নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

হজরত মুসা (আঃ) থাপ্পড় মেরে আজরাইলের (আঃ) এক চোখ কানা করে দিয়েছিলেন

০৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:১৯

হজরত মুসা (আঃ) অত্যধিক বলশালী একজন মানুষ ছিলেন। ওনার শরীরের শক্তি সম্পর্কে কোরআনে উল্লেখ আছে। সুরা আল কাসাসের ২৮ নং আয়াতে আছে;
নারীদ্বয়ের একজন বলল, হে আমার পিতা! আপনি একে মজুর নিযুক্ত করুন, কারণ আপনার মজুর হিসেবে উত্তম হবে সে ব্যক্তি, যে শক্তিশালী, বিশ্বস্ত।
এই আয়াতে হজরত শোয়াইবের (আঃ) দুই মেয়ের মধ্যে একজনের কথা বলা হয়েছে, যিনি বলেছেন যে, হজরত মুসা (আঃ) শক্তিশালী ছিলেন।

হজরত আজরাইল (আঃ) ওরফে মালাকুল মউত মানুষের বেশে হজরত মুসার (আঃ) কাছে গিয়েছিলেন তাঁর জান কবচের জন্য। তখন হজরত মুসা (আঃ) হজরত আজরাইলের (সাঃ) গালে এতো জোরে থাপ্পড় দেন যে আজরাইলের (সাঃ) একটা চোখ কানা হয়ে যায়। আজরাইল (আঃ) তখন আল্লাহর কাছে ফিরে যান এবং আল্লাহকে বলেন যে আপনি আমাকে এমন এক বান্দার নিকট পাঠিয়েছেন, যিনি মরতে চান না। আল্লাহতায়ালা তখন আজরাইলের (আঃ) চোখ ভালো করে দেন এবং বলেন যে তুমি আবার ওনার কাছে যাও এবং ওনাকে বল যে, আপনি কতদিন বাঁচতে চান? তারপরে তুমি একটি ষাঁড়ের দেহে হাত রেখে বলবে, এর মধ্যে যত লোম আছে ততদিন আপনার হায়াত বৃদ্ধি করা হবে। আল্লাহর নির্দেশে আজরাইল (আঃ) হজরত মুসার (আঃ) কাছে গিয়ে তাই করলেন। মুসা (আঃ) আজরাইলকে (আঃ) বললেন, তারপরে কী হবে? তিনি বললেন, আপনি মৃত্যুবরণ করবেন। তখন মূসা বললেন, তাহলে এখুনি হউক। (সূত্র - বুখারী হা/৩৪০৭; মুসলিম হা/২৩৭২; মিশকাত হা/৫৭১। তবে ঘটনাটা এই হাদিসের আলোকে নিজের মত করে বর্ণনা করেছি)

হজরত মুসার (আঃ) ঘুষি খেয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছিল। একদম শিশুকালে হজরত মুসা (আঃ) ফেরাউনকে চড় মেরেছিলেন কিংবা কোন কিছু দিয়ে আঘাত করেছিলেন। ফেরাউন ভীষণ ক্ষেপে গিয়েছিলেন শিশু মুসার (আঃ) উপরে। আসলে হজরত মুসা (আঃ) এর জীবনটা অনেক বেশী ঘটনাবহুল চাঞ্চল্যকর ছিল। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তাঁর জীবনে অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। মাত্র ৩ জন পয়গম্বরের সাথে আল্লাহ সরাসরি কথা বলেছেন। তারা হলেন রসুলে করিম হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ), হজরত আদম আঃ এবং হজরত মুসা (আঃ)। কিন্তু একমাত্র হজরত মুসা (আঃ) পৃথিবীতে অবস্থান করে আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন। যে কারণে ওনার উপাধি হল 'কলিমুল্লাহ'। 'কলিমুল্লাহ' অর্থ হল যিনি আল্লাহর সাথে কথা বলেন। পবিত্র কোরআনে সকল নবী এবং রসূলের মধ্যে হজরত মুসা (আঃ) এবং তাঁর কউম বনি ইসরাইল সম্পর্কে সবচেয়ে বেশী আয়াত আছে। কোরআনে ১৩৬ বার হজরত মুসার (আঃ) নাম এসেছে। চেষ্টা করবো পরবর্তী কোন পোস্টে/ পোস্ট সমুহে হজরত মুসার (আঃ) জীবনের এই সব ঘটনা নিয়ে লিখতে।

