নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামনের নির্বাচনে বিএনপির ক্ষমতায় আসার সম্ভবনা প্রবল। আশংকা হল এরা ক্ষমতায় গিয়ে আওয়ামীলীগের কাছ থেকে টাকা খেয়ে মামলাগুলি তুলে নিবে বা গতি কমিয়ে দেবে। এখনই মামলা নিয়ে বাণিজ্য চলছে পূর্ণ গতিতে। আওয়ামীলীগের যে কোন চাকর বাকরের কাছেও ৪০০ কোটি টাকা আছে। তাই টাকা খরচ করতে তাদের কোন সমস্যা নাই। বিএনপি বা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতার কাছে রাজনীতি হল একটা ব্যবসার মত। বিএনপির লোকেরা ১৫ বছর রাজনীতি করে কোন আয় করতে পারেনি বরং জান বাঁচাতে ব্যয় হয়েছে ব্যাপক। এখন আওয়ামীলীগ টাকা দিতে চাইলে তাদের অনেকেই নিবে এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হবে।
বিএনপি এই ধরণের কাজ করতে পারে। সেই ধরণের সম্ভবনাই বেশী। যদি তা-ই ঘটে সেই ক্ষেত্রে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ ছাত্রদের জীবন নিয়ে পৃথিবীতে বাঁচা কঠিন হয়ে যাবে। নেতাদের গলায় ফাঁসির দড়ি ঝুলবে। আর সাধারণ ছাত্রদের খুন হওয়া বা গুম হওয়া শুরু হয়ে যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসার আগেই যে দাপট দেখানো শুরু করেছে ক্ষমতায় গেলে কী করবে সেটা অনুমান করা যায়। ওনাদের বড় নেতারা এখন ভারত প্রেম প্রদর্শন করার চেষ্টা করছে। অথচ ওনারা বুঝতে পাড়ছে না যে এখন বরং ভারত বিদ্বেষ প্রদর্শন করলে ভোট বাড়বে। ভারত প্রেম দেখালে ভোট কমে যাবে। বাংলাদেশে কিছু আওয়ামীলীগার ছাড়া কোন মানুষ ভারতের আধিপত্য প্রদর্শনের চেষ্টাকে সমর্থন করে না। আমার ধারণা সেনাবাহিনীর ৯৯।৯৯% সদস্য এই আধিপত্য প্রদর্শনকে সমর্থন করে না।
এই সব কারণে জুলাইয়ের গণ আন্দোলনের ছাত্রদের উচিত রাজনৈতিক দল গঠন করা। নইলে সামনে তাদের জন্য কঠিন দিন অপেক্ষা করছে। সময়ের কাজ সময়ে করতে হয়। তখন কিছু করার থাকবে না। এছাড়া এই দেশের অধিকাংশ জনগণ প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলির উপরে অতিষ্ঠ। তারা চায় ভালো মানুষ রাজনীতিতে আসুক। ছাত্ররা জীবন দিয়ে এবং নির্যাতিত হয়ে প্রমাণ করেছে যে তারা সৎ এবং যোগ্য। সম্মিলিত ছাত্র জোট তৈরি করে রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদেরকে পা দিতে হবে। এছাড়া কোন বিকল্প নাই। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সমন্বয়কদের দুই পয়সা দাম তারা দিবে না বরং তাদের জীবন নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যাবে। তখন আওয়ামীলীগ রাস্তায় প্রকাশ্যে আসবে বিএনপির সহায়তায়।
আগের পোস্টে আমি চিন্ময় ব্রহ্মচারীকে নিয়ে সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছিলাম। কিন্তু সরকারের পরবর্তী কয়েক দিনের কর্মকাণ্ডে মনে হচ্ছে সরকার বুঝে শুনে এবং পরিকল্পিতভাবে চিন্ময়কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার পরবর্তী পরিস্থিতি তারা মনে হচ্ছে সামাল দিতে পেড়েছে। ভারতকেও কড়া বার্তা দিয়েছে। গোয়েন্দারা চিন্ময়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছিল এবং আরও বড় কিছু সে করার পরিকল্পনা করছিল সেটা তারা জানতে পেড়েছিল। যে কারণে ঝুকি থাকলেও তারা চিন্ময়কে গ্রেফতার করেছে এবং মনে হচ্ছে পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা পারবে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলেই মনে হচ্ছে। সরকারকে এতো দিন দুর্বল মনে হলেও মনে হচ্ছে চিন্ময়ের ব্যাপারে তারা শক্ত অবস্থানে আছে।
বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ কখনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বিশ্বাস করে না। তাই ভারত এবং আওয়ামী লীগের যৌথ প্রচেষ্টায় দাঙ্গা বাঁধানোর যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল সেটাও ভেস্তে গেছে বা যাবে। আসলে আওয়ামী লীগ বারবার ভুল করছে এবং গত কয়েক মাসে তারা অরাজকতা সৃষ্টির যে প্রচেষ্টাগুলি করেছে সেগুলির কারণে আওয়ামী লীগ নিজেকে আরও ছোট করছে। শেখ হাসিনার উসকানি মুলক ফোন কলের কারণে আওয়ামীলীগ সম্পর্কে মানুষের ধারণা আরও খারাপ হবে এবং শেখ হাসিনার প্রকৃত রূপ মানুষের কাছে প্রকাশ পাবে।
