর ক্ষেত্রে ১ জন হতে পারে XX ক্রোমোজোম বিশিষ্ট। অর্থাৎ নারীর মত ক্রোমোজোম কিন্তু যৌনাঙ্গ এবং শারীরিক গড়ন পুরুষের মত। 46,XX Males
একই ভাবে জীনগত সমস্যার কারণে প্রায় প্রতি ২৫০০০ (২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার) হাজার মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে ১ জন হতে পারে XY ক্রোমোজোম বিশিষ্ট। অর্থাৎ পুরুষের মত ক্রোমোজোম কিন্তু যৌনাঙ্গ এবং শারীরিক গড়ন নারীদের মত। Incidence, Prevalence, Diagnostic Delay, and Clinical Presentation of Female 46,XY Disorders of Sex Development

সেই হিসাবে শারীরবৃত্তিয় কারণে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩,৬০০ (৩৪ কোটি জনসংখ্যা ভাগ ২৫,০০০) জনের মত ট্রান্সজেন্ডার থাকার কথা। কিন্তু বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে যে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রান্সজেন্ডার মানুষ মোট জনসংখ্যার প্রায় ১.৬০%। About 5% of young adults in the U.S. say their gender is different from their sex assigned at birth এই সময়ের তরুণদের ৫% মনে করে তাদের বর্তমান জেন্ডার আর জন্মের সময়ে নির্ণয় করা সেক্স এক নয়। অর্থাৎ প্রায় ৫৪ লাখ ৪০ হাজার অ্যামেরিকান দাবি করছে যে তারা ট্রান্সজেন্ডার। এই হার দিন দিন নাকি বাড়ছে। তার মানে স্বাভাবিক কারণের ৪০০ গুণ বেশী লোক দাবি করছে তারা ট্রান্সজেন্ডার।

আমার ধারণা এই ৪০০ গুণ বেশী ট্রান্স জেন্ডার হওয়ার কারণ হল মুলত তাদের নিজস্ব চিন্তা ভাবনা এবং পরিবেশের প্রভাব। ১৩,৬০০ বাদে বাকি লোকগুলি কেন ট্রান্সজেন্ডার? এতো দেশ থাকতে কেন যুক্তরাষ্ট্রের উপাত্ত ব্যবহার করলাম। কারণ বিভিন্ন জাতির লোকের সমাগম সেখানে এবং উপাত্ত সঠিক হওয়ার সম্ভবনা বেশী।

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৩৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমি কটা গে চিনি এরা অবিকল পুরুষের মতো। একদম বডি বিল্ডার। কিন্তু নারীর প্রতি কোন আকর্ষনই নেই।
আবার বাংলাদেশের জামাত হেফাজত ওরা বিয়েও করে আবার ছেলে শিশু বলৎকার ও সমকামিতায় আসক্ত। এরা কোন জেন্ডার?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পুরুষের নারী প্রতি আকর্ষণ না থাকাটা স্বাভাবিক না।

বলাৎকার যেই করুক সেটা অপরাধ। ধর্ষকরা এগুলি করে।

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪২

জ্যাকেল বলেছেন: আমেরিকায় রথসচাইল্ড, বুশ ফ্যামিলি সহ প্রভাবশালি পরিবার সরাসরি শয়তানের গোলামি করে। এদের শয়তান পুজা করার খবর অনেকেই জানেন। এরাই আধুনিকতার আলখেল্লা পরিয়ে মানুষকে সমকামিতার সবক দিতেছে, জেন্ডার চেইন্জের সবক দিতেছে।
শয়তানের গোলামি করার কারণে এদের হাতে ধন সম্পদের অভাব নেই, সেই সম্পদের লোভে অনেকেই নিজেদের ঈমান সেইল করে দুনিয়াবি ফা্যদা নিতেছে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এদের দেখাদেখি অনেকেই শয়তানের গোলামি করছে। শারীরিক সমস্যা থাকলে সেটা মানা যায়। কিন্তু কোন কারণ ছাড়া একটা ছেলে নিজেকে মেয়ে ভাববে আর আরেকটা ছেলের প্রতি আকৃষ্ট হবে। এটা গ্রহণযোগ্য না। একমাত্র নাস্তিকরা এগুলি মানে। উন্নত বিশ্বের খৃস্টান, ইহুদিরাও এগুলিকে সমর্থন করে না।