হজরত মুসা (আঃ) আজরাইলকে থাপ্পড় দিয়ে কানা করে দিয়েছিলেন। তাই বলে এই ঘটনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের উচিত হবে না মৃত্যুকালে আজরাইলের (আঃ) সাথে তর্ক বা মারামারির চেষ্টা করা। কারণ হজরত মুসা আল্লাহর প্রিয় নবী ছিলেন। আমরা সাধারণ মানুষ মাত্র।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৩৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হজরত মুসা (আঃ) আজরাইলকে থাপ্পড় দিয়ে কানা করে দিয়েছিলেন। তাই বলে এই ঘটনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের উচিত হবে না মৃত্যুকালে আজরাইলের (আঃ) সাথে তর্ক বা মারামারির চেষ্টা করা। কারণ হজরত মুসা আল্লাহর প্রিয় নবী ছিলেন। আমরা সাধারণ মানুষ মাত্র।

মজা লন নাকি বুঝলাম না। আজরাইলের (আঃ) সাথে তর্ক বা মারামারির চেষ্টা করা আমাদের পক্ষে যে সম্ভব না, সেইটা আপনে নিজেই শেষের লাইনে কইলেন। তাইলে এই প্রসঙ্গের অবতারণা করার মানে কি? যাইহোক, এই পোষ্টরে রঙ্গ হিসাবে লইয়া একটা লাইক দিলাম। ;)

বাই দ্য ওয়ে, শায়মার মারা যাওয়ার ব্যাপারে তীব্র আপত্তি আছে। পোষ্টটা কি শায়মার জন্য কোন সতর্কবার্তা? :P

০৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৪৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই যুগে অনেকেই জীবনটাকে অ্যাডভেঞ্চারের মত মনে করে। তাই শেষ প্যারায় একটু সতর্ক বার্তা দিলাম। নইলে আজরাইল (আঃ) ফেরেশতার সাথে মারামারি কইরা কেউ মারা গেলে সবাই আমারে দোষ দিবো। :)

আজরাইল (আঃ) শায়মা মণির সামনে আসলে শায়মা মণি খাটের তলে পলাইতে পারে। :) ঘুষি বা থাপ্পড় দেয়ার মত সাহস ওনার হবে না। তবে উনি আজরাইল (আঃ) ফেরেশতাকে মধুর কণ্ঠে ভাইয়ু কইয়া ডাকলে ফেরেশতা কয়েকদিন টাইম বাড়াইয়া দিবার পারে। :)

২| ০৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৩৪

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: হজরত মুসা (আঃ) আজরাইলকে থাপ্পড় দিয়ে কানা করে দিয়েছিলেন। তাই বলে এই ঘটনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের উচিত হবে না মৃত্যুকালে আজরাইলের (আঃ) সাথে তর্ক বা মারামারির চেষ্টা করা। কারণ হজরত মুসা আল্লাহর প্রিয় নবী ছিলেন। আমরা সাধারণ মানুষ মাত্র।

সাধারণ মানুষ হতো এমনিতে নাজেহাল তর্ক করার মতো ইমানদারি কয়জনের!

০৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তাছাড়া হজরত মুসার (আঃ) মত হাতে জোরও বা কয়জনের আছে। :) অনেক রেওয়াতে এসেছে যে ১০ জন বা ৩০ জন পুরুষের সমান গায়ের শক্তি ওনার ছিল।

৩| ০৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:২৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ফেরেশতাদের মানবিক গুণাবলী বোঝার ক্ষমতা আছে কিনা, বা থাকলেও কতোটুকু আছে (বিশেষ করে নারীদের ব্যাপারে) সেই সম্পর্কে আমার কোন ধারনা নাই। শায়মার মধুর কন্ঠের ''ভাইয়ু'' শুনে অনেককেই বিভ্রান্ত হইতে দেখছি, কারন কন্ঠে মধু ঢেলে সে অনেক সময়ে আছিলা বাশ দেয়।

কাজেই টাইম আদৌ বাড়ানোর কোন সম্ভাবনা আছে কিনা সেই বিষয়ে আমি কিঞ্চিৎ সন্দিহান!!! এখন একটাই আশা, ''রাজকন্যা'' হিসাবে যদি কোন বিশেষ সুবিধা আদায় করতে পারে!!!!:-B

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:৩০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আসলে ফেরেশতারা একান্ত বাধ্যগত সৃষ্টি। তাদের প্রতি যে দায়িত্ব দেয়া আছে সেটাই তারা করে। বিপরীত কিছু করার ক্ষমতা বা স্বাধীনতা তাদের নাই।

শায়মা আপুর ভাইয়ু ডাক শুনলে আজরাইল (আঃ) ফেরেশতা মুচকি হাসতে পারে হয়তো। :) কাজের কাজ কিছুই হবে না। তবে রাজকন্যা কোটায় হয়তো কিছু সুবিধা পাবে। :)

৪| ০৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:৫১

মেহবুবা বলেছেন: আজরাইলের সাথে মারামারি ! নাম শুনলেই ভয় হয় যে যাবার প্রস্তুতি নিতে পারলাম কই! তবে জান কবচ করতে সে আসবেই এ কথা মনে রেখে যদি গোছগাছ ঠিকমত করতে পারি সেটাই চাই।

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা হজরত আজরাইলকে (আঃ) কোন কিছু শিক্ষা দেয়ার জন্য আল্লাহ মানুষের বেশে পাঠিয়েছিলেন। অনেক রেয়াতে এসেছে যে বিনা অনুমতিতে ঘরে প্রবেশের জন্য থাপ্পড় খেয়েছিলেন। আবার অনেক রেয়াতে এসেছে যে নবীদের কাছে আজরাইল (আঃ) এসে আগে অনুমতি চান। হজরত মুসার (আঃ) ক্ষেত্রে অনুমতি চাওয়ার আগেই মনে হয় থাপ্পড় খেয়েছিলেন।

সহি হাদিসে এসেছে যে ভালো মানুষের জান কবচ হয় খুব সহজে এবং রুহকে সম্মানের সাথে নিয়ে যাওয়া হয়। আর খারাপ মানুষের জান কবচ হয় অনেক কষ্ট দিয়ে এবং অসম্মানের সাথে নিয়ে যাওয়া হয়। সহি হাদিসে এসেছে, মৃত্যুর সময় নিজের রুহের ঊর্ধ্ব গমনকে ঐ ব্যক্তি নিজের চোখ দিয়ে দেখতে পায় এবং চোখ রুহের উপরে উঠে যাওয়াকে অনুসরণ করে।

যতই মশকরা করি না কেন আজরাইল (আঃ) ফেরেশতার সাথে সবারই সাক্ষাত হবে। তাই এখন থেকেই আমাদের সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: আজরাইলকি মানুষ যে তার দুইটা চোখ।