বিঃ দ্রঃ - পোস্টে ছাত্র বলতে ছাত্র এবং ছাত্রী উভয়কেই বুঝানো হচ্ছে।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা ভালো সিদ্ধান্ত। রাজনৈতিক ভিত্তি ছাড়া এদেরকে পরবর্তীতে কেউ পাত্তা দিবে না।
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫
ডার্ক ম্যান বলেছেন: বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা রাজনৈতিক দল গঠন করলে, আপনি যোগ দিয়েন।
চিন্ময় এমন কোন ব্যক্তি ছিলেন না যাকে খুব বেশি মানুষ চিনতো। সরকার তাকে হিরো বানিয়ে দিয়েছে।
২০১৩ সালে মাহমুদুর রহমান ব্লগারদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে হেফাজতকে দিয়ে তান্ডব চালিয়েছিল, সেটা কি ভুলে গেলেন।
দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে ইউনুস সরকার। নির্বাচন না দিয়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার জন্য।
চিন্ময়কে নিয়ে আদালতে বিক্ষোভ হবে এটা সরকার জানতো। যেহেতু আটকের দিন দেশের নানা জায়গায় বিক্ষোভ হয়েছিল।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি যোগ না দিলেও সমর্থক হিসাবে থাকবো। সেই সময় হেফাজত সফল হলে ২০২৪ পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হতো না। ২০১৩ সালের কিছু আগে থেকেই হাসিনা দানব হওয়া শুরু করেছে।
চিন্ময়কে আগে কেউ চিনতো না। কিন্তু চিন্ময়ের পিছনে আপনার দলের লোকেরা এবং ভারতের বিজেপির লোকেরা আছে। কিছু হিন্দু বিভ্রান্ত হয়ে এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে। ইউনুস সরকার দীর্ঘ দিন থাবে না। কারণে তাদের থাকার মেয়াদ নির্ধারণ করে দিয়েছে অ্যামেরিকা। ইউনুস সাহেবের খুঁটি হল অ্যামেরিকা। তাদের নির্দেশনার বাইরে সে কিছু করবে না। ভারত নাক গলানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের আর্মি ভারতকে পছন্দ করে না ( আওয়ামীলীগের আশীর্বাদপুষ্ট কিছু জেনারেল ছাড়া)। আর্মি ক্ষমতায় আসবে না। কারণ অ্যামেরিকার আশীর্বাদ ছাড়া সেটা সম্ভব না। তবে দেশ মুলত আর্মির ইচ্ছাতেই চলছে। কিছু কম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত অবশ্য উপদেষ্টারা দিচ্ছেন। নইলে দেখতে খারাপ লাগে।
পুরো নাটকের ছক অ্যামেরিকা সাজিয়ে রেখেছে। তবে তারা ভবিষ্যতে হাসিনাকে গদিতে বসাবে না। শেখ হাসিনা ভারত সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে কাজ করবে। চাইলে সে দলবল সহ বিজেপি তে যোগ দিতে পারে। সামনে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। অ্যামেরিকা বিএনপিকে চাপ দিচ্ছে সে যেন ভারতের ব্যাপারে নমনীয় থাকে। নইলে অ্যামেরিকার সাথে ভারতের সম্পর্ক খারাপ হবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাদের উপরে চাপ থাকবে আওয়ামী লীগকে যেন রাজনীতির মাঠে আসার সুযোগ দেয়া হয়। তখন থেকেই বিপদ শুরু হবে ছাত্রদের জন্য। কারণ বিএনপি তার কর্মকাণ্ডের জন্য তার পরের বার ক্ষমতায় আসতে পারবে কি না এটা নিয়ে সন্দেহ করা যেতে পারে।
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১০
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে ছাত্রনেতারা প্রায়শই সামনে আসেন। তবে, অনেকেই মনে করেন যে, ক্ষমতাসীনদের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা অনেক রাজনৈতিক দল ক্ষমতা হারানোর পর ইতিহাসের পাতায় ধূলিসাট হয়ে গেছে। এই প্রেক্ষাপটে, সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন।
