নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যুক্তির নিরিখে খুঁজি সত্যের ঠিকানা

সফিক৭১

যুক্তি ও বিজ্ঞানই পারে মানুষ , রাষ্ট্র ও সমাজকে পরিবর্তন করতে

সফিক৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্নপত্র ফাঁস ও মন্ত্রীর গায়ের চর্বি : কিছু বাজারী গল্প

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫



পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে। প্রাথমিক স্কুলের সমাপনী পরীক্ষা (যাকে সংক্ষেপে পিএসসি পরীক্ষা বলা হয়) থেকে জুনিয়র স্কুল, এসএসসি, এইচএসসি, ¯œাতক, মাস্টার্স সব শ্রেণির পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে। এসকল পরীক্ষা ছাড়াও বিভিন্ন চাকুরির পরীক্ষা যেমন ব্যাংক, পাবলিক সার্ভিস কমিশন ইত্যাদি। প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া একটা নিয়মিত ঘটনা। অন্য সব বিষয়ের মতো এ বিষয় নিয়েও যথারীতি রাজনীতি চলছে। আমাদের তথাকথিত বিদগ্ধ সমাজ এই নিয়ে ঘন্টার পর ঘণ্টা টক শোতে গলাবাজি করে চলেছেন। দলীয় বুদ্ধিজীবি সমাজ নিজ নিজ দল ও এর নেতৃত্বকে মহীয়ান করে তুলতে মুখের ফেনা বের করে চলেছেন। পত্রিকাগুলোতে লেখক সম্প্রদায় লিখে চলেছেন। যুক্তির পর যুক্তি দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রমাণের চেষ্টা চালাচ্ছেন। যদিও প্রধান বিরোধী দল, দলীয়ভাবে, এই বিষয় নিয়ে এখনও কোন মন্তব্য করেনি, সম্ভবত এই কারণে এখনও বিষয়টির সাথে যুদ্ধাপরাধীর বিচার বানচালের ষড়যন্ত্র তত্ত্ব উদঘাটিত হয় নি।

দেশের বুদ্ধিজীবিরা কোন বিষয়ে কে কি বলেন সে বিষয় নিয়ে সম্প্রতি দেশের অধিকাংশ মানুষের মতো আমারও রুচি উঠে গেছে। তাই এ নিয়ে কিছু বলতে চাই না। কারণ ওই বিষয়ে আমার কোন নেক নেই। তবে প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে রাস্তা-ঘাটে, বাজারে, চায়ের দোকানে, ফেরিতে, লঞ্চঘাটে, বাস স্টেশনে রিক্সাওয়ালা, টেক্সি ড্রাইভার, গার্মেন্টেস কর্মী, সাধারণ শিক্ষক, অভিভাবক এই জাতীয় সাধারণ মানুষের বেশ সরস মন্তব্য আমাকে বেশ আকৃষ্ট করেছে। এ রকম কয়েকটি বাজারী গল্পের কথা শেয়ার করলাম।



কাহিনী -০১ চায়ের দোকানে দুই শিক্ষকের কথোপকথোন।



প্রথম শিক্ষক : গতকাল এইচ এস সি পরীক্ষার ডিউটি করলাম। হলে একটা মজার ঘটনা ঘটেছে।

দ্বিতীয় শিক্ষক : কী ঘটনা।



প্রথম শিক্ষক : প্রশ্নপত্র দেওয়ার পনের মিনিটের মধ্যেই থানা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমে আসল। এসেই জিজ্ঞেস করল, ‘স্যার আপনার রুমেও কি ছাত্ররা ওয়াও বলেছে?’

দ্বিতীয় শিক্ষক : তুমি কি বললে?



প্রথম শিক্ষক : বললাম, ‘না। ওয়াও বলেনি, তবে ইয়েস বলেছে।‘ ক্রিকেট খেলায় উইকেট শিকার করার পর বোলার যেমন দুই হাত মুষ্টিবদ্ধ করে ইয়েস বলে, প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর প্রায় সবাই সেই রকম করে ইয়েস বলেছে।

দ্বিতীয় শিক্ষক : তার মানে সকলেই প্রশ্নপত্র পেয়েছে?

প্রথম শিক্ষক : ‘মন্ত্রী বলেছে এসব গুজব। গুজবে কান দেবেন না।’

দ্বিতীয় শিক্ষক : হ্যাঁ, মন্ত্রীতো আমাদের চেয়ে বেশিই জানেন।





কাহিনী -০২ পরীক্ষার হলে দায়িত্বপালনরত দুই শিক্ষকের কথোপকথোন।



প্রথম শিক্ষক : স্যার, এতো কড়া গার্ড দিয়ে কি হবে?

দ্বিতীয় শিক্ষক : মানে?