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১:০৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মুসা (আঃ) এর ক্ষেত্রে আজরাইলকে (আঃ) মানুষের বেশে পাঠানো হয়েছিল (মনে হয় থাপ্পড় খাওয়ানোর জন্য)। হজরত জিবরাইলও (আঃ) একবার মানুষের বেশে রসূলের (সা) কাছে এসেছিলেন এবং তাকে কিছু প্রশ্ন করেছিলেন। তখন সাহাবীরাও তাকে দেখেছিলেন। তবে হজরত জিবরাঈলের (আঃ) ৬০০ পাখা আছে। এছাড়া হারুত এবং মারুত নামের দুই ফেরেশতাকে আল্লাহ ব্যাবিলন শহরে পাঠিয়েছিলেন মানুষকে যাদু শিখানোর জন্য। যদিও শিখানোর উদ্দেশ্য ছিল তারা যেন বুঝতে পারে যে নবীদের মোজেজা আর যাদু দুইটা ভিন্ন জিনিস। একটা জায়েজ আর আরেকটা না জায়েজ। কিন্তু মানুষ যাদু শিখে পরিবারে অশান্তি তৈরি করতে লাগলো। এখন যেমন বদ জীনের সাহায্যে স্বামী বশ বা স্ত্রী বশ করা হয়, যাদু টোনা, বান মারা হয়। হজরত লুতের কওমের কাছে মানুষের বেশে ফেরেশতা পাঠানো হয়েছিল। জীনেরাও যে কোন প্রাণী বা মানুষের আকৃতি নিতে পারে। তবে সাধারণত জীনেরা সাপ, কুকুর ইত্যাদির আকৃতি নেয়। জীন এবং ফেরেশতাদের এই ক্ষমতা আছে।

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১:১৫

মিরোরডডল বলেছেন:




সাচু এসব কি লিখছে!!!
এই পোষ্ট যদি মহাজাগতিক চিন্তাবিদ দিতো, তাহলে ঠিক ছিলো।
কারণ উনি এমন কিছু লেখেন যা ধর্মকে হালকা করে দেয়। যে মানুষ সামান্য ধর্ম জানেন, সেও ধর্মকর্ম ভুলে যাবে ওনার লেখা পড়ে। উনি প্রয়োজনে হাদিসের নামে দুইলাইন স্বরচিত লিখে দেন।

তাই বলে সাচু!!!


০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৫৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এটা তো সত্যি ঘটনা। :) সহি বুখারি, সহি মুসলিম এবং মিশকাতের হাদিসে এই ঘটনার উল্লেখ আছে। ফেরেশতা তো মিথ্যা কিছু না। ফেরেশতাদের মানুষের বেশে পৃথিবীতে আসার একাধিক ঘটনা কোরআনে আছে (থাপ্পড় খাওয়ার ঘটনা নাই অবশ্য)। যেমন;
১। ব্যাবিলন শহরের ফেরেশতা হারুত এবং মারুত সম্পর্কে ( আল কুরআন, ২: ১০২) - আর তারা অনুসরণ করেছে, যা শয়তানরা সুলাইমানের রাজত্বে পাঠ করত। আর সুলাইমান কুফরী করেনি; বরং শয়তানরা কুফরী করেছে। তারা মানুষকে যাদু শেখাত এবং (তারা অনুসরণ করেছে) যা নাযিল করা হয়েছিল বাবেলের দুই ফেরেশতা হারুত ও মারুতের উপর। আর তারা কাউকে শেখাত না যে পর্যন্ত না বলত যে, ‘আমরা তো পরীক্ষা, সুতরাং তোমরা কুফরী করো না। এরপরও তারা এদের কাছ থেকে শিখত, যার মাধ্যমে তারা পুরুষ ও তার স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটাত। অথচ তারা তার মাধ্যমে কারো কোন ক্ষতি করতে পারত না আল্লাহর অনুমতি ছাড়া। আর তারা শিখত যা তাদের ক্ষতি করত, তাদের উপকার করত না এবং তারা অবশ্যই জানত যে, যে ব্যক্তি তা ক্রয় করবে, আখিরাতে তার কোন অংশ থাকবে না। আর তা নিশ্চিতরূপে কতই-না মন্দ, যার বিনিময়ে তারা নিজেদেরকে বিক্রয় করেছে। যদি তারা জানত!