সারজিস, হাসনাতসহ অন্যান্য আলোচিত ছাত্রনেতারা যদি সাধারণ ছাত্রদের মতো জীবনযাপন না করেন এবং ভিআইপি মনোভাব ধারণ করেন, তাহলে তাদের জনপ্রিয়তা দ্রুত হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের সময় তারা যেভাবে সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে একাত্ম হয়েছিলেন, সেভাবে যদি তারা নিজেদেরকে গড়ে তুলতে না পারেন, তাহলে তাদের নেতৃত্বকে সাধারণ ছাত্ররা আর সমর্থন নাও করতে পারে।
একজন সফল রাজনীতিবিদ হতে হলে জনগণের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা জরুরি। ক্ষমতার অপব্যবহারের পরিবর্তে জনসেবার মনোভাবই একজন রাজনীতিবিদকে জনপ্রিয় করে তোলে। আশা করা যায়, সাম্প্রতিক ছাত্রনেতারা এই বিষয়টি মাথায় রেখে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়বেন এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন ধারা সৃষ্টি করবেন।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এদেরকে সনাতনী ধারার সহিংস আর পেশী শক্তির রাজনীতি বাদ দিয়ে জনগণ ঘেঁষা ভালো রাজনীতি করতে হবে। সারজিস, হাসনাত দামী গাড়িতে চড়ে চলচল করে এটাকে ভিআইপি বলছেন হয়তো। এরা এখন গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক দায়িত্ব পালন করছে। অনেক নির্যাতন সয়েছে এবং এখনও এদের জীবন নিয়ে ঝুকি আছে। তারা বাসে বা রিক্সায় চড়ে যাতায়াত করবে সেটাও ভালো দেখায় না। তবে এরা যেন অবৈধভাবে ব্যক্তিগত সম্পত্তি তৈরি না করে সেটা খেয়াল রাখতে হবে। এদেরকে অবশ্যই জনগণের কাছে থাকতে হবে। নইলে কেউ তাদের উপরে বিশ্বাস রাখবে না।
৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২২
অপু তানভীর বলেছেন: চিন্ময়ের জন্য আওয়ামীলীগের কান্নাকাটি খেয়াল করেছেন তো? সে আওয়ামী দালাল এটা বোঝার কি বাকি আছে? আওয়ামী নিজের বাপের পক্ষেও থাকবে না যদি না সেখানে তাদের স্বার্থ থাকে। এই ব্লগেও দেখবেন কয়েক সুশীল চিন্ময়ের জন্য কান্নাকাটি করে চলেছে । চিন্ময় এখন দেশে ঝামেলা পাকানোর জন্য সবর হয়ে আছে । আওয়ামীলীগ ক্ষমতা হারিয়ে পাগলা কুকুর হয়ে গেছে। এই কুকুর তো আর সরাসরি রাস্তায় নামার সাহস নেই তাই নানান ভাবে নানান ছদ্মবেশ ধারণ করছে । কিছু আবার সুশীল সেজে নলাইনেও বিরাজ করছে ।
চিন্ময়কে গ্রেফতার করা সরকারের সঠিক সিদ্ধান্তই ছিল । এবং সরকারের একান্ত চেষ্টা আর সেই সাথে চট্রগ্রামের মানুষের ধৈর্যের কারণে দাঙ্গা লাগে নি। আওয়ামীলীগ আর ভারত খুব করে চেষ্টা চালাচ্ছিল যাতে এমন কিছু হয় ।
আরেকবার ব্যাপার দেখেন যখন বিশ্বজীৎ কে কুপিয়ে মারা হল কোন কুকুরের বাচ্চা কিন্তু বলে নাই যে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে আর এখানে চিন্ময়ের মত মানুষ যে কিনা শিশু নির্যাতনের অভিযোগে ইসকন থেকে বহিস্কৃত তার জন্য ভারতের আর আওয়ামীলীগের পরান পুড়ে যাচ্ছে ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: চিন্ময় আওয়ামী লীগ আমলে প্রকাশ্যে আওয়ামীলীগের পা চেটেছে। তার চারিত্রিক সমস্যাও আছে। আমি একজন ধার্মিক হিন্দুকে চিন্ময়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। সে চিন্ময়ের মত নেতাকে পছন্দ করে না। ইস্কনকের মতবাদকেও সে হিন্দু ধর্মের মূল নীতির পরিপন্থি মনে করে। ইস্কন আর সাধারণ হিন্দুরা হল মুসলমানদের শিয়া আর সুন্নির দুই দলের মত। যাদের মধ্যে ধর্মীয় গুরুতর মত পার্থক্য আছে। ভারতে ইস্কনের প্রধান কেন্দ্র হলেও ভারতে মূল ধারার হিন্দুদের দাপট বেশী। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ইস্কনকে বিজিপি, 'র' এবং আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করছে।
গত ৪ মাসে হাসিনা এবং তার সাগরেদরা বহু চেষ্টা করেছে দেশের পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করতে। কিন্তু উনি বাংলাদেশের মানুষকে আসলে চিনতে পারেনি। যে কারণে গত জুলাই মাসে ধরা খেয়েছেন। গত ৪ মাসেও কোন সুবিধা করতে পারেননি। পারবেও না। কিছু সুশীল ইনিয়ে বিনিয়ে আফসোস করছে এই ব্লগে এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে। কোন লাভ হবে না। শুধু ভয় হল বিএনপি টাকা খেয়ে আওয়ামী লীগকে জায়গা করে দিতে পারে।
