![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তি ও বিজ্ঞানই পারে মানুষ , রাষ্ট্র ও সমাজকে পরিবর্তন করতে
সম্প্রতি মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী একটি ভাষণে বলিয়াছেন শিক্ষকদের মধ্যে কিছু চোর ঢুকিয়া গিয়াছে। এই চোরেরা প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা রকমের অপকর্ম করে। ইহারাই আবার ক্লাসে না পড়াইয়া প্রাইভেট পড়ান--- ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সকল চোরদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রীবর আহ্বান করিয়াছেন শিক্ষকতা পেশা ছাড়িয়া চোর পেশায় যুক্ত হইতে।
শিক্ষা এবং শিক্ষকদের নিয়া মন্তব্য করিবার অধিকার সকলেরই রহিয়াছে। দেশের সবচাইতে দুষ্ট লোকও চাইলে শিক্ষকদের সম্পর্কে যাহা খুশি বলিতে পারেন। ইহাতে আমার জানা মতে আইনগত কোন বাঁধা নাই। তাহার উপরে উনি আবার মহামান্য শিক্ষামন্ত্রী। উনিতো চাইলেতো কথাই নাই। উনি বলিতেও পারেন, করিতেও পারেন। তাহার উপরে বাজারে শোনা যায় উনি নাকি এক সময়ে একটি বেসরকারি কলেজে শিক্ষকতাও করিতেন। ফলে শিক্ষকতার গোষ্ঠিসুদ্ধ উদ্ধার করা উনার দায়িত্বের মধ্যেই বর্তায়।
তাই শিক্ষকদের নিয়া কে কি বলিলেন তাহা মনে ধরিয়া গোস্বা করিবার প্রয়োজন বোধ করি না। তবে চুরি পেশায় কেহ যোগদানের আহ্বান জানাইতে পারেন তাহা আমার জানা ছিল না। কারণ চুরি পেশা সমাজে কোনো স্বীকৃত পেশা নয়। তাহা ছাড়া এই পেশায় একবার ধরা পড়িলে গণধোলাই খাইবার সম্ভাবনা থাকে। তাহার উপরে আবার পুলিশের ভয়ও রহিয়াছে। কোন কারণে একবার ধরা খাইলেতো আর রক্ষা নাই। লাল দালানের ভাত খাইতে হইবে। তাই মাননীয় মন্ত্রী বাহাদুরের এই আহ্বান সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষেরা ভালোভাবে নেন নাই।
আপনি ভাবিতেছেন আমি কি করিয়া জানিলাম যে সাধারণ মানুষ তাহার এই কথা ভালোভাবে নেন নাই? মন্ত্রী বাহাদুরের এই আহবান শুনিয়া একটি চায়ের দোকানে দুইজন রিক্সা চালক কি বলিতেছিলেন তাহা শুনুন। তবেই বুঝিবেন-
একজন রিক্সাচালক বলিলেন, ‘উনি অন্তত এই সকল চোরদের রাজনীতিতে যোগদানের কথা কইতে পারতেন। কারণ রাজনীতিই বাংলাদেশের সবচাইতে লাভজনক পেশা। পৃথিবীতে এমন লাভজনক পেশা আর আছে বইলাতো মনেয় হয় না। আহ্বান জানাইলে ভালোটাই জানানো উচিত। তাহার উপরে ইহাতে আবার তাহাদের মন্ত্রী হইবার সম্ভাবনাও থাকে এবং একই সাথে তাহারা বিচারের উর্ধ্বেও থাকিতে পারিতেন।’
অপরজন বলিলেন, ‘ব্যাটা তুই মন্ত্রীকে এত বোকা ভাবিতেছিস ক্যান ? উনি তো সেই কারণেই তাহাদের এই পেশায় যোগদান করিতে বলেন নাই। ইহাতে তাহাদের ভাগ কমিয়া যাইবে না?’
