নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অভিকর্ষ বলের তারতম্যের কারণে বিষুবীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলে গেলে ওজন সামান্য বেড়ে যাবে এবং মহাশূন্যে বা চাঁদে গেলে উচ্চতা বেড়ে যাবে (বিজ্ঞানসম্মত ফান পোস্ট :))

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:৩৪

অনেক মোটা মানুষ আছে যারা হাজার চেষ্টার করেও ওজন কমাতে পাড়ছে না। ওজন কমাতে সকালে কঠিন ব্যায়াম করে ফলে ক্ষুধা লাগে এবং স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে বেশী খেয়ে ফেলে। ব্যায়াম করে যা চর্বি কমিয়েছিল বেশী খাওয়ার কারণে ওজন উল্টা বেড়ে যায়। এই ধরণের কেউ যদি বিষুবীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলে যায় তাহলে পৃথিবীর অভিকর্ষ বলের তারতম্যের কারণে তার ওজন সামান্য বেড়ে যাবে। আর যদি উত্তর মেরু অঞ্চলের এস্কিমোরা বাংলাদেশে বেড়াতে আসে তাহলে তাদের ওজন সামান্য কমে যাবে। আমরা পৃথিবী পৃষ্ঠে ওজন বলতে বুঝি আমাদের উপর প্রযুক্ত পৃথিবীর অভিকর্ষ বল। মেরু অঞ্চলের চেয়ে বিষুবীয় অঞ্চলে পৃথিবীর অভিকর্ষ বল (g) কম কাজ করে।

ওজন মাপার মেশিনে কারও ওজন (আসলে ভর) যদি ১০০ কেজি দেখায় তাহলে তার ওজন আসলে ৯৮০ নিউটন (নিউটন হল বল মাপার একটা একক)। কারণ ওজন বলতে আমরা অভিকর্ষ বলকে বুঝি। তাই ওজন ১০০ কেজি না বলে বলা উচিত ভর ১০০ কেজি অথবা ওজন ৯৮০ নিউটন। ভরকে পৃথিবী পৃষ্ঠে প্রযোজ্য অভিকর্ষীয় ত্বরণ দ্বারা গুণ করলে অভিকর্ষ বল পাওয়া যায়। গড়ে পৃথিবীর অভিকর্ষীয় ত্বরণ 9.80 m/s² ধরা হলেও মেরু অঞ্চলে এটা 9.83 m/s² আর বিষুব রেখার কাছে 9. 78 m/s² । অর্থাৎ মেরু অঞ্চলে পৃথিবীর অভিকর্ষীয় বল বেশী কাজ করে এবং বিষুবীয় অঞ্চলে কম কাজ করে।

অভিকর্ষ ত্বরণের এই তারতম্যের কারণে হিসাব করে দেখা গেছে যে ২০০ কেজি ওজনের (ভরের আসলে) মেরু অঞ্চলের কোন বস্তু, মানুষ বা প্রাণী বিষুবীয় অঞ্ছলে আসলে তার ওজন দাঁড়াবে ১৯৯ কেজি। কোন ডায়েটিং বা ব্যায়াম ছাড়াই ১ কেজি ওজন কমে যাবে।

একই ভাবে যাদের উচ্চতা কম এবং কোন টেবিলের সামনে দাঁড়ালে শরীরের বেশীর ভাগ অংশ টেবিলের নীচে থাকে তারা যদি চাঁদে বা মঙ্গল গ্রহে যায় তাহলে তাদের উচ্চতা এমনিতেই সামান্য বেড়ে যাবে। দেখা গেছে নভোচারীরা মহাশূন্য থেকে ফেরার পড়ে প্রত্যেকের উচ্চতা প্রায় ২ ইঞ্চি বেড়ে গেছে। কারণ মহাশূন্যে মহাকর্ষ বা অভিকর্ষ নাই বা কমে যায়। কয়েক মাস পড়ে অবশ্য আবার উচ্চতা কমে আগের মত হয়ে যায় ।

