![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক মোটা মানুষ আছে যারা হাজার চেষ্টার করেও ওজন কমাতে পাড়ছে না। ওজন কমাতে সকালে কঠিন ব্যায়াম করে ফলে ক্ষুধা লাগে এবং স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশী খেয়ে ফেলে। ব্যায়াম করে যা চর্বি কমিয়েছিল বেশী খাওয়ার কারণে ওজন উল্টা বেড়ে যায়। এই ধরণের কেউ যদি বিষুবীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলে যায় তাহলে পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের তারতম্যের কারণে তার ওজন সামান্য বেড়ে যাবে। আর যদি উত্তর মেরু অঞ্চলের এস্কিমোরা বাংলাদেশে বেড়াতে আসে তাহলে তাদের ওজন সামান্য কমে যাবে। আমরা পৃথিবী পৃষ্ঠে ওজন বলতে বুঝি আমাদের উপর প্রযুক্ত পৃথিবীর অভিকর্ষ বল। মেরু অঞ্চলের চেয়ে বিষুবীয় অঞ্চলে পৃথিবীর অভিকর্ষ বল (g) কম কাজ করে।
ওজন মাপার মেশিনে কারও ওজন (আসলে ভর) যদি ১০০ কেজি দেখায় তাহলে তার ওজন আসলে ৯৮০ নিউটন (নিউটন হল বল মাপার একটা একক)। কারণ ওজন বলতে আমরা অভিকর্ষ বলকে বুঝি। তাই ওজন ১০০ কেজি না বলে বলা উচিত ভর ১০০ কেজি অথবা ওজন ৯৮০ নিউটন। ভরকে পৃথিবী পৃষ্ঠে প্রযোজ্য অভিকর্ষীয় ত্বরণ দ্বারা গুণ করলে অভিকর্ষ বল পাওয়া যায়। গড়ে পৃথিবীর অভিকর্ষীয় ত্বরণ 9.80 m/s² ধরা হলেও মেরু অঞ্চলে এটা 9.83 m/s² আর বিষুব রেখার কাছে 9. 78 m/s² । অর্থাৎ মেরু অঞ্চলে পৃথিবীর অভিকর্ষীয় বল বেশী কাজ করে এবং বিষুবীয় অঞ্চলে কম কাজ করে।
অভিকর্ষ ত্বরণের এই তারতম্যের কারণে হিসাব করে দেখা গেছে যে ২০০ কেজি ওজনের (ভরের আসলে) মেরু অঞ্চলের কোন বস্তু, মানুষ বা প্রাণী বিষুবীয় অঞ্ছলে আসলে তার ওজন দাঁড়াবে ১৯৯ কেজি। কোন ডায়েটিং বা ব্যায়াম ছাড়াই ১ কেজি ওজন কমে যাবে।
একই ভাবে যাদের উচ্চতা কম এবং কোন টেবিলের সামনে দাঁড়ালে শরীরের বেশীর ভাগ অংশ টেবিলের নীচে থাকে তারা যদি চাঁদে বা মঙ্গল গ্রহে যায় তাহলে তাদের উচ্চতা এমনিতেই সামান্য বেড়ে যাবে। দেখা গেছে নভোচারীরা মহাশূন্য থেকে ফেরার পড়ে প্রত্যেকের উচ্চতা প্রায় ২ ইঞ্চি বেড়ে গেছে। কারণ মহাশূন্যে মহাকর্ষ বা অভিকর্ষ নাই বা কমে যায়। কয়েক মাস পড়ে অবশ্য আবার উচ্চতা কমে আগের মত হয়ে যায় ।
এছাড়া মেরু অঞ্চলে অভিকর্ষ বল বেশী থাকার কারণে মেরু অঞ্চলের কেউ বিষুবীয় অঞ্চলে আসলে তার উচ্চতা সামান্য বেড়ে যাবে। আমাদের উপর অধিক অভিকর্ষীয় বল কাজ করলে উচ্চতার উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এই কারণেই কোন কম উচ্চতার মানুষ বাংলাদেশের মত বিষুবীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলে গেলে উচ্চতা আরও কমে যাবে। উচ্চতা কমা ঠেকানোর জন্য বছরের ৬ মাস বাংলাদেশে থাকলে কিছটা ভারসাম্য হবে। এই বিপদ থেকে থেকে বাঁচার আরেকটা উপায় হল অস্ট্রেলিয়া বা অ্যামেরিকা ইত্যাদি মেরুর কাছাকাছি দেশে গিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০ ঘণ্টা অন্তত বিছানায় সোজা হয়ে ঘুমিয়ে থাকা ( না ঘুমিয়ে শুয়ে থাকলেও চলবে)। আমরা যখন বিছানায় শুয়ে থাকি তখন আমাদের উচ্চতার উপরে অভিকর্ষ বল কোন বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে না। দিনের বেলা দাড়িয়ে বা বসে থাকলে উচ্চতার উপরে চাপ পড়ে। ফলে মানুষের উচ্চতা রাতের বেলা বেড়ে যায় আর দিনের বেলা কমে যায়। খুব সামান্য তারতম্য ঘটে ফলে অবশ্য। তবে বেটে লোকদের জন্য এটাও একটা চিন্তার বিষয়।