২। হজরত লুতের কাছে প্রেরিত ফেরেশতা সম্পর্কে আয়াত - ‘হে লূত! আমরা আপনার প্রভুর প্রেরিত ফেরেশতা। ওরা কখনোই আপনার নিকটে পৌঁছতে পারবে না’ ( সুরা হূদ ১১/৮১)।

৩। বদর যুদ্ধে ফেরেশতা প্রেরণ সম্পর্কে আয়াত - ‘স্মরণ করো, তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কাছে কাতর প্রার্থনা করেছিলে, তিনি তা গ্রহণ করেছিলেন (এবং বলেছিলেন), আমি তোমাকে সাহায্য করব এক সহস্র ফেরেশতা দিয়ে, যারা একের পর এক আসবে।’ (সুরা আনফাল, আয়াত: ৯)
৪। জীনেরা কোরআন তেলাওয়াত শুনেছিল - ‘বলো, আমি প্রত্যাদেশের মাধ্যমে জেনেছি যে জিনদের একটি দল কোরআন শুনেছে এবং তাদের সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে বলেছে, আমরা তো এক বিস্ময়কর কোরআন শুনেছি, যা সঠিক পথনির্দেশ দেয়। তাই আমরা এতে বিশ্বাস করেছি। আমরা কখনো আমাদের প্রতিপালকের সঙ্গে কাউকে শরিক করব না।’ ( সুরা জীন - আয়াত: ১-২)
৫। হজরত মরিয়মের (আঃ) কাছে মানুষ বেশে ফেরেশতার আগমন - ‘আমি তার কাছে আমার রুহকে (জিবরাঈল) প্রেরণ করলাম, সে তার কাছে পূর্ণ মানবাকৃতিতে আত্মপ্রকাশ করল। মারিয়াম বলল, যদি তুমি আল্লাহকে ভয় করো, তবে আমি তোমার কাছ থেকে দয়াময়ের কাছে আশ্রয় চাইছি।’ (সুরা : মারিয়াম, আয়াত : ১৭-১৮)
৬। হজরত ইব্রাহিমের (আঃ) স্ত্রী হজরত সারার কাছে ফেরেশতার আগমন - ‘তার স্ত্রী দাঁড়িয়ে ছিল। সে হেসে ফেলল। অতঃপর আমি তাকে ইসহাকের এবং ইসহাকের পরবর্তী ইয়াকুবের সুসংবাদ দিলাম। সে বলল, কী আশ্চর্য! আমি সন্তান জন্ম দেব, আমি বৃদ্ধা আর এই আমার স্বামী বৃদ্ধ! এটি অবশ্যই এক অদ্ভুত ব্যাপার। তারা (ফেরেশতারা) বলল, ‘আল্লাহর কাজে তুমি বিস্ময় বোধ করছ? হে পরিবারবর্গ! তোমাদের ওপর রয়েছে আল্লাহর অনুগ্রহ ও কল্যাণ। তিনি তো প্রশংসা ও সম্মানের অধিকারী।’ (সুরা : হুদ, আয়াত : ৭১-৭৩)

এছাড়া কিছু সহি হাদিসে আরও কিছু ঘটনার বর্ণনা আছে যেখানে ফেরেশতা মানুষের বেশে পৃথিবীতে এসেছিল।

জীন সত্যি এবং ফেরেশতাও সত্যি। জীন এবং ফেরেশতা উভয়েই যে কোন প্রাণীর আকৃতি গ্রহণ করতে পারে।

সহি হাদিস বিশ্বাস করতে হবে। নইলে ঈমান থাকবে না।

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ২:১১

মিরোরডডল বলেছেন:




লেখক বলেছেন: একাধিক ঘটনা কোরআনে আছে (থাপ্পড় খাওয়ার ঘটনা নাই অবশ্য)।

অথচ সাচু এই নিয়ে পোষ্ট দিয়ে দিলো :)


০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ২:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সহি হাদিস ছাড়া ইসলাম পালন করতে পারবে না। নামাজ, রোজা, হজ্জ, জাকাত সহ কোন এবাদতই হাদিসের নির্দেশনা ছাড়া করা সম্ভব না। রসূলের (সা) আদেশ, নিষেধ মানার কথা কোরআনে আছে। এগুলি আমরা হাদিসের মাধ্যমে পাই।

ঈদুল ফিতরের কথা কোরআনে কোথায় আছে? না থাকলে কেন মানি? ইসলামের প্রথম কিবলার কথা কোরআনে কোথায় আছে? রসূলকে (সা) কে বলেছিল বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে ফিরে সালাত আদায় করতে? কোরআনে কোথায় আছে? না থাকলে কেন রসূল সেটা পালন করতেন?

