নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিন্তাশীল মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি

সাড়ে চুয়াত্তর

আমার লেখার মাঝে আমার পরিচয় পাবেন

সাড়ে চুয়াত্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলনকে ধর্ষণ বলা হবে, না প্রতারণা বলা হবে?

২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৪১

আমাদের দেশে এবং ভারতের আইনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলনকে ধর্ষণ হিসাবে গণ্য করা হয়। পৃথিবীর অন্য কোন দেশে এই ধরণের বিধান আছে বলে আমার মনে হয় না। আমাদের দেশের আইনে এই বিধান আগে থেকেই ছিল তবে কয়েকদিন আগে এই ধরণের ধর্ষণের বিচারের জন্য আলাদা ধারা তৈরি করা হয়েছে। আগে থেকেই আমাদের দেশে ধর্ষণের সংজ্ঞার মধ্যে ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলন’ ছিল। আগে পৃথক ধারা ছিল না, এখন পৃথক ধারা সৃষ্টি করা হয়েছে। এতে নাকি মামলার জট কমবে।

আসলে এই ধরণের অপরাধকে ধর্ষণ বলা ঠিক না। বরং বলা উচিত প্রতারণা। পৃথিবীর কোথাও এই ধরণের প্রতারনাকে ধর্ষণ বলা হয় না। আমাদের দেশে নারী নির্যাতন সংক্রান্ত কিছু আইনের চরম অপব্যবহার হয়। দেখা যায় জমি নিয়ে বিবাদ, কিন্তু নারী নির্যাতনের মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। আরেকটা ব্যাপার হল নারী নির্যাতনের অনেক মামলা জামিন যোগ্য না। ফলে এই আইনের অনেক অপব্যবহার হয়। ‘বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে যৌন মিলন’ সংক্রান্ত মামলাগুলিও বিবাদির জন্য অবিচার। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পুরুষকে বিপদে ফেলার জন্য অনেক নারী এই ধরণের অপবাদ দিচ্ছে এবং সেই পুরুষ একজন ধর্ষক হিসাবে গণ্য হচ্ছে। কোন পুরুষ যদি বিবাহের প্রলোভন দেখিও থাকে, সেটা একান্তে গোপনে ঘটে থাকে। আমাদের সমাজে কাউকে সাক্ষী রেখে কোন পুরুষ আরেকজন নারীকে বলে না যে আমি তোমাকে কিছু দিনের মধ্যে বিয়ে করবো আসো এখন আমরা এক সাথে ঘুমাই। আর এই ব্যাপারে আমাদের সাক্ষী হল আমার বন্ধু জনাব দবির। আমি বলতে চাচ্ছি যে এই ধরণের মামলার ক্ষেত্রে মেয়েই একমাত্র সাক্ষী। সে মিথ্যা কথা বলে ভোলাভালা পুরুষদের বিপদে ফেলতে পারে।

আরেকটা ব্যাপার হল কোন নারী যদি বিয়ের আশ্বাস দিয়ে এক সাথে ঘুমায় এবং পরে আরেক ছেলের সাথে ভেগে যায় সেই ক্ষেত্রে পুরুষের হাতে কোন প্রতিকার নাই। অনেকে অবশ্য কলা গাছের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে। অনেকে সারা জীবন নারী জাতির চৌদ্দগুষ্ঠি উদ্ধার করে আর বলে যে জীবনে কোন দিন আর কোন মেয়েকে বিয়ে করবো না। বেচারা যদিও একজন ধর্ষিত পুরুষ (কারণ প্রতারণা করে তার সম্মতি নেয়া হয়েছিল) কিন্তু সামাজিক স্বীকৃতি নাই । আমাদের দেশে নারী কর্তৃক পুরুষ ধর্ষণের কোন আইন নাই। যে কারণে অনেক পুরুষ মিথ্যা প্রলোভনে এক সাথে কোন মেয়ের সাথে ঘুমাচ্ছে এবং ধর্ষিত হচ্ছে। অনেক দেশে পুরুষের সম্মতি ছাড়া যৌন মিলন করলেও সেটাকে পুরুষ ধর্ষণ বলা হয়ে থাকে। ইহাই সঠিক।

ব্যাপারগুলি কিছুটা হাস্যকর মনে হলেও এক তরফা ভাবে শুধু মেয়েদের সুবিধা দিয়ে আইন তৈরি করা ঠিক না। আমাদের দেশের অধিকাংশ নারী নির্যাতন মামলা ভুয়া হয়।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৪৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ৮০ ভাগ মামলা ভুয়া ! এইটা একটা গ্রেট অস্ত্র ফাঁসানোর জন্য। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় লিখেছেন।

২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ১:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সাবধানে প্রেম করবেন।

২| ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ২:০৭

চেংগিস খান বলেছেন:



শিরোনামে প্রশ্নটি নিস্পত্তির জন্য জন্য পার্লামেন্ট বিল আনার দরকার। আওয়ামী এমপি'দের সেশনে ডাকার দরকার?

২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ২:২৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কথা ঠিক। আওয়ামীলীগের লোকেরা শুনেছি ধর্ষণে এগিয়ে আছেন। তাদের একটা মতামত নেয়া প্রয়োজন আছে। নব্বই এর দশকে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন মানিক ধর্ষণের সেঞ্চুরি উদযাপন করেছিলেন। তখন এই খবর সংবাদপত্রে এসেছিল। পরের প্রজন্মও পিছিয়ে নেই।

ছাত্রলীগের মেয়েরাও পিছিয়ে নেই। রাজশাহীর মেয়র লিটনের মেয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী অর্না জোর করে প্রভাব খাটিয়ে আরেক মেয়ের স্বামীকে বিয়ে করেন।

৩| ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:১৭

চেংগিস খান বলেছেন:



আপনার কথা সত্য হলে, বিএনপি ও জামাতের সবাই আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে, নারী নিয়ে সুখে থাকতো!

২৯ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সামনে সেটা ঘটতে পারে। বিএনপি সেই ধান্ধাতেই আছে। জামায়াত এই সব করে না, দুই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া।

৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৩:১৮

আমিই সাইফুল বলেছেন: পোস্টে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে। বিয়ের প্রলোভন নিয়ে আইনের অপব্যবহারের কথা সত্যি, তবে সব মামলা ভুয়া বলা অতিরঞ্জিত। পুরুষের প্রতিকারের অভাবও একটা সমস্যা। দুই পক্ষের সমান বিচার দরকার। হাস্যরস মেশানোটা বোধহয় বর্তমান পরিস্থিতিতে একটু অপ্রাসঙ্গিক।

আমি মনে করি, ইফ ইউ নিড এক্স ইউ শুড গো টু প্রফেশনালস। এত তেল মেরে মাইয়া পটায়া এসব করার চেয়ে ৫০০/১০০০ যোগাড় করে প্রফেশনাল হেল্প নেয়া বহুত ইজি।

২৯ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:১২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সব মামলা ভুয়া বলি নাই। অধিকাংশ মামলাই ভুয়া। একজন মন্ত্রী এক সময় এই ধরণের কথা বলেছিলেন এবং এটাই বাস্তবতা।

পতিতালয়ে যাওয়ার পরামর্শটা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। বিয়ে করাটাই উত্তম সমাধান।

৫| ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:৩১

চেংগিস খান বলেছেন:



লেখক বলেছেন: সামনে সেটা ঘটতে পারে। বিএনপি সেই ধান্ধাতেই আছে। জামায়াত এই সব করে না, দুই একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া।

-জামাতীরা ১৯৭১ সালে ধর্ষণ করার পর পুরুষত্ব হারায়ে ফেলেছে? ১৯৭১ সালের ধর্ষণ কি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিলো?

২৯ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ১৯৭১ সালের কাজের জন্য তাদের শাস্তি হওয়া উচিত ছিল।

৬| ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:৪০

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্ষণ নিয়ে কথা বলতে ভালো লাগে না।দুই জনের সম্মতিতে ধর্ষণ হয় কি ভাবে।

২৯ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কয়েকদিন আগে এই বিষয়টা নিয়ে সংবাদপত্রে লেখালেখি হচ্ছিল। দুই জনের সম্মতিতে ধর্ষণ কিভাবে হয়, সেটা আমারও প্রশ্ন।

৭| ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ৯:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: এইসব বিষয় আমি বুঝি না।
বুঝতে চাইও না।

২৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কিছু বিষয় কম বোঝা ভালো।

৮| ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:৫২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: নারী নির্যাতনের আইনের প্রচুর অপব্যবহার হয় আমাদের দেশে, একজন দুষ্ট নারী একজন ভালো পুরুষের লাইফ হেল করে দিতে পারে নারী নির্যাতন মামলায় ফাঁসিয়ে।

