নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খোলা জীবন, খোলা বই, খোলা পাতা

I am what I am and that's how I would be. No I am not stubborn. I just want to be myself.

শাফ্‌ক্বাত

একজন মা এই ব্লগের কোন ছবি, লেখা বা মন্তব্য (সম্পূর্ণ অথবা আংশিকভাবে) লেখকের পূর্ব-অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ করা যাবেনা। ধন্যবাদ।

শাফ্‌ক্বাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডুব দেওয়া, ফিরে আসা নিয়ে কিছু (অ)প্রাসংগিক কথা

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:০৭

প্রায় তিন মাস যাবৎ ইন্টারনেট এর আওতার বাইরে ছিলাম। মাঝে কিছুদিন অবশ্য কিছুটা স্বেচ্ছায় ও কিছুটা সময়-সুযোগের অভাবে এই ল্যাপটপ-যন্ত্রটাকে পাশ কাটিয়ে গেছি।

কিন্তু আমি কল্পনাও করিনি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকা আমার বর্ধিত পরিবার ও বন্ধুমহলে আমার এই "অনলাইনে-না-আসার" নৈঃশব্দের কেমন মানে হতে পারে। আমার ভাই আমার হয়ে কৈফিয়ত দিতে দিতে ক্লান্ত; "হ্যা, ও ভাল আছে।" "না না পারিবারিক কোনও সমস্যা হয়নি।" "না ও কোনও চাকরি করেনা, এখনও বেকার।" ইত্যাদি।

মোবাইলে ফোনের পর ফোন। "শাফ্ক্বাত তুমি ভাল আছ?" "শাফু তোকে ফেইসবুকে নক করসিলাম..." "তোমার কোনও প্রব্লেম হচ্ছে? আমাকে খোলাখুলি বলতে পার..." ব্যাপারটা সিরিয়াস হয়ে যাচ্ছে দেখে ফেইসবুকে লগিন করলাম একদিন। মেসেজ ইনবক্সে ২৬ টা আর নোটিফিকেশেন ১০৩। আবার লগাউট করে ফেল্লাম, এত পড়ার সময় ও ধৈর্য সে-সময়ে ছিলনা।

অবাক লাগছে এটা ভেবে, কী করে আমি কখন এমন ইন্টারনেট-নির্ভর যোগাযোগে জড়িয়ে পড়লাম?



চাকরি ছাড়ার পর মোবাইল নাম্বার বদলে ফেলেছিলাম। কেমন একটা আলস্য থেকে নতুন নাম্বারটা জনগণকে দেইনি। টেলিকমে কাজ করতাম বলে প্রচুর কথা বলতাম বিলের তোয়াক্কা না করে। তাছাড়া চাকরির ধরণটাই এমন ছিল যে বাসায় এসে মেয়েকে কোলে নিয়েও কান থেকে মোবাইল ফোনটা সরাতে পারতামনা। তাই অনেকটা বিরক্তি থেকেই ফোন থেকে অবসর নিয়েছিলাম কয়েক মাস।

সেবারও একই কান্ড। "সব ঠিকাছে তো?" এ-ওকে জিজ্ঞেস করে, কার সাথে আমার যোগাযোগ আছে...গেট-টুগেদারে দাওয়াত পাইনা, কেউ আমার নাম্বার জানেনা, অনেক ইমেইল, অনেক ফেইসবুকের-ওয়ালপোস্ট...আমি চুপ। মনে হতো ৬ বছরের কামলা-খাটার পর আমি মিনিমাম একবছর খালি বাসায় থাকবো। অখন্ড অবসর নিয়ে। খালি মা-মেয়ে আর ঘরবাড়ি। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং, অনলাইন যোগাযোগ, মোবাইলের বিল গোনা (বেকার হওয়ার পর বুঝতে পেরেছি ফোনবিল কী জিনিস), কিচ্ছু না। নিজের ভেতরকার "আমি" টাকে ফিরে পেতে চাইছিলাম শুধু নিজের মাঝে থেকে, আমার মেয়েদের সাথে সময় কাটিয়ে।



খুব ভাল উদ্যোগ। আসলে এই মোবাইল-ইন্টারনেট যতই উপকারী হোক না কেন...ভীষণ দায়বদ্ধ করে ফেলে। যোগাযোগ টিকিয়ে রাখার দায়বদ্ধতা। সামাজিক প্রাণী হিসেবে আমরা মানুষরাই এই মাধ্যমগুলোর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ি নিজের চারপাশে অন্যমানুষের আনাগোনা তৈরী করার জন্য। তবে যখন "নিজেকে" নিয়ে থাকার তাগিদটা প্রবল হয়ে যায়; এই যন্ত্রগুলো তখন বাহুল্য মনে হয়।