এই জমানায় টাকা হল গড অনেকের কাছে।

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এই বিষয়টা নিয়া আমি কোন আলোচনা করতে চাই না। খালি আপনে পোষ্টাইছেন দেইখা একটা লাইক দিয়া গেলাম। আশা করি, মাইন্ড খাইবেন না। তবে পূর্বের কার্যক্রম অনুযায়ী বিজ্ঞানরে যদি ভালো কইরা প্যাদানী দিতেন, তাইলে দুই-চাইরটা কথা কইতাম!!! :P

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: লাইক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমিও এই বিষয়ে কোন কিছুই বলতে চাই নাই প্রথমে। ব্লগে, ইউটিউবে অনেক আলোচনার কারণে এই বিষয়ে একটু জানার চেষ্টা করলাম।

আসলে এই বিষয়ে বিজ্ঞানের জ্ঞান আমার খুব কম। তাই বিজ্ঞান নিয়ে বেশী ঘাটাইলাম না। কিছু মৌলিক তথ্যের উপর ভিত্তি করিয়া বিজ্ঞান আর বাস্তবতার তুলনা দিলাম। যারা বোঝার তারা বুঝবে আশা করি। যুক্তরাষ্ট্রের অনুপাত আমাদের দেশে ব্যবহার করলে এই দেশের তরুণদের প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে ৩ থেকে ৫ জন ট্রান্সজেন্ডার। বড়ই বিপদের কথা। :)

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: @জ্যাকেলঃ আপনি সম্ভবতঃ ফ্রী ম্যাসন কিংবা ইল্যুমিনাতিদের কথা বলতে চাচ্ছেন............এরা কিন্তু লুসিফার বা শয়তানের পূজারী না। রথসচাইল্ড, বুশ ফ্যামিলি সহ প্রভাবশালি পরিবারগুলোর কাহিনী ভিন্ন। লুসিফারের চেলা-চামুন্ডারাও ভিন্ন, আমি যতোদূর জানি আর কি!!! :)

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ফ্রি ম্যাসনের কথা আর ইলুমিনাতির কথা শুনসি। এরা মনে হয় দজ্জালের দলের লোক মনে হয়। :) দজ্জাল বড় না শয়তান বড় এটা নিয়ে একটা সংশয় আছে আমার।

৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:২১

জ্যাকেল বলেছেন: @ভুয়া মফিজ ভাই,

হ- ফ্রি মেসন, ইলুমিনাতির কথা বলিনাই। তবে পশ্চিমে আজাজীল শয়তানের ঘোষিত অনুসারি(ভার্সিটিগুলায় বিশেষত) বহু রকমভাবে বেড়ে গিয়েছে। প্রমাণ চাইলে দিতে আরি।
যেমন Hail Satan
https://www.youtube.com/watch?v=s7RIJHNDVPc

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক মানুষকে শয়তানও সমীহ করে তাদের শয়তানির জন্য।

৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি এই লেখাকে গরুর রচনায় উন্নীত করার কোন প্ল্যান আছে?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এতো সুন্দর একটা পোস্টকে গরুর রচনা বললেন। আফসোস!!!

৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৮

মোহাম্মদ আলী আকন্দ বলেছেন: যুক্তরাষ্ট্রে ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা জীববিজ্ঞান সম্মত হিসাবের সাথে মেলে না কারণ জীববিজ্ঞান এবং লিঙ্গ পরিচয় দুটি ভিন্ন বিষয়। জীববিজ্ঞান বলতে শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলিকে বোঝায়, যেমন যৌন অঙ্গ, ক্রোমোজোম এবং হরমোন। লিঙ্গ পরিচয় বলতে একজন ব্যক্তির নিজের লিঙ্গ সম্পর্কে অনুভূতিকে বোঝায়।

জীববিজ্ঞান অনুসারে, একজন ব্যক্তির লিঙ্গ নির্ধারণ করা হয় তার যৌন অঙ্গ দ্বারা। তবে, জীববিজ্ঞান সবসময় লিঙ্গ পরিচয়ের সাথে মিলে না। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যক্তির জন্মের সময় পুরুষ যৌন অঙ্গ থাকতে পারে, কিন্তু সে নিজেকে নারী হিসেবে পরিচয় দিতে পারে। এই ক্ষেত্রে, সেই ব্যক্তিকে ট্রান্সজেন্ডার বলা হয়।

ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা জীববিজ্ঞান সম্মত হিসাবের সাথে মেলায় না কারণ অনেক ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি তাদের লিঙ্গ পরিচয় গোপন রাখেন। এই কারণে, তারা জনসংখ্যার জরিপে অংশগ্রহণ করেন না। এছাড়াও, অনেক ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি তাদের লিঙ্গ পরিচয় সম্পর্কে সচেতন নন বা তাদের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করতে দ্বিধা বোধ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা সম্পর্কে একটি নির্ভরযোগ্য হিসাব পাওয়া কঠিন। তবে, বিভিন্ন সমীক্ষা অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রে ট্রান্সজেন্ডারদের সংখ্যা প্রায় ১%।

এখানে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা জীববিজ্ঞান সম্মত হিসাবের সাথে মেলায় না তার কিছু কারণ রয়েছে:

১. লিঙ্গ পরিচয় এবং জীববিজ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য:
লিঙ্গ পরিচয় এবং জীববিজ্ঞান দুটি ভিন্ন বিষয়। জীববিজ্ঞান বলতে শারীরিক বৈশিষ্ট্যগুলিকে বোঝায়, যেমন যৌন অঙ্গ, ক্রোমোজোম এবং হরমোন। লিঙ্গ পরিচয় বলতে একজন ব্যক্তির নিজের লিঙ্গ সম্পর্কে অনুভূতিকে বোঝায়।

২. ট্রান্সজেন্ডারদের গোপনীয়তা:
অনেক ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি তাদের লিঙ্গ পরিচয় গোপন রাখেন। এই কারণে, তারা জনসংখ্যার জরিপে অংশগ্রহণ করেন না।

৩. ট্রান্সজেন্ডারদের সচেতনতা এবং প্রকাশ:
অনেক ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি তাদের লিঙ্গ পরিচয় সম্পর্কে সচেতন নন বা তাদের লিঙ্গ পরিচয় প্রকাশ করতে দ্বিধা বোধ করেন।

এই কারণগুলির কারণে, যুক্তরাষ্ট্রে ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা সম্পর্কে একটি নির্ভরযোগ্য হিসাব পাওয়া কঠিন।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বলেছেন ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরা লিঙ্গ পরিচয় গোপন রাখে। এই গোপন রাখা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের তরুণদের ৫% মনে করে তারা ট্রান্সজেন্ডার। আপনার কথা অনুযায়ী ট্রান্সজেন্ডারের হার আরও বেশী। কারণ অনেকে লিঙ্গ পরিচয় গোপন রাখছে। কোন জাতির মধ্যে ৫% বা তার চেয়ে বেশী মানুষ নিজের জেন্ডার পরিবর্তন করতে চায় এটা কোন স্বাভাবিক অবস্থা না। যে ত্রুটির কারণে ট্রান্সজেন্ডার হওয়ার সম্ভবনা থাকে সেটার হার কখনই তো বেশী না।

৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:৩৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

আমেরিকা একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি - মানুষের জেন্ডার ধর্ম ইত্যাদি নিজে ডিসক্লোজড না করা পর্যন্ত কেউ জানতে পারে না, সরকারও পারেনা।

স্কুলে ভর্তি বা চাকরিতে যোগদান বা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে ফর্মে জেন্ডার উল্লেখ করতে তিনটি অপশন থাকে। মেইল ফিমেল আদার। ফর্মে এই অংশটি কম্পালসারি নয়। সে ইচ্ছা করলে উল্লেখ নাও করতে পারে।
আর মেডিকেল রেকর্ড সে নিজে ছাড়া পৃথিবীর কেউ দেখার অধিকার নাই। প্রাপ্তবয়স্ক হলে স্বামী এমনকি পিতাও দেখতে পারে না। রোগী নিজে সম্মতি না দেওয়া পর্যন্ত।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই উপাত্তের জন্য পৃথকভাবে জরীপ হয়। পরিচয় গোপন রেখেই স্যাম্পল উপাত্তের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারেন এই ধরণের জীনেটিক ত্রুটির হার কত হতে পারে।

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৬

বিজন রয় বলেছেন: একটার পর একট ইস্যু সামনে আসে আর আলোচনা চলতে থাকে।

এটাই জীবন, নাকি বলেন!!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরণের ইস্যুতে আলোচনা বেশী জমে। :)

