৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বলেই বাংলাদেশ গত কয়েকবার ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হতে রক্ষা পেয়েছে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৮

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘যমীনে ও পানিতে যত বিপদ-আপদ, আযাব-গযব সব মানুষেরই হাতের কামাই।’

মুসলমানদের উপর যুলুম করার কারণে কাফির বিশ্বে একের পর এক খোদায়ী গযব নাযিল হচ্ছে।

মেক্সিকো, আমেরিকা, রাশিয়া, ইসরাইল, চিলি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রিটেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, হাইতি, জাপান, ভারত, চীন, মায়ানমারসহ সমস্ত কাফির রাষ্ট্র-

ভূমিকম্প, সুনামি, দাবানল, তুষারপাত, খরা, বন্যা, টর্নেডো, ভূমিধস, অর্থনৈতিক মন্দা, খাদ্য মন্দা, ইত্যাদি খোদায়ী গযবে নিশ্চিহ্ন ও ফকির হয়েছে এবং আরো কঠিন ফকির হবে; যা মূলত কাফিরদেরই হাতের কামাই।

৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বলেই বাংলাদেশ গত কয়েকবার ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হতে রক্ষা পেয়েছে।

তাই সব মুসলমানদের উচিত- কাফিরদের গযবের ঘটনা থেকে ইবরত, নছীহত হাছিল করা এবং বেশি বেশি তওবা ও ইস্তিগফার করা। এছাড়া সর্বপ্রকার হারাম কাজ থেকে বেঁচে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার উপর ইস্তিক্বামত থাকা।

যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ, যামানার লক্ষ্যস্থল আওলাদে রসূল, যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমামুশ শরীয়ত ওয়াত তরীক্বত, কুতুবুল আলম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি অতীতে অনেক জাতিকে তাদের পাপাচার ও যুলুমের কারণে আযাব-গযব দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছেন। যেমন নমরূদ, শাদ্দাদ, ফিরাউন, হামান, কারুন, আবরাহা এবং আদ, ছামুদ ইত্যাদি জাতি। অনুরূপভাবেই মুসলমানদের উপর যুলুম করার কারণে জাপান, আমেরিকা, মেক্সিকো, রাশিয়া, ইসরাইল, চিলি, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ব্রিটেন, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, হাইতি, চীন, ভারত, মায়ানমারসহ সমস্ত কাফির রাষ্ট্র- ভূমিকম্প, সুনামি, দাবানল, তুষারপাত, খরা, বন্যা, টর্নেডো, ভূমিধস, অর্থনৈতিক মন্দা, খাদ্য মন্দা ইত্যাদি খোদায়ী গযবে নিশ্চিহ্ন ও ফকির হয়েছে এবং আরো কঠিন ফকির হবে; যা মূলত কাফিরদেরই হাতের কামাই। অর্থাৎ কাফিরদের বদ আক্বীদা, বদ আমল ও যুলুমের কারণেই এসব আযাব-গযব এসেছে, আসছে এবং আরো আসবে।



মুজাদ্দিদে আ’যম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, সম্প্রতি জাপানে ৭.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে হাজার বাড়ি ঘর, মানুষ নিশ্চিহ্ন হয়েছে।

৬.০ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে গুড়িয়ে গেছে ইতালির উত্তরাংশ। এবং ভূমিকম্পের পর ঐ দিনই প্রায় ১০০ পরাঘাত সংগঠিত হয়েছে। পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টি ও তীব্র ঠা-ায় অতিষ্ট হয়ে পড়েছিলো হাজার হাজার মানুষের জীবন।

চীনের ইউনান এবং গুইজহো প্রদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে শত শত মানুষ নিহত ও হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধস্ত হয়েছে।

৭.০ মাত্রার ভূমিকম্পের পর বার বার পরাঘাতে কেপেছে মায়ানমার। ভূমিকম্পের পর পর আরো ৪টি শক্তিশালী পরাঘাত সংগঠিত হয়। পরাঘাতগুলো মাত্রা ছিল যথাক্রমে ৫.০, ৫.০, ৫.৮ এবং ৫.৬।

৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে মেক্সিকোতে লক্ষ লক্ষ লোক নিহত ও আহত হয়েছে এবং এলাকাটা তছনছ হয়ে গেছে; যা ভাষায় প্রকাশ অত্যন্ত কঠিন। কিন্তু বিধর্মী মিডিয়াগুলি সেটা চুপিয়ে রেখেছে।

৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কলম্বিয়াতে লক্ষ লক্ষ লোক নিহত ও আহত এবং ব্যাপক এলাকা তছনছ হয়ে গেছে। যা তারা লুকিয়ে রেখেছে।



মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ৯৭ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত বলেই বাংলাদেশ গত কয়েকবার ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি হতে রক্ষা পেয়েছে। সুবহানাল্লাহ! তাই মুসলমানদের উচিত- কাফিরদের থেকে ইবরত, নছীহত হাছিল করা। অর্থাৎ খোদায়ী গযব থেকে বাঁচতে হলে মুসলমানদের উচিত- ওলীআল্লাহগণ উনাদের ছোহবত ইখতিয়ার করে বেশি বেশি তওবা ও ইস্তিগফার করা এবং সর্বপ্রকার হারাম কাজ থেকে বেঁচে থেকে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার উপর ইস্তিক্বামত থাকা।

মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা ইস্তিগফার কর; নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্ষমাশীল ও দয়ালু।” আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে গুনাহ থেকে তওবা করলো সে যেন কোনো গুনাহই করে নাই।”



মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, ছিরাতুল মুস্তাক্বীম উনার পথে সার্বিকভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য প্রয়োজন হক্কানী-রব্বানী ওলীআল্লাহ উনাদের ছোহবত মুবারক হাছিল করা। কেননা মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন, “তোমরা ছদিক্বীন তথা হক্কানী রব্বানী ওলীআল্লাহ উনাদের ছোহবত মুবারক হাছিল কর।” মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক উনার রহমত মুবারক যাঁরা খাছ ওলীআল্লাহ উনাদের নিকটবর্তী।”



মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, তাই মুসলমানদের উচিত- কাফিরদের প্রতি আপতিত গযব থেকে ইবরত, নছীহত হাছিল করা। অর্থাৎ খোদায়ী গযব থেকে বাঁচতে হলে মুসলমানদের উচিত- বেশি বেশি তওবা ও ইস্তিগফার করে সর্বপ্রকার হারাম কাজ থেকে বেঁচে সম্মানিত ইসলামী শরীয়ত উনার উপর ইস্তিক্বামত থাকা। আর এ সমস্ত নিয়ামত হাছিল করতে হলে ফরয হলো, আল্লাহওয়ালাগণ উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করা।

৮ টি +১/-০