নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মরে যায় । বাবা মা মরে গেলেন , বন্ধুদের কেউ কেউ মরে গেছে, প্রতিবেশী অনেকে, আর আত্মীয় স্বজন তো আছেই । তাদের হৃদ স্পন্দন শেষ হয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে। তারা তখন আমাদের আর কেউ হন না শুধুই মৃতদেহ , মুর্দা বা লাশ । তাকে তার বিশ্বাস অনুযায়ী সৎকার করা হয় কবর দিয়ে না হয় পুড়িয়ে । মুসলিমরা মুর্দাকে গোসল করায় এবং সাদা কাপড়ের কাফন পরিয়ে কবর দেয় । হিন্দুদের সাধারনত বিছানাপাতি সহ চিতায় তুলে দাহ করা হয় । বিশেষ লোকেদের ক্ষেত্রে আলাদা ব্যাবস্থা ।
সবাই লেখে তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন । এই না ফেরার দেশটা কোথায় ? যাকে গোরে রেখে এলাম তিনি না ফেরার দেশে গেলেন কখন ? একজন অভিনেতা লিখছিলেন আল্লাহ তাকে নিশ্চয়ই ভালো রেখেছেন!! আত্মায় বিশ্বাসীরা অবশ্য একটু ভিন্ন কথা বলেন । তারা বলেন প্রতিটি মৃত মানুষের আত্মা আমাদের আশেপাশেই থাকে । বিশেষ দিনে তাদের রূহ দোয়া চাইতে আসে । একটি ওয়েবে পড়ছিলাম যে যারা আত্মায় বিশ্বাসী নন তারা প্রমান করতে পারেননি যে আত্মা নেই । আবার আত্মা বিশ্বাসীরা আত্মার উপস্থিতি প্রমান করতে পারেন নি ।
এভাবেই ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাসীরা তাদের কাজ প্রায় বিরোধহীনভাবে চালিয়ে যান । মিলাদ, স্মরণসভা , স্মৃতিচারন , গরীবকে দান ও পানাহার করিয়ে তারা প্রিয়জনকে স্মরণ করেন ।
দেহ পচে গলে যায় কদিনেই বাকি থাকে হাড়গোড় । ওগুলো অনুকুল পরিবেশ পেলে লক্ষ বছর পর্যন্ত টেকে । মানুষ দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে মৃত মানুষটির জন্য বেহেস্ত ফরিয়াদ করে । কিন্তু কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষার কি হবে । সবার বিচার হবে তারপর সবাইকে তাদের পাওনা বুঝিয়ে দেওয়া হবে এইতো প্রচলিত বিশ্বাস বা কিতাবেও তাই লেখা আছে কিন্তু বলা হয় অন্যভাবে। এক মৌলানাকে পাকড়াও করলাম এর ব্যাখ্যা দিতে । সে বোধকরি এহেন বিপদে জীবনেও পড়েনি । তার বয়ান অপূর্ণ । একজন বলল এই সময় রুহরা হ্যাঙ্গিং অবস্থায় থাকে , নাহ হল না । যাই হোক এক অজানা নিয়মে আমাদের এই আলোবাতাস পূর্ণ পৃথিবীতে মানুষের যৌন ক্রিয়ায় উভয়ের বীর্য নিষিক্তের মধ্য দিয়ে এক অলৌকিক উপায়ে মানুষের জন্ম হয় ।তার গ্রন্থি সমুহ বাড়ে, বাড়ে বুদ্ধি বৃত্তি এবং সে কর্মঠ হয় ,রাখে পরবর্তী প্রজন্মের চিহ্ন এবং একসময় গ্রন্থিতে ভাটা পড়ে । পৃথিবীর অলঙ্ঘনীয় নিয়মে সে তার জায়গাটুকু ছেড়ে দেয় পরের প্রজন্মের জন্য । এক ভয়াবহ দুর্লঙ্ঘনীয় নিয়মে তার হৃদয় বৃত্তির কোষগুলো থেমে যায় শক্তির অভাবে , এভাবেই সে গত হয় । জীবনের চলমান গ্রন্থি সমুহের থেমে যাওয়া বা ছেদ পড়াকে মৃত্যু বলা যায় । কোন মৃত মানুষ আজাবধি ফিরে আসেনি বলেই জানা যায়নি মৃত্যুর বোধ, যন্ত্রনা ও অন্যান্য অলৌকিক বিষয় । ঈশ্বর যদি সবি খোলাসা করে দেবেন তাহলে তিনি এই অনন্ত অসীম ইউনিভার্স কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারতেন না । পরজন্ম বলে কিছু নেই।
একধরনের নিজস্বতা বোধ থেকে এই লেখার উৎপত্তি ।
০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৮
শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের জীবন একটি নির্দিষ্ট অ্যাসাইনমেনট । আমরা তা সম্পন্ন করি এবং মাটির সাথে মিশে যাই । এর পরিবর্তন নেই । মনে হয় প্রোগ্রাম করা।
২| ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ৯:২৪
পংবাড়ী বলেছেন: মানুষের ফিজিক্যাল প্রসেস থেমে গেলে মানুষকে মৃত ধরা হয়; তারপর সব প্রাণীর মত তার দেহ মিশে যায়, এখানেই শেষ!
০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১০:১২
শাহ আজিজ বলেছেন: সঠিক ।
৩| ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ১১:৪৪
মামুন রশিদ বলেছেন: মৃত্যুবোধ বা ভাবনাগুলো বেশ টানে । কেউই নিশ্চিত নয়, তবু একেকজন ভেবে যায় একেক রকম ।
০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮
শাহ আজিজ বলেছেন: এই ভাবনার জগতে নিবিড়তা আনতে পেরেছেন বলেই তিনি পরমেশ্বর !!!
৪| ০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:০৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
গভীর ভাবে ভাবার আছে।
০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১১:৫১
শাহ আজিজ বলেছেন: ------ পারে লয়ে যাও আমায়-------
৫| ০৩ রা জুন, ২০১৪ সকাল ১০:০৬
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কেমন জানি মনে হচ্ছে!
৬| ০৬ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪
সত্যের পথে আরিফ বলেছেন: আপনি আপনার বেচে থাকা নিয়ে ভাবুন! দেখুন আপনি যে বেচে আছেন সেটাই আযীব ব্যপার। যিনি এত সুন্দর করে বাচিয়ে রাখতে পারেন উনি কি মরিবার পোর...............।
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:০১
শাহ আজিজ বলেছেন: পৃথিবীতে এর থেকে বেশি রহস্যময় আর কিছু নেই যে আমি বেচে আছি , ভাবতে , খেতে, কাজ করতে , ভালবাসতে পারছি । রহস্যই ঈশ্বরকে মহাকালে নিয়ে গেছেন ।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কঠিন বিষয়। বুঝা কঠিন।
মৌলিক বিষয়ে মানুষ এক মত হলেও ধর্মের ক্ষেত্রে মতভেদ রয়েই গেল। তাই মৃত্যুর পর কি হবে এই নিয়ে কোন সঠিক সমাধান নেই।
পোস্টে ++++