১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: বিষয়টা নিয়ে ব্লগে অনেকেই লিখেছেন।
কিন্তু আমি চাচ্ছি সোনাগাজী কিছু লিখুক।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উনি আপনার পরামর্শে সাড়া দিয়ে এই বিষয়ে কিছু ছাইপাশ লিখেছেন। উনি বলতে চাচ্ছেন যে এই বিশ্ব জগতের বড় জিনিসগুলি আল্লাহ বানিয়েছেন হয়তো আর ছোটগুলি এমনি এমনি হয়েছে প্রাকৃতিক রুপান্তরের মাধ্যমে। আশা করি আপনি ওনার মতকে সমর্থন করবেন অন্ধের মত।

১১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১২

রিদওয়ান খান বলেছেন: সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি এই লেখাকে গরুর রচনায় উন্নীত করার কোন প্ল্যান আছে?

আপনি যেদিন নিজেকে গরু দাবী করবেন সেদিন আমি সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের কাছে একটা গরুর রচনা লিখা রিকোয়েস্ট করবো।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ভাই। ওনার কথাকে বেশী গুরুত্ব দেয়ার দরকার নাই।

১২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: গতকাল এই ইস্যূতে কমেন্ট করে বেশ কয়েক দফা ব্যক্তি আক্রমনের শিকার হয়েছি। ব্লগে আমরা সবাই গাজী সাহেবের ব্যক্তি আক্রমনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি। কিন্ত ভিন্নমত দমনের উদ্দেশ্যে যারা ব্যক্তি আক্রমন করে থাকে , তাদের বিষয়েও কতৃপক্ষের নজরদারী বাড়ানো উচিত। গাজী সাহেবের আক্রমনাত্মক কমেন্ট অনেকটাই শিশুসুলভ। কিন্ত ভিন্নমত দমনের উদ্দেশ্যে যারা ব্যক্তি আক্রমন করে তারা মারাত্মক। এদের কারনে অধিকাংশ ব্লগাররাই অনেক সময়ে বিভিন্ন ইস্যূতে নিরাবতা অবলম্বন করে।

যুক্তরাষ্ট্রে ট্রান্সজেন্ডারের সংখ্যা জীববিজ্ঞান সম্মত হিসাবের সাথে মেলে না কেন প্রশ্নের উত্তর দিতে সুশিলেরা আজ কেন অনুপস্থিত বুঝতে পারছি না। গতকালতো সপ্তম শ্রেনীর পাঠ্য বইয়ে এমন বিতর্কিত কন্টেন্ট এর পক্ষে অবস্থান নিতে দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছিল ব্লগে!!

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেকে সুযোগ পেলে ব্যক্তি আক্রমণ করে। গাজী সাহেবের আক্রমণ শিশুসুলভই বলা যায়। আমাদের অনেকের নিরবতার কারণেই অনেকে ব্যক্তি আক্রমণ করতে উৎসাহিত হয়। যারা কোন যুক্তি খুঁজে পায় না তারা ব্যক্তি আক্রমন করে মুলত।

আমরা স্রোতে গা ভাসাতে পছন্দ করি। পশ্চিমের অনেক বিকৃতিকে বিজ্ঞানের মোড়কে যুক্তিগ্রাহ্য করার চেষ্টা করা হয় অনেক সময়। অনেকে এগুলি বুঝেও বুঝতে চান না। সমকামিতার ভয়াবহতা নিয়ে এই ব্লগে কেউ পোস্ট দিলে দেখা যাবে বহু ব্লগার সমকামিতার পক্ষে বলবে বা ব্যাপারটাকে ব্যক্তি স্বাধীনতা হিসাবে দেখবে অনুমতি দিবে। অনেকে বৈজ্ঞানিক কারণও উপস্থাপনের চেষ্টা করবে।

১৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা ভালো অবজার্ভেশন। আমেরিকাতেও ট্রান্স ইস্যু নিয়ে অনেক আলোচনা এবং বিতর্ক চলমান এবং অনেকেই অন্যায্যভাবে সুবিধা নিচ্ছে এর। সত্যিকারের সমস্যা যাদের তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এতে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যে হারে ট্রান্সজেন্ডার উন্নত বিশ্বে বাড়ছে ব্যাপারটা আর স্বাভাবিক পর্যায়ে নাই। এটার মধ্যে ফাঁকি আছে নিশ্চয়ই। ফলে প্রকৃত ভুক্তভোগী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমেরিকাতেও এটার পক্ষে বা বিপক্ষে বিতর্ক হয়।

