নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সিরাতুল মুস্তাকিম চাই, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আল্লাহের গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে **** দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়েগেছে

শাহরিয়ার26

সিরাতুল মুস্তাকিম চাই, সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে আল্লাহ নেয়ামত দান করেছেন, তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি আল্লাহের গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে **** দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়েগেছে

শাহরিয়ার26 › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফেলানি হত্যার ন্যায় বিচার আমরা পাইনি পাবও না।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৫৬

আজকে নাকি ফেলানি হত্যা দিবস। বড়ই আশ্চর্য লাগে যখন দেখি বড় বড় নেতারা ফেলানি হত্যা দিবস নিয়ে বাণী ছড়ান। বাট আফসুস আমরা ফেলানী হত্যার ন্যায় বিচার পেলাম না। ফেলানী হত্যা কোনো ইন্টারনাল ইস্যু ছিলনা যে এইটা ইন্টারনালি সমাধান করেছে সরকার। এইটা ছিল একটা আন্তর্জাতিক ইস্যু, সরকারের উচিত ছিল আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া।



বড়ই আফসুস! আমরা এতই হতভাগা জাতি। আসুন এইবার দেখি কেন ফেলানীর ন্যায় বিচার সম্ভব নয়ঃ



কেন ফেলানির ন্যায় বিচার ইম্পসিবল: তৎকালীন লর্ড কার্জন কর্তৃক বঙ্গ ভঙ্গ-এর তৎপরতার বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ানরাই তীব্র বিরোধিতা করেছে। লর্ড কার্জন স্বয়ং তার ইত্রিকে লিখেছিলেন-“ পূর্ব বঙ্গ আলাদা করার বিরুদ্ধে পুরোদমে হৈ-ছৈ চলছে, কিন্তু এ পর্যন্ত কোনো যুক্তি দেখানো হয়নি।” অবশেষে ১৯০৫-এর ১৬ অক্টোবর, যখন বঙ্গ ভঙ্গ ডিক্লেয়ার করা হল তখন ইন্ডিয়ানদের মাঝে তীব্র থেকে তীব্র উত্তাপ ও উত্তেজনা দেখা দিল, ১৬ অক্টোবর ইন্ডিয়াতে পালিত হয় ধর্মঘট, গঙ্গাস্নান এবং রাখি বন্ধন।

চিন্তার বিষয় এইদিনের এক শোভাযাত্রায় রবিন্দ্রানাথ ঠাকুর ছিলেন অগ্রভাগে এবং অনেকের হাতে বেন্ধে দিয়েছিলেন রাখি। তখন বর্ণ হিন্দুদের অনেকেই বঙ্গ ভঙ্গ কে “বঙ্গ মাতার অঙ্গচ্ছেদ’ বলে চিনহিত করেছে। আসলে তারা বঙ্গ ভঙ্গ-এর কারণে নানাবিধ স্বার্থ হানির বিপদ দেখতে পেলেন। একপর্যায়ে তারা এটাকে বাদ দেয়ার জন্য সুকৌশলে “স্বদেশি” আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক আন্দোলনের ডাক দিলেন। দ্রুত গতিতে বঙ্গ ভঙ্গ বিরোধী আন্দোলন হিন্দু লিডারদের হাতে চলে গেল। ১৯১১ এর ১১ ডিসেম্বর, হিন্দু লিডারদের প্ররোচনায় কারো সাথে কোনো আলোচনা না করে ডেল্লির দরবার থেকে এমপেরর ৫ম জর্জ বঙ্গ ভঙ্গ রদ ঘোষনা করলেন। এ বিষয়ে তৎকালীন কোআর্টার রিভিউ তে লেখা হয়েছিল-“বন্ধুকে পদাঘাত করে শত্তরুকে খুশি করার এইরূপ মাছিআভেল্লি- নিতি এমন নির্লজ্জ ভাবে অতীতে আর কখনো নেয়া হয়নি।” এভাবে পূর্ব বাংলার সাথে বাদরামি করা হল।