কোরআনে যখন বলা হয় যে ফেরেশতা মানুষের বেশে এসেছিল তখন বিশ্বাস করি। কিন্তু হাদিসে থাকলে কেন বিশ্বাস করবো না। কোরআনে অনেক কথা আছে যেটা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে সঠিক না বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু কোরআন সত্যি এবং রসূলের (সা) কথাও সত্যি। অনেক অলৌকিক কথা কোরআনে যেমন আছে, হাদিসেও আছে। কোরআন হল সংবিধানের মত। যার বিস্তারিত প্রয়োগ হয় হাদিসের নির্দেশনার মাধ্যমে। সহি হাদিস প্রমাণিত। আমি যে ঘটনার কথা বলেছি সেটা বুখারি, মুসলিম এবং মিশকাতে সহি হিসাবে আছে।

৮| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:০২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

মুসা আপনার পোস্ট পড়লে বলবে, এসব লেখার দরকার ছিলো না।

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি দরকারি লেখা লিখি না।

৯| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৬:১৫

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: অথচ এই মহাপরাক্রমশালী নবীও বনী ইজরাঈলের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে সম্পর্ক কর্তন করে নিয়েছিলেন। আমাদের নামাজ ৫০ ওয়াক্ত থেকে ৫ এ নামানোর ব্যপারেও তাঁর পুর্ব অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। আল্লাহ্‌ পাক আমাদেরকে সীরাতুল মুস্তাক্বিমের উপর রাখুন, যেন জান্নাতে এই মহামানবদের সাথে দেখা করে উনাদের নিজ মুখে উনাদের পার্সপেক্টিভ শুনতে পারি। আমীন।

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার মন্তব্যের সাথে একমত। হজরত মুসার (সাঃ) জীবন অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ভরপুর। ওনার কওম বনি ইসরাইল অত্যন্ত অবাধ্য ছিল। তারপরও হজরত মুসা (আঃ) চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। অনেক মোজেজা প্রদর্শন করেছেন। মেরাজের রাতে হজরত মুসার (আঃ) পরামর্শে ৫০ ওয়াক্তের বদলে ৫ ওয়াক্ত নামাজের বিধান আসে। হজরত মুসা (আঃ) তার অভিজ্ঞতার আলোকে বুঝতে পেড়েছিলেন যে শেষ জমানার মানুষ ৫০ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে সক্ষম হবে না।

আপনার মন্তব্যের সাথে মিল রেখে বলছি আল্লাহ পাক আমাদের সিরাতুল মুস্তাকিমের উপরে রাখুন, যেন জান্নাতে এই মহামানবের সাথে দেখা করে উনাদের নিজ মুখে ওনাদের পার্সপেকটিভঁ শুনতে পারি। আমিন। ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৬:৫৯

শায়মা বলেছেন: আমি খাটের তলে পলাইতি না!!! X((

তোমরা আমার আজরাইল ভাইয়ুকে কিন্তু আমার পিছে উসকায় দিচ্ছো।

অবশ্য কুনোই লাভ নাই যতই চাপাচাপি করো......


আচ্ছা আগে বাসায় ফিরি তারপর। এই রোজা রমজানেও স্কুল খোলা তার উপরে প্যারেন্টস মিটিং.....