১৪| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৪৯

শেরজা তপন বলেছেন: এই বিষয়ে বর্তমানে আমি আউলা ঝাউলা অবস্থানে আছি :(

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হিজড়া আর ট্রান্সজেন্ডার এক জিনিস না। অ্যামেরিকার তরুণ প্রজন্মের ৫% মনে করে তাদের জেন্ডার ঠিক নাই। সেই হিসাবে আপনার বা আমার ১০০ জন
ছেলে বন্ধুর মধ্যে তাহলে ৫ জনের জেন্ডার সমস্যা আছে। :) অর্থাৎ এরা মনে মনে মেয়ে।

১৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৪

করুণাধারা বলেছেন: আমি অবশ্য কখনো হিসাব করতে যাইনি। তবে আপনার পোস্ট পড়ে আমার একটা ঘটনার কথা মনে হল, সেটা লিখছি।

মার্কিন দেশে বসবাসরত আমার এক আত্মীয় তার এক উচ্চ শিক্ষিত বন্ধুর ছেলের ঘটনা বলেছিল। ছেলেটা জিনিয়াস, ১৮ বছর বয়সে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েশন শেষ করেছে । মা-বাবার গর্বের শেষ ছিল না ছেলেকে নিয়ে। এই সময় জিনিয়াস ছেলেটির খেয়াল চাপে, সে মেয়ে হবে। একের পর এক অপারেশন শুরু হয় তাকে মেয়ে করতে। মা-বাবা গভীর বেদনা নিয়ে কেবল দেখেই যাচ্ছে। ছেলের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করার ক্ষমতা তাদের নেই।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখন মনে হচ্ছে এই প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমার ধারণা উন্নত দেশগুলিতে এখন অনেকেই স্রেফ ইচ্ছার কারণে এই ধরণের অপারেশন করছে। ওখানে মনে হয় ইচ্ছাটাই বড় কথা। কারও মনে হল আমার শরীর পরিবর্তন করা দরকার সে সেটা করে ফেলতে পারে। কারণটা খতিয়ে দেখা হয় বলে মনে হয় না। বলা হয়ে থাকে যে তার ব্রেন আর শরীর ভিন্ন ধরণের লিঙ্গকে সমর্থন করছে। মানসিক ইচ্ছাকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ফলে অনেক বিকৃত মানুষও এই ধরণের রুপান্তর প্রক্রিয়া বেছে নিচ্ছে। তা না হলে একটা জাতির ৫% লোক কিভাবে ট্রান্সজেন্ডার হয়। আমাদের দেশেও শোনা যায় যে হিজড়াদের মধ্যে অনেকে আছে যারা আসলে শারীরিক কারণে হিজড়া না। তারা বিকৃত চিন্তার কারণে হিজড়াদের আশ্রয় নিচ্ছে। বেশ কিছুদিন আগে পুলিশের হাতে এই ধরণের কিছু লোক ধরা পড়েছিল।

১৬| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:২১

এম ডি মুসা বলেছেন: কঠিন গবেষণা আমার মাথায় এত বুদ্ধি নেই , জানত পারছি অনেক

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সহজ ভাবে বলা যায় যে একটা জাতির ৫% লোক ট্রান্সজেন্ডার এটা কি আসলে বিশ্বাসযোগ্য কোন কথা। আমার মনে হয় না। আসলে অনেক সুস্থ মানুষ এই দলে ঢুকে যাচ্ছে। আমাদের দেশের হিজড়াদের দলেও এই ধরণের ট্রান্সজেন্ডার ঢুকে যাচ্ছে। হরমোন বা ক্রোমোজোমের ত্রুটির কারণে এতো বেশী লোকের ট্রান্সজেন্ডার হওয়ার কথা না। আমি আমার জীবনে কেবল একটা ছেলেকে দেখেছিলাম যে মেয়েলি আচরণ করে। তার মানে এই ধরণের ত্রুটি খুব বিরল ঘটনা। কিন্তু অ্যামেরিকার উপাত্ত অনুযায়ী সেখানকার তরুণদের ৫% মনে করে তাদের জেন্ডার আর শরীরের অঙ্গের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। এটা কোন সুস্থ জাতির ক্ষেত্রে ঘটতে পারে না।

১৭| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪১

করুণাধারা বলেছেন: ব্লগে কে জানি হিজড়াদের নিয়ে লিখেছিলেন। খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েছিলাম। মনে করতে পারছিনা কে লিখেছিলেন। আপনি কি?

