নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোগিণীর মা হওয়ার বাসনা পূরণ করতে ডাক্তার কর্তৃক নিজ বীর্য দান

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০১


পৃথিবীর যে কোন সমাজেই অনেক দম্পতির জন্য সন্তানহীন থাকা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমাদের দেশের মত ধর্মীয় গোঁড়ামির দেশে অনেক সময় সহজ সরল নিঃসন্তান নারীরা সন্তান লাভের আশায় ভণ্ড পীরের কাছে যায়। নারীরা অলৌকিক সাহায্য আশা করে পীরের মাধ্যমে কিন্তু দেখা যায় ভণ্ড পীর অলৌকিক সাহায্য না বরং নিজের জৈবিক শক্তির সাহায্যে বাচ্চা হওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে । আমাদের সমাজে এই ধরণের ঘটনা অনেক সময় শোনা যায়।

উন্নত বিশ্বে পীর ফকির কম। তাই সেখানে এই ধরণের প্রতারণা কম হয় সম্ভবত। তবে সেখানকার অনেক ডাক্তার অনেক সময় বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির সাহায্যে সন্তান কামনা করা দম্পতিদের প্রতারিত করে থাকেন। বেশ কয়েক দশক আগে থেকেই বিজ্ঞানের কল্যাণে সন্তানহীন দম্পতিরা ‘টেস্টটিউব বেবি’ পদ্ধতির মাধ্যমে মাতা বা পিতা হচ্ছেন। এই পদ্ধতির আধুনিক নাম ‘ইন ভাইট্রো ফারটিলাইজেশন’ বা আইভিএফ। পুরুষদের বীর্য সংরক্ষণের জন্য স্পারম ব্যাংক থাকে। এখন ভারতেও স্পারম ব্যাংক আছে। রোগিণীর স্বামী বা পার্টনারের স্পারম থেকে সম্ভব না হলে ঐ দম্পতির অনুমতি সাপেক্ষে স্পারম ব্যাংক থেকে স্পারম নিয়ে টেস্ট টিউব বেবির জন্ম দেয়া হয়ে থাকে। কিন্তু বিপত্তি ঘটে যখন বিনা অনুমতিতে অন্য মানুষের বীর্যের সাহায্যে বাচ্চা জন্ম দেয়া হয়ে থাকে।

বেশ কিছু ঘটনা আছে যেখানে ডাক্তার নিজে রোগিণীকে না জানিয়ে তার নিজের বীর্যের সাহায্যে আইভিএফ পদ্ধতিতে বাচ্চার জন্ম দিয়েছে। এই ধরণের কিছু ঘটনা নীচে দেয়া হল।

কুইন্সি ফরটিয়ার নামের লাস ভেগাসের একজন চিকিৎসক নিজের বীর্যের সাহায্যে তার রোগিণীদের টেস্ট টিউব বেবি উপহার দিতেন। এই ঘটনাগুলি ঘটেছিল ষাটের দশকে এবং রোগী বা তার পার্টনার জানতো না যে ডাক্তার নিজে তার বীর্য দিয়েছেন । একজন বা দুইজন না এইভাবে সে নিজের বীর্য দিয়ে ২৬ টা টেস্টটিউব বেবির জন্ম দিয়েছিলেন। তার জীবন দশায় এগুলি কেউ জানতো না। ২০১৮ সালে একজন মা ডিএনএ টেস্ট করতে গিয়ে প্রকৃত ঘটনা জানতে পারে। এই ঘটনা নিয়ে একটা ডকুমেন্টারি হয়েছে যেটার নাম ‘বেবি গড’। এই ধরণের ঘটনা নিয়ে আরও কয়েকটি ডকুমেন্টারি এবং টিভি সিরিজ আছে।

সেসিল জ্যাকবসন নামের যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একজন ডাক্তার আশির দশকে একই কাজ করেছেন। সে রোগীদেরকে না জানিয়ে নিজের বীর্য দিয়ে ১৫ টি টেস্টটিউব বেবির জন্ম দিয়েছেন। একজন মহিলাকে বলা হয়েছিল যে তার স্বামীর স্পারম ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্ত প্রকৃতপক্ষে স্বামীর বদলে ডাক্তার তার নিজের স্পারম ব্যবহার করেছিল।