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৪২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার রাজপুত্র ভাইয়া (ভুয়া মফিজ ভাই) বলেছে যে আপনি 'রাজকন্যা' কোটার সুবিধা পেতে পারেন হজরত আজরাইলের (আঃ) কাছে। :)

১১| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:১৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


ফেরেশতারা মানুষ না।
তারা আলোর তৈরী।
আলোর তৈরী ফেরেশতাকে চড় মেরে চোখ কানা কৈরা দিলেন মুসা নবী।
এটা খুবই ভালো একটি কাজ করেছেন।

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হজরত আজরাইলকে (আঃ) আল্লাহ মানুষের বেশে পাঠিয়েছিলেন যে কারণে থাপ্পড় খেয়ে এক চোখ কানা হয়ে গিয়েছিল। ফেরেশতা দেখে সে জানে বেঁচে গেছে। নইলে মুসার (আঃ) ঘুষি খেয়ে একজন মারা পর্যন্ত গিয়েছিলো, যে কারণে হজরত মুসা (আঃ) দেশান্তরী হতে বাধ্য হন।

১২| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: বড়ই মজাদার পোষ্ট। দারুন বিনোদন। এরকম ফানি পোষ্ট আরো দেবেন। বিনোদনের দরকার আছে।

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ধর্ম নিয়ে সবাই কঠিন কঠিন পোস্ট দেয়, তাই আমি একটু হাল্কা ধরণের ধর্মীয় পোস্ট দিলাম।

১৩| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৩৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: মরার আগে আজরাইল কি তর্ক বা মারামারি করার সময় দিব? /:) যাই হোক ধর্মরে এমন বিনোদনমুলকভাবে উপস্থাপন না করার অনুরোধ রইল।

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আজরাইল (আঃ) কাউকে সময় বা সুযোগ দেবেন না।

বিনোদন মুলক বললেও এই পোস্টের মূল বিষয় কিন্তু সত্যি। আপনার হয়ত বিশ্বাস হচ্ছে না। :) মিরোরডডলেরও বিশ্বাস হয়নি। :)

১৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:১২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



পাখিদের থাকে মাত্র ২ খানা ডানা।
আর আমাদের জিব্রাইলের ছিল ৬০০ খানা ডানা।
তাহলে কি পরিমাণ বেগে তিনি উড়তেন।
ভাবা যায় ?

১৫| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে সাচু সাচু'র দিকে একটু নজর দেন। অপেক্ষায় আছি!!!! B-)

১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৩৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ঠিক আছে। :)

১৬| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:২৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট কি অপসারন করা হয়েছিল? মন্তব্য করলে সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘরে দেখায় না কেন? :(

১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্যাপারটা আমার কাছেও রহস্যজনক। :)

১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি তীর্থের কাকের মত আপনার লেখার অপেক্ষায় থাকি। :) মাঝে মাঝে ভিজিট করি। বর্তমানে আরেকজনের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার জন্য তীর্থের কাকের মত অপেক্ষা করছি। সেটা হল আমাদের শায়মা মণি বলেছিল সে নাকি তার লেখা বই আমার ঠিকানায় পাঠাবে। গত প্রায় ১ মাস হল আমি ঘরের কলিং বেল বাজলেই লাফ দিয়ে গিয়ে দরজা খুলি সবার আগে। এই বুঝি বই নিয়ে ডেলিভারি ম্যান বা উওম্যান আসলো। আসলে শায়মা মণি বলেনি যে এই বই মেলায় দিবে নাকি পরের বই মেলায় দিবে। আসলে সবুরে মেওয়া ফলে। :)

মিররমণি আমার এই পোস্টের গল্প বিশ্বাসই করলো না। খুব কষ্ট পেয়েছি। :) এতো বিশ্বাসযোগ্য করে লিখলাম, কিন্তু কোন কাজ হল না। :)

১৭| ১৫ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কই.......সাড়াশব্দ নাই। সাচু সাচু চেক করছেন?

লেখা দিবো, টাইম পাচ্ছি না। তবে আগে যেগুলি লিখছি, সেগুলোতেও তো আপনের কোন ফুটপ্রিন্ট নাই!!!! X(

২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সাচু সাচু আপনার আগের পোস্টেও মন্তব্য করেছে। :) খুজলে পাবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.