সরকার চিন্ময়ের ব্যাপারে কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করা যায় সাম্প্রদায়িক কোন সমস্যা হবে না। দেশের সাধারণ জনগণের সহযোগিতা এবং সরকারের পদক্ষেপের কারণে এই চালে এই বারও হাসিনা হেরে গেলো। আসলে হাসিনার কোন চাল চলবে না। সে এই ধরণের শয়তানি বন্ধ করে একটু হাল্কা পাতলা কান্না কাটি করে মাফ চাইলে ভালো করতো।
আওয়ামী লীগ আমলে বহু বার হিন্দুদের ঘর, বাড়ি, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর আঘাত এসেছে। হিন্দুদের জমি দখল করেছে আওয়ামী লীগের লোকই বেশী। তখন কোন প্রতিবাদ তারা করেনি। হিন্দুদের বুঝতে হবে যে আওয়ামী লীগ হিন্দুদের উপকার না করে ক্ষতি করেছে সেই অতীত কাল থেকেই। ভারতের বিজেপি বাংলাদেশের হিন্দুদের নিয়ে যা বলে সবই ভোট পাওয়ার জন্য এবং রাজনৈতিক সুবিধা নেয়ার জন্য। বাংলাদেশের হিন্দুদের বুঝতে হবে যে তারা ভারত তাদের কোন উপকারে আসবে না। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ তাদের পাশে যখন আছে তখন তাদের চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। তাদেরকে বুঝতে হবে তাদেরকে রাজনৈতিক গুটি বানানো হচ্ছে। এই ফাঁদে তাদেরকে পা দিলে চলবে না। বাংলাদেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক না।
৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:১০
ডার্ক ম্যান বলেছেন: শেখ হাসিনার কোথাও যোগদানের প্রয়োজন নাই।
আমি কোনো দল করি না।
বাংলাদেশ আর্মির ব্যপারে কিছু কিছু জানি। তবে প্রকাশ্য কিছু বলতে চাচ্ছি না।
আমেরিকার ইতিহাস হচ্ছে অপর দেশকে ধ্বংস করে পালিয়ে যাওয়া।
আওয়ামী লীগ ১০ বছরের মধ্যে ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা বেশি।
কেন জানি মনে হচ্ছে বৈষম্য বিরোধীদের পরিণতি সুখকর হবে না। আমেরিকাও একসময় তাদের সাপোর্ট বন্ধ করে দিবে।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি দল না করলেও আওয়ামীলীগের সমর্থক এটা বোঝা যায়। ছাত্রদের এই আন্দোলনের পক্ষে আপনি না। বাংলাদেশ আর্মির উঁচু পর্যায়ে কিছু সমস্যা এখনও আছে। কিন্তু ৯৯% আর্মি ভারত 'র' এর আগ্রাসনকে অপছন্দ করে। জুনিয়র এবং মধ্য পর্যায়ের কর্মকর্তারা চায় না আর্মির গায়ে কোন রাজনৈতিক ট্যাগ লাগুক। হাসিনার আমলের কিছু উঁচু পর্যায়ের কর্মকর্তার বাড়াবাড়ি রকমের হাসিনা প্রীতিকে সাধারণ অফিসাররা পছন্দ করে না।
অ্যামেরিকার কাছে ভারত অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলেও বাংলাদেশ তেমন কিছু না। ভারতের সাথে সুসম্পর্ক রক্ষার জন্য এবং চীনের কারণে অ্যামেরিকা বাংলাদেশের ব্যাপারে নাক গলাচ্ছে। আমাদের মত ছোট দেশের জন্য অ্যামেরিকা কোন হুমকি না। কারণ অ্যামেরিকার বৃহৎ কোন স্বার্থ বাংলাদেশের সাথে নাই।
১০ বছর পরে হাসিনার অনেক বয়স হয়ে যাবে। তাই হাসিনা আর কোন দিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আবার হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগ ১ মাসও ঐক্যবোধ থাকতে পারবে না। শেখ পরিবার ছাড়া আওয়ামী লীগ বাচবে না। আবার শেখ পরিবারের কোন সদস্য আওয়ামী লীগের হাল ধরলে সাধারণ জনগণের সমর্থন পাবে না। আওয়ামী লীগের রাজনীতির স্টাইলের খোলনলচে পাল্টাতে হবে। বর্তমানের ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগ দিয়ে আওয়ামীলীগ
কোন দিন মানুষের কাছে যেতে পারবে না। সবচেয়ে বড় কথা আওয়ামীলীগের অপরাধীদের বিচার না হলে আবারও ছাত্র আন্দোলন হবে। মানুষ আন্দোলন করা শিখে গেছে। জুলাই আন্দোলনের পরে ছাত্রদেরও ক্ষমতা এবং যোগ্যতাকে আন্ডারএসটিমেট করার কোন সুযোগ নাই। মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে গেছে প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলির উপরে। আওয়ামী লীগকে সরাতে ১ মাস লেগেছে। বিএনপিকে সরাতে ৩ দিনের বেশী লাগবে না। আরও কমও লাগতে পারে।
৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৪
ডার্ক ম্যান বলেছেন: ছাত্ররা যদি দেশের স্বার্থে আন্দোলন করতো তাহলে তাদের পক্ষে থাকতাম। বেশির ভাগ সমন্বয়ক এখন ধান্দাবাজিতে ব্যস্ত।
আওয়ামী লীগকে সরাতে ১ মাস লেগেছে। কারণ শেখ হাসিনার আশে পাশে কিছু মানুষ ম্যানেজ হয়ে গিয়েছিল। তারা সেইফ প্যাসেজ নিয়ে দেশ ছেড়েছেন।
আওয়ামী লীগের এবার শিক্ষা না হলে আর হবে না। চট্টগ্রামে বিএনপির যেসব কর্মীকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা শেল্টার দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই মামলা বাণিজ্যে যুক্ত এখন।
ক্ষমতা যেহেতু চিরস্থায়ী না। বৈষম্য বিরোধীদেরও একসময় কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বড় সংগঠনে কিছু কুলাঙ্গার থাকবেই। এতো ফেরেশতা আপনি পাবেন না।
শেখ হাসিনার ওনার ক্ষমতা সম্পর্কে ভুল ধারনায় ছিলেন। ১৯৯০ সালে এরশাদের পতনের সময়েও আর্মি জনগণের উপরে গুলি করতে রাজী হয় নাই। এটাই স্বাভাবিক। শেখ হাসিনার বোঝা উচিত ছিল যে বন্দুকের শক্তিরও একটা সীমা থাকে। ১৯৭১ সালে ভুট্টো এবং পাকিস্তানের আর্মি ভেবেছিল যে ৩ দিনে সব ঠাণ্ডা করে দিবে। সেই ভুলের কারণে এখনও পাকিস্তান হায় হুতাশ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরও ধারণা করেছিলেন যে আর্মি ওনাকে নিয়ে যাবে আর দেশকে ঠাণ্ডা করে দিবে। এই কারণে তাজউদ্দিন আহমেদকে বলেছিলেন যে 'বাসায় গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও, সোমবার হরতাল ডেকেছি'।
বন্দুক ছাড়া শেখ হাসিনার কোন শক্তি ছিল না। সেটা ব্যর্থ হয় এক পর্যায়ে। আর্মি ওনার সাথে বেঈমানি করে নাই বরং আর্মির হাতে আর কোন রাস্তা খোলা ছিল না। ওনাকে বাঁচাতে গেলে আর্মিতে ক্যু হয়ে যেত। এই সব শেখ হাসিনার মগজে থাকার কথা না। উনি গায়ের জোরের রাজনীতি করেছেন। সেটার ফলও পেয়েছেন।
আপনার কথা অনুযায়ী তার মানে বিএনপি আর আওয়ামী লীগের কিছু নেতার মধ্যে আগে থেকেই সখ্যতা ছিল। আসলে বাংলাদেশের রাজনীতির এটাই বাস্তবতা। তবে আমার মনে হচ্ছে রাজনীতির স্টাইলে পরিবর্তন হবে। আগের মত গায়ের জোরের রাজনীতি কেউ করতে পারবে। এটা নিশ্চিত করার জন্য জনগণের একটা পার্টি দরকার। সেটা তৈরি করতে পারে ছাত্ররা।
আপনি তো মনে হচ্ছে যে হতাশাবাদী মানুষ তাই বলছেন যে ছাত্রদের কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে। কোন পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখেন না। আমি এই পোস্টে এই ধরণের আশংকা করলেও বলেছি যে নতুন দল করলে ফাঁসির রশি এড়াতে পারবে তারা। আমি ছাত্রদের নিয়ে আশাবাদী। তারা জনগণকে নিয়ে সঠিক পথে চললে সমস্যা হবে না। নইলে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ মিলে এদেরকে শায়েস্তা করবে এক সময়। সেটা হউক আমি চাই না। চিন্ময়কে সামলানোর দ্বারা সরকার এবং ছাত্ররা পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছে।
৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩১
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আজ হোক আর কাল হোক , বৈষম্যিরোধি ছাত্র সংগঠন রাজনৈ্তিক দল গঠন করবেই। খুব সম্ভবত তারা অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রীণ সিগনালের অপেক্ষায় আছে। অন্তর্বর্তী সরকারের অন্তত দুই বছর ক্ষমতায় থাকা খুবই প্রয়োজন। আপাতত তারা জনসম্পৃক্ততার কাজ করছে যা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন। টকশোগুলোতে এদের পারফরমেন্স দেখার মত। মানুষ রাজনীতিবিদদের কথায় ও আচরনে স্বচ্ছতা দেখতে চায়, দেশের জন্য ভালবাসা দেখতে চায়। অনেকে টকশোতে দেখলাম এই ছাত্রদের আগুনের গোলা বলা হচ্ছে । যারা নিজেদের জীবন্ত শহীদ ঘোষনা করতে পারে , তাদের উদ্দেশ্যে সকল উপমাই আসলে নগন্য ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এদের টক শো আমি অবশ্য দেখি নাই। দেখতে হবে। এরাই আশা। বাংলাদেশের অপরাজনীতি পরিবর্তনের একটা সুযোগ এসেছে। এই বার করতে না পারলে আর কখনও হবে না।