"বিয়ের প্রলোভন" এই বাক্য নিয়েই আমার আপত্তি আছে, এর দ্বারা প্রামাণ হয় 'বিয়ে' নারীদের কাছে প্রচন্ড লোভনীয় এক বিষয়। বড়জোড় এমন হতে পারে "বিয়ের কথা বলে যৌন মিলন" বা "বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক মিলন" কিন্তু আমাদের দেশে বিয়ের সাথে "প্রলোভন" শব্দটি জুড়ে দেয়া হয় যা একদমই ঠিক নয় বলে আমি মনে করি।

যাই হোক- বিয়ের প্রলোভন হোক, কথা বলে হোক বা প্রতিশ্রুতি দিয়ে হোক এসব কোনভাবেই একজন নারীর সাথে শারীরিক মিলন ধর্ষণের পর্যায়ে পরে না।

যদি তাই হয় তাহলে একজন যৌন-কর্মীও একজন পুরুষের নামে ধর্ষণের মামলা ঠুকে দিতে পারে যেমন - "এক হাজার টাকার প্রলোভোন দেখিয়ে ধর্ষণ" নারীর অভিযোগ পুরুষটি তাকে ১ হাজার টাকার লোভ দেখিয়ে কাজ শেষে মাত্র ৫০০ টাকা ধরিয়ে দিয়েছে... সুতরাং এটি একটি ধর্ষণ। আসলে এটি একটি প্রতারণার মামলা হতে পারে, ৫০০ টাকার প্রতারণার মামলা কিন্তু কোন মতেই এটি ধর্ষণের মামলা হতে পারে না।





২৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রলোভন না বলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি বলা উচিত। বাংলাদেশ আর ভারতের আইনে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যৌন মিলন করলে ধর্ষণের শাস্তি প্রয়োগ করা হয়। আসলে এটা একদমই হওয়া উচিত না। প্রতারণার মামলা করা যেতে। অনেক নারী এই ধরণের আইনের অপব্যবহার করতে পারে এবং করেও। আপনার উদাহরণটা বেশ ভালো হয়েছে।

৯| ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:১৪

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আর যেহেতু সব পুরুষই কিছুটা লুচ্চু প্রকৃতির হয়ে থাকে, তারা এক নারীতে সন্তুষ্ট না তাই পুরুষদের জন্য বেশী বেশি পতিতালায় থাকতে হবে যেখানে পুরুষগণ স্বল্প খরচে যৌন কর্ম সম্পাদন করতে পারবে; তাহলে সমাজে ধর্ষণ, পরকীয়া অনেকাংশে কমে যাবে।

তবে পরকীয়ার বিষয়টি বেশ জটিল কারণ-পরকীয় নারী পুরুষ দুজনই জড়িত থাকতে পারে, তবে ধর্ষণের জন্য শুধু পুরুষই দায়ী।

২৯ শে মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৪:২৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মতে পতিতালয় কোন সমাধান না। পতিতালয় থাকার কারণে দেশে এবং বিদেশে নারী পাচারের ঘটনাগুলি ঘটে থাকে। পতিতালয়ে নারীকে পণ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয় এবং সেখানে নারীরা বিভিন্ন নির্যাতন এবং শোষণের শিকার হয়।

বিয়ে হল সঠিক সমাধান। বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কও সমাজে অনাচার সৃষ্টি করে।

১০| ২৯ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: আমার কাছে এই আইন ঠিক আছে । এবং এটা আরো শক্ত ভাবে প্রয়োগ করা উচিৎ।
খুব স্বাভাবিক ভাবে আপনাকে যদি প্রশ্ন করি, প্রেমিক প্রেমিকাদের ভেতরে কে বিয়ের আগে যৌন মিলনে আগ্রহী থাকে? ছেলে নাকি মেয়ে?
আর ছেলেটা যদি মেয়েটাকে পরিস্কার ভাবে বলে তোমাকে আমি বিয়ে করবো না তাহলে সেই মেয়েটা কি তাকে যৌন মিলনে সম্মত হবে?
খেয়ে ছেড়ে দেওয়ার একটা টার্ম খুব প্রচলিত ছেলেদের মাঝে ।
বাংলাদেশের মেয়েরা এখনও এতোটা আধুনিক হয় নি যে ছেলেদের সাথে তারা প্রেম করছে সেক্সের জন্য কিংবা ছেলেদের খেয়ে ছেড়ে দেয়। এখনও এই ব্যাপারে অলমোস্ট সব মেয়েরাই রক্ষণশীল। কিছু যে ব্যতিক্রম নেই সেটা বলছি না তবে সেটা সমগ্রিক তূলনা অতিনগন্য।

১১| ৩০ শে মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা দেখতে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.