ওয়াশিংটন রাজ্যে এই ধরণের একটা ঘটনা প্রকাশ পায় ২০১৮ সালে। এই ক্ষেত্রে বড় হওয়ার পরে টেস্টটিউব বেবি নিজ উদ্যোগে ডিএনএ টেস্ট করে এবং জানতে পারে যে তার বায়লজিকাল বাবা আসলে তার মায়ের ডাক্তার নিজেই। আশির দশকে সেই বাচ্চার জন্ম হয়েছিল। এই ধাপ্পাবাজির জন্য সে ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করে। ডাক্তার তার মা এবং বাবাকে বলেছিল অজানা কারও স্পারম ব্যবহার করা হবে। কিন্তু সম্ভবত খরচ বাঁচিয়ে লাভবান হওয়ার জন্য ডাক্তার সাহেবে নিজের বীর্য ব্যবহার করেছিলেন।

ডোনালড ক্লাইন নামের আরেক ডাক্তার এই ধরণের কাজ করার জন্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছেন। ঘটনা ঘটেছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানাপলিসে ১৯৭৪ থেকে ১৯৮৭ সালের মধ্যে। ৯৪ টা টেস্টটিউব বেবির বাবা ছিলেন এই ডাক্তার। রোগী বা তার পার্টনার সেটা জানতো না। ২০১৪ সালে ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে এই প্রতারণা ধরা পড়ে। এই ঘটনার কারণে ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সর্ব প্রথম এই বিষয়ে আইন আসে। আগে এই ধরণের অপরাধের জন্য কোন আইন ছিল না।

উপরে বর্ণিত এই ধরণের বেশ কিছু ঘটনা ডাক্তাররা ঘটিয়েছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে। বারটন ক্যালডওয়েল নামের এক ডাক্তার এই ভাবে নিজের বীর্যের সাহায্যে ২২ টা টেস্টটিউব বেবির জন্ম দিয়েছেন। মজার ব্যাপার হল এইভাবে জন্ম নেয়া একটা ছেলে এবং একটা মেয়ে পরবর্তীতে ডেটিং করা শুরু করে। তখন এটা নিয়ে অনেক লেখালেখি এবং সমালোচনা হয়। কারণ এই ছেলেমেয়ে দুটির বায়োলজিক্যাল বাবা একই ব্যক্তি অর্থাৎ ডাক্তার সাহেব ।

যুক্তরাষ্ট্রের মেডিক্যাল স্টুডেন্টরা বেশ বুদ্ধিমান। ষাট এবং সত্তুরের দশকে অনেক মেডিকাল স্টুডেন্ট নিজের স্পারম জমা রাখতেন স্পারম ব্যাংকে। ধারণা করা হয় পরবর্তীতে নিজের সাফল্যের প্রয়োজনে এই স্পারম তাদের অনেকে টেস্ট টিউব বেবি জন্ম দিতে ব্যবহার করেছে রোগীর অনুমতি ছাড়া । এই ধরণের ধাপ্পাবাজির জন্য কোন আইন আগে ছিল না। এখনও দুই একটি দেশে আইন আছে। যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র ৭ টি রাজ্যে এই বিষয়ে আইন আছে।

পিনাকী ভট্টাচার্য তার একটা ইউটিউব ভিডিওতে এই বিষয়ে একটা মজার ঘটনা বলেছেন। তার এক ডাক্তার বন্ধু (সে নিজেও ডাক্তার) বা বড় ভাই এই ধরণের ফারটাইলিটি সমস্যার চিকিৎসা করে থাকেন। এক রোগীনিকে সেই ডাক্তার বলেছিলেন যে আপনার স্বামীর বীর্যের দ্বারা আপনার পক্ষে টেস্টটিউব পদ্ধতিতে মা হওয়া সম্ভব না। পরবর্তীতে সেই রোগিণী ভারতে চিকিৎসার জন্য যায় এবং নবজাতক সহ দেশে ফেরে। ফেরার পরে সে ডাক্তারের কাছে গিয়ে বলে যে আপনি বলেছিলেন যে আমার স্বামীর বীর্যে আমি মা হতে পারবো না, কিন্তু দেখুন আমি ভারতে গিয়ে সফল হয়েছি। ডাক্তার সাহেব তাৎক্ষনিকভাবে বিব্রত হলেও তিনি ঐ বাচ্চার ডিএনএ পরীক্ষা করেন নিজ খরচে এবং জানতে পারেন যে ঐ বাচ্চার বাবা ঐ মহিলার স্বামী না।

পিনাকীর সব কথা বিশ্বাস করি না। কিন্তু এই গল্প শুনে না হেসে পারলাম না। আমার ধারণা ভারতে গিয়ে যারা টেস্টটিউব বেবি নিয়ে আসেন তাদের অনেকেই হয়তো এই ধরনের প্রতারণা শিকার। বাংলাদেশেও এখন এই ধরণের চিকিৎসা হচ্ছে। এই বিষয়ে যেন কোন ধাপ্পাবাজি না হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের দেশে প্রয়োজনীয় নজরদারি এবং আইন প্রণয়ন জরুরী।

