নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চীনে প্রায় ৪০ কোটি ইন্টারনেট ব্যাবহারকারি আছে।এদের সবাই যে ২৪ ঘণ্টা নেট ব্যাবহার করে তা নয় তবে এটি একটি গড় হিসাব। একটি সাইবার ক্যাফেতে ৫০০ থেকে ৬০০ কম্পিউটার থাকে। ছোট গুলোয় কম করে হলেও ২০০ । যারা ক্যাফেতে বসে তাদের বাড়িতে কম্পিউটার নেই। এগুলো গুয়াংটৌউ বা ক্যান্টন , শেনটেন, সাংহাই , বেইজিং ইত্যাদি বড় শহরের দৃশ্য । ছোট শহরে তেমন উদ্যোগ নেই এই বিনিয়োগে ।আমার ধারনা নেই ঠিক কি পরিমান কম্পিউটার লোকেদের হাতে আছে । তবে যেসব অফিসে গেছি সেখানে যোগাযোগের বড় মাধ্যম হচ্ছে কম্পিউটার । সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের মা বাবারা স্কুল ছাত্রদের কম্পিউটার কিনে দেন। তাদের বিশাল আকারের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আছে তিনটি। বাকি ১৩/১৪ টি মাঝারি ও ছোট মাধ্যম রয়েছে । সন্ধ্যার পর এই মাধ্যমগুলো গর্জন করে ওঠে। সাম্প্রতিক সময় কিশোরদের মধ্যে কম্পিউটার আসক্তি বেড়ে গেছে। গেমস প্রস্তুত কারী প্রতিষ্ঠান গুলো নিত্য নতুন গেম তৈরি করে বাজারে ছাড়ে আর এইসবের সবচে বড় গাহাক হচ্ছে এই শিশু কিশোররা । বড়রাও পিছিয়ে নেই গেমসে , তারা খেলে সমান তালে। আমি মাঝরাতে হোটেলের কাছে সাইবার ক্যাফেতে কিছু লোককে দেখেছি জমিয়ে গেমস খেলছে আর সিনেমা দেখছে । হোটেলে রুমে বসে নেট ব্যাবহারের মুল্য খুব চড়া । যাহোক এই গেমস আসক্তি ছেলেপিলেদের পড়াশুনায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছিল আর তাই বাবা মা নিতান্ত বাধ্য হয়েই ছেলে মেয়েদের শিশু সংশোধনী কেন্দ্রতে রেখে আসতে শুরু করেছে। এই অবাধ্য শিশু কিশোররা সামরিক কায়দার জীবনযাপন করে এখানে।প্রায় ২৫০ টি বুট ক্যাম্পের তালিকা পাওয়া গেছে যার সবটাই সামরিক বাহিনী দ্বারা পরিচালিত। সকাল থেকে নানা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তারা একটি নিয়ম ও শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনে অভ্যস্থ হয়ে ওঠে। নিজ নিজ কাপড় ধোয়া, একসাথে খাওয়া, ক্যাম্পের খাটে ঘুমানো, ভোরে ওঠা , টি ভি ও কম্পিউটার বিহীন জীবনে মাস খানেক থাকলে একটু সাইজ হয় আর কি। তবে এর মধ্যে কোন এক ক্যাম্পে এক কিশোর নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যাবার পর বাবা মা সবাই উদ্বিগ্ন হয়ে খোজ খবর নেওয়া এবং সরকারের সঙ্গে বোঝা পড়া করেছেন। কোন ক্যাম্পে শারীরিক নির্যাতনে রক্তপাতের দৃশ্য সম্বলিত ছবিও ছাপিয়ে দিয়েছে সাংবাদিকরা । এসব সংশোধনী ক্যাম্পের জন্য অভিভাবকদের ভালো পরিমান অর্থ দিতে হয় ।
আসুন ক্যাম্পের প্রতিদিনের কিছু কার্যক্রম দেখি ছবিতে ।
কিন্তু আসলেই কি আসক্তি কমছে ?
একটি সাইবার ক্যাফের দৃশ্য।সব খোলামেলা এবং আরামদায়ক চেয়ার অবশ্যই এ সি যুক্ত ।
২| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১১:০২
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ইন্টারেস্টিং ইন্টারনেট আসক্তি নিয়েও নিরাময় কেন্দ্র !!!
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৪
মামুন ইসলাম বলেছেন: @ইলি বিডি বলেছেন বস আমাদের মাদক্সক্ত ও কিশোর সংশোধন কেন্দ্র গুলো এই রকম হলে ভালহত তাইনা।সহমত ।
যাক ভাল একটি পোষ্ট সিয়ার করেছেন । যে ভাবে আমাদের দেশে নেট ভাইরাস নামক ভাইরাসটি ঘরে ঘরে প্রবেশ শুরু করেছে তাতে এধরনের কিছু নিরাময় কেন্দ্র আমাদের দেশেও প্রয়োজন আছে ।
শুভেচ্ছা নিবেন
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৩
ইলি বিডি বলেছেন: বস, আমাদের মাদক্সক্ত ও কিশোর সংশোধন কেন্দ্র গুলো এই রকম হলে ভালহত তাইনা। পোস্ট ভাললাগসে।ধুইন্না।