এইবার অন্য কথায় আশা যাক, বঙ্গ ভঙ্গ রদের ফলে পূর্ব বাংলার প্রতিবাদ মুখর মুসলিম জনগণকে শান্ত করার মানসে গভর্নর জেনারেল লর্ড হার্ডিঞ্জে ১৯১২ তে ঢাকায় আসলে নোয়াব ছলিমুল্লাহ তার সাথে দেখা করে ঢাকায় একটি ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার জোর দাবি জানালে বড়লাট দাবি মেনে নিলেন এবং ঢাকায় একটি ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার ঘোষনা দিলেন। শুরু হল ইন্ডিয়ান হিন্দুদের মাঝে তীব্র বিরোধিতা, তাদের ভাষায় “এর দরুন বাঙ্গালি জাতি বিভক্ত হয়ে পরবে এবং তাদের মাঝে বিরোধিতার মাত্রা বেড়ে যাবে, পূর্ব বাংলার মুসলিমরা কৃষক, তাই তারা ইউনিভার্সিটির মত জায়গা থেকে কোনো উপকার লাভ করতে পারবে না।” বর্ধমানের রাশ বিহারি ঘোষ বলেন “ ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা হবে ইন্টারনালি বঙ্গ ভঙ্গ এর সমান।” বাবু ত্রৈলোক্যনাথ বসু বলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠিত হলে শিক্ষার অবনতি হবে, তাই এটার প্রয়োজন নেই” এভাবে তীব্র বিরোধিতার ফলে ১৯১২তে ঘোষনা দেয়া হলেও দীর্ঘদিন ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। অবশেষে ১৯১৭তে নাথান কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ঢাকা ইউনিভার্সিটি এক্ট পাশ হয়। এতে ও অনেকে বিরোধিতা করেন। মজার বিষয় হল তীব্র বিরোধীতার মাঝে ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা হলেও এর কোনো এফিলিয়েটিং পাউআর ছিলনা। অতঃপর নোয়াব ছলিমুল্লার দান করা বিশাল এস্টেটের উপর ১৯২১এ ঢাকা ইউনিভার্সিটি এস্টাব্লিশ করা হল। হিন্দু লিডাররা এটিকে মক্কা ইউনিভার্সিটি কখনো পাক্কা ইউনিভার্সিটি বলে কটাক্ষ করা শুরু করলো। এই হল পূর্বে বাংলা (বাংলাদেশ) সম্পর্কে ইন্ডিয়ানদের মনোভাব।



এবার ইন্ডিয়ার রিসেন্ট ইন্টারনাল আইন ও আদেশ অবস্থা দেখা যাক। এখন পেপার পত্রিকায় চোখ্ রাখলেই বুঝা যায় সেখানে প্রতিনিয়ত ধর্ষন নামক বিবেক বিবর্জিত কর্মকাণ্ড ঘটেই চলেছে। সেখানে বাস , ট্রেইন এ লোক সমক্ষে মেয়েরা ধর্ষিত হচ্ছে। বিদেশি নারী পর্যন্ত বাদ নেই, ছে দেশের ধর্ম উপাসনালয়ের ধর্ম গুরু পর্যন্ত লাস্যময়ী তরুণীর দেহ ভোগ করতে নিজের বিবেক কে বিকিয়ে খুয়ে দিচ্ছে। এই দেশের এ বিচার বিভাগের কাছে বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের বহুল আলোচিত ফেলানি হত্যা মামলার ক্রিমিনাল অমিয় ঘোষের বিরুদ্ধে বিচার ছাউয়া হলে দীর্ঘ নাটকের পর রিসেন্টলি অফেন্ডার কে খালাস করা হয়েছে।



এইবেপারে অনেক আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। আমি বলি উপরের দুই একটি ঘটনা দারা যদি তাদের মন মানসিকতার পরিচয় স্পষ্ট হয়ে উঠে তাহলে কি করে ভারতীয় আদালতে ফেলানি হত্যার খল নায়কের শাস্তি তথা ফেলানির ন্যায় বিচার আশা করা যায়? তারা তো এজন্যই চায়নি যে পূর্ব বাংলার জনগন লেখাপড়া করুক আর তারা সচেতন জাতি হিসেবে আবির্ভূত হোক। ঢাকা ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠার পিছনে বিরোধিতার কারণ কি ? আজ বাংলাদেশের জনগণ যদি শিক্ষা এতদূর না এগোত তাহলে হয়ত বা ফেলানির বিচার চাওয়ার জন্য ভারততের আদালতে যাওআর মত সাহস ও সচেতনতা থাকতো বলে মনে হয় না। BSF এরকম কত ফেলানিকেই তো মেরেছে, মারছে এবং মারবে, তারপরেও বাংলাদেশের মানুষ সম্বিত্ ফিরে পাবে কি

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২২

রেদওয়ান খান বলেছেন: অধিকার কেউ কাউকে দেয়না, আদায় করে নিতে হয়।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

শাহরিয়ার26 বলেছেন: Right

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.