সূত্র
দা গার্ডিয়ান
দা নিউ ইয়র্ক টাইমস
এন পি আর
metro.co.uk/2022/05/11/our-father-who-is-dr-donald-cline-and-where-is-he-now-16619778/
vtdigger.org/2022/03/28/former-fertility-doctor-takes-stand-admits-using-own-sperm-to-impregnate-woman/
timesofsandiego.com/crime/2020/09/16/san-diego-woman-sues-doctor-for-alleged-artificial-insemination-with-own-sperm/
ছবি - এনবিসি ইউটিউব

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


পীরের বীর্য ও ডক্টরের বীর্যের মধ্যে কি পার্থক্য আছে?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উভয়েই বাটপার। তাই তেমন কোন পার্থক্য থাকার কথা না।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১১

মিরোরডডল বলেছেন:





দেখা যায় ভণ্ড পীর অলৌকিক সাহায্য না বরং নিজের জৈবিক শক্তির সাহায্যে বাচ্চা হওয়ার ব্যবস্থা করে থাকে ।

ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে, এই ভণ্ড পীরদের জীবন্ত কবর দেয়া উচিত।

নারীরা পুলিস রিপোর্ট করে না?


২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ধরণের একাধিক সত্যি ঘটনা আছে। নারীরা মান সম্মানের ভয়ে পুলিশের কাছে যায় না। ধর্মীয় কুসংস্কারও এই ধরণের অপরাধের কারণ।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:১৩

মিরোরডডল বলেছেন:




বেশ কিছু ঘটনা আছে যেখানে ডাক্তার নিজে রোগিণীকে না জানিয়ে তার নিজের বীর্যের সাহায্যে আইভিএফ পদ্ধতিতে বাচ্চার জন্ম দিয়েছে।

কিন্তু এই কাজটা কেনো করে?
স্পার্ম ব্যাংক থেকে কেনো না?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ডাক্তার হয়তো ভাবে যে তারটাই সেরা। তাই এতো ঝামেলা করার কি দরকার হাতের কাছে যা আছে সেটা দিয়েই কাজ চালিয়ে দেয়। স্পারম ব্যাংকে যারা স্পারম দেয় তাদের স্পারমে সমস্যা থাকতে পারে। ডাক্তার জানে যে তারটায় সমস্যা নাই। একদম খাঁটি। রোগীর উপকার করতে গিয়ে এই ধরনের কাজ করে সম্ভবত।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:২০

মিরোরডডল বলেছেন:





ইউজ্যালি স্পার্ম ডোনার এনোনিমাস থাকে।
বাচ্চার প্যারেন্টরা জানে না যে ডোনার কে।
তার স্বাস্থ্যের ইনফরমেশন পাবে কিন্তু ব্যক্তি পরিচয় জানবে না।

সেই ক্ষেত্রে এমন হতে পারে ডক্টর নিজেই একজন ডোনার?

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:০৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই ব্যাপারে অনেক দেশেই আইন নেই। যে ঘটনাগুলি বলা হয়েছে সেই সময় আইন ছিল না। ফলে বিচারে সমস্যা হয়েছে। তবে আইন না থাকলেও এই ধরনের কাজকে অনৈতিক কাজ বলে মনে করা হয়। এখন যুক্তরাজ্যে নাকি নিয়ম আছে যে বাচ্চা ১৮ বছর বয়স হলে ডোনারের পরিচয় জানতে চাইতে পারে। তবে এখনও ডাক্তার না জানিয়ে নিজের স্পারম দিলে সেটাকে আনএথিকাল বলে গণ্য করা হয়। ম্যাল প্র্যাকটিসের মামলা তার বিরুদ্ধে হতে পারে।

আমি এই পোস্টের শেষ অংশে লিখেছি যে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু মেডিক্যাল ছাত্র স্পারম ব্যাংকে নিজের স্পমারম জমা রাখতো এবং ধারণা করা হয়ে তাদের অনেকে এই ধরণের কাজ করেছে। আইনের অভাবের কারণে এই ধরনের জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩৩

মিরোরডডল বলেছেন:




একজন মহিলাকে বলা হয়েছিল যে তার স্বামীর স্পারম ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্ত প্রকৃতপক্ষে স্বামীর বদলে ডাক্তার তার নিজের স্পারম ব্যবহার করেছিল।

একজনের কথা বলে আরেকজনেরটা দেয়া হলে এটা অন্যায়, কিন্তু কারণ জানা গেছে কেনো করেছিলো?

