![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিএনপিপন্থী এবং প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবিরা বিশ্লেষণ দিচ্ছে, ডাকসু-জাকসু নির্বাচনের সাথে জাতীয় নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নাই। কারণ সত্তর-আশির দশকে বামপন্থীরা নিয়মিত ডাকসু নির্বাচনে জিতলেও জাতীয় নির্বাচনে তারা সবসময়ই ডাব্বা মারত।
কথা সত্য। কিন্তু তারচেয়েও সত্য হচ্ছে, রাজনীতি ঐকিক নিয়ম না। অন্য সব ফ্যাক্টর অগ্রাহ্য করে এত সরলভাবে করা বিশ্লেষণ যদি সঠিক হতো, তাহলে এবারও ডাকসুতে শিবির পরাজিত হতো
বাস্তবতা হচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সত্তর-আশির দশকের ডেমোগ্রাফি আর বর্তমানের ডেমোগ্রাফির মধ্যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সত্তর-আশির দশকেও গ্রামে বিপুল সংখ্যক ছেলে মাদ্রাসায় পড়ত। তখনকার দিকেও গ্রামের মেয়েরা পর্দা করত। কিন্তু সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়টা ছেলে মাদ্রাসা থেকে আসত? কয়টা মেয়ে বোরকা পরত? উত্তরটা হচ্ছে, খুবই কম।
সে সময় আর্থ-সামাজিক কারণেই গ্রামেগঞ্জের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে পারত না। ফলে সে সময়ের শাড়ি আর স্লিভলেস ব্লাউজ পরা আধুনিক ছাত্রীদের ছবি দিয়ে আমাদের প্রগতিশীলদের আজও রোমান্টিসিজমে ভুগতে হয় - Girls in Dhaka University before Jamaati Revolution, Circa 1970s. বর্তমানে যে বিশ্ববিদ্যালয়েও বিপুল সংখ্যক মাদ্রাসা ব্যাকগ্রাউন্ডের ছেলেকে আর হিজাবি মেয়েকে দেখা যায়, সেটা নিয়ে তাদেরকে হা-হুতাশ করতে হয়।
যেটা বলতে চাইছি, সেটা হচ্ছে, সে সময় শুধু ঢাবি না, সারা দুনিয়াতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ছিল সমাজের খুবই ক্ষুদ্র, এলিট একটা অংশের রিপ্রেজেন্টিটিভ। ইভেন আফগানিস্তানেও সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিউনিস্টদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি ছাড়িয়ে, রাজধানী থেকে একটু বাইরে গ্রামের দিকে গেলেই ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। সেখানকার জনগণ সব সময়ই রক্ষণশীল ছিল। এবং সেজন্যই বিশ্ববিদ্যালয়ে বামপন্থীরা জয়ী হলেও সেটা পুরো দেশে প্রতিফলিত হওয়া সম্ভব ছিল না।
কিন্তু বর্তমানে সেই বাস্তবতা আর নাই। গত অন্তত দুই দশক ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চিত্র অতীতের চেয়ে অনেক ভিন্ন। সেখানে এখন সমাজের বিভিন্ন স্তর থেকে উঠে আসা শিক্ষার্থীরা সমানে অংশগ্রহণ করছে। ফলে আগেকার মতো বিশ্ববিদ্যালয় আর পৃথক কোনো এলিটদের জগত নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের গড় মানসিকতা এখন অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় দেশের মানুষের গড় মানসিকতার অনেক বেশি কাছাকাছি।
ডাকসু-জাকসু নির্বাচনে শিবির জয়ী হয়েছে, কাজেই জাতীয় নির্বাচনেও জামায়াত জয়ী হবে - এই সরল সমীকরণ আমি করছি না। ব্যাপারগুলো কখনোই এত সহজ না।
কিন্তু যারা সহজ সমীকরণ দেখাচ্ছে যে, বামপন্থীরা ডাকসুতে জিতলেও জাতীয় নির্বাচনে ডাব্বা মারত, কাজেই জামায়াতেরও একই পরিণতি হবে - এই তুলনা যে ভুল, সেটাই হচ্ছে এই লেখার উদ্দেশ্য। এই সব অতি-আত্মবিশ্বাসী বিশ্লেষকরা ডাকসুতেও ভুলভাল প্রেডিকশন দিয়েছে, ভবিষ্যতেও দিতেই থাকবে। কারণ এদের বাস্তবতা বোঝার সদিচ্ছাটাই নাই।
Mozammel Hossain Toha
২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৬
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
৯ম/১০ম শ্রেনীতে সমীকরণ শেখানো শুরু হয়, আপনি তো আন্ডাও বুঝতেন না।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৪৪
নিমো বলেছেন: তা এতই যখন হ্যাডম, নিয়াজকে উপাচার্য বানাতে হয় কেন? তার আগের জনকে মব সন্ত্রাসে তাড়াতে কেন হয়? জগন্নাথ হলে পাত্তা কেন পাওয়া গেল না? ভোটের যোগফল কেন টাইপে ভুল হয়? পিআর কেন দরকার? জা-শির সততায়ই যথেষ্ঠ হওয়ার কথা এবং আপনার ভাষায় জনগণও যখন প্রস্তুত।