তবে আমি ভাবিতেছি অন্য কথা। মন্ত্রী বলিয়াছেন শিক্ষকদের মধ্যে চোর ঢুকিয়া গিয়াছে। কিন্তু ইহাদের শিক্ষকতা পেশায় ঢুকাইলেন কাহারা?
ইহার উত্তর পাইতে হইলে কয়েকটি ধাপে আগাইতে হইবে। কারণ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষকদের মধ্যে কয়েকটি ধাপ রহিয়াছে। প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। শুনিয়াছি সকল পর্যায়েই প্রশ্নপত্র ফাঁস হইয়া থাকে। তাই সকল ধাপের কথাই বলা প্রয়োজন।
প্রথমত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কথায় আসা যাউক। কাহারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ দিয়া থাকেন?
প্রত্যেকটি জেলায় মহামান্য আমলাকুল ইহাদের নিয়োগ কর্তা। চোর যদি প্রাথমিক শিক্ষকদের মধ্যে থাকিয়া থাকেন তাহা হইলে ইহার দায়ভার মহামান্য আমলাকুল এড়াইতে পারেন না। কারণ তাহারাই এই সকল সকল চোরদের বাছিয়া বাছিয়া নিয়োগ দিয়াছেন। অবশ্য আমলাকুলদের এককভাবে দোষ দেওয়া যাইবে না। প্রায়শই শোনা যায় অমুক মন্ত্রী, তমুক ন্যাতা এত্তো-এত্তো টাকা উৎকোচ লইয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ দিয়াছেন। তাই মহামান্য আমলাকুলের সাথে মহামান্য মন্ত্রী ও নানা স্তরের ন্যাতা-ফ্যাতারাও জড়িত।
দ্বিতীয়ত মাধ্যমিক স্তুরের শিক্ষকদের প্রসঙ্গে দেখা যাউক। এই স্তরের একটি বড় অংশ এলাকার মহামান্য গণমান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নিয়োগ দিয়া থাকেন। কারণ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা বোর্ডে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি ছাড়া কেহ ঢুকিতে পারেন না। এই কথা সকলেই জানেন বাংলাদেশের গণমান্য লোক কাহারা। আপনি যদি মাছ ব্যবসায়ী কিংবা জুতার কারিগরও হউন আর আপনার গায়ে যদি ক্ষমতাসীন দলের সীলমোহর মারা থাকে আর আপনি যদি ইচ্ছা প্রকাশ করিয়া থাকেন তাহা হইলেই হইল। আপনি গণ্যমান্য হইলেন। জাতে উঠিলেন। কিছু সরকারি স্কুল রহিয়াছে। সরকারি আমলারা ইহাদের নিয়োগকর্তা। ইহাদের জন্য আগের কথাই প্রযোজ্য।
কলেজ স্তরের শিক্ষকদের দুইটি অংশ। একটি অংশ সরকারি অপরটি বেসরকারি। সরকারি অংশের নিয়োগকর্তা তো মহামান্য রাষ্ট্রপতি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবার এই কাজটি সরাসরি করেন না। তিনি পিএসসি নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই কাজটি করিয়া থাকেন। পিএসসির দায়িত্ব হইল ভালো ভালো যোগ্য ও মেধাবীদের খুঁজিয়া বাহির করিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে তাহাদের তালিকা প্রদান করা। সরকারি কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে যদি চোর লুকাইয়া থাকে তবে বলিতে হয় পিএসসি কেন চোর বাছাই করিয়াছেন তাহা আগে খুজিয়া দেখা দরকার। তবে কি চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। এই খানেও দুইটা কথা আছে। প্রথম কথা পিএসসির এই মাসতুতো ভাইদের আবার