প্রথম শিক্ষক : অনেকেই তো প্রশ্ন পেয়েছে। যারা পায় নি, তারা একটু দেখার সুযোগ পাক।

দ্বিতীয় শিক্ষক: প্রশ্নফাঁস পেয়েছে এমন কোন প্রমাণ আছে আপনার কাছে।



প্রথম শিক্ষক : কী প্রমাণ লাগবে স্যার? বলেই হাতের মুঠোফোন থেকে ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত পুরো প্রশ্ন দেখিয়ে বলল, সম্পূর্ণ মিল আছে স্যার। মিলিয়ে দেখুন। আমার কাছে তিন আগে এই প্রশ্ন এসেছে। ছাত্ররা এর সমাধান করে নিয়েছে।

দ্বিতীয় শিক্ষক: তাহলে পরীক্ষা নিয়ে লাভ কি?



কাহিনী -০৩ দেশের প্রথমসারির একটি সংবাদপত্রের এক সাংবাদিকের সাথে একজন শিক্ষকের ফোনালাপ।

শিক্ষক: হ্যালো ভাইসাব, শুনছেন?

সাংবাদিক: কোনটার কথা কইতাছেন?



শিক্ষক: পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হইছে। কয়েকজন শিক্ষার্থীর প্রশ্নপত্র পাইছে। আপনি কি একটু দয়া করে এ নিয়ে একটা রিপোর্ট করবেন?

সাংবাদিক: ভাইজান, লাভ নাই। চাইপা যান। দেইখাও না দেখার ভান করেন।



শিক্ষক: আপনারা সত্যের পাহারাদার। সত্য কথাটা লিখবেন না।

সাংবাদিক: ভাই, এখনো বিয়া করি নাই। এতো তাড়াতাড়ি গুম হইতে চাই না।



কাহিনী -০৪: চার রাস্তার মোড়ের চায়ের দোকানে। দুইজন সাধারণ মানুষের কথোপকথোন।



প্রথম ব্যক্তি: শিক্ষা মন্ত্রী একটা ভালো কাজ করেছে।

দ্বিতীয় ব্যক্তি: উনার কোন কাজটার কথা বলছেন।



প্রথম ব্যক্তি: ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা বাতিল করেছে।

দ্বিতীয় ব্যক্তি: এতে ভালোর কি হলো?



প্রথম ব্যক্তি: ভালো না? যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করল, তাদের একটা শিক্ষা হইলো। ভবিষ্যতে আর প্রশ্নপত্র ফাঁস হবে না।

দ্বিতীয় ব্যক্তি: এটা কোন ভালো কাজ হল? কয়েক লক্ষ শিক্ষার্থীর জীবনের হতাশা বাড়লো, তাদের অভিভাবকদের বিড়ম্বনা বাড়ল। লক্ষ লক্ষ টাকার অপচয় হল।



প্রথম ব্যক্তি: কী বলছেন ভাই আপনি? মন্ত্রীর সদিচ্ছার কোন মূল্য নেই আপনার কাছে?

দ্বিতীয় ব্যক্তি: এতে মন্ত্রীর সদিচ্ছার কি দেখলেন আপনি? মন্ত্রীর কোন লজ্জা শরমের আলামত পাইলাম না, মন্ত্রীর যদি কোন লজ্জা থাকতো তবেতো উনি পদত্যাগ করতেন।



প্রথম ব্যক্তি: মন্ত্রীর পদত্যাগের প্রশ্ন আসছে কেন? উনিতো আর পরীক্ষার প্রশ্ন করেন নি, ফাঁসও করেন নি।

দ্বিতীয় ব্যক্তি: ভারতে রেলগাড়ি লাইনচ্যূত হয়ে কয়েকজন লোক মারা গেলে রেলমন্ত্রী পদত্যাগ করেন কেন? রেলমন্ত্রী তো রেলগাড়ী চালান না। কোরিয়ায়, এই সেই দিন ফেরি ডুইবা যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করছে, শুনছি। প্রধানমন্ত্রীতো ফেরি চালান না।



প্রথম ব্যক্তি: আপনার কথার কোন আগামাথা বুঝলাম না। আপনি কী বলতে চান, সরাসরি বলেন।

দ্বিতীয় ব্যক্তি: তাহলে শুনুন। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হলো। মন্ত্রী পদত্যাগ করেননি। উনার মুখের ভাব দেখে কি মনে হয় উনি লজ্জা পেয়েছেন এতে? জাতির সামনে উনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন? করেন নি। পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করতে পারত, করেছে? করেনি। বোর্ডের চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্টদের কারণ দর্শানো বিজ্ঞপ্তি দিতে পারত। দিয়েছে? দেয়নি। তাহলে কীভাবে বুঝবো যে উনার সদিচ্ছা আছে?



