![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তি ও বিজ্ঞানই পারে মানুষ , রাষ্ট্র ও সমাজকে পরিবর্তন করতে
এক কথায় এর উত্তর দেওয়া খুবই কঠিন। তবে খুব সহজভাবে বললে বলা যায় মুক্তচিন্তার শত্রু তারাই যারা মুক্তচিন্তার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে।
তাই সবার আগে আমাদের চিনে নেওয়া দরকার কারা মুক্তচিন্তার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে। মানব সভ্যতার ইতিহাস পর্যালোচনা করে এ পর্যন্ত যেসকল শক্তি মুক্তচিন্তার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তার একটি তালিকা করা হল। মুক্তচিন্তার প্রসারের জন্য প্রথমে এর শত্রুদের চিনে নেওয়া জরুরি।
১। ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক শক্তি: ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বলা হয় মুক্তচিন্তার প্রধান অন্তরায়। এ পর্যন্ত মুক্তচিন্তার পথে যত বাঁধা এসেছে তার প্রায় অধিকাংশই এসেছে ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক শক্তির হাত ধরে। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুক্তচিন্তা প্রথমত ধর্মীয় অনুশাসনকে চ্যালেঞ্জ করে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই এরা মুক্তচিন্তার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে।
২। সমাজ ও রাষ্ট্রের শাসক: সমাজ ও রাষ্ট্রের শাসক শ্রেণিই মুক্তচিন্তার পথে প্রধান অন্তরায়। এই শক্তি মনে করে মুক্তচিন্তার বিকাশে সমাজ ও রাষ্ট্রে এদের একচ্ছত্র আধিপত্য খর্ব হবে। এই কারণে এই শক্তি মুক্তচিন্তার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে। অনেক ক্ষেত্রেই এই শক্তি ধর্মীয় ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে উসকে দেয়। যতক্ষণ পর্যন্ত মুক্তচিন্তা কোনও না কোন ভাবে শাসকের শাসন ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ না করে ততক্ষণ পর্যন্ত অবশ্য এরা মুক্তচিন্তার পক্ষে কোনরূপ বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় না। কিন্তু যখনই এদের স্বার্থে আঘাত লাগে কিংবা আঘাত লাগার শঙ্কা দেখা দেয় তখনই এরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুক্তচিন্তার গলা টিপে হত্য করে। এক্ষেত্রে এরা দুটি বিষয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে।এক: সামাজিক স্থিতিশীলতা দুই: ধর্মীয় মূল্যবোধ। এই দুইটি ঢালের আড়ালে এরা মূলত নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থই সংরক্ষণ করতে চায়।
৩। সামাজিক প্রথা, যা দীর্ঘদিন ধরে একটি সমাজে প্রচলিত। এই শক্তি দীর্ঘদিনের প্রথার বিরোধী কোন নতুন তত্ত্ব বা চিন্তা মেনে নিতে পারে না। এর অন্য নাম দেওয়া যায় সামাজিক জড়তা।
৪। অজ্ঞতা: অজ্ঞতা হলো মুক্তচিন্তার সবচেয়ে বড় শত্রু। এটা একধরনের ব্যস্টিক জড়তা। মানুষ যে অবস্থায় , যে মূল্যবোধ নিয়ে আছে সে সেই মূল্যবোধ নিয়েই থাকতে চায়।কাজেই খুব স্বাভাবিকভাবে সে কোন নতুন তত্ত্ব বা নতুন চিন্তা মেনে নিতে চায় না। অনেকটা নিউটনের প্রথম সূত্রের মতো। এর জন্য বিশেষ বল প্রয়োগ করতে হয়। [চলবে]
২| ২৮ শে মে, ২০১৪ সকাল ১১:২৪
সফিক৭১ বলেছেন: এটাই আপনার স্বাধীনতা। আমরা সেই স্বাধীনতাকেই বিশ্বাস করি। কিন্তু যখন আপনি ধর্মীয় চিন্তা দ্বারা আমার চিন্তা, কথা ও কাজের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবেন তখনই আমার সমস্যা। আপনাকে ধন্যবাদ।
৩| ২৮ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:২৬
ইমরান হক সজীব বলেছেন: সামাজিক জড়তা ভাঙা খুব কঠিন কাজ । তবুও আমরা চেস্টা করতে থাকলে ধিরে ধিরে একদিন ভাঙবেই ।
ভালো লিখেছেন ।
২৯ শে মে, ২০১৪ রাত ১:১৬
সফিক৭১ বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০১৪ ভোর ৬:৩২
ভুয়া প্রেমিক বলেছেন: মুক্তচিন্তা আর ধর্মীয় চিন্তার মাঝে আমি ধর্মীয় চিন্তাই বেছে নিব। আপনার কোন সমস্যা?