নিয়োগ দিয়া থাকেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। আর দ্বিতীয় কথা ইহলো এই মাসতুতো ভাইয়ারা কেবল শিক্ষকতা পেশায়ই নিয়োগ দিয়া থাকেন না। তাহারা রাষ্ট্রের সকল শাখায়ই নিয়োগ দিয়া থাকেন। যাহারা চোর বাছাই করিয়া থাকেন তাহারা আবার রাষ্ট্রের সকল শাখায়ই চোর সাপ্লাই দেন কি না সেই বিষয়েও খোঁজখবর নেওয়া দরকার। অবশ্য বাংলাদেশের সর্বগ্রাসী দুরনীতি ও চৌর্যবৃত্তি দেখিয়া আপনি যদি নিশ্চিত হইয়া যান তাহা হইলে ভিন্ন কথা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জরিপেও এই বিষয়ে কিছু আলামাত পাওয়া গিয়াছে।
আর বেসরকারি কলেজের শিক্ষক নিয়োগ নিয়া খুব বেশি কিছু না বলাই ভালো। কারণ এই কথা সকলেই জানেন যে প্রত্যেকটি বেসরকারি কলেজের সভাপতি হইলেন সংশ্লিষ্ট এলাকার এমপি। রাজনীতি করিয়া এমপি হইয়া পদের ভারে কলেজের সভাপতি বনিয়া যান। যেইখানে এমপি না হইবেন সেইখানে ক্ষমতাশালী কেউ। তিনিও রাজনীতির বলে বলীয়ান। আর বাংলাদেশে ক্ষমতাশালীরাই বলীয়ান এই কথা কানায়ও জানে।
সবার উপরে রহিয়াছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককূল। প্রায় প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য আবার হয় প্রধানমন্ত্রী না হয় রাষ্ট্রপতি। তাহারা যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভালো মানুষ উপাচর্য নিয়োগ করিয়া থাকেন তাহা হইলে তাহাদের দ্বারা চোর নিযুক্ত হইবার সম্ভাবনা কম। কিন্তু তাহারাও যদি চোরবান্ধব উপাচার্য নিয়োগ দিয়া থাকেন তাহা হইলেতো আর রক্ষা নাই। চোরে চোরে সয়লাব। তাহা হইলে মাসতুতো ভাইয়ের সেই এনালজিটা কোথায় গিয়া দাড়াইবে তাহা ভাবিতেও গা শিহরিয়া উঠে।
এইবার ভাবুন, সিংগারার মইধ্যে আলু ঢুকলো ক্যামনে?
২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫
সফিক৭১ বলেছেন: সাব্বির, আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
তবে,
শিক্ষকতা মহান পেশা এই সব ধারণা আজ সেকেলে হয়ে গেছে। সব পেশাই মহত। কোন পেশা কম মহত নয়। একজন কৃষক একজন শিক্ষকের চেয়ে কম মহত পেশায় যুক্ত নয়। এমনকি একজন মুচি কিংবা সুইপার। কারও পেশাই কম মহত নয়। একজন সাংবাদিক কি কম মহত পেশায় যুক্ত? আসলে তা নয়।
আমরা যখন বলি শিক্ষকতা একটি মহত পেশা তখন এই কথাটির মধ্যে একটি প্রতারণা লুকিয়ে থাকে। প্রতারণাটা হলো, উনিতো শিক্ষক । উনি মহান । উনি মানুষকে জ্ঞান বিতরণ করবেন, শিক্ষা দিবেন। উনার পেট নাই, বউ পোলাপাইন নাই, সমাজ নাই।
আমরা প্রায়শই ভুলে যাই তিনিও একজন মানুষ। তার শরীর আছে, পরিবার আছে, প্রয়োজন আছে। তিনিও সমাজের মানুষ, রাষ্ট্রের মানুষ।
পণ্ডিতমশাই গল্পে লেখক যতটা প্রবলভাবে বলেছেন শিক্ষকদের দুরবস্থার কথা তাতে কি ফল কিছু হয়েছে। প্রসঙ্গ সেখানে নয়। বড়লাটের একটি কুকুরের এক পায়ের মর্যাদা একজন শিক্ষকের। সেই সময় থেকে এত বছর পরেও শিক্ষা ও শিক্ষকতা পেশার মর্যাদার কোনো উন্নতি কি হয়েছে?