আমি চট্টগ্রাম ছেড়ে যখন ঢাকায় এলাম, রোকেয়া হলের ঠিকানায় চিঠি লিখে পাঠাতো আমার মা। সেই আম্মু এখন প্রতিদিন তিন-চারবার ফোন করে, এসএমএস করে। কত সহজ হয়ে গেছে যোগাযোগ!! কিন্তু সেই চিঠিগুলো, বারবার এপিঠ-ওপিঠ করে পড়তাম। আমার রুম-মেটরাও পড়তো। একজন মা-য়ের চিঠিতে সবার ব্যাপারে খোঁজখবর থাকতো। "শেলীকে বোলো মন দিয়ে পড়তে"... "দীপুকে জানিয়ো ওর রেজাল্টে আমি খুব খুশী হয়েছি"..."তোমাদের সবার জন্য রইলো অনেক দোয়া। ইতি-আম্মু।"

আমার প্রেম হলো, ক্লাসমেটের সাথে। ক্লাসে দুইপ্রান্তে বসে দুইজন খালি দুজনকে চিঠি লিখতাম। দিনশেষে ও বাসায় চলে যেত, আমি ফিরতাম হলে। পরদিন সকালে খুব সংকোচ নিয়ে ওর পকেটে একটা চিঠি ঢুকিয়ে দিতাম। সেই কার্ডফোনের লাইনে দাঁড়িয়ে প্রতি-রাতে ফোন করার সময় মনে হতো "কবে আমার একটা মোবাইল ফোন হবে?" হলোও মোবাইল ফোন একদিন। বন্ধ হলো চিঠি লেখা। ইতি হলো কার্ডফোনের লাইনে দাঁড়ানোর। কিন্তু এই সহজ যোগাযোগ, জীবন থেকে কী যেন একটা ছিনিয়ে নিয়ে গেল।



অনলাইনে এখন ব্লগ লিখা যায়, ডাইরির ভাত মরেছে। আমার সাহেব অফিসে খবরের কাগজ পড়েন আর আমি অনলাইনে। ঘরে আর খবরের কাগজের স্তুপ হয়না। সেদিন অনেক পুরনো এক উপন্যাস ইন্টারনেটে গিয়ে পড়লাম। গান শুনি ল্যাপটপে, ডাউনলোড করে।



কী যেন নেই, কী যেন হারিয়ে গেছে। মনে হয় যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলছি প্রতিনিয়ত। ভয় পাই, যন্ত্রনির্ভর জীবনযাত্রায় আমি যন্ত্রের মতো কাঠখোট্টা হয়ে যাচ্ছি...

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৩৪

নুশেরা বলেছেন: বিজ্ঞান দিয়েছে বেগ কেড়ে নিয়েছে আবেগ--- সেই কবেকার কথা কিন্তু এখনও কি চরম একটা সত্যি!

পুরনো চিঠির একটা আলাদা গন্ধ, আলাদা আমেজ... একটা ইমেইল কি এসএমএসে মেলে কি? মনে হয় না। কনট্যাক্টলিস্টের বহুদিনের যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন প্রিয় নামগুলোর ভাঁড়ার হাতড়ালে আবার অন্যরকম মনে হয়।

খুব, খুব ভালো লাগলো লেখাটা।

[ক্লাসমেট-প্রেমিক-বরকে সাহেব বলা হচ্ছে কেন! X(]

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৪০

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: [ক্লাসমেট-প্রেমিক-বরকে সাহেব বলা হচ্ছে কেন!

হা হা হা :)

আমার ওকে "সাহেব" বলতে খুব মজা লাগে। কর্তা বলতে আরও জোস্ লাগে। এগুলা তো বাংলা অভিধানেরই শব্দ, ব্যবহার না করলে কী করে হবে?

(যেমন নিজে যখন চাকরি করতাম তখনও ওর মানিব্যাগ ফুটাতে খুব মজা লাগতো...)

২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৩৫

নুশেরা বলেছেন: ও আচ্ছা, লেখাটা প্রিয় পোস্টে যোগ করেছি।

আশা করছি লেখালেখিতে নিয়মিত হবে :)

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৪১

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: তুমি কঠীন...
আমার লেখা এমন একজন লেখকের "প্রিয়"তে যাবে...খুশী হবো, না লজ্জা পাবো বুঝতে পারছিনা!
ধন্যবাদ!!

৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৪৭

সাগর ঢাকা বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো লেখাটা টা পড়ে.... সত্যি সেই আবেগ , অপেক্ষার পরে প্রিয়জন এর খবর পাওয়ার একটা আনন্দ ছিলো ....আর এখন সবাই আমার জন্ম দিনে ফেস বুক এ উইস করে...আগের মতো ফোন করে না ...জানতেও চায় না তার উইস পরলাম কিনা ... আবেগ এখন কিছু ইমোটিক্স এ বন্ধ , আমরা ইমো তে হাসি . ইমো তে কাদি ...আমরা অন্য দেশ এর মানুষের খোজ নেই , কিন্তু পাশের রুম এ বাবা মা কেমন আসেন খোজ নেবার টাইম পাইনা..কারণ তাদের ফেস বুক নাই ..

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৫

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: আপনি শেষ কবে হাতে বিয়ের কার্ড পেয়েছেন?
ইমেইলে অ্যাটাচমেন্ট হিসেবে একটা কার্ডের ছবি পেয়েছেন, না?
কিংবা মোবাইলে একটা রিমাইন্ডার এসএমএস??

৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:০২

শরিফ নজমুল বলেছেন: লেখা ভালো লাগলো। কেমন আছেন?

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৯

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: লেখা ভালো লেগেছে বলে ধন্যবাদ। কিন্তু বিষয়বস্তুটা আমাকে খুব আবেগী করে দেয়। কী হচ্ছে বলেন তো? অনেক কিছু লিখতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আবাগের ঠেলায় পারলাম না লিখতে।
আমি ভাল আছি (এর বাইরে কি কেউ কিছু বলে?)

আমার ছোট মেয়ে কে কে যেন মুখস্থ করিয়েছে "কেমন আছ?" বললে বলতে হয় "ভাল আছি"

:)

৫| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:২৩

পারভেজ বলেছেন: বেশ বেশ। ফের একবার স্বাগতম :)
আমরা গতি প্রাপ্ত হচ্ছি। স্থিরতা হারাচ্ছি।
এখন আর কেউ চুপ করে কোন কারণ ছাড়াই আকাশের দিকে তাকাতে ভুলে গেছে। :|

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৪৪

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: আমরা গতির সাথে তাল মিলিয়ে চলছি...চলছি, মনটা পিছিয়ে পড়ে বারবার।
সবই বদলে যাচ্ছে, খুব দ্রূত। নিজেকে বদলাতে না চাইলেও দেখি আমিও আর আগের মত নেই।
আকাশের দিকে চুপচাপ তাকানোর কারণের চাইতে আরো বড় অনেক কারণের মুখোমুখি আমরা সবাই :( ব্যস্ত জীবন!!

৬| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৫৫

রোহান বলেছেন: অনেক দিন পরে... কেমন আছেন আপু?

টেলকোতে কাজ করতে করতে মোবাইল বিল বলে কিছু যে আছে সেটাই ভুলে যাচ্ছি... তবুও চিঠি কার্ড মিস করি। এই যে ঈদ আসে যায় সবার থেকে এস এম এস পাই, ইনবক্স ভরে যায়, ডিলিট করে ফেলি... অথচ কি অদ্ভুত আমার পুরানো ফাইলে এখনও সেই ছোট্টবেলার স্কুলের বন্ধুর দেয়া ঈদকার্ড এখনও রয়ে গেছে। অনেক দিন পর পর পুরানো কার্ড, চিঠি নেড়েচেড়ে দেখার যে আবেগ, ডিলিট করে ফেলা কিংবা পিসিতে ব্যাকআপ রেখে দেয়া এসএমএস আর মেইলে কিভাবে পাবো :(

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:০৩

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: সত্যি, চাকরি তে ঢুকার পর জিএসএম টেকনোলজি র উপর একটা শর্টকোর্স করে কী যে মুগ্ধ হয়েছিলাম! ওয়াও, টেকনলোজি কত্ত ফাটাফাটি!!
এখন গালি দেই।
আমিও তো ঈদের সময় ডিলিট মারতে থাকি। ভাব ঈদের শুভেচ্ছা পেয়ে খুশী হওয়ার কথা, বরং বিরক্ত লাগে এই মেসেজের কম্পিটিশন দেখে। কে কত নতুনত্ত্বে ভাসানো এসএমএস পাঠাবে, কে সবার আগে এসএমএস পাঠাবে...
আগে হাতে গোণা কয়েকজন ছিল স্পেশাল। এখন সব্বাই স্পেশাল।
আমার এই লেখা পড়ে এক বন্ধু মাত্র ফোন করে ঝাড়ি মারলো, আমি নাকি বেশি বেশি নস্টালজিক!
বোঝো!