ডাক্তার তার মা এবং বাবাকে বলেছিল অজানা কারও স্পারম ব্যবহার করা হবে। কিন্তু সম্ভবত খরচ বাঁচিয়ে লাভবান হওয়ার জন্য ডাক্তার সাহেবে নিজের বীর্য ব্যবহার করেছিলেন।

নাম না জানিয়ে যদি নিজে ডোনার হয়ে থাকে, সেটা সমস্যা হওয়ার কথা না।
যতদূর জানি এটা ফ্রি সার্ভিস, যিনি ডোনেট করেন, ইন রিটার্ন কিছু পায়না।
তাহলে খরচ বাঁচানোর কথা আসছে কেনো?


২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ডাক্তারের সফলতা ব্যর্থতার প্রশ্ন জড়িত। কোন টেকনিক্যাল কারণে স্বামীরটা দিয়ে করা সম্ভব না এটা ডাক্তার পরে বুঝতে পেড়েছে। তখন ডাক্তার নিজের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য নিজেরটা ব্যবহার করেছে। যেটা অন্যায়। অজানা স্পারম দিয়ে ব্যর্থ হওয়ার ঝুকি আছে তাই নিজেরটা ব্যবহার করেছে। কারণ তারটা আগেই পরীক্ষিত।

ডাক্তার না জানিয়ে নিজে ডোনার হতে পারে না। এটাকে আনএথিকাল কাজ বলে গণ্য করা হয়। আসলে টাকার বিষয় না। টেকনিক্যাল কারণে ডাক্তার যখন দেখেছে যে অজানা স্পারমে সমস্যা হতে পারে কিন্তু নিজের স্পারমের ব্যাপারে সে নিশ্চিত তখন সে নিজের ব্যর্থতার ঝুকি কমানোর জন্য এই কাজ করেছে। আরেকটা কারণ হল যেহেতু ঐ সময় এই বিষয়ে আইনগত অস্পষ্টতা ছিল তাই ডাক্তাররা অবলিলায় এই কাজ করেছে। কারণ অজানা স্পারমের চেয়ে তার নিজেরটার ব্যাপারে সে আত্মবিশ্বাসী ছিল।

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ভোর ৬:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: স্পার্ম যখন রাখা হয় পরীক্ষা করেই রাখা হয়।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পরীক্ষা করে রাখা হলেও ব্যর্থ হতে পারে। সফলতার নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না।

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: এখন উন্নত চিকিৎসা বেড়িয়েছে। নারীর মা হওয়া কোনো ঘটণাই না।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: টেস্ট টিউব বেবির প্রচেষ্টা প্রায়ই ব্যর্থ হয়। বারবার চেষ্টা করার পরেও না হলে একজন নারী মা হতে পারবে কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে অন্যের জরায়ু, অন্যের ডিম্বাণু এবং অপরিচিত লোকের শুক্রাণুর দ্বারা। কয়েকটা বিরল প্রাণী পুরুষের শুক্রাণু ছাড়াও মা হতে পারে।

৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমাদের অফিসে অনেকেই টেস্ট টিউব বেবী নিয়েছেন। কারো জমজ বাচ্চাও হয়েছে। আসলেই কী সন্তানগুলো তাদের বাবার নাকি। অন্য বাবার, জানি না। টেস্ট টিউব বেবী কী ইসলামে জায়েজ আছে ভাইয়া

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপু, টেস্টটিউব বেবির ক্ষেত্রে জমজ হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশী। এমন কি অনেক ক্ষেত্রে এক সাথে ৩/৪ টা বাচ্চা হয়। কারণ এই পদ্ধতিতে একাধিক নিষিক্ত ভ্রূণ মায়ের পেটে দেয়া হয় যেন অন্তত একটা নিষিক্ত ভ্রূণ থেকে বাচ্চা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই বোনাস হিসাবে ২/৩/৪ টা বাচ্চাও হয়ে যায়।

