নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ও আমার চাচাত ভাই একজন ফুটবল খেলোয়াড়ের বাড়িতে যাচ্ছি। এটা একটা গুরু দায়িত্ব এবং খেলোয়াড় বাগাতে আমাকে যেতে হচ্ছে একজন আয়োজক হিসাবে। স্কুলের শেষ পর্বে আমি,গ্রামে নির্বাসিত জীবন কিন্তু আনন্দ যথেষ্ট।আমরা পশুর নদীর বেড়িবাধ ধরে পশ্চিম দিকে এগুচ্ছি। কলেজের পর আর কিছু নেই । একদিকে নদী আর একদিকে ধানক্ষেত। আমরা ত্রিমোহনায় পৌঁছে গেলাম। ঘুরে তাকিয়ে দেখলাম আমাদের বাড়ির অংশ, মসজিদ , সরকারী দালান কোঠা । প্রায় আড়াই কিলোমিটার হবে। নদী এখান থেকে বাক নিয়ে মংলার দিকে গেছে। আর ছোট নদী ঢুকে গেছে হুড়কা গ্রামের ভিতর। আমাদের সামনে একটি চওড়া খাল । বেশ চওড়া , খেয়া নৌকা চলছে তিনটি ঘাটের সমন্বয়ে । লোক খুব কম ।খেয়া পার হলাম। বেশ কিছুদুর হেটে ডান হাতে গ্রামের শুরু। রাস্তা বা বাঁধ নেই তাই জমির আইল ধরে চলা। ছোট নদীর ওপারে গাছ গাছালির গ্রাম , হুড়কা । হিন্দু প্রধান গ্রাম। বেশ হাটার পর আমরা সেই খেলোয়াড়ের বাড়িতে পৌঁছলাম। হিন্দু বাড়ি, নিকানো উঠোন। যার উদ্দেশে এসেছি তাকে আমি চিনিনা তবে তিনি আমায় চেনেন। বসলাম , কাঁসার গ্লাসে পানি এলো। ভালো মন্দ আলাপের পর বল খেলার আমন্ত্রন। সলজ্জ হাসিতে রাজি হলেন। দুপুরে কিছুতেই ছাড়বেন না । বললেন আপত্তি না থাকলে স্টোভ দিই , রান্না করে খান । আমি উলটো বললাম আমার বড় ভাই কি এই গ্রামে এসে রান্না করে খেতেন? লজ্জা পেলেন। কাঁসার থালায় চারিদিকে সব্জি আর মাছ মাঝে ভাত। খেয়ে নিলাম তৃপ্তির সাথে। এবার যাওয়ার পালা কারন বিকালে মিটিং আছে। হাটতে হাটতে বড় খাল পাড়ে কিন্তু খেয়া বন্ধ । ওটা পাচটার দিকে চলবে। কি বিপদ ! এখন ? ভাই বলল চলো সাঁতরে পার হই । জোয়ার তখন কানায় কানায়। এসময়ে হাঙ্গরের উপদ্রব বেশী। ভাই বলল ভয়ের কিছু নেই শুধু লুঙ্গি তুলবে আর পানিতে নামবে , তারপর মাথায় বেধে সাতার । খুব নজর দিয়ে চারিদিক দেখলাম এবং নিশ্চিত হলাম আমাদের দেখার জন্য কেউ দাড়িয়ে নেই। ভাই আমার স্যান্ডেল আর শার্ট হাতে নিল । এবার পানিতে নামা শুরু, হাতে লুঙ্গি ধরা, নামছি আর পানি বাচিয়ে লুঙ্গি কোমর অবধি উঠলেই মাথায় বেধে ফেললাম। পানিই আমাদের লজ্জা নিবারন করছে। বুকের ভিতর হাঙ্গরের হাতুড়ি পেটা চলছে। আমি একজন সাতারু বলেই ভালো করে এগিয়ে চললাম। জোয়ারের তোড়ে ৩০/৪০ ফুট ভিতরের দিকে ভেসে গেলাম । অপর পাড়ের মাটি পায়ে লাগতেই এক লাফে উলঙ্গ অবস্থায় ডাঙায় উঠে দাড়ালাম । যাক হাঙ্গর থেকে বাচা গেছে তার জন্য একটু নাহয় ন্যাংটাই হলাম, আল্লাহ বলেছেন জান বাঁচানো ফরজ । মাথার লুঙ্গি খুলে নিচে নামিয়ে আবার পরে নিলাম। দুই ভাইয়ের এই অ্যাডভেঞ্চারে খাল পাড়ে দাড়িয়ে সেকি হাসাহাসি ।
দারুন সময় ছিল কৈশোরের সেই দিনগুলো ।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২১
শাহ আজিজ বলেছেন: হা হা হা :#> :#>
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২০
এহসান সাবির বলেছেন: জীবন ১৬ আনাই মিছে......