আশার কথা যে এরা দল তৈরির চেষ্টা করছে। আসলে হাসিনার মত দানবের সাথে যুদ্ধ করতে হলে তাদেরকে রাজনীতিতে জড়াতেই হবে।
যে ধরণের সাহসিকতার পরিচয় এই ছাত্র ছাত্রীরা দেখিয়েছে তা ইতিহাস হয়ে থাকবে।
৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩২
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমার অতীত অভিজ্ঞতার কারণে আশাবাদী না। কখনো দেখা হলে বলবো।
যার শুরু আছে, তার শেষও আছে।
আমি নিজেই আগস্টের ৫ তারিখ সকালেও ভাবতে পারি নাই, ঐ দিন সরকারের পতন ঘটবে।
শেখ হাসিনা প্রশাসন নির্ভর হয়ে পড়ার কারণেই প্রশাসনের পতনের পর আওয়ামী লীগের মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে।
ছাত্ররা দল করলে বিএনপি- জামায়াতের ভোট কাটবে। আওয়ামী ভোট কাটবে না।
বিএনপি- জামায়াত চায় না, ছাত্ররা নতুন দল করে সফল হোক।
আজকে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ থেকে রঙ্গম সিনেমা হল ঘুরে তৌহিদী জনতা মিছিল করেছে। বাংলাদেশে ভবিষ্যতে দাঙ্গা লাগতে পারে এটার লক্ষণ ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা ভোলার জন্য আপনাকে ডঃ ইউনুস সাহেবের মত ডিলিট বাটন চাপতে হবে। অতীতের কারণে ভবিষ্যৎ নষ্ট করা যাবে না। আপনার জন্য এই ব্যাপারে শুভ কামনা রইল। আশা করি সামনা সামনি দেখা হবে একদিন।
আমি ৫ আগস্ট একটু দেরীতে ঘুম থেকে উঠেছিলাম। উঠে দেখলাম যে ইন্টারনেট বন্ধ। তখন আমার মনে আশংকা হল যে আর্মি মনে হয় ছাত্র জনতাকে সাইজ করছে। আরও পরে যখন টিভির নিউজ স্ক্রলে দেখলাম যে সেনাবাহিনী প্রধান জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ দিবেন তখন অন্য রকম ভাবলাম। আমার ধারণা ছিল শেখ হাসিনা আজীবন ক্ষমতায় থাকবে। তার মৃত্যুর পরে ক্ষমতার বদল হবে।
বড় নেতা হতে হলে জনগণের উপর নির্ভর করতে হয়। শেখ হাসিনা সেই চেষ্টাও করেনি। তার শক্তি ছিল ছাত্রলীগ, পুলিশ আর গোয়েন্দা। সে ভেবেছিল ১০% লোককে ভালো রেখে সে বাকি ৯০% লোকের উপরে ছড়ি ঘুরাবে। আর তার শক্তি ছিল দেশের বাইরের লোকেরা। দেশের লোককে সে আপন করতে পারেনি। ওনার বাবা সেনাবাহিনীর উপর আস্থা না রেখে ভারতের 'র' এর দ্বারা গড়া রক্ষীবাহিনীর উপরে নির্ভর করেছেন। রক্ষীবাহিনী আর বাকশাল বঙ্গবন্ধুকে ডুবিয়েছে। তখন ওনার চামচারা বলতো আইনের শাসন না শেখ মুজিবের শাসন চাই।
আওয়ামীলীগ লীগের কিছু বান্ধা ভোট আছে। কিন্তু প্রায় ৪০% ভোট হল ভাসমান। এদের একটা বড় অংশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিবে না। নির্বাচনের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নিজেরই আত্মবিশ্বাস ছিল না গত ১৫ বছরে। যে কারণে তারা নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়নি।
বিএনপি, জামাত চাবে না যে ছাত্ররা সফল হোক। এটা ঠিক। ছাত্ররা দল করে দ্রুত ভালো অবস্থায় চলে যাবে সেটাও হবে না। সময় লাগবে। অপরাজনীতির সংস্কৃতি থেকে ধীরে ধীরে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। ছাত্রদের জন্য বিএনপি বড় সমস্যা হবে না। কারণ বিএনপি ছাত্রদের ক্ষমতাকে সমীহ করবে। বিএনপিতে কোন আদর্শবাদী নেতা নাই। জিয়ার নৈতিকতার ছিটে ফোটা এদের মধ্যে নাই।
বাংলাদেশের তৌহীদি জনতা কোন কাজের না। প্যালেস্টাইন নিয়ে সারা বিশ্বের অমুসলিমরা যে মাত্রায় প্রতিবাদ বিভিন্ন সময় করেছে বাংলাদেশের তৌহিদি জনতার প্রতিবাদ সেই তুলনায় কিছু না। তৌহিদি জনতার মধ্যে দলাদলি অনেক। তার মধ্যে অনেকেই ধান্ধাবাজ। অনেক পীর আছে ধান্ধাবাজ। যেমন চর মোনাই। এরা এক থাকতে পারবে না। একমাত্র জামায়াতে ইসলামী সংগঠিত। কিন্ত তাদের সাথে অন্যান্য হুজুরদের বড় ধর্মীয় মত পার্থক্য আছে। বাংলাদেশে দাঙ্গা হবে না। প্রতি শুক্রবার তৌহিদি জনতা এক হয়ে দুই চক্কর দেয় তারপরে বাসায় চলে যায়। ভারত উসকানি দিচ্ছে। পশ্চিম বঙ্গে আমাদের দূতাবাসের অফিসের সামনে নাকি বিক্ষোভ হয়েছে। এগুলি কিছু না। হাসিনা এই রাস্তায় কিছুই করতে পারবে না। তাকে ভোটের মাধ্যমে বা ক্যুয়ের মাধ্যমে ক্ষমতা পুনরায় আসতে হবে। ক্যু হলে পাল্টা ক্যু হবে।
