![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৯৪ সালে ইউক্রেন রাশিয়ার সাথে চুক্তির টেবিলে বসেছিলো। সামনে ছিল একটি কাগজ আর ইউক্রেনের কাঁধে ছিল বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার। তাদের বোঝানো হয়েছিলো যে দেখো! নিরাপত্তা অস্ত্রের ট্রিগারে নয় বরং কাগজে স্বাক্ষরে নিহিত। তারা অস্ত্র ছেড়ে দিল, পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার হস্তান্তর করলো। কাগজে স্বাক্ষর করে সবাই চলে গেলো। বহু বছর পর যখন ইউক্রেন সেই স্বাক্ষর খুঁজতে ফিরে এলো তখন আর কিছুই পেলো না — শুধু আক্রমণকারী সেনা। ধ্বংসপ্রাপ্ত শহর আর বাষ্প হয়ে যাওয়া প্রতিশ্রুতিই মিললো।
আমেরিকা - যারা তখন নিরাপত্তা নিশ্চয়তা(!) দিয়েছিলো তারা দাঁড়িয়ে রইলো দূর থেকে।
সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলো আবার সেই সহায়তাকে ব্যবহার করলো ইউক্রেনের অবশিষ্ট সম্পদের বিনিময়ে। যখন সেই সম্পদও শেষ হয়ে এলো তখন প্রেসিডেন্টকে ডেকে এনে গালি দিলো ট্রাম্প। যে শক্তি একসময় ইউক্রেনের ছিলো তা হয়ে গেল শুধুই অতীত স্মৃতি। আর সেই চুক্তি এখন কেবল রাজনীতিকদের গোপন কক্ষের রসিকতা।
কয়েক বছর আগে এরকম আরেকটি কক্ষে তালেবান প্রতিনিধিরা বসেছিলো আমেরিকানদের সাথে। একজন আমেরিকান তাদের অস্ত্র ফেলে দিতে বললো। জবাবে একজন তালেবান প্রতিনিধি হেসে বললেন: এই অস্ত্রই তো আপনাদের এখানে এনেছে। এটা না থাকলে তো আপনারা আমাদের দিকে ফিরেও তাকাতেন না। তাহলে আমরা এটা কেন ফেলব?
আজ দখলদার যা য়ো রাও একই কৌশল নিচ্ছে। তারা হা মা [স] কে বলছে: স্বাক্ষর করো। অস্ত্র ফেলে দাও। নতুন দুনিয়ায় প্রবেশ করো—যেখানে কোনো প্রতিরোধ নেই। কোনো শক্তি নেই। কোনো প্রতিক্রিয়া দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তারা বলছে শান্তি আসবে কেবল অস্ত্র ত্যাগের পর। নিরাপত্তা আসবে তখনই যখন ফিলিস্তিন তাদের একমাত্র আত্মরক্ষার উপায় ছেড়ে দেবে।
কিন্তু ইতিহাস নিজেকে ভুলে যায় না যখন সে নিজেকে পুনরাবৃত্ত করে।
যখন রেড ইন্ডিয়ানরা তাদের তরবারি ও ধনুক ফেলে দিয়েছিলো তখন এসেছিলো গণহত্যা যা তাদের প্রায় নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিলো। যখন লিবিয়ানরা ইতালির প্রতিশ্রুতি বিশ্বাস করেছিলো তখন এসেছিলো ফাঁসি ও শিরচ্ছেদ। আর যখন আন্দালুসের নেতারা শহরের চাবি তুলে দিয়েছিলো তখন তারা পেয়েছিলো ইনকুইজিশন কোর্ট যা তাদের ছাইয়ে পরিণত করেছিলো।
