নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ

চারুশিল্পী , লেখক

শাহ আজিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বালক না বালিকা? ।। অনুগল্প

০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

আমরা কজন হাসপাতালের বারান্দায় দাড়িয়ে । নিচেই বড় লম্বা বাগান যার চারিধারে ইট বিছানো রাস্তা।সকাল বিকাল অন্য দালান থেকে অনেক রোগী আসে এখানে হাটতে। প্রতিটি চীনা রোগী একবার উপরের এই উন্মুক্ত বারান্দায় তাকিয়ে দেখবেই।আমরা ভিন্ন ভিন্ন দেশ থেকে এসেছি আর এটাই ওদের কাছে খুব আগ্রহের কারন। কেউ কেউ দাড়িয়ে আমাদের প্রশ্ন করে কিন্তু দুঃখিত আমরা কেউই চীনা ভাষা জানিনা। আমার দুচারটে শব্দ জানা থাকলেও তা কাজে দেয়না । আমি পাশে দুটি আফ্রিকান শিশু নিয়ে দাড়িয়ে। ছেলেটির বয়স ৬ আর মেয়েটি ১০ হবে।আমরা নিজেরাও অচল কারন ওরা দু ভাই বোন ফ্রেঞ্চ ভাষী , আমি ফ্রেঞ্চ পারিনা ইংলিশ ছাড়া।কিন্তু তাতে কিছু আসে যায়না।দুজন যখনি ইচ্ছা করে লাগোয়া দরজা দিয়ে আমার কেবিনে ঢুকে আমার বিস্কিট ও কুকিজ এর টিনটা খুলে নিশ্চিন্তে নিয়ে যায় ও খায়।আমি বন্ধুকে ফোনে বলি আরও বিস্কিট নিয়ে আসিস। আমার খুব ভালো লাগে যখন দেখি পিচ্চিটি নির্বিবাদে কুকিজ খাচ্ছে আমাকে থোড়াই কেয়ার করে। সে আবার ভালো নাচে যখন আমি টেপ রেকর্ডার ছেড়ে মিউজিক বাজাই। আমি বিছানায় এলিয়ে ওর নাচ দেখি। অতি আগ্রহীরা বেশ কিছুক্ষন দাড়িয়ে গভীর পর্যবেক্ষণ করে এবং চলে যায়। কোন প্রশ্ন এলে মাথা দুলিয়ে না করে দেই। কেউ একজন অল্প ইংরেজিতে যা বলল তা হচ্ছে ছোটটি কি বালক না বালিকা? হ্যাঁ আসলেই ছোটটিকে বেশ রহস্যময় মনে হয়। আরও রোগী জড়ো হয়েছে উত্তর জানার জন্য। এই একঘেয়ে জীবনে আনন্দ আনার একটা কুবুদ্ধি মাথায় খেলে গেল। একটু মজা করি না হয়! আমি অকে ওর ওভারকোট সরিয়ে ওর হাসপাতাল পোশাক আর সুয়েটার দুহাত দিয়ে উচু করে ধরতে বললাম । ও তাই করল ভীষণ সুবোধ বালকের মত।ও আমার কুকিজের ভালোবাসায় পড়ে গেছে। ওর পাজামার রশিটা টান দিয়ে খুলে ফেললাম । নিচে পিনপতন নিস্তব্দতা । পাজামা আর মোটা আন্ডারগার্মেন্টস টেনে নিচে নামিয়ে ওদের বললাম,হেয়ার উই আর ! হাসতে হাসতে কজন লুটিয়ে পড়ে গেল , তালির আওয়াজ আর হই হই রবে আরও রোগী যারা ব্যাপারটা টের পায়নি তারা বাগান তছনছ করে এগুতে লাগল। দূরে ঘুমটি ঘরের দারোয়ান ব্যাপারটি খেয়াল করে নিরাপত্তায় কোন বিঘ্নতা ঘটেছে কিনা তা দেখতে এগুলো, বিদেশী মেহমান বলে কথা। আমি চটজলদি ওর পাজামার রশি দ্রুত লাগিয়ে জামা ছেড়ে ফিট ফাট বাবু করে তাকিয়ে রইলাম দূরে। লোকেরা সরে গেছে দারোয়ানকে আসতে দেখে। এবার দারোয়ান উপরে তাকিয়ে হাসির কারন খুজতে লাগল।
আমি তার দিকে তাকিয়ে ঘাড় উচিয়ে বললাম নাথিং হ্যাপেনড কমরেড!!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:০৪

হানিফ রাশেদীন বলেছেন: ভালো লাগা রইলো।

২| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:৫৭

নিরীহ বালক০০৮ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।মজা পেলাম। :-)

৩| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:২০

তাশফিকাল বলেছেন: :D :D :-/ :P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.