৯| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৮
আজব লিংকন বলেছেন: বিএনপি বা আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতার কাছে রাজনীতি হল একটা ব্যবসার মত।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা থেকে শুরু করে সাধারণ ছাত্রদের জীবন নিয়ে পৃথিবীতে বাঁচা কঠিন হয়ে যাবে। নেতাদের গলায় ফাঁসির দড়ি ঝুলবে। আর সাধারণ ছাত্রদের খুন হওয়া বা গুম হওয়া শুরু হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের সাধারণ জনগণ কখনও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বিশ্বাস করে না।
চরম সত্য বলেছেন।।
২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।
১০| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১০
জুল ভার্ন বলেছেন: এদেশে কিংকস পার্টির ইতিহাস অত্যন্ত করুন।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই পার্টি তৈরি হতে হবে জনগণের সাহায্য নিয়ে। শাসকদের সাহায্য নিয়ে তৈরি করলে হবে না। ২০২৪ এর জুলাইয়ে এরা নিজের অজান্তেই রাজনীতির মাঠে নেমেছে। এখন যদি বাড়ি ফিরে গিয়ে ঘুমায় সেই ক্ষেত্রে বিরুদ্ধ পক্ষের আক্রমণের শিকারে পরিনত হবে।
১১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২২
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: আপনি ইউটিউবে সক্রিয় থাকলে চলমান রাজনিতি সম্পর্কে বেশি ধারনা পাবেন । নতুন একটা শক্তির উত্থান এখন গনমানুষের চাওয়া। নাহিদের নেতৃত্বেই নতুন দল ঘোষনার জোড় সম্ভাবনা। তবে শুধু ছাত্ররা নয়, বিভিন্ন অভিজ্ঞ পেশাজীবি মানুষের সংমিশ্রন থাকাটাও খুব জরুরী। মোট কথা জুলাই - অগাস্ট বিপ্লবে যারাই সক্রিয় অবদান রেখেছে , তাদের সবার উপস্থিতি প্রয়োজন নতুন দলে। তবে বর্তমানে যেটা জরুরী সেটা হচ্ছে সংস্কার পরবর্তী নির্বাচন , তানাহলে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে না।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছাত্রদের সাথে অবশ্যই অভিজ্ঞ পেশাজীবী এবং সাধারণ জনগণ থাকতে হবে। তবে দলে কাদেরকে নিবে সেই ব্যাপারে খুব সচেতন থাকতে হবে। দালাল ঢুকে গেলে সমস্যায় পড়বে।
এই সরকার দুর্নীতি বা অনিয়ম দূর করতে পারবে বলে মনে হয় না। তার ধারে কাছে সরকারকে এখনও দেখা যাচ্ছে না। দুর্নীতি, ঘুষ ইত্যাদি পূর্ণ মাত্রায় চলছে। আমলাতন্ত্র চালাচ্ছে এখনও শেখ হাসিনার লোকজন। সেনাবাহিনীতে সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। আরও অনেক কিছু বাকি। অর্থ পাচার আর লুটপাট যারা করেছে তাদের বিচার না করতে পারলে সংস্কার হয়েছে এটা বলা যাবে না। যারা হত্যা, গুম, নির্যাতন, ভারতের দালালী করেছে তাদেরকে শাস্তি দিতে হবে। তখন মানুষ বিশ্বাস করবে যে সংস্কার হচ্ছে। কিন্তু এগুলি কতটুকু পারবে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। এই ব্যাপারে সরকারের দৃঢ় সঙ্কল্প প্রয়োজন। কিন্তু সেটা এখনও দৃশ্যমান না। আরও কিছু দিন গেলে বোঝা যাবে।
তবে ভারতের মোটামুটি সব চালই এই সরকার ব্যর্থ করে দিয়েছে। হিন্দু কার্ড ছিল সবচেয়ে ভয়ংকর চাল। আমার ধারণা আমাদের দেশের জনগণের সহায়তায় সরকার সেটাও ভালো ভাবে মোকাবেলা করতে পারবে। ইতিমধ্যেই সাফল্যের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এই সব শয়তানি করে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যত বড় দলই হোক না কেন সঠিক পথে না চললে জনগণ থেকে দূরে সরে যায় বা বিলীন হয়ে যায়। উদাহরণ হল ভারতীয় কংগ্রেস এবং মুসলিমলীগ।
১২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:২৩