প্রথম ব্যক্তি: তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত হলে সব বেরিয়ে আসবে। দোষীরা ধরা পড়বে।

দ্বিতীয় ব্যক্তি: তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বাংলাদেশে কোনওদিন বেরিয়েছে? বেরোলেও এতে কোনওদিন কারো শাস্তি হইছে এমন নজির আছে? এমন ঘটনায়তো মন্ত্রীর ঘুম হারাম হয়ে যাওয়ার কথা। পাগলের মতো হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু উনার চেহারায় এমন কোন আলামত আছে? বরং উনার গায়ের চর্বি ও চামরার গ্লেস দুই বাড়তেছে।



প্রথম ব্যক্তি: তাহলে আপনি বলছেন পরীক্ষা চালাইয়া গেলেই ভালো হইতো?

দ্বিতীয় ব্যক্তি: আমি তা বলছি না। পরীক্ষার বন্ধ করার আগে প্রাথমিক স্টেপ হিসেবে এই কাজগুলো করা উচিত ছিল। আর পরীক্ষা বন্ধ করার কথা বললেন? তা কেন করেছে জানেন?



প্রথম ব্যক্তি: কেন?

দ্বিতীয় ব্যক্তি: কারণ প্রশ্নটা একটু বেশি লোক পেয়ে গেছে। যাদের প্রশ্ন পাবার কথা ছিল তাদের চেয়ে বেশি লোক পেয়ে গেছে প্রশ্নটা। তারা যা চাইছিল তার চেয়ে বেশি লোক প্রশ্ন পাইয়া গেছিল।



প্রথম ব্যক্তি: আপনার আগের কথার যুক্তি থাকলেও এই কথা বুঝলাম না, মানতেও পারলাম না।

দ্বিতীয় ব্যক্তি: তাহলেও আবারও ধৈর্য ধরে শুনতে হবে আমার কথা।

প্রথম ব্যক্তি: বলুন।

দ্বিতীয় ব্যক্তি: পরীক্ষা চালায় বোর্ড। বোর্ডে নিয়োগ দেয় মন্ত্রী এবং সচিব। বর্তমান যুগে দলীয় লোক ছাড়া এইসব প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়া যায় না। বিভিন্ন বোর্ডে খবর নিয়ে দেখেন ১০০ ভাগ দলীয় লোকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই সব দলীয় লোকগুলো নিজেদের পছন্দের লোকেদের দিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করায়, মডারেশন করায়, উত্তরপত্র মূল্যায়ন করায়। দলীয় লোকেরা দলীয় কুনীতির কাছে নিজেদের বুদ্ধি বিবেক সব কিছু বিকিয়ে দেন। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের দেখলে বুঝতে পারবেন। এইসব দলীয় লোকেরা নিজেদের পরিবার, আত্মীয় স্বজন এবং এদের ছেলেমেয়েদের পরীক্ষার ফল ভালো করার জন্য প্রশ্নপত্র আউট করেন। কেউ কেউ টাকার লোভে প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন। বর্তমানের ডিজিটাল যুগে সব কিছু খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কোন কারণে যদি এই প্রশ্নপত্র দলীয় লোকেদেরে বাইরের বড় অংশের কাছে এসে পড়ে তাহলেতো বিপদ। ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষায় বেলায়ও তাই ঘটেছে। এই কারণেই পরীক্ষাটা বাতিল হয়েছে।

প্রথম ব্যক্তি: তাহলে আপনি বলতে চাচ্ছেন যে সরকার দলীয় লোকেরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত? এবং এটা ইচ্ছাকৃত?

দ্বিতীয় ব্যক্তি : কয়েকদিন আগে একজন আওয়ামী বুদ্ধিজীবির কথা শুনেন নি? উনি বলেছেন, ‘ছাত্রলীগ হলে পরীক্ষা নেওয়া লাগবে না, ছাত্রলীগ দেখলেই চাকুরি দিতে হবে।’

প্রথম ব্যক্তি: তার সাথে এই ঘটনার সংযোগ কোথায়?

দ্বিতীয় ব্যক্তি: চাকুরির পরীক্ষা দিতে হলেতো আগেতো পাস করতে হবে। পাস করতে হলেতো পড়া লেখা করা লাগবে। টেন্ডার চাঁদাবাজি করে পড়ালেখার সুযোগটা কোথায়। তারচেয়ে ভালো প্রশ্নপত্র দিয়ে দাও। ওরা পাস করুক। পাস করলে চাকুরি দেওয়া যাইবো। এটা দলীয় নীতি।

প্রথম ব্যক্তি: একজন বিকৃত বুদ্ধিজীবির কথাকে সাধারণীকরণ করা ঠিক হইল।

দ্বিতীয় ব্যক্তি: বদ্ধিজীবি বিকৃত হইতে পারে। তবে ওনার কথাই সবার কথা। কাউকে শুনছেন উনার কথাকে ডিজওউন করতে? কেউ করেনি। তার মানে সবার মনেই এই কথা।

প্রথম ব্যক্তি: তাহলে প্রশ্নপত্র ফাঁস সেই নীতিরই অংশ?