সারাংশ হল মোটা আর কম উচ্চতার মানুষদের বিষুবীয় অঞ্চলে থাকার চেষ্টা করা উচিত। বিষুবীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলে গেলে ওজন খুব সামান্য বেড়ে যাবে এবং উচ্চতা খুব সামান্য কমে যাবে। তবে ওজন আর উচ্চতা নিয়ে এতো চিন্তা না করাই ভালো। অনেকে বাতাস খেয়ে লম্বা আর মোটা হয় আর অনেকে অনেক কিছু খেয়েও লম্বা আর মোটা হতে পারে না।
সূত্র - Click This Link
https://physics.stackexchange.com/questions/289180/effect-of-gravity-on-height-of-a-person
https://www.livescience.com/33082-would-humans-born-on-mars-grow-taller-than-earthlings-.html
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার কাছেও বেশ মজার মনে হয়েছে। যদিও ওজন এবন উচ্চতার এই পার্থক্য বোঝা কঠিন।
২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাইয়া বিষুবিয় অঞ্চল কই । আমারে ঢিল মাইরা ছুঁইড়া ফালাইয়া দেন । উচ্চতাও কম, ওজনও বেশী কিত্তাম কত চেষ্টা দিন রাত করতাছি , কমে তো কমে মাত্র ৪০ গ্রাম করে । পরের দিন দেখি ৪০ গ্রাম ফিলাপ হয়ে গেছে। রাতে খালি সালাদ খাই। সকালে একটা রুটি সবজি এক কাপ চা, দুপুরে অল্প ভাত। সপ্তাহে দুইটা রোজা আর কিত্তাম । এক ঘন্টা হাঁটি সকালে, রাতে ত্রিশ মিনিট এক্সারসাইজও করি। জীবন দিয়ালাইতামনি
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপু, বিষুব রেখার কাছাকাছি অঞ্চল হল বিষুবীয় অঞ্চল। পৃথিবীর মাঝ বরাবর পূর্ব থেকে পশ্চিমে পৃথিবীর চার দিকে একটা রেখা কল্পনা করা হয় যেটাকে বিষুব রেখা বলে। ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, কেনিয়া, ব্রাজিল, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, রিপাবলিক অব কঙ্গো, উগান্ডা, সোমালিয়া প্রভৃতি দেশ বিষুবীয় অঞ্চলে অবস্থিত।
আপনার জন্য ভালো হবে মহাকাশ যানে কয়েক মাস কাটানো। আপনার উচ্চতা কমপক্ষে ২ ইঞ্চি বেড়ে যাবে। ফিরে আসার প্রতি দিন অন্তত ২০ ঘণ্টা বিছানায় শুয়ে থাকলে উচ্চতা আর কমবে না। তবে উচ্চতা নিয়ে চিন্তা করার কোন দরকার নাই। পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত মানুষের উচ্চতা কম।
আপনার ওজন কমতে না চাইলে কমানোর কোন দরকার নাই। কে কী বলল শোনারও দরকার নাই। যদি কোন ডাক্তার স্বাস্থ্যগত কারণে বলে তবেই শুধু ওজন কমাবেন। আসলে অনেকের ওজন এমনিতেই বাড়ে। এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা বাদ দেন।
আপনার আঞ্চলিক ভাষা বলার স্টাইলটা চমৎকার হয়।
৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: যারা জ্বীন দেখে, জ্বীন নিয়ে লিখেন- তারা কেন বিজ্ঞান নিয়ে লিখবেন???
