নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বগুড়ার সোনাতলাতে কোচিং থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা সফরে যাওয়ার কারণে অর্ধশতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে নির্মমভাবে পেটালেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সোনাতলা উপজেলার হুয়াকুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজন হচ্ছে সোহান (১০), আল কাবুল (৯), পাভেল (১০), সাব্বির (৮), কুলসুম (৯), শাহনাজ (১০), রিয়াদ (৯), সৈকত (৯), হাসানুর (১০), শাফি (৯), কুসুম (৯), উপসা (১০)।
বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা জানায়, হুয়াকুয়া গ্রামের আদর্শ কোচিং সেন্টারে ওই বিদ্যালয়ে শতাধিক ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করে। লেখাপড়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের মনোযোগী করতে গত ২৩ মার্চ দিনাজপুর স্বপ্নপুরীতে আদর্শ কোচিং সেন্টার থেকে যাওয়ার জন্য তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা গত ২২ মার্চ ছুটির আবেদন করে। কিন্তু ছুটির আবেদন গ্রহণ করেননি বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক উম্মে কুলসুম। গত ২৩ মার্চ শিক্ষা সফর শেষে আজ সোমবার ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে গেলে শিক্ষা সফরে যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের এক রুমে ডেকে নেন প্রধানশিক্ষক। তারপর বেত দিয়ে তাদের বেদম প্রহার করা হয়। এতে অর্ধ শতাধিক ছাত্রছাত্রী আহত হয়।
বিষয়টি জানতে পেরে বিুব্ধ অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে গেলে কৌশলে প্রধান শিক্ষক উম্মে কুলসুম ও তার স্বামী সহকারী শিক্ষক আশাদুল বারী বিদ্যালয় থেকে পালিয়ে যান।
উপজেলা প্রাথমিক সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজ কবির জানান, তিনি মৌখিকভাবে বিষয়টি জেনেছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এল বি ডি নিউজ
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: সহমত ।।
শিক্ষাব্যাবস্থায় নৈরাজ্যের চিত্র এটি ।
২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:১০
ইসপাত কঠিন বলেছেন: আমার ছাত্রজীবনে যদি এইরকম মিডিয়া থাকত তাহলে পত্রিকার প্রথম পাতায় আমার ছবি থাকত আর টিভি চ্যানেলে আমাকে নিয়েই লিড নিউজ হত। আর আমার মা শিক্ষক পেটালে কোন অভিযোগ তো করতেন ই না বরং গৃহশিক্ষক বকা দিলেই আস্তে করে বেত দিয়ে যেতেন। একবার স্কুল থেকে এই ছবিটার চাইতেও ভয়াবহ দাগ নিয়ে এসেছিলাম। তখন আমার মা গরম পানিতে নিমপাতা দিয়ে গোসল করিয়ে দিয়েছিলেন। শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেন নি।
এখন সমীকরন মেলাতে পারি না, আমি বেশী দুষ্ট ছিলাম না কি আমার শিক্ষকরা বেশী নির্মম আর আমার মা বেশী নির্লিপ্ত ছিলেন। শুধু এতটুকু বুঝি যে আজ আমি যে অবস্থানে এসেছি তার জন্য আমি আমার মা এবং শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ।
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১০:০৭
শাহ আজিজ বলেছেন: ওটা একটা সময় ছিল যখন শিক্ষক মানুষ তৈরিতে ব্রতি থাকত । এখন ব্রতী ক্যাডার তৈরিতে । আমার মার খাওয়ার অভিজ্ঞতা তেমন নেই তবে দেখার অভিজ্ঞতা বেশী । আমি ছাত্রকে শাসন করতে দিতে রাজি কিন্তু ব্যাক্তি প্রতিশোধে ছাত্রকে মারধর ও মানসিক অত্যাচার কাম্য নয় । শিক্ষকরাও বড়সাহেবদের লোকজনের দ্বারা উত্তম মধ্যমের শিকার হন । এখানকার দন্ধ টি কোচিং বনাম স্কুল এর মধ্যে।
৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:২২
রাবার বলেছেন: ভয়ানক
৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৮:৫৫
ফিলিংস বলেছেন: স্কুলবাদ দিয়ে আদর্শ কোচিং সেন্টারের সাথে পিকনিকে যাওয়াটা ঠিক হয়নি। স্কুল ছুটির দিন যেতে পারত। তবে অবশ্যই প্রধান শিক্ষকের
এমন করা উচিৎ হয়নি।
২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ৯:৩১
শাহ আজিজ বলেছেন: মনে হয় স্কুল ও কোচিং এর দন্ধের ফল এটি ।
৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৪ সকাল ১১:৫৩
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: শিক্ষক মেরেছে তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই নেই। আজকাল এই সববিষয় নিয়ে যে ভাবে হৈচৈ হয় তাতে মনে হয় শিক্ষক না জানি কত্ত অন্যায় করেছে। এর চেয়েও বড় অন্যায় করে অনেকে কিন্তু তাদের লোমও ছিড়তে কেউ পারে না।
আর এই তিলকে তাল বানানোর জন্যই সমাজ থেকে সম্মান বোধ উঠে যাচ্ছে। শিক্ষক এবং গুরুজনদেরকে তো এখন কোন সম্মানই দেওয়া হয় না অথচ এই শিক্ষকরাই একদিন আমাদের হাত ধরে ক খ গ লেখা শিখিয়েছিলেন যখন আমরা কিছুই জানতাম না। এখন আমরা অ-নে-ক বড় ডিগ্রি নিয়েছি কত্ত বড় আমাদের সম্মান আর সামান্য ঐ ব্যটা শিক্ষকতো মাত্র মেট্রিক পাশ। তাই নয় কী?
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:০৫
ইমাম হাসান রনি বলেছেন: শেম শিক্ষক নামে কসাই