![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনারা জুলাই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষা জানতেছেন বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক নটনটীদের কাছ থেকে। কারণ তাদের মুখের ভাষা মিষ্টি, চামড়া চকচকে, কথা আকর্ষণীয়।
কিন্তু যারা জীবনটাকে হাতে নিয়া লড়াই করলো, হাত পা হারাইলো তাদের কাছে কখনও জিজ্ঞেস করেন নাই, কোন আকাঙ্ক্ষায় তারা জীবনটাকে বাজি রাখছিল।
শহিদের বউকে গিয়ে জিজ্ঞাস করেন নাই, কোন স্বপ্নের টানে স্ত্রী সন্তান ফেলে মরতে গেলো তার স্বামী। যে-দেশের মুক্তির জন্য সে জীবন দিলো, তার মানুষগুলোকে সে কোনো অসিয়ত করে গেছে কিনা।
জিজ্ঞাস করেন নাই, আন্দোলনে গিয়ে শহিদ হওয়ার আগে ছোট্ট শিশুটি তার ড্রয়িং খাতায় দেশের কোনো ছবি এঁকে গেছে কিনা।
জিজ্ঞাস করেন নাই, কারণ তাদের কথা সুন্দর না। গুছিয়ে আকর্ষণীয় ভঙ্গিতে ওরা কথা বলতে জানে না।
কিন্তু আপনারা ভুলে গেছেন এইসব তুলতুলে কথা আর গানের মতো সুন্দর ভাষা দিয়াই ষোলো বছরের গুমরাজ্য কায়েম করা হইছিলো। এবং সুন্দর বুলি দিয়া, শুদ্ধ চোস্ত ভাষায় তর্ক কইরা, রবীন্দ্র সংগীত গাইয়া স্বৈরাচার তাড়ানো যাইতো না কখনোই।
জেঁকে বসা এই স্বৈরাচারকে তাড়াইতে পারছিল বরং কিছু অভদ্র পোলাপান, গেঁয়ো নিরক্ষর রিকশাওয়ালা, অসভ্য টোকাই, নেশাখোর। তাদেরকে বলতে হইছে শেখ হাসিনা cdi. বলতে হইছে পুলিশ কোন চ্যা... বা....। শ্লোগান তুলতে হইছে এক দুই তিন চার, ছাত্রলীগের.....মার।
এইসব পোলাপান, গেঁয়ো চাষাভুষা, রিকশাওয়ালার কাছে দেশগঠনের সবক আপনারা নিবেন না। কারণ তাদের আকাঙ্ক্ষার ভাষা আপনাদের কাছে অশ্লীল, অনভিপ্রেত।
আগামীকাল স্বৈরাচার হাসিনার পলায়ন দিবসকে কেন্দ্র কইরা স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জুলাই বিপ্লব নিয়া আলোচনা হবে বিশিষ্ট ভদ্রলোকদেরকে দিয়া। কিন্তু সেই স্কুলেরই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীটিকে জিজ্ঞাস করা হবে না সে কেন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আন্দোলনে নামছিল।
রাজনৈতিক দলগুলো নানা কর্মসূচি পালন করবে, কিন্তু আন্দোলনে বুক পেতে দেওয়া দলের কর্মীটি একটা কথা বলার সুযোগ পাবে না।
এভাবেই বিপ্লবের আকাঙ্ক্ষায় ধুলা জইমা ওঠে। রক্তস্নাত একটা বিপ্লব উৎযাপনসর্বস্ব আনুষ্ঠানিকতায় পর্যবসিত হয়।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ২:১৬
সুলাইমান হোসেন বলেছেন: হে জুলাই আন্দোলনের শহীদগন,মন খারাপ করোনা,তোমাদের এই ত্যাগ বৃথা যাবেনা
।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৩১
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: স্বাধীনতা ওরা ঠিকমতোই উপভোগ করছে খেয়ে না খেয়ে। বেঘোরে মরে অন্যদের খাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে।