নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ট্যাক্সি ড্রাইভার অ্যালান হেনিংসকে শিরচ্ছেদের পর গর্জে উঠেছে ব্রিটেনের মুসলিম সমাজ। আলান হেনিন্সকে ঠিক কোরবানির দিন শিরচ্ছেদের মাধ্যমে আইসিস এর জঙ্গিরা কাচকলা দেখাল মুসলিম কমুনিটির আহবানকে। অ্যালান সিরিয়াতে গিয়েছিল শরণার্থী শিবিরে ব্রিটেনের পাঠানো ত্রান সামগ্রী নিয়ে । তার সঙ্গী কাশিম জামিল তার সঙ্গে ছিল সিরিয়ার মুসলিম শরণার্থী শিবিরে। ওই কনভয়ের সব সহসাথী এই ভিডিও দেখে কেদেছে ব্রিটেনে বসে। জামিল অ্যালানকে একজন নিবেদিত ত্রানকর্মী উল্লেখ করে তার বেহেস্ত কামনা করেছেন। জামিলের ধারনা ছিল ওরা ত্রান কর্মীদের কিছু করবেনা , সেরকমটাই আশ্বাস জামিল দিয়েছিলেন অ্যালানএর পরিবারকে। জামিলের হৃদয় ভেঙ্গে টুকরা হয়ে গেছে বন্ধুর হত্যা দৃশ্যে ।জামিল কাদতে কাদতে বললেন সে একজন ভালো হৃদয়বান মানুষ ছিল , ছিল অন্তপ্রান, আল্লাহ তার একজন ফেরেস্তাকে তুলে নিলেন দুনিয়া থেকে।
হারুন খান ,ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল, মুসলিম কাউন্সিল অফ ব্রিটেন , প্রায় ৫০০ মুসলিম সোসাইটির প্রতিনিধিত্ব করে বলেন গতকাল এমনই এক দিন ছিল যা মহিমান্বিত, ক্ষমা ও পরিত্রানের দিন ,আর ঠিক সেই দিনে ইসলামের ভুয়া নামধারী এইসব অসভ্য একজন ভালো মানুষকে হত্যা করল? কে চেনে তাদের? ওরা ইসলামের কেউ না। ওরা ধর্মকে হাইজ্যাক করেছে। আমরা আশা করেছিলাম অ্যালানকে মুক্তি দেবে ওরা কারন সে একজন নিবেদিতপ্রান ত্রান কর্মী । আমরা ম্যানচেস্টার বাসী সবাই ভীষণ ব্যাথিত।
দৃশ্যত ব্রিটিশ মুসলিমরা বেশ ভীত হয়ে আছে স্থানীয় ক্রিশ্চিয়ানদের আক্রমণের ভয়ে। ব্রিটেন থেকেও কিছু যোদ্ধা আইসিস এ যোগ দিয়েছে। অ্যালানএর দুই শিশু সন্তান শোকে স্তব্দ । ম্যানচেস্টারের মসজিদে অ্যালানএর জন্য নামাজ পর্যন্ত আদায় করেছে স্থানীয় মুসলিমরা। ক্যামেরুনের যুদ্ধে যোগ দেওয়ার ঘোষণার পর এই ব্রিটিশ নাগরিকের শিরচ্ছেদ ঘটলো ঠিক কুরবানির দিনে ।
ম্যানচেস্টারের মসজিদে অ্যালানএর জন্য নামাজ পর্যন্ত আদায় করেছে স্থানীয় মুসলিমরা।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০৬
শাহ আজিজ বলেছেন: শিরচ্ছেদ হওয়া অ্যালান আমাদের কেউনা কিন্তু মন ছুয়ে দিয়েছে সবার । আমি একসময় রেডক্রসের সেচ্ছাসেবী ছিলাম ।
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৮
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: কিছু বলার ভাষা নেই । শয়তানের চেয়েও বড় শয়তান হল ইসলামের নামে এইসব জঘন্য কাজকর্ম করে বেড়ানো ইবলিশগুলো ।
ভালো থাকবেন ।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৫৮
শাহ আজিজ বলেছেন: আরবদের বড় সুবিধা হচ্ছে জোব্বাটা গায়ে লাগিয়ে গুলি শুরু করলেই সব সহি। বিপরীতে সউদরা মার্কিন সেনাদের ভাড়া করে আনলে তা হয় গুনাহ এ কবিরা । আজ ব্যাপক আক্রমন হয়েছে আইসিসের ওপর । মারা গেছে অনেক সাইকি যোদ্ধা। বিপদে ফেলে দিল ফ্রাঞ্চ , ইউরোপের অন্যান্য শহরে বসবাসরত মুসলিম যাদের টিনএজ ছেলেমেয়েদের ভাগিয়ে এনেছে জঙ্গি হবার জন্য । তেলের পয়সার জোর খুব । জোর একবারেই কমিয়ে দেওয়া যায় কিন্তু মার্কিন সেনাদের খরচ কে দেবে? দুষ্ট লোকেরা বলে আইসিস নাকি মার্কিনীদের সৃষ্টি। আজ আলশাবাবকে হটিয়ে সোমালিয়ার সেনারা দখল করেছে ওদের মুল ঘাটি । এবার আল শাবাব ফেরার ডাকাত হয়ে ঘুরবে আফ্রিকার পথে প্রান্তরে।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:০৬
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: একই কর্ম যদি জঙ্গী খ্রীস্টানরা বৃটেনে বা আমেরিকায় করে, আইএস কি একবারও বৃটেন, আমেরিকা, ইউরোপের মুসলমানের কথা ভাবল না? অবশ্য এরা নিজেরা বাদে কাউকে মুসলমান ভাবে ন।
০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০৩
শাহ আজিজ বলেছেন: আরবদের গাদ্দারির ইতিহাস জানা না থাকলে পড়ে নেবেন । নিজেরাই একদা ফকিন্নির পুত আছিল , অহন আমাগো কয় মিসকিন । ওরা নিজের রুটি আর লিঙ্গের ব্যাবহার ছাড়া আর কিছু বোঝেনা। পৃথিবীর অন্যান্য আরব জাতি নিয়া ওদের মাথা ব্যাথা নাই ।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫
রোদেলা বলেছেন: মনটাই খারাপ হয়ে গেলো।