![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শেখ হাসিনা যদি পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসে তাহলে এই ঘটনা হবে একটা অলৌকিক ঘটনা। শেখ হাসিনার ক্ষমতা ফিরে পাওয়া বলতে গেলে একটা অসম্ভব ব্যাপার। জাতিসংঘের রিপোর্ট প্রকাশ থেকে বোঝা যায় যে আন্তর্জাতিক মহল তাকে স্থায়ী ভাবে মাইনাস করেছে। তাহলে সেই ক্ষেত্রে সামনের দিনগুলিতে আওয়ামীলীগ দলটা কি সফলভাবে রাজনীতি চালিয়ে যেতে পারবে?
শেখ পরিবার ছাড়া এই দলের ঐক্য ধরে রাখা কঠিন হবে। আবার শেখ পরিবার হাল ধরলে সাধারণ জনগণ তাদের গ্রহণ করবে না। শেখ হাসিনা ভারত থেকে ভিডিও কল করে কি দলকে উজ্জীবিত করতে পারবে? আসলে পারবে না। শেখ হাসিনা ভাবছে যে আমলা এবং পুলিশের বড় অংশ তাদের সাথে আছে। কিন্তু এখানে শেখ হাসিনা হিসাবে ভুল করেছে। সামরিক এবং বেসামরিক আমলাদের চোখ উল্টাতে বেশী সময় লাগে না। এই আমলা এবং পুলিশই আগামী সরকারের কথা মত উঠবে আর বসবে।
একটা দল টিকতে হলে সাংগঠনিক বন্ধন লাগে। আওয়ামীলীগের সেটা আছে। কিন্তু আরেকটা জিনিস লাগে, সেটা হল আদর্শ। আওয়ামীলীগ মনে করে তাদের আদর্শ আছে। কিন্তু তারা যেটাকে আদর্শ বলে সেটা হল আসলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেবতার পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার চর্চা এবং মুক্তিযুদ্ধকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ব্যবহার। ১৯৭৫ সালের দিলে তারা বলতো আইনের শাসন না শেখ মুজিবুরের শাসন চাই। তারা তাদের শাসন প্রক্রিয়াকে মুজিববাদ নামকরণ করেছিল। অথচ শেখ সাহেব প্রচণ্ড রকমের ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত নিজের জীবন পর্যন্ত হারান। তিনি শুধু ব্যর্থই ছিলেন না, তার প্রশ্রয়েই আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, রক্ষীবাহিনী ইত্যাদি দল এবং বাহিনী দেশে খুন এবং অরাজকতা তৈরি করেছিল। উনি জানতেন যে তার দলের লোক এগুলি করছে অথচ সেই আওয়ামীলীগ দল ছাড়া তিনি বাকি সব দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। উনি নিজের দলের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেননি কখনও। তাজউদ্দীনের মত ত্যাগী নেতাকে উনি ক্ষমতাহীন করেছিলেন। যে তাজউদ্দীন না থাকলে মুক্তিযুদ্ধ কোন পথে যেত ভাবা যায় না।
গত সাড়ে ১৫ বছরে আওয়ামীলীগের আদর্শ কী ছিল? তাদের আদর্শ ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর শেখ সাহেবকে বিক্রি করে রাজনীতি করা। এটা হল বাহ্যিক দিক। আর প্রকৃতপক্ষে তারা নিমজ্জিত ছিল অসংখ্য খুন, গুম, পাশবিক নির্যাতন, দুর্নীতি, লুটপাটে, যার মাত্রা ছিল পূর্বের যে কোন সরকারের চেয়ে বহু গুণ বেশী। সমাজের ১০% লোককে খুশি রেখে বাকি ৯০% লোককে বঞ্চিত করেছে। ক্ষমতার বিনিময়ে ভারতের কাছে দেশ বিক্রি করে দিয়েছে তারা। এই আদর্শ নিয়ে একটা দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন কাজ। তাদের দলের তরুণ প্রজন্ম মাথায় হেলমেট, হাতে হাতুড়ি, শটগান আর পিস্তল নিয়ে পুলিশের পাশে দাড়িয়ে ছাত্র-জনতার উপরে নির্যাতন চালিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। দিনে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের গায়ে হাত তুলেছে। এই আদর্শ দিয়ে এই দল কিভাবে আগাবে।
তাহলে ভবিষ্যৎ কি এই দলের? শেখ হাসিনা বাংলাদেশে সশরীরে রাজনীতি করতে না পারার কারণে দল চালানো কঠিন হবে। শেখ হাসিনা যত দিন জীবিত আছেন ততদিন উনি দলের দায়িত্ব অন্য কাউকে দিবেন বলে মনে হয় না। ওনার মৃত্যুর পরে দলের হাল ধরার মত কেউ থাকবে না। দলের মধ্যে তখন ফাটল ধরার সম্ভবনা বেশী। আওয়ামীলীগের আদর্শবান নেতাদের অনেক আগেই হাসিনা দূরে ঠেলে দিয়েছেন। তাই এই দলের ভবিষ্যৎ ভালো মনে হচ্ছে না।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২৮
শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু বলেছেন: কিছুদিন ধরে সোহেল তাজ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসার চেষ্টা চালাচ্ছেন। সম্প্রতি ফাঁস হওয়া কিছু হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনে দেখা গেছে, সাইদ খোকনসহ বেশ কয়েকজন নেতা শেখ হাসিনাকে সরিয়ে ক্লিন ইমেজের কাউকে দলের প্রধান করার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৭:০৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আওয়ামী লীগ দশ টুকরা হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:১১
কলাবাগান১ বলেছেন: জামাতি বয়ান