হয় নি। তাতে কিছু যায়ও আসে না।
প্রশ্ন হলো একজন মন্ত্রী যখন বলেন শিক্ষদের মধ্যে চোর ঢুকেছে তখন তাতে অনেক কিছু যায়-আসে। আর তা যদি শিক্ষা মন্ত্রী হয় তাইলেতো কথাই নাই।
চোর কোথায় নাই। মন্ত্রীদের মধ্যে চোর নাই, মিলিটারির মধ্যে, পুলিশের মধ্যে, আমলাদের মধ্যে, বিচারকের মধ্যে। কয়েকদিন আগেইতো একজন বিচারক জাল সনদ দিয়ে চাকুরি করার অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছে। আমরাতো ইতিহাস ঘেঁটে দেখি বিজ্ঞানীদের মধ্যেও চোর রয়েছে। একজনের গবেষণা আরেকজনের নামে দিব্বি চালিয়ে দিচ্ছে। আসল কথা হলো চোর সবখানেই আছে। মানুষ যদি চোর হয়, তাহলে মানুষ যত জায়গায় যাবে সবখানেই চোর পাওয়া যাবে। ফলে যেখানে সব জায়গাতেই চোর রয়েছে সেখানে আলাদাভাবে আর বলার মানে কি? তাছাড়া মন্ত্রীর কাজইতো তার মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন। উন্নয়ন দুই দিক থেকে। এক. মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের মানুষের সেবার মান উন্নয়ন। আর দুই. মন্ত্রণায়লের অধীনস্ত সকলের পেশাগত, পরিবেশগত, মর্যাদাগত মানোন্নয়ন। কোন মন্ত্রী যদি তা না পারেন তা তো তারই ব্যর্থতা।
আর সবচেয়ে বড় কথা হলো বলা তো মন্ত্রীর কাজ না। মন্ত্রীর কাজ কল করা। যে যত কম করে, সে তত বেশি বলে। যে যত বেশি বলে সে তত কম করে। এই হলো দুনিয়ার নিয়ম। শিক্ষকতা মহান পেশা এই সব ধারণা আজ সেকেলে হয়ে গেছে। সব পেশাই মহত। কোন পেশা কম মহত নয়। একজন কৃষক একজন শিক্ষকের চেয়ে কম মহত পেশায় যুক্ত নয়। এমনকি একজন মুচি কিংবা সুইপার। কারও পেশাই কম মহত নয়। একজন সাংবাদিক কি কম মহত পেশায় যুক্ত? আসলে তা নয়।
আমরা যখন বলি শিক্ষকতা একটি মহত পেশা তখন এই কথাটির মধ্যে একটি প্রতারণা লুকিয়ে থাকে। প্রতারণাটা হলো, উনিতো শিক্ষক । উনি মহান । উনি মানুষকে জ্ঞান বিতরণ করবেন, শিক্ষা দিবেন। উনার পেট নাই, বউ পোলাপাইন নাই, সমাজ নাই।
আমরা প্রায়শই ভুলে যাই তিনিও একজন মানুষ। তার শরীর আছে, পরিবার আছে, প্রয়োজন আছে। তিনিও সমাজের মানুষ, রাষ্ট্রের মানুষ।
পণ্ডিতমশাই গল্পে লেখক যতটা প্রবলভাবে বলেছেন শিক্ষকদের দুরবস্থার কথা তাতে কি ফল কিছু হয়েছে। প্রসঙ্গ সেখানে নয়। বড়লাটের একটি কুকুরের এক পায়ের মর্যাদা একজন শিক্ষকের। সেই সময় থেকে এত বছর পরেও শিক্ষা ও শিক্ষকতা পেশার মর্যাদার কোনো উন্নতি কি হয়েছে?
