নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যুক্তির নিরিখে খুঁজি সত্যের ঠিকানা

সফিক৭১

যুক্তি ও বিজ্ঞানই পারে মানুষ , রাষ্ট্র ও সমাজকে পরিবর্তন করতে

সফিক৭১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার তাতে কি?

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:২৬

রাত নয়টা। টিএসসির মোড়। বইমেলা ভাঙার সময়। কাছেই পুলিশের একটি টীম বসে আছে মানুষের শান্তি নিশ্চিত করার জন্য। হাজার হাজার মানুষের আনা-গোনা। এমন ‘নিরাপত্তাবেষ্টনি’র মধ্যে, এত মানুষের মধ্যে কয়েকজন ঘাতকের হাতের চাপাতির আঘাতে অভিজিৎ রায়-এর শরীর ক্ষত-বিক্ষত। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘাতকের আঘাতে মাথার ঘিলু বের হয়ে যাচ্ছিল অভিজিৎ রায়-এর। এরপর এলোপাথারি কোপ। প্রিয়তমত স্ত্রী স্বামীর দিকে ধেয়ে আসা চাপাতির আঘাতগুলো নিজের শরীরে নিচ্ছিল স্বামীকে বাঁচানোর জন্য। আর চারিদিকে অগুণতি মানুষের কাছে মিনতি করছিল স্বামীকে বাঁচানোর জন্য। কেউ বাঁচাতে আসেনি । অভিজিৎ রায় মারা গেছে। অভিজিৎ রায়কে হত্যা করা হয়েছে।
২০০৪ সালে যেখানে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছিল ড. হুমায়ুন আজাদকে তার একটু সামনেই, ড. মিলনকে যে স্থান হত্যা করা সেই রাস্তার হয়েছিল তার ঠিক বিপরীত পার্শ্বের-সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে ঘটে এই নির্মম ঘটনা। উদ্যানের পাশে প্রায় সাত ফুট উচু রডের প্রাচীর। এই প্রাচীর টপকিয়ে উদ্যানে পালানো সম্ভব নয়। ঘাতকেরা অভিজিতকে হত্যা করে বুক ফুলিয়ে রাজপথ দিয়ে চলে যায়। অসংখ্য মানুষের সামনে দিয়ে। কেউ কেউ ছবি দেখছিলে সিনেমা দেখার মতো করে। কেউ নাকি ছবিও তুলে নিয়েছিল এই বীভৎসতার। কিন্তু কেউ আটকালো না, কেউ বাধা দিল না।
বাঙালী আধুনিক হতে চলেছে। আধুনিকতার সংজ্ঞাই নাকি এরকম। অন্যের কোনোকিছুতে নাক না গলানোই আধুনিকতা। ঢাকার মানুষেরা আধুনিক হতে শিখেছে। বাংলাদেশের মানুষেরা আধুনিক হচ্ছে। আমরা আধুনিক হচ্ছি।
প্রতিদিন মানুষ আগুনে পুড়ছে। প্রতিদিন মানুষ ক্রস ফায়ারে মারা যাচ্ছে। রাস্তা-ঘাট, নদী-নালা, খাল-বিলে মানুষের লাশ পড়ে আছে কুকুরের খাবার হয়ে। কিচ্ছু যায় আসে না তাতে। হয়তো এভাবেই একদিন আমিও কুকুরের খাবার হবো। কিংবা আমার দেহও পড়ে থাকবে রাস্তার পাশে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.