যে হাত নিজের অস্ত্র ত্যাগ করে সে নিজের ভাগ্য লেখে না—তা তার শত্রুই লেখে। লাল কালি দিয়ে লেখে। আর হা [মা] স এই শিক্ষা ভালোভাবেই জানে। তারা জানে আজ যে অস্ত্র ফেলা হবে কাল তা তাদের দিকেই উঠবে। তারা জানে অস্ত্রত্যাগের চুক্তিতে স্বাক্ষর মানে আত্মসমর্পণের প্রশংসাপত্রে স্বাক্ষর। এ কারণে তারা ইসরাইল এবং পুরো পৃথিবীকে বলছে:
আমরা নতুন রেড ইন্ডিয়ান হবো না। আমরা আমাদের অস্ত্র ফেলে দিয়ে জবাইয়ের জন্য যাবো না। যে অস্ত্র সমীকরণ তৈরি করেছে সেটাই তা রক্ষা করবে। যে বন্দুক নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে তা ছলনায় ভুলে ফেলা যাবে না। আর এই অস্ত্র শুধু তখনই রাখা হবে যখন নতুন এক প্রজন্ম তা হাতে তুলে নেবে এবং পথ চলা চালিয়ে যাবে।
وَدَّ الَّذِينَ كَفَرُوا لَوْ تَغْفُلُونَ عَنْ أَسْلِحَتِكُمْ وَأَمْتِعَتِكُمْ فَيَمِيلُونَ عَلَيْكُم مَّيْلَةً وَاحِدَةً
অবিশ্বাসীরা কামনা করে যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্র এবং মালপত্র থেকে গাফিল হও যাতে তারা তোমাদের ওপর হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৭
তানভির জুমার বলেছেন: ইতিহাস সাক্ষী। প্রত্যেক কারবালার ময়দান থেকেই ইসলাম জীবিত হয়।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫
অপলক বলেছেন: যে হাত নিজের অস্ত্র ত্যাগ করে, সে নিজের ভাগ্য লেখে না---তা তার শত্রুই লেখে: যথার্থ কথা
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১০
তানভির জুমার বলেছেন: শান্তি, মানবতা, ব্যক্তি স্বাধীতনা, গণতন্ত্র, লিবারালিজম, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, এইগুলো হচ্ছে পশ্চিমাদের সবচেয়ে বড় ধাপ্পাবাজি।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৫৯
নতুন বলেছেন: জজবা দিয়ে যুদ্ধ এই জামানায় জয়ী হওয়া যায় না।
বাস্তবতা না বুঝতে পারলে জয়ী হওয়া যায় না।
এই জামানায় ইসরাইলের সাথে যুদ্ধে জয়ী হবার মতন ক্ষমতা সব আরব দেশ মিলিয়েও নাই।
আমেরিকা সাথে থাকলে সকল মুসলিম সংখ্যাগরিস্ট দেশ এক সাথে মিলেও ইসরাইল+আমেরিকাকে হারাতে পারবেনা।
কিন্তু মুসলিম সংখ্যাগরিস্ট দেশ এক সাথে অর্থনৈতিক চাপ দিলে আমেরিকা ইসরাইলকে নিয়ন্ত্রন করতে বাধ্য হবে।
মুসলিম সংখ্যাগরিস্ট দেশগুলি যদি চীনের সাথে যোগ দেবার হুমকি দেয় তবে আমেরিকা অবশ্যই আলোচনার টেবিলে বসবে এবং বাস্তব সমাধানের দিকে যাবে।
কিন্তু মুসলিম সংখ্যাগরিস্ট দেশগুলি কি আমেরিকার রাজনিতিক চাল থেকে বের হয়ে আসতে পারবে???
এটাই বিলিওন ডলারের প্রশ্ন!!!