৭| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:১০

অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: চরম সত্য কথাগুলো অনেক সহজভাবে লিখে ফেলেছেন

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪১

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: আপনি না চট্টগ্রামে ঈদ করে এলেন? নাকি এখনও সেখানে?
আমি চট্টগ্রাম ঘুরে আসার পর খুব অস্থির থাকি, কোথায় ঢাকার অতিমাত্রায় গতিশীল কিছুটা-কৃত্রিম জীবন আর কোথায় মা-শাশুড়ীর মাঝখানে চট্টগ্রামের "পারিবারিক" জীবন!

আমার লেখাগুলো তো এরকমই! হতাশাবাদী ভেবে মানুষ আমাকে ভুল বুঝে। আসলে পুরনো অনেক কিছুই ভালো ছিল...মডার্ণ হতে গিয়ে সেই "ভাল"কিছুকে ফেলে না-দিলেই হতো!

৮| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৪

শরিফ নজমুল বলেছেন: ভালো আছি বলতে পারাটাও ভালো থাকতে সাহায্য করে। আমরা যে অবস্থায় থাকি না কেন, অনেকেই তার চেয়ে খারাপ থাকে।

আপনার বিষয়ের সাথে পুরোপুরি সহমত। প্রযুক্তি আমাদের মানবিক দিক গুলি কেড়ে নিচ্ছে। তীব্র প্রতিদ্বন্দিতা, ভোগবাদ/বস্তবাদিতা এবং টেকনোলজীর উন্নয়নের ধারায় এই পরিবর্তন আবশ্যাম্ভাবী।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৩

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: আজকালকার অনেক কিছু হাজার গুণে ভালো। কিন্তু পিছনের যেই ভালো টাকে এখন আর খুঁজে পাওয়া যায়না, সেটা হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের একেবারে ভেতর থেকে।

"বোধ" কে কি কখনও প্রযুক্তি দিয়ে রিপ্লেস করা যায়?

৯| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:১০

অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: চট্টগ্রাম থেকে লম্বা ছুটি কাটিয়ে কালকে এলাম। এবারের ছুটি অনেকটা বাসা পাহারা দিয়েই কেটেছি। চিটাগাং গেলেই কেমন জানি মনটা ভালো হয়ে যায়। এইবার একটা জিনিস খেয়াল করেছেন? চিটাগাং এ ট্রাফিক জ্যাম অনেক বেড়ে গেছে, সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাইরাইজ অ্যাপার্টমেন্ট।

ভালো বলেছেন, আমরা আসলে মডার্ন হতে গিয়ে সব ভালোকে বিসর্জন দিচ্ছি। ভালো থাকবেন।

০১ লা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৬:০২

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: হুমমম দেখেছি। হাইরাইজে থাকা শুরু করলে এখনকার মত পাড়া-পড়শীদের সাথে আত্মীয়তা হয়তো আর থাকবেনা। তবে আমার মনে হয় "কর্পোরেট দাসত্বে" বন্দী না হওয়া পর্যন্ত সেখানকার মানুষ আত্মীয়বৎসল থাকবে। আমার সবচেয়ে ভালো লাগে এই আত্মীয়-ঘেরা জীবনটা, যেটা আমি ঢাকায় পাইনা। ঢাকার জীবনে বন্ধু/কলিগের প্রাধান্য বেশী। সময় পেলে আমরা পিযযা হাটে গেট-টুগেদার করি, কারো বাসায় যাইনা। নিদেন-পক্ষে মোবাইলে আড্ডা দেই, নয়তো ফেইসবুক...
সময় পেলে আমার এ লেখাটা পড়ে দেখবেন
Click This Link

১০| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ ভোর ৫:০৪

জইন বলেছেন: আপা....ভাল লাগলো আপনাকে আবার দেখে---আপনার প্রেমের কথাটা জানতে পেরে ভাল লাগছে.......ভাল থাকুন

০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৮

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: ধন্যবাদ...

১১| ০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ৯:৪৩

নাফসানিয়াত ফাতেমা বলেছেন: khub valo lekha...shotti onek onek valo laglo..

(amar je bangla type ar sheka hoye uthche na...ki je baje lage..attogulo shundor bangla type er modhdhe nijer lekha dekle kemon jeno oshikhito lage nijeke, tao likhchi..loov shamlate parchi na bole)

Ashole amaro prai e mone hoy...amma chithi likhto..majhe majhe chithi pore kanna chole ashto..