এছাড়া মেরু অঞ্চলে অভিকর্ষ বল বেশী থাকার কারণে মেরু অঞ্চলের কেউ বিষুবীয় অঞ্চলে আসলে তার উচ্চতা সামান্য বেড়ে যাবে। আমাদের উপর অধিক অভিকর্ষীয় বল কাজ করলে উচ্চতার উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এই কারণেই কোন কম উচ্চতার মানুষ বাংলাদেশের মত বিষুবীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলে গেলে উচ্চতা আরও কমে যাবে। উচ্চতা কমা ঠেকানোর জন্য বছরের ৬ মাস বাংলাদেশে থাকলে কিছটা ভারসাম্য হবে। এই বিপদ থেকে থেকে বাঁচার আরেকটা উপায় হল অস্ট্রেলিয়া বা অ্যামেরিকা ইত্যাদি মেরুর কাছাকাছি দেশে গিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ২০ ঘণ্টা অন্তত বিছানায় সোজা হয়ে ঘুমিয়ে থাকা ( না ঘুমিয়ে শুয়ে থাকলেও চলবে)। আমরা যখন বিছানায় শুয়ে থাকি তখন আমাদের উচ্চতার উপরে অভিকর্ষ বল কোন বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে না। দিনের বেলা দাড়িয়ে বা বসে থাকলে উচ্চতার উপরে চাপ পড়ে। ফলে মানুষের উচ্চতা রাতের বেলা বেড়ে যায় আর দিনের বেলা কমে যায়। খুব সামান্য তারতম্য ঘটে ফলে অবশ্য। তবে বেটে লোকদের জন্য এটাও একটা চিন্তার বিষয়।

সারাংশ হল মোটা আর কম উচ্চতার মানুষদের বিষুবীয় অঞ্চলে থাকার চেষ্টা করা উচিত। বিষুবীয় অঞ্চল থেকে মেরু অঞ্চলে গেলে ওজন খুব সামান্য বেড়ে যাবে এবং উচ্চতা খুব সামান্য কমে যাবে। তবে ওজন আর উচ্চতা নিয়ে এতো চিন্তা না করাই ভালো। অনেকে বাতাস খেয়ে লম্বা আর মোটা হয় আর অনেকে অনেক কিছু খেয়েও লম্বা আর মোটা হতে পারে না।

সূত্র - Click This Link
https://physics.stackexchange.com/questions/289180/effect-of-gravity-on-height-of-a-person
https://www.livescience.com/33082-would-humans-born-on-mars-grow-taller-than-earthlings-.html

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৯:২০

আহরণ বলেছেন: বেশ মজার তো!! ............. @ ভাইয়া?

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:১৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: ভাইয়া বিষুবিয় অঞ্চল কই । আমারে ঢিল মাইরা ছুঁইড়া ফালাইয়া দেন । উচ্চতাও কম, ওজনও বেশী কিত্তাম :( কত চেষ্টা দিন রাত করতাছি , কমে তো কমে মাত্র ৪০ গ্রাম করে । পরের দিন দেখি ৪০ গ্রাম ফিলাপ হয়ে গেছে। রাতে খালি সালাদ খাই। সকালে একটা রুটি সবজি এক কাপ চা, দুপুরে অল্প ভাত। সপ্তাহে দুইটা রোজা আর কিত্তাম । এক ঘন্টা হাঁটি সকালে, রাতে ত্রিশ মিনিট এক্সারসাইজও করি। জীবন দিয়ালাইতামনি :||

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: যারা জ্বীন দেখে, জ্বীন নিয়ে লিখেন- তারা কেন বিজ্ঞান নিয়ে লিখবেন???

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এত পথ ভ্রমণ করে ১ কেজি ওজন কমিয়ে লাভ কি?

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৭

শাহ আজিজ বলেছেন: বাহ বেশ মজার । ছবিরে রশি দিয়া দুই দিক দিয়া টানা দিলে যদি কিছু হয় ---- :-B

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৮

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: #আজিজ ভাই টানাটানির দিন শেষ আমরার
আমরা বুড়া মানুষ এখন কেবল সুস্থ থাকতে চাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.