সাঁতারই জানি না......!!
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৫
শাহ আজিজ বলেছেন: এখন বড় একটি অংশ সাতারই জানেনা , কি বিপদ !!
বয়া নিয়ে লঞ্চে উঠবেন
৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৪
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
হাহাহা, মজা পেলাম.....
আমার একটি সম্পূরক প্রশ্ন আছে:
মাথায় হাফপ্যান্ট নিয়ে সাড়া গ্রাম প্যান্ট খুঁজেছেন কখনও?
পরে মা'র কাছে এসে আবিস্কার হলো প্যান্ট..... ১-২ ক্লাসের কথা.....
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৯
শাহ আজিজ বলেছেন: নাহ ! আমার ওই দুরাবস্থা কখনো হয়নি।
তবে মবাইল,চশমা , কলম হাতে নিয়ে সারা ঘর খুজি এখন ।
৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:২৯
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: অভিজ্ঞতা আছে
কাউরে বইলেন না আবার
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৩১
শাহ আজিজ বলেছেন: মসজিদের মাইকে সবাইরে সাবধান কইরা দিছি অপূর্ণর ওই কথা কাউরে বলবেন না
সবাই বলছে আলহামদুলিল্লাহ ।
৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৪৭
ইমরুল_কায়েস বলেছেন: লজ্জা শরমের কিছু নাই জান বাঁচান ফরয। তবে ফকফকা দিনের বেলায় রিস্কটা একটু বেশি হয়ে গেছিল
২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:০৬
শাহ আজিজ বলেছেন: অন্ধকার ?? কক্ষনোই পার হইতাম না । দিন হইলে কি হইব ধারে কাছে কোন গ্রাম নাই । যাক হাঙ্গরের কামড় থেইকা তোঁ বাঁচছি :#>
৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৬
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তা নদী কি ভরাট না শোকনা ছিল , :!>
২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪০
শাহ আজিজ বলেছেন: ৪০ বছর আগে ওটা গভীর ছিল এখন নদীটাই ভরাট হয়ে গেছে, মানুষ পায়ে হেটে বিশাল পশুর পার হয়।
৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:২৫
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: হা হা হা ।
না, এমন অভিজ্ঞতা নেই। কারণ সাঁতার শিখেছি এসএসসি পরীক্ষার পর।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৫
শাহ আজিজ বলেছেন: ভাল তাও শিখেছেন।
৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১২:৩১
মোমেন মুন্না বলেছেন: ম্যালা অভিজ্ঞাত আছে!!!
২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: ভালো ছেলে
৯| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮
কলমের কালি শেষ বলেছেন: আমারও আছে এমন মজার অনেক কিছু । এখন মনে হলে হাসি পায় আর দুঃখও লাগে ।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮
শাহ আজিজ বলেছেন: কইয়া ফালান , লুকানোতে লাভ নাই কোন।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:১৪
খেলাঘর বলেছেন:
নদী পার হওয়া যখন শিখেছিলাম তখন তো লুংগি পরতাম না; আসলে কিছু পরতাম না; যা পরার কথা তা কাঁধে নিয়ে হাঁটতাম।