Akbar ami akta midterm exam khub kharap diye mon khub e kharap kore boshechilam tokhon e dadu ashe akta chiti dilo ..amar bhai er chithi o class VIII e britti peyeche.(ja or moto student er kach theke kew asha koratao voyaboho shahosh er bepar chilo). Or chithi ta pore amar mon valo hoye gelo...koto baar je chithi ta porechilam...

০২ রা অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৪১

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: আমার খুব অবাক লাগে এতো সোজা বাংলা টাইপিং। বিশেষ করে আপনি যেভাবে লিখছেন, অভ্রতে সেভাবে লিখে বাংলা ফন্ট আনা যায়। কষ্ট করে একটু অভ্র ডাউনলোড করেন-না!!
অভ্র দিয়ে বাংলা লিখার সময় খালি F12 দিয়ে বাংলা/ইংলিশের মধ্যে swap করবেন, যেভাবে আমি করছি :)

১২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:৪৯

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: আপনাকে ফিরে পেয়ে ভাল লাগছে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ বিকাল ৫:২৫

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: :)
ভাল লাগলো জেনে।

১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৫৬

শওকত হোসেন মাসুম বলেছেন: নুশেরার পোস্ট সূত্র ধরে আপনার এখানে আসা। আপনি তো বেশ ভাল লেখেন। একটানা ৭/৮ টা পোস্ট পড়লাম। বেশ ভাল লাগলো।
আবার আসবো সময় করে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৫১

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: মন্তব্যে আপনার নামটা দেখেই আন্দাজ করেছিলাম আপনি নুশেরাপুর প্রিয় থেকে ঘুরে এসেছেন। আপনাকেও আমি ওনার প্রিয় থেকে খেয়াল করেছিলাম এবং আপনার সেই বিবাহবার্ষিকীর পোস্টটা পড়ে এসেছিলাম।
আমি অনিয়মিত লেখক। আপনদের মত বৈচিত্র্যময় বিষয় নিয়ে লিখতে পারিনা।
তবুও যে সময় করে পড়েছেন এবং ভালো বলেছেন সেজন্য কৃতজ্ঞতা।
(ধন্যবাদ নুশেরাপুকে-ও)

১৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:৫৭

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: পড়িলাম।

১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৪৮

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: কী?

১৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪১

দুরন্ত স্বপ্নচারী বলেছেন: পড়িলাম আপনার লেখা আর বুঝিলাম অন্তর্জাল বড়ই সুস্বাদু...!

১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩৬

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: জ্বী আচ্ছা।

১৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫১

ফারহান দাউদ বলেছেন: বাহ, বেশ!

১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১২:৩৬

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: জ্বী, বেশ বেশ...

১৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:১৪

একরামুল হক শামীম বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো লেখাটা

১৮ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ২:২৬

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনি ভালো আছেন?

১৮| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:৪৩

নাজনীন১ বলেছেন: রোকেয়া হলের সেই কার্ডফোনের লাইনে দাঁড়ানো.........মায়ের চিঠি......এখনো চিঠিগুলো যত্ন করে রেখে দিয়েছি।

আর সত্যিই ম্যাসেঞ্জার, ফেইসবুক ইদানীং অসহ্য হয়ে উঠেছে, ফোনও করি খুব কম, দরকার ছাড়া এক্টুও নয়। ইদানীং কেমন যেন কারো সাথে গল্প করতেও ইচ্ছা করে না। নিজেকে মাঝে মাঝে অসামাজিক মনে হয়, তবুও ভাল লাগে।

ভাল থাকবেন।

২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১১:০৬

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: আপনি রোকেয়া হলের ছিলেন? হলের পুনর্মিলনী হচ্ছে, জানেন?? যাবেন না???

১৯| ০৪ ঠা জুন, ২০১০ সকাল ৭:৩১

ওয়ারা করিম বলেছেন: একদম মনের কথা বলেছ, আপু। জীবন থেকে অনেক কিছুই ছিনিয়ে নিয়েছে যোগাযোগের সহজ উপায়গুলো।

০৫ ই জুন, ২০১০ রাত ১২:৫৮

শাফ্‌ক্বাত বলেছেন: সেটাই। মাঝে মাঝে মনে হয় আমরা দিক হারিয়ে ফেলেছি। যেটাকে আসলে সামনে যাওয়া ভাবছি সেটা মনে হয় পিছিয়ে পড়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.