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এখন যদি ছাত্ররা সততা আর একতা ধরে রাখতে পারে একদিন ওদের ঠেকানো দায় হবে। ওরাই হবে জাতির কর্ণধার।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমিও ছাত্রদের নিয়ে অনেক আশাবাদী। এটাই শেষ সুযোগ। না হলে সামনে কঠিন বিপদ। তবে ভালো দিক হল ছাত্রদের সাথে এখনও জনগণ আছে। এটা ধরে রাখতে হবে। আপনি যেটা বলেছেন তার জন্য প্রয়োজন সততা আর একতা ধরে রাখা।
১৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬
কামাল১৮ বলেছেন: এই দলটি হবে একটা দানবের দল।সরকারী ছত্র ছায়ায় দানবের দলই হয়।আগে দল করে পরে আন্দোলন করতো।তব সফল হবে না।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সরকারী ছত্রছায়ায় দল হোক এটা কাম্য না। ছাত্রদের জনগণের সাহায্য নিয়ে দল গড়তে হবে। নইলে সেই দল টিকবে না। জুলাইয়ের এই আন্দোলনের কারণে জনগণ একত্রিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। তার আগে জনগণের দল করার মত পরিস্থিতি বা পরিবেশ তৈরি হয়নি। নিপীড়ন যখন চরম মাত্রায় হয়েছে তখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে জনগণ একজোট হয়েছে। জনগণের বড় অংশ প্রচলিত অপরাজনীতিকে সমর্থন করে না। প্রচলিত রাজনীতির খোলনলচে পাল্টাতে হবে। এটা ছাত্ররাই পারবে। জনগণ সাথে আছে।
১৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০৯
রাকু হাসান বলেছেন:
ভালো ,আলোচিত বিষয়ে লিখেছেন । নতুন একটা আলোচনা শুরু করলেন ব্লগে । ধন্যবাদ । তাদের রাজনীতি ছাড়া উপায় নেই । এটাই একমাত্র পথ ,বাস্তবতার বিবেচনায়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর চিন্তাধারায় জনগনের প্রত্যাশা মেটে না । ভারতকে তোয়াজ করে তারা রাজনীতি করে । যা সকল জনসাধারণ পছন্দ করে না । এখানেই সুযোগ । তবে তা যেন কিংস পার্টি না হোক । এবার করলে সবাই পদত্যাগ করুক,তারপর করুক । নয়তো এই নির্বাচনের পর। প্রচলিত দলগুলো কামড়া কামড়ি করবেই । তাই সুযোগ আমিও দেখছি। বাংলাদেশের জন্য রাজনীতি করার জন্য নতুন রাজনৈতিক শক্তি দরকার । দেখা যাক ।
৩০ শে নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ছাত্ররা নিজেদের অজান্তেই রাজনীতির মাঠে চলে এসেছে এই আন্দোলনের কারণে। বিরোধী পক্ষ এখনও হুঙ্কার দিচ্ছে। এই দেশে এখনও আমলাতন্ত্রে এবং অন্যান্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় শেখ হাসিনার লোকজন আছে। বিএনপির কথা শুনে মনে হচ্ছে তারা ভারত এবং আওয়ামীলীগের প্রতি নমনীয়। এটা শুভ লক্ষণ না। তাই ছাত্রদের দল করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
সরকারি পদে থেকে বা সরকারের সাহায্য নিয়ে দল করলে হবে না। জনগণের কাছে ছাত্রদের আবার যেতে হবে। তাদের সমর্থন নিয়ে দল করতে হবে। এটা কঠিন কাজ। তবে এখনও জনগণ তাদের সাথে আছে। বাঙ্গালী আবেগি জাতি, তাই ভুলে যাওয়ার আগেই জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
বিএনপি বা আওয়ামীলীগ জনগণের রাজনীতি আসলে করে না। এরা রাজনীতির নামে ব্যবসা করে। জুলাইয়ের বিপ্লব আসলে শেষ হয়নি। কেবল শুরু। তাই ছাত্রদের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। ৫৩ বছরের অপ রাজনীতিকে হটাতে হলে আরও কয়েক বছর লাগবে। সেই প্রস্তুতি ছাত্রদের থাকতে হবে এবং জনগণের সক্রিয় সমর্থন ছাড়া সেটা কঠিন হবে। তাই পরিস্থিতি অনুকূলে থাকা অবস্থাতেই সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে। আসলে আর্মি বা সিভিল প্রশাসনে তেমন বড় কোন পরিবর্তন হয়নি। এটাই শঙ্কার জায়গা। এই কারণেই বর্তমান সরকার হিমশিম খাচ্ছে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা রাজনৈতিক ঘোষণা করবে ফেব্রুয়ারিতে! নাহিদ কে চাচ্ছে তারা। অন্যদিকে নাগরিক কমিটি তো গঠন হয়েছে ছাত্রদের সমন্বয়ে৷সেখানে সারজিস আলম যোগ দিয়েছেন।