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: না আমি লিখি নাই। আমাদের সরকার চাইলে হিজড়াদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করতে পারে। এটা সম্ভব। হিজড়াদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলানো প্রয়োজন। হিজড়াদের খারাপ আচরণও পরিবর্তন করা প্রয়োজন। অনেক হিজড়া আছে যাদেরকে চিকিৎসা করে ভালো করা সম্ভব। সবার সমস্যা তো জটিল না।

১৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: বর্তমানে মুল ফোকাস থেকে মানুষ দূরে সরে যাচ্ছে। ট্রান্স জেন্ডারের পক্ষে বিপক্ষে অবস্থানের চাইতেও এখন বেশী জরুরী সপ্তম শ্রেনীর বইতে এই স্পর্শকাতর ইস্যূ থাকা উচিত কিনা । গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন লেখা পড়ে যা জানতে পেরেছি তা ভয়াবহ। শরীফ থেকে শরীফা রুপান্তরের গল্প নাকি গতবছরই পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। গতবছরে নাকি ট্রান্স জেন্ডার শব্দটাই বইয়ে ছিল। তখনও প্রতিবাদ হয়েছিল। এই বছর ট্রান্স জেন্ডার শব্দটা বদলিয়ে থার্ড জেন্ডার বা হিজরা হিসেবে উল্ল্যেখ করা হয়েছে!! অর্থাৎ কৌশলের আশ্রয় নেয়া হয়েছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বই এর পাতা ছিড়ে ভাইরাল না হলে কিন্ত এই বিষয়টা অন্ধকারেই পড়ে থাকতো । পাঠ্য বই থেকে এটা না সরালে ট্রান্স জেন্ডারের এই গল্প পড়ে এখন আমাদের দেশেও কচি বাচ্চা ছেলেমেয়েদের অনেকেই নিজেদের মনে মনে ছেলে বা মেয়ে ভাবা শুরু করবে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গত বছরের কথা আমার অল্প মনে আছে। তখন জোরালো প্রতিবাদ ওঠেনি। এইবার বইয়ের পাতা ছেড়ার কারণে সবার নজর পড়েছে। বোঝা যাচ্ছে গত বছরের সমালোচনার কারণে শিক্ষা বিভাগ চালাকি করার চেষ্টা করেছে এই বছর। এই চালাকি থেকেই এদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা করা যায়। এটা চরম অসততা। ট্রান্সজেন্ডার হওয়ার কারণটা মুলত মানসিক একটা ব্যাপার। ক্লাস সেভেনের বইয়ে এগুলি রাখলে ছোট ছেলে মেয়েরা বিপথে যেতে পারে। সরকার যদি সত্যি আন্তরিক হয় তাহলে বাচ্চাদের এগুলি না শিখিয়ে বরং অভিভাবকদের জন্য জনসচেতনতা মুলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারে যেন তারা এই ধরণের শিশুকে ভালো ভাবে ম্যানেজ করতে পারে। কারণ একটা শিশুর মধ্যে হিজড়া বা ট্রান্স হওয়ার প্রবণতা তার বাবা মা সবার আগে জানতে পারে।

১৯| ০৫ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: সমস্যার শেকড় খালি চোখে যতটুকু দেখা যায়, তার চেয়ে আরও অনেক গভীরে।

করুণাধারা বলেছেন: ব্লগে কে জানি হিজড়াদের নিয়ে লিখেছিলেন। খুব আগ্রহ নিয়ে পড়েছিলাম। মনে করতে পারছিনা কে লিখেছিলেন। - ব্লগার নেওয়াজ আলী হিজড়াদের নিয়ে একটা সিরিজ লিখেছিলেন। তবে অন্য আরেকজনও এ নিয়ে লিখেছিলেন, তার নামটা এ মুহূর্তে স্মরণে আসছে না।

১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সরি। উত্তর দিতে দেরী হয়ে গেল।

ট্রান্সজেন্ডার ইস্যুকে অনেকে সমস্যা হিসাবে মানতে নারাজ। এটা হল বড় সমস্যা। হিজড়াদের নিয়ে লেখাগুলি পড়া হয় নাই। খুঁজে পেলে পড়বো। আপনি আশা করি ভালো আছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.