উন্নত দেশের লোকেরা অচেনা ডোনার থেকে স্পারম বা ডিম্বাণু নিতে কোন দ্বিধা করে না। বেশীর ভাগ বাচ্চাই ডোনার থেকে হয় সম্ভবত। আমাদের এই অঞ্চলে রোগীরা ডোনার থেকে সহজে নিতে চায় না। মুসলমানরা তো চাবেই না। কারণ স্বামী বা স্ত্রী ছাড়া অন্য কারও থেকে স্পারম বা ডিম্বাণু নিলে সেটা হারাম হয়ে যাবে। কিন্ত ভারতে অনেক নন মুসলিম দম্পতি অচেনা ডোনারের কাছ থেকে স্পারম বা ডিম্বাণু নিয়ে থাকে। দেশে বিদেশে অনেক সময় ডাক্তাররা বলে যে স্বামীর স্পারম ব্যবহার করা হবে কিন্তু পরে ডোনারের স্পারম ব্যবহার করে এই ধরণের ঘটনা বিরল হলেও বাস্তবে ঘটে থাকে। ডিএনএ টেস্ট ছাড়া বোঝার কোন উপায় নেই। এই পোস্টে আমি ভারতে স্পারম নিয়ে প্রতারণা ঘটেছে এই ধরনের একটা ঘটনা উল্লেখ করেছি। তাই ডাক্তার অসৎ হলে এই ধরনের ঘটনা হতে পারে।

আমার পরিচিত এক মুসলিম দম্পতি ভারতে গিয়ে এই পদ্ধতিতে সন্তানের মাতা পিতা হয়েছেন। তবে অনেকেই বাচ্চা দেখে আড়ালে বলে থাকে যে এই বাচ্চার বাবা অচেনা কেউ হবে।

৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৫

নতুন বলেছেন: IVF যাকে আমরা টেস্ট টিউব বেবী বলি সেই প্রকৃিয়াতে বেশির ভাগই স্বামী, স্ত্রীর সুক্রানু+ডিম্বানুই ব্যবহার করে থাকে।

এখন যদি ডাক্তার ঘাপলা করে থাকে সেটা প্রতারনা।

কিছু মানুষ হয়তো নিরুপায় হয়ে অর্থ, স্বামীর সুক্রানু না থাকা বা ডিম্বানু সুস্থ না থাকার কারনে অন্য কোন ডোনার থেকে নিয়ে থাকে।

যারা চেস্টা করেও সন্তানধারন করতে পারছেন না, তাদের ডাক্তার ডিম্বানু বেড়ে উঠার জন্য পিল এবং ডিম্বানু নিস্বস্রনরর জন্য ইনজেকশন দিয়ে থাকে। তখন বেশির ভাগ নারীই গর্ভধারন করে থাকে। যারা এই প্রকৃয়াতেও সন্তানধারন করতে পারেন না তাদের জন্য IVF এবং সেটা বেশ ব্যায়বহুল।

আমাদের দেশের সন্তানধারনের জন্য আগের দিনে অনেকেই পীর ফকিরের কাছে যেতো এবং সফল হতো। :|

বেশিরভাগ সময়ই এইসব ভন্ডরা নারীর এই অসহায় অবস্থার সুবিধা নিতো তাকে গর্ভধারনের জন্য শারিরিক সম্পর্ক করতো। এবং কিছু নারী রাজীও হতো। ভেবে দেখুন কতটা চাপে পড়লে একজন নারী এই সর্তে রাজী হতো। :|

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: স্পারম ব্যাংক ব্যবহার করে প্রচুর বাচ্চা হচ্ছে। ভারতেও স্পারম ব্যাংক থেকে স্পারম নেয়া হয়। এটা থেকে বোঝা যায় অনেকেই অচেনা লোকের স্পারম ব্যবহার করে।

আমাদের দেশে বাচ্চা না হলে সেই মেয়েকে স্বামী এবং শ্বশুর বাড়ির লোকে বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করে অনেক সময়। অনেক সময় তালাক পর্যন্ত দিয়ে দেয়। যে কারণে অনেক মেয়ে যে কোন পরিস্থিতি মেনে নিতে চায় বা নেয়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই ছেলেদের সমস্যার কারণেও বাচ্চা হয় না। বেশী মেয়ে হলেও একটা ছেলে পাওয়ার জন্য ৬/৭ টা মেয়ের জন্ম দিয়ে পরে ১ টা ছেলে পায় এমন ঘটনাও আছে।

১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



ভেরি ইন্টারেস্টিং!

আপনার লেখার সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং বিষয় হচ্ছে পিনাকী ভট্টাচার্যের উদ্ধৃতি।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়। পিনাকির কথাটা হয়তো মিথ্যা না। ভারত বা বাংলাদেশের ডাক্তারদের মধ্যে প্রতারণার প্রবণতা উন্নত দেশের চেয়ে বেশী হওয়ার সম্ভবনাই বেশী। তাই অনেকে যে বাংলাদেশে বা ভারতে গিয়ে প্রতারিত হচ্ছে না এটা বলা মুশকিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.