নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যুক্তির নিরিখে খুঁজি সত্যের ঠিকানা

সফিক৭১

যুক্তি ও বিজ্ঞানই পারে মানুষ , রাষ্ট্র ও সমাজকে পরিবর্তন করতে

সফিক৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের নির্বাচন এবং বাংলাদেশের শিক্ষা

১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:২৯



ভারতের নির্বাচন নিয়ে এইবার বাংলাদেশের লোকজনের ব্যাপক আগ্রহ দেখলাম। কিছু টেলিভিশন চ্যানেলতো এই নিয়া মাসব্যাপী অনুষ্ঠান প্রচার করে। কোন কোন চ্যানেল এই বিষয়টাকে এত গুরুত্ব দিয়ে প্রচার করে যে ইহা বাংলাদেশের নির্বাচনকেও হার মানাইছে।তবে অধিকাংশ টিভি চ্যানেলই বিজেপি বিরোধী ও কংগ্রেসপ্রেমি প্রচারণা ছিল লক্ষ্য করার মতো। অতি উৎসাহী একটা দুইটা টিভি চ্যানেরের ভাবসাব দেইখা মনে হয় উনারা বিজেপির জয়টাকে মাইনা নিতে পারেন নাই এবং পাররে নরেন্দ্র মোদীকে পারজিত এক হাত দেইখা নেন। অনেকের মুখের ভাবসাব দেইখা মনে হয় এইবার বুঝি ভারতের গণতন্ত্র গেল। তাগো মতে কংগ্রেস জিতলেই ভারতে গণতন্ত্রের বিজয়। কংগ্রেস আর গণতন্ত্র তাগো কাছে সমর্থক। আসলে এই ধরনের মানুষগুলো বুঝতেই চাইতাছে না গণতন্ত্র কি জিনিস।

সত্যিকার অর্থে এইবার ভারতের মানুষ বুঝাইয়া দিছে গণতন্ত্র কারে কয়। এইবারের ভোটে ভারতে মূলত গণতন্ত্রের জয় হইছে। আমাগো মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশের জন্য পরিবারতন্ত্র যে গণতন্ত্রের এক নম্বরের শত্রু হইতেছে তা টেরা পাইয়া ভারতের জনগণ ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে এই শত্রুকে খতম করছে। এই কারণে আমি ভারতের জনগণকে লাল সালাম জানাই।

ভাইসাব, বিজেপির নেতাগো চেহারাগুলো একটু দেখেন। দেখবেন চুল পাইকা ঝুনা হইছে। তাগো চুল যতটা না বয়সে পাকছে তারচেয়ে বেশি পাকছে রাজনীতি কইরা। বিজেপির নেতাগো দেখলে মনে হয় রাহুল গান্ধির মতো একটা বাচ্চা ছেলের রাজনীতির বয়সই হয় নাই। কংগ্রেসের নেতৃ সোনিয়া, সহসভাপতি রাহুল আর প্রচারণা নায়িকা প্রিয়াংকা। সবই একটি পরিবারের সদস্য। কংগ্রেসের যেই সকল বুইড়া বুইড়া নেতারা রাজনীতি কইরা চুল পাকাইছে সেইসব নেতারা প্রথম সারিতে নাই। আন্ডাবাচ্চা কয়েটা পোলাপাইন একটি দলের প্রধান। ভারতের লোকজন তাই এইসব পোলাপাইনের নেতৃত্বের পরিবর্তে পরিক্ষিত নেতা বাইছা লইছে।

দীর্ঘদিন কংগ্রেস নামক এই দলের ভেতরে গণতন্ত্রের বালাই ছিলনা। পরিবারের হুকুমে দল চলবে, দেশ চলবে। গণতান্ত্রিক ভারত কেন পরিবারতন্ত্র বা রাজতন্ত্রের দিকে ঝুঁকবে? এইডা জনগন মানবে ক্যান? জনগণ তাই পরিবর্তনের দিকে ছুটছে।

তুলনা কইরা দেখেন আমাগো বাংলাদেশের সাথে। আওয়ামী লিগ আর বিএনপি দুইটা দলের মধ্যে কোন গণতন্ত্র নাই। পরিবারতন্ত্র । রাজার হুকুম চলে। নেতার হুকুম নয়। রাজার পোলা রাজা হইবো তা যদি আন্ডা বাচ্চাও হয়। চুল পাকা দীর্ঘদিনের রাজনীতি করা লোকজন পোলাপাইনের কনুইর গুতা খাইয়া চিপায় থাকবো কিন্তু দলের নেতা হইতে পারব না। দেশের প্রধান হইতে পারব না। কেবল পুতুল হইব। এই পুতুলের সরকার দেশের জন্য ভালো করতে পারে না। কখনো পারেও নাই।

দেশের সবচাইতে বুদ্ধিমান মেধাবী পোলাডা যদি রাজনীতি করতে চায় আওয়ামীলীগ ও বিএনপিতে এদের ঠাঁই নাই। এই দুইডা দলে সন্ত্রাসী আর পেশী শক্তির জয়জয়কার। এই কারণে স্কুল কলেজের মেধাবী ছাত্ররা এই দুইডা দলের ধারে কাছেও গেঁসতাছে না। মুক্তিযুদ্ধের এক নম্বর শত্রু জামাত নামের একটা নষ্ট দলও দেশের মেধাবী পোলাপাইনের কাছে এখন অনেক বেশি পছন্দের।

জামাত নামের এই নষ্ট দলের মধ্যে যতটা গণতন্ত্র আছে তার যদি এক কানাকড়িও এই দুইটা দলের মধ্যে থাকত তবে দেশের এই ভয়াবহ বিপর্যয় হইত না।ভালো পোলাপাইনের যাওয়ার একটা জায়গা হইত।

তাই ভারতের এই নির্বাচন হইতে বাংলাদেশের শিক্ষা নেওয়া উচিত। ভবিষ্যতে এইরকম নির্বাচনী ফলাফল বাংলাদেশেও হইতে পারে। আজ হইতে বিশ বছর পরে হয়তো আওয়ামীলীগ ও বিএনপির একজোট হইয়া জামাতের বিরুদ্ধে নামতে হইতে পারে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫০

পংবাড়ী বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২| ১৭ ই মে, ২০১৪ রাত ১:২০

কবির সরদার বলেছেন: আওয়ামীলিগ আর বিএনপির ভিতরে কিভাবে গণতন্ত্র আনা যায় তা নিয়ে এই দল দুইটার গুরুত্ব সহকারে ভাবা উচিত। নইলে একদিন তারা বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে বলে আমার মনে হয়।

৩| ১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৬

সফিক৭১ বলেছেন: ভাই পংবাড়ী, ধন্যবাদ।

৪| ১৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭

সফিক৭১ বলেছেন: ভাই কবির সরদার, ঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.