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিজ্ঞান কিছু দিনের মধ্যেই জীনের অস্তিত্ব খুঁজে পাবে।
৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এত পথ ভ্রমণ করে ১ কেজি ওজন কমিয়ে লাভ কি?
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনেকে তো ১ কেজি কমাতে গিয়ে ৩ কেজি ওজন বাড়ায়। ব্যায়াম করে ফলে বেশী ক্ষুধা লাগে পরিণামে ওজন আরও বাড়ে। তাদের জন্য এই বুদ্ধি দিয়েছি।
৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৭
শাহ আজিজ বলেছেন: বাহ বেশ মজার । ছবিরে রশি দিয়া দুই দিক দিয়া টানা দিলে যদি কিছু হয় ----
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনাকে টানা দিলে রশি ছিঁড়ে যেতে পারে। তবে আমি ওনাকে কিছু পরামর্শ দিয়েছি এই ব্যাপারে।
৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৮
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #আজিজ ভাই টানাটানির দিন শেষ আমরার
আমরা বুড়া মানুষ এখন কেবল সুস্থ থাকতে চাই।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি এখনও বুড়া হন নাই। আপনার নাতি বা নাতনীর যখন বিয়া দিবেন তখন মনে করবেন যে বুড়া হইসেন।
৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:২০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন যে, এত পথ ভ্রমণ করে ১ কেজি ওজন কমিয়ে লাভ কি?
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইহা শুধু মজা করার জন্য বলা।
৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৪:১২
নতুন বলেছেন: তাহলে আমার ভুড়ি বাড়ার পেছনে সম্পর্ন বৈজ্ঞানিক ব্যক্ষা আছে। আমি আসলে ভুল জায়গায় আছি, ঠিক জায়গায় থাকলে ওজনও বাড়তো না আর কেউ ভুড়ি নিয়ে কথাও বলতো না।
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৮:০০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি উগান্ডা বা সোমালিয়ায় চলে যান। ভুঁড়ি কমে যাবে।
৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৪
শায়মা বলেছেন: আমি দেশে থাকলে আমার পরানের চব্য চোষ্য লেহ্য পেয় খেয়ে খেয়ে হাতী হই হই প্রায় আর বৈদেশ(অস্ট্রেলিয়া) গেলে কোনো খানাই মুখে না রুচে রুচে
আচ্ছা বৈদেশ(অস্ট্রেলিয়া) কি বিষুবীয় অঞ্চল!!!
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: দেশী খাবারের প্রতি আমাদের আলাদা একটা টান আছে। যে কারণে আপনার এমন হয়।
অস্ট্রেলিয়া দক্ষিং মেরুর কাছাকাছি অবস্থিত, বিষুবীয় অঞ্চল না। আমরা বিষুব রেখার মোটামুটি কাছাকাছি।
১০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০৮
জটিল ভাই ২.০ বলেছেন:
মজার বিষয়ে আলোকপাত করেছেন প্রিয় ভাই
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার কাছেও ব্যাপারটা মজার লেগেছে। তাই মজা করে একটা পোস্ট দিলাম ভাই।
আপনি কোন জেলায় থাকেন?
১১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বিজ্ঞান কিছু দিনের মধ্যেই জীনের অস্তিত্ব খুঁজে পাবে।
বিজ্ঞান অনেক দূর যাবে। কিন্তু ধর্ম অনেক দূর যাওয়ার কিছু নেই।
হিস্টোরিয়া রোগীকে আপনারা বলেন জ্বীনে ধরেছে।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: জীনে ধরলে অনেক সময় মস্তিষ্কের ভিতরে ঘিলু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জীন আমাদের ব্রেনের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলে।
১২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪০
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: খুব ভালো লাগলো । সমৃদ্ধ হলাম ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১১:৪৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:২০
আহরণ বলেছেন: বেশ মজার তো!! ............. @ ভাইয়া?