বিলিওন ডলারের কাছে আপনার মতন জজবা কোন ব্যপারই না।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:০৪
তানভির জুমার বলেছেন: কয়েকটি দেশ বাদে। কথিত মুসলিম দেশগুলোর শাসকের চেয়ে নরদমার কিটও উত্তম। বিশেষ করে আরব শয়তানগুলো এরা ভোগ-বিলাস নিয়ে ব্যস্ত। নবী (সাঃ) অনেকগুলো হাদিস আছে আরবদের তিরস্কার করে।
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১২
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কয়েকটি দেশ বাদে। কথিত মুসলিম দেশগুলোর শাসকের চেয়ে নরদমার কিটও উত্তম। বিশেষ করে আরব শয়তানগুলো এরা ভোগ-বিলাস নিয়ে ব্যস্ত। নবী (সাঃ) অনেকগুলো হাদিস আছে আরবদের তিরস্কার করে।
সৌদ পরিবার আমেরিকাতে কয়েক বিলিওন ডলার বিনিওগ আছে। আমেরিকা তাদের ক্ষমতার থাকার নিম্চয়তা দিচ্ছে।
আবরের শাসকেরা বিলিওন ডলারের সাথে থাকবে নাকি যুদ্ধ করবে?
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:৩২
তানভির জুমার বলেছেন: পৃথিবীতে কেউ সবসময়ের জন্য আসে না। আর ক্ষমতা তো সবচেয়ে বেশী ক্ষনস্থায়ী। মানুষ তো বিশ্বাস করতো মৃত্যুর আগে পর্যন্ত হাসিনাকে কেউ ক্ষমতা থেকে নামাতে পারবে না। আল্লাহ বার বার কোরআনে বলেছেন পৃথিবী হল পরীক্ষার জায়গা এখানে যারা আল্লাহর বিধান মেনে চলবে মৃত্যুর পর তাদের জন্যই রয়েছে জান্নাত। ভোগ-বিলাস যদি আরবদের মৃত্যুর কথা ভুলিয়ে দেয় তবে অবশ্যই মৃত্যু তাদেরকে ভুলবে না।
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:০১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হামাস অস্ত্র ত্যাগ করলেও তাদের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হবেনা।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১০
তানভির জুমার বলেছেন: সঠিক, পশ্চিমাদের সাথে কথা বলার ভাষা অস্র। ইসরাইল আমেরিকা মিলে একটা ধর্মযুদ্ধ চালাচ্ছে। আমেরিকা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় শয়তান। আমেরিকা ছাড়া ইসরাইল কিছুই না।
৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: জায়নামাজে পড়ে থাকার সময় শেষ।
আপনারা ইজরায়েল যান। যুদ্ধ করেন।
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:১২
তানভির জুমার বলেছেন: জায়নামাজে পড়ে থেকে মুসলিমদের আজ এই অবস্থা। জিহাদ হচ্ছে অন্যতম ফরজ ইবাদত আমরা জিহাদ ভুলেগেছি।
৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪
রাসেল বলেছেন: অতপর নামাজ শেষ হলে তোমরা জমিনে (পৃথিবীতে) ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা (জীবিকা উপার্জনে) সফলকাম হও। (সুরা জুমআ : আয়াত ১০)
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ বিকাল ৪:২০
তানভির জুমার বলেছেন: ‘আপনি জীবনের প্রতি তাদেরকে সব মানুষের মধ্যে, এমনকি মুশরিকদের চেয়েও বেশি লোভী পাবেন, তাদের সবাই আকাঙ্ক্ষা করে যদি তাদের হাজার বছর আয়ু দেওয়া হতো, কিন্তু দীর্ঘায়ু তাদের শাস্তি থেকে দূরে রাখতে পারবে না, তারা যা করে আল্লাহ তার দ্রষ্টা।’ (সুরা : বাকারা, আয়াত : ৯৬)
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪
অগ্নিবাবা বলেছেন: এখনো সময় আছে যে কয়জনরে জিম্মি করে রাখছেন ইসরােলকে ফেরত দিয়ে নাকে খত দিয়ে মাপ চেয়ে নেন, কপালে আপনাদের আরো বহু খারাবী আছে, তামা তামা করে ফেলবে।
আপনাদের অবস্থা হচ্ছে, পোঁদে নাই দোম, দেওয়ালে মারলাম বোম।