হয় নি। তাতে কিছু যায়ও আসে না।
প্রশ্ন হলো একজন মন্ত্রী যখন বলেন শিক্ষদের মধ্যে চোর ঢুকেছে তখন তাতে অনেক কিছু যায়-আসে। আর তা যদি শিক্ষা মন্ত্রী হয় তাইলেতো কথাই নাই।
চোর কোথায় নাই। মন্ত্রীদের মধ্যে চোর নাই, মিলিটারির মধ্যে, পুলিশের মধ্যে, আমলাদের মধ্যে, বিচারকের মধ্যে। কয়েকদিন আগেইতো একজন বিচারক জাল সনদ দিয়ে চাকুরি করার অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছে। আমরাতো ইতিহাস ঘেঁটে দেখি বিজ্ঞানীদের মধ্যেও চোর রয়েছে। একজনের গবেষণা আরেকজনের নামে দিব্বি চালিয়ে দিচ্ছে। আসল কথা হলো চোর সবখানেই আছে। মানুষ যদি চোর হয়, তাহলে মানুষ যত জায়গায় যাবে সবখানেই চোর পাওয়া যাবে। ফলে যেখানে সব জায়গাতেই চোর রয়েছে সেখানে আলাদাভাবে আর বলার মানে কি? তাছাড়া মন্ত্রীর কাজইতো তার মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন। উন্নয়ন দুই দিক থেকে। এক. মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দেশের মানুষের সেবার মান উন্নয়ন। আর দুই. মন্ত্রণায়লের অধীনস্ত সকলের পেশাগত, পরিবেশগত, মর্যাদাগত মানোন্নয়ন। কোন মন্ত্রী যদি তা না পারেন তা তো তারই ব্যর্থতা।
আর সবচেয়ে বড় কথা হলো বলা তো মন্ত্রীর কাজ না। মন্ত্রীর কাজ কল করা। যে যত কম করে, সে তত বেশি বলে। যে যত বেশি বলে সে তত কম করে। এই হলো দুনিয়ার নিয়ম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ২:১৯
সাব্বির ০০৭ বলেছেন: আমি শিক্ষক পরিবারের সন্তান। মা-বাবা দুজনেই শিক্ষক। বিয়ের আগে মা প্রাইভেটে কিছু ছেলেমেয়ে পড়ালেও বিয়ের পর বাবার অসম্মতির কারণে তা আর পারেননি। বাবা নিজেও কোনোদিন প্রাইভেট পড়াননি। একমাত্র সন্তান হওয়া স্বত্ত্বেও মা-বাবার কাছে আবদার করা শতকরা ১০০টা জিনিষের মধ্যে ১০টা কপালে জুটত, এই ১০টার মধ্যে ৫টার সাথে আবার শর্ত লাগানো ছিল! সংসারে স্বাভাবিকের চাইতে একটু বেশী টাকার দরকার হলেই সেটা আর পাওয়া যেত না। কিভাবে কত কষ্ট করে মা-বাবা আমার পড়ার খরচ জুগিয়েছেন, সেটা বলতে গেলে বিশাল একটা বই হয়ে যাবে। এও ঠিক, শিক্ষকদের মধ্যেও কিছু লোক এমন আছেন, যারা নীতি-নৈতিকতা বহুৎ আগেই ভুলে বসে আছেন। কিন্ত এর দায়ভার শুধু কি তাদের? একজন শিক্ষক, মানুষ গড়ার কারিগর, তারও একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে, চাওয়া পাওয়া আছে, সুষ্ঠু ভাবে বেচে থাকার অধিকার আছে। একজন শিক্ষক সারাজীবন সমাজকে শুধু দিয়ে যাবে আর শেষ বয়সে অবহেলায়, অনাদরে, নিদারুণ অর্থকষ্টে ভুগে ভুগে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করবে আর সমাজ সেটা দেখিয়ে বলবে, ঐ দেখ একজন আদর্শ শিক্ষক, যিনি কখনো আপস করেননি! বাহ্! যেন এরকমটি না করলে আদর্শ শিক্ষক হওয়া যায় না। আসলে সমস্যা আমাদের চিন্তাধারায়! ওটা আগে ঠিক করতে হবে। নাহলে এরকম আসল চোররাই সারাজীবন এই মহান পেশার লোকগুলোকে ছোট করতে থাকবে!