দ্বিতীয় ব্যক্তি: ঠিক তাই।

প্রথম ব্যক্তি: আপনার এই বক্তব্য একটু বেশি সরলীকরণ হয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রী একজন সজ্জন মানুষ। তার সম্পর্কে এই কথা মানতে পারছি না।

দ্বিতীয় ব্যক্তি: তাহলে একটা উদাহরণ দেই। গত দশ-বার বছরের বোর্ডভিত্তিক পরীক্ষায় পাসের হারের পরিসংখ্যান নেন। দেখবেন সিলেট বোর্ডের পাসের হার সবচেয়ে কম। কিন্তু এই মন্ত্রী আসার পর থেকে আলাদিনের চেরাগের মতো সিলেট বোর্ডে পাসের হার বাড়তে লাগল। দেশের মধ্যে ফার্স্ট হতে লাগল। কীভাবে সম্ভব হল? মন্ত্রীর চেহারা দেখে কি পোলাপান পড়ালেখা বাড়াইয়া দিল? আসলে তা না। আসলে সবই দুই নম্বরী, বুূঝলেন?

প্রথম ব্যক্তি: আপনার কথায় যুক্তি আছে। কিন্তু মানতে কষ্ট হচ্ছে।

দ্বিতীয় ব্যক্তি: আপনি যদি মানবেন না বলে প্রোমিজ কইরা থাকেন তাইলে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু একটা কথা বলি। মন্ত্রীর পিএস নিয়ে এত কথা পত্রিকায় লেখা হইল, তথ্য-প্রমাণ পত্রিকায় প্রকাশিত হইলো, মন্ত্রী কি তার পিএসকে সরাইছে? সরায় নাই। উল্টো বলছে, তার চেয়ে ভালো লোক পাওয়া যাবে কিনা এতে নাকি তার সন্দেহ আছে। বাংলাদেশে এর চেয়ে ভালো লোক নাই।

প্রথম ব্যক্তি: কথার যুক্তি আছে। কিন্তু এটা করে লাভ কি?

দ্বিতীয় ব্যক্তি: আপনার আমার লাভ নাই। ক্ষতি আছে। তবে তাগো লাভ আছে। একটা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে পারলে দেশের মানুষ জ্ঞানী হইতে পারবো না। মানুষের মধ্যে যুক্তিশীলতা জাইগা উঠবো না। মানুষের মধ্যে যুক্তিশীলতা না থাকলে সেই জাতি মর্যাদাবোধ সম্পন্ন হতে পারবো না, স্বাধীন চিন্তাভাবনা করতে পারবো না। দেশের মানুষের মধ্যে চিন্তা থাকলে, বিবেক বুদ্ধি থাকলে, যুক্তিশীলতা থাকলে, মর্যাদাবোধ থাকলে, আত্মসম্মানবোধ থাকলে এই সকল বাজে নেতৃত্ব মানবে না। উত্তরাধিকারতন্ত্র মানবে না। পরিবার তন্ত্র মানবে না। তাই শিক্ষার মধ্যে আফিম ঢুকাইতে হইবো। যেকোন মূল্যে আফিম ঢুকাইতে পারলেই পোলাপাইন শুধু পাস চাইবে, পড়া চাইবো না। কাগজ চাইবো, জ্ঞান চাইবো না। এইটা সেই প্রক্রিয়ারই অংশ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দেশের মানুষের মধ্যে চিন্তা থাকলে, বিবেক বুদ্ধি থাকলে, যুক্তিশীলতা থাকলে, মর্যাদাবোধ থাকলে, আত্মসম্মানবোধ থাকলে এই সকল বাজে নেতৃত্ব মানবে না। উত্তরাধিকারতন্ত্র মানবে না। পরিবার তন্ত্র মানবে না। তাই শিক্ষার মধ্যে আফিম ঢুকাইতে হইবো। যেকোন মূল্যে আফিম ঢুকাইতে পারলেই পোলাপাইন শুধু পাস চাইবে, পড়া চাইবো না। কাগজ চাইবো, জ্ঞান চাইবো না। এইটা সেই প্রক্রিয়ারই অংশ।

কঠিন সত্য!

তারা চায় শুধূ লেজুরবৃত্তিকারী, মোসাহেবীর দল। বৃটিশদের মতো!!

২| ০৩ রা মে, ২০১৪ রাত ১১:০৬

সফিক৭১ বলেছেন: ভাই ভৃগু, সত্য বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.